মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর
পার্থক্য নিরূপণ করো
SOURCE-BHUGOLSHIKSHA.COM
উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়)
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- ভারতের প্রধান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হল –
(A) ISRO
(B) SOI
(C) IRS
(D) GSS
Ans: (A) ISRO
- দূর সংবেদন শব্দের অর্থ হল –
(A) দুর থেকে স্পর্শ না করে অনুধাবন করা
(B) কৃত্রিম উপগ্রহ
(C) দূর থেকে স্পর্শ
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (A) দুর থেকে স্পর্শ না করে অনুধাবন করা
- কোনো অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় কোন মানচিত্রের সাহায্যে –
(A) টোপোগ্রাফিক্যাল
(B) উপগ্রহচিত্র
(C) মৌজা ম্যাপ
(D) আবহাওয়া
Ans: (A) টোপোগ্রাফিক্যাল
- মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি যেখানে রাখা হয় তাকে কী বলে—
(A) স্পট
(B) সেন্সর
(C) সমকেন্দ্র
(D) প্ল্যাটফর্ম
Ans: (D) প্ল্যাটফর্ম
- Topographical ‘ শব্দের অর্থ হল –
(A) স্থান বিবরণী
(B) রাজনৈতিক সীমানা
(C) ভূমিরূপের গঠন
(D) উপগ্রহচিত্র
Ans: (A) স্থান বিবরণী
- ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র নির্মাণ করার পদ্ধতি হল –
(A) ডিজিট্যাল পদ্ধতি
(B) অ্যানালগ পদ্ধতি
(C) অনুমিত পদ্ধতি
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (B) অ্যানালগ পদ্ধতি
- পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত দ্রাঘিমারেখা ও অক্ষরেখা পরস্পরকে ছেদ করে যে জালিকা গঠন করে তাকে কী বলে—
(A) সংবেদক
(B) সেন্সর
(C) গ্রিড
(D) ভূ – সমলয় কক্ষপথ
Ans: C) গ্রিড
- উপগ্রহচিত্র গ্রহণ করা হয় কীসের সাহায্যে –
(A) ক্যামেরা
(B) সংবেদক
(C) সমীক্ষা
(D) আদমশুমারি
Ans: (B) সংবেদক
- ভারতের প্রেরিত একটি কৃত্রিম উপগ্রহ হল—
(A) NOAA
(B) GOES – E
(C) GMS
(D) INSAT
Ans: (D) INSAT
- ব্যবহার অনুসারে কৃত্রিম উপগ্রহকে ক – ভাগে ভাগ করা যায় ?
(A) ৪
(B) ৫
(C) ২
(D) ৩
Ans: (C) ২
- কোনো অঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনা করার সময় কোন্ মানচিত্রের প্রয়োজন হয় –
(A) আবহাওয়া
(B) ভূপ্রাকৃতিক
(C) টোপোগ্রাফিক্যাল
(D) রাজনৈতিক
Ans: (C) টোপোগ্রাফিক্যাল
- আন্তর্জাতিক সিরিজ মানচিত্রের অপর নাম কী—
(A) ডিগ্রি শিট
(B) মিলিয়ন শিট
(C) ইঞ্জি শিট
(D) নতুন সিরিজ শিট
Ans: (B) মিলিয়ন শিট
- চত দুর সংবেদনে ফ্রান্স থেকে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ হল –
(A) LANDSAT
(B) SARAL
(C) IRS
(D) SPOT
Ans: (D) SPOT
- বনভূমি বা কোনো ধরনের গাছ উপগ্রহচিত্রে কোন্ বর্ণের –
(A) সবুজ
(B) হালকা বাদামি
(C) সাদা
(D) লাল
Ans: (D) লাল
- উপগ্রহচিত্রের ক্ষুদ্রতম অংশকে কী বলে –
(A) স্পট
(B) পিক্সেল
(C) রেসলিউশন
(D) সেন্সর
Ans: (B) পিক্সেল
- ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে কীসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপাদানকে চিহ্নিত করা হয় –
(A) প্রতীক চিহ্ন
(B) আলোকচিত্র
(C) নানান রং
(D) গ্রাফ
Ans: (A) প্রতীক চিহ্ন
- ভারতীয় উপমহাদেশে ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র প্রকাশ করে কোন সংস্থা –
(A) Survey of India
(B) NASA
(C) ISRO
(D) NATMO
- Survey of India- র প্রধান দপ্তর কোথায় অবস্থিত –
(A) কলকাতা
(B) চেন্নাই
(C) দিল্লি
(D) দেরাদুন
Ans: (D) দেরাদুন
- টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে পাহাড় – পর্বত কোন্ রঙের –
(A) ধূসর
(B) গাঢ় খয়েরি বা বাদামি
(C) হালকা হলুদ
(D) গাঢ় লাল
Ans: (B) গাঢ় খয়েরি বা বাদামি
- ISRO- র সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
(A) আমেদাবাদ
(B) বেঙ্গালুরু
(C) মুম্বাই
(D) কলকাতা
Ans: (B) বেঙ্গালুরু
- আন্তর্জাতিক সিরিজ অনুযায়ী পৃথিবীর মোট মানচিত্রের সংখ্যা । ক – টি—
(A) ৩২২২
(B) ২৩২২
(C) ২২২২
(D) ২২৩২
Ans: (C) ২২২২
- ভারতে ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে মোট গ্রিডের সংখ্যা কত –
(A) ১৪৫
(B) ১৩৫
(C) ১৪০
(D) ১৩০
Ans: (B) ১৩৫
- ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে সমোন্নতি রেখা কোন রঙের মাধ্যমে দেখানো হয় –
(A) কালো
(B) বাদামি
(C) লাল
(D) নীল
Ans: B) বাদামি
- ডিগ্রি শিটের RF হল ।
(A) ১ : ১০,০০,০০০
(B) ১ : ১,০০,০০০
(C) ১ : ২,৫০,০০০
(D) ১ : ৫০,০০
Ans: (C) ১ : ২,৫০,০০০
- কোনো উপগ্রহ নির্ধারিত চিত্রগ্রহণ স্থল হল ওই উপগ্রহের –
(A) Swath
(B) Sensor
(C) Pixel
(D) Band
- বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তর মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সংবেদিত পাঠগুলি প্রেরণ করতে সাহায্য করে ?
(A) ওজোনোস্ফিয়ার
(B) ট্রপোস্ফিয়ার
(C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
(D) এক্সোস্ফিয়ার
Ans: C) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
- পিক্সেল – এর মান কীসের ওপর নির্ভর করে—
(A) ক্যামেরা
(B) সেন্সর
(C) কৃত্রিম উপগ্রহ
(D) পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহের উচ্চতা
- কোনো অঞ্চলের সমান উচ্চতাবিশিষ্ট স্থানগুলিকে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় , তাকে কী বলে—
(A) সচাপ রেখা
(B) সমোয় রেখা
(C) সমোন্নতি রেখা
(D) সমোচ্চতা রেখা
Ans: (C) সমোন্নতি রেখা
- সমুদ্রতলের সাপেক্ষে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের জ্ঞাত উচ্চতাকে কী বলে—
(A) বেঞ্চমার্ক
(B) জরিপ স্টেশন
(C) আপেক্ষিক উচ্চতা
(D) বিন্দু
Ans: (A) বেঞ্চমার্ক
- ■■■ এই প্রতীক চিহ্ কাকে নির্দেশ করে –
(A) ডবল লাইন
(B) ট্রামলাইন
(C) নির্মীয়মাণ রেলপথ
(D) ব্রডগেজ সিঙ্গল লাইন
Ans: (A) ডবল লাইন
- কোন্টি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা –
(A) ISRO
(B) SOI
(C) NASA
(D) RS
Ans: C) NASA
- ভারত প্রেরিত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ হল –
(A) আর্যভট্ট
(B) SARAL
(C) IRS
(D) SPOT
Ans: (A) আর্যভট্ট
- রিমোর্ট সেন্সিং মানচিত্রে গভীর অরণ্যরাজি কোন্ রং – দেখানো হয় –
(A) কালো
(B) সবুজ
(C) লাল
(D) নীল
Ans: (C) লাল
- ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ ( SI ) কোন্ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় –
(A) ১৭৬৭
(B) ১৮৬৭
(C) ১৯৬৭
(D) ১৯৯৭
Ans: (B) ১৮৬৭
- কোনটি 73E / 2 টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রের স্কেল হবে –
(A) ৫০০০০০
(B) ১ : ১০০০০০
(C) ১ : ৫০০০০
(D) ১ : ২৫০০০
Ans: (C) ১ : ৫০০০০
SOURCE-BHUGOLSHIKSHA.COM
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়)
- ‘ Topography ‘ শব্দের উৎপত্তি হয় কোন্ শব্দ থেকে ?
Ans: গ্রিক শব্দ ‘ Topos ‘ অর্থাৎ স্থান এবং ‘ Grapho ‘ অর্থাৎ আঁকা বা বর্ণনা থেকে ।
- Survey of India ( SOI ) কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে ।
- Survey of India- এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
Ans: উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন ।
- 8 ° x 8 ° গ্রিডে বিস্তৃত ভারতের ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রকে কী বলা হয় ?
Ans: মিলিয়ন শিট ।
- Topographical মানচিত্রে কোন্ কোন্ বিষয় দেখানো হয় ?
Ans: ভূপ্রকৃতি , নদনদী , উদ্ভিদের বণ্টন , কৃষিজমি , যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা , বসতির বণ্টন ইত্যাদি ।
- কোনো টোপোশিটের সূচক নম্বর পড়া না গেলে কীভাবে সেই টোপোশিটের সূচকসংখ্যা জানা যাবে ?
Ans: মানচিত্রের স্কেল এবং অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমার বিস্তৃতির সাহায্যে ।
- 58B / 4NE টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রের স্কেল কত হবে ?
Ans: ১ : ২৫০০০ ।
- 58B / 4NE টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার ব্যবধান কত ?
Ans: ৭′৩০ ” × ৭′৩০ ” ।
- উপগ্রহচিত্রে গভীর জলাশয় কোন রঙে দেখানো হয় ?
Ans: কালো ।
- R.F- এর পুরো নাম কী ?
Ans: Representative fraction |
- কোন্ বিশেষ ধরনের ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের নিপুণতা অনেক বেশি ?
Ans: Open Series Map ( OSM ) ।
- NASA কোন্ দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ?
Ans: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।
- টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে জনবসতি কোন রঙে দেখানো হয় ?
Ans: লাল ।
- টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে ডিগ্রি শিটের স্কেল কত ?
Ans: ১ সেমিতে ২.৫ কিমি ।
- টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে কোন্ রেখার মাধ্যমে ভূমির উচ্চতা দেখানো হয় ?
Ans: সমোন্নতি রেখা ।
- Remote Sensing বা দুর সংবেদন বলতে কী বোঝ ?
Ans: এটি এমন একটি বিজ্ঞান যার সাহায্যে কোনো বস্তু বা উপাদানকে স্পর্শ না করে দূর থেকে সেই বস্তু বা উপাদানের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
- সেন্সর ক – প্রকারের ও কী কী ?
Ans: সেন্সর ২ প্রকারের , যথা — সক্রিয় সেন্সর ও নিষ্ক্রিয় সেন্সর ।
- তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ বলতে কী বোঝ ?
Ans: সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়ে যে বিকিরণ হয় তাই হল তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ ।
- কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রেরিত তথ্য কী আকারে নথিভুক্ত হয় ?
Ans: Digital আকারে ।
- GIS- র পুরো নাম কী ?
Ans: Geographical Information System .
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের নাম কী ?
Ans: NASA ।
- NASA- এর পুরো নাম কী ?
Ans: The National Aeronautics and Space Administration |
- ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম কী ?
Ans: ISRO .
- ISRO- এর পুরো নাম কী ?
Ans; Indian Space Research Organisation .
- ব্যবহার অনুসারে উপগ্রহকে ক – ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Ans: ২ ভাগে । যথা – ভূ – সমলয় উপগ্রহ এবং সূর্য – সমলয় উপগ্রহ ।
- ভারতের একটি ভূ – সমলয় উপগ্রহের নাম লেখো ।
Ans: INSATI .
- উপগ্রহগুলি যে – যন্ত্রের সাহায্যে সংবেদন গ্রহণ করে , তাকে কী বলে ?
Ans: সংবেদক ( Sensor ) ।
- একটি সক্রিয় সেন্সরের উদাহরণ দাও ।
Ans: র্যাডার ( Radar ) |
- একটি নিষ্ক্রিয় সেন্সরের উদাহরণ দাও ।
Ans: ফোটোগ্রাফিক ক্যামেরা ( Photographic Camera ) / মাল্টিস্পেকট্রাল ক্যামেরা ( Multispectral Camera ) ।
- FCC- এর পুরো নাম কী ?
Ans: False Colour Composite .
- কোন প্রকার সেন্সর ব্যবহার করলে মেঘাচ্ছন্ন অবস্থাতেও নিখুঁত ছবি পাওয়া যাবে ?
Ans: Microwave Sensor বা লঘুতরঙ্গ সংবেদক ।
- সূর্য থেকে আগত বর্ণালির যে – অংশ মানবচক্ষুর দৃষ্টিগোচর হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: দৃশ্যমান বর্ণালি বা Visual Spectrum .
- RGB- র পুরো নাম কী ?
Ans: Red , Green , Blue .
- Satellite শব্দের উৎপত্তি হয়েছে কোন শব্দ থেকে ?
Ans: ইংরেজি Satellite শব্দটি হল একটি ফ্রান্সিস শব্দ যার অর্থ Guard বা প্রহরী ।
- উপগ্রহ প্রেরিত চিত্রে তুষারাবৃত স্থানের কী রং হয় ?
Ans: সাদা ।
- উপগ্রহ দ্বারা গৃহীত চিত্রের রং – এর সঙ্গে বাস্তব রঙের পার্থক্যকে এককথায় কী বলে ?
Ans: False Colour Composite ( FCC ) ।
- Topography শব্দের অর্থ কী ?
Ans: ভূপ্রকৃতি ।
- কোন্ ধরনের মানচিত্রে প্রতীক চিহ্নের ব্যবহার থাকে ?
Ans: টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে ।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী প্রভাব বা পূর্বাভাস কোন্ চিত্রের মাধ্যমে দেখানো যায় ?
Ans: উপগ্রহচিত্র ।
- একটি উপগ্রহচিত্র ভূপৃষ্ঠের প্রায় কতটা অঞ্চলকে প্রদর্শিত করতে পারে ।
Ans: প্রায় ৩০,০০০ বর্গকিমি ।
SOURCE-BHUGOLSHIKSHA.COM
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়)
- উপগ্রহচিত্র ( Satellite Image ) কাকে বলে ?
ANS-মহাকাশে যেসকল কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করা হয় তাতে যে সেন্সর বা ক্যামেরা থাকে , তার মাধ্যমে এগুলি ভূপৃষ্ঠের নানান স্থানকে সংবেদন করে এবং Magnetic tape- এ পাঠ গ্রহণ করে । এইভাবে যে চিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে উপগ্রহচিত্র বা Satellite Image বলে ।
- সেন্সর ক – প্রকারের হয় ও কী কী ?
Ans: Sensor বা সেন্সর প্রধানত ২ প্রকারের হয় । যথা— ( ১ ) সক্রিয় সেন্সর বা Active Sensor এবং ( ২ ) নিষ্ক্রিয় সেন্সর বা Passive Sensor .
- সক্রিয় সেন্সর ( Active Sensor ) কাকে বলে ?
Ans: যে সেন্সর , সৌরশক্তি বা সূর্যের রশ্মির ওপর নির্ভর না – করে নিজ দেহ থেকে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ পাঠিয়ে তার প্রতিফলনের সাহায্যে প্রতিচ্ছবি সংগ্রহ করে , তাকে সক্রিয় সেন্সর বলে । যেমন – Radar , Active Radiometer ইত্যাদি ।
- নিষ্ক্রিয় সেন্সর ( Passive Sensor ) কাকে বলে ?
Ans: যে – সেন্সর সূর্যের প্রতিফলনের ওপর নির্ভর করে তথ্য সংগ্রহ করে , তাদের নিষ্ক্রিয় সেন্সর বলে । এদের নিজস্ব কোনো বিদ্যুৎ চুম্বকীয় শক্তি ( Electro Magnetic energy ) নেই । এই সকল সেন্সর কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম । যেমন— Photographic Camera , Electronic Camera , Multispectral Camera ইত্যাদি ।
- দূরসংবেদন প্ল্যাটফর্ম ( Remote Sensing Platforms ) কাকে বলে ?
Ans: দূর সংবেদনে প্ল্যাটফর্ম বলতে এমন স্থির বা গতিশীল আধার , উপকরণ বা যানকে বোঝায় যেখানে কোনো সংবেদক বা সেন্সরকে রেখে দূর সংবেদন করা হয় ।
- কৃত্রিম উপগ্রহ ক – প্রকার ও কী কী ?
Ans: ব্যবহার অনুসারে কৃত্রিম উপগ্রহ দুই ধরনের হয় । যথা— ( ১ ) ভূ – সমলয় উপগ্রহ ( Geo – Stationary Satellite ) এবং ( ২ ) সূর্য – সমলয় উপগ্রহ ( Sun – Synchronus Satellite ) ।
- ভূ – সমলয় উপগ্রহ ( Geo – Stationary Satellite ) কাকে বলে ?
Ans: যেসব উপগ্রহ পৃথিবীকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রদক্ষিণ করে নিয়ত তথ্য সরবরাহ করে , তাদের ভূ – সমলয় উপগ্রহ বলে । এই সকল উপগ্রহকে তথ্য উপগ্রহও ( Information Satellite ) বলা হয় । এটি সরাসরি নিরক্ষরেখা থেকে প্রায় ৩৬০০ কিমি উপরে অবস্থান করে । এটি আবহাওয়ার পূর্বাভাস , Satellite TV , রেডিয়ো ইত্যাদি সম্বন্ধীয় তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হয় । উদাহরণ- METEOSAT ( আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয় ) , ভারতের INSAT , আমেরিকার GOES – E , এ ছাড়া , TELECOM IC , TELECOMO – 2C , ইত্যাদি হল ভূ – সমলয় উপগ্রহের উদাহরণ ।
- সূর্য – সমলয় উপগ্রহ ( Sun – Synchronus Satellite ) কাকে বলে ?
Ans: সূর্যের আপাতকোণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যে উপগ্রহগুলি পৃথিবীকে উত্তর থেকে দক্ষিণে , মেরু বরাবর , প্রদক্ষিণ করে চলেছে তাকে সূর্য – সমলয় উপগ্রহ বলে । এগুলি পৃথিবীর নিকট ৭০০-৯০০ কিমি উচ্চতায় পূর্ব নির্ধারিত কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা হয় । এই উপগ্রহগুলির কক্ষপথ ও বেগ এমনভাবে স্থির করা হয় যে এগুলি নিরক্ষরেখাকে একই স্থানীয় সময়ে অতিক্রম করে । প্রধানত মিলিটারির কাজে এবং Remote Sensing- এর কাজই এই উপগ্রহে ব্যবহৃত হয় ।
উদাহরণ – NOAA , LANDSAT , SPOT 3. RADARSAT ইত্যাদি হল সূর্য – সমলয় উপগ্রহ ।
- বিভেদন ( Resolution ) কাকে বলে ?
Ans: সংবেদক দ্বারা বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে গৃহীত উপগ্রহচিত্রের বিভিন্ন বস্তু , ক্ষেত্র , উপাদানের পৃথক্করণের ক্ষমতাকে বিভেদন বা Resolution বলে । এটি কোনো উপগ্রহচিত্রের দৃশ্যসংক্রান্ত গুণের মানকে নির্দিষ্ট ক্যামেরার দ্বারা প্রকাশ করে ।
- কৃত্রিম উপগ্রহ ( Artificial Satellite ) কাকে বলে ?
Ans: কৃত্রিম উপগ্রহ হল মানব নির্মিত এক অত্যাধুনিক যন্ত্র বা উপকরণ , যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে , একটি নির্দিষ্ট পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এবং পৃথিবীকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করে ।
যেমন— GOES , GPS – NAVSTAR , ENVISAT , METEOSAT , INSAT ইত্যাদি হল কতকগুলি কৃত্রিম উপগ্রহের উদাহরণ ।
- তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ ( Electro Magnetic Spectrum / EMS ) কাকে বলে ?
Ans: বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ হল শক্তির একটি রূপ যাতে একটি সর্পিল তড়িৎ তরঙ্গ ও একটি সর্পিল চুম্বকীয় তরঙ্গ থাকে । যে আলো আমরা দেখতে পাই তা এই তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গেরই একটি রূপমাত্র । এর অন্যান্য রুপগুলি হল এক্স – রশ্মি , অতিবেগুনি রশ্মি , তাপশক্তি , লঘু তরঙ্গ ও রেডিয়ো তরঙ্গ ।
- তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালি ( Electro Magnetic Radiation ) কাকে বলে ?
Ans: আলোর বিচ্ছুরণের ফলে বিভিন্ন বর্ণযুক্ত যে আলোর পটি পাওয়া যায় , তাকেই তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালি বলে । যখন কোনো সাদা আলোকে একটি প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয় , তখন এটি বিভিন্ন রঙের আলোর পটিতে বিভক্ত হয় । একে VIBGYOR বলে ( Viotel , Indigo , Blue , Green , Yellow , Orange , Red ) । স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এই পরীক্ষাটি করেছিলেন ।
- দৃশ্যমান বর্ণালি ( Visible Spectrum ) কাকে বলে ?
Ans: সূর্য থেকে আগত বর্ণালির যে অংশ মানবচক্ষুর দৃষ্টিগোচর হয় , তাকেই দৃশ্যমান বর্ণালি বলা হয় । এই বর্ণালি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের একটি বিশেষ রূপমাত্র ।
- Colour Band কাকে বলে ?
Ans: Colour Band হল তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ । Colour Band বিভিন্ন প্রকার হয় । যেমন- নীল ব্যান্ড , সবুজ ব্যান্ড , লাল ব্যান্ড ইত্যাদি । বিভিন্ন প্রকার Colour Band- এর বিভিন্নতার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় । ফলে উপগ্রহ গৃহীত চিত্রগুলির মধ্যে Colour Band এর রঙের বিভিন্নতার জন্য রঙের বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের হয় । সাধারণত LANDSAT উপগ্রহ চিত্রগুলিতে যে – কোনো প্রকার উদ্ভিদের রং লাল দেখায় ।
- Pixel বা পিক্সেল কাকে বলে ?
Ans: Pixel কথাটির পুরো অর্থ হল Picture Element । কোনো উপগ্রহচিত্রের ক্ষুদ্রতম অংশকেই Pixel বলা হয় । অনেকগুলি Pixel মিলে একটি বৃহৎ উপগ্রহচিত্র তৈরি হয় । এই Pixel- এর মান পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উপগ্রহটির উচ্চতার ওপর নির্ভর করে । কোনো উপগ্রহ চিত্রে যদি Pixel এর সংখ্যা বেশি হয় , তাহলে তা উচ্চমানের হয় ( High Resolution ) এবং Pixel সংখ্যা কম হলে তা অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের হয় ( Low Resolution ) ।
- FCC False Colour Composition কাকে বলে ?
Ans: বাস্তবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক উপাদানগুি যে প্রকৃত রং ( True Colour ) মানুষের চোখে ধরা পড়ে । সেই উপাদানগুলি যখন উপগ্রহচিরে চিত্রায়িত হয় , তখন আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয় । যার ফলে দুর্গা ম ছদ্ম রং ধারণ করে । একেই False Colour Composition । FCC- তে প্রতিবিম্বিত বিভিন্ন বস্তুকে চিহ্নিত করতে সুবিধা হয় ।
- মহাকাশে প্রেরিত ভারতের সর্বপ্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম কী ও এটি কোন্ খ্রিস্টাব্দে মহাকাশে প্রেরিত হয় ?
Ans: মহাকাশে প্রেরিত ভারতের সর্বপ্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম হল ‘ আর্যভট্ট ‘ , এটি ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ এপ্রিল মহাকাশে প্রেরিত হয়েছিল ।
- সাম্প্রতিক কালে ভারতের কোন্ কোন্ কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ?
Ans: IRNSS – ID ( Indian Regional Navigation Satellite System ) এটি প্রেরিত হয় ২৮ মার্চ ২০১৫ ; ii . GSAT – 6 ( ২৭ আগস্ট , ২০১৫ ) ; iii . ASTROSAT ( ২৮ সেপ্টেম্বর , ২০১৫ ) ; iv . GSAT – 15 ( ১১ নভেম্বর , ২০১৫ ) ।
- দূর সংবেদন ব্যবহৃত বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহের নাম লেখো ।
Ans: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের LANDSAT , ii . ফ্রান্সের SPOT , iii , ভারতের IRS Series- এর কৃত্রিম উপগ্রহসমূহ ।
- ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কাকে বলে ?
Ans: ভূমিরূপের কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধন করে , যে প্রকার মানচিত্র প্রকাশ করা হয় তাকে ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বলে । এইপ্রকার মানচিত্রে ভূপ্রকৃতি , নদনদী ও জলাশয় , উদ্ভিদ , জনবসতি , খনিজ সম্পদ , পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নানান প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন সমূহের ( Conventional Signs ) মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ।
- টোপোশিট থেকে কী কী পাঠ করা যায় ?
Ans: ভূপ্রকৃতি , নদনদী , স্বাভাবিক উদ্ভিদ , পরিবহণ , জনবসতি , ধর্মস্থান , হাসপাতাল ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি এই মানচিত্র থেকে পাঠ করা যায় ।
- বেঞ্চমার্ক ( Bench Mark ) কাকে বলে ?
Ans: সমুদ্রতল থেকে কোনো স্থানের প্রকৃত উচ্চতা যখন কোনো সংস্থা লিপিবদ্ধ করে রাখে তাকে বেঞ্চমার্ক বা BM বলে ।
- মিলিয়ন শিট কাকে বলে ?
Ans: ৪ ° × ৪ ° ব্যবধানে যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় , তাকে মিলিয়ন শিট বলে । এই মানচিত্রের স্কেল হল ১ ইঞ্চিতে ১৬ মাইল বা ১ সেমিতে ১০ কিমি ( RF ১ : ১০,০০,০০০ ) ।
- উপগ্রহচিত্র ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি কী কী ?
Ans: উপগ্রহচিত্র ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রগুলির মধ্যে যে – সাদৃশ্যগুলি রয়েছে , সেগুলি হল— ( ১ ) দু – প্রকার মানচিত্রের যখন ব্যাবহারিক প্রয়োগ ঘটে , তখন তাদের স্কেল একই থাকে । ( ২ ) যেহেতু ভূগোলকের একটি অন্যতম বিষয় হল উত্তর দিক নির্ণয়কারী রেখা বা North Arrow বা North Line দেখানো , তাই চেষ্টা করা হয় , উত্তর দিকটিকে বজায় রেখে ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বা উপগ্রহ উভয়কেই নির্মাণ করা ।
- স্পট্ হাইট ( Spot Height ) কাকে বলে ?
Ans: মানচিত্রে বিন্দু বা ডট্ দিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কোনো স্থানের উচ্চতাকে দেখানো হলে তাকে Spot Height বলে । এর সাহায্যে পাহাড় বা পর্বতের শিখরের উচ্চতা ও বিশেষ কতকগুলি স্থানের উচ্চতা দেখানো হয় ।
- Aerial photograph কাকে বলে ?
Ans: ভূপৃষ্ঠের কিছুটা উপরে প্লেন , হেলিকপ্টার , বেলুন প্রভৃতিতে রাখা ক্যামেরার সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের যে ছবি বা তথ্য সংগ্রহ উত্তর করা হয় তা হল Aerial photograph .
- Aerial photograph ও উপগ্রহচিত্রের পার্থক্য কী ?
Ans: Aerial photograph ও উপগ্রহচিত্র কিন্তু এক নয় । ভূপৃষ্ঠের কিছুটা উপরে প্লেন , হেলিকপ্টার প্রভৃতিতে রাখা ক্যামেরা বা সেন্সরের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হল Aerial photograph । অন্যদিকে ঊর্ধ্বাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহে রাখা ক্যামেরা বা Sensor- এর সাহায্যে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হল উপগ্রহচিত্র ।
SOURCE-BHUGOLSHIKSHA.COM
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর
উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়)
1. দূর সংবেদন ( Remote Sensing ) – এর সুবিধাগুলি কী কী ?
Ans: দুর সংবেদনের সুবিধাগুলি ( Advantages of Remote Sensing ) হল : ( i ) এর দ্বারা সংগৃহীত তথ্যগুলি বাস্তবের সাথে সঠিক ও নির্ভুল ।
( ii ) এই সংগৃহীত তথ্য স্থায়ী ।
( iii ) বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
( iv ) যেসকল দুর্গম অঞ্চলে জরিপ – এর মাধ্যমে সমীক্ষা চালানো সম্ভব হয় না , সেইসকল অঞ্চলের তথ্য সহজেই সংগ্রহ করা যায় ।
( v ) বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে সহজে তথ্য সংগৃহীত হয় ।
( vi ) Remote Sensing- এর দ্বারা প্রাপ্ত একটি চিত্র থেকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারা যায় ।
( vii ) Digital আকারে গৃহীত তথ্য কম্পিউটারের সাহায্যে সহজে ও অতি দ্রুত বিশ্লেষণ করা যায় ।
( viii ) প্রতিনিয়ত এই তথ্য সংগৃহীত হয় বলে , কোনো স্থানে কোনো পরিবর্তন হলে তা সহজেই ধরে ফেলা যায় ।
( ix ) প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস তথা বিপর্যয় পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে অত্যন্ত দ্রুত ও সঠিক তথ্য পাওয়া যায় ।
( x ) বিভিন্ন সক্রিয় সেন্সরের মাধ্যমে রাতের বেলাতেও তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
2. দূর সংবেদন ব্যবস্থার অসুবিধাগুলি ( Disadvantages of Remote Sensing ) কী কী ?
Ans: দূর সংবেদন ব্যবস্থার অসুবিধাগুলি ( Disadvantages of Remote Sensing ) হল :
( i ) উন্নত প্রযুক্তি ছাড়া এই তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না ।
( ii ) অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে সব দেশ এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না ।
( iii ) কোনো ছোটো এলাকার সমীক্ষার জন্য এটি ব্যবহার করলে Pluginee দরকার হয়। তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে যায়
( iv ) এইপ্রকার তথ্য বিশ্লেষণের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের ( v ) আলোর ছোটো ছোটো তথ্য অনেক সময় পাওয়া যায় না ।
3. ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি ( Charac . teristics of Topographical Map ) কী কী ?
Ans: ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি ( Character . istics of Topographical Map ) হল : ( i ) এটি একটি বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র এবং এটি একটি সুনির্দিষ্ট স্কেলে আঁকা হয় । ( ii ) সুনির্দিষ্ট স্কেলে আঁকা মানচিত্রগুলির অক্ষাংশগত ও দ্রাঘিমাগত নির্দিষ্ট পরিসর বা বিস্তার থাকে । ( iii ) জরিপ কার্যের মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে এই মানচিত্র আঁকা হয় । ( iv ) বিভিন্ন নির্দিষ্ট প্রকার প্রচলিত চিহ্নের মাধ্যমে ও নানান প্রকৃত রঙের মাধ্যমে এই মানচিত্রে নানান বিষয়গুলি দেখানো হয় । ( v ) নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে জরিপ করে এই মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় বলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।
4. ভ্রমন ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র পাঠের প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য কী ?
Ans: ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র পাঠের প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্যগুলি ( Importance of Topographical Map ) হল : ( i ) ভূপ্রকৃতি , পাহাড় , মালভূমি , নদনদী , জলাশয় , হ্রদ , বনভূমি ইত্যাদি নানান প্রাকৃতিক বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা । ( ii ) জনবসতি , যাতায়াত বা পরিবহণ ব্যবস্থা , যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পর্কে জানা যায় । Mala ( iii ) কোনো অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলি ত পারস্পরিক সম্পর্ক ও নির্ভরশীলতা সম্পর্কে জানা যায় । ( iv ) কোনো অঞ্চলের সম্পদের বর্ণনা পাওয়া যায় । ( v ) আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করার জন্য এই মানচিত্র উল্লেখযোগ্য । ( vi ) সামরিক প্রয়োজনেও এই মানচিত্র ব্যবহৃত হয় ।
5. Topographical মানচিত্রের অসুবিধাগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: Topographical মানচিত্রের ব্যবহারের সুবিধা আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও আছে । এর অসুবিধাগুলি ( Disadvantages of Topographical Map ) হল :
( i ) Topographical মানচিত্র সমসাময়িক হয় না ।
( ii ) দুর্গম এলাকা বা সীমান্তবর্তী এলাকাতে সমীক্ষা করা যায় না ।
( iii ) এটি কোনো চিত্র নয় । হাতে আঁকা বিশেষ প্রকার প্রতীক চিহ্ন সমন্নিত শিট । তাই কোনো স্থানের বা বস্তুর সঠিক আকার আকৃতি সঠিকভাবে বোঝা যায় না ।
- iv) মানচিত্র প্রস্তুত করতে অনেকদিন সময় লেগে যায় ।
6. ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রকে শিট বা Sheet বলা হয় কেন ?
Ans: সাধারণত ‘ Sheet ‘ বলা হয় আয়তাকার বা বর্গাকার জ্যামিতিক আকারসম্পন্ন কাগজ বা কাগজের অংশকে । কিন্তু কোনো স্থানের মানচিত্রকে যখন উপস্থাপন করা হয় , তখন তা সমগ্র কাগজজুড়ে থাকে না বা বিশেষ কোনো প্রকার জ্যামিতিক আকার দ্বারাও সীমাবদ্ধ থাকে না । তাই তা কখনোই ‘ sheet ‘ হয় । না , ‘ ম্যাপ ’ বা ‘ মানচিত্র ’ হয় । কিন্তু , অপরপক্ষে ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পরিমাপ ও আয়তাকার আকৃতিকে = গুরুত্ব দেওয়া হয় । তার মধ্যে কোনো রাজ্য , জেলা , মহকুমা , জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রশাসনিক সীমানাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না । তাই Topographical map- কে বা ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রকে Topographical sheet বা Toposheet বলা হয় ।
7. Open Series Map বলতে কী বোঝ ?
Ans: ভূ – বৈচিত্র্যসূচক চত্র OSM- এর পুরো কথা হল Open Series Map | বর্তমানে Servey of India নতুন কিছু সমীক্ষার মাধ্যমে ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রগুলিকে আরও সমসাময়িক করার জন্য নতুন ধরনের কিছু মানচিত্রের সংযোজন করেছেন , যা OSM নামে প্রচলিত । ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ‘ Inch sheet ‘ গুলি গুরুত্বপূর্ণ হলেও OSM sheet গুলির নৈপুণ্য ও নিখুঁত তথ্যাবলি ভৌগোলিকদেরকে বিশেষভাবে সহায়তা করছে । এক্ষেত্রে মানচিত্রের Scale পূর্বের Inch sheet- র মতোই এবং প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন সমূহে কিছু সমসাময়িক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে । সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই যে , এক্ষেত্রে UTM বা ‘ Universal Transverse Mercator’s Projection’— এই অভিক্ষেপের নিরিখে সমগ্র পৃথিবীকে বিভক্ত করে তারপর তা সমীক্ষিত হয়েছে ।
8. উপগ্রহচিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: উপগ্রহচিত্রের বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of satellite image ) :
( 1 ) FCC বা False Colour Composite : বাস্তবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির যে প্রকৃত রং ( true colour ) মানুষের চোখে ধরা পড়ে সেই উপাদানগুলি যখন উপগ্রহচিত্রে চিত্রায়িত হয় , তখন তাদের আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয় । এর জন্য সাধারণত দায়ী সূর্যালোক , বায়ুমণ্ডলের নানান পরিস্থিতি এবং তড়িৎ চৌম্বকত্ব । এই ‘ FCC ‘ বা ‘ False Colour Composite উপগ্রহচিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
( ২ ) একই স্থানের , অথচ বিভিন্ন সময়ের চিত্র গ্রহণ : উপগ্রহগুলির মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠের একই স্থানের বিভিন্ন সময়ের চিত্র গ্রহণ করা যায় , যার ফলে সেখানকার সাময়িক বৈচিত্র্য ধরা পড়ে ।
( ৩ ) একই সময়ের , অথচ বিভিন্ন স্থানের চিত্র গ্রহণ : উপগ্রহগুলি পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানের ছবি একই সময়ে তুলতে পারে , ফলে এই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানভিত্তিক তারতম্য সম্পর্কে আমরা জানতে পারি ।
( ৪ ) বিভিন্ন প্রকার Colour band- এর প্রয়োগ ; নানাপ্রকার Colour band- এর বিভিন্নতার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় । ফলে উপগ্রহ গৃহীত চিত্রগুলির মধ্যে Colour band- এর বিভিন্নতার জন্য রঙের বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের হয় । যেমন — সাধারণত Landsat উপগ্রহ চিত্রগুলিতে যে – কোনো প্রকার উদ্ভিদ লাল রঙের দেখায় । অর্থাৎ এটিই হল LANDSAT- এর Colour band- এর বৈশিষ্ট্য ।
( ৫ ) মেঘাচ্ছন্নতা বা বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য উপাদান দ্বারা ক নিয়ন্ত্রণ : বিভিন্ন বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে ভিন্ন ধরনের মেঘাচ্ছন্নতা , ঘনীভবনসহ নানান বায়ুমণ্ডলীয় কার্যকলাপ ও বায়ুমণ্ডলের হ উপাদানসমূহ , যেমন — জলীয় বাষ্প , সব ধরনের গ্যাস প্রভৃতির –র প্রভাবে উপগ্রহ গৃহীত চিত্রগুলির মধ্যে রং ও গঠনের পার্থক্য দেখা ম যায় । তবে বর্তমানে Microwave Sensor এর সাহায্যে চিত্র গ্রহণ করা হলে মেঘাচ্ছন্ন অবস্থাতেও নিখুঁত ছবি পাওয়া সম্ভব ।
( ৬ ) তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গের সক্রিয় ভূমিকা উপগ্রহচিত্র গ্রহণে যেহেতু তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে , তাই এর গুরুত্বও অপরিসীম ।
( ৭ ) দৃশ্যমান বর্ণালির ভূমিকা সূর্য থেকে আগত বর্ণালির যে অংশ মানবচক্ষুর দৃষ্টিগোচর হয় , তাই হল দৃশ্যমান বর্ণালি বা Visual Spectrum | উপগ্রহ চিত্র গ্রহণের সময় এই বর্ণালি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ।
( ৮ ) পিক্সেল ( Pixel ) কোনো Soft copy- এর ক্ষুদ্রতম অংশকে pixel বলে , অনেকগুলি pixel মিলে একটি বৃহৎ উপগ্রহ চিত্র তৈরি হয় । কোনো উপগ্রহচিত্রে যদি pixel- এর সংখ্যা বেশি হয় , তাহলে তা উচ্চমানের হয় ( high resolution ) এবং pixel সংখ্যা কম হলে তা অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের হয় । এই pixel- এর মান পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উপগ্রহটির উচ্চতার ওপর নির্ভর করে ।
( ৯ ) সময় ও তারিখের প্রয়োগ : যখনই কোনো উপগ্রহচিত্র চিত্রায়ণ করা হয় , তখনই তাতে চিত্র গ্রহণের সঠিক সময় ও তারিখ লিপিবদ্ধ করা হয় ।
9. উপগ্রহচিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো ।
Ans: উপগ্রহচিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব ( Uses and Importance of Satellite Image ) :
( ১ ) দূর সংবেদনশীলতা : ভূপৃষ্ঠের যে – সমস্ত স্থানে মানুষের পক্ষে পৌঁছোনো সম্ভব হয়ে ওঠে না , সেখানে উপগ্রহের মাধ্যমে অনায়াসেই চিত্র গ্রহণ করে স্থানগুলি সম্পর্কে আনুমানিক তথ্যও পাওয়া যায় । যেমন — তিব্বতীয় হিমালয়ের দুর্গম ও সংবেদনশীল অঞ্চলগুলি সম্পর্কে উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমেই জানা যায় ।
( ২ ) সমসাময়িক তথ্য : কৃত্রিম উপগ্রহ দ্বারা গৃহীত বিভিন্ন তথ্য অত্যন্ত সমসাময়িক , যা বিভিন্ন ধরনের ভৌগোলিক ও বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।
( ৩ ) ভূপ্রকৃতি সংক্রান্ত তথ্য : ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত বিভিন্ন নদী , নদীর গতি , পাহাড় – পর্বত , মালভূমি , সমভূমি , বদ্বীপ প্রভৃতি সব ধরনের ভূপ্রকৃতির বিস্তার ও বণ্টন সম্পর্কে বিশদ ধারণা পাওয়া যায় ।
( ৪ ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত গুরুত্ব নানান ধরনের আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য থেকে শুরু করে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত পূর্বাভাসও এই উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে পাওয়া যায় ।
( ৫ ) ভূমির ব্যবহার ও ভূআবরণে পরিবর্তন : কোনো দেশের শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ভূমির ব্যবহারের ( Land use ) পরিবর্তন এবং বনাঞ্চল ও মরু অঞ্চলের ( Land cover ) আয়তনের হ্রাসবৃদ্ধির কালানুক্রমিক পরিবর্তন উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে ধরা যায় ( Change detection ) ।
( ৬ ) নগরায়ণের বহিঃপ্রকাশ : পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানগুলিতে প্রতিনিয়ত নগরায়ণের হ্রাসবৃদ্ধি , সেখানকার বসতি , যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে নানান তথ্য উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে পাওয়া যায় । এ ছাড়াও
( ৭ ) একটি উপগ্রহচিত্র ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৩০০ বর্গকিমি অঞ্চলকে প্রদর্শিত করে । ফলে একসাথে অনেক বড়ো স্থানের ভূপ্রাকৃতিক ধারণা পাওয়া যায় ।
( ৮ ) ভূমির ব্যবহার , বনভূমির বিস্তার , বনভূমির উদ্ভিদের প্রজাতি , দাবানলের ফলে ক্ষতির হিসাব , কৃষিক্ষেত্রের প্রসার , শস্য উৎপাদন ও শস্যের ক্ষতির হিসাবও উপগ্রহচিত্র থেকে বোঝা যায় ।
( ৯ ) সমুদ্রের স্রো [ দিকনির্ণয় , সমুদ্রপৃষ্ঠের উন্নতা , সমুদ্রপৃষ্ঠের জলতলের মান , সমুদ্রে বরফের পরিমাণও উপগ্রহচিত্র থেকে পাওয়া যায় এবং
( ১০ ) সবশেষে বলা যায় , উপগ্রহচিত্র ডিজিট্যাল ফর্মে পাওয়া যায় । বলে এদেরকে সহজেই কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় । সুতরাং , এ কথা বলা যেতে পারে যে , ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের ব্যাবহারিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে উপগ্রহ চিত্রগুলির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তবে উপগ্রহচিত্রেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে । তাই , ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ও উপগ্রহচিত্র আসলে একে অপরের পরিপূরক ।
SOURCE-BHUGOLSHIKSHA.COM
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
পার্থক্য নিরূপণ করো
উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়)
ভু – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো ।
বিষয় | ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র | উপগ্রহচিত্র |
নামকরণ | সাধারণত ভূপ্রকৃতিগত নানান বৈচিত্র্যকে এই ধরনের ও মানচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় , তাই এর নাম ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ( Topography শব্দের অর্থ ভূপ্রকৃতি ) । | এক ধরনের চিত্র কিন্তু কোনো মানচিত্র নয় । উপগ্রহ প্রেরিত দূর সংবেদী চিত্র , তাই এর নাম উপগ্রহচিত্র । |
নমনীয়তা | তথ্য ডিজিটল নয় বলে কম্পিউটারে ব্যবহার সম্ভব নয় । | তথ্য ডিজিটল বলে Computer- এ ব্যবহার করা যায় । |
নাম, প্রতীক চিন্হ ও তথ্য | এই ধরনের মানচিত্রে বিভিন্ন স্থানের নাম ও এ প্রতীকচিহ্নের ব্যবহার করা হয় এবং অক্ষরেখা & দ্রাঘিমারেখাসহ প্রশাসনিক এলাকা উল্লেখিত থাকে । | এই ধরনের চিত্রে কোনো স্থানের নাম লেখা থাকে না এবং প্রতীক চিহ্নও থাকে না । তবে অক্ষাংশ , দ্রাঘিমাংশ , পথ ও সারি এই সব – এর উল্লেখ থাকে । |
রঙের ব্যবহার | কৃষিজমির ক্ষেত্রে হলুদ , বনভূমি বোঝাতে সবুজ , এ নিত্যবহ নদী বা জলাশয় নির্দেশ করতে নীল রঙের ও ব্যবহার করা হয় । | এই চিত্রে প্রাথমিক তিনটি রং লাল ( Red ) , সবুজ ( Green ) ও নীল ( Blue ) বা সংক্ষেপে RGB ব্যবহার করা হয় । এই চিত্রে সাধারণত কৃত্রিম রঙের সমাহার ( false colour composite ) ব্যবহার করা হয় । যেমন – এখানে সবুজ উদ্ভিদ লাল রঙের দেখায় । |
গুণগত মনের পরিবর্তন | একবার ছাপা হয়ে গেলে এই মানচিত্রের আর কোনো পরিবর্তন করা যায় না । | ছোটো স্কেলে এবং Resolution বাড়ালে এই চিত্র অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে । |
সমীক্ষার পদ্ধতি | নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে যন্ত্রপাতির সাহায্যে জমি জরিপ করে মানচিত্রায়ন বলা হয় । | জমি বা তার উপরের কোনো বস্তুকে স্পর্শ না করে । অনেক দূর থেকে সংবেদনের মাধ্যমে ( Remote sensing ) চিত্রায়ন করা হয় । |
তাৎক্ষণিক গুরুত্ব | যেহেতু এগুলি বহুদিন আগে নির্মিত , তাই এগুলি তথ্যে ভরপুর হলেও তা সমসাময়িক নয় । | এগুলি সম্পূর্ণভাবে সমসাময়িক , তাই এদের তাৎক্ষণিক গুরুত্ব বেশি । |
SOURCE-BHUGOLSHIKSHA.COM