২। কমবেশি ২০টি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ ১x৫=৫
২.১ ‘জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিষ্ময় মানিয়া’– মহাবাহুর বিষ্ময়ের কারণ কী ?
২.২ ‘দিগম্বরের জটায় হাসে…..’– কে হাসে ?
২৩ বিরাগীর মতে ‘পরম সুখ’ আসলে কী ?
২৪ ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো : তৈলনিষিক্ত।
২.৫ বাক্যাশ্রয়ী সমাস কাকে বলে ?
৩। কম-বেশি ৬০টি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ৩×২=৬
৩.১ ‘দেখি তোমার ট্যাঁকে এবং পকেটে কী আছে ?’ –বক্তা কে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির ট্যাঁকে এবং পকেটে কী কী পাওয়া যায় ? ১+২=৩
৩.২ ‘সাজিলা রথীন্দ্রর্ষভ’– রথীন্দ্রর্ষভ কে ? তিনি কেমনভাবে সাজলেন ? ১+২=৩
৪। কমবেশি ১৫০ শব্দে উত্তর দাওঃ ৫x২=১০
৪.১ ‘হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে।’ – হরিদাকে ? তাঁর জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যের পরিচয় দাও। ১+৪=৫
৪.২ ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি একদিকে ধ্বংস, অন্যদিকে নূতন আশার আলো দেখিয়েছেন – আলোচনা করো।
৫। কমবেশি ১২৫টি শব্দে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৪x১=৪
৫.১ ‘কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা’– বক্তা কে ? কাদের প্রতি এই উক্তি ? তারা ভদ্রতার অযোগ্য কেন ? ১+১+২=৪
উত্তরঃ শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা তাঁর রাজসভায় উপস্থিত ইংরে জদের প্রতিনিধি ওয়াটসের উদ্দেশে প্রশ্নোদ্ভূত কথাটি বলেছেন।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং নবাব সিরাজের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘আলিনগরের সন্ধি’ অনুযায়ী, ইংরেজরা কোনোমতেই নবাবের বিরুদ্ধে কোনোরকম যুদ্ধযাত্রা বা যুদ্ধের আয়োজন করবে না। কিন্তু, সিরাজের হাতে কলকাতার অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের একটি পত্র এসে পৌঁছোয়। এই পত্রের মাধ্যমে সিরাজ জানতে পারেন যে, অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের নেতৃত্বে তাঁর বিরুদ্ধে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ইতিমধ্যেই সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আরও সৈন্য ও নৌবহরের কথা ভাবছে। তিনি এও জানতে পারেন, বহুদিন আগে থেকেই স্বয়ং লর্ড ক্লাইভ নবাবের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধযাত্রার ছক কষেছিলেন এবং পরিকল্পনামাফিকই আলিনগরের সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করতে তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন। সর্বোপরি, নবাবের রাজসভায় উপস্থিত কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসও এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। তাই ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ সিরাজ ওয়াটসকে প্রকাশ্য রাজসভায় এ কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন।
৫.২ ‘মুন্সিজি, এই পত্রের মর্ম সভাসদদের বুঝিয়ে দিন।’ – কে, কাকে এই পত্র লিখেছিলেন ? এই পত্রে কী ছিল ? ১+৩=৪
উত্তরঃ শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে জনৈক অ্যাডমিরাল ওয়াটসন সিরাজের দরবারে নিযুক্ত কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে এই পত্র লিখেছিলেন।
আলোচ্য পত্রে বাংলার বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ ছিল। তবে সমগ্র পত্র পাঠ করা হয়নি। নবাবের আদেশ অনুযায়ী ওয়াটস পত্রের শেষের দিকটা পড়েছিল এবং মুন্সিজি সেই অংশটুকু বাংলায় তর্জমা করে সভাসদদের শুনিয়েছিল।
এতে লেখা ছিল যে, কর্নেল ক্লাইভউল্লেখিত সৈন্যবাহিনী শীঘ্রই কলকাতায় পৌঁছনোর কথা। অ্যাডমিরাল ওয়াটসন আরো লেখেন যে, তিনি তাড়াতাড়ি আরেকটি জাহাজ মাদ্রাজে পাঠিয়ে সংবাদ দিতেন বাংলায় আরো সৈন্য এবং জাহাজ পাঠানোর জন্য। উক্ত পত্রে ভীতি প্রদর্শনের সুরে বলা হয়েছিল যে বাংলায় তিনি এমন আগুন জ্বালাতেন যা গঙ্গার সমস্ত জল দিয়েও নেভানো যেত না।
৬। কমবেশি ১৫০টি শব্দে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৫x১=৫
৬.১ ‘সাঁতারু অনেক বড়ো সেনাপতির থেকে’– উক্তিটি কার ? তাঁর এরূপ উক্তির কারণ কী তা বিশ্লেষণ করো। ১+৪=৫
৬.২ ‘এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক’– কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে ? কী কারণে এই পুষে রাখা ? ২+৩=৫
উত্তরঃ পুষে রাখার বিষয় : কোনি উপন্যাসে ক্ষিতীশের সঙ্গে কোনি গিয়েছিল চিড়িয়াখানা দেখতে। সেখানে ক্ষিতীশের কাছে খাবার থাকলেও জল ছিল না। কিছুটা দূরে থাকা স্কুলের মেয়েদের কাছে কোনি জল আনতে যায়। কিন্তু শিক্ষিকা তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দেয়। এই অবস্থায় সেই মেয়েদের মধ্যেই থাকা হিয়া জলভরা প্লাস্টিকের দুটো গ্লাস নিয়ে তাদের কাছে আসে কিন্তু কোনি হাত দিয়ে হিয়ার গ্লাসে আঘাত করে। হাত থেকে তা ছিটকে পড়ে। “চাই না তোমাদের জল। আমার কলের জলই ভালো।” — কোনি এই বলে প্রবলভাবে প্রত্যাখ্যান করে হিয়াকে। ক্ষিতীশ চেয়েছিল এই রাগটাই মনের মধ্যে পুষে রাখুক কোনি।
পুষে রাখার কারণ : ক্ষিতীশ হিয়ার প্রতি কোনির আচরণকে সমর্থন করতে পারেনি। কিন্তু কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেও ক্ষিতীশ শেষপর্যন্ত কিছুই বলেনি। কারণ সে বুঝে গিয়েছিল যে হিয়াই কোনির ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। রবীন্দ্র সরোবরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় হিয়ার সাঁতার ক্ষিতীশ দেখেছে। বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবে গিয়েও সে হিয়ার ট্রেনিং দেখে এসেছে। এখান থেকেই ক্ষিতীশের মনে হয়েছে যে হিয়ার প্রতি কোনির হিংস্র আক্রোশটাকে ভোঁতা করে দেওয়া ঠিক হবে না। এই আক্রোশ কোনি তার বুকের মধ্যে পুষে রাখুক যা তাকে হিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি জোগাবে এবং সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।
৭। তোমার এলাকায় ‘অরণ্য সপ্তাহ’ পালন হল এই বিষয়ে কমবেশি ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন রচনা করো। ৫
উত্তরঃ বেণীপুর (মুর্শিদাবাদ), ১৮ নভেম্বর : ২০২৫ সালে বেণীপুর এলাকায় বন সপ্তাহ ছিল একটি সফল উদ্যোগ যার লক্ষ্য বন ও জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
সপ্তাহব্যাপী ইভেন্টে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন বৃক্ষ রোপণ ড্রাইভ, প্রকৃতির পদচারণা, শিক্ষামূলক সেমিনার এবং শিল্প প্রদর্শনী ছিল। স্থানীয় মানুষজন প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উপর জোর দিয়ে এই ইভেন্টগুলিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বনভূমির ভূমিকা তুলে ধরে এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় বন সংরক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বন সপ্তাহটি বাসিন্দাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলে, তাদের অনুশীলনে অংশ নিতে এবং বেণীপুরের মূল্যবান বন সম্পদ রক্ষায় অবদান রাখতে উৎসাহিত করে।
বন সপ্তাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক অনুষ্ঠান যার লক্ষ্য বনের তাৎপর্য এবং তাদের সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এটি সাধারণত বৃক্ষ রোপণ, শিক্ষামূলক সেমিনার, কর্মশালা এবং সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার মতো কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করে। ইভেন্টটি জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের মঙ্গলের জন্য সংস্থান সরবরাহে বনের ভূমিকা তুলে ধরে।