বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়)

 

 

Table of Contents

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik Geography Bahirjata Prakriya Question and Answer :

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়)  

MCQ | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়)  

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কাজ করে— 

(A) ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে 

(B) ভূপৃষ্ঠের ভিতরে

(C) মহাশূন্যে 

(D) সমুদ্রতলদেশে 

Ans: (A) ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে

  1. নদী , হিমবাহ , বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি হল ভূমিরূপ পরিবর্তনের – 

(A) বহির্জাত প্রক্রিয়া 

(B) মহাজাগতিক প্রক্রিয়া

(C) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া

(D) জৈবিক প্রক্রিয়া

Ans: (A) বহির্জাত প্রক্রিয়া

  1. যে – প্রক্রিয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ ভূপৃষ্ঠের নীচু অংশে সঞ্চিত হয় , তা হল –

(A) পর্যায়ন 

(B) অবরোহণ 

(C) আরোহণ 

(D) বিচূর্ণীভবন 

Ans: (C) আরোহণ

  1. কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা ভূমির ঢাল সুষম হয়— 

(A) আরোহণ

(B) পাতসংস্থান 

(C) অধঃক্ষেপণ

(D) পর্যায়ন 

Ans: (D) পর্যায়ন 

  1. অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়ার সম্মিলিত ফল হল –

(A) ক্ষয়ীভবন

(B) নগ্নীভবন 

(C) বিচূর্ণীভবন

(D) পর্যায়ন

Ans: (D) পর্যায়ন

  1. আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবনকে একত্রে বলে – 

(A) মহিভাবক প্রক্রিয়া 

(B) গিরিজনি প্রক্রিয়া

(C) অঙ্গারযোজন 

(D) নগ্নীভবন

Ans: (D) নগ্নীভবন

  1. কোন্ বহির্জাত শক্তিটি ভূমিরূপ পরিবর্তনে সর্বাধিক ভূমিকা নেয় ?

(A) নদী

(B) হিমবাহ

(C) বায়ুপ্রবাহ

(D) সমুদ্রতরঙ্গ 

Ans: (A) নদী

  1. প্লাবনভূমি , বদ্বীপ ইত্যাদি ভূমিরূপ কোন্ পদ্ধতিতে সৃষ্টি – 

(A) বিচূর্ণীভবন

(B) আরোহণ

(C) যান্ত্রিক আবহবিকার

(D) অবরোহণ

Ans: 

  1. ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ ঘটার প্রক্রিয়া হল –

(A) নগ্নীভবন

(B) অবরোহণ 

(C) আরোহণ

(D) পর্যায়ন

Ans: (D) পর্যায়ন

  1. বিভিন্ন সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গঠিত হয় যে পদ্ধতিতে তা হল— 

(A) পর্যায়ন

(B) অবরোহণ

(C) পুঞ্জক্ষয়

(D) আরোহণ

Ans: (D) আরোহণ

  1. ভূমির ক্ষয় ও সঞ্চয়কার্যের মধ্যে যখন সাম্য অবস্থা বিরাজ করে তখন সেই ভূমিকে বলা হয়— 

(A) উচ্চভূমি

(B) পর্যায়িত ভূমি

(C) পাদসমভূমি

(D) সমপ্ৰায়ভূমি

Ans: (B) পর্যায়িত ভূমি

  1. কোন্ প্রক্রিয়াটির সঙ্গে ‘ ক্ষয় ‘ শব্দটি সর্বাধিক সম্পর্কযুক্ত –

(A) অবরোহণ

(B) আরোহণ

(C) পর্যায়ন

(D) আবহবিকার

Ans: (A) অবরোহণ

  1. কোন্ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ?

(A) পর্যায়ন

(B) অবরোহণ 

(C) আরোহণ

(D) নগ্নীভবন

Ans: 

  1. শিলা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হওয়ার প্রক্রিয়া –

(A) ক্ষয়ীভবন

(B) পর্যায়ন

(C) নগ্নীভবন

(D) আবহবিকার

Ans: (D) আবহবিকার

  1. নিম্নলিখিত কোন্ রাজ্যটিতে ক্ষয়ের শেষ সীমা লক্ষ করা যাবে— 

(A) উত্তরাখণ্ড 

(B) ওড়িশা 

(C) মধ্যপ্রদেশ

(D) বিহার 

Ans: (B) ওড়িশা

Ans: 

  1. ভূমিরূপ পরিবর্তনে কোন্ ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার প্রভাব সর্বাধিক ?

(A) নদী 

(B) বায়ু 

(C) হিমবাহ

(D) সমুদ্রতরঙ্গ

Ans: (D) সমুদ্রতরঙ্গ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bahirjata Prakriya Question and Answer : 

  1. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Geomorphic Process ) বলতে কী বোঝ ? 

Ans: যেসকল ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূত্বকের উপরিভাগে নানা ভূমিরূপের সৃষ্টি , বিনাশ , পরিবর্তন ও বিবর্তন হয়ে চলেছে , তাদের একত্রে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Geomorphic Process ) বলে ।

  1. কোন্ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ?

Ans: অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ( Endogenetic Process ) এবং বহির্জাত প্রক্রিয়া ( Exogenetic Process ) – এর মাধ্যমে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কার্যকর হয় । 

  1. অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ( Endogenetic Process ) কাকে বলে ?

Ans: ভূঅভ্যন্তরে উদ্ভূত বলের প্রভাবে স্থানীয় বা আঞ্চলিক ভাবে কঠিন ভূত্বকের যে – ধীর ও আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে , তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলা হয় ।

  1. বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Exogenetic Process ) বলতে কী বোঝ ?

Ans: ভূবহিস্থ বা পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের বিবর্তন ও পরিবর্তনকেই বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলে । 

  1. বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কী কী ?

Ans: বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি হল নদী বা জলধারা , হিমবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ , ভৌমজল ইত্যাদি ।

  1. পর্যায়ন বা পর্যায়ন প্রক্রিয়া ( Gradation ) কাকে বলে ?

Ans: ক্ষয়সীমার সাপেক্ষে অসমতল ও বন্ধুর ভূমির সমতলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলা হয় । Chamberlin এবং Salisbury নামক দুই ভূবিজ্ঞানী প্রথম ‘ পর্যায়ন ‘ বা ‘ Gradation ‘ শব্দটি ব্যবহার করেন ।

  1. কোন্ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ?

Ans: অবরোহণ এবং আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ।

  1. অবরোহণ প্রক্রিয়া ( Degradation ) কাকে বলে ?

Ans: যে – প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন বহির্জাত শক্তিসমূহ ভূপৃষ্ঠের কোনো উঁচু জায়গাকে ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে সমতলভূমিতে পরিণত করে , তাকে বলে অবরোহণ প্রক্রিয়া । জেনে রাখো :

 বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমসমূহ : ( i ) স্থির বা স্থিতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি ( আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানসমূহ যেমন — উয়তা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত ) এবং ( ii ) গতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি ( নদনদী , বায়ুপ্রবাহ , হিমবাহ ইত্যাদি ) । 

  1. আরোহণ প্রক্রিয়া ( Aggradation ) কাকে বলে ?

Ans: বিভিন্ন ধরনের বহির্জাত প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের মাধ্যমে সঞ্চয়কার্যের ফলে স্থলভূমির নীচু অংশ বা নিম্নভূমি ভরাট হয়ে উঁচু হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরোহণ প্রক্রিয়া বলা হয় ।

  1. অবরোহণ ও আরোহণের মূল পার্থক্য কী ?

Ans: অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়ার মূল পার্থক্য হল— অবরোহণ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ের মাধ্যমে উঁচু ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় এবং আরোহণ প্রক্রিয়ায় সঞ্জয়কার্যের মাধ্যমে নীচু ভূমি ভরাট হয়ে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি করে ।

  1. পর্যায়িত ভূমি ( Graded Landform ) কাকে বলে ? 

Ans: ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে কোনো ভূমিরূপের মধ্যে যখন সাম্য অবস্থা বিরাজ করে , তখন সেই ভূমিরূপকে পর্যায়িত ভূমি বলা হয় ।

  1. আবহবিকার ( Weathering ) কাকে বলে ?

Ans: আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান , যেমন — উন্নতা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত ইত্যাদির দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলাসমূহের যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিচূর্ণন ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে বিয়োজন হওয়াকে আবহবিকার বলে ।

  1. আবহবিকার যান্ত্রিক , রাসায়নিক ও জৈবিক ক্ষয়ীভবন ( Erosion ) কী ?

Ans: ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন ক্ষয়কারী শক্তির দ্বারা পদার্থের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্ষয়ীভবন বলা হয় । এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া ।

  1. পুঞ্জিত ক্ষয় ( Mass wasting ) কাকে বলে ?

Ans: উচ্চভূমির ঢালের মৃত্তিকা ও শিলাস্তর অভিকর্ষের টানে ঢাল বেয়ে নীচে নেমে আসার ঘটনাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে । 

  1. নগ্নীভবন ( Denudation ) কাকে বলে ?

Ans: আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় এবং ক্ষয়ীভবন — এই তিনটি পদ্ধতির যৌথ ক্রিয়াশীলতায় ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের শিলাস্তর ক্ষয়ীভূত হয়ে অপসারিত হয় । এর ফলে নীচের শিলাস্তর উন্মুক্ত হয়ে পড়ে । 

  1. এই প্রক্রিয়াকেই নগ্নীভবন বলে । নগ্নীভবনের সূত্রটি কী ?

Ans: নগ্নীভবনের সূত্রটি হল— = নগ্নীভবন = আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন ।

  1. ক্ষয়সীমা কাকে বলে ? 

Ans: ক্ষয়কারী শক্তিগুলি ভূপৃষ্ঠের নীচে যতটা পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারে , তা হল ক্ষয়সীমা । সমুদ্রতল হল শেষ ক্ষয়সীমা । J W Powell হলেন ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক ।

  1. ক্ষয়ীভবন ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের মূল পার্থক্য কী ?

Ans: ভূপৃষ্ঠস্থ বিভিন্ন শক্তির মাধ্যমে পদার্থের অপসারণ হল ক্ষয়ীভবন । অপরদিকে অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর পদার্থ নেমে আসা হল পুঞ্জিত ক্ষয় । 

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bahirjata Prakriya Question and Answer : 

  1. অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার কাজ গঠনমূলক এবং বহির্জাত প্রক্রিয়ার কাজ বিনাশমূলক’— কারণ ব্যাখ্যা করো ।

Ans: ভূঅভ্যন্তরীণ শক্তি ভূপৃষ্ঠে প্রাথমিক ভূমিরূপ গঠনের জন্য যে পদ্ধতিতে কাজ করে , তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলা হয় । মহিভাবক ও গিরিজনি আলোড়ন , ভূমিকম্প , অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদি নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূত্বকের আপেক্ষিক স্থানান্তর ঘটে এবং ফলস্বরূপ প্রধান ভূপ্রকৃতিরূপে মহাদেশ ও মহাসাগর কিংবা পর্বত , মালভূমি ও সমভূমি গঠিত হয় । অপরদিকে ভূপৃষ্ঠে বা উপপৃষ্ঠীয় অংশে বাইরের শক্তিসমূহ যে পদ্ধতিতে নগ্নীভবন ঘটায় , তাকে বহিজাত প্রক্রিয়া বলা হয় । আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় , ক্ষয়ীভবন ( নদীপ্রবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ , হিমবাহ ইত্যাদি ) ইত্যাদি প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠের ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে অণু ভূমিরূপ গঠনে সাহায্য করে । তাই উভয় প্রক্রিয়ার কাজের বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এটি বলাই যায় যে , ‘ অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার কাজ গঠনমূলক এবং বহির্জাত প্রক্রিয়ার কাজ বিনাশমূলক ।

  1. “ বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।

Ans: বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরে ধীরে কাজ করে । ( ii ) ভূপৃষ্ঠে ও তার উপপৃষ্ঠীয় অংশে বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রভাব লক্ষ করা যায় । ( iii ) এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নগ্নীভবন ক্রিয়ায় ( অবরোহণ ) উঁচু স্থান নীচু হয়ে যায় এবং সঞ্চয়কার্যের ( আরোহণ ) দ্বারা নীচু স্থান ভরাট হয়ে উঁচু হয় । ( iv ) এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী শক্তিগুলি হল — নদী , আবহবিকার , হিমবাহ , বায়ুপ্রবাহ , সমুদ্রতরঙ্গ , ভৌমজল ইত্যাদি । ( v ) এই অংশগ্রহণকারী শক্তিগুলি কোথাও এককভাবে ও কোথাও সম্মিলিতভাবে কাজ করে । ( vi ) ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী শক্তিগুলির মূল উৎস হল সৌর শক্তি । 

  1. অবরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

Ans: অবরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল ( i ) এই প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় । ( ii ) বিভিন্ন ক্ষয়জাত অণু ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় । ( iii ) ভূত্বকের উঁচু অংশেই মূলত অবরোহণ প্রক্রিয়া কাজ করে । ( iv ) আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন — এই তিনটি প্রক্রিয়ার দ্বারা অবরোহণ সংগঠিত হয় । ( v ) অবরোহণের শেষ সীমা বা ক্ষয়ের শেষ সীমা হল নিকটতম সমুদ্রপৃষ্ঠ । ( vi ) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া । 

  1. আরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

Ans: আরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় । ( ii ) বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা সঞ্চয়ের ফলে এই ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । ( iii ) ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন ধরনের সঞয়জাত অণু ভূমিরূপ গঠিত হয় । ( iv ) ভূমির ঢাল , পলি ও বালির পর্যাপ্ত ও নিয়মিত জোগান = হল আরোহণের নিয়ন্ত্রক । ( v ) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া ।

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কীভাবে কার্যকর হয় ?

Ans: ভূমির উচ্চতা পার্থক্য বা ঢালের পার্থক্যের কারণে অভিকর্ষজ বল – এর সৃষ্টি হয় । এই অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠ ক্ষয়কারী শক্তিগুলি গতিপ্রাপ্ত হয় , যা গতিশক্তি বা Kinetic energy নামে পরিচিত । এই গতিশক্তির প্রভাবেই নদী , হিমবাহ প্রভৃতি শক্তি ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভূমির পরিবর্তন ঘটায় ।

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি কীভাবে সমতলে পরিণত হয় ।

Ans: পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি সমতলে পরিণত হয় । অবরোহণ ও আরোহণের সম্মিলিত ফল হল পর্যায়ন । অবরোহণ প্রক্রিয়ায় একদিকে যেমন উঁচুভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নীচু । ভূমিতে পরিণত হয় , অপরদিকে আরোহণ প্রক্রিয়ায় নীচু ভূমিতে ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ জমা হয়ে উঁচু ভূমিরূপ গঠন করে । এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া । আরোহণ ও অবরোহণ এই দুই প্রক্রিয়ার ফল হল পর্যায়ন । এইভাবেই ক্রমাগত চলতে থাকা এই পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ক্ষয় , পরিবহণ ও সঞ্চয়কাজে ভারসাম্য আসে ও ভূমির সমতলীকরণ ঘটে । জেনে রাখো :

 ভূমিরূপ অঞ্চল ( Morphogenetic region ) : যে – অঞ্চলে ভূমিরূপ পরিবর্তনের বিশেষ শক্তি ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় , সেই অঞ্চল হল ভূমিরূপ অঞ্চল । L Peltier হলেন Morphogenetic ধারণার প্রবর্তক । 

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক কী ?

Ans: কোনো অঞ্চলের ভূমিরূপের সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর । কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে কী ধরনের ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী শক্তি কাজ করবে সেটি নির্ভর করে অঞ্চলের উন্নতা , বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার ওপর । 

  উদাহরণস্বরূপ — উয় আর্দ্র অঞ্চলে ভূমিরূপ পরিবর্তনে যেমন মুখ্য ভূমিকা নেয় নদী , তেমনি হিমমণ্ডলে হিমবাহ এবং উন্ন শুষ্ক অঞ্চলে বায়ু । অপরদিকে উয় মরু অঞ্চলে দৈনিক উন্নতার প্রসর বেশি হওয়ার জন্য যান্ত্রিক আবহবিকার বেশি পরিলক্ষিত হয় , এবং আর্দ্র ক্রান্তীয় অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার বেশি দেখা যায় ।

======================================================================

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bahirjata Prakriya Question and Answer : 

  1. আরোহণ প্রক্রিয়া ( Aggradation ) কাকে বলে ?

Answer : বিভিন্ন ধরনের বহির্জাত প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের মাধ্যমে সঞ্চয়কার্যের ফলে স্থলভূমির নীচু অংশ বা নিম্নভূমি ভরাট হয়ে উঁচু হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরোহণ প্রক্রিয়া বলা হয় ।

  1. অবরোহণ ও আরোহণের মূল পার্থক্য কী ?

Answer : অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়ার মূল পার্থক্য হল— অবরোহণ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ের মাধ্যমে উঁচু ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় এবং আরোহণ প্রক্রিয়ায় সঞ্জয়কার্যের মাধ্যমে নীচু ভূমি ভরাট হয়ে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি করে ।

  1. পর্যায়িত ভূমি ( Graded Landform ) কাকে বলে ? 

Answer : ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে কোনো ভূমিরূপের মধ্যে যখন সাম্য অবস্থা বিরাজ করে , তখন সেই ভূমিরূপকে পর্যায়িত ভূমি বলা হয় ।

  1. আবহবিকার ( Weathering ) কাকে বলে ?

Answer : আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান , যেমন — উন্নতা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত ইত্যাদির দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলাসমূহের যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিচূর্ণন ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে বিয়োজন হওয়াকে আবহবিকার বলে ।

  1. আবহবিকার যান্ত্রিক , রাসায়নিক ও জৈবিক ক্ষয়ীভবন ( Erosion ) কী ?

Answer : ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন ক্ষয়কারী শক্তির দ্বারা পদার্থের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্ষয়ীভবন বলা হয় । এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া ।

  1. পুঞ্জিত ক্ষয় ( Mass wasting ) কাকে বলে ?

Answer : উচ্চভূমির ঢালের মৃত্তিকা ও শিলাস্তর অভিকর্ষের টানে ঢাল বেয়ে নীচে নেমে আসার ঘটনাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে । 

  1. নগ্নীভবন ( Denudation ) কাকে বলে ?

Answer : আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় এবং ক্ষয়ীভবন — এই তিনটি পদ্ধতির যৌথ ক্রিয়াশীলতায় ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের শিলাস্তর ক্ষয়ীভূত হয়ে অপসারিত হয় । এর ফলে নীচের শিলাস্তর উন্মুক্ত হয়ে পড়ে । 

  1. এই প্রক্রিয়াকেই নগ্নীভবন বলে । নগ্নীভবনের সূত্রটি কী ?

Answer : নগ্নীভবনের সূত্রটি হল— = নগ্নীভবন = আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন ।

  1. ক্ষয়সীমা কাকে বলে ? 

Answer : ক্ষয়কারী শক্তিগুলি ভূপৃষ্ঠের নীচে যতটা পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারে , তা হল ক্ষয়সীমা । সমুদ্রতল হল শেষ ক্ষয়সীমা । J W Powell হলেন ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক ।

  1. ক্ষয়ীভবন ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের মূল পার্থক্য কী ?

Answer : ভূপৃষ্ঠস্থ বিভিন্ন শক্তির মাধ্যমে পদার্থের অপসারণ হল ক্ষয়ীভবন । অপরদিকে অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর পদার্থ নেমে আসা হল পুঞ্জিত ক্ষয় ।

  1. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Geomorphic Process ) বলতে কী বোঝ ? 

Answer : যেসকল ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূত্বকের উপরিভাগে নানা ভূমিরূপের সৃষ্টি , বিনাশ , পরিবর্তন ও বিবর্তন হয়ে চলেছে , তাদের একত্রে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Geomorphic Process ) বলে ।

  1. কোন্ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ?

Answer : অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ( Endogenetic Process ) এবং বহির্জাত প্রক্রিয়া ( Exogenetic Process ) – এর মাধ্যমে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কার্যকর হয় । 

  1. অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ( Endogenetic Process ) কাকে বলে ?

Answer : ভূঅভ্যন্তরে উদ্ভূত বলের প্রভাবে স্থানীয় বা আঞ্চলিক ভাবে কঠিন ভূত্বকের যে – ধীর ও আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে , তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলা হয় ।

  1. বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Exogenetic Process ) বলতে কী বোঝ ?

Answer : ভূবহিস্থ বা পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের বিবর্তন ও পরিবর্তনকেই বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলে । 

  1. বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কী কী ?

Answer : বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি হল নদী বা জলধারা , হিমবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ , ভৌমজল ইত্যাদি ।

  1. পর্যায়ন বা পর্যায়ন প্রক্রিয়া ( Gradation ) কাকে বলে ?

Answer : ক্ষয়সীমার সাপেক্ষে অসমতল ও বন্ধুর ভূমির সমতলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলা হয় । Chamberlin এবং Salisbury নামক দুই ভূবিজ্ঞানী প্রথম ‘ পর্যায়ন ‘ বা ‘ Gradation ‘ শব্দটি ব্যবহার করেন ।

  1. কোন্ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ?

Answer : অবরোহণ এবং আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ।

  1. অবরোহণ প্রক্রিয়া ( Degradation ) কাকে বলে ?

Answer : যে – প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন বহির্জাত শক্তিসমূহ ভূপৃষ্ঠের কোনো উঁচু জায়গাকে ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে সমতলভূমিতে পরিণত করে , তাকে বলে অবরোহণ প্রক্রিয়া । জেনে রাখো :

 বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমসমূহ : ( i ) স্থির বা স্থিতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি ( আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানসমূহ যেমন — উয়তা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত ) এবং ( ii ) গতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি ( নদনদী , বায়ুপ্রবাহ , হিমবাহ ইত্যাদি ) । 

MCQ | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bahirjata Prakriya Question and Answer :

  1. ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ ঘটার প্রক্রিয়া হল -(A) নগ্নীভবন(B) অবরোহণ (C) আরোহণ(D) পর্যায়ন

Answer : (D) পর্যায়ন

  1. বিভিন্ন সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গঠিত হয় যে পদ্ধতিতে তা হল— (A) পর্যায়ন(B) অবরোহণ(C) পুঞ্জক্ষয়(D) আরোহণ

Answer : (D) আরোহণ

  1. ভূমির ক্ষয় ও সঞ্চয়কার্যের মধ্যে যখন সাম্য অবস্থা বিরাজ করে তখন সেই ভূমিকে বলা হয়— (A) উচ্চভূমি(B) পর্যায়িত ভূমি(C) পাদসমভূমি(D) সমপ্ৰায়ভূমি

Answer : (B) পর্যায়িত ভূমি

  1. কোন্ প্রক্রিয়াটির সঙ্গে ‘ ক্ষয় ‘ শব্দটি সর্বাধিক সম্পর্কযুক্ত -(A) অবরোহণ(B) আরোহণ(C) পর্যায়ন(D) আবহবিকার

Answer : (A) অবরোহণ

  1. কোন্ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ?(A) পর্যায়ন(B) অবরোহণ (C) আরোহণ(D) নগ্নীভবন

Answer : 

  1. শিলা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হওয়ার প্রক্রিয়া -(A) ক্ষয়ীভবন(B) পর্যায়ন(C) নগ্নীভবন(D) আবহবিকার

Answer : (D) আবহবিকার

  1. নিম্নলিখিত কোন্ রাজ্যটিতে ক্ষয়ের শেষ সীমা লক্ষ করা যাবে— (A) উত্তরাখণ্ড (B) ওড়িশা (C) মধ্যপ্রদেশ(D) বিহার 

Answer : (B) ওড়িশা

Answer : 

  1. ভূমিরূপ পরিবর্তনে কোন্ ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার প্রভাব সর্বাধিক ?(A) নদী (B) বায়ু (C) হিমবাহ(D) সমুদ্রতরঙ্গ

Answer : (D) সমুদ্রতরঙ্গ

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কাজ করে— (A) ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে (B) ভূপৃষ্ঠের ভিতরে(C) মহাশূন্যে (D) সমুদ্রতলদেশে 

Answer : (A) ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে

  1. নদী , হিমবাহ , বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি হল ভূমিরূপ পরিবর্তনের – (A) বহির্জাত প্রক্রিয়া (B) মহাজাগতিক প্রক্রিয়া(C) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া(D) জৈবিক প্রক্রিয়া

Answer : (A) বহির্জাত প্রক্রিয়া

  1. যে – প্রক্রিয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ ভূপৃষ্ঠের নীচু অংশে সঞ্চিত হয় , তা হল -(A) পর্যায়ন (B) অবরোহণ (C) আরোহণ (D) বিচূর্ণীভবন 

Answer : (C) আরোহণ

  1. কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা ভূমির ঢাল সুষম হয়— (A) আরোহণ(B) পাতসংস্থান (C) অধঃক্ষেপণ(D) পর্যায়ন 

Answer : (D) পর্যায়ন 

  1. অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়ার সম্মিলিত ফল হল -(A) ক্ষয়ীভবন(B) নগ্নীভবন (C) বিচূর্ণীভবন(D) পর্যায়ন

Answer : (D) পর্যায়ন

  1. আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবনকে একত্রে বলে – (A) মহিভাবক প্রক্রিয়া (B) গিরিজনি প্রক্রিয়া(C) অঙ্গারযোজন (D) নগ্নীভবন

Answer : (D) নগ্নীভবন

  1. কোন্ বহির্জাত শক্তিটি ভূমিরূপ পরিবর্তনে সর্বাধিক ভূমিকা নেয় ?(A) নদী(B) হিমবাহ(C) বায়ুপ্রবাহ(D) সমুদ্রতরঙ্গ 

Answer : (A) নদী

  1. প্লাবনভূমি , বদ্বীপ ইত্যাদি ভূমিরূপ কোন্ পদ্ধতিতে সৃষ্টি – (A) বিচূর্ণীভবন(B) আরোহণ(C) যান্ত্রিক আবহবিকার(D) অবরোহণ

Answer : (D) অবরোহণ

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bahirjata Prakriya Question and Answer : 

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কীভাবে কার্যকর হয় ?

Answer : ভূমির উচ্চতা পার্থক্য বা ঢালের পার্থক্যের কারণে অভিকর্ষজ বল – এর সৃষ্টি হয় । এই অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠ ক্ষয়কারী শক্তিগুলি গতিপ্রাপ্ত হয় , যা গতিশক্তি বা Kinetic energy নামে পরিচিত । এই গতিশক্তির প্রভাবেই নদী , হিমবাহ প্রভৃতি শক্তি ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভূমির পরিবর্তন ঘটায় ।

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি কীভাবে সমতলে পরিণত হয় ।

Answer : পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি সমতলে পরিণত হয় । অবরোহণ ও আরোহণের সম্মিলিত ফল হল পর্যায়ন । অবরোহণ প্রক্রিয়ায় একদিকে যেমন উঁচুভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নীচু । ভূমিতে পরিণত হয় , অপরদিকে আরোহণ প্রক্রিয়ায় নীচু ভূমিতে ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ জমা হয়ে উঁচু ভূমিরূপ গঠন করে । এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া । আরোহণ ও অবরোহণ এই দুই প্রক্রিয়ার ফল হল পর্যায়ন । এইভাবেই ক্রমাগত চলতে থাকা এই পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ক্ষয় , পরিবহণ ও সঞ্চয়কাজে ভারসাম্য আসে ও ভূমির সমতলীকরণ ঘটে । জেনে রাখো :

 ভূমিরূপ অঞ্চল ( Morphogenetic region ) : যে – অঞ্চলে ভূমিরূপ পরিবর্তনের বিশেষ শক্তি ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় , সেই অঞ্চল হল ভূমিরূপ অঞ্চল । L Peltier হলেন Morphogenetic ধারণার প্রবর্তক । 

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক কী ?

Answer : কোনো অঞ্চলের ভূমিরূপের সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর । কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে কী ধরনের ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী শক্তি কাজ করবে সেটি নির্ভর করে অঞ্চলের উন্নতা , বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার ওপর । 

  উদাহরণস্বরূপ — উয় আর্দ্র অঞ্চলে ভূমিরূপ পরিবর্তনে যেমন মুখ্য ভূমিকা নেয় নদী , তেমনি হিমমণ্ডলে হিমবাহ এবং উন্ন শুষ্ক অঞ্চলে বায়ু । অপরদিকে উয় মরু অঞ্চলে দৈনিক উন্নতার প্রসর বেশি হওয়ার জন্য যান্ত্রিক আবহবিকার বেশি পরিলক্ষিত হয় , এবং আর্দ্র ক্রান্তীয় অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার বেশি দেখা যায় ।

  1. অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার কাজ গঠনমূলক এবং বহির্জাত প্রক্রিয়ার কাজ বিনাশমূলক’— কারণ ব্যাখ্যা করো ।

Answer : ভূঅভ্যন্তরীণ শক্তি ভূপৃষ্ঠে প্রাথমিক ভূমিরূপ গঠনের জন্য যে পদ্ধতিতে কাজ করে , তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলা হয় । মহিভাবক ও গিরিজনি আলোড়ন , ভূমিকম্প , অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদি নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূত্বকের আপেক্ষিক স্থানান্তর ঘটে এবং ফলস্বরূপ প্রধান ভূপ্রকৃতিরূপে মহাদেশ ও মহাসাগর কিংবা পর্বত , মালভূমি ও সমভূমি গঠিত হয় । অপরদিকে ভূপৃষ্ঠে বা উপপৃষ্ঠীয় অংশে বাইরের শক্তিসমূহ যে পদ্ধতিতে নগ্নীভবন ঘটায় , তাকে বহিজাত প্রক্রিয়া বলা হয় । আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় , ক্ষয়ীভবন ( নদীপ্রবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ , হিমবাহ ইত্যাদি ) ইত্যাদি প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠের ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে অণু ভূমিরূপ গঠনে সাহায্য করে । তাই উভয় প্রক্রিয়ার কাজের বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এটি বলাই যায় যে , ‘ অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার কাজ গঠনমূলক এবং বহির্জাত প্রক্রিয়ার কাজ বিনাশমূলক ।

  1. “ বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।

Answer : বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরে ধীরে কাজ করে । ( ii ) ভূপৃষ্ঠে ও তার উপপৃষ্ঠীয় অংশে বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রভাব লক্ষ করা যায় । ( iii ) এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নগ্নীভবন ক্রিয়ায় ( অবরোহণ ) উঁচু স্থান নীচু হয়ে যায় এবং সঞ্চয়কার্যের ( আরোহণ ) দ্বারা নীচু স্থান ভরাট হয়ে উঁচু হয় । ( iv ) এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী শক্তিগুলি হল — নদী , আবহবিকার , হিমবাহ , বায়ুপ্রবাহ , সমুদ্রতরঙ্গ , ভৌমজল ইত্যাদি । ( v ) এই অংশগ্রহণকারী শক্তিগুলি কোথাও এককভাবে ও কোথাও সম্মিলিতভাবে কাজ করে । ( vi ) ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী শক্তিগুলির মূল উৎস হল সৌর শক্তি । 

  1. অবরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

Answer : অবরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল ( i ) এই প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় । ( ii ) বিভিন্ন ক্ষয়জাত অণু ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় । ( iii ) ভূত্বকের উঁচু অংশেই মূলত অবরোহণ প্রক্রিয়া কাজ করে । ( iv ) আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন — এই তিনটি প্রক্রিয়ার দ্বারা অবরোহণ সংগঠিত হয় । ( v ) অবরোহণের শেষ সীমা বা ক্ষয়ের শেষ সীমা হল নিকটতম সমুদ্রপৃষ্ঠ । ( vi ) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া । 

  1. আরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

Answer : আরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় । ( ii ) বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা সঞ্চয়ের ফলে এই ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । ( iii ) ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন ধরনের সঞয়জাত অণু ভূমিরূপ গঠিত হয় । ( iv ) ভূমির ঢাল , পলি ও বালির পর্যাপ্ত ও নিয়মিত জোগান = হল আরোহণের নিয়ন্ত্রক । ( v ) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া ।

==============================================================

বিভাগ ‘ক’

১) বিকল্প গুলির থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখঃ- 

১.১) মন্থকূপ সৃষ্টি হয় যার ক্ষয় কার্যের ফলে –

(ক) নদীর 

(খ) বায়ুর 

(গ) হিমবাহের 

(ঘ) সমুদ্র তরঙ্গের

উত্তরঃ (ক) নদীর

১.২) পলল শঙ্কু দেখা যায় –

(ক) পর্বতে উচ্চভাগ 

(খ) পর্বতের পাদদেশে 

(গ) বদ্বীপ অঞ্চলে 

(ঘ) নদীর মধ্য প্রবাহের

উত্তরঃ (খ) পর্বতের পাদদেশে

১.৩) পাখির পায়ের মতো আকৃতির ব-দ্বীপ দেখা যায় –

(ক) নীল নদীর মোহনা 

(খ) সিন্ধু নদীর মোহনায় 

(গ) হোয়াংহো নদীর মোহনায় 

(ঘ) মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর মোহানায় 

উত্তরঃ (ঘ) মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর মোহানায়

১.৪) নিম্নভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় – 

(ক) আরোহন প্রক্রিয়ায় 

(খ) অবরোহণ প্রক্রিয়ায় 

(গ) অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় 

(ঘ) নগ্নীভবন প্রক্রিয়ায়

উত্তরঃ (ক) আরোহন প্রক্রিয়ায়

১.৫) একটি বহির্জাত ভূগাঠনিক পদ্ধতি হল –

(ক) লাভা উদ্‌গিরন 

(খ) ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি  

(গ) স্তুপ পর্বত নির্মাণ 

(ঘ) নদীর ক্ষয় কার্য

উত্তরঃ (ঘ) নদীর ক্ষয় কার্য

১.৬) সমুদ্রে ভাসমান বিশাল হিমবাহকে বলে –

(ক) হিম স্তুপ 

(খ) হিমশৈল 

(গ) হিমপ্রাচির 

(ঘ) হিম পর্বত

উত্তরঃ (খ) হিমশৈল

১.৭) রসে মতানে যে ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয় –

(ক) নদী ও বায়ুর মিলিত 

(খ) বাতাসের 

(গ) নদীর 

(ঘ) হিমবাহের

উত্তরঃ (ঘ) হিমবাহের

১.৮) হিমশৈল ও জলের উপর ভেসে থাকে –

(ক) ৮/৯ অংশ 

(খ) ২/৯ অংশ 

(গ) ১/৯ অংশ 

(ঘ) ৯ অংশ

উত্তরঃ (গ) ১/৯ অংশ

১.৯) দুটি সার্কের সংযোগস্থল বরাবর গঠিত হয় –

(ক) রসে মতানে 

(খ) এরিটি 

(গ) পিরামিড চূড়া 

(ঘ) এসকার

উত্তরঃ (খ) এরিটি

১.১০) পর্বতের গায় যে সীমা রেখার উপর সারাবছর বরফ জমে থাকে –

(ক) হিমরেখা 

(খ) হিমবাহ 

(গ) হিমশৈল 

(ঘ) ব্লো আউট

উত্তরঃ (ক) হিমরেখা

১.১১) বায়ুর সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট সমভূমিকে বলে –

(ক) প্লাবনভূমি 

(খ) লোয়েস সমভূমি 

(গ) বহিঃবিধৌত সমভূমি

 (ঘ) বদ্বীপ সমভূমি

উত্তরঃ (খ) লোয়েস সমভূমি 

১.১২) যে হ্রদের জল লবনাক্ত হয় –

(ক) প্লায়া হ্রদ 

(খ) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ 

(গ) করি হ্রদ 

(ঘ) জ্বালামুখ হ্রদ

উত্তরঃ (ক) প্লায়া হ্রদ

১.১৩) পাথরযুক্ত অসমান মরুভূমিকে বলে –

(ক) হামাদা 

(খ) বাজাদা 

(গ) রেগ 

(ঘ) ধ্রিয়ান

উত্তরঃ (ক) হামাদা

১.১৪) একাধিক বার্খান পরস্পর যুক্ত হয়ে যে বালিয়াড়ির সৃষ্টি হয় তাকে বলে –

(ক) অ্যাকলে 

(খ) সিফ 

(গ) রোর্ডস্‌ বালিয়াড়ি 

(ঘ) ওয়াদি 

উত্তরঃ (ক) অ্যাকলে

১.১৫) ভেন্টিফ্যাক্ট গঠিত হয় –

(ক) বায়ুর ক্ষয়ের ফলে 

(খ) নদীর ক্ষয়ের ফলে 

(গ) হিমবাহের ক্ষয়ের ফলে 

(ঘ) সমুদ্রের ক্ষয়ের ফলে

উত্তরঃ  (ক) বায়ুর ক্ষয়ের ফলে

বিভাগ ‘খ’

২) ২.১) নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধহলে পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ হলে পাশে ‘অ’ লেখঃ-

২.১.১) চীনের হোয়াংহো অববাহিকায় ফ্রান্সের রাইন অববাহিকায় আমিরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি মিসৌরি অববাহিকায় লোয়েস সমভূমি দেখা যায়।

উত্তরঃ শু  

২.১.২) ক্যানিয়ন আর্দ্র ক্রান্তীয় এবং গিরিখাত শুস্ক অঞ্চলে গঠিত হয়।

উত্তরঃ শু

২.১.৩) সুন্দরবনের দ্বীপগুলি ক্রমাগত ডুবে যাচ্ছে।

উত্তরঃ শু

২.১.৪) আলাস্কার মালাসপিনা হলো ভারতের পাদদেশীয় হিমবাহের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ।

উত্তরঃ শু 

২.১.৫) মহাদেশীয় হিমবাহের ফলে বা পার্বত্য হিমবাহের ক্ষয়ের ফলে সমুদ্র উপকূলে যেসব জলমগ্ন খাত দেখা যায় সেগুলি কি বলে ফিয়র্ড।

উত্তরঃ শু 

২.১.৬) ঝুলন্ত উপত্যকার অগ্রভাগে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ শু 

২.১.৭) মরুভূমি অঞ্চলের সৃষ্ট হ্রদকে বলে প্লায়া।

উত্তরঃ শু 

২.১.৮) বালুকাময় মরুভূমিকে আগ বলে।

উত্তরঃ শু 

২.১.৯) যেসব বালিয়াড়ি বায়ু গতির সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠে তাকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলে।

উত্তরঃ শু 

২.২) উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করঃ- 

২.২.১) বহির্জাত ক্ষয়ের ফলে ভূমির ঢালের একটি পর্যায় তৈরি হয়া কে ________বলে।  

উত্তরঃ পর্যায়ন 

২.২.২) ________ নদী পৃথিবীর সর্বাধিক জল বহন করে।

উত্তরঃ আমাজন 

২.২.৩) পার্বত্য অঞ্চলে নদীর নিন্ম ক্ষয় প্রধানত_________ প্রক্রিয়ায় ঘটে।

উত্তরঃ অবঘর্ষ 

২.২.৪) হিমবাহ বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয় যে স্বল্প উঁচু আঁকাবাঁকা ________ গঠিত হয় তাকে বলে এসকার।

উত্তরঃ শৈলশিরা 

২.২.৫) ‘U’ আকৃতির  হিম বাহ উপত্যকাকে ______ বলে।

উত্তরঃ হিমদ্রোণি 

২.২.৬) ড্রামলিন দেখতে অনেকটা ________ মতো।

উত্তরঃ ওলটানো বাটির 

২.২.৭) মরুদ্যানের উপর অবস্থিত একটি শহরের নাম_______।

উত্তরঃ রিয়াধ

২.২.৮) লয়েস কথার অর্থ________।

উত্তরঃ স্থানচ্যুত বস্তু 

২.২.৯) বৃষ্টি হীন মরুপ্রায় অঞ্চলের নদী উপত্যকা খুব গভীর হলে তাকে ________বলে।

উত্তরঃ ক্যানিয়ন

২.৩) একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাওঃ-

২.৩.১) হাত পাখার মতো আকারবিশিষ্ট নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ কি নামে পরিচিত?

উত্তরঃ পলল ব্যজনী

২.৩.২) ভূমি ঢাল বরাবর আলগা মাটি ও শিলাখণ্ডের স্খলন কে কি বলে?

উত্তরঃ পুঞ্জিত ক্ষয়

২.৩.৩) যে নদীর গতিপথে তিনটি গতি স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে কি বলে?

উত্তরঃ আদর্শ নদী

২.৩.৪) অনেক গুলি ড্রামলিন একসাথে থাকলে ভূমিরূপ দেখতে কেমন হয়? 

উত্তরঃ ডিম ভর্তি ঝুড়ির মত

২.৩.৫) ভারতের কোথায় রসে মতানে ভূমিরূপের দেখা মেলে? 

উত্তরঃ কাশ্মীরে লিডার নদী উপত্যকা

২.৩.৬) কোন মহাদেশে সর্বাধিক হিম বাহ দেখা যায়? 

উত্তরঃ আন্টার্কটিকা মহাদেশে

২.৩.৭) পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি কোনটি?

উত্তরঃ সাহারা

২.৩.৮) পৃথিবীর সর্বাধিক লোয়েস সমভূমি কোথায় রয়েছে?

উত্তরঃ চীনের হোয়াংহো নদী উপত্যকা

২.৩.৯) আধখানা চাঁদের মতো বালিয়াড়িকে কি বলে?

উত্তরঃ বারখান 

২.৪.১) বাম দিকের সাথে ডানদিকের গুলি মিলিয়ে লেখঃ- 

        বাম দিক             ডান দিক 

২.৪.১)জলপ্রপাত        (ক) মোহনা

২.৪.২)বদ্বীপ              (খ)  ডিমের ঝুড়ি

২.৪.৩)পলিশঙ্কু        (গ) উচ্চ গতি

২.৪.৪)ড্রামলিন          (ঘ) পর্বতের পাদদেশ

উত্তরঃ ২.৪.১)জলপ্রপাত – (গ) উচ্চ গতি ২.৪.২)বদ্বীপ   – (ক) মোহনা ২.৪.৩)পলিশঙ্কু  –  (ঘ) পর্বতের পাদদেশ  ২.৪.৪)ড্রামলিন – (খ)  ডিমের ঝুড়ি 

২.৪.২) বাম দিকের সাথে ডানদিকের গুলি মিলিয়ে লেখঃ- 

বাম দিক                   ডান দিক

২.৪.১) ব্লো অউট              (ক) কুবের 

২.৪.২) ঝুলন্ত উপত্যকা     (খ)  গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

২.৪.৩) জলপ্রপাত             (গ) কাতারা

২.৪.৪) ক্যানিয়ন              (ঘ) গারসোপ্পা

উত্তরঃ ২.৪.১) ব্লো অউট –  (গ) কাতারা ২.৪.২) ঝুলন্ত উপত্যকা –  (ক) কুবের  ২.৪.৩) জলপ্রপাত – (ঘ) গারসোপ্পা ২.৪.৪) ক্যানিয়ন – (খ)  গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন 

২.৪.৩) বাম দিকের সঙ্গে ডান দিকে গুলি মিলিয়ে লেখঃ- 

       বাম দিক                           ডান দিক

২.৪.১) ভেন্টিফ্যান্ট        (ক) সৌদি আরবের মরুভূমি  

২.৪.২) ড্রেইকান্টার        (খ) কালাহারি মরুভূমি 

২.৪.৩) ইয়ারদাং            (গ) অ্যাটলাস পর্বতের মরুভূমি 

২.৪.৪) পেডিমেন্ট          (ঘ) সাহারা মরুভূমি 

উত্তরঃ ২.৪.১) ভেন্টিফ্যান্ট  –  (খ) কালাহারি মরুভূমি ২.৪.২) ড্রেইকান্টার –  (ঘ) সাহারা মরুভূমি ২.৪.৩) ইয়ারদাং  – (ক) সৌদি আরবের মরুভূমি

২.৪.৪) পেডিমেন্ট –  (গ) অ্যাটলাস পর্বতের মরুভূমি

বিভাগ ‘গ’

৩) নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ- 

৩.১) পলল ব্যজনী কি?

উত্তরঃ পলল শঙ্কুর ওপর দিয়ে নদী অসংখ্য শাখায় বিনুনীর আকারে প্রবাহিত হয় বলে পলল শঙ্কু বিস্তৃত হয়ে নীচু হয় ও অর্ধগোলাকার আকৃতি নেয়। এটিই হল পলল ব্যজনী।

৩.২) ‘V’ ও ‘I’ আকৃতির উপত্যকা বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ উচ্চগতিতে ভূমির উচ্চতা ও ঢাল খুব বেশি হওয়ায় নদী অতি প্রবলবেগে নিম্নক্ষয় করে। ফলে উপত্যকার আকৃতি হয় I এর মতো।

     পরবর্তীকালে নদী উপত্যকার পার্শ্বদেশ বৃষ্টির জল, আবহবিকার বা ধসের ফলে ক্ষয় পেতে থাকলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার আকৃতি সংকীর্ণ V এর মতো হয়।

৩.৩) অবকর্ষ প্রক্রিয়া কি?

উত্তরঃ অবঘর্ষ কথাটির অর্থ ‘ঘর্ষণ জনিত ক্ষয়’। সাধারণভাবে বলা যায় নদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পরিবাহিত শিলাখণ্ডের সঙ্গে ঘর্ষণে যখন ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাকে তখন বলে অবঘর্ষ।

৩.৪) সমপ্রায় ভূমি কাকে বলে?

উত্তরঃ বৃষ্টিবহুল আর্দ্র অঞ্চলে নদীর জলপ্রবাহ, বৃষ্টির জল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে প্রাচীন মালভূমি এবং উচ্চভূমি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয় পেতে পেতে একসময় উচুঁনীচু ঢেউ খেলানো ভূমি বা প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হলে তাদের সমপ্রায়ভূমি বলা হয়।

৩.৫) আদর্শ নদী কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে নদীর তিনটি প্রবাহই অর্থাৎ উচ্চপ্রবাহ, মধ্যপ্রবাহ ও নিম্নপ্রবাহ – স্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকে আদর্শ নদী বলে। যেমন – গঙ্গা নদী।

৩.৬) হিমরেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ মেরুপ্রবাহ ও উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের তীব্র শৈত্যে যে, সীমারেখার ওপরে অত্যাধিক শীতলতার জন্য সারাবছরই জল জমে বরফে পরিণত হয়ে থাকে এবং যে সীমারেখার নীচে উত্তাপে তুষার গলে যায়, সেই সীমারেখারকে হিমরেখা বলে।

৩.৭) হিমানী সম্প্রপাত বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে হিমবাহের তুষার ক্ষেত্র অনেক সময় পার্বত্য ঢালে ভারসাম্য হারিয়ে দ্রুতগতিতে নিচে নেমে যায়। একে বলে হিমানী সম্প্রপাত।

৩.৮) হিমশৈল কাকে বলে?

উত্তরঃ সমুদ্র বা হ্রাসে ভাসমান বরফের স্তুপকে বলে হিমশৈল। মহাদেশীয় হিমবাহ সমুদ্রের তরঙ্গের আঘাতে ভেঙে গিয়ে বা মহাদেশীয় হিমবাহের অংশ সমুদ্রে ভাসতে থাকলে হিমবাহের কিছু অংশ ভেঙে গিয়ে ক্রমশ ভেসে দূরে সরে যায় এবং হিমশৈলএর উৎপত্তি ঘটে।

৩.৯) ড্রামলিন কি?

উত্তরঃ বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড এবং নুড়ি, বালি, পলি ইত্যাদি হিমবাহ বাহিত কোনো স্থানে সঞ্চিত হয়ে উলটানো নৌকা বা উলটানো চামচের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে। একে ড্রামলিন বলে।

৩.১০) ডিমের ঝুড়ি ভূমিরূপ কাকে বলে?

উত্তরঃ একসঙ্গে অসংখ্য ড্রামলিন একটি স্থানে গড়ে উঠলে তাকে ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো দেখায়। এই কারণে ডিমের ঝুড়ি ভূমিরূপ বা Basket of egg topography বলে।

৩.১১) ধ্রিয়ান কাকে বলে?

উত্তরঃ মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতি পরিবর্তনের ফলে বালি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে যায়। এই ধরনের বালিয়াড়িকে বলে অস্থায়ী বা চলমান বালিয়াড়ি। রাজস্থানের মরু অঞ্চলের এই ধরনের বালিয়াড়িকে ধ্রিয়ান বলে।

৩.১২) বার্খান কি?

উত্তরঃ বায়ুর প্রবাহপথের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা অর্ধচন্দ্রকার বালিয়াড়িকে বার্খান বলে।

৩.১৩) ওয়াদি কাকে বলে?

উত্তরঃ মরুভূমিতে বৃষ্টির জলধারার ক্ষয়কাজের ফলে যে সমস্ত ছোটো ছোটো অনিত্যপ্রবাহ ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির নদী বা শুষ্ক নদীখাতের সৃষ্টি হয়, তাদের ওয়াদি বলে।

৩.১৪) বাজাদা  কি?

উত্তরঃ প্লায়া ও পার্শ্ববর্তী অংশে স্বল্পমেয়াদি প্রবল বর্ষায় উৎপন্ন পলি জমে সৃষ্ট সমভূমি হল বাজাদা বা বাহাদা।

৩.১৫) বালিয়াড়ি কাকে বলে?

উত্তরঃ বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বালুরাশি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হওয়ার পর দীর্ঘ ও উচ্চ বালির স্তুপ গঠন করে। একেই বালিয়াড়ি বলা হয়।

বিভাগ ‘ঘ’

৪) সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাওঃ-  

প্রশ্নঃ কি কিভাবে জলপ্রপাত গঠিত হতে পারে?

উত্তরঃ পার্বত্য অংশে উপত্যকার ঢাল অসম হলে নদীর জল উপর থেকে নিচের দিকে প্রবল বেগে পড়ে। এটি হলো জলপ্রপাত। জলপ্রপাত বিভিন্নভাবে সৃষ্টি হয় – 

(১) নদীর গতিপথে কঠিন ও নরম শিলা অনুভূমিক, উল্লম্ব বা তীর্যকভাবে অবস্থান করলে কঠিন অপেক্ষা নরম শিলা বেশি ক্ষয় হয়ে জলপ্রপাত গঠিত হয়। অধিকাংশ জলপ্রপাত এই ভাবেই সৃষ্টি। 

(২) নদীর গতিপথে আনাড়ি চ্যুতি ঘটলে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়। যেমন-জাম্বেসি নদীর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, ভারতের নর্মদা নদীর কপিল ধারা জলপ্রপাত। 

(৩) হিমবাহ সৃষ্ট ঝুলন্ত উপত্যকায় জলপ্রপাত গঠিত হয়। যেমন-লাদাখের পার্কচাক জলপ্রপাত।

প্রশ্নঃ চিত্রসহ অশ্বক্ষুরাকৃতি হৃদের উৎপত্তি লেখ।

উত্তরঃ মধ্যগতি ও নিম্নগতিতে নদীর ঢাল কমে যাওয়াই নদীর শক্তি ও অনেকাংশে হ্রাস পায়। তাই এই পর্যায়ে নদীর সামনে কোন কঠিন বাধা এসে পৌঁছালে নদী এই বাধা এড়িয়ে কিছুটা এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। নদীর বাঁকের অবতল অংশে জলপ্রবাহ হয় এবং উতল অংশের পলি সঞ্চয়ে নদীর বাঁধ ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং একসময় বাকের মধ্যবর্তী স্থান সংকীর্ণ হয়ে যুক্ত হয়। এই অবস্থায় নদীটি সোজা হয়ে চলতে থাকে এবং পরিত্যক্ত বিচ্ছিন্ন বাঁকটি হৃদের আকারে অবস্থান করে। এই হৃদ দেখতে ঘোড়ার খুড়ের মত বলেই একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলা হয়। 

প্রশ্নঃ প্লাবন ভূমির উৎপত্তি কিভাবে ঘটে উদাহরণসহ লেখ।

উত্তরঃ মধ্য ও নিম্ন গতিতে নদীর গর্ভে পলি ভরাট হয়ে নদীগর্ভ অগভীর হয়। ফলে নদীতে জলের পরিমাণ বাড়লে নদী দুই কুল ছাপিয়ে নদীর অববাহিকায় বন্যার সৃষ্টি করে।

     বন্যার প্রভাবে নদীর দুইপাশে অববাহিকা বরাবর পলি, বালি, নুড়ি সঞ্চিত হয়। বারংবার বন্যার প্রভাবে আবহবাহিকায় পলি, বালি, নূরী ক্রমাগত সঞ্চিত হয়ে তা সমভূমির রূপ নেয়। বন্যার প্রভাবে সৃষ্ট এই সমভূমি প্লাবন সমভূমি নামে পরিচিত।

      ভারতের অসমের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার সমভূমি, মিশরে নীলনদ অববাহিকার সমভূমি প্লাবন সমভূমির উদাহরণ। 

উদাহরণঃ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, নীল নদ, সিন্ধু নদের অববাহিকায় দেখা যায়। 

প্রশ্নঃ নদীর মোহনায় বদ্বীপ কেন গড়ে ওঠে ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ বদ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশ: স্বপ্ননদীর মোহনায় ব দ্বীপ গঠিত হয় না। বদ্বীপ গঠনের জন্য কতকগুলি অনুকূল পরিবেশের প্রয়োজন হয় – 

পলির পরিমানঃ বৃহৎ নদীর অববাহিকা, সুদীর্ঘ নদীর গতিপথ, নদীর অববাহিকায় নরম শিলার উপস্থিতি, অসংখ্য উপনদীর অবস্থান ইত্যাদি সুবিধা গুলি থাকলে নদীতে পলির পরিমাণ বাড়বে। 

মোহনায় মৃদু ঢালঃ মোহনায় নদী মৃদু ঢালে সমুদ্রের সঙ্গে মিশলে তবেই পলি সঞ্চয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। 

অগভীর সমুদ্রঃ সমুদ্র অগভীর হলে তাড়াতাড়ি পলি ভরাট হয়ে বদ্বীপ গঠিত হবে।

প্রশ্নঃ হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ‘U’ এর মত হয় কেন?

উত্তরঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উপত্যকা বরাবর উপস্থিত হিমাবাহক সাধারণত উৎপাটন এবং অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয় কাজ করে। উৎপাটন প্রক্রিয়ায় উপত্যকার গাত্র দেশের শিলাস্তর আলগা হয়ে অপসারিত হয় এবং অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় গাত্রদেশ ও নিম্নাংশ মসৃণ হয়। এই দুই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপত্যকার পাশ্চাত্য ক্ষয় ও নিম্ন ক্ষয় সমানহারে চলতে থাকে। তাই হিমবাহ উপত্যকা ‘U’ আকৃতি বিশিষ্ট হয়। 

প্রশ্নঃ নদীর উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি পার্থক্য কিরূপ হয় এবং কেন তা হয় ব্যাখ্যা কর?

উত্তরঃ নদীর উপত্যকার আকৃতি হয় ‘I’ ও ‘V’ আকৃতি বিশিষ্ট। উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ঢাল বেশি হয় বলে নদী অতি প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। এই অংশে নদীবাহিত পলি, বালি, নূরীর পরিমান বেশি থাকায় নদী অতি দ্রুত হারে নিম্ন ক্ষয় করে। ফলে ‘I’আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে আবহবিকার, জলপ্রবাহ, ধস প্রভৃতি কারণবশত পার্শ্ব হয় বেশি হলে ‘I’ আকৃতির উপত্যকা ‘V’আকৃতিতে রূপান্তরিত হয়।

     হিমবাহ উপত্যকা ‘U’ আকৃতি বিশিষ্ট হয়। হিমবাহ যে উপত্যকার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, সেখানে হিমবাহ অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়ায় পার্শ্ব ক্ষয় ও নিম্ন ক্ষয় সমানভাবে ঘটায়। তাই ‘U’আকৃতি বিশিষ্ট এই হিমবাহ উপত্যকার সৃষ্টি হয়। 

প্রশ্নঃ বিভিন্ন ধরনের গ্রাবরেখার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও।

উত্তরঃ হিমবাহ ক্ষয়জাত পদার্থ গুলিকে হিমবাহের সাথে বাহিত হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অংশের সঞ্চিত হয়। এরূপ সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বলে। অবস্থানের ভিত্তিতে গ্রাব রেখা বিভিন্ন ধরনের – 

পার্শ্ব গ্রাবরেখাঃ হিমবাহ পদার্থকে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পাশে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গেরাপ রেখা হল পার্শ্ব গ্রাবরেখা।

মধ্য গ্রাবরেখাঃ দুটি হিমবাহ পাশাপাশি প্রবাহিত হলে মিলন অঞ্চলে সঞ্চিত গ্রাব রেখা হল মধ্য গ্রাব রেখা।

প্রান্তগ্রাবরেখাঃ হিমবাহ যেখানে এসে শেষ হয় অর্থাৎ গলে যায় সেখানে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাম রেখা হল প্রান্ত গ্রাব রেখা। 

ভূমি গ্রাবরেখাঃ হিমবাহের তলদেশে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাব রেখা হল ভূমি গ্রাবরেখা।

অবিন্যস্ত গ্রাবরেখাঃ হিমবাহের অগ্রভাগে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত গ্রাবরেখা হল অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা।

বলয়ধর্মী গ্রাবরেখাঃ বলয়াকারে সঞ্চিত গ্রাবরেখা হল বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা।

স্তরায়িত গ্রাবরেখাঃ সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত গ্রাম রেখাকে স্তরায়িত গ্রাবরেখা বলে।

প্রশ্নঃ নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার পার্থক্যগুলি হল –

(১) উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে নদী বা জলধারা কার্য করে সেখানে নদী উপত্যকা গঠিত হয়, আর উচ্চ পর্বতের চিরতুষারাবৃত অঞ্চলে যেখানে হিমবাহ ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় সেখানে হিমবাহ উপত্যকা গঠিত হয়।

(২) নদী উপত্যকা প্রধানত প্রধানত I বা V আকৃতিবিশিষ্ট হয়। সমভূমিতে এটি বিস্তৃত ও চওড়া U আকৃতিবিশিষ্ট হতে পারে, কিন্তু হিমবাহ উপত্যকা সর্বদা U আকৃতিবিশিষ্ট হয়।

(৩) নদী উপত্যকার মধ্যে অসংখ্য ধাপের উপস্থিতি প্রমাণ করে ভূমির পুনর্যৌবন লাভ, তবে হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে ধাপের উপস্থিতি প্রমাণ করে হিমযুগের আগমন বা অবসান।

প্রশ্নঃ মরুভূমিতে বায়ু প্রধান শক্তিরূপে কাজ করে কেন?

উত্তরঃ মরুভূমিতে বায়ু প্রধান শক্তিরূপে কাজ করে –

(১) যান্ত্রিক আবহবিকারে শিলা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে অবশেষে বালিকণায় পরিণত হয়। বালি বায়ু ক্ষয়কার্যের প্রধান উপাদান।

(২) বৃষ্টি এখানে হয় না। বালিস্তর সর্বদা আলগা ও শিথিল থাকে, যা বায়ু সহজেই উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।

(৩) বৃষ্টির অভাবে গাছপালা নেই বলেই বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হতে পারে।

প্রশ্নঃ লয়েস ভূমি কীভাবে গঠিত হয়, তা উদাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ মরুভূমি ও মরুপ্রায় অঞ্চলে হলুদ ও ধূসর বর্ণের কোয়ার্টজ, ফেল্ডস্‌পার, ডলোমাইট ও অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ শিথিল সূক্ষ্ম পলিকণার সঞ্চয়কে লোয়েস বলে। বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে এই সূক্ষ্ম পলিকণা বহুদূরে পরিবাহিত ও সঞ্চিত হয়ে যে ভূমি গঠন করে তাকে, লোয়েস ভূমি বলে।

      মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে হাজার হাজার বছর ধরে লোয়েস মৃত্তিকা বহন করে চিনের হোয়াংহো অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সমভূমি গঠন করেছে।

প্রশ্নঃ মরুভূমি সম্প্রসারণে রোধ কী কী উপায়ে করা যায়?

উত্তরঃ মরুভূমি সম্প্রসারণ রোধ করার উপায়গুলি হল –

(১) মরুভূমিতে যে সামান্য বৃষ্টি হয় তা ধরে রাখার জন্য গর্ত, বাঁধ তৈরি দরকার।

(২) জমির লবণতা যাতে কমে তার জন্য বিভিন্ন ফসলের চাষ দরকার। শুঁটি জাতীয় উদ্ভিদ চাষে জমির উর্বরতা বাড়ে।

(৩) বালিয়াড়ি সম্প্রসারণ রোধের জন্য বেড়া দেওয়ার মতো করে গাছ লাগানো দরকার।

প্রশ্নঃ পেডিমেন্ট ও ইনসেলবার্জের পার্থক্য কী?

উত্তরঃ পেডিমেন্ট ও ইনসেলবার্জের পার্থক্যগুলি হল –

(১) পর্বত পাদদেশের ঢালু সমতল উচ্চভূমিকে বলে পেডিমেন্ট, আর পেডিমেন্ট বা পাদদেশীয় সমভূমির মাঝে অবস্থিত অনুচ্চ টিলাগুলিকে বলে ইনসেলবার্জ।

(২) বায়ু ও সাময়িক জলধারার মিলিত কার্যের ফলে পেডিমেন্ট গঠিত হয়, কিন্তু প্রধানত বায়ুর কার্যের ফলেই ইনসেলবার্জ গঠিত হয়।

(৩) পেডিমেন্ট হল প্রস্তরময় এক সমতলভূমি, তবে ইনসেলবার্জ সামান্য গোলাকৃতি শিখরদেশযুক্ত এবং খাড়া পার্শ্বদেশ বিশিষ্ট হয়।

প্রশ্নঃ ওয়াদি ও প্লায়ার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ ওয়াদি ও প্লায়ার মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হল –

(১) মরু অঞ্চলে গঠিত শুষ্ক নদীখাতকে বলে ওয়াদি, আর মরু অঞ্চল অবনত স্থানে গঠিত জলময় হ্রদকে বলে প্লায়া।

(২) ওয়াদি শুষ্ক নদীখাত, কিন্তু প্লায়া লবণাক্ত হ্রদ বিশেষ।

বিভাগ ‘ঙ’

৫) ৫.১) যেকোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ –

৫.১.১) নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির বর্ণনা কর।

উত্তরঃ উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কার্যের গঠিত তিনটি ভূমিরূপগুলি হল –

(১) I আকৃতির উপত্যকা বা গিরিখাতঃ উচ্চগতিতে ভূমির উচ্চতা ও ঢাল বেশি এবং নদীর মধ্যে পাথর ও বোল্ডারের পরিমাণ খুব বেশি। ফলে নদী প্রবলভাবে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে নিম্নক্ষয় করতে থাকে। কিন্তু পার্শ্বক্ষয় কম। প্রবল নিম্নক্ষয়ের কারণেই নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর I আকৃতির বিশিষ্ট হয়। এটিই হল গিরিখাত। গিরিখাত নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলেই বেশি দেখা যায়। পেরুর কলকা নদীর এল-ক্যানন-দ্যা- কলকা পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত। 

(২) V আকৃতির উপত্যকাঃ উপত্যকা বিবর্তনের পরবর্তী পর্যায়ে সংকীর্ণ ও গভীর I আকৃতির উপত্যকার দুই পাশের অংশ আবহবিকার, জলপ্রবাহ ও ধসের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্রমশ V আকৃতি বিশিষ্ট হয়ে পড়ে।

(৩) ক্যানিয়নঃ শুষ্ক অঞ্চলে গঠিত গিরিখাত হল ক্যানিয়ন। উচ্চ শুষ্ক অঞ্চলে প্রবাহিত চিরপ্রবাহী নদী নিম্নক্ষয়ের মাধ্যমে গভীরতা বাড়ায়, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে পার্শ্বক্ষয় তেমন হয় না। ফলে উপত্যকাটি হয় গভীর ও সংকীর্ণ। এই ধরনের গভীর সংকীর্ণ ও শুষ্ক উপত্যকা হল ক্যানিয়ন। কলোরাডোর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবী বিখ্যাত ক্যানিয়ন।

(৪) জলপ্রপাতঃ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ওপর-নীচে আড়াআড়িভাবে বা তির্যকভাবে থাকলে কোমল শিলাস্তর কঠিন শিলাস্তরের তুলনায় দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নীচু হয়ে যায় এবং নদীর প্রবাহপথে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় নদীস্রোত তখন খাড়া ঢাল থেকে প্রবল বেগে নীচে পড়ে। একেই জলপ্রপাত বলে।

(৫) মন্থকূপঃ নদীর গতিপথে কোমল শিলা অবস্থান করলে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে শিলাখন্ডের আঘাতে নদীগর্ভে গর্তের সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে ওই গর্তের মধ্যে জলচক্রের আকারে প্রস্তরখন্ডসহ ঘুরতে ঘুরতে ক্ষয় করে গর্তের আরও বড়ো ও গভীর করে। একে মন্থকূপ বা পটহোল বলে।

৫.১.৩) উদাহরণ ও চিত্রসহ বায়ুর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গুলির বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ উত্তরঃ কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বায়ুবাহিত বালি বাধা পেয়ে জমা হয়। বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

(১) বালিয়াড়িঃ কোনো বিস্তীর্ণ স্থানজুড়ে থাকা উঁচু ও দীর্ঘ বালির স্তুপকে বলে বালিয়াড়ি। মরুভূমি ও সমুদ্রোপকূলে বালিয়াড়ি দেখা যায়।

     বালিয়াড়িকে প্রধানত দুই রকম ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

(ক) তির্যক বালিয়াড়িঃ মরুভূমি অঞ্চলে যেখানে সারাবছর ধরে একই দিকে বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে সেখানে বায়ুর গতিতে সঙ্গে তির্যক বা আড়াআড়ি ভাবে যেসব বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে তাকে বলে তির্যক বালিয়াড়ি। তির্যক বালিয়াড়িগুলির মধ্যে বার্খান পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত।

বৈশিষ্ট্যঃ তির্যক বালিয়াড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল – 

(১) এর দুটি প্রান্তে দুটি শিরার মতো শিং দেখা যায়।

(২) এরা বায়ুর গতির দিকে ক্রমশ ঢালু এবং বিপরীত দিকে খাড়া হয়ে থাকে।

উদাঃ সাহারা মরুভূমিতে অনেক তির্যক বালিয়াড়ি দেখা যায়।

(খ) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়িঃ স্থায়ী বালিয়াড়ির মধ্যভাগ বায়ুতাড়িত হয়ে ভেঙে গিয়ে বায়ুর গতিপ্রবাহের সঙ্গে সমান্তরালে অনুদীর্ঘ বালিয়াড়ি গঠন করে। বায়ুর গতির সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলা হয়। অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির একটি বিশেষ রূপ হল সিফ বালিয়াড়ি বা অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি।

বৈশিষ্ট্যঃ অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

(১) এই বালিয়াড়ির অনুবাত প্রান্তটি তলোয়ারের মতো সরু এবং প্রতিবাত প্রান্তটি চওড়া ও গোল হয়।

(২) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি দৈর্ঘ্যে খুব বড়ো হয় এবং প্রস্থে ছোটো হয়।

উদাঃ দক্ষিণ ইরানের মরুভূমিতে সিফ বালিয়াড়ি দেখা যায়।

৫.১.৪) বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ এর বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ শুষ্ক গাছপালাহীন মরু বা মরুপ্রায় প্রান্তের ও উপকূলের বালিয়াড়ি অঞ্চলের সর্বাধিক ক্ষয়কারী প্রাকৃতিক শক্তি বায়ুপ্রবাহ। বায়ুর ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

(১) অপসারণ গর্তঃ মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের তীব্র আঘাতে স্থানে স্থানে হাজার হাজার টন বালি অপসারণ প্রক্রিয়ার ফলে স্থানান্তরে পরিবাহিত হয়। ফলে বিশাল অঞ্চলজুড়ে ছোটো-বড়ো গর্ত সৃষ্টি হয়। একে বলে অপসারণ সৃষ্ট গর্ত। যেমন – মিশরে কাতার।

(২) গৌরঃ গৌর হল বায়ুর ক্ষয়কাজের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপের এক অন্যতম নিদর্শন। বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলায় গড়া কোনো বৃহৎ শিলাখন্ড অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে নীচের কোমল অংশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত বায়ুর অবঘর্ষজনিত ক্ষয়কাজের তীব্রতা বেশি হওয়ার জন্য শীলাস্তুপটির নীচের অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সরু স্তম্ভের মতো হয় এবং উপরের কম ক্ষয়প্রাপ্ত কঠিন অংশটি বিরাট আয়তন নিয়ে ব্যাঙের ছাতা বা স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। স্তম্ভাকৃতি এইরকম শিলাখন্ডকে গৌর বলে। যেমন – ইরানের মরুভূমিতে।

(৩) ইয়ারদাংঃ মরুভূমি অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর পাশাপাশ লম্ভভাবে অবস্থান করলে দীর্ঘকাল ধরে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ু কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় করে গহ্বর বা সুড়ঙ্গের মতো ভূমিরূপ গঠন করে। কঠিন শিলাস্তরগুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূর্তি গঠন করে। এই বিশেষ ভূমিরূপকে বলে ইয়ারদাং। যেমন – চিলির আটাকামা মরুভূমি।

(৪) জিউগেনঃ মরুভূমি অঞ্চলে উপরের স্তরে কঠিন শিলা ও নীচে কোমল শিলাগঠিত অংশে পর্যায়ক্রমে অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয়কাজে কঠিন শিলাগঠিত অংশে অতি অল্প ক্ষয় পেয়ে চ্যাপটা প্রায় সমতল চূড়াবিশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোমল শিলাস্তর বেশি ক্ষয় পেয়ে ফাটল বরাবর লম্বা খাত বা গহ্বর সৃষ্টি হয়। এই বিশেষ ভূমিরূপের নাম জিউগেন। উত্তর আমেরিকার সোনেরান মরুভূমিতে দেখা যায়।

(৫) ইনসেলবার্জঃ জার্মান শব্দ ইনসেলবার্জ-এর অর্থ দ্বীপময় পাহাড়। প্রায় সমতল মরুভূমির মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে জেগে থাকা সমান উচ্চবিশিষ্ট কঠিন শিলা গঠিত অবশিষ্ট মসৃণ টিলাকে ইনসেলবার্জ বলে।

==============================================

©kamaleshforeducation.in(2023)

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!