জীববৈচিত্র্য কাকে বলে ? জীববৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য লিখো।
জীববৈচিত্র্য বলতে কী বােঝ? এর প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
Estimated read time: 1 min
জীববৈচিত্র্য : Bio (জীবন বা প্রাণ) এবং Diversity (বৈচিত্র্য বা বিভিন্নতা) এই দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে ইংরেজি শব্দ Biodisversity কথাটির উৎপত্তি, যার অর্থ হল জীববৈচিত্র্য।
কোন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট অঞ্চলে জিন, প্রজাতি ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য অনুযায়ী উপস্থিত উদ্ভিদ, প্রাণী ও অনুবীক্ষণিক জীবসমূহের যে বৈষম্য ও বিভিন্নতা থাকে এবং স্থান ও সময়ের সাথে জীবকুলের বৈশিষ্ট্যপরিবর্তন ঘটে, তাকে জীববৈচিত্র্য বলে।
জীববৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য : জীববৈচিত্র্যের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলি হল –
(i) বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্নতা : প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাস্তুতন্ত্রের বহুরুপতা হল জীববৈচিত্র্যের মূল উৎস।
(ii) জীবগোষ্টির পার্থক্যের সহাবস্থান : উদ্ভিদগোষ্টি, প্রাণীগোষ্টি ও ক্ষুদ্র জীবগোষ্টির ধারণগত ও প্রকারগত পার্থক্যের সহাবস্থান জীববৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
(iii) সর্বদা পরিবর্তনশীল : সময়ের সাথে সাথে ক্রমাগত জীববৈচিত্র্যও পরিবর্তন হতে থাকে। অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য সর্বদা পরিবর্তনশীল।
(iv) জীববৈচিত্র্যের অসম বন্টন : পৃথিবীর সব স্থানে জীববৈচিত্র্যের বন্টন সমান দেখা যায় না। যেমন – মেরু অঞ্চলের তুলনায় ক্রান্তীয় অঞ্চলে, শুষ্ক অঞ্চলের চেয়ে আদ্র অঞ্চলে, উচু অঞ্চল থেকে নিচু অঞ্চলে, বেশি ঋতুবৈচিত্র্য সম্পন্ন এলাকার তুলনায় কম ঋতুবৈচিত্র্য এলাকায় জীববৈচিত্র্য বেশি দেখা যায়।
(v) অন্যান্য বৈশিষ্ট্য : উপরিক্ত অংশে আলোচিত বৈশিষ্ট্য গুলি ছাড়াও, সব প্রজাতির সক্রিয় ভূমিকা, এক বা তার বেশি প্রজাতি বা বাস্তুতন্ত্র প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য।
জীববৈচিত্র্য বিনাশের কারণ আলোচনা করো।
জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তির প্রধান কারণগুলি লেখাে।
Estimated read time: 2 min
জীববৈচিত্র্য বিনাশের কারণ : অতীতের সময়কালে সাধারণত প্রাকৃতিক কারণে জীব প্রজাতির অবলুপ্তি ঘটলে বর্তমানে মানুষসৃষ্ট কিছু কারণে জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় চরম পর্যায় ধারণ করেছে। জীববৈচিত্র্য বিনাশের কারণকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিন্মে আলোচনা করা হল –
(A) প্রাকৃতিক কারণ : জীববৈচিত্র্য বিনাশের যেসব প্রাকৃতিক কারণ বর্তমান সেগুলি নিন্মরূপ আলোচনা করা হল –
(i) জলবায়ু পরিবর্তন : বিভিন্ন যুগে শুধুমাত্র জলবায়ু এর পরিবর্তন ঘটার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির বিনাশ ঘটেছে। যেমন – মেসোজোয়িক যুগের ডাইনোসোর, বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী হিমযুগের অবির্ভাবের কারণে খাদ্যের অভাবে অবলুপ্ত হয়। আবার, ভূমণ্ডলের উষ্ণতার বৃদ্ধির ফলে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিকাশ সাধন না করতে পারায় তাদের অবলুপ্তি ঘটে। যেমন – ইতিমধ্যে ম্যমথ, ম্যাসটডন ইত্যাদি বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী উষ্ণ জলবায়ুর আগমনের ফলে বিলুপ্ত হয়।
(ii) প্রাকৃতিক বিপর্যয় : ক্রমাগত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলির কারণে জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় ঘটছে। যেমন –
(ক) অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি ধ্বংস হয় বা বিলুপ্তি ঘটে।
(খ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলবর্তী স্থানে জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
(গ) পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্প ঘটার কারণে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী চাপা পড়ে যায়। যার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যের বিঘ্ন ঘটে দেখা যায়।
(ঘ) ঘন ঘন বন্যা, খরা ও মহামারী জনিত রোগের প্রকোপে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জীবগোষ্টি বিলুপ্ত হয়।
(ঙ) হটাৎ করে অরণ্যে দাবানল এর সৃষ্টি হলে অসংখ্য গাছপালা ও বন্যপ্রাণীকে পুড়িয়ে ফেলে সেই দাবানল। যার ফলে এক বিস্তীর্ণ এলাকার জীববৈচিত্র্যের বিনাশ ঘটে থাকে।
উপরিক্ত কারণগুলি ছাড়াও, মহিসঞ্চারণ, মরুগ্রাস, ধূমকেতু প্রভৃতি কারণ জীববৈচিত্র্য বিনাশের অন্যতম প্রাকৃতিক কারণ।
(A) মানুষসৃষ্ট কারণ : জীববৈচিত্র্য বিনাশের মানুষসৃষ্ট কারণ গুলি নিচে আলোচনা করা হল –
(i) আবাসস্থলের সংকোচন, অবনমন ও বিভাজন : কোন জীবের স্থানীয় পরিবেশকে সাধারণত ওই জীবের বাস্তুক্ষেত্র বা বাসস্থান বলা হয়। আর কোন কারণে পরিবেশের পরিবর্তন ঘটলে বাসস্থানের সংকোচন ঘটে। আবার, আধুনিককালে কৃষিকাজ, শিল্পস্থাপন রাস্তাঘাট ও বসতি নির্মাণ প্রভৃতি উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়্নের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলি সংকুচিত হওয়ায় ও পরস্পর থেকে খাদ্যসংকট ও প্রজাতির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আর যার ফলে দুর্বল প্রজাতিগুলি অবলুপ্ত হয়।
(ii) অতি শিকার ও চোরা শিকার : বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হাতির দাঁত, চামড়া, লোম, পশম, শিং, মাংস ইত্যাদি অতি দুশপ্রাপ্য পশুজ উপকরন সংগ্রহের জন্য প্রাণী বা বন্য প্রাণীর অতি শিকার ও চোর শিকার করার কারণে ক্রমাগত বিভিন্ন বন্য প্রাণী প্রায় লুপ্ত হচ্ছে।
(iii) বৃক্ষচ্ছেদন : ব্যপক মাত্রায় বৃক্ষছেদন করার ফলে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন গাছ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল। আর সেইসব গাছ ক্রমাগত কাটার ফলে বিশেষ বিশেষ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
(iv) অতিমাত্রায় পশুপালন : বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত কৃষিকাজের বিস্তার লাভ করায় পশুপালনক্ষেত্রে বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। তাই পশুপালকেরা প্রায়শই অরণ্য অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং পশুচারণ করতে থাকে। আর যার ফলে ছোট গাছ, চারাগাছ, গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ নষ্ট হওয়ায় জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় ঘটেছে।
(v) অন্যান্য কারণ : উপরিক্ত মানুষসৃষ্ট কারণ গুলি ছাড়াও, সুযোগ সন্ধানী প্রজাতি, আগুন্তুক প্রজাতির অনুপ্রবেশ, ছদ্ম প্রভাব, পরিবেশ দূষণ প্রভৃতি মানুষসৃষ্ট কারণএর ফলে জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় লক্ষ্য করা যায়।
ছত্রিশগড়ের খনিজ সম্পদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
ছত্রিশগড়ের খনিজ সম্পদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
Estimated read time: 1 min
ছত্রিশগড়ের খনিজ সম্পদ : ছত্রিশগড় ভূতাত্বিক গঠনের কারণে বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য ও ব্যবহারিক শিলা দ্বারা সমৃদ্ধ এবং খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এখানে প্রচুর পরিমাণে কয়লা ও আকরিক লোহা পাওয়া যায়। এছাড়াও ডলোমাইট, চুনাপাথর, বক্সাইড প্রভৃতি যথেষ্ট পরিমাণে এবং সোনা, হীরা, গরনেট প্রভৃতি খনিজ দ্রব্য পাওয়া যায়। ছত্রিশগড়ের খনিজ সম্পদ গুলি সম্পর্কে নিন্মে আলোচনা করা হল –
(i) আকরিক লোহা : আকরিক লোহা উৎপাদনে বর্তমানে এই রাজ্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এই রাজ্যে দুর্গ জেলার দাল্লিরাজহারা এবং বস্তার জেলায় দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আকরিক লোহা খনি অধিক পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – বাইলাডিলা, রায়গড়, সরসুজা প্রভৃতি লৌহ খনি।
(ii) কয়লা : কয়লা উত্তোলনে ছত্রিশগড় রাজ্য ২০১৭ – ২০১৮ সালে প্রথম স্থান অধিকার করলেও বর্তমানে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এই রাজ্যের প্রধান কয়লাখনির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – কোরবা, সরগুজা, কোরিয়া, তাতাপানি প্রভৃতি।
(iii) বক্সাইট : এই রাজ্য বক্সাইট উত্তোলনে চতুর্থ স্থান অধিকার করে। বিলাসপুরের মৈকাল পর্বত, সরগুজা, অমরকন্টক ও দুর্গ জেলায় বক্সাইট উত্তোলন হয়।
(iv) চুনাপাথর : রাজ্যটি চুনাপাথর উত্তোলনে চতুর্থ স্থান অধিকার করে থাকে। চুনাপাথর উত্তোলন যুক্ত এলাকাগুলির মধ্যে রায়গড়, বিলাসপুর, দুর্গ জেলা উল্লেখযোগ্য।
উপরিক্ত খনিজ সম্পদ গুলি ছাড়াও, টিন, লোহা, সোনা, হীরা প্রভৃতি সম্পদ উত্তোলন হয়ে থাকে এই রাজ্যে।
হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো।
Estimated read time: 1 min
হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার কারণ সমূহ : কলকাতা থেকে প্রায় ৯৬ কিমি দূরে দক্ষিণ হুগলি ও হলদি নদীর সংযোগস্থলে কলকাতা বন্দরের সহযোগী ও পরিপূরক বন্দর রূপে হলদিয়া বন্দরের উৎপত্তি। ১৯৭৭ সাল থেকে এই বন্দরটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে প্রধান কারণগুলি সম্পর্কে নিন্মে আলোচনা করা হল –
(i) বাঁক হীন নদীপথ : কলকাতা বন্দরে প্রবেশ করতে হলে অসংখ্য বাঁক অতিক্রম করে জাহাজগুলিকে প্রবেশ করতে হয়। সেই তুলনায় হলদিয়া বন্দরের নদী পথে বাঁক আপেক্ষিক ভাবে কম থাকায় জাহাজের যাওয়ার পথ সুগম্য হয়।
(ii) স্বল্প সংখ্যক বালুচর : কলকাতা বন্দরে কোন জাহাজকে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে ১৫ টি নদী চর অতিক্রম করতে হয়। সেই তুলনায় হলদিয়া বন্দরের পথে মাত্র তিনটি নদী চর অতিক্রম করতে হয়।
(iii) হুগলি নদীর গভীরতা : হলদিয়া বন্দরের কাছে হুগলি নদীর গভীরতা ১০-৩০ মিটার। এর ফলে জাহাজের চলাচল সুবিধাজনক হয়, যেখানে কলকাতা বন্দরের কাছে হুগলি নদীতে গভীরতা কম থাকে।
(iv) উন্নত পশ্চাৎভূমি : কলকাতা বন্দরের সহযোগী হিসাবে হলদিয়া বন্দর উন্নত পশ্চাৎভূমিতে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(v) সরকারী সহযোগিতা : হলদিয়া বন্দরের বিস্তারের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন অনুদান প্রদান করায় এবং সরকারী নীতির প্রয়োগ করায় হলদিয়া বন্দর গড়ে উঠেছে।
(vi) অন্যান্য কারণ : উপরিক্ত কারণগুলি ছাড়াও, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, বন্দর কেন্দ্রিক শিল্পাঅঞ্চল, আধুনিক ব্যবস্থা প্রভৃতি হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে অন্যতম কারণ।
ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
Estimated read time: 1 min
ম্যানগ্রোভ অরণ্য : সমুদ্র তীরবর্তী লবণাক্ত উপকূল অঞ্চলে যে সমস্থ উদ্ভিদের অরণ্য লক্ষ্য করা যায়, তাকে ম্যানগ্রোভ অরণ্য বলে। এই অরণ্যের উদ্ভিদ নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলীর পরিচলনার জন্য অভিযোজন ঘটায়। ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হোগলা, গোলপাতা প্রভৃতি।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য : ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদগুলির অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে নিন্মে আলোচনা করা হল –
(i) শ্বাসমূল : ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ লবণাক্ত জলাভূমিতে জন্মানোয় মৃত্তিকায় অক্সিজেনের অভাব লক্ষ্য করা যায়, ফলে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সংগ্রহ করার জন্য অভিকর্ষজ শক্তির বিপরীতে মৃত্তিকা ভেদ করে কিছু মূল ভূপৃষ্টের বাইরে বেরিয়ে আসে, এই ধরনের মূলকে শ্বাসমূল বলে। এই মূলের মাথা ছোট ছিদ্র যুক্ত হয়ে থাকে।
(ii) ঠেসমূল : সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে জন্মানোয় সমুদ্রতরঙ্গের আঘাতে গাছগুলি সোজাভাবে দাড়িয়ে থাকতে পারে না। এই কারণে গাছের শাখা থেকে কিছু ঝুলের মতো মূল বেরিয়ে মাটির সাথে যুক্ত হয় এবং গাছকে সোজা ভাবে দাড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে। এই ধরনের মূলকে ঠেসমূল বলে।
(iii) জরায়ুজ অঙ্কুরোদম : ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বংশ বিস্তার বজায় রাখার জন্য জরায়ুজ অঙ্কুরোদম লক্ষ্য করা যায়। লবনাক্ত মৃত্তিকাতে বা ভূমিতে বীজ পড়লে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং বীজটি নিজ ক্রিয়া সম্পাদন করতে পারে না। তাই গাছে থাকা অবস্থায় বীজ গুলি থেকে অঙ্কুরোদম ঘটে থাকে, আর একেই জরায়ুজ অঙ্কুরোদম বলা হয়।
অন্তক্ষেত্রীয় ও বহিঃক্ষেত্রীয় সংরক্ষণ এর মধ্যে পার্থক্য লিখো।
ইন সিটু সংরক্ষণ এর উদাহরণ | এক্স সিটু সংরক্ষণ এর উদাহরণ
Estimated read time: 2 min
অন্তক্ষেত্রীয় ও বহিক্ষেত্রীয় সংরক্ষণের মধ্যে পার্থক্য নিন্মরূপ আলোচনা করা হল –
বিষয় | অন্তক্ষেত্রীয় সংরক্ষণ | বহিক্ষেত্রীয় সংরক্ষণ |
সংজ্ঞা | নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশে বা বাসস্থানে যখন বিভিন্ন বিপন্ন ও বিপদ সংকুল উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতিকে রক্ষা বা সংরক্ষণ করা হয় তাকে অন্তক্ষেত্রীয় সংরক্ষণ বলে। | যেসব জীব প্রজাতিকে তার নিজ বাসস্থান থেকে দূরে বা বাইরে কৃত্তিম ভাবে তৈরি বাসস্থান যোগ্য পরিবেশে রক্ষা করা হয় তাকে বহিক্ষেত্রীয় সংরক্ষণ বলে। |
স্থান | এই সংরক্ষণে বিভিন্ন জীবকে তাদের নিজস্ব বাসস্থানে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। | এই সংরক্ষণে জীবকে তার নিজ বসস্থান থেকে দূরে কৃত্তিম পরিবেশে সংরক্ষণ বা রক্ষা করা হয়। |
জীবসংখ্যা | এই সংরক্ষণে প্রাকৃতিক উপায়ে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। | এই সংরক্ষণে জীবকে তার নিজ বাসস্থান থেকে দূরে কৃত্তিম পরিবেশে রক্ষা করা হয়। |
জীববৈচিত্র্য | এই সংরক্ষণে প্রজাতি, জিন ও বাস্তুতন্ত্রগত জীববৈচিত্র্য একসাথে সুরক্ষিত করা হয়। | এই সংরক্ষণে প্রজাতি ও জিনগত জীববৈচিত্র্য পৃথক ভাবে সুরক্ষিত করা হয়। |
খাদ্যশৃংখল | এক্ষেত্রে স্বাভাবিক খাদ্যশৃংখল গড়ে ওঠে। | বাস্তুতান্ত্রিক রক্ষা করা যায় না বলে খাদ্যশৃংখল গড়ে ওঠে না। |
পদ্ধতি ও বিস্তৃতি | এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সংরক্ষণ অঞ্চলে বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে জাতীয় উদ্যান, অভায়ারণ্য সংরক্ষিত জীবমন্ডল গড়ে তোলা হয়। | এক্ষেত্রে সংরক্ষণ অঞ্চলের বাইরে একটি ক্ষুদ্র অঞ্চলে উদ্ভিদ উদ্যান, চিড়িয়াখানা, জিন ভান্ডার, অণুজীব সংগ্রহালয় গড়ে ওঠে। |
উদ্দেশ্য | জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হল এর মূল উদ্দেশ্য। | শিক্ষা, গবেষণা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হল এর মূল উদ্দেশ্য। |