বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর |
Madhyamik Geography Bayur Storbinas Question and Answer
MCQ | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayur Storbinas Question and Answer :
- ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডলীয় স্তরটির হল—
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(C) মেসোস্ফিয়ার
(D) থার্মোস্ফিয়ার
Ans: (A) ট্রপোস্ফিয়ার
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের বিস্তার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় –
(A) ৮ কিমি উচ্চতায়
(B) ১৮ কিমি উচ্চতায়
(C) ৫০ কিমি উচ্চতায়
(D) ৮০ কিমি উচ্চতায়
Ans: (B) ১৮ কিমি উচ্চতায়
- ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১০০ – ৩৫০০ কিমি উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলে গ্যাসীয় উপাদানের উপস্থিতি দেখা যায় সেটি হল –
(A) হাইড্রোজেন
(B) হিলিয়াম
(C) অক্সিজেন
(D) নাইট্রোজেন
Ans: (B) হিলিয়াম
- ওজোন গ্যাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় বায়ুমণ্ডলের –
(A) ট্রপোস্ফিয়ারে
(B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
(C) থার্মোস্ফিয়ারে
(D) মেসোস্ফিয়ারে
Ans: (B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
- ওজোন গ্যাস অক্সিজেনের ক – টি পরমাণু নিয়ে গঠিত ?
(A) ১ টি
(B) ৩ টি
(C) ২ টি
(D) ৪ টি
Ans: (B) ৩ টি
- মেরুজ্যোতি সৃষ্টি হয় কোন্ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে ?
(A) ওজোনোস্ফিয়ারে
(B) আয়নোস্ফিয়ারে
(C) মেসোস্ফিয়ারে
(D) এক্সোস্ফিয়ারে
Ans: (B) আয়নোস্ফিয়ারে
- বায়ুমণ্ডলীয় ‘ ক্ষুব্বন্তর ‘ নামে পরিচিত স্তরটি হল –
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(C) এক্সোস্ফিয়ার
(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Ans: (A) ট্রপোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরটি ‘ শান্তমণ্ডল ‘ নামে পরিচিত সেটি হল –
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(C) মেসোস্ফিয়ার
(D) আয়নোস্ফিয়ার
Ans: (C) মেসোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে মহাজাগতিক উল্কা পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেটি হল –
(A) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(B) আয়নোস্ফিয়ার
(C) মেসোস্ফিয়ার
(D) এক্সোস্ফিয়ার
Ans: (C) মেসোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলে যে স্তরে ভূপৃষ্ঠের বেতার তরঙ্গ প্রতিহত হয় সেটি হল—
(A) আয়নোস্ফিয়ার
(B) এক্সোফিয়ার
(C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(D) মেসোস্ফিয়ার
Ans: (A) আয়নোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলীয় যে স্তর দিয়ে জেট প্লেন যাতায়াত করে সেটি হল –
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
(C) আয়নোস্ফিয়ার
(D) মেসোস্ফিয়ার
Ans: (B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
- যে সর্বশেষ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উচ্চতা বাড়ার সাথে উন্নতা কমে সেটি হল –
(A) টপোস্ফিয়ার
(B) মেসোস্ফিয়ার
(C) এক্সোস্ফিয়ার
(D) থার্মোস্ফিয়ার
Ans: (B) মেসোস্ফিয়ার
- থার্মোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডলীয় স্তরটি কোন স্তরের অন্তর্গত ?
(A) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
(B) মেসোস্ফিয়ার
(C) আয়নোস্ফিয়ার
(D) এক্সোস্ফিয়ার
Ans: (B) মেসোস্ফিয়ার
- সূর্য থেকে আগত ‘ UV – Ray ‘ যে বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসীয় উপাদান শোষণ করে সেটি হল –
(A) অক্সিজেন
(B) নাইট্রোজেন
(C) হাইড্রোজেন
(D) ওজোন গ্যাস
Ans: (D) ওজোন গ্যাস
- ভ্যান অ্যালেন রেডিয়েশন বেল্ট যে উচ্চতায় অবস্থান করে তা হল –
(A) ৯০ কিমি
(B) ২০০
(C) ৪০০০ কিমি
(D) ১০,০০০ কিমি
Ans: (C) ৪০০০ কিমি
- ওজোন গ্যাসের ঘনত্বকে পরিমাপ করা হয় –
(A) মিলিবার এককে
(B) ডবসন এককে
(C) কিলোগ্রাম এককে
(D) knot এককে
Ans: (B) ডবসন এককে
- বায়ুমণ্ডলে গড় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ –
(A) ০–০.৫ %
(B) ০.৫-১.০০ %
(C) ১.০০–২.০০ %
(D) 0.5-8.0 %
Ans: (D) 0.5-8.0 %
- মেসোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমার তাপমাত্রা প্রায় –
(A) ০ ° C
(B) -৬৩ ° C
(C) – ১৩ ° C
(D) ১২০০ ° C
Ans: (C) – ১৩ ° C
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা লক্ষ করা যায় সেটি –
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
(C) মেসোস্ফিয়ার
(D) আয়নোস্ফিয়ার
Ans: (C) মেসোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা লক্ষ করা যায় সেটি হল –
(A) আয়নোস্ফিয়ার
(B) এক্সোস্ফিয়ার
(C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
(D) ট্রপোস্ফিয়ার
Ans: (B) এক্সোস্ফিয়ার
- হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় বায়ুমণ্ডলের –
(A) ট্রপোস্ফিয়ারে
(B) মেসোস্ফিয়ারে
(C) এক্সোস্ফিয়ারে
(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে
Ans: (C) এক্সোস্ফিয়ারে
- মেরু অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা প্রায় …
(A) ৮ কিমি
(B) ১৮ কিমি
(C) ৫০ কিমি
(D) ৮০ কিমি
Ans: (A) ৮ কিমি
- ট্রপোপজ স্তরটি দেখা যায় কোন দুই স্তরের মাঝে ?
(A) ট্রপোস্ফিয়ার – স্ট্যাটোস্ফিয়ার
(B) সমমণ্ডল – বিষমমণ্ডল
(C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার – মেসোস্ফিয়ার
(D) মেসোস্ফিয়ার – থার্মোস্ফিয়ার
Ans: (C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার – মেসোস্ফিয়ার
- বজ্রপাত ও ঝড় – বৃষ্টি বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে দেখা যায় সেটি –
(A) টপোস্ফিয়ার
(B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
(C) মেসোস্ফিয়ার
(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Ans: (B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
- কোন্ স্তরটি শান্তমণ্ডল নামে পরিচিত ?
(A) মেসোস্ফিয়ার
(B) ট্রপোস্ফিয়ার
(C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
(D) থার্মোস্ফিয়ার
Ans: (C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
- আকাশকে নীল দেখায় বায়ুমণ্ডলের –
(A) CO₂ – এর উপস্থিতির জন্য
(B) O₂ – এর উপস্থিতির জন্য
(C) ধূলিকণা – এর উপস্থিতির জন্য
(D) জলীয় বাষ্প – এর উপস্থিতির জন্য
Ans: (C) ধূলিকণা – এর উপস্থিতির জন্য
- বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে অবস্থান করে সেটি হল –
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) মেসোস্ফিয়ার
(C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(D) আয়নোস্ফিয়ার
Ans: (A) ট্রপোস্ফিয়ার
- হেটেরোস্ফিয়ারের সর্বনিম্ন স্তর হল –
(A) হিলিয়াম
(B) আণবিক নাইট্রোজেন
(C) পারমাণবিক অক্সিজেন
(D) হাইড্রোজেন স্তর
Ans: (B) আণবিক নাইট্রোজেন
- বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ স্তর হল –
(A) এক্সোস্ফিয়ার
(B) আয়নোস্ফিয়ার
(C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
(D) মেসোস্ফিয়ার
Ans: C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর হল –
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) মেসোস্ফিয়ার
(C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
(D) আয়নোস্ফিয়ার
Ans: A) ট্রপোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের ৯০ % জলীয় বাষ্পই ভূপৃষ্ঠ থেকে—
(A) ১০ কিমি উচ্চতায়
(B) ২০ কিমি উচ্চতায়
(C) ৩০ কিমি উচ্চতায়
(D) ৫০ কিমি উচ্চতায়
Ans: (A) ১০ কিমি উচ্চতায়
- ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯০-১০,০০০ কিমি পর্যন্ত প্রসারিত স্তরকে বলে—
(A) হেমোস্ফিয়ার
(B) হেটেরোস্ফিয়ার
(C) মেসোস্ফিয ়ার
(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Ans: (B) হেটেরোস্ফিয়ার
- ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত প্রসারিত স্তরকে বলে –
(A) সমমণ্ডল
(B) বিষমমণ্ডল
(C) সমতল অঞ্চল
(D) শান্তমণ্ডল
Ans: (A) সমমণ্ডল
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে ওজোন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় । সেটি হল –
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) মেসোস্ফিয়ার
(C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(D) আয়নোস্ফিয়ার
Ans: (C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
( 1 ) মেসোস্ফিয়ার ( ঘ )
- বায়ুমণ্ডলের রক্ষাকবচ ‘ বলা হয় যে গ্যাসীয়স্তরকে সেটি হল –
(A) ওজোনোস্ফিয়ার
(B) আয়নোস্ফিয়ার
(C) আয়নোস্ফিয়ার
(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Ans: (A) ওজোনোস্ফিয়ার
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayur Storbinas Question and Answer :
- হোমোস্ফিয়ার স্তরের বিস্তার কতটা ?
Ans: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বে প্রায় ৯০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত ।
- হেটেরোস্ফিয়ার স্তরের বিস্তার কতটা ?
Ans: ১০ কিমি থেকে ২০,০০০ কিমি পর্যন্ত ।
- বায়ুমণ্ডলের ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন স্তর কোন্টি ?
Ans: টুপোস্ফিয়ার ।
- ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখাকে কী বলে ?
Ans: ট্রপোপোজ ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অপর নাম কী ?
Ans: শান্তমণ্ডল ।
- ‘ মৌক্তিক মেঘ ‘ কোন্ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে দেখতে পাওয়া যায় ?
Ans: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ।
- বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তরে উল্কাপিণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায় ?
Ans: মেসোস্ফিয়ার স্তরে ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সর্বশেষ সীমাকে কী বলা হয় ?
Ans: মেসোপজ ।
- মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা কোন্ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে দেখা যায় ?
Ans: আয়নোস্ফিয়ার ।
- কোন্ স্তর সূর্য থেকে আগত রঞ্জন রশ্মি ও গামা রশ্মি শোষণ করে ?
Ans: আয়নোস্ফিয়ার ।
- বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বতম স্তর কোন্টি ?
Ans: ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ।
- হোমোস্ফিয়ারের অন্তর্গত বায়ুমণ্ডলীয় স্তর কোনগুলি ?
Ans: ট্রপোস্ফিয়ার , স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার ।
- হেটেরোস্ফিয়ারের অন্তর্গত বায়ুমণ্ডলীয় স্তর কী কী ?
Ans: আয়নোস্ফিয়ার , এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ।
- বায়ুমণ্ডলের কোন্ কোন্ স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে উন্নতা কমে যায় ?
Ans: বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে উন্নতা কমে যায় ।
- ট্রপোস্ফিয়ারের সীমানা নির্দেশ করো ।
Ans: ভূপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ১৮ কিমি ও মেরুতে ৮ কিমি ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayur Storbinas Question and Answer :
- স্বাভাবিক উয়তা হ্রাসের বিধি বা ল্যাপস রেট কাকে বলে ?
Ans: টুপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে উয়তা ৬.৪ ° সেলসিয়াস / কিমি হারে হ্রাস পায় । একেই বলে Normal Lapse Rate I
- ট্রপোস্ফিয়ারের নামকরণের কারণ কী ?
Ans: গ্রিক শব্দ ” Tropos’- এর অর্থ ‘ অশাস্ত ‘ এবং ‘ Sphere’ এর অর্থ অঞ্চল । বায়ুমণ্ডলের এই স্তর বায়ুমণ্ডল গঠনকারী উপাদানগুলির প্রভাবে সর্বদা অশান্ত থাকে বলে একে Troposphere নামকরণ করা হয়েছে ।
- ট্রপোপজ ( Tropopause ) কী ?
Ans: ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৩ কিমি পর্যন্ত অংশে উন্নতা একই থাকে— হ্রাস বা বৃদ্ধি কিছুই ঘটে না । একে ট্রপোপজ ( ‘ Pause ’ অর্থ ‘ থামা ’ ) বলে । ট্রপোপজ হল ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখা ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ( Stratosphere ) কাকে বলে ?
Ans: ট্রপোস্ফিয়ার – এর ওপরের ১৮–৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলে ।
- স্ট্যাটোপজ ( Stratopause ) কী ?
Ans: ঊর্ধ্বে ৫০ – ৫৫ কিমি অংশে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা হল স্ট্র্যাটোপজ ।
- মেসোস্ফিয়ার ( Mesosphere ) কাকে বলে ?
Ans: স্ট্যাটোপজের ঊর্ধ্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিমি পর্যন্ত উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উন্নতা কমতে থাকে , তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে ।
- অরোরা বোরিওলিস ও অরোরা অস্ট্রালিস কী ?
Ans: আয়নোস্ফিয়ারে রঞ্জনরশ্মি ও অতিবেগুনি রশ্মির সংঘাতে আয়ন বা তড়িদাহত অণুর সৃষ্টি হয় যা উত্তর মেরুতে মেরুজ্যোতি বা আলোকপ্রভা সৃষ্টি করে একে অরোরা বোরিওলিস বলে । আয়নোস্ফিয়ারে তড়িদাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে মেরুপ্রভার সৃষ্টি হয় তাকে বলে অরোরা অস্ট্রালিস ।
- আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব কী ?
Ans: আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব হল— ( i )
Ans: বৃদ্ধির সাথে উন্নতা দ্রুতহারে বাড়ে এবং থার্মোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে উন্নতা হয় ১২০০ সে . – এর বেশি । ( ii ) বায়ুর ঘনত্ব খুবই কম । ( iii ) অতিবেগুনি ও রঞ্জন রশ্মি এই স্তরে শোষিত হয় । ( iv ) বস্তুকণা আয়নিত আছে বলেই বেতার তরঙ্গ এই স্তর থেকে প্রতিফলিত হয় । ( v ) অরোরা বা মেরুপ্রভা এই স্তরে সৃষ্টি হয় ।
জেনে রাখো : মৌক্তিক মেঘ কী ?
শীতকালে অ্যান্টার্কটিকা ঊর্ধ্বাংশে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করে বর্ণময় মেঘের সঞ্চার ঘটায় । একেই বলে মৌক্তিক মেঘ ( ‘ nacreous cloud ‘ or ‘ mother of pearl ) |
নৈশদ্যুতি মেঘ ( Noctilucent cloud ) কী ?
মেসোস্ফিয়ারে সৃষ্ট হালকা মেঘকে নৈশদ্যুতি মেঘ বলে ।
- বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর কোনগুলি ?
Ans: নিম্নস্তরগুলি হল — ট্রপোস্ফিয়ার , উত্তর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার ।
- ওজোন ( Ozone ) কী ?
Ans: ওজোন ( গ্রিক শব্দ ‘ Ozo ‘ থেকে ‘ Ozone ‘ শব্দের , উৎপত্তি , যার অর্থ ‘ Smell ‘ বা গল্প ) হল হালকা নীলাভ আঁশ গন্ধযুক্ত একটি গ্যাস , যার রাসায়নিক সংকেত O .
- ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় কী ?
Ans: নিরক্ষীয় অঞ্চলের দুটি ম্যাগনেটোপজ বলয়কে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলে ।
- ওজোনস্তর কাকে বলে ?
Ans: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নাংশে ( ১৫–৩০ কিমি উচ্চতায় ) ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব সর্বাধিক । বায়ুমণ্ডলের এই অংশটি হল ওজোনস্তর ।
- ওজোনস্তরের অবস্থান লেখো ।
Ans: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নাংশে প্রায় ১৫–৩০ কিমি উচ্চতার মধ্যবর্তী স্থানে ওজোনস্তরের অবস্থান লক্ষ করা যায় । বিশেষ কথা :: ওজোন গ্যাসের অস্তিত্বের কথা প্রথম । বলেন জার্মান রসায়নবিদ সি . এফ . স্কোনবি এবং Oz সংকেতের আবিষ্কারক জে . এল . সোরেত । ওজোন ঘনত্ব মাপার একক ডবসন , স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোনের ঘনত্ব ২০০ ডবসন হলে সেখানে ওজোন হোল সৃষ্টি হয়েছে বলে ধরা হয় ।
- ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাসগুলির নাম লেখো ।
Ans: ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাসগুলি হল ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( CFC ) , হ্যালন , মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড ।
- ওজোন গহ্বর ( Ozone Hole ) কী ?
Ans: যেখানে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোনের ঘনত্ব ২০০ ডবসন ইউনিট – এর কম এবং সেখান দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করে । তা হল ওজোন হোল বা ওজোন গহ্বর । অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে ওজোন গহ্বর তৈরি হয়েছে ।
- সমতাপ অঞ্চল ( Isotherm Zone ) কাকে বলে ?
Ans: ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে প্রায় ৩ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অংশে উন্নতার হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে না । উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও উয়তা ব অপরিবর্তিত থাকে বলেই একে সমতাপ অঞ্চল বলে ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayur Storbinas Question and Answer :
- ট্রপোস্ফিয়ার কেন ক্ষুষ্মমণ্ডল বলা হয় ?
Ans: আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলি অর্থাৎ ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , মেঘ প্রভৃতি ট্রপোস্ফিয়ারেই অবস্থান করে । এগুলির প্রভাবে ট্রপোস্ফিয়ারে ঝড় – ঝঞ্ঝা , কুয়াশা , বৃষ্টি , তুষারপাত প্রভৃতি ঘটে অর্থাৎ ঘনীভবনের প্রক্রিয়া ট্রপোস্ফিয়ারেই কার্যকর । আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলির প্রভাবে ট্রপোস্ফিয়ার সর্বদাই অশাস্ত থাকে বলেই ট্রপোস্ফিয়ারকে ‘ ক্ষুদ্দমন্ডল ‘ বলে ।
- ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?
Ans: ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল 7 ( i ) এই স্তরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতি কিমি উচ্চতায় ৬.৪ সে . হারে উয়তা হ্রাস পায় – একেই নর্ম্যাল ল্যাপরেট বা স্বাভাবিক উন্নতা হ্রাসের বিপি বলে । তবে মেরু অঞ্চলে মেরু অঞ্চল সারাবছর বরফে ঢাকা থাকে বলে কিছুটা উন্নতার বৈপরীত্য ঘটে ।
( ii ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বাংশের উন্নতা থাকে । -৮০ ° সে . এবং মধ্য অক্ষাংশে –৫৮ ° সে .।
( iii ) মোট গ্যাসীয় ভরের ৭৫ শতাংশ রয়েছে এই স্তরে । কেবলমাত্র ট্রপোস্ফিয়ারে জলীয়বাষ্প , ধূলিকণা ও মেঘ রয়েছে বলেই আবহাওয়া ও জলবায়ুর যাবতীয় ঘটনা এই স্তরেই ঘটে । তাই একে ‘ ক্ষুখমণ্ডল বলে ।
( iv ) বায়ুদূষণকারী প্রায় সমস্ত পদার্থই এই স্তরে অবস্থান করে ।
( v ) টুপোস্ফিয়ারে ২ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত ভূপ্রকৃতি বায়ুকে বাধা দেয় বলে বায়ুর গতিবেগ কম হয় , কিন্তু তারপর গতিবেগ ক্রমশ বাড়তে থাকে ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে কেন শাশুমণ্ডল বলা হয় ?
অথবা , স্ট্যাটোস্ফিয়ারে জেট প্লেন যাতায়াত করে কেন ?
Ans: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন উপাদান , যেমন — বায়ুপ্রবাহ , আর্দ্রতা , মেঘ , ধূলিকণা , কুয়াশা প্রভৃতি থাকে না । ঘনীভবন প্রক্রিয়া কার্যকর নয় বলে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন ঘটনাও এখানে ঘটে না । তাই এই অংশে সর্বদাই শাস্তভাব বিরাজ করে । সর্বদা শাস্তভাব বিরাজ করে বলেই অতি দ্রুতগামী জেট প্লেন কোনোরূপ বাধার সম্মুখীন হয় না , তাই জেট প্লেনগুলি এই স্তরে যাতায়াত করে ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
Ans: স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই স্তরের প্রধান যেখানে উচ্চল উচ্চতা বৈশিষ্ট্য হল উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উন্নতা বৃদ্ধি । টপোপজে যেখানে উয়তা থাকে – ৮০ ° সে . , সেখান থেকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে উদ্ধৃতা বেড়ে হয় প্রায় ৪ ° সে .।
( ii ) স্ট্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বাংশে ওজোন ( O ) গ্যাসের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি বলে এই স্তরকে ওজোনস্তরও ( ২০ – ৫০ কিমি ) বলে । ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি এই স্তরে শোষিত হয় বলেই এই অংশে উন্নতা বাড়ে ।
( iii ) এই স্তরে বায়ুপ্রবাহ , জলীয়বাষ্প , মেঘ প্রভৃতি থাকে না বলে একে শান্তমণ্ডল ’ বলে । দ্রুতগামী জেট প্লেনগুলি এই স্তরেই যাতায়াত করে । তবে অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে শীতকালে মাঝে মাঝে সামান্য মেঘের সঞ্চার ঘটে । একে মৌক্তিক মেঘ বলে ।
- মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
Ans: মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উন্নতা কমতে থাকে । ( ii ) এখানে বায়ুর চাপ খুব কম থাকে । ( iii ) মহাজাগতিক জ্বলন্ত উল্কা এই স্তরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ।। ( iv ) এটি বায়ুস্তরের সর্বশেষ শীতল স্তর । এরপরে উন্নতা আর কমে না , বাড়তে থাকে । প্রশ্ন ৬ আয়নোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । উত্তর আয়নোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল : ( i ) এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উন্নতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে । নীচের দিকে ৮৫–৫০০ কিমি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বাড়ে । ৫০০ কিমি উচ্চতায় উন্নতা হয় ১২০০ ° সেন্টিগ্রেড , একে বলে থার্মোস্ফিয়ার । ৫০০-৭৫০ কিমি উচ্চতায় উন্নতা একইরকম বাড়ে না একে বলে সমতাপ অঞ্চল । ( ii ) প্রখর সূর্যকিরণের জন্য হালকা বায়ু গঠিত এই স্তরের বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের মাত্র ০.৫ শতাংশ আছে । প্রশ্ন ৭ ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো । উত্তর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল ( i ) সূর্য থেকে আগত সৌরবায়ু এই স্তরে আবদ্ধ হয় । যায় , তাকে ম্যাগনেটোপজ ( magnetopause ) বলে । ( iii ) নিরক্ষীয় অঞ্চলের দুটি ম্যাগনেটোপজ বলয়কে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলা হয় ।। ( iv ) এই বায়ুমণ্ডলকে বেষ্টন করে একটি প্রোটন ও ইলেকট্রনের চৌম্বকক্ষেত্র আছে । ( v ) মুক্ত আয়নের মিশ্রিত স্তর এটি । ( vi ) এই বায়ুস্তর গোলীয় আকৃতির হয় ।
- ওজোনস্তরের গুরুত্ব কী ? অথবা , ওজোনস্তর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ?
Ans: বায়ুমণ্ডলের ২০–৩৫ কিমির মধ্যে ওজোনস্তরের অবস্থানের কারণেই সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষিত হচ্ছে । ফলে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর অধিক তাপমাত্রার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে । তাই বিজ্ঞানীদের মতে , ‘ Without O
3 layer bilogical furnace will turn into blast furnace .”
বর্তমানে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( CFC ) হ্যালোন , নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি গ্যাসের প্রভাবে ওজোনস্তর ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে । অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ঠিক ওপরে বায়ুমণ্ডলে ওজোন গহ্বর ( Ozone hole ) সৃষ্টি হয়েছে । ওজোনস্তর ধ্বংসের প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে , মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে ও বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন ঘটছে ।
জেনে রাখো : ওজোন গ্যাসের অস্তিত্বের কথা প্রথম বলেন জার্মান রসায়নবিদ জে . এল . স্লোনবি এবং সংকেতটি ( O
3 ) উদ্ভাবন করেন । জে . এল . সোরেট । ওজোনস্তর সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেন ব্রিটিশ পদার্থ ও আবহবিদ জি . বি . এম . ডবসন । তাঁর নামানুসারে ওজোন ঘনত্ব মাপার একক তুল ডবসন একক ।
- জোনস্তর বিনাশের কারণ কী ?
Anss: বায়ুমণ্ডলে ওজোন ( O ) গঠন ( O₂ + O = 03 ) ও বিনাশ ( 3 O₂ + O ) এক প্রাকৃতিক নিয়ম । পূর্বে দুটি প্রক্রিয়াই সমানহারে কার্যকর হওয়ায় তেমন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি । কিন্তু বর্তমানে গঠনের থেকে ধ্বংসের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে । ওজোনস্তর ধ্বংসের কারণগুলি হল .
( i ) ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ও হ্যালন : রেফ্রিজারেটর , শীততাপ যন্ত্র প্রভৃতি এবং ফোম ও প্লাস্টিক উৎপাদনের সময় নির্গত CFCs WHAT WE P ওজোন গ্যাসকে ধ্বংস করে ।
( ii ) সালফেট কণা : কারখানার চিমনি ও আগ্নেয়গিরি দিয়ে নির্গত সালফেট কণা ওজোনস্তরকে ধ্বংস করছে ।
( iii ) নাইট্রোজেন অক্সাইড : ঊর্ধ্বাকাশে অতিদ্রুতগামী জেট বিমান থেকে নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাধ্যমে ওজোনস্তর ধ্বংস হচ্ছে ।
- ওজোনস্তর ধ্বংসের ফলাফল লেখো ।
Ans: জলবায়ুগত পরিবর্তন বায়ুমণ্ডলে O , ক্ষয় হলে UV Ray শোষণ কমে যাবে সরাসরি ভূপৃষ্ঠে ও পতিত হবে ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়বে । যার অনিবার্য ফলস্বরূপ ঘটবে বিশ্ব উয়ায়ন বা Global Warming যার ফলে যুগান্তসঞ্জিত বরফ গলবে , সমুদ্র জলতলে উত্থান ঘটবে ।
( ii ) বাস্তুতান্ত্রিক প্রভাব : UV Ray- র সঙ্গে তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে যে শক্তি এসে পৌঁছোবে তাতে আবহাওয়ার উয়তা বৃদ্ধি পাবে । জীবজন্তুর জৈবিক আচরণে পরিবর্তন ঘটবে । শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যে তারতম্য ঘটবে । বহু প্রাণী জীবের ধ্বংস হবে । বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে , বাষ্পীভবন বাড়বে । ফলে বাস্তুতান্ত্রিক চক্রগুলি বিঘ্নিত হবে ।
( iii ) মানবশরীরে পরিবর্তন : UV Ray সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোলে মানবশরীরে নানা রোগের প্রবণতা বাড়বে । ত্বকে ক্যানসার , চোখের ছানি , অন্ধত্ব বাড়বে । জীবের বংশগতির ধারায় পরিবর্তন ঘটবে । বন্ধ্যাত্বের প্রবণতা বাড়বে ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayur Storbinas Question and Answer :
1. বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও ।
অথবা , বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলির নাম লিখে দুটি স্তরের ব্যাখ্যা দাও । অথবা , বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তর সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: উন্নতার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলকে প্রধানত ৭ ভাগে ভাগ করা যায় , যথা :
( 1 ) ট্রপোস্ফিয়ার ( Troposphere ) : ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ঊর্ধ্বের বায়ুস্তরকে ঘনমণ্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার বলে । মেরু অঞ্চলে এর উচ্চতা প্রায় ৮ কিমি । বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে আমরা বাস করি । ও এই স্তরের বায়ুতে ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , কুয়াশা , মেঘ প্রভৃতি থাকে । এই জন্য এই স্তরে ঝড় , বৃষ্টি , শিলাবৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায় । বায়ুমণ্ডলের মোট গ্যাসীয় ভরের প্রায় ৭৫ % গ্যাসীয় পদার্থ এই স্তরে থাকায় এখানে বায়ুর ঘনত্ব ও বায়ুচাপ সবচেয়ে বেশি । ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৩ কিমি পর্যন্ত অংশে উন্নতার হ্রাসবৃদ্ধি কিছুই হয় না বলে একে ট্রিপোপজ বলে [ পজ ( Pause ) – এর অর্থ থামা ] । ট্রপোপজের অর্থ হল ‘ স্তব্ধ যে স্তর ‘ । টুপোপজকে ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখাও বলা হয় ।
( ২ ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ( Stratosphere ) : 1. ট্রপোস্ফিয়ার – এর ওপরের ১৮–৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলে । 2. স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ধূলিকণা , মেঘ প্রভৃতি না থাকায় এখানে ঝড় , বৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে । না । 3. স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরে বায়ুপ্রবাহ , মেঘ , ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত দেখা যায় না বলে দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট বিমানগুলি ঝড়বৃষ্টি এড়িয়ে চলার জন্য স্ট্যাটোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে চলাচল করে । জেট বিমানগুলি সাধারণত এই বায়ুস্তরের মধ্য দিয়ে চলার সময় আকাশে সাদা দাগ রেখে যায় । ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০-৫৫ কিমি ঊর্ধ্বে স্ট্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা স্ট্যাটোপজ নামে পরিচিত ।
( ৩ ) মেসোস্ফিয়ার ( Mesosphere ) : স্ট্যাটোপজের ওপর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উন্নতা কমতে থাকে , তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে । ও এই স্তরে বায়ুর তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে ( কমবেশি -৯৩ ° সেলসিয়াস ) ।
৩. মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলো এই স্তরের মধ্যে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় । স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের শেষপ্রান্তে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা মেসোপজ নামে পরিচিত ।
( ৪ ) আয়োনোস্ফিয়ার ( Tonosphere ) : মেসোপজের পর প্রায় ৫০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত এই স্তরের বায়ু আয়নিত অবস্থায় রয়েছে । তড়িৎযুক্ত কণা বা আয়নের উপস্থিতির জন্য এই স্তরকে আয়োনোস্ফিয়ার বলা হয় । মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা এই স্তরেই দেখা যায় । এই স্তরের উপাদানগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে বলে ভূপৃষ্ঠে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গগুলি এই আয়োনোস্ফিয়ারে প্রতিহত হয়ে , আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে , ফলে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বেতার সংযোগ রক্ষা করা যায় ।
( ৫ ) এক্সোস্ফিয়ার ( Exosphere ) : আয়নমণ্ডলের ওপরের দিকে ৬০০–১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হালকা বায়ুস্তরকে বহিঃমণ্ডল বা এক্সোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় । এখানে বায়ুর সব উপাদানই আয়নিত অবস্থায় থাকে । ও এক্সোস্ফিয়ার স্তরটি ধীরে ধীরে মহাশূন্যে মিশে গিয়েছে ।
( ৬ ) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ( Magnetosphere ) বহিঃমণ্ডলের ওপরে ১,৫০০-১০,০০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় বায়ুশূন্য অঞ্চলটিকে চৌম্বকমণ্ডল বা ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে বায়ুমণ্ডলকে বেষ্টন করে একটি প্রোটন ও ইলেকট্রনের চৌম্বকক্ষেত্র আছে ।
2. বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরগুলির ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: ( ১ ) ট্রপোস্ফিয়ার ( Troposphere ) : 1. ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ঊর্ধ্বের বায়ুস্তরকে ঘনমণ্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার বলে । মেরু অঞ্চলে এর উচ্চতা প্রায় ৮ কিমি । বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে আমরা বাস করি । ও এই স্তরের বায়ুতে ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , কুয়াশা , মেঘ প্রভৃতি থাকে । 2. এই জন্য এই স্তরে ঝড় , বৃষ্টি , শিলাবৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায় । বায়ুমণ্ডলের মোট গ্যাসীয় ভরের প্রায় ৭৫ % গ্যাসীয় পদার্থ এই স্তরে থাকায় এখানে বায়ুর ঘনত্ব ও বায়ুচাপ সবচেয়ে বেশি । ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৩ কিমি পর্যন্ত অংশে উষ্ণতার হ্রাসবৃদ্ধি কিছুই হয় না বলে একে টুপোপজ বলে [ পজ ( Pause ) – এর অর্থ থামা ] । ট্রপোপজের অর্থ হল ‘ স্তব্ধ যে স্তর ’ । ট্রপোপজকে ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখাও বলা হয় ।
( ২ ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ( Stratosphere ) : ট্রপোস্ফিয়ার – এর ওপরের ১৮–৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলে ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ধূলিকণা , মেঘ প্রভৃতি না – থাকায় এখানে ঝড় , বৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে না । 1. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে বায়ুপ্রবাহ , মেঘ , ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত দেখা যায় না বলে দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট বিমানগুলি ঝড়বৃষ্টি এড়িয়ে চলার জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে চলাচল করে । জেট বিমানগুলি সাধারণত এই বায়ুস্তরের মধ্য দিয়ে চলার সময় আকাশে সাদা দাগ রেখে যায় । ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০-৫৫ কিমি ঊর্ধ্বে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা স্ট্যাটোপজ নামে পরিচিত ।
(৩) মেসোস্ফিয়ার ( Mesosphere ) : স্ট্র্যাটোপজের ওপর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উন্নতা কমতে থাকে , তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে বায়ুর তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে ( কমবেশি ৯৩ ° সেলসিয়াস ) ।
এ মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলো এই স্তরের মধ্যে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় । 4. স্ট্যাটোস্ফিয়ারের শেষপ্রান্তে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা মেসোপজ নামে পরিচিত ।
3. বায়ুমণ্ডলে ওজোনস্তরের গুরুত্ব , ধ্বংসের কারণ ও ফলাফল লেখো ।
Ans: ওজোনস্তরের গুরুত্ব । এই স্তরে ওজোন গ্যাসের ( O
3 ) একটি স্তর বা পর্দা আছে , যা ভেদ করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ( Ultra Violet Ray ) ও রঞ্জন রশ্মি ( X – ray ) ভূপৃষ্ঠে আসতে পারে না । বায়ুমণ্ডলের ওজোন গ্যাসের স্তর সূর্যের তাপ এবং অতিবেগুনি ও রঞ্জন রশ্মি শোষণ করে নেয় বলে এই স্তরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় । ওজোনোস্ফিয়ার স্তর সূর্য থেকে আসা অত্যন্ত ক্ষতিকারক রশ্মি শোষণ করে নিয়ে পৃথিবীর জীবজগৎকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে ।
ওজোনস্তরের বিনাশের কারণ : ওজোনস্তর বিনাশে প্রকৃতি ও মানুষ উভয়ই দায়ী হলেও মানুষই প্রধান দোষী । বিগত কয়েক দশক ধরে মানুষের অবিবেচনা – প্রসূত কাজের কারণে বাতাসে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( প্রধান ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাস ) , নাইট্রাস অক্সাইড , হ্যালন , মিথেন , মিথাইল ব্রোমাইড প্রভৃতি গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণেই ওজোনস্তরের বিনাশ ঘটছে ।
ওজোনস্তর ধ্বংসের ফলাফল : 1. জলবায়ুগত পরিবর্তন : বায়ুমণ্ডলে O₂ , ক্ষয় হলে UV Ray শোষণ কমে যাবে সরাসরি ভূপৃষ্ঠে ও পতিত হবে ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়বে । যার অনিবার্য ফলস্বরূপ ঘটবে বিশ্ব উয়ায়ন বা Global Warming যার ফলে যুগান্তসঞ্চিত বরফ গলবে , সমুদ্র জলতলে উত্থান ঘটবে । ওজোন বিন্যাসে অ্যাসিড বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে সাথে ধোঁয়াশার প্রবণতা বাড়বে বলে আশঙ্কা ।
- বাস্তুতান্ত্রিক প্রভাব : UV , Ray- র সঙ্গে তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে যে শক্তি এসে পৌঁছোবে তাতে আবহাওয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে । জীবজন্তুর জৈবিক আচরণে পরিবর্তন ঘটবে । শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যে তারতম্য ঘটবে । বহু প্রাণী জীবের ধ্বংস হবে । বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে , বাষ্পীভবন বাড়বে । ফলে বাস্তুতান্ত্রিক চক্রগুলি বিঘ্নিত হবে । জলচক্রে পরিবর্তন ঘটবে । স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোনস্তর হ্রাস পেলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়বে ।
- মানবশরীরে পরিবর্তন : UV Ray সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোলে মানবশরীরে নানা রোগের প্রবণতা বাড়বে । ত্বকে ক্যানসার , চোখের ছানি , অন্ধত্ব বাড়বে । জীবের বংশগতির ধারায় পরিবর্তন ঘটবে । বন্ধ্যাত্বের প্রবণতা বাড়বে । ধোঁয়াশার প্রবণতা বাড়লে মানুষের শ্বাসকষ্ট , ব্রংকাইটিসের প্রবণতা বাড়বে ।
- প্রাণীদের উপর প্রভাব : ওজোনস্তর ধ্বংসে অতিবেগুনি রশ্মির আগমনে প্ল্যাংকটনের মৃত্যুহার বাড়বে , যার প্রভাব পড়বে সামুদ্রিক মাছের উপর , প্রচুর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জীবাণু ধ্বংস হবে । প্রাণীজগতের প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে । প্রাণীজগতের ভারসাম্য বিনষ্ট হবে ।
- উদ্ভিদের উপর প্রভাব : সালোকসংশ্লেষের হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্ভিদজগতের ভারসা্য বিনষ্ট হবে , গাছের পাতা , ফুল , ফল বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে , মৃত্তিকার আর্দ্রতা কমে উদ্ভিদ ধ্বংস হবে ।
=========================================================================================
বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সর্বশেষ সীমাকে কী বলা হয় ?
Answer : মেসোপজ ।
- মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা কোন্ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে দেখা যায় ?
Answer : আয়নোস্ফিয়ার ।
- কোন্ স্তর সূর্য থেকে আগত রঞ্জন রশ্মি ও গামা রশ্মি শোষণ করে ?
Answer : আয়নোস্ফিয়ার ।
- হোমোস্ফিয়ারের অন্তর্গত বায়ুমণ্ডলীয় স্তর কোনগুলি ?
Answer : ট্রপোস্ফিয়ার , স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার ।
- হেটেরোস্ফিয়ারের অন্তর্গত বায়ুমণ্ডলীয় স্তর কী কী ?
Answer : আয়নোস্ফিয়ার , এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ।
- বায়ুমণ্ডলের কোন্ কোন্ স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে উন্নতা কমে যায় ?
Answer : বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে উন্নতা কমে যায় ।
- ট্রপোস্ফিয়ারের সীমানা নির্দেশ করো ।
Answer : ভূপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ১৮ কিমি ও মেরুতে ৮ কিমি ।
- হোমোস্ফিয়ার স্তরের বিস্তার কতটা ?
Answer : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বে প্রায় ৯০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত ।
- হেটেরোস্ফিয়ার স্তরের বিস্তার কতটা ?
Answer : ১০ কিমি থেকে ২০,০০০ কিমি পর্যন্ত ।
- বায়ুমণ্ডলের ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন স্তর কোন্টি ?
Answer : টুপোস্ফিয়ার ।
- ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখাকে কী বলে ?
Answer : ট্রপোপোজ ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অপর নাম কী ?
Answer : শান্তমণ্ডল ।
- ‘ মৌক্তিক মেঘ ‘ কোন্ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে দেখতে পাওয়া যায় ?
Answer : স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ।
- বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তরে উল্কাপিণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায় ?
Answer : মেসোস্ফিয়ার স্তরে ।
- বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বতম স্তর কোন্টি ?
Answer : ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ।
MCQ | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- মেসোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমার তাপমাত্রা প্রায় -(A) ০ ° C (B) -৬৩ ° C (C) – ১৩ ° C(D) ১২০০ ° C
Answer : (C) – ১৩ ° C
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা লক্ষ করা যায় সেটি -(A) ট্রপোস্ফিয়ার (B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার (C) মেসোস্ফিয়ার (D) আয়নোস্ফিয়ার
Answer : (C) মেসোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা লক্ষ করা যায় সেটি হল -(A) আয়নোস্ফিয়ার (B) এক্সোস্ফিয়ার (C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (D) ট্রপোস্ফিয়ার
Answer : (B) এক্সোস্ফিয়ার
- হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় বায়ুমণ্ডলের -(A) ট্রপোস্ফিয়ারে (B) মেসোস্ফিয়ারে (C) এক্সোস্ফিয়ারে(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে
Answer : (C) এক্সোস্ফিয়ারে
- মেরু অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা প্রায় … (A) ৮ কিমি (B) ১৮ কিমি (C) ৫০ কিমি (D) ৮০ কিমি
Answer : (A) ৮ কিমি
- ট্রপোপজ স্তরটি দেখা যায় কোন দুই স্তরের মাঝে ? (A) ট্রপোস্ফিয়ার – স্ট্যাটোস্ফিয়ার(B) সমমণ্ডল – বিষমমণ্ডল(C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার – মেসোস্ফিয়ার(D) মেসোস্ফিয়ার – থার্মোস্ফিয়ার
Answer : (C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার – মেসোস্ফিয়ার
- বজ্রপাত ও ঝড় – বৃষ্টি বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে দেখা যায় সেটি -(A) টপোস্ফিয়ার (B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার (C) মেসোস্ফিয়ার (D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Answer : (B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
- কোন্ স্তরটি শান্তমণ্ডল নামে পরিচিত ? (A) মেসোস্ফিয়ার (B) ট্রপোস্ফিয়ার (C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার (D) থার্মোস্ফিয়ার
Answer : (C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
- আকাশকে নীল দেখায় বায়ুমণ্ডলের -(A) CO₂ – এর উপস্থিতির জন্য(B) O₂ – এর উপস্থিতির জন্য (C) ধূলিকণা – এর উপস্থিতির জন্য(D) জলীয় বাষ্প – এর উপস্থিতির জন্য
Answer : (C) ধূলিকণা – এর উপস্থিতির জন্য
- বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে অবস্থান করে সেটি হল -(A) ট্রপোস্ফিয়ার(B) মেসোস্ফিয়ার(C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (D) আয়নোস্ফিয়ার
Answer : (A) ট্রপোস্ফিয়ার
- হেটেরোস্ফিয়ারের সর্বনিম্ন স্তর হল – (A) হিলিয়াম (B) আণবিক নাইট্রোজেন (C) পারমাণবিক অক্সিজেন(D) হাইড্রোজেন স্তর
Answer : (B) আণবিক নাইট্রোজেন
- বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ স্তর হল -(A) এক্সোস্ফিয়ার(B) আয়নোস্ফিয়ার(C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার(D) মেসোস্ফিয়ার
Answer : C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর হল – (A) ট্রপোস্ফিয়ার (B) মেসোস্ফিয়ার(C) স্ট্যাটোস্ফিয়ার(D) আয়নোস্ফিয়ার
Answer : A) ট্রপোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের ৯০ % জলীয় বাষ্পই ভূপৃষ্ঠ থেকে—(A) ১০ কিমি উচ্চতায়(B) ২০ কিমি উচ্চতায়(C) ৩০ কিমি উচ্চতায়(D) ৫০ কিমি উচ্চতায়
Answer : (A) ১০ কিমি উচ্চতায়
- ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯০-১০,০০০ কিমি পর্যন্ত প্রসারিত স্তরকে বলে— (A) হেমোস্ফিয়ার (B) হেটেরোস্ফিয়ার (C) মেসোস্ফিয ়ার(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Answer : (B) হেটেরোস্ফিয়ার
- ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত প্রসারিত স্তরকে বলে – (A) সমমণ্ডল (B) বিষমমণ্ডল (C) সমতল অঞ্চল(D) শান্তমণ্ডল
Answer : (A) সমমণ্ডল
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে ওজোন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় । সেটি হল -(A) ট্রপোস্ফিয়ার (B) মেসোস্ফিয়ার (C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (D) আয়নোস্ফিয়ার
Answer : (C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের রক্ষাকবচ ‘ বলা হয় যে গ্যাসীয়স্তরকে সেটি হল -(A) ওজোনোস্ফিয়ার(B) আয়নোস্ফিয়ার(C) আয়নোস্ফিয়ার(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Answer : (A) ওজোনোস্ফিয়ার
- ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডলীয় স্তরটির হল— (A) ট্রপোস্ফিয়ার(B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার(C) মেসোস্ফিয়ার(D) থার্মোস্ফিয়ার
Answer : (A) ট্রপোস্ফিয়ার
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের বিস্তার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় – (A) ৮ কিমি উচ্চতায় (B) ১৮ কিমি উচ্চতায় (C) ৫০ কিমি উচ্চতায় (D) ৮০ কিমি উচ্চতায়
Answer : (B) ১৮ কিমি উচ্চতায়
- ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১০০ – ৩৫০০ কিমি উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলে গ্যাসীয় উপাদানের উপস্থিতি দেখা যায় সেটি হল – (A) হাইড্রোজেন (B) হিলিয়াম (C) অক্সিজেন (D) নাইট্রোজেন
Answer : (B) হিলিয়াম
- ওজোন গ্যাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় বায়ুমণ্ডলের – (A) ট্রপোস্ফিয়ারে (B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে(C) থার্মোস্ফিয়ারে (D) মেসোস্ফিয়ারে
Answer : (B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
- ওজোন গ্যাস অক্সিজেনের ক – টি পরমাণু নিয়ে গঠিত ? (A) ১ টি (B) ৩ টি (C) ২ টি (D) ৪ টি
Answer : (B) ৩ টি
- মেরুজ্যোতি সৃষ্টি হয় কোন্ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে ? (A) ওজোনোস্ফিয়ারে (B) আয়নোস্ফিয়ারে(C) মেসোস্ফিয়ারে (D) এক্সোস্ফিয়ারে
Answer : (B) আয়নোস্ফিয়ারে
- বায়ুমণ্ডলীয় ‘ ক্ষুব্বন্তর ‘ নামে পরিচিত স্তরটি হল -(A) ট্রপোস্ফিয়ার (B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (C) এক্সোস্ফিয়ার(D) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
Answer : (A) ট্রপোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরটি ‘ শান্তমণ্ডল ‘ নামে পরিচিত সেটি হল -(A) ট্রপোস্ফিয়ার (B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার(C) মেসোস্ফিয়ার(D) আয়নোস্ফিয়ার
Answer : (C) মেসোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে মহাজাগতিক উল্কা পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেটি হল -(A) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (B) আয়নোস্ফিয়ার (C) মেসোস্ফিয়ার (D) এক্সোস্ফিয়ার
Answer : (C) মেসোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলে যে স্তরে ভূপৃষ্ঠের বেতার তরঙ্গ প্রতিহত হয় সেটি হল— (A) আয়নোস্ফিয়ার (B) এক্সোফিয়ার (C) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার(D) মেসোস্ফিয়ার
Answer : (A) আয়নোস্ফিয়ার
- বায়ুমণ্ডলীয় যে স্তর দিয়ে জেট প্লেন যাতায়াত করে সেটি হল -(A) ট্রপোস্ফিয়ার (B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার(C) আয়নোস্ফিয়ার (D) মেসোস্ফিয়ার
Answer : (B) স্ট্যাটোস্ফিয়ার
- যে সর্বশেষ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উচ্চতা বাড়ার সাথে উন্নতা কমে সেটি হল -(A) টপোস্ফিয়ার (B) মেসোস্ফিয়ার (C) এক্সোস্ফিয়ার(D) থার্মোস্ফিয়ার
Answer : (B) মেসোস্ফিয়ার
- থার্মোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডলীয় স্তরটি কোন স্তরের অন্তর্গত ? (A) স্ট্যাটোস্ফিয়ার(B) মেসোস্ফিয়ার(C) আয়নোস্ফিয়ার(D) এক্সোস্ফিয়ার
Answer : (B) মেসোস্ফিয়ার
- সূর্য থেকে আগত ‘ UV – Ray ‘ যে বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসীয় উপাদান শোষণ করে সেটি হল -(A) অক্সিজেন(B) নাইট্রোজেন(C) হাইড্রোজেন (D) ওজোন গ্যাস
Answer : (D) ওজোন গ্যাস
- ভ্যান অ্যালেন রেডিয়েশন বেল্ট যে উচ্চতায় অবস্থান করে তা হল -(A) ৯০ কিমি (B) ২০০ (C) ৪০০০ কিমি(D) ১০,০০০ কিমি
Answer : (C) ৪০০০ কিমি
- ওজোন গ্যাসের ঘনত্বকে পরিমাপ করা হয় -(A) মিলিবার এককে (B) ডবসন এককে (C) কিলোগ্রাম এককে(D) knot এককে
Answer : (B) ডবসন এককে
- বায়ুমণ্ডলে গড় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ -(A) ০–০.৫ % (B) ০.৫-১.০০ %(C) ১.০০–২.০০ %(D) 0.5-8.0 %
Answer : (D) 0.5-8.0 %
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- ওজোন ( Ozone ) কী ?
Answer : ওজোন ( গ্রিক শব্দ ‘ Ozo ‘ থেকে ‘ Ozone ‘ শব্দের , উৎপত্তি , যার অর্থ ‘ Smell ‘ বা গল্প ) হল হালকা নীলাভ আঁশ গন্ধযুক্ত একটি গ্যাস , যার রাসায়নিক সংকেত O .
- ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় কী ?
Answer : নিরক্ষীয় অঞ্চলের দুটি ম্যাগনেটোপজ বলয়কে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলে ।
- ওজোনস্তর কাকে বলে ?
Answer : স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নাংশে ( ১৫–৩০ কিমি উচ্চতায় ) ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব সর্বাধিক । বায়ুমণ্ডলের এই অংশটি হল ওজোনস্তর ।
- ওজোনস্তরের অবস্থান লেখো ।
Answer : স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নাংশে প্রায় ১৫–৩০ কিমি উচ্চতার মধ্যবর্তী স্থানে ওজোনস্তরের অবস্থান লক্ষ করা যায় । বিশেষ কথা :: ওজোন গ্যাসের অস্তিত্বের কথা প্রথম । বলেন জার্মান রসায়নবিদ সি . এফ . স্কোনবি এবং Oz সংকেতের আবিষ্কারক জে . এল . সোরেত । ওজোন ঘনত্ব মাপার একক ডবসন , স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোনের ঘনত্ব ২০০ ডবসন হলে সেখানে ওজোন হোল সৃষ্টি হয়েছে বলে ধরা হয় ।
- ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাসগুলির নাম লেখো ।
Answer : ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাসগুলি হল ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( CFC ) , হ্যালন , মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড ।
- ওজোন গহ্বর ( Ozone Hole ) কী ?
Answer : যেখানে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোনের ঘনত্ব ২০০ ডবসন ইউনিট – এর কম এবং সেখান দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করে । তা হল ওজোন হোল বা ওজোন গহ্বর । অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে ওজোন গহ্বর তৈরি হয়েছে ।
- সমতাপ অঞ্চল ( Isotherm Zone ) কাকে বলে ?
Answer : ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে প্রায় ৩ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অংশে উন্নতার হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে না । উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও উয়তা ব অপরিবর্তিত থাকে বলেই একে সমতাপ অঞ্চল বলে ।
- স্বাভাবিক উয়তা হ্রাসের বিধি বা ল্যাপস রেট কাকে বলে ?
Answer : টুপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে উয়তা ৬.৪ ° সেলসিয়াস / কিমি হারে হ্রাস পায় । একেই বলে Normal Lapse Rate I
- ট্রপোস্ফিয়ারের নামকরণের কারণ কী ?
Answer : গ্রিক শব্দ ” Tropos’- এর অর্থ ‘ অশাস্ত ‘ এবং ‘ Sphere’ এর অর্থ অঞ্চল । বায়ুমণ্ডলের এই স্তর বায়ুমণ্ডল গঠনকারী উপাদানগুলির প্রভাবে সর্বদা অশান্ত থাকে বলে একে Troposphere নামকরণ করা হয়েছে ।
- ট্রপোপজ ( Tropopause ) কী ?
Answer : ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৩ কিমি পর্যন্ত অংশে উন্নতা একই থাকে— হ্রাস বা বৃদ্ধি কিছুই ঘটে না । একে ট্রপোপজ ( ‘ Pause ’ অর্থ ‘ থামা ’ ) বলে । ট্রপোপজ হল ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখা ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ( Stratosphere ) কাকে বলে ?
Answer : ট্রপোস্ফিয়ার – এর ওপরের ১৮–৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলে ।
- স্ট্যাটোপজ ( Stratopause ) কী ?
Answer : ঊর্ধ্বে ৫০ – ৫৫ কিমি অংশে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা হল স্ট্র্যাটোপজ ।
- মেসোস্ফিয়ার ( Mesosphere ) কাকে বলে ?
Answer : স্ট্যাটোপজের ঊর্ধ্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিমি পর্যন্ত উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উন্নতা কমতে থাকে , তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে ।
- অরোরা বোরিওলিস ও অরোরা অস্ট্রালিস কী ?
Answer : আয়নোস্ফিয়ারে রঞ্জনরশ্মি ও অতিবেগুনি রশ্মির সংঘাতে আয়ন বা তড়িদাহত অণুর সৃষ্টি হয় যা উত্তর মেরুতে মেরুজ্যোতি বা আলোকপ্রভা সৃষ্টি করে একে অরোরা বোরিওলিস বলে । আয়নোস্ফিয়ারে তড়িদাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে মেরুপ্রভার সৃষ্টি হয় তাকে বলে অরোরা অস্ট্রালিস ।
- আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব কী ?
Answer : আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব হল— ( i )
Answer : বৃদ্ধির সাথে উন্নতা দ্রুতহারে বাড়ে এবং থার্মোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে উন্নতা হয় ১২০০ সে . – এর বেশি । ( ii ) বায়ুর ঘনত্ব খুবই কম । ( iii ) অতিবেগুনি ও রঞ্জন রশ্মি এই স্তরে শোষিত হয় । ( iv ) বস্তুকণা আয়নিত আছে বলেই বেতার তরঙ্গ এই স্তর থেকে প্রতিফলিত হয় । ( v ) অরোরা বা মেরুপ্রভা এই স্তরে সৃষ্টি হয় ।
- মৌক্তিক মেঘ কী ?
শীতকালে অ্যান্টার্কটিকা ঊর্ধ্বাংশে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করে বর্ণময় মেঘের সঞ্চার ঘটায় । একেই বলে মৌক্তিক মেঘ ( ‘ nacreous cloud ‘ or ‘ mother of pearl ) |
- নৈশদ্যুতি মেঘ ( Noctilucent cloud ) কী ?
মেসোস্ফিয়ারে সৃষ্ট হালকা মেঘকে নৈশদ্যুতি মেঘ বলে ।
- বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর কোনগুলি ?
Answer : নিম্নস্তরগুলি হল — ট্রপোস্ফিয়ার , উত্তর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- ওজোনস্তরের গুরুত্ব কী ? অথবা , ওজোনস্তর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ?
Answer : বায়ুমণ্ডলের ২০–৩৫ কিমির মধ্যে ওজোনস্তরের অবস্থানের কারণেই সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষিত হচ্ছে । ফলে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর অধিক তাপমাত্রার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে । তাই বিজ্ঞানীদের মতে , ‘ Without O
3 layer bilogical furnace will turn into blast furnace .”
বর্তমানে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( CFC ) হ্যালোন , নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি গ্যাসের প্রভাবে ওজোনস্তর ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে । অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ঠিক ওপরে বায়ুমণ্ডলে ওজোন গহ্বর ( Ozone hole ) সৃষ্টি হয়েছে । ওজোনস্তর ধ্বংসের প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে , মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে ও বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন ঘটছে ।
জেনে রাখো : ওজোন গ্যাসের অস্তিত্বের কথা প্রথম বলেন জার্মান রসায়নবিদ জে . এল . স্লোনবি এবং সংকেতটি ( O
3 ) উদ্ভাবন করেন । জে . এল . সোরেট । ওজোনস্তর সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেন ব্রিটিশ পদার্থ ও আবহবিদ জি . বি . এম . ডবসন । তাঁর নামানুসারে ওজোন ঘনত্ব মাপার একক তুল ডবসন একক ।
- জোনস্তর বিনাশের কারণ কী ?
Anss: বায়ুমণ্ডলে ওজোন ( O ) গঠন ( O₂ + O = 03 ) ও বিনাশ ( 3 O₂ + O ) এক প্রাকৃতিক নিয়ম । পূর্বে দুটি প্রক্রিয়াই সমানহারে কার্যকর হওয়ায় তেমন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি । কিন্তু বর্তমানে গঠনের থেকে ধ্বংসের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে । ওজোনস্তর ধ্বংসের কারণগুলি হল .
( i ) ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ও হ্যালন : রেফ্রিজারেটর , শীততাপ যন্ত্র প্রভৃতি এবং ফোম ও প্লাস্টিক উৎপাদনের সময় নির্গত CFCs WHAT WE P ওজোন গ্যাসকে ধ্বংস করে ।
( ii ) সালফেট কণা : কারখানার চিমনি ও আগ্নেয়গিরি দিয়ে নির্গত সালফেট কণা ওজোনস্তরকে ধ্বংস করছে ।
( iii ) নাইট্রোজেন অক্সাইড : ঊর্ধ্বাকাশে অতিদ্রুতগামী জেট বিমান থেকে নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাধ্যমে ওজোনস্তর ধ্বংস হচ্ছে ।
- ওজোনস্তর ধ্বংসের ফলাফল লেখো ।
Answer : জলবায়ুগত পরিবর্তন বায়ুমণ্ডলে O , ক্ষয় হলে UV Ray শোষণ কমে যাবে সরাসরি ভূপৃষ্ঠে ও পতিত হবে ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়বে । যার অনিবার্য ফলস্বরূপ ঘটবে বিশ্ব উয়ায়ন বা Global Warming যার ফলে যুগান্তসঞ্জিত বরফ গলবে , সমুদ্র জলতলে উত্থান ঘটবে ।
( ii ) বাস্তুতান্ত্রিক প্রভাব : UV Ray- র সঙ্গে তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে যে শক্তি এসে পৌঁছোবে তাতে আবহাওয়ার উয়তা বৃদ্ধি পাবে । জীবজন্তুর জৈবিক আচরণে পরিবর্তন ঘটবে । শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যে তারতম্য ঘটবে । বহু প্রাণী জীবের ধ্বংস হবে । বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে , বাষ্পীভবন বাড়বে । ফলে বাস্তুতান্ত্রিক চক্রগুলি বিঘ্নিত হবে ।
( iii ) মানবশরীরে পরিবর্তন : UV Ray সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোলে মানবশরীরে নানা রোগের প্রবণতা বাড়বে । ত্বকে ক্যানসার , চোখের ছানি , অন্ধত্ব বাড়বে । জীবের বংশগতির ধারায় পরিবর্তন ঘটবে । বন্ধ্যাত্বের প্রবণতা বাড়বে ।
- ট্রপোস্ফিয়ার কেন ক্ষুষ্মমণ্ডল বলা হয় ?
Answer : আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলি অর্থাৎ ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , মেঘ প্রভৃতি ট্রপোস্ফিয়ারেই অবস্থান করে । এগুলির প্রভাবে ট্রপোস্ফিয়ারে ঝড় – ঝঞ্ঝা , কুয়াশা , বৃষ্টি , তুষারপাত প্রভৃতি ঘটে অর্থাৎ ঘনীভবনের প্রক্রিয়া ট্রপোস্ফিয়ারেই কার্যকর । আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলির প্রভাবে ট্রপোস্ফিয়ার সর্বদাই অশাস্ত থাকে বলেই ট্রপোস্ফিয়ারকে ‘ ক্ষুদ্দমন্ডল ‘ বলে ।
- ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?
Answer : ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল 7 ( i ) এই স্তরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতি কিমি উচ্চতায় ৬.৪ সে . হারে উয়তা হ্রাস পায় – একেই নর্ম্যাল ল্যাপরেট বা স্বাভাবিক উন্নতা হ্রাসের বিপি বলে । তবে মেরু অঞ্চলে মেরু অঞ্চল সারাবছর বরফে ঢাকা থাকে বলে কিছুটা উন্নতার বৈপরীত্য ঘটে ।
( ii ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বাংশের উন্নতা থাকে । -৮০ ° সে . এবং মধ্য অক্ষাংশে –৫৮ ° সে .।
( iii ) মোট গ্যাসীয় ভরের ৭৫ শতাংশ রয়েছে এই স্তরে । কেবলমাত্র ট্রপোস্ফিয়ারে জলীয়বাষ্প , ধূলিকণা ও মেঘ রয়েছে বলেই আবহাওয়া ও জলবায়ুর যাবতীয় ঘটনা এই স্তরেই ঘটে । তাই একে ‘ ক্ষুখমণ্ডল বলে ।
( iv ) বায়ুদূষণকারী প্রায় সমস্ত পদার্থই এই স্তরে অবস্থান করে ।
( v ) টুপোস্ফিয়ারে ২ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত ভূপ্রকৃতি বায়ুকে বাধা দেয় বলে বায়ুর গতিবেগ কম হয় , কিন্তু তারপর গতিবেগ ক্রমশ বাড়তে থাকে ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে কেন শাশুমণ্ডল বলা হয় ?
অথবা , স্ট্যাটোস্ফিয়ারে জেট প্লেন যাতায়াত করে কেন ?
Answer : স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন উপাদান , যেমন — বায়ুপ্রবাহ , আর্দ্রতা , মেঘ , ধূলিকণা , কুয়াশা প্রভৃতি থাকে না । ঘনীভবন প্রক্রিয়া কার্যকর নয় বলে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন ঘটনাও এখানে ঘটে না । তাই এই অংশে সর্বদাই শাস্তভাব বিরাজ করে । সর্বদা শাস্তভাব বিরাজ করে বলেই অতি দ্রুতগামী জেট প্লেন কোনোরূপ বাধার সম্মুখীন হয় না , তাই জেট প্লেনগুলি এই স্তরে যাতায়াত করে ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
Answer : স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই স্তরের প্রধান যেখানে উচ্চল উচ্চতা বৈশিষ্ট্য হল উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উন্নতা বৃদ্ধি । টপোপজে যেখানে উয়তা থাকে – ৮০ ° সে . , সেখান থেকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে উদ্ধৃতা বেড়ে হয় প্রায় ৪ ° সে .।
( ii ) স্ট্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বাংশে ওজোন ( O ) গ্যাসের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি বলে এই স্তরকে ওজোনস্তরও ( ২০ – ৫০ কিমি ) বলে । ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি এই স্তরে শোষিত হয় বলেই এই অংশে উন্নতা বাড়ে ।
( iii ) এই স্তরে বায়ুপ্রবাহ , জলীয়বাষ্প , মেঘ প্রভৃতি থাকে না বলে একে শান্তমণ্ডল ’ বলে । দ্রুতগামী জেট প্লেনগুলি এই স্তরেই যাতায়াত করে । তবে অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে শীতকালে মাঝে মাঝে সামান্য মেঘের সঞ্চার ঘটে । একে মৌক্তিক মেঘ বলে ।
- মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
Answer : মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( i ) এই স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উন্নতা কমতে থাকে । ( ii ) এখানে বায়ুর চাপ খুব কম থাকে । ( iii ) মহাজাগতিক জ্বলন্ত উল্কা এই স্তরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ।। ( iv ) এটি বায়ুস্তরের সর্বশেষ শীতল স্তর । এরপরে উন্নতা আর কমে না , বাড়তে থাকে । প্রশ্ন ৬ আয়নোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । উত্তর আয়নোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল : ( i ) এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উন্নতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে । নীচের দিকে ৮৫–৫০০ কিমি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বাড়ে । ৫০০ কিমি উচ্চতায় উন্নতা হয় ১২০০ ° সেন্টিগ্রেড , একে বলে থার্মোস্ফিয়ার । ৫০০-৭৫০ কিমি উচ্চতায় উন্নতা একইরকম বাড়ে না একে বলে সমতাপ অঞ্চল । ( ii ) প্রখর সূর্যকিরণের জন্য হালকা বায়ু গঠিত এই স্তরের বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের মাত্র ০.৫ শতাংশ আছে । প্রশ্ন ৭ ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো । উত্তর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল ( i ) সূর্য থেকে আগত সৌরবায়ু এই স্তরে আবদ্ধ হয় । যায় , তাকে ম্যাগনেটোপজ ( magnetopause ) বলে । ( iii ) নিরক্ষীয় অঞ্চলের দুটি ম্যাগনেটোপজ বলয়কে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলা হয় ।। ( iv ) এই বায়ুমণ্ডলকে বেষ্টন করে একটি প্রোটন ও ইলেকট্রনের চৌম্বকক্ষেত্র আছে । ( v ) মুক্ত আয়নের মিশ্রিত স্তর এটি । ( vi ) এই বায়ুস্তর গোলীয় আকৃতির হয় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুর স্তরবিন্যাস (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
1. বায়ুমণ্ডলে ওজোনস্তরের গুরুত্ব , ধ্বংসের কারণ ও ফলাফল লেখো ।
Answer : ওজোনস্তরের গুরুত্ব । এই স্তরে ওজোন গ্যাসের ( O
3 ) একটি স্তর বা পর্দা আছে , যা ভেদ করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ( Ultra Violet Ray ) ও রঞ্জন রশ্মি ( X – ray ) ভূপৃষ্ঠে আসতে পারে না । বায়ুমণ্ডলের ওজোন গ্যাসের স্তর সূর্যের তাপ এবং অতিবেগুনি ও রঞ্জন রশ্মি শোষণ করে নেয় বলে এই স্তরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় । ওজোনোস্ফিয়ার স্তর সূর্য থেকে আসা অত্যন্ত ক্ষতিকারক রশ্মি শোষণ করে নিয়ে পৃথিবীর জীবজগৎকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে ।
ওজোনস্তরের বিনাশের কারণ : ওজোনস্তর বিনাশে প্রকৃতি ও মানুষ উভয়ই দায়ী হলেও মানুষই প্রধান দোষী । বিগত কয়েক দশক ধরে মানুষের অবিবেচনা – প্রসূত কাজের কারণে বাতাসে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( প্রধান ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাস ) , নাইট্রাস অক্সাইড , হ্যালন , মিথেন , মিথাইল ব্রোমাইড প্রভৃতি গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণেই ওজোনস্তরের বিনাশ ঘটছে ।
ওজোনস্তর ধ্বংসের ফলাফল : 1. জলবায়ুগত পরিবর্তন : বায়ুমণ্ডলে O₂ , ক্ষয় হলে UV Ray শোষণ কমে যাবে সরাসরি ভূপৃষ্ঠে ও পতিত হবে ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়বে । যার অনিবার্য ফলস্বরূপ ঘটবে বিশ্ব উয়ায়ন বা Global Warming যার ফলে যুগান্তসঞ্চিত বরফ গলবে , সমুদ্র জলতলে উত্থান ঘটবে । ওজোন বিন্যাসে অ্যাসিড বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে সাথে ধোঁয়াশার প্রবণতা বাড়বে বলে আশঙ্কা ।
- বাস্তুতান্ত্রিক প্রভাব : UV , Ray- র সঙ্গে তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে যে শক্তি এসে পৌঁছোবে তাতে আবহাওয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে । জীবজন্তুর জৈবিক আচরণে পরিবর্তন ঘটবে । শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যে তারতম্য ঘটবে । বহু প্রাণী জীবের ধ্বংস হবে । বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে , বাষ্পীভবন বাড়বে । ফলে বাস্তুতান্ত্রিক চক্রগুলি বিঘ্নিত হবে । জলচক্রে পরিবর্তন ঘটবে । স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোনস্তর হ্রাস পেলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়বে ।
- মানবশরীরে পরিবর্তন : UV Ray সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোলে মানবশরীরে নানা রোগের প্রবণতা বাড়বে । ত্বকে ক্যানসার , চোখের ছানি , অন্ধত্ব বাড়বে । জীবের বংশগতির ধারায় পরিবর্তন ঘটবে । বন্ধ্যাত্বের প্রবণতা বাড়বে । ধোঁয়াশার প্রবণতা বাড়লে মানুষের শ্বাসকষ্ট , ব্রংকাইটিসের প্রবণতা বাড়বে ।
- প্রাণীদের উপর প্রভাব : ওজোনস্তর ধ্বংসে অতিবেগুনি রশ্মির আগমনে প্ল্যাংকটনের মৃত্যুহার বাড়বে , যার প্রভাব পড়বে সামুদ্রিক মাছের উপর , প্রচুর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জীবাণু ধ্বংস হবে । প্রাণীজগতের প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে । প্রাণীজগতের ভারসাম্য বিনষ্ট হবে ।
- উদ্ভিদের উপর প্রভাব : সালোকসংশ্লেষের হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্ভিদজগতের ভারসা্য বিনষ্ট হবে , গাছের পাতা , ফুল , ফল বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে , মৃত্তিকার আর্দ্রতা কমে উদ্ভিদ ধ্বংস হবে ।
2. বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও ।
অথবা , বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলির নাম লিখে দুটি স্তরের ব্যাখ্যা দাও । অথবা , বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তর সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
Answer : উন্নতার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলকে প্রধানত ৭ ভাগে ভাগ করা যায় , যথা :
( 1 ) ট্রপোস্ফিয়ার ( Troposphere ) : ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ঊর্ধ্বের বায়ুস্তরকে ঘনমণ্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার বলে । মেরু অঞ্চলে এর উচ্চতা প্রায় ৮ কিমি । বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে আমরা বাস করি । ও এই স্তরের বায়ুতে ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , কুয়াশা , মেঘ প্রভৃতি থাকে । এই জন্য এই স্তরে ঝড় , বৃষ্টি , শিলাবৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায় । বায়ুমণ্ডলের মোট গ্যাসীয় ভরের প্রায় ৭৫ % গ্যাসীয় পদার্থ এই স্তরে থাকায় এখানে বায়ুর ঘনত্ব ও বায়ুচাপ সবচেয়ে বেশি । ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৩ কিমি পর্যন্ত অংশে উন্নতার হ্রাসবৃদ্ধি কিছুই হয় না বলে একে ট্রিপোপজ বলে [ পজ ( Pause ) – এর অর্থ থামা ] । ট্রপোপজের অর্থ হল ‘ স্তব্ধ যে স্তর ‘ । টুপোপজকে ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখাও বলা হয় ।
( ২ ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ( Stratosphere ) : 1. ট্রপোস্ফিয়ার – এর ওপরের ১৮–৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলে । 2. স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ধূলিকণা , মেঘ প্রভৃতি না থাকায় এখানে ঝড় , বৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে । না । 3. স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরে বায়ুপ্রবাহ , মেঘ , ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত দেখা যায় না বলে দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট বিমানগুলি ঝড়বৃষ্টি এড়িয়ে চলার জন্য স্ট্যাটোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে চলাচল করে । জেট বিমানগুলি সাধারণত এই বায়ুস্তরের মধ্য দিয়ে চলার সময় আকাশে সাদা দাগ রেখে যায় । ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০-৫৫ কিমি ঊর্ধ্বে স্ট্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা স্ট্যাটোপজ নামে পরিচিত ।
( ৩ ) মেসোস্ফিয়ার ( Mesosphere ) : স্ট্যাটোপজের ওপর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উন্নতা কমতে থাকে , তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে । ও এই স্তরে বায়ুর তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে ( কমবেশি -৯৩ ° সেলসিয়াস ) ।
৩. মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলো এই স্তরের মধ্যে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় । স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের শেষপ্রান্তে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা মেসোপজ নামে পরিচিত ।
( ৪ ) আয়োনোস্ফিয়ার ( Tonosphere ) : মেসোপজের পর প্রায় ৫০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত এই স্তরের বায়ু আয়নিত অবস্থায় রয়েছে । তড়িৎযুক্ত কণা বা আয়নের উপস্থিতির জন্য এই স্তরকে আয়োনোস্ফিয়ার বলা হয় । মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা এই স্তরেই দেখা যায় । এই স্তরের উপাদানগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে বলে ভূপৃষ্ঠে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গগুলি এই আয়োনোস্ফিয়ারে প্রতিহত হয়ে , আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে , ফলে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বেতার সংযোগ রক্ষা করা যায় ।
( ৫ ) এক্সোস্ফিয়ার ( Exosphere ) : আয়নমণ্ডলের ওপরের দিকে ৬০০–১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হালকা বায়ুস্তরকে বহিঃমণ্ডল বা এক্সোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায় । এখানে বায়ুর সব উপাদানই আয়নিত অবস্থায় থাকে । ও এক্সোস্ফিয়ার স্তরটি ধীরে ধীরে মহাশূন্যে মিশে গিয়েছে ।
( ৬ ) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ( Magnetosphere ) বহিঃমণ্ডলের ওপরে ১,৫০০-১০,০০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় বায়ুশূন্য অঞ্চলটিকে চৌম্বকমণ্ডল বা ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে বায়ুমণ্ডলকে বেষ্টন করে একটি প্রোটন ও ইলেকট্রনের চৌম্বকক্ষেত্র আছে ।
3. বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরগুলির ব্যাখ্যা দাও ।
Answer : ( ১ ) ট্রপোস্ফিয়ার ( Troposphere ) : 1. ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ঊর্ধ্বের বায়ুস্তরকে ঘনমণ্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার বলে । মেরু অঞ্চলে এর উচ্চতা প্রায় ৮ কিমি । বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে আমরা বাস করি । ও এই স্তরের বায়ুতে ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , কুয়াশা , মেঘ প্রভৃতি থাকে । 2. এই জন্য এই স্তরে ঝড় , বৃষ্টি , শিলাবৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায় । বায়ুমণ্ডলের মোট গ্যাসীয় ভরের প্রায় ৭৫ % গ্যাসীয় পদার্থ এই স্তরে থাকায় এখানে বায়ুর ঘনত্ব ও বায়ুচাপ সবচেয়ে বেশি । ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৩ কিমি পর্যন্ত অংশে উষ্ণতার হ্রাসবৃদ্ধি কিছুই হয় না বলে একে টুপোপজ বলে [ পজ ( Pause ) – এর অর্থ থামা ] । ট্রপোপজের অর্থ হল ‘ স্তব্ধ যে স্তর ’ । ট্রপোপজকে ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখাও বলা হয় ।
( ২ ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ( Stratosphere ) : ট্রপোস্ফিয়ার – এর ওপরের ১৮–৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলে ।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ধূলিকণা , মেঘ প্রভৃতি না – থাকায় এখানে ঝড় , বৃষ্টি , বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে না । 1. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে বায়ুপ্রবাহ , মেঘ , ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত দেখা যায় না বলে দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট বিমানগুলি ঝড়বৃষ্টি এড়িয়ে চলার জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে চলাচল করে । জেট বিমানগুলি সাধারণত এই বায়ুস্তরের মধ্য দিয়ে চলার সময় আকাশে সাদা দাগ রেখে যায় । ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০-৫৫ কিমি ঊর্ধ্বে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা স্ট্যাটোপজ নামে পরিচিত ।
(৩) মেসোস্ফিয়ার ( Mesosphere ) : স্ট্র্যাটোপজের ওপর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উন্নতা কমতে থাকে , তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে বায়ুর তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে ( কমবেশি ৯৩ ° সেলসিয়াস ) ।
এ মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলো এই স্তরের মধ্যে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় । 4. স্ট্যাটোস্ফিয়ারের শেষপ্রান্তে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা মেসোপজ নামে পরিচিত।
=================================================================================
©kamaleshforeducation.in(2023)