এক্সপেন্ডিচার কন্ট্রোল অ্যাক্ট 2005, বা 2005 সালের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ আইন। এই আইনে স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ব্যাপক বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে স্কুলের আপগ্রেডেশন, নিয়োগ, শিক্ষকদের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ, উচ্চ বেতনক্রম বা বিশেষ আর্থিক সুবিধা, এগুলি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। এই আইন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে জারি হওয়া অর্ডারগুলি নিয়েই আজকের আলোচনা।
——————————————————————————————
১) প্রশ্ন — কোন নোটিফিকেশন দ্বারা এই আইন জারি হয় ?
উত্তর – No – 2053 – L , dated – 19/08/2005 । এই অ্যাক্টের পুরো নাম West Bengal Schools ( Control of Expenditure) Act , 2005।
২) প্রশ্ন – এই অ্যাক্টের শুরুতে আইন সংক্রান্ত যে বিভিন্ন টার্ম এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেগুলি কী রকম ?
উত্তর – ক) Approved Staff মানে হলো ডাইরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশন ( বর্তমানে designation চেঞ্জ হয়ে হয়েছে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন) বা তাঁর authorised কোনও অফিসার ( ডি আই) দ্বারা যে স্টাফের অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুমোদিত (অ্যাপ্রুভাল ) হয়েছে।
খ) বোর্ড বা কাউন্সিল বলতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বোর্ড বা কাউন্সিল কে বুঝিয়েছে। এগুলি হলো WBBSE, WBCHSE, WBBME, WBBPE।
গ) Private aided/ Non Govt aided/ Govt aided স্কুল বলতে বোঝায় সেই সমস্ত স্কুলগুলোকে যে স্কুলগুলো তার স্টাফের স্যালারির বেসিক পে পেয়ে থাকে।এখানে এটা বোঝা যাচ্ছে যে এই অ্যাক্ট বলতে চাইছে যে aided স্কুলের ক্ষেত্রে স্যালারির বেসিক পে দেওয়াটা Govt এর দায়িত্ব। যদিও অন্য অ্যালাওয়েন্স গুলিও সরকার দিয়ে থাকে।
ঘ) Govt School বলতে বোঝায় সেই স্কুলকে যে স্কুল পুরোপুরি ভাবে Govt দ্বারা maintained and managed। অর্থাৎ যে স্কুলের সম্পূর্ন আর্থিক দায়ভার এবং পরিচালন ব্যবস্থা সরকারের হাতে।
ঙ) Unaided School বলতে বোঝায় যে স্কুলগুলো কোনও বোর্ডের দ্বারা recognised কিন্তু যে স্কুলগুলোর কোনও আর্থিক দায়িত্ব সরকারের নয়।
চ ) স্কুল অথরিটি মানে হলো এমসি, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা অ্যাডহক কমিটি।
ছ) TEACHER বলতে বোঝাবে AT এবং HM কে যদি তাঁরা Wholetime রেগুলার পোস্টে ( অ্যাডিশনাল পোস্টও কিন্তু রেগুলার পোস্ট ) নিযুক্ত হয়ে থাকেন।
৩) প্রশ্ন – এই অ্যাক্ট কোন কোন ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে ?
উত্তর – এই অ্যাক্ট প্রযোজ্য হবে Govt School আর Unaided School ছাড়া অন্য স্কুলগুলোর উপর। অর্থাৎ Aided ও Sponsored স্কুলের ক্ষেত্রে।
৪) প্রশ্ন – পোস্ট, অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং বেতন সংক্রান্ত কোন কোন বিষয়ে সরকারের পূর্ব অনুমতি ছাড়া স্কুলের হাতে কোনও ক্ষমতা থাকবে না ?
উত্তর — এই আইন পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছে যে সরকারের পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ যে কাজগুলি করতে পারবেন না —
নতুন পোস্ট তৈরি করা, ষ্টাফ নিয়োগ করা, কোনও স্টাফের সার্ভিস regularise করা, পে রিভাইজ করা, কোনও স্পেশাল পে অনুমোদন করা , এক বছরের বেশি সময়ের লিভ vacancy তে নিয়োগ করা, কোনও পার্ট টাইম বা টেম্পোরারি পোস্টে নিযুক্ত কাউকে sanctioned post এ পার্মানেন্ট বেসিস এ নিয়োগ করা, অন্য কোনো খরচ করা যেটার অর্ডার কোনও সরকারি নির্দেশিকায় নেই।
৫) প্রশ্ন – এই অ্যাক্ট অনুসারে Void Appointment কী ?
উত্তর — Void Appointment এর অর্থ হলো নিষ্ফলা অ্যাপয়েন্টমেন্ট, অর্থাৎ যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্কুল দিলেও সরকার সেটাকে মান্যতা দেবে না এবং উক্ত স্টাফের বেতন বা অন্য কোনো খাতে সরকার কোনও অর্থ ব্যয় করবে না। যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ এই অ্যাক্ট, স্কুল সার্ভিস কমিশন অ্যাক্ট, 1997, অথবা অন্য কোনো সরকারি নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয় সেটাকে Void Appointment বলে ধরে নেওয়া হবে। সেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর দায় সরকার নেবে না।
৬) প্রশ্ন – Unaided School এর ক্ষেত্রে সরকার কি কোনও আর্থিক সাহায্য দিতে পারে?
উত্তর — না। এই অ্যাক্ট পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছে যে Unaided School এর কোনও আর্থিক দায়ভার সরকার নেবে না।
৭) প্রশ্ন – কোনও স্কুলের রিকগনিশন বা আপগ্রেডেশন এর জন্য গঠিত DLIT টিম কী ভাবে গঠিত হয় ?
উত্তর — DLIT এর পুরো কথাটা হলো District Level Inspection Team। কোনও নতুন স্কুলের রিকগনিশন বা কোনও স্কুলের আপগ্রেডেশন ( জুনিয়র থেকে হাইস্কুল বা হাইস্কুল থেকে HS School এ উন্নীতকরণ ) এর জন্য এই টিম সংশ্লিষ্ট স্কুল ভিজিট করে তার রিপোর্ট দেবে DSE কে। DSE সেটা পাঠাবে ডিপার্টমেন্ট এ। এরপর সেখান এই ব্যাপারে অ্যাপ্রুভাল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড রিকগনিশন বা আপগ্রেডেশন এর অর্ডার জারি করবে। এই DLIT টিমে থাকবেন নিম্নলিখিত সদস্যরা — একজন WBBSE প্রতিনিধি, একজন WBCHSE প্রতিনিধি, একজন WBBME প্রতিনিধি,এবং DI মাধ্যমিক। DLIT টিম এর অনুমোদন ছাড়া কোনো স্কুল রিকগনিশন বা আপগ্রেডেশন পাবে না।
৮) প্রশ্ন – স্কুলের অ্যাডিশনাল পোস্ট কী ভাবে Sanctioned হতে পারে ?
উত্তর – একমাত্র বাজেটে অনুমোদন ( Budget Appropriation ) থাকলে তবেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে DSE এই পোস্ট sanction করবে।
৯) প্রশ্ন – কোন কোন বিষয়ে এবং কোন কোন সরকারি অফিসার স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল ইন্সপেকশন করতে পারবেন?
উত্তর – SI বা তাঁর থেকে উচ্চ পদ মর্যাদার কোনও অফিসার সরকারের নির্দেশে যে কোনও স্কুলের বিভিন্ন কার্যাবলী, আয় ব্যয়ের হিসাব পরিদর্শন করতে পারেন। সেই রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সরকার সেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে উক্ত অসঙ্গতিগুলো দূর করার নির্দেশ দিতে পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ পালন না করলে সরকার সেই স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
১০) প্রশ্ন – কোনও স্কুল এর স্টুডেন্ট সংখ্যা অত্যন্ত কমে গেলে বা স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারের নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে কী ব্যবস্থা সরকার নিতে পারে ?
উত্তর — সেই ক্ষেত্রে সরকার এই ব্যবস্থাগুলো নিতে পারেন — সেই স্কুলকে derecognise করতে বোর্ডকে নির্দেশ দিতে পারেন, কোনও টিচিং পোস্ট বিলুপ্ত করতে পারেন, বিলুপ্ত পোস্টের টিচারকে অন্য জায়গায় শিফট করতে পারে, অন্য যে কোনো action নেওয়া হতে পারে।
১১) প্রশ্ন – বেতন এবং অবসরের বয়স নির্ধারনের ক্ষমতা কার হাতে থাকছে ?
উত্তর – কেবলমাত্র রাজ্য সরকারের।
১২) প্রশ্ন – স্কুলের স্টাফদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বা উচ্চতর পে স্কেল পাওয়ার ক্ষেত্রে বা বিশেষ আর্থিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই অ্যাক্ট কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে ?
উত্তর – টিচারদের উচ্চতর শিক্ষা বা উচ্চতর বেতনক্রম বা বিশেষ আর্থিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই অ্যাক্ট নিম্নলিখিত শর্ত আরোপ করেছে —
ক ) এই অ্যাক্ট পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছে যে একজন গ্র্যাজুয়েট স্কেলের টিচার কখনও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের পর উচ্চতর বেতনক্রম বা অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পাবেন না।এই কথাটা দিয়েই গ্র্যাজুয়েট স্কেলের টিচারদের নতুন করে নিয়োগ এর পরীক্ষা না দিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর higher scale পাওয়ার সম্ভাবনা চিরতরে শেষ করে দেয়।
খ) এই অ্যাক্ট এটাও বলল যে একজন পি জি স্কেলের টিচার তার পি জি স্কেলের বাইরে কোনো উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের পর অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট বা উচ্চতর বেতনক্রম পাবেন না। এই কথাটার দ্বারাই পি জি স্কেলের টিচারদের এমফিল বা পি এইচ ডি করার পর অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা শেষ করে দিল।
গ) একমাত্র অনার্স স্কেলের টিচাররা পি জি স্কেল পেতে পারেন যদি পরবর্তী সময়ে জারি হওয়া Rules দ্বারা সমর্থিত পথে একজন অনার্স স্কেলের টিচার পি জি ডিগ্রি লাভ করেন। এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আবার পরীক্ষা না দিয়ে higher scale পাওয়ার সুযোগ থাকছে।
১৩) প্রশ্ন – সিপিএফ থেকে জি পি এফ এ আসার ব্যাপারে এই অ্যাক্ট কী বলেছে ?
উত্তর – দুটি কথা বলেছে। প্রথমত যদি ইতিমধ্যে CPF থেকে GPF এ আসার ব্যাপারে একজন কর্মী অপশন না দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি আর GPF এ আসার সুযোগ পাবেন না।
দ্বিতীয়ত যদি একজন কর্মী CPF থেকে GPF এ আসার অপশন দিয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে CPF এ জমা এম্প্লয়ার এর কন্ট্রিবিউশন ফেরত দিতে হবে।
১৪) প্রশ্ন – এই আইন অন্যান্য করলে কী শাস্তি হতে পারে?
উত্তর – যদি কোনো কর্তৃপক্ষ এই আইনের 4 ও 5 ধারা অমান্য করে সরকারের বিনা অনুমতিতে কোনও পোস্ট তৈরি করেন , স্টাফ নিয়োগ করেন বা পে রিভাইজ করেন তাহলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে ফাইন বা দুই বছরের জেল বা দুটোই হতে পারে। তবে রাজ্য সরকারের পূর্ব অনুমতি ব্যতীত এই অ্যাক্টের অধীনে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তাছাড়া যদি কোনো আধিকারিক কোনও সিদ্ধান্ত সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে থাকেন কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আইন বিরুদ্ধ হয়ে যায় তাহলে সেই আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কোনও মামলা হবে না।
১৫) প্রশ্ন – এই অ্যাক্টের অধীনে কেমন ভাবে Rules বা নির্দেশিকা জারি করা যাবে ?
উত্তর — হ্যাঁ রাজ্য সরকার এই অ্যাক্টের প্রভিশন মেনে Rules জারি করতে পারে। এই অ্যাক্টের পরিপ্রেক্ষিতে জারি হয়েছিল G O No – 1595 – SE, তারিখ – 26/12/2005, 37 SE, তারিখ – 05/01/2012, 593 SE, 27/11/2007, ইত্যাদি।
১৬) প্রশ্ন – এই অ্যাক্টের পরিপ্রেক্ষিতে জারি হওয়া এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট এর নোটিফিকেশন ( মেমো নং – 1595 – SE, তারিখ – 26/12/2005 ) এ ঠিক কী বলা হয়েছে ?
উত্তর – পূর্বের এই সংক্রান্ত সমস্ত অর্ডার কে suppress করে এই নোটিফিকেশন এ বলা হয়েছে একজন অনার্স ডিগ্রিধারী ও অনার্স স্কেলের টিচার নিম্নলিখিত শর্ত গুলি পূরণ করলে পি জি স্কেল পেতে পারেন —
ক ) যদি তিনি তাঁর জয়েনিং এর আগেই relevant subject এ পি জি ডিগ্রি প্রাপ্ত করে থাকেন তাহলে তিনি জয়েনিং এর দিন থেকে পি জি স্কেল পাবেন।
খ) যদি তিনি জয়েনিং এর আগেই relevant subject এ পি জি পরীক্ষা কমপ্লিট করে থাকেন কিন্তু উক্ত পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হয় জয়েনিং এর পরে তাহলে তিনি ঐ রেজাল্ট আউট এর দিন থেকে পি জি স্কেল পাবেন।
গ) যদি তিনি জয়েনিং এর পর relevant subject এ competent authority এর পারমিশন নিয়ে পি জি ডিগ্রি অর্জন করেন তাহলে তিনি ওই পরীক্ষার শেষের দিনের পর দিন থেকে পি জি স্কেল পেতে পারেন।
১৭) টিচারদের উচ্চতর শিক্ষা এবং উচ্চতর পে স্কেল বা আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে এক্সপেন্ডিচার কন্ট্রোল অ্যাক্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে জারি হওয়া সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য এবং বর্তমানে কার্যকরী এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট এর অর্ডার ( মেমো নং – 593 SE, তারিখ – 27/11/2007 ) টি তে ঠিক কী বলেছে ?
উত্তর — এই অর্ডারটা আগের এই সংক্রান্ত ব্যাপারে জারি হওয়া সমস্ত অর্ডারকে সরিয়ে দেয় এবং উপরে উল্লেখিত অর্ডারটিকেও ( 1595 SE ) মডিফাই করে বলে যে —
ক) সমস্ত টিচারদের যে কোনও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করার উদ্দেশ্যে যে কোনও পড়াশোনার জন্য ভর্তি হতে হলে বা কোনও পরীক্ষায় বসতে হলে MC/ এডমিনিস্ট্রেটর এর পারমিশন নিতে হবে একটা রেজোলিউশন এর মাধ্যমে।
খ) যদি উক্ত পড়াশোনা বা পরীক্ষার জন্য যদি স্টাডি লিভ লাগে তাহলে সেই আবেদন এমসির মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে। এই ছুটি দেওয়ার অথরিটি হলো বোর্ড।
গ) যদি এই ডিগ্রি অর্জনের পর এটা দেখিয়ে higher scale বা অ্যাডিশনাল ইনক্রিমেন্ট পেতে হয় তাহলে এমসির পারমিশন এর সঙ্গে সঙ্গে ডি আই এর Prior Permission ও নিতে হবে এমসির মাধ্যমে।
ঘ) তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো গ্র্যাজুয়েট স্কেলের টিচারকে higher scale বা অ্যাডিশনাল ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার উদ্দেশ্যে এই ধরনের ডিগ্রি লাভের উদ্দেশ্যে উচ্চতর পড়াশোনা করার পারমিশন দেওয়ার জন্য ডি আই এর কাছে রেকমেন্ড করতে পারবেন না। এটা করলে উক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ আইনের চোখে দোষী সাব্যস্ত হবেন । কোনও ডি আই যদি এরকম পারমিশন দেন তিনিও আইন ভঙ্গের অপরাধে অপরাধী হবেন।
ঙ) উচ্চতর শিক্ষালাভ শুধুমাত্র নিজের relevant subject এই করা যাবে। Relevant subject বলতে সংশ্লিষ্ট ক্যান্ডিডেট আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অনার্স বা পি জি স্তরে যে সাবজেক্ট পড়েছিলেন সেটাকে বোঝাবে।
চ) যে সমস্ত টিচার এক্সপেন্ডিচার কন্ট্রোল অ্যাক্ট আসার আগেই উপরোক্ত নিয়ম মেনে higher scale এর জন্য আবেদন করেছেন তাঁরাও higher scale পেতে পারেন।
ছ) কোনও গ্র্যাজুয়েট স্কেলের টিচার কোনো ভাবেই higher scale পাবেন না সে তিনি তাঁর উচ্চতর ডিগ্রিটি এক্সপেন্ডিচার কন্ট্রোল অ্যাক্ট আসার আগে বা পরে, যখনই করে থাকুন না কেন।
জ) এরপর থেকে higher scale পাওয়ার জন্য উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য কোনও জুনিয়র হাই স্কুলের টিচারকে পারমিশন দেওয়া হবে না। আর 50 বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক কোনও টিচারকেই উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের পারমিশন দেওয়া যাবে না।
১৮) প্রশ্ন – Phd করলে পূর্বে দুটি অ্যাডিশনাল ইনক্রিমেন্ট পাওয়া যেত। বর্তমানে এক্সপেন্ডিচার কন্ট্রোল অ্যাক্ট লাগু হওয়ার পর সেই সুবিধা কি থাকছে ?
উত্তর – এই ব্যাপারে সর্বশেষ অর্ডারটা হলো এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট এর মেমো নং – 37 – SE/ES, তারিখ – 05/01/2012। এই অর্ডারে বলেছে যারা এক্সপেন্ডিচার কন্ট্রোল অ্যাক্ট লাগু হওয়ার আগে ( Cut off date – 18/08/20050 ) Phd ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাঁরা সবাই দুটি অ্যাডিশনাল ইনক্রিমেন্ট পেতে পারেন। কিন্তু তারপর উক্ত কাট অফ ডেট এর পর থেকে আর কেউ Phd করার জন্য অতিরিক্ত বেনিফিট পাবেন না।
১৯) প্রশ্ন — এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট এর মেমো নং – 438 SE, তারিখ – 19/05/2014 অনুসারে টিচারদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সমস্ত বাধাকে দূর করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল । সেই অর্ডার কি এখনও বলবৎ আছে ?
উত্তর – না। Higher scale চেয়ে মামলার ভয়ে সেই অর্ডারটিকে আর একটি অর্ডার ( মেমো নং – 566 -SE, তারিখ – 08/07/2014 ) দ্বারা বাতিল (cancelled) করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ টিচারদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য পদ্ধতি সংক্রান্ত সর্বশেষ চালু অর্ডার হিসাবে উপরে আলোচিত 593 SE dated– 27/11/2007 ই বলবৎ রইলো।
( বিঃ দ্রঃ — উচ্চ শিক্ষা লাভের পারমিশন সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা আমার কিছু পোষ্ট পূর্বে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে দেখতে পারেন। )
West Bengal Schools (Control of Expenditure) Act, 2005( CLICK HERE)
West Bengal Schools Control of Expenditure Act( CLICK HERE)
SOURCE-SMR