রাত ছিল। চারিদিকে সম্পূর্ণ অন্ধকার। একটি মাত্র ঘরে আলো ছিল। সেখানে চারটি মোমবাতি জ্বলছিল।
নির্জনতা দেখে চারজন মোমবাতি নিজেদের মধ্যে কথা বলতে লাগল। প্রথম মোমবাতিটি বলল, “আমি শান্তি, যখন আমি এই পৃথিবীর দিকে তাকাই, আমার খুব খারাপ লাগে। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, লুটপাট আর হানাহানি। এমন পরিস্থিতিতে এখানে বসবাস করা খুবই কঠিন। আমি এখানে আর থাকতে পারব না।” এই বলে মোমবাতি নিভে গেল।
দ্বিতীয় মোমবাতিটিও তার মনের কথা বলতে শুরু করে, “আমি একজন বিশ্বাসী, আমি অনুভব করি যে মিথ্যা, প্রতারণা, প্রতারণা এবং অসততা আমার অস্তিত্বকে ধ্বংস করছে। এই জায়গাটা আর আমার জন্য উপযুক্ত নয়। আমিও যাচ্ছি।” এই বলে দ্বিতীয় মোমবাতিটাও নিভে গেল।
তৃতীয় মোমবাতিটিও দুঃখজনক ছিল। তিনি বলেন, “আমি প্রেম, আমি প্রতি মুহূর্তে সবার জন্য জ্বলতে পারি। কিন্তু এখন আমার জন্য কারো সময় নেই। স্বার্থপরতা আর ঘৃণার অনুভূতি আমার জায়গা করে নিচ্ছে। নিজের মানুষের প্রতিও মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার অনুভূতি অবশিষ্ট ছিল না। এখন আমি এটা সহ্য করতে পারছি না। আমার যাওয়াটাই ভালো হবে।” এই বলে তৃতীয় মোমবাতিটাও নিভে গেল।
তৃতীয় আলো নিভে যেতেই একটি শিশু ঘরে ঢুকল। মোমবাতিগুলো নিভে যাওয়া দেখে তার খুব খারাপ লাগল। তার চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে লাগল। সে দুঃখের সাথে বলল, মাঝরাতে আঁধার সৃষ্টি করে তুমি আমার জীবনকে এভাবে ছেড়ে দিলে কেমন করে? শেষ অবধি পুরোপুরি জ্বলতে হয়েছিল। কিন্তু তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে। আমি এখন কি করব?”
শিশুটির কথা শুনে চতুর্থ মোমবাতিটি বলল, “চিন্তা করো না শিশু, আমি আশাবাদী এবং আমি তোমার সাথে আছি। যতক্ষণ আমি জ্বলছি, আপনি আমার শিখা দিয়ে অন্য মোমবাতি জ্বালাতে পারেন।”
চতুর্থ মোমবাতির কথা শুনে ছেলেটি সান্ত্বনা অনুভব করল। তিনি আশার সাথে শান্তি, বিশ্বাস এবং ভালবাসা পুনরায় জাগিয়েছিলেন।
*শিক্ষা:-*
জীবনে সময় একরকম থাকে না। কখনো আলো, কখনো অন্ধকার। যখন জীবনে অন্ধকার আসে, মন বিচলিত হয়, বিশ্বাস দোলাতে থাকে এবং পৃথিবীকে বিজাতীয় মনে হয়। তারপর আশার প্রদীপ জ্বালান। যতদিন আশার প্রদীপ জ্বলতে থাকবে, জীবনে অন্ধকার থাকবে না। আশার জোরে জীবনে সব কিছু অর্জন করা যায়। তাই কখনো আশা ছাড়বেন না।
*সদা হাসিখুশি থাকুন – যা অর্জন করাই যথেষ্ট।* *যার মন খুশি তার সবই আছে।