পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা – ১

 

West Bengal Budget 2024: মত্‍স্যজীবীদের ৫ হাজার টাকা, 'সমুদ্রসাথী' প্রকল্পের ঘোষণা বাজেটে - west bengal Budget 2024 for 2 lakh Fishermen will benefit of samudra sathi 5000 rs mdv - Aaj Tak Bangla

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা – ১

আজ খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে অবসরকালীন সুবিধার আর্থিক প্রাপ্তিগুলির হিসাব করার পদ্ধতি সম্পর্কে বলছি।অবসরকালীন সুবিধার বিষয়টি অনেক বিস্তৃত। একটি পোষ্টে সবগুলিকে একসাথে দেয়াটা কঠিন তবু দৈনন্দিন কাজ চালানোর জন্য মনে হয় সুবিধা হবে।
পঃবঃ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা যে রুল দ্বারা নির্ধারন করা হয় তার নামW.B.Services(D.C.R.B)Rules,1971
বেসিক পেনশন:- পেনশনের জন্য যোগ্য হতে হলে ন্যুনতম ১০ বছর চাকুরীকাল হতে হবে। তার কম হলে পেনশন পাবেননা তবে গ্রাচ্যুইটি পাবেন।
১-১-২০১৬ র পর যাঁরা রোপা,২০১৯ সংশোধীত বেতনক্রমে অবসর গ্রহন করছেন। তাদের চাকুরীকাল ২০ বছর পুর্ন হলেই তারা পুর্ন পেনশন পাবেন এবং তাঁদের বেসিক পেনশন হবে তাঁর শেষ বেসিক পের অর্ধেক। অর্থাত কারো শেষ বেসিক পে ৬০০০০ টাকা হলে তার বেসিক পেনশন হবে ৩০০০০টাকা। এবার কারো চাকুরীকাল ১০ বছরের বেশি ও ২০ বছরের কম হলে সহজ ঐকিক নিয়মে তার বেসিক পেনশন নির্ধারন হবে অর্থাত কারো চকুরীকাল ১৩ বছর হলে তার বেসিক পেনশন ওপরের ক্ষেত্রে হবে ৩০০০০x ১৩/২০=১৯৫০০
১-১-২০১৬ র আগে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের পেনশন ৩১-১২-২০১৫ তে তাঁর যা বেসিক পেনশন (পেনশন বিক্রির আগে) ছিল তার সাথে ২.৫৭ গুন করে ১০ এর গুনিতকে হবে।
কারো পেনশন ৩৮০০ টাকা হলে তার সংশোধীত পেনশন হবে ৩৮০০x ২.৫৭=৯৭৭০ টাকা, ৪১০০ টাকা হলে হবে ৪১০০x ২.৫৭= ১০৫৪০ টাকা।
সর্বনিম্ন পেনশন যা ৩৩০০ ছিল সেটা রোপা,১৯ বেড়ে হয়েছে ৮৫০০ টাকা। সর্বোচ্চ পেনশন ছিল ৩৫০০০ টাকা সেটা রোপা, ১৯ বেড়ে হয়েছে ১০০৫০০ টাকা। সর্বোচ্চ পারিবারিক পেনশন ছিল ২১০০০ টাকা সেটা বেড়ে হয়েছে ৬০৩০০ টাকা।
বেসিক পের ৩০ শতাংশ হবে ফ্যামিলি পেনশন।কর্মচারীর বেসিক পে ৬০০০০ টাকা হলে ফ্যামিলি পেনশনের নর্মাল হার হবে ১৮০০০টাকা। কর্মচারীর যদি অবসরের পর ৭ বছরের মধ্যে মৃত্যু হয় তাহলে তিনি যে হারে পেনশন পাচ্ছিলেন সেই হারেই ৭ বছর পর্যন্ত তাঁর পরিবারের লোক ফ্যামিলি পেনশন পেতে থাকবেন অর্থাত ৩০০০০ টাকা করে তারপর ৭ বছর পুর্ন হওয়ার পর তিনি ১৮০০০ টাকা হারে পেতে থাকবেন।
পেনশনার বা ফ্যামিলি পেনশনারের বয়স বেড়ে ৮০ বছর থেকে ১০০ বছর হলে এই পেনশন বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন হারে বাড়বে।তার বেসিক পেনশন যদি হয় ৩০০০০টাকা।তবে বয়স ৮০ হলে ২০শতাংশ বেড়ে হবে ৩৬০০০ টাকা, ৮৫ হলে ৩০ শতাংশ বেড়ে হবে ৩৯০০০ টাকা, ৯০ হলে ৪০ শতাংশ বেড়ে হবে ৪২০০০ টাকা, ৯৫ হলে ৫০ শতাংশ বেড়ে হবে ৪৫০০০ টাকা ও ১০০ বছর হলে ১০০ শতাংশ বেড়ে হবে ৬০০০০ টাকা। এখানে বলা প্রয়োজন এই সময়কালে যদি নতুনভাবে তার বেসিক পেনশন সংশোধিত হয় তাহলে এই বয়সজনিত অতিরিক্ত পেনশন বৃদ্ধি তাঁর সংশোধিত পেনশনের ওপর নির্দিষ্ট হারে হবে।
কম্যুটেশন অফ পেনশন-ওপরের পদ্ধতিতে বেসিক পেনশন নির্ধারনের পর কর্মচারী তার ইচ্ছে হলে বেসিক পেনশনের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ বা তার ইচ্ছেমত যে কোন অংশ অবশ্যই ৪০ শতাংশের কম কম্যুট করতে পারেন বা একেবারেই কম্যুট নাও করতে পারেন। এটা সম্পুর্ন তার ইচ্ছাধীন। কম্যুট করলে প্রতি ১ টাকা বেসিক পেনশন বিক্রির জন্য তিনি ৬০ বছরে অবসর নিলে বার্ষিক (কম্যুটেশনের হারের চার্টে ৬১ বছরের জন্য প্রদেয়) ৮.১৯৪ টাকা হারে এককালীন অর্থ পাবেন। এটির একটু বিশদ ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন কারন এটির হিসাব সম্পর্কে অনেকের বিভ্রান্তি আছে যে এই ৮.১৯৪ এর সাথে কেন ১২ গুন করা হয়।কারন তাঁর ১ টাকা বেসিক পেনশনের বিক্রির বার্ষিক হার ৮.১৯৪ টাকা। তাই ১ টাকা মাসিক পেনশন বিক্রি করা মানে তিনি বার্ষিক ১২ টাকা পেনশন বিক্রি করছেন।তাই প্রতি ১ টাকা বিক্রিতে তিনি পাবেন ৮.১৯৪x১২=৯৮.৩২৮ টাকা করে।তাই তাঁর বেসিক পেনশন ৩০০০০ টাকা হলে আর তিনি যদি ৪০ শতাংশ হারে কম্যুট করেন তাহলে ১২০০০ টাকা বিক্রির জন্য তিনি এককালীন পাবেন ১২০০০ টাকাx ৯৮.৩২৮=১১৭৯৯৩৬ টাকা।এই বিক্রি করা পেনশন অবসরের ১৫ বছর পর তিনি আবার ফিরে পাবেন।এই বিক্রি করা পেনশনের ওপর তিনি অবশ্য ডিয়ারনেস রিলিফ যথারীতি পেতে থাকবেন।
এছাড়া অবসরকালীন সুবিধা হিসেবে গ্রাচ্যুইটি,লিভ স্যালারী যা পেয়ে থাকেন সেটা পরবর্তী পোষ্টে জানাব।গ্রুপ ইনসিওরেন্স ও জিপিএফ ফাইনাল পেমেন্ট নিয়েও বলব তবে এগুলি অবশ্য কর্মচারীর নিজস্ব সঞ্চয় থেকে প্রাপ্য অর্থ।

©kamaleshforeducation.in(2023)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!