================================================================================================================
***সুন্দর গল্পে উপদেশ***
================================================================================================================
,♨️আজকের অনুপ্রেরণামূলক গল্প♨️***
!! রাজা এবং মন্ত্রী!!*
~~~~~ ~~~~
একজন রাজা যার অনেক বড় রাজ্য ছিল। কোনো কমতি ছিল না, যা আদেশ করা হয়েছে তাই হয়েছে। কিন্তু রাজার একটা অভ্যাস ছিল যে, যে ছোটখাট ভুল করত, তাকে সঙ্গে সঙ্গে দশটা বড়ো হিংস্র কুকুরের সামনে দাঁড় করিয়ে তাদের দ্বারা মারতেন। রাজা খুব রেগে গেলেন।
রাজার এই অভ্যাসে সবাই বিরক্ত হল। রাজার মন্ত্রীও রাজার এই অভ্যাসের সমালোচনা করেন। একদিন একই মন্ত্রী ভুল করলেন। রাজা ভুল জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ মন্ত্রীকে কুকুরদের সামনে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী রাজার কাছে তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও রাজা কোনো কথাই শোনেননি। এবং বলেছেন যে যা বলা হয়েছে তাই বলা হয়েছে। এবং সৈন্যদের বললেন কুকুরের কলমের কাছে নিয়ে যেতে। মন্ত্রী বললেন, ‘ঠিক আছে মহারাজ, তবে আমার শেষ ইচ্ছা মেনে নিন।’ রাজা বললেন, ঠিক আছে, তোমার শেষ ইচ্ছাটা বলো। মন্ত্রী বলেন, আমাকে মাত্র দশ দিন সময় দিন। রাজা বললেন, ঠিক আছে, দশ দিন সময় দেই।
তবে এগারো তারিখে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। মন্ত্রী দশ দিন রাজার কাছে আসেননি। আর একাদশ দিনে তিনি রাজার সামনে হাজির হলেন। রাজা মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সৈন্যদেরকে মন্ত্রীর জন্য যে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছিল তা পালন করতে বললেন। সৈন্যরা মন্ত্রীকে কুকুরের কলমের কাছে নিয়ে যায়, কুকুরগুলোকেও মুক্ত করা হয়। কিন্তু মন্ত্রীর ওপর হামলা না করে কুকুরগুলো মন্ত্রীর সঙ্গে স্নেহপূর্ণ আচরণ করছে।
যে কুকুরগুলোকে আক্রমণ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল তারা এত আদর করছে দেখে রাজা হতবাক হয়ে গেলেন। রাজা মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন কিভাবে এই অলৌকিক ঘটনা ঘটল! কি হয়েছে এই কুকুরগুলোর? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এই দশ দিনে এই কুকুরদের অনেক সেবা করেছি। তাদের খাওয়ানো, স্নান করানো, এখন এই কুকুররা জানে যে আমি তাদের জন্য ভাল কিছু করি খারাপ নয়। তারা আমাকে আক্রমণ করবে না। এত দিন তোমার সেবা করেছি, তবুও তুমি আমার একটা ভুল ক্ষমা করতে পারনি। এই কুকুরগুলি ভাল এবং খারাপ চিনতে আপনার চেয়ে ভাল। এ সব দেখে রাজা খুবই লজ্জিত হলেন।
*শিক্ষা:-*
আমাদের সবসময় চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। শুধু একটি ভুলের জন্য কাউকে সারাজীবন শাস্তি দেওয়া উচিত নয়, বরং তাকে ক্ষমা করার সাহস থাকা উচিত।
*সদা হাসিখুশি থাকুন – যা অর্জন করাই যথেষ্ট।*
*যার মন খুশি তার সবই আছে।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
©kamaleshforeducation.in(2023)