ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা
21ST FEBRUARY,2025
ভারতে, রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি, যার ক্ষমতা মূলত নামমাত্র এবং আনুষ্ঠানিক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান। কোনও রাজনৈতিক দল সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে এবং পদের জন্য একজন প্রার্থী মনোনীত করার পরে রাষ্ট্রপতি তাকে নিযুক্ত করেন। এরপর সেই রাজনৈতিক দলের নেতাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। কার্যকর নির্বাহী ক্ষমতা মন্ত্রী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকে, যার নেতৃত্বে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি লোকসভায় (সংসদের নিম্নকক্ষ) সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোট দ্বারা নির্বাচিত হন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। নিচের টেবিলে প্রধানমন্ত্রীদের কালানুক্রমিকভাবে সাজানো তালিকাটি দেখুন , প্রথম থেকে সাম্প্রতিকতম পর্যন্ত ।
১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী |
|
|---|---|
প্রধানমন্ত্রীর নাম |
সময়কাল |
জওহর লাল নেহেরু |
১৫ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ২৭ মে ১৯৬৪ |
গুলজারিলাল নন্দ |
২৭ মে ১৯৬৪ থেকে ৯ জুন ১৯৬৪ |
লাল বাহাদুর শাস্ত্রী |
০৯-জুন-১৯৬৪ থেকে ১১-জানুয়ারী-১৯৬৬ |
গুলজারিলাল নন্দ |
১১-জানুয়ারী-১৯৬৬ থেকে ২৪ জানুয়ারী ১৯৬৬ |
ইন্দিরা গান্ধী |
২৪-জানুয়ারী-১৯৬৬ থেকে ২৪-মার্চ-১৯৭৭ |
মোরারজি দেশাই |
২৪-মার্চ-১৯৭৭ থেকে ২৮-জুলাই-১৯৭৯ |
চরণ সিং |
২৮ জুলাই ১৯৭৯ থেকে ১৪ জানুয়ারি ১৯৮০ |
ইন্দিরা গান্ধী |
১৪-জানুয়ারী-১৯৮০ থেকে ৩১-অক্টোবর-১৯৮৪ |
রাজীব গান্ধী |
৩১-অক্টোবর-১৯৮৪ থেকে ০২-ডিসেম্বর-১৯৮৯ |
বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং |
০২-ডিসেম্বর-১৯৮৯ থেকে ১০-নভেম্বর-১৯৯০ |
চন্দ্র শেখর |
১০-নভেম্বর-১৯৯০ থেকে ২১-জুন-১৯৯১ |
পিভি নরসিমহা রাও |
২১-জুন-১৯৯১ থেকে ১৬-মে-১৯৯৬ |
অটল বিহারী বাজপেয়ী |
১৬-মে-১৯৯৬ থেকে ০১-জুন-১৯৯৬ |
এইচডি দেবগৌড়া |
০১-জুন-১৯৯৬ থেকে ২১-এপ্রিল-১৯৯৭ |
অটল বিহারী বাজপেয়ী |
১৯-মার্চ-১৯৯৮ থেকে ২২-মে-২০০৪ |
ডঃ মনমোহন সিং |
২২-মে-২০০৪ থেকে ২৬-মে-২০১৪ |
নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী |
২৬-মে-২০১৪ থেকে বর্তমান |
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তালিকা ১৯৪৭ থেকে ২০২৪
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট নিযুক্ত হন এবং নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০২৪ সালের ৯ জুন টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করেন। নীচের টেবিলে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা দেখুন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন ভারত সরকারের প্রধান নির্বাহী। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী) সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষায় জিজ্ঞাসা করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নীচে দেওয়া হল।
জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীও।
ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
রাজীব গান্ধী ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
মনমোহন সিং ভারতের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (১৪তম) এবং তিনি তার তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।
======================================
ভারতের সকল প্রধানমন্ত্রীর তালিকা
============================================
নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী (2014-অধিনায়ক)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি নিম্নকক্ষ (লোকসভা) এর নেতা এবং মন্ত্রী পরিষদের প্রধানও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী । বর্তমানে, তিনি তার তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ১৬তম লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন । নীচে তার পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা দেখুন।
মনমোহন সিং (২০০৪-২০১৪)
ডঃ মনমোহন সিং ভারতের ১৩তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দুইবার সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজ্যসভার সদস্য, মনমোহন সিং ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উচ্চকক্ষের নেতা ছিলেন। বর্তমানে তিনি তার ষষ্ঠ রাজ্যসভার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। পিভি নরসিমহা রাও সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালে ভারতে এলপিজি (উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ, বিশ্বায়ন) সংস্কারের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। মনমোহন সিং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ১৫তম গভর্নরও ছিলেন । তিনি ১৯৮৭ সালে পদ্মবিভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।
অটল বিহারী বাজপেয়ী (1996, 1998-99, 1999-2004)
অটল বিহারী বাজপেয়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রথমবার ভারতের দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মাত্র ১৩ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একজন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী, অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার, ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। তিনি “জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান” স্লোগান দিয়েছিলেন । মোরারজি দেশাই সরকারের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে স্মরণ করা হয়। লোকসভায় ১০ বার নির্বাচিত হয়ে তিনি ১৯৬২-৬৭ এবং ১৯৮৬-৯১ সাল পর্যন্ত দু’বার রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন। তিনি ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একজন ছিলেন , যা পরবর্তীতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে পরিণত হয় এবং বাজপেয়ী ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৮ সালে পোখরানে ২য় পারমাণবিক পরীক্ষা তাঁর আমলেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২৫শে ডিসেম্বর, ক্রিসমাসে জন্মগ্রহণকারী তাঁর জন্মদিন ভারতে সুশাসন দিবস হিসেবে পালিত হয়।
ইন্দর কুমার গুজরাল (1997-1998)
ভারতের দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন । বিদেশমন্ত্রী হিসেবে, তিনি গুজরাল মতবাদের জন্য স্মরণীয় – ভারতের নিকটতম প্রতিবেশীদের, বিশেষ করে পাকিস্তানের সাথে বিদেশ নীতি পরিচালনার জন্য পাঁচটি নীতির একটি সেট। তিনি রাজ্যসভার সদস্য এবং লোকসভার সদস্য উভয়ই ছিলেন।
এইচডি দেবেগৌড়া (১৯৯৬-১৯৯৭)
ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী হরদানাহল্লি দোদ্দেগৌড়া দেবগৌড়া ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যখন কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন না পেয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে, তখন দেবগৌড়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) জাতীয় সভাপতি দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ১৪তম, ১৫তম এবং ১৬তম লোকসভার সদস্য ছিলেন।
পিভি নরসিমহা রাও (১৯৯১-১৯৯৬)
দশম প্রধানমন্ত্রী পামুলাপার্থী ভেঙ্কট নরসিংহ রাও ছিলেন দক্ষিণ ভারত থেকে আগত প্রথম প্রধানমন্ত্রী। নরসিংহ রাও ১৯৯৩-৯৬ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বিদেশমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধীর আমলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। নরসিংহ রাও অন্ধ্র প্রদেশের চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৯১ সালে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় অর্থনৈতিক সংস্কার আনা হয়েছিল।
চন্দ্র শেখর (১৯৯০-১৯৯১)
অষ্টম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর কংগ্রেসের সমর্থনে জনতা দল থেকে বিচ্ছিন্ন একটি গোষ্ঠীর সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। দলের সবচেয়ে কম সংখ্যক এমপি থাকায়, তার সরকারকে ‘খোঁড়া হাঁস’ হিসেবে বিবেচনা করা হত । ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজীব গান্ধীর হত্যা ছিল তার আমলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
ভিপি সিং (১৯৮৯-১৯৯০)
বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং ছিলেন ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সদস্য ভিপি সিং ছিলেন উত্তর প্রদেশের দ্বাদশ মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৮৯-৯০ সাল পর্যন্ত বোফর্স কেলেঙ্কারির সময় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর অধীনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন । সরকারি পদ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের জন্য মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট তাঁর আমলেই বাস্তবায়িত হয়েছিল।
রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯)
ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী এবং পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং ফিরোজ গান্ধীর পুত্র রাজীব গান্ধী ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। শিখ দাঙ্গার পর ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার দিন তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ৪০ বছর বয়সে তিনি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন। রাজীব গান্ধী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৮৫-৯১ সাল পর্যন্ত তিনি কংগ্রেস দলের সভাপতি ছিলেন। তাঁর মেয়াদে শাহ বানো, ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি এবং বোফর্স কেলেঙ্কারির মতো উল্লেখযোগ্য মামলা ছিল । ১৯৯১ সালে ৪৬ বছর বয়সে এলটিটিই-র এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তাকে হত্যা করে এবং মরণোত্তর ভারতরত্ন লাভ করেন।
চৌধুরী চরণ সিং (১৯৭৯-৮০)
সি চরণ সিং ছিলেন ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। উত্তর প্রদেশের এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী চরণ সিং ছিলেন কৃষক অধিকারের সমর্থক ।
মোরারজি দেশাই (১৯৭৭-৭৯)
ভারতের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোরারজি রণছোড়জি দেশাই। তিনি ১৯৫২ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত বোম্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, যা মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে বিভক্ত হয়েছিল। তিনি জনতা পার্টি কর্তৃক গঠিত সরকারের নেতৃত্ব দেন।
ইন্দিরা গান্ধী (1966-1977, 1980-1984)
ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী, ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী, যিনি ভারতের প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী , তিনি দ্বিতীয় দীর্ঘতম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইন্দিরা গান্ধী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৮৪), প্রতিরক্ষামন্ত্রী (১৯৮০-৮২), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৭০-৭৩) এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী (১৯৬৪-৬৬) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন । তার দায়িত্ব পালনকালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের সাথে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। অপারেশন ব্লু স্টারের পর , ১৯৮৬ সালে তার নিজের দেহরক্ষী তাকে হত্যা করে।
গুলজারিলাল নন্দ (১৯৬৪, ১৯৬৬)
১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর গুলজারিলাল নন্দ ১৩ দিনের জন্য ভারতের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম ১৩ দিনের দায়িত্ব পালন করেন।
লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (1964-1966)
কংগ্রেস সদস্য লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’ স্লোগানটি নিয়ে এসেছিলেন যা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং জওহরলাল নেহরুর অধীনে রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাসখন্দ চুক্তির পরদিনই তাঁর মৃত্যু হয়, যা আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটায়।
জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-১৯৬৪)
জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ভারতের প্রথম এবং দীর্ঘতম সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী । তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং ১৯৬৪ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কারণে তিনি ‘চাচা নেহেরু’ নামে পরিচিত, তবে কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সাথে তাঁর শিকড়ের কারণে তাঁকে ‘পণ্ডিত নেহেরু’ও বলা হত।
=====================================================================
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
===================================================================