অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান

অষ্টম শ্রেণী

অধ্যায় 1.3 তাপ

 

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো 

(১) আপেক্ষিক তাপের একক হল-

(a) ক্যালোরি /g /⁰C

(b) ক্যালোরি /g. ⁰C

(c) ক্যালোরি g. ⁰C

(d) ক্যালোরি. ⁰C/g

উত্তর:- ক্যালোরি /g. ⁰C

 

(২) যে পদার্থটি তাপের কুপরিবাহী সেটি হল-

(a) তামা

(b) লোহা

(c) কাঠ

(d) অ্যালুমিনিয়াম।

উত্তর:- কাঠ।

 

(৩) সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে-

(a) পরিবহন ও পরিচলন পদ্ধতিতে

(b) পরিবহন ও বিকিরণ পদ্ধতিতে

(c) পরিচলন ও বিকিরণ পদ্ধতিতে

(d) বিকিরণ পদ্ধতিতে

উত্তর:- বিকিরণ পদ্ধতিতে।

 

(৪) পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ প্রবাহিত হয়-

(a) শুধুমাত্র কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে

(b) শুধুমাত্র তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে

(c) শুধুমাত্র গ্যাসীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে

(d) তরল কঠিন ও গ্যাসীয় সব পদার্থের মধ্য দিয়ে

উত্তর:- শুধুমাত্র কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে।

 

(৫) কোন পদার্থের আপেক্ষিক তাপ সবচেয়ে বেশি-

(a) লোহা

(b) তামা

(c) সিসা

(d) জল

উত্তর:- জল।

 

(৬) হিমমিশ্র হল-

(a) বরফ ও কর্পূরের মিশ্রণ

(b) বরফ ও জলের মিশ্রণ

(c) বরফ ও সোডার মিশ্রণ

(d) বরফ ও নুনের মিশ্রণ

উত্তর:- বরফ ও নুনের মিশ্রণ।

 

(৭) জলের বাষ্পীভবনের লীনতাপ-

(a) 80 cal/g

(b) 180 cal/g

(c) 100 cal/g

(d) 537 cal/g

উত্তর:- 537 cal/g।

 

(৮) বস্তুর মোট তাপ কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে না?

(a) বস্তুর ভর

(b) বস্তুর উপাদান

(c) বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ

(d) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ- কোনোটিই নয়।

 

(৯) কোনটির গলনাংক ও হিমাঙ্ক সমান হয়-

(a) চর্বির

(b) মাখনের

(c) পারদের

(d) মোমের

উত্তরঃ- মোম।

 (১০) 1 গ্রাম ভরের বস্তুর উষ্ণতা 1℃ বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপ x হলে, 5 গ্রাম ভরের বস্তুর উষ্ণতা 2℃ বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপ

– ক) 5x

খ) 2x

গ) x

ঘ) 10x
উত্তর – 1 গ্রাম ভরের বস্তুর উষ্ণতা 1℃ বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপ x হলে, 5 গ্রাম ভরের বস্তুর উষ্ণতা 2℃ বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপ – ঘ) 10x।

 

১১. চাপ বাড়ালে জলের স্ফুটনাঙ্ক –

ক) বাড়ে

খ) কমে

গ) স্থির থাকে

ঘ) কখনও বাড়ে, কখনও কমে
উত্তর – চাপ বাড়ালে জলের স্ফুটনাঙ্ক – ক) বাড়ে।

 

১২. তাপের অধিকতম সুপরিবাহী ধাতুটি হল –

ক) লোহা

খ) তামা

গ) রূপো

ঘ) সোনা
উত্তর – তাপের অধিকতম সুপরিবাহী ধাতুটি হল – গ) রূপো।

১৩. শিশির জমার উপযোগী আকাশ হল-

ক) মেঘযুক্ত

খ) মেঘাচ্ছন্ন

গ) স্বল্প মেঘাচ্ছন্ন

ঘ) মেঘহীন
উত্তর – শিশির জমার উপযোগী আকাশ হল- ঘ) মেঘহীন।

 

১৪. বাষ্পায়নে তরলের তাপমাত্রা –

ক) বাড়ে

খ) কমে

গ) একই থাকে

ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর – বাষ্পায়নে তরলের তাপমাত্রা – খ) কমে।

১৫. লীন তাপ থার্মোমিটারের পাঠ –

ক) পরিবর্তন করে না

খ) পরিবর্তন করে

গ) কখনও পরিবর্তন করে করে আবার কখনও করে না

ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর – লীন তাপ থার্মোমিটারের পাঠ – ক) পরিবর্তন করে না।

 

১৬. তাপের পরিচলন হয় –

ক) যে-কোনো মাধ্যমে

খ) কঠিন মাধ্যমে

গ) তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমে

ঘ) শূন্য মাধ্যমে
উত্তরঃ তাপের পরিচলন হয় – গ) তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমে।

 

১৭. 0℃ উষ্ণতায় 1 গ্রাম বরফে একই উষ্ণতার জলের তুলনায় তাপ –

ক) কম থাকে

খ) বেশি থাকে

গ) সমান থাকে

ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর – 0℃ উষ্ণতায় 1 গ্রাম বরফে একই উষ্ণতার জলের তুলনায় তাপ – ক) কম থাকে।

 

১৮. পরিবহণ পদ্ধতিতে তাপ প্রবাহিত হয় –

ক) শুধুমাত্র কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে

খ) শুধুমাত্র তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে

গ) শুধুমাত্র গ্যাসীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে
ঘ) তরল, কঠিন, গ্যাসীয় সব পদার্থের মধ্য দিয়ে
উত্তর – পরিবহণ পদ্ধতিতে তাপ প্রবাহিত হয় – ঘ) তরল, কঠিন, গ্যাসীয় সব পদার্থের মধ্য দিয়ে।

 

১৯. বরফ গলনের লীন তাপ –

ক) 80 cal/g

খ) 573 cal/g

গ) 40 cal/g

ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর – বরফ গলনের লীন তাপ – ক) 80 cal/g।

 

 ২০.একটি বস্তু কত তাপ অর্জন করে তা নির্ভর করে-
i) পদার্থের ভর
ii) পদার্থের প্রকৃতি
iii) পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
iv) উপরের তিনটি বিষয়ের উপর
উত্তর:iv) উপরের তিনটি বিষয়ের উপর

 

 ২১.তাপের SI একক হল –
i) ক) ক্যালোরি
ii) জুল
iii) কেলভিন
iv) ক্যালোরি/জুল
উত্তর:ii) জুল

 

 ২২.যে শক্তির রূপ তাপের অনুভূতি তৈরি করে তাকে বলা হয় –
i) কাজ
ii) শক্তি
iii) তাপ
iv) উপরের কোনটিই নয়
উত্তর:iii)তাপ

 ২৩.১০ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১° সেলসিয়াস বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় তাপ-
i) ১ ক্যালোরি
ii) ১ জুল
iii) ১০ ক্যালোরি
iv) ১০ জুল
উত্তর:iii) ১০ ক্যালোরি

 

২৪. ৫.নিচের কোনটির নির্দিষ্ট তাপ ক্ষমতা সবচেয়ে কম –
i) জল
ii), লোহা
iii) দুধ
iv) তামা
উত্তর:iv) তামা

 

 ২৫.নিচের কোন সম্পর্কটি সঠিক?
i) প্রশ্ন =আরমি টি
ii) r =প্রশ্নমি টি
iii) টি =মি কিউআর
iv) মি =মি কিউআর
I যেখানে Q হল শোষিত বা প্রদত্ত তাপের পরিমাণ, m হল শরীরের ভর, r হল নির্দিষ্ট তাপ ধারণক্ষমতা, t হল তাপমাত্রার পরিবর্তন]
উত্তর:ii) r =প্রশ্নমি টি

 

২৬.একই ভর এবং একই পরিমাণের লোহা এবং তামার দুটি বস্তুকে একই তাপ দেওয়া হলে কোন বস্তুটি দ্রুত উত্তপ্ত হবে?
i) উভয়ই একই সময়ে
ii) লোহা দ্রুত উত্তপ্ত হবে
iii) তামা দ্রুত নির্গত হবে
iv) আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না
উত্তর:iii) তামা দ্রুত উত্তপ্ত হবে

 

 ২৭.কোন ঋতুতে বাষ্পীভবনের হার বেশি থাকে?
i) বর্ষাকাল
ii) গ্রীষ্মকাল
iii) শীতকাল
iv) সকল ঋতুতেই
উত্তর:ii) গ্রীষ্মকাল

 

 ২৮.যদি বিশুদ্ধ পদার্থের সাথে অমেধ্য মিশ্রিত করা হয় তাহলে-
i) এর স্ফুটনাঙ্ক একই থাকবে
ii) এর স্ফুটনাঙ্ক হ্রাস পাবে
iii) এর স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পাবে
iv) এর স্ফুটনাঙ্ক কিছু সময় বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে
উত্তর:ii) এর স্ফুটনাঙ্ক হ্রাস পাবে

 

 ২৯.যদি কোন তরল পদার্থের উপরের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পায়-
i) বাষ্পীভবন বৃদ্ধি
ii) বাষ্পীভবন হ্রাস
iii) স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি
iv) স্ফুটনাঙ্ক হ্রাস
উত্তর:i) বাষ্পীভবন বৃদ্ধি

 

 ৩০.নিচের কোনটি দ্রুততম?
i) বাষ্পীভবন
ii) ফুটন্ত
iii) উপরের কোনটিই নয়
iv) উভয়ই একই রকম
A) উত্তর:ii) ফুটন্ত

 

 ৩১.ফুটন্ত ঘটে-
i) যেকোনো তাপমাত্রায় এবং যেকোনো চাপে
ii) নির্দিষ্ট চাপ-নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়
iii) যেকোনো চাপ-নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়
iv) উপরের কোনটিই নয়
উত্তর:ii) নির্দিষ্ট চাপ-নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়

 

 ৩২.যদি ০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ গ্রাম বরফে ৮০ ক্যালোরি তাপ দেওয়া হয়, তাহলে তাপমাত্রা হবে-
i) ০° সেলসিয়াস
ii) ০° সেলসিয়াসের বেশি
iii) ০° সেলসিয়াসের কম
iv) ১০° সেলসিয়াস
উত্তর:i) ০° সেলসিয়াস

 

 ৩৩.তরল থেকে কঠিন রূপান্তরকে বলা হয়-
i) গলে যাওয়া
ii) ফুটন্ত
iii) ঘনীভবন
iv) জমাট বাঁধা
উত্তর:i) গলে যাওয়া

 

 ৩৪.নিচের কোনটির তাপ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি –
i) মাটি
ii) বায়ু
iii) জল
iv) উপরের কোনটিই নয়
উত্তর:iii) জল

 

 ৩৫– সৃষ্টিও হয় না, ধ্বংসও হয় না, এটি কেবল এক রূপে অন্য রূপে পরিবর্তিত হতে পারে।
i) দেহের ভর
ii) তাপ
iii) কাজ
iv) শক্তি
উত্তর:iv) শক্তি

 

ঠিক বা ভুল নির্বাচন করো:

(১) হিরে তাপের কুপরিবাহী পদার্থ।

উত্তর:- ভুল।

(২) পরিবহন প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালনের সময় মাধ্যমের কণার স্থানচ্যুতি ঘটে না।

উত্তর:- ঠিক।

(৩) নুন মেশালে জলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়।

উত্তর:- ভুল।

(৪) বায়ু চলাচল করলে বাষ্পায়নের হার কমে যায়।

উত্তর:- ভুল।

(৫) চাপ বাড়ালে জলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়।

উত্তর:- ঠিক।

সত্য না মিথ্যা তা উল্লেখ করো: (প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর)

 

১) কাচ, চর্বি, মোমের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক বা ফ্রিজিং পয়েন্ট থাকে।
২) বরফের গলনাঙ্ক এবং হিমাঙ্ক ০° সেলসিয়াস।
৩) পারদের গলনাঙ্ক ০° সেলসিয়াস।
৪) বরফ গলে পানিতে পরিণত হলে তার আয়তন বৃদ্ধি পায়।
৫) তরল পদার্থ যখন কঠিন পদার্থে পরিণত হয় তখন তাপ ত্যাগ করে।
৬) চাপ বৃদ্ধি পেলে পদার্থের গলনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়।
৭) বাষ্প থেকে তরল পদার্থের রূপান্তরকে ঘনীভবন বলা হয়।
৮) তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক উপরের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের উপর নির্ভর করে না।
৯) গ্রাফাইট তাপের খারাপ পরিবাহী।
১০) শিল্পক্ষেত্রে শীতকালে বেশিরভাগ সময় কুয়াশা দেখা যায়।
১১) গরম বাতাসের ঘনত্ব কম থাকে।
১২) মোমের গলনাঙ্ক স্থির থাকে।
১৩) ০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৮০ ক্যালোরি তাপ দিলে ১ গ্রাম বরফের তাপমাত্রা চার্জহীন থাকে।
১৪) ঢালাই লোহা গলানোর সময় আয়তন বৃদ্ধি পায়।
১৫) একটি বন্ধ পাত্রে বাষ্পের চাপ ভিতরে বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়।
১৬) বাতাসে জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন মেঘ তৈরি করে।
১৭) নির্মাণ সামগ্রী তাপের সুপরিবাহী হওয়া উচিত।
১৮) কাচ তাপের একটি খারাপ পরিবাহী।
উত্তর:
১) মিথ্যা
২) সত্য
৩) মিথ্যা
৪) মিথ্যা
৫) সত্য
৬) মিথ্যা

৭) সত্য

৮) সত্য

 ৯) মিথ্যা
১০ ) সত্য 

১১) সত্য 

১২) মিথ্যা 

১৩) সত্য

১৪) মিথ্যা

১৫ ) সত্য

১৬ ) সত্য

১৭ ) মিথ্যা 

১৮) সত্য

 

শূন্যস্থান পূরণ করো: (Heat Chapter Poribesh O Bigyan)

(১) সূর্য থেকে ______ পদ্ধতিতে তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়।

উত্তর:- বিকিরণ।

(২) বরফ গলনের লীনতাপ ______ ক্যালরি/ গ্রাম।

উত্তর:- 80 ক্যালরি/ গ্রাম।

(৩) আপেক্ষিক তাপের CGS একক______।

উত্তর:- ক্যালোরি / গ্রাম / oC

(৪) ______পদ্ধতিতে তাপের প্রবাহে মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।

উত্তর:- বিকিরণ।

 

 

শূন্যস্থান পূরণ করো: (প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর)

 

১) তাপ পরিমাপ করা হয় _________ দিয়ে।
২) তাপের SI একক __________।
৩) তাপ হল এক ধরণের __________।
৪) কঠিন পদার্থে তাপ __________ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়।
৫) ________ এর সর্বোচ্চ নির্দিষ্ট তাপ ক্ষমতা থাকে।
৬) যেকোনো বস্তুর আয়তন _________ কে তাপ দেয় _________। ৭)
তাপ __________ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসে।
৮) শিশির হল প্রাকৃতিক __________ এর উদাহরণ। ৯)
পানির নির্দিষ্ট তাপ __________।
১০) ১ গ্রাম পানির ১° সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণ __________।
১১) গরম পদার্থ দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত তাপ = ঠান্ডা পদার্থ দ্বারা __________ তাপ।
১২) __________ বৃদ্ধি পেলে ফুটন্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১৩) তাপ ক্ষমতা = শরীরের ভর x __________।
১৪) পরিবাহিত অবস্থায় তাপ __________ দ্বারা স্থানান্তরিত হয়।
১৫) কঠিন বরফের ঘনত্ব __________ জলের চেয়ে কম।
১৬) যে প্রক্রিয়ায় তরল পদার্থ খুব দ্রুত তার __________-তে পরিবর্তিত হয় তাকে ফুটন্ত বলে।
১৭) তাপের প্রবাহ এবং কথোপকথনের মাধ্যমে ____________ এর প্রয়োজনীয়তা।
১৮) __________-তে গরম তরল গরম থাকে এবং ঠান্ডা তরল রেনে দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা থাকে।
১৯) খড় এবং কাদা দিয়ে তৈরি ঘরগুলি শীতকালে ____________ এবং গ্রীষ্মকালে ____________ থাকে।
উত্তর:
১) ক্যালোরিমিটার
২) জুল
৩) শক্তি
৪) পরিবাহী
৫) জল
৬) বৃদ্ধি
৭) বিকিরণ
৮) ঘনীভবন
৯) ১ ক্যালরি/গ্রাম° সেলসিয়াস
১০) ১ ক্যালরি
১১) বৃদ্ধি

১২)চাপ
১৩) নির্দিষ্ট তাপ
১৪) অণু
১৫) ঘনত্ব
১৬) বাষ্প
১৭) মাঝারি
১৮) তাপীয় ফ্লাস্ক
১৯) উষ্ণ, শীতল

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- একটি বাক্যে উত্তর দাও:

(১) একটি অধাতব পদার্থের উদাহরণ দাও যা তাপের সুপরিবাহী।

উত্তর:- গ্রাফাইট।

(২) বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তাপক্ষয় আটকাতে থার্মোফ্লাক্সের কাচের দেয়ালে কিসের প্রলেপ লাগানো হয়?

উত্তর:- রুপোর প্রলেপ।

(৩) ক্যালরিমিতির মূলনীতি: উষ্ণ বস্তু কতৃক বর্জিত তাপ = শীতল বস্তু কর্তৃক গৃহীত তাপ -এই নীতি প্রযোজ্য হওয়ার জন্য একটি শর্ত উল্লেখ করো।

উত্তর:- বস্তুসংস্থা এবং পারিপার্শ্বিকের মধ্যে তাপের আদান-প্রদান হবে না।

(৪) হিমমিশ্রের একটি ব্যবহার লেখো।

উত্তর:- মাছ , মাংস সংরক্ষণের জন্য হিমমিশ্র ব্যবহার করা হয়।

(৫) কখন তাপ দিলেও বস্তুর উষ্ণতা বাড়ে না?

উত্তর:- তাপ প্রয়োগের ফলে যদি পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তাহলে বস্তুর উষ্ণতার কোনো পরিবর্তন ঘটে না।

(৬) তাপ প্রবাহের তিনটি পদ্ধতি কি কি?

উত্তর:- তাপ প্রবাহের তিনটি পদ্ধতি হল- পরিবহন, পরিচালন এবং বিকিরণ।

(৭) জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ কত?

উত্তর:- 537 ক্যালোরি / গ্রাম।

(৮) থার্মোফ্লাক্স কে আবিস্কার করেন?

উত্তর:- ইংরেজ বিজ্ঞানী জেমস ডিওয়ার।

নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

(১) তাপ সঞ্চালনের বিকিরণ পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর:- যে প্রক্রিয়ায় তাপ উষ্ণব বস্তু থেকে অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে ও ছরিয় পড়ার জন্য কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না তাকে বিকিরণ বলে।

(২) মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে কেন?

উত্তর:- মাটির কলশির জল ঠান্ডা থাকে। মাটির কলশির গায়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ওই ছিদ্রগুলো দিয়ে সামান্য পরিমাণ জল কলশির বাইরে বেরিয়ে আসে। তখন তার বাষ্পীভবন ঘটে। ফলে দরকার হয় লীন তাপের । ওই বেরিয়ে আসা জল তখন কলশি এবং কলশির ভেতরে থাকা জল থেকে প্রয়োজনীয় লীন তাপ সংগ্রহ করে। ফলে কলশি ও কলশির জল তাপ হারিয়ে ঠান্ডা হয়ে পড়ে।

(৩) কোন তরলের বাষ্পায়নের হার কোন্ কোন্ বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তর:- তরলের বাষ্পায়নের হার যে যে বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা নিচে দেওয়া হল।

(ক) যদি তরলের উপরিতলের ক্ষেত্রফল বেশি হয় তবে বাস পায়ন দ্রুত হয়।

(খ) তরলের উষ্ণতা বেশি হলে বাষ্পায়ন দ্রুত হয়।

(গ) তরলের ওপর বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে বাষ্পায়ন দ্রুত হয়।

(ঘ) তরলের প্রকৃতির ওপর বাষ্পায়নের হার নির্ভর করে। যেমন স্পিরিট খুব তাড়াতাড়ি বাষ্পীভূত হয়।

(৪) বিশুদ্ধ জল এবং লবণ মিশ্রিত জলের মধ্যে কোনটি স্ফুটনাঙ্ক বেশি হবে?

উত্তর:- লবণ মিশ্রিত জলের স্ফুটনাঙ্ক বেশি হবে।

(৫) তাপ সঞ্চালনের কোন পদ্ধতিতে পদার্থটির নিজের বা পদার্থ কোণার কোনো সরণ হয় না?

উত্তর:- পরিবহন পদ্ধতিতে।

(৬) স্টিমের লীনতাপ 537 ক্যালরি/গ্রাম বলতে কী বোঝায়?

উত্তর:- স্টিমের লীনতাপ 537 ক্যালরি/গ্রাম বলতে কী বোঝায় প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে 100° C উষ্ণতায় এক গ্রাম জলকে একই উষ্ণতায় এক গ্রাম স্টিমে রূপান্তরিত করতে 537 ক্যালরি তাপ প্রয়োগ করতে হবে ‌।

(৭) শীতকালে গায়ে কম্বল চাপা দিয়ে ঘুমালে আরাম লাগে কেন?

উত্তর:- কম্বল হল তাপের কুপরিবাহী পদার্থ। শীতকালে গায়ে কম্বল চাপা দিলে বাইরের ঠান্ডা ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। তাছাড়াও কম্বল তাপের কুপরিবাহি পদার্থ হওয়ার জন্য শরীরের তাপও কম্বলের মধ্যে আটকে থাকে। তাই শীতকালে গায়ে কম্বল দিয়ে ঘুমালে আরাম লাগে।

(৮) থার্মোফ্লাক্সের দুই দেওয়ালের মধ্যবর্তী স্থান প্রায় বায়ু শূন্য থাকে কেন?

উত্তর:- থার্মোফ্লাক্সের দুই দেওয়ালের মাঝখান প্রায় বায়ুশূন্য থাকায় পরিবহন ও পরিচলন পদ্ধতিতে পাত্রটির বাইরের তাপ ভিতরে এবং ভেতরের তাপ বাইরে যেতে পারে না।

(৯) শীতকালে পাখিরা কখনো কখনো পালক ফুলিয়ে বসে থাকে কেন?

উত্তর:- শীতকালে পাখিরা পালক ফুলিয়ে বসে থাকে এবং রৌদ্রের তাপ শরীরের মধ্যে নেয়। পাখির পালক যেহেতু তাপের কুপরিবাহী সেহেতু ওই তাপ অনেকক্ষণ পর্যন্ত শরীরের মধ্যে আটকে থাকে। যার ফলে পাখিদের শীতকালে আরাম বোধ হয়। এই কারণে শীতকালে পাখিরা কখনো কখনো পালক ফুলিয়ে রৌদ্রে বসে থাকে।

(১০) বর্ষাকাল অপেক্ষা শীতকালে ভিজে জামা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয় কেন?

উত্তর:- বর্ষাকালে বাতাসে যথেষ্ট পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকার কারণে বায়ু আর্দ্র হয়। ফলে জামা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকোতে চায় না। কিন্তু শীতকালে বাতাসের জলীয় বাষ্প থাকে না অর্থাৎ শীতকালে বায়ু শুষ্ক হয়। ফলে বাষ্পীভবনের পরিমাণ বেশি হয় এবং জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

(১১) রান্নার সময় পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে চেপে রাখলে রান্নার সময় খাদ্যবস্তু তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয় কেন?

উত্তর:- আমরা জানি চাপ বৃদ্ধি পেলে তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়। রান্নার সময় পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে চেপে রাখলে পাত্রের মধ্যে চাপ বৃদ্ধি পায়। ফলে পাত্রের তরলের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়। উচ্চ স্ফুটনাঙ্কে খাদ্যবস্তু তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়। তাই রান্নার সময় পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে চেপে রাখলে খাদ্যবস্তু তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়।

(১২) তরলের স্ফুটনাঙ্ক কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

উত্তর:- তরলের স্ফুটনাঙ্ক যে যে বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা হল-

(ক) তরলের প্রকৃতি।

(খ) তরলের দ্রবীভূত পদার্থের উপস্থিতি।

(গ) তরলের ওপরিস্থিত চাপ।

(১৩) এক ক্যালরি তাপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর:- এক গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উষ্ণতা এক ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বাড়াতে যে পরিমাণ তাপ লাগে তাকেই আমরা একক পরিমাণ তাপ বলি। এই একক পরিমাণ তাপকেই এক ক্যালরি বলে।

(১৪) গভীর রাতে শিশির পরে কেন?

উত্তর:- দিনের বেলায় সূর্যের তাপে পৃথিবী পৃষ্ঠের কাছাকাছি বস্তু গুলি উত্তপ্ত হয়। ফলে ওই বস্তুগুলির সংলগ্ন বায়ুস্তরও উত্তপ্ত হয়। দিনের বেলায়ও পৃথিবী তাপ ছাড়ে, কিন্তু সূর্যাস্তের পর সূর্য থেকে আর তাপ আসে না অথচ ভূপৃষ্ঠ তাপ বর্জন করতে থাকে। ফলে পৃথিবীর সেই অংশ এখন দিনের চেয়ে ঠান্ডা হতে শুরু করে। তখন ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়োস্তর ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে থাকে । উষ্ণতা কমতে থাকলে একসময় ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু জলীয় বাষ্প দিয়ে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। উষ্ণতা আরো কমতে থাকলে বায়ু থেকে জলীয় বাষ্প জলকণা হিসেবে আলাদা হয়ে শিশির তৈরি করে। শিশির পড়ার জন্য এই উপযুক্ত অবস্থা তৈরি হতে বেশ কিছু সময় লাগে তাই সন্ধ্যেবেলায় শিশির পড়ে না অথচ গভীর রাতে শিশির পড়ে।

(১৫) গরম চা কাপ থেকে প্লেটের ঢাললে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় কেন?

উত্তর:- গরম চা কাপ থেকে প্লেটে ঢাললে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। কারণ কাপের ওপরিতলের ক্ষেত্রফল এর চেয়ে প্লেটের ক্ষেত্রে ওপরিতলের ক্ষেত্রফল অনেক বেশি, যার ফলে বাষ্পীভবনের হার বেশি হয় এবং চা সহজে ঠান্ডা হয়।

(১৬) শীতকালে উলের পোশাক আরামদায়ক হয় কেন?

উত্তর:- উলের পোশাক তাপের কুপরিবাহী। তাই ঠান্ডার সময় বাইরে ঠান্ডা উলের পোশাক ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। তাছাড়া উলের পোশাক যেহেতু তাপের কুপরিবাহী তাই শরীরের তাপও উলের পোশাকের মধ্যে আটকে থাকে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে না । তার জন্য শীতের সময় উলের পোশাক পড়া আরামদায়ক।

(১৭) পরিবহন ও পরিচলন পদ্ধতির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।

তাপের পরিবহণ

তাপের পরিচলন

এই পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের সময় পদার্থটির নিজের বা পদার্থ গঠনকারী কণার কোনো সরণ হয় না।

এই পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের সময় পদার্থটির নিজের বা পদার্থ গঠনকারী কণার সরণ হয়।

শুধুমাত্র কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে তাপের সঞ্চালন হয়।

তরল ও গ্যাসীয় উভয় পদার্থের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে তাপের সঞ্চালন হয়।

(১৮) লীনতাপের সংজ্ঞা লেখ।

উত্তর:- নির্দিষ্ট উষ্ণতায় একক ভরের কোন পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন করতে যে পরিমাণ তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয়, তাকে ঐ উষ্ণতায় ওই পদার্থের ওই অবস্থার পরিবর্তনের লীন তাপ বলে।

(১৯) থার্মোফ্লাক্স এর কার্যনীতি লেখো।

উত্তর:- থার্মোফ্লাক্স এর পাত্রের কাচ তাপের কুপরিবাহী। পাত্রটির খোলা মুখের ছিপিও তাপের কুপরিবাহী । পাত্রটির কাচ দিয়ে তৈরি অংশটির চারপাশ কুপরিবাহী পদার্থ দিয়ে ঘেরা। ফলে পরিবহনের সাহায্যে তাপ সঞ্চালন ব্যাহত হয়। আবার দুই দেয়ালের মাঝখান প্রায় বায়ুশূন্য থাকায় পরিবহন ও পরিচলন পদ্ধতিতে পাত্রটির বাইরের তাপ ভেতরে এবং ভেতরের তাপ বাইরে যেতে পারে না । বিকিরণ প্রক্রিয়ায় বাইরের থেকে তাপ ভেতরে প্রবেশ করার সময় প্রথম দেয়াল দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায়। ভেতর থেকে বাইরে যাওয়ার সময় দুই দেওয়ালের চকচকে পৃষ্ঠের জন্য পাত্রের ভেতর থেকে তা প্রতিফলিত হয়ে পাত্রের মধ্যেই ফিরে যায়। তাপের বিকিরণ অনেক কম হয়। এখানে তাপের এই আচরণ আলোর প্রতিফলন ধর্মের মত। এভাবে তাপ সঞ্চালনের সমস্ত প্রক্রিয়ায় ব্যাহত হয়। ফলে অনেকক্ষণ ধরে ফ্লাস্কে শীতল বস্তু শীতল ও উষ্ণ বস্তু উষ্ণ থাকে।

 

(২০) শীতকালে ভোরের দিকে কুয়াশা দেখা যায় কেন?

উত্তরঃ- শীতকালে রাতে বাতাস প্রায় স্থির থাকলে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অনেকখানি জায়গায় বায়ু ধীরে ধীরে শীতল হয়ে জলীয় বাষ্প দিয়ে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। ওই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বাতাসে ভাসমান ধূলিককাণার উপর জলকণা রূপে জমা হয়ে ভাসতে থাকে। এই কারণে শীতকালে ভোরের দিকে কুয়াশা দেখা যায়।

 

গাণিতিক প্রশ্ন উত্তর:

 

(১) তামার আপেক্ষিক তাপ 0.09 ক্যালরি /g⁰C। 70 গ্রাম ভরের তামার টুকরো উষ্ণতা 20 ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে হলে কত পরিমাণ তাপ লাগবে তা নির্ণয় করো।

 

উত্তর:- তামার আপেক্ষিক তাপ (s) = 0.09 ক্যালরি /g⁰C

তামার ভর (m) =70 গ্রাম।

উষ্ণতা (t) = 20⁰C, ধরি, উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে তাপ লাগবে = H

আমরা জানি, H = m s.t

H = (70 × 0.09 × 20) cal = 126 cal

(২) 100 cal তাপ যোগ করে 5g জলের উষ্ণতা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ানো যাবে?

উত্তর:- H = m.s.t

H= 100 cal, m = 5g, জলের s = 1

H=m.s.t

t=H/m.s

t=100/5

t=20°C 

(৩) একটি 50 গ্রাম ভরের পদার্থ খন্ডের উষ্ণতা 2⁰C বৃদ্ধি করতে 25 ক্যালোরি তাপের প্রয়োজন হয়। ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ কত?

উত্তরঃ- পদার্থের আপেক্ষিক তাপ (s) = ?

পদার্থের ভর (m) =50 গ্রাম।

উষ্ণতা বৃদ্ধি (t) = 2⁰C, উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে তাপ লাগবে = 25 ক্যালোরি

আমরা জানি, H = m s.t

H=m.s.t

s=H​/mt

s=25/50×2

s=0.25cal/g/oC

====================

1. কোন বস্তুর দ্বারা গৃহীত বা বর্জিত তাপ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তর: কোন বস্তুর দ্বারা গৃহীত বা বর্জিত তাপ তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যথা: (i) বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ (ii) বস্তুর ভর ও (iii) বস্তুর উপাদান

2. সিজিএস পদ্ধতিতে তাপের একক কি?

উত্তর: সিজিএস পদ্ধতিতে তাপের একক ক্যালরি।

3. এক ক্যালরি এর সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: এক গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উষ্ণতা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপ লাগে তাকে এক ক্যালরি তাপ বলা হয়।

4. 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতার 60 গ্রাম জলের উষ্ণতা 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস করতে কতটা তাপের প্রয়োজন?

উত্তর: আমরা জানি, Q = m × s × t

[যেখানে, Q = গৃহীত তাপ, m = বস্তুর ভর , s = জলের আপেক্ষিক তাপ ,  t  = উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ]

অর্থাৎ, Q = 60 × 1 × (50 – 25) = 60 × 25 = 1500

উত্তর: ১৫০০ ক্যালোরি তাপ লাগবে।

 

5. আপেক্ষিক তাপ কাকে বলে? এর একক কি?

উত্তর: একক ভরের পদার্থের উষ্ণতা একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপ লাগে তাকে আপেক্ষিক তাপ বলে।

সিজিএস পদ্ধতিতে আপেক্ষিক তাপের একক হল ক্যালোরি / গ্রাম ডিগ্রি সেলসিয়াস 

 এসআই পদ্ধতিতে আপেক্ষিক তাপের একক জুল / কেজি কেলভিন।

6. বরফের গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক কত?

উত্তর: বরফের গলনাঙ্ক 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং হিমাঙ্ক 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

7. নির্দিষ্ট গলনাংক বা হিমাঙ্ক থাকে না এমন পদার্থের উদাহরণ দাও।

উত্তর: কাচ, মাখন, চর্বি, মোম ও পিচ ইত্যাদি পদার্থের নির্দিষ্ট কোন গলনাঙ্ক বা হিমাঙ্ক থাকে না।

8. ঢালাই লোহার গলনাঙ্ক কত?

উত্তর: ঢালাই লোহার গলনাঙ্ক প্রায় 1200 ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গলনে ও কঠিনীভবনে আয়তনের পরিবর্তন

9. কঠিন থেকে তরলে পরিণত করলে মোমের ঘনত্ব বাড়ে না কমে?

উত্তর: কঠিন থেকে তরলে পরিণত করলে মোমের ঘনত্ব কমে যায়।

10. জল বরফে পরিণত হলে আয়তনে বাড়ে না কমে?

উত্তর: জল বরফে পরিণত হলে আয়তনে বেড়ে যায়।

11. বরফ থেকে জলে পরিণত হলে ঘনত্ব বাড়ে না কমে?

উত্তর:  বড় থেকে জলে পরিণত হলে ঘনত্ব বেড়ে যায়।

12. জল বরফে পরিণত হলে আয়তনে বাড়ে। এই ঘটনার সুবিধা ও অসুবিধা লেখো।

অসুবিধা: শীত প্রধান দেশে মোটরের রেডিয়েটরে থাকা জল বরফে পরিণত হয়ে আয়তনে বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ওই পাইপ ফেটে যায়। শীতের দেশে বাড়ির জল সরবরাহে পাইপ গুলিও কখনো কখনো ফেটে যায়।

শীত প্রধান দেশে পাথরের মাঝখানে থাকার জল বরফে পরিণত হলে আয়তনে বেড়ে যায় এবং অনেক সময় পাথর ফেটে ধস নামে।

 

সুবিধা: বরফের ঘরে তো জলের তুলনায় কম। এই কারণে বরফ জলের উপরে ভেসে থাকে। বরফের তলায় জল থাকায় সামুদ্রিক প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পারে।

 

13. তরল থেকে কোচিং এ পরিণত হলে আয়তনে বেড়ে যায় বা ঘনত্বে কমে যায় এমন পদার্থের উদাহরণ দাও।

উত্তর: জল, ঢালাই লোহা, পিতল ইত্যাদি।

 

14. বরফের ক্ষেত্রে চাপ বাড়ালে গলনাঙ্কের কি পরিবর্তন হয়?

উত্তর: বরফের ক্ষেত্রে চাপ বাড়ালে গলনাঙ্ক কমে যায়।

 

15. গলনাঙ্ক এর উপর চাপের প্রভাব কিরূপ তা লেখ।

উত্তর: যেসব পদার্থের গলনের পর আয়তন কমে যায় সেই সব পদার্থের ক্ষেত্রে চাপ বাড়ালে গলনাঙ্ক কমে যায়। যেমন বরফ, ঢালাই লোহা, পিতল ইত্যাদি।

যেসব পদার্থের গলনের পর আয়তন বেড়ে যায় সেই সব পদার্থের ক্ষেত্রে চাপ বাড়ালে গলনাঙ্ক বেড়ে যায়। যেমন সিসা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।

গলনাঙ্কের উপর চাপের প্রভাব

16. এক বায়ুমন্ডলীয় চাপ (1 atmosphere pressure) বাড়ালে মোমের গলনাঙ্কের কি পরিবর্তন হয়?

উত্তর: মোমের গলনাঙ্ক প্রায় 0.04°C বেড়ে যায়।

 

17. শূন্যস্থান পূরণ কর: ফিউজ তারের গলনাঙ্ক খুব _____ হয়।

উত্তর: কম।

18. কোন কোন ধাতু মিশিয়ে ফিউজ তার তৈরি করা হয়?

উত্তর: শিশা ও টিম মিশিয়ে ফিউজ তার তৈরি করা হয়।

19. ফিউজ তারের গলনাঙ্ক খুব কম হয় কেন?

অথবা, বৈদ্যুতিক লাইনে ফিউজ তার ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তর: ফিউজ তার সিসা ও টির মিশিয়ে তৈরি করা হয়। ফিউজ তারের গলনাঙ্ক খুব কম হয়। গলনাঙ্ক কম হওয়ার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হলে ফিউজ তার উত্তপ্ত হয়ে গলে যায় এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ফলে দামি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলি নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়।

 

20. হিমমিশ্রণ কাকে বলে?

উত্তর: নির্দিষ্ট ভরের অনুপাতে বরফ ও নুনের মিশ্রণকেই হিম মিশ্রণ বলা হয়।

 

21. হিম মিশ্রণের ব্যবহার লেখো।

উত্তর: হিম মিশ্রণ মাছ – মাংস সংরক্ষণ, ওষুধ ঠান্ডা রাখা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।

22. মাছ মাংস সংরক্ষণে কোন মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: মাছ মাংস সংরক্ষণে হিম মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

23. লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: যে তাপ একক ভরের পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় কিন্তু উষ্ণতার কোন পরিবর্তন ঘটায় না তাকে লীন তাপ বলে।

24. বরফ গলনের লীন তাপ কত?

উত্তর: 80 ক্যালোরি / গ্রাম।

25. বরফ গলনের লীন তাপ 80 ক্যালোরি / গ্রাম বলতে কী বোঝো?

উত্তর: এর অর্থ হলো প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে 0°C উষ্ণতায় এক গ্রাম বরফকে 0°C উষ্ণতার এক গ্রাম জলে পরিণত করতেন 80 ক্যালোরি তাপ প্রয়োগ করতে হবে।

26. বরফের টুকরোর মধ্যে গর্ত করে জল রাখলে ওই জল জমে বরফ হয় না কেন?

উত্তর: 0°C উষ্ণতার জল থেকে তাপ শোষণ করতে পারবে সেই বস্তু যার উষ্ণতা 0°C এর কম। বরফের টুকরোর মধ্যে গর্ত করে যে জল রাখা হলো, তার উষ্ণতা প্রথমে ঘরের উষ্ণতার সমান ছিল অর্থাৎ 0°C এর বেশি। তাই জল তাপ বর্জন ও বরফ তাপ গ্রহণ করার পরেও দুজনের উষ্ণতা সমান হবে অর্থাৎ 0°C। তখন জল আর লীন তাপ বর্জন করতে পারবে না তাই কঠিন বরফে পরিণতও হবে না।

27. বাষ্পায়ন কাকে বলে?

উত্তর: যে কোন উষ্ণতায় কোন তরলের উপরিতল থেকে ধীরে ধীরে বাষ্পে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে বাষ্পায়ন বলে।

 

28. বর্ষাকালের তুলনায় শীতকালে কাপড় তাড়াতাড়ি শুকায় কেন?

উত্তর: বর্ষাকালের তুলনায় শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে।তাই শীতকালে ভিজে জামা কাপড় থেকে তাড়াতাড়ি জল বাষ্পীভূত হয়ে যায় ফলে শীতকালে ভিজে জামা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকায়।

 

29. বাষ্পায়নের হার কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তর: বাষ্পায়নের হার নিম্নলিখিত বিষয়ের উপর নির্ভর করে –

  • তরলের উপরিতলের ক্ষেত্রফল।

  • তরলের উষ্ণতা।

  • তরলের ওপর বায়ু চলাচলের হার।

  • তরলের প্রকৃতি।

30. গরমকালে ঘামে ভেজা শরীরে হাওয়া সামনে দাঁড়ালে আরাম লাগে কেন?

উত্তর: ঘামে ভেজা শরীরে হাওয়ার সামনে দাঁড়ালে ঘামের জলীয় অংশ দেহ থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে এবং বাষ্পীভূত হয়ে দেহের উষ্ণতা হ্রাস পায়। দেহে শীতলতা অনুভূতি হয়। তাই আরাম লাগে।

31. হাতে স্পিরিট বা ইথার ঢাললে ঠান্ডা বোধ হয় কেন?

উত্তর: হাতে স্পিরিট বা ইথার ঢাললে ওই স্পিরিট বা ইথার হাতের ত্বক থেকে লীন তাপ সংগ্রহ করে এবং দ্রুত বাষ্পীভূত হয়। লীন তাপ সংগ্রহের ফলে হাতের তাপমাত্রা কমে যায় এবং হাতে শীতলতা অনুভূত হয়।

32. গ্রীষ্মকালে কুকুর জিভ বের করে হাঁপায় কেন?

উত্তর: গ্রীষ্মকালে কুকুর জিভ বের করে হাঁপালে কুকুরের জিভের ওপরের ভেজা জল বাষ্পীভূত হয়। জল বাষ্পভূত হওয়ার সময় বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীনতাপ জিভ থেকে সংগৃহীত হয়। এর ফলে কুকুরের জিভ তথা দেহের তাপমাত্রা কমে যায়। কুকুরের দেহ ঠান্ডা রাখার এটি একটি অন্যতম উপায়। এই কারণে গ্রীষ্মকালে কুকুর জিভ বের করে হাঁপায়।

 

33. থার্মোমিটারের কুন্ডে ভিজে কাপড় জড়িয়ে রাখলে থার্মোমিটারের পাঠ কমে যায় কেন?

উত্তর: থার্মোমিটারের কণ্ডে ভিজে কাপড় জড়িয়ে রাখলে, কাপড়ের জল থার্মোমিটারের কুন্ড থেকে লীন তাপ সংগ্রহ করে বাষ্পীভূত হয়। এর ফলে থার্মোমিটারের তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে থার্মোমিটারের পাঠ কমে যায়।

34. স্ফুটন কাকে বলে?

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় তরলের সমগ্র অংশ থেকে অতি দ্রুত বাষ্পীভবনের প্রক্রিয়াকে স্ফুটন বলা হয়।

 

35. স্ফুটনাংক কাকে বলে? বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?

উত্তর: যে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোন বিশুদ্ধ তরলের স্ফুটন শুরু হয় ও যতক্ষণ স্ফুটন চলে ততক্ষণ ওই উষ্ণতা স্থির থাকে, সেই উষ্ণতাকে ওই তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলা হয়।

বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C বা 212°F ।

 

36. তরলের স্ফুটনাঙ্ক কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তর: তরলের স্ফুটনাঙ্ক যে যে বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা হল –

  • তরলের প্রকৃতি

  • তরলের দ্রবীভূত পদার্থের উপস্থিতি।

  • তরলের উপরিস্থিত চাপ।

37. বিশুদ্ধ জলে নুন মেশালে দ্রবণের স্ফুটনাঙ্ক জলের স্ফুটনাঙ্ক এর চেয়ে বাড়ে না কমে?

উত্তর: বাড়ে।

38. তরলের উপরিস্থিত চাপ স্ফুটনাঙ্ক এর উপর কি প্রভাব ফেলে?

উত্তর: তরলের ওপর স্থিত চাপ বাড়ালে স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়।

 

39. রান্নার সময় পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে চেপে রান্না করলে খাদ্যবস্তু তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয় কেন?

অথবা, প্রেসার কুকার যন্ত্রে খাদ্যদ্রব্য তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয় কেন?

উত্তর: পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে চেপে রান্না করলে পাত্রের মধ্যে যত জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হবে তা জমতে থাকবে এবং ভিতরের চাপ বাড়তে থাকবে। এই চাপ পাত্রের মধ্যে থাকা জলের স্ফুটনাঙ্ক বাড়িয়ে দেবে। অধিক চাপে পাত্রের মধ্যেকার জল খোলা হাওয়ায় যে উষ্ণতায় ফুটতো তার চেয়ে বেশি উষ্ণতায় ফুটবে। ফলে খাদ্যবস্তু তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে। প্রেসার কুকার যন্ত্র এই নীতি অনুযায়ী 100°C উষ্ণতার থেকে বেশি উষ্ণতায় জল ফোটানো হয় । ফলে খাদ্যদ্রব্য তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়।

 

40. জলীয় বাষ্পের লীনতাপ কত?

অথবা, বাষ্পীভবনের লীন তাপ কত?

উত্তর: জলীয় বাষ্পের লীন তাপ 537 ক্যালোরি / গ্রাম।

 

41. স্টিমের লীনতাপ 537 ক্যালোরি / গ্রাম বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: স্টিমের লীনতাপ 537 ক্যালোরি / গ্রাম বলতে বোঝায় প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে 100°C উষ্ণতায় এক গ্রাম জলকে একই উষ্ণতায় এক গ্রাম বাষ্পে রূপান্তরিত করতে 537 ক্যালোরি তাপ প্রয়োগ করতে হয়।

42. ঘনীভবন কাকে বলে?

উত্তর: বাষ্প থেকে তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে ঘনীভবন বলে। যেমন জলীয় বাষ্প থেকে জলে পরিণত হওয়া।

43. মেঘ, শিশির ও কুয়াশা সৃষ্টি হয় ____ এর ফলে।

উত্তর: ঘনীভবন।

44. শীতকালে কুয়াশা জমে কেন?

উত্তর: শীতকাল রাত্রিবেলায় যখন বাতাস স্থির থাকে তখন ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অংশে বায়ু জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে যায়। শীতকালে ভোর বেলায় তাপমাত্রা কমতে থাকলে ওই জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ধূলিকণার উপর জল কণা রূপে জমা হয়ে ভাসতে থাকে এবং কুয়াশা জমে।

 

45. বড় শহরে বা শিল্পাঞ্চলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় কেন?

উত্তর: বড় শহর বা শিল্পাঞ্চলে ধোঁয়াশা (স্মগ) তৈরি হয় কয়েকটি কারণে- যানবাহন ও কারখানার ধোঁয়া বায়ু দূষিত করে, যা সূর্যের আলোতে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে ধোঁয়াশা তৈরি করে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ধোঁয়াও এ ধোঁয়াশায় যোগ হয়।

 

46. শীতকালে ভোর বেলায় কিংবা গভীর রাতে শিশির পড়ে কেন?

অথবা, গরমকালে শিশির জমে না কেন?

অথবা, সন্ধ্যাবেলায় শিশির পড়ে না কেন?

উত্তর : শীতকালে রাতে বাতাস ঠান্ডা হলে বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে ঘনীভূত হয় এবং গাছের পাতা বা টিনের চালে শিশির তৈরি করে। কিন্তু গরমকালে বাতাসের উষ্ণতা বেশি হয় ফলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হতে পারেনা তাই শিশির জমে না। শিশির পড়ার জন্য উপযুক্ত অবস্থা তৈরি হতে বেশ কিছু সময় লাগে। তাই সন্ধ্যা বেলায় শিশির পড়েনা।

 

47. কোন পদ্ধতিতে কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ প্রবাহিত হয়?

উত্তর: পরিবহন পদ্ধতি।

 

48. তাপের একটি উত্তম কুপরিবাহীর উদাহরণ দাও

উত্তর: চিনামাটি।

 

49. জল কি তাপের সুপরিবাহী?

উত্তর: না, জল তাপের সুপরিবাহী নয়।

 

50. বরফ কি তাপের কুপরিবাহী?

উত্তর: হ্যাঁ, বরফ তাপের কুপরিবাহী।

 

51. শীতকালে আমরা উলের পোশাক পরি কেন?

উত্তর: উল তাপের কুপরিবাহী। উলের পোশাক পড়লে আমাদের দেহের তাপমাত্রা বাইরে বেরোয় না। ফলে দেহ গরম থাকে। তাই শীতকালে উলের পোশাক পরলে আরাম বোধ হয়।

 

52. শীতকালে পাখিরা কখনো কখনো পালক ফুলিয়ে বসে থাকে কেন?

উত্তর: বায়ু হলো তাপের কুপরিবাহী। পালক ফুলিয়ে যখন পাখিরা বসে থাকে তখন তাদের পালকের ফাঁকে বায়ু থাকে যা দেহের তাপমাত্রা কে বাইরে বেরতে দেয় না। তাই শীতকালে পাখিরা পালক ফুলিয়ে বসে থাকে।

 

53. শীতকালে খড়ের তৈরি ঘরে আরাম বোধহয় কেন?

উত্তর: খড় ফাঁপা হওয়ার ঘরের মধ্যে বায়ু থাকে। এই বায়ু তাপের কুপরিবাহী। তাই শীতকালে বাইরের তুলনায় ঘর গরম থাকে। তাই শীতকালে খড়ের তৈরি ঘরে আরাম বোধ হয়।

 

54. এস্কিমোদের বরফের তৈরি ঘর কি নামে পরিচিত?

উত্তর: ইগলু।

55. কোন পদ্ধতিতে জল গরম হয়?

উত্তর: পরিচলন পদ্ধতিতে।

56. কোন পদ্ধতিতে সবচেয়ে দ্রুত তাপ পরিবাহিত হয়?

উত্তর: বিকিরণ।

57. কোন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য কোন মাধ্যম প্রয়োজন হয় না?

উত্তর: বিকিরণ।

58. কোন পদ্ধতিতে তাপ শূন্য মাধ্যমের মধ্য দিয়েও যেতে পারে?

উত্তর: বিকিরণ।

59. সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে কোন পদ্ধতিতে?

উত্তর: বিকিরণ পদ্ধতিতে।

60. থার্মোফ্লাক্স কে আবিষ্কার করেন?

উত্তর: জেমস ভিওয়ার।

61. থার্মোফ্লাক্স এর কার্যনীতি লেখ।

উত্তর: থার্মোফ্লাস্কের কার্যনীতি সহজ ভাষায় সংক্ষেপে:

থার্মোফ্লাস্কের পাত্র এবং মুখ তাপের কুপরিবাহী উপাদান দিয়ে তৈরি, যা তাপ পরিবহণ বাধাগ্রস্ত করে। পাত্রের কাচের চারপাশে কুপরিবাহী পদার্থ থাকায় তাপ পরিবহণও বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাত্রটির দুই দেয়ালের মাঝখান প্রায় বায়ুশূন্য থাকায় তাপ সঞ্চালন (পরিবহণ ও পরিচলন) বাধাগ্রস্ত হয়। বাইরের থেকে তাপ প্রবেশ করলে প্রথম দেওয়াল তা প্রতিফলিত করে এবং ভেতরের তাপ বাইরের দিকে যেতে পারে না কারণ দুই দেয়ালের চকচকে পৃষ্ঠ তাপকে প্রতিফলিত করে পাত্রের ভেতরেই রাখে। ফলে, ফ্লাস্কের ভেতরে শীতল বস্তু শীতল ও উষ্ণ বস্তু উষ্ণ থাকে।

 

===================================

 

নিচের বিষয়গুলো মেলাও: (প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর)

 

ক) কলাম A এর সাথে কলাম B এর মিল করো।

কলাম A

কলাম বি

ক) তাপ এক ধরণের

i) একটি হিমায়িত মিশ্রণ তৈরি করা।

খ) জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন

ii) ১০৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস

গ) সীসার তীব্র তাপ হল

iii) বিভিন্ন স্ফুটনাঙ্ক।

ঘ) মোমের গলনাঙ্ক

iv) পানির চেয়ে কম।

ঙ) শীতকালে ভেজা কাপড় শুকিয়ে যায়

v) তাপের খারাপ পরিবাহী।

চ) বরফ এবং লবণ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত করা হয়

vi) বাতাসে মেঘ, শিশির, কুয়াশা ইত্যাদি উৎপন্ন হয়।

ছ) তামার হিমাঙ্ক

vii) ডাইন

জ) বিভিন্ন তরল পদার্থে থাকে

viii) স্থির নয়।

i) পানির স্ফুটনাঙ্ক হল

ix) বর্ষার চেয়ে দ্রুত।

j) কাঁচের উল হল

x) ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস

উত্তর:
ক) তাপ এক ধরণের শক্তি।
খ) বাতাসে জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন মেঘ, শিশির, কুয়াশা ইত্যাদি উৎপন্ন করে।
গ) পানির তুলনায় সীসার নির্দিষ্ট তাপ কম।
ঘ) মোমের গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট নয়।
ঙ) শীতকালে ভেজা কাপড় বর্ষার তুলনায় দ্রুত শুকিয়ে যায়।
চ) বরফ এবং লবণ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে হিমায়িত মিশ্রণ তৈরি করা হয়।
ছ) তামার হিমাঙ্ক ১০৮৩° সেলসিয়াস
জ) বিভিন্ন তরলের বিভিন্ন স্ফুটনাঙ্ক থাকে।
i) পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০° সেলসিয়াস
জ) কাচের পশম তাপের খারাপ পরিবাহী।

 

খ) কলাম A এর সাথে কলাম B এর মিল করো।

কলাম A

কলাম বি

ক) লবণাক্ত পানির স্ফুটনাঙ্ক বেশি

i) মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টান।

খ) আত্মা হল একটি

ii) একটি পাতলা কাগজের টুকরো।

গ) শিশির গঠন একটি উদাহরণ

iii) বিশুদ্ধ পানির চেয়ে।

ঘ) তাপ প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা হয়

iv) বিকিরণের মাধ্যমে।

ঙ) কঠিন পদার্থের ভেতরে

v) উদ্বায়ী পদার্থ।

চ) সূর্য থেকে কার্থে তাপ আসে

vi) বেশি হলে, এটি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়।

ছ) ভারী বাতাস নিচের দিকে আসে কারণ

vii) একটি থার্মোফ্লাস্কে।

জ) তাপ সহজেই একটি মাধ্যমে প্রবাহিত হতে পারে

viii) প্রাকৃতিক ঘনীভবন।

i) যখন তরল পদার্থের উন্মুক্ত স্থান

ix) তাপ পরিবাহনের মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়।

কলাম A

কলাম বি

উত্তর:
ক) লবণাক্ত পানির স্ফুটনাঙ্ক বিশুদ্ধ পানির চেয়ে বেশি।
খ) স্পিরিট একটি উদ্বায়ী পদার্থ।
গ) শিশির গঠন প্রাকৃতিক ঘনীভবনের একটি উদাহরণ।
ঘ) থার্মোফ্লাস্কে তাপ প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে রোধ করা হয়।
ঙ) কঠিন পদার্থের ভিতরে পরিবাহিতার মাধ্যমে তাপ সঞ্চালিত হয়।
চ) বিকিরণের মাধ্যমে সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে।
ছ) মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানের কারণে ভারী বায়ু নিচের দিকে আসে।
জ) একটি পাতলা কাগজের টুকরো দিয়ে তাপ সহজেই প্রবাহিত হতে পারে।
i) যখন তরলের উন্মুক্ত স্থান বেশি হয়, তখন এটি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়।

খুব ছোট প্রশ্ন ও উত্তর: (প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর)

প্রশ্ন ১.তাপ কী?
উত্তর:তাপ এক ধরণের শক্তি।

প্রশ্ন ২.তাপ পরিমাপের জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:ক্যালোরিমিটার দিয়ে তাপ পরিমাপ করা হয়।

প্রশ্ন ৩.তাপের SI একক কী?
উত্তর:তাপের SI একক হল জুল।

প্রশ্ন ৪.তাপের CGS একক কী?
উত্তর:তাপের CGS একক হল ক্যালোরি।

প্রশ্ন ৫.কঠিন পদার্থ তরলে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর:গলন বা ফিউশন।

প্রশ্ন ৬.তরল পদার্থ কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর:জমাট বা কঠিনীকরণ।

প্রশ্ন ৭.এমন একটি পদার্থের নাম লেখো যার গলনাঙ্ক স্থির নয়।
উত্তর:মোম।

প্রশ্ন ৮।গলে যাওয়ার পর আয়তন বৃদ্ধি পায় এমন একটি পদার্থের নাম লেখ।
উত্তর:গলে যাওয়ার পর সোনার আয়তন বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন ৯।গলে যাওয়ার পর আয়তন হ্রাস পায় এমন একটি পদার্থের নাম লেখ।
উত্তর:গলে যাওয়ার পর আয়তন হ্রাস পায়।

প্রশ্ন ১০.যদি চাপ বৃদ্ধি পায় এবং তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়- এই নীতি ব্যবহার করে একটি যন্ত্র তৈরি করা হয়। এর নাম লেখ।
উত্তর:প্রেসার কুকার।

প্রশ্ন ১১.একটি উদ্বায়ী পদার্থের নাম বল।
উত্তর:ইথার একটি উদ্বায়ী পদার্থ।

প্রশ্ন ১২.পারদের গলনাঙ্ক কত?
উত্তর:পারদের গলনাঙ্ক -৩৯.৫° সেলসিয়াস।

প্রশ্ন ১৩.ঘনীভবনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:ঘনীভবনের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হল শিশির গঠন।

প্রশ্ন ১৪.সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ কোন প্রক্রিয়ায় আসে?
উত্তর:বিকিরণের মাধ্যমে সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে।

প্রশ্ন ১৫.তরল পদার্থে তাপ স্থানান্তর কীভাবে ঘটে?
উত্তর:পরিচলনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন ১৬.ইগলু কেন বরফ দিয়ে তৈরি?
উত্তর:বরফ তাপের খারাপ পরিবাহী। ইগলুর ভেতরের পরিবেশ বাইরের পরিবেশের চেয়ে উষ্ণ।

প্রশ্ন ১৭.দুটি খারাপ পরিবাহী পদার্থের নাম লেখো?
উত্তর:হীরা এবং কাচ দুটি খারাপ পরিবাহী।

প্রশ্ন ১৮.থার্মোফ্লাস্ক কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর:ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার জেমস ডিওয়ার থার্মোফ্লাস্ক আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন ১৯.তরল হাইড্রোজেনের স্ফুটনাঙ্ক কত?
উত্তর:তরল হাইড্রোজেনের স্ফুটনাঙ্ক -২৫৩° সেলসিয়াস।

প্রশ্ন ২০.চাপ বৃদ্ধি পেলে কি তা ফুটন্ত প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে নাকি বাধা দেয়?
উত্তর:অতিরিক্ত চাপের কারণে ফুটন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

প্রশ্ন ২১.যখন কোন তরল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়?
উত্তর:যখন কোন তরলের উন্মুক্ত ক্ষেত্রফল বেশি হয়, তখন তা দ্রুত বাষ্পীভূত হয়।

প্রশ্ন ২২.পরিবাহীতা কী?
উত্তর:যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে পরিবাহীতা বলে।

প্রশ্ন ২৩.তাপের সুপরিবাহী কী?
উত্তর:যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজেই প্রবাহিত হতে পারে, তাদেরকে তাপের সুপরিবাহী বলা হয়।

প্রশ্ন ২৪.তাপের খারাপ পরিবাহী কী?
উত্তর:যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজে প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে তাপের খারাপ পরিবাহী বলা হয়।

প্রশ্ন ২৫.গ্রীষ্মকালে জলের কোন স্তরে জলজ প্রাণীরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে?
উত্তর:গ্রীষ্মকালে জলের নিচের স্তরে জলজ প্রাণীরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

ছোট প্রশ্ন ও উত্তর:  

 

প্রশ্ন ১.একটি পদার্থের নির্দিষ্ট তাপ ক্ষমতা কত?
উত্তর:একটি পদার্থের নির্দিষ্ট তাপ ক্ষমতা বলতে পদার্থের একক ভরের তাপমাত্রা এক ইউনিট দ্বারা পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণকে বোঝায়।

প্রশ্ন ২.নির্দিষ্ট তাপ ধারণক্ষমতার CGS এবং SI একক কী?
উত্তর:CGS পদ্ধতিতে, নির্দিষ্ট তাপ ধারণক্ষমতা প্রতি ডিগ্রিতে জুল প্রতি গ্রাম এবং SI পদ্ধতিতে, নির্দিষ্ট তাপ ধারণক্ষমতা প্রতি ডিগ্রিতে জুল প্রতি কিলোগ্রামে মাপা হয়।

প্রশ্ন ৩.গ্লাসের তুলনায় প্লেটে পানি ঢাললে কেন দ্রুত বাষ্পীভবন হয়?
উত্তর:তরলের ক্ষেত্রফল যত বেশি উন্মুক্ত হয়, তত দ্রুত বাষ্পীভবন হয়। প্লেটের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল কাচের তুলনায় বেশি। তাই গ্লাসের তুলনায় প্লেটে পানি ঢেলে পানি বাষ্পীভবন দ্রুত হয়, কারণ প্লেটের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল বেশি।

 

প্রশ্ন ৩.বর্ষাকালে কাপড় শুকাতে কেন বেশি সময় লাগে?
উত্তর:বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি থাকে তাই আপেক্ষিক আর্দ্রতাও বেশি থাকে। তাই বাষ্পীভবনের হার ধীর। বাষ্পীভবনের হার কমে যাওয়ায় ভেজা কাপড়ের পানি দ্রুত বাষ্পীভূত হয় না তাই বর্ষাকালে কাপড় শুকাতে অনেক সময় লাগে।

 

প্রশ্ন ৪.সুপ্ত তাপ কী?
উত্তর:কোনও পদার্থের সুপ্ত তাপ বলতে তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন ছাড়াই পদার্থের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণকে বোঝায়।

প্রশ্ন ৫.হিমাঙ্ক বা কঠিনীকরণ কী? পদার্থের গলনাঙ্ক এবং হিমাঙ্ক কি একই?
উত্তর:হিমাঙ্ক বা কঠিনীকরণ বিন্দু হল সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা যেখানে একটি তরল তার কঠিন অবস্থায় পরিবর্তিত হতে শুরু করে।
একটি বিশুদ্ধ পদার্থের জন্য, গলনাঙ্ক এবং হিমাঙ্ক একই।

প্রশ্ন ৬.বরফের সংমিশ্রণের সুপ্ত তাপ ৮০ ক্যালোরি/গ্রাম, এর অর্থ কী?
উত্তর:এর অর্থ হল আদর্শ চাপে ১ গ্রাম ভর এবং ০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার বরফকে ৮০ ক্যালোরি তাপ দিতে হবে যাতে এটিকে g ভর এবং ০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার জলে রূপান্তরিত করা যায়।

প্রশ্ন ৭.stcam এর সুপ্ত তাপ ৫৩৭ ক্যালোরি/গ্রাম, এর অর্থ কী?
উত্তর:এর অর্থ হল ১০০° সেলসিয়াসে আদর্শ চাপে, ৫৩৭ ক্যালোরি তাপ ১ গ্রাম পানিতে রূপান্তরিত করে ১ গ্রাম বাষ্পে রূপান্তর করতে হয়।

প্রশ্ন ৮.একই তাপমাত্রায় গরম পানির পোড়ার তুলনায় বাষ্পের কারণে পোড়া বেশি যন্ত্রণাদায়ক কেন?
উত্তর:১০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ গ্রাম বাষ্প ৫৩৭ ক্যালোরি তাপ নির্গত করে। এই কারণেই বাষ্পের কারণে পোড়া ফুটন্ত পানির পোড়ার তুলনায় বেশি তীব্র।

প্রশ্ন ৯.ফুটন্ত কী? চাপের দ্বারা ফুটন্ত কীভাবে প্রভাবিত হয়?
উত্তর:ফুটন্ত হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি তরল তরলে বহিরাগত তাপশক্তি সরবরাহ করে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তার বাষ্প অবস্থায় পরিবর্তিত হয়।
চাপ বৃদ্ধি পেলে ফুটন্তও বৃদ্ধি পায় এবং চাপ হ্রাস পেলে ফুটন্তও হ্রাস পায়।

প্রশ্ন ১০.গাড়ির রেডিয়েটারে পানি কেন শীতলকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:যেহেতু পানির উচ্চ নির্দিষ্ট তাপ ক্ষমতা রয়েছে, তাই এটি গাড়ির রেডিয়েটারে শীতলকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয় কারণ এটি গাড়ির ইঞ্জিন থেকে প্রচুর পরিমাণে তাপ শোষণ করতে পারে, তাপমাত্রায় কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ছাড়াই।

প্রশ্ন ১১.আমাদের হাতে স্পিরিট ঢাললে কেন আমরা শীতল বোধ করি?
উত্তর:স্পিরিট একটি উদ্বায়ী পদার্থ। আমাদের হাতে ঢেলে দেওয়ার সাথে সাথে এটি গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হতে শুরু করে। আমাদের হাত থেকে গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হতে প্রয়োজনীয় সুপ্ত তাপের প্রয়োজন হয় যাতে আমরা শীতল বোধ করি।

প্রশ্ন ১২.পাহাড়ি অঞ্চলে খাবার রান্না করতে কেন অনেক সময় লাগে?
উত্তর:সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে উঁচু এলাকাগুলিতে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কমে যায়, যার ফলে n-এর ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে পানির স্ফুটনাঙ্কও কমে যায়। এই কারণেই পাহাড়ি অঞ্চলে খাবার রান্না করতে অনেক সময় লাগে।

প্রশ্ন ১৩.গ্রীষ্মকালে যখন প্রচণ্ড ঘাম হয়, তখন ফ্যানের নিচে দাঁড়ানো আরামদায়ক। কেন?
উত্তর:যখন আমরা প্রচণ্ড ঘাম হওয়ার পর ফ্যানের নিচে দাঁড়াই, তখন আমাদের শরীর থেকে বাষ্পীভবন শুরু হয়। ঘাম বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপ্ত তাপ শরীর থেকে শোষিত হয়, ফলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং আরামের অনুভূতি হয়।

প্রশ্ন ১৪.শিশির কী?
উত্তর:সূর্যাস্তের পর পৃথিবী তার তাপ বিকিরণ করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যায়, যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠ যথেষ্ট ঠান্ডা হয়ে যায়, তখন এটি জলীয় বাষ্পে পরিপূর্ণ হয়। যখন বাতাসের কিছু জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে পানিতে পরিণত হয় এবং বাতাস থেকে আলাদা হয়ে যায়, তখন শিশির তৈরি হয়।

প্রশ্ন ১৫.পরিবাহীতা কী?
উত্তর:তাপশক্তি এক অণু থেকে অন্য অণুতে তাপ প্রবাহের দিকে, উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নিম্ন তাপমাত্রায় স্থানান্তরের পদ্ধতি, অণুগুলির তাদের গড় অবস্থান থেকে প্রকৃত চলাচল ছাড়াই, তাকে পরিবাহীতা বলে।

প্রশ্ন ১৬.পরিচলন কী?
উত্তর:অণুগুলির প্রকৃত চলাচলের মাধ্যমে উচ্চ তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে তরলের মাধ্যমে তাপশক্তি স্থানান্তরের পদ্ধতিকে পরিচলন বলে।

প্রশ্ন ১৭.বিকিরণ কী?
উত্তর:বিকিরণ হল তাপ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া যেখানে তাপ সরাসরি এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে প্রেরণ করা হয়, মাধ্যমকে প্রভাবিত না করেই।

দীর্ঘ প্রশ্ন ও উত্তর:  

প্রশ্ন ১.কুয়াশা কী?
উত্তর:রাতের বেলায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি একটি বিশাল স্থানে যদি খুব কম বা একেবারেই বাতাস না থাকে, তাহলে সেই পরমাণুমণ্ডলের বাতাস ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে থাকে। ফলস্বরূপ, সেই বাতাস জলীয় বাষ্পে পরিপূর্ণ হয়। সেই সময় বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত জলীয় বাষ্প ঝুলন্ত ধূলিকণা, ধোঁয়া কণা, কয়লা ধুলো ইত্যাদির চারপাশে ছোট ছোট ফোঁটা হিসেবে ঘনীভূত হয় এবং বাতাসে ভেসে থাকতে থাকে। একে কুয়াশা বলা হয়।

প্রশ্ন ২.কোন বস্তুর দ্বারা তাপ প্রাপ্তির পরিমাণ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তর:কোন বস্তুর দ্বারা তাপ প্রাপ্তির পরিমাণ তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
ক) পদার্থের ভর: পদার্থ দ্বারা শোষিত তাপের পরিমাণ সরাসরি তার ভরের সমানুপাতিক।
খ) পদার্থের প্রকৃতি: পদার্থ দ্বারা শোষিত তাপের পরিমাণ পদার্থের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
গ) পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পদার্থ দ্বারা শোষিত তাপের পরিমাণ তাপমাত্রার পরিবর্তনের সমানুপাতিক।

প্রশ্ন ৩.গলনাঙ্ক বা ফিউশন কী? চাপের দ্বারা পদার্থের গলনাঙ্ক কীভাবে প্রভাবিত হয়?
উত্তর:গলনাঙ্ক বা ফিউশন বিন্দু হল সেই স্থির তাপমাত্রা যেখানে একটি কঠিন পদার্থ তার তরল অবস্থায় পরিবর্তিত হতে শুরু করে।
পদার্থের গলনাঙ্ক চাপ দ্বারা দুটি উপায়ে প্রভাবিত হয়-
i) যেসব পদার্থ গলে যাওয়ার পর আয়তন হ্রাস পায়, যদি তাদের উপর চাপ বৃদ্ধি করা হয় তবে সেই পদার্থের গলনাঙ্ক হ্রাস পায়। উদাহরণস্বরূপ বরফ। ঢালাই লোহা, অ্যান্টিমনি বিসমাথ।
ii) আবার যেসব পদার্থ গলে যাওয়ার পর আয়তন বৃদ্ধি পায়। যদি তাদের উপর চাপ বৃদ্ধি করা হয় তবে গলনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ সোনা। রূপা, লোহা। তামা।

প্রশ্ন ৪.ফিউজ তার কী? ফিউজ তারের গলনাঙ্ক কম কেন?
উত্তর:পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হলে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই বিপদ এড়াতে কম গলনাঙ্কের একটি তার সার্কিটের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এই তারকে ফিউজ তার বলা হয়। একটি ফিউজ তার সীসা এবং টিনের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি। যেহেতু ফিউজ তারের গলনাঙ্ক খুব কম, তাই এটি কম তাপমাত্রায় গলে যায় এবং এর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে দেয় না।

আমরা জানি যে, বিশুদ্ধ পদার্থের সাথে অমেধ্য মিশ্রিত করলে এর গলনাঙ্ক কম হয়ে যায়। সীসা এবং টিন উভয়ের মিশ্রণের মাধ্যমে প্রাপ্ত মিশ্রণের গলনাঙ্ক। এই কারণেই, একটি ফিউজ তারের গলনাঙ্ক কম হয়।

প্রশ্ন ৫.নির্দিষ্ট সুপ্ত তাপ কী? নির্দিষ্ট সুপ্ত তাপের SI এবং CGS একক কী?
উত্তর:কোনও পদার্থের সুপ্ত তাপ বলতে তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন ছাড়াই পদার্থের একক ভরের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণকে বোঝায়। নির্দিষ্ট সুপ্ত তাপের SI একক হল প্রতি কিলোগ্রামে জুল এবং নির্দিষ্ট সুপ্ত তাপের CGS একক হল প্রতি গ্রাম জুল।

প্রশ্ন ৬।পরিবাহীতার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উত্তর:পরিবাহীতার বৈশিষ্ট্য-

  1. এই স্থানান্তর পদ্ধতিটি মূলত কঠিন পদার্থে ঘটে।

  2. মাধ্যমের অণুগুলি তাদের গড় অবস্থান ত্যাগ করে না, তবে কম্পনের ফলে তাপ স্থানান্তর করে।

  3. তাদের গড় অবস্থান সম্পর্কে।

  4. তাপের স্থানান্তর যেকোনো পথে যেকোনো দিকে হতে পারে।

  5. প্রক্রিয়াটি ধীর।

প্রশ্ন ৭।পরিচলনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উত্তর:
পরিচলনের বৈশিষ্ট্য-

  1. এই স্থানান্তর পদ্ধতি মূলত তরল এবং গ্যাসের মধ্যে ঘটে।

  2. মাধ্যমের অণুগুলি তাপ শোষণ করে, তারা উপরে উঠে যায় এবং অন্যান্য মাধ্যমের অণুগুলি তাদের স্থান দখল করে। এইভাবে মাধ্যমের ভর চলাচল হয়।

  3. তাপ স্থানান্তর কেবল উল্লম্বভাবে উপরের দিকে ঘটে।

  4. প্রক্রিয়াটি পরিবাহনের চেয়ে দ্রুত।

প্রশ্ন ৮.বিকিরণের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উত্তর:
বিকিরণের বৈশিষ্ট্য-..

  1. তাপ স্থানান্তরের জন্য কোনও পদার্থ মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।

  2. মাধ্যমটি কোনও ভূমিকা পালন করে না।

  3. তাপের স্থানান্তর একটি সরলরেখার পথ ধরে সমস্ত দিক দিয়ে তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গের আকারে ঘটে।

প্রশ্ন ৯.বাষ্পীভবন এবং ফুটন্তের মধ্যে পার্থক্যগুলি লিখুন।
উত্তর:

বাষ্পীভবন

ফুটন্ত

i) বাষ্পীভবন সকল তাপমাত্রায় ঘটে

i) এটি তরলের স্ফুটনাঙ্কে ঘটে

ii) বাষ্পীভবন একটি ধীর এবং নীরব প্রক্রিয়া

ii) বাষ্পীভবন একটি বাস্তব এবং হিংসাত্মক প্রক্রিয়া

iii) এটি তরলের পৃষ্ঠে ঘটে

iii) এটি তরলের সমগ্র ভর জুড়ে ঘটে

iv) এটি শীতলতা সৃষ্টি করে

iv) এটি শীতলতা সৃষ্টি করে না

প্রশ্ন ১০.তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তর:
তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ককে প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলি হল-

  1. তরলের প্রকৃতি: বিভিন্ন তরলের বিভিন্ন স্ফুটনাঙ্ক থাকে।

  2. এর উপস্থিতি? বিশুদ্ধতা: সাধারণত কিছু অমেধ্য তরলে দ্রবীভূত হলে স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়।

  3. চাপ: চাপ বৃদ্ধি পেলে তরলের স্ফুটনাঙ্কও বৃদ্ধি পায়।

গাণিতিক সমস্যা:  

 

প্রশ্ন ১.একটি পদার্থের নির্দিষ্ট তাপ ধারণক্ষমতা ০.১২ ক্যালরি গ্রাম গ্রাম° সেলসিয়াস, ভর ১০ গ্রাম। যদি তাপমাত্রা ২০° সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়, তাহলে কত তাপ প্রয়োজন?
উত্তর:প্রয়োজনীয় তাপ = ভর × নির্দিষ্ট তাপ × তাপমাত্রা
= ১০ × ০.১২ × ২০ ক্যালরি = ২৪০ ক্যালরি।

প্রশ্ন ২.৩০ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ২০° সেলসিয়াস থেকে ৫০° সেলসিয়াসে বাড়াতে কত তাপের প্রয়োজন?
উত্তর:প্রয়োজনীয় তাপ (H) = ms(t 2 -t 1 ) এখানে m = ভর = 50 গ্রাম
s = নির্দিষ্ট তাপ ক্ষমতা = 1 ক্যালোরি / গ্রাম
1 = প্রাথমিক তাপমাত্রা = 20° সেলসিয়াস
2 = চূড়ান্ত তাপমাত্রা = 50° সেলসিয়াস
∴ H = 30 × 1 × (50-20) ক্যালোরি = 30 × 30 ক্যালোরি = 900 ক্যালোরি।

প্রশ্ন ৩. গ্রাম বরফ গলাতে কত তাপের প্রয়োজন?
উত্তর:বরফের সংমিশ্রণের সুপ্ত তাপ ৮০ ক্যালোরি/গ্রাম।
∴ ১ গ্রাম বরফ গলাতে ৮০ ক্যালোরি তাপের প্রয়োজন
∴ ৫ গ্রাম বরফ গলাতে = ৮০ × ৫ ক্যালোরি = ৪০০ ক্যালোরি তাপের প্রয়োজন

প্রশ্ন ৪.একটি গ্লাসে ১০০ গ্রাম বরফ থাকে। এতে ৬৪০০ ক্যালোরি তাপ দেওয়া হয়। এর ফলে কী হবে?
উত্তর:বরফের সংমিশ্রণের সুপ্ত তাপ ৮০ ক্যালোরি/গ্রাম
∴ ৮০ ক্যালোরি তাপে বরফ গলে যায় ১ গ্রাম
∴ ১ ক্যালোরি তাপে বরফ গলে যায় g৮০
∴ ৬৪০০ ক্যালোরি তাপে গলে যায়৬৪০০৮০ g=80 g
∴ ফলাফল হবে 80 গ্রাম জল এবং 20 গ্রাম বরফ।

প্রশ্ন ৫.৪০ গ্রাম পানি ফুটতে এবং বাষ্পে পরিণত হতে কত তাপের প্রয়োজন?
উত্তর:বাষ্পের সুপ্ত তাপ ৫৩৭ ক্যালোরি/গ্রাম।
Ig পানিকে বাষ্পে পরিণত করতে ৫৩৭ ক্যালোরি প্রয়োজন
∴ ৪০ গ্রাম পানিকে বাষ্পে পরিণত করতে ৫৩৭ × ৪০ ক্যালোরি = ২১৪৮০ ক্যালোরি তাপ প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৬.একটি বস্তুর ভর ২০০ গ্রাম এবং নির্দিষ্ট তাপ ০.০৯ ক্যালোরি / গ্রাম ১° সেলসিয়াস। ঐ বস্তুর তাপমাত্রা ২০° সেলসিয়াস থেকে ৯০° সেলসিয়াসে বাড়াতে কত তাপের প্রয়োজন?
উত্তর:আমরা জানি প্রয়োজনীয় তাপ h = ms(t 1 -t 2 )

এখানে
m = ভর = 200 গ্রাম
s = নির্দিষ্ট তাপ = 0.09 unt
1 = 20° C এবং t 2 = 90° C
H = 200 × 0.09 × (90-20) ক্যালোরি
= 200 × 0.09 × 70 ক্যালোরি = 1260 ক্যালোরি।

 

প্রশ্ন ৭.২০০ গ্রাম অ্যালুমিনিয়ামের তাপীয় ক্ষমতা গণনা করুন। অ্যালুমিনিয়ামের নির্দিষ্ট তাপীয় ক্ষমতা ০° ২১ ক্যালোরি গ্রাম -১ °সে -১ ।
উত্তর:তাপীয় ক্ষমতা = ms
= ২০০ × ০.২১ ক্যালোরি / °সে = ৪২ ক্যালোরি / °সে

প্রশ্ন ৮.১০ গ্রাম বরফের তাপমাত্রা -৮°C থেকে ৫০°C পর্যন্ত বাড়াতে কত তাপের প্রয়োজন হয়। বরফের নির্দিষ্ট তাপ ০.৫ ক্যালোরি গ্রাম-১°C -১ ।
উত্তর: তাপ তিনটি ধাপে নির্গত হবে।
প্রথমে -৮°C থেকে বরফ ০°C তাপমাত্রায় পরিণত হবে, তারপর ০°C থেকে বরফ সুপ্ত তাপ গ্রহণ করে ০°C পানিতে রূপান্তরিত হবে এবং অবশেষে ০°C পানি ৫০°C পানিতে পরিণত হবে।
-৮°C থেকে ০°C তাপমাত্রায় প্রয়োজনীয় তাপ
= (০+৮) ০.৫ × ১০ ক্যালোরি = ৪ × ১০ ক্যালোরি = ৪০ ক্যালোরি
০°C বরফ থেকে ০°C তাপমাত্রায় প্রয়োজনীয় জল তাপ = ৮০ × ১০ ক্যালোরি = ৮০০ ক্যালোরি।
০° সেলসিয়াস-৫০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে পানির তাপের প্রয়োজনীয়তা = ১০ × ১ × (৫০-০) ক্যালোরি = ১০ × ৫০ ক্যালোরি = ৫০০ ক্যালোরি
মোট তাপের প্রয়োজনীয়তা = (৪০+৮০০+৫০০) = ১৩৪০ ক্যালোরি।

 

৯.10 গ্রাম ভরের একখণ্ড সিসার উয়তা 50°C বৃদ্ধি করতে কত তাপ প্রয়োজন? সিসার আপেক্ষিক তাপ = 0.03 ক্যালোরি/গ্রাম °CI

উত্তর: আমরা জানি, গৃহীত তাপ =mst

এখানে

m = ভর = 10 গ্রাম

s = আপেক্ষিক তাপ = 0.03 ক্যালোরি/গ্রাম °C

t = উয়তা বৃদ্ধি = 50°C :

: গৃহীত তাপ = (10 × 0.03 × 50) ক্যালোরি = 15 ক্যালোরি।

১০.100 গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উয়তা 30°C থেকে স্ফুটনাঙ্কে নিয়ে যেতে কত তাপ প্রয়োজন?

উত্তর: জল কর্তৃক গৃহীত তাপ = জলের ভর × আপেক্ষিক তাপ × উষ্ণতা বৃদ্ধি

এখানে জলের ভর = 100 গ্রাম

জলের আপেক্ষিক তাপ = 1 ক্যালোরি/গ্রাম °C

উষ্ণতা বৃদ্ধি = 100°C – 30°C = 70°C

.. জল কর্তৃক গৃহীত তাপ = (100 × 1 ×70) ক্যালোরি ক্যালোরি= 7000

প্রয়োজনীয় তাপ = 7000 ক্যালোরি।

১১.50 গ্রাম সিসার উয়তা 100°C থেকে কমে 60°C হলে কী পরিমাণ তাপ বর্জিত হবে? সিসার আপেক্ষিক তাপ = 0.03 ক্যালোরি/গ্রাম °C।

উত্তর: সিসা কর্তৃক বর্জিত তাপ = mst

এখানে

m = সিসার ভর = 50 গ্রাম

s = সিসার আপেক্ষিক তাপ = 0.03 ক্যালোরি/গ্রাম°C

t = উষ্ণতা হ্রাস = 100°C – 60°C = 40°C

: সিসা কর্তৃক বর্জিত তাপ = (50 × 0.03 × 40) ক্যালোরি = 60 ক্যালোরি

১২.0°C উষ্ণতায় 12 গ্রাম বরফকে গলিয়ে জলে পরিণত করতে কত তাপ লাগবে?

উত্তর: বরফ গলনের লীন তাপ 80 ক্যালোরি/গ্রাম।

.. 0°C উয়তার 1 গ্রাম বরফকে 0°C উষ্ণতার 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে ৪০ ক্যালোরি তাপ লাগে।

: 0°C উষ্ণতার 12 গ্রাম বরফকে 0°C উয়তার 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে তাপ লাগে = (12 ×80) ক্যালোরি = 960 ক্যালোরি।

১৩.100°C উয়তার 10 গ্রাম জলকে সম্পূর্ণ বাষ্পে পরিণত করতে কত তাপ লাগবে?

উত্তর: জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম।

: 100°C উয়তার 1 গ্রাম জলকে সম্পূর্ণ বাষ্পে পরিণত করতে তাপ লাগে 537 ক্যালোরি

: 100°C উষ্ণতার 1 গ্রাম জলকে সম্পূর্ণ বাষ্পে পরিণত করতে তাপ লাগে = (537×10) ক্যালোরি = 5370 ক্যালোরি।

১৪.0°C উষ্ণতার 250 গ্রাম বরফকে 0°C উয়তার সম্পূর্ণ জলে পরিণ করতে কত তাপ লাগবে?

উত্তর: বরফ গলনের লীন তাপ = 80 ক্যালোরি/গ্রাম।

: 0°C উষ্ণতার 1 গ্রাম বরফকে 0°C উষ্ণতার সম্পূর্ণ জলে পরিণত করতে তাপ লাগে 80 ক্যালোরি।

: 0°C উয়তার 250 গ্রাম বরফকে 0°C উয়তার সম্পূর্ণ জলে পরিণত করতে তাপ লাগে = (250 ×80) ক্যালোরি = 2000 ক্যালোরি।

১৫.একটি 50 গ্রাম ভরের পদার্থ খণ্ডের উষ্ণতা 2°C বাড়াতে 25 ক্যালোরি তাপ লাগে। ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ কত?

উত্তর: এখানে

ভর (m) = 50 গ্রাম;

উষ্ণতা বৃদ্ধি (t) = 2°C।

প্রয়োজনীয় তাপ (Q) = 25 ক্যালোরি,

আপেক্ষিক তাপ (s) = ?

আমরা জানি, Q = mst

25 = 50 × s × 2 বা, 25 = 100 s বা s =25/100 = 0.25

.:. ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ 0.25 ক্যালোরি/গ্রাম °C।

১৬.3200 ক্যালোরি তাপ দিয়ে 0°C তাপমাত্রায় কত গ্রাম বরফকে ওই একই তাপমাত্রায় জলে পরিণত করা যাবে?

উত্তর: আমরা জানি, 0°C তাপমাত্রায় 1 গ্রাম বরফকে 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে ৪০ ক্যালোরি তাপ লাগে।

.. 3200 ক্যালোরি তাপ দিয়ে 0°C তাপমাত্রায় বরফ গলানো যাবে 3200/ 80 গ্রাম = 40 গ্রাম।

=========================================================

  1. CGS পদ্ধতিতে তাপের একক কী?

উত্তর: ক্যালোরি।

  1. SI পদ্ধতিতে তাপের একক কী?

উত্তর:জুল।

  1. জুল ক্যালোরির সম্পর্ক কী?

উত্তর: 1 ক্যালোরি = 4.2 জুল।

  1. গৃহীত তাপ বা বর্জিত তাপ পরিমাপের সূত্রটি লেখো।

উত্তর: Q=mxsx (t2—t1) ।

  1. কোন্ পদার্থের আপেক্ষিক তাপ সবচেয়ে বেশি?

উত্তর: জলের আপেক্ষিক তাপ সবচেয়ে বেশি।

  1. জলের আপেক্ষিক তাপ কত?

উত্তর: জলের আপেক্ষিক তাপ 1 ক্যালোরি/গ্রাম °C

  1. এমন একটি পদার্থের নাম লেখো যার তিনটি অবস্থানেই।

উত্তর: আয়োডিন।

কঠিন থেকে তরলে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর: গলন।

  1. তরল থেকে কঠিনে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর: কঠিনীভবন।

  1. তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর: বাষ্পীভবন।

  1. বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর: ঘনীভবন।

  1. প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট  উষ্ণতায় কঠিন পদার্থের গলন হয় তাকে কী বলে?

উত্তর: গলনাঙ্ক।

  1. প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উন্নতায় তরল পদার্থ কঠিনে পরিণত হয় তাকে কী বলে?

উত্তর: হিমাঙ্ক।

  1. বরফের গলনাঙ্ক কত?

উত্তর: 0°C।

  1. জলের হিমাঙ্ক কত?

উত্তর: 0°C।

  1. জল বরফে পরিণত হলে তার আয়তনের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর: আয়তন বাড়ে।

  1. জল অপেক্ষা বরফের ঘনত্ব কম না বেশি?

উত্তর: কম।

  1. পিতলকেগলিয়েতরলেপরিণতকরলেতারআয়তনেরকীরূপপরিবর্তনহয়?

উত্তর: আয়তন কমে।

  1. চাপ বাড়ালে বরফের গলনাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর: গলনাঙ্ক কমে।

  1. ধাতুসংকরের গলনাঙ্ক সেটির উপাদানগুলির গলনাঙ্ক অপেক্ষা কম না বেশি?

উত্তর: কম।

  1. নির্দিষ্ট অনুপাতের বরফ লবণের মিশ্রণকে কী বলে?

উত্তর: হিমমিশ্রণ।

  1. হিমমিশ্রণের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তর: মাছ, মাংস সংরক্ষণের জন্য হিমমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

  1. অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে তাপ গৃহীত বা বর্জিত হয় তাকে কী বলে?

উত্তর: লীন তাপ।

  1. বরফ গলনের লীনতাপ কত?

উত্তর: 80 ক্যালোরি/গ্রাম।

25.0°C উন্নতার 1 গ্রামবরফকে 0°উন্নতার 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে কত তাপ লাগে?

উত্তর: 80 ক্যালোরি।

  1. ধীরে ধীরে তরলের উপরিতল থেকে বাষ্পীভূত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর: বাষ্পায়ন।

  1. একটি নির্দিষ্ট চাপে একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় তরলের সমগ্র অংশ থেকে দ্রুতবাষ্পীভূত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর: ।স্ফুটন

  1. প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?

উত্তর: 100°C l

  1. তরলের ওপর চাপ বাড়ালে তরলের স্ফুটনাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর: স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়।

  1. বাষ্পায়ন স্ফুটনের একটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর: বাষ্পায়ন যে-কোনো উন্নতায় ঘটে, কিন্তু স্ফুটন একটি নির্দিষ্ট উন্নতায় ঘটে।

  1. সাধারণজললবণজলেরমধ্যেকারস্ফুটনাঙ্কবেশি?

উত্তর: লবণ জলের স্ফুটনাঙ্ক বেশি।

  1. কোনো পদার্থের সঙ্গে কোনো অশুদ্ধি মেশানো থাকলে পদার্থটির গলনাঙ্ক বাড়ে না কমে?

উত্তর: কমে।

  1. নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক হিমাঙ্ক নেই এমন দুটি পদার্থের নাম লেখো।

উত্তর: মাখন ও চর্বি।

  1. কোনো বস্তুকে দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য 0°উন্নতার জলএবং 0°উষ্ণতার বরফের মধ্যে কোন্‌টি বেশি কার্যকর?

উত্তর: 0°C উদ্ধৃতার বরফ বেশি কার্যকর।

  1. তরলের ওপর চাপ বাড়ানোর ফলে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যাওয়ার ঘটনার একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ করো।

উত্তর: প্রেশার কুকার।

  1. দার্জিলিংজলের স্ফুটনাঙ্ক কম কেন?

উত্তর: দার্জিলিং-এ বায়ুর চাপ কম, সেইজন্য দার্জিলিং-এ জলের স্ফুটনাঙ্ক কম।

  1. জলের বাষ্পীভবনের লীনতাপ কত?

উত্তর: জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম।

  1. শহরে বেশি কুয়াশা দেখা যায় কেন?

উত্তর: শহরের বায়ুমণ্ডলে বেশি ধুলো থাকায় শহরে বেশি কুয়াশা দেখা যায়।

  1. কঠিন মাধ্যমে কোন্ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়?

উত্তর: পরিবহণ পদ্ধতিতে।

  1. তরল গ্যাসীয় মাধ্যমে তাপ কোন্ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়?

উত্তর: পরিচলন পদ্ধতিতে।

  1. তাপ পরিবহণে সক্ষম এমন একটি অধাতুর নাম লেখো।

উত্তর: গ্রাফাইট তাপের সুপরিবাহী।

  1. দুটি তাপের কুপরিবাহী পদার্থের নাম লেখো।

উত্তর: কাঠ ও কাচ তাপের কুপরিবাহী।

  1. পরিচলন স্রোতের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: ভূপৃষ্ঠে যে বায়ুপ্রবাহ হয় তা একটি পরিচলন স্রোত।

  1. মাধ্যম ছাড়া তাপ সঞ্চালিত হয় কোন পদ্ধতিতে?

উত্তর: বিকিরণ পদ্ধতিতে।

  1. সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ কোন্ পদ্ধতিতে আসে?

উত্তর: বিকিরণ পদ্ধতিতে।

  1. গরম পানীয় অনেকক্ষণ গরম রাখতে কী ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: থার্মোফ্লাস্ক।

thermoflask

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :

  1. CGS পদ্ধতিতে তাপের এককের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: CGS পদ্ধতিতে তাপের একক ক্যালোরি। 1 গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপ লাগে, সেই পরিমাণ তাপকে 1 ক্যালোরি বলে।

  1. কোনো বস্তু কর্তৃক গৃহীত বা বর্জিত তাপ কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর: কোনো বস্তু কর্তৃক গৃহীত বা বর্জিত তাপ তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন- (i) বস্তুর ভর, (ii) বস্তুর আপেক্ষিক তাপ এবং (iii) বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাস।

  1. কোনো বস্তু কর্তৃক গৃহীত তাপ বা বর্জিত তাপ নির্ণয়ের সূত্রটি লেখো।

উত্তর: বস্তু কর্তৃক গৃহীত তাপ (Q) = বস্তুর ভর (m) × আপেক্ষিক তাপ (s) × উয়তা বৃদ্ধি (t) এবং বস্তু কর্তৃক বর্জিত তাপ (Q) = বস্তুর ভর (m) x আপেক্ষিক তাপ(s) × উয়তা হ্রাস (1)

  1. বস্তুর আপেক্ষিক তাপের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর:একক ভরের কোনো পদার্থের উষ্ণতা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।

  1. CGS পদ্ধতিতে আপেক্ষিক তাপের সংজ্ঞা ও একক লেখো।

উত্তর: এক গ্রাম ভরের কোনো পদার্থের উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে। CGS পদ্ধতিতে আপেক্ষিক তাপের একক ক্যালোরি/গ্রাম °C।

  1. জল অপেক্ষা দুধ তাড়াতাড়ি গরম হয় কেন?

উত্তর: জল অপেক্ষা দুধের আপেক্ষিক তাপ কম। একই ভরের দুধ ও জলে একই পরিমাণ তাপ দিলে দুধের উষ্ণতা বেশি বৃদ্ধি পায়। ধরা যাক, m ভরের দুধ ও জলে H তাপ দেওয়া হল। দুধের আপেক্ষিক

তাপ sy এবং জলের আপেক্ষিক তাপ sq। দুধের উষ্ণতা বৃদ্ধি হয়, এবং জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি হয় ।

জলের ক্ষেত্রে H = ms2t2; দুধের ক্ষেত্রে H =ms1t1

 

  1. একই ভরের একখণ্ড তামা ও লোহার 1°C উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তর: আমরা জানি, গৃহীত তাপ = বস্তুর ভর × আপেক্ষিক তাপ × উষ্ণতা বৃদ্ধি। এখানে তামার খন্ড ও লোহার খণ্ডের ভর একই এবং উভয়ের উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলির আপেক্ষিক তাপ ভিন্ন। তাই উভয় ক্ষেত্রে 1°C উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পরিমাণ তাপের প্রয়োজন।

 

  1. পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: পদার্থের অবস্থান্তর কোনো পদার্থের কোনো এক ভৌত অবস্থা থেকে অন্য এক ভৌত অবস্থায় পরিবর্তিত হওয়ার ঘটনাকে অবস্থার পরিবর্তন বা অবস্থান্তর বলে।

 

  1. পদার্থের উচ্চ এবং নিম্ন অবস্থান্তর কাকে বলে?

উত্তর: উচ্চ অবস্থান্তর : তাপ প্রয়োগে যে অবস্থান্তর ঘটে, সেই প্রকার অবস্থান্তরকে উচ্চ অবস্থান্তর বলে। যেমন–জল থেকে বাষ্প হওয়া।

নিম্ন অবস্থান্তর : তাপ নিষ্কাশন করে যে অবস্থান্তর ঘটে, সেই অবস্থান্তরকে নিম্ন অবস্থান্তর বলে। যেমন—বাষ্প থেকে জল কণা তৈরি হওয়া।

 

  1. গলন ও গলনাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: গলনঃ কঠিন পদার্থের তরলে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে গলন বলে। গলনাঙ্ক: প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয়, সেই উষ্ণতাকে ওই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।

 

  1. কঠিনীভবন বা হিমায়ন কাকে বলে? হিমাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: কঠিনীভবন বা হিমায়ন : তরল পদার্থের কঠিনে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কঠিনীভবন বা হিমায়ন বলে। হিমাঙ্ক: প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় তরল পদার্থ জমে কঠিনে পরিণত হয়, সেই উয়তাকে ওই পদার্থের হিমাঙ্ক বলে।

 

  1. কোন পদার্থের গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক একই হয় এবং কোন্ পদার্থের গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক সমান নয়? উদাহরণ দাও।

উত্তর: বিশুদ্ধ ধাতু এবং কঠিন অবস্থায় যেসব পদার্থ কেলাসাকার তাদের গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক একই হয়। যেমন—জলের হিমাঙ্ক 0°C, আবার বরফের গলনাঙ্ক 0°CT কঠিন অবস্থায় যেসব পদার্থ অক্লোসাকার তাদের গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক সমান হয় না। যেমন—কঠিন মাখন 28°C থেকে 37°C উষ্ণতার মধ্যে গলে তরলে পরিণত হয়, আবার তরল মাখন 23°C থেকে 20°C উষ্ণতার মধ্যে জমে কঠিনে পরিণত হয়।

 

  1. পুনঃশিলীভবন বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পুনঃশিলীভবনঃ চাপ প্রয়োগ করে বরফকে গলিয়ে জলে পরিণত করা এবং চাপ উঠিয়ে ওই জলকে পুনরায় বরফে পরিণত করার ঘটনাকে পুনঃশিলীভবন বলে।

 

  1. তরলের হিমাঙ্কের ওপর অপদ্রব্যের প্রভাব কী? দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: কোনো তরল পদার্থে অন্য কোনো পদার্থ দ্রবীভূত থাকলে ওই মিশ্রণের হিমাঙ্ক বিশুদ্ধ তরলের হিমাঙ্ক অপেক্ষা কম হয়। উদাহরণ-(i) বিশুদ্ধ জলের হিমাঙ্ক 0°C। কিন্তু সমুদ্রের জলের হিমাঙ্ক 0°C-এর কম হয়। কারণ সমুদ্রজলে লবণ দ্রবীভূত থাকে। (ii) শীতপ্রধান দেশে গাড়ির রেডিয়েটারে জলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে মিশ্রণের হিমাঙ্ক জলের হিমাঙ্কের (0°C) চেয়ে কম হয়। ফলে রেডিয়েটারের জল বরফে পরিণত হতে পারে না।

 

  1. বাষ্পীভবন কাকে বলে? বাষ্পীভবন কী কী পদ্ধতিতে হয়?

উত্তর: বাষ্পীভবন : তরল পদার্থের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে বাষ্পীভবন বলে।

বাষ্পীভবনের পদ্ধতি : তরলের বাষ্পীভবন দুটি পদ্ধতিতে হয় (i) বাষ্পায়ন এবং (ii) স্ফুটন।

 

  1. বাষ্পায়ন কাকে বলে?

উত্তর: ৰাষ্পায়ন : যে-কোনো উষ্ণতায় তরল পদার্থের উপরিতল থেকে ধীরে ধীরে ভরলের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে বাষ্পায়ন বলে।

 

  1. স্ফুটন কাকে বলে?

উত্তর:স্ফুটন ও নির্দিষ্ট চাপে ও নির্দিষ্ট উষ্ণতায় তরল পদার্থের সমগ্র অংশ থেকে দ্রুত তরলের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে স্ফুটন বলে।

 

18 তরলের স্ফুটনাস্কের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: স্ফুটনাঙ্ক ঃ প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় তরল তার সমগ্র অংশ থেকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়, সেই উষ্ণতাকে ওই তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে।

 

  1. কলকাতা এবং দার্জিলিং-এ বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক কি সমান হবে? যুক্তি দাও।

উত্তর: কলকাতা ও দার্জিলিং-এ বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক সমান হবে না। তরলের স্ফুটনাঙ্ক তরলের উপরিতলে বায়ুচাপের ওপর নির্ভর করে।

দার্জিলিং কলকাতা থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার উঁচুতে পাহাড়ের উপর অবস্থিত। পাহাড়ের উচ্চতার জন্য বায়ুর চাপ কমে যায়। বায়ুর চাপ কমলে তরলের স্ফুটনাঙ্কও কমে। কলকাতায় জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C হলে, দার্জিলিং-এ জলের স্ফুটনাঙ্ক 93.6°C1

 

  1. প্রেশার কুকারের মূলনীতিটি লেখো।

উত্তর: প্রেশার কুকারের মূলনীতি ঃ চাপ বাড়ালে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বাড়ে। এই নীতিকে কাজে লাগিয়ে প্রেশার কুকার যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। প্রেশার কুকার যন্ত্রে আবদ্ধ পাত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C-এর বেশি উষ্ণতায় জল ফোটানো হয়। ফলে বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য অল্প সময়ে সুসিদ্ধ হয়।

 

  1. সম্পৃক্ত বাষ্প কাকে বলে?

উত্তর: সম্পৃক্ত বাষ্প : কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে সর্বাধিক পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকলে সেই বাষ্পকে সম্পৃক্ত বাষ্প বলে।

 

  1. অসম্পৃক্ত বাষ্প কাকে বলে?

উত্তর: অসম্পৃক্ত বাষ্প : কোনো নির্দিষ্ট উয়তায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে সর্বাধিক যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকতে পারে, যদি বায়ুতে তা অপেক্ষা কম পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাহলে ওই বাষ্পকে অসম্পৃক্ত বাষ্প বলে।

 

  1. শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর: শিশিরাঙ্ক ঃ যে উয়তায় কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু তার মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়, সেই উয়তাকে ওই বায়ুর শিশিরাঙ্ক বলে।

 

  1. শিশির উৎপত্তি হয় কীভাবে?

উত্তর: শিশির উৎপত্তি ঃ শরৎকালে এবং শীতকালে সন্ধ্যার পর ভূপৃষ্ঠ শীতল হতে থাকে। ফলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুও শীতল হতে থাকে। একসময় বায়ু তার মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়। বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নীচে নামলে বায়ুমধ্যস্থ কিছু জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয় এবং ঘাসের আগায় ও গাছের পাতায় জমা হয়। এই জলকণাগুলিই হল শিশির।

 

  1. মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর: (১) বায়ুতে যে জলীয় বাষ্প থাকে তা ওপরে উঠে গিয়ে শীতল বায়ুস্তরের সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয় এবং ছোটো ছোটো জলকণায় পরিণত হয়ে বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে বায়ুতে ভেসে বেড়ায়। একেই আমরা মেঘ বলি।

 

  1. লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: লীন তাপ ঃ উষ্ণতা স্থির রেখে একক ভরের কোনো পদার্থের শুধু অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে পরিমাণ তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই পদার্থের ওই অবস্থার পরিবর্তনের লীন তাপ বলে।

 

  1. বাষ্পীভবনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: বাষ্পীভবনের লীন তাপ ও প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো তরল পদার্থকে তার স্ফুটনাঙ্কের উষ্ণতায় স্থির রেখে সম্পূর্ণ বাষ্পে পরিণত করতে যে তাপ প্রয়োগ করতে হয় সেই পরিমাণ তাপকে ওই তরলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ বলে।

 

  1. জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম বলতে কী বোঝো?

উত্তর: জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম বলতে বুঝি, প্রমাণ চাপে 100°C উষ্ণতায় 1 গ্রাম জলকে 100°C উষ্ণতায় 1 গ্রাম বাষ্পে পরিণত করতে 537 ক্যালোরি তাপ প্রয়োজন।

 

  1. গলনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: গলনের লীন তাপ ঃ প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো কঠিন পদার্থকে তার গলনাঙ্কের উয়তায় স্থির রেখে সম্পূর্ণ তরলে পরিণত করতে যে তাপ প্রয়োগ করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই কঠিন পদার্থের গলনের লীন তাপ বলে।

  1. কঠিনীভবনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: কঠিনীভবনের লীন তাপ : প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো তরল পদার্থকে তার হিমাঙ্কের উয়তায় স্থির রেখে সম্পূর্ণ কঠিনে পরিণত করতে যে তাপ নিষ্কাশন করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই তরলের কঠিনীভবনের লীন তাপ বলে।

 

  1. ঘনীভবনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: ঘনীভবনের লীন তাপ : প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো বাষ্পকে, উষ্ণতার পরিবর্তন না করে, বাষ্পীয় অবস্থা থেকে সম্পূর্ণরূপে তরল অবস্থায় আনতে যে পরিমাণ তাপ নিষ্কাশন করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই বাষ্পের ঘনীভবনের লীন তাপ বলে।

 

  1. বরফ গলনের লীন তাপ ৪০ ক্যালোরি/গ্রাম বলতে কী বোঝো?

উত্তর: বরফ গলনের লীন তাপ 80 ক্যালোরি/গ্রাম বলতে বোঝায় যে, 0°C উয়তার 1 গ্রাম বরফকে 0°C উষ্ণতার 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে 80 ক্যালোরি তাপ লাগে।

 

  1. মাটির কলশির জল শীতল হয় কেন?

উত্তর: মাটির কলশিতে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। মাটির কলশির জল এই ছিদ্র দিয়ে বাইরে আসে এবং বাষ্পীভূত হয়। বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ মাটির কলশি এবং তার মধ্যস্থ জল সরবরাহ করে। ফলে মাটির কলশি এবং কলশির জল ঠান্ডা হয়ে যায়।

 

  1. হাতে স্পিরিট ঢাললে ঠান্ডা বোধ হয় কেন?

উত্তর: স্পিরিট উদ্বায়ী তরল। স্পিরিট হাতে ঢাললে তা দ্রুত বাষ্পীভূত হয় এবং বাষ্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ হাত থেকে গ্রহণ করে। ফলে হাতের যেখানে স্পিরিট ঢালা হয় সেখানে ঠান্ডা লাগে।

 

  1. একই ঘরে অবস্থিত একটি মৃৎপাত্রে ও একটি ধাতুর পাত্রে সম উষ্ণতায় জল রাখা হল। কয়েক ঘণ্টা পরে কোন্ জল শীতলতর হবে? যুক্তিসহ উত্তর দাও।

উত্তর: একই ঘরে অবস্থিত একটি মৃৎপাত্র ও একটি ধাতুর পাত্রে সমউয়তায় জল রাখা হল। কয়েক ঘণ্টা পরে মৃৎপাত্রের জল শীতলতর হবে। কারণ মৃৎপাত্রের গায়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকায় ওই ছিদ্র দিয়ে জল চুইয়ে বাইরে আসে এবং বাষ্পীভূত হয়। এই বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ প্রধানত মৃৎপাত্র এবং তার মধ্যস্থিত জল সরবরাহ করে। ফলে মৃৎপাত্র ও তার মধ্যস্থিত জল শীতল হয়ে যায়। কিন্তু ধাতুর পাত্রের গায়ে কোনো ছিদ্র থাকে না। তাই ধাতুর পাত্রে রাখা জল অপেক্ষাকৃত কম শীতল হবে।

 

  1. চাপ বৃদ্ধি করলে বরফের গলনাঙ্ক কীভাবে পরিবর্তন হবে যুক্তিসহ উত্তর দাও।

উত্তর: গলনের ফলে যেসব কঠিন পদার্থের আয়তন বাড়ে, তাদের ওপর চাপ বাড়ালে তাদের গলনাঙ্ক বাড়ে। গলনের ফলে যেসব কঠিন পদার্থের আয়তন কমে, তাদের ওপর চাপ বাড়ালে তাদের গলনাঙ্ক কমে। বরফ গলে জলে পরিণত হলে তার আয়তন কমে যায়। ফলে বরফের ওপর চাপ বাড়ালে বরফের গলনাঙ্ক কমে যায়।

 

  1. পারিপার্শ্বিক উষ্ণতা 0°C-এর নীচে নামলে জলের পাইপ ফেটে যায় কেন?

উত্তর: পারিপার্শ্বিক উয়তা 0°-এর নীচে নামলে জলের পাইপের জল লীন তাপ বর্জন করে বরফে পরিণত হয়ে আয়তনে বেড়ে যায়। ফলে পাইপের ভিতরে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হয়। এই চাপের ফলে জলের পাইপ ফেটে যায়।

 

  1. স্টিলের গ্লাসে ঠান্ডা জল ঢাললে গ্লাসের গায়ে জলবিন্দু দেখা যায় কেন?

উত্তর: স্টিলের গ্লাসে ঠান্ডা জল ঢাললে স্টিলের গ্লাস দ্রুত তাপ বর্জন করে ঠান্ডা হয়ে যায়। বায়ু মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প ঠান্ডা গ্লাসের সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলবিন্দুতে পরিণত হয় এবং গ্লাসের গায়ে জমা হয়।

 

39. 0°C উষ্ণতার বরফের খণ্ডে একটি গর্ত করে তাতে 10°C প্রাথমিক উষ্ণতার জল পূর্ণ করলে কী হবে?

উত্তর: 0°C উয়তার বরফের খণ্ডে একটি গর্ত করে তাতে 10°C উষ্ণতার জল ঢাললে জল তাপ বর্জন করে 0°C উষ্ণতায় পৌঁছোবে এবং বরফ ওই তাপ গ্রহণ করবে ও সামান্য বরফ গলে জলে পরিণত হবে। ফলে গর্তে জলের আয়তন সামান্য বাড়বে। এই অবস্থায় গর্তের জল ও বরফের উষ্ণতা 0°C হবে। কিন্তু গর্তের জল লীন তাপ বর্জন করতে না পারায় ওই জল বরফে পরিণত হবে না।

 

  1. দুই খণ্ড বরফ জোরে চেপে ধরে ছেড়ে দিলে তারা জোড়া লেগে যায় কেন?

উত্তর: দুই খণ্ড বরফ জোরে চেপে ধরে ছেড়ে দিলে তারা জোড়া লেগে যায়। চাপের ফলে বরফ টুকরো দুটির সংযোগস্থলের গলনাঙ্ক 0°C-এর নীচে নেমে যায়। কিন্তু বরফের উষ্ণতা 0°C থাকায় ওই স্থানের বরফ, বরফ টুকরো দুটি থেকে লীন তাপ নিয়ে জলে পরিণত হয়। চাপ উঠিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ টুকরো দুটির পৃষ্ঠতলের গলনাঙ্ক আবার বেড়ে 0°C হয়। ফলে ওই জায়গার গলিত জল আবার জমে বরফে পরিণত হয়ে বরফের টুকরো দুটিকে জোড়া লাগিয়ে দেয়।

 

  1. প্রেশার কুকারে রান্না দ্রুত হয় কেন?

উত্তর: প্রেশার কুকারের মধ্যে খাদ্যবস্তু এবং জল নিয়ে তার মুখ ঢাকনা দিয়ে বায়ুনিরুদ্ধভাবে আটকে দেওয়া হয়। এরপর কুকারটি জ্বলন্ত উনুনের উপর বসিয়ে উত্তপ্ত করা হয়। তাপে কুকারের জল বাষ্পীভূত হয়ে কুকারের ভিতর জমা হতে থাকে। এতে কুকারের ভিতরে জলের ওপর চাপ বায়ুমণ্ডলের চাপের থেকে বেশি হয়। ফলে কুকারের জলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায় এবং প্রায় 120°C উষ্ণতায় জল ফুটতে শুরু করে। ওই উষ্ণতায় কুকারের ভিতরের খাদ্যবস্তু খুব সহজেই দ্রুত সেদ্ধ হয়ে যায়।

 

  1. জলের স্ফুটনাঙ্ক কি 100°C-এর কম হওয়া সম্ভব? যুক্তিসহ উত্তর দাও।

উত্তর: জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C-এর কম তওয়া সম্ভব। চাপ বৃদ্ধিতে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায় এবং চাপ হ তরলের স্ফুটনাঙ্ক হ্রাস পায়। সুতরাং, জলের উপরিতলের চাপ কমিয়ে দিলে স্ফুটনাঙ্ক 100°C-এর কম হবে।

 

  1. 0°C উষ্ণতার জলের চেয়ে 0°C উষুতার বরফ বেশি ঠান্ডা বোধ হয় কেন?

উত্তর: 0°C উষ্ণতার 1 গ্রাম জলকে 0°C উষ্ণতায় 1 গ্রাম বরফে পরিণত করতে 80 ক্যালোরি তাপ নিষ্কাশন করতে হয়। ফলে 0°C উষ্ণতার 1 গ্রাম জল অপেক্ষা 0°C উষ্ণতার 1 গ্রাম বরফে ৪০ ক্যালোরি তাপ কম থাকে। তাই 0°C উষ্ণতার বরফকে 0°C উষ্ণতার জল অপেক্ষা ঠান্ডা বোধ হয়।

 

  1. 100°C উষ্ণতার ফুটন্ত জলের চেয়ে 100°C উদ্ধৃতার স্টিমে হাত দিলে কোন ক্ষেত্রে হাত বেশি পুড়বে? কারণসহ উত্তর দাও।

উত্তর: জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম। অর্থাৎ, 100°C উষ্ণতার 1 গ্রাম জল 537 ক্যালোরি তাপ গ্রহণ করে 100°C উষ্ণতার 1 গ্রাম বাষ্পে পরিণত হয়। সুতরাং, 100°C উষ্ণতার 1 গ্রাম জল অপেক্ষা 100°C উষ্ণতার 1 গ্রাম বাষ্পে 537 ক্যালোরি তাপ বেশি থাকে। তাই 100°C উষ্ণতার ফুটন্ত জল অপেক্ষা 100°C উষ্ণতার বাষ্পে হাত বেশি পুড়বে।

 

  1. আগুনে জল দিলে আগুন নিভে যায় কেন?

উত্তর: আগুনে জল দিলে সেই জল জ্বলন্ত বস্তু থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয়। ফলে জ্বলন্ত বস্তুর উষ্ণতা কমে যায়। আবার উৎপন্ন স্টিম জ্বলন্ত বস্তুর চারপাশ ঘিরে একটি আবরণ তৈরি করে। ফলে জ্বলন্ত বস্তু বায়ুর সংস্পর্শে আসতে পারে না এবং আগুন নিভে যায়।

 

  1. একটি বিকারে কিছু জল রেখে তার মধ্যে 100°C উষ্ণতার স্টিম চালনা করলে বিকারের জল ফুটবে কী? যুক্তি দাও।

উত্তর: একটি বিকারে কিছু জল রেখে তার মধ্যে 100°C উষ্ণতার স্টিম চালনা করলে বিকারের জল ফুটবে না। জলের মধ্যে স্টিম চালনা করলে জল স্টিম থেকে তাপ গ্রহণ করবে, ফলে জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে এবং একসময় জলের উষ্ণতা 100°C হবে। এখন জল এবং স্টিমের উষ্ণতা সমান হওয়ায় স্টিম আর তাপ বর্জন করবে না এবং জলও আর তাপ গ্রহণ করবে না। জল স্ফুটনের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ পাবে না, ফলে বিকারের জল ফুটবে না।

 

  1. শীতকালে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগানো হয় কেন?

উত্তর: শীতকালে বায়ুতে জলীয় বাষ্প কম থাকায় শীতকালে বাষ্পায়নের হার বেশি হয়। আমাদের ঠোঁট খুব নরম। শীতকালে ঠোঁট থেকে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়, ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। গ্লিসারিন অনুদ্বায়ী তরল। ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগালে গ্লিসারিন সহজে বাষ্পীভূত হয় না, ফলে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক বায়ুর সংস্পর্শে আসতে পারে না। তাই ঠোঁটের জল বাষ্পীভূত হতে পারে না এবং আমাদের ঠোঁট ফাটে না।

 

  1. দার্জিলিং-এ ফুটন্ত জলে হাত দিলে হাত কম পোড়ে কেন?

উত্তর: দার্জিলিং অনেক উঁচুতে অবস্থিত হওয়ায় ওখানে বায়ুর চাপ কম। তাই দার্জিলিং-এ জলের স্ফুটনাঙ্ক (93.6°C) কম হয়। অর্থাৎ, দার্জিলিং-এ জল কম উষ্ণতায় ফোটে। সুতরাং, দার্জিলিং-এ ফুটন্ত জলের উষ্ণতা 100°C-এর অনেক কম হয়। তাই দার্জিলিং-এ ফুটন্ত জলে হাত দিলে হাত কম পোড়ে।

 

  1. পিতলের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য মূর্তি তৈরি করতে এটি ব্যবহার করা হয়?

উত্তর:পিতল তরল থেকে কঠিনে পরিণত হলে আয়তনে বাড়ে। গলিত পিতল ছাঁচে ঢেলে দিলে যখন জমে কঠিন হয় তখন আয়তনে বেড়ে ছাঁচটিকে সম্পূর্ণভাবে ভরাট করে ফেলে এবং অবিকল ছাঁচের আকার পায়।

 

  1. পাহাড়ের পাথরে ফাটল সৃষ্টি হয় কেন?

উত্তর: পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বৃষ্টির জল আটকে থাকে। শীতকালে ওই জল জমে বরফে পরিণত হয়। জল বরফে পরিণত হলে তার আয়তন বেড়ে যায় এবং পাহাড়ের খাঁজে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপের ফলে পাহাড়ের পাথর ফেটে যায়।

  1. 0°C উষ্ণতার 20 গ্রাম বরফকে ওই উদ্ধৃতায় সম্পূর্ণ জলে পরিণত করতে কত তাপ লাগবে?

উত্তর: বরফ গলনের লীন তাপ 80 ক্যালোরি/গ্রাম। অর্থাৎ, 0°C উষ্ণতার 1 গ্রাম বরফকে ওই উষ্ণতার 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে ৪০ ক্যালোরি তাপ লাগে। সুতরাং, 0°C উষ্ণতার 20 গ্রাম বরফকে ওই উষ্ণতায় সম্পূর্ণ জলে পরিণত করতে তাপ লাগে = (20×80) ক্যালোরি=1600 ক্যালোরি।

 

52. শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয় কেন?

উত্তর: শীতকালে বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব কম হয়, ফলে শীতকালে বাষ্পায়নের হার খুব বেশি। তাই শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয়।

 

  1. ভিজে জামাকাপড় গায়ে শুকোলে সর্দি হবার সম্ভাবনা থাকে কেন?

উত্তর: ভিজে জামাকাপড় গায়ে শুকোলে সর্দি হবার সম্ভাবনা থাকে, কারণ ভিজে জামাকাপড়ের জল শরীর থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয়। ফলে শরীরের উদ্ধৃতা কমে যায় এবং সর্দি হবার সম্ভাবনা থাকে।

 

  1. একটি পারদ থার্মোমিটারকে জলে ডুবিয়ে তারপর বাইরে আনলে তাপমাত্রা কমতে থাকে কেন?

উত্তর: থার্মোমিটারকে জলে ডুবিয়ে বাইরে আনলে থার্মোমিটারের বাল্‌বে লাগা জল থার্মোমিটারের বাল্ব থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়। ফলে থার্মোমিটারের বালবের উষ্ণতা কমে এবং থার্মোমিটারে পাঠ কমতে থাকে।

  1. গরমকালে অফিস, আদালতের ঘরের দরজা জানালায় ভেজা খসখস লাগানো হয় কেন?

উত্তর: গরমকালে অফিস, আদালতের ঘরের দরজা জানালায় খসখস লাগিয়ে তা জল দিয়ে ভেজানো হয়। খসখসের জল বাষ্পীভূত হওয়ার সময় ঘর থেকে লীন তাপ সংগ্রহ করে। ফলে ঘরের উষ্ণতা কমে যায় ও ঘর ঠান্ডা হয়।

 

  1. গরম চা তাড়াতাড়ি খাওয়ার সময় কাপ থেকে ডিশে ঢাললে কী সুবিধা হয় ও কেন?

উত্তর: গরম চা ডিশে ঢাললে চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে চা পান করতে সুবিধা হয়। কারণ গরম চা ডিশে ঢাললে তার উপরিতলের ক্ষেত্রফল বেড়ে যায়, তার ফলে বাষ্পায়নের হার বেড়ে যায়। বাষ্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ চা থেকে গ্রহণ করে এবং চা দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়।

 

  1. সন্ধ্যাবেলা শিশির পড়ে না কেন?

উত্তর: দিনেরবেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয় এবং সন্ধ্যার পর তাপ বিকিরণ করে ভূপৃষ্ঠ ক্রমশ শীতল হতে থাকে। সন্ধ্যার সময় ভূপৃষ্ঠ যথেষ্ট পরিমাণ তাপ বিকিরণ না করায় ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু শিশিরাঙ্কের নীচে নামতে পারে না। তাই সন্ধ্যাবেলা শিশির পড়ে না।

 

  1. গ্রীষ্মকালে কুকুর জিভ বের করে হাঁফায় কেন?

উত্তর: গরমকালে কুকুর জিভ বের করে হাঁফায়। এই সময় জিভের জল বাষ্পীভূত হয় এবং জলের বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ জিত থেকে সরবরাহ হওয়ায় জিভ ঠান্ডা হয় এবং কুকুর আরাম বোধ করে।

 

  1. গ্রীষ্মকালে তপ্ত রাস্তা জল দিয়ে ধোয়া হয় কেন?

উত্তর:গ্রীষ্মে তপ্ত রাস্তা জল দিয়ে ধুলে, জল তপ্ত রাস্তা থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয়। ফলে রাস্তার উষ্ণতা কমে যায় ও তপ্ত রাস্তা শীতল হয়।

  1. গরমকালে ঘামে ভেজা শরীরে হাওয়ার সামনে দাঁড়ালে আরাম হয় কেন?

উত্তর: ঘামে ভেজা শরীরে হাওয়ার সামনে দাঁড়ালে শরীরের ঘাম দ্রুত বাষ্পীভূত হয়। ঘামের বাষ্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ দেহ থেকে শোষিত হয়। ফলে দেহে শীতলতার অনুভূতি হয়। তাই আরাম লাগে।

 

  1. তাপ সঞ্চালন কাকে বলে? তাপ সঞ্চালন কোন কোন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়?

উত্তর: তাপ সঞ্চালন : উন্নতর স্থান থেকে অপেক্ষাকৃত কম উন্ন স্থানে তাপ চলাচল করাকে তাপ সঞ্চালন বলে।

তাপ সঞ্চালন তিনটি পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। (i) পরিবহণ (Conduc tion), (ii) পরিচলন (Convection) এবং (iii) বিবরণ (Radiation)।

 

  1. তাপ পরিবহণ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পরিবহণ : যে প্রণালীতে তাপ কোনো বস্তুর উন্নতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে বা কোনো বস্তু থেকে সেটির সঙ্গে সংযুক্ত শীতলতর অন্য বস্তুতে সঞ্চালিত হয়, অথচ বস্তুর কণিকাগুলির স্থানচ্যুতি ঘটে না, সেই পদ্ধতিকে বলে পরিবহণ।

  1. তাপের পরিচলন বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পরিচলন : যে প্রণালীতে কোনো পদার্থের কণাগুলি নিজেরাই উন্নতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে স্থান পরিবর্তন করে তাপ সঞ্চালন করে তাকে বলে পরিচলন।

  1. তাপের বিকিরণের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: বিকিরণ ঃ যে প্রণালীতে তাপ মাধ্যম ছাড়া বা মাধ্যম থাকলেও মাধ্যমকে উত্তপ্ত না করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সঞ্চালিত হয়, তাকে বিকিরণ বলে। বিকিরণ প্রণালীতে তাপ তরঙ্গের আকারে উন্নতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে সঞ্চালিত হয়।

 

  1. তাপের সুপরিবাহী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: তাপের সুপরিবাহী ঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজেই পরিবাহিত হয়। সেইসব পদার্থকে তাপের সুপরিবাহী বলে। সকল ধাতুই তাপের সুপরিবাহী। যেমন—সোনা, রুপা, তামা, লোহা, পারদ প্রভৃতি তাপের সুপরিবাহী। গ্রাফাইট অধাতু হলেও তাপের সুপরিবাহী।

 

  1. তাপের কুপরিবাহী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: তাপের কুপরিবাহী ঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজে পরিবাহিত হয় না, সেইসব পদার্থকে তাপের কুপরিবাহী বলে। যেমন—কাচ, কাঠ, তুলো, পশম, রবার, বায়ু প্রভৃতি তাপের কুপরিবাহী। পারদ ছাড়া সকল তরল পদার্থ ও সকল গ্যাসীয় পদার্থ তাপের কুপরিবাহী।

 

  1. একটি তামার দণ্ডের এক প্রান্তে একটি পাতলা কাগজ একবার জড়িয়ে আগুনের শিখায় ধরলে কাগজটি তাড়াতাড়ি জ্বলে না কেন?

উত্তর: তামা তাপের সুপরিবাহী। কাগজ সমেত তামার দণ্ডটিকে আগুনের শিখায় ধরলে তামা জ্বলন্ত শিথা থেকে তাপ নিয়ে দ্রুত দূরে পাঠিয়ে দেয়। তাই তামার দণ্ডের উপর জড়ানো কাগজ জ্বলার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ পেতে দেরি হয়। তাই কাগজটি তাড়াতাড়ি জ্বলে না।

 

  1. একটি কাঠের দণ্ডের একপ্রান্তে একটি পাতলা কাগজ একবার জড়িয়ে আগুনের শিখায় ধরলে কাগজটি তাড়াতাড়ি জ্বলে ওঠে কেন?

উত্তর: কাঠ তাপের কুপরিবাহী। কাগজ সমেত কাঠের দণ্ডটিকে আগুনের শিখায় ধরলে আগুনের শিখার তাপ কাঠের মধ্য দিয়ে দ্রুত দূরে পাঠাতে পারে না। ফলে কাগজ তাড়াতাড়ি গরম হয়ে ওঠে ও তাড়াতাড়ি জ্বলে ওঠে।

 

  1. শীতকালে সুতোর কাপড়ের চেয়ে পশমের কাপড় বেশি গরম বোধ হয় কেন?

উত্তর: শীতকালে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা আমাদের শরীরের উষ্ণতার চেয়ে কম হয়। তাই আমাদের শরীর থেকে তাপ বায়ুমণ্ডলে চলে যায়, ফলে আমাদের শীত লাগে। কিন্তু পশমের কাপড় পরলে আমাদের শীত লাগে না। আমাদের গরম বোধ হয়। কিন্তু সুতোর কাপড় পরলে সেইরূপ গরম বোধ হয় না। পশমের কাপড় সুতোর কাপড়ের চেয়ে তাপের বেশি কুপরিবাহী এবং পশমের আঁশগুলি আলগা থাকায় সেই ফাঁকে ফাঁকে বায়ু আটকে থাকে। বায়ুও তাপের কুপরিবাহী। তাই পশমের পোশাক পরলে আমাদের শরীর থেকে তাপ বায়ুমণ্ডলে যেতে পারে না। ফলে আমাদের গরম বোধ হয়।

 

  1. কেটলির হাতলে বেত জড়ানো থাকে কেন?

উত্তর: কেটলি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। এটি তাপের সুপরিবাহী। কেটলি উনুনে বসিয়ে গরম করলে তা খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় এবং কেটলির হাতল হাত দিয়ে ধরা যায় না। বেত তাপের কুপরিবাহী। হাতলটিতে বেত জড়ানো থাকলে হাতলটি ধরলে আর গরম লাগে না। কারণ কেটলির হাতলের তাপ বেতের মধ্য দিয়ে খুব কম পরিবাহিত হয়।

 

  1. বরফ কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে রাখা হয় কেন?

উত্তর: কাঠের গুঁড়ো তাপের কুপরিবাহী, তাই বরফ কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে রাখলে বায়ুমণ্ডল থেকে তাপ বরফে সহজে পরিবাহিত হতে পারে না। ফলে বরফ অনেকক্ষণ কঠিন অবস্থায় থাকে, সহজে গলে না।

 

  1. খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর শীতকালে গরম এবং গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা বোধ হয় কেন?

উত্তর: খড় তাপের কুপরিবাহী। শীতকালে খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘরের ভিতরের তাপ বাইরে আসতে পারে না এবং গ্রীষ্মকালে বাইরের তাপ ভিতরে যেতে পারে না। তাই খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর শীতকালে গরম এবং গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা বোধ হয়।

  1. শীতকালে একটা সুতোর মোটা জামা গায়ে দেওয়ার চেয়ে একই সুতোর তৈরি দুটো পাতলা জামা পরলে বেশি গরম লাগে কেন?

উত্তর:সুতোর তাপের কুপরিবাহী। সুতোর তৈরি দুটো পাতলা জামা গায়ে দিলে দুটো জামার ফাঁকে বায়ু আবদ্ধ থাকে। বায়ু তাপের কুপরিবাহী। তাই শরীরের তাপ সুতোর জামা ও বায়ুর মধ্য দিয়ে বাইরে যেতে পারে না। ফলে আমাদের গরম লাগে।

 

  1. শীতকালে হাতি গায়ে ধূলো মাথে কেন?

উত্তর:শীতকালে হাতি গায়ে ধুলো মাখে তার কারণ হল ধুলো মাখলে তাদের দেহ ও ধুলোর মাঝখানে একটি বায়ুর স্তর তৈরি হয়। বায়ু তাপের কুপরিবাহী। তাই হাতির দেহ থেকে বেরিয়ে আসা তাপ বায়ুর স্তরকে ভেদ করে চলে যেতে পারে না। তাই শীতকালে হাতির আরাম লাগে।

 

  1. শীতকালে গায়ে কম্বল চাপা দিলে আরাম লাগে কেন?

উত্তর: কম্বল পশম বা উল দিয়ে তৈরি হয়। উল বা পশম তাপের কুপরিবাহী। শীতকালে গায়ে কম্বল দিলে আমাদের শরীরের তাপ বাইরে বেরতে পারে না, তাই আমাদের আরাম লাগে।

 

  1. শীতকালে পাখিরা কখনো কখনো পালক ফুলিয়ে বসে থাকে কেন?

উত্তর: শীতকালে পাখিরা কখনো কখনো পালক ফুলিয়ে বসে থাকে। পালক ফোলালে পালকের মধ্যে বায়ু আটকে থাকে। বায়ু তাপের কুপরিবাহী তাই পাখির দেহ থেকে বেরিয়ে আসা তাপ বায়ুর স্তর ভেদ করে বাইরে যেতে পারে না। ফলে পাখিদের দেহ গরম থাকে।

 

  1. পরিচলন স্রোত কাকে বলে?

উত্তর: তরল বা গ্যাস গরম হলে তা হালকা হয়ে ওপরে ওঠে এবং ওপরের ঠান্ডা অংশ ভারী বলে নীচে নামে। এর ফলে তরল বা গ্যাসের মধ্যে যে চক্রাকার স্রোত সৃষ্টি হয় তাকে পরিচলন স্রোত বলে।

 

  1. তামা ও রুপার দুটি মুদ্রাকে ঘরের উষ্ণতা থেকে 100°C পর্যন্ত উত্তপ্ত করা হল। এ দুটি কি সমপরিমাণ তাপ গ্রহণ করবে? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর: বস্তু কর্তৃক গৃহীত তাপ বস্তুর ভর, আপেক্ষিক তাপ ও উষ্ণতা বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে। গৃহীত তাপ = বস্তুর ভর × আপেক্ষিক তাপ × উষ্ণতা বৃদ্ধি এখানে তামা ও রুপা উভয় মুদ্রার উষ্ণতা বৃদ্ধি একই। কিন্তু মুদ্রা দুটির ভর ও আপেক্ষিক তাপ ভিন্ন। সুতরাং, মুদ্রা দুটি সমপরিমাণ তাপ গ্রহণ করবে না।

 

  1. একই উষ্ণতায় এক গ্রাম লোহা এবং এক গ্রাম তামা কি একই পরিমাণ তাপ গ্রহণ করবে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: একই উষ্ণতায় এক গ্রাম লোহা এবং এক গ্রাম তামা একই পরিমাণ তাপ ধারণ করবে না। কারণ বস্তুর মোট তাপ নির্ভর করে বস্তুর ভর, আপেক্ষিক তাপ ও উয়তার ওপর। এখানে লোহা ও তামার ভর ও উষ্ণতা একই হলেও ওদের আপেক্ষিক তাপ ভিন্ন। তাই তারা একই পরিমাণ তাপ ধারণ করবে না।

 

  1. ইগলু বরফ দিয়ে তৈরি করা হয় কেন?

উত্তর: বরফ তাপের কুপরিবাহী। তাই বরফ দিয়ে তৈরি ইগলুর ভিতরের তাপ বাইরে আসতে পারে না। ফলে ইগলুর ভিতরটা বেশ গরম থাকে।

 

  1. গ্রীষ্মকালে জলচর প্রাণীরা জলের কোন স্তরে থাকতে আরাম বোধ করে?

উত্তর: জল তাপের কুপরিবাহী। গ্রীষ্মকালে জলের ওপরের স্তর গরম হলেও নীচের স্তর গরম হয় না। তাই জলচর প্রাণীরা গ্রীষ্মকালে জলের নীচের স্তরে থাকতে আরাম বোধ করে।

 

  1. মাছ সংরক্ষণের জন্য বিশুদ্ধ বরফ না দিয়ে নুন মেশানো বরফ নেওয়া হয় কেন?

উত্তর: বরফের গলনাঙ্ক 0°C। বরফের সঙ্গে নুন মেশালে ওই মিশ্রণের উষ্ণতা কমে -21°C হয়। একে হিমমিশ্রণ বলে। ওই নিম্ন উষ্ণতার জন্য মাছ সংরক্ষণে হিমমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

 

  1. পারিপার্শ্বিক উষ্ণতা 0°C বা তার কম হলে বিশুদ্ধ বরফ গলতে পারে না কেন? ধরে নেওয়া যাক অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত আছে।

উত্তর: বরফ 0°C উষ্ণতায় গলে, ওই গলনের জন্য 80 cal/g লীন তাপ লাগে। ওই তাপ বরফ তার পারিপার্শ থেকে সংগ্রহ করে। যদি অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে এবং পারিপার্শের উষ্ণতা 0°C বা তার কম হয় তবে বরফ আর তার গলনের জন্য লীন তাপ সংগ্রহ করতে পারবে না ফলে গলতেও পারবে না।

84.বাষ্পায়ন ও স্ফুটনের মধ্যে পার্থক্য লেখো 

উত্তর: বাষ্পায়ন ও স্ফুটনের পার্থক্য।

বাষ্পায়ন

                      স্ফুটন

1. বাষ্পায়ন তরলের উপরিতল থেকে হয়।

1. স্ফুটন তরলের সমগ্র অংশ থেকে হয়।

2. বাষ্পায়ন যে-কোনো উষ্ণতার ঘটে।

2. স্ফুটন নির্দিষ্ট চাপে একটি নির্দিষ্ট উয়তায় ঘটে।

3. বাষ্পায়ন খুব ধীরে ধীরে হয়।

3. স্ফুটন খুব দ্রুত হয়।

4. বাষ্পায়ন নিঃশব্দে হয়।

4. স্ফুটন সশব্দে হয়।

5. বাষ্পায়ন যে-কোনো চাপে হয়।

5. স্ফুটনে তরলের ওপরের বাষ্পচাপ, বাইরের বায়ুর চাপের সমান হয়।

6. বাষ্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ তরল নিজেই সরবরাহ করে। ফলে তরলের উষ্ণতা কমে যায়।

6. স্ফুটনের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ তরল বাইরে থেকে গ্রহণ করে। ফলে তরলের উয়তা স্থির থাকে।

7. উয়তা বাড়লে বাষ্পায়নের হার বাড়ে।

7. স্ফুটনে তরলের উষ্ণতা স্থির থাকে।

  1. কোনো তরলের স্ফুটনাঙ্ক উল্লেখ করার সময় চাপ উল্লেখ করা উচিত কেন?

উত্তর: চাপ বাড়ালে তরলের স্ফুটন প্রক্রিয়া বাধা পেয়ে স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়। আবার চাপ কমালে তরলের বাষ্পে পরিণত হতে সুবিধা হয়। অর্থাৎ স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়। তাই তরলের স্ফুটনাঙ্ক উল্লেখ করার সময় চাপ উল্লেখ করা উচিত।

বিষয়-পরিবেশ ও বিজ্ঞান * শ্রেণি-অষ্টম

অধ্যায়:ভৌত পরিবেশ-তাপ

১) কঠিনীভবন কী?

উঃ কোন তরল যখন তাপ বর্জন করে কঠিন পরিণত হয়, সেই ঘটনাকে কঠিনীভবন বলে।

২) অবস্থার পরিবর্তন কাকে বলে?

উঃ তাপ প্রয়োগের বা নিষ্কাশন এর ফলে পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়াকে অবস্থার পরিবর্তন বলে

৩) নির্দিষ্ট হিমাঙ্ক ও গলনাঙ্ক নেই এমন কয়েকটি কঠিন পদার্থের নাম লেখো?

উঃ কাচ, মাখন, চর্বি,  মাখন, পিচ প্রভৃতি

৪) পদার্থের গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক কাকে বলে?

উঃ গলনাঙ্ক: কোন নির্দিষ্ট চাপে যে  উষ্ণতায় কোন কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয়, সেই উষ্ণতাকে ওই চাপে ওই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।

হিমাঙ্ক: কোন নির্দিষ্ট চাপে যে উষ্ণতায় কোন তরল পদার্থ জমে কঠিনে পরিণত হয়, সেই উষ্ণতাকে ওই চাপে ওই পদার্থের হিমাঙ্ক বলে।

৪) তাপের সংজ্ঞা দাও?

উঃ তাপ এক প্রকার শক্তি যা কোন বস্তু গ্রহণ করলে উত্তপ্ত হয় এবং বর্জন করলে শীতল হয়।

তাপ পরিমাপের একক হল ক্যালোরি।

৫) আপেক্ষিক তাপের সংজ্ঞা দাও?

উঃ কোন পদার্থের একক ভরের উষ্ণতা 1° বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।

৬) কোন তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলতে কী বোঝো?

উঃ প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে তাপমাত্রায় কোন তরলের স্ফুটন শুরু হয় ও সমগ্র তরলটি বাস্পে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত ঐ তাপমাত্রা স্থির থাকে,  সেই তাপমাত্রাকে ওই তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে।

৭) ফিউজ তারের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?

উঃ উচ্চ রোধ ও কম গলনাংক বিশিষ্ট।

৮) বাষ্পায়ন কাকে বলে?

উঃ যেকোনো উষ্ণতায় কোন তরল পদার্থের উপরিতল থেকে তরলের ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হওয়াকে বলে বাষ্পায়ন।

৯) বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?

উঃ 100° সেন্টিগ্রেট বা 212° ফারেনহাইট।

১০) মেঘ কিভাবে সৃষ্টি হয়?

উঃ ভূপৃষ্ঠের জল সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুতে মেশে। উষ্ণ, আর্দ্র বায়ু হালকা বলে উপরে উঠে যায়। উপরে বায়ুর উষ্ণতা কমে শিশিরাঙ্ক এর নিচে নেমে গেলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয়। এই জলকণা বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে আকাশে ভেসে বেড়ায়। ধূলিকণা কে আশ্রয় করে তৈরি অসংখ্য ভাসমান জলবিন্দু একসঙ্গে থেকে মেঘের সৃষ্টি করে।

১১) কুয়াশা কি?

উঃ শীতকালের ভোরবেলায় বায়ুমন্ডলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল হঠাৎ খুব ঠান্ডা হয়ে গেলে ওই অঞ্চলের বায়ু তারমধ্যে থাকা জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে যায়। এরপরেও যদি উষ্ণতা কমে তখন জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয়ে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা, কার্বন কনা ইত্যাদি আশ্রয় করে ভাসতে থাকে। একেই কুয়াশা বলে।

১২) তাপ সঞ্চালন কাকে বলে? কি কি পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়?

উঃ বিশ্ব উষ্ণ অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ অঞ্চলে তাপ প্রবাহিত হওয়ার ঘটনাকে তাপ সঞ্চালন বলে।

তাপ তিনটি পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হতে পারে। যথা-পরিবহন, পরিচলন ও বিকিরণ।

১৩) উদাহরণসহ তাপের সুপরিবাহী ও কুপরিবাহী পদার্থের সংজ্ঞা দাও।

উঃ তাপের সুপরিবাহী পদার্থ: যে সমস্ত পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজেই এক অংশ থেকে অন্য অংশে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের তাপের সুপরিবাহী বলে।

উদাহরণ-লোহা তামা পারদ আলুমিনিয়াম ইত্যাদি।

তাপের কুপরিবাহী পদার্থ: যে সমস্ত পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজে প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের তাপের সুপরিবাহী পদার্থ বলে। উদাহরণ-কাঠ, কাগজ,  কাচ ইত্যাদি।

১৪) তাপের সুপরিবাহী একটি অধাতুর নাম লেখো।

উঃ গ্রাফাইট।

১৫) সূর্য থেকে পৃথিবীতে কোন পদ্ধতিতে তাপ আসে?

উঃ বিকিরণ পদ্ধতি।

১৬) থার্মোফ্লাক্স এর গঠন বর্ণনা করো।

উঃ থার্মোফ্লাক্স দুই দল বিশিষ্ট একটি কাঁচের পাত্র। এর ভিতরে দেওয়ালের বাইরে তলে ও  বাইরের দেওয়ালের ভিতরের তলে রূপোর প্রলেপ থাকে। ফলে দেওয়াল দুটো চকচকে হয়। দেওয়াল দুটির মাঝখানে যতটা সম্ভব কম ভরের বায়ু রাখা হয়। ফ্লাক্সটির মুখকুপরিবাহী পদার্থের তৈরি হয়। যাতে সহজে না ভাঙ্গে সেজন্য পাত্রটিকে স্প্রিং এর উপর বসিয়ে একটি ধাতব বা প্লাস্টিকের পাত্রের মধ্যে রাখা হয়। এই পাত্র ও কাঁচের পাত্রের মাঝের অংশ ফেল্ট,  তুলো ইত্যাদি তাপের কুপরিবাহী পদার্থ দিয়ে ভর্তি থাকে।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)

১। তাপের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর – তাপ একপ্রকার শক্তি যা কোনো বস্তু গ্রহণ করলে উত্তপ্ত হয় এবং বর্জন করলে শীতল হয়।

 

২। নির্দিষ্ট হিমাঙ্ক বা গলনাঙ্ক নেই এমন কঠিন পদার্থের উদাহরণ দাও।
উত্তর – নির্দিষ্ট হিমাঙ্ক বা গলনাঙ্ক নেই এমন কঠিন পদার্থের উদাহরণ হল – কাচ, মাখন, চর্বি, মোম ইত্যাদি।

 

৩। থার্মোফ্লাস্কে কাচের দেয়াল দুটির মধ্যবর্তী অংশ বায়ুশূন্য হওয়ায় কোন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালন রোধ করা যায়?
উত্তর – থার্মোফ্লাস্কে কাচের দেয়াল দুটির মধ্যবর্তী অংশ বায়ুশূন্য হওয়ায় পরিবহণ ও পরিচলন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালন রোধ করা যায়।

 

৪। তরল মোম কঠিন মোমে পরিণত হলে আয়তনে বাড়ে না কমে?
উত্তর – তরল মোম কঠিন মোমে পরিণত হলে আয়তনে কমে।

 

৫। কোন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না?
উত্তর – বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।

 

৬। এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সমান চাপ বাড়লে মোমের গলনাঙ্ক কি পরিমাণ পরিবর্তিত হয়?
উত্তর – এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সমান চাপ বাড়লে মোমের গলনাঙ্ক প্রায় 0.04℃ বেড়ে যায়।

 

৭। সূর্য থেকে পৃথিবীতে কোন পদ্ধতিতে তাপ আসে?
উত্তর – সূর্য থেকে পৃথিবীতে বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ আসে।

 

৮। হিমমিশ্রের একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর – মাছ সংরক্ষণে হিমমিশ্র ব্যবহার করা হয়।

 

৯। কোন জাতীয় তাপ সঞ্চালনে মাধ্যমের অণুগুলি স্থানচ্যুত হয়?
উত্তর – পরিচলন পদ্ধতি তাপ সঞ্চালনে মাধ্যমের অণুগুলি স্থানচ্যুত হয়।

 

১০। এক ক্যালোরির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর – এক গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উষ্ণতা এক ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপ লাগে, তাকে এক ক্যালোরি (1 cal) বলা হয়।

 

১১। একটি তাপের সুপরিবাহী অধাতুর নাম লেখো।
উত্তর – একটি তাপের সুপরিবাহী অধাতু হল গ্রাফাইট।

১২। ফিউজ তারের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর – ফিউজ তারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এটি উচ্চ রোধ ও কম গলনাঙ্কবিশিষ্ট।

১৩। ঘনীভবন কাকে বলে?
উত্তর – কোনো পদার্থের বাষ্প অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হওয়ার ঘটনাকে ঘনীভবন বলে।

১৪। আপেক্ষিক তাপ কাকে বলে?
উত্তর – কোনো পদার্থের একক ভরের উষ্ণতা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।

১৫। বাষ্পায়ন কাকে বলে?
উত্তর – যে-কোনো উষ্ণতায় কোনো তরল পদার্থের উপরিতল থেকে তরলের ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হওয়ায়কে বাষ্পায়ন বলে।

©kamaleshforeducation.in(2023)

error: Content is protected !!