LATEST PRESS RELEASE
শিরোনাম
উচ্চাকাঙ্খী প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর উত্তর
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেছেন, 370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদ বিলোপের মতো রূপান্তরকারী সিদ্ধান্ত জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে এবং প্রান্তিক শ্রেণীর ক্ষমতায়নে নতুন যুগ নিয়ে আসবে
370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদ বাতিলের পঞ্চম বর্ষ উদযাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তরুণ শিল্পীদের জন্য বৃত্তি
ভারতীয় প্রত্নবস্তুকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা
রেকর্ড পরিমাণ গ্যাস উৎপাদনের জন্য দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
মধ্যপ্রদেশের সাগরে দেওয়াল ধসে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী, এককালীন সহায়তার ঘোষণা
নয়াদিল্লিতে ৩২তম আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
==বিস্তারিত==
=======================================================================
কৃষিমন্ত্রক
উচ্চাকাঙ্খী প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর উত্তর
প্রকাশিত: 06 AUG 2024 3:54PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৬ আগষ্ট, ২০২৪
কেন্দ্রীয় কৃষি, কৃষক কল্যাণ ও গ্রামোন্নোয়ন মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান আজ সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী শস্য বিমা যোজনায় বেশ কিছু অসুবিধা ছিল। কৃষকদের উচ্চহারে প্রিমিয়াম দিতে হত এবং তাদের দাবি দাওয়া নিষ্পত্তিতেও বিলম্ব হত। কৃষক এবং কৃষক সংগঠনগুলির এই নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ফসল বিমা যোজনা নিয়ে আসার পর আপনারা তুলনা করলে দেখবেন যে আগে যেখানে কেবলমাত্র ৩.৫১ কোটি আবেদনপত্র জমা পড়ত, এখন সেখানে ৮.৬৯ কোটি আবেদন পত্র জমা পড়ে। এর থেকেই বোঝা যায় নতুন এই বিমা যোজনাকে ঘিরে কৃষকদের আস্থা কতখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অতীতে সরকারের সময়কালে অঋণী কৃষকদের বিমা পলিসি-র মোট আবেদনের পরিমাণ ছিল ২০ লক্ষ, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪৮ কোটিতে। অতীতে সরকারের সময়কালে মোট কৃষক আবেদনের সংখ্যা ছিল ৩.৭১ কোটি। এখন সেই সংখ্যা ১৪.১৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা প্রিমিয়াম দিয়েছেন ৩২,৪৪০ কোটি টাকা। যেখানে তাদের দাবি মেটানো হয়েছে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা।
শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, অতীতে সরকারের সময়ে পুরনো শস্য বিমা যোজনা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হত এবং ব্যাঙ্কগুলি বিমার প্রিমিয়াম নিজেরাই কেটে নিত। আমাদের সরকার এই বৈষম্য দূর করেছে। এখন কৃষক যদি চান তিনি বিমা করতে পারেন। তিনি না চাইলে করবেন না। আগে অঋণী কৃষক বিমার সুবিধা পেতেন না, এখন তারা চাইলে বিমা করতে পারেন। ৩ কোটি ৯৭ লক্ষ কৃষক বিমার আওতায় এসেছেন এবং সেই সংখ্যা আরও বাড়ছে। সরকার এই প্রকল্পের সরলীকরণ করেছে। যাতে কৃষকদের এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনো অসুবিধা না হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আরও একটি উদ্ভাবনী দিক নিয়ে আসা হয়েছে, তা হল কেবল চোখে দেখেই চাষে ক্ষতির পরিমাণ হিসাব বাধ্যতামূলক না করে বরং দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে কম করে ৩০ শতাংশ ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ণয় করা। অনেক সময় বিমার টাকা পেতে বিলম্ব হয়, সেক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলিকে ১২ শতাংশ পেনাল্টি প্রদান করতে হবে এবং তা যাবে সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে। এই বিলম্ব কেন ঘটে তার কারণ নির্ণয় করতে গেলে আমরা দেখব, বেশিরভাগ রাজ্যই প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে যে ভর্তুকি দেয় সেক্ষেত্রে বিলম্ব ঘটায়। অনেক সময় যথাযথ তথ্য এসে পৌঁছোয় না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় বিমা সংস্থা এবং রাজ্যগুলির মধ্যে দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে। অতীতে যে ব্যবস্থা ছিল তাতে রাজ্যসরকার তাদের বরাদ্দ অর্থ দিলে, তবেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বরাদ্দ অর্থ প্রদান করত। এখন রাজ্য সরকারের দেয় ভাগের সঙ্গে কেন্দ্রের বিষয়টিকেই সম্পূর্ণ আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকের টাকা পেতে যাতে দেরি না হয়, তার জন্য কেন্দ্র সরাসরি তাদের টাকা দিয়ে দেয়। যাতে করে কৃষকরা অন্তত কেন্দ্রের দেওয়া টাকা হাতে পান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় প্রত্যেকটি কৃষকের জন্য। এর ৩ টি মডেল রয়েছে। এক্ষেত্রে এই পলিসি-র দায়ভার কেন্দ্রেরই। রাজ্য তার নিজের পছন্দের ভিত্তিতে মডেল তৈরি করতে পারে। এই ফসল বিমা যোজনা করতে প্রত্যেক রাজ্য দায়বদ্ধও নয়। কোনো রাজ্য তা গ্রহণ করতে না চাইলে তারা তা গ্রহণ করতে নাও পারেন। তিনি বলেন, বিহারে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা রূপায়ণ করা হয়নি। তাদের নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্প মোতাবেকই তারা কৃষকদের সুবিধার্থে কাজ করে থাকে।
PG/AB /SG
(রিলিজ আইডি: 2042378)
আইনওবিচারমন্ত্রক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: 06 AUG 2024 11:58AM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৬ আগষ্ট, ২০২৪
কলকাতা হাইকোর্টে ৯ জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ করল কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারকদের নিয়োগ করেছেন। অতিরিক্ত বিচারকরা হলেন :
ক্রমিক সংখ্যা | নাম | বিস্তারিত |
১ | বিচারপতি শ্রী বিশ্বরূপ চৌধুরী অতিরিক্ত বিচারক | ৩১.০৮.২০২৪ থেকে এক বছরের নতুন মেয়াদ হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারকদের নিয়োগ করা হল।
|
২ | বিচারপতি শ্রী পার্থ সারথি সেন
অতিরিক্ত বিচারক |
|
৩ | বিচারপতি শ্রী প্রসেনজিৎ বিশ্বাস
অতিরিক্ত বিচারক |
|
৪ | বিচারপতি শ্রী উদয় কুমার
অতিরিক্ত বিচারক |
|
৫ | বিচারপতি শ্রী অজয় কুমার গুপ্ত
অতিরিক্ত বিচারক |
|
৬ | বিচারপতি শ্রী সুপ্রতীম ভট্টাচার্য
অতিরিক্ত বিচারক |
|
৭ | বিচারপতি শ্রী পার্থ সারথি চ্যাটার্জী
অতিরিক্ত বিচারক |
|
৮ | বিচারপতি শ্রী অপূর্ব সিনহা রায়
অতিরিক্ত বিচারক |
|
৯ | বিচারপতি মহম্মদ সাব্বর রশিদি
অতিরিক্ত বিচারক |
PG/AB /SG
(রিলিজ আইডি: 2042161)
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেছেন, 370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদ বিলোপের মতো রূপান্তরকারী সিদ্ধান্ত জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে এবং প্রান্তিক শ্রেণীর ক্ষমতায়নে নতুন যুগ নিয়ে আসবে
প্রকাশিত: 05 AUG 2024 5:38PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৫ অগাস্ট, ২০২৪
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেছেন যে, 370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদ বিলোপের রূপান্তরকারী সিদ্ধান্ত প্রান্তিক শ্রেণীর ক্ষমতায়নে নতুন যুগ নিয়ে আসবে এবং জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে তৃণমূল স্তরের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।
এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে শ্রী অমিত শাহ বলেছেন যে,
“আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে 370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদের ঐতিহাসিক বিলোপের ৫ বছর পূর্ণ হল। এই রূপান্তরকারী সিদ্ধান্ত প্রান্তিক শ্রেণির ক্ষমতায়নে নতুন যুগ নিয়ে আসবে এবং জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে তৃণমূল স্তরের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। এই অঞ্চলের যুব সমাজ আর্থ-সামাজিক বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণকে চালিত করে মোদী সরকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সার্বিক উন্নয়নের প্রয়াসকে বিপুলভাবে সাফল্যমণ্ডিত করেছে। আমরা এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য মোদীজিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি এবং এই অঞ্চলের প্রত্যাশ্যা এবং রূপান্তরকারী অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের নিষ্ঠার কথা আবার জানাই।”
PG/ AP/AG
(রিলিজ আইডি: 2041995)
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদ বাতিলের পঞ্চম বর্ষ উদযাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: 05 AUG 2024 3:27PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৫ অগাস্ট, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সংসদে ৫ বছর আগের 370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদ বাতিল করার সিদ্ধান্তকে মনে করিয়ে দিলেন। তিনি এটিকে বললেন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত যা জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাঘের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা করেছিল।
শ্রী মোদী এক্স-এ পোস্ট করেছেন:
“আজ আমরা ভারতীয় সংসদে 370 এবং 35(A) অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তের ৫ বছর পূর্ণ করছি। আমাদের দেশের ইতিহাসে এটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটি ছিল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা। এর অর্থ ভারতের সংবিধান এই স্থানগুলিতে রূপায়িত হল আক্ষরিকভাবে, সংবিধান প্রণেতা মহান পুরুষ ও নারীর ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। এই বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের ফল থেকে বঞ্চিত মহিলা, যুবসমাজ, অনগ্রসর শ্রেণী, জনজাতি এবং প্রান্তিক সমাজের জন্য এল নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং সুযোগ। একইসঙ্গে দশকের পর দশক ধরে দুর্নীতিপীড়িত জম্মু ও কাশ্মীরকে দুর্নীতির কবল থেকে মুক্ত করা নিশ্চিত হল।”
আমি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের সরকার তাদের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং আগামীদিনে তাদের প্রত্যাশ্যা পূরণ করবে।
PG/ AP/AG
(রিলিজ আইডি: 2041821)
সংস্কৃতিমন্ত্রক
তরুণ শিল্পীদের জন্য বৃত্তি
প্রকাশিত: 05 AUG 2024 2:04PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৫ অগাস্ট, ২০২৪
শাস্ত্রীয় নৃত্য, দেশীয় শিল্পকর্ম সহ বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে উন্নত প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘স্কলারশিপ টু ইয়ং আর্টিস্টস্ ইন ডিফারেন্ট কালচারাল ফিল্ডস্ (এসওয়াইএ)’ নামে একটি আর্থিক উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় মাসিক ৫ হাজার টাকা করে সর্বোচ্চ ৪০০ জনকে ৬টি মাসিক কিস্তিতে ৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। বৃত্তি প্রাপকদের বয়স হতে হবে ১৮-২৫ বছরের মধ্যে এবং কোনও গুরু বা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫ বছর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। মন্ত্রকের তৈরি করা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ব্যক্তিগত ইন্টারভিউ/কথাবার্তার ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রাপকদের বাছাই করা হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই খাতে ১৬.২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
যেসব ক্ষেত্রে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে, সেগুলি হ’ল – ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য, থিয়েটার, দৃশ্যকলা, লোক, পরম্পরাগত ও দেশীয় শিল্প এবং লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। ২০২৩-২৪ এ এই খাতে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ৮৩.৭০ লক্ষ টাকা।
আজ লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
PG/MP/SB
(রিলিজ আইডি: 2042379)
সংস্কৃতিমন্ত্রক
ভারতীয় প্রত্নবস্তুকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা
প্রকাশিত: 05 AUG 2024 2:01PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৫ আগষ্ট, ২০২৪
২০১৪ সাল থেকে এপর্যন্ত বিভিন্ন দেশে থাকা মোট ৩৪৫ টি ভারতীয় প্রত্নবস্তুকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক প্রত্নবস্তুকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২৮৩ টি প্রত্নবস্তুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। সবথেকে বেশি সংখ্যক ফিরিয়ে আনা হয় ২০২১ সালে ১৫৭ টি এবং ২০২৩ –এ ১০৫ টি। এই সমস্ত প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ নেই। ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই) তাদের প্রয়োজন ভিত্তিতে তাদের প্রাপ্য তহবিল থেকে এই ব্যয়ভার বহন করে থাকে।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি জনসাধারণের উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনসচেতনতা তৈরি করতে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ নানা প্রদর্শনী ও ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য খাজুরাহোতে জি-২০ বৈঠকে এবং নতুন দিল্লিতে বিশ্ব হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা প্রত্নবস্তুর সংগ্রহ অভ্যাগত এবং দর্শকদের বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছে। পুরানা কিলার গ্যালারিতে জনসাধারণের দেখার জন্য স্বদেশে ফিরিয়ে আনা নির্বাচিত কিছু প্রত্নবস্তুকেও রাখা হয়েছে।
প্রত্নসামগ্রী চোরাচালান রোধে এএসআই আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। কোনো প্রত্নবস্তু চুরি হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ থানায় এফআইআর করা হয় এবং লুক আউট নোটিশ জারি হয়, যাতে সেই চুরি যাওয়া প্রত্নবস্তু ফিরে পাওয়া যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, ইটালি, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ থেকে ভারতীয় প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪০ টি প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
২০১৪ থেকে এপর্যন্ত গ্রেট ব্রিটেন থেকে মোট ১৬ টি প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন।
PG/AB /SG
(রিলিজ আইডি: 2042377)
সংস্কৃতিমন্ত্রক
ভারতীয় প্রত্নবস্তুকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা
প্রকাশিত: 05 AUG 2024 2:01PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৫ আগষ্ট, ২০২৪
২০১৪ সাল থেকে এপর্যন্ত বিভিন্ন দেশে থাকা মোট ৩৪৫ টি ভারতীয় প্রত্নবস্তুকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক প্রত্নবস্তুকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২৮৩ টি প্রত্নবস্তুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। সবথেকে বেশি সংখ্যক ফিরিয়ে আনা হয় ২০২১ সালে ১৫৭ টি এবং ২০২৩ –এ ১০৫ টি। এই সমস্ত প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ নেই। ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই) তাদের প্রয়োজন ভিত্তিতে তাদের প্রাপ্য তহবিল থেকে এই ব্যয়ভার বহন করে থাকে।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি জনসাধারণের উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনসচেতনতা তৈরি করতে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ নানা প্রদর্শনী ও ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য খাজুরাহোতে জি-২০ বৈঠকে এবং নতুন দিল্লিতে বিশ্ব হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা প্রত্নবস্তুর সংগ্রহ অভ্যাগত এবং দর্শকদের বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছে। পুরানা কিলার গ্যালারিতে জনসাধারণের দেখার জন্য স্বদেশে ফিরিয়ে আনা নির্বাচিত কিছু প্রত্নবস্তুকেও রাখা হয়েছে।
প্রত্নসামগ্রী চোরাচালান রোধে এএসআই আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। কোনো প্রত্নবস্তু চুরি হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ থানায় এফআইআর করা হয় এবং লুক আউট নোটিশ জারি হয়, যাতে সেই চুরি যাওয়া প্রত্নবস্তু ফিরে পাওয়া যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, ইটালি, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ থেকে ভারতীয় প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪০ টি প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
২০১৪ থেকে এপর্যন্ত গ্রেট ব্রিটেন থেকে মোট ১৬ টি প্রত্নবস্তুকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন।
PG/AB /SG
(রিলিজ আইডি: 2042377)
==================================================================================================================================
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
রেকর্ড পরিমাণ গ্যাস উৎপাদনের জন্য দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রকাশিত: 04 AUG 2024 9:27PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৪ অগাস্ট, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রেকর্ড পরিমাণ গ্যাস উৎপাদনের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরফলে, দেশ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে অগ্রসর হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প পূরণে জ্বালানী ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি।
পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী সামাজিক মাধ্যম এক্স – এ এক বার্তায় জানিয়েছেন, গ্যাস উৎপাদনে এক নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ২০২০-২১ সালে গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৮.৭ বিসিএম। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩৬.৪৩ বিসিএম। তথ্যানুযায়ী, ২০২৬ সালে উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫.৩ বিসিএম – এ পৌঁছবে।
শ্রী পুরীর বার্তার প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই সাফল্য অর্জনে দেশবাসীকে অনেক অনেক অভিনন্দন!
উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প পূরণে জ্বালানী ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। গ্যাস উৎপাদনের এই রেকর্ডের মাধ্যমে আমাদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়”।
PG/CB/SB
(রিলিজ আইডি: 2041640)
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
মধ্যপ্রদেশের সাগরে দেওয়াল ধসে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী, এককালীন সহায়তার ঘোষণা
প্রকাশিত: 04 AUG 2024 6:47PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ অগাস্ট, ২০২৪
মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় দেওয়াল ধসে নটি শিশুর মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
শ্রী মোদী প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃত শিশুদের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন। স্বজনহারা পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন:
“প্রধানমন্ত্রীর তরফে পিএমএনআরএফ থেকে মধ্যপ্রদেশের সাগরে দুর্ঘটনায় নিহতদের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”
“মধ্যপ্রদেশের সাগরে দেওয়াল ধসে প্রাণহানির ঘটনা হৃদয় বিদারক। মৃত শিশুদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। ঈশ্বর তাঁদের দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা দিন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি : প্রধানমন্ত্রী ”
PG/ AC/AG
(রিলিজ আইডি: 2041623)
==================================================================================================================================
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
নয়াদিল্লিতে ৩২তম আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় কৃষি পরম্পরায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে – বললেন তিনি
প্রকাশিত: 03 AUG 2024 11:02AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩ আগস্ট, ২০২৪
নয়াদিল্লির জাতীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে (এনএএসসি) আয়োজিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের আজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বছরের সম্মেলনের মূল থিমটি হল – ‘নিরন্তর কৃষি খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের লক্ষ্যে’। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় ও ক্ষয়ক্ষতি, উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি এবং নানা ধরনের সংঘাত ও সংঘর্ষজনিত পরিস্থিতির মুখে কৃষি ব্যবস্থাকে কিভাবে নিরন্তর একটি উৎপাদন প্রচেষ্টায় রূপান্তরিত করা যায়, সেই লক্ষ্যেই আয়োজিত এবারের সম্মেলন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৭৫টি দেশের এক হাজার জনের মতো প্রতিনিধি এবারের সম্মেলন যোগ দিয়েছেন।
দীর্ঘ ৬৫ বছর পর এই প্রথমবার ভারতে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১২০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বিশ্ব প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন যে ভারতের কৃষি পরম্পরায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে যুক্ত করার বিষয়টি বিশেষভাবে অগ্রাধিকার পেয়েছে। খাদ্যের ওষধি গুণের পেছনে যে সার্বিকভাবে বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে, একথাও তিনি উল্লেখ করেন তাঁর এদিনের ভাষণে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার বছরের প্রাচীন দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গীকে অনুসরণ করে কৃষি ব্যবস্থা ক্রমশ গড়ে উঠেছে। এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রায় ২ হাজার বছরের প্রাচীন ‘কৃষি পরাশর’-এরও তিনি উল্লেখ করেন। ভারতে কৃষি-শিক্ষা ও গবেষণার যে ভালরকম ব্যবস্থা রয়েছে, একথাও এদিন স্পর্শ করে যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদের আওতায় রয়েছে ১০০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে কৃষি-শিক্ষার জন্য দেশে ৫০০টিরও বেশি কলেজ এবং ৭০০-রও বেশি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র রয়েছে।
ভারতে কৃষি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ছ’টি ভিন্ন ভিন্ন ঋতুর প্রাসঙ্গিকতার দিকটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনের স্বার্থে ১৫টি কৃষি জলবায়ু অঞ্চল গড়ে উঠেছে। সমতলই হোক, হিমালয়ের মতো পার্বত্য অঞ্চলেই হোক কিংবা মরুভূমিতে, কৃষি বৈচিত্র্য সব সময়েই দেশের খাদ্য নিরাপত্তার পক্ষে একান্ত জরুরি একটি বিষয়। ভারতের এই অনুপম বৈশিষ্ট্যের ফলে আমাদের দেশ বিশ্বের কাছে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক আলোকবর্তিকা বিশেষ বললেও অত্যুক্তি হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে এর আগে শেষ আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৬৫ বছর আগে। ভারত তখন ছিল একেবারে নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি দেশ। সুতরাং ওই সময়টি ছিল ভারতের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার পক্ষে সমস্যাবহুল একটি সময়কাল। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যোৎপাদনের দিক দিয়ে ভারত অনেকটাই এগিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, অনেক সময়েই আমাদের খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এছাড়াও দুধ, ডাল, মশলা ইত্যাদি উৎপাদনের দিক থেকেও ভারত রয়েছে প্রথম সারিতে। খাদ্যশস্য, ফলমূল, শাকসবজি, তুলো, চা, চিনি এবং মৎস্যচাষের দিক থেকেও ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ হিসেবে এক বিশেষ আসন দখল করে রয়েছে। ভারতে এক সময় খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ছিল যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠে ভারতই বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার সঠিক পথ দেখাতে পেরেছে। এই কারণে খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর প্রচেষ্টা সম্পর্কে আলোচনাকালে ভারতের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়টি যথেষ্ট মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবে বিশ্ব কল্যাণে ভারত যে অঙ্গীকারবদ্ধ, একথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব কল্যাণের লক্ষ্যে ভারতের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সর্বদাই বিশ্বাস করে যে আমাদের রয়েছে ‘একটিমাত্র পৃথিবী, আমরা সকলে একই পরিবারভুক্ত এবং আমাদের সকলেরই ভবিষ্যৎ হল এক ও অভিন্ন’। ভারতের ‘মিশন লাইফ’ এবং ‘একটিই বিশ্ব সংসার, একই সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ – এই দুটি কর্মসূচির কথাও এদিন প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণে নিরন্তর কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতের ‘এক অভিন্ন বিশ্ব, এক অভিন্ন পরিবার এবং এক অভিন্ন ভবিষ্যৎ’ – এই আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।
শ্রী মোদী বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সমস্ত নীতি রচিত হয়েছে তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কৃষি তথা কৃষি ব্যবস্থা। ভারতের ৯০ শতাংশেরও বেশি ক্ষুদ্র কৃষকরাই হলেন খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতের বৃহত্তম শক্তি। এশিয়ার আরও কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে ভারতের এই কৃষি নীতিকে অনুসরণ করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে রাসায়নিকমুক্ত প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির ইতিবাচক ফল আমরা ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছি। তাই, বর্তমান বছরের বাজেটে নিরন্তর এবং সকল রকমের জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থার ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি। যে কোনরকম আবহাওয়ায় শস্যের ফলন যাতে সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা জোর দিয়েছি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার ওপর। গত ১০ বছরে ১৯টিরও বেশি এমন খাদ্যশস্যের বীজ কৃষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে যেগুলির সাহায্যে যে কোন ধরনের আবহাওয়াতেই ফলন উৎপাদন সম্ভব। যেমন ভারতে এমন বেশ কিছু প্রজাতির ধান রয়েছে যার উৎপাদনে অন্যান্য প্রজাতির ধানের তুলনায় জলের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ কম। এইভাবেই আমরা উৎপাদন করতে পেরেছি ‘ব্ল্যাক রাইস’ যা ইতিমধ্যেই ‘সুপার ফুড’-এর তকমা লাভ করেছে। মণিপুর, আসাম এবং মেঘালয়ে উৎপাদিত ব্ল্যাক রাইস ভেষজ গুণসম্পন্ন হওয়ায় ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কারণেই ভারত তার কৃষি অভিজ্ঞতা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করতে সর্বদাই আগ্রহী।
ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থায় যেভাবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ সফল হয়ে উঠেছে, সে সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব প্রতিনিধিদের আজ অবহিত করেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পর্কিত কার্ড, সৌরশক্তির সাহায্যে কৃষি পদ্ধতি, ডিজিটাল কৃষি বিপণন ব্যবস্থা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান যে গত ১০ বছরে দেশের ৯০ লক্ষ হেক্টর জমিকে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইথানল ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষি পরিবেশ যেভাবে উন্নত হয়ে উঠেছে, তাও এক দৃষ্টান্ত বলে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের কৃষি ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র কথা। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ১০ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ হস্তান্তর সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের শস্য সম্পর্কে সমীক্ষা চালানোর লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সরকারি ডিজিটাল পরিকাঠামো। এর মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব। ফলে, ভারতের কোটি কোটি কৃষিজীবী মানুষ তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নত করতে পেরেছেন।
পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আজকের এই সম্মেলনে আমরা একদিকে যেমন একে অন্যের কাছে জ্ঞান ও শিক্ষালাভ করব, অন্যদিকে তেমনই পরস্পরকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করব।
আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ, সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক মাটিন কোয়েম এবং আইসিএআর-এর সেক্রেটারি তথা ডিজি ডঃ হিমাংশু পাঠক।
PG/SKD/DM
(রিলিজ আইডি: 2041232)