LATEST PRESS RELEASE
শিরোনাম
-
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
-
সারওরসায়নমন্ত্রক
-
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
-
যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক
বিস্তারিত
ভারতীয় শিল্প মহাসঙ্ঘ (CII) আয়োজিত বিকশিত ভারতের পথে যাত্রা : ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পরবর্তী সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
“আমাদের সরকার যে গতি ও মাত্রায় পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে তা অভূতপূর্ব”
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 1:44PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ভারতীয় শিল্প মহাসঙ্ঘ (CII) আয়োজিত বিকশিত ভারতের পথে যাত্রা : ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পরবর্তী সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন। দেশের আর্থিক বিকাশে সরকারের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গী এবং শিল্পের ভূমিকার একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরাই এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। শিল্পমহল, সরকারী তরফে এবং কূটনীতিক মহল থেকে প্রায় এক হাজার জন এই সম্মেলনে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দেশে ও বিদেশে CII এর বিভিন্ন শাখার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, দেশের নাগরিকরা তাদের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উদ্যমের সঙ্গে সক্ষমতা অর্জনের পথে এগিয়ে গেলে দেশ পিছিয়ে পড়তে পারে না। তাঁকে এই সম্মেলনে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় শিল্প মহাসঙ্ঘ CII কে কৃতজ্ঞতা জানান।
অতিমারীর সময়ে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির প্রশ্নে যখন সংশয় দেখা দিয়েছিল তখন ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে সেসময়ে তিনি যে আশা ব্যক্ত করেছিলেন দ্রুত বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশ তা প্রত্যক্ষ করছে। তিনি বলেন, আজ আমরা বিকশিত ভারতের পথে যাত্রা নিয়ে আলোচনা করছি। এটা কেবলমাত্র মানসিকতার পরিবর্তন নয়। এতে আস্থাবোধের পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়। ভারতকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রুত তৃতীয় স্থান অর্জনের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি।
২০১৪ সালে তার সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করাই ছিল তখনকার সময়ে সবথেকে বড় প্রয়োজন। প্রাক ২০১৪ সময়কালে আমাদের দেশ বিশ্বের পঞ্চম ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিগণিত হত। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারিতে পরিব্যাপ্ত ছিল। সরকারী শ্বেতপত্রে আর্থিক পরিস্থিতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে। প্রধানমন্ত্রী শিল্প নেতৃত্ব ও সংগঠনগুলিকে দেশের অতীত আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান সময়কালকে মিলিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে বর্তমান সরকার চরম সংকট থেকে আর্থিক বৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় নিয়ে এসেছে।
সাম্প্রতিক বাজেটে কয়েকটি তথ্যের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪-তে যেখানে বাজেটের আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ ছিল ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ লক্ষ কোটি টাকায় যা এক কথায় ৩ গুণ। মূলধনী বিনিয়োগ যা ২০০৪ সালে ছিল ৯০ হাজার কোটি টাকা, ২০১৪ পর্যন্ত ১০ বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ছিল ২ গুণ।সেই তুলনায় আজ এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১১ লক্ষ কোটি টাকায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ভারতীয় অর্থনীতির প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অনুরূপ যত্নশীল। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই অগ্রগতির দিকে চোখ মেললেই তার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, অতীতের সরকারের সঙ্গে তুলনা করলে দেখবেন গত ১০ বছরে রেল এবং মহাসড়কে বাজেট বরাদ্দ ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিক তেমনই কৃষি এবং প্রতিরক্ষা বাজেটের বরাদ্দ যথাক্রমে ৪ গুণ এবং ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি জানান।
রেকর্ড সংখ্যক কর ছাড় সত্ত্বেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেকর্ড সংখ্যক বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে এমএসএমইগুলিকে এক কোটি টাকা আয়ে অনুমানমূলক কর প্রদান করতে হত। এখন এমএসএমইগুলি ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত আয়েও কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারে। ২০১৪ সালে এমসসএমইগুলিকে ৫০ কোটি টাকা আয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হত। বর্তমানে এই করের হার ২২ শতাংশ। ২০১৪ সালে কোম্পানিগুলিকে কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হত ৩০ শতাংশ। বর্তমানে ৪০০ কোটি টাকা আয়ের ক্ষেত্রেও কোম্পানিগুলিকে ২৫ শতাংশ কর দিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় বাজেট কেবলমাত্র বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ এবং করছাড় নয়। এর লক্ষ্য হল সুশাসন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের আগে বাজেটে স্বাস্থ্যকর অর্থনীতি গড়ে তোলার বড় বড় ঘোষণা করা হত। তবে এই সব ঘোষণার বেশিরবাগ দিনের আলো দেখত না আর বাস্তবে তা রূপায়িতও হত না। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ পুরোপুরি ব্যয় করাও যেত না অথচ সেসব ঘোষণার বড় বড় হেডলাইনও হত। শেয়ারবাজারেও সে অর্থে বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হত না। কোনো প্রকল্পকেও সময় ধরে শেষ করার ব্যাপারেও সরকার যত্নশীল ছিল না। গত ১০ বছরে আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছি। প্রত্যেকটি পরিকাঠামো প্রকল্পকে যে গতি ও মাত্রায় রূপায়িত করা হচ্ছে তা আপনারা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করছেন।
বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক আর্থিক অস্থিরতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত তার আর্থিক বৃদ্ধি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী চিত্র তুলে ধরেছে। বিশ্বে যেখানে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং আর্থিক বৃদ্ধির হার পড়ে যাচ্ছে, ভারতে সেখানে বৈদেশিক মুদ্রার বৃহৎ বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির হারও নিম্নমুখী। অতিমারীর সময়ে ভারতের আর্থিক প্রাজ্ঞতা বিশ্বের নজরে রোল মডেল হয়ে উঠেছিল বলে তিনি জানান। বিশ্বে পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানিতে ভারতের অংশ ক্রমশই বেড়ে চলেছে যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে ভারতের অবদান ১৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে চলেছে যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র সীমার ওপরে তুলে আনা হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বিধান জীবনধারণে উন্নতিসাধন করা হয়েছে।
চতুর্থ প্রজন্মের শিল্পমানের লক্ষ্যে কর্মীদের দক্ষতা বিকাশকে তার সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। এক্ষেত্রে তিনি মুদ্রা যোজনা, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া এবং স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া অভিযানের উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮ কোটিরও বেশি মানুষ নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন। ভারতের ১ লক্ষ ৪০ হাজার স্টার্ট আপে লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী কাজ করছেন। এবারের বাজেটে ২ লক্ষ কেটি টাকার প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজের উচ্চ প্রশংসিত দিকের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে ৪ কোটিরও বেশি যুবক যুবতী উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,এই পিএম প্যাকেজের লক্ষ্য হল যাতে দেশের কর্মী সম্প্রদায়কে দক্ষ করে তোলা যায় এবং ভারতীয় পণ্য আন্তর্জাতিক গুণমান সম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে। যুব সম্প্রদায়ের দক্ষতা বিকাশে শিক্ষানবিশি প্রকল্পের যে সূচনা করা হয়েছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে কর্ম সংস্থানের সম্ভাবনা প্রভূত বৃদ্ধি পাবে এবং এই কর্ম সংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে বলেও তিনি জানান। ইপিএফও-তেও সরকার আর্থিক অনুদান দেবে বলে তিনি জানান।
৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারতকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রই প্রথম এই দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একেবারে ত্রুটিমুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তুলে আত্মনির্ভর ভারত অথবা বিকশিত ভারতের কথাও বলেন তিনি।
বাজেটে নির্মাণ ক্ষেত্রের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু উদ্দেশ্যসাধক লজিস্টিক পার্ট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এফবিআই আইনের সরলীকরণ করা হয়েছে। দেশের ১০০ টি জেলায় প্লাগ এন্ড প্লে বিনিয়োগ প্রস্তুত পার্ক গড়ে তোলার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ১০০ টি শহরই বিকশিত ভারতের নতুন হাব হয়ে উঠবে। বর্তমান শিল্প করিডরের আধুনিকীকরণের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অণু ক্ষুদ্র,এবং মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে সশক্তিকরণে তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের নানা রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে আমরা চেষ্টা চালিয়ে আসছি, এমএসএমই ক্ষেত্রগুলি যাতে পুঁজির সংস্থান, ব্যাঙ্ক ঋণ এবং বাজারি সুবিধা পেতে পারে এক্ষেত্রে তাদের কর হার এবং অন্য দায়বদ্ধতাকেও হ্রাস করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরমানু বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল জন পরিকাঠামো, কৃষকদের ভূ আধার কার্ড প্রভৃতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকাশ অর্থনীতি, ক্রিটিক্যাল মিনারেল মিশন এবং সমুদ্র নিকটবর্তী খনিজ উত্তোলনের ক্ষেত্রে এক হাজার কোটি টাকার উদ্যোগ তহবিলের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সব নতুন ঘোষণা অগ্রগতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে আগামী দিনে সেমি কন্ডাক্টর ভ্যালু চেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক্স নির্মাণে উৎসাহের পাশাপাশি মোবাইল ফোন নির্মাণের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়কালে বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন অতীতে ভারত ছিলো মোবাইল ফোন আমদানিকারী দেশ, বর্তমানে আমরা মোবাইল ফোনের প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানীকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছি। নতুন নতুন উদ্যোগ এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্র আত্মপ্রকাশ করছে জানিয়ে তিনি বলেন সূর্যোদয় ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে এখন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। তিনি বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে বেসরকারি ক্ষেত্রকে আরো বেশি করে লগ্নির পথে এগিয়ে আসার ডাক দেন। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিতে সম্পদ সৃষ্টিকারীরাই মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে বলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন সাম্প্রতিক নীতি আয়োগের বৈঠকে তিনি সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পিযূষ গয়াল, সিআইআই এর সভাপতি শ্রী সঞ্জীব পুরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
PG/AB /SG
(রিলিজ আইডি: 2039356)
=======================================================================
ব্রোঞ্জ পদক জয়ের জন্য মনু ভাকের ও সরবজোত সিং-কে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 1:38PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
প্যারিস অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের জন্য ভারতীয় শ্যুটার মনু ভাকের ও সরবজোত সিং-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন:
“আমাদের শ্যুটাররা আমাদের গর্বিত করে চলেছেন !
#Olympics- এ ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের জন্য @realmanubhaker এবং সরবজোত সিং-কে অভিনন্দন। দুজনই উচ্চ দক্ষতা এবং দলগত সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছেন। ভারত অত্যন্ত আনন্দিত।
মনুর এটি পরপর দ্বিতীয় অলিম্পিক পদক জয়, যা তাঁর ধারবাহিক নৈপুণ্য ও নিষ্ঠা তুলে ধরছে। #Cheer4Bharat”
PG/ MP /AG
(রিলিজ আইডি: 2039153)
========================================================================
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
কেরালার ওয়েনাড়ে ধসে মৃতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর
কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা প্রধানমন্ত্রীর, সবরকম কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 10:28AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কেরালার ওয়েনাড়ে ধসে মৃতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি এবং পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শ্রী মোদী।
পিএমএনআরএফ থেকে মৃতদের নিকট আত্মীয়দের এককালীন ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন:
“ওয়েনাড়ের কিছু অংশে ধসের ঘটনায় বেদনা অনুভব করছি। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমি তাঁদের পাশে আছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। দুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চলছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী @pinarayivijayan-এর সঙ্গে কথা বলেছি এবং বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব ধরনের কেন্দ্রীয় সাহায্যেরও আশ্বাস দিয়েছি।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক্স পোস্টে জানানো হয়েছে:
“ওয়েনাড়ের কিছু অংশে ধসে মৃতদের নিকট আত্মীয়দের এককালীন ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।”
PG/ MP /AG
(রিলিজ আইডি: 2039151)
=======================================================================
=======================================================================
কৃষকদের ন্যানো সার ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে ভারত সরকার
দেশে ৬টি ন্যানো ইউরিয়া প্ল্যান্ট এবং চারটি ন্যানো ডিএপি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 2:25PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
বিভিন্ন সংস্থা যে ন্যানো ইউরিয়া ও ন্যানো ডিএপি উৎপাদন করে, তার গুণগত মান ও অন্যান্য খুঁটিনাটি কী হওয়া উচিত, সার নিয়ন্ত্রণ আদেশ ১৯৮৫-র আওতায় ভারত সরকার সেবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পরবর্তীকালে বার্ষিক ২৬.৬২ কোটি বোতল (প্রতিটি ৫০০ মিলিলিটারের) উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৬টি ন্যানো ইউরিয়া প্ল্যান্ট এবং বার্ষিক ১০.৭৪ কোটি বোতল (প্রতিটি ৫০০/১০০০ মিলিলিটারের) উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৪টি ন্যানো ডিএপি প্ল্যান্ট দেশে স্থাপন করা হয়েছে।
দেশে ন্যানো ইউরিয়ার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সার দপ্তর ন্যাশনাল ফার্টিলাইজার লিমিটেড (এনএফএল) এবং রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার লিমিটেড (আরসিটি)-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে ন্যানো ইউরিয়া প্ল্যান্ট স্থাপনে উৎসাহ দিচ্ছে।
কৃষকদের মধ্যে ন্যানো সারের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে :-
• সচেতনতা শিবির, ওয়েবিনার, পথনাটিকা, ফসলের ক্ষেতে প্রদর্শন, কিষান সম্মেলন এবং আঞ্চলিক ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে ন্যানো ইউরিয়ার প্রচার করা হচ্ছে।
• প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্রগুলির (পিএমকেএসকে) মাধ্যমে ন্যানো ইউরিয়া সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
• সার দপ্তরের মাসিক সরবরাহ পরিকল্পনায় নিয়মিতভাবে ন্যানো ইউরিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
• ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সয়েল সায়েন্স ভোপালের মাধ্যমে আইসিএআর সম্প্রতি ‘সারের (ন্যানো সার সহ) দক্ষ ও সুষম ব্যবহার’ শীর্ষক জাতীয় প্রচারাভিযানের ব্যবস্থা করে।
• ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর শুরু হওয়া বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় (ভিবিএসওয়াই) ন্যানো সারের ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
• ১৫ হাজার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ড্রোন দেওয়ার লক্ষ্যে ভারত সরকার ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় সার সংস্থাগুলি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির নমো ড্রোন দিদিদের ১ হাজার ৯৪টি ড্রোন দিয়েছে। ন্যানো সারের ব্যবহার যাতে বাড়ে, এইসব ড্রোনের মাধ্যমে তার উপর নজর রাখা হবে।
• সার দপ্তর, সার সংস্থাগুলির সহযোগিতায় দেশের ১৫টি কৃষি জলবায়ু অঞ্চলে ন্যানো ডিএপি ব্যবহারের এক মহা অভিযান শুরু করেছে। এর আওতায় ফসলের ক্ষেতে গিয়ে হাতেকলমে ন্যানো সার ও ডিএপি-র প্রয়োগ দেখানো হচ্ছে। এছাড়া দেশের ১০০টি জেলায় ন্যানো ইউরিয়া সংক্রান্ত সচেতনতা কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়েছে।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী অনুপ্রিয়া প্যাটেল এই তথ্য জানিয়েছেন।
PG/SD/SKD
(রিলিজ আইডি: 2039353)
=================================================================================================================================
=================================================================================================================================
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
দেশে জিকা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গৃহীত ব্যবস্থার সর্বশেষ তথ্য
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 4:20PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
ভারত সরকার জিকা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে কর্ম পরিকল্পনা রূপায়ণ করেছে। এই ভাইরাস ঘটিত রোগ ছড়িয়ে পড়লে কি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তার বিস্তারিত নির্দেশিকা রয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনা জনসাধারণের জ্ঞাতব্যে নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকেও তা জানতে পারা যায়। ওয়েবসাইটটি হল : https://main.mohfw.gov.in/?q=media/disease-alerts/national-guidelines-zika-virus-disease/action-plan-managing-zika-virus-disease.
জিকা ভাইরাস রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সরকারী তরফে যে সহায়তা প্রদান করা হয় তা হল :
১. মশকবাহিত রোগ ব্যবস্থাপনায় কারিগরী নির্দেশিকা এবং রাজ্যগুলোকে তা রূপায়ণের জন্য সক্রিয় জন অংশগ্রহণে সাহায্য প্রদান।
২. ঘর, গৃহস্থলীতে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ, আশা কর্মীদের কাজের সঙ্গে যুক্ত করা, কীটনাশকের ব্যবহার, ফগিং মেশিন, প্রশিক্ষণ সহায়তা এবং জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান।
৩. ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোলে সুসংহত রোগ নজরদারির কর্মসূচি, যাতে জিকা ভাইরাস সহ ৩৩ টিরও বেশি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ। প্রত্যেক রাজ্যে জেলাভিত্তিক জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার এবং আইডিএসপি-র অধীন রাজ্য রেফারেল পরীক্ষাগারে এই রোগের পরীক্ষা ও নজরদারীর ব্যবস্থা করা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এর লক্ষ্য হল জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও পরিষেবার উন্নতি, প্রয়োজন পরিস্থিতি দেখা দিলে হাসপাতালগুলিতে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা। দেশের মধ্যে রাজ্য ভিত্তিতে জিকা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যার বিস্তারিত তথ্য পরিশিষ্টে দেওয়া হল।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি অনুপ্রিয়া প্যাটেল।
পরিশিষ্ট
আইডিএসপি-র অধীন ২০১৭-২৩ পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের রাজ্যভিত্তিক তালিকা
|
|||||||||
|
২০১৭ | ২০১৮ | ২০২১ | ২০২২ | ২০২৩ | ২০২৪* |
|
||
গুজরাট | ৩ | ৩ | |||||||
কর্ণাটক | ১ | ৩ | ৪ | ||||||
কেরালা | ৮৪ | ১ | ১২ | ৯৭ | |||||
মধ্যপ্রদেশ | ২৬০ | ২৬০ | |||||||
মহারাষ্ট্র | ১১ | ১০ | ২১ | ||||||
রাজস্থান | ১ | ১ | |||||||
তামিলনাড়ু | ১ | ১ | |||||||
উত্তরপ্রদেশ | ১৫০ | ১৫০ | |||||||
মোট সংখ্যা | ৪ | ২৬১ | ২৩৪ | ২ | ২৩ | ১৩ | ৫৩৭ |
*২২.০৭.২০২৪-এর আইডিএসপি- আইএইচআইপি জিকা ভাইরাস আক্রান্ত(১-ফর্ম)
PG/AB /SG
(রিলিজ আইডি: 2039354)
=================================================================================================================================
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
পেশাদারী স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবা মহানির্দেশকের বৈঠক, প্রাধান্য পায়
স্বাস্থ্য প্রসার, স্বাস্থ্য শিবির এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের মত বিষয়
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 9:40AM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীন স্বাস্থ্য পরিষেবা মহানির্দেশক অধ্যাপক (ডাঃ) অতুল গোয়েল দেশের প্রথম সারির পেশাদারী স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মিশ্র মাধ্যমে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে নামকরা ২৭ টি স্বাস্থ্য পেশাদার সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্য প্রসারে মন্ত্রকের উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। স্বাস্থ্য প্রসারের উদ্যোগ বলতে বোঝায় স্বাস্থ্যকর খাবার, শারীরিক কাজকর্মে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি এবং তামাক ও মদ থেকে অসংক্রামক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা। মেডিকেল / ডেন্টাল কলেজলিতে শিবিরগত উদ্যোগ নিয়েও অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়। দেশজুড়ে এই সব চিকিৎসক প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্বাস্থ্য সংস্কৃতির প্রসার সংক্রান্ত প্রচারের দিকটিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
রোগ চিহ্নিতকরণ এবং থেরাপির বিষয়ে কেবলমাত্র আটকে না থেকে বরং রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য পরিষেবা সহায়ক ব্যবস্থাকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে বললেন ডাঃ অতুল গোয়েল। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরাও রোগ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য প্রসারের কৌশলগত দিক নিয়ে মতামত বিনিময় করেন। তামাক এবং মদের ব্যবহার নির্মূল করার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক সিগারেট আইন ২০১৯ নিষিদ্ধকরণে তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়। সমস্ত পেশাদারী সংস্থাই স্বাস্থ্য প্রসারের ঘোষণাপত্র গ্রহণ নিয়ে সহমত হয়েছেন, স্বাস্থ্য প্রসারের সম্ভাব্য বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবস্থার রূপায়ণের কথাও বলে তাঁরা।
উপস্থিত সমস্ত সদস্যই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যাবতীয় প্রয়াস এবং সুপারিশকে সর্বসম্মতভাবে সাধুবাদ জানিয়েছে। স্বাস্থ্য প্রসারের ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকার করেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে এই সব পেশাদার স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। সেই সঙ্গে তামাক ও মদের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিয়ে নীতিগত দিক এবং জনসচেতনতা অভিযানকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও বলা হয়।
স্বাস্থ্যকর রাষ্ট্র গড়ে তুলতে স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা ঝুঁকি কমিয়ে আনতে যৌথ দায়বদ্ধতার বিষয়ে বৈঠকে আলোকপাত করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং যৌথ ও গঠনমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে নাগরিকদের জনকল্যাণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত উপ মহা নির্দেশক এবং ইএমআর-এর অধিকর্তা ডাঃ এল স্বস্তিচরণ এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, কার্ডিওলজি সোস্যাইটি অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান সোস্যাইটি অফ অনকোলজি সহ প্রমুখ পেশাদারী স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা।
PG/AB /SG
(রিলিজ আইডি: 2039355)
==================================================================================================================================
==================================================================================================================================
যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক
প্যারিস অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জয় মনু ভাকের ও সরবজোত সিং-এর
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 4:10PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
দুই ভারতীয় শ্যুটার মনু ভাকের ও সরবজোত সিং নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে আজ ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছেন। এরফলে এবারের অলিম্পিকে দুটি পদক জিতলো ভারত। ফাইনালে তাঁরা হারিয়েছেন কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রতিদ্বন্দ্বীকে। এবারের অলিম্পিকে এ নিয়ে দ্বিতীয় ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিলেন মনু।
২০১৯ থেকে খেলো ইন্ডিয়া অ্যাথলিট হিসেবে ৪টি খেলো ইন্ডিয়া গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন সরবজোত সিং। মনু ভাকেরও খেলো ইন্ডিয়া ক্রীড়ায় প্রাক্তন প্রতিদ্বন্দ্বী।
যোগ্যতা নির্ণায়ক রাউন্ড:
১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড-এর যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে মনু ভাকের এবং সরবজোত সিং দুজনই দক্ষতার প্রমাণ দেন। দুজনের মিলিত স্কোর দাঁড়ায় ৫৮০।
উল্লেখযোগ্য সরকারি সহায়তা :
সরবজোত সিং
প্যারিস অলিম্পিকে যোগদানের আগে সরবজোত সিং-কে ভারত সরকার নানাভাবে সহায়তা করেছে। ২০২৩-এর ১৭ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। টপস-এর আওতায় তাঁকে ২০,২৪,৯২৮ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। ২০২২-এর এশিয়ান গেমসে তিনি দলগত বিভাগে সোনা জয় এবং মিক্সড বিভাগে রৌপ্য পদক জয় করেন। ২০২৩-এ ভোপালে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত বিভাগে স্বর্ণ পদক জিতে নেন। ২০২১-এ লিমায় জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দলগত এবং মিক্সড বিভাগে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেন।
মনু ভাকের
মনু ভাকেরকে অলিম্পিকের প্রস্তুতি পর্বে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছে ভারত সরকার। টপস-এর আওতায় তাঁকে ২৮,৭৮,৬৩৪ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। ২০২২-এ ২৫ মিটার পিস্তল টিম বিভাগে স্বর্ণ পদক জিতেছেন তিনি। ২০২৩-এ বাকুতে ২৫ মিটার পিস্তল টিমেও সোনা জয় করেন মনু।
PG/ MP /AG
(রিলিজ আইডি: 2039249)