আগামী ১৫ আগস্ট দেশজুড়ে ১৫ লক্ষ বৃক্ষচারা রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসক পদে নতুন নিযোগ
নীতি আয়োগ পরিচালন পরিষদের নবম বৈঠকে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সিআরপিএফ-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতীয় প্রতিযোগীদের সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
কার্গিল বিজয় দিবসে মাতৃভূমি রক্ষায় বীর সেনাদের প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
কার্গিল বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য, লাদাখে শ্রদ্ধাঞ্জলি সমারোহে অংশগ্রহণ
‘দরবার হল’ এবং ‘অশোক হল’-এর নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে ‘গণতন্ত্র মণ্ডপ’ ও ‘অশোক মণ্ডপ’ রাখা হয়েছে
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতার প্রসার
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর কার্যকালের দু-বছর সম্পূর্ণ করলেন
পলিথিন ব্যাগের ওপর বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা
================================================================================================================================
বিস্তারিত
==================================================================================================================================
আগামী ১৫ আগস্ট দেশজুড়ে ১৫ লক্ষ বৃক্ষচারা রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
প্রকাশিত: 28 JUL 2024 9:31AM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৮ জুলাই, ২০২৪
আগামী ১৫ আগস্ট দেশের ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে দেশজুড়ে ১৫ লক্ষ বৃক্ষ রোপণ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ‘মায়ের নামে একটি করে বৃক্ষ’ এই অভিযানের এক বিশেষ অঙ্গ হয়ে উঠবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই উদ্যোগ। ডিআরডিও, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন সংস্থা, সিজিডিএ, এনসিসি, সৈনিক স্কুল, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি সহ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনকে নিয়ে এই অভিযান চালানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবছর গত ৫ জুন ‘মায়ের নামে একটি করে বৃক্ষ’ চারা রোপণ অভিযানের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ভারতবাসী সহ বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের অধিবাসীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শনস্বরূপ একটি করে বৃক্ষচারা রোপণের।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিংও অংশগ্রহণ করেছেন এই অভিযানে। তিনি তাঁর মায়ের স্মৃতিতে একটি বৃক্ষও রোপণ করেছেন। পরিবেশ রক্ষার কাজে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
PG/SKD/AS/
(রিলিজ আইডি: 2038100)
রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসক পদে নতুন নিযোগ
প্রকাশিত: 28 JUL 2024 8:22AM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৮ জুলাই, ২০২৪
পাঞ্জাবের রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রশাসিত চন্ডীগড়ের প্রশাসক পদ থেকে শ্রী বনোয়ারীলাল পুরোহিত পদত্যাগ করেছেন। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আজ বিভিন্ন পদে যাঁদের নিয়োগ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন :
১) শ্রী হরিভাই কিষাণরাও বাগড়ে – রাজস্থানের রাজ্যপাল পদে।
২) শ্রী জিষ্ণু দেব ভার্মা – তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল পদে।
৩) শ্রী ওম প্রকাশ মাথুর – সিকিমের রাজ্যপাল পদে।
৪) শ্রী সন্তোষ কুমার গঙ্গোয়াড় – ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদে।
৫) শ্রী রমেন ডেকা – ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল পদে।
৬) শ্রী সি এইচ বিজয়শঙ্কর – মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদে।
৭) শ্রী সি. পি. রাধাকৃষ্ণান – ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল শ্রী রাধাকৃষ্ণানকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। শ্রী রাধাকৃষ্ণান তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল পদেও এতদিন অতিরিক্ত দায়িত্বভার সামলাচ্ছিলেন।
৮) আসামের রাজ্যপাল শ্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়াকে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি কেন্দ্রশাসিত চন্ডীগড়ের প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করবেন।
৯) সিকিমের রাজ্যপাল শ্রী লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্যকে নিযুক্ত করা হয়েছে আসামের রাজ্যপাল পদে। এছাড়াও তিনি মণিপুরের রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্বভার পালন করবেন।
যেদিন থেকে তাঁরা এই নতুন পদে যোগ দেবেন সেদিন থেকেই তাঁদের এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবালয় থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
PG/SKD/AS
(রিলিজ আইডি: 2038097)
নীতি আয়োগ পরিচালন পরিষদের নবম বৈঠকে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: 27 JUL 2024 10:06PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী আজ নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের নবম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর বক্তব্যও পেশ করেন।
এসম্পর্কে সমাজ মাধ্যমে এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন :
“নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের নবম বৈঠকে আজ আমি কিছু বক্তব্য রাখলাম। বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির একযোগে কাজ করে যাওয়ার গুরুত্বের কথা আমি আমার বক্তব্যে তুলে ধরেছি। বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও অনুকূল করে তোলা, রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশের যুবসমাজের জন্য আরও বেশি করে দক্ষতা বিকাশের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, জলশক্তির উন্নততর ব্যবহার এবং অন্যান্য নানা বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি আমি আমার বক্তব্যে তুলে ধরেছি। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিন্তা-ভাবনা প্রসূত মতামতও আমি সেখানে জানতে পারলাম। https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2037976 ”
PG/SKD/AS
(রিলিজ আইডি: 2038095)
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
সিআরপিএফ-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
নতুন দিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২৪
কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বাহিনীর সকল কর্মীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন যে তাঁদের অবিচলিত নিষ্ঠা এবং দেশের প্রতি নিরন্তর সেবার মানসিকতা প্রকৃত অর্থেই প্রশংসার দাবি রাখে।
এই সম্পর্কে সমাজ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন :
“প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভারতের কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনীর সকল কর্মীকে জানাই আমার অভিনন্দন। জাতির প্রতি তাঁদের অবিচলিত নিষ্ঠা এবং নিরন্তর দেশ সেবার মানসিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়। শৌর্য এবং অঙ্গীকারের সর্বোচ্চ মানে তাঁরা প্রতিষ্ঠিত। দেশরক্ষার কাজে যে ভূমিকা তাঁরা পালন করে থাকেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
PG/SKD/AS
(রিলিজ আইডি: 2038090)
প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতীয় প্রতিযোগীদের সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: 26 JUL 2024 10:50PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৬ জুলাই, ২০২৪
প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতীয় প্রতিযোগীদের সাফল্য কামনা করে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিটি খেলোয়াড়কে ভারতের গর্ব বলে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী এক বার্তায় তাঁদের সকলকেই ৩১তম আন্তর্জাতিক এই ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সমাজমাধ্যমে ঐ বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন :
“প্যারিস অলিম্পিক্স শুরু হচ্ছে। তাই, ভারতীয় প্রতিযোগীদের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল। ভারতের প্রতিটি খেলোয়াড়ই দেশের গর্ব বিশেষ। আমি কামনা করি তাঁরা সকলেই তাঁদের ক্রীড়া নৈপুণ্যে উজ্জ্বল এবং খেলোয়াড়োচিত শক্তি ও বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে উঠুন। এইভাবেই তাঁরা আমাদের অনুপ্রাণিত করুন তাঁদের অসামান্য সাফল্যের মধ্য দিয়ে।”
PG/SKD/DM/
(রিলিজ আইডি: 2037937)
==================================================================================================================================
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কার্গিল বিজয় দিবসে মাতৃভূমি রক্ষায় বীর সেনাদের প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
প্রকাশিত: 26 JUL 2024 2:24PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি ২৬ জুলাই ২০২৪
কার্গিল বিজয় দিবসে মাতৃভূমি রক্ষায় বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ ।
এক্স প্ল্যাটফর্মে শ্রী অমিত শাহ বলেছেন,
“কার্গিল বিজয় দিবস আমাদের সেনাবাহিনীর বীর সেনাদের অমিত বিক্রম ও অবিচল নিষ্ঠার সাক্ষ্য স্বরূপ। হিমালয়ের দুর্গম পাহাড় চূড়ায় কার্গিল যুদ্ধে চূড়ান্ত শৌর্যের পরিচয় দিয়ে আমাদের বীর সেনারা শত্রুপক্ষকে পরাস্ত করে ত্রিবর্ণ পতাকা মেলে ধরে দেশকে গর্বিত করেছেন। কার্গিল বিজয় দিবসে মাতৃভূমির সম্মান রক্ষায় বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানাই। কৃতজ্ঞ দেশবাসী বীর সেনাদের এই ত্যাগ, নিষ্ঠা এবং আত্মবলিদানকে কোনোদিন ভুলে যাবে না”।
PG/AB/CS
(রিলিজ আইডি: 2037818)
==================================================================================================================================
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
কার্গিল বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য, লাদাখে শ্রদ্ধাঞ্জলি সমারোহে অংশগ্রহণ
প্রকাশিত: 26 JUL 2024 11:33AM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি ২৬ জুলাই ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লাদাখে ২৫ তম কার্গিল বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যুদ্ধে জীবন উৎসর্গীকৃত বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি সমারোহে অংশগ্রহণ করেন। কার্গিল যুদ্ধ নিয়ে এনসিও-দের গৌরব গাঁথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্মৃতিস্থল: অমর সংস্মরণ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি বীর ভূমিতেও যান।
প্রধানমন্ত্রী আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে লাদাখে সিংকুন লা টানেল প্রকল্প নির্মাণের কাজের শুভারম্ভ প্রত্যক্ষ করেন। সিংকুন লা টালেন প্রকল্পটি ৪.১ কিলোমিটার লম্বা দ্বৈত টিউব টানেল ১৫,৮০০ ফিট উচ্চতায় নিমু-পাদুম-দারচা সড়কে নির্মিত হবে। এটি সারা বছরের আবহাওয়ার উপযুক্ত লেহ্ যাওয়ার পথ তৈরি করে দেবে।
শ্রদ্ধাঞ্জলি সমারোহে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্গিল বিজয় দিবসে ২৫ তম বার্ষিকী প্রত্যক্ষ করছে লাদাখের গৌরবময় ভূমি। কার্গিল দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় দেশের জন্য আত্মবলিদান চিরস্মরণীয়। তিনি বলেন, মাস, বছর, দশক, শতক অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও দেশের সীমান্ত রক্ষায় যাঁরা আত্মবলিদান করেছেন, তাঁরা দেশবাসীর মনের মণিকোঠায় চির অম্লান হয়ে থাকবেন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিশালী বীর যোদ্ধাদের প্রতি দেশ চির ঋণী ও চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
কার্গিল যুদ্ধের দিনগুলিকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেসময় তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর স্পষ্ট স্মরণে আছে অত উচ্চতাতেও আমাদের সৈনিকরা কী অপরিসীম বীর বিক্রমে কঠিন যুদ্ধ চালাচ্ছিলেন। “মাতৃভূমি রক্ষায় দেশের যেসব বীর সন্তানরা সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের আমি কুর্নিশ জানাই” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কার্গিল যুদ্ধে কেবলমাত্র যুদ্ধ জয়লাভই নয়, তার মধ্যে দিয়ে আমরা সত্য, সংযম এবং শক্তির এক অবিশ্বাস্য উদাহরণ তুলে ধরেছি। ভারত যখন শান্তি রক্ষায় সর্বতো প্রয়াস চালাচ্ছে, সেইসময় পাকিস্তানের প্রবঞ্চনার প্রতি আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্য দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মিথ্যাচার এবং সন্ত্রাস তাদের নতজানু করেছে।
সন্ত্রাসকে ধিক্কার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতেও বার বার পাকিস্তানকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে। তা সত্বেও পাকিস্তান অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি এবং সবসময়ই প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকতে সন্ত্রাস এবং ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের জঘন্য উদ্দেশ্য কখনোই পূর্ণ হবে না। যাবতীয় সন্ত্রাসের প্রয়াসকে আমাদের বীর যোদ্ধারা পরাস্ত্র করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
প্রধানমন্ত্রী পুণরায় বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে উন্নয়নের পথে যাবতীয় বাধা ভারত কাটিয়ে উঠবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, আর কিছুদিনের মধ্যেই ৫ আগষ্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের ৫ বছর পূর্ণ হবে। আজকের জম্মু-কাশ্মীর স্বপ্নদর্শী নতুন ভবিষ্যতের কথা বলছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অগ্রগতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে জি-২০ বৈঠক এখানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। সরকারি দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও পর্যটনের প্রসার হচ্ছে, খুলছে সিনেমা হলগুলি এবং সাড়ে তিন দশক পর তাজিয়া শোভাযাত্রা বের হচ্ছে। পৃথিবীর এই স্বর্গ ভূমি দ্রুত শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে বলে তিনি জানান।
লাদাখে যেসব উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিংকুন লা টানেলের মধ্যে দিয়ে এই কেন্দ্রশাসিত এলাকাটি সারা বছরের জন্য প্রত্যেক মরশুমেই সমগ্র দেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই টানেলের উন্নয়ন নতুন সম্ভাবনা এবং লাদাখের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দরজা খুলে দেবে এবং লাদাখের জনসাধারণের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এলাকার চরম আবহাওয়ায় মানুষকে যে কষ্টসঙ্কুল জীবন অতিবাহিত করতে হয়, তা আগামীদিনে অনেক লাঘব হবে যাবে বলে তিনি জানান।
লাদাখের জনসাধারণের প্রতি সরকারের অগ্রাধিকারের দিকটির আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড অতিমারির সময় ইরান থেকে কার্গিল এলাকার মানুষদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন যাতে সুনিশ্চিত করা যায়, তা তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, কার্গিলে তাদের ফেরত পাঠানোর আগে জয়সলমীরে একটি কোয়ারেন্টাইন জোনে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। গত ৫ বছরে লাদাখের জন্য বাজেট বরাদ্দ ৬ গুণ বৃদ্ধি করে ১১০০ কোটি টাকা থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক, বিদ্যুৎ, জল, শিক্ষা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, কর্মসংস্থান প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই লাদাখ রূপান্তর প্রত্যক্ষ করছে এবং এই প্রথম সর্বাত্মক উন্নয়নের প্রয়োগ দেখছে এই এলাকা।
জল জীবন মিশনের আওতায় লাদাখের ৯০ শতাংশ বাড়িতে পরিশ্রুত পাণীয় জল পৌঁছেছে। লাখাখের তরুণ-তরুণীদের উন্নত উচ্চশিক্ষায় সিন্ধু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। সমগ্র লাদাখ এলাকায় ফোর-জি নেটওয়ার্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও ১ নম্বর জাতীয় সড়ক সবসময়ের আবহাওয়ার উপযোগী যোগাযোগ গড়ে তুলতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জোজিলা টানেলের কাজও এগিয়ে চলেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। নব ভারতের দিশা এবং সক্ষমতাকে ফুটিয়ে তুলতে শিলা টানেল সহ ৩৩০ টিরও বেশি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করেছে সীমান্ত সড়ক সংগঠন।
সামরিক প্রযুক্তির আধুনিকীকরণে গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তিত বিশ্ব প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতেও প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকীকরণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাতে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও গত ১০ বছরে প্রতিরক্ষা সংস্কারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যাতে করে আমাদের বাহিনী আরও বেশি সক্ষম ও স্বয়ম্ভর হয়ে উঠতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক সরঞ্জামের বেশিরভাগ অংশই ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি থেকে কেনা হয়। প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন বাজেটে এক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ সরঞ্জাম কেনার সংস্থান রাখা হয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে। তিনি বলেন, এরফলে ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাপিয়ে গেছে এবং ভারত অতীতের সামরিক অস্ত্র আমদানিকারী দেশের তকমা ঘুচিয়ে বর্তমানে সামরিক অস্ত্র রফতানিকারী দেশ হিসেবে নিজেদের সাক্ষর রাখছে। প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামের আমদানিকে আমাদের বাহিনী বন্ধ করে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্প এরকমই একটি উল্লেখযোগ্য সংস্কারের দিক। বিশ্ব গড় বয়ঃসীমার থেকে ভারতীয় জওয়ানদের বয়ঃসীমা বেশি হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার দিকটি অতীতে উপেক্ষিত ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়টির সমাধানের পথে হাঁটা হয়েছে। তিনি বলেন, অগ্নিপথের উদ্দেশ্যই হল আমাদের বাহিনীকে তারুণ্যে ভরপুর এবং সবসময়ের জন্য যুদ্ধ প্রস্তুত করে গড়ে তোলা। বিমান বাহিনীর আধুনিকীকরণের প্রতি অতীতের অনীহার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্প দেশের শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং দেশের সক্ষম যুব সম্প্রদায়কো কাজে লাগাতে পারবে। বেসরকারি ক্ষেত্র এবং আধাসামরিক বাহিনীতে অগ্নিবীরদের যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তারও ঘোষণা করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
পেনশনের বোঝার হাত থেকে রক্ষা পেতে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে, এই জাতীয় প্রচারকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যাঁরা সৈনিক হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন, ৩০ বছর পর তাঁদের পেনশনের প্রশ্ন দেখা দেব। ফলে, এই প্রকল্পকে কোনোভাবেই পেনশনের বোঝার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত। রাজনীতির থেকেও তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যুব সম্প্রদায়কে যারা ভুল পথে চালিত করছেন, অতীতেও তাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কোনো শ্রদ্ধা ছিল না। অতীতে সরকার এক পদ এক পেনশনের যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারই এই প্রকল্প রূপায়ণ করেছে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৭ দশক পরেও যারা একটি যু্দ্ধস্মারক তৈরি করেনি, সীমান্তে মজুত সৈন্যদের জন্য যারা বুলেট প্রুফ জ্যাকেট দেয়নি, কার্গিল বিজয় দিবসকে যারা উপেক্ষা করে গেছেন, এরাই সেই লোক।
ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্গিলের জয় কোনো একটি সরকার বা রাজনৈতিক দলের জয় নয়। এই জয় দেশের ঐতিহ্য। এটি দেশের আত্মসম্মান এবং গর্বের উৎসব বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কার্গিল বিজয়ের ২৫ বছর পূর্তিতে সমগ্র দেশবাসীর পক্ষ থেকে তিনি বীর সেনাদের কুর্নিশ জানিয়েছেন।
লাদাখের লেঃ গভর্ণর ব্রিগেডিয়ার(ডঃ) বি ডি শর্মা, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় শেঠ, চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহ্বান এবং তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
PG/AB/CS
(রিলিজ আইডি: 2037521)
===============================================================================================================================
রাষ্ট্রপতির সচিবালয়
‘দরবার হল’ এবং ‘অশোক হল’-এর নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে ‘গণতন্ত্র মণ্ডপ’ ও ‘অশোক মণ্ডপ’ রাখা হয়েছে
প্রকাশিত: 25 JUL 2024 2:05PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২৪
ভারতের রাষ্ট্রপতির নিবাস ও কার্যালয় রাষ্ট্রপতি ভবন দেশের জনগণের কাছে এক অনন্য ঐতিহ্য। জনগণের কাছে এটি আরও সহজে উপলব্ধ করতে অবিরাম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারতীয় মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি ভবনের অন্দরমহল সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে।
সেই মতো রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ হল-এর নাম পরিবর্তন করেছেন। ‘দরবার হল’ এবং ‘অশোক হল’-এর নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে ‘গণতন্ত্র মণ্ডপ’ ও ‘অশোক মণ্ডপ’ রাখা হয়েছে।
‘দরবার হল’-এ জাতীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কর্মসূচির আয়োজন হয়। দরবার কথাটির অর্থ সমাবেশ। ভারতীয় শাসক ও ব্রিটিশদের সঙ্গে যা জড়িয়ে রয়েছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এর গুরুত্ব হারিয়েছে। তাই প্রাচীনকাল থেকে ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গণতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে এই হলের নাম বদলে করা হল ‘গণতন্ত্র মণ্ডপ’।
‘অশোক হল’-টি বাস্তবে একটি বল রুম। অশোক শব্দটির অর্থ এমন কাউকে বোঝায় যিনি সমস্ত অসুবিধা থেকে মুক্ত। পাশাপাশি অশোক কথাটি সম্রাট অশোকের সঙ্গে জড়িত। একতা এবং শান্তির সহাবস্থানের প্রতীক হিসেবে পরিচিত সম্রাট অশোক। ভারতের জাতীয় স্তম্ভ হল সিংহ, যা সারনাথে সম্রাট অশোকের রাজধানীর প্রতীক। এই শব্দটি অশোক গাছের সঙ্গেও যুক্ত, যা ভারতের কলা-সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে রয়েছে। ‘অশোক হল’-এর নাম বদলে ‘অশোক মণ্ডপ’ করায় অশোক শব্দটির মূল অর্থের সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হল।
PG/PM/AS
(রিলিজ আইডি: 2037079)
==================================================================================================================================
সংস্কৃতিমন্ত্রক
প্রকাশিত: 25 JUL 2024 6:25PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২৪
তরুণ প্রজন্ম সহ সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতার প্রসারে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। সেই অনুযায়ী তরুণদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পও হাতে নিয়েছে ওই মন্ত্রক। সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় তরুণ শিল্পীদের জন্য বৃত্তি ও পুরস্কার চালু করা হয়েছে :
১. বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারায় তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য বৃত্তি কার্যক্রম : প্রতি শিক্ষাবর্ষে এধরনের ৪০০টি পর্যন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আওতায় ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রতিশ্রুতিময় শিল্পীরা দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণ বাবদ আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ নৃত্য, নাট্যশিল্প, মূকাভিনয় শিল্প, লোকশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে ২ বছর প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় এদের। এই অর্থ দেওয়া হয় চারটি কিস্তিতে।
২. সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিতে পুরস্কার ও ফেলোশিপ : এধরনের ৪০০টি ফেলোশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে ২০০টি ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের জন্য। বাকি ২০০টি ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা শিল্পীদের জন্য। এই ফেলোশিপ ২ বছরের। প্রথম ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ১০ হাজার এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
লোকশিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারে বিশেষভাবে উদ্যোগী সংস্কৃতি মন্ত্রক। ভারত সরকার ৭টি ক্ষেত্রীয় সাংকৃতিক কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এদের মূল দপ্তর পাতিয়ালা, নাগপুর, উদয়পুর, প্রয়াগরাজ, কলকাতা, ডিমাপুর এবং থাঞ্জাভুরে। বছরভর নানান ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মসূচি রূপায়িত হয় এদের মাধ্যমে। এই কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সাম্মানিকী, যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার খরচ পান। তরুণ শিল্পীদের উৎসাহিত করতে এই কেন্দ্রগুলি বিশেষভাবে সচেষ্ট। এই লক্ষ্যে গুরু শিষ্য পরম্পরা প্রকল্প, নাট্য শিল্প পুনরুজ্জীবন প্রকল্প, শিল্পগ্রাম প্রকল্প, জম্মু ও কাশ্মীর উৎসব কিংবা জাতীয় সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির মতো উদ্যোগ হাতে নিয়েছে কেন্দ্রগুলি।
ভারত সরকারের শিক্ষা ও অন্য মন্ত্রক ও দপ্তরগুলিকেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের নির্বাহে সহায়তা দিয়ে থাকে সংস্কৃতি মন্ত্রক।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত।
PG/AC/SKD
(রিলিজ আইডি: 2037463)
=================================================================================================================================
রাষ্ট্রপতির সচিবালয়
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর কার্যকালের দু-বছর সম্পূর্ণ করলেন
প্রকাশিত: 25 JUL 2024 5:12PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২৪
রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু আজ (২৫ জুলাই, ২০২৪) তাঁর কার্যকালের দু-বছর সম্পূর্ণ করলেন।
তাঁর মেয়াদের দু-বছর সম্পূর্ণ করার দিনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শিক্ষকের ভূমিকা নিলেন, যা তিনি একসময় ছিলেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত এবং প্রাণবন্ত আলাপচারিতায় তিনি প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষা দিলেন। এই ছাত্র-ছাত্রীদের মতো বয়সে গাছপালা এবং প্রাণীদের যত্ন করার তাঁর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরাও উৎসাহের সঙ্গে এই পড়ায় যোগ দেয় এবং তারা অনেক পরামর্শও দিয়েছে।
তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে অংশ নেন। যার মধ্যে আছে :
১. পুনর্নির্মিত শিব মন্দিরের উদ্বোধন।
২. প্রণব মুখার্জী পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শন যেখানে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রাষ্ট্রপতি ভবন লাইব্রেরির পুরানো এবং বিরল বইগুলির ডিজিটাইজড সংস্করণগুলি দেখেন।
৩. দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোগ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী জয়ন্ত চৌধুরীর উপস্থিতিতে স্কিল ইন্ডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন।
৪. ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে একটি ক্রিকেট প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন।
৫. সিন্থেটিক এবং ঘাসের টেনিস কোর্টের উদ্বোধন।
৬. ই-উপহার, আরবি অ্যাপ, গত এক বছরে সভাপতিত্বকালের মুহূর্তগুলির সংকলন সংবলিত ই-বুক (link https://rb.nic.in/ebook.htm ) এবং রাষ্ট্রপতি ভবনের অন্যান্য ডিজিটাল উদ্যোগের সূচনা।
বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগের সূচনা উপলক্ষে তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে ডিজিটাইজেশন কাজের প্রশস্তি করেন রাষ্ট্রপতি এবং বলেন যে এটি সুযোগ, গতি, স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের সবসময় চেষ্টা করা উচিত সমাজের সর্ব শ্রেণী বিশেষ করে বঞ্চিত এবং অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নের জন্য কাজ করা। রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করে উল্লেখ করেন, গত ২ বছরে এই ধরনের অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে রাষ্ট্রপতি ভবনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠ সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া সংস্কৃতি প্রসারে নিরন্তর প্রয়াসের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি।
PG/AP/AS
(রিলিজ আইডি: 2037238)
==================================================================================================================================
পরিবেশ ও অরণ্যমন্ত্রক
পলিথিন ব্যাগের ওপর বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত: 25 JUL 2024 1:34PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২৪
পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক ২০২১-এর ১২ অগাস্ট একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধি জারি করে। তা কার্যকর হয় ২০২২-এর পয়লা জুলাই থেকে। এই ধরনের প্লাস্টিকের উপযোগিতা কম, অথচ দূষণের প্রশ্নে তা অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০২২-এর ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১২০ মাইক্রনের কম ঘনত্বের প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ২০২১-এর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই ৬০ জিএসএম-এর কম ঘনত্বের এবং বুনে তৈরি করা নয়, এমন প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ২০১৬ সালের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধির সংশোধন হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
ওই বিধি আরও কার্যকর করে তুলতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- যাতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কার্যকর হয়ে ওঠে :
i) ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এক্ষেত্রে মুখ্যসচিব/প্রশাসকের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গড়েছে। জাতীয় স্তরেও টাস্কফোর্স গড়েছে পরিবেশ মন্ত্রক।
ii) পরিবেশ (সংরক্ষণ) আইন ১৯৮৬-এর ৫ নম্বর ধারার আওতায় একবার ব্যবহারযোগ্য এবং ১২০ মাইক্রন কম ঘনত্বের প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন বন্ধ করার জন্য উৎপাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
iii) নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকর সেদিকে নজরদারির জন্য তৈরি করা হয়েছে ক) জাতীয় স্তরে ড্যাশবোর্ড, খ) কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের মডিউল এবং গ) কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের অভিযোগ নিষ্পত্তি অ্যাপ।
iv) ২০২২-এর জুলাই থেকে কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিশেষ অভিযান শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ৮৫৩৮৫২টি তল্লাশি হয়েছে এবং ৩৪৪৬৮৯টি ক্ষেত্রে অনিয়মের খোঁজ মিলেছে। নিয়মভঙ্গকারীদের থেকে সংগৃহীত জরিমানা বাবদ অর্থের পরিমান প্রায় ১৯,০৫,১৩,৪৭১ টাকা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৯,৪৯,৫৩৫ কেজি প্লাস্টিক।
v) নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে বলবৎ রাখতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সব্জি বাজার, পাইকারি বাজার, ফুলের বাজার এবং প্লাস্টিক উৎপাদনকারী কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত ভিত্তিতে নজরদারি অভিযান চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
vi) একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প খুঁজে পেতে গবেষণা প্রকল্পে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রক এমএসএমই সংস্থাগুলিকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প ব্যবহারে সহায়তা করছে।
পশ্চিমবঙ্গে বাস্তুতন্ত্রের প্রশ্নে সংবেদনশীল এলাকা এবং পর্যটন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত। ত্রিপুরায় এই ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। একই কথা প্রযোজ্য ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের ক্ষেত্রেও।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং।
PG/PM/NS
(রিলিজ আইডি: 2037237)