***সুন্দর গল্পে উপদেশ***
*
আজকের অনুপ্রেরণামূলক গল্প
***
কৃষকের ঘড়ি!!*
~~~~~ ~~~~
এটা একদিনের ব্যাপার ছিল। একজন কৃষক তার ক্ষেতের কাছে অবস্থিত শস্যের গুদামে কাজ করছিলেন। কাজের সময় কোথাও তার ঘড়ি হারিয়ে গেছে। সেই ঘড়িটি তার বাবা তাকে উপহার দিয়েছিলেন। এই কারণে, তার সাথে তার একটা মানসিক সম্পর্ক ছিল। সে ঘড়িটি খুঁজে বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। আমি ঘরের প্রতিটি কোণে খুঁজলাম কিন্তু ঘড়িটি পেলাম না। হতাশ হয়ে সে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। সেখানে সে কিছু বাচ্চাকে খেলতে দেখল। তিনি কাছের বাচ্চাদের ডেকে তাদের বাবার ঘড়ি খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিলেন।
ঘড়িটি খুঁজে পাওয়া ব্যক্তিকে পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। পুরষ্কারের প্রলোভনে পড়ে, বাচ্চারা তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গেল। ঘরের ভেতরে যাওয়ার পর বাচ্চারা ঘড়িটি খুঁজতে শুরু করে। এখানে-ওখানে, এখানে-ওখানে, সর্বত্র খোঁজাখুঁজির পরেও আমি ঘড়িটি খুঁজে পাইনি। বাচ্চারা ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিল। কৃষক এখন ঘড়িটি পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলল। বাচ্চারা চলে যাওয়ার পর, সে বিষণ্ণভাবে প্রাসাদে বসে রইল। তারপর একটি শিশু ফিরে এসে কৃষককে বলল যে সে আবার ঘড়িটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে চায়। কৃষক রাজি হলেন।
শিশুটি ঘরের ভেতরে গেল এবং কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এল। তার হাতে ছিল কৃষকের ঘড়ি। কৃষক যখন ঘড়িটি দেখল, তখন সে খুব খুশি হল। সে ভাবলো, বাচ্চাটা কিভাবে সেই ঘড়িটা পেল যেটা অন্য সবাই খুঁজে পায়নি? জিজ্ঞাসা করা হলে, শিশুটি জানায় যে ঘরের ভেতরে যাওয়ার পর, সে এক জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনতে শুরু করে। নীরবতার মধ্যে সে ঘড়ির টিকটিক শব্দ শুনতে পেল এবং সেই শব্দের দিকে খুঁজতে খুঁজতে সে ঘড়িটি খুঁজে পেল। কৃষক শিশুটির প্রশংসা করলেন এবং তাকে পুরষ্কার দিয়ে বিদায় দিলেন।
*নৈতিকতা:-*
শান্তি আমাদের মন ও মস্তিষ্ককে কেন্দ্রীভূত করে এবং মনের এই ঘনীভূত অবস্থা জীবনের দিক নির্ধারণে সহায়ক। সেইজন্য আমাদের দিনের বেলায় এমন কিছু সময় বের করতে হবে যখন আমরা চুপচাপ বসে ধ্যান করতে পারি। অন্যথায় আমরা এই কোলাহলপূর্ণ পৃথিবীতে আটকে থাকব।
আমরা কখনই নিজেদের বা আমাদের মনকে জানতে পারব না। আমরা কেবল বিশ্বের পশুপালক মানসিকতা অনুসরণ করেই যাব। যখন আমরা চোখ খুলব, তখন আমরা কেবল অনুশোচনা করব যে আমরা কীভাবে আমাদের জীবনের এই দিকটি বেছে নিয়েছি। আমরা অন্য কিছু চেয়েছিলাম কিন্তু বাস্তবে আমরা কেবল সেই জিনিসটাই করেছি যা পৃথিবী বলেছে। আমরা আমাদের ভেতরের কণ্ঠস্বর শোনার জন্যও সময় বের করিনি।
*সর্বদা খুশি থাকো – তোমার যা আছে তাই যথেষ্ট।*
*যার মন খুশি – তার সবকিছুই আছে।*












