পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Physical Science Suggestion – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণিতে শ্রেণি সংখ্যা – a. আট b. নয় c. সতেরো d. দশ
উত্তরঃ[a] আট
- মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণিতে নিস্ক্রিয় মৌলগুলি অবস্থান করে – a. শূন্য শ্রেণিতে b. IA শ্রেণিতে c. VIII শ্রেণিতে d. অবস্থান নেই
উত্তরঃ[d] অবস্থান নেই
- পর্যায় সারণির প্রথম পর্যায়ে মৌলের সংখ্যা – a. 7 টি b. ৪ টি c. 2 টি d. 10 টি
উত্তরঃ[c] 2 টি
- বিরল মৃত্তিকা মৌলের সংখ্যা – a. 12 b. 13 c. 14 d. 16
উত্তরঃ[c] 14
- আধুনিক দীর্ঘ পর্যায় সারণিতে শ্রেণি সংখ্যা – a. 9 b. 10 c. 17 d. 18
উত্তরঃ[d] 18
- হ্যালোজেন মৌলগুলি আধুনিক দীর্ঘ পর্যায়-সারণির কোন শ্রেণিতে অবস্থিত ? – a. 10 b. 17 c. 18 d. 2
উত্তরঃ[b] 17
- একটি ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু হল – a. কপার ইক b. সোডিয়াম c. ম্যাগনেশিয়াম d. সিলভার
উত্তরঃ[c] ম্যাগনেশিয়াম
- Li, Na, K এর পারমাণবিক ব্যাসার্ধের ক্রম হল – a. Li > Na > K b. Na > Li > K c. K > Na > Li d. K > Li > Na
উত্তরঃ[c] K > Na > Li
- C, N, F এবং O মৌলগুলিকে তড়িৎ ঋণাত্মকতার ক্রম অনুসারে সাজালে হবে – a. C > N > O > F b. C < N < O < F c. F >C > O > N d. O < N < C <F
উত্তরঃ[b] C < N < O < F
- 2 নং পর্যায়ের তীব্র জারণধর্মী মৌলটি হল – a. O b. F c. C d. Br
উত্তরঃ[b] F
- মৌলের যে ধর্মটি পর্যায়গত নয় সেটি হল – a. গলনাঙ্গক b. তড়িৎ-ঋণাত্মকতা c. তেজস্ক্রিয়তা d. জারণবিজারণ ধর্ম
উত্তরঃ[c] তেজস্ক্রিয়তা
- জলে অদ্রাব্য সমযোজী যৌগ কোনটি ? – a. চিনি b. ইউরিয়া c. বেঞ্জিন d. মিথাইল অ্যালকোহল
উত্তরঃ[c] বেঞ্জিন
- দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত একটি আয়নীয় যৌগ কোনটি ? – a. NH4CI b. NaCl c. CaCI2 d. Pb(NO3)2 ।
উত্তরঃ[b] NaCl
- নীচের কোনটি জড়িৎযোজী যোগ নয় ? – a. NaCl b. CaO c. CO2 d. MgCl2 ।
উত্তরঃ[c] CO2
- নীচের কোন যৌগটির ক্ষেত্রে সংকেতভর কথাটি প্রযোজ্য ? – a. HCl b. CO2 c. MgCl2 d. CH2 ।
উত্তরঃ[c] MgCl2
- অ্যাসিটিলিন অণুর গঠনে দেখা যায় – a. তিনটি একবন্ধন b. দুটি একবন্ধন ও একটি দ্বিবন্ধন c. একটি ত্রিবন্ধন ও দুটি একবন্ধন d. দুটি দ্বিবন্ধন
উত্তরঃ[c] একটি ত্রিবন্ধন ও দুটি একবন্ধন
- নিস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষের ইলেকট্রন সংখ্যা – a. 4 b. 6 c. 7 d. ৪
উত্তরঃ[d] ৪
- কোন মৌলটির সঙ্গে নাইট্রোজেন যুক্ত হয়ে তড়িৎযোজী যৌগ গঠন করে ? – a. হাইড্রোজেন b. বোরন c. ম্যাগনেশিয়াম d. ফুরিন
উত্তরঃ[c] ম্যাগনেশিয়াম
- কোন সমযোজী যোগটি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয় ? – a. CHCI2 b. CH4 c. CCI4 d. H3O
উত্তরঃ[d] H3O
- কোন যৌগে দ্বিবন্ধন আছে ? – a. ইথিলিন b. ক্লোরোফর্ম c. জল d. মিথেন
উত্তরঃ[a] ইথিলিন
- সমযোজী বন্ধন দেখা যায়। – a. NaCI অণুতে b. CH4 অণুতে c. CaO অণুতে d. MgO অণুতে
উত্তরঃ[b] CH4 অণুতে
- নীচের কোনটি তড়িৎ পরিবহণ করতে পারে না ? – a. সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণ b. চিনির জলীয় দ্রবণ c. গলিত ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড d. লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড
উত্তরঃ[b] চিনির জলীয় দ্রবণ
- নীচের কোনটি তীব্র তড়িদবিশ্লেয্য পদার্থ ? – a. সোডিয়াম ক্লোরাইড b. অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড c. কার্বনিক অ্যাসিড d. ফরমিক অ্যাসিড
উত্তরঃ[a] সোডিয়াম ক্লোরাইড
- তড়িদবিশ্লেষণের পাত্র হল – a. হাইগ্রোমিটার b. ভোল্টামিটার c. ভোল্টমিটার d. ক্যালোরিমিটার
উত্তরঃ[b] ভোল্টামিটার
- একটি মৃদু তড়িদবিশ্লেষ্য হল – a. NaCI b. NaOH c. CH3COOH d. H2SO4
উত্তরঃ[c] CH3COOH
- লোহার দ্রব্যে নিকেলের প্রলেপ দিতে অ্যানোড রূপে ব্যবহার করা হয় – a. নিকেল দণ্ড b. লোহার দণ্ড c. তামার দণ্ড d. পিতলের দণ্ড
উত্তরঃ[a] নিকেল দণ্ড
- জলের তড়িদবিশ্লেষণে তড়িদ্দার হিসেবে ব্যবহৃত হয় – a. প্ল্যাটিনাম পাত b. কপার পাত c. গ্রাফাইট দণ্ড d. সিলভার পাত
উত্তরঃ[a] প্ল্যাটিনাম পাত
- অ্যামোনিয়ার গন্য কীরূপ ? – a. পচা ডিমের গন্ধ b. গন্ধহীন c. ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ d. ঝাঁজালো গন্ধ
উত্তরঃ[b] গন্ধহীন
- উত্তপ্ত সোডিয়ামের সঙ্গে অ্যামোনিয়ার বিক্রিয়ায় কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় ? – a. নাইট্রোজেন b. হাইড্রোজেন c. নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড d. জলীয় বাষ্প
উত্তরঃ[b] হাইড্রোজেন
- অ্যামোনিয়া দ্রবণে ফেনলপথ্যালিন যোগ করলে দ্রবণের বর্ণ হয় – a. লাল b. হলুদ c. বর্ণহীন d. গোলাপি
উত্তরঃ[d] গোলাপি
- অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণে ফেরিক ক্লোরাইড যোগ করলে কোন বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় ? – a. সাদা b. সবুজ c. বাদামি d. হলুদ
উত্তরঃ[c] বাদামি
- অল্পধর্মী গ্যাস কোনটি ? – a. N2 b. NH3 c. H2S d. O2
উত্তরঃ[c] H2S
- সদ্যপ্রস্তুত নাইট্রোপ্রুসাইড দ্রবণে H2S চালনা করলে কোন বর্ণের অধঃক্ষেপ পড়ে ? – a. বেগুনি b. লাল c. হলুদ d. সাদা
উত্তরঃ[a] বেগুনি
- কিপস যন্ত্রে প্রস্তুত করা যায় কোন গ্যাস ? – a. NH3 b. H3S c. N3 d. O2
উত্তরঃ[b] H3S
- জলের নিম্ন অপসারণে কোন গ্যাসটি সংগ্রহ করা হয় ? – a. NH3 b. H3S c. NH3 d. HCL
উত্তরঃ[a] NH3
- NH4CL এবং NaNO2 উত্তপ্ত করলে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় ? – a. N2 b. NH3 c. CL4 d. O2
উত্তরঃ[a] N2
- ক্যালশিয়াম সায়ানামাইড প্রস্তুত করতে উত্তপ্ত করা হয় – a. Ca এবং N2 b. CaCL2এবং N2 c. CaC2 এবং N2 d. CaCL2 এবং NH3
উত্তরঃ[c] CaC2 এবং N2
- নাইট্রোজেন ঘটিত একটি সার হল – a. ইউরিয়া b. সোডামাইড c. সুপার ফসফেট d. ক্যালশিয়াম সালফেট
উত্তরঃ[a] ইউরিয়া
- N2 -তে কী ধরনের বন্ধন আছে ? – a. সমযোজী একবন্ধন b. সমযোজী দ্বিবন্ধন c. মযোজী ত্রিবন্ধন d. আয়নীয় বন্ধন
উত্তরঃ[a] সমযোজী ত্রিবন্ধন
- অক্সিজেনের উপস্থিতিতে H2S – a. লাল শিখায় জ্বলে b. নীল শিখায়জুলে c. হলুদ শিখায় জ্বলে d. বর্ণহীন শিখায় জ্বলে
উত্তরঃ[b] নীল শিখায় জ্বলে
- জলের নিম্ন অপসারণের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় – a. NH3 গ্যাস b. H2S গ্যাস c. N2 গ্যাস d. HCL গ্যাস
উত্তরঃ[a] NH3 গ্যাস
- ছুরি, কাচি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় – a. তামা b. কাস্ট আয়রন c. রট আয়রন d. স্টিল
উত্তরঃ[d] স্টিল
- লোহার দ্রব্যে গলিত দস্তার প্রলেপ দেওয়াকে বলে – a. গ্যালভানাইজেশন b. জিংক কোটিং c. টিন কোটিং d. তড়িৎলেপন
উত্তরঃ[a] গ্যালভানাইজেশন
- বিমান এবং মোটর গাড়ির কাঠামো নির্মাণে কোন ধাতু ব্যবহার করা হয় ? – a. অ্যালুমিনিয়াম b. লোহা c. তামা d. দস্তা
উত্তরঃ[a] অ্যালুমিনিয়াম
- ডুরালুমিনে কোন ধাতুটি থাকে না ? – a. AL b. Cu c. Mg d. Ni
উত্তরঃ[d] Ni
- বাটখারা প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয় – a. স্টেনলেস স্টিল b. ইনভার c. কাঁসা d. ডুরাসুমিন
উত্তরঃ[b] ইনভার
- দাঁতের চিকিৎসায় কোন পারদ সংকর ব্যবহার করা হয় ? – a. Ag-Hg b. Sn-Hg c. Na-Hg d. Zn-Hg
উত্তরঃ[a] Ag-Hg
- জিংক ব্লেড কোন ধাতুর আকরিক ? – a. AL b. Zn c. Cu d. Fe
উত্তরঃ[b] Zn
- কপারের একটি আকরিক হল – a. ক্যালামাইন b. কপার গ্ল্যান্স c. বক্সাইট d. সিডেরাইট
উত্তরঃ[b] কপার গ্ল্যান্স
- জিংক অক্সাইডকে বিজারিত করে জিংকে পরিণত করতে ব্যবহার করা হয় – a. গ্রাফাইট b. কোক c. সালফার d. হাইড্রোজেন সালফাইড
উত্তরঃ[a] হাইড্রোজেন সালফাইড
- CuSO4 থেকে Cu কে প্রতিস্থাপিত করতে পারে – a. Fe b. Ag c. Au d. Hg
উত্তরঃ[b] Ag
- থার্মিট পদ্ধতিতে বিজারক হিসেবে ব্যবহৃত হয় – a. কার্বন b. আয়রন c. কপার d. অ্যালুমিনিয়াম
উত্তরঃ[a] অ্যালুমিনিয়াম
- বেসিক কপার কার্বনেটের বর্ণ – a. সাদা b. সবুজ c. লাল d. বাদামি
উত্তরঃ[b] সবুজ
- ঝালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয় না – a. রট আয়রন b. কাস্ট আয়রন c. স্টিল d. সবকটিই
উত্তরঃ[b] কাস্ট আয়রন
- অ্যামোনিয়াম সায়ানেট উত্তপ্ত করলে কোনটি উৎপন্ন হয় ? – a. অ্যামোনিয়া b. ইউরিয়া c. মিথেন d. ফরমিকঅ্যাসিড
উত্তরঃ[b] ইউরিয়া
- মিথেন অণুর H-C-H কোণের মান – a. 109°28′ b. 109° c. 190°28′ d. 180°
উত্তরঃ[a] 109°28′
- সরলতম হাইড্রোকার্বনটি হল – a. C2H4 b. CH4 c. C2H2 d. C2H6
উত্তরঃ[b] CH4
- অ্যাসিটোন যৌগটির কার্যকরী মূলকটি হল – a. -OH b. -CHO c. >C=O d. –COOH
উত্তরঃ[c] >C=O
- CH3-C-CH3 সংকেত বিশিষ্ট যৌগটির নাম – a. 2-প্রোপানোন b. 2-প্রোপানল c. 2-প্রোপানোয়িক d. প্রোপান্যাল
উত্তরঃ[a] 2-প্রোপানোন
- কাঁচা ফল পাকাতে কোনটি ব্যবহার করা হয় ? – a. মিথেন b. ইথেন c. ইথিলিন d. অ্যাসিটিলিন
উত্তরঃ[c] ইথিলিন
- LPG -এর প্রধান উপাদান কোনটি ? – a. মিথেন b. ইথেন c. প্রোপেন বে বিউটেন d. বিউটেন
উত্তরঃ[d] বিউটেন
- নীচের কোনটি যুত বিক্রিয়া করে না ? – a. ইথিলিন b. অ্যাসিটিলিন c. ইথেন d. প্রোপিলিন
উত্তরঃ[c] ইথেন
- ইথিলিনের পলিমারকে বলে – a. পলিথিন b. টেফলন c. পিভিসি d. ইথাইল অ্যালকোহল
উত্তরঃ[a] পলিথিন
- পিভিসি-এর মনোমার হল – a. ইথিলিন b. অ্যাসিটিলিন c. ভিনাইল ক্লোরাইড d. টেট্রাক্ষুরো ইথিলিন
উত্তরঃ[c] ভিনাইল ক্লোরাইড
- নীচের কোন পলিমারটি জৈব ভঙ্গুর নয় ? – a. শর্করা b. সেলুলোজ c. টেফলন d. স্টার্চ
উত্তরঃ[c] টেফলন
- ইথাইল অ্যালকোহল ও গাঢ় H2SO4 -এর বিক্রিয়ায় – a. H2 b. C2H4 c. C2H2 d. C2H6
উত্তরঃ[b] C2H4
শূন্যস্থান পূরণ করো: (মান – 1) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- পর্যায় সূত্রের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ________ ।
উত্তরঃ[মেন্ডেলিভ]
- পর্যায়-সারণিতে মোট ________ পর্যায় আছে।
উত্তরঃ[সাতটি]
- আধুনিক দীর্ঘ পর্যায়-সারণিতে ________ শ্ৰেণি আছে।
উত্তরঃ[18 টি]
- পর্যায়-সারণির উল্লম্ব সারিগুলিকে ________ বলে।
উত্তরঃ[শ্ৰেণি]
- একই শ্রেণির মৌলগুলির যোজ্যতা ________ হয়।
উত্তরঃ[একই]
- হাইড়োজন ________ ধাতুগুলির মতো তড়িৎ ধনাত্মক মৌল।
উত্তরঃ[ক্ষার]
- তীব্র তড়িৎ-ঋণাত্মক মৌলটি ________ হল।
উত্তরঃ[ফ্লুরিন]
- আর্গন গ্যাসের সর্বশেষ কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা ________ ।
উত্তরঃ[আট]
- মিথেনে সমযোজী বন্ধনের সংখ্যা ________। উত্তরঃ[চার]
- HCI গ্যাস একটি ________ যৌগ।
উত্তরঃ[সমযোজী]
- নাইট্রোজেন অণুতে একটি ________ আছে।
উত্তরঃ[ত্রিবন্ধন]
- তড়িৎযোজী যৌগ বিশ্লিষ্ট হয়ে ________ উৎপন্ন করে।
উত্তরঃ[আয়ন]
- দুটি অধাতব পরমাণুর মধ্যে ________ বন্ধন গঠিত হয়।
উত্তরঃ[সমযোজী]
- আয়নীয় যৌগে কোনো ________ অস্তিত্ব থাকে না।
উত্তরঃ[অণুর]
- একটি ইলেকট্রন জোড় গঠন করতে ________ ইলেকট্রন প্রয়োজন।
উত্তরঃ[দুটি]
- তড়িৎ বিয়োজনবাদের প্রবক্তা হলেন ________।
উত্তরঃ[আরহেনিয়াস]
- ফ্লুওস্পারের সংকেত হল ________|
উত্তরঃ[CaF2]
- সাধারণ উত্নতায় তরল ধাতব পরিবাহী হল ________।
উত্তরঃ[পারদ]
- পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করলে ________ উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ[আয়ন]
- টিন লেপনে ব্যবহৃত তড়িদবিশ্লেয্যটি হল ________।
উত্তরঃ[SnCI2]
- লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড ________ তড়িদবিশ্লেষ্য।
উত্তরঃ[তিব্র]
- যে তড়িদ্দার ক্যাটায়নকে ইলেকট্রন প্রদান করে তাকে ________ বলে।
উত্তরঃ[ক্যাথোড]
- অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণে লাল লিটমাস ________ হয়।
উত্তরঃ[নীল]
- ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণে NH3 দিলে ________ বর্ণের অধঃক্ষেপ পড়ে।
উত্তরঃ[বাদামি]
- অক্সিজেনের উপস্থিতিতে অ্যামোনিয়া ________ শিখায় জ্বলে।
উত্তরঃ[হলুদ]
- সোডামাইড ও ________ বিক্রিয়া করলে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ[জল]
- অ্যামোনিয়াকে বায়ুর ________ দ্বারা সংগ্রহ করা হয়।
উত্তরঃ[নিম্নাপসারণ]
- H2S -এর বাষ্পঘনত্ব ________।
উত্তরঃ[17]
- H2S শুস্ক করতে ________ ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ[P2O5]
- NTP -তে H2S -এর ঘনত্ব ________ গ্রাম/লিটার।
উত্তরঃ[1.518]
- ম্যাগনেশিয়ামের সঙ্গে N2 বিক্রিয়া করলে ________ উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ[Mg3N2]
- নাইট্রোজেন অণুতে উপস্থিত ত্রিবন্ধনের সংখ্যা ________।
উত্তরঃ[এক]
- বায়ু থেকে পৃথক করা নাইট্রোজেনে ________ গ্যাস থাকে।
উত্তরঃ[নিস্ক্রিয়]
- বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন ________ ওপর সংগ্রহ করা হয়।
উত্তরঃ[পারদের]
- পিতলের উপাদান কপার এবং ________।
উত্তরঃ[জিংক]
- লোহার দ্রব্যে জিংকের প্রলেপ দেওয়াকে ________ বলে।
উত্তরঃ[গ্যালভানাইজেশন]
- ডুরালুমিন সংকর ধাতুটির প্রধান উপাদান ________।
উত্তরঃ[অ্যালুমিনিয়াম]
- কপার গ্র্যান্স থেকে ________ ধাতু নিষ্কাশন করা হয়।
উত্তরঃ[কপার]
- আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশন হল আসলে ধাতব যৌগের ________।
উত্তরঃ[বিজারণ]
- ধাতব অক্সাইডের অক্সিজেন অপসারণ হল ________।
উত্তরঃ[বিজারণ]
- কার্বন-বিজারণ পদ্ধতিতে বিজারক হিসেবে সাধারণত ________ ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ[কোক]
- কুতুবমিনারের লৌহস্তম্ভটি এখনও ________ অবস্থায় রয়েছে।
উত্তরঃ[মরিচাহীন]
- জিংক বা কপারের ________ ধরা পাত্রে খাবার রাখা উচিত নয়।
উত্তরঃ[কলঙ্ক়়]
- অ্যামোনিয়াম সায়ানেট উত্তপ্ত করলে ________ উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ[ইউরিয়া]
- জৈব রসায়ন বলতে ________ যৌগের রসায়নকে বোঝায়।
উত্তরঃ[কার্বন]
- কার্বনের পরমাণু ক্ৰমাক ________।
উত্তরঃ[6]
- মিথেন অণুতে ________ সমযোজী বন্ধন আছে।
উত্তরঃ[চারটি]
- সরলতম অ্যালকেন হল ________।
উত্তরঃ[মিথেন]
- অ্যালকেনের সাধারণ সংকেত ________।
উত্তরঃ[C6H2n+2]
- ত্রিবন্ধনযুত অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনকে ________ বলে।
উত্তরঃ[অ্যালকাইন]
- ইথারের কার্যকরী মূলকের সংকেত ________।
উত্তরঃ[-O-]
- CNG -এর প্রধান উপাদান ________।
উত্তরঃ[মিথেন]
- বার্নিশ করতে ________ স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ[ডিনেচার্ড]
সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো: (মান – 1) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- পর্যায় সারণিতে প্রথম পর্যায়ে দুটি মৌল আছে। [T]
- আাকটিনাইডস মৌলের সংখ্যা 14টি। [F]
- ক্যালশিয়াম একটি ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু। [T]
- একটি কঠিন হ্যালোজেন মৌল হল ব্রোমিন। [F]
- দ্বিতীয় পর্যায়ের মৌলগুলির মধ্যে ফ্লুরিন তীব্রতর জারক পদার্থ। [T]
- মৌলগুলির ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মগুলি পারমাণবিক গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যায়ক্রমে পুনরাবৃত্ত হয়।[F]
- প্রতিটি নিস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর সর্ববহিস্থ কক্ষে ৪টি ইলেকট্রন থাকে। [F]
- সোডিয়াম ক্লোরাইডের গঠন ত্রিমাত্রিক। [T]
- সমযোজী যৌগ সাধারণত ধ্রুবীয় দ্রাব্যকে দ্রবীভূত হয়। [F]
- সমযোজী যৌগগুলি গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহণ করে। [F]
- লবণ গোলা জল তড়িতের সুপরিবাহী। [T]
- অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইডের জলীয় দ্রবণ তীব্র তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থ। [F]
- আয়নীয়ভবনের ফলে তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থের অণু ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নে পরিণত হয়। [T]
- ভোল্টামিটারে তড়িদবিশ্লেষণ করা হয়। [T]
- অ্যানোড অ্যানায়ন থেকে ইলেকট্রন গ্রহণ করে। [T]
- বিশুদ্ধ জল তড়িতের সুপরিবাহী। [F]
- কপার বিশুদ্ধিকরণে তড়িৎলেপন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। [T]
- ধাতব পরিবাহীতে আয়ন তড়িৎ পরিবহণ করে। [F]
- লাইকার অ্যামোনিয়া দ্রবণে 35% অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত থাকে। [T]
- হেবার পদ্ধতিতে 150 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে 500°C তাপমাত্রায় অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। [F]
- H2S -এর জলীয় দ্রবণ অ্যাসিডধর্মী। [T]
- NH3 গ্যাস শোষণে নেসলার দ্রবণ তামাটে (বাদামি) হয়ে যায়। [T]
- রেলের ইঞ্জিন রক্ষ আয়রন দিয়ে তৈরি করা হয়। [F]
- বৈদ্যুতিক কোশ তৈরি করতে জিংক ব্যবহার করা হয়। [T]
- কাঁসার একটি উপাদান জিংক। [F]
- জিংকের একটি আকরিক হল বক্সাইট। [F]
- সব খনিজ আকরিক নয়। [T]
- কার্বন-বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতু নিষ্কাশনের সময় ধাতুর আকরিককে ধাতব অক্সাইডে পরিণত করা হয়।[T]
- অ্যাসিটিলিনে ব্রোমিন সংযোজন দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে অ্যাসিটিলিন একটি অসম্পৃক্ত যৌগ। [T]
- সাধারণ অবস্থায় ইথিলিন গ্যাস হলেও পলিথিন কঠিন পদার্থ। [T]
- টেফলন একটি বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার। [F]
- মিথান্যাল-এর সাধারণ নাম ফরম্যালডিহাইড। [T]
- মিথেন অণুর প্রতি H-C-H কোণের মান 120°। [F]
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- পর্যায় সারণির অনুভূমিক সারিগুলিকে কী বলে ?
উত্তরঃ পর্যায় সারণির অনুভূমিক সারিগুলিকে পর্যায় বলে।
- পর্যায়-সারণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ক-টি করে মৌল আছে ?
উত্তরঃ পর্যায়-সারণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ৪টি করে মৌল আছে।
- ‘নোবেল গ্যাস’ বা ‘নিস্ক্রিয় মৌলগুলি’ আধুনিক দীর্থ পর্যায়-সারণিতে কোন শ্রেণিতে অবস্থান করে ?
উত্তরঃ নোবেল গ্যাস বা নিস্ক্রিয় মৌলগুলি পর্যায়-সারণিতে 1৪নং শ্রেণিতে অবস্থান করে।
- সোডিয়াম ও ক্লোরিন আধুনিক দীর্ঘ পর্যায়-সারণিতে কোন শ্রেণিতে অবস্থিত ?
উত্তরঃ সোডিয়াম 1 নং শ্রেণিতে এবং ক্লোরিন 18 নং শ্রেণিতে অবস্থিত।
- কার্বন এবং ফসফরাস আধুনিক দীর্ঘ পর্যায়-সারণিতে কোন গ্রপে অবস্থিত ?
উত্তরঃ কার্বন 14নং গ্রুপে এবং ফসফরাস 15নং গ্রুপে অবস্থিত।
- মৌলটি পর্যায়-সারণিতে কোন শ্রেণিতে অবস্থান করবে ?
উত্তরঃ মৌলটির পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস- 2, 8, 8,। এটি নিস্ক্রিয় মৌল। সুতরাং, 1৪নং শ্রেণিতে অবস্থান করবে।
- মৌলের রাসায়নিক ধর্ম কীসের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তরঃ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যার ওপর।
- S, E, CI, O, Br মৌলগুলির মধ্যে কোনগুলির রাসায়নিক ধর্মের মিল আছে ?
উত্তরঃ F, C, Br মৌলগুলির রাসায়নিক ধর্মের মিল আছে।
- তীব্রতম তড়িৎ-ধনাত্মকধৰ্মী মৌল কোনটি ?
উত্তরঃ সিজিয়াম (Cs)।
- Na এবং K-এর মধ্যে কোনটি ধাতব ধর্ম বেশি ?
উত্তরঃ K-এর ধাতব ধর্ম বেশি।
- 1 নং শ্রেণির মৌলগুলির অক্সাইডের প্রকৃতি কীরূপ ?
উত্তরঃ প্রথম শ্রেণির মৌলগুলির অক্সাইড তীব্র ক্ষারীয়।
- তড়িৎ-অণাত্মকতার ক্রমানুসারে সাজাও : C, Te, se, S
উত্তরঃ Te < Se < S < O
- ধাতব ধর্মের উর্ধক্রমে সাজাও– Br, F, CI, I
উত্তরঃ F < CI < Br < I
- পর্যায়-সারণিতে সবচেয়ে হালকা, বিজারণধর্মী গ্যাস কোনটি ?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন।
- কোন হ্যালোজেনের পারমাণবিক আকার সবচেয়ে ছোটো ?
উত্তরঃ ফ্লুরিন।
- দুটি ক্ষারধাতুর নাম লেখো।
উত্তরঃ লিথিয়াম ও সোডিয়াম।
- দুটি মুদ্রাধাতুর নাম লেখো।
উত্তরঃ তামা ও রূপা।
- তড়িৎ-ঋণাত্মকতার ক্রমানুসারে সাজাও : CI, B, F, I
উত্তরঃ F > C > Br > l
- মৌলের কোন ধর্ম পর্যায়গত নয় ?
উত্তরঃ মৌলের তেজস্ক্রিয়তা পর্যায়গত ধর্ম নয়।
- হিলিয়াম পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে ক-টি ইলেকট্রন থাকে ?
উত্তরঃ 2টি।
- পটাশিয়াম সালফাইড (K2S) তড়িৎযোজী না সমযোজী যৌগ ?
উত্তরঃ তড়িৎযোজী যৌগ।
- AICI2 তড়িৎযোজী না সমযোজী যৌগ ?
উত্তরঃ সমযোজী যৌগ।
- সমযোজী ত্রিবন্ধনযুক্ত একটি যৌগের নাম লেখো।
উত্তরঃ অ্যাসিটিলিন।
- একটি যৌগের নাম করো যার মধ্যে আয়নীয় ও সমযোজী উভয় প্রকার বন্ধনই আছে ?
উত্তরঃ সালফিউরিক অ্যাসিড।
- চিনি ও খাদ্যলবণের মধ্যে কোনটি জলীয় দ্রবণে তড়িৎ পরিবহণ করে ?
উত্তরঃ খাদ্যলবণ।
- নাইট্রোজেন অণুতে কয়টি নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন জোড় থাকে ?
উত্তরঃ দুটি।
- একটি রঙিন যৌগের নাম লেখো যা তড়িৎযোজী।
উত্তরঃ পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট।
- যে মৌলের পরমাণু ক্ৰমাঙ্ক 19 তার যোজ্যতা কত হবে ?
উত্তরঃ যোজ্যতা এক হবে।
- যোজ্যতা ইলেকট্রন পরমাণু কোথায় থাকে ?
উত্তরঃ সর্ববহিস্থ কক্ষে।
- কোন প্রকার যৌগে সমাবয়বতা ধর্ম দেখতে পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ সমযোজী যৌগ।
- চিনি, ন্যাপথলিন ও ইউরিয়ার মধ্যে কোনটি জলে অদ্রাব্য ?
উত্তরঃ ন্যাপথলিন।
- Na, Ne, Ni – এগুলির মধ্যে কোনটি যৌগ গঠন করে না ?
উত্তরঃ Ne
- CI2 তড়িৎযোজী না সমযোজী লেখো।
উত্তরঃ সমযোজী।
- যে ধাতব পাত বা দণ্ডের সাহায্যে তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে তড়িৎ চালনা করা হয় তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ তড়িদ্দার।
- গলিত বা জলে দ্রবীভূত তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থের কণাগুলি কীসে পরিণত হয় ?
উত্তরঃ তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থের কণাগুলি বিয়োজিত হয়ে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নে পরিণত হয়।
- কোনো দ্ৰব্যে তামার প্রলেপ দিতে তড়িদবিশ্লেষ্য হিসেবে কী ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ আম্লিক কপার সালফেটের (CuSO4) জলীয় দ্রবণ।
- কোনো দ্ৰব্যে নিকেল প্রলেপ দিতে তড়িদবিশ্লেষ্যরূপে কী ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ সামান্য বোরিক অ্যাসিড মিশ্রিত নিকেল সালফেটের (NiSO4) জলীয় দ্রবণ।
- তড়িৎ পরিবাহী একটি অধাতুর নাম লেখো।
উত্তরঃ গ্রাফাইট।
- সোনা লেপনে তড়িদবিশ্লেষ্য হিসেবে কী নেওয়া হয় ?
উত্তরঃ পটাশিয়াম অরোসায়ানাইডের (Kউত্তরঃ[Au(CN)2]) জলীয় দ্রবণ।
- একটি সমযোজী যৌগের নাম লেখো যা জলীয় দ্রবণে তড়িৎ পরিবহণ করে।
উত্তরঃ হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস।
- হাইড্রোজেন যুক্ত একটি যৌগের নাম লেখো যার তড়িদ-বিশ্লেষণ করলে অ্যানোডে হাইড্রোজেন পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ সোডিয়াম হাইড্রাইড (NaH)।
- দুটি মৃদু তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড, কার্বনিক অ্যাসিড।
- কোন তড়িদ্দার ক্যাটায়নকে ইলেকট্রন প্রদান করে ?
উত্তরঃ ক্যাথোডে।
- এবং এই বিক্রিয়া দুটির মধ্যে কোনটি ক্যাথোডে ঘটে ?
উত্তরঃ এই বিক্রিয়াটি ক্যাথোডে ঘটে।
- অ্যামোনিয়া শুস্ক করতে নিরুদক হিসেবে কী ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ পোড়া চুন।
- ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণে অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড যোগ করলে কী ঘটে ?
উত্তরঃ বাদামি বর্ণের ফেরিক হাইড্রক্সাইডের অধঃক্ষেপ পড়ে।
- একটি বর্ণহীন ঝাঁজালো গ্যাসের মধ্যে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডে সিক্ত কাচদণ্ড ধরলে একটি সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন হয়, সাদা ধোয়াটি কী ?
উত্তরঃ সাদা ধোঁয়াটি অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড।
- নেসলার বিকারক কী ?
উত্তরঃ পটাশিয়াম মারকিউরিক আয়োডাইডের দলীয় দ্রবণ।
- বরফ কারখানায় ও কোল্ড স্টোরেজে শীতলীকরণের কাজে কোন গ্যাসটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া।
- হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস শুষ্ক করতে কী ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ ফসফরাস পেন্টোক্সাইড (P2O5)।
- H2S -এর জলীয় দ্রবণের সংস্পর্শে লিটমাসের বর্ণের কী পরিবর্তন হয় ?
উত্তরঃ নীল লিটমাস লাল হয়।
- H2S -এর সাহায্যে শনাক্ত করা যায় এমন একটি মূলকের সংকেত লেখো।
উত্তরঃ Pb2 + মূলক।
- H2S ও Br2 -এর বিক্রিয়ায় কোনটি ?
উত্তরঃ H2S
- নাইট্রোলিম কী ?
উত্তরঃ ক্যালশিয়াম সায়ানোমাইড (CaCN2) এবং কার্বনের বাদামি বর্ণের মিশ্রণকে নাইট্রোলিম বলে।
- নাইট্রোজেনের একটি বর্ণহীন অক্সাইডের নাম লেখো।
উত্তরঃ নাইট্রিক অক্সাইড (NO2)।
- নাইট্রোজেনঘটিত একটি জৈবসারের নাম লেখো।
উত্তরঃ ইউরিয়া।
- সোডিয়াম ক্লোরাইড ও গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের মিশ্রণ 600°C উষ্নতায় উত্তপ্ত করলে কী উৎপন্ন হয় ?
উত্তরঃ সোডিয়াম সালফেট এবং হাইড্রোজেন ক্লোরাইড।
- ওলিয়ামের সংকেত কী ?
উত্তরঃ H2S ।
- কোন পদার্থটি সলভে পদ্ধতিতে সোডিয়াম কার্বনেট প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয় ?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া।
- বিভিন্ন জারক দ্রব্যের সঙ্গে H2S –এর বিক্রিয়ায় কোন পদার্থটি সব সময় উৎপন্ন হয় ?
উত্তরঃ সালফার।
- অ্যামোনিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত N2 এবং H2 গ্যাসের অনুপাত কত ?
উত্তরঃ 1 : 3 ।
- অ্যামোনিয়ার সঙ্গে কোন গ্যাসের বিক্রিয়ায় একটি কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হয় ?
উত্তরঃ HCL গ্যাস।
- জিংকের একটি প্রধান আকরিকের নাম ও সংকেত লেখো।
উত্তরঃ জিংকের একটি প্রধান আকরিক হল জিংক ব্লেন্ড। এর সংকেত ZnS।
- কপারের প্রধান আকরিকের নাম ও সংকেত লেখো।
উত্তরঃ কপারের একটি প্রধান আকরিক হল কপার পাইরাইটিস। এর সংকেত হল CuFeS2।
- এমন একটি পারদ-সংকরের নাম লেখো যা দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় রূপার পারদ-সংকর।
- তামা ও দস্তা সমন্বিত একটি ধাতুসংকরের নাম লেখো।
উত্তরঃ তামা ও দস্তা সমন্বিত একটি ধাতু-সংকর হল পিতল।
- বিমান ও মোটরগাড়ি কাঠামো নির্মাণ করতে ব্যবহৃত হয় এমন একটি ধাতুর নাম লেখো।
উত্তরঃ বিমান ও মোটরগাড়ি কাঠামো নির্মাণ করতে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহৃত হয়।
- পিতলের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বাসনপত্র ও মূর্তি তৈরি করতে পিতল ব্যবহার করা হয়।
- পেরেক, আলপিন তৈরি করতে কী ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ রট আয়রন।
- গ্যালভানাইজেশন কোন ধাতু দ্বারা হয় ?
উত্তরঃ দস্তা দ্বারা।
- অ্যালুমিনিয়ামের একটি সংকর ধাতুর নাম লেখে।
উত্তরঃ অ্যালুমিনিয়ামের একটি সংকর ধাতু হল ডুরালুমিন।
- জার্মান সিলভারে কত ভাগ তামা থাকে ?
উত্তরঃ শতকরা 50 ভাগ।
- অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার মধ্যে কোনটি ভারতে সমৃদ্ধ ?
উত্তরঃ লোহা।
- চ্যালকোসাইট কোন ধাতুর আকরিক ?
উত্তরঃ কপার।
- জিংক হোয়াইটের সংকেত কী ?
উত্তরঃ ZnO। (জিংক অক্সাইডকে দাৰ্শনিক উল বলে)
- বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরি করতে তামা ব্যবহার করা হয় কেন ?
উত্তরঃ তামা তড়িতের সুপরিবাহী বলে।
- যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে কী বলে?
উত্তরঃ বিজারণ।
- বিক্রিয়াটিতে ZnO –এর জারণ না বিজারণ হয়েছে ?
উত্তরঃ বিজারণ হয়েছে।
- কার্বন-বিজারণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা যায় না এমন দুটি ধাতুর নাম লেখো।
উত্তরঃ ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম।
- কোন ধরনের ধাতুকে কার্বন-বিজারণ পদ্ধতিতে নিস্কাশন করা হয় ?
উত্তরঃ তীব্র ইলেকট্রোপজিটিভ ধাতুগুলিকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে নিষ্কশন করা যায় না।
- মরচের সংকেত কী ?
উত্তরঃ ৷
- স্টেইনলেস স্টিল কাকে বলে ?
উত্তরঃ লোহার সঙ্গে 12-15% ক্রোমিয়াম মিশিয়ে যে সংকর ইস্পাত তৈরি হয় তাকে স্টেইনলেস স্টিল বলে। এতে মরিচা পড়েনা বলে একে কলঙ্কহীন ইস্পাতও বলা হয়।
- ডেল্টা মেটাল কী ?
উত্তরঃ ডেল্টা মেটাল হল কপার (55%), জিংক (40%), এবং লোহা ও ম্যাঙ্গানিজ (5%), দ্বারা প্রস্তুত একটি সংকর ধাতু।
- ফেল্ডস্পার কোন ধাতুর খনিজ ?
উত্তরঃ অ্যালুমিনিয়াম।
- কোন আকরিক থেকে তামা নিষ্কাশন করা হয়?
উত্তরঃ কপার পাইরাইটিস।
- জৈব যৌগ তড়িৎযোজী না সমযোজী ?
উত্তরঃ জৈব যৌগ সমযোজী।
- দুটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের নাম লেখো।
উত্তরঃ দুটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন হল ইথিলিন ও অ্যাসিটিলিন।
- অ্যালকাইনের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ অ্যালকাইনের একটি উদাহরণ হল অ্যাসিটিলিন।
- ইথেনের গঠন সংকেত দাও।
উত্তরঃ ইথেনের গঠন সংকেত : H—H
- অ্যাসিটিলিনের গঠন সংকেত দাও।
উত্তরঃ অ্যাসিটিলিনের গঠন সংকেত : H-C ≡C-H
- নীচের যৌগগুলির মধ্যে কোন কোনটি জৈব যৌগ।
NaHCO3, CH4, CO2, CHCI3, CaC2।
উত্তরঃ CH4 এবং CHCI3 হল জৈব যৌগ।
- কার্বন ব্ল্যাক প্রস্তুত করতে কী ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ কার্বন ব্ল্যাক প্রস্তুত করতে মিথেন ব্যবহার করা হয়।
- জৈব যৌগের মূল উপাদান কী ?
উত্তরঃ কার্বন।
- মিথানোয়িক অ্যাসিড-এর সাধারণ নাম কী ?
উত্তরঃ ফরমিক অ্যাসিড (HCOOH)।
- কার্বাইড বাতি জ্বালাতে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ কার্বাইড বাতি জ্বালাতে অ্যাসিটিলিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
- ক্যালশিয়াম কার্বাইডে জল যোগ করলে কী উৎপন্ন হয় ?
উত্তরঃ ক্যালশিয়াম কার্বাইডে জল যোগ করলে অ্যাসিটিলিন উৎপন্ন হয়।
- অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলকের নাম লেখো।
উত্তরঃ অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলক হল হাইড্রক্সিল (-OH)।
- কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের কার্যকরী মূলকের নাম ও সংকেত লেখো।
উত্তরঃ কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের কার্যকরী মূলক হল কার্বক্সিল। যার সংকেত (-CHO)।
- টেফলনের মনোমার কী ?
উত্তরঃ টেফলনের মনোমার হল টেট্রাফ্লুরো ইথিলিন।
- পিভিসি (PVC) পলিমারের মনোমার কী ?
উত্তরঃ পিভিসি পলিমারের মনোমার হল ভিনাইল ক্লোরাইড।
- মিথেন অণুতে H-C-H বন্ধন কোণের মান কত ?
উত্তরঃ মিথেন H-C-H অণুতে বন্ধন কোণের মান 10928`।
- একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের নাম লেখো।
উত্তরঃ অ্যাসিটিলিন।
- অ্যাসিট্যালডিহাইডের কার্যকরী মূলকটি কী ?
উত্তরঃ -CHO মূলক।
- ত্রিবন্ধনযুক্ত একটি জৈব যৌগের নাম লেখো।
উত্তরঃ অ্যাসিটিলিন।
- দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুযুক্ত একটি হাইড্রো কার্বনের গঠন লেখো।
উত্তরঃ H-C ≡C-H অ্যাসিটিলিন।
- ভিনিগার কী ?
উত্তরঃ অ্যাসিটিক অ্যাসিডের লঘু জলীয় দ্রবণকে (4-8%) ভিনিগার বলে।
- মিথেন থেকে কীভাবে CO2 পাওয়া যায় ? বিক্রিয়াটি লেখো।
উত্তরঃ মিথেনকে অক্সিজেন সহ জালালে CO2 উৎপন্ন হয়।
- একটি জৈব ভঙ্গুর ও একটি জৈব অভঙ্গুর পলিমারের নাম লেখো।
উত্তরঃ জৈব ভঙ্গুর পলিমার র্স্টাচ এবং জৈব অভঙ্গুর পলিমার প্লাস্টিক।
- পরস্পর সমাবয়ব এমন দুটি জৈব যৌগের নাম লেখো।
উত্তরঃ ইথাইল অ্যালকোহল ও ডাই মিথাইল ইথার।
- জৈব যৌগগুলি কোন প্রকার দ্রাবকে দ্রবণীয় ?
উত্তরঃ জৈব দ্রাবকে দ্রবণীয়।
- সরলতম হাইড্রোকার্বনের নাম লেখো।
উত্তরঃ মিথেন CH4।
- ইথারের কার্যকরী মূলকের নাম ও সংকেত লেখো।
উত্তরঃ ইথার ও অ্যালকক্সি (-O-)।
- ইথেন থেকে প্রাপ্ত অ্যালকিন মূলকটির নাম কী ?
উত্তরঃ ইথাইল (C2H5)।
- H2C-CH=CH2-এর IUPAC নাম কী ?
উত্তরঃ প্রোপ-1-ইন।
- মিথেনের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ মিথেন তাপ উৎপাদক জ্বালানি রূপে ব্যবহৃত হয়।
- LPG -এর উৎস কী ?
উত্তরঃ পেট্রোলিয়াম গ্যাস।
117 . LPG -এর উপাদান কী ?
উত্তরঃ বিউটেন।
- CNG -এর উৎস কী ?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক গ্যাস।
- লাল বর্ণের ব্রোমিন দ্রবণে ইথিলিন চালনা করলে দ্রবণের বর্ণ কীরূপ হয় ?
উত্তরঃ লাল বর্ণের দ্রবণ বর্ণহীন হয়।
- ইথিলিনের পলিমার কী ?
উত্তরঃ পলি ইথিলিন বা পলিথিন।
- অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সংকেত লেখো।
উত্তরঃ অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সংকেত CH3COOH ।
- অতিরিক্ত মদ্য পানে কী ক্ষতি হতে পারে ?
উত্তরঃ লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায় ফলে মানুষ মারা যেতে পারে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- রাসায়নিক বন্ধন বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ রাসায়নিক বন্ধন : একই বা ভিন্ন মৌলিক পদার্থের দুই বা ততোধিক পরমাণু একটি বিশেষ আকর্ষণ বলে আবদ্ধ হয়ে অণু গঠন করে। এই আকর্ষণ বলকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।
- তড়িৎযোজ্যতা কাকে বলে ?
উত্তরঃ নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণুর মতো সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের চেষ্টায় কোনো পরমাণু তার সবচেয়ে বাইরের কক্ষের ইলেকট্রন অন্য কোনো পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে স্থানান্তরিত করে। পরমাণু দুটি ইলেকট্রন বর্জন ও গ্রহণ করে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নে পরিণত হয় এবং এই বিপরীতধর্মী আয়নগুলি পরস্পর স্থির তড়িদাকর্ষণে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে। এইভাবে ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে যৌগ গঠনের ক্ষমতাকে তড়িৎযোজ্যতা বলে।
- তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন : তড়িৎযোজ্যতার সাহায্যে যৌগ গঠনের সময় পরমাণুগুলির মধ্যে যে রাসায়নিক বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন বলে। যেমন— NaCl অণু গঠনের সময় একটি Na পরমাণু 1টি ইলেকট্রন বর্জন করে এবং একটি C পরমাণু 1 টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে। সুতরাং Na এবং CI উভয়ের যোজ্যতা =1।
- তড়িৎযোজী যৌগ কাকে বলে ?
উত্তরঃ তড়িৎযোজী যৌগ : রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় একাধিক মৌলের পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়নে পরিণত হয়ে স্থিরতড়িৎ আকর্ষণ বল দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাকে তড়িৎযোজী যৌগ বলে।
- কোন ধরনের মৌল সমযোজী যৌগ গঠন করে ? কয়েকটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ দুটিঅধাতু: যখন রাসায়নিক মিলনে যৌগ গঠন করে তখন সমযোজী যৌগ গঠিত হয়।
সমযোজী যৌগের উদাহরণ : হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCL), কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), মিথেন (CH4), অ্যামোনিয়া (NH3) ইত্যাদি।
- সমযোজ্যতার পরিমাপ কী ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সমযোজ্যতার পরিমাপ : কোনো মৌলের পরমাণু যতগুলি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অণু গঠন করে সেই ইলেকট্রন জোড়ের সংখ্যাই হল ওই মৌলের যোজ্যতা। যেমন- দুটি ক্লোরিন পরমাণু পরস্পরের মধ্যে একটি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে ক্লোরিন অণু গঠন করে। সুতরাং, ক্লোরিনের যোজ্যতা =1। আবার, দুটি অক্সিজেন পরমাণু পরস্পরের মধ্যে দুটি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে অক্সিজেন অণু গঠন করে, সুতরাং অক্সিজেনের যোজ্যতা =2 ।
- তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ তড়ি-অবিশ্রেষ্য পদার্থ : যেসব পদার্থ গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহণে অক্ষম, সেইসব পদার্থকে তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। যেমন চিনি, গ্লুকোজ, পেট্রোল, বেঞ্জিন, বিশুদ্ধ জল ইত্যাদি তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ।
- অ্যানোড ও ক্যাথোড কাকে বলে ?
উত্তরঃ অ্যানোড : যে তড়িদ্দারটি ব্যাটারির পজিটিভ বা ধনাত্মক মেরুর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে অ্যানোড বা ধনাত্মক তড়িদ্দার বলে।
ক্যাথোড : যে তড়িদ্দারটি ব্যাটারির নেগেটিভ বা ঋণাত্মক মেরুর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে ক্যাথোড বা ঋণাত্মক তড়িদ্দার বলে।
- তড়িদ্দারে আয়নের আধান মুক্ত হওয়ার প্রবণতার সঙ্গে তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণির সম্পর্ক কী?
উত্তরঃ কোনো দ্রবণে দুই বা তার বেশি ক্যাটায়ন থাকলে তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণিতে যে ক্যাটায়নটির অবস্থান অপেক্ষাকৃত নীচে, ক্যাথোডে সেটির আয়ন মুক্ত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটে। অনুরূপভাবে কোনো দ্রবণে দুটি অ্যানায়ন থাকলে তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণিতে যে অ্যানায়নটির স্থান আপেক্ষাকৃত নীচে, সেটি অপরটির আগে অ্যানোডে মুক্ত হয়।
- কপার তড়িদ্দারের সাহায্যে কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িদবিশ্লেষণ করলে ক্যাথোডে ও অ্যানোডে কী কী উৎপন্ন হবে ? বিক্রিয়ার সমীকরণ দাও।
উত্তরঃ ক্যাথোডে কপার সঞ্চিত হবে এবং অ্যানোডের কপার ক্ষয়প্রাপ্ত হবে।
দ্রবণে বিক্ৰিয়া :
ক্যাথোড বিক্ৰিয়া :
অ্যানোড বিক্ৰিয়া :
- লঘু H2SO4 মিশ্রিত জলের তড়িদবিশ্লেষণ করলে ক্যাথোডে আয়ন ইলেকট্রন বর্জন করে না কেন ?
উত্তরঃ লঘু H2SO4 মিশ্ৰিত জলের মধ্যে H+, OH- আয়ন থাকে। এদের মধ্যে OH- ও অ্যানায়নগুলি অ্যানোডে গেলেও আয়ন অপেক্ষা OH- আয়ন তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণির নীচে অবস্থিত বলে OH- আয়নগুলি অ্যানোডে ইলেকট্রন ত্যাগ করে প্রশমিত করে। আয়ন ইলেকট্রন বর্জন করতে পারে না। সুতরাং, বলা যায় এক্ষেত্রে OH- ও উভয় আয়ন অ্যানোডে গেলেও আয়ন ইলেকট্রন বর্জন করে না।
- তড়িলেপনের উদ্দেশ্য কী ? অথবা, তড়িৎলেপন দেওয়া হয় কেন ?
উত্তরঃ তড়িৎলেপনের উদ্দেশ্য:
(i) ধাতব পদার্থগুলিকে বাহ্যিক ক্রিয়া (জল, বায়ু) ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তড়িৎলেপন করা হয়। যেমন- লোহার বস্তুকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লোহার বস্তুর ওপর নিকেল, টিন প্রভৃতি ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়।
(ii) ধাতব পদার্থের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য তড়িলেপন করা হয়। যেমন- পিতলের গয়নার ওপর সোনার প্রলেপ দিয়ে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়।
- কোনো একটি ধাতু অপেক্ষা তার কোনো ধাতু-সংকর ব্যবহারের সুবিধাগুলি কী কী ?
উত্তরঃ কোনো ধাতু অপেক্ষা তার কোনো ধাতু-সংকর সুবিধাগুলি হল- (i) ধাতু-সংকর অপেক্ষাকৃত বেশি শক্ত (কঠিন) হয়। (ii) ধাতু সংকর অপেক্ষাকৃত বেশি নমনীয়, ঘাতসহ হয়। (iii) ধাতু-সংকর অপেক্ষাকৃত বেশি নিস্ক্রিয় ও ক্ষয়রোধী হয়।
- উপাদান সহ তামার দুটি সংকর ধাতুর নাম ও ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
ধাতু
সংকর ধাতু
উপাদান
ব্যবহার
তামা(Cu)
কাঁসা
Cu 80%, Sn 20%
ঘন্টা, মূর্তি, বাসনপত্র প্রস্তুতিতে
পিতল
Cu (60-80%)
Zn (40-20%)
বাসনপত্র, বিভিন্ন যন্ত্রের অংশ ব্যারোমিটার, টেলিস্কোপ,জলের কল প্রস্তুতিতে।
- উপাদানসহ অ্যালুমিনিয়ামের দুটি সংকর ধাতুর নাম ও ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
ধাতু
সংকর ধাতু
উপাদান
ব্যবহার
অ্যালুমিনিয়াম(Cu)
ডুরালুমিন
AL 95%, Cu 4%, Mg 0.5%, Mn 0.5%
ঘন্টা, মূর্তি, থালা, যন্ত্রের অংশ, মেডেল তৈরিতে।
ম্যাগনেলিয়াম
AL 98%, Mg 2%
বিমানের দেহাংশ তুলাদণ্ড প্রভিতি প্রস্তুত করতে।
- সব আকরিকই খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়- ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
খনিজ ও আকরিকের প্রভেদ কী ?
উত্তরঃ খনিজ ও আকরিকের প্রভেদ অথবা আকরিক মাত্রই খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়, প্রকৃতিতে খনিজ রূপে রেডহেমাটাইট (Fe2O3) ম্যাগনেটাইট (Fe2O4) এবং আয়রন পাইরাইটিস (FeS2), প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু আয়রন পাইরাইটিস থেকে অল্প খরচে এবং সহজ পদ্ধতিতে আয়রন নিস্কাশন করা সম্ভব হয় না। সেজন্য এটি আয়রনের খনিজ কিন্তু আকরিক নয়। আবার রেড হেমাটাইট এবং ম্যাগনেটাইট থেকে আয়রন নিষ্কাশন করা হয়। সেজন্য এরা আয়রনের আকরিক অতএব দেখা যাচ্ছে যে কোনো ধাতুর আকরিক সর্বদাই এটির খনিজ কিন্তু কোনো ধাতুর যে-কোনো খনিজই এটির আকরিক নাও হতে পারে।
- একটি বিকারে কপার সালফেটের গাঢ় জলীয় দ্রবণ নেওয়া হল। তার মধ্যে একটি পরিষ্কার লোহার দণ্ড ওই কপার সালফেটের মধ্যে ডোবানো হল। কী দেখা যাবে ?
উত্তরঃ কপার সালফেটের গাঢ় জলীয় দ্রবণে লোহার দণ্ড ডোবালে লাল রঙের ধাতব কপার অধঃক্ষিপ্ত হয় এবং ফেরাস সালফেট উৎপন্ন হবে।
- ধাতু-সংকর এবং পারদ সংকরের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ
ধাতু-সংকর
পারদ-সংকর
- দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পর মিশে যে সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব কঠিন ধাতব পদার্থ উৎপন্ন করে করে তাকে ধাতু সংকর বলে।
- ধাতু -সংকরের একটি উপাদান পারদ বা মারকারি হলে তাকে পারদ-সংকর বলে।
- ধাতু-সংকর কঠিনে-কঠিনে পদার্থের দ্রবণ।
- পারদ-সংকর পারদে (তরল)কঠিন পদার্থের দ্রবণ।
- উদাহরণসহ বিজারণের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ বিজারণ : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ বলে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়নের ইলেকট্রনসংখ্যা বাড়লে বলা হয় যে, পরমাণু বা আয়নটি বিজারিত হয়েছে।
উদাহরণ :;
- তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণিতে ধাতুগুলির অবস্থান দেখিয়ে ধাতুগুলির সক্রিয়তা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ধাতুগুলির সক্রিয়তার ভিত্তিতে তড়িৎ-রাসায়নিক শ্ৰেণি গঠন করা হয়েছে। এই শ্রেণির ওপরের দিকের ধাতুগুলি (K,Ca,Na,AL ইত্যাদি) তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ও খুব বেশি সক্রিয়, একগুলিকে প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এই শ্রেণির মাঝের দিকের ধাতুগুলি (Zn,Fe,Pb,Cu ইত্যাদি) অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয়। এই শ্রেণির নীচের দিকের ধাতুগুলি (Au,Ag,Pt ইত্যাদি) খুবই কম সক্রিয়। এইগুলিকে প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণিতে ধাতুগুলির অবস্থান-
- তড়িৎ বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতু নিষ্কাশনের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ অ্যালুমিনিয়াম-এর (Al2O3) সঙ্গে ক্লায়োলাইট (AIF3, 3NaF)এবং ফ্লুওস্পার (CaF2) মিশিয়ে 900°C উয়তায় উত্তপ্ত করলে মিশ্রণটি গলে যায়। এরপর তার সঙ্গে গ্রাফাইট তড়িদ্দারের মাধ্যমে তড়িৎ চালনা করলে ক্যাথোডে অ্যালুমিনিয়াম উৎপন্ন হয়।
ক্যাথোডে বিক্ৰিয়া :
অ্যানোডে বিক্রিয়া :
- জৈব যৌগ কাকে বলে ?
উত্তরঃ জৈব যৌগ : কার্বনের অক্সাইড, ধাতব কার্বনেট, বাইকাৰ্বনেট, হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং ধাতব সায়ানাইড লবণগুলি ছাড়া কার্বন দ্বারা গঠিত যে যৌগগুলির মধ্যে কার্বন পরমাণুর ক্যাটিনেশন ধর্ম, সমাবয়বতা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, তাদেরকে জৈব যৌগ বলে।
- অজৈব যৌগ থেকে প্রস্তুত প্রথম জৈব যৌগটির নাম কী ? এটি কোন অজৈব যৌগ থেকে প্রস্তুত হয়েছে ?
উত্তরঃ অজৈব যৌগ থেকে প্রস্তুত প্রথম জৈব যৌগটি হল ইউরিয়া। এটি অ্যামোনিয়াম সায়ানেট থেকে প্রস্তুত হয়েছে। (ইউরিয়া)।
- হাইড্রোকার্বন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ কার্বন এবং হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত যৌগকে হাইড্রোকার্বন বলে। মিথেন (CH4), ইথেন (C2H6), ইথিলিন (C2H4), অ্যাসিটিলিন (C2H2) প্রভৃতি যৌগগুলি হল হাইড্রোকার্বন।
- অ্যালকাইন কাকে বলে ? গঠন সংকেত সহ উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ত্রিবন্ধনযুক্ত অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনকে অ্যালকাইন বলে। এদের সাধারণ সংকেত
CnH2n+2, যেখানে n=1,2,3 ইত্যাদি পূর্ণসংখ্যা।
যেমন- H-C ≡C-H (অ্যাটিলিন)।
- অ্যাসিটিলিন অণুর গঠন লেখো।
উত্তরঃ গঠন সংকেত : H-C ≡C-H (অ্যাসিটিলিন)।
- কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যেসব সক্রিয় পরমাণু বা পরমাণুপুঞ্জ জৈব যৌগের গঠনে উপস্থিত থেকে তাদের প্রকৃতি, ধর্ম এবং রাসায়নিক বিশিষ্টতা নির্ধারণ করে তদের কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ বলা হয়।
- অ্যালকোহল কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ জৈব যৌগের অণুতে –OH অর্থাৎ হাইড্রক্সিল মূলক থাকলে তাকে অ্যালকোহল বলে। অ্যালকোহলের সাধারণ সংকেত CnH2n+1OH । যেমন- মিথাইল অ্যালকোহল (CH3OH), ইথাইল অ্যালকোহল (C2H5OH), প্রোপাইল অ্যালকোহল (C3H7OH) ইত্যাদি।
- LPG কাকে বলে ?
উত্তরঃ 30°C -এর নীচে পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতন করলে পেট্রোলিয়াম গ্যাস পাওয়া যায়। পেট্রোলিয়াম গ্যাসকে চাপ প্রয়োগে তরলে পরিণত করলে তাকে লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা সংক্ষেপে LPG বলে। এটিকে স্টিলের সিলিন্ডারে সঞ্চয় করে রাখা হয়।
- প্রাকৃতিক গ্যাস কাকে বলে ? এর উপাদান কী ?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural gas) : পেট্রোলিয়াম খনিতে তেলের সঙ্গে দাহ্য গ্যাস সঞ্চিত থাকে। এই গ্যাস আলাদাভাবে বা তেলের সঙ্গে খনি থেকে তোলা হয়। এই দাহ্য গ্যাসকে প্রাকৃতিক গ্যাস বলে। বর্তমান প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি প্রধান উৎস। উন্নত দেশগুলিতে এর ব্যবহার অপেক্ষাকৃত বেশি।
উপাদান : প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন (CH4), এছাড়া এতে সামান্য ইথেন ও প্রোপেন মিশ্রিত থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাসে প্রায় (45%-96%) মিথেন থাকে।
- CNG -এর ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ব্যবহার: (i)নানা ধরনের শিল্পে, যেমন- লৌহ ইস্পাত শিল্প, সিমেন্ট প্রভৃতিতে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। (ii)ঘর গরম রাখতে, রাস্তাঘাটে বাতি জ্বালাতে, রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। (iii)বিভিন্ন যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে CNG ব্যবহার করা হয়।
- LPG এবং CNG এর মুখ্য উপাদানগুলির নাম লেখো। যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল এবং CNG এর মধ্যে কোনটি অপেক্ষাকৃত কম বায়ুদূষক ?
উত্তরঃ LPG -এর মুখ্য উপাদান : বিউটেন।
CNG এর মুখ্য উপাদান : মিথেন।
- সরলতম হাইড্রোকার্বনটির নাম লেখো। বায়ুতে এর দহন বিক্রিয়াটির উপযোগিতা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ সরলতম হাইড্রোকার্বনটি হল মিথেন (CH4)। বায়ুতে মিথেনের দহনের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় তাই এটিকে তাপ উৎপাদক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- হাইড্রোজেনের সঙ্গে ইথিলিনের বিক্রিয়া লেখো।
অথবা,
ইথিলিনের সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ার শর্তসমূহ সমীকরণ দাও।
উত্তরঃ হাইড্রোজেন সংযোজন : সাধারণ উষ্নতায় প্ল্যাটিনাম (Pt) বা প্যালাডিয়াম (Pb) বা র্যানি নিকেল অনুঘটকের উপস্থিতিতে বা 250°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত নিকেল চূর্ণের ওপর দিয়ে ইথিলিন এবং হাইড্রোজেনের মিশ্রণ চালনা করলে ইথেন উৎপন্ন হয়। নিকেল অনুঘটকের কাজ করে।
ইথেন
- ব্রোমিনের সঙ্গে ইথিলিনের বিক্রিয়াটি লেখো।
অথবা,
কীভাবে পরিবর্তিত করতে ?
উত্তরঃ ব্রোমিনের সঙ্গে ইথিলিনের বিক্রিয়া: কার্বন টেট্রাক্লোরাইড বা ক্লোরোফর্মে ব্রোমিনকে দ্রবীভূত করে ওই লাল বর্ণের ব্রোমিন দ্রবণের মধ্যে দিয়ে ইথিলিন চালনা করলে বর্ণহীন ইথিলিন ড্রাইব্রোমাইড বা 1,2, ডাইব্রোমো ইথেন উৎপন্ন হয়। ফলে ব্রোমিনের লাল বর্ণের দ্রবণটি বর্ণহীন হয়। এই বিক্রিয়া দ্বারা প্রমাণ করা যায় ইথিলিন একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন।
ইথিলিন ডাইব্রোমাইড
- ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়া উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ইথিলিনের পলিমারিজেশন : ইথিলিনকে উচ্চচাপে (1500-200 atm) তরল করে পারক্সাইড, অক্সিজেন বা ক্রোমিয়াম অক্সাইড অনুঘটকের উপস্থিতিতে 150°C-200°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে বহুসংখ্যক ইথিলিন অণু পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পলি ইথিলিন বা পলিথিন নামক সাদা কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হয়।
(পলিথিন)
- মনোমার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ মনোমার (Monomer): পলিমারের অংশগুলিকে বা একক অণুগুলিকে মনোমার বলে। যেমন- অনেকগুলি ইথিলিন অণু পরস্পর যুক্ত হয়ে পলি ইথিলিন বা পলিথিন অণু উৎপন্ন করে। সুতরাং ইথিলিন অণুটি পলিথিনের মনোমার।
- সংশ্লেষিত পলিমার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সংশ্লেষিত পলিমার: রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে যে পলিমার তৈরি করা হয় তাদের সংশ্লেষিত পলিমার বলে। যেমন-নাইলন, টেরিলিন, পলিথিন, টেফলন, পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC)ইত্যাদি।
বায়ো পলিমার : বিভিন্ন কার্বোহাইড্রেট (যেমন-র্স্টাচ, শর্করা, সেলুলোজ) প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদিকে বায়োপলিমার বলে।
- জৈব অভঙ্গুর পলিমার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ জৈব অভঙ্গুর বা নন-বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার: যেসব পলিমার ছত্রাক ও জীবাণু দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয় না ও মাটিতে মিশে যায় না তাদের জৈব অভঙ্গুর বা নন-বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার বলে। কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সকল সংশ্লেষিত। পলিমারে (যেমন- পলিথিন, টেফলন ইত্যাদি) জৈব অভঙ্গুর পলিমার।
- ভিনাইল ক্লোরাইডের পলিমারের নাম কী ? পলিমারাটির একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ভিনাইল ক্লোরাইডের পলিমার হল পলিভিনালি ক্লোরাইড বা PVC।
PVC-এর ব্যবহার: বর্ষাতি ও গামবুট তৈরি করতে PVC ব্যবহার করা হয়।
- ইথাইল অ্যালকোহলের ভৌত ধর্মগুলি লেখো।
উত্তরঃ ভৌত ধর্ম: (i)ইথাইল অ্যালকোহল বর্ণহীন মিষ্টি গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ। (ii)ইথাইল অ্যালকোহলের ঘনত্ব জলের চেয়ে কম। (iii)ইথাইল অ্যালকোহল জলে অত্যন্ত দ্রাব্য এবং এটির স্কুটনাঙ্ক 78.5°C।
- 170°c উত্নতায় গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে ইথাইল অ্যালকোহলের বিক্রিয়ায় কী উৎপন্ন হয় ? বিক্রিয়ার সমীকরণ দাও।
অথবা,
রূপান্তর ঘটাও :
উত্তরঃ 170°C উন্নতায় গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় ইথাইল অ্যালকোহল
থেকে এক অণু জল অপসারিত হয় এবং ইথিলিন উৎপন্ন হয়।
- মেথিলেটেড স্পিরিটের ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ মেথিলেটেড স্পিরিটের ব্যবহার:
(i) মেথিলেটেড স্পিরিট স্টোভ, স্পিরিট ল্যাম্প প্রভৃতির জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয়।
(ii) বার্নিশের কাজে এবং রং তৈরি করতে মেথিলেটেড স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।
(iii) বিভিন্ন জৈব পদার্থের দ্রাবক হিসেবে মেথিলেটেড স্পিরিট ব্যবহৃত হয়।
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর : (মান – 1)
- আধুনিক দীর্ঘ পর্যায়-সারণির পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ পর্যায়ের বিবরণ : এই পর্যায়-সারণির 7টি পর্যায় 1, 2, 3, 4, 5, 6 এবং 7 সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। মৌলগুলির পরমাণুর কক্ষপথ সংখ্যাই তাদের পর্যায় সংখ্যা। (মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণির সংশোধিত রূপে প্ৰতি পর্যায়ে যতগুলি মৌল আছে এই পর্যায়-সারণিতেও ঠিক ততগুলি মৌল আছে)।
একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে অবস্থিত মৌলগুলির ইলেকট্রন বিন্যাস বিভিন্ন হওয়ায় একই পর্যায়ে অবস্থিত মৌলগুলির রাসায়নিক ধর্ম বিভিন্ন হয়।
- নিস্ক্রিয় মৌলগুলির বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ (i) নিস্ক্রিয় মৌলগুলির পরমাণুর সর্ববহিস্থ কক্ষ ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে (He) পরমাণুর বাইরের কক্ষে 2 টি এবং অন্যান্য পরমাণুর বাইরের কক্ষে ৪টি ইলেকট্রন থাকে।
(ii) নিস্ক্রিয় মৌলগুলি রাসায়নিকভাবে সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয়।
(iii) এদের যোজ্যতা শূন্য।
- ইলেকট্রন বিন্যাসসহ শ্ৰেণি 2-এর প্রথম তিনটি পর্যায়ের মৌলের নাম লেখে।
উত্তরঃ
শ্ৰেণি-2
ইলেকট্রন বিন্যাস
- বেরিলিয়াম (Be)
- 2,7
- ম্যাগনেশিয়াম (Mg)
- 2,8,7
- ক্যালশিয়াম (Ca)
- 2,8,8
- ইলেকট্রন বিন্যাসসহ শ্রেণি-18-এর প্রধান তিনটি মৌলের নাম লেখো ?
উত্তরঃ
শ্ৰেণি-18
ইলেকট্রন বিন্যাস
- হিলিয়াম (He)
- 2
- নিয়ন (Ne)
- 2,8
- আর্গন (Ar)
- 2,8,8
- A মৌলটির পরমাণুক্রমাঙ্ক 12, পর্যায়-সারণিতে মৌলটির অবস্থান নির্ণয় করো।
উত্তরঃ A-এর পরমাণু ক্ৰমাঙ্ক 12,
A -এর পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,4,2 ।
অর্থাৎ, K (n=1) কক্ষে 2টি ইলেকট্রন, L (n=2) কক্ষে ৪টি ইলেকট্রন এবং M (n=3) কক্ষে 2টি ইলেকট্রন আছে। যেহেতু মৌলটির পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলি মোট তিনটি কক্ষে আছে। সুতরাং মৌলটির পর্যায় সংখ্যা = 3। মৌলটির পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে 2টি ইলেকট্রন আছে। সুতরাং মৌলটির শ্রেণি সংখ্যা =2। অতএব, মৌলটি পর্যায়-সারণির 3নং পর্যায় ও 2নং শ্রেণিতে অবস্থিত।
- A, B এবং C মৌলের পরমাণু ক্ৰমাঙ্ক যথাক্রমে 17, 1৪ এবং 20। এদের মধ্যে কোনটি ধাতু এবং কোনটি অধাতু ?
উত্তরঃ A মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 7;
B মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, ৪ এবং
C মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 8, 2।
সুতরাং, পর্যায় সারণিতে A মৌলটি 17নং শ্রেণিতে, B মৌলটি 1৪ নং শ্রেণিতে এবং C মৌলটি 2 নং শ্রেণিতে অবস্থিত।
সুতরাং C মৌলটি ধাতু ও A মৌলটি অধাতু এবং B মৌলটি নিস্ক্রিয়।
- লিথিয়াম হাইড্রাইড অণুর গঠন বর্ণনা করো।
উত্তরঃ লিথিয়াম হাইড্রাইড (LiH) গঠন : লিথিয়াম পরমাণুর (3Li) ইলেকট্রন বিন্যাস 2,1 এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর (1H) ইলেকট্রন বিন্যাস 1। লিথিয়ামের সবচেয়ে বাইরের কক্ষের 1টি ইলেকট্রন হাইড্রোজেনের সবচেয়ে বাইরের কক্ষে স্থানান্তরিত হয়ে উভয়ের বাইরের কক্ষের ইলেকট্রন সংখ্যা 2 হয় এবং নিস্ক্রিয় মৌল হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে।
Li পরমাণু Li+ + e, H + e H-, Li+ + H- LiH
Li + H Li+ H- LiH
2,1 1 2 2
- অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড অণুর গঠন বর্ণনা করো।
উত্তরঃ অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড অণুর গঠন : অ্যালুমিনিয়াম পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,8,3 এবং অক্সিজেন পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,6। দুটি অ্যালুমিনিয়াম পরমাণুর প্রত্যেক তার সবচেয়ে বাইরের কক্ষের 3টি ইলেকট্রন বর্জন করে AI3+ আয়নে পরিণত হয়। তিনটি অক্সিজেন পরমাণুর প্রত্যেকে তাদের সবচেয়ে বাইরের কক্ষে 2টি করে বর্জিত ইলেকট্রন গ্রহণ করে O2- আয়নে পরিণত হয়। এরপর 2টি AI3+ আয়ন এবং 3টি O2- আয়ন পরস্পর স্থির তড়িদাকর্ষণে যুক্ত হয়ে AI2O3 অণু গঠন করে।
- অ্যামোনিয়া গ্যাস শুস্ক করতে গাড় H2SO4, P2O5 বা অনাদ্র CaCL2 ব্যবহার করা হয় না কেন ?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া গ্যাস শুস্ক করতে গাঢ় H2SO4, P2O5 বা অনাদ্র CaCL2 ব্যবহার করা হয় না। কারণ অ্যামোনিয়া ক্ষারীয় পদার্থ। তাই অ্যামোনিয়া গাঢ় H2SO4 –এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে আামোনিয়াম সালফেট এবং জলীয় বা বাস্পের উপস্থিতিতে আম্লিক P2O5 -এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম সালফেট উৎপন্ন করে।
অনার্ড CaCL2 অ্যামোনিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া করে যুত যৌগ উৎপন্ন করে।
- হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুতিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় না কেন ?
উত্তরঃ হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উদবায়ী পদার্থ। তাই ফেরাস সালফাইডের সঙ্গে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন H2S -এর সঙ্গেগ HCL বাষ্প মিশে যায়। অথবা FeS এবং HCL এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন FeCL2 বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা সহজেই জারিত হয়ে FeCL3 -তে পরিণত হয়। উৎপন্ন FeCL3 তখন H2S কে জারিত করে হলুদ সালফারের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। তাই H2S প্রস্তুতিতে HCL অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় না।
- অক্সিজেনের সঙ্গে হাইড্রোজেন সালফাইডের বিক্রিয়ায় কী কী পদার্থ উৎপন্ন হয় ? বিক্রিয়ার সমীকরণ দাও।
উত্তরঃ অক্সিজেনের সঙ্গে H2S -এর বিক্রিয়া : কম অক্সিজেনে H2S নীল শিখায় জ্বলে সালফার ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন করে।
অতিরিক্ত O2 গ্যাস H2S -এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় জল ও সালফার ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে।
- রুপোর তৈরি জিনিস পুরোনো হলে কালো হয়ে যায় কেন ?
উত্তরঃ বায়ুর মধ্যে অল্প পরিমাণ H2S থাকে। রুপোর তৈরি জিনিস বহুদিন ধরে খোলা
বায়ুতে থাকলে রুপার সঙ্গে H2S -এর বিক্রিয়ায় কালো রঙের সিলভার সালফাইড
(Ag2S) উৎপন্ন হয়। ফলে রুপার জিনিস কালো হয়ে যায়। (কালো)
- হাইড্রোজেন সালফাইডের একটি বিজারণ ধর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ H2SO4 যারা অম্লীকৃত পটাশিয়াম ডাইক্লোমেট প্রবণে H2S গ্যাস পাঠালে H2S কমলা বর্ণের পটাশিয়াম ডাইক্লোমেটকে বিজারিত করে দ্রাব্য সবুজ বর্ণের ক্লোমিক সালফেটউত্তরঃ[Cr2(SO4)2] উৎপন্ন করে। ফলে দ্রবণের বর্ণ সবুজ হয়। এবং H2S নিজে জারিত হয়ে সালফারে পরিণত হয়।
- দেখাও যে H2S গ্যাস অম্লৰ্মী।
উত্তরঃ আাসিড ধর্মী : H2S -এর জলীয় দ্রবণ সামান্য আয়নিত হয় এবং অল্পসংখ্যক H3O+ আয়ন উৎপন্ন করে, সেজন্য এর জলীয় দ্রবণ মৃদু আসিডধমী, নীল লিটমাসকে সামান্য লাল করে। সেজন্য H2S -কে হাইড্রোসালফিউরিক অ্যাসিডও বলা হয়। H2S -দিক্ষারিক আসিড বলে দু’রকম লবণ আসিড লবণ এবং নর্মাল বা প্রশম লবণ উৎপন্ন করে, যেমন- ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় বাইসালফাইড (অ্যাসিড লবণ) এবং সালফাইড (প্ৰশম লবণ) উৎপন্ন করে।
H2S + 2H20 ⇌ H3O+ + HS-
HS- + H20 ⇌ H3O+ + S2-
- হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করবে কী ভাবে ?
উত্তরঃ H2S গ্যাসের শনাক্তকরণ:
(i) পচা ডিমের গন্ধযুক্ত কোনো গ্যাস নাকে প্রবেশ করলেই বোঝা যায় যে গ্যাসটি হাইড্রোজেন সালফাইড। এই গ্যাস লেড অ্যাসিডেসিক্ত সাদা কাগজকে কালো করে।
(ii) সদ্য প্রস্তুত সোডিয়াম নাইট্রোপ্রুসাইড দ্রবণে NaOH ঢেলে দ্রবণকে ক্ষারীয় করে ওই ক্ষারীয় দ্রবণে H2S গ্যাস চালনা করলে দ্রবণ সুন্দর বেগুণী বর্ণ ধারণ করে। (বেগুনি)।
=====================================================================
পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭)
শূন্যস্থান পূরণ করো: (মান – 1) পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- রশ্মি ________ তড়িদাধান যুক্ত কণার সমষ্টি।
Answer :[ধনাত্মক]
- -রশ্মির আধান ________।
Answer :[শূন্য]
- প্রতিটি ________ কণার ভর 4 একক।
Answer :[আলফা]
- ইউরেনিয়ামোত্তর সকল মৌলই ________ ।
Answer :[তেজস্ক্রিয়]
- জীবাশ্মের বয়স নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হয় ________ কার্বন।
Answer :[রেডিয়ো]
- নিউক্লিয় বিভাজনে প্রচুর পরিমাণে ________ নির্গত হয়।
Answer :[শক্তি]
সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো: (মান – 1) পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয়। [T]
- -রশ্মি এক প্রকার তড়িচুম্বকীয় তরঙ্গ। [T]
- -রশ্মি ধনাত্মক তড়িদাধান কণিকা দ্বারা গঠিত। [F]
- নিউক্লিয় বিভাজনের ফলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। [T]
- -রশ্নি রেজস্ক্রিয় রশি নয়। [F]
- প্রতিটি -কণার ভর 2 একক এবং আধান +2 একক। [F]
- আলফা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা গামা রশ্মির ভেদনক্ষমতা অপেক্ষা কম। [T]
- হার্টের ক্রিয়াকৌশল জানার জন্য তেজস্ত্ৰিয় আয়োডিন ব্যবহৃত হয়। [T]
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- একটি তেজস্ক্রিয় মৌলের নাম লেখো।
Answer : ইউরেনিয়াম।
- তেজস্ক্রিয় মৌল কাকে বলে ?
Answer : যেসব মৌল থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয় তাদের তেজস্ক্রিয় মৌল বলে।
- আলফা কণিকার আধানের প্রকৃতি কী ?
Answer : আলফা কণিকার আধান ধনাত্মক।
- -রশ্মির প্রকৃতি কী ?
Answer : -রশ্মি অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
- প্রতিটি -কণার ভর কত ?
Answer : -1 একক বা 4.8 10-10 esu।
- -রশ্মির আধান কত ?
Answer : -রশ্মির আধান শূন্য।
- , ও -রশ্মির মধ্যে কোনটির ভেদনক্ষমতা সবচেয়ে কম ?
Answer : -রশ্বির ভেদনক্ষমতা সবচেয়ে কম।
৪. , ও -রশ্মির উৎপত্তিস্থল কী ?
Answer : পরমাণুর নিউক্লিয়াস।
- নিউক্লিয় সংযোজনের একটি উদাহরণ দাও।
Answer : চারটি হাইড্রোজেন কেন্দ্ৰক যুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম কেন্দ্ৰক ও দুটি পজিট্রন গঠিত হয়।
- কুরি কীসের একক ?
Answer : তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক কুরি।
- আলফা কণার সংকেত কী ?
Answer : ।
- -রশ্মির ভেদনক্ষমতা ও রশ্মির ভেদনক্ষমতা তুলনা করো।
Answer : -রশ্বির ভেদন ক্ষমতা রশ্মির চেয়ে 100 গুণ বেশি।
- নিউক্লিয় বিভাজনের একটি উদাহরণ দাও।
Answer : (শক্তি)।
- নিউক্লিয় বিভাজনে আঘাতকারী কণা হিসেবে কী ব্যবহার করা হয় এবং কেন ?
Answer : নিউট্রন ব্যবহার করা হয় হয় কারণ এটি নিউক্লিয়াসের আধান কর্তৃক বিকর্ষিত হয়না।
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- একটি তেজস্ক্রিয় মৌল হল – a. লেড b. রেডন c. আর্গন কি d. বেরিয়া
Answer :[d] বেরিয়াম
- প্রতিটি -কণার আধান হল – a. +2 একক b. +1 একক c. 1 একক d. +4 একক
Answer :[c] 1 একক
- প্রতিটি -কণার ভর হল – a. 4 একক b. 2 একক c. 1 একক d. শূন্য
Answer :[d] শূন্য
- নীচের কোনটির ভেদনক্ষমতা সবচেয়ে বেশি – a. -রশ্মির b. -রশ্বির c. রশ্মির d. আলোক রশ্মি
Answer :[c] রশ্মির
- ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় – a. তেজস্ক্রিয় কোবাল্ট b. তেজস্ক্রিয় সোডিয়াম c. ইউরেনিয়াম d. রেডিয়োকার্বন
Answer :[d] রেডিয়ো কার্বন
- নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া ঘটে – a. পারমাণবিক বোমাতে b. পৃথিবীর অভ্যন্তরে c. সূর্যে d. ওজোন গ্যাস প্রস্তুতিতে
Answer :[c] সূর্যে
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর : (মান – 3) Madhyamik পরমাণুর নিউক্লিয়াস (অধ্যায়-৭) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- হালকা মৌল তৰু এটি তেজস্ত্রিয় কেন ?
Answer : এর প্রোটন সংখ্যা 1 এবং নিউট্রন সংখ্যা = 3-1 = 2
∴ নিউট্রন ও প্রোটনের অনুপাত = 2 : 1 = 2 ।
মৌলটির n : p -এর মান 1.5 অপেক্ষা বেসি তাই এটি তেজস্ক্রিয়।
(1 থেকে 20 পর্যন্ত পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌলগুলির n : p-এর মান 1-এর কাছাকাছি হওয়ায় এগুলি তেজস্ক্রিয় হয় না।)
- নিউক্লিয় বিভাজন এবং নিউক্লিয় সংযোজনের পার্থক্য লেখো।
নিউক্লিয় বিভাজন | নিউক্লিয় সংয়োজন |
1. এই বিক্রিয়ায় কোনো ভারী নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে দুটি কাছাকাছি ভরের নিউক্লিয়াস উৎপন্ন হয়। | 1. এই বিক্রিয়ায় দুটি অপেক্ষাকৃত হালকা পরমাণুর কেন্দ্রক যুক্ত হয়ে একটি ভারী পরমাণুর কেন্দ্রক গঠন করে। |
2. এটি একটি শৃঙ্খল বিক্রিয়া। | 2. এটি একটি শৃঙ্খল বিক্রিয়া নয় সংযোজন বিক্রিয়া। |
3. এই বিক্রিয়ায় উৎপন্ন বিপুল পরিমাণ শক্তিকে নিয়ন্ত্রিত করে মানবকল্যাণ কাজে ব্যবহৃত হয়। | 3. এই বিক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। |
- তেজস্ক্রিয়তার কারণ কী ?
Answer : পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অতি ক্ষুদ্র আয়তনের মধ্যে নিউক্লিয় বলের প্রভাবে প্রোটন ও নিউটনগুলি একসঙ্গে অবস্থান করে। এই নিউক্লিয় বল ছাড়া প্রোটনগুলির মধ্যে কুলম্বীয় বিকর্ষণ বল কাজ করে। কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার খুব বেশি পার্থক্য হলে এবং নিউট্রন এবং প্রোটনের অনুপাত 1.5 -এর বেশি হলে কুলম্বীয় বিকর্ষণ বল নিউক্লিয় বল অপেক্ষা খুব বেশি হয়। ফলে নিউক্লিয়াস অস্থায়ী হয়ে স্বতঃস্ফৰ্তভাবে ভাঙন শুরু হয় এবং তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে।
=====================================
‘ক’ বিভাগ
১. বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নীচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটা ঠিক সেটা লেখোঃ
(১.১) সূর্যের শক্তির মূল উৎস হল –
(ক) নিউক্লীয় সংযোজন ও নিউক্লীয় বিয়োজন
(খ) নিউক্লীয় বিভাজন
(গ) নিউক্লীয় সংযোজন
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) নিউক্লীয় সংযোজন
(১.২) কোন্ রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সর্বাধিক? –
(ক) a রশ্মি
(খ) B রশ্মি
(গ) x রশ্মি
(ঘ) y রশ্মি
উত্তরঃ (ঘ) y রশ্মি
(১.৩) সূর্যের বাইরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় –
(ক) 600⁰C
(খ) 6000⁰C
(গ) 60000⁰C
(ঘ) 10000⁰C
উত্তরঃ (খ) 6000⁰C
(১.৪) সূর্য ও বিভিন্ন নক্ষত্রে উৎপন্ন শক্তির উৎস –
(ক) y বিকিরন
(খ) a-B-y বিকিরন
(গ) নিউট্রন বিভাজন
(ঘ) নিউক্লিয় সংযোজন
উত্তরঃ (ঘ) নিউক্লিয় সংযোজন
(১.৫) 1 MeV= কত J? –
(ক) 1.6⁰10-¹³
(খ) 3.2⁰10-¹³
(গ) 4.8⁰10-¹³
(ঘ) 6.4⁰10-¹³
উত্তরঃ (ক) 1.6⁰10-¹³
(১.৬) পারমানবিক চুল্লিতে ভারী জল ব্যবহার হয় –
(ক) জ্বালানি রূপে
(খ) প্রোজেক্টাইল রূপে
(গ) মডারেট রূপে
(ঘ) শীতক রূপে
উত্তরঃ (গ) মডারেট রূপে
(১.৭) নিউক্লিয় রিঅ্যাকটরে শক্তির রূপান্তরটি হল –
(ক) পারমানবিক শক্তি -> তাপশক্তি ->
(খ) তাপশক্তি -> তড়িৎশক্তি
(গ) তড়িৎশক্তি ->পারমানবিক শক্তি
(ঘ) পারমানবিক শক্তি -> তাপশক্তি -> তড়িৎ শক্তি
উত্তরঃ (ঘ) পারমানবিক শক্ত -> তাপশক্তি -> তড়িৎ শক্তি
(১.৮) জীবাশ্মের বয়স নির্ণয়ের যে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয় তা হল –
(ক) 60 CO
(খ) 131 l
(গ) 12 P
(ঘ) 14 C
উত্তরঃ (ঘ) 14 C
(১.৯) নীচের কোন্টি তেজস্ক্রিয় নয়? –
(ক) 32P
(খ) 14C
(গ) 40K
(ঘ) 23Na
উত্তরঃ (ঘ) 23Na
(১.১০) তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন –
(ক) বেকারেল
(খ) মাদাম কুরি
(ঘ) পিয়ের কুরি
(ঘ) রাদারফোর্ড
উত্তরঃ (ক) বেকারেল
‘খ’ বিভাগ
২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
(২.১) তিনটি স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয় মৌলের নাম লেখো।
উত্তরঃ ক) পোলানিয়াম খ) রেডিয়াম গ) ইউরেনিয়াম
(২.২) নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরে ভারী জলের ভূমিকা কী?
উত্তরঃ নিউট্রের উচ্চ গতি কমাতে।
(২.৩) কোন্ মৌলের নিউক্লিয়ন প্রতি বন্ধন শক্তি সর্বোচ্চ?
উত্তরঃ 62 Ni
(২.৪) a,B,y রশ্মির মধ্যে কোন্টি ভরহীন?
উত্তরঃ y
(২.৫) কোন্ প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে পরমানু বোম তৈরি করা হয়?
উত্তরঃ নিউক্লিয় বিভাজন
(২.৬) তেজস্ক্রিয়তার একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখো।
উত্তরঃ ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য
(২.৭) শূন্যস্থান পুরন করোঃ
……… তাপমাত্রায় নিউক্লীয় বিভাজন ঘটে।
উত্তরঃ সাধারন
(২.৮) শূন্যস্থান পুরন করোঃ
শক্তির অপর একটি রূপ হল ……… ।
উত্তরঃ ভর
(২.৯) সত্য না মিথ্যা লেখোঃ
নিউট্রন ও প্রোটনের অনুপাত 1.5:1 এর বেশি হলেই মৌলটি তেজস্ক্রিয়তা প্রদর্শন করে।
উত্তরঃ সত্য
(২.১০) সত্য না মিথ্যা লেখোঃ
কোনোরকম ভৌত বা রসায়নিক প্রক্রিয়াই তেজস্ক্রিয় নিঃসরন প্রভাবিত করতে পারে না।
উত্তরঃ সত্য
‘ঘ’ বিভাগ
৪. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তরঃ
প্রশ্নঃ নিউক্লিয় সংযোজন ও নিউক্লিয় বিভাজনের পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ নিউক্লিয় সংযোজন ও নিউক্লিয় বিভাজনের পার্থক্য –
প্রথমত, হালকা মৌলের নিউক্লিয়াস সংযোজনে ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি হয়; আর নিউট্রনের আঘাতে ভারী নিউক্লিয়াস খণ্ডিত হয়।
দ্বিতীয়ত, তাপীয় নিউট্রন দ্বারা ভারী নিউক্লিয়াসকে আঘাত করা হয়; কিন্তু উচ্চ উয়তায় (107 – 108°K) H2, He ইত্যাদি মৌলের সমন্বয় ঘটে।
তৃতীয়ত, উৎপন্ন শক্তি তুলনামূলক কম হয়; তবে উৎপন্ন শক্তি সংযোজন অপেক্ষা বেশি।
প্রশ্নঃ নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো আবশ্যক কেন?
উত্তরঃ নিউক্লিয় সংযোজনে 107 – 108K তাপমাত্রা (উচ্চ তাপমাত্রা) প্রয়োজন। পৃথিবীতে নিউক্লিয় বিভাজন ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে এই উয়তা তৈরি করা অসম্ভব। তাই ওই তাপমাত্রায় পৌঁছতে গেলে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটাতে হয়। তাই নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো হয়।
প্রশ্নঃ নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি বলতে কী বোঝো? নিউক্লিয় চুল্লি কী?
উত্তরঃ
বন্ধন শক্তিঃ পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন জোটবদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাঁদের নিউক্লিয়ন বলে। নিউক্লিয়নগুলি যে শক্তির জন্য নিউক্লিয়াসে আবদ্ধ অবস্থায়। থাকে তাকে নিউক্লিয়াসের বন্ধন-শক্তি বলা হয়।
নিউক্লিয় চুল্লিঃ যে যন্ত্র বা ব্যবস্থার সাহায্যে নিউক্লিয় বিভাজনের শৃঙ্খল বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাঁকে নিউক্লিয় চুল্লি বলে।
প্রশ্নঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানে তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় ক্যানসার আক্রান্ত কোশগুলো নষ্ট করার কাজে তেজস্ক্রিয় মৌল রেডিয়াম, কোবাল্ট (60CO) ব্যবহৃত হয়। লিউকিমিয়া, মস্তিষ্কের টিউমার রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় ফসফরাস (32P) ব্যবহৃত হয়। থাইরয়েড রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় আয়োডিন (131I) ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ “কোনো মৌলের তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াসজনিত ঘটনা” – ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ যে মৌলগুলি তেজস্ক্রিয় তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়ে অন্য যৌগ গঠন করলেও তার তেজস্ক্রিয় ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন – রেডিয়াম তেজস্ক্রিয় এবং রেডিয়াম ক্লোরাইডও তেজস্ক্রিয়। কোনো মৌলের রাসায়নিক ধর্ম বিভিন্ন কক্ষে ইলেকট্রন বিন্যাসের ওপর নির্ভরশীল। যেহেতু রাসায়নিক পরিবর্তনের পরেও তেজস্ক্রিয় মৌলের তেজস্ক্রিয়তা বর্তমান থাকে তাই তেজস্ক্রিয়তার সঙ্গে মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের কোনো সম্পর্ক নেই। আবার, তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ফলে নতুন ধর্মবিশিষ্ট মৌল উৎপন্ন হয়। এটা সম্ভব যদি একমাত্র নিউক্লিয়াসের গঠনের পরিবর্তন হয় অর্থাৎ নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার পরিবর্তন হয়। তাই বলা যায় – “কোনো মৌলের তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াসজনিত ঘটনা।”
============================================
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো। (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
1। ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় –
a) তেজস্ক্রিয় কোবাল্ট b) তেজস্ক্রিয় সোডিয়াম c) ইউরেনিয়াম d) রেডিয়ো কার্বন।
উত্তর- ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়- a) তেজস্ক্রিয় কোবাল্ট।
2। একটি মমির বয়স বা কোনো জীবাশ্মের বয়স জানার জন্য কার্বনের কোন্ আইসোটোপটি ব্যবহার করা হয় –
a) C12 b) C13 c) C14 d) C15।
উত্তর-একটি মমির বয়স বা কোনো জীবাশ্মের বয়স জানার জন্য কার্বনের c) C14 আইসোটোপটি ব্যবহার করা হয়।
3। তেজস্ক্রিয় মৌলগুলিতে নিউট্রন (n) ও প্রোটন ( p) সংখ্যার অনুপাত হয় –
a) 1.5 এর বেশি b) 1.5 এর কম c) 1 d) 1 এর কম
উত্তর-তেজস্ক্রিয় মৌলগুলিতে নিউট্রন (n) ও প্রোটন (p ) সংখ্যার অনুপাত হয় – a) 1.5 এর বেশি।
4। তেজস্ক্রিয় মৌল সর্বশেষে যে মৌলে পরিণত হয় সেটি হল –
a) থোরিয়াম (Th) b) টাংস্টেন (W) c) মলিবডেনাম (Mo) d) লেড (Pb)
উত্তর-তেজস্ক্রিয় মৌল সর্বশেষে যে মৌলে পরিণত হয় সেটি হল – d) লেড (Pb).
5। অতেজস্ক্রিয় মৌলটি হল –
a) Po b) Pb c) Pu d) Rn
উত্তর- অতেজস্ক্রিয় মৌলটি হল – b) Pb.
6। পরমাণু চুল্লিতে ভারী জল (D2O) ব্যবহার করা হয় কী হিসেবে?
a) জ্বালানি b) মডারেটর c) প্রজেক্টাইল d) ডাইলুয়েন্ট
উত্তর- পরমাণু চুল্লিতে ভারী জল (D2O) ব্যবহার করা হয় b) মডারেটর হিসেবে।
7। নিউক্লিয় বিভাজন বা সংযোজন বিক্রিয়ায় তাপ শক্তি উৎপাদনে মূল ভূমিকা পালন করে –
a) রাসায়নিক শক্তি b) তড়িৎশক্তি c) ভরের আপাত বিনাশ d) ভরবেগ
উত্তর-নিউক্লিয় বিভাজন বা সংযোজন বিক্রিয়ায় তাপ শক্তি উৎপাদনে মূল ভূমিকা পালন করে – c) ভরের আপাত বিনাশ।
8। নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরে –
a) শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটে b) শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটে না c) শক্তি শোষিত হয় d) কোনোটিই নয়
উত্তর- নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরে – b) শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটে।
9। 1986 সালের 28 এপ্রিল রাত্রি 9টায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্ঘটনাটি রাশিয়ার কোথায় ঘটেছিল?
a) ফুকুশিমা b) চেরনোবিল c) মিনামাটা d) ভোপাল
উত্তর-1986 সালের 28 এপ্রিল রাত্রি 9টায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্ঘটনাটি রাশিয়ার b) চেরনোবিল ঘটেছিল।
10। নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরে নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যে পদার্থটির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেটি হল-
a) প্রোটন b) ইলেকট্রন c) নিউট্রন d) a-কণা
উত্তর- নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরে নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যে পদার্থটির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেটি হল c) নিউট্রন।
একটি বাক্যে উত্তর দাও। (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
1। α, β, γ রাশির মধ্যে কার ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি?
উত্তর– α, β, γ -রাশির মধ্যে γ এর ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ।
2। তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর কোন্ অংশ থেকে নির্গত হয়?
উত্তর- তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত হয়।
3। ধনাত্মক আধানযুক্ত তেজস্ক্রিয় কণার নাম লেখো।
উত্তর- ধনাত্মক আধানযুক্ত তেজস্ক্রিয় কণার নাম হলো – আলফা।
4। আধানবিহীন তেজস্ক্রিয় রশ্মির নাম লেখো।
উত্তর- গামা রশ্মি হল আধানবিহীন তেজস্ক্রিয় রশ্মির।
5। কোন ধরনের নিউক্লিয় বিক্রিয়া সূর্যের শক্তির উৎস?
উত্তর- নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া সূর্যের শক্তির মূল উৎস
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 2/3]
1। তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে?
উত্তর- যখন কোন ভারী মৌলিক পদার্থের নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরাম আলফা, বিটা ও গামা রশ্মি বিকিরিত হয় এবং ভারী মৌলের নিউক্লিয়াসটির পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক ও ভরসংখ্যার পরিবর্তন হয় তেজস্ক্রিয়তা।
2। স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
উত্তর- স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য-
(i) স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয়তায় নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরাম আলফা, বিটা ও গামা রশ্মি বিকিরিত হয়।
(ii) তেজস্ক্রিয়ভাবে পরিবর্তিত মৌলের নিউক্লিয়াসের পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক ও ভরসংখ্যার পরিবর্তন হয়।
3। কার্বন ডেটিং কী?
উত্তর- C-14 আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় বিঘটনকে ব্যবহার করে কোনো জৈব বস্তুর সঠিক বয়স নির্ধারণকেই কার্বন ডেটিং বলা হয়।
4। তেজস্ক্রিয় মৌল কাকে বলে?
উত্তর- কোনো মৌলের আইসোটোপ যদি অসুস্থিত থাকে, এবং তার থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয় এবং নিউক্লিয়াসটির পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা পরিবর্তিত হয় সেই সকল মৌলকে তেজস্ক্রিয় মৌল বলে।
5। তেজস্কিয় বিকিরণের দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব উল্লেখ করো।
উত্তর- তেজস্কিয় বিকিরণের দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব-
(i)প্যাথোলজিকাল-তেজস্ক্রিয়তার ফলে সরাসরি শরীরের নানা অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
(ii) জীনগত ক্ষতি- তেজস্ক্রিয়তার কারণে সরাসরি DNA তে ক্ষতিকারক মিউটেশন দেখা যায়। যার ফলস্বরূপ ক্যানসার হতে পারে।
6। নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো আবশ্যক – কেন?
উত্তর- নিউক্লিয় বিভাজন ঘটাতে প্রচুর তাপের প্রয়োজন হয়। যেহেতু নিউক্লিয় সংযোজনে যথেষ্ঠ পরিমাণ তাপের সৃষ্টি হয়, তাই সেই তাপকে কাজে লাগিয়ে নিউক্লিয় সংযোজন ঘটানো হয়। এই কারণেই নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো আবশ্যক। পৃথিবীতে নিউক্লিও বিভাজন ব্যতীত সংযোজনে প্রয়োজনীয় এই পরিমাণ তাপ আর কোনোভাবে উৎপন্ন করা সম্ভব নয়।
7। নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া কী? উদাহরণ দাও। অথবা, নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়াটি সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- কোনো ক্ষেত্রে অতি উচ্চ তাপমাত্রায় দুটি স্বল্প ভরযুক্ত পরমাণুর নিউক্লিয়াস একত্রে যুক্ত হয়ে একটি বৃহত্তর নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। এই বিক্রিয়াকে নিউক্লিয় সংযোজন বলে।
উদাহরণ- চারটি হাইড্রোজেন কেন্দ্রক যুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম কেন্দ্রক ও দুটি পজিট্রন গঠিত হয় এবং প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। সমীকরণের সাহায্যে প্রকাশ করলে হয়—
41H1→2He4 + 2+1e0+শক্তি
8। নিউক্লিয় বিভাজনকে শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলা হয় কেন?
উত্তর- নিউক্লিয় বিভাজনকে শৃঙ্খল বিক্রিয়াটি-
92U235 +0n1 ➜ 92U236 ➜ 56Ba141 +36Kr92 + 30n1+ শক্তি
উপরিক্ত বিক্রিয়ায় আমরা দেখতে পাই, বিক্রিয়া সংগঠিত করতে নিউট্রন প্রয়োজন হয় এবং বিক্রিয়াজাত হিসাবে তিনটি নিউট্রন পাওয়া যায়। এই বিক্রিয়াজাত তিনটি নিউট্রন পুণরায় গিয়ে তিনটি ইউরেনিয়ামকে আঘাত করে। এই ভাবে বিক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে উৎপন্ন নিউট্রন ইউরেনিয়ামকে আঘাত করে। এই ভাবেই বিক্রিয়ার শৃঙ্খল বজায় থাকে এবং বিক্রিয়া ক্রমশ এগিয়ে যায়। এই কারণে নিউক্লিয় বিভাজনকে শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলা হয়।
©kamaleshforeducation.in(2023)