©
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন- ২০২৩
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: আমাদের পরিবেশ
সাজেশন ২০২৩
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে:
১.১ দাঁড়িপাল্লা আর বাটখারা দিয়ে কোনাে বস্তুর যা মাপা হয় তা হলাে –
(ক) আকৃতি
(খ) ভর
(গ) দৈর্ঘ্য
(ঘ) আয়তন
উত্তর: (খ) ভর
১.২ কঠিন থেকে তরলে বস্তুর অবস্থার পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হলাে –
(ক) জল থেকে বরফ হওয়া
(খ) জল থেকে বাষ্প হওয়া
(গ) বাষ্প থেকে জল হওয়া
(ঘ) বরফ থেকে জল হওয়া
উত্তর: (ঘ) বরফ থেকে জল হওয়া
১.৩ পেরেক সাধারণত যে পদার্থ দিয়ে তৈরি তা হলাে –
(ক) কাচ
(খ) লােহা
(গ) কাগজ
(ঘ) প্লাস্টিক
উত্তর: (খ) লােহা
১.৪ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাণীর নাম হলাে –
(ক) রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
(খ) কৃষ্ণসার হরিণ
(গ) ডোডো
(ঘ) গন্ডার
উত্তর: (গ) ডোডো
২. শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ সাপ ________________ খায়।
উত্তর: ব্যাঙ।
২.২ গায়ের রং বদলাতে পারে এমন একটি প্রাণী হল _______________।
উত্তর: গিরগিটি।
২.৩ মাছের সারা গায়ে ________________ থাকে।
উত্তর: আঁশ।
২.৪ কাঁটা আছে এমন উদ্ভিদের একটি উদাহরণ হলাে _______________
উত্তর: ফণীমনসা ।
২.৫ সাঁতার কাটার জন্য হাঁসের পায়ের আঙুলগুলাে ___________________ ।
উত্তর: জোড়া।
২.৬ বাটখারা দিয়ে কোনাে জিনিসের _________________ মাপা হয়।
উত্তর: ভর
৩. ঠিক বাক্যের পাশে আর ভুল বাক্যের পাশে চিহ্ন দাও:
৩.১ পাহাড়ি অঞ্চলে পাইন গাছ দেখা যায়।
উত্তর:
৩.২ ঘুড়ি আকাশে ওড়ে, তাই ঘুড়ি হলো জীব।
উত্তর: ✕
৩.৩ শামুকের শরীর নরম।
উত্তর:
৩.৪ কেঁচোর শিরদাঁড়া আছে।
উত্তর: X
৪. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও:
৪.১ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে চলেছে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে চলেছে এমন দুটি প্রাণী হলো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং কৃষ্ণসার হরিণ।
৪.২ প্রজাপতি আর পাখির মধ্যে একটি মিল ও অমিল লেখো।
উত্তর:
মিল | অমিল |
প্রজাপতি ও পাখি উভয়েরই ডানা আছে এবং উড়তে পারে। | প্রজাপতির একজোড়া অ্যান্টেনা আছে কিন্তু পাখির নেই। |
৪.৩ মাছের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: মাছের দুটি বৈশিষ্ট্য:
(i) সাধারণত মাছের সাড়া শরীর আঁশে ঢাকা থাকে।
(ii) জলে সাঁতার কাটার জন্য মাছের দেহে নানা রকমের পাখনা থাকে।
৪.৪ চাল থেকে কাঁকর কীভাবে আলাদা করবে?
উত্তর: কুলোয় নিয়ে ঝেড়ে চাল থেকে কাঁকর গুলো বেছে ফেলে দিতে হবে।
৪.৫ কঠিন, তরল আর গ্যাস – এদের মধ্যে কোনটির নিজস্ব আকার আছে?
উত্তর: কঠিন পদার্থের নিজস্ব আকার আছে।
৪.৬ “গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে” – একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: ধূপ শলাকা জ্বালা হলে তার ধোয়া ও সুগন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
৪.৭ পদার্থ বলতে কী বােঝাে?
উত্তর: যার কিছুটা ভর আছে, যে কিছুটা জায়গা নেয় তাকে আমরা পদার্থ বলি। কঠিন, তরল আর গ্যাস হলাে পদার্থের তিনটি অবস্থা।
৪.৮ নুনজল থেকে নুনকে আলাদা করবে কী করে?
উত্তর: নুনজলকে একটি থালায় ফেলে রৌদ্রে রেখে দিলে জলটা বাষ্প হয়ে উবে যায় আর নুনটা পড়ে থাকে।
৫. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
৫.১ জীবের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো
উত্তর: জীবের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
(i) জীব খাদ্য গ্রহণ করে জীবনধারণ করে।
(ii) জীব উত্তেজনায় সাড়া দেয়, নড়াচড়া করে ও স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
(iii) জীবের শরীরের বৃদ্ধি ও পরিবর্তন ঘটে।
৫.২ “গ্যাসেরও ভর আছে” – একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি করে তুললে সিলিন্ডারটি অনেক ভারী হয়। সিলিন্ডার থেকে পাইপে করে উনুনে গ্যাস পাঠিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করলে সিলিন্ডার ক্রমশ হালকা হতে থাকে। গ্যাস পুড়ে যাচ্ছে বলেই সিলিন্ডারের ভর কমছে। এর থেকে বোঝা গেল গ্যাসেরও ভর আছে।
৫.৩ মেঘ কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: সূর্যের তাপে সমুদ্র-নদী-পুকুর-বিভিন্ন জলাশয় থেকে জল জলীয়বাষ্পে পরিণত হয়ে উপরে ওঠে এবং ঠান্ডা হয়। ঠান্ডা হতে হতে একসময় ধুলোর কনাকে আশ্রয় করে ছোটো ছোটো জলের ফোঁটা সৃষ্টি হয়। জলের ফোঁটা দিয়েই মেঘ তৈরী হয়।
৫.৪ ফুসফুস ভালাে রাখার উপায় কী কী?
উত্তর: নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম এবং মুক্ত বাতাসে ছোটাছুটি বা খেলাধুলা করলে ফুসফুস ভালো থাকে। এছাড়াও ফুসফুস ভালো রাখতে যে কোনো ধরণের ধোঁয়া, ধুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
=======================================================================================
2nd Unit Test
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: আমাদের পরিবেশ
পূর্ণমান: ২০ সময়: ৪০ মিনিট
১. শুন্যস্থান পূরণ করো: (ক) প্রাণীরা বায়ুমন্ডল থেকে _____________ গ্রহণ করে। (খ) বলয় আছে _______________ গ্রহের। (গ) ছায়া সেদিকে থাকে তার ______________ দিকে থাকে সূর্য। (ঘ) চাঁদের গায়ে কালো কালো দাগ গুলোকে আমরা বলি ____________________ (ঙ) হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে ______________ সেতু।২. ভুল থাকলে শুদ্ধ করে লেখো: (ক) ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ তৈরী হয় সর্পগন্ধা গাছের ছাল থেকে। (খ) বাতাসে মিশে থাকা জলীয় বাষ্প আমরা খালি চোখে দেখতে পাই। (গ) আগুনে পোড়ালে মাটির পাত্র সহজে ভেঙে যায়। (ঘ) পৃথিবীর সব জায়গা আমাদের এলাকার মতো। (ঙ) বছরের বিভিন্ন সময়ে রোদের তেজ একরকম হয়।৩. নীচের জিনিসগুলি কি দিয়ে তৈরী ও কি কাজে লাগে লেখো। কোদাল- সাঁড়াশি- হামানদিস্তা- চামচ- অ্যালুমিনিয়াম- তামা- কাঁসা- সোনা-৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও: (ক) কয়েকটি ভেষজ গাছের নাম লেখো। (খ) আদিম মানুষের আগুনের ব্যবহার কি করে শিখল? (গ) কৃত্রিম উপগ্রহ কী? (ঘ) দিনরাত্রি কীভাবে সংঘটিত হয়? (ঙ) মানুষ কীভাবে চাকা আবিষ্কার করলো? |
======================================================================================================================================
3rd Unit Test
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: আমাদের পরিবেশ
পূর্ণমান: 50 সময়: 1 ঘন্টা 30 মিনিট
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১. মানুষ প্রথম কোন পশুকে পোষ মানিয়েছিল?
উত্তর: কুকুরকে।
২. জমিতে লাঙ্গল দেওয়ার জন্য মানুষ কোন কোন পশুকে ব্যবহার করত?
উত্তর: বলদ ও ঘোড়া।
৩. প্রথমে মানুষ কোন ফসল চাষ করেছিল?
উত্তর: গম, যব, বার্লি।
৪. যাযাবর সমাজের পর কোন সমাজ শুরু হয়েছিল?
উত্তর: পশুপালক সমাজ।
৫. মানুষ প্রথমে জমির পোকামাকড় মারার জন্য কি ব্যবহার করত?
উত্তর: শুকনো গোবর পোড়া ছাই বা নিম জাতীয় গাছের পাতার রস।
৬. পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রধান খাবার কী?
উত্তর: ভাত।
৭. কোন অঞ্চলে গম জোয়ার ও বাজরার চাষ বেশি হয়?
উত্তর: পাঞ্জাবে।
৮. কোন জেলার সরপুরিয়া বিখ্যাত?
উত্তর: কৃষ্ণনগরের।
৯. কয়েকটি মিষ্টি জলের মাছের নাম লেখো।
উত্তর: রুই, কাতলা, মাগুর, কই ইত্যাদি।
১০. কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখো যারা নিজের খাদ্য মজুত করে রাখে।
উত্তর: মৌমাছি, ইঁদুর, পিঁপড়ে।
১১. জীবাণু থেকে খাদ্যদ্রব্যেকে বাঁচায় এমন কয়েকটি উপকরণের নাম লেখো।
উত্তর: মধু, ঘি, নুন, তেল।
১২. গাছ বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছিলেন এমন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: সুন্দরলাল বহুগুনা, অজিত কুমার ব্যানার্জি।
১৩. একটি স্মৃতিসৌধের নাম লেখো।
উত্তর: তাজমহল।
১৪. বক্সা অরণ্য কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: জলপাইগুড়ি।
১৫. লেপচা মিউজিয়াম কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: দার্জিলিং।
১৬. জামা মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: দিল্লিতে।
দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
১. মানুষকে কেন সামাজিক প্রাণী বলা হয়?
উত্তর: মানুষ সমাজে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। একা একা কোনো মানুষই থাকতে পারেনা। দল বেঁধে সমাজে থাকে বলেই মানুষকে সামাজিক প্রাণী বলে।
২. আত্মীয় শব্দের অর্থ বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: একই পরিবারের শাখা প্রশাখাকে একসঙ্গে আত্মীয় বলে।
৩. সমাজ কিভাবে গড়ে ওঠে?
উত্তর: অনেক মানুষ এক জায়গায় একসঙ্গে মিলেমিশে বাস করে এবং একে অন্যের কাজে নানাভাবে সাহায্য করে। এইরকম মিলেমিশে একসঙ্গে থাকা থেকেই সমাজ গড়ে ওঠে।
৪. পশুপালন শেখার ফলে মানুষের কি কি সুবিধা হয়েছিল?
উত্তর: পশুপালন শেখার ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছিল-
ক) পশুপালন শেখার ফলে মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়।
খ) মানুষ পশুকে চাষের কাজে ব্যবহার করতে লাগলো।
গ) আগে মানুষ মাথায় করে মালপত্র বহন করত। কিন্তু পশুপালনের ফলে মানুষ পশুর পিঠে মালপত্র তুলে দিত, ফলে মানুষের কষ্ট বা পরিশ্রম কমলো।
ঘ) এছাড়াও পশুদের থেকে পুষ্টিকর দুধ, তাদের মাংস পেত। ফলে তাদের খাদ্যের অভাবও মিটল।
৫. বিনিময় প্রথা বলতে কি বোঝো? বিনিময় প্রথার ফলে কি হলো?
উত্তর: নিজের প্রয়োজনে একটা জিনিসের পরিবর্তে আর একটি জিনিস দেওয়া-নেওয়াকে বিনিময় প্রথা বলে।
বিনিময় প্রথার ফলে-
ক) এক অঞ্চলের সঙ্গে আর এক অঞ্চলের যোগাযোগ তৈরী হল।
খ) বাড়তি খাবার নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমলো।
গ) ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হল।
৬. জল দূষণের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর: জল দূষণের দুটি কারণ হল-
ক) জলে নানা আবর্জনা, জঞ্জাল, প্লাস্টিক ফেলার ফলে জলদূষণ হয়।
খ) কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, ফলে তা বৃষ্টির জলের সাথে নদী, খাল-বিলে মেশে এবং জলদূষণ ঘটায়।
৭. মাটি কিভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে?
উত্তর: মাটি নষ্ট হওয়ার কারণ-
ক) মাটির কণা জলে ধুয়ে বেরিয়ে গেলে মাটি নষ্ট হয়।
খ) মাটিতে যা মেশার কথা নয় তা যদি মাটিতে মেশে তবে মাটি খারাপ হয়।
গ) বেশি ফসল ফলানোর জন্য মাটিতে নানারকম কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে, এর ফলে মাটির গুণাগুণ হ্রাস পাচ্ছে।
ঘ) এছাড়া মাটিতে বিভিন্ন জঞ্জাল মেশার ফলেও মাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৮. মানুষ কিভাবে চাষবাস শিখেছিল?
উত্তর: আদিম মানুষ খাদ্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত। সে সময় মানুষ লক্ষ্য করেছিল পশুপাখি ফল খাবার সময় বা তাদের মলত্যাগের সময় বীজ মাটিতে পড়ে। কিছুদিন পর ওই বীজ থেকে গাছের চারা বেরোচ্ছে। এই দেখে মানুষ চাষবাস করার কথা ভেবেছিল।
৯. স্থাপত্য ও ভাস্কর্য বলতে কি বোঝো?
উত্তর:
স্থাপত্য: পুরানো দিনের বাড়ি, মসজিদ, মন্দির, গির্জা এসবকে বলে স্থাপত্য। যেমন- কোনারকের মন্দির, বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ ইত্যাদি।
ভাস্কর্য: পাথর বা অন্য কিছুর গায়ে খোদাই করে নকশা, মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়, এগুলোকে বলে ভাস্কর্য।