জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে আরও প্রশ্ন ও উত্তর-PART-3

 

শ্রেণি – দশম |

বিভাগ – বাংলা |

অধ্যায় – জ্ঞানচক্ষু [Gyanchakshu]

আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন – উত্তর এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন – উত্তর আলোচনা করা হল।

 

জ্ঞানচক্ষু – ব্যখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন – উত্তর [SAQ]

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

১। ‘এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের’ কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল? সন্দেহ থাকার কারণ কি?

উত্তর – লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটমামা বা মেজকাকুর মতো সাধারণ মানুষ, তা নিয়ে তপনের মনে সন্দেহ ছিল।
ছোট তপনের মনে লেখক সম্পর্কে অতি উচ্চ ধারণা ছিল। গরমের ছুটিতে তপন তার মামারবাড়ি আসে এবং সেখানে সে তার লেখক ছোটমেসোর সম্পর্কে জানতে পারে। তপন, এর আগে কখনো কোন লেখককে সামনে থেকে দেখেনি। ফলে সে যখন বুঝতে পারে যে এখজন লেখক কোন অসাধারণ মানুষ নন, বরং তার বাবা – মামা – কাকার মতো সাধারণ একজন মানুষ তখন তার সন্দেহ দূর হয়।

 ২।‘রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই’ – উক্তিটির তাৎপর্য কি?

উত্তর – যিনি রত্ন বা মূল্যবান পাথরের উৎকর্ষতা যাচাই করতে পারেন তাকে জহুরী বলা হয়। সুতরাং, একজন জহুরীই পারেন রত্নের সঠিক মূল্য বিচার করতে।

এই উক্তিটি জ্ঞানচক্ষু গল্পের অন্তর্ভুক্ত। তপনের ছোটমেসো ছিলেন একজন লেখক। গরমের ছুটিতে তপন মামারবাড়ি এসেছে। একদিন দুপুরে তপন একটি গল্প লেখে, সেই গল্প ছোটমাসীর হাত ঘুরে পৌঁছে যায় লেখক ছোটমেসোর কাছে। তপন এই ঘটনার আকস্মিকতায় প্রতিবাদ জানালেও, ছোটমেসোর হাতে লেখাটি পড়লে সে মনে মনে খুশি হয়। কারণ, একজন জহুরী যেমন রত্নের সঠিক মূল্য বিচার করতে পারেন, ঠিক একইভাবে একজন লেখকই পারেন একটি লেখার সঠিক গুণমান বিচার করতে।

৩। ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?’ – কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে? একে অলৌকিক বলার কারণ কি?

উত্তর – তপনের লেখা গল্প একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, এই ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে।

নিজের লেখা গল্প ছাপার হরফে দেখা প্রতিটি লেখকের কাছে একটি আনন্দের বিষয়। জ্ঞানচক্ষু গল্পে আমরা জানতে পারি যে, তপন একটি গল্প লেখে এবং সেই গল্প তপনের ছোটমেসো একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। কিছুদিন পরে, তপনের লেখা গল্প, সন্ধ্যাতারা নামে একটি জনপ্রিয় পত্রিকায় ছাপা হলে, তপনের মেসো সেই পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়ি আসেন। তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়েছে জানতে পেরে তপন ভীষণ খুশি হয়। সে বিশ্বাস করতে পারে না যে ‘সত্যিকার ছাপার অক্ষরে তপন কুমার রায়ের লেখা গল্প, হাজার হাজার ছেলের হাতে হাতে ঘুরবে’! নিজের আনন্দের বিহ্বলতায় এই ঘটনাকে তপনের অলৌকিক বলে মনে হয়।

 

৪। ‘গল্প ছাপা হলেও যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।’- আহ্লাদ হবার কথা ছিল কেন? সে আহ্লাদ খুঁজে পেল না কেন? [মাধ্যমিক’ ১৯]

উত্তর – একজন লেখকের কাছে তার লেখা ছাপার অক্ষরে দেখা অত্যন্ত আনন্দের বা আহ্লাদের। তাই যখন তপনের লেখা গল্প নামী পত্রিকায় ছাপা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার ‘আহ্লাদ’ হবার কথা।
তপনের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ নামক একটি নামী পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কিন্তু ক্রমশ তপন জানতে পারে যে তার লেখা গল্প হুবহু ছাপা হয়নি, তপনের ‘কাঁচা হাতের’ কারণে ‘একটু – আধটু কারেকশন করতে হয়েছে’। ক্রমশ সে বুঝতে পারে এই কৃতিত্ব তার একার নয়, কারণ তপনের ছোটমেসো একজন নামী লেখক, তিনি তপনের লেখা গল্পটি পত্রিকায় ছাপতে দেবার জন্য সুপারিশ করেছিলেন তাই তপনের গল্প ছাপা হয়েছে। বাড়ির সবাই যখন তপনের কৃতিত্বের বদলে ছোটমেসোর ‘মহত্বকে’ অধিক গুরুত্ব দিতে শুরু করে, তখন তপনের গল্প ছাপার স্বাভাবিক আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। 

৫। “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন” – দুঃখের মুহূর্ত কোন্‌টি? তপন গভীরভাবে কী সংকল্প করেছিল?

উত্তর – তপন যখন বুঝতে পারে যে তপনের গল্পটি আগাগোড়া ‘কারেকশন’ করে তপনের ছোটমেসো শুধুমাত্র নামটাই অপরিবর্তিত রেখে পত্রিকায় ছাপিয়েছেন, তখন তপনের সব আনন্দ দুঃখে পরিণত হয়।

প্রতিটা লেখকের কাছে তার লেখা ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়া একটি কৃতিত্বের বিষয়। জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের গল্পটি ছাপার ক্ষেত্রে প্রধান ভুমিকা ছিল তপনের লেখক ছোটমেসোর। তপনের ছোটমেসো একজন নামী লেখক ছিলেন, তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়িতে খ্যাতি পাবার জন্য তপনের লিখিত গল্পটি আগাগোড়া পরিবর্তন করে, তাঁর পরিচিত সম্পাদকের সাহায্যে তপনের গল্পটি ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। তপন যখন বুঝতে পারে যে তপনের গল্প ছাপার ক্ষেত্রে তার কোন কৃতিত্ব নেই; সম্পূর্ণ কৃতিত্বটাই তপনের ছোটমেসোর; তখন তার আনন্দ দুঃখে পরিণত হয়। তপন সংকল্প করে যে আগামী সময়ে সে কোন গল্প ছাপার ক্ষেত্রে নিজে গিয়ে তার লেখা ছাপতে দেবে। এর ফলে যদি সেই গল্প ছাপা হয় অথবা না হয়, তাতে তার কোন দুঃখ থাকবে না, কারণ গল্প ছাপা হওয়া বা না হওয়া দুটোই তার নিজ কৃতিত্বের কারণে হবে।

৬।‘তবু ধন্যি ধন্যি পড়ে যায়’ ‘ধন্যি ধন্যি’ পড়ার কারণ কি? তবু শব্দের ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা লেখ।

উত্তর – সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়েছে। তপনের ছোটমেসো তপনের লেখা গল্পটি ‘একটু – আধটু’ কারেকশন করে তার পরিচিত পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছেন। বাড়ির সবার অনুরোধে গল্পটি পড়তে শুরু করলে তপন বুঝতে পারে যে, ছোটমেসো তার লেখা গল্পটি সম্পূর্ণ পরিবর্তন করেছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তপন বাক্যহারা হয়ে যায়। কিন্তু বাড়ির লোকের অনুরোধে সে সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ে শোনায়। সম্পূর্ণ গল্প শুনে বাড়ির লোকেরা সুখ্যাতি করে বা ‘ধন্যি ধন্যি’ করে। কিন্তু ছোট্ট তপন এই সুখ্যাতির কোন কারণ বুঝতে পারে না, কারণ গল্পটি তার নামে ছাপা হলেও আদতে ছোটমেসোর লেখা। এই ঘটনায় অনর্থক সুখ্যাতি বোঝাতে ‘তবু’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

 

জ্ঞানচক্ষু – দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন – উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

১। ‘তবে তপনেরই আর লেখক হতে বাধা কি?’ – লেখক হতে তপনের বাধা নেই কেন? প্রথম গল্প ছাপা হবার পরে তপনের কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল?

উত্তর – আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের অন্তর্গত। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন মামারবাড়ি এসে দেখে যে তার ছোটমেসো একজন নামী লেখক এবং তিনি তপনের বাবা – মামা – কাকার মত খুব সাধারণ একজন মানুষ। তপন বুঝতে পারে ‘লেখক মানে কোন আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, তপনদের মতোই মানুষ’। তাই সে ভাবতে শুরু করে যে একজন সাধারণ মানুষ হয়ে তার ছোটমেসো যদি লেখক হতে পারেন, সেক্ষেত্রে তপনেরও লেখক হতে কোন বাধা নেই।

তপনের প্রথম গল্পটি সন্ধ্যাতারা নামক একটি নামী পত্রিকায় ছাপা হয়, কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তপনের জন্য সুখকর ছিল না। এর কারণ তপনের লেখা গল্পটিকে আগাগোড়া পরিবর্তন করেন তপনের ছোটমেসো এবং তিনি তাঁর পরিচিত – সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদকের সাহায্যে গল্পটি ছাপিয়ে দেন। তাই তপন যখন বুঝতে পারে যে তপনের গল্পটি তার নিজের কৃতিত্বে ছাপা হয়নি তখন তার আনন্দ ম্রিয়মান হয়ে যায়।

২। ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?’ – কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে? একে অলৌকিক বলার কারণ কি?

উত্তর – তপনের লেখা গল্প একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, এই ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে।

নিজের লেখা গল্প ছাপার হরফে দেখা প্রতিটি লেখকের কাছে একটি আনন্দের বিষয়। জ্ঞানচক্ষু গল্পে আমরা জানতে পারি যে, তপন একটি গল্প লেখে এবং সেই গল্প তপনের ছোটমেসো একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। কিছুদিন পরে, তপনের লেখা গল্প, সন্ধ্যাতারা নামে একটি জনপ্রিয় পত্রিকায় ছাপা হলে, তপনের মেসো সেই পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়ি আসেন। তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়েছে জানতে পেরে তপন ভীষণ খুশি হয়। সে বিশ্বাস করতে পারে না যে ‘সত্যিকার ছাপার অক্ষরে তপন কুমার রায়ের লেখা গল্প, হাজার হাজার ছেলের হাতে হাতে ঘুরবে’! নিজের আনন্দের বিহ্বলতায় এই ঘটনাকে তপনের অলৌকিক বলে মনে হয়।

৩। ‘এর মধ্যে তপন কোথা?’ – উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর – আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের অন্তর্গত। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার লেখক ছোটমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লেখে এবং সেই গল্পটি ছোটমেসো একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। কিছু সময় পরে গল্পটি সন্ধ্যাতারা নামক নামী একটি পত্রিকায় ছাপা হয় এবং ছোটমেসো নিজে সেই পত্রিকাটি তপনদের বাড়ি নিয়ে আসেন। বাড়ির সবাই আনন্দিত হয়ে তপনকে তার লেখা গল্পটি পড়ে শোনাতে অনুরোধ করে। তপন আগ্রহের সঙ্গে সেই লেখা পড়তে শুরু করলে তার মোহভঙ্গ হয়। কারণ, শ্বশুরবাড়িতে নিজের মান বৃদ্ধির জন্য তপনের ছোটমেসো গল্পটি ছাপিয়ে দিয়েছেন কিন্তু গল্পটি তিনি নিজের মতো আগাগোড়া কারেকশন করেছেন। তপন বুঝতে পারে, গল্পটি ছোটমেসো ‘নতুন করে লিখেছেন, নিজের পাকা হাতের কলমে’ অর্থাৎ তপনের নামে গল্পটি ছাপা হলেও তাতে তপনের লেখক সত্তার কোন অস্তিত্ব সেই গল্পে ছিল না। তাই তপন গল্পটি পড়ার সময়, নিজেকে খুঁজে পায় না।

৪।‘আজ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।’ কার, কোন দিনকে সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়েছে? তার এমন মনে হওয়ার কারণ কি

উত্তর – আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের অন্তর্গত। এই উক্তিটি গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের।

যেদিন তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল, ‘সবচেয়ে দুঃখের দিন’ বলতে ঐ দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গল্পে আমরা জানতে পারি যে, তপন একটি গল্প লিখেছিল, সেই গল্পটি তেমন ভালো মানের না হওয়া স্বত্ত্বেও তপনের ছোটমেসো তার শ্বশুরবাড়িতে তার খ্যাতি বৃদ্ধি করার জন্য তা ছাপিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। সত্যি সত্যিই তপনের লেখাটি সন্ধ্যাতারা নামক একটি পত্রিকায় তপনের নামে ছাপা হয়। কিন্তু ঐ লেখাটি পড়ার সময় তপন বুঝতে পারে যে লেখাটি তপনের নামে ছাপা হয়েছে ঠিক কথা, কিন্তু গল্পের সমস্তটাই ছোটমেসো নিজের মতো করে পরিবর্তন করেছেন। অর্থাৎ তপনের নামে ছাপা গল্প আদতে ছোটমেসোর লেখা। এই ঘটনা ছোট্ট তপনের মনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং ঐ দিনটিকে সে সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে চিহ্নিত করে।

৫। ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণ কতখানি সার্থক তা আলোচনা করো।

উত্তর – জ্ঞানচক্ষু একটি রূপক। কোন বিশেষ ঘটনায় বিশেষ জ্ঞান লব্ধ হলে, বলা হয় জ্ঞানচক্ষু বা জ্ঞানের চক্ষু উন্মোচন হয়েছে।

আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন একটি স্কুল পড়ুয়া ছেলে। লেখক সম্পর্কে তপনের মনে অতি উচ্চ ধারণা ছিল। গরমের ছুটিতে মামারবাড়িতে এসে তপন জানতে পারে যে তার ছোট মেসো একজন নামী লেখক এবং তার অনেক বই ছাপা হয়েছে। এরপর তপন ছোটমেসোকে লক্ষ্য করে বুঝতে পারে যে লেখক কোন ভিন গ্রহের প্রাণী নয় বরং তপনের মতোই একজন সাধারণ মানুষ। ছোটমেসোকে দেখেই তপনের লেখক হবার বাসনা জেগে ওঠে এবং সে একটা লেখা লিখেও ফেলে। এরপর সেই লেখা হাতঘুরে ছোটমেসোর কাছে পৌঁছালে তিনি তা ছাপিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। একদিন সত্যিই তপনের লেখা ছেপে বেরোয়। কিন্তু তপন সেই লেখা পড়ে বুঝতে পারে যে ঐ লেখাটি তার ছোটমেসো সম্পূর্ণ পরিবর্তন করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তপন এই ঘটনায় দুঃখ পায় এবং সে বুঝতে পারে যে, তার লেখা গল্পের ছেপে বেরনোর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছোটমেসোর, তপনের নয়। এই ঘটনার ফলে তার অন্তর্দৃষ্টি বা জ্ঞানচক্ষুর উন্মোচন ঘটে। সে প্রতিজ্ঞা করে যে এরপর সে যখনই কোন লেখা ছাপার জন্য দেবে, তা সে নিজে গিয়ে জমা দেবে। এরফলে যদি সেই গল্প ছাপা হয় অথবা না হয়, তাতে তার কোন দুঃখ থাকবে না, কারণ গল্প ছাপা হওয়া বা না হওয়া দুটোই তার নিজ কৃতিত্বের কারণে হবে। জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের একটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে বিশেষ জ্ঞান লব্ধ হয়েছে, তাই বলা যায় এই গল্পের জ্ঞানচক্ষু নামকরণ যথার্থ।

 

©kamaleshforeducation.in(2023)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!