নাটোরের কথা
—অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অষ্টম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর

উৎস : নাটোরের কথা রচনা ছুটি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ঘরোয়া’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

লেখক পরিচিতিঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১): রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ বা অবন ঠাকুর ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিল্পী। রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদা অলঙ্করণ করেন। বিলাতি শিল্পীদের কাছে চিত্রবিদ্যা শিক্ষা করেন। মুঘল ও প্রাচীন ভারতের মহিমা এবং ভারতীয় জীবনচিত্র ছিল তাঁর ছবির অন্যতম বিষয়। ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর বইগুলি বাঙালির অক্ষয় সম্পদ। বাংলাদেশের আচার-অনুষ্ঠান, ব্রতকথা, রূপকথা তাঁর লেখায় নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। রাজকাহিনী, ভূতপত্রীর দেশ, নালক, শকুন্তলা, ক্ষীরের পুতুল, খাতাঞ্চির খাতা, আলোর ফুলকি, বুড়ো আংলা, ঘরোয়া, জোড়াসাঁকোর ধারে, ভারতশিল্প, বাংলার ব্রত, বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী, ভারতশিল্পের ষড়ঙ্গ তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ। পাঠ্যাংশটি তাঁর ঘরোয়া গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়সংক্ষেপঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ঘরোয়া’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘নাটোরের কথা’ রচনায় প্রাদেশিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে নাটোর যাত্রা ও সেখানকার সম্মেলনে বাংলা ভাষা প্রচলনের বিস্তৃত বর্ণনা দিয়েছেন।

পাঠ্য ‘নাটোরের কথা’ রচনাংশে স্বদেশি যুগের সময়কালে নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ এবং ঠাকুরবাড়ির তরুণ সদস্যদের নাটোর যাত্রার বিবরণ লেখা রয়েছে। প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষ্যে তাঁদের সেই নাটোর-যাত্রায় লেখক অবনীন্দ্রনাথও শামিল হয়েছিলেন। ন্যাশনাল কংগ্রেসের বহু কর্তাব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নাটোরে পৌঁছোনো, তারপর রাজবাড়িতে পরম আতিথেয়তা লাভ, জগদিন্দ্রনাথের সঙ্গে লেখকের নাটোর পরিভ্রমণের সুন্দর, মজাদার বর্ণনা যেমন রয়েছে, তেমনই প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে বাংলা ভাষা চালু করার পক্ষে ঠাকুরপরিবারের যুবক সদস্যদের সমবেত লড়াইয়ের বিস্তৃত চিত্রও বর্ণিত হয়েছে। নাটোর-যাত্রার আয়োজন থেকে শুরু করে সেই নাটোর-যাত্রার উদ্দেশ্য সফল হওয়া পর্যন্ত সমগ্র কাহিনিটুকু লেখকের স্মৃতিকথার আলোচ্য অংশটিতে ধরা পড়েছে।

 

• শব্দার্থ ও টীকা—

» স্বদেশি যুগ— ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়কাল
» প্রচলন— শুরু
» ভূমিকম্প—”প্রাকৃতিক ঘটনা, মাটি কেঁপে ওঠা
» রিসেপশন কমিটি— অভ্যর্থনা পরিষদ
» সম্ভাষণ— ডাকা
» ইন্দ্রপুরী— ইন্দ্রের বাসভূমি
» গড়গড়া— তামাক খাওয়ার বড়ো হুঁকো
» হালুইকর— যিনি মিষ্টান্ন প্রস্তুত করেন, ময়রা।
» স্কেচ— ছবি আঁকার খসরা
» সমারোহ— জাঁকজমক
» অন্দরমহল— বাড়ির ভিতরের অংশ
» রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স— গোলটেবিল বৈঠক
» প্রিসাইড— সভাপতিত্ব করা
» পাবলিকলি— (publicly), খোলাখুলি, জনসমক্ষে
» ইংরেজিদুরস্ত— নির্ভুল ইংরেজি বলতে দক্ষ

  নাটোরের কথা

অষ্টম শ্রেণি বাংলা  

====অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর====

 

• বহু বিকল্পীয় প্রশ্ন উত্তর—

১. নাটোরের কথা রচনাটি কার লেখা ?
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(ঘ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উত্তরঃ (ঘ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

২. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম—
(ক) গীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর

উত্তরঃ (খ) গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

৩. নাটোরের মহারাজার নাম—
(ক) ত্রৈলোক্যনাথ
(খ) জগদীন্দ্রনাথ
(গ) শিবনাথ
(ঘ) চন্দ্রনাথ

উত্তরঃ (খ) জগদীন্দ্রনাথ।

 

৪. লেখক নাটোরে যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন—
(ক) ধুতি পড়ে
(খ) প্যান্ট শার্ট পড়ে
(গ) পা জামা পাঞ্জাবী পড়ে
(ঘ) চোগাচাপকান পড়ে

উত্তরঃ (ঘ) চোগাচাপকান পড়ে।

 

৫. লেখক নাটোরে পৌঁছে পড়বেন—
(ক) ধুতি
(খ) প্যান্ট শার্ট
(গ) পা জামা পাঞ্জাবী
(ঘ) চোগাচাপকান

উত্তরঃ (ক) ধুতি।

 

৬. প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স হবে—
(ক) নাটোরে
(খ) খুলনায়
(গ) সিঙ্গাপুরে
(ঘ) ঢাকায়

উত্তরঃ (ক) নাটোরে।

 

৭. প্রভিনসিয়াল কনফারেন্স বাংলা ভাষায় হওয়ার প্রস্তাব দেন—
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) দিপুদা
(ঘ) জানকীনাথ

উত্তরঃ (ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

৮. নাটোররাজের বাড়ি ও বৈঠকখানার আতিশয্যকে লেখক কিসের সাথে তুলনা করেছেন
(ক) ইন্দ্রপুরী
(খ) যক্ষপুরী
(গ) পাতালপুরি
(ঘ) যমপুরি

উত্তরঃ (ক) ইন্দ্রপুরী।

 

৯. ‘রবি কাকাকে বললুম, ছেড়ো না’— কী না ছাড়ার কথা বলা হয়েছে?
(ক) মাতৃভাষা
(খ) ইংরেজি ভাষা
(গ) বাংলা ভাষা
(ঘ) হিন্দি ভাষা

উত্তরঃ (গ) বাংলা ভাষা।

 

১০. অবনীন্দ্রনাথের ন-পিসেমশাই এর নাম কি?

  (ক) জগদানন্দ ঘোষাল
(খ) জানকীনাথ ঘোষাল
(গ) দীননাথ ঘোষাল
(ঘ) জোনাকিনাথ ঘোষাল

উত্তরঃ (খ) জানকীনাথ ঘোষাল।

 

১১. ‘নানা রকমের মিষ্টি করে দিচ্ছে’— কে ?
(ক) ময়রা
(খ) মিষ্টি কাকু
(গ) হালুইকর
(ঘ) হালুইদা

উত্তরঃ (গ) হালুইকর।

 

১২. ‘গোল হয়ে সবাই বসেছি’— কোথায় ?
(ক) গানের আসরে
(খ) খাওয়ার টেবিলে
(গ) কনফারেন্স টেবিলে
(ঘ) হিসাব-নিকাশের জন্য

উত্তরঃ (গ) কনফারেন্স টেবিলে।

 

১৩. যে গানটি সেই সময় গাওয়া হয়েছিল—
(ক) জনগণমন
(খ) ধনধান্য
(গ) সোনার বাংলা
(ঘ) বন্দে মাতরম্

উত্তরঃ (গ) সোনার বাংলা।

 

১৪. ‘তার মত ইংরেজিতে কেউ বলতে পারত না’— কার মতো ?
(ক) অরবিন্দ ঘোষ
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) লালমোহন ঘোষ

উত্তরঃ (ঘ) লালমোহন ঘোষ।

  নাটোরের কথা

অষ্টম শ্রেণি বাংলা 

=========হাতে কলমে প্রশ্নোত্তর======

 

১.২ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দু-টি বইয়ের নাম লেখাে।

উত্তরঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি বইয়ের নাম ‘রাজকাহিনী’ ও ‘বাংলার ব্রত’।

 

১.২ তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কোন সম্পর্কে সম্পর্কিত ?

উত্তরঃ তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কাকা-ভাইপাে সম্পর্কে সম্পর্কিত।

 

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :

 

২.১ ‘আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প’—লেখকের অনুসরণে সেই গল্পটি নিজের ভাষায় বিবৃত করাে।

 

উত্তর:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ঘরোয়া’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশে লেখকের একটি গল্প মনে পড়ে। স্বদেশি যুগের সময় কী করে তারা বাংলা ভাষার প্রচলন করেছিলেন সেই গল্প। লেখকের কথা অনুযায়ী গল্পটি এমন, ভূমিকম্পের বছরে নাটোরে প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল। নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ ছিলেন রিসেপশন কমিটির প্রেসিডেন্ট। লেখকরা তাকে নাটোর বলেই সম্বোধন করতেন। নাটোর নিমন্ত্রণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ সহ ঠাকুর পরিবারের সবাইকে। সেখানে গিয়ে নাটোর মহারাজের আতিথেয়তায় সকলেই মুগ্ধ হন। এরপর রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ প্রস্তাব দেন প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স হবে বাংলায়। লেখক অবনীন্দ্রনাথ সহ তরুণরা রবীন্দ্রনাথকে সমর্থন করে। কিন্তু অনুষ্ঠানের চাঁইরা (নেতা, প্রধান) আপত্তি জানায়। তাঁরা যুক্তি দেয় যেমন কংগ্রেসে সবকিছু ইংরেজিতে হয় এখানেও তেমন হবে। একারণে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ঠিক হয় একদল বাংলায় বলবে একদল ইংরেজিতে বলবে। এরপর প্রেসিডেন্ট সহ অন্যরা যেই ইংরেজিতে স্পিচ দিতে ওঠে তখনই তরুণরা “বাংলা, বাংলা’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে। এভাবে তাঁরা কাউকে ইংরেজিতে বলতেই দেয় না। শেষমেশ ঘোরতর ইংরেজিদুরস্ত লালমোহন ঘোষ পর্যন্ত বাংলায় বক্তৃতা দেন। তাদের এই জয়ে অবনীন্দ্ৰনাথ সহ তরুণরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। এভাবেই কনফারেন্সে বাংলা ভাষা চালু হয়।

২.২ লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী, তখনকার নাটোরের মহারাজার নাম কী ছিল ?

উত্তর:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশ অনুসারে তখনকার নাটোরের মহারাজার নাম ছিল, জগদিন্দ্রনাথ।

 

২.৩ তিনি কোন ‘রিসেপশন কমিটি’র প্রেসিডেন্ট ছিলেন?

 

উত্তর:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশ অনুসারে তখনকার নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ ‘প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স’ বা প্রাদেশিক সম্মেলনের ‘রিসেপশন কমিটি’র প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

 

২.৪ ‘নাটোর নেমন্তন্ন করলেন…’— সেই নেমন্তন্নের তালিকায় কাদের নাম ছিল বলে লেখক স্মরণ করতে পেরেছেন?

 

উত্তর:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশ অনুসারে নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল লেখক নিজে, এছাড়াও দীপুদা অর্থাৎ দ্বীপেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবিকাকা বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ ঠাকুর পরিবারের সকলে । এছাড়াও অনেক নেতা ও ন্যাশনাল কংগ্রেসের চাঁইরা আমন্ত্রিত ছিল। আরও ছিল অবনীন্দ্রনাথের ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল, ডব্লিউ. সি. বোনার্জি, মেজোজ্যাঠামশায়, লালমোহন ঘোষ প্রমুখ ।

 

২.৫ ‘রওনা হলুম সবাই মিলে হৈ হৈ করতে করতে।’— কোথায় রওনা হলেন ? কীভাবেই বা রওনা হলেন ?

 

উত্তর:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশে লেখক সহ অন্যান্যরা নাটোরের প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্সে যোগ দিতে রওনা হলেন।

 

কীভাবে রওনা হলেন?:- » রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ বাড়ির অন্যান্য সবাই নাটোর যাত্রার ব্যাপারে নানান হাঙ্গামার কথা প্রকাশ করেন। কিন্তু মহারাজ আশ্বস্ত করে বলেন- চিন্তার কিছু নেই, কিছু ভাবতে হবে না। তিনি অতিথিদের জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেন। তারপর লেখকেরা প্রথমে স্পেশাল ট্রেন ও পরে পদ্মা নদী পার হওয়ার জন্য স্টিমারে চড়ে নাটোরে রওনা হলেন।

 

২.৬ সরাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা কোন নদীতে স্টিমার চড়েছিলেন ?

উত্তরঃ  অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশ অনুসারে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা সরাঘাট থেকে পদ্মা নদীতে স্টিমার চড়েছিলেন৷

 

২.৭ স্টিমারে খাওয়া-দাওয়ার প্রসঙ্গ আলোচনায় লেখকের সরস মনের পরিচয় কীভাবে দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছে তা বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর:-
 অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশে স্টিমারের খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে লেখক যথেষ্ট সরস মনের পরিচয় দিয়েছেন। লেখক জানান ডেকের উপর লম্বা টেবিলে তাঁরা সবাই খেতে বসেছিলেন। টেবিলের একদিকে হোমরাচোমরা চাঁইরা ও অন্যদিকে ছোকরারা। লেখকের পাশে ছিল দীপুদা। লেখক ও দীপুদা খাদ্যরসিক ছিলেন। তবে দেখা গেল ‘বয়’রা খাবার নিয়ে আগে কর্তাব্যক্তিদের দিকে যাচ্ছে। তার ফলে খাবার ছোকরাদের দিক পর্যন্ত বিশেষ পৌঁছচ্ছে না। মাঝখানে বসেছিলেন একজন ‘চাঁই’, তার কাছে এলে খাবারের ডিশ প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল । তিনি একাই ছ-সাতখানা কাটলেট, প্লেটের অর্ধেকের বেশি পুডিং খেয়ে শেষ করেন। দীপুদা ও লেখক পুডিং না পেয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। পরবর্তীতে দীপুদার হস্তক্ষেপে ‘বয়’রা দুটো ডিশে খাবার এনে দুপাশে দুজন যায় এবং তারাও খাবার পায়। খাদ্যরসিক লেখকের পছন্দের খাবার চোখে দেখেও না খেতে পারার অসহায়তা যেন হাস্যরসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।এছাড়াও লেখক ‘চাঁইয়ের খাওয়াকে ‘জাইগ্যানটিক’ খাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন। লেখক হাসির ছলে এও বলতে ভোলেননি, ওইরকম খেয়েই ভদ্রলোক শরীরটা ঠিক রেখেছিলেন।

 

২.৮ ‘যেন ইন্দ্রপুরী।’— কীসের সঙ্গে ইন্দ্রপুরী’র তুলনা করা হয়েছে ? কেনই বা লেখক এমন তুলনা করেছেন?

উত্তরঃ    অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশে লেখক নাটোরের মহারাজের বাড়ি ও বৈঠকখানাকে ‘ইন্দ্রপুরী’র সাথে তুলনা করেছেন।

ইন্দ্রপুরী হল দেবরাজ ইন্দ্রের বাসস্থান। সেখানে সমস্ত রকম সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বর্তমান। লেখক নাটোরে রাজবাড়িতে পৌঁছে দেখলেন এলাহি ব্যাপার। বাড়ি, বৈঠকখানা সব সুন্দর করে সাজানো। ঝাড়লণ্ঠন, তাকিয়া, ভালো ভালো দামি ফুলদানি, কার্পেট, সে সবের কোনো তুলনা নেই। এমনকি আন্তরিকতায়, আদরযত্নেও নাটোরের মহারাজা কোনো ত্রুটি রাখেননি। একারণে বিলাসে, আড়ম্বরে, সম্পদে অতুলনীয় নাটোর মহারাজের বাড়ি ও বৈঠকখানাকে লেখক ‘ইন্দ্রপুরী’র সাথে তুলনা করেছেন।

 

২.৯ ‘একেই বলে রাজ সমাদর।’— উদ্ধৃতিটির আলােকে নাটোরের মহারাজার অতিথি-বাৎসল্যের পরিচয় দাও।

উত্তর:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তির মাধ্যমে লেখক মহারাজার অসাধারণ অতিথি বাৎসল্যের উল্লেখ করেছেন। লেখক সহ ঠাকুর বাড়ির অন্যান্যরা নাটোরে প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্সে যোগ দিতে যান। নাটোর মহারাজের তরফ থেকে তাদের জন্য স্পেশাল ট্রেন থেকে শুরু করে স্টিমারে এলাহি খাবারদাবারের আয়োজন করা হয়। নাটোরে পৌঁছনোর পর মহারাজের আন্তরিকতা ও আদরযত্নে লেখক সহ তাঁর সঙ্গীরা অভিভূত হন। ইন্দ্রপুরী’র মতো সাজানো বাড়ি ও বৈঠকখানা। মাছ, মাংস, ডিম খাবারে কিছুই বাদ যায়নি। রানিমা নিজে তাদের জন্য অন্দরমহল থেকে পিঠে – পায়েস বানিয়ে পাঠিয়েছেন। হলুইকরকে বাড়িতেই বসানো হয়েছে, নানা রকমের মিষ্টি করে দিচ্ছে এবেলা ওবেলা। চারক-বাকররা না চাইতেই সব জিনিস কাছে এনে দিচ্ছিল। এমনকি তাদের ধুতি-চাদরও পাট করে রাখা হয়েছিল তাদের বাক্সও খুলতে হয়নি। তাই সবকিছু মিলিয়ে এই বিপুল অভ্যর্থনা ও অতিথিবাৎসল্যকেই লেখক ‘রাজসমাদর’ আখ্যা দিয়েছেন।

 

২.১০ ‘নাটোরের খুব আগ্রহ’—কোন প্রসঙ্গে তাঁর আগ্রহের কথা এখানে বলা হয়েছে ?

 

উত্তরঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশে নাটোরের মহারাজার আমন্ত্রণে প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ-সহ ঠাকুর বাড়ির বহু তরুণ সদস্য নাটোরে গেলে তারা সবাই ঘুরে ঘুরে গ্রাম দেখতে বের হন। যেখানে পুরােনাে বাড়ি, মন্দির, ঘর যা লেখকের চোখে পড়ছে তিনি স্কেচ করে নিচ্ছেন। এমনকি সম্মেলনে উপস্থিত বিশেষ অতিথি অর্থাৎ চাঁইদেরও বেশ কিছু স্কেচ তিনি করেন। অবনীন্দ্রনাথের আঁকা বিভিন্ন স্কেচ দেখে মহারাজ খুব প্রশংসা করেন। শিল্পী অবনীন্দ্রনাথকে এরপর তিনি অন্দরমহলে রানি ভবানীর ঘরে নিয়ে যান। সেখানে বেশ সুন্দর সুন্দর ইঁটের কাজ করা ছিল। মহারাজের রাজত্বে যেখানে যত সুন্দর জিনিস আছে, লেখককে তিনি তা দেখাতে লাগলেন। শুধু তাই নয়, লেখকও যাতে সেসবের স্কেচ করে নেন, তারও সুযােগ করে দেন। এমনকি, তাঁর করা স্কেচও বেশ আনন্দের সঙ্গে তিনি দেখতে চান। সেইসঙ্গে নানান জিনিসের স্কেচ করে দেওয়ার ফরমাশও করতে থাকেন। নাটোরের শৈল্পিক দ্রব্যাদি অভ্যাগতদের দেখানাে ও অবনীন্দ্রনাথের স্কেচ করে নেওয়ায় নাটোর-মহারাজ তৃপ্ত হন। আর এতে তাঁর শৈল্পিক মনের পরিচয় পাওয়ার প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে।

 

২.১১ ‘আগে থেকেই ঠিক ছিল’— আগে থেকে কী ঠিক থাকার কথা বলা হয়েছে ? সেই উপলক্ষ্যে কোন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কথা পাঠ্যাংশে রয়েছে, তা আলােচনা করাে।

 

উত্তরঃ আগে থেকেই ঠিক ছিল প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সের ভাষা হবে বাংলা এবং এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

আগে থেকে কী ঠিক ছিল?:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতিতে নাটোরের প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স বাংলা ভাষা হবে তা আগে থেকে ঠিক ছিল এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।সেকথাই বলা হয়েছে ।

 

» এই উপলক্ষ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা হল, চাঁইদের সঙ্গে অর্থাৎ, বিশেষ অতিথিদের সঙ্গে অবনীন্দ্রনাথ-সহ অন্যান্য ছােকরাদের বিরােধ । চাঁইরা চেয়েছিল ইংরেজিতে বক্তৃতা ও ছােকরার দল চেয়েছিল বাংলায় বক্তৃতা। ইংরেজিতে যেই প্রথম বক্তৃতা শুরু হয়, অমনি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে ছােকরারা বলে ওঠে—‘বাংলা, বাংলা …’। এই ছােকরাদের হৈ হৈ-তে শেষ পর্যন্ত ইংরেজি-দুরস্ত লালমােহন ঘােষও বাংলায় বলতে বাধ্য হন।

 

২.১২ নাটোরে প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গানটি পরিবেশন করেছিলেন ?

উত্তরঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশে জানা যায় নাটোরে প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  তাঁর নিজের লেখা “আমার সােনার বাংলা আমি তােমায় ভালােবাসি” গানটি পরিবেশন করেছিলেন।

 

২.১৩ ‘আমাদের তো জয়জয়কার।’ — কী কারণে লেখক ও তাঁর সঙ্গীদের ‘জয়জয়কার’ হলো?
উত্তর:-
 অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশে ছেলে ছোকরাদের দলের সমর্থন অনুয়ায়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স বাংলা ভাষায় হওয়ার প্রস্তাব জানায় কর্তাব্যক্তিরা তখন বিরোধ জানিয়ে ইংরেজি ভাষার প্রস্তাব দেয়। এরপর ঠিক হয় একদল বাংলায় বলবে একদল ইংরেজিতে বলবে । কনফারেন্স শুরু হলে প্রেসিডেন্ট যেই ইংরেজিতে স্পিচ দিতে শুরু করে তখনই ছেলে ছোকরারা “বাংলা, বাংলা” বলে চেঁচিয়ে ওঠে। ইংরেজিতে কেউ স্পিচ দিলেই তাঁরা চেঁচাতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ঘোরতর ইংরেজিদুরস্ত পার্লামেন্টারি বক্তা লালমোহন ঘোষ পর্যন্ত বাংলায় বক্তৃতা করেন। সর্বোপরি স্বদেশি যুগের বাংলাপন্থী নবীনরা জয়যুক্ত হলেন।এভাবেই প্রাদেশিক সভায় বাংলা ভাষা চালু করতে পারায় লেখক সহ তাঁর সঙ্গীদের ‘জয়জয়কার’ হয়।

 

২.১৪ ‘সেই প্রথম আমরা পাবলিকলি বাংলা ভাষার জন্য লড়লুম।’— লেখকের অনুসরণে সেই ‘লড়াই’-এর বিশদ বিবরণ দাও।


উত্তর:-
 অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘নাটোরের কথা’ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে লেখক সহ ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য তরুণ সদস্যদের প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স বাংলা ভাষা চালু করার লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে। ছেলে ছোকরাদের দলের সমর্থন অনুয়ায়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স বাংলা ভাষায় হওয়ার প্রস্তাব জানায় কর্তাব্যক্তিরা তার বিরোধ জানিয়ে ইংরেজি ভাষার প্রস্তাব দেয়। এরপর ঠিক হয় একদল বাংলায় বলবে একদল ইংরেজিতে বলবে । কনফারেন্স শুরু হলে প্রেসিডেন্ট যেই ইংরেজিতে স্পিচ দিতে শুরু করে তখনই ছেলে ছোকরারা ‘বাংলা বাংলা’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে। ইংরেজিতে কেউ স্পিচ দিলেই তাঁরা চেঁচাতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ঘোরতর ইংরেজিদুরস্ত পার্লামেন্টারি বক্তা লালমোহন ঘোষ পর্যন্ত বাংলায় বক্তৃতা করেন। এভাবেই প্রাদেশিক সভায় বাংলা ভাষা চালু করতে পারায় লেখক সহ তাঁর সঙ্গীদের ‘জয়জয়কার’ হয়। এটা ছিল লেখকদের বাংলা ভাষার জন্য করা প্রথম পাবলিকলি লড়াই, যা সার্থক হয়েছিল।

 

৩.১ আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প – সেই প্রথম স্বদেশি যুগের সময়কার, কী করে আমার বাংলা ভাষার প্রচলন করলুম। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:-
 আজ সকালে সেই প্রথম স্বদেশি যুগের সময়কার যে গল্পটি মনে পড়ল, সেটা হল কী করে আমরা বাংলা ভাষার প্রচলন করলুম।

 

৩.২ ভূমিকম্পের বছর সেটা। প্রোভিন্সিয়াল কনফারেন্স হবে নাটোরে। (বাক্যদুটিকে জুড়ে লেখো)
উত্তর:-
 ভূমিকম্পের বছরে প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্স হবে নাটোরে।

 

৩.৩ নাটোর নেমন্তন্ন করলেন আমাদের বাড়ির সবাইকে। (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর:-
 নাটোর নেমন্তন্ন করলেন আমাকে এবং আমাদের বাড়ির সবাইকে ।

 

৩.৪ আরো অনেকে ছিলেন। সবার নাম কি মনে আসছে এখন। (না-সূচক বাক্যে)
উত্তর:-
 আরও অনেকে ছিলেন, যাদের সবার নাম এখন মনে আসছে না ৷

৩.৫ নাটোর বললেন, কিছু ভেবো না। সব ঠিক আছে। (পরোক্ষ উক্তিতে)
উত্তর:-
 নাটোর বললেন, কিছু ভাবার দরকার নেই সব ঠিক আছে।

 

৩.৬ অমন ‘জাইগ্যানটিক’ খাওয়া আমরা কেউ কখনো দেখিনি। (নিম্নরেখ শব্দটির পরিবর্তে বাংলা শব্দ ব্যবহার করে বাক্যটি আবার লেখো।)
উত্তর:-
 অমন ‘রাক্ষুসে’ খাওয়া আমরা কেউ কখনো দেখিনি।

 

৩.৭ ছোকরার দলের কথায় আমলই দেন না। (হ্যাঁ-সূচক বাক্যে)
উত্তর:-
 ছোকরার দলের কথা উপেক্ষা করেন ।

৩.৮ ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল রিপোর্ট লিখছেন আর কলম ঝাড়ছেন। (বাক্যটিকে দু’টি বাক্যে ভেঙ্গে লেখো)
উত্তর:-
 ন-পিসেমশাইয়ের নাম জানকীনাথ ঘোষাল। তিনি রিপোর্ট লিখছেন আর কলম ঝাড়ছেন।

৩.৯ গরম গরম সন্দেশ আজ চায়ের সঙ্গে খাবার কথা আছে যে অবনদা। (নিম্নরেখ শব্দের প্রকার নির্দেশ করো এবং অর্থ এক রেখে অন্য শব্দ ব্যবহার করে বাক্যটি আবার লেখো)
উত্তর:-
 গরম গরম – শব্দদ্বৈতের উদাহরণ।

* সদ্য তৈরি করা সন্দেশ আজ চায়ের সঙ্গে খাবার কথা আছে যে অবনদা।

 

৩.১০ হাতের কাছে খাবার এলেই তলিয়ে দিতেম। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:-
 যখনই হাতের কাছে খাবার আসত, তখনই তা তলিয়ে দিতেম ।

 

৪. নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধ শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে সন্ধি বিচ্ছেদ করাে :

 

৪.১ স্টিমারে নির্ভাবনায় উঠে গেলুম

» নির্ভাবনায় = নিঃ + ভাবনায় ।

৪.২ তিনি অর্ধেকের বেশি নিজের প্লেটে তুলে নিলেন।

» অর্ধেকের = অর্ধ + একের (এক + এর)।

 

৫. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করাে :

 হাঙ্গাম, আপশােস, চান, তক্কাতক্কি, জিজ্ঞেস।

» হাঙ্গাম < হাঙ্গামা— (অন্ত্যস্বরলােপ)।

» আপশােস < আফশােস— (ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তন)।

» চান < স্নান— (ধ্বনিলােপ ও ধ্বন্যাগম)।

» তক্কাতক্কি < তর্কাতর্কি— (পরাগত সমীভবন)।

» জিজ্ঞেস < জিজ্ঞাসা— (স্বরসংগতি)।

 

৬. নীচের শব্দগুলির প্রকৃতি-প্রত্যয় নির্দেশ করাে : 

স্বদেশি, জিজ্ঞাসা, ঢাকাই।

» স্বদেশি— স্বদেশ + ই।

» জিজ্ঞাসা— জ্ঞা-সন্ + অ + আ ।

» ঢাকাই— ঢাকা + আই।

 

৭. ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখাে : 

চোগাচাপকান, বিছানাবাক্স, ইন্দ্রপুরী, রাজসমাদর, গুজব, অন্দরমহল।

 

» চোগাচাপকান— যা-ই চোগা, তা-ই চাপকান। (সাধারণ কর্মধারয় সমাস),
চোগা ও চাপকান (দ্বন্দ্ব সমাস)

» বিছানাবাক্স— বিছানা ও বাক্স। (দ্বন্দ্ব সমাস)

» ইন্দ্রপুরী— ইন্দ্রের পুরী। (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)

» রাজসমাদর— রাজার ন্যায় সমাদর (উপমান কর্মধারয় সমাস)
রাজসুলভ সমাদর (মধ্যপদলোপি কর্মধারয় সমাস)।

» গল্প-গুজব— গল্প ও গুজব (সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস)

» অন্দরমহল— অন্দরের মহল (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)

 

৮. কোনটি কী ধরনের সর্বনাম তা লেখাে : 

আমরা, সেটা, তাঁকে, সবাই, তিনি, আমি, এটা

» আমরা— ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।

» সেটা— নির্দেশক সর্বনাম।

» তাঁকে— ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।

» সবাই— সমষ্টিবাচক সর্বনাম

» তিনি— ব্যক্তিবাচক / সাকল্যবাচক সর্বনাম ।

» আমি— ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।

» এটা— নির্দেশক সর্বনাম।

 

©Kamaleshforeducation.in (2023)

error: Content is protected !!