মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | অদল বদল (পান্নালাল প্যাটেল) গল্প
MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) অদল বদল (পান্নালাল প্যাটেল) গল্প প্রশ্ন উত্তর
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
১. যে-দিনের পড়ন্ত বিকেলের কাহিনি গল্পে তুলে ধরা হয়েছে, সেদিন ছিল
(ক) দুর্গাপূজা (খ) হোলি (গ) বড়োদিন (ঘ) বুদ্ধপূর্ণিমা
উত্তরঃ (খ) হোলি
২. গ্রামের একদল ছেলে কোন গাছের নীচে জড়ো হয়েছিল?
(ক) নিমগাছ (খ) আমগাছ (গ) জামগাছ (ঘ) বটগাছ
উত্তরঃ (ক) নিমগাছ
৩. অমৃতের বয়স কত বছর?
(ক) দশ বছর (খ) ন-বছর (গ) এগারো বছর (ঘ) বারো বছর
উত্তরঃ (ক) দশ বছর
৪. অমৃত ও ইসাবের কোন জিনিসটি একই রকম?
(ক) প্যান্ট (খ) জামা (গ) টুপি (ঘ) হাতঘড়ি
উত্তরঃ (খ) জামা
৫. অমৃত কুস্তি করলে কে তাকে ঠ্যাঙাবে?
(ক) তার বাবা (খ) তার কাকা (গ) তার মা (ঘ) তার জ্যাঠা
উত্তরঃ (গ) তার মা
৬. “এদের বাড়ি দুটোও মুখোমুখি।”—বাড়ি দুটি কোথায় ?
(ক) গতির মোড়ে (খ) শহরের মাঝখানে (গ) রাস্তার মোড়ে (ঘ) মাঠের ধারে
উত্তরঃ (গ) রাস্তার মোড়ে
৭. “দুই বন্ধুতে মিলে শান-বাঁধানো ফুটপাথে এসে বসতে…।”—দুই বন্ধু।
(ক) কৃষাণ ও ইসাব (খ) কৃশানু ও ইসাব (গ) অমৃত ও ইসাব (ঘ) অমৃত ও বিমল
উত্তরঃ (গ) অমৃত ও ইসাব
৮. ইসাবের মতো জামা না-পেলে অমৃত কোথায় যাবে না?
(ক) মামার বাড়ি (খ) মাসির বাড়ি (গ) পিসির বাড়ি (ঘ) স্কুলে
উত্তরঃ (ঘ) স্কুলে
৯. “এসো, আমরা কুস্তি লড়ি।”—এই কথাটি কার গলা জড়িয়ে ধরে বলা হয়েছিল?
(ক) অমৃতের (খ) ইসাবের (গ) কালিয়ার (ঘ) পাঠানের
উত্তরঃ (ক) অমৃতের
১০. “মেজাজ চড়ে গেল।”—কার?
(ক) ইসাবের (খ) ইসাবের বাবার (গ) অমৃতের (ঘ) কালিয়ার
উত্তরঃ (ক) ইসাবের
১১. “আয়, আমি তোর সঙ্গে লড়ব।”—এই কথাটি কে বলেছে?
(ক) অমৃত (খ) ইসাব (গ) কালিয়া (ঘ) পাঠান
উত্তরঃ (খ) ইসাব
১২. কার জামার পকেট ও ছ ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিড়ে গেছে?
(ক) অমৃতের (খ) কালিয়ার (গ) ইসাবের (ঘ) পাঠানের
উত্তরঃ (গ) ইসাবের
১৩. “কিছুটা যেতেই অমৃতের নজরে এল…।”—কী নজরে পড়েছিল ?
(ক) তার বাবা আসছে (খ) তার মা আসছে (গ) ইসাবের জামার পকেটের ছ-ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিড়ে গেছে (ঘ) কালিয়া তার দলবল নিয়ে তাদের দিকে আসছে
উত্তরঃ (গ) ইসাবের জামার পকেটের ছ-ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিড়ে গেছে
১৪. “এমন সময় শুনতে পেল…।”—কী শুনতে পেল?
(ক) ইসাবের বাবা কালিয়াকে ডাকছে (খ) ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছে (গ) ইসাবের বাবা অমৃতকে ডাকছে (ঘ) ইসাবের মা ইসাবকে ডাকছে
উত্তরঃ (খ) ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছে
১৫. “তোর কী হবে, তুই কী করবি?”—কথাটি কে বলেছে?
(ক) অমৃত (খ) পাঠান (গ) কালিয়া (ঘ) ইসাব
উত্তরঃ (ঘ) ইসাব
১৬. “একটা সুচসুতো নিয়ে হেঁড়া জামাটা রিফু করে দিলেন।”—কে দিলেন ?
(ক) ইসাবের বাবা (খ) অমৃতের মা (গ) ইসাবের মা (ঘ) ইসাবের দিদি
উত্তরঃ (ঘ) ইসাবের দিদি
১৭. অদল বদল’ গল্প গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কার কানে গেল?
(ক) অমৃতের (খ) গ্রামপ্রধানের (গ) ইসাবের (ঘ) কালিয়ার
উত্তরঃ (খ) গ্রামপ্রধানের
১৮. “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে।”—‘ও’ কে?
(ক) অমৃতের মা (খ) অমৃত (গ) ইসাব (ঘ) কালিয়া
উত্তরঃ (খ) অমৃত
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) অদল বদল (পান্নালাল প্যাটেল) গল্প প্রশ্ন উত্তর
১. ‘অদল বদল’ গল্পটির লেখক কে?
উত্তরঃ ‘অদল বদল’ গল্পটির লেখক হলেন পান্নালাল প্যাটেল।
২. হোলির দিনের কোন্ সময়ের কথা গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক?
উত্তরঃ হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেলের কথা গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক।
৩. নিমগাছের নীচে একদল ছেলে জড়ো হয়ে কী করছিল ?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে নিমগাছের নীচে গায়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে ধুলো ছোড়াছুড়ি খেলছিল।
৪. হাত ধরাধরি করে কারা গ্রামের ছেলেদের কাছে এল ?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে হাত ধরাধরি করে অমৃত ও ইসাব গ্রামের ছেলেদের কাছে এল।
৫. “সব দিক থেকেই একরকম।”—কী সবদিক থেকে একরকম?
উত্তরঃ ইসাব আর অমৃতের গায়ের জামার রং, মাপ ও কাপড় সবদিক থেকেই একরকম।
৬. অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা ও অমৃত ছাড়া আর কে আছে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা ও অমৃত ছাড়া আর তিন ভাই রয়েছে।
৭. ইসাবের বাড়িতে ইসাব ছাড়া আর কে আছে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে ইসাবের বাড়িতে ইসাব ছাড়া আর তার বাবা আছে।
৮. ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে ইসাবের কী হয়েছে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পে গরিব চাষির ছেলে ইসাব ক্ষেতে কাজ করতে যায়, তাই তার জামা ছিড়ে যায়।
৯. অমৃত তার জামাটি কীভাবে ছিঁড়ে ফেলে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতকে তার মা জামা দেয় না। তাই সে তার জামার একটা ছেড়া জায়গায় আঙুল ঢুকিয়ে আরও ছিড়ে ফেলে।
১০. অমৃত জামা পাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত কী করতে রাজি ছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে দেখা যায়, জামা পাওয়ার জন্য অমৃত শেষ পর্যন্ত মার খেতেও রাজি হয়।
১১. “শোনা মাত্র অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল…।”—অমৃত কী ফতোয়া জারি করেছিল?
উত্তরঃ অমৃত ফতোয়া জারি করেছিল যে, ঠিক ইসাবের মতো জামাটি না-পেলে সে স্কুলে যাবে না।
১২. “মা ওকে অনেক বুঝিয়েছেন…।”—কার মা, কাকে, কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছেন যে, ইসাবকে খেতে কাজ করতে হয় বলে তার জামা ছিড়ে গেছে, কিন্তু তারটা তো প্রায় নতুনই রয়েছে।
১৩. “অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”—এতেও’বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘এতেও’বলতে নতুন জামা নেওয়ার ব্যাপারে অমৃতের মার হাতে অমৃতের মার খাওয়ার কথাকে বোঝানো হয়েছে।
১৪. “কিন্তু অত সহজে হাল ছাড়ার পাত্রও সে নয়।”—হাল না ছেড়ে সে কী কী করেছিল ?
উত্তরঃ হাল না-ছেড়ে সে স্কুলে যাওয়া বন্দ করে দিল, খাওয়া ছেড়ে দিল এবং রাত্রে বাড়ি ফিরতে রাজি হল না।
১৫. সুন্দর সাজগোজ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অমৃতের কী ইচ্ছে হয়নি?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পের অন্যতম চরিত্র অমৃত। সুন্দর সাজগোজ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে জামাকাপড় নোংরা করতে তার ইচ্ছে হয়নি।
১৬. “কালিয়া জিতেছে, অমৃত হেরে গেছে, কী মজা, কী মজা।”—এ কথা কে বলেছে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’গল্পে ছেলের দল আনন্দে চিৎকার করে এ কথা বলেছে।
১৭. অমৃতকে যখন তার বাবা মারতে যায়, তখন তাকে কে বাঁচায়?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতকে যখন তার বাবা মারতে যায়, তখন তাকে তার মা বাঁচায়।
১৮. ইসাবের বাবা বাড়ির সামনের দাওয়ায় বসে কী করছিলেন?
উত্তরঃ ইসাবের বাবা বাড়ির সামনের দাওয়ায় খাটিয়ায় বসে হুঁকো খাচ্ছিলেন।
১৯. অমৃত ও ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীর প্রতিক্রিয়া কীরূপ হয়?
উত্তরঃ অমৃত ও ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীদের বুক গর্বে ভরে যায়।
২০. “ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড়…।”—ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল কারণ, ওরা জানে ইসাবের বাবা ছেড়া শার্ট দেখা মাত্র ওর গায়ের চামড়া তুলে নেবেন।
২১. “কিন্তু ওর কপাল ভালো…।”—কার, কী কারণে কপাল ভালো ছিল?
উত্তরঃ অমৃতের কপাল ভালো ছিল, কারণ দিনটা ছিল হোলির দিন, তাই সে সময় সবাই জানে কিছুটা ধস্তাধস্তি টানাটানি হয়েই থাকে।
২২. “উনি ভুরু কুঁচকোলেন।”—কে, কেন ভুরু কুঁচকেছিলেন?
উত্তরঃ অমৃতর মা অমৃতর ছেড়া জামা দেখে ভুরু কুঁচকেছিলেন।
২৩. “এতে দুজনেরই ভয় কেটে গেল…।”—ভয় কেটে যাওয়ায় তারা কী করল?
উত্তরঃ ভয় কেটে যাওয়ায় তারা আবার হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে হোলির সময়কার বাজি আর বুড়ির বাড়ি পোড়ানো দেখতে গেল।
২৪. “আবেগ ভরা গলায় হাসান বললেন…।”—আবেগ ভরা গলায় হাসান ভাই কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ আবেগভরা গলায় হাসান ভাই বলেছিলেন, অমৃতের মতো ছেলে পেলে তিনি একুশ জনকেও পালন করতে রাজি আছেন।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ৩) অদল বদল (পান্নালাল প্যাটেল) গল্প
১. “বলতে গেলে ছেলে দুটোর সবই একরকম তফাত শুধু এই যে…।”—ছেলে দুটো কে কে? তাদের মিল ও অমিল উল্লেখ করো। ১+২
২. অমৃত বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মা কী বলে সাবধান করে দিয়েছিলেন?
৩. “মা তখন ওকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বললেন…।”—কার মা, কাকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিল? বেকায়দায় ফেলতে চেয়ে তিনি তখন কী বলেছিলেন? ১+২
৪. “ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।”—ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল কেন?
৫. “ও কালিয়ার হাত ধরে বলল…।”-ও’ কে? সে কালিয়ার হাত ধরে কী বলেছিল? ১+২
৬. কালিয়াকে মাটিতে ফেলে মারার সময় অন্যান্য ছেলেদের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?
৭. ইসাবের জামা ছিড়ে গেলে ছেলেদের কী প্রতিক্রিয়া হয়?
৮. “কিছুটা যেতেই অমৃতের নজরে এল…।”—অমৃতের নজরে কী পড়েছিল? কোন ঘটনায় তাদের এমন অবস্থা হয়েছিল? ১+২
৯. “ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড়..।”—কাদের কথা বলা হয়েছে? ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল কেন? ১+২
১০. “হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল…।”—অমৃতের মাথায় কী বুদ্ধি খেলে গিয়েছিল?
১১. অমৃত কীভাবে তার বাবার মারের হাত থেকে বেঁচে যায় ?
১২. খুব কাছ থেকে ইসাব ও অমৃত একজনের শব্দ শুনে কী করে?
১৩. ছেলের দল অমৃত ও ইসাবের পিছন পিছন ‘অদল বদল’ বলে চিৎকার করতে থাকলে, তারা কী করে?
১৪. “গ্রাম-প্রধানের কানে গেল।”—গ্রামপ্রধানের কানে কী গেল? তারপরে কী ঘটল? ১+২
১৫. “এতে দুজনেরই ভয় কেটে গেল,”—দুজনে কে কে? কীভাবে তাদের ভয় কেটে গেল? ১+২
রচনাধর্মী প্রশ্ন সাজেশন (প্রশ্নমান – ৫) অদল বদল (পান্নালাল প্যাটেল) গল্প প্রশ্ন উত্তর
১. ‘অদল বদল’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
২. ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃত ও ইসাবের চরিত্র বিশ্লেষণ করো।
৩. ‘অদল বদল’ গল্পে অপ্রধান চরিত্রগুলি আলোচনা করো।
৪. ‘অদল বদল’ গল্পের সামাজিক পটভূমি বিচার করো।
৫. “দুজনের বাবাই পেশায় চাষি, জমিও প্রায় সমান সমান।”—এই দুজন কে কে? কখন এই কথা বলা হয়েছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো। ১+১+৩
৬. “সবাই যে যেদিকে পারে পালিয়ে গেল।”—সবাই’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা কেন পালিয়ে গেল? কোন প্রসঙ্গে এই কথা বলা হয়েছে? ১+২+২
৭. “কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে।”—কে, কাকে এই। কথা বলেছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো। এই উক্তির মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ১+২+২
৮. “ছেলেরা খুশি হলো, ক্রমশ গ্রাম পেরিয়ে আকাশ বাতাসও ‘অমৃত-ইসাব অদল-বদল, অদল-বদল’ এই আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠল।”—কার লেখা, কোন রচনার অংশ? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে? কথাটির অর্থ পরিস্ফুট করো। ১+২+২
৯. “ঠিক আছে, তোর বাবাকে গিয়ে বলগে।”—কে, কাকে এই কথা বলেছে? কোন্ প্রসঙ্গে এই কথা বলেছে? এই লাইনটিতে বক্তার চরিত্রের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ১+২+২
১০. “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে।”—‘ও’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? ‘আমাকে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? খাঁটি কথা বা খাঁটি জিনিস কী? এই উদ্ধৃতিটির নিরিখে বক্তার চরিত্র বিশ্লেষণ করো। ১+১+১+২
১১. “কিন্তু অত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র সে নয়।”—‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কীসের ব্যাপারে হাল ছাড়ার কথা বলা হয়েছে? প্রসঙ্গ নির্দেশ করো। সে কি সফল হয়েছিল? ১+১+২+১
১২. “ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড়।”— ‘ওদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কেন ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল? উক্তিটির তাৎপর্য লেখো। ১+২+২
১৩. “অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”—কোন ব্যাপারে পিছপা হতে রাজি নয়? কখন পিছপা হতে রাজি নয়? কথাটির অর্থ লেখো। ১+২+২
১৪. “ওরা আবার হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে হোলির সময়কার বাজি আর বুড়ির বাড়ি পোড়ানো দেখতে গেল।”—‘ওরা কারা? কোন্ প্রসঙ্গে এই কথা বলা হয়েছে? কথাটির মর্মার্থ লেখো। ১+২+২
১৫. “ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল।”-“ওরা কারা? তারা কী দেখে ভয়ে কাঠ হয়ে গেল? প্রসঙ্গ নির্দেশ করে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ১+১+৩
পাঠ্যগত ব্যাকরণ – অদল বদল (পান্নালাল প্যাটেল) গল্প প্রশ্ন উত্তর
বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
কারক-বিভক্তি
১. “ইসাবের আছে শুধু তার বাবা।”—নিম্নরেখাভিকত পদটির কারক ও বিভক্তি হল
(ক) সম্বোধন পদে ‘র’ বিভক্তি (খ) অধিকরণ কারকের বিভক্তি (গ) সম্বোধন পদে ‘এর’ বিভক্তি (ঘ) অপাদান কারকে এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (গ)
২. “ওদের একরকম পোশাক দেখে দলের একটি ছেলে বলল,”— রেখাঙ্কিত পদটির কারক ও বিভক্তি হল
(ক) কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (খ) করণকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (গ) অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (ঘ) কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি
উত্তরঃ (ক)
৩. “রাস্তার মোড়ে এদের বাড়ি দুটোও মুখোমুখি।”—রেখাঙ্কিত পদটির কারক ও বিভক্তি হল
(ক) করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি (খ) অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি (গ) অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি (ঘ) কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি
উত্তরঃ (খ)
৪. “বাড়ি থেকে বেরিয়ে অমৃতের একেবারেই ইচ্ছে ছিল না।”—রেখাঙ্কিত পদটির কারক ও বিভক্তি হল
(ক) অধিকরণ কারকে ‘থেকে অনুসর্গ (খ) কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (গ) অপাদান কারকে ‘থেকে অনুসর্গ (ঘ) কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি
উত্তরঃ (গ)
৫. “ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।”—রেখাঙ্কিত পদটির কারক ও বিভক্তি
(ক) করণকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (খ) কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (গ) কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি
উত্তরঃ (গ)
সমাস
৬. “নিমগাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে…।”—“নিমগাছ’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস হবে
(ক) নিমের গাছ—সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস (খ) নিম ও গাছ—দ্বন্দ্ব সমাস (গ) নিম নামক গাছ—মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস (ঘ) নিমরূপ গাছ—রূপক কর্মধারয় সমাস
উত্তরঃ (গ)
৭. “শান-বাঁধানো ফুটপাথে এসে বসতে, …।”–শান-বাঁধানো’ শব্দটির সমাস হবে
(ক) কর্ম তৎপুরুষ সমাস (খ) করণ তৎপুরুষ সমাস (গ) অধিকরণ তৎপুরুস সমাস (ঘ) দ্বিগু সমাস
উত্তরঃ (খ)
৮. “অমৃত দৃঢ় স্বরে বলল,”–দৃঢ়স্বর’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস হবে।
(ক) স্বরের দৃঢ়-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস (খ) দৃঢ়ের ন্যায় স্বর—উপমান কর্মধারয় সমাস (গ) দৃঢ় যে স্বর—কর্মধারয় সমাস (ঘ) দৃঢ়রূপ স্বর—রূপক কর্মধারয় সমাস
উত্তরঃ (গ)
৯. “একেবারেই ইচ্ছে ছিল না জামাকাপড় নোংরা হয় এমন কিছু করতে।”“জামাকাপড়’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস হবে
(ক) জামার ন্যায় কাপড়—উপমান কর্মধারয় সমাস (খ) জামারুপ কাপড়-রূপক কর্মধারয় সমাস (গ) জামা ও কাপড়–দ্বন্দ্ব সমাস (ঘ) জামায় কাপড়—তাধিকরণ তৎপুরুষ সমাস।
উত্তরঃ (গ)
১০. “ইসাবও রণভূমি ত্যাগ করল।”–রণভূমি’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম হল
(ক) রণ ও ভূমি—দ্বন্দ্ব সমাস (খ) রণের ন্যায় ভূমি-উপমান কর্মধারয় সমাস (গ) রণের নিমিত্ত ভূমি—নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস (ঘ) ভূমি রণের ন্যায়—উপমিত কর্মধারয় সমাস
উত্তরঃ (ঘ)
বাক্য
১১. “এরা দুজনে একই স্কুলে, একই ক্লাসে পড়ে।”—বাক্যটিকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) এরা দুজনে একই স্কুলে এবং একই ক্লাসে পড়ে (খ) এরা দুজনে যেমন একই স্কুলে পড়ে তেমনি একই ক্লাসেও পড়ে (গ) এরা দুজনে কিন্তু একই স্কুলে, একই ক্লাসে পড়ে (ঘ) এরা দুজনে একই স্কুলের ন্যায় একই ক্লাসে পড়ে
উত্তরঃ (খ)
১২. “রাস্তার মোড়ে এদের বাড়ি দুটোও মুখোমুখি।”—বাক্যটিকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) রাস্তার মোড়ে এদের বাড়ি আছে এবং সেগুলি মুখোমুখি (খ) রাস্তার মোড়ে এদের বাড়ি দুটো কিন্তু মুখোমুখি (গ) যেখানে রাস্তার মোড় সেখানে এদের বাড়ি দুটো মুখোমুখি (ঘ) রাস্তার মোড় ছাড়া অন্য কোথাও এদের বাড়ি দুটো মুখোমুখি নেই
উত্তরঃ (গ)
১৩. “ঠিক ইসাবের মতো জামাটি না পেলে ও স্কুলে যাবে না।”—বাক্যটি ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) ঠিক ইসাবের মতো জামাটি পেলেই ও স্কুলে যাবে (খ) ঠিক ইসাবের মতো জামা না-পেলে ও স্কুলে যাবে (গ) ঠিক ইসাবের মতো জামা পেলেও স্কুলে যাবে না (ঘ) ইসাবের মতো জামা পেলে কি সে স্কুলে যাবে?
উত্তরঃ (ক)
১৪. “এই বলে সে অমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে এল।”—বাক্যটিকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) এই বলে কিন্তু সে অমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে এল (খ) এই বলে সে এবং অমৃত খোলামাঠে এল (গ) এই বলল এবং সে অমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে এল (ঘ) এই বলার মাধ্যমে সে অমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে এল
উত্তরঃ (গ)
১৫. “মা যখন দেখলেন জামাটা ছিড়েছে, উনি ভুরু কুঁচকোলেন।” বাক্যটিকে সরলক্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) যখন মা দেখলেন জামাটা ছেড়া তখন তিনি ভুরু কুঁচকোলেন (খ) ছেড়া জামাটা দেখে মা ভুরু কুঁচকোলেন (গ) মা ছেড়া জামাটা দেখে কিন্তু ভুরু কুঁচকোলেন (ঘ) মা ছেড়া জামাটা না-দেখে ভুরু কুঁচকায়নি
উত্তরঃ (খ)
বাচ্য
১৬. “ইসাবের মনে পড়ল।”—বাক্যটিকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) ইসাব মনে করল (খ) ইসাব কর্তৃক মনে পড়ল (গ) ইসাবের দ্বারা মনে পড়া হল (ঘ) ইসাবের দ্বারা মনে পড়ল
উত্তরঃ (ক)
১৭. “ইসাৰ অমৃতের দিকে তাকাল।”—বাক্যটিকে কর্মবাচ্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) ইসাব তাকাল অমৃতের দিকে (খ) ইসাবের দ্বারা অমৃতের দিকে তাকানো হল (গ) ইসাব ও অমৃত পরস্পরের দিকে তাকাল (ঘ) অমৃত কর্তৃক ইসাবের দিকে তাকাল
উত্তরঃ (খ)
১৮. অমৃত আর ইসাবও রণভূমি ত্যাগ করল।”—বাক্যটিকে কর্মবাচ্যে রূপান্তর করলে দাঁড়ায়
(ক) অমৃতের ন্যায় ইসাবও রণভূমি ত্যাগ করল (খ) অমৃত আর ইসাবের দ্বারা রণভূমি ত্যাগ করা হল (গ) অমৃত যেমন তেমনি ইসাবও রণভূমি ত্যাগ করল (ঘ) অমৃত আর ইসাব রণভূমি ত্যাগ না-করে পারল না
উত্তরঃ (খ)
১৯. “এই বলে সে অমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে এল”—বাক্যটির কর্মবাচ্যের
(ক) এই বলে তার আমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে আসা হল (খ) এই বলে সে কর্তৃক অমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে এল (গ) সে অমৃতকে খোলামাঠে নিয়ে এল (ঘ) এই বলে তার মাধ্যমে অমৃতকে নিয়ে এল
উত্তরঃ (ক)
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন সাজেশন (প্রশ্নমান – ১) অদল বদল (পান্নালাল প্যাটেল) গল্প প্রশ্ন উত্তর
কারক-বিভক্তি
১. “নিমগাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে ধুলো ছোড়াছুড়ি খেলছিল।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ নিমগাছের—সম্বন্ধপদে ‘এর’ বিভক্তি।
২. “হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেল।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ বিকেল—অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৩. “ইসাবের আছে শুধু তার বাবা।”—‘বাবা’ পদটির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।
উত্তরঃ বাবা–কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৪. “দুই বন্ধুতে মিলে শান-বাঁধানো ফুটপাতে এসে বসতে…।” –নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।
উত্তরঃ শান-বাঁধানো—করণকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৫. “এরপর উনি গিয়ে ইসাবের বাবার গোয়ালঘর থেকে লুকিয়ে থাকা অমৃতকে বাড়ি নিয়ে এলেন।”-নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি লেখো।
উত্তরঃ গোয়ালঘর–অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
সমাস
৬. “অমৃত দৃঢ়স্বরে বলল…।”-“অমৃত’ পদটির ব্যাসবাক্য কী হবে?
উত্তরঃ অমৃত-নয় মৃত (নঞ তৎপুরুষ সমাস)।
৭. “সজল চোখে পাঠান বললেন,..”-সজল’ পদটির সমাস কী হবে?
উত্তরঃ সজল-জলের সহিত (সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস)।
৮. “উনি সুদখোরের কাছ থেকে টাকা ধার করে অনেক বাছাবাছি করে কাপড় কিনে জামা সেলাই করিয়েছিলেন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।
উত্তরঃ সুদখোর—সুদ খায় যে (উপপদ তৎপুরুষ সমাস)।
৯. “এবার অবশ্য ইসাব ও অমৃত অপ্রস্তুত বোধ করল না।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস কী হবে?
উত্তরঃ অপ্রস্তুত-নয় প্রস্তুত (নঞ তৎপুরুষ সমাস)।
১০. “অদল-বদলের গল্প গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রাম-প্রধানের কানে গেল।”-নিম্নরেখাঙ্কিকত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্দেশ করো।
উত্তরঃ গ্রাম-প্রধানের—গ্রামের প্রধান (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস), তার।
বাক্য
১১. “বাড়ি থেকে বেরাবার সময় ওর মা সাবধান করে দিয়েছিলেন।”—জটিল বাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ বাড়ি থেকে যখন বের হয় তখন ওর মা সাবধান করে দিয়েছিলেন।
১২. “ইসাব অমৃতের দিকে তাকাল।”—প্রশ্নবোধক বাক্যে রূপান্তর করো।
উত্তরঃ ইসাব কি অমৃতের দিকে তাকাল না?
১৩. “ঠিক ইসাবের মতো জামাটি না পেলে ও স্কুলে যাবে না।”—হা-বাচক বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ ঠিক ইসাবের মতো জামাটি পেলে ও স্কুলে যাবে।
১৪. “বিশেষ করে ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে তো একেবারেই গররাজি।” -না-বাচক বাক্যে কী হবে?
উত্তরঃ বিশেষ করে ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে তো একেবারেই রাজি নয়।
১৫. “ইসাব ল্যাং মারতে কালিয়া ব্যাঙের মতো হাত-পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে চাঁচাতে লাগল।”—যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তরঃ ইসাব ল্যাং মারল এবং কালিয়া ব্যাঙের মতো হাত-পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে চাঁচাতে লাগল।
বাচ্য
১৬. “এরা দুজনে একই স্কুলে একই ক্লাসে পড়ে।”—ভাববাচ্যে রূপ দাও।
উত্তরঃ এদের দুজনের একই স্কুলে একই ক্লাসে পড়া হয়।
১৭. “দুজনকেই সাময়িক বিপদ আপদে সুদে ধার নিতে হয়।”—কর্তৃবাচ্যে লেখো।
উত্তরঃ দুজনেই সাময়িক বিপদ-আপদে সুদে ধার নেয়।
১৮. “তাহলে মা আমাকে ঠ্যাঙ্গাবে।”—কর্মবাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তরঃ তাহলে মায়ের দ্বারা আমাকে ঠ্যাঙানো হবে।
১৯. “মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল।”–কর্মবাচ্যে রূপান্তর করো।
উত্তরঃ মায়ের দ্বারা ওকে অনেক বোঝানো হয়েছিল।
২০. “আমাকে বেঁধে রাখো।”—ভাববাচ্যে লেখো।
উত্তরঃ আমাকে বেঁধে রাখা হোক।
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪ – অদল বদল (গল্প) পান্নালাল প্যাটেল
অদল বদল
পান্নালাল প্যাটেল
(১) বহু বিকল্প প্রশ্ন গুলোর উত্তর দাও :
১.১ পান্নালাল প্যাটেল কোন ভাষার লেখক?
(ক) ইংরেজি
(খ) হিন্দি
(গ) গুজরাটি
(ঘ) বাংলা
উত্তর : (গ) গুজরাটি
১.২ “সবদিক থেকেই একরকম।” – কিসের কথা বলা হয়েছে –
(ক) দুই বন্ধু চালচলন
(খ) দুই বন্ধুর চালচলন, কথাবার্তা
(গ) জামার রং, মাপ, কাপড়
(ঘ) উভয় বিদ্যা বুদ্ধি
উত্তর : (গ) জামার রং, মাপ, কাপড়
১.৩ “দুই বন্ধুতে মিলে শানবাঁধানো ফুটপাতে এসে বসতে…।” – দুই বন্ধু হল –
(ক) কৃষাণ ও ইসাব
(খ) কৃশানু ও ইসাব
(গ) অমৃত ও ইসাব
(ঘ) অমৃত ও বিমল
উত্তর : (গ) অমৃত ও ইসাব
১.৪ “অমৃতের এত জোর দিয়ে বলার কারণ ছিল।” – কারণটা হলো –
(ক) অমৃতরা খুব গরিব
(খ) অমৃত খুব সাহসী
(গ) জামার নোংরা করার ব্যাপারে মায়ের সাবধানবাণী
(ঘ) অমৃতের শরীর ভালো ছিল না
উত্তর : (গ) জামার নোংরা করার ব্যাপারে মায়ের সাবধানবাণী
১.৫ “এসো আমরা কুস্তি লড়ি।” – কথাটি বলেছিল –
(ক) ইসাব
(খ) অমৃত
(গ) কালিয়া
(ঘ) বুধিয়া
উত্তর : (গ) কালিয়া
১.৬ “হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল” – বুদ্ধিটা কি ছিল?
(ক) কালিয়া সঙ্গে কুস্তি লড়ার
(খ) স্কুলে না গিয়ে জামা আদায় করার
(গ) ইসাবের বাবার গোয়াল ঘরে লুকিয়ে থাকা
(ঘ) জামা অদল বদল করা
উত্তর : (ঘ) জামা অদল বদল করা
১.৭ “কিছুটা যেতেই অমৃতের নজরে এলো…।” – কি নজরে এসেছিল?
(ক) তার বাবা আসছিল
(খ) তার মা আসছিলো
(গ) হিসাবের জামার পকেট ও 6 ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিড়ে গেছে
(ঘ) কালিয়া তার দলবল নিয়ে তাদের দিকে আসছে
উত্তর : (গ) হিসাবের জামার পকেট ও 6 ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিড়ে গেছে
১.৮ “তোরা অদল-বদল করেছিস, হুম।”-বক্তা কথাটি কী উদ্দেশ্যে বলেছিল?
(ক) তাদের সঙ্গে মজা করার জন্য
(খ) তাদের সচেতন করে দেওয়ার জন্য
(গ) তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য
(ঘ) তাদের আনন্দকে মাটি করে দেওয়ার জন্য
উত্তর: (ঘ) তাদের আনন্দকে মাটি করে দেওয়ার জন্য
১.৯ ইসাবের বাবা অমৃতের মা-কে ডাকে –
(ক) বৌদি বলে
(খ) বাহালি বৌদি বলে
(গ) মাসি বলে
(ঘ) কাকিমা বলে
উত্তর: (খ) বাহালি বৌদি বলে
১.১০ “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে।”- ‘ও’কে?
(ক) অমৃতের মা
(খ) অমৃত
(গ) ইসাব
(ঘ) কালিয়া
উত্তর: (খ) অমৃত
(২) অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর (কমবেশি ২০ শব্দে)
২.১ “সব দিক থেকেই একরকম।”-কি সব দিক থেকে এক রকম?
উত্তর: ইসাব আর অমৃতের গায়ের জামার রং, মাপ ও কাপড় সব দিক থেকেই একরকম।
২.২ “বলতে গেলে ছেলে দুটোর সবই একরকম, তফাৎ শুধু এই যে…”- তফাতটা কি?
উত্তর: অমৃতের পরিবারে বাবা-মা আর তিন ভাই ছিল আর ইসাবের ছিল শুধু বাবা।
২.৩ “তাহলে মা আমাকে ঠ্যাঙ্গাবে ।”-অমৃতের এই কথা মনে হওয়ার কারণ কি?
উত্তর : জামা ময়লা করলে বা ছিঁড়লে যে ঠ্যাঙানি খেতে হবে সে-বিষয়ে অমৃতের সন্দেহ ছিল না।
২.৪ “অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”- ‘এতেও’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: নতুন জামা নেওয়ার ব্যাপারে বাবার হাতে অমৃতের মার খাওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে।
২.৫ “আমি কুস্তি লড়তে চাই না,”-কে, কেন কুস্তি লরতে রাজি হয়নি?
উত্তর: অমৃত কুস্তি লড়তে রাজি হয়নি দুটি কারণে-প্রথমত,তার নতুন জামা নষ্ট হয়ে যেতে এবং দ্বিতীয়ত, ইসাব ছিল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
২.৬ “ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।” – ইসাবের মেজাজ চড়ে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ কালিয়া অমৃতকে কুস্তির নামে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল, তাই দেখে ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল।
২.৭ “ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে” – কোন্ ব্যাপারকে ‘ঘোরালো’ বলা হয়েছে?
উত্তরঃ অমৃতের মার খাওয়ার বদলা নিতে ইসাব কালিয়াকে মাটিতে ফেলে দিলে ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে যায়।
২.৮ “এমন সময় শুনতে পেল ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছেন।” – কখন তারা ইসাবের বাবার ডাক শুনতে পেয়েছিল?
উত্তরঃ ইসাব ও অমৃত যখন ভয়ে জামার কতটা, কি ছিঁড়েছে তা পরীক্ষা করছিল, এমন সময় তারা ইসাবের বাবার ডাক শুনতে পেল।
২.৯ “আমার সঙ্গে আয়” – কে, কাকে আসতে বলেছিল?
উত্তরঃ তারা দুজনে পরস্পর জামা অদলবদল করবে বলে অমৃত ইসাবের তার সঙ্গে আসতে বলেছিল।
২.১০ “উনি ভুরু কুঁচকোলেন।” – কে, কেন ভুরু কুঁচক্রছিলেন?
উত্তরঃ অমৃতের মা অমৃতের ছেঁড়া জামা দেখে ভুরু কুঁচকেছিল।
২.১১ “তারা ভয়ে বাড়ির দিকে ছুটে পালাতে লাগল।” – কারা, কেন ছুটে পালাচ্ছিল?
উত্তরঃ ইসাব ও অমৃত আশঙ্কা করেছিল যে, তাদের দুজনের বাবা জামা অদলবদল করার ব্যাপারটা জেনে যাবেন।
২.১২ “ও আমাকে শিখিয়েছে, খঁটি জিনিস কাকে বলে।” – বক্তা ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বোঝায় চেয়েছেন?
উত্তরঃ অমৃতের অকৃত্রিম বন্ধুপ্রীতিকে ‘খাঁটি জিনিস’ বলে উল্লেখ করেছেন।
(৩) ব্যাখ্যামূলক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর (কমবেশি ২০ শব্দে)
৩.১ “বলতে গেলে ছেলেদুটোর সবই একরকম, তফাত শুধু এই যে….।”- ছেলে দুটি কে কে? তাদের মিল ও অমিল উল্লেখ করো।
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা অদল বদল গল্প থেকে সংকলিত উদ্ধৃতাংশে ছেলে দুটি হল বন্ধু ইসাব আর আমৃত।
ইসাব ও অমৃতের মধ্যে মিল হল – তাদের জামার রং, মাপ ও কাপড় একই। তারা একই স্কুলে, একই ক্লাসে পড়ে। রাস্তার মোড়ে তাদের বাড়ি দুটিও মুখোমুখি। দুজনেরই বাবা পেশায় চাষি এবং জমিও তাদের প্রায় সমান সমান। দুজনেই সাময়িক বিপদ-আপদে সুদে টাকা ধার নিতে হয়। তবে পার্থক্য হল – অমৃতের পরিবারে বাবা-মা আর নিব ভাই রয়েছে, কিন্তু ইসাবের আছে শুধু তার বাবা।
৩.২ “অমৃতের অত জোর দিয়ে বলার কারণ ছিল।” -অমৃত জোর দিয়ে কী বলেছিল? তার জোর দিয়ে কী ছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেল রচিত অদল বদল গল্পে অমৃত জোর দিয়ে বলেছিল, সে কুস্তি লড়তে চায় না। কারণ কুস্তি লড়লে তার মা তাকে মারবে।
অমৃত অনেক কষ্ট, অনেক সাধ্যসাধনা করে বাবার কাছ থেকে ইসাবের মতো নতুন জামা পেয়েছিল। বাড়ি থেকে বেরোবার সময় তার মা তাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন যে, সে যদি নতুন জামাটি ময়লা করে অথবা ছিঁড়ে ফেলে তাহলে তার কপালে অশেষ দুঃখ আছে। এই কারণেই অমৃত জোর দিয়ে তার অনীহা জ্ঞাপন করেছিল।
৩.৩ “অমৃত সত্যি তার বাবা-মাকে খুব জ্বালিয়েছিল।”-অমৃতের এরূপ আচারণের কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা অদল বদল গল্পের অন্যতম চরিত্র অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্ব ছিল গভীর। দুই বন্ধুর রুচিগত ও মানসিকতার মিলও ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই কারণে ইসাব নতুন জামা কিনলে অমৃতও বায়না জুড়েছিল, তারও ওই একই রকম, একই রঙের নতুন জামা চাই। অমৃতের মা ছেলের এই আবদারকে প্রশ্রয় দিতে রাজি ছিলেন না, কিন্তু ইসাবের মতো জামা কেনার ইচ্ছে অমৃতকে এতটাই তাড়িত করেছিল যে, সে কোনো কথা শুনতে রাজি ছিল না। এই কারণেই অমৃত তার বাবা-মাকে খুব জ্বালিয়েছিল।
৩.৪ “অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”-অমৃত কখন, কেন পিছপা হতে রাজি হয়নি?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেল রচিত অদল বদল গল্পে অমৃত তার বন্ধু ইসাবের মতো নতুন জামা নেবে বলে মায়ের কাছে বায়না জুরেছিল। কিন্তু অমৃতের মা ছেলেকে অকারণে নতুন জামা কিনে দিতে রাজি ছিলেন না এবং নানাভাবে তাকে বিরত করার চেষ্টা করছিলেন। শেষে বাধ্য হয়েই তিনি বলেছিলেন, ইসাব নতুন জামা পাওয়ার জন্য বাবার হাতে মার খেয়েছিল, তাই সে-ও কি একইভাবে মার খেতে প্রস্তুত? অমৃত তখন জামা কিনতে অত্যন্ত উদ্গ্রীব ছিল বলে মায়ের এই প্রস্তাবেও সে সায় দিয়েছিল।
৩.৫ “তামাশা করে হলেও এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে”-কোন ব্যাপার, কীভাবে ‘ঘোরালো’ হয়ে পড়েছিল?
উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি পান্নালাল প্যাটেলের লেখা অদল বদল গল্প থেকে গৃহীত।
আলোচ্য গল্পে হোলির দিন পড়ন্ত বিকেল বেলা নতুন জামাকাপড় পরে অমৃত ও ইসাব বাইরে বেরোলে কিছু ছেলে তাদের পরস্পরকে কুস্তি লড়তে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা সেই নির্দেশ অমান্য করলে কালিয়া নামের একটি ছেলে অমৃতকে খোলা মাঠে এনে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। বন্ধুর এরূপ অসহায়তা দেখে ইসাব চুপ করে না থেকে কালিয়াকে কুস্তি লড়তে বলে এবং লড়াইয়ের শুরুতে তাকে ল্যাং মারতেই কালিয়া হাত-পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে চ্যাঁচাতে থাকে। এইভাবে তামাশা বা মজার ছলে কুস্তিপর্বটি আরম্ভ হলেও ধীরে ধীরে তা জটিল বা ঘোরালো আকার ধারণ করেছিল।
৩.৬ “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে।”- ‘ও’ কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি পান্নালাল প্যটেলের লেখা অদল বদল গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ‘ও’ বলতে ইসাবের অভিন্নহৃদয় বন্ধু অমৃতের কথা বোঝানো হয়েছে।
কুস্তি খেলতে গিয়ে ইসাবের নতুন জামাটি ছিঁড়ে গেলে বাড়ি ফিরে বাবার কাছে মার খেতে হবে সেই ভয়ে ইসাব কাঠ হয়ে যায়। এই সময় অমৃত তার গায়ের জামা, যা ইসাবের জামার মতোই দেখতে, সেটি ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া জামাটি পড়তে চায়। ইসাবের বাবা সমস্ত কিছু আড়ালে থেকে দেখবার পর রেগে না-গিয়ে অমৃতের সহৃদয় ও সহানুভূতিশীল সত্তার পরিচয় লাভ করে মুগ্ধ হন। অমৃতের এই নির্ভেজাল বন্ধুত্ব পরোপকারী, দয়ালু মনোবৃত্তিকেই তিনি আলোচ্য প্রসঙ্গে খাঁটি জিনিস বলে উল্লেখ করেছেন।
৩.৭ “আজ থেকে আমরা অমৃতকে অদল আর ইসাবকে বদল বলে ডাকব।”-উক্তিটির তাৎপর্য সংক্ষেপে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ অমৃত গভীর বন্ধুপ্রীতি এবং সহানুভূতির পরিচয় দিয়ে ইসাবকে তার বাবার মায়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ইসাবের ছেঁড়া জামাটি নিজের গায়ে চড়িয়ে তার বদলে ইসাবকে নিজের নতুন ও অক্ষত জামাটি পড়তে দিয়েছিল। সমস্ত রকম সংকীর্ণ ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে অমৃতের এই আচরণ সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল। তাই এই খবরটি সারা পাড়া ঘুরে গ্রাম প্রধানের কানে গেলে তিনি অমৃত ও ইসাবের নিবিড় বন্ধুত্বকে এক অর্থে সম্মান জানাতে উক্ত ঘোষণাটি করেছিলেন। আসলে অমৃত ও ইসাবের আচরণের মধ্যে যে অসাম্প্রদায়িক, সংবেদনশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ মানবিক ধর্ম ফুটে উঠেছিল তাকেই তিনি দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রতিষ্ঠা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
(৪) রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (কমবেশি ১৫০ শব্দে )
প্রশ্নঃ ‘হাত ধরাধরি করে অমৃত ও ইসাব ওদের কাছে এল।’ – ‘ওদের’ বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে? অমৃত ও ইসাবের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেল রচিত ‘অদল বদল’ গল্পে ‘ওদের’ বলতে গ্রামের ছেলের দলকে বোঝানো হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র অমৃত ও ইসাবকে ঘিরে যে ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয়েছে, তাতে অনুঘটকের কাজ করেছে এই ছেলের দল।
আলোচ্য গল্পে অমৃত ও ইসাব দুজনে অভিন্নহৃদয় বন্ধু। তারা উভয়েই দরিদ্র চাষি পরিবারের সন্তান। অভাবের কারণে তাদের পিতাদের ছোটোখাটো প্রয়োজনেও মহাজনের কাছে হাত পাততে হয়। ইসাব ও অমৃত একই স্কুলে, একই ক্লাসে পড়ে। রাস্তার মোড়ে দুটি মুখোমুখি বাড়িতে তাদের অমৃত ও ইসাবের বাস। অমৃতের বাড়িতে রয়েছেন বাবা – মা ও তিন ভাই এবং ইসাবের বাবা ছাড়া আর কেউই নেই। অমৃত ও ইসাবের এই নিখাদ বন্ধুত্বে আন্তরিক গভীরতা ছিল। তাই অমৃতের মার খাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও কালিয়ার হাত থেকে অমৃতকে বাঁচাতে ইসাব ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আবার নতুন জামা ছিঁড়ে যাওয়ার অপরাধে বাবার হাতে মার খাওয়া থেকে ইসাবকে বাঁচাতে অমৃত তার নতুন জামাটি ইসাবকে পরতে দেয়। সে জামা নেওয়ার আগে ইসার জেনে নিতে চায়, ছেঁড়া জামা পরার জন্য অমৃতকে বকুনি খেতে হবে কিনা।
প্রশ্নঃ অমৃতের মায়ের চরিত্রটি আলোচনা করো।
উত্তরঃ ‘অদল বদল’ গল্পের একমাত্র নারীচরিত্র হলেন অমৃতের মা। একদিকে দরিদ্র পরিবারের টানাটানি, অন্যদিকে বিবেচক অমৃতসহ চার সন্তানের অভাব–অভিযোগ–আবদার সামলানোর অভ্যেস এ দুই–ই তাঁর রয়েছে।
অমৃত নতুন জামার জন্য গোঁ ধরায় প্রথমে তিনি তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিরস্ত করতে চান। এমনকি ভর্ৎসনা ও প্রহারের ভয়ও দেখান। এতেও কাজ না হলে তিনি অমৃতকে কায়দা করে বাবার কাছে পাঠাতে চান। তিনি জানতেন, যে আবদার আদর ও শাসনের সাম্য রক্ষাকারী অমৃত তার কাছে করছে, তা সে তার বাবার কাছে করতে পারবে না। এতেও সফল না হলে এবং অমৃত নানাভাবে তাঁদের মানসিক উৎপীড়ন করতে থাকলে, আবার তিনিই অমৃতের বাবাকে জামার জন্য রাজি করান। তাঁর দায়িত্ববোধ, আদর ও শাসনের সমতা তাঁর পুত্র অমৃতকেও, তাঁর উপর নির্ভরশীল করে তোলে। অমৃত জানত, মা যতই শাসন করুন না কেন, দিনের শেষে তিনিই নির্ভরযোগ্য তার একমাত্র আশ্রয়। এই মাতৃমূর্তি চিরন্তনী। তাঁর কোনো নাম প্রয়োজন ছিল না, যদিও ইসাবের বাবাকে শোনা যায় তাঁকে ‘বাহালি বৌদি’ বলে ডাকতে। মোটের ওপর ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে গড়া এক স্বয়ংসম্পূর্ণ মা হয়ে উঠেছে অমৃতের মায়ের চরিত্রটি।
প্রশ্নঃ ‘অমৃতের অত জোর দিয়ে বলার কারণ ছিল।’ – অমৃত কাকে, কী বলেছিল? অমৃতের অত জোর দিয়ে বলার কী কারণ ছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পটিতে অভিন্নহৃদয় দুই বন্ধু অমৃত আর ইসাব হোলির দিন একই রং, মাপ ও কাপড়ের তৈরি জামা পরে রাস্তায় বেরোলে তাদের দেখে গ্রামের অমৃত কাকে, কী ছেলেরা কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। একই রকম বলেছিল জামার মতো তাদের শারীরিক শক্তি একই রকম কিনা পরীক্ষার জন্য তারা দুজনকে কুস্তি লড়ার প্রস্তাব দেয়। অমৃত ইসাবের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় স্বরে তাদের বলে, ‘না, তাহলে মা আমাকে ঠ্যাঙ্গাবে।’ খুব সাধারণ দরিদ্র চাষি পরিবারের ছেলে অমৃত আর ইসাব। তাদের বাবারা যতটুকু আয় করেন তা দিয়ে তারা সংসার চালাতে হিমসিম খান। এমন পরিবারে উৎসব উপলক্ষ্যে নতুন জামা চাওয়া অমৃতের জোর দিয়ে মানে উৎপাত ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব সত্ত্বেও বলার কারণ ইসাবের বাবা ইসাবকে নতুন জামা বানিয়ে দেন। ইসাবের জামা দেখে অমৃতও নতুন জামার আবদার করে মার কাছে। মা তাকে বোঝালেও নাছোড় অমৃতকে শেষপর্যন্ত তার মা–বাবাকে নতুন জামা দিতেই হয়। বহু কষ্টের এই জামা যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে অমৃতের মার কঠোর নির্দেশ ছিল। একদিকে বন্ধুত্ব ও অন্যদিকে মার কঠোর নির্দেশ, এই দুই কারণেই গ্রামের ছেলেদের কুস্তি লড়ার প্রস্তাব অমৃত জোরের সঙ্গে ফিরিয়ে দেয়।
প্রশ্নঃ ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃত চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ ‘অদল বদল’ গল্পের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র অমৃত। গল্পের শুরুতে গরিব ঘরের এই ছেলেটিকে জেদি, একগুঁয়ে ও অবুঝ প্রকৃতির মনে হয়। যেভাবে নতুন জামা পাওয়ার জন্য বাড়িতে সে উৎপীড়ন চালিয়েছে তা দেখে পাঠকের খারাপ লাগতেই পারে, কিন্তু যেহেতু সে ছেলেমানুষ তাই চরিত্রটি অস্বাভাবিক লাগেনি বরং খুব চেনাই লেগেছে।
বাবা – মাকে মানসিকভাবে উৎপীড়ন করে সে যে জামা আদায় করে তা কিন্তু বন্ধু ইসাবের জামা দেখেই। কিন্তু গল্প যত এগিয়েছে পাঠকের কাছে ধীরে ধীরে অমৃতের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। অমৃতকে নতুন করে পাই, যখন কালিয়ার সঙ্গে তার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে বাবার বন্ধুবৎসল হাতের মার খাওয়া থেকে বাঁচাতে ইসাবকে নিজের জামাটি সে দিয়ে দেয়। অমৃত বুঝেছিল বাবার হাত থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য তার মা আছে কিন্তু ইসাবের কেউ নেই। অমৃতের চরিত্রে সহানুভূতিশীল মাতৃভক্তি, বন্ধুপ্রীতি ও ঔদার্যের পরিচয় পাওয়া যায়।
গল্পের মুখ্য উপজীব্য যে বন্ধুত্ব তা প্রতিষ্ঠাতে অমৃতের ভূমিকা যথেষ্ট। সে শুধু জামা অদলবদল ঘটায়নি সমগ্র সমাজের মানসিকতার বদল ঘটিয়েছিল।
প্রশ্নঃ ‘ইসাবের বাবা ছেঁড়া শার্ট দেখা মাত্র ওর চামড়া তুলে নেবে।’ – বিষয়টি আলোচনা করো। এই পরিণতি থেকে রক্ষা পেতে তারা কোন্ পথ অবলম্বন করেছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র অমৃত ও ইসাব দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। তাদের বাবাদের দারিদ্র্য এতটাই যে হোলি উপলক্ষ্যে ছেলেদের নতুন জামা তৈরির জন্যও মহাজনদের কাছে তাদের হাত পাততে হয়েছে। এমন পরিবারের ছেলেরা যদি নতুন জামা ছিঁড়ে ফেলে তবে সেটা যে ক্ষমাহীন অপরাধের মধ্যে পড়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নতুন জামা পরে অমৃত ও ইসাব দুই বন্ধু রাস্তায় বের হলে একদল দুষ্টু ছেলের মাথায় মতলব আসে তাদের শক্তি পরীক্ষার। তারা অমৃত ও ইসাবকে কুস্তি লড়ার প্রস্তাব দেয়। অমৃত এতে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে রাস্তায় ফেলে আনন্দ করতে থাকে। বন্ধুর হেনস্থা দেখে ইসাব প্রতিশোধ নিতে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তার নতুন জামা ছিঁড়ে যায়। কষ্টের টাকায় কেনা জামা ছিঁড়ে ফেলায় ইসাবকে যে বাবার হাতে মার খেতে হবে সেই আশঙ্কার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
এই পরিণতি থেকে বাঁচতে বুদ্ধি করে দুই বাড়ির মাঝে এক নির্জন স্থানে অমৃত তার অক্ষত জামাটি ইসাবের গায়ে তুলে দেয় আর তার ছেঁড়া জামাটা নিজে পরে নেয়।
প্রশ্নঃ ইসাবের বাবার চরিত্রটি আলোচনা করো।
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পে ইসাবের বাবা হাসান পাঠান একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকা পালন করেছেন। ইসাবের বাবা একজন দরিদ্র চাষি। কারণে–অকারণে মহাজনের কাছে হাত পাততে হয় তাঁকে। অভাব তাঁর নিত্যসঙ্গী হলেও হোলি উৎসব। উপলক্ষ্যে পুত্র ইসাবকে নতুন জামা তৈরি করে দেওয়ার মধ্যে, এক স্নেহশীল পিতা হিসেবেই তাঁকে দেখা যায়। বিপত্নীক হাসান নিজেকে সর্বদা ঠিক রাখতে না পেরে মাঝে মাঝে ছেলেকে শাসন করেছেন, তবে তা অন্তর থেকে নয়। অভাবের সংসারে তিনি ছেলেকে খেতে কাজ করাতেও বাধ্য হয়েছেন।
ইসাবের বাবার সংবেদনশীল মনের পরিচয় পাওয়া যায়, ছোট্ট অমৃতের সংবেদনশীল কথা। ‘কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে’, শোনার পর উপলব্ধি করেন যে, মা – হারা ছেলের বাবাকে মা – বাবার দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে হয়।
তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে অমৃতের মায়ের কাছ থেকে অমৃতকেই চেয়ে বসেন। তার মন এতটাই পুলকিত হয়েছিল যে, অমৃতের কথা তিনি সকলকে বলতে থাকেন। এক্ষেত্রে তার মধ্যে একটা শিশুসুলভ আবেগ লক্ষ করা যায়। আবেগপ্রবণ ও শিশুসুলভ উদার পিতৃহদা ও অসাম্প্রদায়িক মন আসলে তিনি একাধারে যেমন উদার পিতৃহৃদয়ের অধিকারী তেমনই তাঁর মধ্যে রয়েছে একটি অসাম্প্রদায়িক মন। তাই ছোট্ট দুটি ছেলের মধ্যে জামা অদলবদলের ঘটনা দেখে তিনি অতিসহজেই অমৃতের হৃদয়ের মাতৃভক্তি, বন্ধুপ্রীতি ও অকৃত্রিম ভালোবাসার মতো ‘খাঁটি জিনিস’–টিকে চিনে নিয়েছেন। তাঁর প্রশংসার ফলেই অদলবদলের ঘটনা গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি নিজেও স্বার্থহীন ও অসাম্প্রদায়িক তাই ছোট্ট অমৃতের কাছ থেকে ভালোবাসা ও উদারতার শিক্ষা নিয়ে নিজেকে বদলে ফেলে, তিনি নিজেও একটি মহৎ চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
প্রশ্নঃ ‘তামাশা করে হলেও এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে’ – তামাশা করে হওয়া ঘটনাটি ব্যস্ত করো। ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়ল কেন?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গঙ্গে হোলির দিন ভিন্ন সম্প্রদায়ের অভিন্ন হৃদয়ের অধিকারী দুই বন্ধু অমৃত আর ইসাব একই রঙের, একই মাপের নতুন জামা পরে বেরোয়। গ্রামের দুষ্টু ছেলেরা তা দেখে মজা পায় এবং তাদের শারীরিক শক্তিও একই রকম কিনা জানার জন্য অমৃতকে কুস্তি লড়ার প্রস্তাব দেয়। একদিকে বন্ধুত্ব আর অন্যদিকে মার জামা ময়লা বা নষ্ট না হওয়ার কঠোর নির্দেশ — এই দুই কারণে অমৃত কুস্তি লড়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু নাছোড় ছেলের দল তাকে জোর করে মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে কালিয়া তাকে জোর করে মাটিতে ফেলে দেয়। অমৃত যে কালিয়ার কাছে হেরে গেছে এই দেখে ছেলের দল আনন্দ করতে থাকে।
ছেলের দলের এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ প্রিয় বন্ধু অমৃতের দুর্দশা দেখে ইসাব চুপ থাকতে পারেনি। সে কালিয়াকে ল্যাং মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। কালিয়া কাঁদতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে ছেলের দলসহ ইসাব, অমৃতও সে স্থান ত্যাগ করে কালিয়ার মা – বাবার ভয়ে। এভাবেই ব্যাপারটি ঘোরালো হয়ে ওঠে।
©kamaleshforeducation.in(2023)