জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – MCQ প্রশ্ন ও উত্তর |
- ‘ আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন – দিনটিকে সবচেয়ে দুঃখের দিন মনে হয়েছিল , সেটি ছিল –
(A) ছোটোমাসির বিয়ের দিন
(B) মামাবাড়িতে আসার দিন
(C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন
(D) মামাবাড়ি থেকে চলে যাওয়ার দিন
Ans: (C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন
- ‘ কীরে তোর যে দেখি পারা ভারী হয়ে নেয়া শব্দের অর্থ হল—
(A) কে পা মোটা হয়ে যাওয়া
(B) গম্ভীর হয়ে যাওয়া
(C) ভারিক্কি হয়ে যাওয়া
(D) অহংকারী হয়ে যাওয়া
Ans: (D) অহংকারী হয়ে যাওয়া
- ‘ ছাপা হয় হোক , না হয় না হোক ।’— এর মধ্যে তপনের যে – মানসিকতা প্রকাশ পায় , তা হল
(A) মরিয়া
(B) বিরক্তি
(C) দুঃখ
(D) অভিমান
Ans: (A) মরিয়া
- তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয় । যা না – শোনার কথা বলা হয়েছে , তা হল –
(A) সে গল্প লিখতে পারে না
(B) ছোটোমেসো গল্প লিখে দিয়েছেন
(C) ছোটোমাসি সুপারিশ করেছেন
(D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন
Ans: (D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন
- ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! ‘ — যে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে , তা হল—
(A) নিজের গল্প ছাপা না – হওয়া
(B) নিজের গল্পে অন্যের ্যর লেখা লাইন পড়াশোন
(C) বাড়ির লোকেদের ঠাট্টাতামাশা
(D) নিজের গল্প লিখতে না – পারা
Ans: (B) নিজের গল্পে অন্যের ্যর লেখা লাইন পড়াশোন
- তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা , কিন্তু যখন দেখে মেসোর মুখে করুণার ছাপ , তখন আহ্লাদে _____ হয়ে যায় ।
(A) আনন্দিত
(B) দুঃখিত
(C) কাঁদো কাঁদো
(D) বিহ্বল
Ans: (C) কাঁদো কাঁদো
- ছোটো মেসোমশাই তপনের গল্প হাতে পেয়ে কী বলেছিলেন ?
(A) এমন চমৎকার গল্প আগে কখনও পড়েননি
(B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশান ‘ করতে হবে
(C) তোমার এখন পড়াশোনা করার বয়স , তাই করো
(D) গল্পটা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে ছাপাতে দেবেন
Ans: (B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশান ‘ করতে হবে
- গল্প পড়ার পর তপন সংকল্প করে –
(A) আর কোনোদিন গল্প লিখবে না
(B) আরও বেশি করে গল্প লিখবে
(C) ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে
(D) নিজের পয়সা দিয়ে নিজের গল্প ছাপবে
Ans: (C) ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে
- ‘ চায়ের টেবিলে তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে’
(A) সকালে
(B) বিকালে
(C) সন্ধ্যায়
(D) রাতে
Ans: (B) বিকালে
- ‘ কই পড্ ? লজ্জা কী ? পড় , সবাই শুনি ।’— কথাটা বলেছিলেন—
(A) কাকা
(B) বাবা
(C) মা
(D) ছোটোমাসি
Ans: (C) মা
- ছোটোমাসি আর মেসো একদিন বেড়াতে এল , হাতে এক সংখ্যা –
(A) আনন্দধারা
(B) সন্ধ্যাতারা
(C) বঙ্গবাণী
(D) সাহিত্যসন্ধ্যা
Ans: (B) সন্ধ্যাতারা
- ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের রচয়িতা
(A) মহাশ্বেতা দেবী
(B) আশাপূর্ণা দেবী
(C) অনিমা দেবী
(D) লীলা মজুমদার
Ans: (A) মহাশ্বেতা দেবী
- ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।’- কথাটা হল
(A) তপনের মামা একজন লেখক
(B) তপনের লেখা ছাপা হয়েছে
(C) তপনের মেসো একজন লেখক
(D) সবাই তপনের গল্প শুনে হেসেছে
Ans: (C) তপনের মেসো একজন লেখক
- ‘ চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়া ‘ – এর অর্থ হল
(A) চোখ পাকানো
(B) চোখ গোল গোল হয়ে যাওয়া
(C) অবাক হয়ে যাওয়া
(D) রেগে যাওয়া
Ans: (C) অবাক হয়ে যাওয়া ।
- তপনের নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন
(A) অভিনেতা
(B) চিত্রপরিচালক
(C) খেলোয়াড়
(D) লেখক
Ans: (D) লেখক
- ঠিক ছোটোমামাদের মতোই খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবল আড্ডা – তর্কের পর শেষপর্যন্ত ‘ এ দেশের কিছু হবে না ‘ বলে মেসোমশাই—
(A) ঘুমিয়ে পড়েন
(B) লিখতে বসেন
(C) সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান
(D) সিগারেট ধরান
Ans: (C) সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান
- নতুন মেসোকে দেখে তপনের –
(A) জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল
(B) দমবন্ধ হয়ে এল
(C) আনন্দ হল
(D) গলা বুজে এল
Ans: (A) জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল
- তপনের অবাক হওয়ার কারণ ছিল –
(A) সে কখনও মেসোমশাইকে দ্যাখেনি
(B) সে কখনও কোনো লেখককে দ্যাখেনি
(C) সে নিজে গল্প লিখে ফেলেছিল
(D) তার গল্প ছাপা হয়েছিল
Ans: (B) সে কখনও কোনো লেখককে দ্যাখেনি
- ‘ এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের । — তপনের সন্দেহের বিষয়টি হল –
(A) লেখকরা ভারি অহংকারী হয় ।
(B) ছোটোমাসির বিয়েতে আদৌ কোনো ঘটা হয়েছিল কিনা
(C) নতুন মেসোমশাই প্রকৃতই একজন লেখক কিনা
(D) লেখকরা তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ
Ans: (D) লেখকরা তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ
- তপন মূলত মামার বাড়ি এসেছে—
(A) গরমের ছুটি উপলক্ষ্যে
(B) পুজোর ছুটি কাটাতে
(C) বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র প্রকাশ উপলক্ষ্যে
Ans: (C) বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে
- ‘ তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক’দিন ।’— মেসোর শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকার কারণ
(A) তাঁর গরমের ছুটি চলছিল
(B) তাঁর সেখানে কাজ ছিল
(C) তিনি নিরিবিলিতে গল্প লিখতে চেয়েছিলেন
(D) তপন তাঁকে থাকতে অনুরোধ করেছিল
Ans: (A) তাঁর গরমের ছুটি চলছিল
- ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে গরমের ছুটি চলছিল—
(A) তপনের
(B) ছোটোমাসির
(C) ছোটোমেসোর
(D) তপন ও ছোটোমেসোর
Ans: (C) ছোটোমেসোর
- তপনের মেসোমশাই পেশাগত দিক থেকে যা ছিলেন—
(A) রাজনীতিবিদ
(B) চিকিৎসক
(C) সম্পাদক
(D) অধ্যাপক
Ans: (D) অধ্যাপক
- আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন … এখানে যে – সুযোগের কথা বলা হয়েছে , তা হল—
(A) মামার বাড়িতে থাকার সুযোগ
(B) গল্প লেখার সুযোগ
(C) জলজ্যান্ত লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ
(D) ছুটির সুযোগ
Ans: (C) জলজ্যান্ত লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ
- “ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন যা দেখতে পাচ্ছে , তা হল –
(A) গল্প লেখা কত কঠিন
(B) চেনাজানা না থাকলে গল্প ছাপানো যায় না
(C) নতুন মেসোমশাই ভারি ঘুমকাতুরে
(D) লেখক মানে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়
Ans: (D) লেখক মানে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়
- তপন প্রথম কী লিখেছিল ?
(A) গল্প
(B) উপন্যাস
(C) প্রবন্ধ
(D) গল্প
Ans: (A) গল্প
- তপনের লেখা ছোটোমেসোর হাতে পৌঁছে দেয়—
(A) তপন নিজেই
(B) তপনের মা
(C) তপনের ছোটোমামা
(D) তপনের ছোটোমাসি
Ans: (D) তপনের ছোটোমাসি
- ‘ আর সেই সুযোগেই দিব্যি একখানি দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন। সুযোগটি হল—
(A) গরমের ছুটি
(B) পুজোর ছুটি
(C) বিয়ের জন্য নেওয়া ছুটি
(D) বেড়াতে যাওয়ার ছুটি
Ans: (A) গরমের ছুটি
- ‘ ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয় ।’— এখানে ‘ সেইদিকে ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে—
(A) তিনতলার সিঁড়ির দিকে
(B) ছোটোমেসোর দিকে
(C) তপনের পড়ার ঘরের দিকে
(D) মেজোকাকুর দিকে
Ans: (B) ছোটোমেসোর দিকে
- তপনের ছোটোমাসি যখন ছোটোমেসোর দিকে ধাবিত হয় , মেসো তখন
(A) লিখছিলেন
(B) দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন
(C) টিভি দেখছিলেন
(D) খবরের কাগজ পড়ছিলেন
Ans: (B) দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন ।
- ‘ তপন অবশ্য ‘ না – আ – আ’- করে প্রবল আপত্তি তোলে ।’ তপন যে বিষয়ে আপত্তি তোলে , তা হল
(A) তার লেখা গল্প ছোটোমেসোকে দেখানো
(B) অসময়ে ছোটোমেসোর ঘুম ভাঙানো
(C) ছোটোমাসির শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়া
(D) তার লেখা ছাপতে দেওয়া
Ans: (A) তার লেখা গল্প ছোটোমেসোকে দেখানো
- মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়
(A) তপন
(B) মা
(C) ছোটোমেসো
(D) ছোটোমামা
Ans: (A) তপন
- রত্নের মূল্য –
(A) দস্যুর কাছে
(B) জহুরির কাছে
(C) রত্নাকরের কাছে
(D) নারীর কাছে
Ans: (B) জহুরির কাছে
- ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ।’ — এখানে ‘ রত্ন ‘ ও ‘ জহুরি ‘ হল –
(A) তপন ও ছোটোমাসি
(B) তপন ও ছোটোমেসো
(C) তপন ও ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদক
(D) তপন ও মেজোকাকু ‘
Ans: (B) তপন ও ছোটোমেসো
- মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা ।’— উপযুক্ত কাজটি হল –
(A) গল্প লিখে দেওয়া
(B) তপনকে গল্প লেখা শিখিয়ে দেওয়া
(C) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া
(D) তপনকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া
Ans: (C) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া
- যে – পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল , সেই পত্রিকার নাম –
(A) শুকতারা
(B) নক্ষত্র
(C) ধ্রুবতারা
(D) সন্ধ্যাতারা
Ans: (D) সন্ধ্যাতারা
- ‘ তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে । এখানে বক্তা হল –
(A) তপন
(B) ছোটোমামা
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(D) ছোটোমেসো
Ans: (A) তপন
- ‘ তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে । যাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলা হয়েছে , সে হল –
(A) তপন
(B) ছোটোমেসো
(C) ছোটোমাসি
(D) ছোটোমামা
Ans: (A) তপন
- তপনের লেখাটা ছাপতে দেওয়ার আগে যা করা দরকার , তা –
(A) নতুন করে লেখা
(B) টাইপ করিয়ে নেওয়া
(C) একটু কারেকশন করা
(D) পরিষ্কার হাতের লেখায় লেখা
Ans: (C) একটু কারেকশন করা
- ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা । যে বিষয়টিকে তপন ঠাট্টা বলে মনে করে , তা হল –
(A) তার লেখা গল্প ছাপতে দেওয়া
(B) তার লেখা গল্প ছাপার অযোগ্য
(C) ছোটোমেসোর অনেক বই ছাপা হয়েছে
(D) ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছে
Ans: (A) তার লেখা গল্প ছাপতে দেওয়া
- তপন দ্যাখে মেসোর মুখে –
(A) ঠাট্টার আভাস
(B) বিষাদের ছায়া
(C) বিরক্তির প্রকাশ
(D) করুণার ছাপ
Ans: (D) করুণার ছাপ
- তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় । এখানে যার কথা বলা হয়েছে , সে হল –
(A) ছোটোমাসি
(B) তপন
(C) মেজোকাকু
(D) মা
Ans: (B) তপন
- ‘ আমি বললে সন্ধ্যাতারার সম্পাদক না করতে পারবে না। এখানে বক্তা হলেন –
(A) তপনের বাবা
(B) তপনের ছোটোমামা
(C) তপনের মেজোকাকু
(D) তপনের ছোটোমেসো
Ans: (D) তপনের ছোটোমেসো
- তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা উঠেছিল—
(A) বৈঠকখানায়
(B) বিকেলে চায়ের টেবিলে
(C) রাতে খাবার টেবিলে
(D) দুপুরে খাবার টেবিলে
Ans: (B) বিকেলে চায়ের টেবিলে
- তপনের গল্প শুনে সবাই –
(A) হাসে
(B) দুঃখ পায়
(C) বিরক্ত হয়
(D) রেগে যায়
Ans: (A) হাসে
- ‘ না না আমি বলছি- তপনের হাত আছে ।’— এখানে তপনের ‘ হাত আছে বলতে বোঝানো হয়েছে—
(A) তপনের লেখার হাত আছে
(B) বিয়েবাড়িতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় তপনের ভূমিকা আছে (C) তপনের বেহালা বাজানোর হাত আছে
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় লেখা ছাপানোয় তপনের হাত আছে
Ans: (A) তপনের লেখার হাত আছে
- না – না আমি বলছি- তপনের হাত আছে ।’- এখানে বক্তা হলেন
(A) তপনের ছোটোমেসো
(B) তপনের ছোটোমাসি
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(D) তপনের মেজোকাকু
Ans: (A) তপনের ছোটোমেসো
- সাধারণত তপনের বয়সি ছেলেমেয়েদের লেখা গল্পের বিষয় হয় –
(A) রুপকথা
(B) ভৌতিক ঘটনা
(C) খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট অথবা না – খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ।
(D) ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা
Ans: (A) রুপকথা
- তপন যে – বিষয়টি নিয়ে গল্প লেখে সেটি হল –
(A) খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট
(B) ওর ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
(C) ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা
(D) রূপকথা
Ans: (B) ওর ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
- ‘ তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায় । – তপনের দৃষ্টিতে যা ছিল , তা হল –
(A) কষ্ট
(B) অবিশ্বাস
(C) রাগ
(D) দুঃখ
Ans: (B) অবিশ্বাস
- ছুটি ফুরোলে গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন –
(A) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(B) তপনের মেজোকাকু
(C) তপনের ছোটোমাসি
(D) তপনের ছোটোমেসো
Ans: (D) তপনের ছোটোমেসো
- মেসো চলে গেলে তপন বসে বসে দিন গোনে
(A) উদ্বিগ্ন হয়ে
(B) আতঙ্কিত হয়ে
(C) কৃতার্থ হয়ে
(D) আনন্দিত হয়ে
Ans: (C) কৃতার্থ হয়ে
- ছেলেবেলা থেকেই তপন গল্প শুনেছে—
(A) একটা – আধটা
(B) রাশি রাশি
(C) বাবার মুখে
(D) ঠাকুমার মুখে
Ans: (B) রাশি রাশি
- এখন তপন গল্প পড়ছে—
(A) রাশি রাশি
(B) ঝুড়ি ঝুড়ি
(C) বস্তা বস্তা
(D) হাতে গোনা
Ans: (C) বস্তা বস্তা
- শুধু এইটাই জানা ছিল না । অজানা বিষয়টি হল
(A) মেসো একজন লেখক
(B) তার গল্প ছাপা হবে
(C) মানুষই গল্প লেখে
(D) সে গল্প লিখতে পারে
Ans: (C) মানুষই গল্প লেখে
- তপন আস্তে আস্তে উঠে গেল –
(A) চিলেকোঠায়
(B) তিনতলার সিঁড়িতে
(C) দোতলার সিঁড়িতে
(D) ছাদে
Ans: (B) তিনতলার সিঁড়িতে
- তপন আস্তে আস্তে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গেল ( ক ) ভোরবেলা ও বিকেলবেলা দুপুরবেলা ( ঘ ) সন্ধেবেলা ১.৫৪ তপন আস্তে আস্তে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গেল—
(A) ব্যাটবল নিয়ে
(B) রং – তুলি নিয়ে
(C) গুলতি নিয়ে l
(D) খাতা – কলম নিয়ে
- বিয়েবাড়িতেও তপনের মা যেটি না – আনিয়ে ছাড়েননি , সেটি
(A) বেনারসি শাড়ি
(B) সোনার গয়না
(C) পড়ার বই
(D) হোমটাস্কের খাতা
Ans: (D) হোমটাস্কের খাতা
- গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের ।’- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল –
(A) অন্ধকারে কাউকে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে
(B) নিজের লেখা গল্প পড়ে
(C) ছাপার হরফে নিজের লেখা পড়ে
(D) নিঝুম দুপুরে একলা ঘরে ভূতের গল্পঃ পড়ে
Ans: (B) নিজের লেখা গল্প পড়ে
- মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল –
(A) ছোটোমাসির
(B) তপনের
(C) ছোটোমেসোর
(D) তপনের মায়ের
Ans: (B) তপনের
- তপন গল্প লিখে প্রথম জানিয়েছিল
(A) ছোটোমামাকে
(B) ছোটোমেসোকে
(C) ছোটোমাসিকে
(D) ছোটকাকাকে
Ans: (C) ছোটোমাসিকে
- তপনের চিরকালের বন্ধু –
(A) মা
(B) ছোটমাসি
(C) বাবা
(D) ছোটমামা
Ans: (B) ছোটমাসি
- ছোটোমাসি তপনের থেকে বড়ো ছিল—
(A) পাঁচ বছরের
(B) আট বছরের
(C) সাত বছরের
(D) দশ বছরের
Ans: (B) আট বছরের
- মামার বাড়ি এলে তপনের সব কিছুই –
(A) দাদুর কাছে
(B) দিদার কাছে
(C) ছোটোমামার কাছে
(D) ছোটোমাসির কাছে
Ans: (D) ছোটোমাসির কাছে
- বিয়ের পর ছোটোমাসি হয়ে গেছে –
(A) একটু মুরুব্বি মুরুব্বি
(B) একটু মোটা
(C) একটু গম্ভীর
(D) একটু রোগা
Ans: (A) একটু মুরুব্বি মুরুব্বি
- ওমা এ তো বেশ লিখেছিস রে ? ‘ – এখানে বক্তা
(A) তপনের ছোটোমামা
(B) তপনের মেজোকাকু
(C) তপনের ছোটোমাসি
(D) তপনের ছোটোমেসো
Ans: (C) তপনের ছোটোমাসি
- ‘ কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো ? — এ কথা বলেছেন
(A) মা ছোটোমাসিকে
(B) ছোটোমাসি মাকে
(C) ছোটোমাসি তপনকে
(D) ছোটোমেসো তপনকে
Ans: (D) ছোটোমেসো তপনকে
- ঠাট্টা – তামাশার মধ্যেই তপন গল্প লিখে ফ্যালে আরও—
(A) দু – তিনটে
(B) তিন – চারটে
(C) পাঁচটা
(D) একটা
Ans: (A) দু – তিনটে
- ‘ যেন নেশায় পেয়েছে ।’— যাকে নেশায় পেয়েছে , সে হল –
(A) ছোটোমামা
(B) তপন
(C) ছোটোমেসো
(D) বাবা
Ans: তপন ।
- ‘ যেন নেশায় পেয়েছে ।’— তপনকে কীসের নেশায় পেয়েছে ?
(A) ক্রিকেট খেলার
(B) গল্প লেখার
(C) গান শোনার
(D) টিভি দেখার
Ans: (B) গল্প লেখার
- ‘ এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা ।’— ঘটনাটি হল—
(A) ছোটোমাসির বিয়ে
(B) তপনের গল্প লেখা
(C) মেসোকে গল্প পড়ানো
(D) তপনের গল্প ছাপা হওয়া
Ans:
- ‘ বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের ।’- এর কারণ –
(A) ছোটোমাসি – মেসোর হঠাৎ আগমন
(B) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপার সম্ভাবনা
(C) দীর্ঘদিন পর তার চিরকালের বন্ধু ছোটমাসির সাথে দেখা হয়
(D) তার লুকিয়ে গল্পঃ লেখার কথা প্রকাশ্যে এসে যাওয়া ।
Ans: (A) ছোটোমাসি – মেসোর হঠাৎ আগমন
- ‘ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? ‘ — অলৌকিক ঘটনাটি হল –
(A) এক লেখকের সঙ্গে তপনের ছোটোমাসির বিয়ে হয়েছে
(B) বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(C) তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
(D) তপন দেখল ছাপানো গল্পের একটি লাইনও তার নিজের নয় ।
- তপনের সম্পূর্ণ নাম ছিল –
(A) তপনকান্তি রায়
(B) তপনকুমার রায়
(C) তপনকুমার সেন
(D) তপন রায়
Ans: (B) তপনকুমার রায়
- তপনের লেখা গল্পের নাম ছিল –
(A) প্রথম দিন
(B) প্রথম পরীক্ষা
(C) শেষ দিন
(D) শেষ রাত
Ans: (A) প্রথম দিন
- গল্প লেখার জন্য তপনের বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে –
(A) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(B) সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(C) কবি , গল্পকার , কথাশিল্পী
(D) কবি , নাট্যকার , ঔপন্যাসিক
Ans: (A) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
- ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— যে – কথাটি ছড়িয়ে পড়ে , সেটি হল—
(A) তপনের গল্প লেখার কথা
(B) তপনের গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছেপে বেরোনোর কথা
(C) তপনের লেখা ছোটোমেসোর কারেকশন করে দেওয়ার কথা
(D) তপনের পরীক্ষায় পাসের কথা
Ans: (C) তপনের লেখা ছোটোমেসোর কারেকশন করে দেওয়ার কথা
- আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম ।’- উক্তিটির বক্তা –
(A) ছোটোমাসি
(B) তপনের বন্ধুরা
(C) মেজোকাকু
(D) মেসো
Ans:
- তপনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ছোটোমাসি খায়—
(A) চা – বিস্কুট
(B) মাংস – ভাত
(C) ডিমভাজা আর চা
(D) কফি আর কেক
Ans: (C) ডিমভাজা আর চা
- তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসে ছোটোমেসো খান—
(A) শুধু কফি
(B) কেক আর কফি
(C) ডিমভাজা আর চা
(D) ডিমভাজা আর কফি
Ans:
- ‘ কই তুই নিজের মুখে একবার পড় তো তপন শুনি ।’— উদ্ধৃতিটির বক্তা
(A) তপন
(B) তপনের মা
(C) তপনের বাবা
(D) তপনের ছোটোমাসি
Ans: (B) তপনের মা
- ‘ বাবা , তোর পেটে পেটে এত ।’— এখানে ‘ তোর ’ বলতে বোঝানো হয়েছে
(A) তপনকে
(B) তপনের মেজোকাকুকে
(C) তপনের ছোটোমাসিকে
(D) তপনের বন্ধুকে
Ans: (A) তপনকে
- তপনের মেশোমশাই কোন্ পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন ?
(A) শুকতারা
(B) আনন্দমেলা
(C) সন্ধ্যাতারা
(D) দেশ
Ans: (C) সন্ধ্যাতারা
- তপনের লেখাটা নতুন করে নিজের পাকা হাতের কলমে লিখেছেন—
(A) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(B) তপনের ছোটোমেসো
(C) তপনের মেজোকাকু
(D) তপনের বাবা
Ans: (B) তপনের ছোটোমেসো
- তপন আর পড়তে পারে না কারণ –
(A) তার ঘুম পেয়েছিল
(B) তার কষ্ট হচ্ছিল
(C) তার রাগ হচ্ছিল
(D) তার বিরক্ত লাগছিল
Ans: (B) তার কষ্ট হচ্ছিল
- ‘ তপনের অপরিচিত ।’- যে – বস্তুর কথা বলা হয়েছে , তা হল –
(A) মেসোর পরিচয়
(B) তার নিজের লেখা গল্প
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদকের পরিচয়
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকাটি
Ans: (B) তার নিজের লেখা গল্প
- ‘ তবু ‘ ধন্যি ধন্যি ‘ পড়ে যায় ।’— ‘ ধন্যি ধন্যি ‘ – র অর্থ হল –
(A) প্রশংসা
(B) ব্যঙ্গ
(C) নিন্দা
(D) তামাশা
Ans: (A) প্রশংসা
- তপনের লেখক মেসোমশাই হলেন তার
(A) বড়োমাসির স্বামী
(B) মেজোমাসির স্বামী
(C) সেজোমাসির স্বামী
(D) ছোটোমাসির স্বামী
Ans: (D) ছোটোমাসির স্বামী
- তিনি নাকি বই লেখেন । তিনি হলেন
(A) তপনের নতুন মেসোমশাই
(B) তপনের বাবা
(C) তপন
(D)’ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
Ans: (A) তপনের নতুন মেসোমশাই
- অনেক বই ছাপা হয়েছে
(A) তপনের
(B) নতুন মেসোমশাইয়ের
(C) ছোটোমাসির
(D) মেজোকাকুর
Ans: (B) নতুন মেসোমশাইয়ের
- তপন কখনো এত কাছ থেকে –
(A) জলজ্যান্ত ভূত দেখেনি
(B) সমুদ্র দ্যাখেনি
(C) জলজ্যান্ত লেখক দ্যাখেনি
(D) ক্রিকেট ম্যাচ দ্যাখেনি ।
Ans: (C) জলজ্যান্ত লেখক দ্যাখেনি
- তপনের নতুন মেসোমশাই খবরের কাগজ নিয়ে গল্প আর তর্ক করেন –
(A) ছোটোমামাদের মতোই
(B) মা – মাসিদের মতোই
(C) কাগজের সম্পাদকের মতোই
(D) সাংবাদিকদের মতোই
Ans: (A) ছোটোমামাদের মতোই
জ্ঞানচক্ষু (গল্প) SAQ প্রশ্ন ও উত্তর |
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্প – SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Gyanchakshu Golpo Short Question and Answer :
- ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই । – কথাটির অর্থ কী ?
Ans: কেবলমাত্র গুণী ব্যক্তিই অপরের গুণের কদর করতে পারে । তাই তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত সমঝদার যদি কেউ থাকেন তবে তিনি তার লেখক মেসোমশাই ।
- তপনের গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই তাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন , গল্পটা ভালোই হয়েছে , একটু কারেকশন করে দিলে সেটা ছাপানোও যেতে পারে ।
- ‘ বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা কোন্ কথাটা ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে , এই কথাটা বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল ।
- তপনদের মতোই মানুষ ‘ — এ কথা বলার কারণ কী ?
Ans: লেখক যে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় আর সকলের মতোই সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এই সত্য টের পায় ।
- ‘ সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় — শোরগোলের কারণ কী ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে , এই শুনে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় ।
- ‘ তিনি নাকি বই লেখেন , ‘ — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: এখানে তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে বলেন— কী বলেন ?
Ans: মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে তপনের মাসিকে বলেন যে , তিনি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদককে বলে তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দেবেন ।
- ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে— কী ঘটেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।
- ‘ একটু ‘ কারেকশান ’ করে হয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে । –কে , কী ছাপানোর কথা বলেছেন ।
Ans: তপনের লেখক মেসোমশাই তপনের অপরিণত হাতের লেখা পর গল্পটি একটু ‘ কারেকশান ‘ ও ‘ ইয়ে করে ‘ ছাপানোর কথা বলেছেন ।
- ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটি কার লেখা ? এর উৎস উল্লেখ করো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটির উৎস হল তাঁর ‘ কুমকুম ‘ নামক ছোটোদের গল্পসংকলন ।
- ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল। কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?
Ans: লেখকরা ভিন্ন জগতের প্রাণী — এটিই ছিল তপনের ধারণা । কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক শুনে বিস্ময়ে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।
- ‘ তিনি নাকি বই লেখেন ।’— কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর সে জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক । এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ সত্যিকার লেখক ।’— এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের কোন্ ভাব প্রকাশিত হয়েছে বলে তোমার মনে হয় ?
Ans: এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে । লেখকরা আদৌ বাস্তব জগতের মানুষ নন – এই অলীক ভাবনা নতুন মেসোর সঙ্গে পরিচয়ে ভেঙে যাওয়াতেই এমন উক্তি ।
- ‘ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন । — কোন্ সুযোগে তপন কী দেখতে পাচ্ছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে তপন বুঝতে পারে লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় , তাদেরই মতো মানুষ ।
- ‘ তপনদের মতোই মানুষ ।’— এ কথা বলার কারণ কী ?
Ans: ছুটিতে মামার বাড়িতে এসে নতুন মেসোকে দেখে ও তাঁর লে সঙ্গে সময় কাটিয়ে তপনের বিশ্বাস হয় যে , লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় ; তাদের মতোই মানুষ ।
- তপনের মনে লেখক হওয়ার বাসনা জাগল কেন ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপন বুঝেছিল লেখকরা আসলে তাদের মতোই সাধারণ মানুষ । তাই উৎসাহিত তপন তার এতদিনের গল্প পড়ার ও শোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লেখক হতে চায় ।
- ‘ ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয় । — তপনের ছোটোমাসি কোন্দিকে ধাবিত হয়েছিলেন ?
Ans: তপন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে মাসিকে দেখায় । মাসি গল্পটিতে চোখ বুলিয়ে গল্পটির উৎকর্ষ বিচারের জন্য তপনের মেসো যেখানে ঘুমোচ্ছিলেন সেদিকে ধাবিত হয়েছিলেন ।
- ‘ তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।’— কে , কেন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ?
Ans: ছোটোমেসো তপনের লেখাটা ছাপানোর কথা বললে তপন প্রথমে সেটাকে ঠাট্টা বলে ভাবে । কিন্তু মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।
- ‘ মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা — উক্তিটি কার ? কোন্টা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ?
Ans: উক্তিটি তপনের ছোটোমাসির । তাঁর মতে , তপনের লেখা গল্পটা ছোটোমেসো যদি একটু কারেকশন করে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেন , তবে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ।
- ‘ না করতে পারবে না । ‘ – কে , কাকে , কী বিষয়ে না – করতে পারবে না ?
Ans: তপনের লেখক ছোটোমেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকার সম্পাদককে তপনের লেখা গল্পটা ছাপানোর জন্য অনুরোধ করলে সম্পাদকমশাই না করতে পারবেন না ।
- তপনের বয়সি আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের লেখার সঙ্গে তপনের লেখার তফাত কী ?
Ans: তপনের বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি , খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট অথবা না – খেতে পেয়ে মরা- এইসব বিষয়ে গল্প লেখে । কিন্তু তপনের লেখার বিষয় ছিল তার প্রথম দিন স্কুলে ভরতির অভিজ্ঞতা ।
- এটা খুব ভালো , ওর হবে । — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ?
Ans: তপন তার স্কুলে ভরতির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে = একটি গল্প লিখেছিল । মাসির মাধ্যমে লেখাটি তার লেখক মেসোর কাছে পৌঁছোলে সেটি পড়ে মেসো এমন মন্তব্য করেছেন ।
- ‘ নতুন মেসোকে দেখে জানলে সেটা।- তপন কী জেনেছিল ?
Ans: তপন ছোটো থেকেই বহু গল্প শুনেছে ও পড়েছে । কিন্তু সে জানত না যে , সাধারণ মানুষ সহজেই তা লিখতে পারে । নতুন মেসোকে দেখে সেটাই জানল ।
- ‘ মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল । — এর কারণ কী ছিল ?
Ans: নতুন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তপন নিজেই চেষ্টা করে একটা গল্প লিখে ফেলে । নিজের সৃষ্টিতে রোমাঞ্চিত হয়ে তার মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে ।
- ‘ ভালো হবে না বলছি ।’— কে , কাকে , কেন এই কথা বলেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্পটা কিছুটা পড়েই ছোটোমাসি তার প্রশংসা করেন । তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন লেখাটা অন্য কোনো স্থান থেকে টোকা কিনা । তখন বিরক্ত হয়ে তপন আলোচ্য উদ্ধৃতিটি করে ।
- ‘ কিন্তু গেলেন তো — গেলেনই যে ! – কার প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প সামান্য কারেকশন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছাপিয়ে দেবেন বলে ছোটোমেসো তা নিয়ে যান । তারপর অনেকদিন কেটে গেলেও সে – ব্যাপারে কোনো সংবাদ না পাওয়ায় এ কথা বলা খা হয়েছে ।
- ” যেন নেশায় পেয়েছে । কোন নেশার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে – গল্প লিখেছিল তা মাসির উৎসাহে মেসো ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন । এরপর থেকে ক তপনকে গল্প লেখার নেশায় পায় ।
- ‘ বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।- তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী ছিল ?
Ans: গল্প ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন অদৃশ্য থাকার পর হঠাৎই একদিন ছোটোমাসি ও মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন । তাতে তার গল্প ছাপার কথা ভেবে তপনের বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে ।
- পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? – এখানে কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ?
Ans: পত্রিকায় তপনকুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া এবং সেই পত্রিকা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকেই ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ।
- ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে । — কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখক মেসো তার একটি গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন । এই অবিশ্বাস্য , অভূতপূর্ব ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে ।
- ‘ বাবা , তোর পেটে পেটে এত ! ‘ — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিলেন ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাড়িময় শোরগোল পড়ে যায় । তখন তপনের মা এই কথাটি তপনের সুপ্ত প্রতিভা সম্পর্কে বলেন ।
- ‘ এর মধ্যে তপন কোথা ? ’ – উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
Ans: সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছেপে বেরোনো তপনের গল্পটা মেসোর হাতে পড়ে কারেকশনের নামে আগাগোড়াই পালটে যায় । বাড়ির সকলের অনুরোধে গল্পটা পড়তে গিয়ে তপন লেখার মধ্যে নিজেকে আর খুঁজে পায় না ।
- ‘ ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— কোন্ কথা ছড়িয়ে পড়ে ?
Ans: ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় তপনের গল্প প্রকাশকে কেন্দ্র করে বাড়িতে শোরগোল পড়লেও পরে জানা যায় যে , তার লেখাটি মেসো কারেকশন করে ছাপারে ব্যবস্থা করেছেন — এই কথাটিই ছড়িয়ে পড়ে ।
- তপনের লেখা সম্পর্কে তার বাবার কী বক্তব্য ।
Ans: তপনের বাবা মনে করেন , তপনের লেখক ছোটোমেসো তপনের লেখাটা কারেকশন করে দিয়েছিলেন বলেই এত সহজে সেটা পত্রিকায় ছাপানো সম্ভব হয়েছে ।
- তপনের লেখা পত্রিকায় ছেপে বেরোতে দেখে তার মেজোকাকু কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা ছেপে বেরোনোর কৃতিত্ব তপনকে না – দিয়ে মেজোকাকু ব্যঙ্গ করে বলেন , তাঁদের ওরকম লেখক – মেসোমশাই থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করে দেখতেন ।
- ‘ গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।- উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না – হতে পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা ছেপে বেরোলে যে – তীব্র আনন্দ হওয়ার কথা সেই আহ্লাদ খুঁজে পায় না তপন । তার কৃতিত্বের চেয়েও যেন বড়ো হয়ে ওঠে ছোটোমেসোর গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব ।
- ‘ বোবার মতো বসে থাকে / – কে , কেন বোবার মতো বসে থাকে ?
Ans: নিজের লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন । তাই স্তম্ভিত তপন তা দেখে বোবার মতো বসে থাকে ।
- ‘ তাই জানতো না’- কে , কী জানত না ?
Ans: জলজ্যান্ত একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় , ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন তাই জানত না ।
- ‘ তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে । – তপন ‘ বসে বসে দিন গোনে কেন ?
Ans: পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার আশায় তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে ।
- ‘ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল কেন ?
Ans: তপনের নিজের লেখা গল্প , যা কারেকশনের পর সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল তা পাঠ করে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ।
- ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের মেসো কোন্ মহত্ত্ব দেখিয়েছিলেন ?
Ans: লেখক মেসোমশাই সকলের সামনে তপনের গল্পের প্রশংসা করেন এবং গল্পটি সংশোধন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন ।
- ” তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায় , তপনের বই ফেলে রেখে যাওয়ার কারণ কী ?
Ans: পত্রিকায় গল্প প্রকাশিত হওয়ায় তপনের যে – আনন্দ হয়েছিল তা মুহূর্তেই স্তিমিত হয়ে যায় । কারেকশনের নামে তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে গেছে । তাই অভিমানে তপন বই ফেলে চলে যায় ।
- বইটা ফেলে রেখে তপন কী করে ?
Ans: বইটা ফেলে রেখে তপন ছাতে উঠে গিয়ে শার্টের তলাটা তুলে চোখের জল মোছে ।
- ‘ তপন আর পড়তে পারে না । – তপনের আর পড়তে না পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা গল্প পত্রিকায় ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে ছোটো মেসোমশাই তার লেখাটা পুরোটাই পালটে দিয়েছেন । তাই তপন আর পড়তে পারে না ।
- “ তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ! – দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ?
Ans: জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর তপন দেখে কারেকশনের নামে নতুন মেসো পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন । গল্পের স্বকীয়তা হারানোয় ব্যথিত তপনের সেই দিনটা সবচেয়ে দুঃখের মনে হয়েছে ।
- ‘ এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন , প্রশ্ন ২.৩৮ —সংকল্পটি কী ?
Ans: তপন সংকল্প করেছিল , ভবিষ্যতে যদি কখনও আর কোনো লেখা ছাপাতে হয় , তবে সে নিজে হাতে সেই লেখা পৌঁছে দিয়ে আসবে পত্রিকার অফিসে ।
- ‘ তপনকে যেন আর কখনো না শুনতে হয় ….. —এখানে কী শোনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না – হয় যে , অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে ।
- ” তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , — কীসের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গঙ্গে তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই নেই ।
- ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাটা- তপন কোন্ কথাকে প্রথমটায় ঠাট্টা ভেবেছিল ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাই যখন তপনকে জানান তার গল্প দিব্যি হয়েছে , এমনকি একটু সংশোধন করে দিলে ছাপতেও দেওয়া যায় তখন সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে না পেরে তপন এই কথাটাকে নিছক ঠাট্টা বলে মনে করেছিল ।
- ‘ দুপুরবেলা , সবাই যখন নিথর নিথর’- তখন তপন কী করেছিল ?
Ans: বিয়েবাড়ির দুপুরবেলা সবাই যখন নিথর , তখন তপন হোমটাস্কের খাতা নিয়ে তিনতলায় উঠে একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল ।
- ‘ না না আমি বলছি — তপনের হাত আছে – কখন বক্তা এ কথা বলেন ?
Ans: বিকেলে চায়ের টেবিলে তপনের গল্পের কথা শুনে সবাই হেসে ওঠায় লেখক মেসোমশাই এ কথা বলেন ।
- তপনের বাবা – কাকা – মামাদের সঙ্গে লেখক মেসোমশাইয়ের কী কী মিল আছে ?
Ans: তপনের বাবা – কাকা – মামাদের মতোই তার লেখক মেসোমশাইও দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , সময়মতো স্নান করেন , ঘুমোন , খবরের কাগজ পড়েন , এমনকি সিনেমাও দেখেন ।
- নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু গেল তপনের এখানে কোন জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: এখানে লেখকেরাও যে নিছক সুস্থ – স্বাভাবিক ও সাধারণ মানুষ , তপনের এই জ্ঞানলাভ ের কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ নতুন মেসোকে ’ দেখে তপন কী জেনেছিল ?
Ans: লেখকেরা যে অন্য গ্রহ থেকে পড়া কোনো জীব নয় , আর পাঁচ জনের মতোই নিছক সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এ কথাই জেনেছিল ।
- এর মধ্যে তপন কোথা ? – কেন এমন বলা হয়েছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইয়ের সংশোধনের পরে তপনের নামে প্রকাশিত গল্প তার কাছেই অপরিচিত ও নতুন হয়ে ওঠে । তাই এমন কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের / —কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?
Ans: লেখকদের যে বাস্তব জীবনে কখনও দেখা যেতে পারে , তাঁরাও যে তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ— সে – বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ।
- তপনের নতুন মেসোমশাই শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন কেন ?
Ans: তপনের নতুন মেসোমশাই একজন অধ্যাপক । এই সময় তাঁর কলেজে গরমের ছুটি থাকায় তিনি শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক – দিন ।
জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর
MCQ | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর
- ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের রচয়িতা
(A) মহাশ্বেতা দেবী
(B) আশাপূর্ণা দেবী
(C) অনিমা দেবী
(D) লীলা মজুমদার
Ans: (A) মহাশ্বেতা দেবী
- ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।’- কথাটা হল
(A) তপনের মামা একজন লেখক
(B) তপনের লেখা ছাপা হয়েছে
(C) তপনের মেসো একজন লেখক
(D) সবাই তপনের গল্প শুনে হেসেছে
Ans: (C) তপনের মেসো একজন লেখক
- ‘ চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়া ‘ – এর অর্থ হল
(A) চোখ পাকানো
(B) চোখ গোল গোল হয়ে যাওয়া
(C) অবাক হয়ে যাওয়া
(D) রেগে যাওয়া
Ans: (C) অবাক হয়ে যাওয়া ।
- তপনের নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন
(A) অভিনেতা
(B) চিত্রপরিচালক
(C) খেলোয়াড়
(D) লেখক
Ans: (D) লেখক
- তপনের লেখক মেসোমশাই হলেন তার
(A) বড়োমাসির স্বামী
(B) মেজোমাসির স্বামী
(C) সেজোমাসির স্বামী
(D) ছোটোমাসির স্বামী
Ans: (D) ছোটোমাসির স্বামী
- তিনি নাকি বই লেখেন । তিনি হলেন
(A) তপনের নতুন মেসোমশাই
(B) তপনের বাবা
(C) তপন
(D)’ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
Ans: (A) তপনের নতুন মেসোমশাই
- অনেক বই ছাপা হয়েছে
(A) তপনের
(B) নতুন মেসোমশাইয়ের
(C) ছোটোমাসির
(D) মেজোকাকুর
Ans: (B) নতুন মেসোমশাইয়ের
- তপন কখনো এত কাছ থেকে –
(A) জলজ্যান্ত ভূত দেখেনি
(B) সমুদ্র দ্যাখেনি
(C) জলজ্যান্ত লেখক দ্যাখেনি
(D) ক্রিকেট ম্যাচ দ্যাখেনি ।
Ans: (C) জলজ্যান্ত লেখক দ্যাখেনি
- তপনের নতুন মেসোমশাই খবরের কাগজ নিয়ে গল্প আর তর্ক করেন –
(A) ছোটোমামাদের মতোই
(B) মা – মাসিদের মতোই
(C) কাগজের সম্পাদকের মতোই
(D) সাংবাদিকদের মতোই
Ans: (A) ছোটোমামাদের মতোই
- ঠিক ছোটোমামাদের মতোই খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবল আড্ডা – তর্কের পর শেষপর্যন্ত ‘ এ দেশের কিছু হবে না ‘ বলে মেসোমশাই—
(A) ঘুমিয়ে পড়েন
(B) লিখতে বসেন
(C) সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান
(D) সিগারেট ধরান
Ans: (C) সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান
- নতুন মেসোকে দেখে তপনের –
(A) জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল
(B) দমবন্ধ হয়ে এল
(C) আনন্দ হল
(D) গলা বুজে এল
Ans: (A) জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল
[ আরোও দেখুন: Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click here ]
- তপনের অবাক হওয়ার কারণ ছিল –
(A) সে কখনও মেসোমশাইকে দ্যাখেনি
(B) সে কখনও কোনো লেখককে দ্যাখেনি
(C) সে নিজে গল্প লিখে ফেলেছিল
(D) তার গল্প ছাপা হয়েছিল
Ans: (B) সে কখনও কোনো লেখককে দ্যাখেনি
- ‘ এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের । — তপনের সন্দেহের বিষয়টি হল –
(A) লেখকরা ভারি অহংকারী হয় ।
(B) ছোটোমাসির বিয়েতে আদৌ কোনো ঘটা হয়েছিল কিনা
(C) নতুন মেসোমশাই প্রকৃতই একজন লেখক কিনা
(D) লেখকরা তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ
Ans: (D) লেখকরা তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ
- তপন মূলত মামার বাড়ি এসেছে—
(A) গরমের ছুটি উপলক্ষ্যে
(B) পুজোর ছুটি কাটাতে
(C) বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র প্রকাশ উপলক্ষ্যে
Ans: (C) বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে
- ‘ তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক’দিন ।’— মেসোর শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকার কারণ
(A) তাঁর গরমের ছুটি চলছিল
(B) তাঁর সেখানে কাজ ছিল
(C) তিনি নিরিবিলিতে গল্প লিখতে চেয়েছিলেন
(D) তপন তাঁকে থাকতে অনুরোধ করেছিল
Ans: (A) তাঁর গরমের ছুটি চলছিল
- ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে গরমের ছুটি চলছিল—
(A) তপনের
(B) ছোটোমাসির
(C) ছোটোমেসোর
(D) তপন ও ছোটোমেসোর
Ans: (C) ছোটোমেসোর
- তপনের মেসোমশাই পেশাগত দিক থেকে যা ছিলেন—
(A) রাজনীতিবিদ
(B) চিকিৎসক
(C) সম্পাদক
(D) অধ্যাপক
Ans: (D) অধ্যাপক
- আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন … এখানে যে – সুযোগের কথা বলা হয়েছে , তা হল—
(A) মামার বাড়িতে থাকার সুযোগ
(B) গল্প লেখার সুযোগ
(C) জলজ্যান্ত লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ
(D) ছুটির সুযোগ
Ans: (C) জলজ্যান্ত লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ
- “ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন যা দেখতে পাচ্ছে , তা হল –
(A) গল্প লেখা কত কঠিন
(B) চেনাজানা না থাকলে গল্প ছাপানো যায় না
(C) নতুন মেসোমশাই ভারি ঘুমকাতুরে
(D) লেখক মানে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়
Ans: (D) লেখক মানে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়
- তপন প্রথম কী লিখেছিল ?
(A) গল্প
(B) উপন্যাস
(C) প্রবন্ধ
(D) কবিতা
Ans: (A) গল্প
- তপনের লেখা ছোটোমেসোর হাতে পৌঁছে দেয়—
(A) তপন নিজেই
(B) তপনের মা
(C) তপনের ছোটোমামা
(D) তপনের ছোটোমাসি
Ans: (D) তপনের ছোটোমাসি
- ‘ আর সেই সুযোগেই দিব্যি একখানি দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন। সুযোগটি হল—
(A) গরমের ছুটি
(B) পুজোর ছুটি
(C) বিয়ের জন্য নেওয়া ছুটি
(D) বেড়াতে যাওয়ার ছুটি
Ans: (A) গরমের ছুটি
- ‘ ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয় ।’— এখানে ‘ সেইদিকে ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে—
(A) তিনতলার সিঁড়ির দিকে
(B) ছোটোমেসোর দিকে
(C) তপনের পড়ার ঘরের দিকে
(D) মেজোকাকুর দিকে
Ans: (B) ছোটোমেসোর দিকে
- তপনের ছোটোমাসি যখন ছোটোমেসোর দিকে ধাবিত হয় , মেসো তখন
(A) লিখছিলেন
(B) দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন
(C) টিভি দেখছিলেন
(D) খবরের কাগজ পড়ছিলেন
Ans: (B) দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন ।
- ‘ তপন অবশ্য ‘ না – আ – আ’- করে প্রবল আপত্তি তোলে ।’ তপন যে বিষয়ে আপত্তি তোলে , তা হল
(A) তার লেখা গল্প ছোটোমেসোকে দেখানো
(B) অসময়ে ছোটোমেসোর ঘুম ভাঙানো
(C) ছোটোমাসির শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়া
(D) তার লেখা ছাপতে দেওয়া
Ans: (A) তার লেখা গল্প ছোটোমেসোকে দেখানো
- মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়
(A) তপন
(B) মা
(C) ছোটোমেসো
(D) ছোটোমামা
Ans: (A) তপন
- রত্নের মূল্য –
(A) দস্যুর কাছে
(B) জহুরির কাছে
(C) রত্নাকরের কাছে
(D) নারীর কাছে
Ans: (B) জহুরির কাছে
- ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ।’ — এখানে ‘ রত্ন ‘ ও ‘ জহুরি ‘ হল –
(A) তপন ও ছোটোমাসি
(B) তপন ও ছোটোমেসো
(C) তপন ও ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদক
(D) তপন ও মেজোকাকু ‘
Ans: (B) তপন ও ছোটোমেসো
- মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা ।’— উপযুক্ত কাজটি হল –
(A) গল্প লিখে দেওয়া
(B) তপনকে গল্প লেখা শিখিয়ে দেওয়া
(C) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া
(D) তপনকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া
Ans: (C) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া
- যে – পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল , সেই পত্রিকার নাম –
(A) শুকতারা
(B) নক্ষত্র
(C) ধ্রুবতারা
(D) সন্ধ্যাতারা
Ans: (D) সন্ধ্যাতারা
- ‘ তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে । এখানে বক্তা হল –
(A) তপন
(B) ছোটোমামা
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(D) ছোটোমেসো
Ans: (A) তপন
- ‘ তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে । যাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলা হয়েছে , সে হল –
(A) তপন
(B) ছোটোমেসো
(C) ছোটোমাসি
(D) ছোটোমামা
Ans: (A) তপন
- তপনের লেখাটা ছাপতে দেওয়ার আগে যা করা দরকার , তা –
(A) নতুন করে লেখা
(B) টাইপ করিয়ে নেওয়া
(C) একটু কারেকশন করা
(D) পরিষ্কার হাতের লেখায় লেখা
Ans: (C) একটু কারেকশন করা
- ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা । যে বিষয়টিকে তপন ঠাট্টা বলে মনে করে , তা হল –
(A) তার লেখা গল্প ছাপতে দেওয়া
(B) তার লেখা গল্প ছাপার অযোগ্য
(C) ছোটোমেসোর অনেক বই ছাপা হয়েছে
(D) ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছে
Ans: (A) তার লেখা গল্প ছাপতে দেওয়া
- তপন দ্যাখে মেসোর মুখে –
(A) ঠাট্টার আভাস
(B) বিষাদের ছায়া
(C) বিরক্তির প্রকাশ
(D) করুণার ছাপ
Ans: (D) করুণার ছাপ
- তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় । এখানে যার কথা বলা হয়েছে , সে হল –
(A) ছোটোমাসি
(B) তপন
(C) মেজোকাকু
(D) মা
Ans: (B) তপন
- ‘ আমি বললে সন্ধ্যাতারার সম্পাদক না করতে পারবে না। এখানে বক্তা হলেন –
(A) তপনের বাবা
(B) তপনের ছোটোমামা
(C) তপনের মেজোকাকু
(D) তপনের ছোটোমেসো
Ans: (D) তপনের ছোটোমেসো
- তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা উঠেছিল—
(A) বৈঠকখানায়
(B) বিকেলে চায়ের টেবিলে
(C) রাতে খাবার টেবিলে
(D) দুপুরে খাবার টেবিলে
Ans: (B) বিকেলে চায়ের টেবিলে
- তপনের গল্প শুনে সবাই –
(A) হাসে
(B) দুঃখ পায়
(C) বিরক্ত হয়
(D) রেগে যায়
Ans: (A) হাসে
- ‘ না না আমি বলছি- তপনের হাত আছে ।’— এখানে তপনের ‘ হাত আছে বলতে বোঝানো হয়েছে—
(A) তপনের লেখার হাত আছে
(B) বিয়েবাড়িতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় তপনের ভূমিকা আছে (C) তপনের বেহালা বাজানোর হাত আছে
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় লেখা ছাপানোয় তপনের হাত আছে
Ans: (A) তপনের লেখার হাত আছে
- না – না আমি বলছি- তপনের হাত আছে ।’- এখানে বক্তা হলেন
(A) তপনের ছোটোমেসো
(B) তপনের ছোটোমাসি
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(D) তপনের মেজোকাকু
Ans: (A) তপনের ছোটোমেসো
- সাধারণত তপনের বয়সি ছেলেমেয়েদের লেখা গল্পের বিষয় হয় –
(A) রুপকথা
(B) ভৌতিক ঘটনা
(C) খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট অথবা না – খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ।
(D) ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা
Ans: (A) রুপকথা
- তপন যে – বিষয়টি নিয়ে গল্প লেখে সেটি হল –
(A) খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট
(B) ওর ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
(C) ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা
(D) রূপকথা
Ans: (B) ওর ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
- ‘ তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায় । – তপনের দৃষ্টিতে যা ছিল , তা হল –
(A) কষ্ট
(B) অবিশ্বাস
(C) রাগ
(D) দুঃখ
Ans: (B) অবিশ্বাস
- ছুটি ফুরোলে গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন –
(A) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(B) তপনের মেজোকাকু
(C) তপনের ছোটোমাসি
(D) তপনের ছোটোমেসো
Ans: (D) তপনের ছোটোমেসো
- মেসো চলে গেলে তপন বসে বসে দিন গোনে
(A) উদ্বিগ্ন হয়ে
(B) আতঙ্কিত হয়ে
(C) কৃতার্থ হয়ে
(D) আনন্দিত হয়ে
Ans: (C) কৃতার্থ হয়ে
- ছেলেবেলা থেকেই তপন গল্প শুনেছে—
(A) একটা – আধটা
(B) রাশি রাশি
(C) বাবার মুখে
(D) ঠাকুমার মুখে
Ans: (B) রাশি রাশি
- এখন তপন গল্প পড়ছে—
(A) রাশি রাশি
(B) ঝুড়ি ঝুড়ি
(C) বস্তা বস্তা
(D) হাতে গোনা
Ans: (C) বস্তা বস্তা
- শুধু এইটাই জানা ছিল না । অজানা বিষয়টি হল
(A) মেসো একজন লেখক
(B) তার গল্প ছাপা হবে
(C) মানুষই গল্প লেখে
(D) সে গল্প লিখতে পারে
Ans: (C) মানুষই গল্প লেখে
- তপন আস্তে আস্তে উঠে গেল –
(A) চিলেকোঠায়
(B) তিনতলার সিঁড়িতে
(C) দোতলার সিঁড়িতে
(D) ছাদে
Ans: (B) তিনতলার সিঁড়িতে
- তপন আস্তে আস্তে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গেল ( ক ) ভোরবেলা ও বিকেলবেলা দুপুরবেলা ( ঘ ) সন্ধেবেলা ১.৫৪ তপন আস্তে আস্তে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গেল—
(A) ব্যাটবল নিয়ে
(B) রং – তুলি নিয়ে
(C) গুলতি নিয়ে l
(D) খাতা – কলম নিয়ে
- বিয়েবাড়িতেও তপনের মা যেটি না – আনিয়ে ছাড়েননি , সেটি
(A) বেনারসি শাড়ি
(B) সোনার গয়না
(C) পড়ার বই
(D) হোমটাস্কের খাতা
Ans: (D) হোমটাস্কের খাতা
- গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের ।’- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল –
(A) অন্ধকারে কাউকে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে
(B) নিজের লেখা গল্প পড়ে
(C) ছাপার হরফে নিজের লেখা পড়ে
(D) নিঝুম দুপুরে একলা ঘরে ভূতের গল্পঃ পড়ে
Ans: (B) নিজের লেখা গল্প পড়ে
- মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল –
(A) ছোটোমাসির
(B) তপনের
(C) ছোটোমেসোর
(D) তপনের মায়ের
Ans: (B) তপনের
- তপন গল্প লিখে প্রথম জানিয়েছিল
(A) ছোটোমামাকে
(B) ছোটোমেসোকে
(C) ছোটোমাসিকে
(D) ছোটকাকাকে
Ans: (C) ছোটোমাসিকে
- তপনের চিরকালের বন্ধু –
(A) মা
(B) ছোটমাসি
(C) বাবা
(D) ছোটমামা
Ans: (B) ছোটমাসি
- ছোটোমাসি তপনের থেকে বড়ো ছিল—
(A) পাঁচ বছরের
(B) আট বছরের
(C) সাত বছরের
(D) দশ বছরের
Ans: (B) আট বছরের
- মামার বাড়ি এলে তপনের সব কিছুই –
(A) দাদুর কাছে
(B) দিদার কাছে
(C) ছোটোমামার কাছে
(D) ছোটোমাসির কাছে
Ans: (D) ছোটোমাসির কাছে
- বিয়ের পর ছোটোমাসি হয়ে গেছে –
(A) একটু মুরুব্বি মুরুব্বি
(B) একটু মোটা
(C) একটু গম্ভীর
(D) একটু রোগা
Ans: (A) একটু মুরুব্বি মুরুব্বি
- ওমা এ তো বেশ লিখেছিস রে ? ‘ – এখানে বক্তা
(A) তপনের ছোটোমামা
(B) তপনের মেজোকাকু
(C) তপনের ছোটোমাসি
(D) তপনের ছোটোমেসো
Ans: (C) তপনের ছোটোমাসি
- ‘ কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো ? — এ কথা বলেছেন
(A) মা ছোটোমাসিকে
(B) ছোটোমাসি মাকে
(C) ছোটোমাসি তপনকে
(D) ছোটোমেসো তপনকে
Ans: (D) ছোটোমেসো তপনকে
- ঠাট্টা – তামাশার মধ্যেই তপন গল্প লিখে ফ্যালে আরও—
(A) দু – তিনটে
(B) তিন – চারটে
(C) পাঁচটা
(D) একটা
Ans: (A) দু – তিনটে
- ‘ যেন নেশায় পেয়েছে ।’— যাকে নেশায় পেয়েছে , সে হল –
(A) ছোটোমামা
(B) তপন
(C) ছোটোমেসো
(D) বাবা
Ans: তপন ।
- ‘ যেন নেশায় পেয়েছে ।’— তপনকে কীসের নেশায় পেয়েছে ?
(A) ক্রিকেট খেলার
(B) গল্প লেখার
(C) গান শোনার
(D) টিভি দেখার
Ans: (B) গল্প লেখার
- ‘ এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা ।’— ঘটনাটি হল—
(A) ছোটোমাসির বিয়ে
(B) তপনের গল্প লেখা
(C) মেসোকে গল্প পড়ানো
(D) তপনের গল্প ছাপা হওয়া
Ans:
- ‘ বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের ।’- এর কারণ –
(A) ছোটোমাসি – মেসোর হঠাৎ আগমন
(B) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপার সম্ভাবনা
(C) দীর্ঘদিন পর তার চিরকালের বন্ধু ছোটমাসির সাথে দেখা হয়
(D) তার লুকিয়ে গল্পঃ লেখার কথা প্রকাশ্যে এসে যাওয়া ।
Ans: (A) ছোটোমাসি – মেসোর হঠাৎ আগমন
- ‘ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? ‘ — অলৌকিক ঘটনাটি হল –
(A) এক লেখকের সঙ্গে তপনের ছোটোমাসির বিয়ে হয়েছে
(B) বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(C) তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
(D) তপন দেখল ছাপানো গল্পের একটি লাইনও তার নিজের নয় ।
- তপনের সম্পূর্ণ নাম ছিল –
(A) তপনকান্তি রায়
(B) তপনকুমার রায়
(C) তপনকুমার সেন
(D) তপন রায়
Ans: (B) তপনকুমার রায়
- তপনের লেখা গল্পের নাম ছিল –
(A) প্রথম দিন
(B) প্রথম পরীক্ষা
(C) শেষ দিন
(D) শেষ রাত
Ans: (A) প্রথম দিন
- গল্প লেখার জন্য তপনের বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে –
(A) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(B) সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(C) কবি , গল্পকার , কথাশিল্পী
(D) কবি , নাট্যকার , ঔপন্যাসিক
Ans: (A) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
- ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— যে – কথাটি ছড়িয়ে পড়ে , সেটি হল—
(A) তপনের গল্প লেখার কথা
(B) তপনের গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছেপে বেরোনোর কথা
(C) তপনের লেখা ছোটোমেসোর কারেকশন করে দেওয়ার কথা
(D) তপনের পরীক্ষায় পাসের কথা
Ans: (C) তপনের লেখা ছোটোমেসোর কারেকশন করে দেওয়ার কথা
- আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম ।’- উক্তিটির বক্তা –
(A) ছোটোমাসি
(B) তপনের বন্ধুরা
(C) মেজোকাকু
(D) মেসো
Ans:
- তপনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ছোটোমাসি খায়—
(A) চা – বিস্কুট
(B) মাংস – ভাত
(C) ডিমভাজা আর চা
(D) কফি আর কেক
Ans: (C) ডিমভাজা আর চা
- তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসে ছোটোমেসো খান—
(A) শুধু কফি
(B) কেক আর কফি
(C) ডিমভাজা আর চা
(D) ডিমভাজা আর কফি
Ans:
- ‘ কই তুই নিজের মুখে একবার পড় তো তপন শুনি ।’— উদ্ধৃতিটির বক্তা
(A) তপন
(B) তপনের মা
(C) তপনের বাবা
(D) তপনের ছোটোমাসি
Ans: (B) তপনের মা
- ‘ বাবা , তোর পেটে পেটে এত ।’— এখানে ‘ তোর ’ বলতে বোঝানো হয়েছে
(A) তপনকে
(B) তপনের মেজোকাকুকে
(C) তপনের ছোটোমাসিকে
(D) তপনের বন্ধুকে
Ans: (A) তপনকে
- তপনের মেশোমশাই কোন্ পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন ?
(A) শুকতারা
(B) আনন্দমেলা
(C) সন্ধ্যাতারা
(D) দেশ
Ans: (C) সন্ধ্যাতারা
- তপনের লেখাটা নতুন করে নিজের পাকা হাতের কলমে লিখেছেন—
(A) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(B) তপনের ছোটোমেসো
(C) তপনের মেজোকাকু
(D) তপনের বাবা
Ans: (B) তপনের ছোটোমেসো
- তপন আর পড়তে পারে না কারণ –
(A) তার ঘুম পেয়েছিল
(B) তার কষ্ট হচ্ছিল
(C) তার রাগ হচ্ছিল
(D) তার বিরক্ত লাগছিল
Ans: (B) তার কষ্ট হচ্ছিল
- ‘ তপনের অপরিচিত ।’- যে – বস্তুর কথা বলা হয়েছে , তা হল –
(A) মেসোর পরিচয়
(B) তার নিজের লেখা গল্প
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদকের পরিচয়
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকাটি
Ans: (B) তার নিজের লেখা গল্প
- ‘ তবু ‘ ধন্যি ধন্যি ‘ পড়ে যায় ।’— ‘ ধন্যি ধন্যি ‘ – র অর্থ হল –
(A) প্রশংসা
(B) ব্যঙ্গ
(C) নিন্দা
(D) তামাশা
Ans: (A) প্রশংসা
- ‘ আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন – দিনটিকে সবচেয়ে দুঃখের দিন মনে হয়েছিল , সেটি ছিল –
(A) ছোটোমাসির বিয়ের দিন
(B) মামাবাড়িতে আসার দিন
(C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন
(D) মামাবাড়ি থেকে চলে যাওয়ার দিন
Ans: (C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন
- ‘ কীরে তোর যে দেখি পারা ভারী হয়ে নেয়া শব্দের অর্থ হল—
(A) কে পা মোটা হয়ে যাওয়া
(B) গম্ভীর হয়ে যাওয়া
(C) ভারিক্কি হয়ে যাওয়া
(D) অহংকারী হয়ে যাওয়া
Ans: (D) অহংকারী হয়ে যাওয়া
- ‘ ছাপা হয় হোক , না হয় না হোক ।’— এর মধ্যে তপনের যে – মানসিকতা প্রকাশ পায় , তা হল
(A) মরিয়া
(B) বিরক্তি
(C) দুঃখ
(D) অভিমান
Ans: (A) মরিয়া
- তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয় । যা না – শোনার কথা বলা হয়েছে , তা হল –
(A) সে গল্প লিখতে পারে না
(B) ছোটোমেসো গল্প লিখে দিয়েছেন
(C) ছোটোমাসি সুপারিশ করেছেন
(D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন
Ans: (D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন
- ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! ‘ — যে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে , তা হল—
(A) নিজের গল্প ছাপা না – হওয়া
(B) নিজের গল্পে অন্যের ্যর লেখা লাইন পড়াশোন
(C) বাড়ির লোকেদের ঠাট্টাতামাশা
(D) নিজের গল্প লিখতে না – পারা
Ans: (B) নিজের গল্পে অন্যের ্যর লেখা লাইন পড়াশোন
- তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা , কিন্তু যখন দেখে মেসোর মুখে করুণার ছাপ , তখন আহ্লাদে _____ হয়ে যায় ।
(A) আনন্দিত
(B) দুঃখিত
(C) কাঁদো কাঁদো
(D) বিহ্বল
Ans: (C) কাঁদো কাঁদো
- ছোটো মেসোমশাই তপনের গল্প হাতে পেয়ে কী বলেছিলেন ?
(A) এমন চমৎকার গল্প আগে কখনও পড়েননি
(B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশান ‘ করতে হবে
(C) তোমার এখন পড়াশোনা করার বয়স , তাই করো
(D) গল্পটা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে ছাপাতে দেবেন
Ans: (B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশান ‘ করতে হবে
- গল্প পড়ার পর তপন সংকল্প করে –
(A) আর কোনোদিন গল্প লিখবে না
(B) আরও বেশি করে গল্প লিখবে
(C) ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে
(D) নিজের পয়সা দিয়ে নিজের গল্প ছাপবে
Ans: (C) ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে
- ‘ চায়ের টেবিলে তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে’
(A) সকালে
(B) বিকালে
(C) সন্ধ্যায়
(D) রাতে
Ans: (B) বিকালে
- ‘ কই পড্ ? লজ্জা কী ? পড় , সবাই শুনি ।’— কথাটা বলেছিলেন—
(A) কাকা
(B) বাবা
(C) মা
(D) ছোটোমাসি
Ans: (C) মা
- ছোটোমাসি আর মেসো একদিন বেড়াতে এল , হাতে এক সংখ্যা –
(A) আনন্দধারা
(B) সন্ধ্যাতারা
(C) বঙ্গবাণী
(D) সাহিত্যসন্ধ্যা
Ans: (B) সন্ধ্যাতারা
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer :
- ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটি কার লেখা ? এর উৎস উল্লেখ করো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটির উৎস হল তাঁর ‘ কুমকুম ‘ নামক ছোটোদের গল্পসংকলন ।
- ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল। কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?
Ans: লেখকরা ভিন্ন জগতের প্রাণী — এটিই ছিল তপনের ধারণা । কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক শুনে বিস্ময়ে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।
- ‘ তিনি নাকি বই লেখেন ।’— কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর সে জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক । এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ সত্যিকার লেখক ।’— এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের কোন্ ভাব প্রকাশিত হয়েছে বলে তোমার মনে হয় ?
Ans: এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে । লেখকরা আদৌ বাস্তব জগতের মানুষ নন – এই অলীক ভাবনা নতুন মেসোর সঙ্গে পরিচয়ে ভেঙে যাওয়াতেই এমন উক্তি ।
- ‘ এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের / —কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?
Ans: লেখকদের যে বাস্তব জীবনে কখনও দেখা যেতে পারে , তাঁরাও যে তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ— সে – বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ।
- তপনের বাবা – কাকা – মামাদের সঙ্গে লেখক মেসোমশাইয়ের কী কী মিল আছে ?
Ans: তপনের বাবা – কাকা – মামাদের মতোই তার লেখক মেসোমশাইও দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , সময়মতো স্নান করেন , ঘুমোন , খবরের কাগজ পড়েন , এমনকি সিনেমাও দেখেন ।
- তপনের নতুন মেসোমশাই শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন কেন ?
Ans: তপনের নতুন মেসোমশাই একজন অধ্যাপক । এই সময় তাঁর কলেজে গরমের ছুটি থাকায় তিনি শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক – দিন ।
- ‘ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন । — কোন্ সুযোগে তপন কী দেখতে পাচ্ছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে তপন বুঝতে পারে লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় , তাদেরই মতো মানুষ ।
- ‘ তপনদের মতোই মানুষ ।’— এ কথা বলার কারণ কী ?
Ans: ছুটিতে মামার বাড়িতে এসে নতুন মেসোকে দেখে ও তাঁর লে সঙ্গে সময় কাটিয়ে তপনের বিশ্বাস হয় যে , লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় ; তাদের মতোই মানুষ ।
- তপনের মনে লেখক হওয়ার বাসনা জাগল কেন ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপন বুঝেছিল লেখকরা আসলে তাদের মতোই সাধারণ মানুষ । তাই উৎসাহিত তপন তার এতদিনের গল্প পড়ার ও শোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লেখক হতে চায় ।
- ‘ ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয় । — তপনের ছোটোমাসি কোন্দিকে ধাবিত হয়েছিলেন ?
Ans: তপন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে মাসিকে দেখায় । মাসি গল্পটিতে চোখ বুলিয়ে গল্পটির উৎকর্ষ বিচারের জন্য তপনের মেসো যেখানে ঘুমোচ্ছিলেন সেদিকে ধাবিত হয়েছিলেন ।
- ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই । – কথাটির অর্থ কী ?
Ans: কেবলমাত্র গুণী ব্যক্তিই অপরের গুণের কদর করতে পারে । তাই তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত সমঝদার যদি কেউ থাকেন তবে তিনি তার লেখক মেসোমশাই ।
- তপনের গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই তাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন , গল্পটা ভালোই হয়েছে , একটু কারেকশন করে দিলে সেটা ছাপানোও যেতে পারে ।
- ‘ তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।’— কে , কেন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ?
Ans: ছোটোমেসো তপনের লেখাটা ছাপানোর কথা বললে তপন প্রথমে সেটাকে ঠাট্টা বলে ভাবে । কিন্তু মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।
- ‘ মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা — উক্তিটি কার ? কোন্টা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ?
Ans: উক্তিটি তপনের ছোটোমাসির । তাঁর মতে , তপনের লেখা গল্পটা ছোটোমেসো যদি একটু কারেকশন করে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেন , তবে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ।
- ‘ না করতে পারবে না । ‘ – কে , কাকে , কী বিষয়ে না – করতে পারবে না ?
Ans: তপনের লেখক ছোটোমেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকার সম্পাদককে তপনের লেখা গল্পটা ছাপানোর জন্য অনুরোধ করলে সম্পাদকমশাই না করতে পারবেন না ।
- তপনের বয়সি আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের লেখার সঙ্গে তপনের লেখার তফাত কী ?
Ans: তপনের বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি , খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট অথবা না – খেতে পেয়ে মরা- এইসব বিষয়ে গল্প লেখে । কিন্তু তপনের লেখার বিষয় ছিল তার প্রথম দিন স্কুলে ভরতির অভিজ্ঞতা ।
- এটা খুব ভালো , ওর হবে । — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ?
Ans: তপন তার স্কুলে ভরতির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে = একটি গল্প লিখেছিল । মাসির মাধ্যমে লেখাটি তার লেখক মেসোর কাছে পৌঁছোলে সেটি পড়ে মেসো এমন মন্তব্য করেছেন ।
- ‘ নতুন মেসোকে দেখে জানলে সেটা।- তপন কী জেনেছিল ?
Ans: তপন ছোটো থেকেই বহু গল্প শুনেছে ও পড়েছে । কিন্তু সে জানত না যে , সাধারণ মানুষ সহজেই তা লিখতে পারে । নতুন মেসোকে দেখে সেটাই জানল ।
- ‘ মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল । — এর কারণ কী ছিল ?
Ans: নতুন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তপন নিজেই চেষ্টা করে একটা গল্প লিখে ফেলে । নিজের সৃষ্টিতে রোমাঞ্চিত হয়ে তার মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে ।
- ‘ ভালো হবে না বলছি ।’— কে , কাকে , কেন এই কথা বলেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্পটা কিছুটা পড়েই ছোটোমাসি তার প্রশংসা করেন । তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন লেখাটা অন্য কোনো স্থান থেকে টোকা কিনা । তখন বিরক্ত হয়ে তপন আলোচ্য উদ্ধৃতিটি করে ।
- ‘ কিন্তু গেলেন তো — গেলেনই যে ! – কার প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প সামান্য কারেকশন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছাপিয়ে দেবেন বলে ছোটোমেসো তা নিয়ে যান । তারপর অনেকদিন কেটে গেলেও সে – ব্যাপারে কোনো সংবাদ না পাওয়ায় এ কথা বলা খা হয়েছে ।
- ” যেন নেশায় পেয়েছে । কোন নেশার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে – গল্প লিখেছিল তা মাসির উৎসাহে মেসো ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন । এরপর থেকে ক তপনকে গল্প লেখার নেশায় পায় ।
- ‘ বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।- তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী ছিল ?
Ans: গল্প ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন অদৃশ্য থাকার পর হঠাৎই একদিন ছোটোমাসি ও মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন । তাতে তার গল্প ছাপার কথা ভেবে তপনের বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে ।
- পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? – এখানে কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ?
Ans: পত্রিকায় তপনকুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া এবং সেই পত্রিকা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকেই ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ।
- ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে । — কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখক মেসো তার একটি গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন । এই অবিশ্বাস্য , অভূতপূর্ব ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে ।
- ‘ বাবা , তোর পেটে পেটে এত ! ‘ — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিলেন ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাড়িময় শোরগোল পড়ে যায় । তখন তপনের মা এই কথাটি তপনের সুপ্ত প্রতিভা সম্পর্কে বলেন ।
- ‘ এর মধ্যে তপন কোথা ? ’ – উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
Ans: সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছেপে বেরোনো তপনের গল্পটা মেসোর হাতে পড়ে কারেকশনের নামে আগাগোড়াই পালটে যায় । বাড়ির সকলের অনুরোধে গল্পটা পড়তে গিয়ে তপন লেখার মধ্যে নিজেকে আর খুঁজে পায় না ।
- ‘ ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— কোন্ কথা ছড়িয়ে পড়ে ?
Ans: ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় তপনের গল্প প্রকাশকে কেন্দ্র করে বাড়িতে শোরগোল পড়লেও পরে জানা যায় যে , তার লেখাটি মেসো কারেকশন করে ছাপারে ব্যবস্থা করেছেন — এই কথাটিই ছড়িয়ে পড়ে ।
- তপনের লেখা সম্পর্কে তার বাবার কী বক্তব্য ।
Ans: তপনের বাবা মনে করেন , তপনের লেখক ছোটোমেসো তপনের লেখাটা কারেকশন করে দিয়েছিলেন বলেই এত সহজে সেটা পত্রিকায় ছাপানো সম্ভব হয়েছে ।
- তপনের লেখা পত্রিকায় ছেপে বেরোতে দেখে তার মেজোকাকু কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা ছেপে বেরোনোর কৃতিত্ব তপনকে না – দিয়ে মেজোকাকু ব্যঙ্গ করে বলেন , তাঁদের ওরকম লেখক – মেসোমশাই থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করে দেখতেন ।
- ‘ গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।- উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না – হতে পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা ছেপে বেরোলে যে – তীব্র আনন্দ হওয়ার কথা সেই আহ্লাদ খুঁজে পায় না তপন । তার কৃতিত্বের চেয়েও যেন বড়ো হয়ে ওঠে ছোটোমেসোর গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব ।
- ‘ বোবার মতো বসে থাকে / – কে , কেন বোবার মতো বসে থাকে ?
Ans: নিজের লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন । তাই স্তম্ভিত তপন তা দেখে বোবার মতো বসে থাকে ।
- ” তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায় , তপনের বই ফেলে রেখে যাওয়ার কারণ কী ?
Ans: পত্রিকায় গল্প প্রকাশিত হওয়ায় তপনের যে – আনন্দ হয়েছিল তা মুহূর্তেই স্তিমিত হয়ে যায় । কারেকশনের নামে তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে গেছে । তাই অভিমানে তপন বই ফেলে চলে যায় ।
- বইটা ফেলে রেখে তপন কী করে ?
Ans: বইটা ফেলে রেখে তপন ছাতে উঠে গিয়ে শার্টের তলাটা তুলে চোখের জল মোছে ।
- ‘ তপন আর পড়তে পারে না । – তপনের আর পড়তে না পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা গল্প পত্রিকায় ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে ছোটো মেসোমশাই তার লেখাটা পুরোটাই পালটে দিয়েছেন । তাই তপন আর পড়তে পারে না ।
- “ তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ! – দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ?
Ans: জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর তপন দেখে কারেকশনের নামে নতুন মেসো পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন । গল্পের স্বকীয়তা হারানোয় ব্যথিত তপনের সেই দিনটা সবচেয়ে দুঃখের মনে হয়েছে ।
- ‘ এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন , প্রশ্ন ২.৩৮ —সংকল্পটি কী ?
Ans: তপন সংকল্প করেছিল , ভবিষ্যতে যদি কখনও আর কোনো লেখা ছাপাতে হয় , তবে সে নিজে হাতে সেই লেখা পৌঁছে দিয়ে আসবে পত্রিকার অফিসে ।
- ‘ তপনকে যেন আর কখনো না শুনতে হয় ….. —এখানে কী শোনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না – হয় যে , অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে ।
- ” তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , — কীসের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গঙ্গে তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই নেই ।
- ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাটা- তপন কোন্ কথাকে প্রথমটায় ঠাট্টা ভেবেছিল ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাই যখন তপনকে জানান তার গল্প দিব্যি হয়েছে , এমনকি একটু সংশোধন করে দিলে ছাপতেও দেওয়া যায় তখন সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে না পেরে তপন এই কথাটাকে নিছক ঠাট্টা বলে মনে করেছিল ।
- ‘ দুপুরবেলা , সবাই যখন নিথর নিথর’- তখন তপন কী করেছিল ?
Ans: বিয়েবাড়ির দুপুরবেলা সবাই যখন নিথর , তখন তপন হোমটাস্কের খাতা নিয়ে তিনতলায় উঠে একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল ।
- ‘ না না আমি বলছি — তপনের হাত আছে – কখন বক্তা এ কথা বলেন ?
Ans: বিকেলে চায়ের টেবিলে তপনের গল্পের কথা শুনে সবাই হেসে ওঠায় লেখক মেসোমশাই এ কথা বলেন ।
- নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু গেল তপনের এখানে কোন জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: এখানে লেখকেরাও যে নিছক সুস্থ – স্বাভাবিক ও সাধারণ মানুষ , তপনের এই জ্ঞানলাভ ের কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ নতুন মেসোকে ’ দেখে তপন কী জেনেছিল ?
Ans: লেখকেরা যে অন্য গ্রহ থেকে পড়া কোনো জীব নয় , আর পাঁচ জনের মতোই নিছক সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এ কথাই জেনেছিল ।
- ‘ তাই জানতো না’- কে , কী জানত না ?
Ans: জলজ্যান্ত একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় , ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন তাই জানত না ।
- ‘ তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে । – তপন ‘ বসে বসে দিন গোনে কেন ?
Ans: পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার আশায় তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে ।
- ‘ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল কেন ?
Ans: তপনের নিজের লেখা গল্প , যা কারেকশনের পর সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল তা পাঠ করে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ।
- ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের মেসো কোন্ মহত্ত্ব দেখিয়েছিলেন ?
Ans: লেখক মেসোমশাই সকলের সামনে তপনের গল্পের প্রশংসা করেন এবং গল্পটি সংশোধন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন ।
- এর মধ্যে তপন কোথা ? – কেন এমন বলা হয়েছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইয়ের সংশোধনের পরে তপনের নামে প্রকাশিত গল্প তার কাছেই অপরিচিত ও নতুন হয়ে ওঠে । তাই এমন কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা কোন্ কথাটা ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে , এই কথাটা বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল ।
- তপনদের মতোই মানুষ ‘ — এ কথা বলার কারণ কী ?
Ans: লেখক যে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় আর সকলের মতোই সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এই সত্য টের পায় ।
- ‘ সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় — শোরগোলের কারণ কী ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে , এই শুনে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় ।
- ‘ তিনি নাকি বই লেখেন , ‘ — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: এখানে তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে বলেন— কী বলেন ?
Ans: মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে তপনের মাসিকে বলেন যে , তিনি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদককে বলে তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দেবেন ।
- ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে— কী ঘটেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।
- ‘ একটু ‘ কারেকশান ’ করে হয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে । –কে , কী ছাপানোর কথা বলেছেন ।
Ans: তপনের লেখক মেসোমশাই তপনের অপরিণত হাতের লেখা পর গল্পটি একটু ‘ কারেকশান ‘ ও ‘ ইয়ে করে ‘ ছাপানোর কথা বলেছেন ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer :
- ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল । কোন্ কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?
Ans: তপন এতদিন ভেবে এসেছে লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ । সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের কোনো মিলই নেই । তাই যখন সে শুনল যে তার ছোটো মেসোমশাই বই লেখেন , আর সেই বই ছাপাও হয় তখন তার বিস্ময়ের সীমা রইল না । নতুন মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক । এই আশ্চর্য খবরটা শুনেই তপনের চোখ মার্বেলের মতো গোল গোল হয়ে গেল ।
- ‘ সে সব বই নাকি ছাপাও হয় ।’— উক্তিটিতে যে – বিস্ময় প্রকাশিত হয়েছে , তা পরিস্ফুট করো ।
Ans: উক্তিটিতে প্রকাশিত বিস্ময় উত্তর / আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপন নামের বালকটি তার ছোটোমাসির সদ্যবিবাহিত স্বামী অর্থাৎ তার মেসো যে একজন লেখক , এ কথা জেনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় । লেখকেরা যে সাধারণ মানুষ এবং তার মেসোমশাই একজন লেখক , যাঁর বই ছাপা হয় — এ তথ্য তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল । আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বালক তপনের মনের সেই বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে ।
- ‘ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের / – তপনের কোন্ বিষয়ে কেন সন্দেহ ছিল ? তপনের সন্দেহ কীসে এবং কেন ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের তপন লেখকদেরকে এক অন্য জগতের বাসিন্দা বলে মনে করত । তাঁরাও যে আর – পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই রোজকার জীবনযাপন করেন , তা ছিল তপনের কল্পনার বাইরে । সে আগে কোনোদিন কোনো লেখক কাছ থেকে দেখেনি । এমনকি লেখকদের যে দেখা পাওয়া যায় এ কথাও তার জানা ছিল না । তাই লেখকরা যে তার বাবা , কাকা , মামাদের মতোই সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে তার সন্দেহ ছিল ।
- ‘ একেবারে নিছক মানুষ’— এ কথার প্রমাণ কী ছিল ?
Ans: নতুন মেসোমশাইয়ের লেখক পরিচয়ে আপ্লুত তপন লক্ষ করে যে , লেখক হলেও তিনি সাধারণের মতোই দাড়ি কামান , খেতে বসে খেতে পারবেন না বলে অর্ধেক তুলে দেন , স্নান করেন , ঘুমোন , খবরের কাগজের খবর নিয়ে গল্প ও তর্ক করেন , সিনেমা দেখেন ও বেড়াতে বেরোন — একেবারে সাধারণ মানুষের এই সমস্ত আটপৌরে ব্যাপার মেসোমশাইয়ের মধ্যে দেখে তপন প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছিল ।
- ‘ নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের ।— ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ বলতে কী বোঝ ? তা কীভাবে তপনের খুলে গিয়েছিল ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে মানুষের অন্তর্দৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে , যার সাহায্যে মানুষ প্রকৃত সত্যকে যাচাই করে নিতে পারে । → একজন লেখক সম্পর্কে তপনের মনে যে ধারণা ছিল তা নতুন মেসোর সংস্পর্শে এসে ভেঙে যায় । লেখকরা যে তার বাবা , মামা ও কাকাদের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করে সেটা সে প্রত্যঙ্গ করে । তাদের মতোই দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , পলিটিকাল তর্কও করেন — এসব দেখেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । সে ভাবে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয় , নিছক মানুষ ।
- ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই / —কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো ।
Ans: উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প থেকে গৃহীত । ‘ জহর ’ অর্থাৎ মূল্যবান রত্ন বিশেষজ্ঞকে জহুরি বলা হয় । এক্ষেত্রে জহুরি বলতে নতুন মেসোকে বোঝানো হয়েছে । লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে মাসিকে দেখায় । মাসি তা নিয়ে সারাবাড়িতে শোরগোল বাধিয়ে মেসোকে দেখাতে যান । তপন ব্যাপারটায় আপত্তি তুললেও মনে মনে পুলকিত হয় এই ভেবে যে , তার লেখার মূল্য একমাত্র কেউ যদি বোঝে তবে ছোটোমেসোই বুঝবে , কেন – না জহুরির জহর চেনার মতো একজন লেখকই পারে কোনো লেখার মূল্যায়ন করতে ।
- ‘ তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয় / — মাসি কেন হইচই করেছিলেন ?
Ans: উত্তর গরমের ছুটিতে মামার বাড়িতে এসে নতুন মেসোকে দেখে তপনের মনে লেখক সম্পর্কে যেসব ধারণা ছিল তা ভেঙে যায় । জলজ্যান্ত লেখকের সঙ্গে কাটিয়ে তপন অনুপ্রাণিত হয়ে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে । আর তা মাসির হাতে পড়ায় মাসি হইচই শুরু করে দেয় এবং তা নিয়ে তার লেখক স্বামীর কাছে যায় । এতে লাজুক তপন অপ্রস্তুত হলেও মনে মনে পুলকিত হয় , কারণ তার লেখার প্রকৃত মূল্য কেউ বুঝলে তা নতুন মেসোই বুঝবে ।
- ‘ মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা / —কোন্ কাজকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলা হয়েছে ।
Ans: লেখকরা যে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে নতুন মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল । তপন নতুন মেসোকে অহরহ কাছ থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা আস্ত গল্প লিখে তার মেসোর উপযুক্ত কাজ প্রিয় ছোটোমাসিকে দেখায় । গল্পটি নিয়ে ছোটোমাসি রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় । শুধু তাই নয় , তিনি গল্পটি তার লেখক স্বামীকেও দেখান । গল্প দেখে তিনি সামান্য কারেকশন করে দিলে সেটা O.D যে ছাপা যেতে পারে এ কথা বলেন । আর এ কথা শুনেই মাসি সেটা ছাপিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান , যেটা কিনা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ।
- ‘ তোমার গল্প আমি ছাপিয়ে দেব । এখানে বক্তা কে ? উদ্ধৃতিটির মধ্যে দিয়ে বস্তার কোন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় ?
Ans: আলোচ্য উদ্ধৃতিটির বস্তুা তপনের ছোটোমেসো । তপনের লেখা পড়ে তার লেখক- ছোটোমোসো তাকে উৎসাহ দেন । তিনি এ কথাও বলেন যে , লেখাটা একটু কারেকশন করে দিলে ছাপানোও যায় । তাঁর সঙ্গে সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদকের জানাশোনা আছে । মেসো অনুরোধ করলে তিনি তা না করতে পারবেন না । আপাতদৃষ্টিতে এটি তাঁর উদারতার পরিচয় বলেই মনে হয় । কিন্তু একটু গভীরে বিচার করলে বোঝা যায় , শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কাছে নিজের প্রভাব জাহির করার জন্যই তিনি এ কাজ করেছিলেন ।
- বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা / কোন কথা উঠেছিল ?
Ans: ‘ জ্ঞানচলু ‘ গল্পে তপন লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লেখে তার স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে । তা ছোটোমাসির হাতে পড়ে এবং মাসি তা নিয়ে বেশ হইচই করে তাঁর লেখক – স্বামীকে গল্পটি দেখান । তাঁর স্বামী গল্প দেখে উত্থাপিত কথা তপনকে ডেকে তার গল্পের প্রশংসা করেন এবং সামান্য কারেকশন করে দিলে তা ছাপার যোগ্য এ কথাও বলেন । মাসির অনুরোধে মেসো তপনকে কথা দেন সন্ধ্যাতারা ‘ – য় তার গল্প ছাপিয়ে দেবেন । এ কথাটাই চায়ের টেবিলে উঠেছিল ।
- ‘ তপনের হাত আছে । চোখও আছে । এখানে ‘ হাত ’ ও ‘ চোখ ” আছে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: তপনের গল্প শুনে আর সবাই হাসাহাসি করলেও নতুন মেসো তার প্রতিবাদ করে আলোচ্য উক্তিটি করেন । এখানে ‘ হাত ’ আছে বলতে বোঝানো হয়েছে যে , তপনের লেখার ক্ষমতা আছে , বা ভাষার দখল আছে । আর ‘ চোখ ‘ আছে । কথার অর্থ হল তপন তার চারপাশের দুনিয়াটা ভালো করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখতে ও উপলব্ধি করতে পারে । তার গল্প লেখার বিষয় নির্বাচন থেকেই এ কথা স্পষ্ট হয়ে যায় ।
- ‘ তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে । – তপন কৃতার্থ হয়েছিল কেন ?
Ans: তপনের জীবনে প্রথম ও সদ্য লেখা গল্পটি তার মাসি , তপনের লেখক মেসোকে দেখান ও গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন । এ কথা শুনে তপনের মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে নিয়ে যান । এতে তপন কৃতার্থ হয়েছিল । সেইসঙ্গে রোমান্বিত হয়ে সে দুরুদুরু বুঝে গল্প প্রকাশের আশায় দিন গোনা শুরু করেছিল । বালক হৃদয়ের উত্তেজনা বোঝাতেই এমন কথা বলা হয়েছে ।
- বিয়েবাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েননি ! কীসের কথা বলা হয়েছে ? তা মা না – আনিয়ে ছাড়েননি কেন ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে আলোচ্য উত্তিটিতে তপনের হোমটাস্কের খাতার কথা বলা হয়েছে , যা পরবর্তীতে উদ্দিষ্ট বস্তু তার গল্প লেখার খাতায় পরিণত হয়েছিল । লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী সূক্ষ্ম আঁচড়ে মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের স্বাভাবিক ছবিটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন । বাঙালি মায়েদের সন্তানের পড়াশোনার প্রতি সাধারণত তীক্ষ্ণ নজর থাকে । তপনের মা – ও এর ব্যতিক্রম নন । বিয়েবাড়িতে আসার জন্য তপনের পড়াশোনার যে ক্ষতি হবে , তা কিছুটা অবসর সময়ে পুষিয়ে নিতে তিনি তার হোমটাস্কের খাতাটি সঙ্গে আনিয়েছিলেন ।
- তপনের প্রথম গল্প লেখার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও ।
Ans: ছোটোমেসোকে দেখার আগে তপন জানতই না যে সাধারণ মানুষের পক্ষেও গল্প লেখা সম্ভব । কিন্তু ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একদিন দুপুরে সবাই যখন ঘুমের ঘোরে , তখন চুপিচুপি তিনতলার সিঁড়িতে উঠে যায় । তারপর একাসনে বসে অভিজ্ঞতার বর্ণনা । হোমটাস্কের খাতায় লিখে ফেলে আস্ত একটা গল্প । লেখা শেষ হলে নিজের লেখা পড়ে নিজেরই গায়ে কাঁটা দেয় তপনের , মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে । উত্তেজিত তপন ছুটে নীচে এসে তার লেখক হওয়ার খবরটা ছোটোমাসিকে দেয় ।
- ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের সঙ্গে তার ছোটোমাসির সম্পর্ক কেমন ছিল লেখো ।
Ans: তপন ও ছোটোমাসির সম্পর্ক উত্তর / তপনের ছোটোমাসি তপনের চেয়ে বছর আষ্টেকের বড়ো হলেও তিনি ছিলেন তপনের সমবয়সি বন্ধুর মতো । তাই মামার বাড়িতে এলে তপনের সব কিছুই ছিল ছোটোমাসির কাছে । তাই তার প্রথম লেখা গল্পটা সে ছোটোমাসিকেই আগে দেখায় । ছোটোমাসিও তাঁর স্নেহের বোনপোকে উৎসাহ জোগান এবং তাঁর লেখক – স্বামীকে অনুরোধ করেন তপনের লেখাটি ছাপিয়ে দিতে । আবার লেখা নিয়ে খুনসুটিও করে তপনের সঙ্গে । এসব থেকেই বোঝা যায় দুজনের মধ্যে একটা মধুর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ।
- ‘ আঃ ছোটোমাসি , ভালো হবে না বলছি । কার উক্তি ? এই হুমকির কারণ কী ?
Ans: প্রশ্নোধৃত উদ্ভিটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় কার উক্তি চরিত্র তপনের । → লেখক – মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে উদ্বুদ্ধ তপন একটি গল্প লিখে তার ছোটোমাসিকে দেখায় । তিনি তপনের গল্পটি সবটা কারণ । না পড়েই তার প্রশংসা করেন এবং তা কোথাও থেকে নকল করা কিনা তা জিজ্ঞেস করেন । এ কথায় রেগে গিয়ে তপন প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি করে ।
- ‘ যেন নেশায় পেয়েছে । কাকে , কীসের নেশায় প্রশ্ন পেয়েছে বুঝিয়ে বলো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছে । আগে তপন মনে করত গল্প লেখা ভারী কঠিন কাজ , সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয় । লেখকরা বুঝি ভিন্ন গোত্রের মানুষ । কিন্তু লেখক- ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন সাহস করে লিখে ফেলে আস্ত গল্প । ছোটোমাসির হাত ঘুরে সেই গল্প ছোটোমেসোর হাতে পড়ে । তিনি তপনকে উৎসাহ দিতে গল্পটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন । উৎসাহিত তপন গল্প লেখার নেশায় মেতে ওঠে ।
- ‘ কিন্তু তাই কি সম্ভব ? ‘ – কী সম্ভব নয় বলে বক্তার মনে হয়েছে ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপনের লেখক – মেসো তার সদ্য লেখা গল্পটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে যান । তপনের মাসি গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি তাতে রাজি হয়ে গল্পটি নিজের সঙ্গে নিয়ে যান । অবশেষে একদিন সত্যিই তা ছাপা হলে তপন বিস্মিত হয়ে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি ভাবে । এই ভাবনায় বালক তপনের কিশোর – হৃদয়ের অবিশ্বাস ও মুগ্ধতাবোধ প্রকাশ কী সম্ভব নয় ।
- ‘ ওর লেখক মেসো ছাপিয়ে দিয়েছে । – “ ও ’ কে ? লেখক – মেসোর কী ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ ও ’ বলতে আলোচ্য অংশে গল্পকার আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বালক তপনের কথা বলা হয়েছে । → তপনের লেখক মেসো তাঁর পরিচয় ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলেন । এই সত্য জানার পর তপনের কোনো কোনো আত্মীয় তার কৃতিত্বকে খাটো করে দেখিয়ে প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছিলেন ।
- ‘ আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম । ‘ আমাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের কোন চেষ্টার কথা বোঝানো হয়েছে ?
Ans: আলোচ্য উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প থেকে গৃহীত । উদ্ধৃতির বস্তুা তপনের মেজোকাকু ‘ আমাদের ’ বলতে এখানে নিজেকে এবং বাড়ির ‘ আমাদের কারা অন্য ব্যক্তিদেরকে বুঝিয়েছেন । লেখক মেসোর দৌলতে তপনের আনাড়ি হাতের লেখা গল্পও নামি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল । বালক তপনকে তাদের চেষ্টা উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে তার মেজোকাকু উদ্ধৃত উক্তিটির দ্বারা সুযোগ পেলে যে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতেন তাই বোঝাতে চেয়েছেন ।
- ‘ আজ আর অন্য কথা নেই –‘আজ ’ দিনটির বিশেষত্ব কী ? সেদিন আর অন্য কথা নেই কেন ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে ‘ আজ ’ বলতে সেই দিনটির ‘ আজ ’ দিনটির বিশেষত্ব কথা বোঝানো হয়েছে , যেদিন তপনের মাসি ও মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সেই সংস্করণটি নিয়ে এলেন , যাতে তপনের লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছিল । → বালক তপনের লেখা গল্প যে সত্যি সত্যিই কোনো পত্রিকায় ছাপা হতে পারে , তা কেউই বিশ্বাস করেনি । কিন্তু যেদিন সত্যিই সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটল , সেদিন সকলের কেন অন্য কথা নেই মুখে মুখে বারবার এই ঘটনার কথাই আলোচিত হচ্ছিল ।
- ‘ তারপর ধমক খায় , তপনের ধমক খাওয়ার কারণ কী ছিল ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন পত্রিকায় প্রকাশিত নিজের লেখা গল্পটি সকলকে পড়ে শোনাতে উদ্যত হয় । কিন্তু পড়তে গিয়ে সে আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ করে যে , তার লেখক মেসোমশাই তার গল্পটি সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন । এই ঘটনায় হতবাক তপনের অভিমানে গলা বুজে আসে । এদিকে গল্প পড়তে না – শুরু করায় সকলে অধৈর্য হয়ে গাকে ধমক দিতে শুরু করে ।
- ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় তপনের গল্প ছেপে বেরোয় । তবু তপনের এত দুঃখ হয়েছিল কেন ?
Ans: তপন ভাবত লেখকরা কোনো স্বপ্নের জগতের মানুষ । কিন্তু লেখক – মেসোকে দেখে তার ভুল ভাঙে । উৎসাহিত তপন নিজেই লিখে ফেলে একটা গল্প । ছোটোমেসোর উদ্যোগে সামান্য কারেকশনের পর সেটা ছেপেও বেরোয় সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় । পত্রিকার সূচিপত্রে নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয় তপন । কিন্তু গল্পটা পড়া শুরু করতেই সে বুঝতে পারে কারেকশনের নাম করে ছোটোমেসো তার গল্পটা আগাগোড়াই পালটে দিয়েছেন । নিজের লেখার পরিবর্তে একটা সম্পূর্ণ অচেনা লেখা দেখে তপনের আনন্দ মিলিয়ে যায় ।
- শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে তপন , দুঃখের মুহূর্তটি কী ? তপন কী সংকল্প করেছিল ?
Ans: দুঃখের মুহূর্ত উত্তর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের নায়ক তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি একপলকে দুঃখের মুহূর্তে পর্যবসিত হয় । কারণ সে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে টের পায় , লেখক – মেসো গল্পটিকে সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন । এ গল্পকে আর যাই হোক তার নিজের লেখা বলা যায় না । → এই ঘটনায় তপন সংকল্প করেছিল যে , যদি কোনোদিন নিজের কোনো লেখা ছাপতে দেয় , তবে নিজে গিয়ে ছাপতে কৃত সংকল্প দেবে । ছাপা হোক বা না হোক অন্তত তাকে এ কথা শুনতে হবে না যে , কেউ তার লেখা প্রভাব খাটিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে ।
- ‘ তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয় কী না – শোনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক বালক তপন গল্প লেখায় যতই আনাড়ি হোক না কেন , সে মনেপ্রাণে একজন লেখক । তার লেখা । গল্পের ওপরে তার লেখক মেসোর সংশোধনের নামে খোলনলচে বদলে দেওয়া তপনের কাছে অপমানজনক । এই ঘটনায় সে অভিমানে বাদ্ধ হয়ে যায় । আত্ম – অসম্মানে আহত তপন সংকল্প নেয় যে , পরবর্তীকালে লেখা ছাপাতে দিলে সে নিজে দেবে । তবু এ কথা তাকে শুনতে হবে না । যে , অন্য কেউ তা ছাপিয়ে দিয়েছে ।
- ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! — ‘ তার চেয়ে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে আলোচ্য অংশে ‘ তার চেয়ে ’ বলতে তপনের নিজের লেখা গল্প লেখক মেসোর হাতে পড়ে নির্বিচারে পরিবর্তিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে । নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়াটা তার কাছে গভীর দুঃখের ও অপমানের বলে মনে হয়েছিল । এই আত্মসম্মানবোধ থেকেই তৃপনের অন্তর্মনে মৌলিকতার অনুপ্রেরণা জেগে ওঠে ।
- ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! – কে অপমানিত হয়েছিল ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন অপমানিত কেন অপমানিত ] লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট্ট তপন একটি গল্প লিখে ফেলে । গল্প লেখার উত্তেজনায় ও রোমাঞ্চে সে গল্পটি ছোটোমাসিকে দেখায় । ফলে তা নতুন মেসোর হাতে পড়ে এবং তিনি তপনের লেখার প্রশংসা করেন ; সেটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন । পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার পর তপন দেখে সমস্ত গল্পটাই মেসো তার পাকা হাতের কলমে আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন । নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়ার যন্ত্রণা তাকে বিদ্ধ করে । এভাবে আত্মমর্যাদা হারানোর ফলে তপন অপমানিত বোধ করেছিল ।
- ‘ আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন কার কথা বলা হয়েছে ? ‘ আজ ‘ কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন ?
Ans: এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের কথা বলা হয়েছে । মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তপন একটি গল্প লিখে ফেলে । এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং তাঁর প্ররোচনায় লেখক নতুন মেসো সেই গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন । কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সে দেখে পুরো গল্পটাই আজ কেন দুঃখের দিন মেসো আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন । এ গল্পে শুধু তার নামটুকুই আছে ; অথচ সে কোথাও নেই । এই ঘটনা তপনের অন্তমনে আঘাত করে । লজ্জায় , অনুতাপে , আত্মসম্মানহীনতায় সে সকলের কাছ থেকে পালিয়ে ছাতের অন্ধকারে একলা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে । নিজের কাছে নিজেই । এভাবে ছোটো হয়ে যাওয়ায় তার মনে হয় , ‘ আজ ‘ জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন ।
- যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো , তপন নিজে গিয়ে দেবে — কোন্ লেখার কথা বলা হয়েছে ? সে – লেখা তপন নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে কেন ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে ‘ লেখা ‘ বলতে তপনের গল্পের কথা বলা হয়েছে । লেখা নিজে ছাপতে দেবে কেন তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন দিনটি মুহূর্তের মধ্যে সবচেয়ে দুঃখের দিনে পর্যবসিত হয় । কারণ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি তপন পড়তে গিয়ে টের পায় , সংশোধনের নামে লেখক – মেসো প্রায় সম্পূর্ণ গল্পটিই বদলে দিয়েছেন । এ ঘটনায় সে আহত হয় । আর যাই হোক গল্পটিকে নিজের গল্প বলা যায় না । বিশেষত নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়া যে কতটা দুঃখ ও অসম্মানের তা তপন উপলব্ধি করে । তাই এমন দুঃখের দিনে সে সংকল্প করে লেখা ছাপা হোক কিংবা নাই হোক ; ভবিষ্যতে লেখা ছাপতে দিলে নিজে গিয়ে দেবে ।
- ‘ সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ— তপনের জীবনে সুখের দিনটি কীভাবে এল ? গল্পের শেষে সুখের দিনটি কীভাবে দুঃখের দিন হয়ে উঠল ?
Ans: লেখক – মেসোমশাইয়ের সৌজন্যে ও বদান্যতায় ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় তপনের গল্পটি প্রকাশিত হয় । ছাপার অক্ষরে তপনকুমার রায়ের গল্প প্রকাশ পাওয়ার এই দিনটি প্রাথমিকভাবে তার জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন হয়ে উঠেছিল ।
- ‘ আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম প্রশ্ন কার উক্তি ? এমন উক্তির কারণ উল্লেখ করো ।
Ans: প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হল তপনের মেজোকাকু । তপনের লেখক – মেসো তাঁর প্রভাব আর পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ছোট্ট তপনের গল্পটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন । এ উক্তির কারণ কথা শুনে বাড়ির বিভিন্ন সদস্য তপনের কৃতিত্বকে খাটো করার চেষ্টা করে । তপনের মেজোকাকুর উক্তিতেও সেই মধ্যবিত্ত মানসিকতারই প্রকাশ লক্ষ করা যায় ।
- ‘ তপনের মাথায় ঢোকে না’— কী মাথায় ঢোকে না ? কেন ঢোকে না ?
Ans: ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন কাঁ মাথায় ঢোকে না টের পায় সংশোধনের নামে লেখক মেসো তা আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নিজের নামে প্রকাশিত এই আনকোরা , অপরিচিত গল্পটি সে গড়গড়িয়ে পড়লেও ; আসলে তার মাথায় ঢোকে না । ■ তপন পত্রিকা হাতে পেয়ে পড়ার সময় হতবাক হয়ে যায় । এ গল্প তার নামে প্রকাশিত হলেও , মূলত মেসোর পাকা হাতের লেখা । এই লেখায় কোথাও সে নিজেকে খুঁজে পায় না । লেখাটি পড়তে কেন ঢোকে না । চেষ্টা করলেও সে স্তম্ভিত ও বোবা হয়ে যায় । পরে সকলের বকুনি খেয়ে গড়গড়িয়ে পড়ে , কিন্তু নিজের বলে ভাবতে পারে না ।
- পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে— কোন্ ঘটনাকে ‘ অলৌকিক ঘটনা ‘ বলা হয়েছে ?
Ans: মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা গল্প লিখে ফ্যালে । সেই গল্পটি মাসির প্ররোচনায় ও মেসোর প্রভাবে সত্যিই একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । ছোট্ট তপনের কাছে তার ‘ অলৌকিক ঘটনা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার ঘটনা ছিল স্বপ্নের মতোই কাল্পনিক । তাই এই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে । ‘ অলৌকিক ’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল অবাস্তব বা অসম্ভব ব্যাপার ।
- গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না – কার গল্প ? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও বক্তার মনে আনন্দ নেই কেন ?
Ans: গল্পটির কথা বলা হয়েছে । এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পের নায়ক তপনের লেখা ‘ প্রথম দিন ’ আনন্দ না থাকার কারণ → লেখক মেসোর প্রভাব ও পরিচিতির জোরে ছোট্ট তপনের লেখা গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় । কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয় । তাদের মতে মেসোই ও গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন । মেজোকাকু বলেন , এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন । এসব নানা কথায় তপন ক্রমশ যেন হারিয়ে যায় । তাই মনটা একটু তিক্ত হয়ে যাওয়ায় ; গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহ্লাদটা সে আর খুঁজে পায় না ।
- ‘ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের তপন কে ? তার গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে উঠল ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের নায়ক হল তপন । তপন তার নতুন গায়ে কেন কাঁটা দিল মেসোমশাইকে দেখে বোঝে লেখকেরাও আর সকলেরই মতো সাধারণ মানুষ । এর আগে সে কখনও জলজ্যান্ত একজন লেখককে এভাবে এত কাছ থেকে দেখেনি । ফলে মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে অনুপ্রাণিত হয়ে সে স্কুলের হোমটাস্কের খাতায় একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে । লেখার পর নিজের প্রথম গল্পটি পড়ে রোমাঞ্চে ও উত্তেজনায় তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর
1. কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের । —নতুন মেসোর পরিচয় দাও । তাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যাওয়ার কারণ কী ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপনের নতুন মেসো তার ছোটোমাসির স্বামী । তিনি একজন লেখক , বই লেখেন । ইতিমধ্যে তাঁর অনেক বই ছাপাও হয়েছে । সর্বোপরি তিনি একজন প্রফেসর ।
তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসো যে লেখক , এ কথা শুনে তার কৌতূহলের অন্ত ছিল না । তার কাছে লেখক মানে ভিন গ্রহের কোনো মানুষ , যারা সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে । একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় কিংবা লেখকরা যে তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুদের মতো সাধারণ মানুষ হতে পারে , এ বিষয়েও তার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল । কিন্তু তার সেই ধারণাগুলো ভেঙে গেল , যখন দেখল তার ছোটোমেসোও তার বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে অর্ধেক খাবার তুলে দেন , সময়মতো স্নান করেন ও ঘুমোন । ছোটোমামাদের মতোই খবরের কাগজের কথায় তর্ক ও শেষ পর্যন্ত দেশ সম্পর্কে একরাশ হতাশা ঝেড়ে ফেলে সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান । এসব বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে মেসোর মিল দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয় । সে বুঝতে পারে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জীব নয় , নিছকই মানুষ ।
2. ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ।’— ‘ রত্ন ’ ও ‘ জহুরি বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? উদ্ধৃত উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে উদ্ধৃতিটি পাই । ‘ রত্ন ’ বলতে মূল্যবান পাথর বোঝায় । ‘ জহুরি ‘ বলতে বোঝায় জহর অর্থাৎ রত্ন বিশেষজ্ঞকে । যে – কোনো পাথরকে রত্ন বলে চালালে তা জহুরির চোখ এড়ানো মুশকিল । ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে ‘ রত্ন ‘ বলতে তপনের লেখা গল্পকে আর ‘ জহুরি ‘ বলতে তার ছোটোমাসির স্বামী তথা নতুন মেসোমশাইকে বোঝানো হয়েছে ।
সীমিত জীবনবৃত্তের পরিধিতে তপনের গল্পের বইয়ের সঙ্গে পরিচিতি থাকলেও লেখকদের সম্পর্কে তার কিছুই অভিজ্ঞতা ছিল না । তপন তাদের গ্রহান্তরের কোনো জীব ভাবত । নতুন মাসির বিয়ের পর লেখক নতুন মেসোর সঙ্গে যখন পরিচিত হল তখনই তপনের লেখক সম্পর্কে সমস্ত ধারণা বদলে গেল । তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল । তপন তার বাবা , কাকা ও মামাদের সঙ্গে নতুন মেসোর কোনো তফাত পেল না । এসব কিছু মিলিয়েই তপন ভাবে তারই বা লেখক হতে বাধা কোথায় ? তাই সে গল্প লিখতে গিয়ে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলায় উত্তেজনায় ছোটোমাসিকে দেখায় । ছোটোমাসি তা মেসোকে ঘুম থেকে তুলে দেখায় । ব্যাপারটায় তপনের মত না থাকলেও সে মনে মনে পুলকিত হয় , কেন – না জহুরির রত্ন চেনার মতো তার লেখার কদর একমাত্র নতুন মেসোই বুঝতে পারবে ।
3. ‘ আর সবাই তপনের গল্প শুনে হাসে । সকলের তপনের গল্প শুনে হাসার কারণ কী ? তার গল্পের যথাযথ মূল্যায়ন কে , কীভাবে করেছিলেন ?
অথবা , ‘ বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা । চায়ের টেবিলে ওঠা কথাটি সম্পর্কে বাড়ির মানুষদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল ? নতুন মেসোরই – বা এই ঘটনায় বক্তব্য কী ছিল ? হাসার কারণ ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্প থেকে গৃহীত অংশটিতে ‘ সবাই ’ বলতে তপনের বাড়ির লোকজনকে বোঝানো হয়েছে । বাড়ির বড়োদের চোখে সে ছিল নেহাতই ছোটো , তার গুরুত্ব কম । সে যে রাতারাতি একটা গল্প লিখে ফেলতে পারে , আর সে – গল্প যে ছাপানোর যোগ্য হতে পারে তা প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে পারেননি । তাই সকলে তপনের গল্প শুনে হেসেছিলেন । বাড়ির সকলে তার লেখা গল্পকে গুরুত্ব না দিলেও , তার লেখক নতুন মেসো কিন্তু এই গল্পের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিলেন । তপনের মাসি তার গল্পটি মেসোকে দেখালে , তিনি তা একটি পত্রিকায় গল্পের মূল্যায়ন কে , কীভাবে করেছিলেন ? প্রকাশ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন । বিকেলে চায়ের টেবিলে সকলে তপনের লেখা গল্প নিয়ে হাসাহাসি ত করলেও , লেখক – মেসো কিন্তু তপনের প্রশংসা করেন । তিনি বলেন যে , না তপনের লেখার হাত ও দেখার চোখ দুই – ই আছে । কারণ তার বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি , খুন , জখম , অ্যাকসিডেন্ট , নয়তো না – খেতে পেয়ে মরে যাওয়া প্রভৃতি বিষয়ে গল্প লেখে । কিন্তু তপন সেসব না – লিখে তার ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি নিয়ে গল্প লিখেছে । তপনের লেখক মেসোর মতে , এ খুব বিরল লক্ষণ । এইভাবে তপনের মেসো তার লেখা গল্পের মূল্যায়ন করেছিলেন । তবে তপনের গল্পে আনাড়ি হাতের ছাপ থাকায় , তিনি তা সংশোধন করে দিয়েছিলেন ।
4. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? – কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে । একে অলৌকিক বলার কারণ কী ?
Ans: প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর গল্প ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ – র কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন । বিশাল পৃথিবীতে স্বল্প বাস্তবতাবোধ নিয়ে আর পাঁচটা শিশুর মতোই তারও পথ চলা । লেখকদের সম্পর্কে তার ধারণা সে – কথাই বলে । সেই তপন তার নতুন লেখক মেসোমশাইয়ের অলৌকিক ঘটনা সান্নিধ্যে এসে তার প্রতিভাকে বিকশিত করে কাঁচা হাতে লিখে ফেলে একটা আস্ত গল্প । সেই গল্প মেসোর হাতে গেলে মেসো তপনের ও বাড়ির লোকেদের মন রাখার জন্য তা সামান্য কারেকশন করে সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন ও সেটি নিয়ে যান । এর বেশ কিছু দিন পর ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় গল্পটি ছেপে বেরোয় । তপনের কাছে এই চমকপ্রদ ঘটনাটিই অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল । → ‘ অলৌকিক ’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল মানুষের পক্ষে যা সম্ভব নয় বা পৃথিবীতে সচরাচর যা ঘটে না । এক্ষেত্রে ছোট্ট তপনের লেখা গল্প কেন অলৌকিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির সমন্বয়ে যেভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছিল সেটাই অলৌকিক । আসলে তপনের লেখক সম্পর্কে ধারণার অবসান , গল্প লেখা , তা মেসোর হাত ধরে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া প্রভৃতি ঘটনাগুলি তার কাছে এতটাই অবিশ্বাস্য যে , তার মনে হয় সমস্ত ঘটনাটিই যেন অলৌকিক ।
5. ‘ এর প্রত্যেকটি লাইনই তো নতুন আনকোরা , তপনের অপরিচিত ’ – ‘ এর ’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে । বিষয়টি পরিস্ফুট করো ।
Ans: উদ্ধৃত লাইনটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের অংশবিশেষ । ‘ এর ‘ – এর উদ্দেশ্য এখানে ‘ এর ’ বলতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের প্রথম ছেপে বেরোনো গল্প ‘ প্রথম দিন ‘ – এর কথা বলা হয়েছে । গল্পের নায়ক তপন ছোটোবেলা থেকেই ভাবত লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ । কিন্তু ছোটোমাসির সঙ্গে বিয়ে হওয়া নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ভুল ভাঙে । তার নতুন মেসো বই লেখেন । সেসব বই ছাপাও হয় — অথচ মেসোর আচার – আচরণের সঙ্গে তার বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর আচার – আচরণের কোনো তফাতই বিস্তারিত আলোচনা সে খুঁজে পায় না । তপন বোঝে , লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয় । অনুপ্রাণিত তপন একটা আস্ত গল্প লেখে যেটা তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর হাতে পড়ে । মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সে গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছাপিয়ে দেন নতুন মেসো । বাড়িতে সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই । কিন্তু ছোট্ট তপন সকলের অনুরোধে গল্প পড়তে শুরু করতেই সুর কেটে যায় । তপন দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন । গল্পের প্রত্যেকটি লাইনই তার কাছে নতুন লাগে । তার শিশুমন ব্যথায় ভরে ওঠে ।
6. ‘ তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।— ‘ আজ ’ বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে । তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?
Ans: ‘ আজ ‘ বলতে সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে , যেদিন তপনের মাসি ও মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার একটি সংস্করণ নিয়ে তাদের বাড়িতে আসেন , যাতে তপনের প্রথম ‘ আজ ‘ –যে দিন গল্প প্রকাশিত হয় ।
কারণ শিশুমন কোমল , সামান্য আঘাত পেলেই তারা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে । এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে । ছোট্ট তপনের লেখক সম্পর্কে সব কৌতূহলের শেষ হয় নতুন মেসোকে দেখে । অনুপ্রাণিত তপন একটি গল্প লেখে । সেই গল্প মাসির পীড়াপীড়িতে মেসোর হাত ধরে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয় । স্বাভাবিক কারণে তপন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে । নানান বিরুপতা সত্ত্বেও সে গর্ব অনুভব করে । কিন্তু তার গর্ব মাটিতে মিশে যায় গল্পটি পড়ার সময় । সে দেখে প্রকাশিত গল্পে তার লেখার লেশমাত্র নেই । কারণ গল্পটা সামান্য কারেকশনের নামে পুরোটাই বদলে গিয়েছিল । এতে তপনের লেখকসত্তা অপমানিত হয় । তার চোখে জল এসে যায় । এই কারণে দিনটিকে তার সবচেয়ে দুঃখের মনে হয় ।
7. ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের তপনের মধ্যেও সব শিশুর মতোই আশা – আকাঙ্ক্ষা , স্বপ্ন – স্বপ্নভঙ্গ , কল্পনা বাস্তব , আনন্দ – অভিমানের টানাপোড়েন দেখা যায় । তবে তার চরিত্রের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য তাকে আলাদা করে রাখে । তপন মনে মনে তার কল্পনার জগৎকে সাজিয়ে নিতে ভালোবাসে । তাই তার কল্পনার জগতে লেখকরা ছিলেন ভিন কল্পনাপ্রবণ গ্রহেরপ্রাণী । সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের বুঝি বা কোনো মিলই নেই । সাহিত্যপ্রেমী সাহিত্যের প্রতি তপনের ঝোঁক ছোটোবেলা থেকেই । সে অনেক গল্প শুনেছে ও পড়েছে । লেখকদের সম্পর্কেও তার কৌতূহল অসীম । ছোটোমেসোকে দেখে তার মনেও লেখক হওয়ার ইচ্ছে জাগে । উৎসাহী হয়ে বেশ কয়েকটা গল্পও লিখে বয়স অনুপাতে তপন একটু বেশিই সংবেদনশীল । সমবয়সি ছেলেমেয়েদের মতো রাজারানি , খুন – জখম ও অ্যাকসিডেন্ট নিয়ে না – লিখে , তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি সংবেদনশীল ও অন্তর্মুখী ২ ঠাট্টাতামাশা বা মাসি মেসোর উৎসাহদান কোনোটাতেই সে প্রকাশ্যে তার প্রতিক্রিয়া দেখায় না । এটা তার অন্তর্মুখী স্বভাবেরই পরিচয় । তাই কারেকশনের নামে মেসো তার গল্পটা আগাগোড়া বদলে দিলে তপন তার কষ্ট লুকোতে ছাদে গিয়ে কাঁদে ।
তপনের আত্মমর্যাদা বোধ ছিল প্রবল । তার গল্প ছোটোমেসো কারেকশনের নাম করে আগাগোড়াই বদলে দিলে তপনের লেখকসত্তা আহত হয় । সে মনে মনে শপথ নেয় , ভবিষ্যতে লেখা ছাপাতে হালে সে নিজে গিয়ে লেখা দিয়ে আসবে পত্রিকা অফিসে । তাতে যদি তার মতো নতুন লেখকের লেখা ছাপা না হয় , তাতেও দুঃখ নেই ।
8. নতুন মেসোর চরিত্রটি আলোচনা করো ।
Ans: কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের মূল চরিত্র তপনের আত্মোপলব্ধির পিছনে যে – চরিত্রটির প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে , তিনি হলেন তপনের নতুন মেসো । এই মেসো পেশায় অধ্যাপক এবং লেখক । তাঁর লেখক পরিচয় তপনের মনের বহু ভুল ধারণা ভেঙে দেয় । অধ্যাপক ও লেখক হওয়া সত্ত্বেও মেসো ব্যক্তিটি বেশ মিশুকে , ফুর্তিবাজ । তিনি শ্যালক – শ্যালিকাদের সঙ্গে গল্প করেন , তর্ক করেন , কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন , সিনেমায় মিশুকে যান ও বেড়াতেও যান ।
শ্বশুরবাড়ির সদস্য হিসেবে তপনের প্রথম লেখা গল্পের তিনি প্রশংসা সহানুভূতিশীল করেন ও তা ছাপার দায়িত্ব নিয়ে নেন । শুধু যে তপনকে উৎসাহ দিতে ছোটোমেসো তার গল্পটা ছাপিয়ে দেন , নিজের প্রতিপত্তি এমনটা নয় । শ্বশুরবাড়িতে নিজের প্রতিপত্তি জাহির বাহিরে আগ্রহী করতেও তিনি এ কাজ করেন । তপনের গল্প যাতে প্রসিদ্ধি পায় , তাই সংশোধনের নামে গল্পের খোলনলচে বদলে দেন মেসো । তাঁর উদ্দেশ্য হয়তো মহৎ ছিল । কিন্তু তাঁর অন্যের আবেগ বুঝতে অক্ষম এই উদ্যোগ তপনের লেখকসত্তাকে আঘাত করে । একদিকে চারিত্রিক উদারতায় ও মহত্ত্বে আবার অন্যদিকে অসতর্কতায় , তপনের নতুন মেসো এক পরিপূর্ণ রক্তমাংসের চরিত্র হয়ে ওঠেন । যদিও একজন লেখক হয়ে অন্য লেখকের এই আত্মসম্মান ও অহংবোধকে উপলব্ধি করা তাঁর উচিত ছিল ।
9. তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি আলোচনা করো ।
অথবা , ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপনের ছোটোমাসির স্বভাব ও ভাবনার যে – পরিচয় ফুটে উঠেছে , আলোচনা করো ।
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে আশাপূর্ণা দেবী সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে ছোটো অথচ বেশ শক্তিশালী চরিত্র হল তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি । ছোটোমাসি বয়সে তপনের চেয়ে বছর আষ্টেকের বড়ো । প্রায় সমবয়সি ছোটোমাসি ছিল তপনের চিরকালের বন্ধু । মামার বাড়িতে এলে তপনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গী ছিল সে । তাই তপন প্রথমবার গল্প লিখে বন্ধুত্বপূর্ণ ছোটোমাসিকেই সকলের আগে দেখায় । সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী একজন অধ্যাপক । তিনি আবার বইও লেখেন । তাই বিয়ের পর থেকে ছোটোমাসির মধ্যে একটা মুরুব্বি মুরুব্বি ভাব এসেছে । তপনের লেখা গল্পটি পুরোটা না পড়েই স্বামী গর্বে গর্বিতা সে তার মতামত জানায় এবং লেখাটা নিয়ে যায় । তার স্বামীর কাছে । তার জোরাজুরিতেই তার স্বামীর তপনের গল্পটা ছাপানোর ব্যবস্থা করতে রাজি হয়ে যান । তাই সেই গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছেপে বেরোলে মাসির মুখে আত্মপ্রসাদের আনন্দ দেখা যায় । প্রায় সমবয়সি হলেও তপন ছিল তার বিশেষ স্নেহের পাত্র । তাই তার লেখা গল্প ছাপানোর ব্যাপারে মাসি এত উদ্যোগ । নেয় । সে যখন মজা করে তপনের লেখাটা ‘ টুকলিফাই ’ কিনা জানতে চায় , তখনও সেই বক্তব্যের মধ্যে অভিযোগ বা সন্দেহের বদলে স্নেহেরই সুর বাজে ।
10. ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের গৌণ চরিত্রগুলি গল্পে কী ভূমিকা পালন করেছে , তা আলোচনা করো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে যেসব গৌণ চরিত্রের দেখা মেলে তারা হলেন তপনের ছোটোমামা , মেজোকাকু , মা এবং তার বাবা । এই চরিত্রগুলির মধ্যে একমাত্র ‘ ছোটোমামা ‘ চরিত্রটির মুখে কোনো সংলাপ দেখতে পাওয়া যায় না । বাকিদের ক্ষেত্রেও সংলাপ অতিসামান্য । তবে কমবেশি সবকটি চরিত্রই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে বয়সজনিত পরিণতমনস্কতা লক্ষ করা যায় না । তপনের বয়সি কোনো ছেলে প্রথম গল্প লিখলে বা সেই গল্প ছাপা হলে যেভাবে তাকে উৎসাহ ও প্রশংসা দেওয়া উচিত , তা এই অভিভাবকস্থানীয় ব্যক্তিরা করেননি । উলটে ব্যঙ্গ ও রসিকতায় তাকে জড়োসড়ো ও আড়ষ্ট তুলেছেন । একমাত্র তপনের মাকেই ছেলের প্রতি কিছুটা সহানুভূতিশীল হতে দেখা যায় । তবে লেখিকা আগাগোড়া রসিকতার ঢঙে গল্পটি পরিবেশন করায় | গল্পের গৌণ চরিত্রগুলিও আবহের সঙ্গে বেশ মানানসই । আসলে বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারে একটি কল্পনাপ্রবণ ও সৃষ্টিশীল বালকের প্রকৃত অসহায় অবস্থা ফুটিয়ে তুলতে দৈনন্দিনতার যে আটপৌরে ছবিটির প্রয়োজন | হয় , এই চরিত্রগুলির মাধ্যমে লেখিকা মুনশিয়ানার সঙ্গে সেই পরিবেশটাই স্পষ্ট করে তুলেছেন ।
11. ছোটোগল্প হিসেবে আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের সার্থকতা বিচার করো ।
Ans: শুধু আয়তনে ছোটো হলেই কোনো গল্প ছোটোগল্পের পর্যায়ে পড়ে না । ছোটোগল্পের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে । সেই বৈশিষ্ট্যগুলির সাপেক্ষে ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটিকে বিচার করলে বোঝা যাবে ছোটোগল্প হিসেবে সেটি কতটা সার্থক ।
ছোটোগল্প শুরু হয় হঠাৎ করে । ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পতেও এই বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ করা যায় । ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল’— এই বাক্যটি দিয়ে আচমকাই গল্পটি শুরু হয় । হঠাৎ শুরু গল্প লেখাকে কেন্দ্র করে তপনের মোহ এবং সেই মোহভঙ্গের কাহিনিকে ঘিরেই এই গল্প । গল্পে অন্য কোনো উপকাহিনি গড়ে একটি মাত্র য় বিষয়কেন্দ্রিকতা ওঠেনি । তাই গল্পটি তার সংক্ষিপ্ত পরিধির মধ্যে একটি মাত্র বিষয়েই সীমাবদ্ধ । ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপন ছাড়াও যে চরিত্রগুলির ভূমিকা নজর কাড়ে , তাঁরা হলেন তপনের ছোটোমাসি এবং মেসো । বাকি কম চরিত্রের উপস্থিতি চরিত্রগুলি নেহাতই গৌণ । এক্ষেত্রেও ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রয়েছে । অতিরিক্ত চরিত্রের ভিড় নেই । ছোটোগল্প যেমন হঠাৎ করে শুরু হয় , তেমনই হঠাৎই শেষ হয় । গল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পাঠকের মনে এক ধরনের অতৃপ্তি থেকে যায় । ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটিও এর ব্যতিক্রম নয় । ছাপার অক্ষরে অসমাপ্তির রেশ নিজের নামের মতোই নিজের লেখাকেও দেখতে চেয়েছিল তপন । তার সেই স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়েই গল্পটি শেষ হয় । ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটির মধ্যে ছোটোগল্পের প্রতিটি বৈশিষ্ট্যই রয়েছে । সুতরাং , ছোটোগল্প হিসেবে এটি নিঃসন্দেহে সার্থক ।
12. নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের— প্রশ্ন কোন্ ঘটনায় জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল ?
Ans: গল্প অনুসারে সত্যিই কি এই ঘটনায় তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল ? 545 জ্ঞানচক্ষু উন্মোচনের উত্তর / গল্পকার আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন । তার শিশুমনে লেখক বা সাহিত্যিক সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না । সে ভাবত লেখকেরা বুঝি কোনো ভিন গ্রহের জীব । ছোটোমাসির বিয়ে হওয়ার পর তপন জানতে পারে নতুন মেসো একজন লেখক এবং তাঁর অনেক বই ছাপা হয়েছে । জলজ্যান্ত একজন সত্যিকারের লেখককে চোখের সামনে দেখে সে বুঝতে পারে লেখকেরা ছোটোমামা কিংবা মেজোকাকুর মতোই নিছক সাধারণ মানুষ । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তপনের প্রাথমিক জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । জ্ঞানচক্ষু উন্মোচনে ঘটনার প্রেক্ষিত
লেখক মেসোমশাইয়ের দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন নিজেও একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে । এভাবে সহজেই একটা গল্প লিখে ফেলার রোমাঞে ও উত্তেজনায় তা সে বন্ধুমনোভাবাপন্ন ছোটোমাসিকে দেখায় । এরপর ছোটোমাসির প্ররোচনায় আর নতুন মেসোর প্রভাবে সেই গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । কিন্তু পত্রিকায় ছাপা গল্পটি পড়ে তপন টের পায় সংশোধনের নামে মেসো লেখাটির আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । এ গল্পে তপন কোথাও নেই । আর বাড়িতেও মুখে মুখে রটে যায় মেসোর দৌলতেই তার গল্প ছাপা হয়েছে । এ ঘটনা আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন তপনের সংবেদনশীল লেখক মনে আঘাত করে । লজ্জায় অনুশোচনায় সে সিদ্ধান্ত নেয় ভবিষ্যতে কারও সুপারিশে নির্ভর না করে নিজের লেখা নিজেই ছাপতে দেবে । এক কিশোরের আত্মস্বরূপ আবিষ্কারের এ কাহিনির মধ্যেই আসলে লুকিয়ে আছে প্রকৃত জ্ঞানচক্ষু লাভের সার্থকতা ।
13. তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! – কার এ কথা মনে হয়েছে ? জীবনের কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ?
অথবা , ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ।– উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে কোন্ ঘটনা কেন দুঃখের ও অপমানের ।
উত্তর / কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের নায়ক তপনের এ কথা মনে হয়েছিল । শিশুমন কোমল , সামান্য আঘাত পেলেই তারা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে । এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে । ছোট্ট তপনের লেখক সম্পর্কে সব কৌতূহলের শেষ হয় নতুন মেসোকে দেখে । অনুপ্রাণিত তপন একটি গল্প লেখে ।
সেই গল্প মাসির পীড়াপীড়িতে মেসোর হাত ধরে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয় । স্বাভাবিক কারণে তপন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে । নানান বিরূপতা সত্ত্বেও সে গর্ব অনুভব করে । কিন্তু তার গর্ব মাটিতে মিশে যায় গল্পটি পড়ার সময় । সে দেখে প্রকাশিত গঙ্গে তার লেখার লেশমাত্র নেই । কারণ গল্পটা সামান্য কারেকশনের নামে পুরোটাই বদলে গিয়েছিল । এতে তপনের লেখকসত্তা অপমানিত হয় । তার চোখে জল এসে যায় । নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখ ও যন্ত্রণা তাকে কুরেকুরে খায় । লজ্জা , অনুশোচনা এবং আত্মসম্মানহীনতার সংকোচ থেকে এভাবেই সে উপরিউক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয় ।
14. ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? গল্পটি পড়ে তুমি কী শিক্ষা পেলে লেখো ।
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটির লেখিকা কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী । তিনি জ্ঞানচক্ষু কী ? জ্ঞানচক্ষু ’ বলতে মানুষের আত্ম – অনুভূতি এবং অন্তদৃষ্টি লাভের বিষয়টিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন । ” জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটির নায়ক তপন । ছোট্ট তপন তার সীমিত জীবনবৃত্তে কখনও কোনো লেখককে দেখেনি । তাই সত্যিকারের লেখক নতুন মেসোকে দেখে সাহিত্যিক সম্পর্কে তার সমস্ত ভুল ধারণার নিরসন হয় । মেসোকে হাতের কাছে পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সে নিজেই এবার একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে ।
এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং লেখক মেসোর প্রভাবে সেই গল্পটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । সে মনে মনে বেশ গর্বও অনুভব করে । কিন্তু ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে টের পায় সংশোধন করতে গিয়ে লেখক – মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে সঙ্গ পড়ে প্রাপ্ত শিক্ষা ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই কোথাও খুঁজে পায় না । ফলে তপনের লেখকমন আহত হয় । সে দুঃখে , লজ্জায় ও অসম্মানে একলা হাতে গিয়ে কেঁদে ফেলে । এমন গভীর খারাপ লাগার দিনে দাঁড়িয়ে সে সংকল্প করে ; ভবিষ্যতে কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজের লেখা নিজেই ছাপতে দেবে । আসলে কাউকে অবলম্বন করে কিছু পেতে গেলে যে আত্মসম্মান খুইয়ে নিজের মনের আয়নায় নিজেকেই ছোটো হয়ে যেতে হয় এই শিক্ষাই তপন লাভ করে আর আমরাও তার সঙ্গে টের পাই স্বকীয়তা এবং আত্মমর্যাদাবোধের সঙ্গে আপস করে কখনই জীবনে কিছু লাভ করা যায় না ।
15. ” তপন আর পড়তে পারে না । বোবার মতো বসে থাকে – তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের ইচ্ছে ছিল লেখক হওয়ার । একই সঙ্গে লেখকদের সম্বন্ধে তার ধারণা ছিল , তাঁরা বুঝি আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা । কিন্তু তার ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ভুল ভাঙে । তার নতুন মেসো অধ্যাপক , বই লেখেন । সেসব বই ছাপাও হয় অথচ প্রান্তিক মাধ্যমিক বাং মেসোর আচার – আচরণের সঙ্গে তার বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর আচার – অচারণের কোনো তফাতই সে খুঁজে পায় না । নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একটি আস্ত গল্প লেখে , যেটি তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর হাতে গিয়ে পড়ে । মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সেই গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপানোর আশ্বাস দেন নতুন মেসো । বাড়িতেও সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই । অনেকদিনের ইচ্ছে হয়তো এবার পূরণ হতে চলেছে — এই ভেবেই একটু সংশয়কে সঙ্গী করেই তপনের মনও উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে । কিন্তু যথাসময়ে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে তপন টের পায় কারেকশনের নামে লেখক – মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই খুঁজে পায় না । তপনের লেখকমন আহত হয় । নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখযন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খায় । লজ্জা , অনুশোচনা আর আত্মসম্মানহীনতায় তার বাক্রোধ হয়ে আসে ।
বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২১ (Madhyamik Bengali Suggestion 2021)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
১. তপনের লেখা গল্প তার মেসোমশাইকে কে দিয়েছিল?
(ক) মা (খ) বড়োমাসি (গ) ছোটোমাসি (ঘ) বাবা
উত্তরঃ (গ) ছোটোমাসি
২. কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেলের মতন হয়ে গেল?
(ক) দিদি (খ) নতুন মেসোমশাই (গ) বাবা (ঘ) নতুন পিসেমশাই
উত্তরঃ (খ) নতুন মেসোমশাই
৩. নতুন মেলোমশাই ছিলেন একজন
(ক) লেখক (খ) গায়ক (গ) শিক্ষক (ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) লেখক
৪. “ছোটোমাসি সেই দিকেই ধাবিত হয়।”ছোটোমাসি ধাবিত হয়—
(ক) ছোটোমেসোর দিকে (খ) রান্নাঘরের দিকে (গ) তপনের দিকে (ঘ) ছাদের দিকে
৫. তপনের কোন্ মেসোমশাই বই লেখেন?
(ক) বড়ো মেসোমশাই (খ) ছোটো মেসোমশাই (গ) মেজো মেসোমশাই (ঘ) সেজো মেসোমশাই
উত্তরঃ (খ) ছোটো মেসোমশাই
৬. তপনের ছোটোমেসো ‘এদেশের কিছু হবে না’ বলে মন্তব্য করে কী দেখতে চলে যান?
(ক) তাজমহল (খ) চিড়িয়াখানা (গ) জাদুঘর (ঘ) সিনেমা
উত্তরঃ (ঘ) সিনেমা
৭. তপনের ছোটোমেসসা কী উপলক্ষ্যে শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন?
(ক) পৈতে (খ) বিয়ে (গ) অন্নপ্রাশন (ঘ) শ্রাদ্ধ
উত্তরঃ (খ) বিয়ে
৮. তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে কে চলে গিয়েছিলেন?
(ক) তপনের মেসোমশাই (খ) তপনের ছোটোমাসি (গ) তপনের মা (ঘ) তপনের বাবা
উত্তরঃ (গ) তপনের মা
৯. তপন কটা গল্প লিখেছিল?
(ক) একটা (গ) চারটে (ঘ) তিনটে
উত্তরঃ (খ) দুটো
১০. ছোটোমেলোমশাই তপনের গল্প হাতে পেয়ে কী বলেছিলেন?(
ক) আর-একটা লেখার কথা (খ) আরও দুটো গল্প দেওয়ার কথা
(গ) এই গল্পটাই একটু কারেকশান করার কথা (ঘ) কোনোটাই নয়
উত্তরঃ (গ) এই গল্পটাই একটু কারেকশান করার কথা
১১. তপন বিয়েবাড়িতে কী নিয়ে এসেছিল?
(ক) ব্যাট ও বল (খ) গল্পের বই (গ) গানের খাতা (ঘ) হোমটাস্কের খাতা
উত্তরঃ (ঘ) হোমটাস্কের খাতা
১২. তপন তার গল্পটা লিখেছিল—
(ক) দুপুরবেলা (খ) সন্ধ্যেবেলা (গ) বিকেলবেলা (ঘ) গভীর রাতে
উত্তরঃ (ক) দুপুরবেলা
১৩. কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপা হয়েছিল?
(ক) ধ্রুবতারা (খ) ভারতী (গ) সাহিত্যচর্চা (ঘ) সন্ধ্যাতারা
উত্তরঃ (ঘ) সন্ধ্যাতারা
১৪. তপনের লেখা গল্পটার নাম কি ছিল—
(ক) ছুটি (খ) অবসর (গ) প্রথম দিন (ঘ) কোনোটাই নয়
উত্তরঃ (গ) প্রথম দিন
১৫. সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ
(ক) তপনের ছেটোমাসির বিয়ে (খ) তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে (গ) তপন পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে (ঘ) সবগুলি সঠিক
উত্তরঃ (খ) তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
১. তপনের লেখা গল্প তার মেসোমশাইকে কে দিয়েছিল?
(ক) মা (খ) বড়োমাসি (গ) ছোটোমাসি (ঘ) বাবা
উত্তরঃ (গ) ছোটোমাসি
২. কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেলের মতন হয়ে গেল?
(ক) দিদি (খ) নতুন মেসোমশাই (গ) বাবা (ঘ) নতুন পিসেমশাই
উত্তরঃ (খ) নতুন মেসোমশাই
৩. নতুন মেলোমশাই ছিলেন একজন
(ক) লেখক (খ) গায়ক (গ) শিক্ষক (ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) লেখক
৪. “ছোটোমাসি সেই দিকেই ধাবিত হয়।”ছোটোমাসি ধাবিত হয়—
(ক) ছোটোমেসোর দিকে (খ) রান্নাঘরের দিকে (গ) তপনের দিকে (ঘ) ছাদের দিকে
৫. তপনের কোন্ মেসোমশাই বই লেখেন?
(ক) বড়ো মেসোমশাই (খ) ছোটো মেসোমশাই (গ) মেজো মেসোমশাই (ঘ) সেজো মেসোমশাই
উত্তরঃ (খ) ছোটো মেসোমশাই
৬. তপনের ছোটোমেসো ‘এদেশের কিছু হবে না’ বলে মন্তব্য করে কী দেখতে চলে যান?
(ক) তাজমহল (খ) চিড়িয়াখানা (গ) জাদুঘর (ঘ) সিনেমা
উত্তরঃ (ঘ) সিনেমা
৭. তপনের ছোটোমেসসা কী উপলক্ষ্যে শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন?
(ক) পৈতে (খ) বিয়ে (গ) অন্নপ্রাশন (ঘ) শ্রাদ্ধ
উত্তরঃ (খ) বিয়ে
৮. তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে কে চলে গিয়েছিলেন?
(ক) তপনের মেসোমশাই (খ) তপনের ছোটোমাসি (গ) তপনের মা (ঘ) তপনের বাবা
উত্তরঃ (গ) তপনের মা
৯. তপন কটা গল্প লিখেছিল?
(ক) একটা (গ) চারটে (ঘ) তিনটে
উত্তরঃ (খ) দুটো
১০. ছোটোমেলোমশাই তপনের গল্প হাতে পেয়ে কী বলেছিলেন?
(ক) আর-একটা লেখার কথা (খ) আরও দুটো গল্প দেওয়ার কথা
(গ) এই গল্পটাই একটু কারেকশান করার কথা (ঘ) কোনোটাই নয়
উত্তরঃ (গ) এই গল্পটাই একটু কারেকশান করার কথা
১১. তপন বিয়েবাড়িতে কী নিয়ে এসেছিল?
(ক) ব্যাট ও বল (খ) গল্পের বই (গ) গানের খাতা (ঘ) হোমটাস্কের খাতা
উত্তরঃ (ঘ) হোমটাস্কের খাতা
১২. তপন তার গল্পটা লিখেছিল—
(ক) দুপুরবেলা (খ) সন্ধ্যেবেলা (গ) বিকেলবেলা (ঘ) গভীর রাতে
উত্তরঃ (ক) দুপুরবেলা
১৩. কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপা হয়েছিল?
(ক) ধ্রুবতারা (খ) ভারতী (গ) সাহিত্যচর্চা (ঘ) সন্ধ্যাতারা
উত্তরঃ (ঘ) সন্ধ্যাতারা
১৪. তপনের লেখা গল্পটার নাম কি ছিল—
(ক) ছুটি (খ) অবসর (গ) প্রথম দিন (ঘ) কোনোটাই নয়
উত্তরঃ (গ) প্রথম দিন
১৫. সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ
(ক) তপনের ছেটোমাসির বিয়ে (খ) তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে (গ) তপন পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে (ঘ) সবগুলি সঠিক
উত্তরঃ (খ) তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২১ – Madhyamik Bengali Suggestion 2021
১. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”—কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
উত্তরঃ একজন লেখকও যে সাধারণ মানুষের মতো হতে পারে, তাদের আচরণও যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
২. “অনেক বই ছাপা হয়েছে”—কার অনেক বই ছাপা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো, যিনি আসলে লেখক, তাঁরই অনেক বই ছাপা হয়েছে।
৩. “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী?” তপনের লেখক হতে বাধা ছিল কেন?
অথবা, তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন?
উত্তরঃ তপন মনে করত লেখকরা তার মতো সাধারণ মানুষ নয়, হয়তো তারা অন্য গ্রহের জীব—তাই তার লেখক হতে বাধা ছিল। অথবা, নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারল তিনি তাদের মতোই মানুষ, আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়। তাই তপনেরও লেখক হতে কোনো বাধা নেই।
৪. কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল?
উত্তরঃ নতুন মেসো অর্থাৎ ছোটো মেসোমশাইকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।
৫. তপনের ছোটোমেসো ছোটোমামার মতো কী করেন?
উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো ছোটোমামার মতো খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবলভাবে গল্প করেন, তর্ক করেন, ‘এদেশের কিছু হবে না’ বলেন।
৬. তপনের ছোটো মেসোমশাইয়ের পরিচয় কী?
উত্তরঃ তপনের ছোটো মেসোমশাই একজন কলেজের অধ্যাপক। তিনি একজন লেখক, সত্যিকারের লেখক।
৭. তপনের ছোটো মেসোমশাই সুযোগ পেলে কী করতেন?
উত্তরঃ তপনের ছোটো মেসোমশাই সুযোগ পেলে দিবানিদ্রা যেতেন।
৮. “তা হলে বাপু তুমি ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও”—এই কথাটি কে, কাকে বলেছে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ছোটোমাসি তার স্বামীকে অর্থাৎ ছোটোমেসোকে এই কথাটি বলেছে।
৯. বিকেলে চায়ের টেবিলে কী কথা ওঠে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের গল্প লেখার ব্যাপারটা বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে।
১০. লেখার প্রকৃত মূল্য কে বুঝবে বলে তপন মনে করেছিল?
উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো লেখালেখি করতেন। তার অনেকগুলো বই ছিল। তিনি যেহেতু অনেক বই লিখেছেন, তাই লেখক মানুষ হিসেবে তিনিই লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন বলে তপন মনে করেছিল।
১১. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে।”—লেখার প্রকৃত মূল্য কেবল নতুন মেসোই বুঝবে কেন?
উত্তরঃ নতুন মেসো একজন নামকরা লেখক। তাই তিনিই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন।
১২. ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় লেখা ছাপা প্রসঙ্গে তপনের মেলোমশাই কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তপনের মেসোমশাইয়ের পরিচিত তপনের লেখা দেখে মেসোমশাই বলেছিলেন, তিনি যদি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে লেখা ছাপানোর কথা বলেন তাহলে সম্পাদকমশাই না বলতে পারবেন না।
১৩. গল্প লেখার পর তপনের কী মনে হয়েছিল?
উত্তরঃ একটা গোটা গল্প সে লিখে ফেলেছে এটা ভেবেই তপনের সারা গায়ে কাটা দিয়ে উঠল, মাথার চুল পর্যন্তখাড়া হয়ে উঠল। সে ভাবল এখন তাকেও লেখক বলা যায়।
১৪. বিয়ে হয়ে ছোটোমাসি কীরকম হয়ে গেছে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা “জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের ছোটোমাসি বিয়ে হওয়ার পর একটু মুরুব্বি হয়ে গেছে।
১৫. তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে কী বলেন?
উত্তরঃ তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে বলেন, “কই তুই নিজের মুখে একবার পড় তো শুনি! বাবা, তোর পেটে পেটে এত।”
১৬. “মেসো অবশ্য মৃদু মৃদু হাসেন।”- মেসোর হাসির কারণ কী?
উত্তরঃ মেসো জানেন তপনের গল্প তিনি সংশোধন করে নিজে সম্পাদকের হাতে জমা দিয়েছেন আর তা ছাপানোর কাজে সার্থক হয়েছেন, তাই তিনি মৃদু মৃদু হাসেন।
১৭. “ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।”—কোন কথাটি ছড়িয়ে পড়ে?
১৮. “ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।”—ছোটোমাসি কোন দিকে ধাবিত হয়?
উত্তরঃ মেসোমশাই যেখানে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন সেদিকে ছোটোমাসি ধাবিত হয়।
১৯. “তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।”- তপনের এই পুলকের কারণ কী?
উত্তরঃ তপনের মাসি তপনের লেখা নিয়ে মেসোমশাইয়ের কাছে গিয়ে হইচই করলে সে পুলকিত হয় কারণ তার লেখার মূল্য একমাত্র মেসোমশাইয়ের পক্ষেই বোঝা সম্ভব।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ৩) জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী)
১. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”— কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
২. “নতুন মেসসাকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”— কীভাবে তপনের নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল?
৩. লেখকদের সম্পর্কে তপনের কী ধারণা ছিল এবং কীভাবে সেই ধারনা পালটে গেল?
৪. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।”—কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
- “গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের”—তপনের গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে উঠল?
৯. “হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন।” তপনের উত্তেজনার কারণ বর্ণনা করো।
১০. তপনের বাড়িতে তার কী নাম কেন প্রচলিত হয়েছিল?
১১. “বুকের রক্ত চলকে ওঠে তপনের।”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা লেখো।
১৩. তপনের প্রথম গল্পটি বের হওয়ার পর তার বাড়ির লোকের প্রতিক্রিয়া কীরূপ?
১৪. তপনের লেখা গল্প সম্পর্কে তার বাবা ও মেজোকাকু কী বলে?
১৫. “যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”— ‘আহ্লাদ’ হওয়ার কথা ছিল কেন? ‘আহ্লাদ’ খুঁজে না-পাওয়ার কারণ কী?
১৬. তপন গল্প লিখে তার ছোটোমাসিকে দেখালে সে তপনের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করে?
রচনাধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ৫) জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২১
১. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!”—তপন কে? কথাটা কী ছিল? তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল কেন? ১+১+৩
২. “রত্নের মুল্য জহুরির কাছেই।”— ‘রত্ন’ কে? ‘জহুরি’ কে? কথাটির অর্থ পরিস্ফুট করো। ১+১+৩
৩. জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন কীভাবে হয়েছে তা বর্ণনা করো।
৪. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে”— এ কথা কার, কেন মনে হয়েছিল তা আলোচনা করো।
৫. নিথর দুপুরবেলায় তপন কী করেছিল আর তারপর কী ঘটনা ঘটেছিল সংক্ষেপে লেখো।
৬. “লেখার পর যখন পড়ল, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের”। — কোন্ লেখার কথা এখানে বলা হয়েছে? সেই
লেখা পড়ে তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার কারণ কী? 2+3
৭. “তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে।”— কী কারণে তপন দিন গুনছিল? তার দিন গোনার ফল কী হয়েছিল? 2+3
৮. “কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো?”—কে, কাকে এই কথাটি বলেছে? কখন বলেছে? কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ২+১+২
৯. “কীরে তোর যে দেখি পায়া ভারী হয়ে গেল।”—এই কথা কে, কাকে বলেছে? কোন্ প্রসঙ্গে এই কথা বলেছে? কথাটির মর্মার্থ লেখো। ২+১+২
১০. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। ”কার সম্পর্কে এই কথা বলা হয়েছে? কখন এই মন্তব্য করা হয়েছে? তার সেই ভয়ংকর আহ্লাদ খুঁজে না-পাওয়ার কারণ কী? ১+২+২
১১. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
১২. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের ভাববস্তু/বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
১৩. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের মধ্যে সমাজচিত্র বা লেখিকার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনা করো।
১৪. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো।
১৫. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে অপ্রধান চরিত্রগুলি আলোচনা করো।
১৬. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে দু-বার জ্ঞানচক্ষু লাভের কথা কীভাবে আছে, আলোচনা করো।
১৭. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটি ছোটোগল্প হিসেবে কতখানি সার্থক, তা আলোচনা করো।
১৮. “ছোটোমাসিই ওর চিরকালের বন্ধু।”—কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে? কখন বলা হয়েছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো। ১+২+২
১৯. “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”—কোন্ দিনটির কথা বলা হয়েছে? কেন সেটা দুঃখের দিন? তপনের মনের প্রতিক্রিয়া কীরূপ? ১+২+২
২০. “আঃ ছোটোমাসি, ভালো হবে না বলছি।”—কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? উক্তিটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করো। কথাটির মর্মার্থ লেখো। ১+২+২
পাঠ্যগত ব্যাকরন – জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২১
বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
কারক-বিভক্তি
১. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি হল
(ক) কর্মকারকে এর’ বিভক্তি (খ) কর্তৃকারকে ‘এর’ বিভক্তি (গ) সম্বন্ধপদে এর’ বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পদে ‘এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (ক) কর্মকারকে এর’ বিভক্তি
২. “জলজ্যান্ত একজন লেখককে এত কাছ থেকে কখনো দেখেনি তপন”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি হবে
(ক) অধিকরণ কারকে ‘থেকে’অনুসর্গ (খ) অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ (গ) করণকারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ (ঘ) নিমিত্ত কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ
উত্তরঃ (খ) অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ
৩. “এ দেশের কিছু হবেনা।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটি যে কারক-বিভক্তির দৃষ্টান্ত, তা হল
(ক) সম্বন্ধপদে ‘র’ বিভক্তি (খ) নিমিত্ত কারকে ‘এর’ বিভক্তি (গ) অধিকরণ কারকে ‘এর’ বিভক্তি (ঘ) কর্তৃকারকে ‘এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (গ) অধিকরণ কারকে ‘এর’ বিভক্তি
৪. “ওদিকে মেসোরও না কী গরমের ছুটি চলছে।”–গরমের’ পদটি
(ক) কর্ম সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি (খ) অপাদান সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি (খ) করণ সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি (ঘ) কর্তা সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (ঘ) কর্তা সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি
৫. “তপন তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে।” -‘তপন’ পদটি
(ক) কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (খ) কর্মকাণকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (গ) সম্বদে ‘শূন্য’ বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পাপ “শূন্য বিভক্তি
উত্তরঃ (ঘ) সম্বোধন পাপ “শূন্য বিভক্তি
সমাস
৬. “তপনের নতুন মেসোমশাই একজন লেখক।”-মোসোমশাই’ পদটির ব্যাসবাক্য হবে
(ক) যিনি মেসো তিনিই মশাই (খ) মেসো ও মশাই (গ) মেসো মশাই যিনি (ঘ) মাসির বর
উত্তরঃ (ক) যিনি মেসো তিনিই মশাই
৭. “কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।”-‘জ্ঞানচক্ষু’ পদটির সমাস হবে
(ক) উপমান কর্মধারয় (জ্ঞানের মতো চক্ষু) (খ) রূপক কর্মধারয় (জ্ঞান রূপ চক্ষু) (গ) দ্বন্দ্ব সমাস (জ্ঞান ও চক্ষু) (ঘ) নিমিত্ত তৎপুরুষ (জ্ঞানের নিমিত্তে চক্ষু)
উত্তরঃ (খ) রূপক কর্মধারয় (জ্ঞান রূপ চক্ষু)
৮. “তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন কদিন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।
(ক) সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস (খ) কর্মধারয় সমাস (গ) বহুব্রীহি সমাস (ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
উত্তরঃ (ক) সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
৯. “আঃ ছোটোমাসি, ভালো হবে না বলছি।”-“ছোটোমাসি’ পদটির ব্যাসবাক্য হবে
(ক) ছোটো মাসির মতো (খ) যিনি ছোটো তিনিই মাসি (গ) মায়ের বোন (ঘ) ছোটো যে মাসি
উত্তরঃ (ঘ) ছোটো যে মাসি
১০. “বলেন, একটু-আধটু কারেকশান করতে হয়েছে অবশ্য।”–একটু আধটু’ পদটির ব্যাসবাক্য হবে
(ক) একটু ও আধটু (খ) যা একটু তা-ই আধটু (গ) একটুতেই আধটু (ঘ) অতিসামান্য পরিমাণ
উত্তরঃ (ক) একটু ও আধটু
বাক্য
১১. “মামার বাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই এসেছে তপন, আর ছুটি আছে বলেই রয়ে গেছে।”—বাক্যটি গঠনগতভাবে
(ক) মিশ্র বাক্য (খ) জটিল বাক্য (গ) যৌগিক বাক্য (ঘ) সরলবাক্য
উত্তরঃ (গ) যৌগিক বাক্য
১২. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।”—বাক্যটির প্রশ্নবোধ রূপটি হবে
(ক) কথাটা শুনে তপনের চোখ কি মার্বেল হল না? (খ) কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল না কি? (গ) কথাটা শুনে কি তপনের চোখ মার্বেল হল? (ঘ) কথাটা শুনে তপনের চোখ কি সত্যিই মার্বেল হল?
উত্তরঃ (খ) কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল না কি?
১৩. “অনেক বই ছাপা হয়েছে মেসোর”—বাক্যটির নঞর্থক রূপ কী হবে?
(ক) অনেক বই মেসোর ছাপা হয়নি (খ) মেসোর কম বই ছাপা হয়েছে (গ) অল্প বই ছাপা হয়নি মেসোর (ঘ) সবগুলিই ঠিক
উত্তরঃ (গ) অল্প বই ছাপা হয়নি মেসোর
১৪. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”—বাক্যটির সরল রূপ হবে
(ক) গল্প ছেপেছে কিন্তু ভয়ংকর আহাদ খুঁজে পায় না (খ) ছাপা গল্পের মধ্যে কোনো আহাদ নেই (গ) গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহাদ সে খুঁজে পায় না (ঘ) গল্প ছাপা হয়েছে অথচ আহাদ খুজে পায় না
উত্তরঃ (গ) গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহাদ সে খুঁজে পায় না
১৫. “তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায়।”—এটি
(ক) নির্দেশক বাক্য (খ) প্রার্থনাসূচক বাক্য (গ) সন্দেহবাচক বাক্য (ঘ) অনুত্তবাচক বাক্য
উত্তরঃ (ক) নির্দেশক বাক্য
বাঁচ্য
১৬. “এ দেশের কিছু হবে না।”—বাচ্যগত দিক থেকে বাক্যটি
(ক) কর্তৃবাচ্য (খ) কর্মবাচ্য (গ) ভাববাচ্য (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
উত্তরঃ (গ) ভাববাচ্য
১৭. “মেসো অবশ্য মৃদু মৃদু হাসেন।”-বাচ্যটি
(ক) কর্তৃবাচ্য (খ) কর্মবাচ্য (গ) কর্মকর্তৃবাচ্য (ঘ) ভাববাচ্য
উত্তরঃ (ক) কর্তৃবাচ্য
১৮. “তিনি নাকি বই লেখেন।”—বাক্যটির কর্মবাচ্যের রূপ হবে
(ক) সে নাকি বই লেখে (খ) তার নাকি বই লেখা হয় (গ) তার কর্তৃক বই লিখিত হয় (ঘ) সে বই লেখে
উত্তরঃ (গ) তার কর্তৃক বই লিখিত হয়
১৯. “একটু পরেই ছোটোমেসো ডেকে পাঠান তপনকে।”—বাক্যটির কর্মবাচ্যের রূপ লেখো
(ক) একটু পরেই ছোটোমেসো কর্তৃক তপনকে ডেকে পাঠানো হয় (খ) একটু পরেই ছোটোমেসো দ্বারা তপনকে ডাকা হয় (গ) একটু পরেই তপন ছোটো মেসো দ্বারা আহূত হয় (ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) একটু পরেই ছোটোমেসো কর্তৃক তপনকে ডেকে পাঠানো হয়
২০. “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।”—বাক্যটি
(ক) কর্মবাচ্য (খ) কর্তৃবাচ্য (গ) কর্মকর্তৃবাচ্য (ঘ) ভাববাচ্য
উত্তরঃ (খ) কর্তৃবাচ্য
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১)
কারক-বিভক্তি
১. “এ কথাটাই ভাবছে তপন রাত-দিন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ কথাটাই—কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি। রাতদিন—অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
২. “কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো?”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি কী হবে?
উত্তরঃ কোনোখান—অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
৩. “পত্রিকাটি সকলের হাতে হাতে ঘোরে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ হাতে হাতে—অপাদান কারকে ‘তে’ বিভক্তি।
৪. “নতুন করে লিখেছেন, নিজের পাকা হাতের কলমে।”—রেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি কী হবে?
উত্তরঃ কলমে—করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৫. “মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি কী হবে?
উত্তরঃ দুঃখের দিন–কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
সমাস
৬. “এ কথাটাই ভাবছে তপন রাত-দিন।” —নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো।
উত্তরঃ রাত-দিন-রাত ও দিন (দ্বন্দ্ব সমাস)।
৭. মেজোকাকু’ পদটির ব্যাসবাক্য ভেঙে সমাসের নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ মেজোকাকু–মেজো যে কাকু (সাধারণ কর্মধারয় সমাস)।
৮. “তার মানে মেসো তপনের গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশন করেছে।” -নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ আগাগোড়া—আগা হইতে গোড়া পর্যন্ত (অব্যয়ীভাব সমাস)।
৯. “এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।” -‘কথাশিল্পী’ পদটির সমাস নির্ণয় করো। কথাশিল্পী-কথা বিষয়ে শিল্পী (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস)।
উত্তরঃ
১০. “আর কলমটি নিয়ে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গেল।”—’তিনতলার’ পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ তিনতলা—তিনটি তলার সমাহার, এর (সমাহার দ্বিগু সমাস)।
বাক্য
১১. “কিন্তু কে শোনে তার কথা?”—বাক্যটিকে না-বাচক বাক্যে রূপান্তর করো।
উত্তরঃ কিন্তু কেউ তার কথা শোনে না।
১২. “ছুটি ফুরোলে মেসো গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন।”—যৌগিক বাক্যের রূপ দাও।
উত্তরঃ ছুটি ফুরোল এবং মেসো গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন।
১৩. “এটা খুব ভালো।”—বাক্যটিকে বিষ্ময়বোধক বাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ এটা কী ভালো!
১৪. “আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।”—জটিলবাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ আমাদের যদি থাকত তাহলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।
১৫. “সন্ধ্যাতারা’-র সম্পাদক ‘না’ করতে পারবে না।”—হা-বাচক বাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা’-র সম্পাদক হ্যাঁ করবে।
বাচ্য
১৬. “মামার বাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই এসেছে তপন।”—বাক্যটিকে ভাববাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ মামারবাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই তপনের আসা হয়েছে।
১৭. “তপন অবশ্য ‘না-আ-আ করে প্রবল আপত্তি তোলে।”—বাক্যটির কর্মবাচ্যের রূপ লেখো।
উত্তরঃ তপন কর্তৃক অবশ্য না-আ-আ করে প্রবল আপত্তি তোলা হয়।
১৮. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।”—বাক্যটিকে কর্তৃবাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ এ বিষয়ে তপন সন্দেহাপন্ন ছিল।
১৯. “লুকিয়ে লিখেছে”—ভাববাচ্যেরূপ দাও।
উত্তরঃ লুকিয়ে লেখা হচ্ছে।
২০. “তপন লজ্জা ভেঙে পড়তে যায়।”—বাক্যটিকে ভাববাচ্যে লেখো।
উত্তরঃ তপন কর্তৃক লজ্জা ভেঙে পড়তে যাও হয়।
জ্ঞানচক্ষু
আশাপূর্ণা দেবী
(১) বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ এত কাছে থেকে তপন কখনো দেখিনি –
(ক) জলজ্যান্ত প্রফেসর
(খ) জলজ্যান্ত লেখক
(গ) জলজ্যান্ত চিত্রশিল্পী
(ঘ) জলজ্যান্ত বিজ্ঞানী
উত্তর : (খ) জলজ্যান্ত লেখক
১.২ তপনের মেসোর কলেজে চলছিল –
(ক) বিবাহ কালীন ছুটি
(খ) পুজোর ছুটি
(গ) গরমের ছুটি
(ঘ) বর্ষার ছুটি
উত্তর : (গ) গরমের ছুটি
১.৩ “রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই”। – এখানে ‘জহুরী’ বলতে বোঝানো হয়েছে –
(ক) তপনের বাবাকে
(খ) তপনের মাসিকে
(গ) তপনের নতুন মেসোকে
(ঘ) তপনের মেজকাকুকে
উত্তর : (গ) তপনের নতুন মেসোকে
১.৪ “মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে এটা”। – উপযুক্ত কাজটি হলো –
(ক) তপনের লেখা গল্প কারেকশন করে দেওয়া
(খ) তপনকে গল্প লিখে দেওয়া
(গ) তপনের লেখা গল্প কোন পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়া
(ঘ) ছুটিতে তপনকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া
উত্তর : (গ) তপনের লেখা গল্প কোন পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়া
১.৫ মামার বাড়িতে বসে তপন প্রথম গল্পটি লিখেছিল –
(ক) রাত্রিবেলায়
(খ) বিকেল বেলায়
(গ) দুপুরবেলায়
(ঘ) সকালবেলায়
উত্তর: (গ) দুপুরবেলায়
১.৬ ছোট মাসি তপনের চেয়ে বড় –
(ক) বছর পাঁচেকের
(খ) বছর আটেকের
(গ) বছর দশেকের
(ঘ) বছর সাতেকের
উত্তর : (খ) বছর আটেকের
১.৭ বিয়ে বাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েনি –
(ক) হোম টাস্কের খাতা
(খ) গল্পের বই
(গ) ছুটির পড়ার বই
(ঘ) ছবি আঁকার বই
উত্তর : (ক) হোম টাস্কের খাতা
১.৮ “কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো”? – উক্তিটির বক্তা হলেন –
(ক) তপনের বাবা
(খ) তপনের ছোট মাসি
(গ) তপনের নতুন মেসো
(ঘ) তপনের মামা
উত্তর : (খ) তপনের ছোট মাসি
১.৯ “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে”? – অলৌকিক ঘটনাটি হল –
(ক) তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
(খ) তখন দেখল ছাপানো গল্পের একটা লাইনও তার নিজের লেখা নয়
(গ) এক লেখকের সঙ্গে তপনের ছোট মাসির বিয়ে হয়েছে
(ঘ) বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী
উত্তর : (ক) তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
১.১০ “সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়” – কারণটি হল –
(ক) তপনের মাসি ও মেসো এসেছে
(খ) তপনের লেখক মেসো এসেছে
(গ) তপন পরীক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে
(ঘ) তপনের গল্প ছাপানো হয়েছে
উত্তর : (ঘ) তপনের গল্প ছাপানো হয়েছে
১.১১ “ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে”। – কোন্ কথাটি ছড়িয়ে পড়ে?
(ক) তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপানোর কথা
(খ) তপনের গল্প লেখার কথা
(গ) ছোট মেসোর তপনের লেখা ‘প্রথম দিন’ গল্পটির কারেকশনের কথা
(ঘ) ক্লাসে তপনের ফার্স্ট হওয়ার কথা
উত্তর : (গ) ছোট মেসোর তপনের লেখা প্রথম দিন গল্পটির কারেকশনের সঙ্গে কথা
১.১২ “বোবার মতো বসে থাকে”। – কারণটি হলো –
(ক) অতি আহ্লাদে বাক্য হারিয়ে ফেলে
(খ) মেসো তপনের গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশন করেছেন
(গ) তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল বলে
(ঘ) গল্প বই তপনের নাম ছিল না
উত্তর : (খ) মেসো তপনের গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশন করেছেন
(২) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”। – কোন্ কথা শুনে তপনের এরকম অবস্থা হল?
উত্তর : তার ছোট মেসো ‘লেখক’ এই কথা শুনে তপনের এরকম অবস্থা হল।
২.২ “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”। – কোন্ বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
উত্তর : লেখকরাও যে অন্যান্য সাধারন মানুষদের মত হয় সে বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
২.৩ “সেই দিকে ধাবিত হয়”। – কে, কোন্ দিকে ধাবিত হয়েছিল?
উত্তর : তপনের ছোট মাসি তপনের লেখা নতুন গল্প তার স্বামীকে দেখানোর উদ্দেশ্যে পাশের ঘরে ধাবিত হয়েছিল।
২.৪ “এই কথাটাই ভাবছে তপন রাতদিন”। – তপন রাতদিন কোন্ কথা ভাবছে?
উত্তর : তপনের নতুন মেসো তপনের লেখা নতুন গল্পটা আদেও ছাপাবে কিনা তাই নিয়ে সে রাতদিন ভাবছিল।
২.৫ “মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল”। – কার এবং কেন এরকম হয়েছিল?
উত্তর : নতুন মেসোর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তপনের লেখা গল্প নিজে থেকে পড়ার সময় তপনের মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠেছিল।
২.৬ “যেন নেশায় পেয়ছে”। – এখানে কিসের নিশার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে তপনের গল্প লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।
২.৭ “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের”। – তপনের এরকম হওয়ার কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর : তপনের ছোট মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল।
২.৮ “আজ আর অন্য কথা নেই”। – সেদিন কিসের কথা ছিল?
উত্তর : সেদিন তপনের লেখা নতুন গল্প ছাপানোর কথা এবং তার ছোট মেসোর মহত্বের কথা ছিল।
২.৯ “তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই”। – এখানে কোন্ দুঃখের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : নিজের লেখা গল্পের বই পড়তে বসে যখন কেউ দেখে সেই বইয়ের প্রত্যেকটা লাইন অন্য কারো লেখা।
২.১০ “এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন,” -তপনের সংকল্পটি কি ছিল?
উত্তর : সে নিজের সামর্থের বই ছাপাবে।
(৩) ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’ – কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘জহর’ অর্থাৎ মূল্যবান রত্ন বিশেষজ্ঞকে জহুরি বলা হয়। এক্ষেত্রে জহুরি বলতে নতুন মেসোকে বোঝানো হয়েছে। লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে মাসিকে দেখায়। মাসি তা নিয়ে সারাবাড়িতে শোরগোল বাধিয়ে মেসোকে দেখাতে যান। তপন ব্যাপারটায় আপত্তি তুললেও মনে মনে পুলকিত হয় এই ভেবে যে, তার লেখার মূল্য একমাত্র কেউ যদি বোঝে তবে ছোটোমেসোই বুঝবে, কেন না জহুরির জহর চেনার মতো একজন লেখকই পারে কোনো লেখার মূল্যায়ন করতে।
প্রশ্নঃ ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’ – কোন্ কাজকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলা হয়েছে?
উত্তরঃ লেখকরা যে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে নতুন মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল। তপন নতুন মেসোকে অহরহ কাছ থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা আস্ত গল্প লিখে তার মেসোর উপযুক্ত কাজ প্রিয় ছোটোমাসিকে দেখায়। গল্পটি নিয়ে ছোটোমাসি রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। শুধু তাই নয়, তিনি গল্পটি তার লেখক স্বামীকেও দেখান। গল্প দেখে তিনি সামান্য কারেকশন করে দিলে সেটা পাবলিশারে যে ছাপা যেতে পারে এ কথা বলেন। আর এ কথা শুনেই মাসি সেটা ছাপিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান, যেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে।
প্রশ্নঃ ‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।’ – কোন্ কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
উত্তরঃ তপন এতদিন ভেবে এসেছে লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের কোনো মিল নেই। তাই যখন সে শুনল যে তার ছোটো মেসো বই লেখেন, আর সেই বই ছাপাও হয় তখন তার বিস্ময়ের সীমা রইল না। নতুন মেসো একজন সত্যিকারের লেখক। এই আশ্চর্য খবরটা শুনেই তপনের চোখ মার্বেলের মতো গোল হয়ে গেল।
প্রশ্নঃ ‘বিয়েবাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েননি!’ – কীসের কথা বলা হয়েছে? তা মা না আনিয়ে ছাড়েন কেন?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আলোচ্য উত্তিটিতে তপনের হোম টাস্কের খাতার কথা বলা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উদ্দিষ্ট বস্তু তার গল্প লেখার খাতায় পরিণত হয়েছিল। লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী সূক্ষ্ম আঁচড়ে মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের স্বাভাবিক ছবিটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাঙালি মায়েদের সন্তানের পড়াশোনার প্রতি সাধারণত তীক্ষ্ণ নজর থাকে। তপনের মাও এর ব্যতিক্রম নন। বিয়েবাড়িতে আসার জন্য তপনের পড়াশোনার যে ক্ষতি হবে, তা কিছুটা অবসর সময়ে পুষিয়ে নিতে তিনি তার হোমটাস্কের খাতাটি সঙ্গে আনিয়ে ছিলেন।
প্রশ্নঃ ‘আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।’ – আমাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের কোন চেষ্টার কথা বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ আলোচ্য উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে গৃহীত। উদ্ধৃতির উক্তি তপনের মেজোকাকু ‘আমাদের’ বলতে এখানে নিজেকে এবং বাড়ির অন্য ব্যক্তিদেরকে বুঝিয়েছেন। লেখক মেসোর দৌলতে তপনের কাঁচা হাতের লেখা গল্পও নামি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বালক তপনকে তাদের চেষ্টা উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে তার মেজোকাকু উদ্ধৃত উক্তিটির দ্বারা সুযোগ পেলে যে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতেন তাই বোঝাতে চেয়েছেন।
প্রশ্নঃ ‘শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে তপন’ – দুঃখের মুহূর্তটি কী? তপন কী সংকল্প করেছিল?
উত্তরঃ দুঃখের মুহূর্ত উত্তর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নায়ক তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি একপলকে দুঃখের মুহূর্তে পর্যবসিত হয়। কারণ সে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে টের পায়, লেখক মেসো গল্পটিকে সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন । এই গল্পকে আর যাই হোক তার নিজের লেখা বলা যায় না।
এই ঘটনায় তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কোনোদিন নিজের কোনো লেখা ছাপতে দেয়, তবে নিজে গিয়ে ছাপতে কৃত সংকল্প দেবে। ছাপা হোক বা না হোক অন্তত তাকে এ কথা শুনতে হবে না যে, কেউ তার লেখা প্রভাব খাটিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’ – কোন্ ঘটনাকে ‘অলৌকিক ঘটনা’ বলা হয়েছে?
উত্তরঃ মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা গল্প লিখে ফ্যালে। সেই গল্পটি মাসির প্ররোচনায় ও মেসোর প্রভাবে সত্যিই একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছোট্ট তপনের কাছে তার অলৌকিক ঘটনা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার ঘটনা ছিল স্বপ্নের মতোই কাল্পনিক। তাই এই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে। ‘অলৌকিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল অবাস্তব বা অসম্ভব ব্যাপার।
প্রশ্নঃ ‘গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না’ – কার গল্প? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও বক্তার মনে আনন্দ নেই কেন?
উত্তরঃ এখানে ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখা ‘প্রথম দিন’ গল্পটির কথা বলা হয়েছে।
লেখক মেসোর প্রভাব ও পরিচিতির জোরে ছোট্ট তপনের লেখা গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয়। তাদের মতে মেসোই ওই গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন। মেজোকাকু বলেন, এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন। এসব নানা কথায় তপন ক্রমশ যেন হারিয়ে যায়। তাই মনটা একটু তিক্ত হয়ে যাওয়ায়। তাই গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহ্লাদটা সে আর খুঁজে পায় না।
প্রশ্নঃ ‘আজ আর অন্য কথা নেই’ – ‘আজ’ দিনটির বিশেষত্ব কী? সেদিন আর অন্য কথা নেই কেন?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘আজ’ বলতে সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে যে দিন তপনের লেখা গল্পের বই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল।
বালক তপনের লেখা গল্প যে সত্যি সত্যিই কোনো পত্রিকায় ছাপা হতে পারে, তা কেউই বিশ্বাস করেনি। কিন্তু যেদিন সত্যিই সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটল, সেদিন সকলের কেন অন্য কথা নেই মুখে মুখে বারবার এই ঘটনার কথাই আলোচিত হচ্ছিল।
প্রশ্নঃ ‘যেন নেশায় পেয়েছে।’ – কাকে, কীসের নেশায় পেয়েছে বুঝিয়ে বলো।
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছে। আগে তপন মনে করত গল্প লেখা ভারী কঠিন কাজ, সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। লেখকরা বুঝি ভিন্ন গ্রহের মানুষ। কিন্তু লেখক ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন সাহস করে লিখে ফেলে আস্ত গল্প। ছোটোমাসির হাত ঘুরে সেই গল্প ছোটোমেসোর হাতে পড়ে। তিনি তপনকে উৎসাহ দিতে গল্পটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। উৎসাহিত তপন গল্প লেখার নেশায় মেতে ওঠে।
(৪) রচনাধর্মী প্রশ্ন গুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ ‘এর প্রত্যেকটি লাইনই তো নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত’ – ‘এর’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে? প্রসঙ্গটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃত লাইনটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের অংশবিশেষ। ‘এর’ বলতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের প্রথম ছেপে বেরোনো গল্প ‘প্রথম দিন’ – এর কথা বলা হয়েছে।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন ছোটোবেলা থেকেই ভাবত লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু ছোটোমাসির সঙ্গে বিয়ে হওয়া নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ভুল ভাঙে। তার নতুন মেসো বই লেখেন। তার লেখা বই ছাপাও হয়, অথচ মেসোর আচার–আচরণের সঙ্গে তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর আচার–আচরণের কোনো তফাতই বিস্তারিত আলোচনা সে খুঁজে পায় না। তপন বোঝে, লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়। অনুপ্রাণিত তপন একটা আস্ত গল্প লেখে যেটা তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর হাতে পড়ে। মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সে গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন নতুন মেসো। বাড়িতে সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই। কিন্তু ছোট্ট তপন সকলের অনুরোধে গল্প পড়তে শুরু করতেই সুর কেটে যায়। তপন দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। গল্পের প্রত্যেকটি লাইনই তার কাছে নতুন লাগে। তার শিশুমন ব্যথায় ভরে ওঠে।
প্রশ্নঃ তপনের নতুন মেসোর চরিত্রটি আলোচনা করো।
উত্তরঃ কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের মূল চরিত্র তপনের আত্মোপলব্ধির পিছনে যে চরিত্রটির প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে, তিনি হলেন তপনের নতুন মেসো। এই মেসো পেশায় অধ্যাপক এবং লেখক। তাঁর লেখক পরিচয় তপনের মনের বহু ভুল ধারণা ভেঙে দেয়। অধ্যাপক ও লেখক হওয়া সত্ত্বেও মেসো ব্যক্তিটি বেশ মিশুকে, ফুর্তিবাজ। তিনি শ্যালক–শ্যালিকাদের সঙ্গে গল্প করেন, তর্ক করেন, কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন, সিনেমায় মিশুকে যান ও বেড়াতেও যান।
শ্বশুরবাড়ির সদস্য হিসেবে তপনের প্রথম লেখা গল্পের তিনি প্রশংসা সহানুভূতিশীল করেন ও তা ছাপার দায়িত্ব নিয়ে নেন। শুধু যে তপনকে উৎসাহ দিতে ছোটোমেসো তার গল্পটা ছাপিয়ে দেন, নিজের প্রতিপত্তি এমনটা নয়। শ্বশুরবাড়িতে নিজের প্রতিপত্তি জাহির বাহিরে আগ্রহী করতেও তিনি এ কাজ করেন। তপনের গল্প যাতে প্রসিদ্ধি পায়, তাই সংশোধনের নামে গল্পের আগাগোড়া বদলে দেন মেসো। তাঁর উদ্দেশ্য হয়তো মহৎ ছিল, কিন্তু তাঁর অন্যের আবেগ বুঝতে অক্ষম এই উদ্যোগ তপনের লেখকসত্তাকে আঘাত করে। একদিকে চারিত্রিক উদারতায় ও মহত্ত্বে আবার অন্যদিকে অসতর্কতায়, তপনের নতুন মেসো এক পরিপূর্ণ রক্তমাংসের চরিত্র হয়ে ওঠেন। যদিও একজন লেখক হয়ে অন্য লেখকের এই আত্মসম্মান ও অহংবোধকে উপলব্ধি করা তাঁর উচিত ছিল।
প্রশ্নঃ ‘কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।’ – নতুন মেসোর পরিচয় দাও। তাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের নতুন মেসো তার ছোটোমাসির স্বামী। তিনি একজন লেখক, বই লেখেন। ইতিমধ্যে তাঁর অনেক বই ছাপাও হয়েছে। সর্বোপরি তিনি একজন প্রফেসর।
তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসো যে লেখক, এ কথা শুনে তার কৌতূহলের অন্ত ছিল না। তার কাছে লেখক মানে ভিন গ্রহের কোনো মানুষ, যারা সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় কিংবা লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুদের মতো সাধারণ মানুষ হতে পারে, এ বিষয়েও তার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। কিন্তু তার সেই ধারণাগুলো ভেঙে গেল, যখন দেখল তার ছোটোমেসোও তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসে অর্ধেক খাবার তুলে দেন, সময়মতো স্নান করেন ও ঘুমোন। ছোটোমামাদের মতোই খবরের কাগজের কথায় তর্ক ও শেষ পর্যন্ত দেশ সম্পর্কে একরাশ হতাশা ঝেড়ে ফেলে সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান। এসব বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে মেসোর মিল দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয়। সে বুঝতে পারে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, নিছকই মানুষ।
প্রশ্নঃ ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপনের মধ্যেও সব শিশুর মতোই আশা–আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন–স্বপ্নভঙ্গ, কল্পনা-বাস্তব, আনন্দ–অভিমানের টানাপোড়েন দেখা যায়। তবে তার চরিত্রের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য তাকে আলাদা করে রাখে।
তপন মনে মনে তার কল্পনার জগৎকে সাজিয়ে নিতে ভালোবাসে। তাই তার কল্পনার জগতে লেখকরা ছিলেন ভিন কল্পনাপ্রবণ গ্রহেরপ্রাণী। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের বুঝি বা কোনো মিলই নেই। সাহিত্যপ্রেমী সাহিত্যের প্রতি তপনের ঝোঁক ছোটোবেলা থেকেই। সে অনেক গল্প শুনেছে ও পড়েছে। লেখকদের সম্পর্কেও তার কৌতূহল অসীম।
ছোটোমেসোকে দেখে তার মনেও লেখক হওয়ার ইচ্ছে জাগে। উৎসাহী হয়ে বেশ কয়েকটা গল্পও লিখে বয়স অনুপাতে তপন একটু বেশিই সংবেদনশীল। সমবয়সি ছেলেমেয়েদের মতো রাজারানি, খুন – জখম ও অ্যাকসিডেন্ট নিয়ে না লিখে, তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি সংবেদনশীল ও অন্তর্মুখী ঠাট্টাতামাশা বা মাসি মেসোর উৎসাহদান কোনোটাতেই সে প্রকাশ্যে তার প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এটা তার অন্তর্মুখী স্বভাবেরই পরিচয়। তাই কারেকশনের নামে মেসো তার গল্পটা আগাগোড়া বদলে দিলে তপন তার কষ্ট লুকোতে ছাদে গিয়ে কাঁদে।
তপনের আত্মমর্যাদা বোধ ছিল প্রবল। তার গল্প ছোটোমেসো কারেকশনের নাম করে আগাগোড়াই বদলে দিলে তপনের লেখকসত্তা আহত হয়। সে মনে মনে শপথ নেয়, ভবিষ্যতে লেখা ছাপাতে হালে সে নিজে গিয়ে লেখা দিয়ে আসবে পত্রিকা অফিসে। তাতে যদি তার মতো নতুন লেখকের লেখা ছাপা না হয়, তাতেও দুঃখ নেই।
প্রশ্নঃ ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের!’ – কার একথা মনে হয়েছে? জীবনের কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে?
উত্তরঃ কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র তপনের একথা মনে হয়েছিল। শিশুমন কোমল, সামান্য আঘাত পেলেই তারা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে, ছোট্ট তপনের লেখক সম্পর্কে সব কৌতূহলের শেষ হয় নতুন মেসোকে দেখে। অনুপ্রাণিত তপন একটি গল্প লেখে।
সেই গল্প মাসির পীড়াপীড়িতে মেসোর হাত ধরে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়। স্বাভাবিক কারণে তপন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। নানান বিরূপতা সত্ত্বেও সে গর্ব অনুভব করে। কিন্তু তার গর্ব মাটিতে মিশে যায় গল্পটি পড়ার সময়। সে দেখে প্রকাশিত গঙ্গে তার লেখার লেশমাত্র নেই। কারণ গল্পটা সামান্য কারেকশনের নামে পুরোটাই বদলে গিয়েছিল। এতে তপনের লেখকসত্তা অপমানিত হয়। তার চোখে জল এসে যায়। নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখ ও যন্ত্রণা তাকে কুরেকুরে খায়। লজ্জা, অনুশোচনা এবং আত্মসম্মানহীনতার সংকোচ থেকে এভাবেই সে উপরিউক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
প্রশ্নঃ তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি আলোচনা করো।
উত্তরঃ ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আশাপূর্ণা দেবী সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে ছোটো অথচ বেশ শক্তিশালী চরিত্র হল তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি। ছোটোমাসি বয়সে তপনের চেয়ে বছর আষ্টেকের বড়ো। প্রায় সমবয়সি ছোটোমাসি ছিল তপনের চিরকালের বন্ধু। মামার বাড়িতে এলে তপনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গী ছিল সে। তাই তপন প্রথমবার গল্প লিখে বন্ধুত্বপূর্ণ ছোটোমাসিকেই সকলের আগে দেখায়। সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী একজন অধ্যাপক। তিনি আবার বইও লেখেন। তাই বিয়ের পর থেকে ছোটোমাসির মধ্যে একটা মুরুব্বি মুরুব্বি ভাব এসেছে। তপনের লেখা গল্পটি পুরোটা না পড়েই স্বামী গর্বে গর্বিতা সে তার মতামত জানায় এবং লেখাটা নিয়ে যায়। তার স্বামীর কাছে। তার জোরাজুরিতেই তার স্বামীর তপনের গল্পটা ছাপানোর ব্যবস্থা করতে রাজি হয়ে যান। তাই সেই গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছেপে বেরোলে মাসির মুখে আত্মপ্রসাদের আনন্দ দেখা যায়। প্রায় সমবয়সি হলেও তপন ছিল তার বিশেষ স্নেহের পাত্র। তাই তার লেখা গল্প ছাপানোর ব্যাপারে মাসি এত উদ্যোগ নেয়। সে যখন মজা করে তপনের লেখাটা ‘টুকলিফাই’ কিনা জানতে চায়, তখনও সেই বক্তব্যের মধ্যে অভিযোগ বা সন্দেহের বদলে স্নেহেরই সুর বাজে।
প্রশ্নঃ ‘তপন আর পড়তে পারে না।’ – তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করো।
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের ইচ্ছে ছিল লেখক হওয়ার। একই সঙ্গে লেখকদের সম্বন্ধে তার ধারণা ছিল, তাঁরা বুঝি আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা। কিন্তু তার ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ভুল ভাঙে। তার নতুন মেসো অধ্যাপক, বই লেখেন। সেসব বই ছাপাও হয় অথচ প্রান্তিক মাধ্যমিক বাং মেসোর আচার–আচরণের সঙ্গে তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর আচার–অচারণের কোনো তফাতই সে খুঁজে পায় না। নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একটি আস্ত গল্প লেখে, যেটি তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর হাতে গিয়ে পড়ে। মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সেই গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানোর আশ্বাস দেন নতুন মেসো। বাড়িতেও সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই। অনেকদিনের ইচ্ছে হয়তো এবার পূরণ হতে চলেছে – এই ভেবেই একটু সংশয়কে সঙ্গী করেই তপনের মনও উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। কিন্তু যথাসময়ে ‘সন্ধ্যাতারা’য় ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে তপন টের পায় কারেকশনের নামে লেখক মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন। নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই খুঁজে পায় না। তপনের লেখকমন আহত হয়। নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখযন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খায়। লজ্জা, অনুশোচনা আর আত্মসম্মানহীনতায় তার বাক্রোধ হয়ে আসে।
©kamaleshforeducation.in(2023)