জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী
মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর |
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল।
জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী
– MCQ, SAQ, Short, Descriptive Question and Answer
শ্রেণী |
দশম শ্রেণী (মাধ্যমিক) |
বিষয় |
মাধ্যমিক বাংলা |
গল্প |
জ্ঞানচক্ষু |
লেখক |
আশাপূর্ণা দেবী |
Kamaleshforeducation.in- এর তরফ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টটি থেকে যদি আপনি লাভবান হন তাহলে পরিশ্রম সফল হবে। যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিজেকে তথ্যসমৃদ্ধ করে তুলুন, ধন্যবাদ।
MCQ | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী
– মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন |
Madhyamik Bengali gyanchokhu Suggestion :
=====================================================
1. তপন দ্যাখে মেসোর মুখে –
(A) ঠাট্টার আভাস
(B) বিষাদের ছায়া
(C) বিরক্তির প্রকাশ
(D) করুণার ছাপ
Answer : (D) করুণার ছাপ
2. তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় । এখানে যার কথা বলা হয়েছে , সে হল –
(A) ছোটোমাসি
(B) তপন
(C) মেজোকাকু
(D) মা
Answer : (B) তপন
3. ‘ আমি বললে সন্ধ্যাতারার সম্পাদক না করতে পারবে না। এখানে বক্তা হলেন –
(A) তপনের বাবা
(B) তপনের ছোটোমামা
(C) তপনের মেজোকাকু
(D) তপনের ছোটোমেসো
Answer : (D) তপনের ছোটোমেসো
4. তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা উঠেছিল—
(A) বৈঠকখানায়
(B) বিকেলে চায়ের টেবিলে
(C) রাতে খাবার টেবিলে
(D) দুপুরে খাবার টেবিলে
Answer : (B) বিকেলে চায়ের টেবিলে
5. তপনের গল্প শুনে সবাই –
(A) হাসে
(B) দুঃখ পায়
(C) বিরক্ত হয়
(D) রেগে যায়
Answer : (A) হাসে
6. ‘ না না আমি বলছি- তপনের হাত আছে ।’— এখানে তপনের ‘ হাত আছে বলতে বোঝানো হয়েছে—
(A) তপনের লেখার হাত আছে
(B) বিয়েবাড়িতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় তপনের ভূমিকা আছে
(C) তপনের বেহালা বাজানোর হাত আছে
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় লেখা ছাপানোয় তপনের হাত আছে
Answer : (A) তপনের লেখার হাত আছে
7. না – না আমি বলছি- তপনের হাত আছে ।’- এখানে বক্তা হলেন
(A) তপনের ছোটোমেসো
(B) তপনের ছোটোমাসি
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(D) তপনের মেজোকাকু
Answer : (A) তপনের ছোটোমেসো
8. ‘ তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে । যাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলা হয়েছে , সে হল –
(A) তপন
(B) ছোটোমেসো
(C) ছোটোমাসি
(D) ছোটোমামা
Answer : (A) তপন
9. তপনের লেখাটা ছাপতে দেওয়ার আগে যা করা দরকার , তা –
(A) নতুন করে লেখা
(B) টাইপ করিয়ে নেওয়া
(C) একটু কারেকশন করা
(D) পরিষ্কার হাতের লেখায় লেখা
Answer : (C) একটু কারেকশন করা
10. ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা । যে বিষয়টিকে তপন ঠাট্টা বলে মনে করে , তা হল –
(A) তার লেখা গল্প ছাপতে দেওয়া
(B) তার লেখা গল্প ছাপার অযোগ্য
(C) ছোটোমেসোর অনেক বই ছাপা হয়েছে
(D) ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছে
Answer : (A) তার লেখা গল্প ছাপতে দেওয়া
11. সাধারণত তপনের বয়সি ছেলেমেয়েদের লেখা গল্পের বিষয় হয় –
(A) রূপকথা
(B) ভৌতিক ঘটনা
(C) খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট অথবা না – খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ।
(D) ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা
Answer : (A) রূপকথা
12. তপন যে – বিষয়টি নিয়ে গল্প লেখে সেটি হল –
(A) খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট
(B) ওর ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
(C) ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা (D) রূপকথা
Answer : (B) ওর ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
13. ‘ তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায় । – তপনের দৃষ্টিতে যা ছিল , তা হল –
(A) কষ্ট
(B) অবিশ্বাস
(C) রাগ
(D) দুঃখ
Answer : (B) অবিশ্বাস
14. ছুটি ফুরোলে গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন –
(A) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(B) তপনের মেজোকাকু
(C) তপনের ছোটোমাসি
(D) তপনের ছোটোমেসো
Answer : (D) তপনের ছোটোমেসো
15. মেসো চলে গেলে তপন বসে বসে দিন গোনে
(A) উদ্বিগ্ন হয়ে
(B) আতঙ্কিত হয়ে
(C) কৃতার্থ হয়ে
(D) আনন্দিত হয়ে
Answer : (C) কৃতার্থ হয়ে
16. ছেলেবেলা থেকেই তপন গল্প শুনেছে—
(A) একটা – আধটা
(B) রাশি রাশি
(C) বাবার মুখে
(D) ঠাকুমার মুখে
Answer : (B) রাশি রাশি
17. এখন তপন গল্প পড়ছে—
(A) রাশি রাশি
(B) ঝুড়ি ঝুড়ি
(C) বস্তা বস্তা
(D) হাতে গোনা
Answer : (C) বস্তা বস্তা
18. শুধু এইটাই জানা ছিল না । অজানা বিষয়টি হল
(A) মেসো একজন লেখক
(B) তার গল্প ছাপা হবে
(C) মানুষই গল্প লেখে
(D) সে গল্প লিখতে পারে
Answer : (C) মানুষই গল্প লেখে
19. তপন আস্তে আস্তে উঠে গেল –
(A) চিলেকোঠায়
(B) তিনতলার সিঁড়িতে
(C) দোতলার সিঁড়িতে
(D) ছাদে
Answer : (B) তিনতলার সিঁড়িতে
20. তপন আস্তে আস্তে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গেল
(A) ব্যাটবল নিয়ে
(B) রং – তুলি নিয়ে
(C) গুলতি নিয়ে l
(D) খাতা – কলম নিয়ে
Answer:(D) খাতা – কলম নিয়ে
21. বিয়েবাড়িতেও তপনের মা যেটি না – আনিয়ে ছাড়েননি , সেটি
(A) বেনারসি শাড়ি
(B) সোনার গয়না
(C) পড়ার বই
(D) হোমটাস্কের খাতা
Answer : (D) হোমটাস্কের খাতা
22. গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের ।’- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল –
(A) অন্ধকারে কাউকে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে
(B) নিজের লেখা গল্প পড়ে
(C) ছাপার হরফে নিজের লেখা পড়ে
(D) নিঝুম দুপুরে একলা ঘরে ভূতের গল্পঃ পড়ে
Answer : (B) নিজের লেখা গল্প পড়ে
23. মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল –
(A) ছোটোমাসির
(B) তপনের
(C) ছোটোমেসোর
(D) তপনের মায়ের
Answer : (B) তপনের
24. তপন গল্প লিখে প্রথম জানিয়েছিল
(A) ছোটোমামাকে
(B) ছোটোমেসোকে
(C) ছোটোমাসিকে
(D) ছোটকাকাকে
Answer : (C) ছোটোমাসিকে
25. তপনের চিরকালের বন্ধু –
(A) মা
(B) ছোটমাসি
(C) বাবা
(D) ছোটমামা
Answer : (B) ছোটমাসি
26. ছোটোমাসি তপনের থেকে বড়ো ছিল—
(A) পাঁচ বছরের
(B) আট বছরের
(C) সাত বছরের
(D) দশ বছরের
Answer : (B) আট বছরের
27. মামার বাড়ি এলে তপনের সব কিছুই –
(A) দাদুর কাছে
(B) দিদার কাছে
(C) ছোটোমামার কাছে
(D) ছোটোমাসির কাছে
Answer : (D) ছোটোমাসির কাছে
28. বিয়ের পর ছোটোমাসি হয়ে গেছে –
(A) একটু মুরুব্বি মুরুব্বি
(B) একটু মোটা
(C) একটু গম্ভীর
(D) একটু রোগা
Answer : (A) একটু মুরুব্বি মুরুব্বি
29. ওমা এ তো বেশ লিখেছিস রে ? ‘ – এখানে বক্তা
(A) তপনের ছোটোমামা
(B) তপনের মেজোকাকু
(C) তপনের ছোটোমাসি
(D) তপনের ছোটোমেসো
Answer : (C) তপনের ছোটোমাসি
30. ‘ কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো ? — এ কথা বলেছেন
(A) মা ছোটোমাসিকে
(B) ছোটোমাসি মাকে
(C) ছোটোমাসি তপনকে
(D) ছোটোমেসো তপনকে
Answer : (D) ছোটোমেসো তপনকে
31. ঠাট্টা – তামাশার মধ্যেই তপন গল্প লিখে ফ্যালে আরও—
(A) দু – তিনটে
(B) তিন – চারটে
(C) পাঁচটা
(D) একটা
Answer : (A) দু – তিনটে
32. ‘ যেন নেশায় পেয়েছে ।’— যাকে নেশায় পেয়েছে , সে হল –
(A) ছোটোমামা
(B) তপন
(C) ছোটোমেসো
(D) বাবা
Answer : তপন ।
33. ‘ যেন নেশায় পেয়েছে ।’— তপনকে কীসের নেশায় পেয়েছে ?
(A) ক্রিকেট খেলার
(B) গল্প লেখার
(C) গান শোনার
(D) টিভি দেখার
Answer : (B) গল্প লেখার
34. ‘ এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা ।’— ঘটনাটি হল—
(A) ছোটোমাসির বিয়ে
(B) তপনের গল্প লেখা
(C) মেসোকে গল্প পড়ানো
(D) তপনের গল্প ছাপা হওয়া
Answer :তপনের গল্প ছাপা
35. ‘ বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের ।’- এর কারণ –
(A) ছোটোমাসি – মেসোর হঠাৎ আগমন
(B) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপার সম্ভাবনা
(C) দীর্ঘদিন পর তার চিরকালের বন্ধু ছোটমাসির সাথে দেখা হয়
(D) তার লুকিয়ে গল্পঃ লেখার কথা প্রকাশ্যে এসে যাওয়া ।
Answer : (A) ছোটোমাসি – মেসোর হঠাৎ আগমন
36. ‘ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? ‘ — অলৌকিক ঘটনাটি হল – (A) এক লেখকের সঙ্গে তপনের ছোটোমাসির বিয়ে হয়েছে
(B) বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(C) তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
(D) তপন দেখল ছাপানো গল্পের একটি লাইনও তার নিজের নয় ।
Answer:C) তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
37. তপনের সম্পূর্ণ নাম ছিল –
(A) তপনকান্তি রায়
(B) তপনকুমার রায়
(C) তপনকুমার সেন
(D) তপন রায়
Answer : (B) তপনকুমার রায়
38. তপনের লেখা গল্পের নাম ছিল –
(A) প্রথম দিন
(B) প্রথম পরীক্ষা
(C) শেষ দিন
(D) শেষ রাত
Answer : (A) প্রথম দিন
39. গল্প লেখার জন্য তপনের বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে –
(A) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(B) সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
(C) কবি , গল্পকার , কথাশিল্পী
(D) কবি , নাট্যকার , ঔপন্যাসিক
Answer : (A) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী
40. ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— যে – কথাটি ছড়িয়ে পড়ে , সেটি হল— (A) তপনের গল্প লেখার কথা
(B) তপনের গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছেপে বেরোনোর কথা
(C) তপনের লেখা ছোটোমেসোর কারেকশন করে দেওয়ার কথা
(D) তপনের পরীক্ষায় পাসের কথা
Answer : (C) তপনের লেখা ছোটোমেসোর কারেকশন করে দেওয়ার কথা
41. আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম ।’- উক্তিটির বক্তা –
(A) ছোটোমাসি
(B) তপনের বন্ধুরা
(C) মেজোকাকু
(D) মেসো
Answer : (C) মেজোকাকু
42. তপনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ছোটোমাসি খায়—
(A) চা – বিস্কুট
(B) মাংস – ভাত
(C) ডিমভাজা আর চা
(D) কফি আর কেক
Answer : (C) ডিমভাজা আর চা
43. তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসে ছোটোমেসো খান—
(A) শুধু কফি
(B) কেক আর কফি
(C) ডিমভাজা আর চা
(D) ডিমভাজা আর কফি
Answer :(C) ডিমভাজা আর চা
44. ‘ কই তুই নিজের মুখে একবার পড় তো তপন শুনি ।’— উদ্ধৃতিটির বক্তা (A) তপন
(B) তপনের মা
(C) তপনের বাবা
(D) তপনের ছোটোমাসি
Answer : (B) তপনের মা
45. ‘ বাবা , তোর পেটে পেটে এত ।’— এখানে ‘ তোর ’ বলতে বোঝানো হয়েছে
(A) তপনকে
(B) তপনের মেজোকাকুকে
(C) তপনের ছোটোমাসিকে
(D) তপনের বন্ধুকে
Answer : (A) তপনকে
46. তপনের মেশোমশাই কোন্ পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন ?
(A) শুকতারা
(B) আনন্দমেলা
(C) সন্ধ্যাতারা
(D) দেশ
Answer : (C) সন্ধ্যাতারা
47. তপনের লেখাটা নতুন করে নিজের পাকা হাতের কলমে লিখেছেন—
(A) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(B) তপনের ছোটোমেসো
(C) তপনের মেজোকাকু
(D) তপনের বাবা
Answer : (B) তপনের ছোটোমেসো
48. তপন আর পড়তে পারে না কারণ –
(A) তার ঘুম পেয়েছিল
(B) তার কষ্ট হচ্ছিল
(C) তার রাগ হচ্ছিল
(D) তার বিরক্ত লাগছিল
Answer : (B) তার কষ্ট হচ্ছিল
49. ‘ তপনের অপরিচিত ।’- যে – বস্তুর কথা বলা হয়েছে , তা হল –
(A) মেসোর পরিচয়
(B) তার নিজের লেখা গল্প
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদকের পরিচয়
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকাটি
Answer : (B) তার নিজের লেখা গল্প
50. ‘ তবু ‘ ধন্যি ধন্যি ‘ পড়ে যায় ।’— ‘ ধন্যি ধন্যি ‘ – র অর্থ হল –
(A) প্রশংসা
(B) ব্যঙ্গ
(C) নিন্দা
(D) তামাশা
Answer : (A) প্রশংসা
51. ‘ আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন – দিনটিকে সবচেয়ে দুঃখের দিন মনে হয়েছিল , সেটি ছিল –
(A) ছোটোমাসির বিয়ের দিন
(B) মামাবাড়িতে আসার দিন
(C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন
(D) মামাবাড়ি থেকে চলে যাওয়ার দিন
Answer : (C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন
52. ‘ কীরে তোর যে দেখি পারা ভারী হয়ে নেয়া শব্দের অর্থ হল—
(A) কে পা মোটা হয়ে যাওয়া
(B) গম্ভীর হয়ে যাওয়া
(C) ভারিক্কি হয়ে যাওয়া
(D) অহংকারী হয়ে যাওয়া
Answer : (D) অহংকারী হয়ে যাওয়া
53. ‘ ছাপা হয় হোক , না হয় না হোক ।’— এর মধ্যে তপনের যে – মানসিকতা প্রকাশ পায় , তা হল
(A) মরিয়া
(B) বিরক্তি
(C) দুঃখ
(D) অভিমান
Answer : (A) মরিয়া
54. তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয় । যা না – শোনার কথা বলা হয়েছে , তা হল –
(A) সে গল্প লিখতে পারে না
(B) ছোটোমেসো গল্প লিখে দিয়েছেন
(C) ছোটোমাসি সুপারিশ করেছেন
(D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন
Answer : (D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন
55. ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! ‘ — যে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে , তা হল—
(A) নিজের গল্প ছাপা না – হওয়া
(B) নিজের গল্পে অন্যের লেখা লাইন পড়াশোনা
(C) বাড়ির লোকেদের ঠাট্টাতামাশা
(D) নিজের গল্প লিখতে না – পারা
Answer : (B) নিজের গল্পে অন্যের লেখা লাইন পড়াশোনা
56. তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা , কিন্তু যখন দেখে মেসোর মুখে করুণার ছাপ , তখন আহ্লাদে _____ হয়ে যায় ।
(A) আনন্দিত
(B) দুঃখিত
(C) কাঁদো কাঁদো
(D) বিহ্বল
Answer : (C) কাঁদো কাঁদো
57. ছোটো মেসোমশাই তপনের গল্প হাতে পেয়ে কী বলেছিলেন ?
(A) এমন চমৎকার গল্প আগে কখনও পড়েননি
(B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশান ‘ করতে হবে
(C) তোমার এখন পড়াশোনা করার বয়স , তাই করো
(D) গল্পটা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে ছাপাতে দেবেন
Answer : (B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশান ‘ করতে হবে
58. গল্প পড়ার পর তপন সংকল্প করে –
(A) আর কোনোদিন গল্প লিখবে না
(B) আরও বেশি করে গল্প লিখবে
(C) ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে
(D) নিজের পয়সা দিয়ে নিজের গল্প ছাপবে
Answer : (C) ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে
59. ‘ চায়ের টেবিলে তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে’
(A) সকালে
(B) বিকালে
(C) সন্ধ্যায়
(D) রাতে
Answer : (B) বিকালে
60. ‘ কই পড্ ? লজ্জা কী ? পড় , সবাই শুনি ।’— কথাটা বলেছিলেন—
(A) কাকা
(B) বাবা
(C) মা
(D) ছোটোমাসি
Answer : (C) মা
61. ছোটোমাসি আর মেসো একদিন বেড়াতে এল , হাতে এক সংখ্যা –
(A) আনন্দধারা
(B) সন্ধ্যাতারা
(C) বঙ্গবাণী
(D) সাহিত্যসন্ধ্যা
Answer : (B) সন্ধ্যাতারা
62. ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের রচয়িতা
(A) মহাশ্বেতা দেবী
(B) আশাপূর্ণা দেবী
(C) অনিমা দেবী
(D) লীলা মজুমদার
Answer : (A) মহাশ্বেতা দেবী
63. ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।’- কথাটা হল
(A) তপনের মামা একজন লেখক
(B) তপনের লেখা ছাপা হয়েছে
(C) তপনের মেসো একজন লেখক
(D) সবাই তপনের গল্প শুনে হেসেছে
Answer : (C) তপনের মেসো একজন লেখক
64. ‘ চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়া ‘ – এর অর্থ হল
(A) চোখ পাকানো
(B) চোখ গোল গোল হয়ে যাওয়া
(C) অবাক হয়ে যাওয়া
(D) রেগে যাওয়া
Answer : (C) অবাক হয়ে যাওয়া ।
65. তপনের নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন
(A) অভিনেতা
(B) চিত্রপরিচালক
(C) খেলোয়াড়
(D) লেখক
Answer : (D) লেখক
66. তপনের লেখক মেসোমশাই হলেন তার
(A) বড়োমাসির স্বামী
(B) মেজোমাসির স্বামী
(C) সেজোমাসির স্বামী
(D) ছোটোমাসির স্বামী
Answer : (D) ছোটোমাসির স্বামী
67. তিনি নাকি বই লেখেন । তিনি হলেন
(A) তপনের নতুন মেসোমশাই
(B) তপনের বাবা
(C) তপন
(D)’ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
Answer : (A) তপনের নতুন মেসোমশাই
68. অনেক বই ছাপা হয়েছে
(A) তপনের
(B) নতুন মেসোমশাইয়ের
(C) ছোটোমাসির
(D) মেজোকাকুর
Answer : (B) নতুন মেসোমশাইয়ের
69. তপন কখনো এত কাছ থেকে –
(A) জলজ্যান্ত ভূত দেখেনি
(B) সমুদ্র দ্যাখেনি
(C) জলজ্যান্ত লেখক দ্যাখেনি
(D) ক্রিকেট ম্যাচ দ্যাখেনি ।
Answer : (C) জলজ্যান্ত লেখক দ্যাখেনি
70. তপনের নতুন মেসোমশাই খবরের কাগজ নিয়ে গল্প আর তর্ক করেন – (A) ছোটোমামাদের মতোই
(B) মা – মাসিদের মতোই
(C) কাগজের সম্পাদকের মতোই
(D) সাংবাদিকদের মতোই
Answer : (A) ছোটোমামাদের মতোই
71. ঠিক ছোটোমামাদের মতোই খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবল আড্ডা – তর্কের পর শেষপর্যন্ত ‘ এ দেশের কিছু হবে না ‘ বলে মেসোমশাই— (A) ঘুমিয়ে পড়েন
(B) লিখতে বসেন
(C) সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান
(D) সিগারেট ধরান
Answer : (C) সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান
72. নতুন মেসোকে দেখে তপনের –
(A) জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল
(B) দমবন্ধ হয়ে এল
(C) আনন্দ হল
(D) গলা বুজে এল
Answer : (A) জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল
73. তপনের অবাক হওয়ার কারণ ছিল –
(A) সে কখনও মেসোমশাইকে দ্যাখেনি
(B) সে কখনও কোনো লেখককে দ্যাখেনি
(C) সে নিজে গল্প লিখে ফেলেছিল
(D) তার গল্প ছাপা হয়েছিল
Answer : (B) সে কখনও কোনো লেখককে দ্যাখেনি
74. ‘ এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের । — তপনের সন্দেহের বিষয়টি হল –
(A) লেখকরা ভারি অহংকারী হয় ।
(B) ছোটোমাসির বিয়েতে আদৌ কোনো ঘটা হয়েছিল কিনা
(C) নতুন মেসোমশাই প্রকৃতই একজন লেখক কিনা
(D) লেখকরা তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ
Answer : (D) লেখকরা তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো সাধারণ মানুষ
75. তপন মূলত মামার বাড়ি এসেছে—
(A) গরমের ছুটি উপলক্ষ্যে
(B) পুজোর ছুটি কাটাতে
(C) বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে
(D) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র প্রকাশ উপলক্ষ্যে
Answer : (C) বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে
76. ‘ তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক’দিন ।’— মেসোর শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকার কারণ
(A) তাঁর গরমের ছুটি চলছিল
(B) তাঁর সেখানে কাজ ছিল
(C) তিনি নিরিবিলিতে গল্প লিখতে চেয়েছিলেন
(D) তপন তাঁকে থাকতে অনুরোধ করেছিল
Answer : (A) তাঁর গরমের ছুটি চলছিল
77. ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে গরমের ছুটি চলছিল—
(A) তপনের
(B) ছোটোমাসির
(C) ছোটোমেসোর
(D) তপন ও ছোটোমেসোর
Answer : (C) ছোটোমেসোর
78. তপনের মেসোমশাই পেশাগত দিক থেকে যা ছিলেন—
(A) রাজনীতিবিদ
(B) চিকিৎসক
(C) সম্পাদক
(D) অধ্যাপক
Answer : (D) অধ্যাপক
79. আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন … এখানে যে – সুযোগের কথা বলা হয়েছে , তা হল—
(A) মামার বাড়িতে থাকার সুযোগ
(B) গল্প লেখার সুযোগ
(C) জলজ্যান্ত লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ
(D) ছুটির সুযোগ
Answer : (C) জলজ্যান্ত লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ
80. “ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন যা দেখতে পাচ্ছে , তা হল – (A) গল্প লেখা কত কঠিন
(B) চেনাজানা না থাকলে গল্প ছাপানো যায় না
(C) নতুন মেসোমশাই ভারি ঘুমকাতুরে
(D) লেখক মানে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়
Answer : (D) লেখক মানে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়
81. তপন প্রথম কী লিখেছিল ?
(A) গল্প
(B) উপন্যাস
(C) প্রবন্ধ
(D) কবিতা
Answer : (A) গল্প
82. তপনের লেখা ছোটোমেসোর হাতে পৌঁছে দেয়—
(A) তপন নিজেই
(B) তপনের মা
(C) তপনের ছোটোমামা
(D) তপনের ছোটোমাসি
Answer : (D) তপনের ছোটোমাসি
83. ‘ আর সেই সুযোগেই দিব্যি একখানি দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন। সুযোগটি হল— (A) গরমের ছুটি
(B) পুজোর ছুটি
(C) বিয়ের জন্য নেওয়া ছুটি
(D) বেড়াতে যাওয়ার ছুটি
Answer : (A) গরমের ছুটি
84. ‘ ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয় ।’— এখানে ‘ সেইদিকে ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে—
(A) তিনতলার সিঁড়ির দিকে
(B) ছোটোমেসোর দিকে
(C) তপনের পড়ার ঘরের দিকে
(D) মেজোকাকুর দিকে
Answer : (B) ছোটোমেসোর দিকে
85. তপনের ছোটোমাসি যখন ছোটোমেসোর দিকে ধাবিত হয় , মেসো তখন (A) লিখছিলেন
(B) দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন
(C) টিভি দেখছিলেন
(D) খবরের কাগজ পড়ছিলেন
Answer : (B) দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন ।
86. ‘ তপন অবশ্য ‘ না – আ – আ’- করে প্রবল আপত্তি তোলে ।’ তপন যে বিষয়ে আপত্তি তোলে , তা হল
(A) তার লেখা গল্প ছোটোমেসোকে দেখানো
(B) অসময়ে ছোটোমেসোর ঘুম ভাঙানো
(C) ছোটোমাসির শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়া
(D) তার লেখা ছাপতে দেওয়া
Answer : (A) তার লেখা গল্প ছোটোমেসোকে দেখানো
87. মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়
(A) তপন
(B) মা
(C) ছোটোমেসো
(D) ছোটোমামা
Answer : (A) তপন
88. রত্নের মূল্য –
(A) দস্যুর কাছে
(B) জহুরির কাছে
(C) রত্নাকরের কাছে
(D) নারীর কাছে
Answer : (B) জহুরির কাছে
89. ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ।’ — এখানে ‘ রত্ন ‘ ও ‘ জহুরি ‘ হল –
(A) তপন ও ছোটোমাসি
(B) তপন ও ছোটোমেসো
(C) তপন ও ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদক
(D) তপন ও মেজোকাকু ‘
Answer : (B) তপন ও ছোটোমেসো
90. মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা ।’— উপযুক্ত কাজটি হল –
(A) গল্প লিখে দেওয়া
(B) তপনকে গল্প লেখা শিখিয়ে দেওয়া
(C) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া
(D) তপনকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া
Answer : (C) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া
91. যে – পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল , সেই পত্রিকার নাম –
(A) শুকতারা
(B) নক্ষত্র
(C) ধ্রুবতারা
(D) সন্ধ্যাতারা
Answer : (D) সন্ধ্যাতারা
92. ‘ তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে ।
এখানে বক্তা হল –
(A) তপন
(B) ছোটোমামা
(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক
(D) ছোটোমেসো
Answer : (A) তপন

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর |
জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী
– মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর |
Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer :
1.‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটি কার লেখা ? এর উৎস উল্লেখ করো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটির উৎস হল তাঁর ‘ কুমকুম ‘ নামক ছোটোদের গল্পসংকলন ।
2. তপনের লেখা সম্পর্কে তার বাবার কী বক্তব্য ।
Answer : তপনের বাবা মনে করেন , তপনের লেখক ছোটোমেসো তপনের লেখাটা কারেকশন করে দিয়েছিলেন বলেই এত সহজে সেটা পত্রিকায় ছাপানো সম্ভব হয়েছে ।
3. ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে । — কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখক মেসো তার একটি গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন । এই অবিশ্বাস্য , অভূতপূর্ব ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে ।
4.‘ বাবা , তোর পেটে পেটে এত ! ‘ — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিলেন ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাড়িময় শোরগোল পড়ে যায় । তখন তপনের মা এই কথাটি তপনের সুপ্ত প্রতিভা সম্পর্কে বলেন ।
5.‘ এর মধ্যে তপন কোথা ? ’ – উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
Ans: সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছেপে বেরোনো তপনের গল্পটা মেসোর হাতে পড়ে কারেকশনের নামে আগাগোড়াই পালটে যায় । বাড়ির সকলের অনুরোধে গল্পটা পড়তে গিয়ে তপন লেখার মধ্যে নিজেকে আর খুঁজে পায় না ।
6. ‘ ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— কোন্ কথা ছড়িয়ে পড়ে ?
Ans: ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় তপনের গল্প প্রকাশকে কেন্দ্র করে বাড়িতে শোরগোল পড়লেও পরে জানা যায় যে , তার লেখাটি মেসো কারেকশন করে ছাপার ব্যবস্থা করেছেন — এই কথাটিই ছড়িয়ে পড়ে ।
7. ‘ সত্যিকার লেখক ।’— এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের কোন্ ভাব প্রকাশিত হয়েছে বলে তোমার মনে হয় ?
Ans: এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে । লেখকরা আদৌ বাস্তব জগতের মানুষ নন – এই অলীক ভাবনা নতুন মেসোর সঙ্গে পরিচয়ে ভেঙে যাওয়াতেই এমন উক্তি ।
8. তপনের লেখা পত্রিকায় ছেপে বেরোতে দেখে তার মেজোকাকু কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা ছেপে বেরোনোর কৃতিত্ব তপনকে না – দিয়ে মেজোকাকু ব্যঙ্গ করে বলেন , তাঁদের ওরকম লেখক – মেসোমশাই থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করে দেখতেন ।
9. ‘ তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।’— কে , কেন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ?
Ans: ছোটোমেসো তপনের লেখাটা ছাপানোর কথা বললে তপন প্রথমে সেটাকে ঠাট্টা বলে ভাবে । কিন্তু মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।
10. ‘ মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা — উক্তিটি কার ? কোন্টা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ?
Ans: উক্তিটি তপনের ছোটোমাসির । তাঁর মতে , তপনের লেখা গল্পটা ছোটোমেসো যদি একটু কারেকশন করে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেন , তবে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ।
11. ‘ না করতে পারবে না । ‘ – কে , কাকে , কী বিষয়ে না – করতে পারবে না ?
Ans: তপনের লেখক ছোটোমেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকার সম্পাদককে তপনের লেখা গল্পটা ছাপানোর জন্য অনুরোধ করলে সম্পাদকমশাই না করতে পারবেন না ।
12. ‘ তিনি নাকি বই লেখেন , ‘ — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ?
Ansr : এখানে তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের কথা বলা হয়েছে ।
13. ‘ গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।- উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না হতে পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা ছেপে বেরোলে যে – তীব্র আনন্দ হওয়ার কথা সেই আহ্লাদ খুঁজে পায় না তপন । তার কৃতিত্বের চেয়েও যেন বড়ো হয়ে ওঠে ছোটোমেসোর গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব ।
14. ‘ বোবার মতো বসে থাকে / – কে , কেন বোবার মতো বসে থাকে ?
Ans: নিজের লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন । তাই স্তম্ভিত তপন তা দেখে বোবার মতো বসে থাকে ।
15. “ তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ! – দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ?
Answer : জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর তপন দেখে কারেকশনের নামে নতুন মেসো পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন । গল্পের স্বকীয়তা হারানোয় ব্যথিত তপনের সেই দিনটা সবচেয়ে দুঃখের মনে হয়েছে ।
16. ‘ তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে । – তপন ‘ বসে বসে দিন গোনে কেন ?
Ans: পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার আশায় তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে ।
17. তপনের মনে লেখক হওয়ার বাসনা জাগল কেন ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপন বুঝেছিল লেখকরা আসলে তাদের মতোই সাধারণ মানুষ । তাই উৎসাহিত তপন তার এতদিনের গল্প পড়ার ও শোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লেখক হতে চায় ।
18. ‘ ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয় । — তপনের ছোটোমাসি কোন্দিকে ধাবিত হয়েছিলেন ?
Ans: তপন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে মাসিকে দেখায় । মাসি গল্পটিতে চোখ বুলিয়ে গল্পটির উৎকর্ষ বিচারের জন্য তপনের মেসো যেখানে ঘুমোচ্ছিলেন সেদিকে ধাবিত হয়েছিলেন ।
19. ‘ নতুন মেসোকে ’ দেখে তপন কী জেনেছিল ?
Ans : লেখকেরা যে অন্য গ্রহ থেকে পড়া কোনো জীব নয় , আর পাঁচ জনের মতোই নিছক সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এ কথাই জেনেছিল ।
20. ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই । – কথাটির অর্থ কী ?
Ans: কেবলমাত্র গুণী ব্যক্তিই অপরের গুণের কদর করতে পারে । তাই তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত সমঝদার যদি কেউ থাকেন তবে তিনি তার লেখক মেসোমশাই ।
21. তপনের গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই তাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন , গল্পটা ভালোই হয়েছে , একটু কারেকশন করে দিলে সেটা ছাপানোও যেতে পারে ।
22. ‘ বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা কোন্ কথাটা ?
Ans : লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে , এই কথাটা বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল ।
23. তপনের বয়সি আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের লেখার সঙ্গে তপনের লেখার তফাত কী ?
Ans: তপনের বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি , খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট অথবা না – খেতে পেয়ে মরা- এইসব বিষয়ে গল্প লেখে । কিন্তু তপনের লেখার বিষয় ছিল তার প্রথম দিন স্কুলে ভরতির অভিজ্ঞতা ।
24. এটা খুব ভালো , ওর হবে । — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ?
Ans: তপন তার স্কুলে ভরতির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে = একটি গল্প লিখেছিল । মাসির মাধ্যমে লেখাটি তার লেখক মেসোর কাছে পৌঁছোলে সেটি পড়ে মেসো এমন মন্তব্য করেছেন ।
25. ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে— কী ঘটেছে ?
Ans : তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।
26. ‘ নতুন মেসোকে দেখে জানলে সেটা।- তপন কী জেনেছিল ?
Ans: তপন ছোটো থেকেই বহু গল্প শুনেছে ও পড়েছে । কিন্তু সে জানত না যে , সাধারণ মানুষ সহজেই তা লিখতে পারে । নতুন মেসোকে দেখে সেটাই জানল ।
27. ‘ মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল । — এর কারণ কী ছিল ?
Ans: নতুন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তপন নিজেই চেষ্টা করে একটা গল্প লিখে ফেলে । নিজের সৃষ্টিতে রোমাঞ্চিত হয়ে তার মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে ।
28. ‘ ভালো হবে না বলছি ।’— কে , কাকে , কেন এই কথা বলেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্পটা কিছুটা পড়েই ছোটোমাসি তার প্রশংসা করেন । তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন লেখাটা অন্য কোনো স্থান থেকে টোকা কিনা । তখন বিরক্ত হয়ে তপন আলোচ্য উদ্ধৃতিটি করে ।
29. ‘ কিন্তু গেলেন তো — গেলেনই যে ! – কার প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প সামান্য কারেকশন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছাপিয়ে দেবেন বলে ছোটোমেসো তা নিয়ে যান । তারপর অনেকদিন কেটে গেলেও সে – ব্যাপারে কোনো সংবাদ না পাওয়ায় এ কথা বলা হয়েছে ।
30. ” যেন নেশায় পেয়েছে । কোন নেশার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে – গল্প লিখেছিল তা মাসির উৎসাহে মেসো ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন । এরপর থেকে ক তপনকে গল্প লেখার নেশায় পায় ।
31. ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল। কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?
Ans: লেখকরা ভিন্ন জগতের প্রাণী — এটিই ছিল তপনের ধারণা । কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক শুনে বিস্ময়ে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।
‘32. তিনি নাকি বই লেখেন ।’— কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর সে জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক । এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে ।
33. ‘ বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা কোন্ কথাটা ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে , এই কথাটা বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল ।
34. তপনদের মতোই মানুষ ‘ — এ কথা বলার কারণ কী ?
Ans: লেখক যে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় আর সকলের মতোই সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এই সত্য টের পায় ।
35. ‘ সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় — শোরগোলের কারণ কী ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে , এই শুনে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় ।
36. ‘ তিনি নাকি বই লেখেন , ‘ — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: এখানে তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের কথা বলা হয়েছে ।
37. ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাটা- তপন কোন্ কথাকে প্রথমটায় ঠাট্টা ভেবেছিল ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাই যখন তপনকে জানান তার গল্প দিব্যি হয়েছে , এমনকি একটু সংশোধন করে দিলে ছাপতেও দেওয়া যায় তখন সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে না পেরে তপন এই কথাটাকে নিছক ঠাট্টা বলে মনে করেছিল ।
38. ‘ দুপুরবেলা , সবাই যখন নিথর নিথর’- তখন তপন কী করেছিল ?
Ans: বিয়েবাড়ির দুপুরবেলা সবাই যখন নিথর , তখন তপন হোমটাস্কের খাতা নিয়ে তিনতলায় উঠে একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল ।
39. ‘ না না আমি বলছি — তপনের হাত আছে – কখন বক্তা এ কথা বলেন ?
Ans: বিকেলে চায়ের টেবিলে তপনের গল্পের কথা শুনে সবাই হেসে ওঠায় লেখক মেসোমশাই এ কথা বলেন ।
40. ‘ তাই জানতো না’- কে , কী জানত না ?
Ans: জলজ্যান্ত একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় , ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন তাই জানত না ।
41. ‘ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল কেন ?
Ans: তপনের নিজের লেখা গল্প , যা কারেকশনের পর সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল তা পাঠ করে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ।
42. ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের মেসো কোন্ মহত্ত্ব দেখিয়েছিলেন ?
Ans: লেখক মেসোমশাই সকলের সামনে তপনের গল্পের প্রশংসা করেন এবং গল্পটি সংশোধন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন ।
43. এর মধ্যে তপন কোথা ? – কেন এমন বলা হয়েছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইয়ের সংশোধনের পরে তপনের নামে প্রকাশিত গল্প তার কাছেই অপরিচিত ও নতুন হয়ে ওঠে । তাই এমন কথা বলা হয়েছে ।
44. ‘ মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে বলেন— কী বলেন ?
Ans: মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে তপনের মাসিকে বলেন যে , তিনি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদককে বলে তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দেবেন ।
45. ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে— কী ঘটেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।
46. ‘ একটু ‘ কারেকশান ’ করে হয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে । –কে , কী ছাপানোর কথা বলেছেন ।
Ans: তপনের লেখক মেসোমশাই তপনের অপরিণত হাতের লেখা পর গল্পটি একটু ‘ কারেকশান ‘ ও ‘ ইয়ে করে ‘ ছাপানোর কথা বলেছেন ।
47.‘ এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের / —কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?
Ans: লেখকদের যে বাস্তব জীবনে কখনও দেখা যেতে পারে , তাঁরাও যে তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ— সে – বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ।
48. ‘ ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— কোন্ কথা ছড়িয়ে পড়ে ?
Ans : ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় তপনের গল্প প্রকাশকে কেন্দ্র করে বাড়িতে শোরগোল পড়লেও পরে জানা যায় যে , তার লেখাটি মেসো কারেকশন করে ছাপারে ব্যবস্থা করেছেন — এই কথাটিই ছড়িয়ে পড়ে ।
49. তপনের বাবা – কাকা – মামাদের সঙ্গে লেখক মেসোমশাইয়ের কী কী মিল আছে ?
Ans: তপনের বাবা – কাকা – মামাদের মতোই তার লেখক মেসোমশাইও দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , সময়মতো স্নান করেন , ঘুমোন , খবরের কাগজ পড়েন , এমনকি সিনেমাও দেখেন ।
50. বইটা ফেলে রেখে তপন কী করে ?
Ans : বইটা ফেলে রেখে তপন ছাতে উঠে গিয়ে শার্টের তলাটা তুলে চোখের জল মোছে ।
51. তপনের নতুন মেসোমশাই শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন কেন ?
Ans: তপনের নতুন মেসোমশাই একজন অধ্যাপক । এই সময় তাঁর কলেজে গরমের ছুটি থাকায় তিনি শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক – দিন ।
52. ‘ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন । — কোন্ সুযোগে তপন কী দেখতে পাচ্ছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে তপন বুঝতে পারে লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় , তাদেরই মতো মানুষ ।
54. ‘ বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।- তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী ছিল ?
Ans: গল্প ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন অদৃশ্য থাকার পর হঠাৎই একদিন ছোটোমাসি ও মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন । তাতে তার গল্প ছাপার কথা ভেবে তপনের বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে ।
55. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? – এখানে কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ?
Ans: পত্রিকায় তপনকুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া এবং সেই পত্রিকা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকেই ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ।
56. ” তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায় , তপনের বই ফেলে রেখে যাওয়ার কারণ কী ?
Ans: পত্রিকায় গল্প প্রকাশিত হওয়ায় তপনের যে – আনন্দ হয়েছিল তা মুহূর্তেই স্তিমিত হয়ে যায় । কারেকশনের নামে তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে গেছে । তাই অভিমানে তপন বই ফেলে চলে যায় ।
57. ‘ তপন আর পড়তে পারে না । – তপনের আর পড়তে না পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা গল্প পত্রিকায় ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে ছোটো মেসোমশাই তার লেখাটা পুরোটাই পালটে দিয়েছেন । তাই তপন আর পড়তে পারে না ।
58. “ তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ! – দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ?
Ans: জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর তপন দেখে কারেকশনের নামে নতুন মেসো পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন । গল্পের স্বকীয়তা হারানোয় ব্যথিত তপনের সেই দিনটা সবচেয়ে দুঃখের মনে হয়েছে ।
59. ‘ এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন , প্রশ্ন ২.৩৮ —সংকল্পটি কী ?
Ans: তপন সংকল্প করেছিল , ভবিষ্যতে যদি কখনও আর কোনো লেখা ছাপাতে হয় , তবে সে নিজে হাতে সেই লেখা পৌঁছে দিয়ে আসবে পত্রিকার অফিসে ।
60. ‘ তপনকে যেন আর কখনো না শুনতে হয় ….. —এখানে কী শোনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না – হয় যে , অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে ।
61. ” তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , — কীসের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গঙ্গে তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই নেই ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর |
জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী
– মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন |
Madhyamik Bengali Suggestion :
1. তপনের প্রথম গল্প লেখার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও ।
Answer : ছোটোমেসোকে দেখার আগে তপন জানতই না যে সাধারণ মানুষের পক্ষেও গল্প লেখা সম্ভব । কিন্তু ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একদিন দুপুরে সবাই যখন ঘুমের ঘোরে , তখন চুপিচুপি তিনতলার সিঁড়িতে উঠে যায় । তারপর একাসনে বসে অভিজ্ঞতার বর্ণনা । হোমটাস্কের খাতায় লিখে ফেলে আস্ত একটা গল্প । লেখা শেষ হলে নিজের লেখা পড়ে নিজেরই গায়ে কাঁটা দেয় তপনের , মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে । উত্তেজিত তপন ছুটে নীচে এসে তার লেখক হওয়ার খবরটা ছোটোমাসিকে দেয় ।
2. ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের সঙ্গে তার ছোটোমাসির সম্পর্ক কেমন ছিল লেখো ।
Answer : তপন ও ছোটোমাসির সম্পর্ক উত্তর / তপনের ছোটোমাসি তপনের চেয়ে বছর আষ্টেকের বড়ো হলেও তিনি ছিলেন তপনের সমবয়সি বন্ধুর মতো । তাই মামার বাড়িতে এলে তপনের সব কিছুই ছিল ছোটোমাসির কাছে । তাই তার প্রথম লেখা গল্পটা সে ছোটোমাসিকেই আগে দেখায় । ছোটোমাসিও তাঁর স্নেহের বোনপোকে উৎসাহ জোগান এবং তাঁর লেখক – স্বামীকে অনুরোধ করেন তপনের লেখাটি ছাপিয়ে দিতে । আবার লেখা নিয়ে খুনসুটিও করে তপনের সঙ্গে । এসব থেকেই বোঝা যায় দুজনের মধ্যে একটা মধুর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ।
3. ‘ তারপর ধমক খায় , তপনের ধমক খাওয়ার কারণ কী ছিল ?
Answer : ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন পত্রিকায় প্রকাশিত নিজের লেখা গল্পটি সকলকে পড়ে শোনাতে উদ্যত হয় । কিন্তু পড়তে গিয়ে সে আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ করে যে , তার লেখক মেসোমশাই তার গল্পটি সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন । এই ঘটনায় হতবাক তপনের অভিমানে গলা বুজে আসে । এদিকে গল্প পড়তে না – শুরু করায় সকলে অধৈর্য হয়ে গাকে ধমক দিতে শুরু করে ।
4. ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় তপনের গল্প ছেপে বেরোয় । তবু তপনের এত দুঃখ হয়েছিল কেন ?
Answer : তপন ভাবত লেখকরা কোনো স্বপ্নের জগতের মানুষ । কিন্তু লেখক – মেসোকে দেখে তার ভুল ভাঙে । উৎসাহিত তপন নিজেই লিখে ফেলে একটা গল্প । ছোটোমেসোর উদ্যোগে সামান্য কারেকশনের পর সেটা ছেপেও বেরোয় সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় । পত্রিকার সূচিপত্রে নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয় তপন । কিন্তু গল্পটা পড়া শুরু করতেই সে বুঝতে পারে কারেকশনের নাম করে ছোটোমেসো তার গল্পটা আগাগোড়াই পালটে দিয়েছেন । নিজের লেখার পরিবর্তে একটা সম্পূর্ণ অচেনা লেখা দেখে তপনের আনন্দ মিলিয়ে যায় ।5. শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে তপন , দুঃখের মুহূর্তটি কী ? তপন কী সংকল্প করেছিল ?
Answer : দুঃখের মুহূর্ত উত্তর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের নায়ক তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি একপলকে দুঃখের মুহূর্তে পর্যবসিত হয় । কারণ সে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে টের পায় , লেখক – মেসো গল্পটিকে সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন । এ গল্পকে আর যাই হোক তার নিজের লেখা বলা যায় না । → এই ঘটনায় তপন সংকল্প করেছিল যে , যদি কোনোদিন নিজের কোনো লেখা ছাপতে দেয় , তবে নিজে গিয়ে ছাপতে কৃত সংকল্প দেবে । ছাপা হোক বা না হোক অন্তত তাকে এ কথা শুনতে হবে না যে , কেউ তার লেখা প্রভাব খাটিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে ।6. ‘ তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয় কী না – শোনার কথা বলা হয়েছে ?
Answer : ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক বালক তপন গল্প লেখায় যতই আনাড়ি হোক না কেন , সে মনেপ্রাণে একজন লেখক । তার লেখা । গল্পের ওপরে তার লেখক মেসোর সংশোধনের নামে খোলনলচে বদলে দেওয়া তপনের কাছে অপমানজনক । এই ঘটনায় সে অভিমানে বাদ্ধ হয়ে যায় । আত্ম – অসম্মানে আহত তপন সংকল্প নেয় যে , পরবর্তীকালে লেখা ছাপাতে দিলে সে নিজে দেবে । তবু এ কথা তাকে শুনতে হবে না । যে , অন্য কেউ তা ছাপিয়ে দিয়েছে ।
7. ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! — ‘ তার চেয়ে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে আলোচ্য অংশে ‘ তার চেয়ে ’ বলতে তপনের নিজের লেখা গল্প লেখক মেসোর হাতে পড়ে নির্বিচারে পরিবর্তিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে । নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়াটা তার কাছে গভীর দুঃখের ও অপমানের বলে মনে হয়েছিল । এই আত্মসম্মানবোধ থেকেই তৃপনের অন্তর্মনে মৌলিকতার অনুপ্রেরণা জেগে ওঠে ।
8. ‘ কিন্তু তাই কি সম্ভব ? ‘ – কী সম্ভব নয় বলে বক্তার মনে হয়েছে ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপনের লেখক – মেসো তার সদ্য লেখা গল্পটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে যান । তপনের মাসি গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি তাতে রাজি হয়ে গল্পটি নিজের সঙ্গে নিয়ে যান । অবশেষে একদিন সত্যিই তা ছাপা হলে তপন বিস্মিত হয়ে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি ভাবে । এই ভাবনায় বালক তপনের কিশোর – হৃদয়ের অবিশ্বাস ও মুগ্ধতাবোধ প্রকাশ কী সম্ভব নয় ।
9. ‘ ওর লেখক মেসো ছাপিয়ে দিয়েছে । – “ ও ’ কে ? লেখক – মেসোর কী ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
Answer : ‘ ও ’ বলতে আলোচ্য অংশে গল্পকার আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বালক তপনের কথা বলা হয়েছে । → তপনের লেখক মেসো তাঁর পরিচয় ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলেন । এই সত্য জানার পর তপনের কোনো কোনো আত্মীয় তার কৃতিত্বকে খাটো করে দেখিয়ে প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছিলেন ।
10. ‘ আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম । ‘ আমাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের কোন চেষ্টার কথা বোঝানো হয়েছে ?
Answer : আলোচ্য উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প থেকে গৃহীত । উদ্ধৃতির বস্তুা তপনের মেজোকাকু ‘ আমাদের ’ বলতে এখানে নিজেকে এবং বাড়ির ‘ আমাদের কারা অন্য ব্যক্তিদেরকে বুঝিয়েছেন । লেখক মেসোর দৌলতে তপনের আনাড়ি হাতের লেখা গল্পও নামি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল । বালক তপনকে তাদের চেষ্টা উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে তার মেজোকাকু উদ্ধৃত উক্তিটির দ্বারা সুযোগ পেলে যে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতেন তাই বোঝাতে চেয়েছেন ।
11. ‘ আজ আর অন্য কথা নেই –‘আজ ’ দিনটির বিশেষত্ব কী ? সেদিন আর অন্য কথা নেই কেন ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে ‘ আজ ’ বলতে সেই দিনটির ‘ আজ ’ দিনটির বিশেষত্ব কথা বোঝানো হয়েছে , যেদিন তপনের মাসি ও মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সেই সংস্করণটি নিয়ে এলেন , যাতে তপনের লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছিল । → বালক তপনের লেখা গল্প যে সত্যি সত্যিই কোনো পত্রিকায় ছাপা হতে পারে , তা কেউই বিশ্বাস করেনি । কিন্তু যেদিন সত্যিই সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটল , সেদিন সকলের কেন অন্য কথা নেই মুখে মুখে বারবার এই ঘটনার কথাই আলোচিত হচ্ছিল ।
12. ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! – কে অপমানিত হয়েছিল ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন অপমানিত কেন অপমানিত ] লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট্ট তপন একটি গল্প লিখে ফেলে । গল্প লেখার উত্তেজনায় ও রোমাঞ্চে সে গল্পটি ছোটোমাসিকে দেখায় । ফলে তা নতুন মেসোর হাতে পড়ে এবং তিনি তপনের লেখার প্রশংসা করেন ; সেটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন । পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার পর তপন দেখে সমস্ত গল্পটাই মেসো তার পাকা হাতের কলমে আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন । নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়ার যন্ত্রণা তাকে বিদ্ধ করে । এভাবে আত্মমর্যাদা হারানোর ফলে তপন অপমানিত বোধ করেছিল ।
13. ‘ তপনের মাথায় ঢোকে না’— কী মাথায় ঢোকে না ? কেন ঢোকে না ?
Answer : ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন কাঁ মাথায় ঢোকে না টের পায় সংশোধনের নামে লেখক মেসো তা আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নিজের নামে প্রকাশিত এই আনকোরা , অপরিচিত গল্পটি সে গড়গড়িয়ে পড়লেও ; আসলে তার মাথায় ঢোকে না । তপন পত্রিকা হাতে পেয়ে পড়ার সময় হতবাক হয়ে যায় । এ গল্প তার নামে প্রকাশিত হলেও , মূলত মেসোর পাকা হাতের লেখা । এই লেখায় কোথাও সে নিজেকে খুঁজে পায় না । লেখাটি পড়তে কেন ঢোকে না । চেষ্টা করলেও সে স্তম্ভিত ও বোবা হয়ে যায় । পরে সকলের বকুনি খেয়ে গড়গড়িয়ে পড়ে , কিন্তু নিজের বলে ভাবতে পারে না ।
14. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে— কোন্ ঘটনাকে ‘ অলৌকিক ঘটনা ‘ বলা হয়েছে ?
Answer : মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা গল্প লিখে ফ্যালে । সেই গল্পটি মাসির প্ররোচনায় ও মেসোর প্রভাবে সত্যিই একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । ছোট্ট তপনের কাছে তার ‘ অলৌকিক ঘটনা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার ঘটনা ছিল স্বপ্নের মতোই কাল্পনিক । তাই এই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে । ‘ অলৌকিক ’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল অবাস্তব বা অসম্ভব ব্যাপার ।
15. গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না – কার গল্প ? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও বক্তার মনে আনন্দ নেই কেন ?
Answer : গল্পটির কথা বলা হয়েছে । এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পের নায়ক তপনের লেখা ‘ প্রথম দিন ’ আনন্দ না থাকার কারণ → লেখক মেসোর প্রভাব ও পরিচিতির জোরে ছোট্ট তপনের লেখা গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় । কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয় । তাদের মতে মেসোই ও গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন । মেজোকাকু বলেন , এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন । এসব নানা কথায় তপন ক্রমশ যেন হারিয়ে যায় । তাই মনটা একটু তিক্ত হয়ে যাওয়ায় ; গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহ্লাদটা সে আর খুঁজে পায় না ।
16. ‘ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের তপন কে ? তার গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে উঠল ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের নায়ক হল তপন । তপন তার নতুন গায়ে কেন কাঁটা দিল মেসোমশাইকে দেখে বোঝে লেখকেরাও আর সকলেরই মতো সাধারণ মানুষ । এর আগে সে কখনও জলজ্যান্ত একজন লেখককে এভাবে এত কাছ থেকে দেখেনি । ফলে মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে অনুপ্রাণিত হয়ে সে স্কুলের হোমটাস্কের খাতায় একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে । লেখার পর নিজের প্রথম গল্পটি পড়ে রোমাঞ্চে ও উত্তেজনায় তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ।
17. ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল । কোন্ কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?
Answer : তপন এতদিন ভেবে এসেছে লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ । সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের কোনো মিলই নেই । তাই যখন সে শুনল যে তার ছোটো মেসোমশাই বই লেখেন , আর সেই বই ছাপাও হয় তখন তার বিস্ময়ের সীমা রইল না । নতুন মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক । এই আশ্চর্য খবরটা শুনেই তপনের চোখ মার্বেলের মতো গোল গোল হয়ে গেল ।
18. ‘ সে সব বই নাকি ছাপাও হয় ।’— উক্তিটিতে যে – বিস্ময় প্রকাশিত হয়েছে , তা পরিস্ফুট করো ।
Answer : উক্তিটিতে প্রকাশিত বিস্ময় উত্তর / আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপন নামের বালকটি তার ছোটোমাসির সদ্যবিবাহিত স্বামী অর্থাৎ তার মেসো যে একজন লেখক , এ কথা জেনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় । লেখকেরা যে সাধারণ মানুষ এবং তার মেসোমশাই একজন লেখক , যাঁর বই ছাপা হয় — এ তথ্য তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল । আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বালক তপনের মনের সেই বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে ।
19. ‘ আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন কার কথা বলা হয়েছে ? ‘ আজ ‘ কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন ?
Answer : এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের কথা বলা হয়েছে । মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তপন একটি গল্প লিখে ফেলে । এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং তাঁর প্ররোচনায় লেখক নতুন মেসো সেই গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন । কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সে দেখে পুরো গল্পটাই আজ কেন দুঃখের দিন মেসো আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন । এ গল্পে শুধু তার নামটুকুই আছে ; অথচ সে কোথাও নেই । এই ঘটনা তপনের অন্তমনে আঘাত করে । লজ্জায় , অনুতাপে , আত্মসম্মানহীনতায় সে সকলের কাছ থেকে পালিয়ে ছাতের অন্ধকারে একলা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে । নিজের কাছে নিজেই । এভাবে ছোটো হয়ে যাওয়ায় তার মনে হয় , ‘ আজ ‘ জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন ।
20. যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো , তপন নিজে গিয়ে দেবে — কোন্ লেখার কথা বলা হয়েছে ? সে – লেখা তপন নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে কেন ?
Answer : ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে ‘ লেখা ‘ বলতে তপনের গল্পের কথা বলা হয়েছে । লেখা নিজে ছাপতে দেবে কেন তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন দিনটি মুহূর্তের মধ্যে সবচেয়ে দুঃখের দিনে পর্যবসিত হয় । কারণ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি তপন পড়তে গিয়ে টের পায় , সংশোধনের নামে লেখক – মেসো প্রায় সম্পূর্ণ গল্পটিই বদলে দিয়েছেন । এ ঘটনায় সে আহত হয় । আর যাই হোক গল্পটিকে নিজের গল্প বলা যায় না । বিশেষত নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়া যে কতটা দুঃখ ও অসম্মানের তা তপন উপলব্ধি করে । তাই এমন দুঃখের দিনে সে সংকল্প করে লেখা ছাপা হোক কিংবা নাই হোক ; ভবিষ্যতে লেখা ছাপতে দিলে নিজে গিয়ে দেবে ।
21. ‘ সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ— তপনের জীবনে সুখের দিনটি কীভাবে এল ? গল্পের শেষে সুখের দিনটি কীভাবে দুঃখের দিন হয়ে উঠল ?
Answer : লেখক – মেসোমশাইয়ের সৌজন্যে ও বদান্যতায় ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় তপনের গল্পটি প্রকাশিত হয় । ছাপার অক্ষরে তপনকুমার রায়ের গল্প প্রকাশ পাওয়ার এই দিনটি প্রাথমিকভাবে তার জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন হয়ে উঠেছিল ।
22.‘ আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম প্রশ্ন কার উক্তি ? এমন উক্তির কারণ উল্লেখ করো ।
Answer : প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হল তপনের মেজোকাকু । তপনের লেখক – মেসো তাঁর প্রভাব আর পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ছোট্ট তপনের গল্পটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন । এ উক্তির কারণ কথা শুনে বাড়ির বিভিন্ন সদস্য তপনের কৃতিত্বকে খাটো করার চেষ্টা করে । তপনের মেজোকাকুর উক্তিতেও সেই মধ্যবিত্ত মানসিকতারই প্রকাশ লক্ষ করা যায় ।
23. ‘ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের / – তপনের কোন্ বিষয়ে কেন সন্দেহ ছিল ? তপনের সন্দেহ কীসে এবং কেন ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের তপন লেখকদেরকে এক অন্য জগতের বাসিন্দা বলে মনে করত । তাঁরাও যে আর – পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই রোজকার জীবনযাপন করেন , তা ছিল তপনের কল্পনার বাইরে । সে আগে কোনোদিন কোনো লেখক কাছ থেকে দেখেনি । এমনকি লেখকদের যে দেখা পাওয়া যায় এ কথাও তার জানা ছিল না । তাই লেখকরা যে তার বাবা , কাকা , মামাদের মতোই সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে তার সন্দেহ ছিল ।
24. ‘ একেবারে নিছক মানুষ’— এ কথার প্রমাণ কী ছিল ?
Answer : নতুন মেসোমশাইয়ের লেখক পরিচয়ে আপ্লুত তপন লক্ষ করে যে , লেখক হলেও তিনি সাধারণের মতোই দাড়ি কামান , খেতে বসে খেতে পারবেন না বলে অর্ধেক তুলে দেন , স্নান করেন , ঘুমোন , খবরের কাগজের খবর নিয়ে গল্প ও তর্ক করেন , সিনেমা দেখেন ও বেড়াতে বেরোন — একেবারে সাধারণ মানুষের এই সমস্ত আটপৌরে ব্যাপার মেসোমশাইয়ের মধ্যে দেখে তপন প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছিল ।
25. ‘ তোমার গল্প আমি ছাপিয়ে দেব । এখানে বক্তা কে ? উদ্ধৃতিটির মধ্যে দিয়ে বস্তার কোন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় ?
Answer : আলোচ্য উদ্ধৃতিটির বস্তুা তপনের ছোটোমেসো । তপনের লেখা পড়ে তার লেখক- ছোটোমোসো তাকে উৎসাহ দেন । তিনি এ কথাও বলেন যে , লেখাটা একটু কারেকশন করে দিলে ছাপানোও যায় । তাঁর সঙ্গে সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদকের জানাশোনা আছে । মেসো অনুরোধ করলে তিনি তা না করতে পারবেন না । আপাতদৃষ্টিতে এটি তাঁর উদারতার পরিচয় বলেই মনে হয় । কিন্তু একটু গভীরে বিচার করলে বোঝা যায় , শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কাছে নিজের প্রভাব জাহির করার জন্যই তিনি এ কাজ করেছিলেন ।
26. বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা / কোন কথা উঠেছিল ?
Answer : ‘ জ্ঞানচলু ‘ গল্পে তপন লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লেখে তার স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে । তা ছোটোমাসির হাতে পড়ে এবং মাসি তা নিয়ে বেশ হইচই করে তাঁর লেখক – স্বামীকে গল্পটি দেখান । তাঁর স্বামী গল্প দেখে উত্থাপিত কথা তপনকে ডেকে তার গল্পের প্রশংসা করেন এবং সামান্য কারেকশন করে দিলে তা ছাপার যোগ্য এ কথাও বলেন । মাসির অনুরোধে মেসো তপনকে কথা দেন সন্ধ্যাতারা ‘ – য় তার গল্প ছাপিয়ে দেবেন । এ কথাটাই চায়ের টেবিলে উঠেছিল ।
27. ‘ তপনের হাত আছে । চোখও আছে । এখানে ‘ হাত ’ ও ‘ চোখ ” আছে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Answer : তপনের গল্প শুনে আর সবাই হাসাহাসি করলেও নতুন মেসো তার প্রতিবাদ করে আলোচ্য উক্তিটি করেন । এখানে ‘ হাত ’ আছে বলতে বোঝানো হয়েছে যে , তপনের লেখার ক্ষমতা আছে , বা ভাষার দখল আছে । আর ‘ চোখ ‘ আছে । কথার অর্থ হল তপন তার চারপাশের দুনিয়াটা ভালো করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখতে ও উপলব্ধি করতে পারে । তার গল্প লেখার বিষয় নির্বাচন থেকেই এ কথা স্পষ্ট হয়ে যায় ।
28. ‘ তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে । – তপন কৃতার্থ হয়েছিল কেন ?
Answer : তপনের জীবনে প্রথম ও সদ্য লেখা গল্পটি তার মাসি , তপনের লেখক মেসোকে দেখান ও গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন । এ কথা শুনে তপনের মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে নিয়ে যান । এতে তপন কৃতার্থ হয়েছিল । সেইসঙ্গে রোমান্বিত হয়ে সে দুরুদুরু বুঝে গল্প প্রকাশের আশায় দিন গোনা শুরু করেছিল । বালক হৃদয়ের উত্তেজনা বোঝাতেই এমন কথা বলা হয়েছে ।
29. বিয়েবাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েননি ! কীসের কথা বলা হয়েছে ? তা মা না – আনিয়ে ছাড়েননি কেন ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে আলোচ্য উত্তিটিতে তপনের হোমটাস্কের খাতার কথা বলা হয়েছে , যা পরবর্তীতে উদ্দিষ্ট বস্তু তার গল্প লেখার খাতায় পরিণত হয়েছিল । লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী সূক্ষ্ম আঁচড়ে মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের স্বাভাবিক ছবিটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন । বাঙালি মায়েদের সন্তানের পড়াশোনার প্রতি সাধারণত তীক্ষ্ণ নজর থাকে । তপনের মা – ও এর ব্যতিক্রম নন । বিয়েবাড়িতে আসার জন্য তপনের পড়াশোনার যে ক্ষতি হবে , তা কিছুটা অবসর সময়ে পুষিয়ে নিতে তিনি তার হোমটাস্কের খাতাটি সঙ্গে আনিয়েছিলেন ।
30. ‘ নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের ।— ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ বলতে কী বোঝ ? তা কীভাবে তপনের খুলে গিয়েছিল ?
Answer : আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে মানুষের অন্তর্দৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে , যার সাহায্যে মানুষ প্রকৃত সত্যকে যাচাই করে নিতে পারে । → একজন লেখক সম্পর্কে তপনের মনে যে ধারণা ছিল তা নতুন মেসোর সংস্পর্শে এসে ভেঙে যায় । লেখকরা যে তার বাবা , মামা ও কাকাদের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করে সেটা সে প্রত্যঙ্গ করে । তাদের মতোই দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , পলিটিকাল তর্কও করেন — এসব দেখেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । সে ভাবে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয় , নিছক মানুষ ।
31. ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই / —কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো ।
Answer : উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প থেকে গৃহীত । ‘ জহর ’ অর্থাৎ মূল্যবান রত্ন বিশেষজ্ঞকে জহুরি বলা হয় । এক্ষেত্রে জহুরি বলতে নতুন মেসোকে বোঝানো হয়েছে । লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে মাসিকে দেখায় । মাসি তা নিয়ে সারাবাড়িতে শোরগোল বাধিয়ে মেসোকে দেখাতে যান । তপন ব্যাপারটায় আপত্তি তুললেও মনে মনে পুলকিত হয় এই ভেবে যে , তার লেখার মূল্য একমাত্র কেউ যদি বোঝে তবে ছোটোমেসোই বুঝবে , কেন – না জহুরির জহর চেনার মতো একজন লেখকই পারে কোনো লেখার মূল্যায়ন করতে ।
32. ‘ তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয় / — মাসি কেন হইচই করেছিলেন ?
Answer : উত্তর গরমের ছুটিতে মামার বাড়িতে এসে নতুন মেসোকে দেখে তপনের মনে লেখক সম্পর্কে যেসব ধারণা ছিল তা ভেঙে যায় । জলজ্যান্ত লেখকের সঙ্গে কাটিয়ে তপন অনুপ্রাণিত হয়ে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে । আর তা মাসির হাতে পড়ায় মাসি হইচই শুরু করে দেয় এবং তা নিয়ে তার লেখক স্বামীর কাছে যায় । এতে লাজুক তপন অপ্রস্তুত হলেও মনে মনে পুলকিত হয় , কারণ তার লেখার প্রকৃত মূল্য কেউ বুঝলে তা নতুন মেসোই বুঝবে ।
33. ‘ মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা / —কোন্ কাজকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলা হয়েছে ।
Answer : লেখকরা যে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে নতুন মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল । তপন নতুন মেসোকে অহরহ কাছ থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা আস্ত গল্প লিখে তার মেসোর উপযুক্ত কাজ প্রিয় ছোটোমাসিকে দেখায় । গল্পটি নিয়ে ছোটোমাসি রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় । শুধু তাই নয় , তিনি গল্পটি তার লেখক স্বামীকেও দেখান । গল্প দেখে তিনি সামান্য কারেকশন করে দিলে সেটা O.D যে ছাপা যেতে পারে এ কথা বলেন । আর এ কথা শুনেই মাসি সেটা ছাপিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান , যেটা কিনা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ।
34. ‘ আঃ ছোটোমাসি , ভালো হবে না বলছি । কার উক্তি ? এই হুমকির কারণ কী ?
Answer : প্রশ্নোধৃত উদ্ভিটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় কার উক্তি চরিত্র তপনের । → লেখক – মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে উদ্বুদ্ধ তপন একটি গল্প লিখে তার ছোটোমাসিকে দেখায় । তিনি তপনের গল্পটি সবটা কারণ । না পড়েই তার প্রশংসা করেন এবং তা কোথাও থেকে নকল করা কিনা তা জিজ্ঞেস করেন । এ কথায় রেগে গিয়ে তপন প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি করে ।
35. ‘ যেন নেশায় পেয়েছে । কাকে , কীসের নেশায় প্রশ্ন পেয়েছে বুঝিয়ে বলো ।
Answer : আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছে । আগে তপন মনে করত গল্প লেখা ভারী কঠিন কাজ , সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয় । লেখকরা বুঝি ভিন্ন গোত্রের মানুষ । কিন্তু লেখক- ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন সাহস করে লিখে ফেলে আস্ত গল্প । ছোটোমাসির হাত ঘুরে সেই গল্প ছোটোমেসোর হাতে পড়ে । তিনি তপনকে উৎসাহ দিতে গল্পটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন । উৎসাহিত তপন গল্প লেখার নেশায় মেতে ওঠে ।