WBBSE এর MISCELLANEOUS APPLICATION এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আজকের(17/04/2025) DIRECTION এর পরে উঠে আসা বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর
=================================
১) প্রশ্ন – সুপ্রিম কোর্টের আজকের ( 17/04/2025) অর্ডারটা আসলে কী ?
উত্তর – গত 03/04/2025 তারিখে সুপ্রীম কোর্টের ফাইনাল জাজমেন্ট দ্বারা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন প্রায় 26000 শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এই অবস্থায় ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বার্থে বাতিল হয়ে যাওয়া বৈধ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা যাতে অন্তত কিছুদিন সাময়িকভাবে তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেই আবেদন জানিয়ে WBBSE একটি MISCELLANEOUS APPLICATION করে সুপ্রিম কোর্টে । সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ডিরেকশন দিল সুপ্রিম কোর্ট। এটা মোটেও রিভিউ পিটিশন নয়। সেটা নিশ্চয়ই পরে হবে।
২) প্রশ্ন — উপরে উল্লেখিত MISCELLANEOUS APPLICATION এর দ্বারা WBBSE সুপ্রিম কোর্টে ঠিক কী দাবী করেছিল ?
উত্তর — এই আবেদনে WBBSE অরিজিনাল রায়ের পুনর্বিবেচনার কোনও আবেদন করেনি । এটা ছিল উক্ত চাকরি বাতিলের রায়ের ফলে পড়ুয়াদের যে ক্ষতি হতে পারে তা ঠেকানোর জন্য কোর্টের বিশেষ ছাড়ের অনুমতি প্রার্থনা করে একটা প্রস্তাব। এটাতে কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যে অন্তত এই শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত অথবা ফ্রেশ সিলেকশন হয়ে নতুন ক্যান্ডিডেট না আসা পর্যন্ত Untainted চাকরিচ্যুতদের ( টিচিং/ নন টিচিং উভয়েই) যেন কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় । WBBSE এই আবেদন করেছিল সুপ্রীম কোর্টের কাছে। সুপ্রীম কোর্ট সেই আবেদনে আংশিকভাবে সাড়া দিয়েছে। অর্থাৎ টিচারদের ক্ষেত্রে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। যদিও নন টিচিং দের ক্ষেত্রে এই ছাড় দেওয়া হয়নি।
৩) প্রশ্ন – আজকের সুপ্রীম কোর্টের এই অর্ডার কি সুপ্রিম কোর্টের ০৩/০৪/২০২৫ তারিখের ফাইন্যাল জাজমেন্ট এর কোনও সংশোধন ?
উত্তর – না। ফাইনাল জাজমেন্ট এর কোনও পরিবর্তন এই MISCELLANEOUS APPLICATION এর দ্বারা করা হয়নি। হওয়ার কথাও ছিল না। প্রকৃতপক্ষে এটাতে ফাইনাল জাজমেন্ট এর কোনও স্থায়ী পরিবর্তন চাওয়াই হয়নি। অর্থাৎ 26000 এর সবার চাকরি বাতিলের রায় পুরোপুরিই বহাল আছে। শুধু ঐ চাকরিচ্যুত Untainted টিচারদের কিছুদিন (31/12/2025 পর্যন্ত ) কাজ চালিয়ে যাওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যাতে পড়ুয়াদের ক্ষতি না হয়।
৪) প্রশ্ন — রিভিউ পিটিশনের সঙ্গে আজকের অর্ডার অর্থাৎ MA এর মুলগত পার্থক্যটা ঠিক কী ?
উত্তর – আজকের অর্ডারটা হচ্ছে মূল জাজমেন্টকে একই রেখে সাময়িক ভাবে কিছুদিনের জন্য ছাড়। আর রিভিউ পিটিশনের অর্থ হলো মূল অর্ডারটার পরিবর্তন করার বা বাতিল করার আবেদন । উল্লেখ্য যদি চাকরিচ্যুতদের চাকরি আবার পরীক্ষা ছাড়াই আগের মতো ফিরিয়ে দিতে হয় তাহলে সেটা একমাত্র করা যায় রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে। আজকের Miscellsneous অ্যাপ্লিকেশন এর পরিপ্রেক্ষিতে জারি হওয়া অর্ডারের সঙ্গে রিভিউ পিটিশনের কোনও সম্পর্ক নেই।
৫) প্রশ্ন – আজকের MA অর্ডারে সুপ্রিম কোর্টের মূল ডিরেকশনগুলি কী ছিল ?
উত্তর – আজকের অর্ডারে সুপ্রিম কোর্ট WBBSE এর আবেদনটির আংশিক মান্যতা দিয়েছে। WBBSE তার MA তে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল যাতে কোর্ট স্কুল শিক্ষার স্বার্থে এই শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ 31/12/2025 পর্যন্ত অথবা কোর্টের জাজমেন্ট এর নির্দেশ মতো ফ্রেশ সিলেকশন হওয়া পর্যন্ত চাকরি বাতিল হওয়া সমস্ত UNTAINTED টিচিং এবং নন টিচিং স্টাফদের চাকরি বহাল রাখে। কোর্ট এখানে WBBSE এর সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র Untainted টিচিং স্টাফদের চাকরি উক্ত সময়কাল পর্যন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিল। কিন্তু নন টিচিং স্টাফদের এই ছাড় দেওয়া হলো না। অর্থাৎ তাঁদের সবার চাকরি 03/04/2025 তারিখের ফাইন্যাল জাজমেন্ট অনুযায়ী বাতিল অবস্থাতেই থাকল।
৬) প্রশ্ন – নন টিচিং স্টাফদের কেন ছাড় দিল না সুপ্রিম কোর্ট ?
উত্তর — সুপ্রীম কোর্ট বলেছে দুটি কারনে নন টিচিং স্টাফরা এই ছাড় পাবে না। প্রথমত, নন টিচিংদের প্যানেলগুলিতে বেনিয়মের সংখ্যা খুব বেশি। দ্বিতীয়ত, এই ছাড় শুধুমাত্র পড়ুয়াদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে দেওয়া হয়েছে। তাই টিচাররাই শুধুমাত্র এই ছাড়ের জন্য বিবেচিত হয়েছেন। নন টিচিংরা নন।
৭) প্রশ্ন – আজকের এই অর্ডারের ফলে কি রিভিউ পিটিশনের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে গেল?
উত্তর — না। আজকেরটা শুধুমাত্র কিছুদিনের জন্য রিলিফ দেওয়ার অর্ডার। কিন্তু যদি রায়টাকে পাল্টাতে হয় তাহলে রিভিউ পিটিশন দাখিল করতেই হবে এক মাসের মধ্যে। অবশ্য বিশেষ পরিস্থিতিতে এই টাইম লিমিট বাড়তে পারে। সেটাও নিশ্চয়ই খুব শীঘ্রই করা হবে। হয়ত কৌশলগত কারণে রিভিউ পিটিশন দেরী করে করাও হতেও পারে।
৮) প্রশ্ন – আজকের অর্ডারের ফলে রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে কর্মীদের চাকরিতে পূনঃ প্রতিষ্ঠা হওয়ার সম্ভাবনা কী শেষ হয়ে গেল অর্থাৎ রিভিউ পিটিশনের সম্ভাবনা কী শেষ হয়ে গেল ?
উত্তর – না। আগেই বলেছি আজকের রায় রিভিউ পিটিশনের সুযোগ বা তার মাধ্যমে সুরাহার সুযোগ কোনো মতেই কেড়ে নিচ্ছে না। দুটি আলাদা বিষয়। MA তে শুধুমাত্র পড়ুয়াদের কথা ভেবে কিছুদিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন Untainted টিচাররা। আর রিভিউ পিটিশনের অর্ডার ক্যান্ডিডেটদের পক্ষে এলে মিলতে পারে আগের মতোই চাকরিতে পুনঃ প্রতিষ্ঠা। বিনা পরীক্ষায়। সে ক্ষেত্রে 31/12/2025 পর্যন্ত অস্থায়ী ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার MA অর্ডারটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে কারন তখন ক্যান্ডিডেট স্থায়ী ভাবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবেন। আর যদি রিভিউ পিটিশনের অর্ডার পক্ষে না আসে তাহলে আজকের MA অর্ডারটা কার্যকর থাকবে অর্থাৎ 25/04/2025 পর্যন্ত অস্থায়ী ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদেরকে স্থায়ীভাবে চাকরিতে পুনরায় বহাল হতে হলে তাঁদেরকে ফ্রেশ সিলেকশন পরীক্ষা দিয়েই সেটা অর্জন করতে হবে।
৯ ) প্রশ্ন – আজকের MA অর্ডারের দ্বারা ছাড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কী কী শর্ত বেঁধে দিয়েছে ?
উত্তর – এই ছাড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট যে শর্তগুলি দিয়েছে সেগুলি হলো –
ক) 31/05/2025 তারিখের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ফাইনাল জাজমেন্ট এর নির্দেশ মতো ফ্রেশ সিলেকশন প্রসেস চালানোর জন্য advertisement দিতে হবে ।
খ) 31/ 12/2025 তারিখের মধ্যে পুরো সিলেকশন প্রসেস শেষ করতে হবে।
গ) রাজ্য সরকার, বোর্ড, এসএসসি, Applicant / Appelant — এরা 31/05/2025 তারিখের মধ্যে উক্ত advertisemment এবং উক্ত সিলেকশন প্রসেসের একটা শিডিউল দিয়ে কোর্টে affidavit জমা দেবে যাতে করে 31/12/2025 এর মধ্যে উক্ত সিলেকশন প্রসেস শেষ করা নিশ্চিত করা যায়।
ঘ) যদি 31/ 05/25 এর মধ্যে ঐ advertisement প্রকাশিত না হয় বা affidavit জমা না হয় তাহলে কোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরিমানা করতে পারে বা এই যে ছাড়ের অর্ডারটা দিচ্ছে সেটা উইথড্র করে নিতে পারে।
ঙ) এই ছাড়ের অর্ডারটা কোনো মতেই সংশ্লিষ্ট ক্যান্ডিডেটদের ফ্রেশ রিক্রুটমেন্ট এর ক্ষেত্রে কোনো স্পেশাল অধিকার বা সুবিধা দেবে না ।
১০) প্রশ্ন – এরপর Untainted দের রিভিউ পিটিশনে সত্যিই কী কোনও পজিটিভ রেজাল্ট হতে পারে ?
উত্তর – উত্তর যদি রিভিউ পিটিশনে কোর্টের সিদ্ধান্ত পক্ষে যায় তাহলে Untaintred রা কোনো রকম পরীক্ষায় না বসেই আবার সসম্মানে নিজের নিজের কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হবেন। আর রিভিউ এর ফল যদি বিপক্ষে যায় তাহলে ( Curative Petition বাদ দিলে ) ফাইনাল জাজমেন্ট এর নির্দেশ মতো Untainted দের আবার পরীক্ষায় বসে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ দিতে না পারলে চাকরিতে পুনঃ প্রতিষ্ঠার আশা থাকবে না। এখানে উল্লেখ্য আইনের দিক থেকে দেখলে রিভিউ পিটিশনে সাফল্যের হার নগণ্য । কিন্তু এই কেসটা ব্যতিক্রমী ধরণের দূর্নীতি সংক্রান্ত। মাথার যন্ত্রণার নিরাময় হিসাবে মাথা কেটে ফেলার রায়টাও ব্যতিক্রমী। সুপ্রীম কোর্টের ফাইনাল জাজমেন্টে tainted/ untainted এর ব্যাপারটা কেমন যেন শেক্সপিয়ার এর ” Fair is foul/ Foul is fair” উক্তির মতোই ব্যতিক্রমী। তাই যেখানে এত কিছু ব্যাতিক্রমী ব্যাপার স্যাপার রয়েছে সেখানে একটা ব্যতিক্রমী রিভিউ হতেই পারে। আমি অন্তত আশাবাদী।
১১) প্রশ্ন – তাহলে কি Untainted টিচাররা কাল থেকেই স্কুলে যাবেন ? স্কুলে গেলে তাঁরা কি বেতন পাবেন ?
উত্তর — হ্যাঁ , স্কুলে যাবেন। এবং পূর্বে উল্লেখিত সময়সীমা পর্যন্ত বেতনও পাবেন।
১২) প্রশ্ন – অনেক Untainted টিচার রায় ঘোষণার পর থেকে স্কুলে যাননি। তাঁদের সেই অনুপস্থিতির দিনগুলি কেমন ভাবে বিবেচ্য হবে ?
উত্তর – কোর্টের অর্ডার ছিল তাঁদের সার্ভিস terminate করার। সেটা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ স্কুল নয়। এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট এর নির্দেশে সেটা করতে পারে বোর্ড। কিন্তু যেহেতু বোর্ড তাঁদের সার্ভিস terminate এখনও পর্যন্ত করেনি তাই তাঁরা স্কুলে যেতেই পারতেন। যেহেতু যাননি তাই উক্ত অনুপস্থিতির দিনগুলির জন্য প্রাপ্য ছুটি নিতে হবে এবং সেই ছুটির দিনগুলি সহ তাঁরা বেতন পাবেন।
১৩) প্রশ্ন – Tainted টিচিং ও নন টিচিংরা অথবা Untainted নন টিচিংরা কি তাহলে কাল থেকে স্কুলে যেতে পারবেন ?
উত্তর – স্কুলে যেতেই পারেন। কোর্টের অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও তাঁদের চাকরি টার্মিনেশন এর অর্ডার জারি করেননি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ । স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ allow করতেই পারেন। তবে সেই উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত গ্রাহ্য হবে কি না সেটা রিভিউ এর ফল আর কর্তৃপক্ষের অর্ডারের উপর নির্ভর করছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে অর্ডার জারি করবে। ততদিন পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেই মনে হয়।
১৪) প্রশ্ন – আজকে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন যে আজকের অর্ডারে নাকি সুপ্রিমকোর্ট টিচারদের TAINTED/ UNTAINTED লিস্ট ধরে স্কুলে যাওয়ার কথা বলেনি। অর্থাৎ মনে হলো যেন তিনি বলতে চাইছেন যে আজকের অর্ডারের বলে স্কুলে যাওয়ার জন্য টিচারদের Tainted/ Untainted লিস্ট অপ্রাসঙ্গিক। অর্থাৎ Tainted বা Untainted সমস্ত টিচারই আপাতত স্কুলে যাবে। কথাটা কি ঠিক ?
উত্তর – না । ঠিক নয়। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সম্ভবত ওটা বলতে চাননি। বা ব্যাপারটা তাঁর স্মরণে ছিল না। সুপ্রীমকোর্ট আজকের অর্ডারটা দিয়েছে WBBSE এর Miscellaneous Application এ চাওয়া আবেদনকে টিচারদের ক্ষেত্রে মঞ্জুর করে । সেই আবেদনে শুধুমাত্র Untainted দের ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল। সুতরাং এই ছাড় শুধুমাত্র Untainted টিচাররাই পাবেন। Untainted লিস্ট অনেক আগেই এসএসসি দিয়েছে। সেটা ধরেই ঠিক হবে কে tainted আর কে untainted।
১৫) প্রশ্ন – স্কুল কর্তৃপক্ষ তাহলে এরপর কী করবে ?
উত্তর — কিছুই করবে না। কেবল ওয়েট করবে। ওয়েট করবে এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট বা বোর্ডের অর্ডারের জন্য। বাকি সব কিছু যেমন চলছিল চলতে দেবে। মনে রাখতে হবে এই মামলার পার্টি সরকার এবং বোর্ডকে সুপ্রীমকোর্ট 26000 এর সার্ভিস terminate করতে বলেছে। স্কুল সেই termination করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়। সেটা করতে পারে একমাত্র বোর্ড । বোর্ড থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই টার্মিনেশন এর অর্ডার আসছে স্কুল কাউকেই আটকাবে না। আসতেও বলবে না। কারোর বেতনের রিকুইজিশন অন্তত 22 – 23 তারিখ পর্যন্ত সাবমিট করবে না। উক্ত স্টাফরা আসতে চাইলে আসবে। সই করলে করবে। নরমাল ডিউটিও করবে। আশা করা যায় দুই এক দিনের মধ্যেই অর্ডার চলে আসবে । তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী কাজ করবে। তার আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু চিঠি লিখবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই অবস্থায় কী করণীয় জানতে চেয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক কী করবে এবং চিঠিটা কেমন হবে সেটা নিয়ে আমার আগেই পোষ্ট আছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই । স্কুল কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননার দায়ে পড়বেন না। পড়লে পরবে বোর্ড বা ডিপার্টমেন্ট।
১৬) প্রশ্ন – তাহলে এই মুহূর্তে Untainted টিচারদের কী করা উচিত ?
উত্তর — এটা নিশ্চিত সামনের কয়েকটা মাস তাঁদের জন্য কঠিন হতে চলেছে। তাঁদের একই সঙ্গে চার চারটি কাজ করতে হবে — স্কুলের ডিউটি, আইনী লড়াই, রাস্তায় অবস্থান এবং সর্বোপরি পরীক্ষার জন্য জান প্রাণ লড়ানো এক প্রস্তুতি। ইগনোর করতে হবে মানুষের বিরূপ ইঙ্গিতকে আর এড়িয়ে চলতে হবে রাজনীতির ফাঁদকে। তাহলেই হবে।
SOURCE-SMR