ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
MCQ | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)
- স্থলপথ পারবহণের সবশ্রেষ্ঠ মাধ্যম কী ?
(A) রেলপথ
(B) মেট্রো
(C) সড়কপথ
(D) ট্রাম
Ans: (C) সড়কপথ
- উত্তর ভারতীয় রেলের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
(A) দিল্লি
(B) কলকাতা
(C) মুম্বাই
(D) বেঙ্গালুরু
Ans: A) দিল্লি
- ভারতে মোট রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য কত ?
(A) ১.২০ লক্ষ কিমি
(B) ১.১৫ লক্ষ কিমি
(C) ১.১০ লক্ষ কিমি
(D) ১.০৫ লক্ষ কিমি
Ans: (B) ১.১৫ লক্ষ কিমি
- কোন্ পরিবহণ ব্যবস্থাকে অর্থনীতির ধর্মনিস্বরূপ বলা হয়—
(A) রেল
(B) সড়ক
(C) জলপথ
(D) আকাশপথ
Ans: (A) রেল
- দৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে পৃথিবীতে ভারতীয় রেলপথের স্থান –
(A) প্রথম
(B) তৃতীয়
(C) দ্বিতীয়
(D) চতুর্থ
- ভারতের পূর্ব রেলপথের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
(A) ভুবনেশ্বর
(B) কলকাতা
(C) গুয়াহাটি
(D) আসানসোল
Ans: (B) কলকাতা
- সোনালি চতুর্ভুজের মাধ্যমে ক – টি মেট্রো শহরকে যুক্ত করা –
(A) ৪
(B) ৬
(C) ৭
(D) ৫
Ans: (A) ৪
- রাজ্য সড়কপথের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে –
(A) Central Govt
(B) State Govt
(C) Local Govt
(D) Municipalities
Ans: (B) State Govt
- পশ্চিমবঙ্গে মোট ক – টি রাজ্য সড়কপথ রয়েছে ?
(A) ১৭
(B) ২১
(C) ১০
(D) ১৯
Ans: (D) ১৯
- ভারতের বৃহত্তম বন্দর কোনটি ?
(A) মুম্বাই বন্দর
(B) চেন্নাই বন্দর
(C) হলদিয়া বন্দর
(D) কান্ডালা বন্দর
Ans: (A) মুম্বাই বন্দর
[ আরোও দেখুন: Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click here ]
- ভারতের একটি শুল্কমুক্ত বন্দর হল –
(A) পারাদ্বীপ বন্দর
(B) কোচিন বন্দর
(C) কান্ডালা বন্দর
(D) হলদিয়া বন্দর
Ans: (C) কান্ডালা বন্দর
- ভারতের একটি পুনঃরপ্তানি বন্দরের নাম লেখো ।
(A) কান্ডালা বন্দর
(B) মার্মাগাঁও বন্দর
(C) কলকাতা বন্দর
(D) হলদিয়া বন্দর
Ans: (C) কলকাতা বন্দর
- খনি অঞ্চল থেকে কীসের মাধ্যমে দ্রব্যাদি পরিবহণ করা হয় ?
(A) মেট্রো রেল
(B) রোপওয়ে
(C) পাইপলাইন
(D) Water Way
Ans: (B) রোপওয়ে
- বর্তমানে ভারতের ক – টি শহরে মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু আছে ?
(A) ৫
(B) ৯
(C) ৮
(D) ১৫
Ans: (B) ৯
- ভারতের প্রাচীনতম মেট্রোরেল কোথায় অবস্থিত –
(A) কলকাতা
(B) দিল্লি
(C) মুম্বাই
(D) চেন্নাই
Ans: (A) কলকাতা
- কোন শহরে মেট্রো ‘ Namma Metro ‘ নামে পরিচিত ?
(A) চেন্নাই
(B) গুরগাঁও
(C) বেঙ্গালুরু
(D) জয়পুর
Ans: (C) বেঙ্গালুরু
- ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে বিমান চলাচল আরম্ভ হয় ?
(A) ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতে সর্বপ্রথম কম্পিউটার কে দিল্লি পরিষেবা চালু হয় কোন শহরে ?
(A) মুম্বাই
(B) কলকাতা
(C) বেঙ্গালুরু
(D) দিল্লি
Ans: (B) কলকাতা
- কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম Email পরিষেবা চালু হয় ?
(A) ১৯৭০
(B) ১৯৭২
(C) ১৯৭৪
(D) ১৯৭৬
Ans: (A) ১৯৭০
- ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে ইনটারনেট – ব্যবস্থা চালু হয় ?
(A) ১৯৭০
(B) ১৯৭২
(C) ১৯৭৪
(D) ১৯৭৬
Ans: (B) ১৯৭২
- ভারতের জীবনরেখা ‘ কোন পরিবহণ ব্যবস্থাকে বলা হয়—
(A) সড়ক
(B) রেল
(C) আকাশপথ
(D) জলপথ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharater Parivahan o Jogajog Bebostha Question and Answer :
- সোনালি চতুর্ভুজ কোন সংস্থার তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় ?
Ans: National Highways Authority of India ( NHAI ) .
- সোনালি চতুর্ভুজের মোট দৈর্ঘ্য কত ?
Ans: প্রায় ৫৮৪৬ কিমি ( ৩৬৩৩ মাইল ) ।
- ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কপথ কোনটি ?
Ans: NH7 যেটি বারাণসী থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত , এর দৈর্ঘ্য ২৩৬৯ কিমি ( বর্তমানে NH44 শ্রীনগর থেকে কন্যাকুমারী ) ।
- একমাত্র কোন্ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনো জাতীয় সড়কপথ নেই ?
Ans: লাক্ষা ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ ।
- ভারতের সবচেয়ে ছোটো ( দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ) জাতীয় সড়কপথ কোন্টি ?
Ans: NH47A , দৈর্ঘ্য ৬ কিমি । এটি কুন্ডানুর থেকে উইলিংডন দ্বীপ পর্যন্ত প্রসারিত ( কেরল ) ।
- ভারতের মোট সড়কপথের কত শতাংশ জাতীয় সড়কপথ ?
Ans: ১৭ % ।
- ভারতের একটি অন্তদেশীয় বন্দরের নাম লেখো ।
Ans: কলকাতা বন্দর ( হুগলি নদী ) ।
- ভারতের একটি বহিঃবন্দরের নাম লেখো ।
Ans: হলদিয়া বন্দর হল কলকাতা বন্দরের বহিঃবন্দর ।
- ভারতের মধ্যে সর্বোত্তম বন্দর কোনটি ?
Ans: মুম্বাই ।
- ভারতের মধ্যে গভীরতম পোতাশ্রয় যুক্ত বন্দর কোনটি ?
Ans: ওড়িশার পারাদ্বীপ ।
- ভারতের একটি শুল্কমুক্ত বন্দরের নাম লেখো ।
Ans: গুজরাটের কান্ডালা বন্দর ।
- ভারতে প্রাচীনতম বন্দর কোনটি ?
Ans: চেন্নাই বন্দর ( তামিলনাড়ু ) ।
- ভারতের প্রধান বন্দরের সংখ্যা ক – টি ?
Ans: মোট ১৩ টি প্রধান বন্দর ।
- গোয়াতে অবস্থিত একটি স্বাভাবিক পোতাশ্রয়যুক্ত বন্দরের নাম লেখো ।
Ans: মার্মাগাঁও বন্দর ।
- কোঙ্কন রেলওয়ের সদর দপ্তর কোন শহরে অবস্থিত ?
Ans: মুম্বাই ।
- ভারতের দীর্ঘতম রেলপথ অঞ্চল কোনটি ?
Ans: উত্তর – রেলপথ ( Northern Railway ) ।
- ভারতের আধুনিক প্রযুক্তি ( Hi Tech ) বন্দর কোনটি ?
Ans: নভসেবা / জওহরলাল নেহরু বন্দর ( মহারাষ্ট্র ) ।
- ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম কোথায় অবস্থিত ?
Ans: খড়্গপুর ( ৮৩৩ মি . / ২৭৩৩ ফুট ) ।
- ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যে রেলপথ নেই ?
Ans: অরুণাচল দশ , মিজোরাম , মণিপুর , সিকিম , মেঘালয় ।
- কোন প্রকার পরিবহণের ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ সবচেয়ে বেশি ?
Ans: আকাশপথে পরিবহণ ।
- কোন প্রকার পরিবহণের ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ সবচেয়ে কম ?
Ans: জলপথ পরিবহণ ।
- সোনালি চতুর্ভুজে কোন্ চারটি মেগাসিটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ?
Ans: দিল্লি , মুম্বাই , কলকাতা , চেন্নাই ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharater Parivahan o Jogajog Bebostha Question and Answer :
- পরিবহণ ব্যবস্থা ( Transport System ) কাকে বলে ?
Ans: যে ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো যায় তাকেই পরিবহণ ব্যবস্থা বলে ।
- আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানত ক – টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Ans: আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানত ৫ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা— ( ১ ) স্থলপথ , ( ২ ) জলপথ , ( ৩ ) আকাশপথ , ( ৪ ) নলপথ বা পাইপলাইন এবং ( ৫ ) রজ্জুপথ বা রোপওয়ে ।
- স্থলপথ পরিবহণ ( Land transport ) ব্যবস্থা কী কী ?
Ans: স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা হল প্রধানত ২ প্রকার । যথা —১ . সড়কপথ এবং ২ , রেলপথ । তবে মেট্রোরেলকেও সড়কপথের মধ্যেই ধরা হয় ।
- সড়কপথের মাধ্যমের নাম লেখো ।
Ans: বাস , মোটরগাড়ি , অটোরিকশা , সাইকেল রিকশা , টোটো , মোটর বাইক , ট্রাক , সাইকেল ইত্যাদি হল সড়কপথে পরিবহণের কয়েকটি মাধ্যম ।
- ভারতে জলপথ পরিবহণ ( Waterways ) ক – ভাগে কয়েকটি বিভক্ত ?
Ans: ভারতে জলপথ পরিবহণ প্রধানত দু – ভাগে বিভক্ত । যথা — অভ্যন্তরীণ জলপথ ও আন্তর্জাতিক জলপথ বা সমুদ্রপথ ।
- অভ্যন্তরীণ জলপথ ( Inland Waterway ) কাকে বলে ?
Ans: দেশের মধ্যস্থিত নদী , খাল ও হ্রদের ভিতর দিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থান যাতায়াতের ব্যবস্থাকে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবস্থা বলা হয় ।
- সমুদ্রপথ বা আন্তর্জাতিক জলপথ ( International Waterway ) কাকে বলে ?
Ans: উন্মুক্ত সাগর , উপসাগর – এর ওপর দিয়ে যে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পণ্য দ্রব্যাদির পরিবহণ করা হয় , তাকে সমুদ্রপথ বলে ।
- জলপথকে ‘ উন্নয়নের জীবনরেখা ‘ — বলা হয় কেন ?
Ans: জলপথ পরিবহণ পদ্ধতি সহজসরল ও কম বায়বহুল , একসাথে প্রচুর পণ্যসামগ্রী বহন করা যায় এবং শিল্প বাণিজ্যের প্রসার ঘটে বলে জলপথ পরিবহণকে উন্নয়নের জীবনরেখা ‘ বলা হয় ।
- ভারতে মোট বন্দরের সংখ্যা ক – টি ?
Ans: ভারতে মোট ১৩ টি বৃহদায়তন প্রধান বন্দর এবং ১৮৭ টি মাঝারি ও ক্ষুদ্র বন্দর রয়েছে ।
- আকাশপথকে ( Airways ) প্রধানত ক – ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Ans: আকাশপথকে প্রধানত দু – ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — জাতীয় বিমানপথ ( National Airways ) এবং আন্তর্জাতিক বিমানপথ ( International Airways ) ।
- ভারতের যে – কোনো দুটি জাতীয় বিমানবন্দরের নাম লেখো ।
Ans: গুজরাটের কান্ডালা বিমানবন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দর ।
- রজ্জুপথ পরিবহণ ( Ropeways ) ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ?
Ans: রজ্জুপথ বা Ropeway হল এক ধরনের পরিবহণের মাধ্যম যার সাহায্য দ্রব্যাদি বা মানুষজন খনিসমৃদ্ধ বা পাহাড়ি অঞ্চলে , মোটরচালিত তারের মাধ্যমে যাতায়াত করে ।
- ভারতের যে কোনো দুটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম লেখো ।
Ans: দিল্লিতে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ( পালাম ) এবং কলকাতায় অবস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ( দমদম ) ।
- ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত যে কোনো দুটি বন্দরের নাম লেখো ।
Ans: অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম বন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর ।
- ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত যে – কোনো দুটি বন্দরের নাম লেখো ।
Ans: মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বন্দর এবং গুজরাটের কান্ডালা বন্দর ।
- পাইপলাইন পরিবহণ ( Pipelines ) কাকে বলে ?
Ans: যে পরিবহণ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রধানত দ্রব্যসামগ্রী পরিবহণ করা হয় , যথা — ক্রুড ওয়েল , রিফাইন্ড অয়েল , প্রাকৃতিক গ্যাস , পানীয় জল ইত্যাদি । তাকেই বলে পাইপলাইন পরিবহণ ব্যবস্থা ।
- ভারতের দুটি পাইপলাইন পরিবহণ ব্যবস্থার উদাহরণ দাও ।
Ans: ( i ) নাহারকাটিয়া – নুনমাটি – বারাউনি পাইপলাইন , ( ii ) হাজিরা – বিজাপুর – জগদীশপুর পাইপলাইন ( প্রা . গ্যাস ) ।
- মেট্রোরেল কাকে বলে ?
Ans: মেট্রো শহরগুলির অভ্যন্তরে ভূগর্ভ , সুড়ঙ্গ ও ভূপৃষ্ঠ দিয়ে যাত্রী পরিবহণের জন্য রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হল র মেট্রোরেল ।
- ভারতের কোন্ কোন্ শহরে পাতালরেল পরিষেবা প্রচলিত আছে ?
Ans: ভারতের যেসকল শহরে পাতালরেল পরিষেবা প্রচলিত আছে সেগুলি হল — কলকাতা , চেন্নাই , দিল্লি , ব্যাঙ্গালোর , গুরগাঁও , মুম্বাই , জয়পুর , কোচি , লখনউ ।
- পাইপলাইনের মাধ্যমে কোন্ কোন্ দ্রব্য পরিবহণ হয় ?
Ans: পরিশোধিত তেল বা ক্রুড অয়েল , পরিশোধিত তেল , প্রাকৃতিক গ্যাস , পানীয় জল ইত্যাদি ।
- যোগাযোগ বা ( Communication System ) কাকে বলে ?
Ans: বিভিন্ন প্রকার সংবাদ বা তথ্য ও ভাবের আদানপ্রদানকে বলা হয় যোগাযোগ এবং একটি সম্পূর্ণ ও সুগঠিত সংবাদ ও তথ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
- যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রধানত ক – ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Ans: যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রধানত দু – ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গণ – যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharater Parivahan o Jogajog Bebostha Question and Answer :
1. পরিবহণের গুরুত্ব লেখো ( Importance of Transport ) ।
Ans: যাত্রী ও জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের পন্থাকে পরিবহণ বলে । অর্থাৎ , যে ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো হয় , তাকেই পরিবহণ বলে ।
পরিবহণের গুরুত্ব ( Importance of Transport ) : যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি বহুলাংশে পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল । আধুনিক বিশ্বে পরিবহণের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল
( ১ ) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য : দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে অর্থাৎ দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্যদ্রব্যের আমদানি , রপ্তানি তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবহণ ব্যবস্থা অপরিহার্য ভূমিকা গ্রহণ করে ।
( ২ ) কৃষির উন্নতি : কৃষি পণ্যের আদানপ্রদান , কৃষিজ কাঁচামাল কারখানায় পৌঁছোনো , কৃষিজ পণ্য বাজারে বিক্রি এবং কৃষিহীন অঞ্চলে কৃষির প্রসারে পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।
( ৩ ) শিল্পস্থাপন ও সম্প্রসারণ : কোনো স্থানে শিল্পস্থাপনের জন্য কাঁচামালের আনয়ন এবং শিল্পজাত দ্রব্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন ।
( ৪ ) প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও বণ্টন : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও তার সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন ।
( ৫ ) চাহিদা ও জোগানের কাজে : দেশের নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় তথা যে কোনো দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদার সঠিকভাবে জোগান মেটানোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থাই সাহায্য করে ।
( ৬ ) প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি : উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় । ফলে একচেটিয়া কারবারের অবসান ঘটে ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে ওঠে ।
( ৭ ) বাণিজ্য প্রসার : দেশের বা বিদেশের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত দ্রব্য বা ঘাটতি দ্রব্য আমদানির ও রপ্তানির মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয় ফলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায় । এইভাবে বাণিজ্য প্রসার করতে পরিবহণ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
( ৮ ) আঞ্চলিক অনগ্রসরতা দূরীকরণ : দেশের মধ্য অবস্থিত কোনো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল , দুর্ভেদ্য অরণ্য অঞ্চল , বন্ধুর ও রুক্ষ মালভূমি অঞ্চল , বা মরুভূমি অঞ্চলের প্রতিকূল পরিবেশে সুষম অর্থনীতির উন্নতি ঘটানোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।
( ৯ ) বিশেষায়ণ : উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার ফলে বিশ্বের বিশেষ অঞ্চলে নির্দিষ্ট কোনো দ্রব্য উৎপাদনে বিশেষায়ণ হয়েছে ।
( ১০ ) কর্মসংস্থান সৃষ্টি : পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় ।
( ১১ ) দেশ প্রতিরক্ষা দেশ প্রতিরক্ষার কাজে সৈন্য চলাচলের জন্য রেলপথ , সড়কপথ , বিমানপথ ও জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া প্রয়োজন ।
( ১২ ) শহর ও নগর সৃষ্টি : পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হলে শিল্প , ব্যাবসাবাণিজ্যের উন্নতি হয় ফলে ছোটো ছোটো শহর ও নগর সৃষ্টি হয় ।
( ১৩ ) শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে বিভিন্ন স্থানে একত্রিত হয় , ফলে জ্ঞান , বিদ্যা , বুদ্ধি , দক্ষতা , প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদির আদানপ্রদান ঘটে ।
( ১৪ ) জনবসতির বিস্তার ও বণ্টন পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জনবসতি গড়ে ওঠে ।
( ১৫ ) পরিব্রাজন বা মাইগ্রেশান পরিবহণের সর্বাধিক প্রত্যক্ষ উপযোগিতা হল নিত্যযাত্রী ও শ্রমজীবী মানুষের দেশ বা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বা বিদেশে স্থানান্তরকরণ । এ ছাড়াও পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে , স্থানগত উপযোগিতা সৃষ্টি করতে , জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে , দেশে শান্তি স্থাপন করা ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রেও পরিবহণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব অনস্বীকার্য ।
2. স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব লেখো ।
Ans: স্থলপথের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিবহণ মাধ্যম হল রেলপথ । দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে রেলপথের স্থান সর্বাগ্রে স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল ।
রেলপথের গুরুত্ব ( Importance of Railways ) :
( ১ ) সময় ও গতিবেগ স্থলপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে রেল হল সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী । এটি স্বল্প সময় সাপেক্ষ পরিবহণ মাধ্যম । নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী চলে বলে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে ।
( ২ ) পরিবহণ ব্যয় : সড়ক ও বিমানপথ অপেক্ষা রেলপথে পরিবহণ ব্যয় স্বল্প ।
( ৩ ) পণ্যের প্রকৃতি : রেলপথে ভারী পণ্য প্রেরণ করা সুবিধাজনক । পণ্য বোঝাই ও গুদামজাত করণের ব্যবস্থা রেল কর্তৃপক্ষের আছে । পচনশীল দ্রব্য , ভারী শিল্প কাঁচামাল , কৃষিজাত পণ্য , শৌখিন দ্রব্য রেলের মাধ্যমে প্রেরিত হয় ।
( ৪ ) কর্মসংস্থান : রেলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় বহুলোক নিযুক্ত হয় । রেলপরিবহণ ব্যবস্থা বিশাল কর্মসংস্থান ঘটায় ।
( ৫ ) ক্ষতিপুরণ ব্যবস্থা : রেল পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেরিত দ্রব্য নষ্ট হয়ে গেলে , রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক ক্ষতিপুরণ আদায় করা যায় ।
( ৬ ) রেলগুদামে পণ্য মজুতের সুবিধা পণ্য বোঝাই ও খালাসের আগে রেলের গুদামে পণ্য মজুত রাখার সুবিধা আছে ।
( ৭ ) ঋণের সুবিধারেলে পণ্য বোঝাইয়ের রসিদ গচ্ছিত । রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায় ।
( ৮ ) প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধা দেশের অভ্যন্তরে শাস্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে , বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে রেলপথ পরিবহণের গুরুত্ব অগ্রগণ্য , দ্রুত সৈন্য , খাদ্যদ্রব্য , অস্ত্রশস্ত্র প্রেরণে এই মাধ্যমের ভূমিকা যথেষ্ট ।
( ৯ ) স্বাচ্ছন্দ্য রেলে পরিবহণ অনেক বেশি আরামদায়ক ও নিরাপদ ।
( ১০ ) জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন রেলপরিবহণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের ফলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উত্থান ঘটে । ফলে , মানুষের জীবনযাত্রার মানের যথেষ্ট উন্নতি ঘটে ।
( ১১ ) শিল্প – বাণিজ্যের উন্নতি : শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বয়ে আনা এবং শিল্পজাত দ্রব্য বাজারজাতকরণে রেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।
( ১২ ) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা : বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে রেলপথের সাহায্যে দুর্যোগ পীড়িতদের কাছে খাদ্য , বস্ত্র , ঔষধপত্র পৌঁছোনো , তাদের রক্ষা ও স্থানান্তর করার কাজও করা যায় ।
( ১৩ ) সভ্যতা ও সংস্কৃতির বাহক : শিক্ষাদীক্ষা , সভ্যতা সংস্কৃতির আদানপ্রদানে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
3. ভারতের সড়কপথের প্রকারভেদগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Ans: সড়কপথের শ্রেণিবিভাগ ( Classification of Roadways ) : ভারতে সড়কপথকে প্রধানত ৬ টি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা- ( ১ ) সোনালি চতুর্ভুজ ( ২ ) জাতীয় সড়কপথ , ( ৩ ) রাজ্য সড়কপথ , ( ৪ ) জেলা সড়কপথ , ( ৫ ) গ্রাম্য সড়কপথ , ( ৬ ) সীমান্তবর্তী সড়কপথ ।
( ১ ) সোনালি চতুর্ভুজ ( Golden Quadrilateral ) : 1995 খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি National Highways Authoritys of India ( NHAI ) এই সড়কপথ নির্মাণে বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেন । এর প্রথম পর্যায়ে , সোনালি চতুর্ভুজ কর্মসূচি অনুযায়ী ভারতের চারটি বড়ো মেট্রোপলিটান শহর কলকাতা , দিল্লি , মুম্বাই , চেন্নাই সড়কপথ দ্বারা যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে । এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ৫,৮৪৬ কিলোমিটার । দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ের দুরত্ব ১৪১৯ কিমি , মুম্বাই থেকে চেন্নাইয়ের দূরত্ব ১২৯০ কিমি , চেন্নাই থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৬৮৪ কিমি , কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ১৪৫৩ কিমি ।
( ২ ) জাতীয় সড়কপথ ( National Highway ) : যে – সড়কপথগুলির নির্মাণ কাজ ও সংরক্ষণ CPWD ( Central Public Works Department ) করে , সেই পথগুলিকেই জাতীয় সড়কপথ বা রাজপথ বলে । জাতীয় সড়কপথ যদিও মোট সড়কপথের মাত্র ২ শতাংশ অধিকার করে আছে , তবুও এটি মোট পরিবহণের প্রায় ৪৫ % পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ করে । NHAI বন্দর – সংযোজক পরিকল্পনা ( Port Connectivity Programme ) এর মাধ্যমে চার চ্যানেল – বিশিষ্ট রাজপথ নির্মাণ ও ভারতের বিভিন্ন বন্দরগুলি সংযুক্ত করার কাজ গ্রহণ করেছে । এই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলদিয়া , পারাদ্বীপ , বিশাখাপত্তনম , চেন্নাই , এন্নোর , তিতুকোরিন রাজপথ দ্বারা সংযুক্ত করার কাজ চলছে ।
( ৩ ) রাজ্য সড়কপথ ( State Highways ) : যে সড়কপথগুলি রাজ্য সরকার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে সেই সড়কপথগুলিকে রাজ্য সড়কপথ বলে । এই সড়কপথগুলি সাধারণত রাজ্যের রাজধানী , জেলার সদর কার্যালয় বা গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে যুক্ত করে । এই সড়কপথগুলি জাতীয় সড়কপথের সঙ্গেও যুক্ত । দৈর্ঘ্য ১৩৭.৯ হাজার কিমি । ভারতের মোট রাজ্য সড়কপথের দৈর্ঘ্য ১৩৭.৯ হাজার কিমি ( প্রায় ) ।
( ৪ ) এ ছাড়াও রয়েছে জেলা সড়কপথ ( District Roadways ) : এই সড়কপথ কেবলমাত্র জেলার সদর শহরের সঙ্গে জেলার অন্যান্য স্থানগুলিকে যুক্ত করে । এই পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ লক্ষ কিমি ।
( ৫ ) গ্রাম্য সড়কপথ ( Village Roads ) : গ্রাম্য পথগুলি নিকটবর্তী শহর ও নগরগুলির সাথে যুক্ত হয় । বর্তমানে বহু গ্রাম্য পথ পাকা হয়েছে কিন্তু এগুলি অধিকাংশ কাঁচা , মাটির ।
4. ভারতে আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা ( Airways ) ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো ।
Ans: ভারতে সর্বপ্রথম বিমান চলাচল শুরু হয় ১৯১১ বিশেষ উন্নত ছিল খ্রিস্টাব্দে । ২ য় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা না । পরবর্তীকালে এর প্রসারলাভ ঘটে । আকাশপথ পরিবহণের গুরুত্ব বিচার করে ভারত সরকার আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন । ভারতে মোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংখ্যা ১১ টি এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের সংখ্যা ১১২ টি । ভারতের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলি হল— ( ১ ) কলকাতার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর । ( ২ ) দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দর । ( ৩ ) মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর । ( ৪ ) চেন্নাইয়ের আন্না বিমানবন্দর । ( ৫ ) বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দর । ( ৬ ) অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদ বিমানবন্দর ।
আকাশপথে পরিবহণের গুরুত্ব ( Importance of Airways ) :
( ১ ) গতিবেগ : এটি অতিদ্রুত গতিসম্পন্ন । বিমানপথে অতি দ্রুত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করা হয় ।
( ২ ) ব্যয় : বিমানবন্দর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ তথা যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হলেও আকাশপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যয় নেই ।
( ৩ ) উপযোগিতা : দুর্গম স্থানে যাতায়াতের জন্যে বিমানপথ বিশেষ উপযোগী বিমানের সাহায্যে পাহাড় , পর্বত , নদী – নালা , সাগর , মরুভূমি সহজেই পার হওয়া যায় । শৌখিন , ভঙ্গুর , পচনশীল দ্রব্য , চিঠি ও ঔষধপত্র দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোনো যায় ।
( ৪ ) জরুরি পরিস্থিতি দুর্গম স্থানে যেখানে কোনোভাবেই যাতায়াত করা যায় না , সেখানে হালকা বিমান বা হেলিকপ্টার উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য চালাতে অতিদ্রুত পৌঁছে যায় ।
( ৫ ) অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : বিমানপথ দ্রুত গতিসম্পন্ন হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যথেষ্ট প্রসারলাভ করেছে ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ।
( ৬ ) আরামপ্রদ ভ্রমণ বিমানপথে ভ্রমণ খুব আরামদায়ক । আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় তৈরি বিমান বা হেলিকপ্টার যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে ।
( ৭ ) কর্মসংস্থান : আকাশপথে পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয় ।
( ৮ ) কৃষিক্ষেত্রে ও শিল্পে ব্যবহার উন্নত কৃষিব্যবস্থায় বিস্তীর্ণ কৃষিজোতে সার , কীটনাশক , বীজ ছড়াতে , এ ছাড়া শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাতকরণ ও শিল্পে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আনয়নে বিমানের ব্যবহার বাড়ছে ।
( ৯ ) আন্তর্জাতিক যোগাযোগ : জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার জন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রদূত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোতে পারেন ।
5. আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ( Communication System ) সম্পর্কে যা জান লেখো ।
Ans: এককথায় যোগাযোগ বলতে বোঝায় মানুষের কথাবার্তার পারস্পরিক আদানপ্রদান । এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবামূলক কাজ , ইংরেজি শব্দ ‘ Communication’- এর উৎপত্তি হয় লাতিন শব্দ ‘ Communicare ‘ যার অর্থ অংশীদার হওয়া বা করা এবং এই ধরনের একটি সংগঠিত আদানপ্রদান – এর ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা । এই ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হল তিনটি : ইনটারনেট , ই – মেল ও সেল ফোন ।
কম্পিউটারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা : কম্পিউটার হল এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র যার সাহায্যে বর্তমান যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতিসাধন হয়েছে । ইলেকট্রনিক মেল বা ই – মেল ( Email ) এবং ইনটারনেট ইত্যাদি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যে – কোনো প্রান্তে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যোগাযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে ।
ইনটারনেট ও ই – মেল : সারাবিশ্বে কম্পিউটারকে মোডেমের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনের সঙ্গে একসূত্রে যুক্ত করার নামই ইনটারনেট বা অন্তর্জাল । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে Computer Network সৃষ্টি হয় , তারই সমন্বয়কে ইনটারনেট ওয়ার্ক বলে । ইনটারনেটে প্রবেশ করতে গেলে প্রয়োজন হয় মোডেমযুক্ত কম্পিউটার , উইন্ডোজ সফ্টওয়্যার এবং ব্যক্তিগত টেলিফোন লাইন । ইনটারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে ই – মেলের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি যে – কোনো স্থানে বার্তা , চিঠিপত্র , তথ্য ইত্যাদি প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে । ইনটারনেট ব্যবস্থায় ই – মেল ছাড়াও ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা আছে । পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ধরে রাখা হয়— যা আমাদের প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করতে বা দেখতে পারি । এই ব্যবস্থার দ্বারা শিক্ষা , সংস্কৃতি , চিকিৎসা , ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক জগৎ বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে । এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ আজও ঘরে বসেই রেল , বিমান প্রভৃতির আসন সংরক্ষণ করতে পারে । ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ই – মেল ব্যবস্থা চালু হয় ।
মোবাইল বা সেলুলার ফোন : এটি একটি তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা । মোবাইল বা সেলুলার ফোন আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন আরও যেন এগিয়ে গেল । নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইলের সাহায্যে পৃথিবীর যে – কোনো প্রান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায় । প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নতির ফলে সেলুলার ফোনে নিত্যনতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে । ফোন— SMS ( Short Messaging service ) , MMS ( Multimedia Messaging Service ) ; ইনটারনেট যোগাযোগ , J , ছবির আদানপ্রদান radio , camera- র সুবিধা , আবার SPS -এর সুবিধা থাকায় তথ্যের আদানপ্রদান ছাড়াও ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান , উচ্চতা জানা যায় । নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । এ ছাড়া বর্তমানে নানাপ্রকার APP- এর সুবিধা আছে ।
===============================================
ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharater Parivahan o Jogajog Bebostha Question and Answer :
- ভারতে প্রাচীনতম বন্দর কোনটি ?
Answer : চেন্নাই বন্দর ( তামিলনাড়ু ) ।
- ভারতের প্রধান বন্দরের সংখ্যা ক – টি ?
Answer : মোট ১৩ টি প্রধান বন্দর ।
- গোয়াতে অবস্থিত একটি স্বাভাবিক পোতাশ্রয়যুক্ত বন্দরের নাম লেখো ।
Answer : মার্মাগাঁও বন্দর ।
- কোঙ্কন রেলওয়ের সদর দপ্তর কোন শহরে অবস্থিত ?
Answer : মুম্বাই ।
- ভারতের দীর্ঘতম রেলপথ অঞ্চল কোনটি ?
Answer : উত্তর – রেলপথ ( Northern Railway ) ।
- ভারতের আধুনিক প্রযুক্তি ( Hi Tech ) বন্দর কোনটি ?
Answer : নভসেবা / জওহরলাল নেহরু বন্দর ( মহারাষ্ট্র ) ।
- ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম কোথায় অবস্থিত ?
Answer : খড়্গপুর ( ৮৩৩ মি . / ২৭৩৩ ফুট ) ।
- ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যে রেলপথ নেই ?
Answer : অরুণাচল দশ , মিজোরাম , মণিপুর , সিকিম , মেঘালয় ।
- কোন প্রকার পরিবহণের ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ সবচেয়ে বেশি ?
Answer : আকাশপথে পরিবহণ ।
- কোন প্রকার পরিবহণের ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ সবচেয়ে কম ?
Answer : জলপথ পরিবহণ ।
- সোনালি চতুর্ভুজে কোন্ চারটি মেগাসিটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ?
Answer : দিল্লি , মুম্বাই , কলকাতা , চেন্নাই ।
- সোনালি চতুর্ভুজ কোন সংস্থার তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় ?
Answer : National Highways Authority of India ( NHAI ) .
- সোনালি চতুর্ভুজের মোট দৈর্ঘ্য কত ?
Answer : প্রায় ৫৮৪৬ কিমি ( ৩৬৩৩ মাইল ) ।
- ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কপথ কোনটি ?
Answer : NH7 যেটি বারাণসী থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত , এর দৈর্ঘ্য ২৩৬৯ কিমি ( বর্তমানে NH44 শ্রীনগর থেকে কন্যাকুমারী ) ।
- একমাত্র কোন্ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনো জাতীয় সড়কপথ নেই ?
Answer : লাক্ষা ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ ।
- ভারতের সবচেয়ে ছোটো ( দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ) জাতীয় সড়কপথ কোন্টি ?
Answer : NH47A , দৈর্ঘ্য ৬ কিমি । এটি কুন্ডানুর থেকে উইলিংডন দ্বীপ পর্যন্ত প্রসারিত ( কেরল ) ।
- ভারতের মোট সড়কপথের কত শতাংশ জাতীয় সড়কপথ ?
Answer : ১৭ % ।
- ভারতের একটি অন্তদেশীয় বন্দরের নাম লেখো ।
Answer : কলকাতা বন্দর ( হুগলি নদী ) ।
- ভারতের একটি বহিঃবন্দরের নাম লেখো ।
Answer : হলদিয়া বন্দর হল কলকাতা বন্দরের বহিঃবন্দর ।
- ভারতের মধ্যে সর্বোত্তম বন্দর কোনটি ?
Answer : মুম্বাই ।
- ভারতের মধ্যে গভীরতম পোতাশ্রয় যুক্ত বন্দর কোনটি ?
Answer : ওড়িশার পারাদ্বীপ ।
- ভারতের একটি শুল্কমুক্ত বন্দরের নাম লেখো ।
Answer : গুজরাটের কান্ডালা বন্দর ।
MCQ | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharater Parivahan o Jogajog Bebostha Question and Answer :
- ভারতের বৃহত্তম বন্দর কোনটি ? (A) মুম্বাই বন্দর(B) চেন্নাই বন্দর (C) হলদিয়া বন্দর (D) কান্ডালা বন্দর
Answer : (A) মুম্বাই বন্দর
- ভারতের একটি শুল্কমুক্ত বন্দর হল -(A) পারাদ্বীপ বন্দর(B) কোচিন বন্দর(C) কান্ডালা বন্দর (D) হলদিয়া বন্দর
Answer : (C) কান্ডালা বন্দর
- ভারতের একটি পুনঃরপ্তানি বন্দরের নাম লেখো ।(A) কান্ডালা বন্দর(B) মার্মাগাঁও বন্দর(C) কলকাতা বন্দর (D) হলদিয়া বন্দর
Answer : (C) কলকাতা বন্দর
- খনি অঞ্চল থেকে কীসের মাধ্যমে দ্রব্যাদি পরিবহণ করা হয় ?(A) মেট্রো রেল(B) রোপওয়ে(C) পাইপলাইন(D) Water Way
Answer : (B) রোপওয়ে
- বর্তমানে ভারতের ক – টি শহরে মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু আছে ?(A) ৫(B) ৯(C) ৮(D) ১৫
Answer : (B) ৯
- ভারতের প্রাচীনতম মেট্রোরেল কোথায় অবস্থিত -(A) কলকাতা(B) দিল্লি(C) মুম্বাই(D) চেন্নাই
Answer : (A) কলকাতা
- কোন শহরে মেট্রো ‘ Namma Metro ‘ নামে পরিচিত ?(A) চেন্নাই(B) গুরগাঁও(C) বেঙ্গালুরু(D) জয়পুর
Answer : (C) বেঙ্গালুরু
- ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে বিমান চলাচল আরম্ভ হয় ?(A) ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে (B) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে(C) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে(D) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে
Answer : (B) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতে সর্বপ্রথম কম্পিউটার কে দিল্লি পরিষেবা চালু হয় কোন শহরে ?(A) মুম্বাই (B) কলকাতা (C) বেঙ্গালুরু(D) দিল্লি
Answer : (B) কলকাতা
- কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম Email পরিষেবা চালু হয় ?(A) ১৯৭০(B) ১৯৭২ (C) ১৯৭৪ (D) ১৯৭৬
Answer : (A) ১৯৭০
- ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে ইনটারনেট – ব্যবস্থা চালু হয় ? (A) ১৯৭০ (B) ১৯৭২(C) ১৯৭৪(D) ১৯৭৬
Answer : (B) ১৯৭২
- ভারতের জীবনরেখা ‘ কোন পরিবহণ ব্যবস্থাকে বলা হয়— (A) সড়ক (B) রেল (C) আকাশপথ (D) জলপথ
Answer : (D) জলপথ
- স্থলপথ পারবহণের সবশ্রেষ্ঠ মাধ্যম কী ? (A) রেলপথ (B) মেট্রো (C) সড়কপথ (D) ট্রাম
Answer : (C) সড়কপথ
- উত্তর ভারতীয় রেলের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? (A) দিল্লি(B) কলকাতা (C) মুম্বাই(D) বেঙ্গালুরু
Answer : A) দিল্লি
- ভারতে মোট রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য কত ?(A) ১.২০ লক্ষ কিমি (B) ১.১৫ লক্ষ কিমি(C) ১.১০ লক্ষ কিমি (D) ১.০৫ লক্ষ কিমি
Answer : (B) ১.১৫ লক্ষ কিমি
- কোন্ পরিবহণ ব্যবস্থাকে অর্থনীতির ধর্মনিস্বরূপ বলা হয়— (A) রেল (B) সড়ক(C) জলপথ(D) আকাশপথ
Answer : (A) রেল
- দৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে পৃথিবীতে ভারতীয় রেলপথের স্থান – (A) প্রথম(B) তৃতীয় (C) দ্বিতীয়(D) চতুর্থ
- ভারতের পূর্ব রেলপথের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? (A) ভুবনেশ্বর (B) কলকাতা(C) গুয়াহাটি(D) আসানসোল
Answer : (B) কলকাতা
- সোনালি চতুর্ভুজের মাধ্যমে ক – টি মেট্রো শহরকে যুক্ত করা -(A) ৪(B) ৬(C) ৭(D) ৫
Answer : (A) ৪
- রাজ্য সড়কপথের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে -(A) Central Govt(B) State Govt(C) Local Govt(D) Municipalities
Answer : (B) State Govt
- পশ্চিমবঙ্গে মোট ক – টি রাজ্য সড়কপথ রয়েছে ?(A) ১৭ (B) ২১(C) ১০(D) ১৯
Answer : (D) ১৯
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharater Parivahan o Jogajog Bebostha Question and Answer :
- রজ্জুপথ পরিবহণ ( Ropeways ) ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ?
Answer : রজ্জুপথ বা Ropeway হল এক ধরনের পরিবহণের মাধ্যম যার সাহায্য দ্রব্যাদি বা মানুষজন খনিসমৃদ্ধ বা পাহাড়ি অঞ্চলে , মোটরচালিত তারের মাধ্যমে যাতায়াত করে ।
- ভারতের যে কোনো দুটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম লেখো ।
Answer : দিল্লিতে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ( পালাম ) এবং কলকাতায় অবস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ( দমদম ) ।
- ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত যে কোনো দুটি বন্দরের নাম লেখো ।
Answer : অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম বন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর ।
- ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত যে – কোনো দুটি বন্দরের নাম লেখো ।
Answer : মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বন্দর এবং গুজরাটের কান্ডালা বন্দর ।
- পাইপলাইন পরিবহণ ( Pipelines ) কাকে বলে ?
Answer : যে পরিবহণ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রধানত দ্রব্যসামগ্রী পরিবহণ করা হয় , যথা — ক্রুড ওয়েল , রিফাইন্ড অয়েল , প্রাকৃতিক গ্যাস , পানীয় জল ইত্যাদি । তাকেই বলে পাইপলাইন পরিবহণ ব্যবস্থা ।
- ভারতের দুটি পাইপলাইন পরিবহণ ব্যবস্থার উদাহরণ দাও ।
Answer : ( i ) নাহারকাটিয়া – নুনমাটি – বারাউনি পাইপলাইন , ( ii ) হাজিরা – বিজাপুর – জগদীশপুর পাইপলাইন ( প্রা . গ্যাস ) ।
- মেট্রোরেল কাকে বলে ?
Answer : মেট্রো শহরগুলির অভ্যন্তরে ভূগর্ভ , সুড়ঙ্গ ও ভূপৃষ্ঠ দিয়ে যাত্রী পরিবহণের জন্য রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হল র মেট্রোরেল ।
- ভারতের কোন্ কোন্ শহরে পাতালরেল পরিষেবা প্রচলিত আছে ?
Answer : ভারতের যেসকল শহরে পাতালরেল পরিষেবা প্রচলিত আছে সেগুলি হল — কলকাতা , চেন্নাই , দিল্লি , ব্যাঙ্গালোর , গুরগাঁও , মুম্বাই , জয়পুর , কোচি , লখনউ ।
- পাইপলাইনের মাধ্যমে কোন্ কোন্ দ্রব্য পরিবহণ হয় ?
Answer : পরিশোধিত তেল বা ক্রুড অয়েল , পরিশোধিত তেল , প্রাকৃতিক গ্যাস , পানীয় জল ইত্যাদি ।
- যোগাযোগ বা ( Communication System ) কাকে বলে ?
Answer : বিভিন্ন প্রকার সংবাদ বা তথ্য ও ভাবের আদানপ্রদানকে বলা হয় যোগাযোগ এবং একটি সম্পূর্ণ ও সুগঠিত সংবাদ ও তথ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
- যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রধানত ক – ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Answer : যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রধানত দু – ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গণ – যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
- পরিবহণ ব্যবস্থা ( Transport System ) কাকে বলে ?
Answer : যে ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো যায় তাকেই পরিবহণ ব্যবস্থা বলে ।
- আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানত ক – টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Answer : আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানত ৫ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা— ( ১ ) স্থলপথ , ( ২ ) জলপথ , ( ৩ ) আকাশপথ , ( ৪ ) নলপথ বা পাইপলাইন এবং ( ৫ ) রজ্জুপথ বা রোপওয়ে ।
- স্থলপথ পরিবহণ ( Land transport ) ব্যবস্থা কী কী ?
Answer : স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা হল প্রধানত ২ প্রকার । যথা —১ . সড়কপথ এবং ২ , রেলপথ । তবে মেট্রোরেলকেও সড়কপথের মধ্যেই ধরা হয় ।
- সড়কপথের মাধ্যমের নাম লেখো ।
Answer : বাস , মোটরগাড়ি , অটোরিকশা , সাইকেল রিকশা , টোটো , মোটর বাইক , ট্রাক , সাইকেল ইত্যাদি হল সড়কপথে পরিবহণের কয়েকটি মাধ্যম ।
- ভারতে জলপথ পরিবহণ ( Waterways ) ক – ভাগে কয়েকটি বিভক্ত ?
Answer : ভারতে জলপথ পরিবহণ প্রধানত দু – ভাগে বিভক্ত । যথা — অভ্যন্তরীণ জলপথ ও আন্তর্জাতিক জলপথ বা সমুদ্রপথ ।
- অভ্যন্তরীণ জলপথ ( Inland Waterway ) কাকে বলে ?
Answer : দেশের মধ্যস্থিত নদী , খাল ও হ্রদের ভিতর দিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থান যাতায়াতের ব্যবস্থাকে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবস্থা বলা হয় ।
- সমুদ্রপথ বা আন্তর্জাতিক জলপথ ( International Waterway ) কাকে বলে ?
Answer : উন্মুক্ত সাগর , উপসাগর – এর ওপর দিয়ে যে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পণ্য দ্রব্যাদির পরিবহণ করা হয় , তাকে সমুদ্রপথ বলে ।
- জলপথকে ‘ উন্নয়নের জীবনরেখা ‘ — বলা হয় কেন ?
Answer : জলপথ পরিবহণ পদ্ধতি সহজসরল ও কম বায়বহুল , একসাথে প্রচুর পণ্যসামগ্রী বহন করা যায় এবং শিল্প বাণিজ্যের প্রসার ঘটে বলে জলপথ পরিবহণকে উন্নয়নের জীবনরেখা ‘ বলা হয় ।
- ভারতে মোট বন্দরের সংখ্যা ক – টি ?
Answer : ভারতে মোট ১৩ টি বৃহদায়তন প্রধান বন্দর এবং ১৮৭ টি মাঝারি ও ক্ষুদ্র বন্দর রয়েছে ।
- আকাশপথকে ( Airways ) প্রধানত ক – ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Answer : আকাশপথকে প্রধানত দু – ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — জাতীয় বিমানপথ ( National Airways ) এবং আন্তর্জাতিক বিমানপথ ( International Airways ) ।
- ভারতের যে – কোনো দুটি জাতীয় বিমানবন্দরের নাম লেখো ।
Answer : গুজরাটের কান্ডালা বিমানবন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দর ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharater Parivahan o Jogajog Bebostha Question and Answer :
1. ভারতের সড়কপথের প্রকারভেদগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Answer : সড়কপথের শ্রেণিবিভাগ ( Classification of Roadways ) : ভারতে সড়কপথকে প্রধানত ৬ টি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা- ( ১ ) সোনালি চতুর্ভুজ ( ২ ) জাতীয় সড়কপথ , ( ৩ ) রাজ্য সড়কপথ , ( ৪ ) জেলা সড়কপথ , ( ৫ ) গ্রাম্য সড়কপথ , ( ৬ ) সীমান্তবর্তী সড়কপথ ।
( ১ ) সোনালি চতুর্ভুজ ( Golden Quadrilateral ) : 1995 খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি National Highways Authoritys of India ( NHAI ) এই সড়কপথ নির্মাণে বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেন । এর প্রথম পর্যায়ে , সোনালি চতুর্ভুজ কর্মসূচি অনুযায়ী ভারতের চারটি বড়ো মেট্রোপলিটান শহর কলকাতা , দিল্লি , মুম্বাই , চেন্নাই সড়কপথ দ্বারা যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে । এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ৫,৮৪৬ কিলোমিটার । দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ের দুরত্ব ১৪১৯ কিমি , মুম্বাই থেকে চেন্নাইয়ের দূরত্ব ১২৯০ কিমি , চেন্নাই থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৬৮৪ কিমি , কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ১৪৫৩ কিমি ।
( ২ ) জাতীয় সড়কপথ ( National Highway ) : যে – সড়কপথগুলির নির্মাণ কাজ ও সংরক্ষণ CPWD ( Central Public Works Department ) করে , সেই পথগুলিকেই জাতীয় সড়কপথ বা রাজপথ বলে । জাতীয় সড়কপথ যদিও মোট সড়কপথের মাত্র ২ শতাংশ অধিকার করে আছে , তবুও এটি মোট পরিবহণের প্রায় ৪৫ % পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ করে । NHAI বন্দর – সংযোজক পরিকল্পনা ( Port Connectivity Programme ) এর মাধ্যমে চার চ্যানেল – বিশিষ্ট রাজপথ নির্মাণ ও ভারতের বিভিন্ন বন্দরগুলি সংযুক্ত করার কাজ গ্রহণ করেছে । এই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলদিয়া , পারাদ্বীপ , বিশাখাপত্তনম , চেন্নাই , এন্নোর , তিতুকোরিন রাজপথ দ্বারা সংযুক্ত করার কাজ চলছে ।
( ৩ ) রাজ্য সড়কপথ ( State Highways ) : যে সড়কপথগুলি রাজ্য সরকার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে সেই সড়কপথগুলিকে রাজ্য সড়কপথ বলে । এই সড়কপথগুলি সাধারণত রাজ্যের রাজধানী , জেলার সদর কার্যালয় বা গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে যুক্ত করে । এই সড়কপথগুলি জাতীয় সড়কপথের সঙ্গেও যুক্ত । দৈর্ঘ্য ১৩৭.৯ হাজার কিমি । ভারতের মোট রাজ্য সড়কপথের দৈর্ঘ্য ১৩৭.৯ হাজার কিমি ( প্রায় ) ।
( ৪ ) এ ছাড়াও রয়েছে জেলা সড়কপথ ( District Roadways ) : এই সড়কপথ কেবলমাত্র জেলার সদর শহরের সঙ্গে জেলার অন্যান্য স্থানগুলিকে যুক্ত করে । এই পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ লক্ষ কিমি ।
( ৫ ) গ্রাম্য সড়কপথ ( Village Roads ) : গ্রাম্য পথগুলি নিকটবর্তী শহর ও নগরগুলির সাথে যুক্ত হয় । বর্তমানে বহু গ্রাম্য পথ পাকা হয়েছে কিন্তু এগুলি অধিকাংশ কাঁচা , মাটির ।
2. ভারতে আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা ( Airways ) ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো ।
Answer : ভারতে সর্বপ্রথম বিমান চলাচল শুরু হয় ১৯১১ বিশেষ উন্নত ছিল খ্রিস্টাব্দে । ২ য় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা না । পরবর্তীকালে এর প্রসারলাভ ঘটে । আকাশপথ পরিবহণের গুরুত্ব বিচার করে ভারত সরকার আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন । ভারতে মোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংখ্যা ১১ টি এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের সংখ্যা ১১২ টি । ভারতের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলি হল— ( ১ ) কলকাতার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর । ( ২ ) দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দর । ( ৩ ) মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর । ( ৪ ) চেন্নাইয়ের আন্না বিমানবন্দর । ( ৫ ) বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দর । ( ৬ ) অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদ বিমানবন্দর ।
আকাশপথে পরিবহণের গুরুত্ব ( Importance of Airways ) :
( ১ ) গতিবেগ : এটি অতিদ্রুত গতিসম্পন্ন । বিমানপথে অতি দ্রুত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করা হয় ।
( ২ ) ব্যয় : বিমানবন্দর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ তথা যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হলেও আকাশপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যয় নেই ।
( ৩ ) উপযোগিতা : দুর্গম স্থানে যাতায়াতের জন্যে বিমানপথ বিশেষ উপযোগী বিমানের সাহায্যে পাহাড় , পর্বত , নদী – নালা , সাগর , মরুভূমি সহজেই পার হওয়া যায় । শৌখিন , ভঙ্গুর , পচনশীল দ্রব্য , চিঠি ও ঔষধপত্র দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোনো যায় ।
( ৪ ) জরুরি পরিস্থিতি দুর্গম স্থানে যেখানে কোনোভাবেই যাতায়াত করা যায় না , সেখানে হালকা বিমান বা হেলিকপ্টার উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য চালাতে অতিদ্রুত পৌঁছে যায় ।
( ৫ ) অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : বিমানপথ দ্রুত গতিসম্পন্ন হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যথেষ্ট প্রসারলাভ করেছে ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ।
( ৬ ) আরামপ্রদ ভ্রমণ বিমানপথে ভ্রমণ খুব আরামদায়ক । আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় তৈরি বিমান বা হেলিকপ্টার যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে ।
( ৭ ) কর্মসংস্থান : আকাশপথে পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয় ।
( ৮ ) কৃষিক্ষেত্রে ও শিল্পে ব্যবহার উন্নত কৃষিব্যবস্থায় বিস্তীর্ণ কৃষিজোতে সার , কীটনাশক , বীজ ছড়াতে , এ ছাড়া শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাতকরণ ও শিল্পে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আনয়নে বিমানের ব্যবহার বাড়ছে ।
( ৯ ) আন্তর্জাতিক যোগাযোগ : জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার জন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রদূত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোতে পারেন ।
3. আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ( Communication System ) সম্পর্কে যা জান লেখো ।
Answer : এককথায় যোগাযোগ বলতে বোঝায় মানুষের কথাবার্তার পারস্পরিক আদানপ্রদান । এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবামূলক কাজ , ইংরেজি শব্দ ‘ Communication’- এর উৎপত্তি হয় লাতিন শব্দ ‘ Communicare ‘ যার অর্থ অংশীদার হওয়া বা করা এবং এই ধরনের একটি সংগঠিত আদানপ্রদান – এর ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা । এই ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হল তিনটি : ইনটারনেট , ই – মেল ও সেল ফোন ।
কম্পিউটারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা : কম্পিউটার হল এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র যার সাহায্যে বর্তমান যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতিসাধন হয়েছে । ইলেকট্রনিক মেল বা ই – মেল ( Email ) এবং ইনটারনেট ইত্যাদি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যে – কোনো প্রান্তে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যোগাযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে ।
ইনটারনেট ও ই – মেল : সারাবিশ্বে কম্পিউটারকে মোডেমের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনের সঙ্গে একসূত্রে যুক্ত করার নামই ইনটারনেট বা অন্তর্জাল । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে Computer Network সৃষ্টি হয় , তারই সমন্বয়কে ইনটারনেট ওয়ার্ক বলে । ইনটারনেটে প্রবেশ করতে গেলে প্রয়োজন হয় মোডেমযুক্ত কম্পিউটার , উইন্ডোজ সফ্টওয়্যার এবং ব্যক্তিগত টেলিফোন লাইন । ইনটারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে ই – মেলের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি যে – কোনো স্থানে বার্তা , চিঠিপত্র , তথ্য ইত্যাদি প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে । ইনটারনেট ব্যবস্থায় ই – মেল ছাড়াও ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা আছে । পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ধরে রাখা হয়— যা আমাদের প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করতে বা দেখতে পারি । এই ব্যবস্থার দ্বারা শিক্ষা , সংস্কৃতি , চিকিৎসা , ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক জগৎ বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে । এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ আজও ঘরে বসেই রেল , বিমান প্রভৃতির আসন সংরক্ষণ করতে পারে । ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ই – মেল ব্যবস্থা চালু হয় ।
মোবাইল বা সেলুলার ফোন : এটি একটি তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা । মোবাইল বা সেলুলার ফোন আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন আরও যেন এগিয়ে গেল । নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইলের সাহায্যে পৃথিবীর যে – কোনো প্রান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায় । প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নতির ফলে সেলুলার ফোনে নিত্যনতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে । ফোন— SMS ( Short Messaging service ) , MMS ( Multimedia Messaging Service ) ; ইনটারনেট যোগাযোগ , J , ছবির আদানপ্রদান radio , camera- র সুবিধা , আবার SPS -এর সুবিধা থাকায় তথ্যের আদানপ্রদান ছাড়াও ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান , উচ্চতা জানা যায় । নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । এ ছাড়া বর্তমানে নানাপ্রকার APP- এর সুবিধা আছে ।
4. পরিবহণের গুরুত্ব লেখো ( Importance of Transport ) ।
Answer : যাত্রী ও জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের পন্থাকে পরিবহণ বলে । অর্থাৎ , যে ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো হয় , তাকেই পরিবহণ বলে ।
পরিবহণের গুরুত্ব ( Importance of Transport ) : যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি বহুলাংশে পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল । আধুনিক বিশ্বে পরিবহণের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল
( ১ ) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য : দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে অর্থাৎ দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্যদ্রব্যের আমদানি , রপ্তানি তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবহণ ব্যবস্থা অপরিহার্য ভূমিকা গ্রহণ করে ।
( ২ ) কৃষির উন্নতি : কৃষি পণ্যের আদানপ্রদান , কৃষিজ কাঁচামাল কারখানায় পৌঁছোনো , কৃষিজ পণ্য বাজারে বিক্রি এবং কৃষিহীন অঞ্চলে কৃষির প্রসারে পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।
( ৩ ) শিল্পস্থাপন ও সম্প্রসারণ : কোনো স্থানে শিল্পস্থাপনের জন্য কাঁচামালের আনয়ন এবং শিল্পজাত দ্রব্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন ।
( ৪ ) প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও বণ্টন : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও তার সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন ।
( ৫ ) চাহিদা ও জোগানের কাজে : দেশের নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় তথা যে কোনো দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদার সঠিকভাবে জোগান মেটানোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থাই সাহায্য করে ।
( ৬ ) প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি : উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় । ফলে একচেটিয়া কারবারের অবসান ঘটে ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে ওঠে ।
( ৭ ) বাণিজ্য প্রসার : দেশের বা বিদেশের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত দ্রব্য বা ঘাটতি দ্রব্য আমদানির ও রপ্তানির মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয় ফলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায় । এইভাবে বাণিজ্য প্রসার করতে পরিবহণ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
( ৮ ) আঞ্চলিক অনগ্রসরতা দূরীকরণ : দেশের মধ্য অবস্থিত কোনো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল , দুর্ভেদ্য অরণ্য অঞ্চল , বন্ধুর ও রুক্ষ মালভূমি অঞ্চল , বা মরুভূমি অঞ্চলের প্রতিকূল পরিবেশে সুষম অর্থনীতির উন্নতি ঘটানোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।
( ৯ ) বিশেষায়ণ : উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার ফলে বিশ্বের বিশেষ অঞ্চলে নির্দিষ্ট কোনো দ্রব্য উৎপাদনে বিশেষায়ণ হয়েছে ।
( ১০ ) কর্মসংস্থান সৃষ্টি : পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় ।
( ১১ ) দেশ প্রতিরক্ষা দেশ প্রতিরক্ষার কাজে সৈন্য চলাচলের জন্য রেলপথ , সড়কপথ , বিমানপথ ও জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া প্রয়োজন ।
( ১২ ) শহর ও নগর সৃষ্টি : পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হলে শিল্প , ব্যাবসাবাণিজ্যের উন্নতি হয় ফলে ছোটো ছোটো শহর ও নগর সৃষ্টি হয় ।
( ১৩ ) শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে বিভিন্ন স্থানে একত্রিত হয় , ফলে জ্ঞান , বিদ্যা , বুদ্ধি , দক্ষতা , প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদির আদানপ্রদান ঘটে ।
( ১৪ ) জনবসতির বিস্তার ও বণ্টন পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জনবসতি গড়ে ওঠে ।
( ১৫ ) পরিব্রাজন বা মাইগ্রেশান পরিবহণের সর্বাধিক প্রত্যক্ষ উপযোগিতা হল নিত্যযাত্রী ও শ্রমজীবী মানুষের দেশ বা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বা বিদেশে স্থানান্তরকরণ । এ ছাড়াও পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে , স্থানগত উপযোগিতা সৃষ্টি করতে , জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে , দেশে শান্তি স্থাপন করা ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রেও পরিবহণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব অনস্বীকার্য ।
5. স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব লেখো ।
Answer : স্থলপথের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিবহণ মাধ্যম হল রেলপথ । দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে রেলপথের স্থান সর্বাগ্রে স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল ।
রেলপথের গুরুত্ব ( Importance of Railways ) :
( ১ ) সময় ও গতিবেগ স্থলপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে রেল হল সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী । এটি স্বল্প সময় সাপেক্ষ পরিবহণ মাধ্যম । নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী চলে বলে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে ।
( ২ ) পরিবহণ ব্যয় : সড়ক ও বিমানপথ অপেক্ষা রেলপথে পরিবহণ ব্যয় স্বল্প ।
( ৩ ) পণ্যের প্রকৃতি : রেলপথে ভারী পণ্য প্রেরণ করা সুবিধাজনক । পণ্য বোঝাই ও গুদামজাত করণের ব্যবস্থা রেল কর্তৃপক্ষের আছে । পচনশীল দ্রব্য , ভারী শিল্প কাঁচামাল , কৃষিজাত পণ্য , শৌখিন দ্রব্য রেলের মাধ্যমে প্রেরিত হয় ।
( ৪ ) কর্মসংস্থান : রেলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় বহুলোক নিযুক্ত হয় । রেলপরিবহণ ব্যবস্থা বিশাল কর্মসংস্থান ঘটায় ।
( ৫ ) ক্ষতিপুরণ ব্যবস্থা : রেল পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেরিত দ্রব্য নষ্ট হয়ে গেলে , রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক ক্ষতিপুরণ আদায় করা যায় ।
( ৬ ) রেলগুদামে পণ্য মজুতের সুবিধা পণ্য বোঝাই ও খালাসের আগে রেলের গুদামে পণ্য মজুত রাখার সুবিধা আছে ।
( ৭ ) ঋণের সুবিধারেলে পণ্য বোঝাইয়ের রসিদ গচ্ছিত । রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায় ।
( ৮ ) প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধা দেশের অভ্যন্তরে শাস্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে , বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে রেলপথ পরিবহণের গুরুত্ব অগ্রগণ্য , দ্রুত সৈন্য , খাদ্যদ্রব্য , অস্ত্রশস্ত্র প্রেরণে এই মাধ্যমের ভূমিকা যথেষ্ট ।
( ৯ ) স্বাচ্ছন্দ্য রেলে পরিবহণ অনেক বেশি আরামদায়ক ও নিরাপদ ।
( ১০ ) জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন রেলপরিবহণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের ফলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উত্থান ঘটে । ফলে , মানুষের জীবনযাত্রার মানের যথেষ্ট উন্নতি ঘটে ।
( ১১ ) শিল্প – বাণিজ্যের উন্নতি : শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বয়ে আনা এবং শিল্পজাত দ্রব্য বাজারজাতকরণে রেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।
( ১২ ) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা : বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে রেলপথের সাহায্যে দুর্যোগ পীড়িতদের কাছে খাদ্য , বস্ত্র , ঔষধপত্র পৌঁছোনো , তাদের রক্ষা ও স্থানান্তর করার কাজও করা যায় ।
( ১৩ ) সভ্যতা ও সংস্কৃতির বাহক : শিক্ষাদীক্ষা , সভ্যতা সংস্কৃতির আদানপ্রদানে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
====================================================================
সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
1। ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়ক-
ক) NH 4 খ) NH 9 গ) NH 1 ঘ) NH 7
উত্তর- ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়ক ঘ) NH 7.
2। ভারতে প্রথম পাতাল রেলের যাত্রা শুরু হয়-
ক) মুম্বাইয়ে খ) দিল্লিতে গ) কলকাতায় ঘ) চেন্নাইয়ে
উত্তর- ভারতে প্রথম পাতাল রেলের যাত্রা শুরু হয় গ) কলকাতায়।
3। ভারতের দীর্ঘতম রেলপথ-
ক) পূর্ব রেলপথ খ) উত্তর রেলপথ গ) মধ্য রেলপথ ঘ) পশ্চিম রেলপথ
উত্তর- ভারতের দীর্ঘতম রেলপথ খ) উত্তর রেলপথ।
4। পূর্ব রেলওয়ের সদর দপ্তর অবস্থিত-
ক) কলকাতায় খ) কটকে গ) পাটনায় ঘ) হাওড়ায়
উত্তর- পূর্ব রেলওয়ের সদর দপ্তর অবস্থিত ক) কলকাতায়।
5। পশ্চিমবঙ্গে রেলপথ চালু হয় –
ক) 1860 সালে খ) 1845 সালে গ) 1856 সালে ঘ) 1854 সালে
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গে রেলপথ চালু হয় ঘ) 1854 সালে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]
1. পুনঃরপ্তানি বন্দর কাকে বলে?
উত্তর- প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য যখন কোনো দেশ আমদানি করে এবং সেই আমদানি দ্রব্য আবার অন্য বিদেশে রপ্তানি করে তখন তাকে পুনঃরপ্তানি বাণিজ্য বলে। আর যে বন্দরের সাহায্যে এই বাণিজ্য হয় তাকে পুনঃরপ্তানি বন্দর বলে। যেমন- ভারতের কলকাতা পুনঃরপ্তানি বন্দরের উদাহরণ।
2. ধারণযোগ্য উন্নয়ন বলতে কি বোঝ?
উত্তর- ব্রুন্টল্যান্ড কমিশনের মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে কোনো আপস না করে, বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর জন্য গৃহীত পরিকল্পনাকে ধারণযোগ্য উন্নয়ন বা (sustainable development) বলে।
ধারণযোগ্য উন্নয়নের উদ্দেশ্য-
• স্থিতিশীল উন্নয়নে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রভৃতি সকল শ্রীবৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
• এই উন্নয়নের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]
1। ভারতে নগরায়নের প্রধান তিনটি সমস্যা উল্লেখ কর।
উত্তর- ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ, ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র 30% শহরের বাস করে তবুও বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে নগরায়ণ একটি বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নগরায়ণের সমস্যাগুলি নিম্মলিখিত,
• পরিকাঠামোগত সমস্যা- অত্যধিক জনসংখ্যা শহরের বসতির তীব্র অভাব তৈরি করেছে। বর্তমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গেলে প্রতি বছর প্রচুর গৃহের প্রয়োজন যা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
• অপরিকল্পতি নগরায়ণ- অপরিকল্পতি নগরায়ণের কারণে স্থানীয় অর্থনৈতিক ভিত্তি মারাত্মক চাহিদার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ধনবান ব্যক্তিরা শহরের কেন্দ্রের তুলনায় শহরের প্রান্ত বরাবর পাড়ি দিচ্ছে। এইভাবেই অপরিকল্পনীয়ভাবে শহরের আয়তন বেড়ে চলেছে।
• জলনিকাশী ব্যবস্থার সমস্যা- সমস্ত শহরের মানুষেরা দৈনন্দিন জীবনে উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে, কিন্তু অন্যদিকে আবার শহরের নোংরা আর্বজনা সমস্ত কিছু শহরের নিকটবর্তী জলাশয় নদীতে গিয়ে পড়ে, জলদূষন ঘটে। দীর্ঘদিন এই দূষিত জল ব্যবহারের ফলে শহরের মানুষজন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে যা বর্তমানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
2। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে কি বোঝ?
উত্তর- যে যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত অতি দ্রুত সংবাদ আদানপ্রদান করা যায় এবং খরচ খুবই কম হয় তাকে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে।
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমগুলি হল, টেলিফোন, মোবাইল, ই-মেল, বেতার, ভিডিও কনফারেন্স।
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা-
• অযথা শ্রমের অপচয় হয়না।
• অতি দ্রুত সংবাদ আদানপ্রদান করা যায়।
• খরচ খুবই কম হয়।
3। ভারতের সড়কপথ ও রেলপথের প্রতিটির সুবিধাগুলি তিনটি করে আলোচনা করো।
উত্তর- ভারতের সড়ক পথের সুবিধাগুলি হল,
• প্রাথমিক ব্যয়- রেলপথ বা আকাশ পথের তুলনায় প্রাথমিক ব্যয় খুবই কম।
• বাণিজ্য- অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রধানত সড়কপথ ব্যবহার করা হয়।
• দ্রব্য, পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ- হালকা মাঝারি দ্রব্য ও পণ্য পরিবহণ করা যায় আর তুলনায় অনেক যাত্রী বেশী বহন করা হয়।
ভারতীয় রেলপথের সুবিধা,
• গতিবেগ- অতি দ্রুত গতিবেগ সম্পন্ন।
• পণ্য ও যাত্রী- ভারী থেকে অতি ভারী পণ্যবহন করার সুবিধা আছে। এবং সেই সঙ্গে অত্যধিক যাত্রী ও বেশি পরিমানে বহন করা যায়।
• নিরাপত্তা- অত্যন্ত নিরাপদ জনিত যোগাযোগ মাধ্যম এটি।
দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (LA)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]
1। ভারতের আর্থসামাজিক উন্নতিতে পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্বগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর- ভারতের আর্থসামাজিক উন্নতিতে পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্বগুলি হল
• শিল্পোন্নতি- পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি শিল্পের উপর প্রভাব বিস্তার করে। অন্যদিকে আবার শিল্পোন্নতির অন্যতম শর্ত হল পরিবহণ ব্যবস্থা। শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, শ্রমিক সরবরাহ এবং শিল্পজাত পণ্য বাজারে প্রেরণের ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম।
• উন্নত কৃষি- ভারতের অর্থনীতি কৃষিজ দ্রব্যের উৎপাদন ও সুষ্ঠু বন্টনের ওপর নির্ভরশীল।উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রভৃতি কিছু কৃষিক্ষেত্রে পৌঁছে দিতে এবং শিল্প কারখানায় ও বিদেশে রপ্তানি করতে সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ এমনকি আকাশপথের গুরুত্ব যথেষ্ঠ।
• বাণিজ্যিক প্রসার- বাণিজ্যের প্রধান একটি দিক হল পরিবহণ অর্থাৎ বিভিন্ন দ্রব্যের আমদানি- রপ্তানিতে সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ ও আকাশপথের গুরুত্ব অপরিসীম।
• জাতীয় আয়- পরিবহণ সুবিধাদানের মাধ্যমে করসংগ্রহ এবং পরিবহণের কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করে।
• অন্যান্য গুরুত্ব- ক) শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার, খ) কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, গ) সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সুস্থিরতা দান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সড়কপথের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
2। ভারতের নগরায়নের প্রধান সমস্যাগুলি আলোচনা করো।
উত্তর- ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ, ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র 30% শহরের বাস করে তবুও বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে নগরায়ণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নগরায়ণের সমস্যাগুলি নিম্মলিখিত-
• পরিকাঠামোগত সমস্যা- অত্যধিক জনসংখ্যা শহরের বসতির তীব্র অভাব তৈরি করেছে। বর্তমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গেলে প্রতি বছর প্রচুর গৃহের প্রয়োজন যা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
• অপরিকল্পতি নগরায়ণ- অপরিকল্পতি নগরায়ণের কারণে স্থানীয় অর্থনৈতিক ভিত্তি মারাত্মক চাহিদার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ধনবান ব্যক্তিরা শহরের কেন্দ্রের তুলনায় শহরের প্রান্ত বরাবর পাড়ি দিচ্ছে। এইভাবেই অপরিকল্পনীয়ভাবে শহরের আয়তন বাড়ছে।
• জলনিকাশী ব্যবস্থার সমস্যা- শহরবাসী মানুষেরা দৈনন্দিন জীবনে উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে, অন্যদিকে আবার শহরের নোংরা আর্বজনা সমস্ত কিছু শহরের নিকটবর্তী জলাশয় নদীতে গিয়ে পড়ে এবং জলদূষন ঘটায়। আর দীর্ঘদিন এই দূষিত জল ব্যবহারের ফলে শহরের মানুষজন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে যা বর্তমানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
• শহরমুখী প্রবণতা- আর্কষনীয় জীবনযাত্রাই হোক বা জীবিকা যে কোনো কিছুর বিনিময়ে শহরমুখী জনস্রোত বেড়েই চলেছে, যারফলে অনেক সংখ্যক মানুষকে খুব কম জায়গার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষা, পরিবহণ, স্বাস্থ্য সব বিষয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।