বিড়াল(প্রবন্ধ)– বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    একাদশ শ্রণি প্রথম সেমিস্টার

MCQ প্রশ্ন উত্তর  

   JUNE

 ====================================================================================

উচ্চমাধ্যমিক নতুন সেমিস্টার সিস্টেমে প্রথম সেমিস্টারে বাংলা প্রথম ভাষার প্রবন্ধ হিসেবে রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিড়াল‘ প্রবন্ধটি, সহজভাবে আলোচনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর   নিয়ে আজকের এই বিশেষ ক্লাস।

 

বোর্ড: বিষয়বস্তু

=========================================================================================

1 বিড়াল – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | একাদশ প্রথম সেমিস্টার

2 বিড়াল প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর MCQ / SAQ প্রশ্ন উত্তর (প্রশ্নমান : ১)

3 বিড়াল গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর // ক্লাস 11 বাংলা প্রথম সেমেস্টার

বিড়াল – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | একাদশ প্রথম সেমিস্টার

============================================================================================

ভূমিকা – বঙ্কিমচন্দ্রের বিড়াল’ প্রবন্ধটি কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থের ১৩ নম্বর প্রবন্ধ এই বিড়াল প্রবন্ধটি প্রথম ১২৮১ সালে চৈত্র মাসে বঙ্গদর্শন পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়।  এই রম্যরচনায় এক বিড়ালের মুখে সমাজের দরিদ্র ও বঞ্চিতদের কথা বলা হয়েছে। লেখক ধনী ও দরিদ্রের মধ্যেকার বৈষম্য ও সমাজের ন্যায়বিচারের প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। এই গল্পে বিড়ালের মুখে মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা ও অধিকারের দাবি উঠে আসে।

বিড়াল প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর MCQ / SAQ প্রশ্ন উত্তর (প্রশ্নমান : ১)

====================================================================================

1. বিড়াল প্রবন্ধটির মূল গ্রন্থের নাম কি?
✅ উত্তর: কমলাকান্তের দপ্তর

2. বিড়াল প্রবন্ধটি মূল গ্রন্থের কত নম্বর প্রবন্ধ?
উত্তর: কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থের ১৩ নম্বর

3. বিড়াল প্রথম কবে, কোন পত্রিকায় প্রকাশ পায়?
উত্তর: ১২৮১ সালে চৈত্র মাসে, বঙ্গদর্শন পত্রিকায়

4. কমলাকান্তের দপ্তর কোন রচনার দ্বারা প্রভাবিত?
উত্তর: থমাস ডি কুইন্সির ‘কনফেশন্স অফ অ্যান ইংলিশ ওপিয়াম ইটার’

5. কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থটিতে কোন তত্ত্বটি পরিস্ফুটিত হয়েছে?
উত্তর: সাম্যবাদী তত্ত্ব

6. বিড়াল প্রবন্ধটির বক্তা কে?
উত্তর: শ্রী কমলাকান্ত চক্রবর্তী

7. বিড়াল প্রবন্ধে কোন ইংরেজি সাহিত্যিকের কোন গল্পের সাথে মিল রয়েছে?
উত্তর: লেহ্ হান্টের ‘অ্যা ক্যাট বাই দ্য ফায়ার’

8. কমলাকান্ত কোথায় বসে ঝিমোচ্ছিল?
✅ উত্তর: স্বয়ং গৃহে চারপায়ীর উপর বসে

9. কমলাকান্ত কি হাতে নিয়েছিল?
উত্তর: হুঁকা

10. দেওয়ালের উপর চঞ্চল ছায়াটি কেমন করে নাচছে?
উত্তর: প্রেতবৎ

11. কমলাকান্ত হুঁকা হাতে কেন?
উত্তর: আহার প্রস্তুত হয়নি

12. কমলাকান্ত কিভাবে, কি ভাবছিল?
✅ উত্তর: নিমীলিতলোচনে ভাবছিলেন যে তিনি যদি নেপোলিয়ান হতেন

13. কমলাকান্ত যদি নেপোলিয়ান হত তবে কোন যুদ্ধ সে জিততে পারতো?
উত্তর: ওয়াটারলুর যুদ্ধ

14. বিড়াল প্রবন্ধে নেপোলিয়ান কে?
উত্তর: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

15. ওয়াটারলুর যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
✅ উত্তর: ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, ডিউক অফ ওয়েলিংটন এবং গেবহার্ড ভন ব্লুচারের মধ্যে

16. ওয়েলিংটন বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ডিউক অফ ওয়েলিংটন – আর্থার ওয়েলেসলি

17. কমলাকান্তের কল্পনায় ওয়েলিংটন কি প্রাপ্ত হয়েছিল?
উত্তর: বিড়ালত্ব

18. ওয়েলিংটন কমলাকান্তের নিকট কি করতে এসেছিলেন বলে তার মনে হয়?
উত্তর: আফিং ভিক্ষা করতে

19. প্রথমে কমলাকান্তের কি মনে হয়েছিল?
উত্তর: ওয়েলিংটন বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হয়ে আফিং ভিক্ষা করতে এসেছে

20. প্রথম উদ্যমে পাষাণবৎ কঠিন হয়ে কমলাকান্ত কী বলবে বলে মনস্থির করেছিল?
উত্তর: ডিউক মহাশয়কে ইতিপূর্বে যথোচিত পুরস্কার দেয়া গিয়াছে, এক্ষণে আর অতিরিক্ত পুরস্কার দেয়া যাইতে পারে না। বিশেষ অপরিমিত লোভ ভালো নহে।

21. ডিউক কি বলল?
উত্তর: মেও

22. কমলাকান্ত চোখ মেলে ভালো করে চেয়ে কি দেখল?
✅ উত্তর: ওয়েলিংটন নয়, কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধ একটি বিড়াল নিঃশেষ করে উদরসাৎ করেছে।

23. কমলাকান্ত কেন অত কিছু দেখতে পায়নি?
✅ উত্তর: কারণ সে তখন কল্পনায় ওয়াটারলুর মাঠে ব্যুহ-রচনায় ব্যস্ত

24. বিড়াল কেন অতি সুধীর স্বরে “মেও।” বলেছিল?
উত্তর: নির্জ্জল দুগ্ধপানে পরিতৃপ্ত হয়ে।

25. মার্জার মনে মনে হেসে, কমলাকান্তের দিকে চেয়ে ভাবছিল যে–
উত্তর: কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই।

26. “তোমার দুধ ত খাইয়া বসিয়া আছি– এখন বল কী?” – কার মনের ভাব ফুটে উঠেছে?
উত্তর: বিড়ালের

27. “দুধ আমার বাপেরও নয়।” – তাহলে দুধ কার?
উত্তর: মঙ্গলার

28. দুধ কে দুহিয়েছে?
উত্তর: প্রসন্ন

29. কমলাকান্ত রাগ করিতে পারে না কেন?
✅ উত্তর: দুধে কমলাকান্তের যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই অধিকার।

30. চিরাগত প্রথাটি কি?
উত্তর: বিড়াল দুধ খেলে তাকে মেরে তাড়িয়ে দিতে হয়।

31. চিরাগত প্রথার অবমাননা করলে কমলাকান্ত—
উত্তর: মনুষ্য কূলে কুলাঙ্গার স্বরূপ পরিচিত হবে।

32. কমলাকান্তের কাছে কোনটি বাঞ্ছনীয় নয়?
✅ উত্তর: চিরাগত প্রথার অবমাননা করে, মনুষ্য কূলে কুলাঙ্গার স্বরূপ পরিচিত হওয়া।

33.“কি জানি এই মার্জারী যদি স্বজাতি মন্ডলে কমলাকান্তকে কাপুরুষ বলিয়া  উপহাস করে?” – অতএব কমলাকান্তের কি করণীয়?
উত্তর: পুরুষের ন্যায় আচরণ করায় বিধেয়।

34. “অতএব, পুরুষের ন্যায় আচরণ করায় বিধেয়” – কেন?
উত্তর: নতুবা বিড়াল তার স্বজাতিমন্ডলে কমলাকান্তকে কাপুরুষ বলে পরিহাস করবে।

35. অনেক অনুসন্ধানে কমলাকান্ত কি আবিষ্কার করেছিল?
✅ উত্তর: একটি ভগ্ন যষ্টি।

36. একটি ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কার করে কমলাকান্ত কী করলেন?
উত্তর: সগর্বে বিড়ালটির দিকে ধাবমান হলেন।

37. মার্জারী কমলাকান্তকে চিনিত; তাই–
✅ উত্তর: সে যষ্টি দেখিয়া বিশেষ ভীত হওয়ার কোন লক্ষণ প্রকাশ করিল না।

38. মার্জারী ভীত না হয়ে কি করেছিল?
✅ উত্তর: কমলাকান্তের মুখপানে চাহিয়া হাই তুলিয়া, একটু সরিয়া বসিল।

39. বিড়ালের প্রশ্ন বুঝতে পেরে কমলাকান্ত কি করল?
উত্তর: যষ্টি ত্যাগ করিয়া পুনরপি শয্যায় আসিয়া হুঁকা লইলেন।

40. কমলাকান্ত কি প্রাপ্ত হওয়ার কারণে বিড়ালের বক্তব্য সকল বুঝতে পারলেন?
উত্তর: দিব্যকর্ণ।

বিড়াল গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর // ক্লাস 11 বাংলা প্রথম সেমেস্টার

 

আসলে  পরীক্ষাতে চারটি করে অপশন দিয়ে মাল্টিপেল চয়েস হিসেবে দেওয়া থাকবে কিন্তু   সুবিধার জন্য সরাসরি প্রশ্ন উত্তর হিসেবে দেওয়া থাকল, যাতে   মূল প্রশ্ন এবং মূল উত্তরটা ভালোভাবে প্র্যাকটিস করে গেলে যাই প্রশ্ন আসুক   ছাত্রছাত্রীরা করে আসতে পারবে।

 

41. বিড়াল কমলাকান্তকে কি বিচার করে দেখতে বলেছিল?
✅ উত্তর: মনুষ্য ও বিড়ালের পার্থক্য।

42. “আমরা কিছু পাইব না কেন?” ‐ বিড়াল এখানে কি না পাওয়ার কথা বলেছে?
✅ উত্তর: ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস।

43. “আমাদের আপত্তি নাই” – বিড়াল জাতির কিসে আপত্তি নাই?
✅ উত্তরমনুষ্যের খাওয়াতে।

44. “তাহা আমি বহু অনুসন্ধানে পাইলাম না” – মনুষ্যের কোন কার্যের কারণ বিড়াল খুঁজে পায়নি?
✅ উত্তরবিড়ালরা খেলেই, মনুষ্যরা কোন শাস্ত্রানুসারে লাঠি নিয়ে তাদের মারতে আসে তা।

45. “তোমরা আমার কাছে কিছু উপদেশ গ্রহণ করো” – কোন উপদেশ?
✅ উত্তরবিজ্ঞ চতুষ্পদ তথা বিড়ালের কাছে শিক্ষালাভ ছাড়া মানুষের জ্ঞানোন্নতির আর কোনো উপায়ান্তর নেই।

46. বিড়ালের মতে ধর্ম কি?
✅ উত্তরপরোপকারই পরম ধর্ম।

47. “অতএব তুমি সেই পরম ধর্মের ফলভোগী” – বিড়াল কেন এ কথা বলেছে?
 উত্তরকমলাকান্তের আহারিত দুগ্ধে বিড়ালের উপকার সাধিত হল বলে।

48. “দেখ, আমি চোর বটে” – বিড়াল কেন চোর হয়েছে?
 উত্তরসাধ করে নয়, খেতে পায়নি বলে।

49. কারা চোর অপেক্ষাও অধার্মিক?
 উত্তরবড় বড় সাধু, যারা চোরের নামে শিউরে ওঠে

50.“যাঁহারা বড় বড় সাধু, চোরের নামে শিহরিয়া উঠেন, তাহারা অনেকে চোর  অপেক্ষাও অধার্মিক।” –এরূপ বলার কারণ কি?
 উত্তরসাধুদের প্রয়োজনের বেশি ধন থাকলেও তারা চোরকে তা দান করে না, তাই চোরেরা চুরিতে বাধ্য হয়

51. কারা চোরের চেয়েও শতগুনে দোষী?
✅ উত্তর: কৃপণ ধনী ব্যক্তিরা।

52. “চোরের দন্ড হয়” – কাদের দণ্ড হয় না?
✅ উত্তর: চুরির মূলে যে কৃপণ তাদের।

53. “তথাপি আমাকে ডাকিয়া দেয় না” – কি না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
✅ উত্তর: মাছের কাঁটা, পাতের ভাত।

54. “আমার পেটের ক্ষুধা কী প্রকারে জানিবে!” – অভুক্ত বিড়ালের পেটের ক্ষুধা আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় কেন?
✅ উত্তর: আমাদের পেট ভরা।

55. “তোমাদের কি কিছু অগৌরব আছে?” – কীসে অগৌরব থাকার কথা নয়?
✅ উত্তর: দরিদ্রদের জন্য ব্যথিত হওয়ায়।

56. “লজ্জার কথা সন্দেহ নাই” – কোন কথাটিকে বিড়াল লজ্জার কথা বলে সন্দেহ করেছে?
✅ উত্তর: তাদের মতো দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়াকে।

57. একটা বড় রাজা ফাঁপরে পড়লে কে রাত্রে ঘুমায় না?
উত্তর: যে কখনও অন্ধকে মুষ্টি ভিক্ষা দেয় না।

58. সকলেই পরের ব্যথায় ব্যথিত হতে রাজি তবে সকলেই কি করতে রাজি নয়?
✅ উত্তর: ছোটলোকের দুঃখে কাতর হতে।

59. “তবে তুমি কি তাঁহাকে ঠেঙ্গা লইয়া মারিতে আসবে?” – কাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
✅ উত্তর: শিরোমনি ও ন্যায়ালঙ্কার।

60. শিরোমনি – ন্যায়ালঙ্কার, দুধ খেয়ে গেলে কমলাকান্ত কী করত?
✅ উত্তর: তাদের সামনে জোর হাত করে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করতো আর একটু দুধ এনে দেবে কিনা।

61. মনুষ্য জাতির রোগ হল–
উত্তর: তেল মাথায় তেল দেওয়া।

62. মনুষ্যজাতি তার জন্য ভোজের আয়োজন করে যে–
✅ উত্তর: খেতে বললে বিরক্ত হয়।

63. অতএব আমাকে ______ না করিয়া আমার ______ কর
✅ উত্তর: প্রহার, প্রশংসা।

64. চোর দোষী বটে, কিন্তু ____ তদাপেক্ষা শতগুনে দোষী
উত্তর: কৃপণ ধনী

65. শিরোমণি, ন্যায়ালঙ্কার-রা অতি ______, বড় ____ লোক
✅ উত্তর: পন্ডিত, মান্য।

66. মনুষ্য জাতি চোর বলে কাদের দন্ড দেয়?
উত্তর: যারা খিদের জ্বালায় অন্যের অন্ন খেয়ে ফেলে।

67. “তবেই তাহার পুষ্টি” – কাদের, কিসে পুষ্টি?
✅ উত্তর: গৃহমার্জারদের, বৃদ্ধের নিকট যুবতী ভার্যার সহোদর, বা মূর্খ ধনীর কাছে সতরঞ্জ খেলোয়াড়ের স্থানীয় হইয়া থাকিতে পারিলেই তাহার পুষ্টি।

68. সতরঞ্জ বলতে কোন খেলাকে বোঝানো হয়েছে?
✅ উত্তর: দাবা খেলা।

69. “অনেক মার্জার কবি হইয়া পড়ে।” – কেন?
✅ উত্তর: গৃহমার্জাদের লেজ ফোলা, গায়ে লোম হওয়া, এবং রূপের ছটা দেখিয়া।

70. “নহিলে চুরি করিব।” – কি না করলে বিড়াল চুরি করবে?
✅ উত্তর: এ পৃথিবীতে তাদের অধিকারের কিছু মৎস্য – মাংস তাদের খেতে দেওয়া না হলে।

71. “আর আমাদিগের দশা দেখ” – বিড়ালদিগের দশা কীরূপ?
✅ উত্তর: আহারাভাবে উদর কৃশ, অস্থি পরিদৃশ্যমান, লাঙ্গুল বিনত, দাঁত বাহির হইয়াছে- জিহ্বা ঝুলিয়া পড়িয়াছে।

72. “তোমাদিগের কি দুঃখ হয় না?” – কি দেখে বা শুনে মনুষ্য জাতির দুঃখ না হওয়ার কথা বিড়াল বলেছে?
✅ উত্তর: তাদের কৃষ্ণ চর্ম, শুষ্ক মুখ দেখে ও ক্ষীণ সকরুণ মেও মেও শুনিয়া।

73. ধনীর কার্পণ্যের দণ্ড নাই কেন? – কীসে দন্ড আছে?
উত্তর: দরিদ্রের আহার সংগ্রহে।

74. কমলাকান্ত দূরদর্শী কেন?
✅ উত্তর: কারণ সে আফিংখোর।

75. “তুমিও কি দেখিতে পাওনা যে” – কি না দেখতে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ধনীর দোষেই দরিদ্রের চোর হওয়া।

76. “….যদি করিল” – কি করার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: পাঁচশত দরিদ্রকে বঞ্চিত করে তাদের আহার্য একজনেরই দ্বারা সংগ্রহ করা।

77. “তাহা দরিদ্রকে দিবে না কেন?” – কি না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ধনীর খাওয়ার পর যা পড়ে থাকে তা দরিদ্রকে না দেওয়া।

78. “তবে দরিদ্র অবশ্য তাহার নিকট হইতে চুরি করিবে” – কেন?
উত্তর: এ পৃথিবীতে কেউই অনাহারে মরার জন্য আসেনি

79. “তোমার কথাগুলি ভারি ….” – মার্জারের কথাগুলি কেমন?
✅ উত্তর: সোশিয়ালিস্টিক।

80. মার্জারের কথাগুলি কিসের মূল?
উত্তর: সমাজ বিশৃঙ্খলার।

81. “তবে কেহ আর ধনসঞ্চয়ে যত্ন করিবে না।” – কেন এরূপ হবে? এবং এতে কি হবে?
✅ উত্তর: কোন ব্যক্তি ক্ষমতা মাফিক ধনসঞ্চয় ও নির্বিঘ্নে ধন ভোগ করতে পারবে না। এর ফলে সমাজের ধনবৃদ্ধি পাবে না।

82. সোশিয়ালিস্টিক কারা?
উত্তর: সমাজতান্ত্রিকরা

83. সমাজের ধনবৃদ্ধির প্রকৃত অর্থ কি?
উত্তর: ধনীর ধনবৃদ্ধি।

84. “আমি বুঝাইয়া বলিলাম যে” – কমলাকান্ত, মার্জারকে কী বুঝিয়ে বলেছিল?
উত্তর: সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতিত সমাজের উন্নতি নাই।

85. কস্মিনকালে, কাদেরকে কেউ কিছু বোঝাতে পারে না?
উত্তর: বিচারক বা নৈয়ায়িকদের।

86. নৈয়ায়িক কাদের বলা হয়?
উত্তর: ন্যায়শাস্ত্রে জ্ঞান আছে এমন ব্যক্তিকে।

87. “সুতরাং না বুঝার পক্ষে ইহার অধিকার আছে।” – এর কারণ কী?
✅ উত্তর: ওই মার্জার সুবিচারক এবং সুতার্কিক।

88. “সমাজের উন্নতিতে দরিদ্রের প্রয়োজন না থাকলে না থাকিতে পারে” – কিন্তু কাদের বিশেষ প্রয়োজন আছে?
উত্তর: ধনীদিগের।

89. “অতএব চোরের দণ্ডবিধান কর্তব্য।” – কমলাকান্তের এমন বিবেচনার কারণ কি?
উত্তর: সমাজের উন্নতিতে দরিদ্রের প্রয়োজন না থাকলেও ধনীর বিশেষ প্রয়োজন আছে।

90. চোরকে ফাঁসি দেওয়ার সঙ্গে আর কোন নিয়মটি চালু করার প্রস্তাব বিড়াল দিয়েছিল?
উত্তর: চোরকে ফাঁসি দেওয়ার আগে যে বিচারক তাকে সাজা দিবেন, তাকে আগে তিন দিন উপবাস করানোর প্রস্তাব।

91. “তবে তিনি চোরকে স্বচ্ছন্দে ফাঁসি দিবেন।” – কখন এরূপ সম্ভব হবে?
উত্তর: তিন দিন উপবাস করা বিচারকের চুরি করে খাওয়ার ইচ্ছা না করলে।

92. বিড়াল কমলাকান্তকে কত দিবস উপবাস করতে বলেছে?
উত্তর: তিন দিবস।

93. কমলাকান্ত উপবাস করিলে কোথায় ধরা পড়বে?
উত্তর: নসীরাম বাবুর ভান্ডারঘরে।

94. বিজ্ঞ লোকের মতো এই যে–
উত্তর: যখন বিচারে পরাস্ত হইবে, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে।

95. বিড়ালের সকল দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ করে কি করা উচিত?
উত্তর: ধর্মাচরণে মন দেওয়া।

96. কমলাকান্ত বিড়ালকে কোন গ্রন্থ গুলি পাঠের জন্য দিতে চেয়েছিল?
উত্তর: নিউমারন ও পার্কারের গ্রন্থ।

97. নিউমান ও পার্কারের গ্রন্থ ছাড়াও কোন গ্রন্থটি পড়লে উপকার হতে পারে?
উত্তর: কমলাকান্তের দপ্তর।

98. কমলাকান্তের দপ্তর পড়লে কি উপকার হবে?
 উত্তর: আফিং-এর অসীম মহিমা বুঝতে পারা যাবে।

99. প্রসন্ন কি দেবে বলেছে?
উত্তর: ছানা।

100. কমলাকান্ত বিড়ালকে কখন, কেন আসতে বলেন?
উত্তর: জলযোগের সময়, প্রসন্ন-র আনা থানা উভয়ে ভাগ করে খাবে বলে।

101. বিড়ালকে কি না খাওয়ার উপদেশ কমলাকান্ত দিয়েছিল?
উত্তর: কাহারও হাঁড়ি।

102. মার্জারটি ক্ষুধায় নিতান্ত অধীরা হলে কমলাকান্ত তাকে কি দেবে বলেছিল?
উত্তর: এক সরিষাভোর আফিঙ্গ।

103. “সরিষা ভোর” কথাটির অর্থ কি?
উত্তর: একটি সরিষার সমান ক্ষুদ্র মাপের।

104. মার্জারের কাছে কোন জিনিসটির বিশেষ প্রয়োজন নেই?
উত্তর: আফিঙ্গ।

105. বিড়ালটি কোন কথাটি বিবেচনা করে দেখবে?
উত্তর: হাঁড়ি খাওয়ার কথা।

106. হাঁড়ি খাওয়ার কথাটি বিড়াল কীভাবে বিবেচনা করে দেখবে বলেছিল?
উত্তর: ক্ষুধানুসারে।

107. “কমলাকান্তের বড় আনন্দ হইল!” – এর কারণ কি?
✅ উত্তর: মার্জারের ন্যায় পতিত আত্মাকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনতে পেরে।

108. পতিত আত্মা বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সমাজে পথভ্রষ্ট, অবনত ব্যক্তিদের তথা মার্জারদের।

109. বিবৃতি: বিড়াল  লাঠি  দেখেও  বিশেষ  ভীত  হওয়ার  কোনো  লক্ষণ  প্রকাশ  করল না
👉 কারণ : বিড়ালটি কমলাকান্তকে আগে থেকেই চিনত।

110. বিবৃতি : কমলাকান্ত মার্জারের বক্তব্য সকল বুঝতে পারল
👉 কারণ : কমলাকান্ত দিবাকর্ণপ্রাপ্ত হল।

111. বিবৃতি : বিড়াল কমলাকান্তের ধর্মসংন্যাসের মূলীভূত কারণ
👉 কারণ : কমলাকান্তের আহরিত দুধে পরোপকার সিঞ্চিত হয়েছে।

112. বিবৃতি: গৃহমার্জারের  লেজ ফুলে,  গায়ে লোম  হয় এবং  তাদের রূপের  ছটা দেখে, অনেক মার্জার কবি হয়ে পড়ে
👉 কারণ : তারা বৃদ্ধের নিকট যুবতী ভার্যার সহোদর বা মূর্খ ধনীর কাছে সতরঞ্চ খেলোয়াড়ের স্থানীয় হইয়া থাকিতে পারিল তবেই তাহার পুষ্টি।

113. বিবৃতি : কেহ আর ধনসঞ্চয়ে যত্ন করিবে না
👉 কারণ : যে, যার ক্ষমতানুযায়ী ধনসঞ্চয় ও তা নির্বিঘ্নে ভোগ না করতে পারলে।

114. বিবৃতি : বিজ্ঞ লোক গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে
👉 কারণ : বিজ্ঞ লোক বিচারে পরাস্ত হলে।

115. বিবৃতি : কমলাকান্তের বড় আনন্দ হইল
👉 কারণ : একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হতে আলোর দিকে নিয়ে যেতে পেরে।

বিড়াল – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | একাদশ শ্রেণির বাংলা

       বিড়াল প্রবন্ধটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ

SOURCE-EDUTIPS

©kamaleshforeducation.in(2023)

error: Content is protected !!