দৈনিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স কুইজ: ৯-১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
১.কোন রাজ্য সরকার বিকাশিতা গাঁও প্রকল্প চালু করেছে?
[A] হরিয়ানা
[B] ওড়িশা
[C] বিহার
[D] ঝাড়খণ্ড
সঠিক উত্তর: B [ওড়িশা]
নোট:
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি গ্রামীণ-নগর উন্নয়নের ব্যবধান পূরণের জন্য ‘বিকাশিতা গাঁও, বিকাশিতা ওড়িশা’ (BGBO) প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের বাজেট পাঁচ বছরে ₹৫,০০০ কোটি এবং লক্ষ্য ৬০,০০০ গ্রাম উন্নয়ন করা। এটি রাজ্যের ৮০% জনসংখ্যার আওতায় গ্রামীণ এলাকায় উন্নত জীবনযাত্রার জন্য মৌলিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। গ্রামবাসীরা প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবে, যার ৪০% তহবিল উপজাতি এলাকার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। জেলা কালেক্টর এবং সামাজিক নিরীক্ষার মাধ্যমে স্বচ্ছ শাসন নিশ্চিত করা হবে।
২.ভীমগড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (BWS) কোন রাজ্যে অবস্থিত?
[A] মহারাষ্ট্র
[B] মধ্যপ্রদেশ
[C] কর্ণাটক
[D] কেরালা
সঠিক উত্তর: C [কর্ণাটক]
দ্রষ্টব্য:
কর্ণাটক সরকারের ভীমগড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (BWS) বন্যপ্রাণী সাফারির জন্য খোলার পরিকল্পনা বিতর্ক এবং পরিবেশবাদীদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। এটি কর্ণাটকের বেলগাঁও জেলায় অবস্থিত, যা পশ্চিমঘাট পর্বতমালা জুড়ে বিস্তৃত। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এটিকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ভীমগড় দুর্গের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি ১৭ শতকে শিবাজি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই অভয়ারণ্যটি ডান্ডেলি এবং মাহাদেই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ একাধিক সংরক্ষিত এলাকার সাথে সীমানা ভাগ করে। এটি তিল্লারি, মালাপ্রভা এবং মাহাদেইয়ের মতো নদীর উৎস।
৩.জাতীয় সাফাই কর্মচারী কমিশন (NCSK) কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে?
[A] সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়
[B] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
[C] স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
[D] আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়
সঠিক উত্তর: A [সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়]
নোট:
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জাতীয় সাফাই কর্মচারী কমিশন (NCSK) এর মেয়াদ তিন বছরের জন্য বৃদ্ধি অনুমোদন করেছে। এটি ১৯৯৪ সালে জাতীয় সাফাই কর্মচারী কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু ২০০৪ সালে এটি একটি অ-সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় পরিণত হয়। এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। এর উদ্দেশ্য হল সাফাই কর্মচারীদের (বর্জ্য সংগ্রহকারী) অবস্থা তদন্ত করা এবং কল্যাণমূলক সুপারিশ করা। এটি বিদ্যমান কল্যাণমূলক কর্মসূচি মূল্যায়ন করে, অভিযোগগুলি পরিচালনা করে এবং ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার হিসেবে নিয়োগ নিষিদ্ধকরণ এবং তাদের পুনর্বাসন আইন, ২০১৩ পর্যবেক্ষণ করে।
৪.খবরে দেখা দয়া নদী কোন রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত?
[A] বিহার
[B] উত্তরপ্রদেশ
[C] পাঞ্জাব
[D] ওড়িশা
সঠিক উত্তর: D [ওড়িশা]
দ্রষ্টব্য:
নদী রক্ষা কর্মীরা দয়া নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ না করা হলে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সত্যাগ্রহের হুমকি দিয়েছেন। দয়া নদী কুশভদ্রা নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে খুরদা ও পুরী জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চিলিকা হ্রদে পরিণত হয়েছে। এটি প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং মালাগুনি নদী একটি উপনদী। নদীটি জলাভূমির জীববৈচিত্র্যকে সমর্থন করে এবং মাছ এবং পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল প্রদান করে। ঐতিহাসিকভাবে, দয়া নদী ২৬১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কলিঙ্গ যুদ্ধের সাথে যুক্ত, যেখানে এটি নিহত সৈন্যদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
৫।দশাবতার কোন ভারতীয় রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য রূপ?
[A] মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক
[B] মহারাষ্ট্র ও গোয়া
[C] গুজরাট ও রাজস্থান
[D] তামিলনাড়ু ও কেরালা
সঠিক উত্তর: B [মহারাষ্ট্র ও গোয়া]
দ্রষ্টব্য:
মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি দশাবতারের পরিবেশনা শুরু হয়েছে। দশাবতার হল ৮০০ বছরের ইতিহাসের একটি ঐতিহ্যবাহী নাট্যরূপ। এটি ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের প্রতিনিধিত্ব করে: মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কল্কি। শিল্পীরা উজ্জ্বল মেকআপ এবং পোশাক ব্যবহার করেন, সাথে একটি প্যাডেল হারমোনিয়াম, তবলা এবং ঝাঞ্জ (করাল) থাকে। এটি মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ কোঙ্কন অঞ্চলের সিন্ধুদুর্গ জেলা এবং গোয়ার উত্তর গোয়া জেলায় জনপ্রিয়।