MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান –
জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর |
Madhyamik Life Science Question and Answer :
- অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনের সঠিক বৈশিষ্ট্যটি শনাক্ত করো
(A) যৌন জননকারী জীবের জনন মাতৃকোশে ঘটে
(B) এটিকে পরোক্ষ বিভাজন বলা হয় ।
(C) ক্রোমোজোম ও বেমতত্ত্ব গঠিত হয় না
(D) ক্রোমোজোম ও বেমতত্ত্ব গঠিত হয় না ।
Ans: (D) ক্রোমোজোম ও বেমতত্ত্ব গঠিত হয় না ।
- মিয়োসিসের তাৎপর্য সংক্রান্ত নীচের কোন বক্তব্যটি সঠিক তা সঠিকভাবে নিরূপণ করো –
(A) দেহের সার্বিক বৃদ্ধি ও পরিস্ফুটন ঘটায়
(B) জীবের জনন অঙ্গের ও ভ্রুণের বৃদ্ধি ঘটায়
(C) বংশগত প্রকরণবাহী হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপাদন করে
(D) কোনো কোনো প্রাণীর দেহে কোনো অঙ্গহানি ঘটলে সেটি পুনরুৎপাদন করে ।
Ans: (C) বংশগত প্রকরণবাহী হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপাদন করে
- সঠিক জোড়টি নির্বাচন করো এবং লেখো
(A) বহুবিভাজন- হাইড্রা
(B) খন্ডীভবন স্পাইরোগাইরা
(C) পুনরুৎপাদন ফার্ন
(D) কোরকোগম প্ল্যানেরিয়া ।
Ans: (B) খন্ডীভবন স্পাইরোগাইরা
- নীচের কোন উদ্ভিদ অধবায়ব কাণ্ডের সাহায্যে জনন সম্পন্ন করে ?
(A) কচুরিপানা /
(B) আদা /
(C) পাথরকুচি /
(D) জবা
Ans: (A) কচুরিপানা
- কোশচক্রের যে দশায় DNA অণুর সংশ্লেষ ঘটে সেটি হলো-
( a ) G ,
( b ) S
( c) G2,
( d ) M
Ans: ( b ) S
- সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোম প্রধানত
(A) দুই প্রকার
(B) তিন প্রকার
(C) চার প্রকার
(D) কোনো প্রকারভেদ নেই ।
Ans: (C) চার প্রকার
- যে নাইট্রোজেন বেসটি DNA- তে থাকে না কিন্তু RNA- তে থাকে সেটি হলো—
( a ) অ্যাডেনিন /
( b ) গুয়ানিন /
( c ) থাইমিন /
( d ) ইউরাসিল
Ans: ( d ) ইউরাসিল
- মানবদেহে বৃদ্ধির 12 থেকে 20 বছর বয়স পর্যন্ত দশাকে বলা হয় –
(A) শৈশব দশা
(B) বয়ঃসন্ধি দশা
(C) পরিণত দশা
(D) বার্ধক্য দশা ৷
Ans: (B) বয়ঃসন্ধি দশা
- যৌন জননের একক হলো—
(A) রেণু /
(B) গ্যামেট /
(C) শুক্রাশয় /
(D) ডিম্বাশয়
Ans: (B) গ্যামেট
- নীচের কোন প্রাণীর কোরকোগম দেখা যায় ? (A) হাইড্রা /
(B) অ্যামিবা /
(C) চ্যাপ্টা কৃমি /
(D) প্যারামেসিয়াম
Ans: (A) হাইড্রা
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik Life Science Suggestion 2024 Click here ]
- প্রতিটি ক্রোমোজোমে ক্রোমাটিডের সংখ্যা হলো—
(A) 2 /
(B) 4 /
(C) 6 /
(D) 8
Ans: (A) 2
- DNA- এর গঠনগত একক হলো—
(A) নিউক্লিওসাইড /
(B) নিউক্লিওটাইড /
(C) নিউক্লিওলাস /
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (B) নিউক্লিওটাইড
- কোশ বিভাজনের যে দশায় নিউক্লিয় পর্দা বিলুপ্ত হয় সেটি হলো–
(A) প্রোফেজ /
(B) মেটাফেজ /
(C) অ্যানাফেজ /
(D) টেলোফেজ
Ans: (A) প্রোফেজ
- প্লাজমোডিয়ামের জনন পদ্ধতি হলো
(A) দ্বিবিভাজন /
(B) বহুবিভাজন /
(C) কোরকোগম /
(D) খণ্ডীভবন
Ans: (B) বহুবিভাজন
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion 2024 Click here ]
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer :
- যৌন জননের একককে কী বলে ?
Ans: গ্যামেট ।
- কোন প্রকার কোশ বিভাজনে ক্রোমোজোমের সংখ্যা হ্রাস ঘটে ?
Ans: মিয়োসিস কোশ বিভাজন ।
- মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী ক্রোমোজোমকে কী বলে ?
Ans: অটোজোম ।
- DNA- এর দ্বিতন্ত্রী নকশা কে আবিষ্কার করেন ?
Ans: বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিক ।
- DNA- এর পুরো নাম কী ?
Ans: ডি – অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড ।
- কোন প্রকার কোশ বিভাজনকে সমবিভাজন বলে ?
Ans: মাইটোসিস কোশ বিভাজন ৷
- মিয়োসিস পদ্ধতিতে উৎপন্ন অপত্য কোশের সংখ্যা কত ?
Ans: চার ।
- অযৌন জননের একককে কী বলে ?
Ans: রেণু ( Spore ) ।
- খণ্ডীভবন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদের উদাহরণ দাও ।
Ans: স্পাইরোগাইরা ।
- বহুবিভাজনের একটি উদাহরণ দাও ।
Ans: প্লাসমোডিয়াম ।
- ইন্টারকাইনেসিস দশা কোথায় দেখা যায় ?
Ans: মিয়োসিস -1 ও মিয়োসিস- II- এর মধ্য পর্যায়ে ।
- কোন প্রকার কোশ বিভাজনে বেম বা স্পিন্ডিল গঠিত হয় না ?
Ans: অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনে বেম গঠিত হয় না ।
- ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তকে কী বলে ?
Ans: টেলোমিয়ার ।
- মুলের সাহায্যে প্রাকৃতিক অঙ্গজ জননের একটি উদাহরণ দাও ।
Ans: রাঙা আলু বা লাল ।
- একটি অর্ধবায়বীয় কাণ্ডের উদাহরণ দাও ।
Ans: কচুরিপানা ।
- কোন প্রকার জনন পদ্ধতি প্রকরণ সৃষ্টি করে এবং বিবর্তনে সাহায্য করে ?
Ans: যৌনজনন ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer :
- সেন্ট্রোমিয়ার কাকে বলে ।
Ans: ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজে অবস্থিত যে গোলাকার গঠনটি দু’টি ক্রোমাটিডকে যুক্ত করে রাখে তাকে সেন্ট্রোমিয়ার বলে ।
- ক্রোমোজোমের দু’টি কাজ লেখো ।
Ans: ক্রোমোজোমে বংশগত পদার্থ অর্থাৎ জিন অবস্থান করে । ও ক্রোমোজোম কোশের সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে ।
- ক্রসিং ওভার কাকে বলে ?
Ans: মিয়োসিসের -1 এর প্রোফেজ 1 – এর প্যাকাইটিন উপদশায় সমসংস্থ ক্রোমোজোমদ্বয়ের নন – সিস্টার ক্রোমাটিড দু’টির মধ্যে কায়াজমা ( X- এর মতো গঠন ) গঠিত হয় এবং ক্রোমোজোমের দেহাংশের বিনিময় সম্পন্ন হয় । একে ক্রসিং ওভার বলে ।
- RNA কত প্রকার ও কী কী ? এর কাজ কী ?
Ans: তিন প্রকারের , যথা— r RNA ( রাইবোজোমাল RNA ) , RNA ( ট্রান্সফার RNA ) , mRNA ( মেসেঞ্জার RNA ) ।
– কাজ প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বংশগত বস্তু হিসেবে কাজ করে ।
- মাইক্রোটিবিউলস কী ? এর কাজ কী ?
Ans: উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত সুক্ষ্ম নালিকাগুলিকে মাইক্রোটিবিউলস বলে ।
কাজ : জল , আয়ন পরিবহণ করে । ওকোশ বিভাজনের সময় বেমতত্ত্ব ও অ্যাস্টার গঠন করে ।
- একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের পাতার কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 18 হলে তার সস্যে ও জননকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত হবে ?
Ans: পাতার কোশ ডিপ্লয়েড , 2n = 18 জননকোশে ক্রোমোজোমের সংখ্যা n = 9 M সস্যের ক্রোমোজোম সংখ্যা 3n = 3×9 = 27
- ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ কাকে বলে ?
Ans: কোনো জীবের বৈশিষ্ট্যাবলির বাহ্যিক প্রকাশকে ওই জীবের ফিনোটাইপ এবং জিন সংযুক্তির দ্বারা নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যকে তার জিনোটাইপ বলে ।
- অ্যালিল বা অ্যালিলোমর্ফ কী ?
Ans: সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট বিন্দুতে অবস্থিত বিপরীতধর্মী জিনজোড়াকে একে অপরের অ্যালিল বলে । যেমন— লম্বা বেঁটে , সাদা – কালো ইত্যাদি ।
- মিয়োসিস কোশ বিভাজনকে হ্রাসবিভাজন বলে কেন ?
Ans: এই প্রকার কোশ বিভাজনে মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম পর পর দুইবার বিভাজিত হয় এবং মাতৃকোশের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত চারটি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে । তাই মিয়োসিসকে হ্রাসবিভাজন বলে ।
- জনন কাকে বলে ?
Ans: যে পদ্ধতিতে জীব নিজ আকৃতি বিশিষ্ট অপত্য জীব সৃষ্টির মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখে এবং সংখ্যার বৃদ্ধি করে তাকে জনন বলে ।
- বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে ?
Ans: ১২-২০ বছর পর্যন্ত সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে । এইসময় ছেলে ও মেয়েদের গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় ও যৌন হরমোন ক্ষরণ হয় ।
- মাইক্রোপ্রোপাগেশন কাকে বলে ?
Ans: যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদের কোশ , কলা বা অঙ্গ প্রভৃতির ক্ষুদ্রতম অংশ কর্ষণ করে অল্প সময়ে একইরকমের উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটানো হয় তাকে মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণ বলে ।
- অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রোপাগেশনের দু’টি সুবিধা উল্লেখ করো ।
Ans: উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত অসংখ্য উদ্ভিদ অল্প সময়ে সৃষ্টি করা যায় । ও রোগমুক্ত উদ্ভিদ সৃষ্টি করা যায় ৷
- ক্রোমোজোমের সংজ্ঞা দাও ।
Ans: ক্রোমোজোমের সংজ্ঞা : ইউক্যারিওটিক কোশের নিউক্লিয় জালক থেকে সৃষ্ট , নিউক্লিয় প্রোটিন দ্বারা গঠিত , স্বপ্রজননশীল যে সূত্রাকার অংশ জিন বহন করে ও বংশগত বৈশিষ্ট্যাবলির বিস্তার ঘটায় এবং জীবের পরিব্যক্তি , প্রকরণ ও বিবর্তনে সাহায্য করে তাকে ক্রোমোজোম বলে ।
- কোশচক্র কাকে বলে ? কোশচক্রের দশাগুলির নাম লেখো ।
Ans: কোশচক্র : একটি কোশের একবার বিভাজন শুরু থেকে পরবর্তী বিভাজন | শুরু পর্যন্ত যে ঘটনাগুলি ঘটে তার পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে কোশচক্র বলে । কোশচক্রের দশাগুলি হলো— G ,, S , G , ও M দশা ।
- হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড বলতে কী বোঝায় ? Ans: অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম সেটকে বা n সংখ্যক ক্রোমোজোমকে হ্যাপ্লয়েড বলে এবং দ্বিগুণ সংখ্যক বা 2n সংখ্যক ক্রোমোজোমকে ডিপ্লয়েড সেট বলে । উদাহরণ : মানুষের গ্যামেট হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির ও দেহকোশ ডিপ্লয়েড প্রকৃতির ।
- DNA- এর দু’টি কাজ লেখো ।
Ans: বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে । ORNA ও প্রোটিন সংশ্লেষ করে । প্রশ্ন অঙ্গজ জননের সংজ্ঞা দাও । যে জনন পদ্ধতিতে জীব তার দেহের কোনো অংশ বা অঙ্গ থেকে নিজ আকৃতিবিশিষ্ট অপত্য জীব সৃষ্টি করে তাকে অঙ্গজ জনন বলে ।
- অযৌন জননের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা লেখো ।
Ans: সুবিধা — কম সময়ে বেশি জীব সৃষ্টি হয় । ও অপত্য জীব জনিতৃ জীবের
অসুবিধা – নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না । ও পরিবেশের পরিবর্তন হলে অভিযোজনে সক্ষম হয় না ।
- অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস কী ? উদাহরণ দাও ।
Ans: নিষেক ছাড়াই অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে অপত্য জীব সৃষ্টিকে অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস বলে । উদাহরণ স্পাইরোগাইরা , বোলতা , মৌমাছি ইত্যাদি ।
- জনুক্রম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
Ans: জীবের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশা বা অযৌন ও যৌন জনন দশা বা স্পোরোফাইট ও গ্যামেটোফাইট দশার চক্রাবর্ত আবর্তনকে জনুক্রম বলে । উদাহরণ : উদ্ভিদ – মস , ফার্ন ইত্যাদি । প্রাণী— প্যারামেসিয়াম , মনোসিস্ট ইত্যাদি ।
- গ্যামেট কী ? এটি কত প্রকারের ও কী কী ?
Ans: যৌন জননের একককে গ্যামেট বলে । — এটি দুই প্রকার । যথা – পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু এবং স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণু ।
- অ্যামাইটোসিস কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
Ans: যে পদ্ধতিতে মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভাজিত ( নিউক্লিও পর্দা অবলুপ্তি ও বেমতত্ত্ব গঠন ছাড়া ) হয়ে দু’টি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে তাকে অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন বলে । উদাহরণ : ইস্ট , অ্যামিবা , ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদিতে দেখা যায় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer :
- পরাগযোগ কাকে বলে ? স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধা লেখো ।
Ans: পরাগযোগ : যে প্রক্রিয়ায় ফুলের পরাগরেণু একই ফুলে বা একই গাছের অন্য ফুলে বা একটি প্রজাতির অন্য গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় , তাকে পরাগযোগ ( Pollination ) বলে । এটি দুই প্রকার
- স্বপরাগযোগ : কোনো ফুলের পরাগরেণু সেই ফুলে বা সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হলে তাকে স্বপরাগযোগ বলে ।
- i) বাহকের দরকার হয় না । ii) অপত্য জীবে নতুন বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন হয় না , সুবিধা একই বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে ।
অসুবিধা : 1) উন্নত প্রজাতি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না ।
- ইতর পরাগযোগ : কোনো ফুলের পরাগরেণু একই প্রজাতির অন্য গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হলে তাকে ইতর পরাগযোগ বলে ।
সুবিধা – 1) অপত্যে নতুন বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন হয় । 2) অপত্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয় ।
অসুবিধা – 1) বাহকের উপর নির্ভরশীল বলে পরাগযোগ অনিশ্চিত হয় । 2) রেণুর অপচয় হয় । 2. সাইটোকাইনেসিস কাকে বলে ? উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস বর্ণনা করো । Ans: নিউক্লিয়াসের বিভাজনের পর সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে সাইটোকাইনেসিস বলে ।
উদ্ভিদকোশে সাইটোকাইনেসিস : উদ্ভিদকোশে কোশপাত বা সেলপ্লেট গঠনের মাধ্যমে সাইটোকাইনেসিস সম্পন্ন হয় । টেলোফেজ দশার শেষের দিকে মাইক্রোফিলামেন্ট নামক তত্ত্বগুচ্ছ বিষুব অঞ্চলে জমা হয় এবং একটি প্রাচীরের মতো গঠন তৈরি করে যা ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট নামে পরিচিত । এর সঙ্গে গলগিবডি ভেসিকেল যুক্ত হয়ে কোশপাত গঠন করে । কোশপাতের উভয় পাশে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ সম্ভিত হয়ে কোশপ্রাচীর গঠন করে । ফলে কোশের সাইটোপ্লাজম দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি অপত্য কোশের সৃষ্টি হয় ।
প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস : প্রাণীকোশে খাঁজ গঠনের মাধ্যমে বা ক্লিভেজ পদ্ধতিতে সাইটোকাইনেসিস হয় । টেলোফেজ দশায় কোশের মধ্যবর্তী স্থানে দুইপাশের কোশপর্দা সংকুচিত হয়ে খাঁজ তৈরি করে । এই খাজ একে অপরের দিকে এগিয়ে আসে এবং পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয় । ফলে কোশের সাইটোপ্লাজম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এবং দু’টি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয় ।
- DNA- এর রাসায়নিক উপাদানগুলি উল্লেখ করো ।
Ans: DNA- এর রাসায়নিক উপাদানগুলি হলো—
1) নাইট্রোজেন বেস– পিউরিন , যথা— অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন ।
2) পিরিমিডিন , যথা— সাইটোসিন ও থাইমিন । শর্করা DNA- তে শর্করা ডি – অক্সিরাইবোজ রূপে অবস্থান করে ।
- নিষেক কাকে বলে ? সপুষ্পক উদ্ভিদের নিষেক পদ্ধতি এবং নতুন উদ্ভিদ গঠন সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Ans: নিষেক : যে পদ্ধতিতে পুংগ্যামেট এবং স্ত্রীগ্যামেট স্থায়ীভাবে মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড কোশ জাইগোট গঠন করে নতুন জীব সৃষ্টি করে তাকে নিষেক ( Fertilization ) বলে ।
সপুষ্পক উদ্ভিদের নিষেক পদ্ধতি—
- পরাগযোগ : ফুলের পুংকেশরে পরাগধানী থেকে পরাগরেণু ( n ) উৎপন্ন হয় এবং বাহক ছাড়া একই ফুলের বা অন্য ফুলের স্ত্রীস্তবকের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় ।
- পরাগরেণুর অঙ্কুরোদ্গম এবং পুংগ্যামেট সৃষ্টি : গর্ভমুণ্ড থেকে রস শোষণ করে পরাগরেণু স্ফীত হয় এবং অন্তঃত্বক থেকে একটি নল সৃষ্টি করে । একে পরাগরেণুর অঙ্কুরোদ্গম বলে । পরাগনালির মধ্যে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে একটি নালিকা নিউক্লিয়াস এবং একটি জনন নিউক্লিয়াস গঠন করে । জনন নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয়ে দু’টি পুংগ্যামেট গঠন করে।
- স্ত্রীগ্যামেট সৃষ্টি : ফুলের ডিম্বাশয়ে এক বা একাধিক ডিম্বক থাকে । ডিম্বকে রেণু মাতৃকোশ থেকে চারটি স্ত্রীরেণু বা মেগাস্পোর গঠিত হয় । তিনটি স্ত্রীরেণু নষ্ট হয় এবং একটি সক্রিয় স্ত্রীরেণু ভ্রূণস্থলী গঠন করে এবং পরপর চারবার বিভাজিত হয়ে আটটি নিউক্লিয়াস গঠন করে । এর মধ্যে একটি ডিম্বাণু বা স্ত্রীগ্যামেট থাকে ।
- নিষেক : পরাগনালি ভ্রুণস্থলীতে প্রবেশ করলে পুংগ্যামেট দু’টির একটি ভ্রুণস্থলীতে উৎপন্ন ডিম্বাণুর ( n ) সঙ্গে মিলিত হয়ে জাইগোট ( 2n ) গঠন করে এবং অপর পুংগ্যামেটটি নির্ণীত নিউক্লিয়াসের সঙ্গে মিলিত হয়ে শস্য নিউক্লিয়াস ( 3n ) গঠন করে । জাইগোট থেকে পরে ভ্রুণ গঠিত হয় এবং শস্য নিউক্লিয়াস থেকে শস্য গঠিত হয় ।
- ঘৃণ , ফল ও বীজ গঠন : ডিপ্লয়েড জাইগোট মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে ভ্রুণ গঠন করে । ডিম্বকটি বীজে পরিণত হয় এবং ডিম্বাশয় পরিণত হয়ে ফল গঠন করে ।
- অপত্য উদ্ভিদ গঠন : বীজের মধ্যে অবস্থিত ভ্রুণ অনুকূল পরিবেশে অর্থাৎ আলো , উন্নতা , অক্সিজেনের উপস্থিতিতে অঙ্কুরোদ্গম ঘটায় এবং নতুন অপত্য উদ্ভি সৃষ্টি করে । এর ভ্রুণমূল অংশ থেকে মূল এবং ভ্রুণমুকুল অংশ থেকে কাণ্ড গঠিত ।
- মাইটোসিস কাকে বলে ? মাইটোসিস কোশ বিভাজনের প্রোফেজ । মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
Ans: মাইটোসিস : যে ধারাবাহিক পদ্ধতির সাহায্যে কোনো দেহ মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতি , সমগুণসম্পন্ন এবং সমান সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত দু’টি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস বলে ।
প্রোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : 1) নিউক্লিয় জালিকা থেকে উৎপন্ন ক্রোমাটিন সূত্রগুলি জল ত্যাগ করে জল বিয়োজন ) স্পষ্ট হতে থাকে । 2) ক্রোমাটিডগুলি কুণ্ডলীকৃত হয়ে ছোটো ও মোটা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম সৃষ্টি হয় । নিউক্লিওলাস ক্রমশ ছোটো হতে হতে এই দশার শেষের দিকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয় ।
মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : 1) নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাস সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয় । 2) ক্রোমোজোমগুলি বিষুব অঞ্চলে বা নিরক্ষীয় তলে অবস্থান করে । 3) বেমতত্ত্ব গঠিত হয় । অবিচ্ছিন্ন বেমতত্ত্ব উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত । ক্রোমোজোমীয় তত্ত্ব উত্তর বা দক্ষিণ মেরু এবং ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকে ।
- মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: অ্যানাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য— 1) এটি ক্যারিওকাইনেসিস বা নিউক্লিয়াসের বিভাজনের তৃতীয় দশা । 2) এই দশায় ক্রোমোজোমগুলি বিভক্ত হয়ে দু’টি ক্রোমাটিড গঠন করে এবং নতুন সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপত্য ক্রোমোজোম গঠন করে । 3) ক্রোমোজোমগুলির অর্ধেক উত্তর মেরু ও অর্ধেক দক্ষিণ মেরুর দিকে গমন করে । এটি বেমতত্তুর সংকোচনের ফলে সম্পন্ন হয় । 4) এই দশায় ক্রোমোজোমগুলি V ( মেটাসেন্ট্রিক ) , ‘ L ‘ ( সাব – মেটাসেন্ট্রিক ) , ‘ J ‘ ( অ্যাক্সোসেন্ট্রিক ) ও ‘ I ‘ ( টেলোসেন্ট্রিক ) আকৃতির মতো দেখায় ৷
টেলোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য — 1) ক্রোমোজোমগুলি উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছায় । 2) ক্রোমোজোমের কুণ্ডলী খুলে যায় , জলগ্রহণ করে এবং নিউক্লিয় জালক গঠন করে । 3) নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাসের আবির্ভাব হয় । 4) এই দশার শেষে দু’টি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয় ।
- DNA- এর ভৌত গঠন সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Ans: DNA- এর ভৌত গঠন : একপ্রকারের জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা সাধারণত ক্রোমোজোমে এবং অল্প পরিমাণে ক্লোরোপ্লাস্ট ও মাইটোকন্ড্রিয়াতে দেখা যায় । DNA চার প্রকারের নাইট্রোজেনের বেস ( যথা— অ্যাডেনিন , গুয়ানিন , সাইটোমিন , ও থাইমিন ) ডি – অক্সিরাইবোজ শর্করা এবং ফসফেট নিয়ে গঠিত । বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিক বর্ণিত DNA- এর ভৌত গঠন নীচে আলোচনা করা হলো—
1) নাইট্রোজেনের বেস , ডি – অক্সিরাইবোজ শর্করা একসঙ্গে নিউক্লিওসাইড গঠন করে । নিউক্লিওসাইড ফসফেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিউক্লিওটাইড গঠিত হয় ।
2) একাধিক নিউক্লিওটাইড ফসফোডাই – এস্টার বন্ধন দিয়ে যুক্ত হয়ে পলি নিউক্লিওটাইড গঠন করে ।
3) দু’টি পলি নিউক্লিওটাইড শৃঙ্খল হাইড্রোজেন বন্ধন দিয়ে যুক্ত হয়ে দ্বিতন্ত্রী DNA গঠন করে এবং পরস্পরকে পেঁচিয়ে সিঁড়ির মতো অবস্থান করে । সিঁড়ির হাতল দু’টি শর্করা ও ফসফেট নিয়ে গঠিত এবং পাদানিগুলি নাইট্রোজেনের বেস দিয়ে গঠিত ।
4) DNA- এর দু’টি শৃঙ্খলের বেসগুলি হাইড্রোজেন বন্ধন দিয়ে যুক্ত হওয়ার সময় A = T এবং G = C দিয়ে যুক্ত অর্থাৎ A , T এর সঙ্গে দু’টি এবং G , C এর সঙ্গে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ধন দিয়ে যুক্ত হয় ।
DNA- এর একটি সম্পূর্ণ পাকের দৈর্ঘ্য 34A [ 34 অংস্ট্রং ] । এই পাকে দশটি বেস থাকে । তাই দু’টি বেসের মধ্যে দুরত্ব 3.4A । DNA , 20A চওড়া হয় এবং শুধু বনের দৈর্ঘ্য 3A হয় ।
- মিয়োসিস কোশ বিভাজন কাকে বলে ? এটি কোথায় সম্পন্ন হয় ? এর তাৎপর্য উল্লেখ করো ।
Ans: যে কোশ বিভাজন পদ্ধতিতে জনন মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম পরপর দুইবার প্রথমে হ্রাসবিভাজন ও পরে সমবিভাজন ) বিভাজিত হয়ে অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত চারটি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে তাকে মিয়োসিস কোশ বিভাজন বলে । এটি জনন মাতৃকোশে সম্পন্ন হয় । যেমন— মস , ফার্ন ইত্যাদি উদ্ভিদের রেণু মাতৃকোশে , উন্নত উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বাশয়ে প্রাণীদের শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ে।
মিয়োসিসের তাৎপর্য :
- ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা – মিয়োসিস কোশ বিভাজনে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোজোেমযুক্ত গ্যামেট উৎপন্ন হয় । হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড কোশ সৃষ্টি হয় । ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস না পেলে গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পেত । তাই ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখতে মিয়োসিস সাহায্য করে ।
- জিনের পুনর্বিন্যাস – মিয়োসিস কোশ বিভাজনে ক্রসিং ওভার সম্পন্ন হওয়ায় ক্রোমোজোমের দেহাংশের বিনিময় ঘটে । ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস হয় ।
- জিনগত ভেদ সৃষ্টি – ক্রসিং ওভারের ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন হওয়ায় প্রজাতির মধ্যে জিনগত ভেদ দেখা যায় ৷
- জনুক্রম নিয়ন্ত্রণ – মিয়োসিস কোশ বিভাজন সম্পন্ন হওয়ায় জীবদেহে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশার আবর্তন ঘটে । তাই এটি জনুক্রম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
DNA ও RNA-এর পার্থক্য
বিষয় | DNA | RNA |
1. অবস্থান | প্রধানত কোশের নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে এ ছাড়া অন্যান্য কিছু কোশীয় অঙ্গানুতে| যেমন — মাইটোকনড্রিয়ায়। | প্রধানত কোশের সাইটোপ্লাজম ও রাইবোজোমে। |
2. তন্ত্রীর সংখ্যা | DNA মূলত দ্বিতন্ত্ৰী। | RNA সাধারণত একতন্ত্রী। |
3. উপস্থিত শর্করা | পাঁচ কার্বনযুক্ত ডি-অক্সিরাইবোজ। | পাঁচ কার্বনযুক্ত রাইবোজ। |
4. উপস্থিত N2 ঘটিত ক্ষারক | পিউরিনজাতীয় ক্ষারক অ্যাডেনিন, গুয়ানিন এবং পিরিমিডিনজাতীয় ক্ষারক সাইটোসিন এবং থাইমিন। | পিউরিনজাতীয় ক্ষারক অ্যাডেনিন, গুয়ানিন এবং পিরিমিডিনজাতীয় ক্ষারক সাইটোসিন এবং ইউরাসিল। |
5. বংশগতিতে সক্রিয়তা | বংশগতি বৈশিষ্ট্যের ধারক, বাহক ও নিয়ন্ত্রকরূপে সক্রিয়। | কয়েকটি নিম্নশ্রেণির জীব ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহনের দিক থেকে নিষ্ক্রিয়। |
6. কাজ | বংশগতি-সংক্রান্ত সংকেত বহন করে। | DNA-এর সংকেত অনুযায়ী অ্যামিনো অ্যাসিড তথা প্রোটিন সংশ্লেষ করে। |
পার্থক্য লেখো – 1.ক্রোমোজোম ও ক্রোমাটিড, 2. সেন্ট্রোমিয়ার ও সেন্ট্রোজোম
ক্রোমোজোম ও ক্রোমাটিড-এর পার্থক্য
বিষয় | ক্রোমোজোম | ক্রোমাটিড |
1. গঠন প্রকৃতি | ক্রোমাটিন জালিকার সংকুচিত, যা বিভাজনের সময়ে দৃশ্যমান হয়। | ক্রোমোজোমের সমতুল্য অনুদৈর্ঘ্য অর্ধাংশ। |
2. সংখ্যাগত উপস্থিতি | কোশের মধ্যে দুই বা ততোধিক ক্রোমোজোম থাকতে পারে। | একটি ক্রোমোজোমে ক্রোমাটিডের সংখ্যা দুইয়ের বেশি নয়। |
3. প্রধান সংগঠক | ক্রোমোজোম প্রধানত ক্রোমাটিড ও সেন্ট্রোমিয়ার সহযোগে গঠিত। | ক্রোমাটিড প্রধানত ক্রোমোনিমাটা ক্রোমোমিয়ার সহযোগে গঠিত। |
সেন্ট্রোমিয়ার ও সেন্ট্রোজোম-এর পার্থক্য
বিষয় | সেন্ট্রোমিয়ার | সেন্ট্রোজোম |
1. অবস্থান | ক্রোমোজোমে ক্রোমাটিডদ্বয়ের সংযোগস্থল বা মুখ্য খাঁজে। | সাইটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াসের নিকটে অবস্থান করে। |
2. সংশ্লিষ্ট কোশ | উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়প্রকার কোশে থাকে। | কেবলমাত্র প্রাণীকোশে থাকে। |
3. ভৌত গঠন | ক্রোমোজোমে দুটি সিস্টার ক্রোমাটিডের সংযুক্তি স্থান। | নয়টি অনুনালিকা দ্বারা গঠিত নলাকার অংশ। |
4. রাসায়নিক প্রকৃতি | সেন্ট্রোমিয়ার সাধারণত নিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত। | সেন্ট্রোজোম সাধারণত লাইপোপ্রোটিন দ্বারা গঠিত। |
5. কাজ | ক্রোমোজোমের দুটি ক্রোমাটিডকে যুক্ত করে। | কোশ বিভাজনকালে প্রাণীকোশে বেমতত্ত্ব গঠন করে। |
পার্থক্য লেখো – 1. মাইটোসিস ও অ্যামাইটোসিস, 2. ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস
মাইটোসিস ও অ্যামাইটোসিস-এর পার্থক্য
বিষয় | মাইটোসিস | অ্যামাইটোসিস |
1. বিভাজন প্রকৃতি | প্রত্যক্ষ বিভাজন। | পরোক্ষ বিভাজন। |
2. নিউক্লীয় পর্দার অবলুপ্তি ঘটে। | ঘটে। | এই ঘটনা ঘটার অবকাশ নেই। |
3. বেমতত্ত্ব গঠন | ঘটে। | ঘটে না। |
4. প্রোফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ দশার উপস্থিতি | উপস্থিত। | অনুপস্থিত। |
5. নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের বিভাজনের সময় | সাধারণত নিউক্লিয়াস বিভাজনের পরে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন হয়। | নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম প্রায় একই সঙ্গে বিভাজিত হয়। |
ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস-এর পার্থক্য
বিষয় | ক্যারিওকাইনেসিস | সাইটোকাইনেসিস |
1. বিভাজন | নিউক্লিয়াসের বিভাজন। | সাইটোপ্লাজমের বিভাজন। |
2. উপদশার উপস্থিতি | নিউক্লিয়াস চারটি উপদশার মাধ্যমে বিভাজিত হয়। | কোনো উপদশা থাকে না, সরাসরি বিভাজিত হয়। |
3. সময় ও জটিলতা | বেশি সময় লাগে ও প্রক্রিয়াটি জটিল। | কম সময় লাগে ও প্রক্রিয়াটি কম জটিল। |
4. উৎপন্ন অংশ | দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস। | দুটি অপত্য কোশ। |
পার্থক্য লেখো – 1. সেন্ট্রিওল ও সেন্ট্রোমিয়ার, 2. উদ্ভিদকোশে সাইটোকাইনেসিস ও প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস
সেন্ট্রিওল ও সেন্ট্রোমিয়ার-এর পার্থক্য
বিষয় | সেন্ট্রিওল | সেন্ট্রোমিয়ার |
1. গঠন প্রকৃতি | সেন্ট্রোজোমের মধ্যে অবস্থিত পিপার মতো আকৃতিবিশিষ্ট অংশ। | ক্রোমোজোমের মুখ্যখাঁজে অবস্থিত চাকতিসদৃশ অংশ। |
2. সংগঠন অংশ | 9টি ত্রয়ী অণুনালিকা। | চারটি সেন্ট্রোমেরিক ক্রোমোমিয়ার। |
3. কাজ | প্রাণীকোশ বিভাজনকালে মাকু গঠন। | ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিডদ্বয়কে আবদ্ধ রাখা ও কোশ বিভাজনকালে ক্রোমোজোমকে বেমতন্তুর সঙ্গে সংযুক্ত রাখা। |
উদ্ভিদকোশে ও প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস-এর পার্থক্য
বিষয় | উদ্ভিদকোশে সাইটোকাইনেসিস | প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস |
1. পদ্ধতি | উদ্ভিদকোশে কোশপাত বা সেলপ্লেট মাধ্যমে সাইটোকাইনেসিস ঘটে। | প্রাণীকোশে ক্লিভেজ বা ফারোয়িং পদ্ধতিতে সাইটোকাইনেসিস ঘটে। |
2. সময় | উদ্ভিদকোশে টেলোফেজের শেষে সাইটোকাইনেসিস হয়। | প্রাণীকোশে টেলোফেজ চলাকালীন ক্লিভেজ শুরু হয়। |
3. সংযুক্তি | উৎপন্ন অপত্য কোশ সংযুক্ত থাকে। | উৎপন্ন অপত্য কোশ পৃথক হয়ে যায়। |
4. অভিমুখ | কোশের কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে সাইটোকাইনেসিস ঘটে। | কোশের পরিধি থেকে কেন্দ্রের দিকে ফারো অগ্রবর্তী হয়। |