LATEST PRESS RELEASE-22-07-2024

LATEST PRESS RELEASE
HEADLINES

Table of Contents

1) ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য

2) বাজেট ২০২৪-২৫ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিমত

3)এবারের বাজেট বৈশিষ্ট্য : এক নজরে

4)নতুন কর কাঠামোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে সরকার

5)এ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে ন’টি অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন

6)কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪ – ২৫ এ কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ

7)প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের আওতায় কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহভাতা ভিত্তিক ৩টি প্রকল্পের রূপায়ন করবে সরকার

8)প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের আওতায় দেশের তরুণ ও যুবকদের জন্য দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

9)জাতীয় শিল্প করিডর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১২টি বিনিয়োগ বান্ধব ‘প্ল্যাগ অ্যান্ড প্লে’ শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হবে : কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫

10)চন্দ্র শেখর আজাদের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য

================================================================================================================================

 বিস্তারিত

==================================================================================================================================

প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 2:57PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই ২০২৪

এবারের বাজেট প্রস্তাব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, তা দেশকে উন্নয়নের এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করতে পারবে। এর জন্য আমি সকল দেশবাসীকে জানাই আমার অভিনন্দন। একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনজি এবং তাঁর টিমের সকল সদস্যের জন্যও রইল আমার বিশেষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

বন্ধুগণ,

এই বাজেট সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেরই ক্ষমতায়নের পক্ষে যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। দেশের গ্রামগুলিতে সমৃদ্ধি এবং সেইসঙ্গে দরিদ্র ও কৃষক সাধারণের অবস্থার উন্নয়নও ঘটাবে এবারের এই বাজেট প্রস্তাব। গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে আমরা দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে আসতে পেরেছি। নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টায় এবারের বাজেট বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলেই আমার আশা। কারণ, তা শিক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশের ওপরও বিশেষ জোর দিয়ে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা প্রসারের ওপর গুরুত্বদান করেছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে তা নতুন করে শক্তিও যোগাবে। এমনকি, আদিবাসী সমাজের ক্ষমতায়নেও তা এক বলিষ্ঠ পরিকল্পনার সূত্র হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে উপকৃত হবেন দলিত জনসাধারণ এবং অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষরা। অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টায় মহিলাদেরও উৎসাহিত করা হবে এই বাজেট প্রস্তাবগুলির মাধ্যমে এবং তা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্পক্ষেত্রগুলির অগ্রগতির রাস্তা খুলে দেবে। নির্মাণ ও উৎপাদন এবং পরিকাঠামোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই বাজেট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেমন উৎসাহিত করবে, অন্যদিকে তেমনই তার ধারা নিরন্তর করে তোলার কাজেও তা সহায়ক হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

কর্মসংস্থান এবং স্বনিযুক্তির নজিরবিহীন সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের সরকার এক বিশেষ দিকচিহ্ন নির্ধারণ করে দিয়েছে। আজকের এই বাজেট আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি পালনের অঙ্গীকারকেও আরও উৎসাহিত করবে। পিএলআই কর্মসূচির সাফল্য দেশ তথা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করছেন। বর্তমানে এই বাজেটে কর্মসংস্থান-ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ কর্মসূচির কথা সরকার ঘোষণা করেছে যা সারা দেশে কোটি কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবে। এই কর্মসূচির আওতায় এই প্রথম যে সমস্ত তরুণ ও যুবকরা কর্মে নিযুক্ত হবেন, তাঁদের প্রথম বেতনটি দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। দক্ষতা বিকাশের জন্য সহায়তাই হোক কিংবা উচ্চতর শিক্ষালাভের জন্য অথবা ইন্টার্নশিপের জন্য কর্মসূচিই হোক, তাতে উপকৃত হবেন ১ কোটি তরুণ ও যুবক। এর ফলে, গ্রাম-ভারতের তরুণ ও যুবকরা দেশের শীর্ষ সংস্থাগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করবেন এবং সেইসঙ্গে আরও নতুন নতুন সুযোগের দ্বারও উন্মুক্ত হবে তাঁদের সামনে। দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম এবং পরিবারে শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে আমরা আগ্রহী। এই লক্ষ্যে ‘মুদ্রা’ ঋণের আওতায় ঋণদানের মাত্রা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হবে। ফলে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিশেষত মহিলা, দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁদের স্বনিযুক্তি প্রচেষ্টায় বিশেষভাবে উৎসাহিত হবেন। 

বন্ধুগণ,

একইসঙ্গে ভারতকে আমরা বিশ্বের একটি উৎপাদন গন্তব্য রূপে গড়ে তুলতে পারব। দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, দরিদ্র সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগও সম্প্রসারিত হয় এই সংস্থাগুলিতে। এই লক্ষ্যে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

বন্ধুগণ,

স্টার্ট-আপ এবং উদ্ভাবনের উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতি গড়ে তুলতে নতুন নতুন সুযোগ সম্প্রসারণের কথাও বলা হয়েছে এ বছরের বাজেট প্রস্তাবে। ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনই হোক বা ‘অ্যাঞ্জেল কর’ অবলুপ্তির সিদ্ধান্তই হোক, সবকিছুই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

বন্ধুগণ,

মূলধনী খাতে রেকর্ড সংখ্যক বিনিয়োগ দেশের অর্থনীতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস। নতুন নতুন অর্থনৈতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে সারা দেশজুড়ে। ফলে সম্প্রসারিত হবে নতুন নতুন কাজের সুযোগও।

বন্ধুগণ,

প্রতিরক্ষা সাজসরঞ্জাম রপ্তানির মাত্রাও দেশে এখন এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে স্বনির্ভর করে তুলতে এবারের বাজেট প্রস্তাবে বেশ কিছু ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বিশ্বের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নানাভাবে যুক্ত। যার ফলে পর্যটন ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সম্ভাবনার। দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য পর্যটন সম্পর্কিত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। তাই, পর্যটন কেন্দ্রকে আরও উন্নত করে তোলার ওপরও এবারের বাজেটে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

গত ১০ বছরে এনডিএ সরকার দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর লাঘবের জন্য নিরন্তরভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। এবারের বাজেটে আয়করের মাত্রা কমিয়ে আনা এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধির ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, টিডিএস সম্পর্কিত নিয়মনীতিকেও আরও সরল করে তোলা হয়েছে যার ফলে করদাতারা আরও বেশি করে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য পূর্ব ভারতের সুসংবদ্ধ উন্নয়ন একান্তই জরুরি। আমাদের এই অভিযান পূর্ব ভারতের উন্নয়ন থেকে নতুন উৎসাহ ও শক্তি অর্জন করবে বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ, আমাদের অন্যতম চিন্তাদর্শ হল ‘পূর্বোদয়’। মহাসড়ক নির্মাণ, জল প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোকে আমরা আরও সম্প্রসারিত করব পূর্ব ভারতে এবং এর মধ্য দিয়েই আমাদের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে। 

বন্ধুগণ,

দেশের কৃষক সাধারণের স্বার্থ রক্ষার ওপরও এবারের বাজেটে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যশস্য মজুত প্রকল্পের আওতায় আমরা এখন গুচ্ছ সবজি উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের এই উদ্যোগের ফলে ক্ষুদ্র কৃষকরা যাতে উৎপাদিত ফল, শাক-সবজি এবং তাঁদের অন্যান্য পণ্যও বাজারজাত করে আরও ভালো মূল্য পেতে পারেন, তার সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে পরিবারের সকল মানুষের পুষ্টিবিধানের কাজেও তা সহায়ক হয়ে উঠবে। কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা বর্তমান ভারতের পক্ষে একান্ত জরুরি একটি বিষয়। তাই, ডাল ও তৈলবীজের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে সহায়তার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাবে।

বন্ধুগণ,

দারিদ্র্য নির্মূলকরণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এবারের বাজেট। প্রস্তাব করা হয়েছে দরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্য ৩ কোটি নতুন বাসস্থান নির্মাণের। জনজাতীয় উন্নত গ্রাম অভিযানের আওতায় ৫ কোটি আদিবাসী পরিবারে সম্প্রসারিত হবে প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও, গ্রাম সড়ক যোজনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২৫ হাজার নতুন গ্রামকে সকল আবহাওয়ার উপযোগী সড়ক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যার ফলে উপকৃত হবে দেশের প্রতিটি রাজ্যের দূরদুরান্তের গ্রামগুলিও।

বন্ধুগণ,

আজকের এই বাজেট নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের কর্মপ্রচেষ্টায় নতুনভাবে শক্তি যোগাবে যা থেকে সৃষ্টি হবে অসংখ্য কর্মসংস্থানের এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে স্বনিযুক্তি প্রচেষ্টারও। এর ফলে একদিকে যেমন দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য গড়ে উঠবে এক উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক একটি শক্তি রূপে ভারতকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবারের বাজেট এক অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে বলেই আমার বিশ্বাস। এক কথায় বলতে গেলে, এক উন্নত দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠবে এক নতুন ভিত্তিভূমি।

সকল দেশবাসীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা!

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

 

PG/SKD/DM
(রিলিজ আইডি: 2036063)

 

=================================================================================================================================

প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

বাজেট ২০২৪-২৫ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিমত

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 2:54PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৩ জুলাই, ২০২৪

 

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনের আজ লোকসভায় পেশ করা ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সাধুবাদ জানিয়েছেন। 

বাজেট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছরের বাজেট উন্নয়নের ধারাকে নতুন লক্ষ্যসীমায় পৌঁছে দিতে বাধ্য। এজন্য তিনি সকল নাগরিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন এবং তাঁর পুরো দলের এজন্য অভিনন্দন প্রাপ্য। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় বাজেট সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের ক্ষমতায়নের পথ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন তা গ্রামের দরিদ্র কৃষককে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ কোটি মানুষের দরিদ্রাবস্থা থেকে মুক্তিতে নবমধ্যবিত্তের উদ্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এই বাজেট সকলের ক্ষমতায়ন এবং অনন্ত কর্মসংস্থান সম্ভাবনার পথ খুলে দেবে। এই বাজেট শিক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশকে নতুন সীমায় উত্তোরণ ঘটাবে। বাজেটে নতুন প্রকল্পগুলি মধ্যবিত্ত, আদিবাসী সম্প্রদায়, দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নের পথকেও প্রশস্ত করবে। তিনি আরও বলেন, এবছরের বাজেট মহিলাদের আর্থিক অংশীদারিত্বকে যেমন সুনিশ্চিত করবে, তার পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ী এবং এমএসএমই ক্ষেত্রের জন্য নতুন পথ খুলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো ক্ষেত্র এই বাজেটের ফলে নতুন শক্তি পাবে। এর ফলে, বর্তমান ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আর্থিক অগ্রগতিতে নতুন শক্তি যোগানো সম্ভব হবে। 

স্বনির্ভরতা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারি দায়বদ্ধতার কথা পুনরায় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন ভিত্তিক অনুদান প্রকল্প এবং কর্মসংস্থান ভিত্তিক উৎসাহভাতা কোটি কোটি কর্ম সুযোগ তৈরি করবে। এই প্রকল্পের আওতায় কোন তরুণ-তরুণী প্রথমবার কাজে যোগদানে প্রথম বেতনের ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। তিনি উচ্চশিক্ষার সংস্থান এবং এক কোটি যুবক-যুবতী শিক্ষানবিশি প্রকল্পের উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম সারির কোম্পানিগুলিতে কাজ করে তরুণ শিক্ষানবিশিদের সামনে উজ্জ্বল সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হবে।  

প্রত্যেক শহর, গ্রাম ও প্রত্যেক গৃহে উদ্যোগপতি তৈরির দায়বদ্ধতার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুদ্রা ঋণে কোল্যাটারাল মুক্ত ঋণের সীমা বৃদ্ধিতে ছোট ব্যবসায়ী মহিলা, দলিত, অনগ্রসর ও অবহেলিত শ্রেণী উপকৃত হবেন। 

ভারতকে বিশ্বের নির্মাণ হাব হিসেবে গড়ে তোলার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সঙ্গে এমএসএমই ক্ষেত্রে যোগসূত্র স্থাপন এবং তা থেকে দরিদ্র সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের প্রভূত সম্ভাবনা তৈরী হবে। ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে নতুন শক্তি যোগাতে বাজেটে নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এর ফলে, এমএসএমই ক্ষেত্রে ঋণ পাওয়ার সুযোগ বাড়বে। বাজেটের এই ঘোষণা প্রত্যেক জেলায় নির্মাণ এবং রপ্তানির সুযোগ পৌঁছে দেবে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স, রপ্তানি হাব এবং খাদ্যের গুণাগুণ পরীক্ষার সুযোগ এক জেলা এক পণ্য কর্মসূচিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট ভারতের স্টার্ট আপ এবং উদ্ভাবনী পরিমণ্ডলের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। তিনি মহাকাশ অর্থনীতির ক্ষেত্র চাঙ্গা করতে এবং এঞ্জেল করের বিলোপসাধনে ১ হাজার কোটি টাকার কর্পাস তহবিলকে কাজে লাগানোর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূলধনী ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক অর্থ ব্যয় অর্থনীতির এক চালিকা শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১২টি শিল্প তালুক, নতুন স্যাটেলাইট শহর এবং ১৪টি বড় শহরের জন্য পরিবহণ পরিকল্পনার নিয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের নতুন অর্থনৈতিক হাবের বিকাশ অসংখ্য কর্মসম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।

রেকর্ড পরিমান প্রতিরক্ষা রপ্তানির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছরের বাজেটে আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র গড়ে তোলার নানাবিধ সংস্থান রাখা হয়েছে। ভারতকে ঘিরে বিশ্বের আকর্ষণ ক্রমবর্ধমান। ফলত পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দিক খুলে যাচ্ছে। এবছরের বাজেটে পর্যটনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের জন্য অসংখ্য সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর ছাড়কে সরকার সুনিশ্চিত করেছে। এবছরের বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বৃদ্ধি এবং টিডিএস আইনের সরলিকরণের ফলে আয়করের ভার কমবে। তিনি বলেন, এই সব সংস্কারের ফলে করদাতারা আরও বেশি অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক বিকাশ পূর্বদয় দিশার মাধ্যমে নতুন শক্তি ও গতি প্রাপ্ত হবে। পূর্বাঞ্চল ভারতের মহাসড়ক, জলপ্রকল্প এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর উন্নয়ন নতুন শক্তি যোগাবে বলে তিনি জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছরের বাজেটে বিশেষ ভাবে আলোকপাত করা হয়েছে দেশের কৃষক সম্প্রদায়ের ওপরে। বিশ্বের বৃহত্তম শস্য ভান্ডার প্রকল্পের পর এবার সব্জি উৎপাদন ক্লাস্টারের সূচনা কৃষক এবং মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের বিশেষ সাহায্যে লাগবে। তিনি বলেন, সময়ের দাবি হল ভারত কৃষি ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়ে উঠুক। ফলে, যেসমস্ত ব্যবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে তাতে কৃষকদের শস্য এবং তৈলবীজের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দারিদ্র মোচন, দরিদ্রদের সশক্তিকরণে প্রধান প্রকল্পগুলির ওপর আলোকপাত করে বলেন, দরিদ্র এবং জনজাতীয় উন্নত গ্রাম অভিযানে ৩ কোটি গৃহে ৫ কোটি আদিবাসী পরিবারকে স্যাচুরেশন পদ্ধতিতে মৌলিক সুবিধাগুলির সঙ্গে যুক্ত করবে। এছাড়াও গ্রাম সড়ক যোজনা ২৫ হাজার নতুন গ্রামীণ এলাকাকে সমস্ত মরশুমের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা সড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে। ফলে উপকৃত হবে সমস্ত রাজ্যগুলি। 

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আজকের বাজেট নতুন সম্ভাবনা, নতুন শক্তি, নতুন কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভরতার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই বাজেট অধিক বৃদ্ধি এবং উন্নত ভবিষ্যতের ইতিবৃত্ত রচনা করবে। প্রধানমন্ত্রী এই বলে তার বক্তব্য শেষ করেন যে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারতকে গড়ে তুলতে এবং বিকশিত ভারতে শক্ত ভিত্তিভূমি রচনার কাজে এবারের বাজেট অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে।

PG/AB/AS

(রিলিজ আইডি: 2036032)  

==================================================================================================================================

অর্থমন্ত্রক

এবারের বাজেট বৈশিষ্ট্য : এক নজরে

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 1:17PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই ২০২৪

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব আজ সংসদে পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের অনুমিত বাজেট হিসাব হল :

 

* ঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে মোট আয় ৩২.০৭ লক্ষ কোটি টাকা

* মোট ব্যয় ৪৮.২১ লক্ষ কোটি টাকা

* কর বাবদ নিট আয় ২৫.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা

* আর্থিক ঘাটতি জিডিপি-র ৪.৯ শতাংশ

* আগামী বছরে ৪.৫ শতাংশ হারে ঘাটতি পূরণের লক্ষ্য

* মুদ্রাস্ফীতির হার স্থিতিশীল ও হ্রাসের দিকে, লক্ষ্য স্থির হয়েছে তা ৪ শতাংশে ধরে রাখার। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.১ শতাংশে ধরে রাখার আশা

* কর্মসংস্থান; দক্ষতা বিকাশ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে এবারের বাজেট প্রস্তাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে

 

কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি কর্মসূচির এক প্যাকেজ :

 

* ৪ কোটি ১০ লক্ষ তরুণ ও যুবককে আগামী পাঁচ বছরে আরও সুদক্ষ করে তোলার প্রস্তাব। এছাড়াও, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও তাঁদের জন্য সম্প্রসারিত হবে।

 

* প্রথম কর্মসূচি : ইপিএফও-তে নথিভুক্ত রয়েছেন এ ধরনের যে সমস্ত তরুণ ও যুবক প্রথমবার কর্মে নিযুক্ত হচ্ছেন, তাঁদের ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনের তিনটি কিস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* দ্বিতীয় কর্মসূচি : নির্মাণ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মচারী ও কর্মদাতা – উভয়কেই বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব। কর্মসংস্থানের প্রথম চার বছরে ইপিএফও-তে জমা দেওয়া অর্থের ভিত্তিতে এই সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* তৃতীয় কর্মসূচি : কর্মদাতাদের ইপিএফও-তে দু’বছর ধরে জমা দেওয়া অর্থের ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে সরকারের পক্ষ থেকে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* চতুর্থ কর্মসূচি : দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির জন্য বাজেট প্রস্তাব –

 

* পাঁচ বছর ধরে ২০ লক্ষ তরুণ ও যুবককে সুদক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।

* ১ হাজার শিল্প প্রশিক্ষণ সংস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার প্রস্তাব।

* পঞ্চম তথা নতুন কর্মসূচি : ৫০০টি শীর্ষ স্থানীয় সংস্থায় ইন্টার্নশিপের জন্য পাঁচ বছর ধরে ১ কোটি তরুণ ও যুবককে যুক্ত করা হবে।

 

বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে বাজেটে ন’টি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব :

 

(১) উৎপাদনশীলতা ও নিরন্তর কৃষি ব্যবস্থা

 

(২) কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বিকাশ

 

(৩) অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবসম্পদ বিকাশ ও সামাজিক ন্যায়

 

(৪) নির্মাণ, উৎপাদন ও পরিষেবা

 

(৫) নগরোন্নয়ন

 

(৬) জ্বালানি নিরাপত্তা

 

(৭) পরিকাঠামো

 

(৮) উদ্ভাবন প্রচেষ্টা, গবেষণা ও উন্নয়ন

 

(৯) আগামী প্রজন্মের উপযোগী সংস্কার প্রচেষ্টা

 

প্রথম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* কৃষি এবং কৃষি-নির্ভর অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির জন্য ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব।

 

* উচ্চ ফলনশীল এবং যে কোন ধরনের জলবায়ু সহায়ক সহনশীল ৩২ ধরনের শস্য উৎপাদনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কৃষকদের অনুকূলে ব্যয়ের প্রস্তাব।

 

* সারা দেশের ১ কোটি কৃষককে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

 

* প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির স্বার্থে জৈব উপকরণ ও সাজসরঞ্জাম যোগানের জন্য ১০ হাজারটি প্রয়োজন-ভিত্তিক রিসোর্স সেন্টার।

 

* ৩ বছর ধরে কৃষিক্ষেত্রের জন্য ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) বাস্তবায়িত করার প্রস্তাব।

 

দ্বিতীয় অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের অংশ হিসেবে কর্মসংস্থান-ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তিনটি কর্মসূচি রূপায়িত হবে। প্রথমটি হল, প্রথমবার যাঁরা কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন; দ্বিতীয়টি হল, নির্মাণ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের প্রসার এবং তৃতীয়টি হল, কর্মীদের জন্য সহায়তাদানের ব্যবস্থা।

 

মহিলাদের আরও বেশি সংখ্যায় কাজে নিযুক্ত করার জন্য গড়ে তোলা হবে :

 

* হস্টেল ও ক্রেশ। শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতাক্রমে তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা।

 

* শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি।

 

* মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির নিজস্ব উৎপাদন বাজারজাত করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা।

 

* পাঁচ বছর ধরে ২০ লক্ষ তরুণ ও যুবককে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

* ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তাদানের ব্যবস্থা। এজন্য আদর্শ দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচিটিকে সংশোধন করার ব্যবস্থা।

 

* দেশের বিভিন্ন সংস্থায় তরুণ ও যুবকদের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রসারের লক্ষ্যে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তাদানের প্রস্তাব।

 

তৃতীয় অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* অমৃতসর-কলকাতা শিল্প করিডরের পাশাপাশি গয়াতে শিল্প তালুক গড়ে তোলার প্রস্তাব।

 

* ২৪০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প গড়ে তোলার প্রস্তাব পিরপৈন্তিতে। এর জন্য ২১,৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব।

 

অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন :

 

* চলতি আর্থিক বছরে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক সহায়তা।

 

* বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই শিল্প করিডরের সঙ্গে কোপার্থিতে শিল্প তালুক গড়ে তোলার প্রস্তাব। এছাড়াও, হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু শিল্প করিডর বরাবর ওরভাকালেও একটি শিল্প তালুক গড়ে তোলা হবে।

 

নারীশক্তি পরিচালিত উন্নয়ন

 

* নারী ও কন্যা সন্তানদের কল্যাণে ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বরাদ্দ।

 

প্রধানমন্ত্রী জনজাতীয় উন্নত গ্রাম অভিযান

 

* আদিবাসী প্রধান গ্রামগুলিতে আদিবাসী পরিবারগুলির আর্থ-সামাজিক বিকাশের লক্ষ্যে কর্মসূচি রূপায়ণের প্রস্তাব। এছাড়াও, উন্নয়নের প্রয়োজন ও সম্ভাবনা রয়েছে এই ধরনের ৬৩ হাজার গ্রামকে উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফলে, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে উপকৃত হবেন ৫ কোটি আদিবাসী মানুষ।

 

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সম্প্রসারণ

 

* ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক-এর ১০০টি শাখা খোলা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

 

চতুর্থ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* নির্মাণ, উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি ও সাজসরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলিকে মেয়াদি ঋণদানের ব্যবস্থা।

 

* এই ধরনের শিল্প সংস্থাগুলির কঠিন সময়ে ব্যাঙ্ক ঋণ যাতে কোনভাবেই ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব।

 

* তরুণদের জন্য ‘মুদ্রা’ ঋণের পরিমাণ বর্তমানের ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হবে। তবে, যাঁরা আগে নেওয়া ঋণগুলি পরিশোধ করে দিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁরাই এই বিশেষ সুযোগ পাবেন।

 

* সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ই-কমার্স রপ্তানি হাব গড়ে তোলা হবে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলির জন্য। সেইসঙ্গে, প্রথাগত শিল্পী ও কারিগররা যাঁরা তাঁদের শিল্পোৎপাদন আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণনের সুযোগ পান, সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করার প্রস্তাব।

 

* ক্রিটিক্যাল মিনারেল মিশন গঠন করা হবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য।

 

* ঋণদান; ই-কমার্স; শিক্ষা; স্বাস্থ্য; আইন ও বিচার; শিল্প পরিবহন; ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং শহরাঞ্চলের প্রশাসনের কাজের সুবিধার জন্য ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার অর্থাৎ ডিপিআই বাস্তবায়িত করার প্রস্তাব।

 

পঞ্চম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* ৩০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, এ ধরনের ১৪টি বড় বড় শহরে পরিবহণ-কেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কৌশলসূত্র বের করার প্রস্তাব।

 

* ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায় শহরাঞ্চলে ২.২ লক্ষ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সহায়তা সহ ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব। শহরাঞ্চলের ১ কোটি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারের বাসস্থানের চাহিদা মেটাতে এই বিশেষ ব্যবস্থা।

 

* আগামী পাঁচ বছরে দেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি শহরে ১০০টির মতো সাপ্তাহিক হাট বা স্ট্রিট ফুড হাব-কে আরও উন্নত করে তোলার নতুন কর্মসূচি।

 

ষষ্ঠ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* কর্মসংস্থান, বৃদ্ধি ও অগ্রগতি এবং নিরন্তর পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জ্বালানি ক্ষেত্রের রূপান্তর প্রচেষ্টা সম্পর্কিত নীতির খসড়া রচনার প্রস্তাব।

 

* বিদ্যুতের মজুত ও যোগান সম্পর্কিত নীতিও তৈরি করা হবে।

 

* পরমাণু জ্বালানি সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা চালানো হবে বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতায়।

 

* এনটিপিসি এবং ভেল-এর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে ৮০০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব। এজন্য ব্যবহার করা হবে এইউএসসি প্রযুক্তি।

 

সপ্তম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র ;

 

* পরিকাঠামো ক্ষেত্রের প্রসার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে মূলধনী ব্যয় বাবদ ১১,১১,১১১ কোটি টাকা (জিডিপি-র ৩.৪ শতাংশ) ব্যয়ের প্রস্তাব।

 

* পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতে সুদমুক্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণদানের ব্যবস্থা ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা।

 

* প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার চতুর্থ পর্যায়ের সূচনা করা হবে। এর আওতায় ২৫ হাজার গ্রামে সকল জলহাওয়ার উপযোগী সড়ক সংযোগ গড়ে তোলার প্রস্তাব।

 

* কোশি-মেচি আন্তঃরাজ্য সংযোগ সহ বিহারের বিভিন্ন সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি রূপায়ণে ১১,৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা।

 

* আসাম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ভূমিধ্বস মোকাবিলা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সহায়তাদানের প্রস্তাব।

 

* বিষ্ণুপদ মন্দির করিডর, মহাবোধি মন্দির করিডর এবং রাজগিড়ের সুসংবদ্ধ উন্নয়নের প্রস্তাব।

 

* ওড়িশার বিভিন্ন মন্দির, স্মৃতিস্তম্ভ, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, কারুশিল্প, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিকাশ এবং সৈকত উন্নয়নে সহায়তাদানের প্রস্তাব।

 

অষ্টম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* প্রাথমিক গবেষণা প্রচেষ্টার জন্য জাতীয় অনুসন্ধান গবেষণা তহবিলকে কাজে লাগানো হবে।

 

* বাণিজ্যিক পর্যায়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রচেষ্টার জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল।

 

* আগামী ১০ বছরে মহাকাশ অর্থনীতির প্রসার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১ হাজার কোটি টাকার মূলধনী তহবিল গঠনের প্রস্তাব।

 

নবম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* দেশের সর্বত্র সকল ধরনের জমির জন্য ইউনিট ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (আলপিন) অথবা ভূ-আধার চালু করা হবে।

 

* জমির বর্তমান মালিকানার ভিত্তিতে মানচিত্র রচনার প্রস্তাব।

 

* জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত বিশেষ ব্যবস্থা।

 

* কৃষকদের নাম নথিভুক্তির বিষয়টিকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

 

* জিআইএস-এর সাহায্যে শহরাঞ্চলের জমিজমার রেকর্ড পুরোপুরি ডিজিটাল করে তোলার ব্যবস্থা।

 

* ‘ওয়ান স্টপ’ সমাধান প্রচেষ্টা হিসেবে অন্যান্য পোর্টালগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হবে ই-শ্রম পোর্টালটিকেও।

 

* দ্রুত পরিবর্তনশীল শ্রম বাজারের স্বার্থে মুক্ত আর্কিটেকচার ডেটাবেস তৈরির প্রস্তাব। তাতে দক্ষতা বিকাশ সম্পর্কিত চাহিদা এবং কাজের সুযোগের বিষয়গুলিকেও যুক্ত করা হবে।

 

* চাকুরি পেতে যাঁরা ইচ্ছুক, তাঁদের সঙ্গে সম্ভাব্য কর্মদাতা এবং দক্ষতা বিকাশ সম্পর্কিত সংস্থাগুলির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* নাবালকদের জন্য ‘এনপিএস বাৎসল্য’ চালু করার প্রস্তাব। এর আওতায় পিতা-মাতা এবং অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের জন্য কিস্তিতে টাকা জমা রাখার সুযোগ পাবেন।

 

পরোক্ষ কর :

 

পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) –

 

* জিএসটি-র সাফল্য অনুসরণে কর কাঠামোকে আরও সরল ও বাস্তবসম্মত করে তোলা হবে। জিএসটি-র আওতার বাইরে রয়েছে, এমন ক্ষেত্রগুলিকেও জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসার জন্য এই বিশেষ প্রস্তাব।

 

* ক্যান্সার চিকিৎসার তিনটি ওষুধ – TrastuzumabDeruxtecan, Osimertinib এবং Durvalumab-কে পুরোপুরি আমদানি শুল্ক মুক্ত করে তোলার ব্যবস্থা।

 

* ফেজড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম-এর আওতায় এক্স-রে মেশিনে ব্যবহার্য এক্স-রে টিউব এবং ফ্ল্যাট প্যানেল ডিটেক্টর-এর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক হারের পরিবর্তন ঘটানো হবে।

 

* মোবাইল ফোন, মোবাইল প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড অ্যাসেম্বলি (পিসিবিএ) এবং মোবাইল চার্জারের ওপর ধার্য শুল্কের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

 

* সোনা ও রুপোর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা হবে ৬ শতাংশ। প্ল্যাটিনামের ক্ষেত্রে এই হার কমানো হবে ৬.৪ শতাংশে।

 

* ফেরো নিকেল এবং ব্লিস্টার কপারের ওপর আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়া হবে।

 

* ফেরাস স্ক্র্যাপ এবং নিকেল ক্যাথোডের ওপর থেকেও আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়া হবে।

 

* তামার স্ক্র্যাপের ওপর ধার্য হবে অপেক্ষাকৃত কম আমদানি শুল্ক। এর হার হবে ২.৫ শতাংশ।

 

* কয়েকটি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে রেজিস্টার উৎপাদনের জন্য ব্যবহার্য অক্সিজেনমুক্ত তামার ওপরও আমদানি শুল্ক পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হবে।

 

* পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানারের ওপর ধার্য আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হবে ২৫ শতাংশ।

 

* দূরসঞ্চারের কাজে ব্যবহার্য সাজসরঞ্জামের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কের হার বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হবে।

 

* সৌর সেল ও প্যানেল উৎপাদনের কাজে মূলধনী মালপত্রকে আমদানি শুল্ক মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

 

* সামুদ্রিক উৎপাদনে আমদানি শুল্কের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

 

* মাছের খাদ্যোৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণকেও আমদানি শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষ কর :

 

* কর ব্যবস্থার সরলীকরণের জন্য প্রয়াস ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সরকারি উন্নয়ন ও কল্যাণ কর্মসূচি খাতে তহবিল গঠনের জন্য রাজস্বের মাত্রা বৃদ্ধি করা হবে। ২০২৪ সালে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি করদাতা সরল কর ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করেছেন।

 

* চ্যারিটি খাতে দুটি কর ছাড়ের ব্যবস্থাকে কমিয়ে একটিতে রূপান্তরিত করা হবে।

 

* বেশ কিছু অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে টিডিএস-কে ২ শতাংশ হারে টিডিএস ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

 

* মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইউটিআই-এর প্রকল্পগুলির ইউনিট রিপারচেজের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে টিডিএস ধার্য করার ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হল।

 

* ই-কমার্স অপারেটরদের ক্ষেত্রে টিডিএস হার ১ থেকে ০.১ শতাংশে হ্রাস করা হল।

 

* কয়েকটি আর্থিক সম্পদের ওপর স্বল্পমেয়াদি লাভ বা লভ্যাংশের ওপর ২০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে।

 

* অন্যদিকে, যে কোন ধরনের আর্থিক বা অন্যান্য সহায়সম্পদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি লাভ বা লভ্যাংশের ক্ষেত্রে ১২.৫ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হবে।

 

* কয়েকটি আর্থিক সম্পদের ওপর অর্জিত মূলধনী আয়ের ওপর ছাড়ের মাত্রা বছর প্রতি ১.২৫ লক্ষ টাকা করা হল।

 

* বিকল্প নতুন কর ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে কয়েকটি পরিবর্তন :

 

* বেতনভোগী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।

 

* পারিবারিক পেনশনের আওতায় যাঁরা পেনশনের সুবিধা ভোগ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাড় ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।

 

* সংশোধিত কর কাঠামো হল :

 

০-৩ লক্ষ টাকা শূন্য
৩-৭ লক্ষ টাকা ৫ শতাংশ
৭-১০ লক্ষ টাকা ১০ শতাংশ
১০-১২ লক্ষ টাকা ১৫ শতাংশ
১২-১৫ লক্ষ টাকা ২০ শতাংশ
১৫ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে ৩০ শতাংশ

 

 

PG/SKD/DM

(রিলিজ আইডি: 2035965)  

========================================================================

অর্থমন্ত্রক

নতুন কর কাঠামোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে সরকার

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 1:14PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৩ জুলাই, ২০২৪

২০২৪-২৫-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে নতুন কর কাঠামোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ ও কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করে বলেন, বেতনভুক কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের নতুন কর কাঠামোয় নানাবিধ আকর্ষণীয় সুবিধা এবং কর ছাড়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।  

বেতনভুক কর্মচারীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড রিডাকশনের সীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। নতুন কর কাঠামোয় পেনশনভোগীদের পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে ছাড়ের সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর ফলে, প্রায় ৪ কোটি বেতনভুক কর্মচারী এবং পেনশনার আর্থিক সাশ্রয় করতে পারবেন। 

শ্রীমতী সীতারমন নতুন কর কাঠামোয় কর হারে যে পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছেন তা নিম্নরূপ – 

৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোন কর দিতে হবে না। 
৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ আয়কর।
৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ আয়কর।
১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ আয়কর।
১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ আয়কর।
১৫ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে ৩০ শতাংশ আয়কর।

এই পরিবর্তনের ফলে নতুন কর কাঠামোয় বেতনভোগী কর্মচারীরা বার্ষিক আয় করের ক্ষেত্রে ১৭,৫০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন।
 

PG/AB/AS

(রিলিজ আইডি: 2035933)  

==================================================================================================================================

অর্থমন্ত্রক

এ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে ন’টি অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 1:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই ২০২৪

 

আজ সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশকালে কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেন যে বিশ্ব অর্থনীতি যদিও এ পর্যন্ত ভালো ফল দেখিয়েছে, তা সত্ত্বেও নীতিগত অনিশ্চয়তা থেকে তা এখনও মুক্ত নয়। একদিকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অন্যদিকে পর্যুদস্ত পরিবহণ ব্যবস্থা এবং সহায়সম্পদের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতেও ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কিন্তু এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আগামী বছরগুলিতেও তা নিরন্তর থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্যগুলির কথা উল্লেখ করে শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন জানান যে এবারের বাজেট প্রস্তাবে ন’টি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলি হল – 

(১) নিরন্তর ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উৎপাদনশীলতা
(২) দক্ষতা বিকাশ ও কর্মসংস্থান
(৩) অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবসম্পদ বিকাশ ও সামাজিক ন্যায়
(৪) নির্মাণ, উৎপাদন ও পরিষেবা
(৫) নগরোন্নয়ন
(৬) জ্বালানি নিরাপত্তা
(৭) পরিকাঠামো
(৮) উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা, এবং
(৯) পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী সংস্কার প্রচেষ্টা

শ্রীমতী সীতারমন আরও জানান, নতুন বাজেট প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষ জোর দেওয়ার পাশাপাশি, প্রস্তাবিত কর্মসূচিগুলির দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। 

 

PG/SKD/DM.

(রিলিজ আইডি: 2036033)  

===============================================================================================================================

অর্থমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪ – ২৫ এ কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ

ডিজিটাল গণ পরিকাঠামোর মাধ্যমে দেশের ৪০০টি জেলায় খরিফ শস্যের সমীক্ষা

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 12:59PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই, ২০২৪ 

 

কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় বাজেটে ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো, তৈলবীজে ‘আত্মনির্ভরতা’, সব্জি উৎপাদনের জন্য বৃহদাকারের ক্লাস্টার এবং চিংড়ি চাষের জন্য উৎপাদনের নেটওয়ার্ক তৈরিতে আর্থিক সহায়তা সহ একগুচ্ছ ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো:

রাজ্যগুলির সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে বিভিন্ন পাইলট প্রকল্পে সাফল্যের পথ ধরে কৃষি ক্ষেত্রে কৃষক এবং তাঁদের জমিকে তিন বছরের মধ্যে ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো (ডিপিআই)স-র আওতায় আনা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করে বলেন, দেশের ৪০০টি জেলায় ডিপিআই-এর মাধ্যমে খরিফ শস্যের ডিজিটাল সমীক্ষা চালানো হবে। তিনি বলেন, ৬ কোটি কৃষক এবং তাঁদের জমির বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের ৫টি রাজ্যকে জনসমর্থ-ভিত্তিক কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হবে। 

তৈলবীজ ও ডালের জন্য মিশন:

তৈলবীজ এবং ডালের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার এগুলির উৎপাদন, মজুত ও বিপণন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। আজ বাজেট পেশ করে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, সর্ষে, বাদাম এবং সয়াবিনের মতো তৈলবীজে আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কৌশল প্রণয়ন করছে। 

সব্জি উৎপাদন ও সরবরাহ-শৃঙ্খল:

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধান প্রধান কেন্দ্রগুলিতে সব্জির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বৃহদাকারের ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংগ্রহ, মজুত এবং বিপণন সহ সব্জি সরবরাহ-শৃঙ্খল গড়ে তুলতে সরকার কৃষক – উৎপাদক সংস্থা, সমবায় ও স্টার্টআপ-গুলিকে উৎসাহিত করবে।

চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি:

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, চিংড়ির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। নাবার্ড – এর মাধ্যমে চিংড়ি চাষ, প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। 

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪ – ২৫ এ কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৮০ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ আরও ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। 

 

PG/MP/SB

(রিলিজ আইডি: 2035781)  

==============================================================================================================================

অর্থমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের আওতায় কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহভাতা ভিত্তিক ৩টি প্রকল্পের রূপায়ন করবে সরকার

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 1:07PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৩ জুলাই, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের আওতায় কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহভাতা ভিত্তিক ৩টি প্রকল্পের রূপায়ন করবে সরকার। সংসদে আজ ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থ ও কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, এগুলি হল কর্মচারী ভবিষ্যনিধিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমবারের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কর্মচারী ও নিয়োগকর্তাকে সহায়তাদানের সাথে সম্পর্কিত। এই তিনটি প্রকল্প নিম্নলিখিত ভাবে রূপায়িত হবে : 

প্রকল্প ১ : প্রথমবারের কর্মচারীদের জন্য 

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এই প্রকল্পের আওতায় সমস্ত প্রচলিত ক্ষেত্রেই কর্মক্ষেত্রে প্রথম প্রবেশ করা কর্মচারীদের এক মাসের সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হবে। কর্মচারী ভবিষ্যনিধিতে নথিভুক্ত প্রথমবারের কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে এক মাসের সাম্মানিক ভাতা তিনটি ধাপে দেওয়া হবে। এর পরিমাণ হবে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। মাসিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কে বৈধতার সীমা হিসেবে এক্ষেত্রে ধরা হবে। এর ফলে, ২ কোটি ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণী উপকৃত হবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। 

প্রকল্প ২ :  নির্মাণ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি নির্মাণ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানে উৎসাহ দিতে প্রথমবারের কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উৎসাহদান। এই সাম্মানিক ভাতা নির্দিষ্ট সীমার আয়ের ক্ষেত্রে কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তাদেরকে তাদের কর্মচারী ভবিষ্যনিধিতে প্রদেয় অর্থের নিরিখে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার প্রথম চার বছরের জন্য দেওয়া হবে। শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন জানান, কর্মক্ষেত্রে প্রথম প্রবেশ করা ৩০ লক্ষ কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হবেন।

প্রকল্প ৩ :  নিয়োগকর্তাদের সহায়তা প্রদান

সমস্ত ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা ভিত্তিক এই প্রকল্প বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসিক আয়ের সমস্ত অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেই তা গণ্য হিসেবে ধরা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগকর্তাদের কর্মচারী ভবিষ্যনিধিতে তাদের প্রতিটি অতিরিক্ত কর্মীর জন্য ২ বছর পর্যন্ত মাসিক ৩ হাজার টাকা করে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৫০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে। 

PG/AB/AS

(রিলিজ আইডি: 2035937)  

==================================================================================================================================

অর্থমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের আওতায় দেশের তরুণ ও যুবকদের জন্য দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 1:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই ২০২৪

 

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে তাঁর বাজেট ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের আওতায় চতুর্থ একটি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে বলেন যে এই নতুন কর্মসূচিটি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় অনুমোদিত একটি প্রকল্প। এর আওতায় দেশের ২০ লক্ষ তরুণ ও যুবককে আগামী পাঁচ বছরে সুদক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হবে। এজন্য ১ হাজারটি শিল্প প্রশিক্ষণ সংস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। তরুণ ও যুবকদের দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণসূচিও স্থির করা হবে। 

দক্ষতা বিকাশের জন্য ঋণ সহায়তার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে আদর্শ দক্ষতা ঋণদান কর্মসূচি সংশোধন করে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তা মঞ্জুর করা হবে। এর ফলে প্রতি বছর ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন। 

 

PG/SKD/DM.

(রিলিজ আইডি: 2036013)  

==============================================================================================================================

অর্থমন্ত্রক

জাতীয় শিল্প করিডর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১২টি বিনিয়োগ বান্ধব ‘প্ল্যাগ অ্যান্ড প্লে’ শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হবে : কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 12:55PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৩ জুলাই, ২০২৪

 

রাজ্য সরকার, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ সহযোগিতার ভিত্তিতে আমাদের সরকার শহর পরিকল্পনা কর্মসূচির আরও বেশি করে সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে ১০০টি শহরের মধ্যে বা সন্নিকটে পূর্ণ পরিকাঠামো সহ বিনিয়োগ বান্ধব ‘প্ল্যাগ অ্যান্ড প্লে’ শিল্প পার্ক গড়ে তোলার কাজকে প্রশস্ত করবে। ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থ ও কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন এই প্রস্তাব করে বলেন, নির্মাণ এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের লক্ষ্যে এই কাজ করা হবে। বাজেটে বলা হয়েছে, জাতীয় শিল্প করিডর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১২টি শিল্প পার্ক সৃষ্টির প্রস্তাব মঞ্জুর করা হবে। 

ক্রিটিক্যাল আকরিক মিশন

নির্মাণ ও পরিষেবা ক্ষেত্রকে আরও বেশি করে অগ্রাধিকার দিতে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫-এ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, ক্রিটিক্যাল আকরিকের পুনর্ব্যবহার এবং বিদেশে ক্রিটিক্যাল আকরিক সম্পদের অধিগ্রহণের লক্ষ্যে একটি ক্রিটিক্যাল আকরিক মিশন গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষ শ্রমগোষ্ঠী এবং বর্ধিত উৎপাদক দায়ভারমূলক পরিকাঠামোকে উপযুক্ত আর্থিক পরিচালন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। 

সমুদ্র সন্নিকটবর্তী আকরিক খননের প্রতি নজর দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী খনন এবং যে সমস্ত জায়গায় খনিজ অনুসন্ধানে নির্মাণ কাজ হয়েছে তার অফ শোর ব্লকের প্রথম ট্রান্সের নিলামের প্রস্তাব করেছেন।

শ্রম সংস্কার সমূহ
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫-এ কর্মনিযুক্তি এবং দক্ষতা বিকাশের স্বার্থে শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য একগুচ্ছ পরিষেবা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। ই-শ্রম পোর্টাল-এর সঙ্গে অন্যান্য পোর্টালগুলির সংযুক্তি ঘটিয়ে এক জায়গায় সমস্ত সুবিধা পাওয়ার পরিষেবা গড়ে তুলতে এক সর্বাত্মক সুসংহত কর্মসূচি গড়ে তোলারও প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। একটি উন্মুক্ত আর্কিটেকচার ডেটাবেসের মাধ্যমে দ্রুত পরিবর্তনশীল শ্রম বাজার, দক্ষতার ভিত্তিতে কাজের সুযোগের দিকে তাকিয়ে যোগ্য নিয়োগকারীর সঙ্গে কর্মপ্রার্থীর সংযোগ গড়ে তোলা এবং দক্ষতা প্রদানের ক্ষেত্রকে এই পরিষেবাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫-এ পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারের প্রতি আলোকপাত করে শ্রম সুবিধা এবং শ্রমদান পোর্টালকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে করে তা শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা পূরণের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিপূরক হয়ে ওঠে এবং বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনের যাত্রাপথে শক্তি প্রদানে সক্ষম হয়ে উঠতে পারে।  
 PG/AB/AS
(রিলিজ আইডি: 2035772)  

==================================================================================================================================

প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

চন্দ্র শেখর আজাদের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য

প্রকাশিত: 23 JUL 2024 9:59AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৩ জুলাই, ২০২৪

 

চন্দ্র শেখর আজাদের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। 

এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন :

“মহান চন্দ্র শেখর আজাদের জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি ছিলেন এক নির্ভীক নায়ক, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবিচল সাহসিকতা এবং দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে এক আশীর্বাদধন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর আদর্শ এবং চিন্তাধারা লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশেষত যুবসম্প্রদায়ের হৃদয়ে ও মনকে আলোড়িত করে।” 

PG/AB/AS
(রিলিজ আইডি: 2035611) 

©kamaleshforeducation.in(2023)

error: Content is protected !!