2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 8 (VIII) (WBBSE)
BENGALI QUESTION PAPER

Set-2
দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন-২০২৫
অষ্টম শ্রেণি বিষয় : বাংলা
পূর্ণমান : ৫০ সময় : ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট

 

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি পুনরায় লেখা : ১x১২=১২

১.১ ‘পল্লীসমাজ’ পাঠ্যাংশের আদর্শ চরিত্র– (ক) রমা (খ) রমেশ (গ) বেণী (ঘ) গফুর।

উত্তরঃ (খ) রমেশ

 

 

১.২ জীবিতের লক্ষণ হল—
(ক) নড়াচড়া করা (খ) শ্বাস নেওয়া
(গ) বৃদ্ধি পাওয়া (ঘ) উপরের সব কটিই

উত্তরঃ (ঘ) উপরের সব কটিই।

 

 

১.৩ পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি কবিতায় উল্লিখিত নদীটি হল—(ক) ধারাসিড়ি (খ) জলসিড়ি (গ) জলসিড়ি (ঘ) ধানসিড়ি

উত্তরঃ (খ) জলসিড়ি

 

 

১.৪ উঠানের কোণে বুনো ফুলগুলি হেসে কি হয় ?
(ক) লটোপুটি হয়
(খ) কুটি কুটি হয়
(গ) গড়াগড়ি হয়
(ঘ) খুনোখুনি হয়

উত্তরঃ (খ) কুটি কুটি হয়।

 

 

১.৫ ক্রিয়াপদের মূলকে বলে—(ক) ধাতু (খ) সমাপিকা (গ) অসমাপিকা (ঘ) অব্যয়

উত্তরঃ (ক) ধাতু

 

 

১.৬ “রামবাবু গ্রামের মাথা।”—বাক্যে রেখাঙ্কিত শব্দটি কোন অর্থে প্রকাশ পেয়েছে ?
(ক) বুদ্ধি (খ) মোড়ল (গ) অঙ্গ (ঘ) দুশ্চিন্তা

উত্তরঃ (খ) মোড়ল

 

 

১.৭ “বাহ! কী সুন্দর খেলা।”—এটি কোন ধরনের বাক্য ?
(ক) অনুজ্ঞাসূচক (খ) নির্দেশক
(গ) আবেগসূচক (ঘ) প্ৰশ্নবোধক

উত্তরঃ (গ) আবেগসূচক

 

 

১.৮ “সুতপা মেধাবী মেয়ে কিন্তু ভীষণ অহংকারী।” বাক্যটি—
(ক) সরল বাক্য (খ) যৌগিক বাক্য
(গ) জটিল বাক্য (ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (খ) যৌগিক বাক্য

 

 

১.৯ ‘সে শুধু দেখে।’- এই বাক্যে ‘দেখে’ হল-
(ক) সংযোগমূলক ক্রিয়া,
(খ) প্রযোজক ক্রিয়া,
(গ) সকর্মক ক্রিয়া,
(ঘ) অকর্মক ক্রিয়া।

উত্তরঃ (ঘ) অকর্মক ক্রিয়া।

 

 

১.১০ কার মূল অবিভাজ্য অংশকে ধাতু বলে ?
(ক) বিশেষ্যের, (খ) সর্বনামের,
(খ) ক্রিয়ার, (ঘ) অব্যয়ের।

উত্তরঃ (খ) ক্রিয়ার

 

 

১.১১ সমষ্টিবাচক বিশেষ্য কোনটি ?
(ক) সংঘ (খ) সমাজ (গ) ভোজন (ঘ) তিনি

উত্তরঃ (খ) সমাজ।

 

 

১.১২ অসমাপিকা ক্রিয়া কোনটি ?
(ক) করছে (খ) করেছে (গ) ফিরেছে (ঘ) ফিরে

উত্তরঃ (ঘ) ফিরে

 

 

২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১×৮=৮

 

২.১ ‘পল্লীসমাজ’ গদ্যাংশটি কোন উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘পল্লীসমাজ’ গদ্যাংশটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

 

২.২ কে, কোথায় নিরাপদে ঘুমিয়ে থাকে ?

উত্তরঃ বৃক্ষ শিশু, বীজের মধ্যে নিরাপদে ঘুমিয়ে থাকে।

 

 

২.৩ অতিথিদের সঙ্গে মেয়েলি গল্পের মাঝে কে, কে জলখাবার নিয়ে এসেছিল ?

 

 

উত্তরঃ অতিথিদের সঙ্গে মেয়েলি গল্পের মাঝে জলখাবার নিয়ে এসেছিল বকু ও তার সেজ খুড়িমা।

 

 

২.৪ লেখক নাটোরে যাওয়ার জন্য কোন পোষাক পড়ে তৈরি হলেন ?

উত্তরঃ লেখক নাটোরে যাওয়ার জন্য চোগাচাপকান পড়ে তৈরি হলেন।

 

 

২.৫ “আমাদের বিশ্রাম নেই, রে৷”– কাদের বিশ্রাম নেই ?

উত্তরঃ হাওাদের কোন বিশ্রাম নেই।

 

 

২.৬ কবি কাকে কার পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন ?

উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন।

 

 

২.৭ গাছকে কবি কী বলে সন্দেহ করেছেন ?

উত্তরঃ গাছকে কবি প্রেতচ্ছায়া বলে সন্দেহ করেছেন।

 

 

২.৮ “তাহাদের কাছে যেন এ জনমে নয়— যেন ঢের যুগ ধরে কথা শিখিয়াছে এ হৃদয়”— কাদের কথা এখানে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ এখানে প্রান্তর আর প্রান্তরের শঙ্খচিলের কথা বলা হয়েছে।

 

 

৩. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : (যে-কোনো ৪টি) : ১×৪=৪

 

৩.১ নীলু অপুকে কী দেখতে নিয়ে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ নীলু অপুকে পাখির ছানা দেখতে নিয়ে গিয়েছিল।

 

 

৩.২ হরিহর ছেলেকে নিয়ে ক-দিন পর ফিরে আসে ?

উত্তরঃ হরিহর ছেলেকে নিয়ে দু-দিন পরে ফিরে আসে।

 

 

৩.৩ অপু কড়ি খেলতে কোথায় গিয়েছিল ?

উত্তরঃ অপু কড়ি খেলতে জেলেপাড়ায় গিয়েছিল।

 

 

৩.৪ কোথায় কড়ি খেলার আড্ডা জমতো ?

উত্তরঃ জেলেপাড়ায় তেতুল তলায়।

 

 

৩.৫ অপু গল্পের বই খুঁজতে গিয়ে যে বই পেয়েছিল তার নাম কী ?

উত্তরঃ ‘সর্ব-দর্শন সংগ্রহ’।

 

 

৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ৩×২=৬

 

৪.১ “সিঁড়ি ভেঙে আর উঠতে পারব না বাবা”– কারা এ কথা বলেছেন ? তারা সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারবে না কেন ? ১+২

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘কী করে বুঝব’ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশটি বুকুদের বাড়িতে উত্তরপাড়া থেকে বেড়াতে আসা বুকুর মায়ের পাতানো ছেনুমাসি ও বেণুমাসি বলেছেন।

শারীরিকভাবে খুব মোটাসোটা বা ভারিক্কি ধরনের হওয়ায় সিঁড়ি ভেঙে ওপরে ওঠা তাঁদের পক্ষে খুব কষ্টসাধ্য। তা ছাড়া তাঁরা অনেক পথ কষ্ট করে এসেছেন। বিশেষ করে দু-তিন বার বাস বদল করে শেষে রিকশা করে তাঁরা এখানে এসে পৌঁছেছেন। ফলে তাঁরা খুবই পরিশ্রান্ত। এ কারণে তাঁরা সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে পারবেন না।

 

 

৪.২ কুড়িজনক কৃষক কার কাছে এসে কেন কেঁদে পড়ল ?

 

উত্তরঃ গ্রামের একমাত্র ভরসা একশাে বিঘার মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সমস্ত চাষিদেরই কিছু কিছু জমি সেখানে আছে। ফলে জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে। জমিটির পূর্ব দিকে বিশাল বাঁধ, পশ্চিম ও উত্তরদিকে উঁচু গ্রাম। দক্ষিণ ধারের বাঁধটা ঘােষাল ও মুখুজ্জেদের। এই দিক দিয়ে জল বার করা যায়। কিন্তু বাঁধের গায়ে একটা জলার মতাে আছে, যাতে বছরে দুশাে টাকার মাছ বিক্রি হয় বলে জমিদার বেণীবাবু বাঁধ কাটতে দেবেন না। সকাল থেকে কৃষকরা তাঁর কাছে কান্নাকাটি করেও কোনাে ফল না পেয়ে এ যাত্রায় রক্ষা পাবার আশায় রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়ল।

 

৪.৩ জীবনের ধর্ম কীভাবে ‘গাছের কথা’ রচনাংশটিতে আলােচিত ও ব্যাখ্যাত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করাে।

 

উত্তরঃ ‘গাছের কথা’ নামক রচনায় বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু গাছের জীবনধর্মের আলােচনা প্রসঙ্গে জীবনের স্বাভাবিক ও সাধারণ ধর্ম সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। শুকনাে ডাল আর জীবিত গাছের তুলনা করে তিনি বলেছেন— বিকাশ, বৃদ্ধি ও গতি হল জীবনের ধর্ম। শুকনাে ডালের এই বৈশিষ্ট্য নেই।‘গতি’ বােঝাতে লেখক লতানাে গাছের উদাহরণ দিয়েছেন। বিকাশ ও পরিণতি যে প্রাণের ধর্ম— তা বােঝাতে তিনি বীজ ও ডিমের কথা বলেছেন। উত্তাপ, জল ও মাটির সংস্পর্শে বীজ থেকে অঙ্কুরােদগম হয় এবং তা থেকে যথাসময়ে চারাগাছ বৃদ্ধি পেয়ে পরিণত হয়ে ওঠে। অনুরূপভাবে, মানব জীবনেও উপযুক্ত পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

 

৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ৩x২=৬

 

৫.১ “কেঁদে-কেঁদে ভাসিতেছে আকাশের তলে।”—কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

পাড়াগাঁয়ের দ্বিপ্রহরে প্রকৃতির যে রূপচিত্র কবির স্বপ্নের চোখে ধরা পড়েছে, তা এক বেদনাময় বিষন্ন প্রকৃতির চিত্র। যদিও সেই বিষন্ন প্রকৃতির চিত্রকে কবি ভালোবাসেন।

রৌদ্রের তাপে প্রাণহীন শুকনো পাতা, নুয়ে পড়া ছন্দহীন বুনো চালতা গাছের ডাল এই সব কিছুর মধ্যে যেন একটা বেদনা প্রকাশ পায়। জলসিড়ি নদীতে জীর্ণ-ফোঁপরা একটি নৌকাকে হিজল গাছে বেঁধে রেখেছে কেউ। কোথাও সেই নৌকার মালিকের দেখা নেই। মালিকহীন নৌকাটি ভাসছে নদীর জলে। দুপুরের রৌদ্রে যেন বেদনার এ রকমই গন্ধ মিশে আছে। তাই, আকাশের নীচে সেই বিষন্ন প্রকৃতি যেন কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছে।

 

 

৫.২ ‘এ বাড়ির যত আনন্দ হাসি আঁকা জীবন্ত করি’ কবিতায় কবি প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম যে গ্রামীণ কুটিরের জীবন্ত ছবি এঁকেছেন, তার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ কবি জসীমউদ্দীন ‘গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত একটি কুটিরের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্কের এক জীবন্ত ছবি এঁকেছেন। কুটিরটিকে ঘিরে আছে নানান জাতীয় লতাপাতা ও বিভিন্ন রকমের বুনো ফুল গাছ। লাউ-কুমড়োর ঝাড়ের নীচে নটে শাকের লাল রঙের উজ্জ্বলতা মনকে ভরিয়ে দেয়। বিভিন্ন পাখি ও এই কুটিরের টানে এখানে আসে এবং গাছের শাখায় বসে নির্ভয়ে গান ধরে। উঠোনে শুকোতে দেওয়া মটর, মসুরের ডাল, কালোজিরা, ধনে এবং লংকামরিচকে দেখে মনে হয় যেন আলপনা আঁকা উঠোন। ছোট্ট এই কুটিরটির সমস্ত আনন্দই যেন জীবন্ত ছবির মতো প্রকাশ পেয়েছে। সমস্ত প্রকৃতি মায়া-মমতায় এই গ্ৰামীণ কুটিরটিকে বেষ্টন করে আছে।

 

 

৫.৩ কবি পাখির মতাে পাশে দাঁড়াতে বলছেন কেন ?

উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় : জীবনকে কঠিন বাস্তবের মাটি থেকে দেখেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষ বড়াে অসহায়, বড়াে একা। ফলে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতাকে পরিত্যাগ করে মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে পাখির আছে স্বাধীনতা, গতিবেগ ও চঞ্চলতা। পাখিদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা বা বিচ্ছিন্নতাবাদী মনােভাব নেই। নেই সামাজিক জটিলতার স্পর্শ। তাই কবি পাখির মতাে মানুষকে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে বলেছেন।

 

৬. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ৩x২=৬

 

৬.১ অপু-দুর্গার চড়ুইভাতি আয়োজন সম্পর্কে লেখ।

উত্তরঃ নীলমনি রায়-এর বাড়ির জঙ্গলে অপু দুর্গা চড়ুইভাতির আয়োজন করে। দুর্গা নিজের হাতে জঙ্গল সাফ করে, অপু জ্বালানির জন্য শুকনো লতাপাতা কুড়িয়ে আনে।

সর্বজয়াকে না জানিয়েই তারা ভাঁড়ার থেকে চাল, তেল নিয়ে আসে। তারপর ছোট ছোট মাটির হাঁড়িতে ভাত চাপানো হয়। অপুর ডাকে বিনিও তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং সে কাঠ আর জল নিয়ে আসে। রান্নার দায়িত্ব নেয় অপু। চড়ুইভাতীতে সেদিন তারা কলা পাতায় ভাত, মেটে আলুসেদ্ধ ও বেগুন ভাজা খায়।

৬.২ বাঁকা কঞ্চি অপুর জীবনে এক অদ্ভুত জিনিস কেন ?

উত্তরঃ বাঁকা কঞ্চি অপুর কাছে অনেক মূল্যবান, এক অদ্ভুত জিনিস। যা সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক খুঁজে খুঁজে বনজঙ্গলের ভিতর একটা শুকনো, গোড়ার দিক মোটা, আগার দিক সরু এমন হালকা ও বাঁকা কঞ্চি অপু জোগাড় করে আনে। তা দিয়ে অপু যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করে। এই অদ্ভুত সামান্য উপকরণটি দিয়ে সে মহাভারতে শোনা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার কল্পনায় মেতে থাকত। একা একা নির্জন জায়গায় কখনও বাঁশবাগানের পথে কখনও নদীর ধারে। নিজের মনে কথা বলতে বলতে সে ঘুড়ে বেড়াত। এই আনন্দ কেবল অপুই বোঝে অন্য কেউ বোঝে না। সে সেই বাঁকা কঞ্চি নিয়ে কখনও তামাকের দোকানি, কখনও ভ্রমণকারী,কখনও বা সেনাপতি, কখনও বা মহাভারতের অর্জুন সেজে আপনমনে খেলে। সব শিশুই সামান্য উপকরণ নিয়ে খেলার চেষ্টা করে। এই তুচ্ছ উপকরণ ও শিশুমনে অমূল্য বলে মনে হয় কঞ্চিটিকে অপু তারবারি করে মনে করে রামায়ণ মহাভারতের কল্পজগতে মানসভ্রমণ করে বেড়াত। তাই এই সামান্য উপকরণ তার মনে আশ্চর্যে আনন্দ এনে দিত।

 

 

৬.৩ “পুরাদমে বেচাকেনা আরম্ভ হইয়া গেল।”— কোন্ দোকানের কী বেচাকেনার কথা বলা হয়েছে ? প্রথমে কে পান কিনেছিল ? ২+১

উত্তরঃ একদিন খেলার ছলে দুর্গা ও অপু ইট সাজিয়ে একটি দোকানঘর বানিয়েছিল। সেই দোকানঘর বনজঙ্গল থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন ফল, ফুল, লতা-পাতা দিয়ে সাজানোর পর, দোকানে পুরোদমে কেনাবেচা আরম্ভ হয়। দুর্গা দোকান থেকে পুতুলের বিয়ের জন্য নকল সরু চাল কেনে। এইরকম নানাবিধ জিনিস কেনাবেচার মাধ্যমেই খেলা জমে ওঠে। প্রশ্নে অপু-দুর্গার বানানো এই দোকানের কথাই উদ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে।

» দুর্গাই প্রথমে খরিদ্দার হিসেবে পান কেনে।

 

 

৭. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪x১=৪

 

৭.১ “বিদ্যালয়ের সামনে জোরে যানবাহন চালানো অমার্জনীয় অপরাধ।”—এই মর্মে সচেতনতা গড়ে তুলতে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে পত্র লেখো।

৭.২ তোমার এলাকায় রাস্তায় বর্ষাকালে জল জমে যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্র সম্পাদকের কাছে একটি পত্র লেখ।

উত্তরঃ

সম্পাদক সমীপেষু,
আনন্দবাজার পত্রিকা
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা- ৭০০০০১
তাং-

বিষয়- বিদ্যালয়ের সামনে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলা বন্ধ হোক।

আমি নদীয়া জেলার বাহাদুরপুর স্কুলের একজন ছাত্র। ইদানিং আমাদের স্কুলের সামনে যানবাহন চলাচলের মাত্রা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। চালকরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। এতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সবসময় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। স্কুলের সামনে এভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে যানবাহন চালানো একটি অমার্জনীয় অপরাধ। আমরা ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকা সকলেই এ বিষয়ে যানবাহন চালাকদের কাছে আবেদন করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

তাই আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমি এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। এ ছাড়া স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মধ্যেও একটু সচেতনতা গড়ে তোলাও জরুরী। আপনাদের সাহায্য ছাড়া এই সচেতনতা গড়ে তোলা অসম্ভব।

আশা করি, এই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমার পত্রিকাটি প্রকাশ করে আমাকে বাধিত করবেন।

নমস্কারান্তে,
সেলিম সেখ

ঠিকানা-
বাহাদুরপুর,
ভগবানগোলা,
মুর্শিদাবাদ।

 

 

৭। ‘মাথা’ ও ‘ছোট’ শব্দ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে অর্থ-সহ দুটি করে বাক্যরচনা করো : ২×২=৪

উত্তরঃ

 

‘মাথা’ শব্দ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে

 

১. শারীরিক অঙ্গ হিসেবে: “আমার মাথা ধরেছে, তাই একটু বিশ্রাম নিতে চাই।” (এখানে “মাথা” বলতে মাথার অঙ্গটিকে বোঝানো হয়েছে)
২. গোষ্ঠীর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে: “সে দলের মাথা, তাই সব সিদ্ধান্ত সে নেয়।” (এখানে “মাথা” বলতে দলের প্রধানকে বোঝানো হয়েছে)

‘ছোট’শব্দ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে

 

১. গুরুত্ব বা মানের দিক থেকে ছোট:  এই সমস্যাটা খুবই ছোট, সহজে সমাধান করা যাবে।

২. পরিমাণ কম: আমার কাছে খুব ছোট একটি ব্যাগ আছে

 

SOURCE-PD

 ©kamaleshforeducation.in(2023)

error: Content is protected !!