মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন এবং উত্তর

  || মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন এবং উত্তর ||

Madhyamik 2020 Life Science Question Paper Solved

 

দশম শ্রেণীর পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য  Kamaleshforeducation.in -এর তরফ থেকে নিয়ে আসা হয়েছেমাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর Madhyamik 2020 Life Science Question Paper Solved 2020 । যারা আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিগত বছরের প্রশ্ন উত্তর গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তাই এই মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন এবং উত্তর থেকেও কমন আসার চান্স অনেকটাই ।  

 

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান সমাধান

Madhyamik 2020 Life Science Solution 

SOURCE-anushilan.com

বিভাগ ক

(সমস্ত প্রশ্নের উত্তর করা আবশ্যিক)

১। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যা সহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখ ।      ১✕১৫=১৫

১.১ সঠিক জোড়টি নির্বাচন করো—

(ক) গুরু মস্তিষ্ক — দেহের ভারসাম্য রক্ষা 

(খ) হাইপোথ্যালামাস– বুদ্ধি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ

(গ) লঘু মস্তিষ্ক— দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ

 (ঘ) সুষুম্নাশীর্ষক— হৃদস্পন্দন ও খাদ্য গলাধঃকরণ নিয়ন্ত্রণ

উত্তরঃ(ঘ ) সুষুম্নাশীর্ষক — হৃদস্পন্দন ও খাদ্য গলাধঃকরণ নিয়ন্ত্রণ ।

১.২  ইনসুলিন সম্পর্কিত নিচের কোন বক্তব্যটি সঠিক নয় তা শনাক্ত করো———-

(ক) রক্ত থেকে অধিকাংশ দেহ কোষে গ্লুকোজের শোষণে সাহায্য করে

(খ) যকৃত ও পেশি কোষের ভিতর গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেনেরূপান্তরিত করে

(গ) ফ্যাট ও প্রোটিনকে গ্লুকোজে  রূপান্তরে সাহায্য করে

(ঘ) প্রোটিন ও ফ্যাটের গ্লুকোজে রুপান্তরে বাধা দেয়

উত্তরঃ (গ) ফ্যাট ও প্রোটিনকে গ্লুকোজে রূপান্তরে সাহায্য করে ।

১.৩ ‘ক’ স্তম্ভের দেওয়া শব্দের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভে দেওয়া শব্দের মধ্যে সমতা বিধান করে নিচের উত্তরগুলো মধ্যে কোনটি সঠিক নির্বাচন করো———-

‘ক’ স্তম্ভ ‘খ’ স্তম্ভ
A. ফ্লেক্সন (i) কোয়াড্রিসেপস
B. এক্সটেনশন (ii) পাইরিফরমিস
C. রোটেশন (iii) বাইসেপস

(ক) A-(i)  B-(ii) C-(iii)

(খ)  A-(ii)   B-(iii)    C-(i)

(গ)  A-(iii)   B-(i)   C-(ii)

(ঘ)  A-(ii)  B-(i)    C-(iii) 

উত্তরঃ (গ)  A-(iii)   B-(i)   C-(ii)

১.৪ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ক্যারিওকাইনেসিসে নিম্নলিখিত ঘটনা দুটি কোন কোন দশায় ঘটে তা নিচের উত্তরগুলো থেকে নির্বাচন করো——–

(অ)  অপত্য ক্রোমোজোম দুটি পরস্পর থেকে তাদের নিজস্ব মেরুর দিকে সরতে থাকে

(আ) নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাস অবলুপ্ত হয়

 (ক) (অ)  প্রোফেজ    (আ)  অ্যানাফেজ

(খ)   (অ) অ্যানাফেজ   (আ) প্রোফেজ

(গ)   (অ)টেলোফেজ   (আ) মেটাফেজ

(ঘ)   (অ)  মেটাফেজ    (আ)  টেলোফেজ

উত্তরঃ (খ)   (অ) অ্যানাফেজ   (আ) প্রোফেজ ।

১.৫ নিম্নলিখিত কোনটি ইতর পরাগযোগ এর বৈশিষ্ট্য তা নির্বাচন কর—-

(ক)  একই গাছের একটি ফুলের মধ্যেই ঘটে

(খ) বাহকের প্রয়োজন হয়না

(গ)  নতুন বৈশিষ্ট্য সঞ্চার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে

(ঘ)  পরাগরেণুর অপচয় বেশি হয়

উত্তরঃ  (ঘ) পরাগরেণুর অপচয় বেশি হয় ।

 

১.৬ মানবদেহের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের সদ্য সৃষ্ট অপত্য কোষের প্রতিটি ক্রোমোজোম কটি DNA অনুর কুণ্ডলীকৃত হয়ে গঠিত হয় তা স্থির করো——

(ক)  46

(খ) 1

(গ) 23

(ঘ) অসংখ্য

উত্তরঃ (ক)  46

১.৭ কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগের জিনোটাইপ শনাক্ত করো——

(ক) BbRr ,        BBRr

(খ) BBrr  ,         Bbrr

(গ) bbRR  ,       bbRr

(ঘ) bbrr  ,          bbRr

উত্তরঃ (ক) BbRr ,    BBRr

 ১.৮ নিচের কোন দুটিকে মেন্ডেল  প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন তা স্থির করো—-

(ক) ফুলের বর্ণ — বেগুনি ,ফুলের অবস্থান –কাক্ষিক

(খ)  কান্ডের দৈর্ঘ্য —খর্ব  ,  পরিণত বীজের আকার —কুঞ্চিত

(গ) পরিণত বীজের আকার—- গোল,   বীজের বর্ণ—হলুদ

(ঘ)  ফুলের অবস্থান—- কাক্ষিক ,কান্ডের দৈর্ঘ্য—-লম্বা

উত্তরঃ (খ)  কান্ডের দৈর্ঘ্য —খর্ব  ,  পরিণত বীজের আকার —কুঞ্চিত ।

১.৯  হিমোফিলিক পুত্র ও স্বাভাবিক কন্যা হয়েছে রয়েছে এমন পিতা-মাতার সম্ভাব্য জিনোটাইপ কী কী হতে পারে তা নিচের গুলো থেকে নির্ধারণ করো——-

(ক) H || h , h |↾ 

(খ) H || H , H |↾ 

(গ) H||H , h |↾ 

(ঘ) H || h , H | ↾ 

উত্তরঃ (ঘ) H || h , H |↾ 

১.১০ আমাদের দেশে পার্থেনিয়াম একটি বহিরাগত প্রজাতি।এটি যেখানে জন্মায় সেখানে অনেক দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ বাঁচতে পারে না । এটি ডারউইনের তত্ত্বের একটি প্রতিপাদ্য প্রতিষ্ঠিত করে ।প্রতিপাদ্য টি শনাক্ত কর ———

(ক)  অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম

(খ)  আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম

(গ) পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম

(ঘ) নতুন প্রজাতির উৎপত্তি

উত্তরঃ (খ)  আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম ।

১.১১  মিলার ও উরে তাঁদের পরীক্ষায় প্রাণ সৃষ্টির কতগুলো প্রাথমিক উপাদান সংশ্লেষ করতে সক্ষম হন । সেগুলোর মধ্যে কোনগুলো অ্যামাইনো অ্যাসিড ছিল তার শনাক্ত কর ——-

(ক) ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যাসিটিক অ্যাসিড

(খ) ইউরিয়া , অ্যাডেনিন  

(গ) গ্লাইসিন , অ্যালানিন

(ঘ) ফরমিক অ্যাসিড , অ্যাসিটিক অ্যাসিড

উত্তরঃ (গ) গ্লাইসিন , অ্যালানিন ।

১.১২  নিচের কোন প্রয়োজনের জন্য মৌমাছিওয়াগল নৃত্য করে তা স্থির করো—–

(ক) প্রজনন সঙ্গী খোঁজা

(খ) অন্যান্য শ্রমিক মউমাছিদের মৌচাক থেকে খাদ্যের উৎস অভিমুখ ও দূরত্ব জানানো

(গ)  নতুন মৌচাকের স্থান নির্বাচন করা

(ঘ) সম্ভাব্য শত্রুর আক্রমণ এড়ানো

উত্তরঃ (খ) অন্যান্য শ্রমিক মউমাছিদের মৌচাক থেকে খাদ্যের উৎস অভিমুখ ও দূরত্ব জানানো ।

১.১৩  নিচের কোনটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য তার শনাক্ত কর ——

(ক) বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের সাথে স্থানীয় মানুষ ও অন্যান্য জীব সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ করা হয়

(খ) জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর অন্তর্ভুক্ত নয়

(গ) বাস্তু তন্ত্র সংরক্ষণে  স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণ অনুমোদিত নয়

(ঘ) এর আকার সাধারণত একটি অভয়ারণ্যের থেকে ছোট হয়

উত্তরঃ (ক) বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের সাথে স্থানীয় মানুষ ও অন্যান্য জীব সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ করা হয় ।

১.১৪ নিচের কোনটি জোড়াটি  সঠিক নয় তা স্থির কর—-

(ক) চোরাশিকার—- গরিলার বিপন্নতা বৃদ্ধি

(খ)  বহিরাগত প্রজাতি—- ল্যান্টানা ,তেলাপিয়া

(গ) হটস্পট নির্ধারণ—- স্থানীয় প্রজাতি ও বিপন্ন প্রজাতির সংখ্যা

(ঘ) গ্রীন হাউস গ্যাস—- ইউট্রোফিকেশন

উত্তরঃ (ঘ) গ্রীন হাউস গ্যাস—- ইউট্রোফিকেশন ।

১.১৫ নিম্নলিখিত ব্যাঘ্র  প্রকল্পগুলোর মধ্যে কোনটি আমাদের রাজ্যে অবস্থিত তা স্থির কর——-

(ক) বন্দিপুর

(খ) সিমলিপাল

(গ)  সুন্দরবন

(ঘ) কানহা

উত্তরঃ (গ)  সুন্দরবন ।

 

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান সমাধান

Madhyamik 2020 Life Science Solution 

বিভাগ খ

২।  নিচের ২৬ টি প্রশ্ন থেকে ২১ টি প্রশ্নের উত্তর নির্দেশ অনুসারে লেখঃ   (১✕২১)=২১

নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানগুলোতে উপযুক্ত শব্দ বসাও ( যেকোনো পাঁচটি) ঃ       (১✕৫=৫)    

২.১ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু লজ্জাবতী এবং বনচাঁড়াল উদ্ভিদের বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা পাঠিয়ে উদ্ভিদ-এরসংবেদনশীলতা ধর্মটি প্রমাণ করেন ।

২.২ মানুষের মধ্যে যদি মিয়োসিস এর পরিবর্তে মাইটোসিস দ্বারা গ্যামেট উৎপন্ন হতো, তবে অপত্য সন্তানের একটি দেহকোষে অটোজোম সংখ্যা হত ৮৮ টি ।

২.৩ মানুষের পপুলেশনে ‘X’ ক্রোমোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন জিন ঘটিত একটি রোগ হল হিমোফিলিয়া

Madhyamik 2020 Life Science Solution

২.৪ আধুনিক ঘোড়ার খুর হল তাদের পূর্বপুরুষের  নম্বর আঙ্গুলের রূপান্তর ।

২.৫ নাইট্রোজেন চক্রের নাইট্রিফিকেশন পর্যায়ে অ্যামোনিয়া কতগুলো ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নাইট্রাইট এবং নাইট্রেটে  রূপান্তরিত হয় ।

২.৬  বাজারে বহুল বিকৃত বোতলজাত ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুত করতেভৌম জলের প্রচুর অপচয় ঘটে ।

নিচের বাক্যগুলো সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো (যেকোনো পাঁচটি)ঃ   ১✕৫=৫

 ২.৭  ট্রপিক চলন হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি জনিত চলন ।

উত্তরঃ সত্য ।

২.৮ মাইটোসিস কোষ বিভাজনে ক্রসিং ওভার ঘটে ।

উত্তরঃ মিথ্যা ।

২.৯ মেন্ডেল তাঁর  বংশগতি সংক্রান্ত পরীক্ষাগুলোর বর্ণনায়  জিন শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন ।

উত্তরঃ মিথ্যা ।

২.১০ বাষ্পমোচন এর হার হ্রাস করার জন্য ক্যাকটাসের পাতা কাটায় রূপান্তরিত হয়েছে ।

উত্তরঃ সত্য ।

২.১১ পূর্ব হিমালয় হটস্পটে সংরক্ষিত একটি বিপন্ন উদ্ভিদ হল রডোডেনড্রন ।

উত্তরঃ সত্য ।

২.১২ কোরয়েড লেন্সের বক্রতা ও আকারের পরিবর্তন ঘটিয়ে চোখের উপযোজনে  সাহায্য করে ।

উত্তরঃ মিথ্যা ।

 

A-স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B –স্তম্ভে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নম্বর উল্লেখ সহ সঠিক জোড় টি পুনরায় লেখ ।(যে কোনো পাঁচটি )ঃ                                                                                            ১✕৫=৫

A স্তম্ভ B স্তম্ভ
২.১৩ জিব্বেরেলিন
২.১৪ শাখা কলম
২.১৫  কুঞ্চিত ও হলুদ বর্ণের বীজ যুক্ত মটর গাছের জিনোটাইপ২.১৬ সমসংস্থ অঙ্গ
২.১৭ জলাভূমি
২.১৮ থাইমিন ও ইউরাসিল
(ক) rrYY
(খ) ভূগর্ভস্থ জলের পূনর্নবীকরন
(গ) পিরিমিডিন ক্ষারক
(ঘ) মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে
(ঙ) গঠন এক কিন্তু কাজ ভিন্ন
(চ) RRYy
(ছ) গোলাপ

উত্তরঃ

A স্তম্ভ B স্তম্ভ
২.১৩ জিব্বেরেলিন
২.১৪ শাখা কলম
২.১৫  কুঞ্চিত ও হলুদ বর্ণের বীজ যুক্ত মটর গাছের জিনোটাইপ
২.১৬ সমসংস্থ অঙ্গ
২.১৭ জলাভূমি
২.১৮ থাইমিন ও ইউরাসিল
(ঘ) মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে
(ছ) গোলাপ
(ক) rrYY  
(ঙ) গঠন এক কিন্তু কাজ ভিন্ন
(খ) ভূগর্ভস্থ জলের পূনর্নবীকরন
(গ) পিরিমিডিন ক্ষারক  

 

একটি  শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও(যে কোন ছটি)ঃ   ১✕৬ = ৬

২.১৯বিসদৃশশব্দটিবেছেলেখঃ

গুরুমস্তিস্ক,  হাইপোথ্যালামাস,  পনস, থ্যালামাস

উত্তরঃ  পনস ।

২.২০সোয়ানকোশকোথায়থাকে ?

উত্তরঃ  নিউরোন এর অ্যাক্সনের  মায়োলিন সিদ ও নিউরিলেমা এর মাঝে থাকে ।

২.২১নীচেসম্পর্কযুক্তএকটিশব্দজোড়দেওয়াআছে।প্রথমজোড়টিরসম্পর্কবুঝেদ্বিতীয়জোড়টিরশূণ্যস্থানএউপযুক্তশব্দবসাওঃ

মাইটোসিসঃভ্রূণমূলঃঃমিয়োসিসঃ………

উত্তরঃ  জনন মাতৃকোশ ।

২.২২মেন্ডেলতারদ্বিসংকরজননপরীক্ষাথেকেকোনসূত্রেউপনীতহয়েছিলেন?

উত্তরঃ  স্বাধীন বিন্যাসের সূত্র। 

২.২৩সুস্থমানুষেরমধ্যেদেখাযায়, এমনএকটিবংশাণুক্রমিকভাবেসঞ্চারিতপ্রকরণেরউদাহরণদাও।

উত্তরঃ  মুক্ত ও সংযুক্ত কানের লতি।

২.২৪শিম্পাঞ্জিরাকীভাবেশক্তখোলাভেঙেবাদামখায়?

উত্তরঃ শিম্পাঞ্জিরা পাথরের একটি শক্ত পাটাতনকে নেহাই হিসেবে ব্যবহার করে তার ওপর বাদাম রাখে, এরপর একটি গাছের ডাল হাতুড়ির মতো ব্যবহার করে সেটা দিয়ে বাদামের খোলা ভাঙ্গে।

২.২৫নিচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি বিষয়ের অন্তর্গত।

সেই বিষয়টি খুঁজে বার করো এবং লেখ ঃSPM, বায়ুদূষণ, গ্রিন হাউস গ্যাস, ফুসফুসেররোগ ।

উত্তরঃ  বায়ুদূষণ

২.২৬স্থানীয় মানুষ ও বনদপ্তরযৌথভাবে জঙ্গল পুনরুদ্ধারের জন্য যে ব্যবস্থাঅনুসরণ করে তার  নাম লেখ।

উত্তরঃ  JFM ( জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট) ।

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান সমাধান

Madhyamik 2020 Life Science Solution

বিভাগ – ‘গ’

৩. নিচের ১৭ টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১২ টি প্রশ্নের উত্তর দুই – তিন বাক্যে লেখ ।  (২✕১২)=২৪

৩.১নিম্নলিখিত বিষয়ে হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের পার্থক্য নিরূপণ করো —-

  • কাজের প্রকৃতি
  • কাজের গতি
  • কাজের স্থায়িত্ব
  • পরিণতি

উত্তরঃ

বিষয়     হরমোন       স্নায়ুতন্ত্র
কাজের প্রকৃতি রাসায়নিক সমন্বয়কারী ভৌত সমন্বয়কারী
কাজের গতি   মন্থর দ্রুত
কাজের স্থায়িত্ব স্থায়ী                         অস্থায়ী
পরিণতি      বিনষ্ট হয়      বিনষ্ট হয়না

৩.২. কোন একজন মানুষ ‘দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেলেও কাচের জিনিস ভালোভাবে দেখতে পান না ‘—- এরকম সমস্যার কারণ ও প্রতিকার কি কি হতে পারে তা অনুমান করে লেখ ।

উত্তরঃ 

কারণ – এক্ষেত্রে অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হয় । এর ফলে বস্তু থেকে আগত আলোকরশ্মি রেটিনার পিছনে প্রতিবিম্ব গঠন করে।  রেটিনার ওপরে ঐ বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। ফলে দূরের বস্তু স্পষ্ট দেখা গেলেও কাছের বস্তুর অস্পষ্ট হয়ে যায়।

প্রতিকার – উত্তল কৃত্রিম লেন্সের প্লাস (+)পাওয়ার যুক্ত চশমা ব্যবহারের মাধ্যমে রেটিনার পিছনে গঠিত প্রতিবিম্ব কে সঠিক অবস্থানে আনা যায় এবং এই ত্রুটি দূর করা যায়।

 

৩.৩কৃষির ফলন বৃদ্ধি ও আগাছা সমস্যা সমাধানে সংশ্লেষিত উদ্ভিদ হরমোনের একটি করে ভূমিকা বিশ্লেষণ করো

উত্তরঃকৃষির ফলন বৃদ্ধি – অধিক পরিমাণ ফলন উৎপাদন ও  বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম জিব্বেরেলিন হরমোন প্রয়োগ করা হয়।

আগাছা সমস্যা সমাধান – কৃষিক্ষেত্রে জন্মানো আগাছা মাটি থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে একদিকে যেমন মাটির উর্বরতা হ্রাস করে অপরদিকে ফসলের মধ্যে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে ফলন কমায়। তাই কৃত্রিম অক্সিন হরমোন প্রয়োগ করে কৃষি ক্ষেত্রকে আগাছা মুক্ত করা হয়। 

৩.৪ LH ও ICSH মানবদেহে জননগ্রন্থির হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে’ —বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো

উত্তরঃ LH:   ১. স্ত্রীদেহে ডিম্বাণু নিঃসরণে ও পরিণত ডিম্বথলি থেকে পীতগ্রন্থি সৃষ্টিতে সাহায্য করে।  ২. মহিলাদের পীতগ্রন্থি থেকে প্রোজেস্টেরন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে।

ICSH: পুরুষ দেহে শুক্রাশয় এর ইন্টারস্টিশিয়াল কোশ বা লেডিগ বর্ণিত আন্তর কোশ থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ কে উদ্দীপিত করে।

৩.৫বেম তন্তু গঠন ও সাইটোকাইনেসিস পদ্ধতি— এই দুটি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তুমি কিভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণী কোশে মাইটোসিস এর পার্থক্য নিরূপণ করবে?

উত্তরঃ 

বিষয় উদ্ভিদ কোশের মাইটোসিস প্রাণী কোশের মাইটোসিস
বেম তন্তু গঠন মূলত কোশীয় কঙ্কাল যেমন অনুনালিকা থেকে বেমতন্তু গঠিত হয় সেন্ট্রিওল থেকে বেম তন্তু গঠিত হয়  
সাইটোকাইনেসিস পদ্ধতি ফ্র‍্যাগমোপ্লাস্ট ও কোশ পাত গঠনের দ্বারা এই পদ্ধতি ঘটে থাকে ক্লিভেজ বা খাঁজ  বা ফারোয়িং – এর মাধ্যমে এই পদ্ধতি ঘটে থাকে।  

 

৩.৬কোশচক্রে নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হওয়ার সঙ্গে মানবদেহে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার সৃষ্টি হওয়ার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করো ।

উত্তরঃ কোশ চক্রের কতকগুলি নির্দিষ্ট বিন্দুতে কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রিত হয়। কোশচক্রের নিয়ন্ত্রণ বিন্দুগুলি বিনষ্ট হলে কোশ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন দ্বারা টিউমার সৃষ্টি হয়।  টিউমার দুই প্রকার হয়।  যেমন বিনাইন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। বিনাইন টিউমার গুলি দেহের পক্ষে ক্ষতিকর নয় তবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের কোশগুলি পার্শ্ববর্তী কোশের সঙ্গে সংলগ্ন না থেকে  রক্ত বা লসিকা দ্বারা বাহিত হয় ও অপর স্থানে গিয়ে পুনরায় টিউমার তৈরি করে ।

৩.৭ ‘অস্থানিক পত্রজ মুকুল উদ্ভিদের প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তারেউল্ল্যেখযোগ্যভূমিকা গ্রহণ করে‘—- একটি উপযুক্ত উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো ।

উত্তরঃ  কিছু কিছু উদ্ভিদের ক্ষেত্রে যেমন—পাথরকুচি, বিগোনিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কিনারা থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়।একে পত্রাশ্রয়ী মুকুল বলে। এই পত্রাশ্রয়ী মুকুলের নিচের দিক থেকে আবার প্রচুর অস্থানিক মূল বের হয়।  পরে মূল সহ প্রতিটি পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে অনুকূল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়।

 

৩.৮বাবা ও মায়ের মধ্যে অপত্যের লিঙ্গ নির্ধারণে কার গুরুত্ব বেশি তা একটি ক্রশেরমাধ্যমে দেখাও।

উত্তরঃ  মানব সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে মা এর ক্রোমোজোমগত ভূমিকা থাকে না কারণ মা কেবলমাত্র এক প্রকার গ্যামেট (X ক্রোমোজোম যুক্ত)  উৎপাদন করতে পারেন।  পিতার কোশ দুই প্রকার যৌন ক্রোমোজোম অবস্থিত এবং তিনি দুই প্রকার গ্যামেট (X অথবা Y ক্রোমোজোম যুক্ত)  উৎপাদনে সক্ষম।  অর্থাৎ X এবং Y ক্রোমোজোম দান এর মাধ্যমে লিঙ্গ নির্ধারনে পিতার ক্রোমোজোমগত ভূমিকাই প্রধান।

 

৩.৯‘ভিন্ন ভিন্ন জিনোটাইপ একই ফিনোটাইপ উৎপন্ন করে‘— মটর গাছের দ্বিসংকর জননের পরীক্ষার ফলাফলের একটি উদাহরণ নিয়ে সারণীর সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করো ।

উত্তরঃ

জিনোটাইপ ফিনোটাইপ
YYRR                      হলদে-গোল
YYRr
YyRR
YyRr

এক্ষেত্রে মটর গাছের দ্বিসঙ্কর জননের ফলাফলে  YYRR,YYRr, YyRR,YyRr এই চারটি জিনোটাইপ একটি ফিনোটাইপ ‘হলদে গোল’ কে নির্দেশ করে । সুতরাং ‘ভিন্ন ভিন্ন জিনোটাইপ একই ফিনোটাইপ উৎপন্ন করে’ বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণিত হল ।

 

৩.১০সমাজ থেকে তোমার জানা একটি জিনগত রোগের বিস্তার রোধ করতে বিয়ের আগেহবু নবদম্পতিকে কি কি পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে তোমার মতামত জানাও ।

উত্তরঃ সমাজ থেকে আমার জানা একটি জিনগত রোগ হল থ্যালাসিমিয়া । এই থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার রোধ করতে বিয়ের আগে হবু দম্পতিকে যা যা পরামর্শ দেয়া যেতে পারে তা হল —

১. প্রথমে হবু নবদম্পতিকে তাদের  বিভিন্ন বংশগত রোগের পারিবারিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করার জন্য বলা হবে।

২. এরপর তাদের জিনগত পরীক্ষা করে তারা থ্যালাসেমিয়া বা অন্য কোন জিনঘটিত রোগে আক্রান্ত কিনা বা কোন জিনঘটিত রোগের বাহক কিনা তা নির্ণয়ের জন্য বলা।

৩.সন্তান ধারণের সময় মাতা ও পিতার বয়স যাতে বেশি না হয় সেই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া। ৪.যদি থ্যালাসেমিয়া বা কোনো জিনঘটিত রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে রোগটির প্রকৃতি ও সন্তান গ্রহণের সমস্যা ও সন্তানের মধ্যে রোগের সম্ভাবনা এবং তীব্রতা নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসকের কাছে জেনেটিক কাউন্সেলিং এর জন্য পরামর্শ দেওয়া।

৩.১১  প্রাকৃতিক ভাবে শুধু বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ আছে , এমন একটি পুকুরে বেশকিছু তিলাপিয়া মাছ ছাড়া হল ।বেঁচে থাকতে গেলে ওই তিলাপিয়াদের যে যে ধরনের জীবন সংগ্রাম করতে হবে তা ভেবে লেখ ।

উত্তরঃ তিলাপিয়া মাছদের ওই পুকুরে বেঁচে থাকতে গেলে তাদের উপযুক্ত আহার , বাসস্থান এবং প্রজননের জন্য নিজেদের প্রজাতির বিভিন্ন সদস্যের মধ্যে অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম এবং ওই বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছেদের সঙ্গে আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম করতে হবে । এরকম প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের অস্তিস্ত্ব বজায় রাখার জন্য এভাবে তাদের জীবন সংগ্রাম কতে হবে ।  

 

৩.১২. বাতাসে ওড়ার জন্য পায়রার বায়ুথলি যে ভূমিকা পালন করে তার তালিকা তৈরি করো।

উত্তরঃবাতাসে ওড়ার জন্য পায়রার বায়ুথলির ভূমিকা ঃ

১. পায়রার দেহের ওজন হ্রাস করে।

২. দেহের ভারসাম্য ও ভরকেন্দ্র সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ  করে।

৩.দ্বি-শ্বসন ঘটায়।

৪. বায়ুথলি এর জন্য মৃত্তিকা  স্তরের বেশি অক্সিজেন যুক্ত বাতাস দেহের মধ্যে সঞ্চিত হয়, ফলে বাতাসের উচ্চস্তরে ওড়ার সময় শ্বাসকার্যের সুবিধা হয়।

 

৩.১৩

  • গঠন ও কাজ
  • বিবর্তনের ধরন নির্দেশক

উপরোক্ত দুটি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সমবৃত্তীয় অঙ্গের ধারণাটি উপযুক্ত উদাহরণ সহ প্রতিষ্ঠা করো।

উত্তরঃ  যেসব অঙ্গ উৎপত্তি ও গঠনগত দিক থেকে ভিন্ন হলেও কার্যগত দিক থেকে এক, তাদের সমবৃত্তীয় অঙ্গ বলা হয়।

গঠন ও কাজ ঃ   পতঙ্গ ও পাখির ডানা ওড়ার জন্য ব্যবহৃত হলেও এদের উৎপত্তি ও গঠনগত দিক থেকে কোন সাদৃশ্য নেই।  পতঙ্গের ডানা কিউটিকল বা বহিঃ-কঙ্কালের প্রসারিত অংশ, অন্যদিকে পাখির ডানা পালক আবৃত অগ্রপদ বিশেষ।

মটর গাছের পাতার আকর্ষ ও ঝুমকোলতার কান্ডের আকর্ষ একই রকম কাজ করলেও এরা উৎপত্তি ও গঠনগতভাবে ভিন্ন।  মটর গাছের আকর্ষ রূপান্তরিত পাতা ও ঝুমকোলতার আকর্ষ হল রূপান্তরিত শাখা।

বিবর্তনের ধরন নির্দেশক ঃ উপরোক্ত উদাহরণ গুলি থেকে বোঝা যায় যে,  নানা রকম জীব একই পরিবেশে একইরকমভাবে অভিযোজিত হয় ও তার ফলে তাদের মধ্যে আপাত কার্যগত মিল সৃষ্টি হয়।  সমবৃত্তীয় অঙ্গ অভিসারী বিবর্তন কে প্রমাণ করে।

 

৩.১৪. মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপ এর ফলে নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হওয়ার সঙ্গে নিম্নলিখিত ঘটনাগুলো সম্পর্ক স্থাপন করো ——

  • বিশ্ব উষ্ণায়ন
  • নদী এবং হ্রদেরমাটি ও জলের অম্লীকরণ

উত্তরঃ-মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপ এর ফলে নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হওয়ার ফলে নাইট্রাস অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড গুলির পরিমাণ অধিকমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্বউষ্ণায়নঃ নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাসটি তাপশোষী গ্রীনহাউস গ্যাস বা সূর্য  এর প্রতিফলনে সৃষ্ট অবলোহিত আলো বা উত্তাপ শোষন করে গ্রিনহাউস প্রভাব তথা বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটায়।

নদী এবং হ্রদের  মাটি ও জলের অম্লীকরণ ঃ নাইট্রোজেনের অক্সাইড গুলি বৃষ্টির জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় নাইট্রিক এ্যসিড উৎপন্ন করে যা, অম্ল বৃষ্টির অন্যতম উপাদান। এই অম্লবৃষ্টি জলজ জীব ও উদ্ভিদ ধ্বংস করে এবং নদী এবং হ্রদের  মাটি ও  জল আম্লিক করে সেখানের বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে ।

 

৩.১৫. ইলিশ,  মৌমাছি, পেঙ্গুইন, সর্পগন্ধা —

উপরোক্ত জীব গুলোর বিপন্নতার কারন কি কি হতে পারে তা নির্ধারণ করো ।

উত্তরঃ  ইলিশ এর  বিপন্নতার কারন হল—- (i) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া । (ii) উপযুক্ত প্রজনন স্থলের অভাব ।

মৌমাছি বিপন্নতার কারন হল —— (i) উপযুক্ত প্রজনন স্থলের অভাব । (ii) বিভিন্ন দূষণ বিশেষ করে শব্দদূষণ ।

পেঙ্গুইন বিপন্নতার কারন হল—- (i) তাপমাত্রার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বরফ গলে যাচ্ছে ফলে  তাদের উপযুক্ত বাসস্থানের অভাব হচ্ছে ।

সর্পগন্ধা বিপন্নতার কারন হল—-(i)  অতি ব্যাবহারের ফল (ii) মৃত্তিকা দূষণ।

 

৩.১৬স্থানীয়জীববৈচিত্র্যসংরক্ষণেপিপলসবায়োডাইভারসিটিরেজিস্টার (PBR) –এরযেকোনোদুটিভূমিকাআলোচনাকর।

উত্তরঃ (i) PBR স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে সঠিক ধারনা দেয় , যার উপর ভিত্তি করে বিপন্ন জীব গুলির সংরক্ষনের ব্যাবস্থা নেওয়া হয় ।

(ii) স্থানীয় মানুষ কে জীববৈচিত্র্য-এর সংরক্ষনের ব্যাপারে সজাগ করে সংরক্ষণে অংশীদার করতে সাহায্য করে ।

৩.১৭বন্যপ্রানীআইনঅনুসারেঅভয়্যারন্যেযেযেকাজনিষিদ্ধতারযেকোনোচারটিতালিকাভুক্তকর।

উত্তরঃ  অভয়ারণ্যে  যে যে কাজ নিষিদ্ধ সেগুলি হল ——-

(i) অভয়ারণ্যে বন্য প্রানী শিকার রাজ্য সরকার কর্তৃক  আইন প্রনয়নের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয় ।

(ii) বন্য উদ্ভিদ কাটা নিষিদ্ধ

(iii) সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ

(iv) বন্য প্রানী দের স্বাধীন জীবন যাত্রায় বাধা প্রয়োগ করা নিষিদ্ধ

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান সমাধান

Madhyamik 2020 Life Science Solution

বিভাগ –ঘ

৪। নিচের ৬ টি প্রশ্ন বা তার বিকল্প প্রশ্নের উত্তর লেখ ।  ৫✕৬=৩০

৪.১মানুষের চোখের অক্ষিগোলকের লম্বচ্ছেদের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অংকন করো

এবং নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো ঃ          ৩+২=৫

(ক) কোরয়েড (খ) অপটিক স্নায়ু  (গ) আইরিশ (ঘ) পীতবিন্দু

উত্তরঃ

Madhyamik 2020 Life Science Solution

 

অথবা

একটি প্রাণী কোষের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মেটাফেজ দশার পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো ঃ      ৩+২=৫

(ক) ক্রোমাটিড (খ) সেন্ট্রোমিয়ার (গ) মেরু অঞ্চল (ঘ) বেম তন্তু।

উত্তরঃ

 

৪.২নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রাণীদের মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো ঃ

  • সম্পাদনের স্থান
  • ক্রোমোজোম বিভাজন এর প্রকৃতি
  • উৎপন্ন কোষের সংখ্যা

মানব বিকাশের বার্ধক্য দশায় জ্ঞানেন্দ্রিয় ও অস্থির কি কি পরিবর্তন হয় তা তালিকাবদ্ধ করো                                                                                                          ৩+২=৫

উত্তরঃ

বিষয় মাইটোসিস মিয়োসিস
সম্পাদনের স্থান   দেহ কোশ এবং সাধারণ সংখ্যা বৃদ্ধির সময়ে জনন কোশে মাইটোসিস ঘটে । জনন মাতৃ কোশ থেকে জনন  কোশ বা গ্যামেট সৃষ্টির সময়ে ঘটে ।
ক্রোমোজোম বিভাজন এর প্রকৃতি   এটি সম বিভাজন অর্থাৎ উৎপন্ন অপত্য কোশ দুটিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা জনিতৃ কোশের সমান (2n) থাকে । এটি হ্রাস বিভাজন অর্থাৎ উৎপন্ন চারটি অপত্য কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃ কোশের অর্ধেক হয়ে যায় (2n) ।
উৎপন্ন কোষের সংখ্যা   একটি জনিতৃ কোশ থেকে একবার বিভাজন দ্বারা দুটি অপত্য কোশ উৎপন্ন হয় । জনিতৃ কোশ থেকে দুইবার বিভাজন দ্বারা চারটি অপত্য কোশ উৎপন্ন হয় ।

দ্বিতীয় অংশ: 60 বছর বয়সের পরবর্তী সময় কালকে অন্তিম পরিণতি দশা বা বার্ধক্য দশা বলা হয়।

মানব বিকাশের এই বার্ধক্য দশায় জ্ঞানেন্দ্রিয় ও অস্থির কিছু পরিবর্তন হয় —

১. ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি ক্রমশ হ্রাস পায়, ত্বক কুঞ্চিত হয়।

২. অস্থি ও অস্থিসন্ধি ক্ষয় হয়, ফলে এই সময় অস্থি জনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।

 

অথবা

একটি ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের নিম্নলিখিত অংশগুলোর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ঃ

  • সেন্ট্রোমিয়ার
  • টেলোমিয়ার

জীবের বৃদ্ধি, প্রজনন ও ক্ষয় পূরণ কিভাবে কোষ বিভাজন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তা বিশ্লেষণ করো ।                                                                                         ২+৩ =৫

উত্তরঃসেন্ট্রোমিয়ার ঃক্রোমোজোমের ক্রোমাটিড দুটিকে পরস্পর যুক্ত রাখে ও কোষ বিভাজন কালে ক্রোমোজোমকে বেমতন্তু এর সঙ্গে যুক্ত রাখে।

টেলোমিয়ার ঃ কোষের অবিভাজন দশায় DNA প্রতিলিপিকরণ এর সাহায্য করে । এছাড়া নিকটবর্তী দুটি ক্রোমোজোমের প্রান্ত  জুড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং প্রয়োজনমতো কোষের বার্ধক্য ও মৃত্যু ঘটায় ।

কোষ বিভাজন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ —-

জীবের বৃদ্ধি ঃ কোষ বিভাজনের ফলে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় । উৎপন্ন কোষগুলি আবার আকারে বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ জীব দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কোষ বিভাজন এর উপরেই নির্ভর করে ।  

প্রজনন ঃ মাইটোসিস,  অ্যামাইটোসিস ও মিয়োসিস কোশ বিভাজন বিভিন্ন প্রকার জননে সহায়তা করে। যেমন –

মিয়োসিস কোশ বিভাজনের মাধ্যমে গ্যামেট এবং রেনু উৎপন্ন হয় যা , যথাক্রমে  যৌন ও অযৌন জননের  এর একক । মাইটোসিস, অযৌন জনন ও অংগজ জননের মাধ্যমে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । অ্যামিবা অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে প্রজনন সম্পন্ন করে।

ক্ষয়পূরণ ঃজীবের ক্ষতস্থান নিরাময়, অংগের পুনরুতপত্তি মূলত মাইটোসিস

কোশ বিভাজনের ফলেই ঘটে থাকে।

 

৪.৩মেন্ডেল দ্বারা নির্বাচিত মটরগাছেরতিনজোড়াপ্রকট-প্রচ্ছন্নগুনসারনিরসাহায্যেলেখ ।একসংকরজননপরীক্ষাথেকেপ্রাপ্তমেন্ডেলেরপ্রথমসূত্রটিবিবৃতকর ।                                                                                                        ৩+২=৫

উত্তরঃ-মেন্ডেল দ্বারা নির্বাচিত মটরগাছেরতিনজোড়াপ্রকট-প্রচ্ছন্নগুনসারনিঃ

গুণ প্রকট প্রছন্ন
গাছের দৈর্ঘ্য লম্বা বেঁটে
ফলের রঙ সবুজ হলদে
বীজের আকৃতি গোল কুঞ্চিত

দ্বিতীয় অংশঃ মটর গাছের একসংকর জনন পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে মেন্ডেল যে দুটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন তাদের মধ্যে প্রথম সূত্রটি হল পৃথকী ভবন এর সূত্র ।

পৃথকী ভবন এর সূত্র – কোন জীবের একটি চরিত্রের অন্তর্গত এক জোড়া বিপরীত ধর্মি বৈশিষ্ট্য  একটি জনু (জনিতৃ জনু) থেকে অপর  একটি জনুতে (অপত্য জনু) সঞ্চারিত হওয়ার সময়ে একত্রিত হলেও বৈশিষ্ট গুলি কখনোই মিশ্রিত হয় না বরং গ্যামেট উৎপাদন এর সময় বিপরীত ধর্মী বৈশিষ্ট্য গুলি পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায় ।

 

অথবা

একজন বর্ণান্ধ মহিলা, একজন স্বাভাবিক পুরুষকে  বিবাহ করলেন । প্রথম অপত্য বংশে তাদের সন্তানদের মধ্যে বর্ণান্ধতার সম্ভাবনা বিচার করো । সন্ধ্যা মালতী ফুলের ক্ষেত্রে F2 জনুতে মেন্ডেলের বংশগতি সংক্রান্ত প্রথম সূত্রের বিচ্যুতি কিভাবে প্রকাশিত হয় তা একটি ক্রসের মাধ্যমে দেখাও ।                                                                                                                                                                                                                     ৩+২=৫            

উত্তরঃ

এক্ষেত্রে প্রথম অপত্য বংশে সন্তানদের মধ্যে সমস্ত কন্যারা হবে বাহক এবং সমস্ত পুত্র হবে বর্ণান্ধ । সবকটি সন্তানের মধ্যে ৫০% হবে স্বাভাবিক এবং ৫০% হবে বর্ণান্ধ ।

দ্বিতীয় অংশঃ

সন্ধ্যা মালতী ফুলের ক্ষেত্রে F2 জনুতে মেন্ডেলের বংশগতি সংক্রান্ত প্রথম সূত্রের বিচ্যুতি হয় । সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদে লাল এবং সাদা এই দুই প্রকার ফুল হয় ফুলের লাল রং, সাদা রঙের ওপর অসম্পূর্ণভাবে প্রকট । বিশুদ্ধ লাল ফুল যুক্ত (RR) সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদের সঙ্গে বিশুদ্ধ সাদা ফুল যুক্ত (rr) সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদের সংকরায়ন ঘটানো হলে প্রথম অপত্য জনুতে (F1 জনু ) উৎপন্ন উদ্ভিদ গুলির লাল বা সাদাফুল যুক্ত না হয়ে সবই গোলাপি ফুল যুক্ত হয় । এই  F1  জনুর উদ্ভিদ গুলির মধ্যে স্ব-পরাগযোগ ঘটানো হলে দ্বিতীয় অপত্য জনুতে (F2 জনু) তিন প্রকার ফিনোটাইপ (লাল ,গোলাপি ও সাদা )  ও তিনপ্রকার  জিনোটাইপ যুক্ত উদ্ভিদ উৎপন্ন হয় ।

Fজনুতে ফিনোটাইপিক  অনুপাত—- লাল:গোলাপি : সাদা = ১:২:১

এবং জিনোটাইপিক অনুপাত—-  বিশুদ্ধ লাল (RR): সঙ্কর গোলাপি (Rr): বিশুদ্ধ সাদা(rr) = ১:২:১  

 

৪.৪ প্রাণের উৎপত্তির পরে জৈব অভিব্যক্তির মুখ্য ঘটনাবলী তীরচিহ্নের সাহায্যে ক্রমানুসারে দেখাও  ৫                                                                     

উত্তরঃ অভিব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সমূহ ঃ

 

অথবা

ডারউইনের অভিব্যক্তি সংক্রান্ত তথ্যের নিম্নলিখিত তিনটি বিষয়ে আলোচনা করো ঃ

  • অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি
  • প্রকরণের উদ্ভব
  • প্রাকৃতিক নির্বাচন

জীবের আকার, শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া-কলাপ ও আচরণের পরিবর্তনইহলো অভিযোজন ‘—-যেকোনো দুটি উদাহরণ সহ বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করো ।       ৩+২ = ৫

উত্তরঃ-অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি ঃ ডারউইনের মতে জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য হলো অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করা । ডারউইন লক্ষ্য করেন জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি জ্যামিতিক হারে ঘটে থাকে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায় —- একটি স্ত্রী স্যামন মাছ একটি প্রজনন ঋতুতে প্রায় তিন কোটি ডিম পাড়ে ।

প্রকরণ ঃ ডারউইনের মতে, পৃথিবীতে যেকোনো দুটি জীব কখনোই অবিকল একই রকমের হতে পারে না, কিছু না কিছু পার্থক্য অবশ্যই থাকবে । এই পার্থক্যকেই প্রকরণ বলে ।  অনুকূল প্রকরণ জীবনসংগ্রামে জীবকে সাহায্য করে , অপরদিকে প্রতিকূল প্রকরন জীবের বিলুপ্তির কারণ হয় ।

প্রাকৃতিক নির্বাচন ঃ ডারউইনের মতে, জীবন সংগ্রামের ফলে উদ্ভূত প্রকরণ গুলির মধ্যে কিছু অনুকূল ও কিছু প্রকরণ প্রতিকূল হয় । অনুকূল প্রকরণগুলি জীবকে অভিযোজনের সহায়তা করে কিন্তু প্রতিকূল প্রকরণ গুলি অভিযোজনে সহায়তা করতে পারে না । ফলে প্রতিকূল প্রকরণ যুক্ত জীব ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয় এবং অনুকূল প্রকরণ যুক্ত জীব পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য নির্বাচিত হয় । একে যোগ্যতমের উদবর্তন বলে । প্রকৃতি উপযুক্ত উপযুক্ত জীবকে টিকে থাকার জন্য নির্বাচন করে । একে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলা হয় ।

দ্বিতীয় অংশঃ ‘জীবের আকার, শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া-কলাপ ও আচরণের পরিবর্তনইহলো অভিযোজন ‘—- বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ ঃ

জীবেরআকারঃ ১.মাছের মাকু আকৃতি জলজ অভিযোজন এর উদাহরণ ।

২. পায়রা বা পাখির মাকু আকৃতি বায়ব অভিযোজন এর উদাহরণ ।

শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া-কলাপ ঃ ১. সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল মাটির ওপরে থাকে অক্সিজেনের জন্য ।

২. উটের দেহের চামড়া পুরু হয় , ফলে জলশোষন ক্ষমতা অনেক বেশি ।

আচরণের পরিবর্তনঃ ১. শিম্পাঞ্জিরা বাদাম ভেঙ্গে খায় ,কাঠের পাটাতনের ওপর বাদাম রেখে গাছের ডাল হাতুড়ির মতো ব্যবহার করে ।

২. মৌমাছির ওয়াকল নৃত্য করে খাবারের উৎসের অভিমুখ জানতে ।

 

৪.৫ নিম্নলিখিত দূষক গুলো পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের কি কি প্রভাব ফেলে তা মূল্যায়ন করো ঃ ৫

  • অভঙ্গুর কীটনাশক
  • পরাগরেণু
  • ফসফেট ও নাইট্রেট সমৃদ্ধ রাসায়নিক সার
  • স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জীবাণু সমৃদ্ধ আবর্জনা
  • ক্লোরোফ্লোরো কার্বন

উত্তরঃঅভঙ্গুর কীটনাশক ঃজলদূষন হবে,  মাটিদূষন হবে,মানব দেহে বিভিন্নরকম রোগ হতে পারে এমনকি ক্যান্সার ও হতে পারে।

পরাগরেণুঃ বায়দূষন হবে , ফলে মানব দেহে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে ।

 ফসফেট ও নাইট্রেট সমৃদ্ধ রাসায়নিক সার ঃ মাটিদূষন হবে, জলদূষন হবে, মানব দেহে প্রোটিন সংশ্লেষ এর অভাব হবে ।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জীবাণু সমৃদ্ধ আবর্জনা ঃমাটিদূষন হবে,  জলদূষন হবে, মানব দেহে বিভিন্নরকম রোগ  দেখা দেবে ।

ক্লোরোফ্লোরো কার্বনঃ এটি একটি গ্রীনহাউস গ্যাস। বায়ুদূষণ ঘটায়।  এটি পরিবেশে বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটায় ।

 

অথবা

নিম্নলিখিত ঘটনাগুলির প্রত্যেকটির সম্ভাব্য কারন কী হতে  পারে তা অনুমান করঃ ৫

  • নিদ্রাহীনতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, আংশিক বা সম্পূর্ণ বধিরতা
  • জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস ও মরা মাছ ভেসে ওঠা
  • কুমিরের সংখ্যা হ্রাস
  • ফুসফুসের বায়ু চলাচল প্রদাহ
  • পরাগ মিলনের সাহায্যকারী পতঙ্গের হ্রাস

ত্তরঃনিদ্রাহীনতা,রক্তচাপ বৃদ্ধি, আংশিক বা সম্পূর্ণ বধিরতাঃ

নিদ্রাহীনতাঃ অতিরিক্ত শব্দদূষন, হাইপার টেনশন ।

রক্তচাপ বৃদ্ধিঃ অতিরিক্ত শব্দদূষন, হাইপার টেনশন,রেড মিট খাওয়া ।

আংশিক বা সম্পূর্ণ বধিরতাঃ শব্দদূষণ, বয়স বৃদ্ধি ।

 জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস ও মরা মাছ ভেসে ওঠা ঃ জলদূষন, BOD কমে যাওয়া, ইউট্রফিকেশন এর কারনে ।

কুমিরের সংখ্যা হ্রাসঃ চোরাশিকার, প্রতিকূল পরিবেশ, সংরক্ষণ এর অভাব ।

 ফুসফুসের বায়ু চলাচল প্রদাহ ঃ বায়ুদূষণ, CO2 ফুসফুসে গেলে,স পি এম ও পরাগ রেনু এর জন্য।

পরাগ মিলনের সাহায্যকারী পতঙ্গের হ্রাসঃ পরিবেশ দূষন এর কারনে ।

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ২০২০ জীবন বিজ্ঞান সমাধান

Madhyamik 2020 Life Science Solution 

৪.৬ ‘ভারতবর্ষের বিভিন্ন শহরে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ভূগর্ভস্থ জলের সংকট তৈরি করেছে’ ———— তোমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বক্তব্যটি যুক্তিসহ সমর্থন করো  । মানুষের বসতি বৃদ্ধি কিভাবে সুন্দরবনের বাস্তু তন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলেছে তার একটি ধারণা মানচিত্র নির্মাণ করো ।                                                                                                                                                                                                         ৩+২=৫

উত্তরঃ ১. অপরিকল্পিত ভাবে  ভূগর্ভস্থ জল তোলার ফলে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমান দিন দিন ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করেছে ।

২. জনসংখ্যা বৃদ্ধি জনিত নগরায়ন এর ফলে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে । ফলে গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমান কমে যাচ্ছে । তারফলে ভূগর্ভস্থ জল জমার পরিমান কমে যাচ্ছে ।

৩. অতিরিক্ত জল প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ জল অপচয় করছে ।

দ্বিতীয় অংশঃ মানুষের বসতি বৃদ্ধি জনিতকারনে সুন্দরবনের বাস্তু তন্ত্রের উপর প্রভাবঃ

১. মানুষের বসতি বৃদ্ধির জন্য গৃহ নির্মাণ, চাষ আবাদ, জ্বালানি কাঠের চাহিদা পূরনের জন্য সুন্দরবন এর লবনাম্বু উদ্ভিদ ধ্বংস করা হচ্ছে ।

২. অরন্য ধ্বংসের ফলে বহু বন্য প্রাণী ও কীটপতঙ্গ তাদের বাসস্থান হারাচ্ছে, ফলে সুন্দরবন এর বাস্তুতন্ত্র ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে ।

৩. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে পরিবেশ সমস্যা সুন্দরবনকে গ্রাস করছে — বহু প্রাণী অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ফলে বাস্তুতন্ত্র এর খাদ্য শৃঙ্খল এর ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে ।

 

অথবা

পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশের জলাময় ঘাস ভূমিতেই শুধু পাওয়া যায় এরকম একটি বিলুপ্তপ্রায় স্তন্যপায়ী এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য কি কি সংরক্ষণ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে তার সংক্ষিপ্তসার লেখ । নদীর বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় জীব বৈচিত্রের গুরুত্ব আলোচনা করো ।                                                                                                                                                                                                                              ৩+২=৫

উত্তরঃ পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশের জলাময় ঘাস ভূমিতেই শুধু পাওয়া যায় এরকম একটি বিলুপ্তপ্রায় স্তন্যপায়ী হল গোল্ডেনলেঙ্গুর ।

গোল্ডেনলেঙ্গুরএর  সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য যেসব সংরক্ষণ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছেতাহল—–

১. উপযুক্ত খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

২. চোরাশিকার এর হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে ।

৩. তারা যেমন  নির্বিঘ্নে প্রজননে লিপ্ত হতে পারে সেই ব্যাবস্থা করা হয়েছে ।

৪. তারা যেমন  স্বাধীন ভাবে চলাফেরার করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

৫. WWF এর সহায়তায় বনদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছে ।

দ্বিতীয় অংশঃনদীর বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় জীব বৈচিত্রের গুরুত্বঃ

১. নদীর  জলের  অধিকাংশ শৈবালই নীলাভ সবুজ ও সবুজ শৈবাল । এই শৈবাল মাছের প্রধান খাদ্য এবং খাদ্য শৃঙ্খলের মুখ্য চাবিকাঠি । এই শৈবাল খাদ্য বস্তুর প্রাথমিক উৎপাদক যা গোটা শৃঙ্খল সচল রাখার শক্তি যোগায় ।

২. জীব বৈচিত্র্য ভাল থাকলে নদীর মাছ যেমন ভাল হয় তেমনি জীবিকা নির্বাহের বিভিন্ন উপায় সৃষ্টি হয় ।

৩. সবুজ শৈবাল সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে জলজ জীবে অক্সিজেন সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহন করে ।

৪. নদীর জলে শুশুক নামক একটি জলজ স্তন্যপায়ী প্রানী থাকে যেটি জলজ জীব বৈচিত্রে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

SOURCE-anushilan.com

©kamaleshforeducation.in(2023)

error: Content is protected !!