একবার স্বামী বিবেকানন্দকে বানরের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তিনি অনেক সময়ে এই গল্পটি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে বর্ণনা করতেন। এই অভিজ্ঞতার সদ্ব্যবহার করার কথাও বলেছেন তারা।
সেই দিন স্বামীজী কাশীতে ছিলেন, তিনি একটি সরু রাস্তায় যাচ্ছিলেন। সামনে এল একদল বানর। তাদের এড়াতে স্বামীজি পিছন দিকে দৌড়ে গেলেন। কিন্তু তাদের আক্রমণ থামাতে পারেনি। বানররা শুধু তার জামাকাপড়ই ছিঁড়ে ফেলেনি, তার শরীরে অনেক আঁচড়ও দিয়েছে। দু-তিন জায়গায় গর্তও ছিল। আওয়াজ শুনে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি জানালা দিয়ে তাঁকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে বললেন – “স্বামীজী! থামো, দৌড়াও না। আপনার মুঠি উঁচু করে তাদের দিকে এগিয়ে যান। “স্বামীজীর পা থেমে গেল। তিনি তার মুঠিটি ব্রান্ডিশ করার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেন। বানরগুলোও ভয় পেয়ে এদিক ওদিক ছুটল। স্বামীজী খুব আরামে রাস্তা পার হলেন।
এই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে স্বামীজী তাঁর বন্ধু ও শিষ্যদের বলতেন – “বন্ধুগণ! প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদের দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো উচিত এবং পালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। আপনার মুষ্টি পাম্প. সোজা হও। এগিয়ে যান। পিছিয়ে যাবেন না। সাফল্য আমাদের পায়ের কাছে থাকবে।” বাস্তবে, সমস্যাটি পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নয়, এর মুখোমুখি হয়ে শেষ হয়। সমস্যা তাদের তাড়া করে যারা বানরের মত পালিয়ে যায়।
*শিক্ষা:-*
এই অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় যে আমাদের ব্যর্থতায় বিভ্রান্ত ও হতাশ হওয়া উচিত নয়। সাফল্য অবশ্যই সংকল্প এবং সাহসের সাথে আসে।
*সদা হাসিখুশি থাকুন – যা অর্জন করাই যথেষ্ট।* *যার মন খুশি তার সবই আছে।