এটা ছিল একজন রাজার কন্যার স্বয়ম্বর। কন্যার একটি শর্ত ছিল যে যে 20 গণনা করতে পারে সে রাজকন্যার স্বামী হবে। গণনা এমন হওয়া উচিত যাতে সমগ্র বিশ্বকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যে কেউ গণনা করতে পারে না তাকে 20 বার বেত্রাঘাত করতে হবে। এই শর্ত শুধুমাত্র রাজাদের জন্য ছিল।
এখন একদিকে রাজকন্যার পছন্দ আর অন্যদিকে চাবুক! একে একে রাজা-সম্রাটরা এলেন। রাজাও একটা ভোজের আয়োজন করলেন। মিষ্টি এবং বিভিন্ন খাবার প্রস্তুত করা হয়। প্রথমে সবাই ভোজ উপভোগ করে, তারপর রাজকন্যার স্বয়ম্বর সমাবেশে শুরু হয়।
আসেন একাধিক রাজা-সম্রাট। সবাই যে গণনাটি পড়েছিল তা আবৃত্তি করেছিল, কিন্তু রাজকন্যাকে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন একটি গণনা কেউ আবৃত্তি করতে পারেনি।
এখন যে আসতো চাবুক খেয়ে চলে যেত। কিছু রাজা একেবারেই এগিয়ে আসেননি। তিনি বলেন, গুনতে গুনতে হচ্ছে, আমাদের সবাইকে মার খেয়ে মজা নষ্ট করছে।
এই সব দৃশ্য দেখে একজন মিষ্টান্নকারী হাসতে লাগল। সে বলে, “ডুব, রাজারা, তোমরা সবাই 20 গুনতে পারবে না!”
একথা শুনে সকল রাজারা তাকে শাস্তি দিতে বলতে লাগলেন। রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি গণনা জানো? যদি জান, তবে বল।”
মিষ্টান্নকারী বলে, “হে মহারাজ, আমি যদি গণনা বলি, রাজকন্যা কি আমাকে বিয়ে করবে? কারণ আমি আপনার সমকক্ষ নই এবং এই স্বয়ম্বরও কেবল রাজাদের জন্য। তাহলে গণনা বলে কি লাভ হবে?”
কাছে দাঁড়িয়ে থাকা রাজকন্যা বলে, “ঠিক আছে, তুমি গণনা করতে পারলে আমি তোমাকে বিয়ে করব। আর যদি না পার, তোমার মৃত্যুদণ্ড হবে।”
সবাই দেখছিল আজ মিষ্টান্নের মৃত্যু নিশ্চিত। মিষ্টান্নকে গুনতে বলা হল।
রাজার অনুমতি নিয়ে মিষ্টান্ন গুনতে লাগলো.. এক ঈশ্বর, দুই দল, তিন জগৎ, চার যুগ, পাঁচ পাণ্ডব, ছয় শাস্ত্র, সাত বার, আট ভাগ, নয়টি গ্রহ, দশ দিক, এগারোটি রুদ্র, বারো মাস, তেরো রত্ন, চৌদ্দ বিদ্যা, পনেরো তিথি, ষোলো শ্রাদ্ধ, সতেরো বনস্পতি, আঠারো পুরাণ, উনিশতম তুমি আর বিংশ আমি…
সবাই স্তব্ধ হয়ে গেল। রাজকুমারী মিষ্টান্নকারীকে বিয়ে করে। জগতের সকল বস্তুই এই গণনায় বিদ্যমান।
*শিক্ষা:-*
এখানে শিক্ষার চেয়ে অভিজ্ঞতা বড়।
*সদা হাসিখুশি থাকুন – যা অর্জন করাই যথেষ্ট।* *যার মন খুশি তার সবই আছে।