বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী

 

 

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী – Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali

কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী – Kazi Nazrul Islam Biography In Bengali : বিখ্যাত দুখের কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী। কাজী নজরুল ইসলাম কবিতার বিশাল তালিকা নীচে দেওয়া হল। A short biography of the famous dukher poet Kazi Nazrul Islam. A huge list of Kazi Nazrul Islam Birth, Place, Poems, Biography in Bengali are given below.

কাজী নজরুল ইসলাম কে ছিলেন? (Who is Kazi Nazrul Islam)

বাংলা সাহিত্যের এক বিষ্ময় প্রতিভার নাম কাজী নজরুল ইসলাম। কবিতা, নাটক ও উপনাস্যের মতো সাহিত্যের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তাঁর ছিলো অবাধ বিচরণ | নিজেই লিখতেন গান, দিতেন সেইসব গানের সুর এবং সেইসাথে গাইতেন গানও। এছাড়াও পাশাপাশি সাংবাদিক হিসাবে ধরেছিলেন পেন এবং করেছিলেন নানা আন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য।

ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থানের কারণের জন্য কাজী নজরুল ইসলামকে “বিদ্রোহী কবি” হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী –  Kazi Nazrul Islam Short Biography in Bengali

নাম (Name) কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)
জন্ম (Birthday) ২৪শে মে ১৮৯৮ (বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ ই জ্যৈষ্ঠ), বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে (24th May 1898, Churulia village, Burdwan district)
অভিভাবক (Guardian) / পিতা ও মাতা কাজী ফকির আহমেদ (বাবা)জাহেদা খাতুন (মা)
ছদ্দনাম (Pseudonym) দুখু মিয়া (Dukhu Mia)
দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse) প্রমিলা দেবীনার্গিস আসার খানম
পেশা (Career) কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকর ও সম্পাদক
উল্লেখযোগ্য কর্ম নজরুলগীতি, অগ্নিবীণা, বাঁধন হারা, বিষের বাঁশি প্রভৃতি
মৃত্যু (Death) ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (29th August, 1976)
মৃত্যুস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম (Kazi Nazrul Islam’s Birthday) :

 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে মে , বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ ই জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

কাজী নজরুল ইসলামের পিতা ও মাতা (Kazi Nazrul Islam’s Father and Mother) :

কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ , মায়ের নাম জাহেদা খাতুন । নজরুল বড় আরাে তিন ভাই ছিলাে , কিন্তু তারা জন্মের কিছুদিন পর – পরই মারা যায় ।

কাজী নজরুল ইসলামের নাম দুখু মিয়া কেন?

নজরুল বড় আরাে তিন ভাই ছিলাে , কিন্তু তারা জন্মের কিছুদিন পর – পরই মারা যায় । সন্তান হওয়ার পর – পরইঅন্যান্য ছেলেরা মারা যাওয়ায় নজরুলের দাদি তার নাম রেখেছিলাে দুখু মিয়া । এই দুখু মিয়াই একদিন মহীরূহ মহাকবিতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন । রবীন্দ্রনাথের পর তার মতাে বড় কবি বঙ্গদেশে আর জন্মগ্রহণ করেন নি ।

কাজী নজরুল ইসলামের শৈশব (Kazi Nazrul Islam’s Childhood) :

 কাজী নজরুল ইসলামের শৈশব কেটেছে নানা দুঃখ – কষ্টের মধ্যে । তার পিতা ছিলেন একমাজারের খাদেম এবং এক মসজিদের ইমাম । নজরুলের বয়স যখন দশ বছর তখন তার বাবা মারা যান । ছােট তিন ভাই ও দুই বােন ও বিধবা মায়ের সংসারের সকল বােঝা এসে পড়ে তার কাধে । এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে তাকে হিমসিম খেয়ে উঠতে হয়েছিলাে ।

 ছােটবেলায় নজরুল এক মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরু করেন । তিনি সুললিত কন্ঠে কোরআন তেলওয়াত করতে পারতেন । এ সময় দুষ্টুমির পাশাপাশি নজরুল তার আপন কাকার কাছে ফার্সি ভাষা ও সাহিত্যেরও নানা পাঠ নিতে থাকেন।

কাজী নজরুল ইসলামের শিক্ষাজীবন (Education of Kazi Nazrul Islam) :

 কাজী নজরুল ইসলাম তার ছেলেবেলায় বরাবরই ছিলেন অস্থিরচিত্তের মানুষ । তিনি বাবার মৃত্যুর পর মাদ্রাসায় পড়া বন্ধ করে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন এবং মাত্র দু’বছরের মধ্যে নিম্ন প্রাথমিক পরীক্ষা বেশ ভালােভাবেই পাস করে ফেলেন । এগারাে – বারাে বছর বয়সে স্কুলের বাঁধাধরা পড়া ছেড়ে গ্রাম্য এক লেটোর দলে যােগদান করেন । এই লেটোর দলের জন্যে ঐ বয়সেই তিনি চাষার সং , রাজপূত , মেঘনাদবধ ইত্যাদি কয়েকটা পালাগান লিখলেন এবং সুর দিলেন । বয়স কৈশােরে পৌঁছাতেই তিনি লেটোর দলের সর্দার হয়ে গেলেন ।

 আস্তে আস্তে কাজী নজরুল ইসলাম মুখে – মুখে ছড়াগান ও কবিতা রচনায় পারদর্শী হয়ে উঠলেন । এসময় তিনি স্কুলের বাঁধাধরা পড়াশুনা না করলেও বাংলা ভাষায় অনেক বই এবং হিন্দু এবং মুসলমান ধর্ম শাস্ত্রের বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করেন ।এরপর তিনি রানীগঞ্জের এক স্কুলে ভর্তি হন । 

কাজী নজরুল ইসলামের গান বাজনা ও কবিতার প্রতি ঝোক :

কাজী নজরুল ইসলাম  রানীগঞ্জের এক স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বর্ধমান জেলার মহকুমা শহরে আসানসােলে পালিয়ে আসেন । সেখানে এক রুটির দোকানে পাঁচ টাকা মাসিক বেতনে রুটি বানানাের চাকরি নিলেন ।সেখানকার এক দারােগা কাজী রফিকউদ্দিন গান বাজনা ও কবিতার প্রতি ঝোক দেখে নজরুলকেতার ময়মনসিংহস্থ নিজ গ্রামে কাজীর সিমলায় নিয়ে আসেন । এখানে তিনি তাকে এক স্কুলে ভর্তি করে দেন । কিন্তু পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আবার রানীগঞ্জে ফিরে এলেন । এর ফাঁকে ফাঁকে নানা ধরনের সাহিত্য আর কবিতার বই পড়ে নিজের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে লাগলেন ।

কাজী নজরুল ইসলামের সেনাবাহিনীতে যোগ (Solder Life of Kazi Nazrul Islam) : 

নজরুল তখন দশম শ্রেণীতে পড়েন , ম্যাট্রিক পরীক্ষার পূর্বে টেস্ট পরীক্ষা এসে গেল । কিন্তু ১৯১৭ সালে তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে । কাজী নজরুল ইসলাম স্থির করলেন যুদ্ধে যােগ দেবেন । ১৯১৭ সালে নজরুল ৪৯ নম্বর বাঙালী পল্টনে যােগ দিয়ে গেলেন নওশেরায় । সেখান থেকে করাচীতে । করাচী সেনানিবাসে তার সঙ্গে আলাপ হয় এক সহকর্মী পাঞ্জাবী মৌলভীর সঙ্গে । ফার্সি ভাষায় তার দক্ষতা ছিলাে গভীর । নজরুল তার কাছে ফার্সি ভাষার কালজয়ী প্রতিভা হাফিজ , শেখ সাদী , রুমি , ওমর খৈয়াম প্রমুখের রচনাসম্ভার সম্বন্ধে পাঠ নেন । এখান থেকেই নজরুল সৃষ্টিধর্মী কবিতা , গল্প , গান , গজল , উপন্যাস প্রভৃতি লেখার জন্য অন্তরের তাগিত অনুভব করলেন ।বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখে নজরুল কলকাতার নামকরা পত্রিকায় পাঠাতে লাগলেন । সেগুলাে যথামৰ্যাদায় ছাপাও হতে লাগলাে । ১৯১৯ সালে বাঙালী পল্টন ভেঙে দেওয়ায় নজরুল দেশে ফিরে এসে পুরােদমে কবিতা , গান , গল্প , উপন্যাস রচনায় মনােনিবেশ করলেন । 

কাজী নজরুল ইসলামের চলচ্চিত্র :

নজরুল ‘ধূপছায়া ‘ নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এটিতে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। ১৯৩১ সালে প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’র ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘গৃহদাহ’ চলচ্চিত্রের সুরকার ছিলেন তিনি। গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ১৯৩৩ সালে পায়োনিয়ার ফিল্মস কোম্পানির প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ধ্রুব’ এবং সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ১৯৩৭ সালের ‘গ্রহের ফের’ চলচ্চিত্রের ১৯৩৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পাতালপুরী’ চলচ্চিত্রের ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৩৮ সালে নির্মিত ‘গোরা’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন নজরুল।

কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা :

মাত্র বাইশ বছর বয়সে নজরুল লিখে ফেললেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘ বিদ্রোহী ’ । এই কবিতাটি রচনা করে কাজী নজরুল ইসলাম  বিখ্যাত হয়ে গেলেন ‘ বিদ্রোহী কবি হিসাবে । দেশে প্রচুর সাড়া পড়ে গেল । এই একটি মাত্র কবিতার জন্য নজরুলকে চিরঞ্জীব পরিচিতি দান করেছে । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাকে সমাদরে স্বাগত জানিয়ে আশীর্বাদ করলেন । তারপরের ইতিহাস বিজয়ের ইতিহাস,  গৌরবের ইতিহাস,অমরত্বের ইতিহাস ।

 “ মে ভুখাহু ’ শীর্ষক প্রবন্ধ ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশের পর ১৯২৩ খ্রি : ১৬ জানুয়ারি রাজদ্রোহের অভিযােগে নজরুলের এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয় ।

 ১৯২৩ খ্রিঃ অক্টোবর মাসে নজরুলের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীনা প্রকাশিত হয় ।

কাজী নজরুল ইসলামের বিবাহ (Marrige Life of Kazi Nazrul Islam):

কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৪ সালের ২৪ শে এপ্রিল প্রমীলা সেনগুপ্তাকে বিয়ে করেন । তার স্ত্রী প্রমীলা পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় মারা যান ।

 ১৯২৬ খ্রীঃ কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় । সেই সময় কবি কৃষ্ণনগরে লিখলেন কান্ডারী হুশিয়ার , দেশবন্ধুর স্বরাজ পার্টির সম্মেলনে ওই সময়ে লিখে কবি গাইলেন ‘ ওঠরে চাষী জগৎবাসী ধর কসে লাঙল ‘ ।

 ১৯৪৫ খ্রীঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুলকে জগত্তারিনী পদক পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছেন । ১৯৬০ খ্রিঃ ভারত সরকার পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করেন রসােত্তীর্ণ কাব্যস্রষ্টা , অসংখ্য গানের রচয়িতা ও সুরকার কবি নজরুল ইসলামকে ।

  বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালে ঢাকায় আনা হয় এবং তাকে জাতীয় কবি হিসাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয় ।

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু (Death of Kazi Nazrul Islam) :

 কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৪২ সালের ৮ ই জুলাই থেকে দুরারােগ্য মূক ও বধির রােগে আক্রান্ত হন ।

একাদিক্রমে বছরের পর বছর মূক ও বধির হয়ে জীবনমৃত থাকা অবস্থায় ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট চিরবিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকায় পরলােক গমন করেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে তাকে জাতীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয় ।

কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী – Kazi Nazrul Islam in Biography FAQ

1.কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কবে ও কোথায়?

Ans: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে মে , বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ ই জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

  1. বিদ্রোহী কবি কাকে বলা হয়?

Ans: কাজী নজরুল ইসলামকে।

  1. কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম কি?

Ans: কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ।

  1. কাজী নজরুল ইসলামের মায়ের নাম কি?

Ans: মায়ের নাম জাহেদা খাতুন ।

  1. কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতার নাম কি?

Ans: কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘ বিদ্রোহী ’ ।

  1. কাজী নজরুল ইসলাম কবে ও কাকে বিবাহ করেন?

Ans: কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৪ সালের ২৪ শে এপ্রিল প্রমীলা সেনগুপ্তাকে বিয়ে করেন ।

  1. কাজী নজরুল ইসলামের নাম দুখু মিয়া কেন?

Ans: নজরুল বড় আরাে তিন ভাই ছিলাে , কিন্তু তারা জন্মের কিছুদিন পর – পরই মারা যায় । সন্তান হওয়ার পর – পরইঅন্যান্য ছেলেরা মারা যাওয়ায় নজরুলের দাদি তার নাম রেখেছিলাে দুখু মিয়া ।

  1. কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীনা কবে প্রকাশিত হয় ।

Ans: ১৯২৩ খ্রিঃ অক্টোবর মাসে নজরুলের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীনা প্রকাশিত হয় ।

  1. বাংলাদেশে  জাতীয় কবি হিসাবে কাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়?

Ans: কাজী নজরুল ইসলামকে।

  1. কাজী নজরুল ইসলামের কবে মৃত্যু হয়?

Ans: ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট চিরবিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকায় পরলােক গমন করেন । 

  1. কাজী নজরুল ইসলামকে কোথায় সমাধিস্থ করা হয়?

Ans: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামকেজাতীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয় ।

কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী – Kazi Nazrul Islam Biography In Bengali 

      অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” আদি কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী – Kazi Nazrul Islam Biography In Bengali  ” পােস্টটি পড়ার জন্য।  

 

     ©kamaleshforeducation.in(2023)

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!