বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer
MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer :
- ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়—
(A) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (C) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে
- রাজা প্রতাপাদিত্য রচনা করেন
(A) তারিণীচরণ মিত্র
(B) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
(C) রামরাম বসু
(D) বিদ্যাসাগর
Ans: (C) রামরাম বসু
- ছাপাখানার জনক বলে পরিচিত –
(A) জোহানেস গুটেনবার্গ
(B) উইলিয়াম কেরি
(C) মার্শম্যান
(D) স্যার জন ম্যাক
Ans: (A) জোহানেস গুটেনবার্গ
- জন অ্যান্ড্রুজ ছাপাখানা গড়ে তোলেন –
(A) শ্রীরামপুরে
(B) হুগলিতে
(C) হাওড়ায় করেন
(D) কলকাতায়
Ans: (B) হুগলিতে
- বাংলার গুটেনবার্গ ’ বলে পরিচিত –
(A) পঞ্চানন কর্মকার
(B) চার্লস উইলকিনস
(C) হেস্টিংস
(D) হ্যালহেড
Ans: (B) চার্লস উইলকিনস
- ছাপাখানার মুদ্রণের জন্য সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর তৈরি
(A) পঞ্চানন কর্মকার
(B) উইলিয়াম কেরি
(C) চার্লস উইলকিনস
(D) হালেদ
Ans: (C) চার্লস উইলকিনস
- ‘ হাফটোন ব্লক ‘ – এর ব্যবহার কোন প্রেসে প্রথম শুরু হয়
(A) ইউ রায় অ্যান্ড সন্স
(B) সংস্কৃত প্রেস
(C) গুপ্ত প্রেস
(D) রাজেন্দ্র লাইব্রেরি
Ans: (A) ইউ রায় অ্যান্ড সন্স
- ‘ ইস্ট ইন্ডিয়া কলেজ ’ অন্য যে নামে পরিচিত – (A) হিন্দু কলেজ
(B) বিদ্যাসাগর কলেজ
(C) ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (C) ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
- ভারতে মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলন করে
(A) ফরাসিরা
(B) চিনারা
(C) পোর্তুগিজরা
(D) ডাচরা
Ans: (C) পোর্তুগিজরা
- বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন—
(A) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(B) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(C) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(D) রামমোহন রায়
Ans: (B) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- কবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল –
(A) 1921
(B) 1913
(C) 1955
(D) 1872
Ans: (A) 1921
- বেদাস্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন—
(A) রামমোহন রায়
(B) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(C) স্বামী বিবেকানন্দ
(D) কেশবচন্দ্র সেন
Ans: (A) রামমোহন রায়
- দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ হয়—
(A) 1868
(B) 1876
(C) 1877
(D) 1878
Ans: (D) 1878
- রশিদ আলি দিবস পালিত হয়
(A) 11 ফেব্রুয়ারি
(B) 12 ফেব্রুয়ারি
(C) 13 ফেব্রুয়ারি
(D) 14 ফেব্রুয়ারি
Ans: (B) 12 ফেব্রুয়ারি
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রথম সভাপতি ছিলেন—
(A) হীরেন্দ্রনাথ দত্ত
(B) আশুতোষ চৌধুরী
(C) রাসবিহারী ঘোষ
(D) বি . বি . উপাধ্যায়
Ans: (C) রাসবিহারী ঘোষ
- শ্রীরামপুর ছাপাখানার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন—
(A) উইলিয়াম কেরি
(B) উইলকিনস
(C) জন অ্যান্ড্রুজ
(D) ক্লার্ক মার্শম্যান ।
Ans: (A) উইলিয়াম কেরি
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer :
- বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? Ans: ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ।
- বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক সূচনা কবে হয়েছিল ?
Ans: ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ।
- সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষরের উন্নত টাইপ তৈরি করেন কে ?
Ans: সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষরের উন্নত টাইপ তৈরি করেন পঞ্চানন কর্মকার ।
- কারা ‘ শ্রীরামপুর ত্রয়ী ’ নামে পরিচিত ?
Ans: উইলিয়াম কেরি , জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড ‘ শ্রীরামপুর ত্রয়ী ‘ নামে পরিচিত ।
- বিশ্বভারতী কবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় ?
Ans: ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় ।
- ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের নাম লেখো ।
Ans: ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত একটি বই হিতোপদেশ । কলিকাতা
- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য কে ?
Ans: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ।
- স্কুল বুক সোসাইটির একজন ভারতীয় সদস্যের নাম লেখো ।
Ans: স্কুল বুক সোসাইটির একজন ভারতীয় সদস্য রাধাকান্ত দেব ।
- ভারতীয় উদ্যোগে কোথায় প্রথম ছাপাখানা গড়ে
Ans: ভারতীয় উদ্যোগে প্রথম ছাপাখানা খিদিরপুরে গড়ে ওঠে ।
- বাংলা ভাষায় প্রথম রসায়ন বিষয়ক গ্রন্থ কে লেখেন ?
Ans: বাংলা ভাষায় প্রথম রসায়ন বিষয়ক গ্রন্থ জন ম্যাক লেখেন ।
- ‘ এনকোয়ারার ‘ পত্রিকার সম্পাদক কে ?
Ans: ‘ এনকোয়ারার ’ পত্রিকার সম্পাদক ডিরোজিও ।
- ডিরোজিও – র দু’জন অনুগামীর নাম লেখো ।
Ans: ডিরোজিও – র দু’জন অনুগামী হলেন রামতনু লাহিড়ি , রসিককৃয় মল্লিক ।
- ‘ কেসকোগ্রাফ ’ যন্ত্রটি কে আবিষ্কার করেন ?
Ans: ‘ কেসকোগ্রাফ ’ যন্ত্রটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেন ।
- কলকাতায় প্রথম ছাপাখানা কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
Ans: জেমস অগাস্টাস হিকি ।
- ইউ রায় অ্যান্ড সন্স ছাপাখানাটি কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
Ans: উত্তর উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ।
- বেঙ্গল গেজেট কবে প্রকাশিত হয়েছিল ?
Ans: জেমস অগাস্টাস হিকি ।
- গোয়াতে পোর্তুগিজরা কবে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেছিল ?
Ans: 1556 খ্রিস্টাব্দে ।
- অ্যান্ড্রুজ সাহেব কবে ছাপাখানা গড়ে তোলেন ?
Ans: 1778 খ্রিস্টাব্দে ।
- ইতিহাসমালা গ্রন্থটি কবে প্রকাশিত হয়েছিল ?
Ans: 1812 খ্রিস্টাব্দে ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer :
- শিক্ষাবিস্তারে বিবেকানন্দের মতামত কী ছিল ?
Ans: বিবেকানন্দের মতে , ঔপনিবেশিকরা কখনোই সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের শিক্ষার ব্যবস্থা করবে না । তাই তিনি চেয়েছিলেন গণশিক্ষা ।
- হিকির ‘ বেঙ্গল গেজেট ‘ পত্রিকা প্রকাশের দু’টি উদ্দেশ্য লেখো ।
Ans: 1) ভারতে বসবাসকারী ইউরোপীয়দের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন । 2) বাংলায় ছাপাখানা শিল্পের প্রসার ঘটানো ।
- তারকনাথ পালিত স্মরণীয় কেন ?
অথবা , কবে , কার উদ্যোগে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: 1906 খ্রিস্টাব্দের 25 জুলাই তারকনাথ পালিতের উদ্যোগে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় । এ কারণে তিনি আজও স্মরণীয় ।
- কী উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন ?
Ans: বাঙালি তথা ভারতীয়দের স্বনির্ভর করে তোলার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কবে , কেন প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে স্বদেশি ভাবনার প্রসার এবং ঔপনিবেশিক শিক্ষার বিকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে 1906 খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয় ।
- কার্লাইল সার্কুলার কী ?
Ans: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন থেকে ছাত্রসমাজকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য 1905 খ্রিস্টাব্দে আর.ডব্লু . কার্লাইল একটি দমনমূলক আইন জারি করেন যা কার্লাইল সার্কুলার নামে পরিচিত ।
- ভারতে মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলন প্রথম কারা করেছিল ?
Ans: পোর্তুগিজরা ভারতে প্রথম মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলন করেছিল । দেশীয় হরফের দ্বারা পোর্তুগিজরা ভারতীয় মুদ্রণযন্ত্রের প্রথম আবিষ্কার ( 1556 খ্রিস্টাব্দে ) করে ।
বিশ্লেষণভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer :
- বাংলার মুদ্রণশিল্পের অগ্রগতিতে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর অবদান কী ছিল ? উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্য প্রতিভা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: উনিশ শতকের বাংলার নিম্নমানের মুদ্রণশিল্প উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পরীক্ষানিরীক্ষার ফলশ্রুতিতে রঙিন ছবি ছাপার যুগে প্রবেশ করে ।
- ইউ রায় অ্যান্ড সন্স : বিদেশ থেকে আনা উন্নত মুদ্রণযন্ত্রে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন । ইউ রায় অ্যান্ড সন্স নামের ঐ ছাপাখানায় তিনি নানা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে মুদ্রণশিল্পের উন্নতি ঘটান ।
- হাফটোন ব্লক : তামা ও দস্তার পাতে অক্ষর বা ছবি খোদাই করে ছাপার ব্লক তৈরি করেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী । অন্ধকার ঘরে আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণ লক্ষ করে তিনি হাফটোন ব্লক তৈরির সূত্র উদ্ভাবন করেন । 2001
- ছবি ব্যবহার : বইয়ের প্রচ্ছদ ও লেখায় ব্যবহৃত ছবির মুদ্রণ উন্নত করার জন্য তিনি নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে গেছেন । একাজে তিনি ডায়াফ্রাম পদ্ধতি , ষাট ডিগ্রি স্ক্রিন , ডায়োটাইপ , স্ক্রিন অ্যাডজাস্টার , রিপ্রিন্ট ইত্যাদির সাহায্য নেন । এর ফলশ্রুতিতে ‘ সন্দেশ ’ পত্রিকায় রঙিন ছবি ছাপা হতো তখন থেকেই ।
- স্টুডিও : মুদ্রণশিল্পের উন্নতির জন্য নিজস্ব স্টুডিওতে উপেন্দ্রকিশোর আধুনিক ফটোগ্রাফি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন । এই পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে তিনি শিশু – কিশোরদের উপযোগী বইয়ে সাদা – কালোর যুগে রঙিন ছবি ছাপতে শুরু করেন ।
সাহিত্য প্রতিভা : শিশুসাহিত্যিক হিসেবে উপেন্দ্রকিশোর আজও সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও সুপরিচিত । নীচে তার সাহিত্য প্রতিভা আলোচিত হলো :
1) ছাত্রজীবনেই তাঁর সাহিত্যচর্চা শুরু হয় । এইসময় থেকেই তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা , ছড়া , ছোটোদের উপযোগী গল্প লিখতে থাকেন ।
2) সিটি বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘ ছেলেদের রামায়ণ ‘ উপেন্দ্রকিশোরের লেখা প্রথম গ্রন্থ । এই গ্রন্থের জন্য তিনি কিছু ছবিও এঁকেছিলেন । তবে বইটির মুদ্রণ ছিল নিম্নমানের ।
3) নিজস্ব ছাপাখানা থেকে তিনি একের পর এক বই প্রকাশ করতে থাকেন । তাঁর লেখা এই বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ গুপী গাইন বাঘা বাইন ‘ , ‘ ছেলেদের মহাভারত ’ , ‘ সেকালের কথা ‘ ইত্যাদি ।
4) নিজের ছাপাখানা থেকে তাঁর সম্পাদনায় ছোটোদের জন্য অসাধারণ জনপ্রিয় ‘ সন্দেশ ‘ পত্রিকা প্রকাশ করেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী । বর্তমানেও এই পত্রিকা তাঁর পরিবারের সম্পাদনায়ই চলছে ।
- ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশ বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো ।
অথবা , বাংলায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে টীকা লেখো ।
Ans: সূচনা : পাশ্চাত্য শিক্ষার পথ ধরেই উনিশ শতক থেকে ধীরে ধীরে কারিগরি শিক্ষার বিকাশ শুরু হয় । যদিও প্রথম অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার নিজেদের প্রয়োজনেই কারিগরি শিক্ষার বিকাশে আগ্রহী হয়েছিল । ইংরেজরা নিজেদের সামরিক প্রয়োজনে ইলেকট্রিক টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা চালু করে । ঠিক তেমনি দেশের ভৌগোলিক বিস্তারে খুঁটিনাটি জানতে জমি জরিপ ও সমীক্ষা স্কুল গড়ে তোলে ইংরেজ সরকার । কিন্তু পরবর্তীতে কারিগরি শিক্ষার সুফলের প্রায় অনেকটা ভোগ করেছিল বাংলা তথা ভারতের মানুষেরা ।
কারিগরি শিক্ষার বিকাশ : অচিরেই বাঙালি কারিগররা আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তিবিদ্যা শেখার দিকে মন দেয় । রাজকৃত্ন কর্মকার জলচক্র , বন্দুক , এমনকী মেশিনগান তৈরিতে পারদর্শিতা দেখান । প্রসন্নকুমার ঘোষ কলকাতার প্রথম সাইকেল ও রিক্শা নির্মাণ করেন । বিপিনবিহারী দাস ভারতে সর্বপ্রথম একটি মোটরগাড়ি তৈরি করেন ।
সরকারি উদ্যোগ : উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গড়ে ওঠে অসংখ্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , যেমন টমসন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ , ক্যালকাটা কলেজ অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং , পুণে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং ।
বেসরকারি উদ্যোগ : ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি উদ্যোগে ইন্ডিয়ান এডুকেশন পলিসি প্রযুক্তি শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ ভূমিকা নেয় । ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় কারিগরি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে একটি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠে । কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুরে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয় ।
মূল্যায়ন : এইভাবে উনিশ শতকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠে একাধিক কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র যা কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক বিকাশ ঘটায় ৷ এক্ষেত্রে ডন সোসাইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ডন সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষানবিশদের যান্ত্রিক কৌশলের বিষয়ে শিক্ষাদান করা হতে থাকে ।
- বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে ডা . মহেন্দ্রলাল সরকার কী ভূমিকা পালন করেন ?
অথবা , ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স সম্পর্কে কী জানো ? অথবা ,
টীকা— IACS
Ans: ভূমিকা : বাংলা তথা ভারতে বিশুদ্ধ বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রলাল সরকার একটি পরিচিত নাম । তিনি পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক । বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার লক্ষ্যে ১৮৭৬ সালে তিনি গড়ে তোলেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ।
বিজ্ঞানচর্চায় অবদান :
যুক্তিবাদের প্রসার : ডা . সরকার ছিলেন প্রকৃত অর্থেই বিজ্ঞানপ্রেমী । বাঙালিকে অন্ধবিশ্বাসের বদলে যুক্তিবাদের পথে নিয়ে যেতে চান তিনি । বৈজ্ঞানিক সংগঠন স্থাপন ফাদার ইউজিন লাঁফোর সাহায্যে কলকাতায় ডা . সরকার গড়ে তোলেন আই.এ.সি.এস। এটিই দেশের প্রথম
বৈজ্ঞানিক সংগঠন : এর প্রথম অধিকর্তা ছিলেন প্যারিমোহন সরকার । এখানে জগদীশচন্দ্র বসু , সি.ভি. রমন , মেঘনাদ সাহা প্রমুখ বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন । বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা এখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য পেশ করতেন ।
মূল্যায়ন : ঔপনিবেশিক ভারতে বিজ্ঞানচর্চার পরিবেশ গড়েছিলেন ডা . সরকার । তাঁকে বলা হয় ‘ জাতীয় বিজ্ঞানচর্চার জনক ’ ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer :
- ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশ বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো ।
অথবা , বাংলায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে টীকা লেখো ।
Ans: সূচনা : পাশ্চাত্য শিক্ষার পথ ধরেই উনিশ শতক থেকে ধীরে ধীরে কারিগরি শিক্ষার বিকাশ শুরু হয় । যদিও প্রথম অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার নিজেদের প্রয়োজনেই কারিগরি শিক্ষার বিকাশে আগ্রহী হয়েছিল । ইংরেজরা নিজেদের সামরিক প্রয়োজনে ইলেকট্রিক টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা চালু করে । ঠিক তেমনি দেশের ভৌগোলিক বিস্তারে খুঁটিনাটি জানতে জমি জরিপ ও সমীক্ষা স্কুল গড়ে তোলে ইংরেজ সরকার । কিন্তু পরবর্তীতে কারিগরি শিক্ষার সুফলের প্রায় অনেকটা ভোগ করেছিল বাংলা তথা ভারতের মানুষেরা ।
কারিগরি শিক্ষার বিকাশ : অচিরেই বাঙালি কারিগররা আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তিবিদ্যা শেখার দিকে মন দেয় । রাজকৃয় কর্মকার জলচক্র , বন্দুক , এমনকী মেশিনগান তৈরিতে পারদর্শিতা দেখান । প্রসন্নকুমার ঘোষ কলকাতার প্রথম সাইকেল ও রিক্শা নির্মাণ করেন । বিপিনবিহারী দাস ভারতে সর্বপ্রথম একটি মোটরগাড়ি তৈরি করেন ।
সরকারি উদ্যোগ : ঊনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গড়ে ওঠে অসংখ্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , যেমন — টমসন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ , ক্যালকাটা কলেজ অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং , পুণে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং ।
বেসরকারি উদ্যোগ : ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি উদ্যোগে ইন্ডিয়ান এডুকেশন পলিসি প্রযুক্তি শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ ভূমিকা নেয় । ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় কারিগরি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে একটি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠে । কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুরে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয় ।
মূল্যায়ন : এইভাবে উনিশ শতকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠে একাধিক কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র যা কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক বিকাশ ঘটায় । এক্ষেত্রে ডন সোসাইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ডন সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষানবিশদের যান্ত্রিক কৌশলের বিষয়ে শিক্ষাদান করা হতে থাকে ।
- উনিশ শতকের বাংলায় ছাপাখানার বিস্তার সম্পর্কে যা জান লেখো ।
অথবা , উনিশ শতকে বাংলায় ছাপাখানার ব্যবসায়িক উদ্দ্যোগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো ।
Ans: ভূমিকা : ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার সূত্র ধরে বাংলায় শিক্ষা প্রসারের কারণে মুদ্রণশিল্পের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে । এজন্য বাংলায় নতুন নতুন ছাপাখানা গড়ে উঠল । একশ্রেণির শিক্ষিত বাঙালি মুদ্রণশিল্পকে পেশা হিসেবে বাছতে উদ্যোগী হয় ।
ছাপাখানার ব্যবসায়িক উদ্যোগ :
অনারেবল কোম্পানিজ প্রেস : ১৭৮১ সালে উইলকিনস কলকাতায় অনারেবল কোম্পানিজ প্রেস গড়ে তোলেন । এটি ছিল কলকাতার সবথেকে ব্যস্ত ছাপাখানা ।
শ্রীরামপুর মিশন প্রেস : ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে কেরি , মার্শ ও ওয়ার্ড শ্রীরামপুর মিশন প্রেস স্থাপন করেন । এটি ছিল এশিয়ার বৃহত্তম ছাপাখানা ।
গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য : গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য প্রথম বাঙালি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা । প্রথম সচিত্র বাংলা বই ‘ অন্নদামঙ্গল ‘ তিনি প্রকাশ করেন ।
ইস্টার্নহোপ প্রেস : ১৮৪০ সালে ঈশ্বরীপ্রসাদ বসু এটি স্থাপন করেন । এখান থেকে ‘ বামাবোধিনী ‘ পত্রিকা ছাপা হতো ।
গুপ্ত প্রেস : ১৮৬১ সালে দুর্গাচরণ গুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেন গুপ্ত প্রেস । এখানে ছাপা পথ্বিকা আজও সকলের ঘরে ঘরে সমাদৃত ।
বি . পি . এমস প্রেস : বরদাপ্রসাদ মজুমদার গড়ে তোলেন এই ছাপাখানা । তিনি জমিদারি ছেড়ে দিয়ে ‘ নোটবই ‘ -এর ব্যাবসা শুরু করেন । অন্য বাঙালিদের মধ্যে বেণীমাধব দে , মথুরানাথ তর্করত্ন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ।
- বাংলার ছাপাখানার সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক কী ছিল ?
Ans: সূচনা : ভারতবর্ষে শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন টোল , বিদ্যালয় , উচ্চ বিদ্যালয় এর যেমন ভূমিকা রয়েছে এক্ষেত্রে ছাপাখানার ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয় । উনিশ শতক থেকে বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ শুরু হলে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ , সাময়িকপত্র , সংবাদপত্র – এর প্রকাশ শুরু হয় । এর সুবাদে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান তথা শিক্ষার বিস্তার ঘটতে শুরু করে আর এই কারণেই ছাপাখানার সাথে শিক্ষাবিস্তারের এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে ।
ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ : ছাপাখানার প্রসার ঘটলে ছাপা বইয়ের সংখ্যা বাড়ে , শুরু হয় শিক্ষাবিস্তার । বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বইটি হলো জোনাথন ডানকান অনূদিত ‘ মফসসল দেওয়ানি আদালত সকলের ও সদর দেওয়ানি আদালতের বিচার ও ইনসাফ চলা হইবার কারণ ধারা ও নিয়ম ‘ ।
পাঠ্যপুস্তক : বাংলার ছাপাখানাগুলিতে স্কুল , কলেজের ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য প্রচুর পরিমাণে পাঠ্যপুস্তক ছাপা হতে থাকে । এই ছাপাখানায় মুদ্রিত বইপত্রের সুন্দর মুদ্রণ এবং দাম কম হওয়ায় সাধারণ ঘরের ছাত্র – ছাত্রীদের হাতে পৌঁছানোও সম্ভব হতো । জনপ্রিয় এই সকল গ্রন্থ শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল যা বাংলার ছাপাখানার সঙ্গে সমকালীন শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক নির্ণয়ে সহায়ক হয়েছিল ।
অন্যান্য গ্রন্থ : ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও প্রসারের পর থেকে বাংলায় ‘ বাইবেল ’ , ‘ রামায়ণ ’ , ‘ মহাভারত ‘ , বিভিন্ন প্রাচীন ভারতীয় ধর্মীয় সাহিত্য শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষাদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় । ”
সংবাদপত্রাদি : সমকালীন ছাপাখানাগুলি থেকে বাংলা ও ইংরেজিতে বেশ কিছু সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র প্রকাশিত হতে থাকে যা পাঠকসমাজকে ছাপাখানা শিল্পের প্রতি মনোযোগী করে তোলে । আর এইভাবেই সমকালীন ছাপাখানাগুলি শিক্ষাবিস্তারের পরিবেশ স্থাপনেও সহায়তা করে ।
মূল্যায়ন : উপরের আলোচনায় স্পষ্ট যে উনিশ শতকের প্রথম দিকে বাংলায় শিক্ষাবিস্তারের সূচনা ও প্রসার ঘটাতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল | বাংলার ছাপাখানা । ছাপাখানায় মুদ্রিত গ্রন্থাবলি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের সহজ পথ দেখিয়েছিল আর এইভাবেই বাংলার ছাপাখানার সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে ৷
==================================================
বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত)
====================================
১.১ ভারতে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত কৃতিত্ব ছিল –
(ক) ফরাসিদের
(খ) ইংরেজদের
(গ) পর্তুগীজদের
(ঘ) ভারতীয়দের
উত্তর : (গ) পর্তুগীজদের
১.২ শ্রীরামপুরের ছাপাখানার প্রতিষ্টা করেন –
(ক) উইলিয়াম কেরি
(খ) চার্লস উইলকিনস
(গ) অগাস্টাস হিকি
(ঘ) মার্শম্যান
উত্তরঃ (ক) উইলিয়াম কেরি
১.৩ ছেনিকাটা বাংলা হরফ নির্মাণে চার্লস উইলকিন্সকে যিনি সাহায্য করেছিলেন –
(ক) পঞ্চানন কর্মকার
(খ) উইলিয়াম কেরি
(গ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
(ঘ) জন অ্যান্ড্রুজ
উত্তর : (ক) পঞ্চানন কর্মকার
১.৪ কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্টিত হয় –
(ক) ১৮৫৩ খ্রীঃ
(খ) ১৮৩৫ খ্রিঃ
(গ) ১৮৩০ খ্রিঃ
(ঘ) ১৮৭০ খ্রিঃ
উত্তরঃ (খ) ১৮৩৫ খ্রিঃ
১.৫ ‘বাংলার গুটেনবার্গ’ নামে পরিচিত ছিলেন –
(ক) চার্লস ফেয়াছ
(খ) চার্লস উইলকিন্স
(গ) ব্রাসি হ্যালহেড
(ঘ) ওয়ারেন হেস্টিংস
উত্তর : (খ) চার্লস উইলকিন্স
১.৬ ছাপাখানার প্রথম বাঙালী ব্যবসায়ী ছিলেন –
(ক) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
(খ) পঞ্চানন কর্মকার
(গ) সুরেশচন্দ্র মজুমদার
(ঘ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
উত্তরঃ (ক) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
১.৭ ভারতের প্রথম সংবাদপত্র হলো –
(ক) বেঙ্গল গেজেট
(খ) দিকদর্শন
(গ) সমাচার দর্পণ
(ঘ) সংবাদ প্রভাকর
উত্তর : (ক) বেঙ্গল গেজেট
১.৮ বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য ছিলেন –
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) তারকনাথ পালিত
(ঘ) সুবোধচন্দ্র মল্লিক
উত্তরঃ (খ) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.৯ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮১৬ খ্রিষ্টাব্দে
(গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে
উত্তর : (গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে
১.১০ ‘জাতীয় বিজ্ঞানচর্চার জনক’ বলে –
(ক) আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে
(খ) জগদীশচন্দ্র বসুকে
(গ) মহেন্দ্রলাল সরকারকে
(ঘ) প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে
উত্তরঃ (খ) জগদীশচন্দ্র বসুকে
১.১১ প্রথম সচিত্র বাংলা বইয়ের নাম হল –
(ক) হিতোপদেশ
(খ) পঞ্চতন্ত্র
(গ) অন্নদামঙ্গল
(ঘ) বিল্বমঙ্গল
উত্তর : (গ) অন্নদামঙ্গল
১.১২ ‘গোলদিঘির গোলামখানা’ নামে পরিচিত ছিল –
(ক) বসু বিজ্ঞান মন্দির
(খ) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(গ) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট
(ঘ) কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়
উত্তরঃ (ঘ) কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়
১.১৩ ‘শিশুশিক্ষা’ গ্রন্থটি রচনা করেন –
(ক) রামরাম বসু
(খ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
(গ) ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(ঘ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার
উত্তর : (ঘ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার
১.১৪ ‘জাতীয় শিক্ষা’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন –
(ক) প্রসন্ন কুমার ঠাকুর
(খ) রবীন্দ্রথান ঠাকুর
(গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরঃ (ক) প্রসন্ন কুমার ঠাকুর
১.১৫ ‘সংবাদ কৌমুদী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –
(ক) ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
(খ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
(গ) রামমোহন রায়
(ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
উত্তর : (গ) রামমোহন রায়
১.১৬ ভারতে হাফটোন প্রিন্টিং পদ্ধতি প্রবর্তন করেন –
(ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
(খ) সুকুমার রায়
(গ) পঞ্চানন কর্মকার
(ঘ) চার্লস উইলকিন্স
উত্তর : (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
১.১৭ ইউ এন রায় এন্ড সন্স ভূমিকা নিয়েছিল –
(ক) বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে
(খ) বাংলায় চিকিৎসাবিদ্যার প্রসারে
(গ) বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে
(ঘ) বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের প্রসারে
উত্তর : (ঘ) বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের প্রসারে
১.১৮ ‘ছেলেদের রামায়ণ’ গ্রন্থটি রচনা করেন –
(ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
(খ) যোগীন্দ্রনাথ সরকার
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(ঘ) রাধাকান্ত দেব
উত্তর : (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
১.১৯ ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন –
(ক) রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়
(খ) সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(গ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তর : (ক) রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়
১.২০ ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স’ এর যে বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন –
(ক) জগদীশচন্দ্র বসু
(খ) সি ভি রমন
(গ) প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু
উত্তর : (খ) সি ভি রমন
১.২১ কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর : (গ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে
১.২২ ‘হিন্দু রসায়ন শাস্ত্র’ বইটির লেখক হলেন –
(ক) সি ভি রমন
(খ) মেঘনাথ সাহা
(গ) প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
(ঘ) জগদীশচন্দ্র বসু
উত্তর : (গ) প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
১.২৩ বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন –
(ক) জগদীশচন্দ্র বসু
(খ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু
(গ) আনন্দমোহন বসু
(ঘ) চন্দ্রমুখী বসু
উত্তর : (ক) জগদীশচন্দ্র বসু
১.২৪ বাংলা ভাষায় প্রথম ছাপা বইটির নাম হল –
(ক) এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েঞ্জ
(খ) বর্ণপরিচয়
(গ) অন্নদামঙ্গল
(ঘ) মঙ্গল সমাচার মতিয়ের
উত্তর : (ক) এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ
১.২৫ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন –
(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) স্বামী বিবেকানন্দ
(ঘ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর : (খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.২৬ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয় –
(ক) ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর : (ঘ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে
বিভাগ খ
২। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলি উত্তর দাওঃ
(প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)
উপবিভাগঃ ২.১
২.১.১ বাংলার গুটেনবার্গ নামে কে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর : চার্লস উইলকিন্স
২.১.২ পঞ্চানন কর্মকার কিসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর : মুদ্রাক্ষর শিল্পী হিসাবে
২.১.৩ কত জন সদস্য নিয়ে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়?
উত্তরঃ ৯২ জন
২.১.৪ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে
২.১.৫ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি কবে এবং কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর : ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে, ডেভিড হেয়ার
২.১.৬ কলকাতায় কে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ জেমস অগাস্টাস হিকি
২.১.৭ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র কোনটি?
উত্তর : সমাচার দর্পণ
২.১.৮ বিদ্যাসাগর ও মদোমোহন তর্কালঙ্কারের প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানা টির নাম কি?
উত্তর : সংস্কৃত যন্ত্র
২.১.৯ ‘বর্ণপরিচয়’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
২.১.১০ হাফটোন ব্লক পদ্ধতির আবিষ্কারক কে?
উত্তর : উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
২.১.১১ জগদীশচন্দ্র বোস আবিষ্কৃত যন্ত্র টির নাম কি?
উত্তর : ক্রেস্কোগ্রাফ
২.১.১২ ডন সোসাইটি কবে এবং কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে, সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
২.১.১৩ রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতকে কীরূপে পরিবেশে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলেন?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক পরিবেশে
২.১.১৪ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট কোন সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে
উপ বিভাগ: ২.২
** ঠিক বা ভূল নির্ণয় কর :-
২.২.১ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়।
উত্তর : সত্য
২.২.২ ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পর মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: সত্য
২.২.৩ বাংলায় ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে পাঠ্য পুস্তক প্রকাশনা শুরু হয়।
উত্তর : সত্য
২.২.৪ বিদ্যাসাগর রচিত বর্ণপরিচয় তার জীবদ্দশাতেই মোট ১৫২ টি সংস্কার প্রকাশিত হয় এবং ৩৫ লক্ষেরও বেশি ছাপা বই পাঠকদের কাছে পৌঁছে যায়।
উত্তর: সত্য
২.২.৫ উপেন্দ্রকিশোরের লেখা প্রথম দুটি উল্লেখযোগ্য বই হল ‘ছেলেদের রামায়ণ’ ও ‘ছেলেদের মহাভারত’।
উত্তর : সত্য
২.২.৬ বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং মেঘনাথ সাহা স্বাধীন ভারতের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন এ যুক্ত ছিলেন।
উত্তর: সত্য
২.২.৭ বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন জগদীশচন্দ্র বসু।
উত্তর : সত্য
২.২.৮ উপনিবেশিক শিক্ষা ধারার সমালোচনা করে ‘শিক্ষার হেরফের’ নামক প্রবন্ধটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তর : সত্য
২.২.৯ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
উত্তর: সত্য
২.২.১০ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর : সত্য
উপরিভাগ: ২.৩
** ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলাও:-
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) ছাপাখানার জনক (ক) পঞ্চানন কর্মকার
২.৩.২) প্রথম বাংলা অক্ষরের টাইপ নির্মাতা (খ) সুরেশ চন্দ্র মজুমদার
২.৩.৩) প্রথম উন্নত বাংলা অক্ষরের টাইপ নির্মাতা (গ) জোহানেস গুটেনবার্গ
২.৩.৪) লাইনো টাইপ (ঘ) চার্লস উইলকিনস
উত্তর: ২.৩.১) ছাপাখানার জনক – (গ) জোহানেস গুটেনবার্গ
২.৩.২) প্রথম বাংলা অক্ষরের টাইপ নির্মাতা – (ঘ) চার্লস উইলকিনস
২.৩.৩) প্রথম উন্নত বাংলা অক্ষরের টাইপ নির্মাতা – (ক) পঞ্চানন কর্মকার
২.৩.৪) লাইনো টাইপ – (খ) সুরেশ চন্দ্র মজুমদার
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) শান্তিনিকেতন (ক) রাজা রামমোহন রায়
২.৩.২) হেয়ার স্কুল (খ) স্যার হাউড ইস্ট
২.৩.৩) হিন্দু কলেজ (গ) ডেভিড হেয়ার
২.৩.৪) বেদান্ত কলেজ (ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর : ২.৩.১) শান্তিনিকেতন – (ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২.৩.২) হেয়ার স্কুল – (গ) ডেভিড হেয়ার
২.৩.৩) হিন্দু কলেজ – (খ) স্যার হাউড ইস্ট
২.৩.৪) বেদান্ত কলেজ – (ক) রাজা রামমোহন রায়
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) হিন্দুস্থানী প্রেস (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
২.৩.২) শ্রীরামপুর মিশন প্রেস (খ) ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
২.৩.৩) সংস্কৃত যন্ত্র (গ) জন গিলক্রিস্ট ও উইলিয়াম হান্টার
২.৩.৪) ইউ এন রায় এন্ড সন্স (ঘ) উইলিয়াম কেরি
উত্তর : ২.৩.১) হিন্দুস্থানী প্রেস – (গ) জন গিলক্রিস্ট ও উইলিয়াম হান্টার
২.৩.২) শ্রীরামপুর মিশন প্রেস – (ঘ) উইলিয়াম কেরি
২.৩.৩) সংস্কৃত যন্ত্র – (খ) ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
২.৩.৪) ইউ এন রায় এন্ড সন্স – (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (ক) সোমপ্রকাশ
২.৩.২) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (খ) তোতাকাহিনী
২.৩.৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গ) সন্দেশ
২.৩.৪) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ (ঘ) কথামালা
উত্তর : ২.৩.১) ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – (ঘ) কথামালা
২.৩.২) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী – (গ) সন্দেশ
২.৩.৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – (খ) তোতাকাহিনী
২.৩.৪) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ – (ক) সোমপ্রকাশ
উপ বিভাগ: ২.৫
** নিম্ন লিখিত বিবৃতি গুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যা টি নির্বাচন কর:-
২.৫.১ বিবৃতি : রবীন্দ্রনাথ উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা পছন্দ করতেন না।
ব্যাখ্যা ১ : এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ব্যয় সাপেক্ষ।
ব্যাখ্যা ২ : এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যম ছিল মাতৃভাষা।
ব্যাখ্যা ৩ : এই শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ঘটাত না।
উত্তর : ব্যাখ্যা ৩ : এই শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ঘটাত না।
২.৫.২ বিবৃতি: পঞ্চানন কর্মকার উন্নত মানের বাংলা হরফ তৈরি করতে সক্ষম হন।
ব্যাখ্যা ১: পঞ্চানন কর্মকার স্বর্ণ শিল্পী ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২: পঞ্চানন কর্মকার হস্তরেখা বিশারদ ছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩: পঞ্চানন কর্মকার মৃৎশিল্পী ছিলেন।
উত্তর: ব্যাখ্যা ১: পঞ্চানন কর্মকার স্বর্ণ শিল্পী ছিলেন।
২.৫.৩ বিবৃতি : শিশুপাঠ্য গ্রন্থের ক্ষেত্রে বর্ণপরিচয় এক নতুন যুগের সূচনা করেন।
ব্যাখ্যা ১ : বর্ণপরিচয় ছিল সরস ও অনৈতিক।
ব্যাখ্যা ২ : বর্ণপরিচয় ছিল ইংরেজি ভাষায় রচিত।
ব্যাখ্যা ৩ : বর্ণপরিচয়ে বাংলা ভাষা নির্দিষ্ট রূপ লাভ করে।
উত্তর : ব্যাখ্যা ৩ : বর্ণপরিচয়ে বাংলা ভাষা নির্দিষ্ট রূপ লাভ করে।
২.৫.৪ বিবৃতি: ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ব্যাখ্যা ১: এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল কোলকাতায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা।
ব্যাখ্যা ২: এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্য বই ছাপিয়ে সুলভে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া।
ব্যাখ্যা ৩: এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষকদের কাছ থেকে বইপত্রের বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া।
উত্তর: ব্যাখ্যা ২: এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্য বই ছাপিয়ে সুলভে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া।
২.৫.৫ বিবৃতি : ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়।
ব্যাখ্যা ১ : বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নতির জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য।
উত্তর : ব্যাখ্যা ২ : কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য।
২.৫.৬ বিবৃতি: বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতায় বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্যাখ্যা ১: বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার কাজ করা।
ব্যাখ্যা ২: ব্রিটিশ সরকার জগদীশচন্দ্র বসুকে বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেন।
ব্যাখ্যা ৩: স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের পাঠ দান করাই ছিল বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা।
উত্তর: ব্যাখ্যা ১: বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার কাজ করা।
২.৫.৭ বিবৃতি : প্রথম পর্বের ছাপাখানার প্রকাশনা ছিল পরীক্ষামূলক ও সীমিত।
ব্যাখ্যা ১ : ব্যাকরণ, অভিধান ও আইনের অনুবাদ ছাপানো ছিল মূল উৎপাদন।
ব্যাখ্যা ২ : ধর্মগ্রন্থ, ধর্মীয় প্রচার পুস্তিকা ছাপানো ও বাংলা ভাষার উন্নতি।
ব্যাখ্যা ৩ : শিশু পাঠ্যগ্রন্থ ও পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ও শিক্ষার প্রসার।
উত্তর : ব্যাখ্যা ১ : ব্যাকরণ, অভিধান ও আইনের অনুবাদ ছাপানো ছিল মূল উৎপাদন।
২.৫.৮ বিবৃতি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্যাখ্যা ১: রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য ছিল সম্পন্য পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
ব্যাখ্যা ২: রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য ছিল স্বদেশী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা।
ব্যাখ্যা ৩: রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য ছিল উচ্চশিক্ষায় মুক্ত চিন্তা ও সত্যানুসন্ধানের প্রসার ঘটানো।
উত্তর: ব্যাখ্যা ৩: রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য ছিল উচ্চশিক্ষায় মুক্ত চিন্তা ও সত্যানুসন্ধানের প্রসার ঘটানো।
২.৫.৯ বিবৃতি : চার্লস উইলকিন্স অন বাংলার গুটেনবার্গ নামে পরিচিত।
ব্যাখ্যা ১ : তিনি সর্বপ্রথম বাংলায় মুদ্রণ কৌশল প্রবর্তন করেন।
ব্যাখ্যা ২ : তিনি গুটেনবার্গের শিষ্য ছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি বাংলায় মুদ্রণের জন্য মুদ্রাক্ষর তৈরি করেন।
উত্তর : ব্যাখ্যা ৩ : তিনি বাংলায় মুদ্রণের জন্য মুদ্রাক্ষর তৈরি করে।
২.৫.১০ বিবৃতি : বাংলা মুদ্রণ শিল্পের উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বিপ্লব আনেন।
ব্যাখ্যা ১ : তিনি হাফটোন ব্লকের সাহায্যে গ্রন্থ চিত্রকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলেন।
ব্যাখ্যা ২ : তিনি উন্নত ছাপার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি বিলেত থেকে ছাপার যন্ত্রপাতি আনেন।
উত্তর : ব্যাখ্যা ১ : তিনি হাফটোন ব্লক সাহায্যে গ্রন্থ চিত্রকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন।
বিভাগ ‘গ’
৩) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ কাকে, কেন বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়?
উত্তরঃ চার্লস উইলকিনসকে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়, কারণ –
(১) তিনি ছিলেন একজন টাইপোগ্রাফার, প্রাচ্যবাদী ও এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় প্রথম সচল বাংলা মুদ্রাক্ষর নির্মাতা।
(২) তিনি ছিলেন বাংলা হরফ বিশেষজ্ঞ, তিনি নিজের উদ্যোগেই বেশ কিছু বাংলা হরফ ঢালাই করেছিলেন।
প্রশ্নঃ শিক্ষাবিস্তারে বিবেকানন্দের মতামত কী ছিল?
উত্তরঃ বিবেকানন্দের মতে, ঔপনিবেশিকরা কখনোই সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের শিক্ষার ব্যবস্থা করবে না। তাই তিনি চেয়েছিলেন গণশিক্ষা।
প্রশ্নঃ শ্রীরামপুত্র ত্রয়ী বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড একত্রে শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত। এঁরা বিখ্যাত ছিল, কারণ –
(১) এঁদের উদ্যোগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটে।
(২) এঁরা ১৮০০ খ্রিঃ শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা করলে বাংলায় মুদ্রণ শিল্পেরও বিকাশ ঘটে।
প্রশ্নঃ হিকির ‘বেঙ্গল গেজেট’ পত্রিকা প্রকাশের দু’টি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তরঃ (১) ভারতে বসবাসকারী ইউরোপীয়দের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন।
(২) বাংলায় ছাপাখানা শিল্পের প্রসার ঘটানো।
প্রশ্নঃ ছাপাখানা কীভাবে গণশিক্ষার প্রসারে সাহায্য করে?
উত্তরঃ ছাপাখানা যেভাবে গণশিক্ষার প্রসারে সাহায্য করে তা হল –
(১) কৃত্তীবাসী রামায়ণ, কাশীদাসী মহাভারত প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থ।
(২) সমাচারদর্পণ ও সংবাদ প্রভাকর-এর মতো বাংলাভাষায় প্রকাশিত পত্রপত্রিকা মানুষের মধ্যে জ্ঞানের ও শিক্ষার প্রসার ঘটায়।
প্রশ্নঃ কবে, কার উদ্যোগে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে জুলাই তারকনাথ পালিতের উদ্যোগে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় । এই কারণে তিনি আজও স্মরণীয়।
প্রশ্নঃ বাংলার মুদ্রণের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ উনিশ শতকে ছাপাখানা জগতে ১৮৪০-১৮৭০ খ্রিঃ পর্যন্ত সমকালে কলকাতার চোরবাগান, শোভাবাজার, দর্জিপাড়া, জোড়াসাঁকো প্রভৃতি স্থান জুড়ে যেসব প্রকাশনা চলত তা বটতলার প্রকাশনা নামে পরিচিত। নিচে এর গুরুত্বগুলি আলোচনা করা হল –
(১) সস্তায় বিচিত্র বিষয় ও বিচিত্র রকমের ধর্মকথা ও অশ্লীল কথাযুক্ত বাংলা বই ছাপা ছিল এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
(২) এই প্রকাশনার ক্ষেত্রে বিখ্যাত প্রকাশক ছিলেন বিশ্বম্ভর দেব ও ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এঁদের প্রকাশিত পৌরাণিক ঐতিহাসিক গ্রন্থ সমকালীন বাবুসমাজ সহ শিক্ষিত মানুষের জ্ঞান পিপাসা মেটাতে সাহায্য করেছিল।
প্রশ্নঃ কী উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ বাঙালি তথা ভারতীয়দের স্বনির্ভর করে তোলার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রশ্নঃ বোটানিক্যাল গার্ডেন কী?
উত্তরঃ শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক বাহিনীর অফিসার কর্ণেল রবার্ট কিড। এটি তৈরির কারণগুলি হল –
(১) সেগুন কাঠ ও মশলার জন্য নতুন চারাগাছ রোপন করার জন্য শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করা হয়েছিল।
(২) ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ রোপন করে ভেষজ গার্ডেনে পরিণোত করেন।
প্রশ্নঃ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কবে, কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে স্বদেশি ভাবনার প্রসার এবং ঔপনিবেশিক শিক্ষার বিকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্নঃ উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ উনিশ শতকে ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেগুলি হল –
(১) এটিই ছিল ভারতের প্রথম বৈজ্ঞানিক সংগঠন এবং এই প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণা করা হত।
(২) বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা সভার মাধ্যমে এই বিজ্ঞান সভা শ্রোতাদের বিজ্ঞান বিষয়ে আরো আকর্ষনীয় করত।
প্রশ্নঃ কার্লাইল সার্কুলার কী?
উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন থেকে ছাত্রসমাজকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আর. ডব্লু. কার্লাইল একটি দমনমূলক আইন জারি করেন যা কার্লাইল সার্কুলার নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ডন সোসাইটির ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ডন সোসাইটির ভূমিকা ছিল –
(১) ডন সোসাইটি ডন পত্রিকার মাধ্যমে ১৯০৪ খ্রিঃ লর্ড কার্জনের বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সমালোচনা ও জাতীয় শিক্ষার দাবী করে।
(২) ১৯০৬ খ্রিঃ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠনে এবং জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অধীনস্থ বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজের শিক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই সোসাইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
প্রশ্নঃ ভারতে মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলন প্রথম কারা করেছিল?
উত্তরঃ পোর্তুগিজরা ভারতে প্রথম মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলন করেছিল। দেশীয় হরফের দ্বারা পোর্তুগিজরা ভারতীয় মুদ্রণযন্ত্রের প্রথম আবিষ্কার (১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে) করে।
প্রশ্নঃ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল নিম্নরূপ –
(১) মানুষের অভ্যন্তরের মানুষটিকে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তুলে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো।
(২) শিক্ষার্থীদের অর্থশাস্ত্র, কৃষিতত্ত্ব প্রকৃতি বিষয়ে ব্যবহারিক বিদ্যাশিক্ষাদান ও বিশ্বভারতীয় চতুর্দিকে তার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা।
বিভাগ ‘ঘ’
৪) ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ বাংলার মুদ্রণশিল্পের অগ্রগতিতে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর অবদান কী ছিল?
উত্তরঃ উনিশ শতকের বাংলার নিম্নমানের মুদ্রণশিল্প উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পরীক্ষানিরীক্ষার ফলশ্রুতিতে রঙিন ছবি ছাপার যুগে প্রবেশ করে।
ইউ রায় অ্যান্ড সন্সঃ বিদেশ থেকে আনা উন্নত মুদ্রণযন্ত্রে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ইউ রায় অ্যান্ড সন্স নামের ঐ ছাপাখানায় তিনি নানা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে মুদ্রণশিল্পের উন্নতি ঘটান।
হাফটোন ব্লকঃ তামা ও দস্তার পাতে অক্ষর বা ছবি খোদাই করে ছাপার ব্লক তৈরি করেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। অন্ধকার ঘরে আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণ লক্ষ করে তিনি হাফটোন ব্লক তৈরির সূত্র উদ্ভাবন করেন।
ছবি ব্যবহারঃ বইয়ের প্রচ্ছদ ও লেখায় ব্যবহৃত ছবির মুদ্রণ উন্নত করার জন্য তিনি নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে গেছেন। একাজে তিনি ডায়াফ্রাম পদ্ধতি, ষাট ডিগ্রি স্ক্রিন, ডায়োটাইপ, স্ক্রিন অ্যাডজাস্টার, রিপ্রিন্ট ইত্যাদির সাহায্য নেন। এর ফলশ্রুতিতে ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় রঙিন ছবি ছাপা হতো তখন থেকেই।
স্টুডিওঃ মুদ্রণশিল্পের উন্নতির জন্য নিজস্ব স্টুডিওতে উপেন্দ্রকিশোর আধুনিক ফটোগ্রাফি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন। এই পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে তিনি শিশু–কিশোরদের উপযোগী বইয়ে সাদা–কালোর যুগে রঙিন ছবি ছাপতে শুরু করেন।
প্রশ্নঃ বসু বিজ্ঞান মন্দিরের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তরঃ ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলার বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশের উদ্দেশ্যে যেসকল প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বসু বিজ্ঞান মন্দির বা বোস ইন্সটিটিউট।
প্রেক্ষাপটঃ খ্যাতনামা বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানচর্চার নিবেদিত প্রাণ। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে নানা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি ভারতে একটি আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন।
প্রতিষ্ঠাঃ জগদীশচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে ১৯১৭ খ্রিঃ কলকাতায় বসুবিজ্ঞান মন্দির বা বোস ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
অর্থব্যয়ঃ জগদীশচন্দ্র বসু মুন্সিগঞ্জের পৈত্রিক সম্পদও বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থের বৃহদংশ বসু বিজ্ঞান মন্দির-এর প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বমানের বিজ্ঞানচর্চার পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ব্যয় করেন। টাকার অভাবে গবেষণার কাজে সমস্যা দেখা দিলে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে অর্থ সাহায্য করেন।
গবেষণাঃ জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর বসু বিজ্ঞান মন্দির-এ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, মাইক্রো-বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিজঙানের বিভিন্ন শাখায় বিশ্বমানের গবেষণার ব্যবস্থা করেন। তিনি এখানকার গবেষণাপত্রগুলি প্রকাশের জন্য পত্রিকাও প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
প্রশ্নঃ উনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশ বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ পাশ্চাত্য শিক্ষার পথ ধরেই উনিশ শতক থেকে ধীরে ধীরে কারিগরি শিক্ষার বিকাশ শুরু হয়। যদিও প্রথম অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার নিজেদের প্রয়োজনেই কারিগরি শিক্ষার বিকাশে আগ্রহী হয়েছিল। ইংরেজরা নিজেদের সামরিক প্রয়োজনে ইলেকট্রিক টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা চালু করে। ঠিক তেমনি দেশের ভৌগোলিক বিস্তারে খুঁটিনাটি জানতে জমি জরিপ ও সমীক্ষা স্কুল গড়ে তোলে ইংরেজ সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে কারিগরি শিক্ষার সুফলের প্রায় অনেকটা ভোগ করেছিল বাংলা তথা ভারতের মানুষেরা।
কারিগরি শিক্ষার বিকাশঃ অচিরেই বাঙালি কারিগররা আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তিবিদ্যা শেখার দিকে মন দেয়। রাজকৃত্ন কর্মকার জলচক্র, বন্দুক, এমনকী মেশিনগান তৈরিতে পারদর্শিতা দেখান। প্রসন্নকুমার ঘোষ কলকাতার প্রথম সাইকেল ও রিক্শা নির্মাণ করেন। বিপিনবিহারী দাস ভারতে সর্বপ্রথম একটি মোটরগাড়ি তৈরি করেন।
সরকারি উদ্যোগঃ উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গড়ে ওঠে অসংখ্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেমন টমসন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ক্যালকাটা কলেজ অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুণে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং।
বেসরকারি উদ্যোগঃ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি উদ্যোগে ইন্ডিয়ান এডুকেশন পলিসি প্রযুক্তি শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় কারিগরি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে একটি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠে। কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুরে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয়।
এইভাবে উনিশ শতকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠে একাধিক কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র যা কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক বিকাশ ঘটায়। এক্ষেত্রে ডন সোসাইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডন সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষানবিশদের যান্ত্রিক কৌশলের বিষয়ে শিক্ষাদান করা হতে থাকে।
প্রশ্নঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীরর সাহিত্য প্রতিভা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ শিশুসাহিত্যিক হিসেবে উপেন্দ্রকিশোর আজও সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও সুপরিচিত। নীচে তার সাহিত্য প্রতিভা আলোচিত হলো –
(১) ছাত্রজীবনেই তাঁর সাহিত্যচর্চা শুরু হয়। এইসময় থেকেই তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা, ছড়া, ছোটোদের উপযোগী গল্প লিখতে থাকেন।
(২) সিটি বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেদের রামায়ণ’ উপেন্দ্রকিশোরের লেখা প্রথম গ্রন্থ। এই গ্রন্থের জন্য তিনি কিছু ছবিও এঁকেছিলেন। তবে বইটির মুদ্রণ ছিল নিম্নমানের।
(৩) নিজস্ব ছাপাখানা থেকে তিনি একের পর এক বই প্রকাশ করতে থাকেন। তাঁর লেখা এই বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘ছেলেদের মহাভারত’, ‘সেকালের কথা’ ইত্যাদি।
(৪) নিজের ছাপাখানা থেকে তাঁর সম্পাদনায় ছোটোদের জন্য অসাধারণ জনপ্রিয় ‘সন্দেশ’ পত্রিকা প্রকাশ করেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। বর্তমানেও এই পত্রিকা তাঁর পরিবারের সম্পাদনায়ই চলছে।
বিভাগ ‘ঙ’
৫) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ উনিশ শতকে বাংলায় ছাপাখানার ব্যবসায়িক উদ্দ্যোগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
উত্তরঃ ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার সূত্র ধরে বাংলায় শিক্ষা প্রসারের কারণে মুদ্রণশিল্পের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এজন্য বাংলায় নতুন নতুন ছাপাখানা গড়ে উঠল। একশ্রেণির শিক্ষিত বাঙালি মুদ্রণশিল্পকে পেশা হিসেবে বাছতে উদ্যোগী হয়।
ছাপাখানার ব্যবসায়িক উদ্যোগ
অনারেবল কোম্পানিজ প্রেসঃ ১৭৮১ সালে উইলকিনস কলকাতায় অনারেবল কোম্পানিজ প্রেস গড়ে তোলেন। এটি ছিল কলকাতার সবথেকে ব্যস্ত ছাপাখানা।
শ্রীরামপুর মিশন প্রেসঃ ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে কেরি, মার্শ ও ওয়ার্ড শ্রীরামপুর মিশন প্রেস স্থাপন করেন। এটি ছিল এশিয়ার বৃহত্তম ছাপাখানা।
গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যঃ গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য প্রথম বাঙালি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা। প্রথম সচিত্র বাংলা বই ‘অন্নদামঙ্গল’ তিনি প্রকাশ করেন।
ইস্টার্নহোপ প্রেসঃ ১৮৪০ সালে ঈশ্বরীপ্রসাদ বসু এটি স্থাপন করেন। এখান থেকে ‘বামাবোধিনী’ পত্রিকা ছাপা হতো।
গুপ্ত প্রেসঃ ১৮৬১ সালে দুর্গাচরণ গুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেন গুপ্ত প্রেস। এখানে ছাপা পথ্বিকা আজও সকলের ঘরে ঘরে সমাদৃত।
বি. পি. এমস প্রেসঃ বরদাপ্রসাদ মজুমদার গড়ে তোলেন এই ছাপাখানা। তিনি জমিদারি ছেড়ে দিয়ে ‘নোটবই’-এর ব্যাবসা শুরু করেন। অন্য বাঙালিদের মধ্যে বেণীমাধব দে, মথুরানাথ তর্করত্ন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্নঃ বাংলার ছাপাখানার সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক কী ছিল?
উত্তরঃ ভারতবর্ষে শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন টোল, বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এর যেমন ভূমিকা রয়েছে এক্ষেত্রে ছাপাখানার ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। উনিশ শতক থেকে বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ শুরু হলে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ, সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র–এর প্রকাশ শুরু হয়। এর সুবাদে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান তথা শিক্ষার বিস্তার ঘটতে শুরু করে আর এই কারণেই ছাপাখানার সাথে শিক্ষাবিস্তারের এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধঃ ছাপাখানার প্রসার ঘটলে ছাপা বইয়ের সংখ্যা বাড়ে, শুরু হয় শিক্ষাবিস্তার। বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বইটি হলো জোনাথন ডানকান অনূদিত ‘মফসসল দেওয়ানি আদালত সকলের ও সদর দেওয়ানি আদালতের বিচার ও ইনসাফ চলা হইবার কারণ ধারা ও নিয়ম’।
পাঠ্যপুস্তকঃ বাংলার ছাপাখানাগুলিতে স্কুল, কলেজের ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য প্রচুর পরিমাণে পাঠ্যপুস্তক ছাপা হতে থাকে। এই ছাপাখানায় মুদ্রিত বইপত্রের সুন্দর মুদ্রণ এবং দাম কম হওয়ায় সাধারণ ঘরের ছাত্র–ছাত্রীদের হাতে পৌঁছানোও সম্ভব হতো। জনপ্রিয় এই সকল গ্রন্থ শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল যা বাংলার ছাপাখানার সঙ্গে সমকালীন শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক নির্ণয়ে সহায়ক হয়েছিল।
অন্যান্য গ্রন্থঃ ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও প্রসারের পর থেকে বাংলায় ‘বাইবেল’, ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’, বিভিন্ন প্রাচীন ভারতীয় ধর্মীয় সাহিত্য শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষাদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
সংবাদপত্রাদিঃ সমকালীন ছাপাখানাগুলি থেকে বাংলা ও ইংরেজিতে বেশ কিছু সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র প্রকাশিত হতে থাকে যা পাঠকসমাজকে ছাপাখানা শিল্পের প্রতি মনোযোগী করে তোলে। আর এইভাবেই সমকালীন ছাপাখানাগুলি শিক্ষাবিস্তারের পরিবেশ স্থাপনেও সহায়তা করে।
উপরের আলোচনায় স্পষ্ট যে উনিশ শতকের প্রথম দিকে বাংলায় শিক্ষাবিস্তারের সূচনা ও প্রসার ঘটাতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বাংলার ছাপাখানায় মুদ্রিত গ্রন্থাবলি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের সহজ পথ দেখিয়েছিল আর এইভাবেই বাংলার ছাপাখানার সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগ বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে একটি উৎকৃষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঔপনিবেশিক শিক্ষাধারার সমালোচনা করেন এবং শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচার্যাশ্রম নামক এক বিদ্যালয় ও পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী স্থাপন করে এক বিকল্প শিক্ষাব্যস্থার সূচনা করেন।
(১) বিদ্যার সাধনাঃ রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বিদ্যা উদ্ভাবন, গৌণ উদ্দেশ্য হল বিদ্যাদান। বিশিষ্ট শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যার সাধনা ও বিদ্যার বিকাশ ঘটান। তাই রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদ্যার ঘটান। তাই রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদ্যার সাধনার ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন।
(২) তিন নীতিঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর এই নতুন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রকৃতির সঙ্গে যোগ রেখে মনের চর্চার ওপর গুরুত্ব দেন এবং তিনটি নীতি প্রয়োগ করেন যথা – অবাধ স্বাধীনতা, অবাধ চলাফেরা ও খেলাধুলা।
(৩) আন্তর্জাতিক খ্যাতিঃ বিভিন্ন কৃতী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। দেশবিদেশের বহু মূল্যবান গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার সমন্বয়ে বিশ্বভারতীয় গ্রন্থাগার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
(৪) উৎপাদন-শিক্ষাঃ শিক্ষার্থীদের অর্থশাস্ত্র, কৃষিতত্ত্ব, নানা ব্যাব্যহারিক বিদ্যাশিক্ষা ও বিশ্বভারতীর চতুর্দিকে তার প্রয়োগের ব্যবস্থা করাও ছিল তাঁর চিন্তা ভাবনার বিভিন্ন দিক। এরই সূত্র ধরে শ্রীনিকেতনের প্রতিষ্ঠা করা হয়।
(৫) শিল্পকলার উন্নতিঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় সংগীত ও চিত্রকলার উন্নতির গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
(৬) ভারতীয় আদর্শঃ শান্তিনিকেতনকে কেন্দ্র করে ভারতের আদর্শ ও বাণী বিশ্বে তুলে ধরার লক্ষ্যেই তিনি বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন।
(৭) সাংস্কৃতিক বিষয়ঃ প্রকৃতি থেকে আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষার পাশাপাশি কলা, নৃত্য, নাটক, সংগীত, অঙ্কন প্রভৃতি উন্নত সাংস্কৃতিক বিষয়কে পাঠক্রমে রাখা হয়।
(৮) খ্যাতনামা শিক্ষকঃ রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীয় শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় চরম উৎকর্ষতা আনার উদ্দেশ্যে দেশবিদেশের বহু খ্যাতনামা পন্ডিতকে এখানে শিক্ষকতা করতে আসার আমন্ত্রণ জানান।