মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান-পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ

 

 

মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান  

kamaleshforeducation.in  ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম্

আজ আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য   

Kamaleshforeducation.in  -এর তরফ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান  প্রশ্ন উত্তর  । এই   MCQ প্রশ্ন উত্তর   মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই মূল্যবান যেটি, দশম শ্রেণি [WBBSE Class 10] -এর সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।   অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে তৈরি করার এর ফলে   প্রশ্নগুলি মাধ্যমিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।মাধ্যমিক পরীক্ষার Life Science  Question Answer প্রস্তুতিতে অনেকটাই সাহায্য করবে এই MCQ প্রশ্ন উত্তর

Madhymik exam suggestions 2025 

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান –

পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (পঞ্চম অধ্যায়)

প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer :

নীচের কোনটি পরিবেশে দীর্ঘসময় থাকলে তার জীববিবর্ধন ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় তা স্থির করো
(A) খবরের কাগজ

(B) জীবজতুর মলমূত্র

(C) পচা পাতা

(D) ক্লোরিনযুক্ত কীটনাশক ।

Ans: (D) ক্লোরিনযুক্ত কীটনাশক ।

নীচের কোন সজ্জাটি গোরুমারা , করবেট , কুলিক , নন্দাদেবী – এই চারটি অরণ্যের সঠিক ক্রম নির্দেশ করে তা নির্বাচন করো –
(A) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ , অভয়ারণ্য , জাতীয় উদ্যান , জাতীয় উদ্যান

(B) জাতীয় উদ্যান , জাতীয় উদ্যান , বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ , অভয়ারণ্য

(C) জাতীয় উদ্যান , জাতীয় উদ্যান , অভয়ারণ্য , বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ

(D) অভয়ারণ্য , বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ , জাতীয় উদ্যান , অভয়ারণ্য

Ans: (C) জাতীয় উদ্যান , জাতীয় উদ্যান , অভয়ারণ্য , বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ

বায়ুতে পরাগরেণু ছত্রাকের রেণু ও ধূলিকণার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গেলে নীচের কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় তা স্থির করো
(A) যক্ষ্মা

(B) অ্যাজামা

(C) ম্যালেরিয়া

(D) ডেঙ্গু ।

Ans: (B) অ্যাজামা

অম্লবৃষ্টির কারণ হলো
(A) SO , CO /

(B) SO , € SO , /

(C) SO , ও NO , /

(D) SO , ও ধূলিকণা

Ans: (C) SO , ও NO ,

পারদঘটিত দূষণে যে রোগ হয় সেটি হলো
(A) ইটাই ইটাই /

(B) ডিসলেক্সিয়া /

(C) মিনামাটা /

(D) ব্ল্যাকফুট ডিজিজ

Ans: (C) মিনামাটা

অ্যামেনিফাইং ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ হলো
(A) রাইজোবিয়াম /

(B) ক্লসট্রিডিয়াম /

(C) ব্যাসিলাস মাইকরডিস /

(D) নাইট্রোসোমোনাস

Ans: (C) ব্যাসিলাস মাইকরডিস

নীচের কোনটি অভঙ্গুর পদার্থ ?
(A) DDT /

(B) পলিথিন /

(C) অলড্রিন /

(D) সবক’টি

Ans: (D) সবক’টি

পৃথিবীতে মোট হটস্পটের ( Hotspot ) সংখ্যা হলো—
(A) 25 /

(B) 30 /

(C) 34 /

(D) 38

Ans: (C) 34

ভারতে হটস্পটের সংখ্যা হলো –
(A) 2 /

(B) 4 /

(C) 6 /

(D) 8

Ans: (B) 4

ব্যাঘ্র প্রকল্প শুরু হয় –
(A) 1970 /

(B) 1973 /

(C) 1981 /

(D) 1985

Ans: (B) 1973

বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের স্বাভাবিক পরিমাণ হলো –
(A) 70.08 % /

(B) 72.08 % /

(C) 76.08 % /

(D) 78.09 %

Ans: (D) 78.09 %

নীচের কোনটি নাইট্রোজেন স্থিতিকারী মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া ?
(A) অ্যাজোটোব্যাক্টর /

(B) ক্লসট্রিডিয়াম /

(C) রাইজোবিয়াম /

(D) সবক’টি

Ans: (D) সবক’টি

শব্দদূষণের ফলে যে রোগটি হয় সেটি হলো
(A) বধিরতা /

(B) রক্তচাপ বৃদ্ধি /

(C) শ্রবণক্ষমতা বিনষ্ট /

(D) সবক’টি

Ans: (D) সবক’টি

প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণকে বলে –
(A) এক্স – সিটু /

(B) ইন – সিটু সংরক্ষণ /

(C) ক্রায়োপ্রিজারভেশন /

(D) চিড়িয়াখানা

Ans: (B) ইন – সিটু সংরক্ষণ

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর |

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ

(পঞ্চম অধ্যায়)

প্রশ্ন ও উত্তর |

Madhyamik Life Science Question and Answer :

পশ্চিমবঙ্গের কোন অরণ্যকে UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ( World heritage ) সাইট রূপে ঘোষণা করেছে ?
Ans: পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলকে ।

প্রাণীদেহে নাইট্রোজেনের উৎস কী ?
Ans: উদ্ভিদ ও প্রাণীজ প্রোটিন ।

পশ্চিমবঙ্গের কোথায় গণ্ডার সংরক্ষণ হয় ?
Ans: জলদাপাড়া , গোরুমারা ইত্যাদি জাতীয় উদ্যানে ।

কোন উদ্ভিদকে টেরর অব বেঙ্গল ( Terror of Bengal ) বলা হয় ?
Ans: কচুরিপানাকে ।

সম্প্রতি তাজমহল ক্ষয়ের কারণ কী ?
Ans: বায়ুদূষণের ফলে সৃষ্ট অম্লবৃষ্টি ।

ভারতের কোথায় রেড পান্ডা সংরক্ষণ করা হয় ?
Ans: সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে ।

PBR- এর পুরো নাম কী ?
Ans: People’s Biodiversity Register .

একটি নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো ।
Ans: নাইট্রোসোমোনাস ।

পশ্চিমবঙ্গের একটি জাতীয় উদ্যানের নাম লেখো ।
Ans: জলদাপাড়া ।

ব্যাঘ্র প্রকল্প কত সালে চালু হয় ?
Ans: 1973 সালে ।

গণ্ডারের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী ?
Ans: রাইনোসেরাস ইউনিকরনিস ।

শব্দদূষণ মাপার একককে কী বলে ?
Ans: ডেসিবেল ।

প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসটির নাম কী ?
Ans: CO₂ .

বায়োডাইভারসিটি শব্দের প্রবক্তা কে ?
Ans: বিজ্ঞানী W.G. Rosen .

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর |

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (পঞ্চম অধ্যায়)

প্রশ্ন ও উত্তর |

Madhyamik Life Science Question and Answer :

নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে ?
Ans: যে পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন পরিবেশ থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে ফিরে যায় এবং পরিবেশে নাইট্রোজেনের সমতা বজায় রাখে তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে ।

দু’টি রাসায়নিক সার এবং দু’টি কীটনাশকের নাম লেখো যার দ্বারা মাটি দূষিত হয় ?
Ans: রাসায়নিক সার : ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া • কীটনাশক BHC ও DDT

পরিবেশ দূষণজনিত দু’টি রোগের নাম লেখো ।
Ans: হাঁপানি বা অ্যাজমা ( Asthm (A) । ও ব্রঙ্কাইটিস ( Bronchitis ) ।

হাঁপানি বা অ্যাজমার কারণ কী ? এর লক্ষণ লেখো ।
Ans: হাঁপানি বা অ্যাজমা মানুষের শ্বাসতন্ত্রের শ্বাসনালির সংকোচনের ফলে হঠাৎ কষ্টদায়ক শ্বাস – প্রশ্বাস শুরু হলে তাকে হাঁপানি বলে । কারণ ধুলো , ঘরের ঝুল , ফুল বা ছত্রাকের রেণু , ধূমপানের ধোঁয়া , রাসায়নিক পদার্থ ( হিস্টামিন ) ইত্যাদির শ্বাসনালিতে প্রবেশ ।

লক্ষণ : বুকে সাঁই সাঁই শব্দ , শ্বাস নিতে কষ্ট , কাশি , শুয়ে থাকতে কষ্ট ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ ।

বাঘ এবং সিংহের সংখ্যা হ্রাসের দু’টি কারণ লেখো ।
Ans: বনভূমি কেটে ফেলায় স্বাভাবিক বাসস্থান নষ্ট হয়েছে । ও অর্থ উপার্জনের জন্য চোরাশিকারিদের মাধ্যমে বাঘ ও সিংহের হত্যা বাড়ছে । ফলে সংখ্যা কমে যাচ্ছে ।

অ্যামোনিফিকেশন কাকে বলে ?
Ans: যে প্রক্রিয়ায় নাইট্রোজেনযুক্ত জৈব যৌগ বিয়োজিত হয়ে অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয় তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে । অ্যামোনিফিকেশনে সাহায্যকারী ব্যাকটেরিয়া হলো– ব্যাসিলাস মাইকরডিস , ব্যাসিলাস ভলগারিস ইত্যাদি ।

নাইট্রিফিকেশন কাকে বলে ? নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ দাও ।
Ans: অ্যামোনিয়া হতে নাইট্রেট ও নাইট্রাইট তৈরির পদ্ধতিকে নাইট্রিফিকেশন বলে । উদাহরণ : – নাইট্রোসোমোনাস , নাইট্রোব্যাক্টর ইত্যাদি ।

ডিনাইট্রিফিকেশন কাকে বলে ?
Ans: ডিনাইট্রিফিকেশন যে প্রক্রিয়ায় মাটির নাইট্রেট ও নাইট্রাইট যোগ ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হয়ে নাইট্রোজেনে পরিণত হয় তাকে ডিনাইট্রিফিকেশন বলে । উদাহরণ : সিউডোমোনাস , থিয়োব্যাসিলাস ইত্যাদি ।

ক্রায়োসংরক্ষণ বলতে কী বোঝায় ?
Ans: যে প্রক্রিয়ায় 196 ° C তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনে উদ্ভিদের পরাগরেণু , বীজ , শুক্রাণু বা ডিম্বাণু ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয় তাকে ক্রায়োসংরক্ষণ বা Cryopreservation বলে ।

ইউট্রোফিকেশন ( Eutrophication ) কাকে বলে ?
Ans: যে পদ্ধতির সাহায্যে কোনো জলাশয়ে ফসফেট জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত হওয়ার জন্য জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটে এবং জলে অক্সিজেনের অভাব দেখা যায় , তাকে ইউট্রোফিকেশন বলে ।

গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নাম লেখো ।
Ans: গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি হলো— মিথেন , নাইট্রাস অক্সাইড , ক্লোরোফ্লুরোকার্বন , ওজোন ইত্যাদি ।

Madhymik exam suggestions 2025👍👍👍:

ভারতীয় একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দু’টি সংরক্ষণ ব্যবস্থা উল্লেখ করো ।
Ans: একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দু’টি সংরক্ষণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ— 1) উপযুক্ত প্রজননের ব্যবস্থা করতে হবে । 2) উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার রোগের হাত থেকে গণ্ডারকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।

নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ( Nitrogen fixing ) দু’টি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো ।
Ans: নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া – 1) ক্লক্সট্রিডিয়াম , 2) রাইজোবিয়াম ।

দূষক কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
Ans: যেসকল পদার্থ দূষণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে তাদের দূষক বলে । যেমন— ধুলোবালি , CO , NO , SO , ইত্যাদি ।

ভঙ্গুর ও অভঙ্গুর পদার্থ বলতে কী বোঝায় ?
Ans: ভঙ্গুর পদার্থ : যেসব দূষক পদার্থ সহজে বিয়োজিত হয় তাদের ভঙ্গুর পদার্থ 3 পদার্থ সম্ভিত হয় তাকে জৈব বা বায়োঅ্যাকুমুলেশন বলে ।

উদাহরণ— পারদ , সিসা , ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি ।

জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায় ?
Ans: জীববৈচিত্র্য : যেকোনো বাস্তুতন্ত্রে বা পরিবেশে বসবাসকারী জীবের মধ্যে যে বিভিন্নতা দেখা যায় তাকে জীববৈচিত্র্য বলে । W.G. Rosen 1985 সালে প্রথম Biodiversity শব্দটি ব্যবহার করেন ।

হটস্পট ( Hotspot ) কাকে বলে ?
Ans: পৃথিবীর যেসব জায়গায় খুব বেশি সংখ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বাস করে এবং কোনো না কোনো কারণে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে সেই স্থানগুলিকে হটস্পট বলা হয় ।

ভারতের দু’টি হটস্পটের নাম লেখো ।
Ans: ভারতের দু’টি হটস্পট — 1) Western Ghat- ভারতের পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চল । 2) Eastern Himalayan Region- ভারতের উত্তর – পূর্ব হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চল ।

বিপন্ন প্রজাতি কাকে বলে ?
Ans: যেসকল উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে এবং অদুর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তাদের বিপন্ন প্রজাতি ( Endangered Species ) বলে ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর |

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ

(পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর |

Madhyamik Life Science Question and Answer :

নাইট্রোজেন চক্রের যে কোনো তিনটি ধাপে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা বিশ্লেষণ করো । “ বিলাসবহুল ও আরামদায়ক জীবনযাত্রা বায়ুদূষণের একটি অন্যতম প্রধান কারণ ” – যুক্তিসহ উক্তিটি সমর্থন করো ।

Ans: নাইট্রোজেন চক্রের তিনটি ধাপে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা :

1) নাইট্রোজেন সংবন্ধন মাটির জীবাণু যেমন- ক্লসট্রিডিয়াম , অ্যাজোটোব্যাকটর দ্বারা মাটিতে বায়ুর নাইট্রোজেন জমা হয় । এছাড়া রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা বায়ুর নাইট্রোজেন মাটিতে আসে অ্যামেনিয়া হিসাবে ।

2) আমোনিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া ( যেমন ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস ) মৃত জীবদেহের প্রোটিন থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও সেখান থেকে অ্যামোনিয়া তৈরি করে ।

3) নাইট্রিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাটির অ্যামোনিয়াকে নাইট্রাইট ও শেষে নাইট্রেটএ পরিণত করে নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া ( যেমন নাইট্রোসোমোনাস ) । এছাড়া ডিনাইট্রিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাটির নাইট্রোজেন যৌগ থেকে নাইট্রোজেন মুক্ত করে বায়ুতে ফেরত পাঠায় ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া ( যেমন সিউডোমোনাস ) বিলাসবহুল ও আরামদায়ক জীবনযাত্রার ফলে অর্থাৎ এসি , ফ্রিজ , ধূমপান এগুলি বাতাসে CFC , CO . , Co এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে বায়ুদূষণ ঘটায় ।

গঙ্গা নদীর দূষণের ফলে প্রাণী জীববৈচিত্র্যের বিপন্নতার দুটি উদাহরণ দাও । নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হওয়ার ফলে যেসব ঘটনা ঘটছে তার যে কোনো প্রধান তিনটি ঘটনা ব্যাখ্যা করো ।

Ans: গঙ্গানদীর দূষণের ফলে প্রাণী জীববৈচিত্র্যের বিপন্নতার উদাহরণ হলো কচ্ছপ , গঙ্গার ঘরিয়াল ।

নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হওয়ার ফলে ঘটে যাওয়া ঘটনা –

1) কৃষিতে অধিক পরিমাণে অ্যামোনিয়াম সালফেট সার হিসাবে ব্যবহার করার ফলে জমি অম্লিক হয়ে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে ।

2) নাইট্রাস অক্সাইড নামক গ্রিনহাউস গ্যাস বেড়ে যায় ফলে বায়ুদূষণ ও পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যায় ।

3) বিভিন্ন অঞ্চলে অ্যাসিড বৃষ্টি নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হবার ফলে হচ্ছে । ফলে মাটি , নদী , হ্রদের জলের অম্লতা বাড়ছে । এতে মাটিদূষণ ও জলদূষণ হচ্ছে ।

“ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার একটি সমস্যা হলো বায়ুমন্ডলের পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্মায়ন ” – পরিবেশে এর কী কী প্রভাব পড়তে পারে তার সারসংক্ষেপ করো । শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের নানা শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা যায় এরূপ দুটি সমস্যার নাম লেখো এবং তাদের একটি করে উপসর্গ বিবৃত করো ।
Ans: পরিবেশে এর প্রভাবগুলি হলো :

1) সমুদ্রতলের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে ফলে সমুদ্রতীরবর্তী অনেক শহর জলের তলায় তলিয়ে যাবে এবং অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী তথা জীববৈচিত্র্যের অবুলপ্তি ঘটবে ।

2) অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে ফলে বন্যার সৃষ্টি হবে আবার অতিরিক্ত পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণী তথা মানুষের বাঁচার পক্ষে অত্যাধিক কষ্টকর ঘটনা হতে পারে । আবার অ্যাসিড বৃষ্টি হতে পারে ফলে মাটি ও জলাশয়ের জল আম্লিক হয়ে পড়বে । এতে মাটিতে ফসল উৎপাদন কমে যাবে । আবার অন্যদিকে জলদূষণ হবে ফলে জলের উদ্ভিদ ও প্রাণী মারা যাবে । শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের দুটি শ্বাসজনিত সমস্যা হলো অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস ।

অ্যাজমার উপসর্গ : শ্বাসকষ্ট ও বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই আওয়াজ অত্যাধিক হারে তরল মিউকাস উৎপন্ন হয় । ব্রঙ্কাইটিস- বুকে ব্যথা , কফ্ ওঠা , জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ।

সুন্দরবনে একটি গবেষণা করতে গিয়ে তুমি নিম্নলিখিত তিনটি সমস্যা শনাক্ত করলে- ১ ) খাদ্য খাদক সংখ্যার ভারসাম্যে ব্যাঘাত ২ ) নগরায়ণের জন্য লবণাম্বু উদ্ভিদ ধ্বংস ৩ ) উন্নতা বৃদ্ধির ফলে দ্বীপভূমির নিমজ্জন জীববৈচিত্র্যের উপর এদের প্রভাব কী কী হতে পারে তা বিশ্লেষণ করো । সুন্দাল্যান্ড হটস্পটের অবস্থান ও এর জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির নাম লেখো ।
Ans: খাদ্য – খাদক সংখ্যার ভারসাম্যে ব্যাঘাত মানুষের উপর বাঘের আক্রমণ নগরায়ণের জন্য লবণাম্বু উদ্ভিদ ধ্বংস – – ভূমিক্ষয় । – উয়তাবৃদ্ধির ফলে দ্বীপভূমির নিমজ্জন মানুষের বাসস্থানের অভাব সুন্দাল্যান্ড হটস্পটের অবস্থান আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রজাতির নাম ম্যানগ্রোভ ।

ওজোন হোল ( Ozon Hole ) কী ? এর কারণ ও প্রভাব উল্লেখ করো ।

Ans: ওজোন হোল : বায়ুমণ্ডলের 20-30 কিলোমিটার উচ্চতায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অবস্থিত । এই স্তরটি ওজোন গ্যাসের আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে । পরিবেশ দূষণের ফলে ওজোনের এই স্তরটি ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বড়ো ফাটল বা গহ্বরের সৃষ্টি করে , তাকে ওজোন ছিদ্র বা Ozon Hole বলে ।

ওজোন ছিদ্র সৃষ্টির কারণ : 1) শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহারে উৎপন্ন CFC , বাতাসের সঙ্গে মিশে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ছড়িয়ে পড়ে এবং ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে । 2) মানুষের সৃষ্ট অন্যান্য দূষক পদার্থ নাইট্রাস অক্সাইড ( N , O ) , কার্বন টেট্রাক্লোরাইড ( CCL ) , মিথাইল ব্রোমাইড ( CH , Br ) ইত্যাদি ওজোন হোল সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে । 3) দ্রুতগামী সুপারসোনিক বিমান স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ভেদ করে যাওয়ার সময় ওজোন হোল সৃষ্টি করে ।

ক্ষতিকারক প্রভাব : 1) ওজোন ছিদ্র সৃষ্টির ফলে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় । ফলে ত্বকের ক্যানসার সৃষ্টি করে । 2) UV – B রশ্মির প্রভাবে চোখে ছানি পড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে । 3) প্রাণীদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে । 4) পৃথিবীর উষ্মতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং ( Global Warming ) – এর কারণ 5) জুপ্ল্যাঙ্কটন ও ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন কমে যাওয়ার ফলে খাদক প্রাণীর খাদ্যাভাবে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ছে ।

সুন্দরবনে মিষ্টিজলের সংকটের ফলে সৃষ্ট প্রভাবগুলি আলোচনা করো । সুন্দরবনের দু’টি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের এবং দু’টি প্রাণীর নাম লেখো ।

Ans: সম্প্রতি সুন্দরবনে মিষ্টিজলের সংকট দেখা দিয়েছে । গঙ্গা নদীতে বছরের অধিকাংশ সময় জল কম থাকে , অন্যদিকে ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মিষ্টিজল সরবরাহ না হওয়ায় সুন্দরবনে মিষ্টিজলের সংকট দেখা দিয়েছে । মিষ্টিজল সংকটের ফলে নিম্নলিখিত সমস্যা দেখা দিয়েছে ।

1) মিষ্টিজলের অভাবে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য বিশেষ করে সুন্দরী গাছের সংখ্যা কমেছে ।

2) সুন্দরবনের মাটিতে এবং জলে লবণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে ।

3) মিষ্টিজলে বসবাসকারী মাছের সংখ্যা কমছে ।

4) সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার , কুমির , অজগর এবং অন্যান্য প্রাণী বিপন্ন হয়ে পড়েছে ।

সুন্দরবনের উদ্ভিদ 1) সুন্দরী ( Heritiera formes ) 2) গরান ( Ceriops decandra ) ।

সুন্দরবনের প্রাণী 1) রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ( Panthera tigris ) , 2) অজগর ( Python molurus )|

মাটিদূষণের দু’টি কারণ ও দু’টি কুফল আলোচনা করো ।
Ans: মাটিদূষণের কারণ :

1) জীবাণু : মানুষ ও অন্য প্রাণীদের মলমূত্র , গৃহস্থালি ও অন্যান্য কাজে উৎপন্ন বর্জ্য , পৌর আবর্জনা , হাসপাতালের আবর্জনা ইত্যাদিতে মিশে থাকা বিভিন্ন প্রকারের জীবাণু মাটির দূষণ ঘটায় ।

2) রাসায়নিক পদার্থ : কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক যেমন— BHC , DDT , অলড্রিন , ম্যালাথিয়ন ইত্যাদি , রাসায়নিক সার যেমন— ইউরিয়া , অ্যামোনিয়া ইত্যাদি , আগাছানাশক যেমন— 2,4 – D , অভঙ্গুর পদার্থ যেমন- প্লাস্টিক দ্রব্য , পলিথিন ইত্যাদি , ভারী ধাতব পদার্থ যেমন পারদ , সিসা , ক্যাডমিয়াম , আর্সেনিক ইত্যাদি মাটিতে মিশে মাটির দূষণ ঘটায় ।

3) মাটিদূষণের কুফল বা ফলাফল : মানুষের উপর প্রভাব : মাটির জীবাণু মানুষের দেহে কলেরা , টাইফয়েড , আমাশয় ইত্যাদি রোগ সংক্রমণ ঘটায় । মানবদেহে সিসা থেকে ডিসলেক্সিয়া ; ক্যাডমিয়াম থেকে ইটাই ইটাই এবং পারদ থেকে মিনামাটা রোগ হয়।

জীববিবর্ধন বা জৈববিবর্ধন : কিছু অভঙ্গুর দূষক পদার্থ জীবদেহের কলাকোশে সঞ্চিত হয় এবং খাদ্যশৃঙ্খলের বিভিন্ন ট্রপিক স্তরে তাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে । একে জৈববিবর্ধন বলে । জলে বসবাসকারী প্রাণী যেমন ছোটো মাছ , বড়ো মাছ , মৎস্যভুক পাখির দেহে DDT- র বিবর্ধন দেখা যায় । এর ফলে পাখিদের ডিমের খোলস পাতলা হয় আর ডিমে তা দেবার সময় নষ্ট হয় ।

গ্রিনহাউস প্রভাব কী ? গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির কারণ ও প্রভাব সংক্ষেপে লেখো ।

Ans: গ্রিনহাউস প্রভাব : বায়ুদুষণের ফলে সৃষ্ট কার্বন ডাই – অক্সাইড , মিথেন , নাইট্রাস অক্সাইড , CFC ,, প্রভৃতি গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারে একটি আবরণ গঠন করেছে । ফলে সূর্যালোক পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার পর প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে পারে না । ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে । এই ঘটনাকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে ।

গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণ : ”

1) কার্বন ডাই – অক্সাইড ( CO ) : জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন হয় ।

2) মিথেন : কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভিদের পচন , বর্জ্য পদার্থ , তৈলখনি থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় ।

3) নাইট্রাস অক্সাইড : কলকারখানা , যানবাহন , সার কারখানা থেকে উৎপন্ন হয় । ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( CFC ) : ফ্রিজ , কুলার , এয়ার কন্ডিশনার , প্লাস্টিক কারখানা ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন হয় ।

গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব : 1) গ্রিনহাউস বৃদ্ধির ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে বলে তা জীবের বাঁচার পক্ষে প্রতিকূল হচ্ছে । 2) সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে সমুদ্রতীরবর্তী অনেক শহর সমুদ্রগর্ভে চলে যেতে পারে । 3) পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ায় মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীরও অস্তিত্ব বিপন্ন হবে । 4) গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটবে । ফলে অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়বে । 5) গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে বিভিন্ন রোগ যেমন- ম্যালেরিয়া , ডেঙ্গু , হাঁপানি , অ্যালার্জি রোগের আক্রমণ বেশি হবে । এর ফলে বনাঞ্চল ধ্বংস হবে ।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে JFM ( Joint Forest Management ) – এর ভূমিকা আলোচনা করো । টাইগার প্রজেক্ট কী ?
Ans: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে JEM- এর ভূমিকা : JFM ( Joint Forest Management ) এর ভূমিকা : জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট ( JFM ) ভারত সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা । পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের আরাবারি শালবনের নষ্ট হয়ে যাওয়া জঙ্গলকে বাঁচানোর জন্য 1971 সালে ভারত সরকার সংস্থাটি গঠন করে । এতে বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে প্রতিনিধি বেছে নিয়ে তাদের বনজ সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ , এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয় । 2005 সালের হিসেব অনুযায়ী ভারতের 27 টি রাজ্যে JFM চালু রয়েছে । এর ফলে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করা , গাছ কাটা থেকে মানুষকে সচেতন করা , মাটি সংরক্ষণ করা , জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে ।

টাইগার প্রজেক্ট : শিকারের কারণে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে । তাই বাঘ সংরক্ষণ করার জন্য ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে টাইগার প্রজেক্ট চালু হয় । বাঘকে স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচিয়ে রাখার এই পরিকল্পনাকে টাইগার প্রজেক্ট বা ব্যাঘ্র প্রকল্প বলে । টাইগার প্রজেক্ট – এর ফলে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে । পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে টাইগার প্রজেক্ট আছে ।

 

©kamaleshforeducation.in(2023)

error: Content is protected !!