কিছু শিক্ষনীয় গল্প যা আপনার ধারনা পালটে দিবে - বন্ধুয়া

================================================================================================================

***সুন্দর গল্পে উপদেশ***

================================================================================================================

 

রাজার স্বপ্ন এবং শব্দের শক্তি🌷*

কদা এক রাজা রাতে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন। সে দেখল তার সব দাঁত ভেঙ্গে গেছে, সামনের একটা বড় দাঁত বাকি আছে। সকাল হতে না হতেই রাজা চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং তাঁর দরবারে গিয়ে স্বপ্নের ফল জানার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। রাজার মন্ত্রীরা পরামর্শ দিলেন রাজ্যের স্বপ্ন বিশেষজ্ঞদের ডেকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হোক। রাজ্যজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, যে রাজার স্বপ্নের প্রকৃত অর্থ জানাবে তাকে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। অনেক পণ্ডিত দরবারে এলেন, কিন্তু কেউ রাজাকে সন্তুষ্ট করতে পারলেন না।
একদিন কাশীর এক পণ্ডিত দরবারে এসে রাজাকে বললেন, মহারাজ, আমি আপনার স্বপ্নের প্রকৃত অর্থ বলতে পারি।
রাজা অধীর আগ্রহে তাকে তার স্বপ্নের কথা বললেন। পণ্ডিতমশাই গভীর ভাবনার পর বললেন, মহারাজ, আপনার স্বপ্ন খুবই অশুভ, ফলে আপনার পরিবারের সকল সদস্য আপনার সামনেই মারা যাবে এবং শেষ পর্যন্ত আপনি মারা যাবেন।
এ কথা শুনে রাজা ক্ষুব্ধ হয়ে পণ্ডিতকে অবিলম্বে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরদিন এক সাধারণ লোক দরবারে এসে রাজাকে বলল, মহারাজ, আপনার স্বপ্নের কথা বলুন, আমি এর অর্থ জানার চেষ্টা করব।
রাজা আবার তার স্বপ্নের কথা বললেন।
কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর লোকটি বললো, “মহারাজা, এই স্বপ্নটি খুবই শুভ। এর অর্থ হল, ভগবান আমাদের সকলের প্রতি বিশেষ বর দিয়েছেন যে, তিনি একজন পুণ্যবান, ধার্মিক ও মানুষকে দীর্ঘায়ু দান করেছেন- তোমার মতো প্রেমময় রাজা।” রাজন, তুমি তোমার পরিবারে দীর্ঘতম জীবন পাবে। এই রাজ্যের সৌভাগ্য যে তুমি বহু বছর রাজত্ব করবে।
রাজা এই ভবিষ্যদ্বাণী শুনে খুব খুশি হলেন এবং বিশেষ সম্মানের সাথে সেই সাধারণ মানুষকে পুরস্কার হিসাবে প্রচুর ধন-সম্পদ দান করলেন।
যদিও উভয় ব্যক্তিই স্বপ্নের একই ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, প্রথম ব্যক্তিকে বন্দী করা হয়েছিল এবং বন্দী করা হয়েছিল এবং দ্বিতীয়জনকে সম্মানিত করা হয়েছিল। *কেন?*
কেননা প্রথম ব্যক্তি আলেম হওয়া সত্ত্বেও তার শব্দগুলো সঠিকভাবে বেছে নেননি এবং তার উত্তরে কঠোর ও অশুভ শব্দ ব্যবহার করেছেন।
অন্য ব্যক্তি, যিনি একজন সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন, খুব ভেবেচিন্তে তার কথাগুলো বেছে নেন এবং তার উত্তরে ইতিবাচক ও প্রাণবন্ত ভাষা ব্যবহার করেন।

 

,👉শিক্ষা*

এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে আমাদের কথাবার্তা, কথোপকথন এবং আচরণে শব্দের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সঠিক এবং সম্মানজনক শব্দ ব্যবহার আমাদের যোগাযোগে মধুরতা আনে, যা শত্রুদের হৃদয়েও ভালবাসা জাগ্রত করতে পারে। একই সাথে, ভুল এবং কঠোর শব্দ ব্যবহার আমাদের প্রিয়জনদের হৃদয়ে ঘৃণা ও দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। অতএব, সর্বদা চিন্তাশীল এবং সম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করুন।

*সদা হাসিখুশি থাকুন – যা অর্জন করাই যথেষ্ট।*
*যার মন খুশি তার সবই আছে। 

©kamaleshforeducation.in(2023)


 

error: Content is protected !!
Scroll to Top