জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়

 

Table of Contents

 

MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান –

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর 

  1. সুন্দরী গাছের শ্বাসমূলের চলন হলো একপ্রকার 

(A) অনুকুল আলোকবর্তী 

(B) অনুকুল অভিকর্ষবর্তী 

(C) প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী 

(D) তির্যক অভিকর্ষবর্তী 

Ans: (C) প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী

  1. ট্রপিক চলন সম্পর্কিত নীচের কোন বক্তব্যটি সঠিক তা নির্বাচন করো 

(A) এটি উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত 

(B) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় 

(C) ভলভক্স নামক শ্যাওলায় এই চলন দেখা যায় 

(D) এটি উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আবিষ্ট বক্ৰচলন । 

Ans: (D) এটি উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আবিষ্ট বক্ৰচলন । 

  1. অক্সিন হরমোনের রাসায়নিক উপাদান হলো— (A) কার্বন , হাইড্রোজেন , অক্সিজেন 

(B) কার্বন , হাইড্রোজেন , অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন 

(C) কার্বন ও হাইড্রোজেন 

(D) কার্বন , হাইড্রোজেন , নাইট্রোজেন । 

Ans: (B) কার্বন , হাইড্রোজেন , অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন 

  1. বল ও সকেট সন্ধি দেখা যায়– 

(A) কব্জিতে / 

(B) কনুইতে / 

(C) স্কন্ধের সন্ধিতে / 

(D) হাঁটুতে 

Ans: (C) স্কন্ধের সন্ধিতে /

  1. পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোন হলো 

(A) ACTH 

(B) থাইরক্সিন 

(C) ইনসুলিন

(D) ইস্ট্রোজেন । 

Ans: (A) ACTH

  1. নীচের বাক্যগুলি পড়ো এবং যে বাক্যটি সঠিক নয় সেটিকে চিহ্নিত করো – 

(A) FSH , LH ও প্রোল্যাকটিন হলো বিভিন্ন ধরনের GTH 

(B) অ্যাড্রিনালিন হার্দ উৎপাদন কমায় 

(C) ইনসুলিন কোশপর্দার মাধ্যমে কোশের ভিতরে গ্লুকোজের শোষণে সাহায্য করে 

(D) প্রোজেস্টেরন স্ত্রীদেহে প্লাসেন্টা গঠনে সাহায্য করে 

Ans: (B) অ্যাড্রিনালিন হার্দ উৎপাদন কমায় 

  1. ন্যাস্টিক চলন সম্পর্কিত নীচের কোন বক্তব্যটি সঠিক 

(A) এটি উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আবিষ্ট বক্র চলন 

(B) এতে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদঅঙ্গের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় । 

(C) এটি উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চলন 

(D) এটি ক্ল্যামাইডোমোনাস নামক শৈবালে দেখা যায় । 

Ans: (C) এটি উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চলন

  1. মানবদেহে করোটি স্নায়ুর সংখ্যা সঠিকভাবে নিরূপণ করো 

(A) ১০ জোড়া 

(B) ৩১ জোড়া 

(C) ১২ জোড়া 

(D) ২১ জোড়া 

Ans: (C) ১২ জোড়া

  1. মানবদেহে সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা হলো 

(A) ১১ জোড়া 

(B) ২১ জোড়া 

(C) ১০ জোড়া 

(D) ৩১ জোড়া 

Ans: (D) ৩১ জোড়া

  1. মানুষের মস্তিষ্কে স্নায়ুকোশের সংখ্যা প্রায় 

(A) ১০ শত কোটি 

(B) ২০ শত কোটি 

(C) ৪০ শত কোটি 

(D) ৫০ শত কোটি 

Ans: (A) ১০ শত কোটি

  1. স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে বলে— 

(A) নিউরোন / 

(B) নেফ্রন / 

(C) নিউরোগ্লিয়া / 

(D) মস্তিষ্ক 

Ans: (A) নিউরোন

  1. সিলিয়ারি গমন দেখা যায় নিম্নলিখিত কোন প্রাণীর মধ্যে তা সঠিক ভাবে নিরূপণ করো 

(A) অ্যামিবা 

(B) প্যারামেসিয়াম 

(C) ইউমিনা

(D) মাছ । 

Ans: (B) প্যারামেসিয়াম

  1. গমনের সময় মানবদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে 

(A) গুরুমস্তিষ্ক / 

(B) লঘুমস্তিষ্ক / 

(C) পনস / 

(D) থ্যালামাস 

Ans: (B) লঘুমস্তিষ্ক

  1. ফ্ল্যাজেলা কোন প্রাণীর গমন অঙ্গ ? 

(A) ইউক্লিনার / 

(B) অ্যামিবার / 

(C) প্যারামেসিয়ামের / 

(D) মাছের 

Ans: (A) ইউক্লিনার

  1. বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙতে সাহায্য করে— 

(A) অক্সিন / 

(B) জিব্বেরেলিন / 

(C) সাইটোকাইনিন / 

(D) ইথিলিন 

Ans: (B) জিব্বেরেলিন 

  1. দু’টি নিউরোনের সংযোগস্থলকে বলে— 

(A) সাইন্যাপসিস / 

(B) সাইন্যাপটিক নব / 

(C) সাইন্যাস / 

(D) অ্যাক্সন হিলক 

Ans: (C) সাইন্যাস

  1. মস্তিষ্কের আবরণকে বলে– 

(A) মেনিনজেস / 

(B) প্লুরা / 

(C) পেরিকার্ডিয়াম / 

(D) পেরিটোনিয়াম 

Ans: (A) মেনিনজেস

  1. নিউরোনের দীর্ঘ প্রবর্ধকের নাম হলো- 

(A) ডেনড্রন / 

(B) অ্যাক্সন / 

(C) ডেনড্রাইট / 

(D) অ্যাক্সেলিমা 

Ans: (B) অ্যাক্সন

  1. মানুষের অক্ষিগোলকের যে স্তরটি আলোকসুবেদী সেটি হলো– 

(A) কোরয়েড / 

(B) স্ক্লেরা / 

(C) রেটিনা / 

(D) কর্নিয়া 

Ans: (C) রেটিনা

  1. ডিম্বাশয় নিঃসৃত হরমোনটি হলো– 

(A) ইনসুলিন / 

(B) ইস্ট্রোজেন / 

(C) থাইরক্সিন / 

(D) অ্যাড্রিনালিন 

Ans: (B) ইস্ট্রোজেন

  1. আইলেট্স অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স থাকে- 

(A) মস্তিস্কে / 

(B) থাইরয়েড গ্রন্থিতে / 

(C) অগ্ন্যাশয়ে / 

(D) শুক্রাশয়ে 

Ans: (C) অগ্ন্যাশয়ে 

================================================================================================================

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-2

জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমম্বয়-(প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-3

MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ-PART-4

=================================================================================

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান –

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর |  

  1. অক্সিন হরমোনের রাসায়নিক নাম কী ? 

Ans: ইন্ডোল অ্যাসেটিক অ্যাসিড ( IAA ) ।

  1. গমনে সক্ষম একটি উদ্ভিদের উদাহরণ দাও । 

Ans: ভলবস্ক । 

  1. একটি ক্ষারীয় উদ্ভিদ হরমোনের উদাহরণ দাও ।

Ans: সাইটোকাইনিন । 

  1. উদ্ভিদের কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের নাম কী ? 

Ans: সাইটোকাইনিন । 

  1. স্নায়ুকোশের মৃত্যুর পর কে তার স্থান দখল করে ?

Ans: নিউরোগ্লিয়া ।

  1. স্নায়ুর আবরণকে কী বলে ? 

Ans: এপিনিউরিয়াম ।

  1. স্নায়ুকোশ বিভাজিত হয় না কেন ? 

Ans: সেন্ট্রোজোম নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে

  1. একটি মিশ্র স্নায়ুর উদাহরণ দাও । 

Ans: ভেগাস ।

  1. মস্তিষ্কের কোন অংশ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে ? 

Ans: লঘুমস্তিষ্ক । 

  1. একটি নিউরোট্রান্সমিটারের উদাহরণ দাও । 

Ans: অ্যাসিটাইল কোলিন ।

  1. গুরুমস্তিষ্কের যোজককে কী বলে ? 

Ans: করপাস ক্যালোসাম ।

  1. লঘুমস্তিষ্কের যোজককে কী বলে ? 

Ans: ভারমিস । 

  1. একটি সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ দাও । 

Ans: চোখে আলো পড়লে তৎক্ষণাৎ চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যায় ।

  1. ব্ল্যানভিয়ারের পর্ব নিউরোনের কোথায় থাকে ?

Ans: অ্যাক্সনে । 

  1. চোখের সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুটির নাম লেখো । 

Ans: অপটিক স্নায়ু । 

  1. CSF- এর পুরো নাম লেখো । 

Ans: Cerebro Spinal Fluid .

  1. মস্তিষ্কের রিলে স্টেশন কাকে বলে ? 

Ans: স্টেশন বলে ।

  1. দু’টি স্নায়ুকোশের সংযোগস্থলকে কী বলে ? 

Ans: সাইন্যাপ্স । 

  1. কোন হরমোন উদ্ভিদের অঙ্গবিভেদ নিয়ন্ত্রণ করে ? 

Ans: কাইনিন উদ্ভিদের অঙ্গবিভেদ নিয়ন্ত্রণ

  1. দু’টি অস্থির সংযোগস্থলে যে তরল থাকে তার নাম কী ?

Ans: সাইনোভিয়াল তরল ।

প্রতিটি প্রশ্মের সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখো।

➤ স্থান পরিবর্তনে অক্ষম প্রানী- স্পঞ্জ / সাগরকুসুম / স্পঞ্জ ও সাগরকুসুম / কোনোটিই নয়।

উঃ- স্পঞ্জ ও সাগরকুসুম।

➤ কোন উদ্ভিদের গমন দেখা যায়- ইউগ্লিনা / প্যারামিসিয়াম / ক্ল্যামাইডোমোনাস / স্পঞ্জ।

উঃ- ক্ল্যামাইডোমোনাস।

➤ লজ্জাবতী লতা স্পর্শ করলে পত্রক গুলি মুদে যায় এটি কী ধরনের চলন? ন্যাস্টিক / সিসমোন্যাস্টিক / ট্রপিক / ট্যাকটিক।

উঃ- সিসমোন্যাস্টিক।

➤ উদ্দিপকের প্রভাবে উদ্ভিদের যখন সমগ্র দেহের স্থান পরিবর্তন ঘটে তখন তাকে বলে- ট্রপিক / ন্যাস্টিক / ট্যাকটিক / প্রকরন।

উঃ- ট্যাকটিক।

➤ উদ্ভিদের আলোকবর্তী চলন নিয়ন্ত্রনে অংশ নেয় কোণ হরমোন? অক্সিন / জিব্বেরেলিন / কাইনিন / 2,4-D

উঃ- অক্সিন ।

➤ সূর্যমূখী ফুল আলোকের তীব্রতায় ফোটে, এটি কী ধরনের চলন? ফোটোট্রপিক / ফোটোন্যাস্টিক / থার্মোন্যাস্টিক / নিকটিন্যাস্টিক।

উঃ- ফোটোন্যাস্টিক ।

➤ জুই ফুল কম আলোয় ফোটে এবং বেশি আলোয় মুদে যায়। এটি কী ধরনের চলন? থার্মোন্যাস্টিক / ফোটোন্যাস্টিক / ফোটোট্রপিক / নিকটিন্যাস্টিক।

উঃ- ফোটোন্যাস্টিক ।

➤ বনচঁড়ালের পাতায় পার্শ্বফলক দুটি রসস্ফিতির তারতম্যের জন্য ওঠা-নামা করে, এটি কি ধরনের চলন? বলন / পরিচলন / প্রকরন / আবর্তন।

উঃ- প্রকরন।

➤ প্যারামিসিয়ামের গমন অঙ্গ হল- ক্ষণপদ / সিলিয়া / ফ্লাজেলা / কর্ষিকা ।

উঃ- সিলিয়া।

➤ যে পেশি মাছের গমনে সাহায্য করে- ফ্লেক্সর পেশি / এক্সটেনসর পেশি / মায়োটোম পেশি / অ্যাবডাক্টর পেশি।

উঃ- মায়োটোম পেশি।

➤ মাছকে জলে ডুবতে ও ভাসতে সাহায্য করে কোন অঙ্গ? পেশি / পাখনা / পটকা / লঘুমস্তিস্ক।

উঃ- পটকা।

➤ পায়রার ডানায় বড়ো পালকের সংখ্যা কটি? 23 টি / 12 টি / 10 টি / 22 টি।

উঃ- 23 টি।

➤ মানুষের গমনের সময় কানের কোন অংশ ভারসাম্য নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে? অস্তিত্রয় / অর্ধচন্দ্রাকার নালি / লঘুমস্তিস্ক / কঙ্কাল পেশি।

 উঃ- অর্ধচন্দ্রাকার নালি।

➤ সচল অস্থিসন্ধির সংযোগস্থলে কী রস থাকে? ভিট্রিয়াস তরল / অ্যাকুয়াস তরল / সাইনোভিয়াল তরল / মস্তিস্ক ও সুষুন্নারস।

উঃ- সাইনোভিয়াল তরল।

➤ পেশির অবসাদ দেখা যায় কোনটি জমা হওয়ার ফলে? ল্যাকটিক অ্যাসিড / গ্লাইকোডেজ / ক্রিয়েটিন ফসফেট / কার্বন ডাই অক্সাইড।

উঃ- ল্যাকটিক অ্যাসিড ।

➤ ইউগ্লিনার গমন অঙ্গ হল- সিলিয়া / ফ্ল্যাজেলা / ক্ষণপদ / কর্ষিকা।

উঃ- ফ্ল্যাজেলা ।

➤ সিলিয়ারি গতি দেখা যায়- প্যারামিসিয়ামে / অ্যামিবায় / ইউগ্লিনাতে / কেঁচোতে।

উঃ- প্যারামিসিয়ামে।

➤ মায়োটোম পেশি গমনে সাহায্য করে কোন প্রাণী? ব্যাং / সাপ / কেঁচো / মাছ।

উঃ- মাছ।

➤ মাছেদের জলে স্থিরভাবে ভাসতে সাহায্য করে কোন পাখনা? পুচ্ছ পাখনা / বক্ষ পাখনা ও শ্রোণি পাখনা / পৃষ্ঠ পাখনা / শ্রোণি পাখনা।

উঃ- বক্ষ পাখনা ও শ্রোণি পাখনা ।

➤ গমনের সময় মস্তিস্কের কোন অংশ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে? গুরুমস্তিস্ক / লঘুমস্তিস্ক / থ্যালামাস / হাইপোথ্যালামাস।

উঃ- লঘুমস্তিস্ক।

➤ কোন প্রকার চলনে সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতায় কর্ষিকাগুলি পতঙ্গের সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে বেঁকে গিয়ে পতঙ্গকে আবদ্ধ করে? থার্মোন্যাস্টিক / কেমোন্যাস্টিক / নিকটিন্যাস্টিক / ফোটোন্যাস্টিক।

উঃ- কেমোন্যাস্টিক।

➤ উদ্ভিদের মূল জলের দিকে বৃদ্ধি পায়, এটি একপ্রকার- হাইড্রোট্রপিক চলন / ফোটোট্রপিক চলন / সিসমোন্যাস্টিক চলন / জিওট্রপিক চলন।

উঃ- হাইড্রোট্রপিক চলন ।

➤ ক্ল্যামাইডোমোনাস বা ভ্লভক্সের আলোর দিকে গমনকে – জিওট্রপিক চলন / ফোটোট্রপিক চলন / ফোটোন্যাস্টিক চলন / ফোটোট্যাকটিক চলন।

উঃ- ফোটোট্যাকটিক চলন।

➤ উদ্ভিদের যে চলন অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেটি হল- ট্রপিক / ট্যাকটিক / ন্যাস্টিক / প্রকরন।

উঃ- ট্রপিক ।

➤ জগদীশচন্দ্র বসু ব্যবহৃত উদ্ভিদের চলন পরিমাপক যন্ত্রটির নাম- সিসমোগ্রাফ / লিথোগ্রাফ / থার্মোগ্রাফ / ক্রোমোগ্রাফ।

উঃ- ক্রোমোগ্রাফ।

➤ হরমোন প্রথম আবিস্কার করেন- চাইলাখান / বেলিস ও স্টারলিং / হরগোবিন্দ খোরানা / ডারউইন।

উঃ- বেলিস ও স্টারলিং ।

➤ উদ্ভিদদেহে ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রনকারী হরমোনটির নাম- অক্সিন / থাইরক্সিন / জিব্বেরেলিন / সাইটোকাইনিন।

উঃ- অক্সিন ।

➤ ফুল ফোটাতে সাহায্য করে কোন হরমোন- ইথিলিন / ফ্লোরিজেন / কাইনিন / অক্সিন।

 উঃ- ফ্লোরিজেন ।

➤ কোন গ্যাসীয় হরমোন ফল পাকানোর জন্য ব্যবহৃত হয়? ইথিলিন / ফ্লোরিজেন / কাইনিন / অক্সিন।

উঃ- ইথিলিন।

➤ জিব্বারেলা ফুজিক্যুরাই ছত্রাক থেকে কোন হরমোন আবিষ্কৃত হয়- ইথিলিন / জিব্বেরেলিন / কাইনিন / অক্সিন।

উঃ- জিব্বেরেলিন।

➤ নারকেল বা ডাবের জলে কোন হরমোন পাওয়া যায়? ইথিলিন / জিব্বেরেলিন / কাইনিন / অক্সিন।

উঃ- কাইনিন ।

➤ বীজবিহীন ফল উৎপাদনে সাহায্য করে কোন হরমোন- জিব্বেরেলিন / কাইনিন / সাইটোকাইনিন / IAA

উঃ- IAA

➤ পেঁয়াজের ও মটরের মূলে সাইটোকাইনিন প্রয়োগ করলে দ্রুত কোশ বিভাজন ঘটে- কোন বিজ্ঞানী বলেছেন? ডারউইন / বেলিস / গুট্ম্যান / জগদীশ চন্দ্র বোস

উঃ- গুট্ম্যান।

➤ একটি স্টেরয়েডধর্মী হরমোনের উদাহরন- থাইরক্সিন / ইনসুলিন / টেস্টোস্টেরন / অ্যাড্রিনালিন।

উঃ- টেস্টোস্টেরন।

➤ থাইরক্সিন কী প্রকৃতির হরমোন? অ্যামাইনোধর্মী / প্রোটিনধর্মী / লিপিডধর্মী / স্টেরয়েডধর্মী।

উঃ- অ্যামাইনোধর্মী।

➤ কোন হরমোনকে অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোন বলে? অ্যাড্রিনালিন / গ্লুকাগন / ইনসুলিন / ADH

উঃ- ইনসুলিন।

➤ কোন গ্রন্থিকে মিশ্রগ্রন্থি বলে? পিটুইটারি / পিনিয়াল বডি / হাইপোথ্যালামাস / থাইরয়েড।

উঃ- হাইপোথ্যালামাস।

➤ মাতৃদুগ্ধ ক্ষরণে সাহায্য করে কোন হরমোন? LTH / STH / ACTH / GTH

উঃ- LTH

➤ ক্রেটিনিজম রোগ হয় কোন হরমোনের কম ক্ষরণে ? ACTH / STH / TSH / FSH

উঃ- TSH

➤ তারারন্ধ্রকে বিস্ফোরিত করে কোন হরমোন? অ্যাড্রিনালিন / নন-অ্যাড্রিনালিন / ইনসুলিন / থাইরক্সিন।

উঃ- অ্যাড্রিনালিন।

➤ কোন উপাদানটি CSF এর মধ্যে থাকে না ? ফ্যাট / প্রোটিন / শর্করা / সবকটি

উঃ- ফ্যাট।

➤ মস্তিষ্কের আবরণীকে বলে – প্লূরা / পেরিকারডিয়াম / পেরিটোনিয়াম / মেনিনজেস।

উঃ- মেনিনজেস।

➤ অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে – রড কোশ / কোন কোশ / উভয় কোশ / কোনোটিই নয়।

উঃ- রড কোশ ।

➤ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কোন অংশ? গুরুমস্তিস্ক / লঘু মস্তিষ্ক / থ্যালামাস / সুষুন্নাশীর্যক।

উঃ- লঘু মস্তিষ্ক।

➤ রেটিনায় রড কোশের সংখ্যা হল- 11- 12.5 কোটি / 11-12.5 লক্ষ / 10 কোটি / 5 কোটি।

উঃ- 11- 12.5 কোটি ।

➤ আমাদের হাসি-কান্না, খুধা-তৃষ্না ইত্যাদি মানসিক অবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কোন অংশ? থ্যালামাস / হাইপোথ্যালামাস / গুরুমস্তিস্ক / লঘু মস্তিষ্ক।

 উঃ- হাইপোথ্যালামাস।

➤ হাইপারমেট্রোপিয়া দূর করার জন্য লাগে- উত্তল লেন্স / অবতল লেন্স / প্রোগ্রেসিভ লেন্স / কোনোটিই নয়।

উঃ- উত্তল লেন্স।

➤ উত্তেজনা প্রশমনে কোন হরমোনটি প্রয়োজন? ইনসুলিন / থাইরক্সিন / ভেসোপ্রেসিন / নর অ্যাড্রিনালিন।

উঃ- নর অ্যাড্রিনালিন।

➤ মুত্রে জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে কোন হরমোন? ADH / ACTH / GTH / STH

উঃ- ADH

➤ স্নায়ুতন্ত্রের একক কী ? নেফ্রন / দেহকোশ / নিউরোন / অ্যাক্সন।

উঃ- নিউরোন।

➤ কোন গ্রন্থি থেকে ACTH নিঃসৃত হয়? অ্যাড্রেনাল / পিটুইটারি / থাইরয়েড / অগ্নাশয়।

উঃ- পিটুইটারি।

➤ শূক্রাশয় থেকে নিঃসৃত হয় কোন হরমোন? টেস্টোস্টেরন   / ইস্টোজেন / প্রোজেস্টেরন / প্রোল্যাকাটিন।

উঃ- টেস্টোস্টেরন ।

➤ গলগণ্ড রোগ হয় কোন হরমোনের অধিক ক্ষরনের ফলে? STH / TSH / থাইরক্সিন / অ্যাড্রিনালিন।

উঃ- TSH ।

➤ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় না – ইনসুলিন / থাইরক্সিন / পেপসিন / অ্যাড্রিনালিন।

উঃ- পেপসিন।

➤ দুটি নিউরোনের মিলনস্থলকে কী বলে? প্রতিবর্ত ক্রিয়া   / প্রতিবর্ত চাপ / স্নায়ুসন্নিধি / নিউরোগ্লিয়া।

উঃ- স্নায়ুসন্নিধি ।

➤ স্ত্রীলোকের স্তন গ্রন্থির বিকাশ ঘটায় কোন হরমোন? STH / থাইরক্সিন / ইস্টোজেন / প্রোজেস্টেরন।

উঃ- প্রোজেস্টেরন।

➤ গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে সাহায্য করে কোন হরমোন? ইস্টোজেন / প্রোজেস্টেরন / প্রোল্যাকাটিন / GH

উঃ- প্রোজেস্টেরন ।

➤ কোন গ্রন্থিকে মিশ্রগ্রন্থি বলে? অগ্নাশয় / থাইরয়েড / প্যারাথাইরয়েড / অ্যাড্রিনাল।

উঃ- অগ্নাশয় ।

➤ কোন গ্রন্থিকে মাস্টার গ্ল্যান্ড বা প্রভুগ্রন্থি বলে? অগ্নাশয় / থাইরয়েড / পিটুইটারি / পিনিয়াল বডি।

উঃ- পিটুইটারি।

➤ কোন হরমোনকে সংকটকালীন বা জরুরীকালীন হরমোন বলে? অক্সিন / থাইরক্সিন / অ্যাড্রিনালিন / ইনসুলিন।

উঃ- অ্যাড্রিনালিন।

=====================================================================================

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-2

জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমম্বয়-(প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-3

MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ-PART-4

================================================================

 বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর [MCQ] : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]

 

1. গমনে সক্ষম একটি উদ্ভিদ হল—
[A] মিউকর       [B] ইস্ট [C] ভলভক্স       [D] অ্যাগারিকাস
 [C] ভলভক্স
2. সংকটকালীন হরমোন হল—
[A] ইনসুলিন      [B] অ্যাড্রিনালিন       [C] থাইরক্সিন [D] টেস্টোস্টেরন
 [B] অ্যাড্রিনালিন
3. মস্তিষ্কের যােজক কলা বলা হয়—
[A] থ্যালামাস      [B] লঘুমস্তিস্ক   [C] পক্স [D] গুরুমস্তিষ্ক
[A] TT
4. চোখে ধূলােবালি পড়ার উপক্রম হলেই চোখ দুটি মুদে যায়। এটি কী ধরনের ক্রিয়া?
[A] সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া       [B] অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া [C] গমন       [D] কোনােটিই নয়
 [A] সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া
5. হাইপােথ্যালামাস কোন্ পিটুইটারি হরমােন সংরক্ষিত রাখে—
[A] TSH       [B] STH [C] ADH       [D] থাইরক্সিন
 [C] ADH
6. ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হয় না যে হরমােনটি তা হলাে—
[A] ইস্ট্রোজেন       [B] প্রজেস্টেরন [C] রিল্যাক্সিন       [D] অ্যান্ড্রোজেন
[D] অ্যান্ড্রোজেন
7. মানবদেহে করােটি স্নায়ুর সংখ্যা-
[A] 31 জোড়া       [B] 31টি [C] 12 জোড়া       [D] 12টি
 [C] 12 জোড়া
8. নীচের কোন্ হরমােনকে অ্যান্টিকিটোজেনিক হরমােন বলে?
[A] থাইরক্সিন      [B] গ্লুকাগন [C] ইনসুলিন      [D] অ্যাড্রিনালিন
 [C] ইনসুলিন
9. যে হরমােনটির অভাবে মূত্রে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়—
 [A] STH      [B] GTH [C] ADH       [D] TSH
[C] ADH
10. সূর্যশিশিরের পাতা পতঙ্গের সংস্পর্শে এলে পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এইপ্রকার চলনকে বলে—
  [A] ফটোট্যাকটিক      [B] সিসমেন্যাস্টিক   [C] ফটোন্যাস্টি [D] কেমােন্যাস্টি
 [D] কেমােন্যাস্টি
11. গ্লুকাগন হরমােন ক্ষরিত হয় কোন্ গ্রন্থি থেকে?
 [A] অগ্ন্যাশয়      [B] পিটুইটারি [C] ডিম্বাশয়      [D] থাইরয়েড
 [A] অগ্ন্যাশয়
12. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরের আবরন হল—
  [A] পুরা       [B] পেরিকার্ডিয়াম      [C] মেনিনজেস [D] পেরিটোনিয়া
[C] মেনিনজেস
13. অগ্র পিটুইটারির হরমােন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে—
 [A] থ্যালামাস       [B] হাইপােথ্যালামাস     [C] এপিথ্যালামাস [D] মেটাথ্যালামাস
[B] হাইপােথ্যালামাস
14. প্রতিবিম্ব গঠিত হয় চোখের
 [A] রেটিনায়      [B] লেন্সে [C] কর্নিয়াতে       [D] কোরয়েডে
 [A] রেটিনায়
15. কোন্ প্রকার পেশি সংকোচেনে অস্থি সন্ধি সংলগ্ন অস্থি দুটির কৌণিক দূরত্ব হ্রাস পায় ?
  [A] এক্সটেনশন       [B] অ্যাবডাকশন [C] ফ্লেকশন       [D] রােটেশন
 [C] ফ্লেকশন
16. যে হরমােনের উদ্ভিদের অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে তা হল-
 [A] অক্সিন       [B] জিব্বেরেলিন     [C] সাইটোকাইনিন [D] ফোরিজেন
[A] অক্সিন

 

 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্দ্বয় –

শূন্যস্থান প্রশ্নোত্তর : (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]

 

1. উদ্দীপক হল একপ্রকার ___________ ।

 

        Answer : শক্তি
2. অক্সিন উদ্ভিদের __________ থেকে উৎপন্ন করে।

 

        Answer : অগ্রস্থ ভাজক কলা থেকে
3. ট্যাকটিক চলন একপ্রকার ____________ ।

 

        Answer : প্রবৃত্ত
4. সিলিয়ারী গমন দেখা যায় ___________ প্রাণীতে ।

 

        Answer : প্যারামিসিয়াম
5. উদ্ভিদ হরমােনের অপর নাম _____________ ।

 

        Answer : ফাইটো হরমােন
6. ___________ হরমােনের অপর নাম ভেসােপ্রেসিন।

 

        Answer : ADH
7. __________ হল নিউরােহরমােন।

 

        Answer : ADH
8. প্রাণীদেহের স্নায়ুতন্ত্র হল __________ সম্বায়ক।

 

        Answer : ভৌত
9. সুন্দরীর শ্বাসমূলে ____________ চলন দেখা যায়।

 

        Answer : নেগেটিভ জিওট্রপিক
10. ট্রপিক চলন উদ্ভিদের ____________ অঞলে ঘটে।

 

        Answer : বর্ধনশীল
11. মানুষের চোখ দিয়ে একই সঙ্গে দুটি বস্তু দেখাকে

 

        Answer : দ্বিনেত্র দৃষ্টি
12. লেডিগের আন্তরকোশ থেকে ক্ষরিত হরমােনটি হল ___________________ ।

 

        Answer : টেস্টোস্টেরন
13. হেলিওট্রপিজমের প্রধান উদ্দীপক হল –

 

        Answer : সূর্যালােক
14, বীজপত্র ও ভূণের প্রাপ্ত হরমােনটি হল ___________ ।

 

        Answer : জিব্বেরেলিন
15. পিটুইটারি গ্রন্থিকে __________ গ্রন্থি বলে।

 

        Answer : প্রভু গ্রন্থি
16. স্নায়ুকোশের কোশদেহের সাইটোপ্লাজমকে __________ বলে।

 

        Answer : নিউরােপ্লাজম
17. কাশি হল একপ্রকার __________ প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

 

        Answer : সহজাত
18. স্নায়ুকোশের _________ থেকে অ্যাক্সনের উৎপত্তি হয়।

 

        Answer : অ্যাক্সন হিলক
19. গমনে সক্ষম উদ্ভিদ হল ____________ ।

 

        Answer : ক্ল্যামাইডােমােনাস
20. মাছের দেহে মেরুদন্ডের দু-পাশে Vআকৃতির __________ পেশি আছে

 

        Answer : মায়ােটস
21. মানুষের করােটিতে মােট অস্থির সংখ্যা – টি।

 

        Answer : 24টি

 ====================================================================== জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-2

জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমম্বয়-(প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-3

MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ-PART-4

===============================================================================

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান –

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর |   

  1. দরজায় ঘন্টা বাজার শব্দ শুনে তুমি যেভাবে দরজা খুলবে , সেই স্নায়বিক পথটি একটি শব্দছকের মাধ্যমে দেখাও । 

Ans: দরজায় ঘন্টা বাজা ( উদ্দীপক ) কান ( গ্রাহক ) সংজ্ঞাবহ স্নায়ুকোশ স্নায়ুকেন্দ্র ( মস্তিষ্ক ) → আজ্ঞাবহ স্নায়ুকোশ হাত , পায়ের পেশি ( কারক ) → দরজা খুলে দেওয়া । 

  1. মেনিনজেস ও CSF ও এর অবস্থান বিবৃত করো । 

Ans: মেনিনজেস মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ডকে ঘিরে অবস্থান করে । CSF- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের গহ্বরে সুষুম্নাকান্ডের কেন্দ্রীয়নালী ও সাবঅ্যারাকনয়েড স্থানে অবস্থান করে । 

  1. উদ্ভিদের বীজ ও পর্বমধ্যের ওপর জিব্বেরেলিন হরমোন কী কী প্রভাব ফেলে তা ব্যাখ্যা করো । 

Ans: জিব্বেরেলিন বীজের সুপ্ত দশা ভঙ্গ করে অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করে । জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায় । 

  1. অক্ষিগোলকের বিভিন্ন প্রতিসারক মাধ্যমগুলির নাম ক্রমানুসারে লেখো । 

Ans: কর্নিয়া অ্যাকুয়াস হিউমর লেন্স → ভিট্রিয়াস হিউমর । 

  1. অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের পার্থক্য লেখো , নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ১- গঠন গত ২- কার্যগত 

Ans: অ্যাক্সন সাধারণত শাখাহীন কিন্তু ডেনড্রন শাখা প্রশাখাযুক্ত হয় । অ্যাক্সনের কাজ হলো স্নায়ুস্পন্দন কোশদেহ থেকে পরবর্তী স্নায়ুকোশে বহন করা আর ডেনড্রনের কাজ হলো স্নায়ুস্পদন গ্রহণ করে কোশদেহে পাঠিয়ে দেওয়া । 

  1. সহজাত এবং অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে ? উদাহরণ দাও । 

Ans: যে প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মসূত্রে প্রাণী পেয়ে থাকে তাকে সহজাত বা জন্মগত বা শর্ত নিরপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে । উদাহরণ— শিশুর মাতৃস্তন বা দুগ্ধ পান ৷ যে প্রতিবর্ত ক্রিয়া অভ্যাসের মাধ্যমে গড়ে ওঠে ( জন্মসূত্রে নয় ) তাকে অর্জিত বা শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে । উদাহরণ— শিশুর হাঁটতে শেখা । 

  1. পিটুইটারিকে প্রভুগ্রন্থি ( মাস্টার গ্ল্যান্ড ) বলে কেন ?

Ans: পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন অন্যান্য গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে , তাই একে প্রভুগ্রন্থি বা মাস্টার গ্ল্যান্ড বলে । 

      8.একনেত্র দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলতে কী বোঝায় ? 

Ans: যে দৃষ্টিতে দু’টি চোখ দিয়ে দু’টি আলাদা আলাদা বস্তু দেখা যায় তাকে একনেত্র দৃষ্টি বলে । উদাহরণ— গোরু , মহিষের চোখ । যে দৃষ্টিতে দু’টি চোখ দিয়ে একটিই বস্তু দেখা যায় তাকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে । উদাহরণ— মানুষের চোখ ।

      9.মেনিনজেস কী ? এর কাজ কী ? 

   Ans: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ( মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড ) বাইরের ত্রিস্তরীয় আবরণকে মেনিনজেস বলে । এর তিনটি স্তর হলো – বাইরের ডুরাম্যাটার , মধ্যের অ্যারাকনয়েড ম্যাটার ও ভিতরের প্যারাম্যাটার । 

> কাজ – কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে রক্ষা করা । 

  1. ক্যাটারাক্ট বা চোখে ছানি পড়া বলতে কী বোঝায় ?

Ans: বয়স বাড়লে লেন্স অস্বচ্ছ হয়ে পড়ে এবং রেটিনাতে অস্বচ্ছ প্রতিবিম্ব গঠিত হয় । ফলে দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ হ্রাস পায় । একে চোখের ছানি পড়া বা ক্যাটারাক্ট বলে । 

কারণ : লেন্সের প্রোটিন ( Crystalline Protein ) বিনষ্ট হওয়ায় এই রোগ হয় । 

সংশোধন : অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছানি অপসারণ করে তার পরিবর্তে Intra Ocular Lens ( IOL ) ব্যবহার করলে এই সমস্যা দূর হয় । 

  1. মাছের গমনে মায়োটম পেশির ভূমিকা লেখো ।

Ans: রুই মাছের দেহের দুই পাশে ‘ V ’ আকৃতির পেশিকে মায়োটম পেশি বলে । এই পেশির সংকোচন ও প্রসারণে মাছের দেহ আন্দোলিত হয় এবং মাছ সামনের দিকে গমন করতে পারে । 

  1. গমনের যেকোনো তিনটি উদ্দেশ্য লেখো ।

Ans: গমনের উদ্দেশ্য : খাদ্যান্বেষণ : সমস্ত প্রাণী এবং নিম্নশ্রেণির কয়েকটি উদ্ভিদ ( যেমন— ভলভক্স ) খাদ্য সংগ্রহের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গমন করে । 

আত্মরক্ষা : খাদক প্রাণীর হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রাণীদের গমন দরকার হয় । আশ্রয় পছন্দমতো এবং অনুকূল আশ্রয়ের জন্য প্রাণী গমন করে । 

  1. সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি কাকে বলে ? 

Ans: দু’টি অস্থির সংযোগস্থলে সাইনোভিয়াল পর্দার মধ্যে অবস্থিত ক্ষুদ্র গহ্বরকে সাইনোভিয়াল গহ্বর বলে যা সাইনোভিয়াল তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে । এই ধরনের অস্থিসন্ধিকে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে । 

  1. মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।

Ans: যেসকল গ্রন্থি অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা উভয় প্রকার কাজ করে তাকে মিশ্র গ্রন্থি বলে । উদাহরণ— অগ্ন্যাশয় । 

  1. ট্রপিক ও স্থানীয় হরমোন কাকে বলে ? 

Ans: যেসকল হরমোন উৎসস্থল থেকে বাহিত হয়ে অন্য স্থানে ক্রিয়া করে তাকে ট্রপিক হরমোন বলে । যেমন- ACTH , TSH । যেসকল হরমোন উৎসস্থলে ক্রিয়া করে তাকে স্থানীয় বা লোকাল হরমোন বলে । যেমন— টেস্টোস্টেরন । 

  1. উপযোজন কাকে বলে ? 

Ans: যে প্রতিক্রিয়া সিলিয়ারি পেশি বা সাসপেনসরি লিগামেন্ট – এর সাহায্যে , লেন্সের আকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে বস্তুর সঠিক দর্শনে সাহায্য করে তাকে উপযোজন বলে । 

  1. থাইরক্সিনের দু’টি কাজ লেখো । 

Ans: মৌল বিপাকীয় হার নিয়ন্ত্রণ করে । ও লোহিত রক্তকণিকার ক্রমপরিণতিতে | সাহায্য করে । শর্করা , প্রোটিন ও ফ্যাটের বিপাক ক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে । 

  1. সাইন্যাপ কী ? এর কাজ কী ? 

Ans: দু’টি নিউরোনের সংযোগস্থল , যেখানে একটি নিউরোন শেষ এবং অপর নিউরোন শুরু হয় সেই সংযোগস্থলকে সাইন্যাস বা প্রান্তসন্নিকর্ষ বলে । 

> কাজ— এক নিউরোন থেকে অপর নিউরোনে স্নায়ুস্পন্দন পরিবহণ করা এর মুখ্য কাজ ।  

  1. স্নায়ুগ্রন্থি বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন কী ? এর কাজ কী ?

Ans: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরে অসংখ্য নিউরোনের কোশদেহ মিলিত হয়ে যে গ্রন্থি সৃষ্টি করে তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন বলে ।

> কাজ – স্নায়ু উৎপন্ন করা , নিউরোসিক্রেটারি পদার্থ ক্ষরণ করে স্নায়ুকে সিক্ত রাখা । 

  1. অশ্রুগ্রন্থি কোথায় থাকে ? এর কাজ কী ?

Ans: চোখের ঊর্ধ্বপল্লবের নীচে থাকে । 

> কাজ – চোখে আর্দ্রতা প্রদান করে । অশ্রুতে উপস্থিত লাইসোজাইম জীবাণু ধ্বংস করে চোখকে রক্ষা করে । 

  1. কোরয়েড কোথায় থাকে ? এর কাজ কী ?

Ans: অক্ষিগোলকের স্লেরা ও রেটিনা স্তরের মাঝের স্তরটিকে কোরয়েড বলে । 

> কাজ– অক্ষিগোলকে পুষ্টি সরবরাহ করে । ও অক্ষিগোলকের বিচ্ছুরিত আলোর প্রতিফলন রোধ করে । 

  1. সুষুম্নাকাণ্ডের কাজ লেখো । 

Ans: বিভিন্ন প্রকার প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে । ও সুষুম্নাকাণ্ডের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সঙ্গে দেহের পেশি ও অন্তরযন্ত্রের যোগাযোগ স্থাপন হয় । সুষুম্নাকাণ্ড পেশিটান নিয়ন্ত্রণ করে দেহভঙ্গি বজায় রাখে । 

  1. ফোটোট্যাকটিক চলন কাকে বলে ? 

Ans: আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদদেহের স্থান পরিবর্তনকে ফোটোট্যাকটিক চলন বলে । 

  1. সরল ও জটিল প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি করে উদাহরণ দাও ।

Ans: সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়া চোখে ধুলোবালি পড়লে চোখ বন্ধ হয় । জটিল প্রতিবর্ত ক্রিয়া শিশুর হাঁটতে শেখা । 

  1. হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়সাধক বলে কেন ? 

Ans: হরমোন উৎপত্তিস্থল থেকে রক্ত , লসিকা বা কলারসের মাধ্যমে বাহিত হয়ে অন্য অঙ্গের কলাকোশের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে । তাই হরমোনকে সমন্বয়সাধক বলে । 

  1. ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র কে আবিষ্কার করেন ? এর কাজ কী ? 

Ans: বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করেন । এই যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদের সাড়া প্রদান পরিমাপ করা হয় । 

  1. সংবেদন বলতে কী বোঝায় ? 

Ans: পরিবেশের বিভিন্ন প্রকার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে যে সকল অনুভূতির সৃষ্টি হয় তাকে সংবেদন বলে । যেমন— চাপ , তাপ , আলো , ক্ষুধা , তৃয়া ইত্যাদি উদ্দীপকের প্রভাবে সাড়া প্রদান করা । 

  1. অন্ধবিন্দু বা ব্লাইন্ড স্পট বলতে কী বোঝায় ?

Ans: তারারন্ধ্রের বিপরীত দিকে রেটিনার যে স্থানে অপটিক স্নায়ু বের হয় সেই স্থানে রড ও কোন কোশ না থাকায় ঐ স্থানে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না । এই অংশটিকে অন্ধবিন্দু বলে । 

  1. গোনাড কী ? উদাহরণ দাও । 

Ans: জননগ্রন্থি দু’টিকে অর্থাৎ পুরুষদেহে শুক্রাশয় এবং স্ত্রীদেহে ডিম্বাশয়কে একত্রে গোনাড বলে । 

উদাহরণ— শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় ।

প্রশ্ন : নাৰ্ভ বা স্নায়ু কাকে বলে ? এটি কয় প্রকারের ?

 Ans: যোগকলার আবরণবেষ্টিত স্নায়ুতহুগুচ্ছকে স্নায়ু বা নার্ভ বলে । গঠন অনুসারে নার্ভ বা স্নায়ু দুই প্রকারের মেডুলেটেড স্নায়ু বা মেডুলারি আবরণযুক্ত স্নায়ু । নন – মেডুলেটেড স্নায়ু বা মেডুলারি আবরণবিহীন স্নায়ু । 

  1. চলন ও গমন বলতে কী বোঝায় ? 

Ans: চলন : যে প্রক্রিয়ায় জীব এক জায়গায় স্থির থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে ।

গমন : যে প্রক্রিয়ায় জীব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে । 

  1. সিসমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও । 

Ans: স্পর্শ , আঘাত , ঘর্ষণ , বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদি উদ্দীপকের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের যে ন্যাস্টিক চলন হয় তাকে সিসমোন্যাস্টিক বা স্পর্শব্যাপ্তি চলন বলে । যেমন লজ্জাবতী পাতা স্পর্শ করা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে নুয়ে পড়ে । 

  1. দু’টি কৃত্রিম অক্সিন ও দু’টি কৃত্রিম সাইটোকাইনিনের নাম লেখো । 

Ans: কৃত্রিম অক্সিন ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড ( IBA ) । ইন্ডোল প্রোপিওনিক অ্যাসিড ( IPA ) । কৃত্রিম সাইটোকাইনিন : 1) ইমিডাজোল 2) অ্যাজাকাইনেটিন । 

  1. বহিঃক্ষরা ( সনাল গ্রন্থি ) ও অন্তঃক্ষরা ( অনাল গ্রন্থি ) কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।

Ans: যেসব গ্রন্থির ক্ষরণ নালির মাধ্যমে বাইরে আসে তাদের বহিঃক্ষরা বা সনাল গ্রন্থি বলে । যেমন— লালাগ্রন্থি , ঘর্মগ্রন্থি যেসব গ্রন্থির নালি থাকে না , ক্ষরিত পদার্থ সরাসরি রক্ত ও লসিকায় মেশে তাদের অস্তঃক্ষরা গ্রন্থি বা অনাল গ্রন্থি বলে । উদাহরণ পিটুইটারি গ্রন্থি ও থাইরয়েড গ্রন্থি ইত্যাদি । 

  1. অ্যাড্রিনালিনকে আপৎকালীন বা জরুরিকালীন হরমোন বলে কেন ? 

Ans: অ্যাড্রিনালিন হরমোন অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির মেডালা হতে ক্ষরিত হয় এবং আপৎকালীন বা জরুরিকালীন অবস্থায় ( রাগ , ভয় , দুশ্চিন্তা ইত্যাদি ) দেহকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে , তাই এই হরমোনকে আপৎকালীন হরমোন বলে । 

  1. প্রতিবর্ত পথ বা প্রতিবর্ত চাপ কাকে বলে ? এর বিভিন্ন অংশের নাম লেখো । 

Ans: যে পথে প্রতিবর্ত ক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেই পথকে অর্থাৎ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার পথকে প্রতিবর্ত পথ বা প্রতিবর্ত চাপ বলে ৷ বিভিন্ন অংশ— গ্রাহক । অন্তর্বাহী নিউরোন । কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র । বহির্বাহী নিউরোন । কারক । 

  1. অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী স্নায়ু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।

Ans: অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী স্নায়ু যে স্নায়ু গ্রাহক থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা বহন করে তাকে অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী স্নায়ু বলে । 

উদাহরণ – অলফ্যাক্টরি , অপটিক স্নায়ু । 

  1. ইফারেন্ট বা বহির্বাহী স্নায়ু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও । 

Ans: ইফারেন্ট বা বহির্বাহী স্নায়ু যে স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে উদ্দীপনা বহন করে কারকে ( ইফেক্টরে ) নিয়ে যায় তাকে বহির্বাহী বা ইফারেন্ট স্নায়ু বলে । 

উদাহরণ – অকিউলোমোটর ( 3rd অ্যাকসেসরি ( 11th ) হাইপোগ্লসাল ( 12th ) | 

  1. মিশ্র স্নায়ু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও । 

Ans: মিশ্র স্নায়ু : অন্তর্বাহী ও বহির্বাহী উভয় প্রকার স্নায়ুর সমন্বয়ে গঠিত স্নায়ুকে মিশ্র স্নায়ু বলে । উদাহরণ – ফেসিয়াল ( 7th ) , ভেগাস স্নায়ু ( 10th ) । 

  1. অ্যামিবয়েড গমন বলতে কী বোঝো ? 

Ans: অ্যামিবয়েড গমন : ক্ষণপদ সৃষ্টির মাধ্যমে গমনকে অ্যামিবয়েড গমন বলে । অ্যামিবাতে এই প্রকার গমন দেখা যায় । 

  1. ফ্লাজেলীয় গমন কাকে বলে ? 

Ans: ফ্লাজেলীয় গমন কোশের সাইটোপ্লাজম থেকে উৎপন্ন সিলিয়া অপেক্ষা মোটা ও দীর্ঘ যে সূক্ষ্ম তত্ত্ব আন্দোলনের মাধ্যমে বা সঞ্চালনের মাধ্যমে প্রাণীর গমনে সাহায্য করে তাকে ফ্লাজেলা বলে । ফ্লাজেলার মাধ্যমে গমন পদ্ধতিকে ফ্লাজেলীয় গমন বলে । 

  1. অক্সিন হরমোনের দুটি কাজ লেখো । 

Ans: অক্সিন হরমোনের কাজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা অক্সিন হরমোনের প্রধান কাজ । এটি কোশের বৃদ্ধি , মুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । এটি উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঞ্চলের কোশ বিভাজন ও ক্যাম্বিয়ামের সক্রিয়তায় সাহায্য করে । ও অক্সিন হরমোন উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে । 

  1. টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎস ও কাজ লেখো । 

Ans: টেস্টোস্টেরন ( Testosterone ) : • উৎস— শুক্রাশয়ের লেডিগের অন্তরকোশ থেকে ক্ষরিত হয় । কাজ— পুরুষদেহের যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটায় । পুরুষের গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য ( যেমন – পেশিবহুল দেহ , গলার স্বর মোটা , গোঁফ – দাড়ি গজানো ) প্রকাশ ঘটায় । শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে । 

  1. ইস্ট্রোজেন হরমোনের উৎস ও কাজ লেখো ।

Ans: ইস্ট্রোজেন ( Estrogen ) : উৎস — ডিম্বাশয়ের পরিণত ডিম্বথলি থেকে ক্ষরিত হয় । কাজ- 1) এর প্রভাবে জরায়ু , ডিম্বনালি বৃদ্ধি হয় , নারীদের ত্বক কোমল ও মসৃণ হয় , স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি হয় । 2) এই হরমোনের প্রভাবে স্ত্রীদেহে মাসিক যৌন চক্র বা ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রিত হয় । 

  1. প্রোজেস্টেরন হরমোনের উৎস ও কাজ লেখো । 

Ans: প্রোজেস্টেরন ( Progesterone ) উৎস— ডিম্বাশয়ের করপাস লিউটিয়াম থেকে ক্ষরিত হয় । কাজ— 1) স্ত্রীদেহের জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম বৃদ্ধি করে । 2) নিষিক্ত ডিম্বাণুর রোপণে সাহায্য করে । 3) প্লাসেন্টা গঠনে সাহায্য করে । 

  1. অ্যাড্রিনালিন এর প্রধান কাজগুলি লেখো । 

Ans: অ্যাড্রিনালিনের কাজ : অ্যাড্রিনালিন হৃৎপিণ্ডের গতি বাড়ায় । ফলে হৃদস্পন্দন বাড়ে এবং রক্তচাপ বাড়ে । অ্যাড্রিনালিন মৌল বিপাকীয় হার ( BMR ) বৃদ্ধি করে ।

  1. অ্যাড্রিনালিন হরমোনকে জরুরিকালীন হরমোন বলে কেন ?

Ans: অ্যাড্রিনালিন হরমোন অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির মেডালা হতে ক্ষরিত হয় এবং আপৎকালীন বা জরুরিকালীন অবস্থায় ( যথা রাগ , ভয় , দুশ্চিন্তা ইত্যাদি ) দেহকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে । তাই এই হরমোনকে আপৎকালীন হরমোন বলে । 

  1. প্রাণী হরমোনের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো । 

Ans:  উত্তর- প্রাণী হরমোনের তিনটি বৈশিষ্ট্য হল–
i) প্রাণী হরমোন অনাল গ্রন্থি থেকে সরাসরি রক্তে ক্ষরিত হয়।
ii) প্রাণী হরমোন রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্য কোশে পৌঁছোয়।
iii) হরমোন যেখানে সংশ্লেষিত হয় সেই স্থানে সঞ্চিত থাকে না, থাকলেও খুব কম পরিমাণে সঞ্চিত থাকে।

48. একটি স্টেরয়েডধর্মী হরমােনের নাম লেখাে।
  Answer : একটি স্টেরয়েডধর্মী হরমােনের নাম হল ইস্ট্রোজেন।
49. কোন্ হরমােনকে ক্যাথেরিজেনিক হরমােন বলে?
Answer : থাইরক্সিন হরমােনকে ক্যাথােরিজেনিক হরমােন বলে।
50. এমন একটি উদ্ভিদ হরমােনের নাম করাে যা বাম্পমােচন করায়?
 Answer : অ্যাবসিসিক অ্যাসিড হল এমন একটি উদ্ভিদ হরমােন যা উদ্ভিদের বাষ্পমােচন করায়।
51. STH-এর পুরাে নাম কী ?
Answer : STH-এর পুরাে নাম—সােমাটো ট্রপিক হরমােন।
52. TSH-এর পুরাে নাম লেখাে।
 Answer : TSH-এর পুরাে নাম থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমােন।
53. ডাবের জলে কোন্ হরমােন পাওয়া যায়?
Answer : ডাবের জলে কাইনিন হরমােন পাওয়া যায়।
54. ICSH এর পুরাে নাম কী?
 Answer : ICSH-এর পুরাে নাম হল—ইন্টারস্টিশিয়াল সেল স্টিমুলেটিং হরমােন।
55. বীজবিহীন ফল উৎপাদন ব্যাবহৃত হরমােনের নাম কী?
 Answer : বীজবিহীন ফল উৎপাদনে ব্যবহৃত হরমােনের নাম হল অক্সিন।
56. LTH-এর কাজ কী
 Answer : LTH হরমােন স্ত্রীদেহে প্রসবের স্তনদুগ্ধ ক্ষরণে সাহায্য করে।
57. CNS-এর পুরাে নাম কী?
 Answer : CNS-এর পুরাে নাম হল—সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম।
58. মানুষের দীর্ঘ স্নায়ু কোনটি?
 Answer : মানুষের দীর্ঘ স্নায়ু হল সায়াটিক নার্ভ।
59. ফানগাছের শুক্রাণুতে কোন্ প্রকার চলন দেখা যায়?
  Answer : ফার্ণ গাছের শুক্রাণুতে কেমােট্যাকটিক চলন দেখা যায়।
60. বনর্চাড়াল গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী ?
Answer : বনাড়াল গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ডেসমােডিয়াম গাইরাস।
61. টিউলিপ ফুলে কী প্রকার চলন দেখা যায় ?
Answer : টিউলিপ ফুলে থার্মোন্যাস্টি চলন দেখা যায়।
62. সূর্যাস্তের পর তেঁতুল গাছের পাতাগুলি মুড়ে যায়—এটি কী ধরনের চলন?
Answer : এটি নিকটিন্যাস্টি চলন।
63. ACTH-এর সম্পূর্ণ নাম লেখাে।
  Answer : ACTH-এর সম্পূর্ণ নাম—অ্যাড্রিনাে কর্টিকো ট্রপিক হরমােন।
64. তাপের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদের অঙ্গের চলনকে কী বলে?
  Answer : তাপের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে।
65. পায়রারা রেক্ট্রিসেস পালকের সংখ্যা কয়টি এবং ডানায় কয়টি রেমিজেস পালক থাকে?
Answer : পায়রার লেজে 12টি রেক্টিসেস এবং ডানায় 23টি রেমিজেস পালক থাকে।
66. পাখির লেজের পালক রেকট্রিসেসের কাজ কী?
 Answer : পাখির লেজের পালক রেকট্রিসেসের কাজ হল ওড়ার সময় ব্রেক বা গতিরােধক হিসাবে কাজ করে।
67, পার্থেননাকাপি কাকে বলে?
Answer : অক্সিন হরমােনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই বীজবিহীন ফল উৎপাদনের পদ্ধতিকে পার্থোনােকার্পি বলে।

=============================================================================================================

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-2

জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমম্বয়-(প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-3

MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ-PART-4

================================================================================

  জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্দ্বয় –

সত্য-মিথ্যা প্রশ্নোত্তর : (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1}

1. টিউলিপ ফুল কম উয়তায় ফোটে।
 Answer : মিথ্যা ।
2. বনাড়াল গাছে একক পত্র আছে।
  Answer : মিথ্যা ।
3. এককোশী শৈবালের সামগ্রিক চলন ঘটে।
  Answer :সত্য।
4. ন্যাস্টিক চলন স্থায়ী প্রকৃতির।
  Answer : মিথ্যা ।
5. উদ্ভিদের কাণ্ডকে নেগেটিভলি ফোটোট্রপিক বলে।
 Answer : মিথ্যা ।
6. নর-অ্যাড্রিনালিনকে জরুরীকালীন হরমোেন বলে।
Answer : মিথ্যা ।
7. STH হল একপ্রকার স্টেরয়েড ধর্মী হরমােন।
 Answer :মিথ্যা ।
8. জিব্বেরেলিনের উৎস হল কাণ্ডের অগ্রস্থ ভাজক কলা।
 Answer : মিথ্যা ।
9. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা গঠিত।
  Answer :সত্য।
10. লেখাপড়া শেখা একপ্রকার অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
  Answer :সত্য ।
11. সমস্ত সুযুন্মীয় স্নায়ু সংজ্ঞাবহ প্রকৃতির হয়।
 Answer : মিথ্যা ।

 

বাম স্তম্ভের সাথে ডান স্তম্ভের সমতা বিধান : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
বাম স্তম্ভ    ডান স্তম্ভ
1. অক্সিন    A. অক্সিন।
2. বীজহীন ফল উৎপাদন।    B. সেরিব্রাম
3. অ্যাড্রিনালিন    C. ফোটোট্রপিক চলন
4. অগ্রমস্তিষ্কের সর্ববৃহৎ অংশ    D. এঁকেবেঁকে যেতে সাহায্য করা।
5. মায়ােটোম পেশী    E. জরুরীকালীন হরমােন
F. ইউপ্পিনা

 

Answer : 1. –[C] 2.–[A] 3.–[E] 4.–[B] 5.–[D]
বাম স্তম্ভ    ডান স্তম্ভ
1. ডায়াটোম    A. অন্ধ বিন্দু
2. প্রাকৃতিক সাইটোকাইনিন    B. জিয়াটিন
3. থাইরয়েড গ্রন্থি    C. দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
4. চোখের যে স্থানে প্রতিবিম্ব হয় না।    D. গলগন্ড রােগ
5. অস্থি সন্ধি    E. গমন করে
F. সাইনােভিয়াল তরল

 

Answer : 1.– [C] 2.– [B] 3.– [D] 4.– [A] 5.– [F]

 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্দ্বয় – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান-2]

1. ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র কে আবিষ্কার করেন? এই যন্ত্রের গুরুত্ব কী?
Answer : আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। গুরুত্ব : এই যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণিত হয় যে, গাছেরও প্রাণ আছে এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের মতােই উদ্ভিদও পরিবেশের বিভিন্ন উদ্দীপনায় (যেমন—আলাে, তাপ, জল, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতি) শনাক্ত করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।
2. সামগ্রিক চলন (Movement of Locomotion) কাকে বলে?
Answer : সামগ্রিক চলন : বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদদেহে যে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে, তাকে সামগ্রিক চলন বলে। উদাহরণ-ক্ল্যামাইডােমােনাস, ভলভক্স প্রভৃতি শৈবালের আলাের দিকে চলন।
3. কেন লজ্জাবতী পাতার চলন লজ্জাবতীর কাণ্ডের থেকে আলাদা?
  Answer : লজ্জাবতীর পাতায় স্পর্শ বা আঘাতের প্রভাবে রসস্ফীতির চাপের পার্থক্য ঘটে, ফলে পাতা বৃন্তসহ নীচের দিকে ঝুলে যায়। একে হ্যাপ্টোন্যাস্টিক চলন বলে। অন্য দিকে, লজ্জাবতীর কাণ্ড আলাের গতিপথের দিকে বৃদ্ধিজ বক্র চলন ঘটায়। একে ফটোট্রপিক চলন বলে।
4. গমনে সক্ষম দুটি উদ্ভিদের নাম লেখাে।
Answer : গমনে সক্ষম দুটি উদ্ভিদের নাম হল—ক্ল্যামাইডােমােনাস, ভলভক্স ।
5. প্রকল্পিত হরমােন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Answer : প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন যে সমস্ত উদ্ভিদ হরমােনের উপস্থিতি ও কাজ সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়া গেলেও, তাদের রাসায়নিক গঠন এবং কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি, তাদের প্রকল্পিত হরমােন বলে। উদাহরণ—ফ্লোরিজেন ও ডরমিন।
6. দুটি প্রাকৃতিক অক্সিনের রাসায়নিক নাম লেখাে।
Answer : দুটি প্রাকৃতিক অক্সিন হল—1. ইন্ডােল-ও-অ্যাসিটিক অ্যাসিড (IAA) এবং 2. ফিনাইল অ্যাসিটিক অ্যাসিড (PAA)।
7. বাসন্তীকরণে বা ভার্নালাইজেশনে (Vornalization) জিব্বেরেলিনের ভূমিকা উল্লেখ করাে
Answer : নিম্ন উয়তার দ্বারা পুষ্প প্রস্ফুটন প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করার শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে বাসন্তীকরণ বা ভার্নালাইজেশন বলে। কিছু কিছু উদ্ভিদে জিব্বেরেলিন প্রয়ােগ করে এক বছরের মধ্যেই ফুল ফোটানাে সম্ভব হয়।
৪. উদ্ভিদের কাণ্ডের অগ্রভাগ কেটে নিলে প্রচুর শাখাপ্রশাখা বের হয় কেন?
 Answer : উদ্ভিদের কাণ্ডের অগ্রভাগ কেটে নিলে সেই স্থানে সাইটোকাইনিন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এর প্রভাবে প্রচুর শাখাপ্রশাখা বের হয়।
9. পিটুইটারি গ্রন্থিকে ‘প্রভু গ্রন্থি (Master Gland) বলা হয় কেন?
  Answer : পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রখণ্ড থেকে ক্ষরিত হরমােনগুলি (ট্রপিক হরমােন) দেহের অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির বৃদ্ধি ও ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে বলে পিটুইটারিকে ‘প্রভু গ্রন্থি’ বা ‘মাস্টার গ্ল্যান্ড’ বলা হয়। যেমন—TSH, ACTH, GTH হরমােনগুলি যথাক্রমে থাইরয়েড, অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স, গােনাড প্রভৃতি গ্রন্থির ওপর প্রভাব বিস্তার বা প্রভুক্ত করে।
10. গুরুমস্তিষ্কে গােলার্ধগুলি ও লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধগুলি পরস্পর যে দুটি অংশ দ্বারা যুক্ত তাদের নাম লেখাে।
 Answer : গুরু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি হল ডান ও বাম সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার। যা করপাস ক্যালােসাম যােজক দ্বারা যুক্ত থাকে। লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি ভারমিস যােজক দ্বারা যুক্ত থাকে।
11. প্যারামেসিয়ামের গমন অঙ্গের নাম ও গমন পদ্ধতির নাম লেখাে।
  Answer : গমন অঙ্গ : সিলিয়া। গমন পদ্ধতি : সিয়ািরি গমন।
12. রেমিজেস পালকের অবস্থান ও কাজ লেখাে।
Answer : অবস্থান : পাখির ডানায় উপস্থিত থাকে। কাজ : পাখিকে উড়তে সাহায্য করে।
13. অস্থিযুক্ত মাছের জোড় পাখনা ও লেজ কেটে দিলে মাছের কোন্ কাজগুলি ব্যাহত হবে?
Answer : জোড় পাখনার অভাবে মাছ এক জায়গায় স্থির হয়ে ভেসে থাকতে পারবে না। লেজের অভাবে মাছ দিক পরিবর্তন করতে পারবে না।
14. বল ও সকেট সন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
 Answer : যে প্রকার অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির বলের ন্যায় গােলাকৃতি মস্তক অংশ অপর একটি অস্থির কোটরে বা সকেটে এমনভাবে যুক্ত থাকে যাতে অস্থিসন্ধির বিচলন। সব দিকে ঘটে। তাকে বলে বল ও সকেট সন্ধি। উদাহরণ হিউমেরাস ও স্ক্যাপুলা অস্থির সন্ধি, ফিসার ও হিপ অস্থিত সন্ধি।
15. ফ্লেক্সন (Flexion) ধরনের অস্থিসন্ধি বিচলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
 Answer : যে প্রকার অস্থিসন্ধি বিচলনে ফ্লেক্সর পেশির সংকোচনের ফলে সংশ্লিষ্ট দুটি অস্থির মধ্যে কৌণিক দূরত্ব কমে যায় অর্থাৎ অঙ্গের মধ্যে ভঁজ তৈরি হয়, তাকে ফ্লেক্সন (Flexion) বলে। উদাহরণ—বাইসেপ ব্রাকি পেশির সংকোচনের ফলে হাতের কনুই ভঁজ হয়।
16. হরমােনকে ‘দ্বৈত-নিয়ন্ত্রক’ বলা হয় কেন?
 Answer : সুনির্দিষ্ট কোনাে কাজে (বৃদ্ধি, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, যৌনতা প্রকাশ) কিছু হরমােন সহায়তা করে আবার কিছু হরমােন ওই কাজে বাধার সৃষ্টি করে। তাই হরমােনকে দ্বৈত নিয়ন্ত্রক বলা হয়। যেমন—ইনসুলিন রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, কিন্তু গ্লকাগন রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।।
17. ট্রপিক ও ট্যাকটিক চলনের মূল পার্থক্য কী?
 Answer : ট্রপিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না, কিন্তু ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।
18. ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য লেখাে।
 Answer : যে আবিষ্ট বক্ৰচলন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে হয় অর্থাৎ, উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে ট্রপিক চলন বলে। আবার উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথের প্রভাবে না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে।
19. হরমােনের দুটি প্রধান কাজ উল্লেখ করাে।
 Answer : হরমােনের কাজ : (i) হরমােন জীবদেহের কোশে কোশে রাসায়নিক সংযােগ স্থাপন করে। (i) হরমােন জীবদেহে বিপাকীয় কার্য নিয়ন্ত্রণ করে।
20. কৃষিকার্যে জিব্বেরেলিনের দুটি ব্যাবহারিক প্রয়ােগ লেখাে।
Answer : জিব্বেরেলিনের ব্যাবহারিক প্রয়ােগ : (i) জিব্বেরেলিন কয়েক প্রকার (ভুট্টা, মটর) খর্ব জাতের গাছের দৈর্ঘ্যবৃদ্ধির জন্য | ব্যবহার করা হয়। (ii) জিব্বেরেলিন প্রয়ােগ করে লেটুস বীজের দ্রুত অঙ্কুরােদ্গম ঘটানাে সম্ভবপর হয়েছে।
21. মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস কাকে বলে ?
 Answer : ইনসুলিন হরমােনের কম ক্ষরণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি (180 gm/100 ml এর বেশি), মূত্রের মাধ্যমে শর্করা নির্গত হওয়া, অতিরিক্ত ক্ষুধা ও তৃয়াসহ শারীরিক দুর্বলতাজনিত কঠিন ব্যাধিকে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস বলে।
22. অ্যাড্রিনালিনকে ‘জরুরিকালীন হরমোেন’ বলা হয় কেন?
 Answer : অ্যাড্রিনালিন ভয়, রাগ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি মানসিক উত্তেজনায় অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষরিত হয়। জরুরি প্রয়ােজনে এই হরমােন দ্রুত ক্রিয়াশীল হয় এবং সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে সেই মুহূর্তে দেহকে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার উপযােগী করে তােলে এবং সংকটজনক অবস্থা থেকে দেহকে মুক্ত করে, তাই অ্যাড্রিনালিনকে জরুরিকালীন বা আপৎকালীন হরমােন বলে।
23. মায়েলিন সিদের কাজ কী?
Answer : (i) স্নায়ুতন্তুকে অন্তরিত করে দ্রুত স্নায়ুপ্রবাহ সারিত করা। (i) স্নায়ুকোশ বা নিউরােনকে পুষ্টির জোগান দেওয়া। (i) স্নায়ুপ্রবাহের গতিকে বৃদ্ধি করা।
24. মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
 Answer : যে সব গ্রন্থি অন্তঃক্ষরা এবং বহিঃক্ষরা (নালিযুক্ত এবং নালিবিহীন) উভয় গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত, তাদের মিশ্র গ্রন্থি বলে। উদাহরণ : শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়, অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির প্যানক্রিয়েটিক অ্যাসিনাস অংশটি নালিযুক্ত ও বহিঃক্ষরা প্রকৃতির। এটি বিভিন্ন পরিপাককারী উৎসেচক নিঃসরণ করে, আবার আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস অংশ নালিবিহীন, অন্তঃক্ষরা প্রকৃতির, এটি বিভিন্ন হরমােন (ইনসুলিন, গ্লুকাগন প্রভৃতি) ক্ষরণ করে।
25. হরমােনকে রাসায়নিক দূত বলা হয় কেন?
Answer : দূত যেমন স্থানে স্থানে বার্তা বহন করে নিয়ে যায় হরমােনও তেমন দূতের মতাে লক্ষ্যকোশের ভিতরে বা বাইরে কোশপর্দায় কোনাে গ্রাহকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি রাসায়নিক বার্তা প্রেরণ করে, যাতে ওই কোশের শারীরবৃত্তীয় কাজ প্রভাবিত হয়, এজন্য হরমােনকে রাসায়নিক দূত বলে।

  জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্দ্বয় –

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-5]

 

1. উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার ট্রপিক চলন সম্পর্কে লেখাে।
    Answer : উদ্দীপকের উৎসের দিকে বা উদ্দীপকের গতিপথের দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে ট্রপিক চলন বলে।
উদ্ভিদের ট্রপিক চলন প্রধানত তিন প্রকারের। যথা—(i) ফোটোট্রপিক চলন, (ii) হাইড্রোট্রপিক চলন, (iii) জিওট্রপিক চলন।
(i) ফোটোট্রপিক চলন :
উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলােক উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে ফোটোট্রপিক চলন বলে।
উদাহরণ—একটি গাছকে অন্ধকার ঘরে জানালার সামনে রেখে জানালার একটি পাল্লা খুলে রাখলে কয়েকদিন পর গাছের বিটপ অংশকে জানালার দিকে বেঁকে বৃদ্ধি পেতে দেখা যাবে।
(ii) হাইড্রোট্রপিক চলন :
উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে।
উদাহরণ—উদ্ভিদের মূল সর্বদা জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায়।
(iii) জিওট্রপিক চলন :
উদ্ভিদ অঙ্গেরচলন যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে জিওট্রপিক চলন বলে।
জিওট্রপিক চলন দুই প্রকার।
অনুকূল অভিকর্যবর্তী : উদ্ভিদের মূল সবসময় অভিকর্ষের টানে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয়।
প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী : উদ্ভিদের বিটপ পৃথিবীর ভরকেন্দ্রের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়।
2. পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমােনগুলির কাজ উল্লেখ করাে।

 

    Answer :
পিটুইটারি অগ্রখণ্ড থেকে ক্ষরিত হরমােন :
হরমােন  কাজ
1) সােমাটোট্রফিক হরমােন (STH)বা গ্রোথ হরমােন (GH) —   অস্থি ও পেশির বৃদ্ধি ঘটানাে কম ক্ষরণে বামনত্ব ও অধিক ক্ষরণে অতিকায়ত্ব হয়।
2) থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমােন (TSH)  —  থাইরয়েড গ্রন্থিকে হরমােন ক্ষরণে উদ্দীপনা দান। কম ক্ষরণে থাইরক্সিন ক্ষরন কমে এবং বেশি ক্ষরণে থাইরক্সিন ক্ষরণ বাড়ে।
3) অ্যাড্রিনােকর্টিকো ট্রফিক হরমােন (ACTH)  —  অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কর্টেক্স অলকে হরমােন ক্ষরণে উদ্দীপনা দান করে। অধিক ক্ষরণে কুশিং বর্ণিত রােগ হয়।
4) ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমােন (FSH)–    গ্রাফিয়ান ফলিকল-এর বৃদ্ধি ও হরমােন ক্ষরণে উদ্দীপনা দান করে। কম ক্ষরণে ডিম্বানু নিঃসরণ হয় না। ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ হাস পায়।
5) লিউনাইজিং হরমােন (LH)  —  পীতগ্রন্থি গঠন ও হরমােন ক্ষরণে উদ্দীপনা দান। শুক্রাশয়ের লেডিগের কোশকে হরমােন ক্ষরণে উদ্দীপনা দান।
6) প্রােল্যাকটিন–    মাতৃদেহের স্তন দুগ্ধ ক্ষরণে সাহায্য করে।

 

পিটুইটারির পশ্চাৎ খণ্ড থেকে ক্ষরিত হরমােন :
হরমােন কাজ
1) অ্যান্টি ডাইইউরেটিক হরমােন (ADH) বা ভেসােপ্রেসিন –   বৃক্ক নালিকায় জলের পুনঃ শােষণে বিশেষ ভূমিকা । গ্রহণ করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কম ক্ষরণে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস রােগ হয়।
2) অক্সিটোসিন –   পূর্ণ গর্ভবস্থায় জরায়ুর সংকোচন ঘটিয়ে শিশুর জন্ম হতে সহায়তা করে। দুগ্ধ নিঃসরণেও এর ভূমিকা আছে। কম ক্ষরণে জরায়ুর সংকোচন হাস পায়।
3. একটি নিউরােনের চিত্র অঙ্কন করে যে কোন এটি অংশ চিহ্নিত করাে।
Answer : বই দেখে নিজেরা করাে।
4. অ্যামিবার গমন পদ্ধতির বিবরণ দাও। সিলিয়ার সাহায্যে প্যারামেসিয়াম-র গমন সংক্ষেপে উল্লেখ করাে।

 

    Answer : অ্যামিবা, এন্টামিবা প্রভৃতি এককোশী প্রাণীর গমন অঙ্গ হল সিউডােপােডিয়া বা ক্ষণপদ। দেহমধ্যস্থ প্রােটোপ্লাজমের ঘনত্বের পরিবর্তনের মাধ্যমে অ্যামিবা দেহের পরিধির দিকে অস্থায়ী পদে বা ক্ষণপদ সৃষ্টি করে। ক্ষণপদটি ধীরে ধীরে বর্ধিত হয়। এবং এর আঠালাে অগ্রভাগটি কোনাে কঠিন বস্তুর সঙ্গে আটকে দেয়। এরপর দেহমধ্যস্থ প্রােটোপ্লাজম ওই ক্ষণপদের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রবাহিত করে ও পশ্চাদ্ভাগ ক্রমশ গুটিয়ে আনে। অবশেষে ক্ষণপদ অবলুপ্ত হয়। প্রাণীটি সামনের দিকে কিছুটা এগিয়ে যায়। এইভাবে পর্যায়ক্রমে ক্ষণপদ গঠনের মাধ্যমে প্রাণীটি স্থান পরিবর্তন করে। অ্যামিবার গমন পদ্ধতিকে অ্যামিবয়েড গমন পদ্ধতি বলে।
প্যারামেসিয়ামের গমন অঙ্গ সিলিয়া এবং এন্টামিবার গমন অঙ্গ হল ক্ষণপদ।
প্যারামেসিয়াম-এর গমন পদ্ধতি :
প্যারামেসিয়াম-এর সিলিয়া অনুদৈর্ঘ্য সারিতে সমগ্র দেহে বিন্যস্ত থাকে। এর সাহায্যে দু-রকম পদ্ধতিতে তারা গমন সম্পন্ন করে, যথা—ক্রিপিং বা হামাগুড়ি এবং সন্তরণ। উভয় প্রকার গমনই সিলিয়ার আন্দোলনের ফলে হয়।
ক্রিপিং বা হামাগুড়ি পদ্ধতিতে দেহের একদিকের সিলিয়ার সাহায্যে (মেটাক্রোনাস ছন্দে) কোনাে তলের ওপর গ্লাইডিং পদ্ধতিতে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন। করে। সাধারণত দেহে যে প্রান্তে সাইটোস্টোম থাকে, সেইদিকের সিলিয়াই এই কাজে ব্যবহৃত হয়
সন্তরণ পদ্ধতিতে গমনের সময় সিলিয়ার বক্ৰচলনের মাধ্যমে সক্রিয় ঘাত ও প্রত্যাবর্তন ঘাতের দ্বারা জলের মধ্যে আঘাত সৃষ্টি করে। সক্রিয় ঘাত প্রাণীটিকে সামনের দিকে এগােতে সাহায্য করে, আবার রিকভারি বা প্রত্যাবর্তন ঘাতের সাহায্যে সিলিয়া আগের অবস্থানে ফিরে আসে। এভাবে পর্যায়ক্রমে মেটাক্রোনাস ও সিনক্রোনাস বিচলনের মাধ্যমে প্রাণীটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এইভাবে সিলিয়া একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে।
5. মাছের গমনে সাহায্যকারী অঙ্গগুলির নাম লেখাে। মানুষের গমনে সাহায্যকারী | অস্থিপেশির নাম ও ভূমিকা লেখাে।
 Answer : মাছের গমনে সাহায্যকারী অঙ্গগুলির নাম হল—সাতটি রশ্মিযুক্ত পাখনা ও মায়ােটাম পেশি।
মানুষের গমনে বিভিন্ন কঙ্কালপেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—

 

কঙ্কাল পেশির প্রকৃতি  ও  কাজ:-
1) ফ্লেক্সর :-   এই ধরনের পেশি সংশ্লিষ্ট অঙ্গকে দু-ভাঁজ করে অর্থাৎ, পেশির একাংশ অপর অংশের ওপর বেঁকে যায়। পেশির এই ক্রিয়াকে ফ্লেক্সন বলে।
2) এক্সটেনশর  :-  এই ধরনের পেশি অঙ্গকে প্রসারিত করে বা ছড়িয়ে দেয়। পেশির এই ক্রিয়াকে এক্সটেনশন বলে।
3) অ্যাবডাকটর :-   এই পেশি দেহ অক্ষ থেকে দেহ অঙ্গগুলিকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। পেশির এই ক্রিয়াকে অ্যাবডাকশন বলে।
4) অ্যাডাক্টর:-    এই পেশি কোনাে অঙ্গকে দেহঅক্ষের দিকে টেনে আনে। পেশির এই ক্রিয়াকে অ্যাডাকশন বলে।
5) রােটেটর :-   এই পেশি কোনাে অঙ্গকে প্রধান দেহ অক্ষের চারপাশে বা ডান বা বামদিকে বাঁকাতে পারে। পেশির এই ক্রিয়াকে রােটেশন বলে।

=============================================================================================================

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-2

জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমম্বয়-(প্রথম অধ্যায়)-আরো প্রশ্নোত্তর-PART-3

MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ-PART-4

================================================================================

©kamaleshforeducation.in(2023)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!