আধুনিক ভারতীয় ইতিহাস MCQ
আধুনিক ভারতীয় ইতিহাস এবং সাধারণ শিক্ষার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং SSC, NDA, CDS, UPSC, UPPSC এবং রাজ্য PSC পরীক্ষার GK প্রস্তুতির উপর বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আধুনিক ভারতীয় ইতিহাস MCQ
FEBRUARY 7,2025
১.১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময়, নিম্নলিখিতদের মধ্যে কে ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন?
সঠিক উত্তর: A [লর্ড ক্যানিং]
দ্রষ্টব্য:
১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময় লর্ড ক্যানিং ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন। ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে রানী ভিক্টোরিয়ার মুকুটে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তিনি ভারতের প্রথম ভাইসরয় হন।
১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময় লর্ড ক্যানিং ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন। ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে রানী ভিক্টোরিয়ার মুকুটে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তিনি ভারতের প্রথম ভাইসরয় হন।
২.নিম্নলিখিত কোন বাংলা নাটকটি বহুবিবাহের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল?
সঠিক উত্তর: B [কুলিন কুলসর্বস্ব]
দ্রষ্টব্য:
এটি ছিল পণ্ডিত রামনারায়ণ তর্করত্নের লেখা কুলীন কুলসর্বস্ব (“একটি কুলীন বংশ সম্পর্কে”)। বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে একটি সামাজিক ব্যঙ্গ। এটি ছিল ব্রাহ্মণ বহুবিবাহকে আক্রমণ করে আঞ্চলিক ভাষায় (বাংলা) প্রথম সামাজিক নাটক, যা ১৮৫৭ সালে একটি অভিজাত পরিবার দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল।
এটি ছিল পণ্ডিত রামনারায়ণ তর্করত্নের লেখা কুলীন কুলসর্বস্ব (“একটি কুলীন বংশ সম্পর্কে”)। বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে একটি সামাজিক ব্যঙ্গ। এটি ছিল ব্রাহ্মণ বহুবিবাহকে আক্রমণ করে আঞ্চলিক ভাষায় (বাংলা) প্রথম সামাজিক নাটক, যা ১৮৫৭ সালে একটি অভিজাত পরিবার দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল।
৩.নিচের কোন আইনের মাধ্যমে বাংলার গভর্নর জেনারেল আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের গভর্নর জেনারেল হন?
সঠিক উত্তর: D [১৮৩৩ সালের সনদ আইন]
দ্রষ্টব্য:
১৮৩৩ সালের সনদ আইন বাংলার গভর্নর জেনারেলকে ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল করে তোলে এবং সমস্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা গভর্নর জেনারেল-ইন-কাউন্সিলের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়।
১৮৩৩ সালের সনদ আইন বাংলার গভর্নর জেনারেলকে ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল করে তোলে এবং সমস্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা গভর্নর জেনারেল-ইন-কাউন্সিলের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়।
৪.কোন সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়?
সঠিক উত্তর: C [১৯১১]
দ্রষ্টব্য:
১৯০৫ সালের ২০ জুলাই ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করেন এবং ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর এটি শুরু হয়। এরপর স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয় এবং অবশেষে, ব্রিটিশ সরকার (লর্ড হার্ডিঞ্জ) ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ বাতিল করে।
১৯০৫ সালের ২০ জুলাই ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করেন এবং ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর এটি শুরু হয়। এরপর স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয় এবং অবশেষে, ব্রিটিশ সরকার (লর্ড হার্ডিঞ্জ) ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ বাতিল করে।
৫।ভারতীয় ইতিহাসে নিম্নলিখিত কোন ঘটনার জন্য ১১ মে, ১৮৫৭ পরিচিত?
সঠিক উত্তর: B [ভারতীয় যোদ্ধারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে দিল্লি দখল করে]
দ্রষ্টব্য:
১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ নামেও পরিচিত করা হয়েছিল। ২৫শে ফেব্রুয়ারি, বহরমপুরে (পশ্চিমবঙ্গ) ১৯তম নেটিভ পদাতিক বাহিনী রাইফেল ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানায়। ২৯শে মার্চ, মঙ্গল পাণ্ডে ৩৪তম নেটিভ পদাতিক বাহিনীর দুটি ব্রিটিশ বিদ্রোহে আক্রমণ করে। ৮ই এপ্রিল পাণ্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ২৪শে এপ্রিল, মিরাটে তৃতীয় বেঙ্গল লাইট ক্যাভালরি ক্যাট্রিজ ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানায়। ১১ই মে, দিল্লিতে খ্রিস্টান এবং ইউরোপীয়দের হত্যা করা হয় এবং ভারতীয় যোদ্ধারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে দিল্লি দখল করে।
১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ নামেও পরিচিত করা হয়েছিল। ২৫শে ফেব্রুয়ারি, বহরমপুরে (পশ্চিমবঙ্গ) ১৯তম নেটিভ পদাতিক বাহিনী রাইফেল ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানায়। ২৯শে মার্চ, মঙ্গল পাণ্ডে ৩৪তম নেটিভ পদাতিক বাহিনীর দুটি ব্রিটিশ বিদ্রোহে আক্রমণ করে। ৮ই এপ্রিল পাণ্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ২৪শে এপ্রিল, মিরাটে তৃতীয় বেঙ্গল লাইট ক্যাভালরি ক্যাট্রিজ ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানায়। ১১ই মে, দিল্লিতে খ্রিস্টান এবং ইউরোপীয়দের হত্যা করা হয় এবং ভারতীয় যোদ্ধারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে দিল্লি দখল করে।
৬।১৮৮২ সালের বিখ্যাত “রিপন রেজোলিউশন” নিম্নলিখিত কোনটির সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত?
সঠিক উত্তর: C [স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন]
দ্রষ্টব্য:
১৮৮২ সালের রিপন রেজোলিউশন ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তৈরির আহ্বান জানিয়েছিল এবং ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের উন্নয়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হত। লর্ড রিপনকে ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের জনক বলা হয়।
১৮৮২ সালের রিপন রেজোলিউশন ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তৈরির আহ্বান জানিয়েছিল এবং ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের উন্নয়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হত। লর্ড রিপনকে ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের জনক বলা হয়।
৭।ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের করাচি অধিবেশনে কে সভাপতিত্ব করেছিলেন যেখানে মৌলিক অধিকার এবং জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলি পাস হয়েছিল?
সঠিক উত্তর: C [সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল]
দ্রষ্টব্য:
১৯৩১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের করাচি অধিবেশনে করাচি প্রস্তাব পাস হয়। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ছিলেন অধিবেশনের সভাপতি। সেই অধিবেশনে মৌলিক অধিকার এবং জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলি পাস হয়।
১৯৩১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের করাচি অধিবেশনে করাচি প্রস্তাব পাস হয়। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ছিলেন অধিবেশনের সভাপতি। সেই অধিবেশনে মৌলিক অধিকার এবং জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলি পাস হয়।
৮।ক্ষমতা হস্তান্তর এবং ভারত বিভাগের প্রক্রিয়া উভয়ই ____ দিনের মধ্যে দ্রুত সম্পন্ন হয়েছিল।
সঠিক উত্তর: C [72]
দ্রষ্টব্য:
ক্লিমেন্ট অ্যাটলি ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অ্যাটলি ঘোষণা করেন যে ব্রিটিশরা ১৯৪৮ সালের ৩০ জুনের আগে ভারত ত্যাগ করবে। ক্ষমতা হস্তান্তর এবং ভারত বিভাগের প্রক্রিয়া ৭২ দিন দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ৪ঠা জুলাই ভারতীয় স্বাধীনতা বিল পেশ করা হয়। এটি ১৮ জুলাই, ১৯৪৭ সালে রাজকীয় সম্মতি লাভ করে এবং ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে কার্যকর হয়।
ক্লিমেন্ট অ্যাটলি ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অ্যাটলি ঘোষণা করেন যে ব্রিটিশরা ১৯৪৮ সালের ৩০ জুনের আগে ভারত ত্যাগ করবে। ক্ষমতা হস্তান্তর এবং ভারত বিভাগের প্রক্রিয়া ৭২ দিন দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ৪ঠা জুলাই ভারতীয় স্বাধীনতা বিল পেশ করা হয়। এটি ১৮ জুলাই, ১৯৪৭ সালে রাজকীয় সম্মতি লাভ করে এবং ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে কার্যকর হয়।
৯।নিম্নলিখিত ব্রিটিশ অফিসারদের মধ্যে কে লখনউতে 1857 সালের বিদ্রোহ দমন করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: A [কলিন ক্যাম্পবেল]
দ্রষ্টব্য:
আওধের নবাব ওয়াজিদ আলী শাহের স্ত্রী বেগম হযরত মহল ১৮৫৭ সালের লখনউ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সিপাহী, জমিদার এবং কৃষকদের সহায়তায় বেগম ব্রিটিশদের উপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করেছিলেন। যদিও, স্যার কলিন ক্যাম্পবেলের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী বিদ্রোহ দমন করেছিল। বেগম হযরত মহল ব্রিটিশদের দেওয়া পেনশন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং নেপালে শোক না করে মৃত্যুবরণ করেন।
আওধের নবাব ওয়াজিদ আলী শাহের স্ত্রী বেগম হযরত মহল ১৮৫৭ সালের লখনউ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সিপাহী, জমিদার এবং কৃষকদের সহায়তায় বেগম ব্রিটিশদের উপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করেছিলেন। যদিও, স্যার কলিন ক্যাম্পবেলের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী বিদ্রোহ দমন করেছিল। বেগম হযরত মহল ব্রিটিশদের দেওয়া পেনশন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং নেপালে শোক না করে মৃত্যুবরণ করেন।
১০।“ভারত: বিদ্রোহ নাকি স্বাধীনতা যুদ্ধ?” বইটির লেখক কে ছিলেন?
সঠিক উত্তর: D [এটি এমব্রি]
দ্রষ্টব্য:
“ভারতে ১৮৫৭: বিদ্রোহ নাকি স্বাধীনতা যুদ্ধ?” বইটি লিখেছেন এ টি এমব্রি।
“ভারতে ১৮৫৭: বিদ্রোহ নাকি স্বাধীনতা যুদ্ধ?” বইটি লিখেছেন এ টি এমব্রি।
১১।1932 সালে কে হরিজন সেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন?
সঠিক উত্তর: A [মহাত্মা গান্ধী]
দ্রষ্টব্য:
ভারতে অস্পৃশ্যতা দূর করার জন্য, ১৯৩২ সালে মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হরিজন সেবক সংঘ। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা দরিদ্র শ্রেণীর লোকদের মন্দির, স্কুল, রাস্তা এবং জল সম্পদের মতো জনসাধারণের স্থানগুলিতে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করে এবং আন্তঃভোজ এবং আন্তঃবর্ণ বিবাহও পরিচালনা করে।
ভারতে অস্পৃশ্যতা দূর করার জন্য, ১৯৩২ সালে মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হরিজন সেবক সংঘ। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা দরিদ্র শ্রেণীর লোকদের মন্দির, স্কুল, রাস্তা এবং জল সম্পদের মতো জনসাধারণের স্থানগুলিতে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করে এবং আন্তঃভোজ এবং আন্তঃবর্ণ বিবাহও পরিচালনা করে।
১২।কোন ব্রিটিশ অফিসার দিল্লিতে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ দমন করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: B [নিকোলসন এবং হাডসন]
দ্রষ্টব্য:
শেষ মুঘল সম্রাট, বাহাদুর শাহ জাফর ১৮৫৭ সালের দিল্লি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যদিও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ছিল জেনারেল বখত খানের হাতে। ব্রিটিশদের পক্ষে নিকলসন, উইলসন, বেয়ার্ড স্মিথ এবং নেভিল চেম্বারলেইনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিল্লি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীকালে, দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়, যেখানে তিনি ১৮৬২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নির্বাসনে ছিলেন।
শেষ মুঘল সম্রাট, বাহাদুর শাহ জাফর ১৮৫৭ সালের দিল্লি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যদিও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ছিল জেনারেল বখত খানের হাতে। ব্রিটিশদের পক্ষে নিকলসন, উইলসন, বেয়ার্ড স্মিথ এবং নেভিল চেম্বারলেইনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিল্লি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীকালে, দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়, যেখানে তিনি ১৮৬২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নির্বাসনে ছিলেন।
১৩।স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল কে ছিলেন?
সঠিক উত্তর: D[লর্ড মাউন্টব্যাটেন]
দ্রষ্টব্য:
লর্ড মাউন্টব্যাটেন (১৯৪৭-৪৮) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের শেষ ভাইসরয় এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
লর্ড মাউন্টব্যাটেন (১৯৪৭-৪৮) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের শেষ ভাইসরয় এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
১৪।প্রথম একক হিন্দি ভাষার সংবাদপত্র “উদন্ত মার্তন্ড” কে প্রকাশ করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: A [যুগল কিশোর শুক্লা]
দ্রষ্টব্য:
প্রথম হিন্দি ভাষার সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, উদান্ত মার্তন্ড (দ্য রাইজিং সান) ১৮২৬ সালের ৩০শে মে কলকাতা থেকে পণ্ডিত যুগল কিশোর শুক্লা কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রথম হিন্দি ভাষার সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, উদান্ত মার্তন্ড (দ্য রাইজিং সান) ১৮২৬ সালের ৩০শে মে কলকাতা থেকে পণ্ডিত যুগল কিশোর শুক্লা কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল।
১৫।ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিপ্লব গড়ে তোলার জন্য ‘নৌজওয়ান ভারত সভা’ সংগঠনটি কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: C [ভগত সিং]
দ্রষ্টব্য:
নওজওয়ান ভারত সভা ছিল একটি বামপন্থী ভারতীয় সংগঠন যা শ্রমিক ও কৃষক যুবকদের একত্রিত করে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিল। এটি ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে ভগত সিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের একটি আরও জনসাধারণের মুখ ছিল।
নওজওয়ান ভারত সভা ছিল একটি বামপন্থী ভারতীয় সংগঠন যা শ্রমিক ও কৃষক যুবকদের একত্রিত করে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিল। এটি ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে ভগত সিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের একটি আরও জনসাধারণের মুখ ছিল।
১৬।নিচের কোনটি প্রথম ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করে?
সঠিক উত্তর: C[পর্তুগিজ]
দ্রষ্টব্য:
পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা রোমান আমলের পর থেকে ভারতের সাথে সরাসরি বাণিজ্য সম্পর্ক পুনঃস্থাপনকারী প্রথম ইউরোপীয় হয়ে ওঠেন, যিনি আফ্রিকা প্রদক্ষিণ করে প্রথম আগমন করেন। পরবর্তীতে ভারতে পর্তুগাল গোয়া, কোচিন এবং দিউ এবং দমনে তাদের বাণিজ্য বসতি স্থাপন করে। পর্তুগিজদের পরে, ডাচরা ভারতে প্রবেশ করে, তারপরে ইংরেজ এবং ফরাসিরা।
পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা রোমান আমলের পর থেকে ভারতের সাথে সরাসরি বাণিজ্য সম্পর্ক পুনঃস্থাপনকারী প্রথম ইউরোপীয় হয়ে ওঠেন, যিনি আফ্রিকা প্রদক্ষিণ করে প্রথম আগমন করেন। পরবর্তীতে ভারতে পর্তুগাল গোয়া, কোচিন এবং দিউ এবং দমনে তাদের বাণিজ্য বসতি স্থাপন করে। পর্তুগিজদের পরে, ডাচরা ভারতে প্রবেশ করে, তারপরে ইংরেজ এবং ফরাসিরা।
১৭।ব্রিটিশদের দ্বারা নিম্নলিখিত সংযুক্তিগুলির সঠিক কালানুক্রমিক ক্রম লিখুন।
I. অযোধ্যা
II. পাঞ্জাব
III. উচ্চ বার্মা
I. অযোধ্যা
II. পাঞ্জাব
III. উচ্চ বার্মা
সঠিক উত্তর: D [II, I, III]
নোট:
অযোধ্যা – ১৮৫৬
পাঞ্জাব – ১৮৪৯
উচ্চ বার্মা – ১৮৮৫
অযোধ্যা – ১৮৫৬
পাঞ্জাব – ১৮৪৯
উচ্চ বার্মা – ১৮৮৫
১৮।নিম্নলিখিতদের মধ্যে কে সিভিল সার্ভিসের ভারতীয়করণ করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: C [লর্ড লিটন]
দ্রষ্টব্য:
১৮৭৮-৭৯ সালে লিটন কর্তৃক প্রবর্তিত সংবিধিবদ্ধ সিভিল সার্ভিস।
১৮৭৮-৭৯ সালে লিটন কর্তৃক প্রবর্তিত সংবিধিবদ্ধ সিভিল সার্ভিস।
১৯।১৯৩০ সালে মহাত্মা গান্ধী নিম্নলিখিত কোন স্থান থেকে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: C[সবরমতী]
দ্রষ্টব্য:
১৯৩০ সালের ১২ মার্চ, গান্ধী গুজরাটের সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পদযাত্রা শুরু করে তার আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন এবং ১৯৩০ সালের ৬ এপ্রিল ডান্ডিতে পৌঁছে লবণ আইন ভঙ্গ করেন।
১৯৩০ সালের ১২ মার্চ, গান্ধী গুজরাটের সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পদযাত্রা শুরু করে তার আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন এবং ১৯৩০ সালের ৬ এপ্রিল ডান্ডিতে পৌঁছে লবণ আইন ভঙ্গ করেন।
২০।ভারত বিভাগের সময় নিম্নলিখিতদের মধ্যে কে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন?
সঠিক উত্তর: B [জেবি কৃপালানি]
দ্রষ্টব্য:
আচার্য কৃপলানির জন্ম একই দিনে, যিনি একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। ১৯৪৬ সালে মীরাট অধিবেশনে কৃপলানি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে পরবর্তীকালের স্থলাভিষিক্ত হন।
আচার্য কৃপলানির জন্ম একই দিনে, যিনি একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। ১৯৪৬ সালে মীরাট অধিবেশনে কৃপলানি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে পরবর্তীকালের স্থলাভিষিক্ত হন।
২১।নিম্নলিখিত কে “মারাঠা ম্যাকিয়াভেলি” নামে পরিচিত ছিলেন?
সঠিক উত্তর: [নানা ফড়নবীস]
দ্রষ্টব্য:
নানা ফাডনবীস “মারাঠা ম্যাকিয়াভেলি” এবং “ভারতের ম্যাকিয়াভেলি” নামেও পরিচিত ছিলেন। ইউরোপীয়রা তাকে এই নামেই ডাকত। তিনি পুনেতে মারাঠা সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত ছিলেন।
নানা ফাডনবীস “মারাঠা ম্যাকিয়াভেলি” এবং “ভারতের ম্যাকিয়াভেলি” নামেও পরিচিত ছিলেন। ইউরোপীয়রা তাকে এই নামেই ডাকত। তিনি পুনেতে মারাঠা সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত ছিলেন।
২২।১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন যখন ইংল্যান্ডে ছিলেন, তখন ভারতের ভাইসরয় হিসেবে কে দায়িত্ব পালন করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: B [লর্ড অ্যাম্পথিল]
দ্রষ্টব্য:
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন যখন ইংল্যান্ডে ছিলেন, তখন লর্ড অ্যাম্পথিল ভারতের ভাইসরয় হিসেবে (এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর) দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি জোসেফ চেম্বারলেইনের (মাদ্রাজের গভর্নর) একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন যখন ইংল্যান্ডে ছিলেন, তখন লর্ড অ্যাম্পথিল ভারতের ভাইসরয় হিসেবে (এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর) দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি জোসেফ চেম্বারলেইনের (মাদ্রাজের গভর্নর) একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২৩।ইংল্যান্ড এবং ভারতে যখন একই সাথে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তখন ভাইসরয় কে ছিলেন?
সঠিক উত্তর: A [লর্ড রিডিং]
দ্রষ্টব্য:
১৯২৩ সালে ইংল্যান্ডের পাশাপাশি ভারতেও একই সাথে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। লর্ড রিডিং তখন ভাইসরয় ছিলেন।
১৯২৩ সালে ইংল্যান্ডের পাশাপাশি ভারতেও একই সাথে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। লর্ড রিডিং তখন ভাইসরয় ছিলেন।
২৪।নিচের মধ্যে কে স্বাধীন ভারতের প্রথম এবং শেষ ভারতীয় গভর্নর-জেনারেল ছিলেন?
সঠিক উত্তর: A [চক্রবর্তী রাজগোপালাচারী]
দ্রষ্টব্য:
চক্রবর্তী রাজগোপালাচারী ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম এবং শেষ ভারতীয় গভর্নর-জেনারেল। তাঁর মেয়াদকাল ১৯৪৮ সালের ২১শে জুন শুরু হয়েছিল এবং ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী শেষ হয়েছিল। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের বাংলার প্রথম গভর্নর।
চক্রবর্তী রাজগোপালাচারী ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম এবং শেষ ভারতীয় গভর্নর-জেনারেল। তাঁর মেয়াদকাল ১৯৪৮ সালের ২১শে জুন শুরু হয়েছিল এবং ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী শেষ হয়েছিল। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের বাংলার প্রথম গভর্নর।
২৫।১৭৭৩ সালের রেগুলেটিং অ্যাক্টের ত্রুটিগুলি বাতিল করার জন্য নিম্নলিখিত কোন আইনটি পাস করা হয়েছিল?
সঠিক উত্তর: A [১৭৮১ সালের বিচার বিভাগীয় আইন]
দ্রষ্টব্য:
১৭৭৩ সালের রেগুলেটিং অ্যাক্টের ত্রুটিগুলি বাতিল করার জন্য, ১৭৮১ সালে একটি আইন পাস করা হয়েছিল যা বিচার বিভাগীয় আইন নামে পরিচিত। এই আইনের আরেকটি নাম হল ১৭৮১ সালের ঘোষণামূলক আইন। সুপ্রিম কোর্ট এবং গভর্নর-জেনারেল ইন কাউন্সিলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি করার জন্য এটি পাস করা হয়েছিল।
১৭৭৩ সালের রেগুলেটিং অ্যাক্টের ত্রুটিগুলি বাতিল করার জন্য, ১৭৮১ সালে একটি আইন পাস করা হয়েছিল যা বিচার বিভাগীয় আইন নামে পরিচিত। এই আইনের আরেকটি নাম হল ১৭৮১ সালের ঘোষণামূলক আইন। সুপ্রিম কোর্ট এবং গভর্নর-জেনারেল ইন কাউন্সিলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি করার জন্য এটি পাস করা হয়েছিল।
২৬।নিম্নলিখিত কে 1935 সালের ভারত সরকার আইনকে “দাসত্বের সনদ” হিসাবে অভিহিত করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: B [জওহর লাল নেহেরু]
দ্রষ্টব্য:
১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন অনুসারে গভর্নর-জেনারেলের উপর বিশেষ ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল। এই কারণেই জওহর লাল নেহেরু এই পরিস্থিতিকে “দাসত্বের সনদ” হিসাবে অভিহিত করেছিলেন।
১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন অনুসারে গভর্নর-জেনারেলের উপর বিশেষ ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল। এই কারণেই জওহর লাল নেহেরু এই পরিস্থিতিকে “দাসত্বের সনদ” হিসাবে অভিহিত করেছিলেন।
২৭।১৮৫৮ সালের রাণীর ঘোষণাপত্রকে “আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতার ম্যাগনা কার্টা” হিসেবে কে অভিহিত করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: A [এসএন ব্যানার্জি]
দ্রষ্টব্য:
মডারেটরা সর্বদা ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করত। ১৮৫৮ সালের রাণীর ঘোষণাকে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (মডারেট) “আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতার ম্যাগনা কার্টা” হিসাবে অভিহিত করেছিলেন।
মডারেটরা সর্বদা ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করত। ১৮৫৮ সালের রাণীর ঘোষণাকে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (মডারেট) “আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতার ম্যাগনা কার্টা” হিসাবে অভিহিত করেছিলেন।
২৮।কংগ্রেসে সুরাট বিভক্তির তাৎক্ষণিক কারণ নিচের কোনটি?
সঠিক উত্তর: A [রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মধ্যপন্থী এবং চরমপন্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব]
দ্রষ্টব্য:
চরমপন্থীরা সুরাট অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে তিলক অথবা লালা লাজপত রায়কে চেয়েছিল। কিন্তু মডারেটরা তিলককে বাদ দিতে চেয়েছিল এবং রাসবিহারী ঘোষকে পছন্দ করেছিল। এই বিষয়ে দ্বন্দ্বের ফলে বিভক্তি অনিবার্য হয়ে ওঠে।
চরমপন্থীরা সুরাট অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে তিলক অথবা লালা লাজপত রায়কে চেয়েছিল। কিন্তু মডারেটরা তিলককে বাদ দিতে চেয়েছিল এবং রাসবিহারী ঘোষকে পছন্দ করেছিল। এই বিষয়ে দ্বন্দ্বের ফলে বিভক্তি অনিবার্য হয়ে ওঠে।
২৯।নিম্নলিখিতদের মধ্যে কে সঙ্গত সভার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন?
সঠিক উত্তর: B [কেশব চন্দ্র সেন]
দ্রষ্টব্য:
১৮৬০ সালে, কেশব চন্দ্র সেন দ্বারা সংগত সভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল সাধারণ ভক্তদের একটি সংগঠন যা এর সদস্যদের মধ্যে সাধারণ আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ছড়িয়ে দেয়।
১৮৬০ সালে, কেশব চন্দ্র সেন দ্বারা সংগত সভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল সাধারণ ভক্তদের একটি সংগঠন যা এর সদস্যদের মধ্যে সাধারণ আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ছড়িয়ে দেয়।
৩০।ডুরান্ড লাইন কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
সঠিক উত্তর: D [ ১৮৯৩]
দ্রষ্টব্য:
১৮৯৩ সালে, লর্ড ল্যান্সডাউনের সময়, স্যার মর্টিমার ডুরান্ড আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে ডুরান্ড লাইন চিহ্নিত করেছিলেন।
১৮৯৩ সালে, লর্ড ল্যান্সডাউনের সময়, স্যার মর্টিমার ডুরান্ড আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে ডুরান্ড লাইন চিহ্নিত করেছিলেন।
৩১।ভেলোর বিদ্রোহ নিম্নলিখিত কোন বছরে ঘটেছিল?
সঠিক উত্তর: D [1806]
দ্রষ্টব্য:
ভেলোর বিদ্রোহ ১৮০৬ সালে সংঘটিত হয়েছিল। এটি ছিল ভেলোরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতীয় সিপাহিদের দ্বারা বৃহৎ পরিসরে এবং সহিংস বিদ্রোহের প্রথম ঘটনা।
ভেলোর বিদ্রোহ ১৮০৬ সালে সংঘটিত হয়েছিল। এটি ছিল ভেলোরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতীয় সিপাহিদের দ্বারা বৃহৎ পরিসরে এবং সহিংস বিদ্রোহের প্রথম ঘটনা।
৩২।কোন সালে সদর ফৌজদারি আদালত কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত হয়?
সঠিক উত্তর: A [১৭৭৪ ]
দ্রষ্টব্য:
১৭৭৪ সালের বিচারিক পরিকল্পনার অধীনে, মফস্বল ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রমের উপর কালেক্টরের তত্ত্বাবধান এবং সদর ফৌজদারি আদালতের উপর গভর্নর ও কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানের অবসান ঘটে। এখন সদর ফৌজদারি আদালত কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করা হয় এবং নবাবের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। নবাবের পক্ষে হাইব নাজিমের একটি নতুন অফিস তৈরি করা হয় যিনি সদর নিজামত আদালতের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন। মোহাম্মদ রাজা খানকে নায়েব-নাজিম নিযুক্ত করা হয়।
১৭৭৪ সালের বিচারিক পরিকল্পনার অধীনে, মফস্বল ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রমের উপর কালেক্টরের তত্ত্বাবধান এবং সদর ফৌজদারি আদালতের উপর গভর্নর ও কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানের অবসান ঘটে। এখন সদর ফৌজদারি আদালত কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করা হয় এবং নবাবের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। নবাবের পক্ষে হাইব নাজিমের একটি নতুন অফিস তৈরি করা হয় যিনি সদর নিজামত আদালতের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন। মোহাম্মদ রাজা খানকে নায়েব-নাজিম নিযুক্ত করা হয়।
৩৩।ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে কে অনিচ্ছুক রাজাদের ভারতে যোগদানে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: C [লর্ড মাউন্টব্যাটেন]
দ্রষ্টব্য:
ভারতের শেষ ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন অনিচ্ছুক রাজাদের ভারতে যোগদানে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বেশিরভাগ রাজপুত্রই তাঁর উপর আস্থা রাখতেন এবং ভোপালের নবাব হামিদুল্লাহ খান তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
ভারতের শেষ ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন অনিচ্ছুক রাজাদের ভারতে যোগদানে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বেশিরভাগ রাজপুত্রই তাঁর উপর আস্থা রাখতেন এবং ভোপালের নবাব হামিদুল্লাহ খান তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
৩৪।নিম্নলিখিতদের মধ্যে কে ঘোষণা করেছিলেন যে “যে কোনও দেশীয় রাজ্য গণপরিষদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হবে”?
সঠিক উত্তর: C[জওহরলাল নেহেরু]
দ্রষ্টব্য:
১৯৪৬ সালে, নেহেরু বুঝতে পেরেছিলেন যে কোনও দেশীয় রাজ্য স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিকভাবে আন্দোলন করবে না। তিনি ১৯৪৭ সালের মে মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে “যে কোনও দেশীয় রাজ্য গণপরিষদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হবে”।
১৯৪৬ সালে, নেহেরু বুঝতে পেরেছিলেন যে কোনও দেশীয় রাজ্য স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিকভাবে আন্দোলন করবে না। তিনি ১৯৪৭ সালের মে মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে “যে কোনও দেশীয় রাজ্য গণপরিষদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হবে”।
৩৫।পরবর্তী কোন বছরে উচ্চ দোয়াবে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়?
সঠিক উত্তর: A [১৮৬০-৬১]
দ্রষ্টব্য:
১৮৬০-১৮৬১ সালে সংঘটিত দোয়াব দুর্ভিক্ষ ছিল ভারতের একটি দুর্ভিক্ষ যা উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের গঙ্গা-যমুনা দোয়াব, রোহিলখণ্ডের বিশাল অংশ এবং পাঞ্জাবের দিল্লি এবং হিসার বিভাগের আওধকে প্রভাবিত করেছিল।
১৮৬০-১৮৬১ সালে সংঘটিত দোয়াব দুর্ভিক্ষ ছিল ভারতের একটি দুর্ভিক্ষ যা উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের গঙ্গা-যমুনা দোয়াব, রোহিলখণ্ডের বিশাল অংশ এবং পাঞ্জাবের দিল্লি এবং হিসার বিভাগের আওধকে প্রভাবিত করেছিল।
৩৬।কোন সালে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে কোহাট দাঙ্গা সংঘটিত হয়?
সঠিক উত্তর: C [১৯২৪]
দ্রষ্টব্য:
১৯২৪ সালের কোহাট দাঙ্গা ছিল ব্রিটিশ ভারতে হিন্দু-শিখ বিরোধী প্রধান আক্রমণ। ১৯২৪ সালের ৯-১১ সেপ্টেম্বর, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডির কাছে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কোহাটে (কোহাটে) মুসলমানদের দ্বারা শত শত হিন্দু ও শিখ নিহত হয়। প্রাণ বাঁচাতে সমগ্র হিন্দু ও শিখ জনগোষ্ঠীকে শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য গান্ধী ১৯২৪ সালের অক্টোবরে ২১ দিনের উপবাস করেছিলেন।
১৯২৪ সালের কোহাট দাঙ্গা ছিল ব্রিটিশ ভারতে হিন্দু-শিখ বিরোধী প্রধান আক্রমণ। ১৯২৪ সালের ৯-১১ সেপ্টেম্বর, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডির কাছে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কোহাটে (কোহাটে) মুসলমানদের দ্বারা শত শত হিন্দু ও শিখ নিহত হয়। প্রাণ বাঁচাতে সমগ্র হিন্দু ও শিখ জনগোষ্ঠীকে শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য গান্ধী ১৯২৪ সালের অক্টোবরে ২১ দিনের উপবাস করেছিলেন।
৩৭।সাইমন কমিশন কোন তারিখে বোম্বে পৌঁছান?
সঠিক উত্তর: C[ 3 ফেব্রুয়ারি, 1928]
দ্রষ্টব্য:
১৯১৮ সালের মন্ট-ফোর্ড সংস্কার এবং ১৯১৯ সালের ভারত সরকার আইন অনুসারে ১০ বছর পর তাদের পর্যালোচনার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, স্যার জন সাইমনের সভাপতিত্বে ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশন গঠিত হয়। এতে যুক্তরাজ্যের সাতজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন শ্রমিক নেতা ক্লিমেন্ট অ্যাটলি (১৮৮৩-১৯৬৭) যিনি পরবর্তীতে ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কমিশনকে ভারতের সাংবিধানিক অগ্রগতির প্রতিবেদন দেওয়ার এবং আরও সাংবিধানিক সংস্কারের পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভারতের সাংবিধানিক ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য গঠিত কমিশন থেকে ভারতীয়দের বাদ দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) ১৯২৭ সালের ডিসেম্বরে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত তাদের সভায় কমিশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাইমন কমিশন, ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ সালে বোম্বে পৌঁছানোর পর, ধর্মঘট, বিক্ষোভ এবং কালো পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। কমিশন যে সমস্ত প্রধান শহর পরিদর্শন করেছিল সেখানে “সাইমন ফিরে যাও!” স্লোগানের সাথে প্রতিবাদ পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল। তবে মুসলিম লীগ, হিন্দু এবং শিখদের একটি অংশ কমিশনের সাথে সহযোগিতা করেছিল। সাইমন কমিশনের সাথে সহযোগিতার জন্য একটি সর্বভারতীয় কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৩০ সালের মে মাসে প্রকাশিত কমিশনের দুই খণ্ডের প্রতিবেদনে অন্যান্য বিষয়ের সাথে, দ্বিতন্ত্রের বিলোপ এবং প্রদেশগুলিতে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছিল; হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত পৃথক সাম্প্রদায়িক নির্বাচনী এলাকা বজায় রাখা হয়েছিল। সাইমন কমিশন শেষ পর্যন্ত ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের দিকে পরিচালিত করে, যা প্রাদেশিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে; এবং বর্তমান ভারতীয় সংবিধানের অনেক অংশের ভিত্তি। ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন অনুসারে, ১৯৩৭ সালে প্রদেশগুলিতে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল যা বেশিরভাগ প্রদেশে কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল।
১৯১৮ সালের মন্ট-ফোর্ড সংস্কার এবং ১৯১৯ সালের ভারত সরকার আইন অনুসারে ১০ বছর পর তাদের পর্যালোচনার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, স্যার জন সাইমনের সভাপতিত্বে ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশন গঠিত হয়। এতে যুক্তরাজ্যের সাতজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন শ্রমিক নেতা ক্লিমেন্ট অ্যাটলি (১৮৮৩-১৯৬৭) যিনি পরবর্তীতে ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কমিশনকে ভারতের সাংবিধানিক অগ্রগতির প্রতিবেদন দেওয়ার এবং আরও সাংবিধানিক সংস্কারের পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভারতের সাংবিধানিক ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য গঠিত কমিশন থেকে ভারতীয়দের বাদ দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) ১৯২৭ সালের ডিসেম্বরে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত তাদের সভায় কমিশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাইমন কমিশন, ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ সালে বোম্বে পৌঁছানোর পর, ধর্মঘট, বিক্ষোভ এবং কালো পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। কমিশন যে সমস্ত প্রধান শহর পরিদর্শন করেছিল সেখানে “সাইমন ফিরে যাও!” স্লোগানের সাথে প্রতিবাদ পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল। তবে মুসলিম লীগ, হিন্দু এবং শিখদের একটি অংশ কমিশনের সাথে সহযোগিতা করেছিল। সাইমন কমিশনের সাথে সহযোগিতার জন্য একটি সর্বভারতীয় কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৩০ সালের মে মাসে প্রকাশিত কমিশনের দুই খণ্ডের প্রতিবেদনে অন্যান্য বিষয়ের সাথে, দ্বিতন্ত্রের বিলোপ এবং প্রদেশগুলিতে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছিল; হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত পৃথক সাম্প্রদায়িক নির্বাচনী এলাকা বজায় রাখা হয়েছিল। সাইমন কমিশন শেষ পর্যন্ত ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের দিকে পরিচালিত করে, যা প্রাদেশিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে; এবং বর্তমান ভারতীয় সংবিধানের অনেক অংশের ভিত্তি। ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন অনুসারে, ১৯৩৭ সালে প্রদেশগুলিতে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল যা বেশিরভাগ প্রদেশে কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল।
৩৮।কলেজে সাভারকর যে দলটি তৈরি করেছিলেন তার নাম কী ছিল?
সঠিক উত্তর: B [অভিনব ভারত]
দ্রষ্টব্য:
সাভারকর তার কলেজে বিপ্লবী ব্যক্তিদের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন এবং এর নাম দিয়েছিলেন অভিনব ভারত। প্রশাসনের মতে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
সাভারকর তার কলেজে বিপ্লবী ব্যক্তিদের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন এবং এর নাম দিয়েছিলেন অভিনব ভারত। প্রশাসনের মতে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
৩৯।AO হিউমের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কোন বিবৃতিটি সত্য নয়?
সঠিক উত্তর: B [তিনি দুবার কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছিলেন]
দ্রষ্টব্য:
অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক সংস্কারক এবং অপেশাদার পক্ষীবিদ এবং উদ্যানতত্ত্ববিদ। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। যদিও তিনিই কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তবুও হিউমের কখনও কোনও পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার সুযোগ হয়নি।
অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক সংস্কারক এবং অপেশাদার পক্ষীবিদ এবং উদ্যানতত্ত্ববিদ। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। যদিও তিনিই কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তবুও হিউমের কখনও কোনও পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার সুযোগ হয়নি।
৪০।নিম্নলিখিত কোনটি প্রথম ইংরেজ জাহাজ যা ভারতে এসেছিল?
সঠিক উত্তর: A [লাল ড্রাগন]
দ্রষ্টব্য:
৩১ ডিসেম্বর, ১৬০০ সালে গঠিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম সমুদ্রযাত্রা ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৬০১ সালে যাত্রা শুরু করে। পাঁচটি জাহাজের নৌবহরের প্রধান ছিল “স্কোরজ অফ ম্যালিস”, যা আর্ল অফ কাম্বারল্যান্ড থেকে ৩৭০০ পাউন্ডে কেনা হয়েছিল। আরও শান্তিপূর্ণ অভিযানে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জাহাজটির নাম পরিবর্তন করে “রেড ড্রাগন” রাখে। নৌবহরের অন্যান্য জাহাজগুলি ছিল “হেক্টর” (৩০০ টন), “অ্যাসেনশন” (২৬০ টন), “সুসান” (২৪০ টন) এবং “গিফট”, একটি ছোট খাদ্যদ্রব্য।
৩১ ডিসেম্বর, ১৬০০ সালে গঠিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম সমুদ্রযাত্রা ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৬০১ সালে যাত্রা শুরু করে। পাঁচটি জাহাজের নৌবহরের প্রধান ছিল “স্কোরজ অফ ম্যালিস”, যা আর্ল অফ কাম্বারল্যান্ড থেকে ৩৭০০ পাউন্ডে কেনা হয়েছিল। আরও শান্তিপূর্ণ অভিযানে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জাহাজটির নাম পরিবর্তন করে “রেড ড্রাগন” রাখে। নৌবহরের অন্যান্য জাহাজগুলি ছিল “হেক্টর” (৩০০ টন), “অ্যাসেনশন” (২৬০ টন), “সুসান” (২৪০ টন) এবং “গিফট”, একটি ছোট খাদ্যদ্রব্য।
৪১।ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন নিম্নলিখিত কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
সঠিক উত্তর: A[মেরি কার্পেন্টার]
দ্রষ্টব্য:
মেরি কার্পেন্টার ছিলেন একজন ইংরেজ শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, যিনি ১৮৬৬ সালে রাজা রামমোহন রায়ের সাথে দেখা করতে ভারতে এসেছিলেন, এটি তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভারতে তিনি ব্রাহ্ম সমাজের নেতা কেশব চন্দ্র সেনের সাথে দেখা করেন, যিনি তাকে ব্রিটিশ ও ভারতীয় সংস্কারকদের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করার জন্য ব্রিটেনে একটি সংগঠন গঠন করতে বলেন। ১৮৭০ সালে তিনি জাতীয় ভারতীয় সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।
মেরি কার্পেন্টার ছিলেন একজন ইংরেজ শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, যিনি ১৮৬৬ সালে রাজা রামমোহন রায়ের সাথে দেখা করতে ভারতে এসেছিলেন, এটি তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভারতে তিনি ব্রাহ্ম সমাজের নেতা কেশব চন্দ্র সেনের সাথে দেখা করেন, যিনি তাকে ব্রিটিশ ও ভারতীয় সংস্কারকদের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করার জন্য ব্রিটেনে একটি সংগঠন গঠন করতে বলেন। ১৮৭০ সালে তিনি জাতীয় ভারতীয় সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।
৪২।নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে কে ভারতীয়দের জাতীয় এবং মাথাপিছু আয় মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছিলেন?
১) দাদাভাই নওরোজি
২) উইলিয়াম ডিগবি
৩) ফাইন্ডলে শিরাস
নীচের কোডগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করুন:
১) দাদাভাই নওরোজি
২) উইলিয়াম ডিগবি
৩) ফাইন্ডলে শিরাস
নীচের কোডগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করুন:
সঠিক উত্তর: D [1, 2, এবং 3]
দ্রষ্টব্য:
ব্রিটিশ সরকার কখনও ভারতের জাতীয় এবং মাথাপিছু আয় অনুমান করার জন্য কোনও আন্তরিক প্রচেষ্টা করেনি। দাদাভাই নওরোজি, উইলিয়াম ডিগবি, ফিন্ডলে শিরাস ভি কেআরভি রাও এবং আরসি দেশাই এই আয় পরিমাপের জন্য কিছু ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা করেছিলেন।
ব্রিটিশ সরকার কখনও ভারতের জাতীয় এবং মাথাপিছু আয় অনুমান করার জন্য কোনও আন্তরিক প্রচেষ্টা করেনি। দাদাভাই নওরোজি, উইলিয়াম ডিগবি, ফিন্ডলে শিরাস ভি কেআরভি রাও এবং আরসি দেশাই এই আয় পরিমাপের জন্য কিছু ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা করেছিলেন।
৪৩।কলকাতা এবং ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে প্রথম টেলিগ্রাফ লাইনটি পরবর্তী কোন বছরে খোলা হয়েছিল?
সঠিক উত্তর: A [১৮৫১ ]
দ্রষ্টব্য:
আফগান যুদ্ধ এবং বার্মার সাথে আসন্ন যুদ্ধের সময় টেলিগ্রাফ একটি জরুরি প্রয়োজনীয়তা হয়ে ওঠে। কলকাতা এবং ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে প্রথম লাইনটি ১৮৫১ সালে খোলা হয়েছিল এবং উপকূল থেকে কলকাতায় খবর পাঠানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
আফগান যুদ্ধ এবং বার্মার সাথে আসন্ন যুদ্ধের সময় টেলিগ্রাফ একটি জরুরি প্রয়োজনীয়তা হয়ে ওঠে। কলকাতা এবং ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে প্রথম লাইনটি ১৮৫১ সালে খোলা হয়েছিল এবং উপকূল থেকে কলকাতায় খবর পাঠানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
৪৪।বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রথম ব্রিটিশ গভর্নর কে ছিলেন?
সঠিক উত্তর: B [রবার্ট ক্লাইভ]
দ্রষ্টব্য:
মেজর-জেনারেল রবার্ট ক্লাইভ, (২৯ সেপ্টেম্বর ১৭২৫ – ২২ নভেম্বর ১৭৭৪), যিনি ভারতের ক্লাইভ নামেও পরিচিত, ছিলেন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রথম ব্রিটিশ গভর্নর।
মেজর-জেনারেল রবার্ট ক্লাইভ, (২৯ সেপ্টেম্বর ১৭২৫ – ২২ নভেম্বর ১৭৭৪), যিনি ভারতের ক্লাইভ নামেও পরিচিত, ছিলেন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রথম ব্রিটিশ গভর্নর।
৪৫।‘ভারতের গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান’ নামে কে পরিচিত?
সঠিক উত্তর: D [দাদাভাই নওরোজি]
দ্রষ্টব্য:
দাদাভাই নওরোজি, যিনি ভারতের গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান নামে পরিচিত, একজন পার্সি বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, তুলা ব্যবসায়ী এবং একজন প্রাথমিক ভারতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা ছিলেন। তাঁর বই “ভারতে দারিদ্র্য এবং ব্রিটিশ শাসনের ঊর্ধ্বতন” ব্রিটেনে ভারতের সম্পদের প্রবাহের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি ১৮৯২ থেকে ১৮৯৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্সে সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন এবং প্রথম এশীয় ব্রিটিশ এমপি ছিলেন। এও হিউম এবং দিনশ এডুলজি ওয়াচার সাথে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার জন্যও তিনি কৃতিত্বপ্রাপ্ত।
দাদাভাই নওরোজি, যিনি ভারতের গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান নামে পরিচিত, একজন পার্সি বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, তুলা ব্যবসায়ী এবং একজন প্রাথমিক ভারতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা ছিলেন। তাঁর বই “ভারতে দারিদ্র্য এবং ব্রিটিশ শাসনের ঊর্ধ্বতন” ব্রিটেনে ভারতের সম্পদের প্রবাহের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি ১৮৯২ থেকে ১৮৯৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্সে সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন এবং প্রথম এশীয় ব্রিটিশ এমপি ছিলেন। এও হিউম এবং দিনশ এডুলজি ওয়াচার সাথে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার জন্যও তিনি কৃতিত্বপ্রাপ্ত।
৪৬।ভারতে স্বদেশী আন্দোলন কত সালে শুরু হয়?
সঠিক উত্তর: [১৯০৫]
দ্রষ্টব্য:
১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট বাংলার কলকাতা টাউন হলে স্বদেশী আন্দোলন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯০৫ সালের জুলাই মাসে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন যখন বাংলা ভাগের ঘোষণা দেন, তখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে। স্বদেশী আন্দোলন একটি প্রতিবাদ আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল যা দেশে বয়কট আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দেয়।
১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট বাংলার কলকাতা টাউন হলে স্বদেশী আন্দোলন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯০৫ সালের জুলাই মাসে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন যখন বাংলা ভাগের ঘোষণা দেন, তখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে। স্বদেশী আন্দোলন একটি প্রতিবাদ আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল যা দেশে বয়কট আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দেয়।
৪৭।বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
সঠিক উত্তর: B [ওয়ারেন হেস্টিংস]
দ্রষ্টব্য:
ওয়ারেন হেস্টিংস ২৮ এপ্রিল, ১৭৭২ থেকে ২০ অক্টোবর, ১৭৭৪ পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়াম (বাংলা) প্রেসিডেন্সির প্রথম গভর্নর ছিলেন। ১৭৭৪ সালে, তিনি বাংলার প্রথম গভর্নর-জেনারেল নিযুক্ত হন। তিনি ভারতের প্রথম গভর্নরও ছিলেন।
ওয়ারেন হেস্টিংস ২৮ এপ্রিল, ১৭৭২ থেকে ২০ অক্টোবর, ১৭৭৪ পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়াম (বাংলা) প্রেসিডেন্সির প্রথম গভর্নর ছিলেন। ১৭৭৪ সালে, তিনি বাংলার প্রথম গভর্নর-জেনারেল নিযুক্ত হন। তিনি ভারতের প্রথম গভর্নরও ছিলেন।
৪৮।অরবিন্দকে ___ এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল:
সঠিক উত্তর: A [আলিপুর বোমা মামলা]
দ্রষ্টব্য:
শ্রী অরবিন্দ ছিলেন একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, দার্শনিক, যোগী, গুরু এবং কবি। আলিপুর বোমা মামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯০৮ সালের মে মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী বিচারে তিনি খালাস পান এবং এক বছর বিচ্ছিন্ন কারাবাসের পর মুক্তি পান।
শ্রী অরবিন্দ ছিলেন একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, দার্শনিক, যোগী, গুরু এবং কবি। আলিপুর বোমা মামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯০৮ সালের মে মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী বিচারে তিনি খালাস পান এবং এক বছর বিচ্ছিন্ন কারাবাসের পর মুক্তি পান।
৪৯।দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের সময় গভর্নর-জেনারেল কে ছিলেন?
সঠিক উত্তর: D [ওয়ারেন হেস্টিংস]
দ্রষ্টব্য:
দ্বিতীয় অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধ (১৭৮০-১৭৮৪) ছিল মহীশূর রাজ্য এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে একটি সংঘাত। ওয়ারেন হেস্টিংস তখন গভর্নর-জেনারেল ছিলেন। ১৭৮৪ সালে ম্যাঙ্গালোরের চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সংঘাতের অবসান ঘটে।
দ্বিতীয় অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধ (১৭৮০-১৭৮৪) ছিল মহীশূর রাজ্য এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে একটি সংঘাত। ওয়ারেন হেস্টিংস তখন গভর্নর-জেনারেল ছিলেন। ১৭৮৪ সালে ম্যাঙ্গালোরের চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সংঘাতের অবসান ঘটে।
৫০।১৯২৮ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গুজরাটের বারদোলির স্থানীয় কৃষকদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ____:
সঠিক উত্তর: C [বল্লভভাই প্যাটেল]
দ্রষ্টব্য:
ব্রিটিশ রাজত্বকালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে বারদোলি সত্যাগ্রহ ছিল ১৯২৮ সালের ১২ জুন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে আইন অমান্য এবং বিদ্রোহের একটি প্রধান পর্ব। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব অবশেষে বল্লভভাই প্যাটেল দিয়েছিলেন এবং এর সাফল্য প্যাটেলকে স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে গড়ে তোলে।
ব্রিটিশ রাজত্বকালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে বারদোলি সত্যাগ্রহ ছিল ১৯২৮ সালের ১২ জুন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে আইন অমান্য এবং বিদ্রোহের একটি প্রধান পর্ব। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব অবশেষে বল্লভভাই প্যাটেল দিয়েছিলেন এবং এর সাফল্য প্যাটেলকে স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে গড়ে তোলে।