
MCQ | @অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion :
-
‘ তারপর যুদ্ধ এল -(A) রক্তের সমুদ্রের মতো । ‘ (B) আগ্নেয়পাহাড়ের মতো(C) পাহাড়ের আগুনের মতো(D) রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
Answer : (D) রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
মতো । ‘
-
‘রক্তের এক _____ মত ।’ (A) ধসের (B) গিরিখাতের(C) আগ্নেয়পাহাড়ের (D) গিরিখাতের
Answer : (C) আগ্নেয়পাহাড়ের
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শিশু আর বাড়িরা -(A) খুন হল (B) হারিয়ে গেল (C) বেঁচে রইল (D) জেগে রইল ।
Answer : (A) খুন হল
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় সব ধ্বংস হলেও অপেক্ষমান সেই মেয়েটির কী হল না ?(A) অসুখ হল না(B) মৃত্যু হল না(C) খুন হল না (D) জ্বলে গেল না
Answer : (B) মৃত্যু হল না
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কীসে সমস্ত সমতল ধ্বংস হল ?(A) ভূমিকম্পে(B) ধসে(C) আগুনে(D) বন্যায়
Answer : (C) আগুনে
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় দেবতাদের চেহারা ছিল – (A) শান্ত – হলুদ (B) লাল – নীল (C) অশান্ত – নীল(D) ধীর – হলুদ
Answer : (A) শান্ত – হলুদ
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শান্ত – হলুদ দেবতারা কত বছর ধ্যানে ডুবে ছিল ?(A) একশো (B) দু – হাজার (C) পাঁচশো (D) হাজার
Answer : (D) হাজার
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শান্ত – হলুদ দেবতারা কীভাবে মন্দির থেকে উলটে পড়ল ?(A) টুকরো টুকরো হয়ে (B) গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে (C) অর্ধেক হয়ে (D) ভেঙে ভেঙে
Answer : (A) টুকরো টুকরো হয়ে
-
তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না । কারা স্বপ্ন দেখতে পারল না ?(A) দেবতারা (B) শয়তানরা(C) মানুষেরা(D) যক্ষরা
Answer : (A) দেবতারা
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কে মিষ্টি বাড়ির বারান্দার ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিল ?(A) মেয়েটি (B) বন্ধুটি (C) কবি (D) ভাইটি
Answer : (A) মেয়েটি
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবি বারান্দার যে – বিছানাটিতে কবিতায় ঘুমিয়েছিলেন , সেটি ছিল – (A) জ্বলন্ত (B) উড়ন্ত (C) বাড়ন্ত(D) ঝুলন্ত
Answer : (D) ঝুলন্ত
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির ঝুলন্ত বিছানার ধারের গাছটি ছিল – (A) গোলাপি (B) নীল (C) হলুদ (D) সবুজ
Answer : (A) গোলাপি
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় ছড়ানো করতলের মতো পাতা ছিল— (A) চিমনির (B) মশারির (C) বিছানার(D) বসার ঘরের
Answer : (D) বসার ঘরের
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির সেই মিষ্টি বাড়ির জলতরঙ্গটি কোন্ সময়ের ? (A) প্রাচীন কালের(B) আধুনিক সময়ের (C) বিংশ শতকের(D) মধ্যযুগীয় সময়ের
Answer : (A) প্রাচীন কালের
-
‘ সব _____ হয়ে গেল , জ্বলে গেল আগুনে । ‘(A) চূর্ণ (B) বিচূর্ণ (C) শক্ত (D) চুরমার
Answer : (A) চূর্ণ
-
‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় যেখানে শহর ছিল সেখানে ছড়িয়ে রইল – (A) কাঠকয়লা (B) সাপ (C) কয়লা (D) আগুন
Answer : (A) কাঠকয়লা
-
‘ দোমড়ানো লোহা , মৃত মূর্তির বীভৎস / মাথা(A) রুপোর (B) সোনার (C) মাটির (D) পাথরের
Answer : (D) পাথরের
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শহর ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে রক্তের দাগের রং হয়েছিল— (A) কালো (B) হলুদ (C) লাল (D) সবুজ
Answer : (A) কালো
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় সেই মেয়েটি যার জন্য অপেক্ষারত , সে হল -(A) কবি (B) ডাকপিয়োন (C) তুমি (D) তোমরা
Answer : (A) কবি
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির কবি হলেন – (A) মানেজ (B) রোকে ডালটন (C) লেওজেল রুগমা (D) পাবলো নেরুদ
Answer : (D) পাবলো নেরুদ
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির তরজমা করেন – (A) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (B) নবারুণ ভট্টাচার্য (C) উৎপলকুমার বসু (D) শুভাশিষ ঘোষ
Answer : (B) নবারুণ ভট্টাচার্য
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটি অনুবাদকের কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ? (A) এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয় (B) পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্ট (C) বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে (D) ফ্যাতাড়ুর কুম্ভীপাক
Answer : (C) বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে
-
পাবলো নেরুদা নোবেল পুরস্কার পান—(A) স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে(B) সোভিয়েত – স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে (C) ইংরেজি – স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে (D) জার্মান – স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে
Answer : (A) স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে
-
পাবলো নেরুদা ছিলেন -(A) চিলিয়ান কবি ও রাজনীতিবিদ(B) ইউরোপিয়ান কবি ও রাজনীতিবিদ(C) রাশিয়ান কবি ও ভাস্কর্য শিল্পী(D) জার্মান কবি ও চিত্রকর
Answer : (A) চিলিয়ান কবি ও রাজনীতিবিদ
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটি পাবলো নেরুদার কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ? (A) The Captain’s Verse(B) The Yellow Heart (C) Still Another Day (D) Extravagaria
-
অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল – (A) দরজায় (B) ছাদে (C) বারান্দায় (D) রাস্তায়
Answer : (A) দরজায়
-
পাবলো নেরুদার প্রকৃত নাম হল -(A) নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো (B) রিকার্দো বাসওআলতো (C) রেয়েন্স রিকার্দো নেকতালি বাসোয়ালতো (D) পল ভেরলেইন নেরুদা
Answer : (A) নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো
-
‘ সে জানত না ‘ –’সে ‘ হল – (A) পরাজিত সৈনিক (B) কবিতার কথক(C) কবির ভালোবাসার জন(D) কবির মা
Answer : (C) কবির ভালোবাসার জন
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় একটা কী চলে গেল বলতে কবি কোন্ জন্তুর উল্লেখ করেছেন ? (A) মানুষ (B) কুকুর (C) হরিণ ।(D) বিড়াল
Answer : (B) কুকুর
-
‘ সে জানত না’— সে কী জানত না ? (A) কথক ফিরে আসবে (B) কথক আর কখনও ফিরে আসবে না (C) কথক কখন আসবে (D) কথক শীঘ্রই ফিরে আসবে
Answer : (B) কথক আর কখনও ফিরে আসবে না
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি ক – টি সপ্তাহ কেটে যাওয়ার উল্লেখ করেছেন ? (A) একটি(B) চারটি (C) দুটি(D) তিনটি
Answer : (A) একটি
-
‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কে হেঁটে চলে গেল ? (A) গল্পের কথক (B) একজন সৈনিক(C) একটি কুকুর(D) গির্জার এক নান
Answer : (D) গির্জার এক নান
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি পরিত্যক্ত রাস্তায় কী জন্মানোর কথা বলেছেন ?(A) ঘাস (B) তরুলতা (C) গাছ (D) শস্য
Answer : (A) ঘাস
-
‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় একটার – পর – একটা বছর কীভাবে নেমে এল বলে কবি মনে করেছেন ?(A) পাথরের মতো (B) জলের মতো(C) ফুলের মতো (D) গানের মতো
Answer : (A) পাথরের মতো
-
বৃষ্টি কী ধুয়ে দিয়েছিল ?(A) রাস্তার ধুলো(B) রক্তের দাগ(C) কথকের পায়ের দাগ(D) কাঠকয়লার দাগ
Answer : (C) কথকের পায়ের দাগ
-
‘ তারপর যুদ্ধ এল’- ‘ যুদ্ধ এল ‘ – র অর্থ—(A) যুদ্ধ শেষ হল (B) যুদ্ধ শুরু হল (C) যুদ্ধ হবে এমন(D) যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায়
Answer : (C) যুদ্ধ হবে এমন
অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion :
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির স্বপ্নবিজড়িত বাড়ির পরিবেশটি কেমন ছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটিতে গোলাপি গাছ , ছড়ানো করতলের মতো পাতা চিমনি ও প্রাচীন জলতরঙ্গ যেন এক সাবেকি ইমারতের স্নিগ্ধ পূর্ণতাকে ফুটিয়ে তোলে ।
-
‘ অসুখী একজন কবিতায় যুদ্ধে কবির বাড়ির অবস্থা কী হয়েছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় , যুদ্ধে কবির স্বপ্ন ও স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ভেঙে , গুঁড়িয়ে , আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির বাড়িটি ছাড়াও আর কী ধ্বংসের উল্লেখ পাওয়া যায় ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির বাড়িটি ছাড়াও সম্পূর্ণ শহরটি ধ্বংসের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
-
‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় যেখানে শহর ছিল সেখানে যুদ্ধের ফলে কী কী ছড়িয়ে রইল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যেখানে শহর ছিল , সেখানে যুদ্ধের পর ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা আর পোড়া শুকনো রক্তের কালো দাগ ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যেখানে শহর ছিল সেখানে । যুদ্ধের ফলে কী কী ছড়িয়ে রইল ।
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় বিপর্যয় ও বিধ্বংসের বিকৃত রূপ , বহু ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যু বোঝাতে কবি এই চিত্রকল্পের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন । যুদ্ধের বীভৎসভায় যেন রক্তও তার স্বাভাবিক রূপ হারিয়েছে ।
-
‘ আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় / – ‘ আর ’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধ – দাঙ্গা – হিংসার আগুন পেরিয়ে কথকের প্রিয়তমার ভালোবাসা ও চিরন্তন অপেক্ষাকে বোঝাতেই শেষ পঙ্ক্তিতে ‘ আর ‘ শব্দটির ব্যবহার হয়েছে ।
-
‘ রক্তের একটা কালো দাগ । কোথায় রক্তের একটা কালো দাগ দেখা গিয়েছিল ?
Answer : যুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরে কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথার সঙ্গে রক্তের কালো দাগ দেখা গিয়েছিল ।
-
সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন – কেন এমন হয়েছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা অনুসারে আগ্নেয়পাহাড়ের মতো ভয়াবহ যুদ্ধ আসার ফলে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গিয়েছিল ।
-
‘ বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ — পায়ের দাগ ধুয়ে দেওয়া বলতে কী বোঝ ?
Answer : নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় বৃষ্টিতে পায়ের দাগ ধুয়ে যাওয়া বলতে স্ববাসভূমিতে কথকের স্মৃতি ক্রমশ ফিকে ও মলিন হয়ে আসার কথা বলা হয়েছে ।
-
‘ সব চূর্ণ হয়ে গেল , —কী কী চূর্ণ হয়ে গেল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির মিষ্টি বাড়ি , বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা , গোলাপি গাছ , ছড়ানো করতলের মতো পাতা চিমনি আর প্রাচীন জলতরঙ্গ যুদ্ধে এইসব চূর্ণ হয়ে আগুনে জ্বলে গিয়েছিল ।
-
‘ সেখানে ছড়িয়ে রইল — কী ছড়িয়ে ছিল ।
Answer : নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতানুসারে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরে ছড়িয়ে ছিল কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা আর রক্তের একটা কালো দাগ ।
-
‘ হেঁটে গেল গির্জার এক নান- ‘ নান ‘ কাদের বলা হয় ?
Answer : গির্জায় বসবাসকারী খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীদের ‘ নান ‘ বলা হয় ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির অনুবাদক কে ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির অনুবাদক নবারুণ ভট্টাচার্য ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের ছবিটি কীভাবে ফুটে উঠেছে ।
Answer : কবি পাবলো নেরুদা ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের ভয়াবহতাকে রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।
-
” সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না । – কোন্ মেয়েটির ?
Answer : নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির জন্য তাঁর স্ববাসভূমিতে অপেক্ষারতা মেয়েটির ভয়াবহ যুদ্ধেও মৃত্যু হল না ।
-
‘ সেই মিষ্টি বাড়ি , সেই বারান্দা — সেই বারান্দাটির পরিচয় দাও ।
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির মিষ্টি বাড়ির বারান্দাটিতে ছিল একটি ঝুলন্ত বিছানা ; যেখানে তিনি একদা ঘুমিয়েছিলেন ।
-
‘ তারপর যুদ্ধ এল — যুদ্ধ আসার ফল কী হয়েছিল ?
Answer : নং প্রশ্নের উত্তর দ্যাখো ।
-
‘ তারপর যুদ্ধ এল — যুদ্ধ এল কীসের মতো ?
Answer : নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা অনুসারে ‘ রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো ‘ যুদ্ধ এসেছিল । অর্থাৎ এখানে যাবতীয় ধ্বংস ও বিনাশের প্রতীক হয়ে ওঠে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ।
-
‘অসুখী একজন কবিতায় কবি অপেক্ষারতাকে ছেড়ে কোথায় চলে গেলেন ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি অপেক্ষারতাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য বহুদুরের কোনো এক অজ্ঞাত স্থানে চলে গেলেন ।
-
‘ সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না । -কেন মেয়েটির মৃত্যু হল না ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধ , মৃত্যু ও হিংসা যেন মেয়েটিকে স্পর্শ করতে পারে না । কারণ ভালোবাসা অবিনাশী । তাই সে নিজস্ব ধারায় সময় থেকে সময়ান্তর অতিক্রম করেও অমলিন থাকে ।
-
‘ আমি তাকে ছেড়ে দিলাম — ‘ আমি ’ কে ?
Answer : নবারুণ ভট্টাচার্য অনূদিত পাবলো নেরুদা রচিত ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় ‘ আমি ‘ বলতে স্বয়ং কবি নিজেকে তথা কবিতার কথককে বুঝিয়েছেন ।
-
কবির অপেক্ষায় কে দাঁড়িয়েছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি যেদিন নিজ বাসভূমি ছেড়ে চলে যান , সেদিন তাঁর প্রিয় নারীটি দরজায় অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিল ।
-
কথকের অপেক্ষায় কে , কোথায় দাঁড়িয়েছিল ?
Answer : প্রখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কথকের অপেক্ষায় তার প্রিয়তমা গভীর প্রত্যাশা নিয়ে দরজায় দাঁড়িয়েছিল ।
-
অসুখী একজন ’ কবিতায় কথক অপেক্ষারতাকে ছেড়ে কোথায় চলে গেলেন ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কথক দরজায় অপেক্ষারতা প্রিয়জনকে দাঁড় করিয়ে রেখে বৃহত্তর স্বার্থে দূর থেকে দূরে কোনো স্থানে চলে গেলেন ।
-
‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কে ফিরে আসার কথা জানত না ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় দরজায় অপেক্ষারতা কথকের প্রিয়তমা সেই নারীটি জানত না যে , তার মনের মানুষ আর কখনও ফিরে আসবে না ।
-
‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কবির / কথকের চলে যাওয়া সত্ত্বেও সমাজজীবনের নিজের গতিতে চলার কী কী অনুষঙ্গ কবিতায় উল্লিখিত আছে ?
Answer : নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কথকের চলে যাওয়া সত্ত্বেও সমাজজীবনের আপন গতিতে বয়ে চলার অনুষঙ্গগুলি হল — ‘ একটি কুকুর চলে গেল , হেঁটে গেল গির্জার এক নান ‘ ।
-
‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কবির পায়ের দাগ কীসে ধুয়ে গিয়েছিল ?
Answer : নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কবির পায়ের দাগ বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছিল । স্মৃতির মলিনতা অর্থে উপমাটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি পরিত্যক্ত রাস্তায় কী জন্মানোর কথা বলেছেন ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় পরিত্যক্ত রাস্তায় কবি ‘ ঘাস ’ জন্মানোর কথা বলেছেন । সময়ের সঙ্গে স্মৃতির ফিকে হয়ে যাওয়া বোঝাতেই শব্দগুলি ব্যবহার করা হয়েছে । ২. নেমে এল তার মাথার ওপর ।
-
কার মাথার ওপর কী নেমে আসার কথা বলা হয়েছে ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কথকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা তার প্রিয়তমার মাথার ওপর পাথরের মতো ভারী একটার পর একটা বছর নেমে এল ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি ‘ পাথরের মতো ” বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
Answer : পাবলো নেরুদা তাঁর ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কথকের জন্য তাঁর প্রেমিকার অন্তহীন অপেক্ষা আর দুঃসহ বেদনাকে পাথরের গুরুভারের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।
-
তারপর যুদ্ধ এল — কোন কবিতার লাইন ? ‘ যুদ্ধ এল – এর অর্থ কী ?
Answer : তারপর যুদ্ধ এল ’ — এটি ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতার পক্তি । এখানে ‘ যুদ্ধ এল ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে , কথকের দেশে যুদ্ধ শুরু হল । আর মানুষ , শহর ও জনপদ সব জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে গেল ।
-
‘ অসুখী একজন কবিতায় যুদ্ধের ছবিটি কীভাবে ফুটে উঠেছে ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির ভাষায় যুদ্ধ এসেছে — ‘ রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো । অর্থাৎ ফুটে উঠেছে ধ্বংস ও মৃত্যুর রক্তাক্ত ভয়াবহতার ছবি ।
-
শিশু আর বাড়িরা খুন হলো।- ‘ শিশু আর বাড়িরা খুন হয়েছিল কেন ?
Answer : উত্তর ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি যুদ্ধে , শিশু ও বাড়িদের খুন বা হওয়ার কথা বলেছেন । শিশুরাও এই যুদ্ধের হাত থেকে রেহাই পায় না , ধূলিসাৎ হয় মানুষের আশ্রয় ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় উল্লিখিত যুদ্ধে অপেক্ষাতুরা মেয়েটির কী হল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় উল্লিখিত ভয়াবহ যুদ্ধের বিধ্বংসী মত্ততা ে অতিক্রম করে শুধু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে রইল , সেই অপেক্ষাতুরা মেয়েটি ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধে সমতলের কী অবস্থা হয়েছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক ছায়া সমস্ত সমতলে । আগুনের লেলিহান শিখার মতো ছড়িয়ে পড়ে সব কিছুকে জ্বালিয়ে – পুড়িয়ে ছারখার করল ।
-
অসুখী একজন কবিতায় কবি দেবতাদের চেহারার কী বর্ণনা দিয়েছেন ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি ‘ শান্ত – হলুদ ‘ দেবতাদের চেহারার ছবি এঁকেছেন । এখানে ‘ শাস্ত – হলুদ ‘ শব্দবন্ধটি যেন নিষ্ক্রিয় প্রাচীনতার ইঙ্গিত বহন করে আনে ।
-
‘ অসুখী একজন কবিতায় দেবতারা হাজার বছর ধরে কী করছিল বলে উল্লেখ পাওয়া যায় ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শাস্ত – হলুদ দেবতারা হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে ছিল বলে কবি উল্লেখ করেছেন , যা দেবত্বের নির্বিকার নিষ্ক্রিয় রূপটিকেই ফুটিয়ে তুলেছে ।
-
‘ অসুখী একজন কবিতায় দেবতারা কোথা থেকে টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়েছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের অভিঘাতে হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে থাকা দেবতারা মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়েছিল ।
-
‘ তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।- ‘ তারা ‘ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা থেকে গৃহীত ‘ তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না ‘ পঙ্ক্তিতে ‘ ‘ তারা ‘ বলতে শান্ত – হলুদ দেবতাদের কথা বলা হয়েছে ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির বাড়িটি কেমন ছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির বাড়িটি ছিল মধুর স্মৃতি ও স্বপ্নবিজড়িত । অর্থাৎ বাড়িটি সম্পর্কে এখানে শৈশব – কৈশোরের আকর্ষণজনিত আবেগ ও আবেশ প্রকাশিত হয়েছে ।
-
‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির ঝুলন্ত বিছানাটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?
Answer : ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির মধুর স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টি বাড়িতে ঝুলন্ত বিছানাটি বারান্দায় অবস্থিত ছিল ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | @অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion :
-
প্রাচীন জলতরঙ্গ / সব চূর্ণ হয়ে গেল , ‘ — উদ্ধৃতাংশে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
প্রশ্নোস্তৃত অংশে কবি বুঝিয়েছেন ত্তর প্রশ্নোদ্ভূত অংশটি , পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতা থেকে গৃহীত । আগ্নেয়পাহাড়ের মতো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের লেলিহান আগুন সমতলকেও গ্রাস করেছিল । কবির শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টি বাড়িটিও যুদ্ধের নির্মম আঘাতে ধ্বংস হয়েছিল । তার বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা , গোলাপি গাছ , ছড়ানো করতলের মতো পাতা , চিমনি ও প্রিয় প্রাচীন জলতরঙ্গ এইসব চূর্ণ হল , সম্পূর্ণ ভস্ম হল আগুনে । অর্থাৎ কবির আশ্রয় ও অস্তিত্বের একমাত্র প্রতীকচিহ্নটিও যুদ্ধের নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় নিশ্চিহ্ন হয়েছিল ।
2.‘ সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা’— বলতে কবি প্রশ্নোদৃত অংশে কৰি বুঝিয়েছেন কী বুঝিয়েছেন ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতাটিতে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কবি প্রিয়তমা , ঘরবাড়ি , এমনকি তাঁর প্রিয় শহরও ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন । এরপরে একদিন আসে বীভৎস যুদ্ধ । যার করাল গ্রাসে কবির ঘরবাড়ি , দেবালয় সমস্ত কিছু চূর্ণ হয়ে আগুনে জ্বলে যায় । শহরটিও বাদ যায় না । এক সময়ের সুন্দর শহরে ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা আর রক্তের দাগ । আসলে শহরের বিধ্বংসী রূপটি তুলে ধরতেই উদ্ধৃতিটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
-
‘ আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় । মেয়েটি কে ? সে অপেক্ষা করে কেন ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় ‘ সেই মেয়েটি ’ হল কথকের প্রিয়তমা , যাকে রেখে কবি বহুদূরে চলে গিয়েছিলেন । কবি যে আর ফিরে আসবেন না এ কথা তার প্রিয়তমা জানত না । তার অপেক্ষার বোঝা গভীর থেকে গভীরতর হলেও সে ভেঙে পড়েনি । এই মেয়েটিকে ধ্বংস যেন স্পর্শ করতে পারে না ; মৃত্যু – যুদ্ধ – হিংসা , দাঙ্গার স্পর্শ পেরিয়েও তাই সে অমলিন থাকে । কারণ ভালোবাসার কখনও মৃত্যু হয় না । সেসময় থেকে সময়ান্তরে অপেক্ষা করে বয়ে চলে নিজস্ব ধারায় ।
-
তারা তো স্বপ্ন দেখতে পারল না । তারা কারা ? কেন তারা স্বপ্ন দেখতে পারল না ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা থেকে নেওয়া তাদের পরিচয় । উদ্ধৃতাংশে ‘ তারা ‘ বলতে শান্ত হলুদ দেবতাদের কথা বলা হয়েছে ।
– দ্বিতীয় অংশের জন্য প্রশ্নের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদটি দ্যাখো ।
-
শান্ত হলুদ দেবতারা / যারা হাজার বছর ধরে ডুবেছিল খ্যানে কোন কবিতার অংশ ? শান্ত হলুদ দেবতাদের হাজার বছর ধরে ডুবে থাকার অর্থটি বুঝিয়ে দাও ।
Answer : প্রশ্নে উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটি পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতার অংশ । প্রশ্নোবৃত অংশের অর্থ → এখানে ঈশ্বর বা দেবতা এক জীর্ণ বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত । তাদের নিষ্ক্রিয় প্রাচীনতা কবি ‘ শান্ত হলুদ ‘ শব্দবন্ধের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন । আর দেবতাদের হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে থাকার মধ্যে তিনি দৈব – মহিমার ভূমিকাহীন অসারতার ভাবটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন । আসলে এই ক্রিয়াহীন , নিশ্চল ও ধ্যানস্থ অবস্থা আমাদের টের পাইয়ে দেয় ; মানবজীবনের উত্থানপতনের সঙ্গে দেবত্বের কোনো সম্পর্ক নেই ।
-
‘ সে জানত না’— কী জানত না ? না – জানা বিষয়টি বিশ্লেষণ করো ।
Answer : নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় অপেক্ষাতুরা মেয়েটির এ কথা জানা ছিল না যে , কবি আর কখনও স্ববাসভূমিতে ফিরে আসবেন না । পাঠ্য কবিতাটি শুরু হয় এক বিদায়দৃশ্যকে অবলম্বন করে । বাড়ির দরজায় প্রিয়তমাকে ফেলে রেখে কবি চলে যান বহুদুরের অজ্ঞাত কোনো স্থানে । এই যাত্রার কারণ কবিতায় উল্লিখিত হয় না । কিন্তু এটা স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে তিনি তাঁর ভালোবাসার নারী , প্রিয় না – জানা বিষয়টি ঘরবাড়ি এবং পছন্দের শহরটিকে ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন । এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে চিরবিচ্ছেদের এ ঘটনা কবিকে পীড়িত ও বিচলিত করে । অথচ মেয়েটি তা বুঝতে পারে না । মেয়েটির জীবনে প্রিয়তমের জন্য অন্তহীয় অপেক্ষার পালা এভাবেই নীরবে নেমে আসে ।
-
কমন উল্টে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে মন্দির থেকে কী উলটে পড়ল ? কী কারণে উলটে পড়েছিল ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা অনুসারে মন্দির থেকে শান্ত হলুদ দেবতারা উলটে পড়েছিল ।
আগ্নেয়পাহাড়ের মতো ভয়াবহ যুদ্ধ সমতলে ছড়িয়ে পড়েছিল । সেই যুদ্ধের লেলিহান শিখায় ধ্বংস হয়েছিল মন্দির ও বিগ্রহ । কবির ভাষায় ‘ শান্ত হলুদ ’ দেবতাদের দেবালয় টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়ে । অর্থাৎ যুদ্ধের রক্তক্ষয়ী স্পর্শে মানুষের অন্তরমনের হাজার বছরের জীর্ণ বিশ্বাস টাল খায় । যুদ্ধ যেন দেবত্বের ধ্যানস্থ – নিষ্ক্রিয় অবস্থাকেও ভেঙে চুরমার করে ।
-
‘ আমি তাকে ছেড়ে দিলাম’- কবি কাকে ছেড়ে দিলেন । তাকে তিনি কীভাবে রেখে এসেছিলেন ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা থেকে গৃহীত অংশে কথক তাঁর প্রিয় নারীকে অপেক্ষায় রেখে নিজ বাসভূমি ছেড়ে দূরে চলে গিয়েছিলেন ।
স্বদেশ ছেড়ে দূর থেকে দূরতর কোনো স্থানে চলে যাওয়ার সময় তিনি দরজায় তাঁর অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে যান কোনো এক প্রিয়জনকে । যদিও সে জানত না যে , কবি আর কখনও ফিরে আসবে না । এইভাবেই কবি এক চিরকালীন বিদায় মুহূর্তের ছবি এঁকেছেন ।
-
‘ বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ / ঘাস জন্মালো রাস্তায়’— উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো ।
Answer : উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য উত্তর উদ্ধৃতিটি পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতা থেকে গৃহীত । কথক তাঁর প্রিয়তমাকে অপেক্ষমান রেখে জীবন ও জীবিকার তাগিদে বহুদুরে পাড়ি দেন । থমকে যায় মেয়েটির জীবন কিন্তু সময় থেমে থাকে না । তাই কথকের চলে যাওয়াতে জীবনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয় না । সপ্তাহ – বছর কেটে যায় । প্রাকৃতিক নিয়মেই কথকের চলার পথের পদচিহ্ন মুছে যায় । তাতে ঘাস জন্মায় । কিন্তু কবির চলে যাওয়ার মুহূর্তটি তার প্রিয়তমার হৃদয়ে অন্তহীন অপেক্ষার মুহূর্ত হয়ে রয়ে যায় ।
-
পাথরের মতো পর পর পাথরের মতো , বছরগুলো বছরগুলোকে পাথরের মতো বলা হয়েছে কেন ?
Answer : বছরগুলো পাথরের মতো- কারণ উত্তর / জীবন ও জীবিকার জন্য বাসভূমি ছেড়ে দূরে চলে যাওয়া তাঁর মানুষটি যে ফিরে আসবেন না এ কথা তার প্রেমিকার অজানা ছিল । কিন্তু জীবন এতে থেমে থাকেনি । বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে তাতে ঘাস জন্মায় । নিরন্তর অপেক্ষা চলতেই থাকে । দীর্ঘ প্রতীক্ষারতা নারীর জীবনে তার প্রিয়তমের অনুপস্থিতির বছরগুলো যেন পাথরের বোঝা হয়ে তার মাথার ওপর নেমে আসে । এখানে ‘ পর পর ‘ বলতে বিচ্ছেদ বেদনার গভীরতা বোঝানো হয়েছে ।
-
যুদ্ধকে ‘ রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড় ‘ বলা হয়েছে কেনো ?
Answer : উদ্ধৃত প্রসঙ্গটি কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা থেকে গৃহীত ।
আগ্নেয় পাহাড় কারণ কবিতায় যুদ্ধকে কবি আগ্নেয়পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছে । আগ্নেয়পাহাড় চারপাশে ছড়িয়ে দেয় জ্বলন্ত লাভা । আর সেই আগুনে ছাই হয় জীবনের যাবতীয় চিহ্ন । ঠিক তেমনই যুদ্ধের ফলে মানুষের মনে জমে থাকা হিংসা – দ্বেষ আর ঘৃণা লাভার মতো ছিটকে ওঠে । অপমৃত্যু ঘটে মানবতার । এই মৃত্যুময় ধ্বংসলীলার নারকীয় রূপটিকে ফুটিয়ে তুলতেই কবি যুদ্ধকে , রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড় ‘ বলেছেন ।
-
” সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না । কোন মেয়েটির কেন মৃত্যু হল না ?
Answer : পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতার কথকের জন্য অপেক্ষারতা যে মেয়েটির উল্লেখ পাওয়া যায় , তার কথা বলা হয়েছে । মেয়েটির পরিচয় মেয়েটি জানত না যে , তার প্রিয়তম আর ফিরে আসবে না । জীবন আপন ছন্দে চলল , ক্রমে সপ্তাহ – বছর অতিক্রান্ত হল । কবির পদচিহ্ন বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল , তবু অপেক্ষা চলল । এরপর যুদ্ধের গ্রাসে নগর , দেবালয় চূর্ণবিচূর্ণ হল এবং মৃত্যু হল শিশুসহ অজস্র মানুষের । শুধু অপেক্ষমান মেয়েটির মৃত্যু হল না কারণ ভালোবাসা অমর , চিরন্তন ও শাশ্বত ।
-
‘ শান্ত হলুদ দেবতারা’- দেবতাদের ‘ শান্ত হলুদ বলা হয়েছে কেন ? তাদের কী পরিণতি হয়েছিল ?
Answer : দেবতারা ‘ শান্ত হলুদ কেন উত্তর / ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি চলে যাওয়ার পর একসময় যুদ্ধ বাধল । সেই যুদ্ধের বীভৎসতায় নগরসভ্যতা , কবির স্বপ্নের বাড়ি – ঘর সব চূর্ণ হয়ে গেল , এমনকি ধ্বংস হল দেবতাদের মন্দিরও । হাজার হাজার বছরের যে – দেবতারা মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে এসেছেন , যুদ্ধ তাদেরও আসনচ্যুত করল । প্রাচীন দেবতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও জীর্ণতাকে বোঝাতে হলুদ ও শান্ত বলা হয়েছে । যুদ্ধের আগুনে নগর পুড়লে দেবালয়ও বাদ যায় না । মানুষের মনে দেবতারা যে – বিশ্বাস বোধের জন্ম দিয়েছিল , তা পরিণতি ধ্বংস হল ।
-
তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না ।’- উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।
