ষষ্ঠ শ্রেণী

বিষয়-বাংলা

অধ্যায় – ১

ভরদুপুরে কবিতা 

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 

প্রশ্ন ও উত্তর   

 সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ)

১।নৌকার খোলের মধ্যে বোঝাই করা আছে-

ক)খড়ের আঁটি

খ)ঘাসের আঁটি

গ)সবুজ ডালের আঁটি

উত্তর:ক)খড়ের আঁটি

২। ভরদুপুরে লোকগুলো কোথায় ঘুমাচ্ছে?

ক)গাছের নিচে

খ)ঘাসের গালিচায়

গ)যে যার ঘরে

 উত্তর:গ) যে যার ঘরে

৩।ভরদুপুরে আঁচল পেতে ঘুমাচ্ছে?

ক) বিশ্বলোক 

খ)বিশ্বভবন 

গ)বিশ্বপ্রকৃতি

ঘ) বিশ্বজগত

উত্তর:(গ) বিশ্বপ্রকৃতি

৪।চরছে দূরে-

ক)গরু

খ)গরু-বাছুর 

গ)বাছুর

ঘ। পাগল গরু

উত্তর:(খ)গরু বাছুর

৫।গাছের তলায় আদর করে কিসের গালচে পাতা হয়েছে?

ক)পাতার

 খ)মাটির 

গ)ঘাসের

ঘ) ফুলের

উত্তর:(গ)ঘাসের

 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)

১। অশ্বথ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন?

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রচিত’ভরদুপুরে,কবিতায়,ক্লান্ত পথিকরা গ্রীষ্মের দুপুরে রোদ থেকে বাঁচতে অশ্বথ গাছের তলায় আশ্রয় নেয় বলে,অশ্বথ গাছকে,পথিকদের ছাতা,বলা হয়েছে।

২। রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কি দেখছে?

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রচিত’ভরদুপুরে,কবিতায় রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে মাথার উপরে নীল আকাশে মেঘেদের আনাগোনা দেখছে।

৩। নদীর ধারের কোন দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে?

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রচিত ‘ভরদুপুরে,কবিতায় নদীর ধারে শুকনো ঘরের আঁটি বোঝায় একটি বড় নৌকা বাঁধা রয়েছে,সেই দৃশ্য আলোচ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে।

৪। রাখাল কোথায় শুয়ে কি দেখছে?তার গরুবাছুর গুলো কোথায়?

উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রচিত ‘ভরদুপুরে,কবিতায় রাখাল গাছের তলায় শুয়ে দেখছে মেঘগুলো কেমন আকাশটাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।তার গরু বাছুর গুলো দূরে চড়ছে।

৫।’মেঘগুলো যায় আকাশটাকে ছুঁয়ে’-কার চোখে এই দৃশ্য ধরা পড়েছে?

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রচিত’ভরদুপুরে,কবিতায় গাছের তলায় নরম ঘাসের উপরে শুয়ে থাকা রাখালের চোখে আকাশ ছুঁয়ে মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য ধরা পড়েছে।

 সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১।ভোর দুপুরবেলা রাখাল কোথায় শুয়ে থাকে?সে কি দেখতে পায়?

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রচিত ‘ভরদুপুরে,কবিতায়,রাখাল বালক গাছের তলায় শুয়ে থাকে। আলোচ্য কবিতায়,অলস দুপুরে যখন দূরের মাঠে গরুবাছুর চরে বেড়ায়,তখন ক্লান্ত রাখাল গাছের তলায় সবুজ ঘাসের বিছানায় শুয়ে মাথার উপরে নীল আকাশটাকে দেখে।সে দেখে,মেয়েগুলো আকাশের গা আলতো করে ছুঁয়ে উড়ে যায়,দূরে নদীর ধারে বাধা একখানি বড় নৌকায় রাখা রয়েছে শুকনো খড়ের আটিঁ।

২।”তলায় ঘাসের গালচেখানি /আদর করে পাতা”- এ কথার মাধ্যমে কি বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত ‘ভরদুপুরে,কবিতায় গরমের দুপুরে অশ্বত্থ গাছ পথিকজনের বিশ্রাম স্থল হয়ে ওঠে।অশ্বথ গাছের নিচে ঘাসের নরম আস্তরণে পথিক  আনন্দে বিশ্রাম নেয়। গালিচা যেমন আরামদায়ক ও নরম হয়,ঘাসের আস্তরণ ও তেমনি নরম ,-এমন কথাই বোঝানো হয়েছে।

 বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর

১। নিচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখ।

১.১’আঁচল পেতে বিশ্বভবন ঘুমোচ্ছে ,-এখানে কবির এমন ভাবনার কারণ কি?

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত’ভরদুপুরে,কবিতায় কবি গ্রাম বাংলার এক অলস  দুপুরবেলাকার ছবি এঁকেছেন।যেখানে বড়ো বড়ো শহরের কোলাহল নেই,আছে মনকে শান্ত করা মনোরম উদার গগন বা বাগান। ছাতার মতো দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বথগাছ,ঘাসের  চাদর,রাখাল ও তার গরু বাছুর,আকাশ,খড়ের আঁটি বোঝায় নৌকা,বাতাসে বয়ে চলা সবকিছু মিলেমিশে দুপুরের নির্জনতা গ্রামবাংলার পরিবেশ আরো নিশ্চুপ করে তুলেছে। কবির মনে হয়েছে,সারা পৃথিবী যেন,সবকিছু ভুলে এক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।যে ঘুম মানুষকে আবার নতুন কাজ করতে উৎসাহ দেয়।বিশ্রামে মানুষ নতুন করে প্রাণ পায়,নতুন শক্তি অর্জন করে।নতুন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে,তাই বিশ্রামের জন্য ঘুমকে আহবান করতে হয়।এই  ঘুম খুব সুন্দর। কবির চোখে এই সৌন্দর্য ধরা পড়েছে,যেখানে প্রকৃতি আর মানুষ একসঙ্গে ঘুমাচ্ছে।তাই কবি লিখেছেন’আঁচল পেতে বিশ্বভবন ঘুমাচ্ছে এইখানে’।

২।’ভরদুপুরে,কবিতায় গ্রাম বাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।কবিতায় ফুটে  ওঠা সেই ছবিটি কেমন লেখ।

উত্তর:নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত’ভরদুপুরে,কবিতায় কবি এক অলস,শান্ত দুপুরের ছবি তুলে  ধরেছেন।দুপুরে অশ্বথ গাছের ছায়ায় শুয়ে এক রাখাল বালক আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘেদের আকাশকে ছুঁয়ে যাওয়া দেখছে।দূরে চরে বেড়াচ্ছে গরু-বাছুরের দল।হালকা  বাতাসে মাঠের মিহি ধুলো উড়িয যাচ্ছে।নদীর কূলে কাদের যেন খড় বোঝায় নৌকা দাঁড়িয়ে রয়েছে, নৌকা চালানোর মতো তখন কাউকে দেখা যাচ্ছে না।বিশ্ব কেন এখানে শান্তির আঁচল ছড়িয়ে দিয়ে অবস্থান করছে।বড়ো বড়ো শহরের কলহল মুখরতা থেকে এই গ্রাম্য জীবন অনেক আলাদা।

 

©kamaleshforeducation.in(2023)

 

error: Content is protected !!