LATEST PRESS RELEASE
শিরোনাম
প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনস্ – এ ব্রোঞ্জ পদক জয়ের জন্য স্বপ্নিল কুসালে-কে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
ওয়েনাড়ে ভূমিধ্বসে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও প্রশিক্ষক অংশুমান গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর
ভারতে ৪৬তম বিশ্ব হেরিটেজ কমিটির ঐতিহাসিক বৈঠক
নতুন ফৌজদারি আইনের উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ
==বিস্তারিত==
প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনস্ – এ ব্রোঞ্জ পদক জয়ের জন্য স্বপ্নিল কুসালে-কে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত: 01 AUG 2024 2:38PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ অগাস্ট, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্যারিস অলিম্পিক্স ২০২৪-এ ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনস্ – এ ব্রোঞ্জ পদক জয়ের জন্য স্বপ্নিল কুসালে-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন:
“স্বপ্নিল কুসালের ব্যতিক্রমী ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন! প্যারিস অলিম্পিক্স ২০২৪স-এ পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনস্ – এ ব্রোঞ্জ পদক জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন।
তাঁর এই সাফল্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য, কারণ, তিনি সহনশীলতা এবং দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি এই বিভাগে প্রথম পদক জয়লাভ করলেন।
প্রত্যেক ভারতীয় এই পদক জয়ে অত্যন্ত আনন্দিত।”
PG/MP/SB
(রিলিজ আইডি: 2040225)
======================================================================
প্রতিরক্ষামন্ত্রক
ওয়েনাড়ে ভূমিধ্বসে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ
প্রকাশিত: 01 AUG 2024 10:31AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ অগাস্ট, ২০২৪
কেরলের ওয়েনাড়ে সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিধ্বসের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীই প্রথম ৩০ জুলাই, ২০২৪ – এর খুব ভোর থেকে এনডিআরএফ এবং রাজ্য প্রশাসন সহ অন্য সংস্থার সঙ্গে মিলে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ শুরু করে।
বিমান বাহিনীর পণ্যবাহী বিমানগুলি উদ্ধার কাজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র, সামগ্রী, সরঞ্জাম সরবরাহে বড় ভূমিকা নেয়। সি-১৭ – এর সাহায্যে ৫৩ টন বেইলি ব্রিজ, ডগ স্কোয়াড, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সামগ্রী পরিবহণ করে উদ্ধার কাজে সাহায্য করার জন্য। এছাড়াও, এএন-৩২ এবং সি-১৩০’কে ব্যবহার করা হয় আধিকারিক এবং ত্রাণ সামগ্রী পরিবহণের জন্য। সবমিলিয়ে বিমান বাহিনীর এই বিমানগুলি প্রায় ২০০-রও বেশি উদ্ধারকারী এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বিপর্যয়-স্থল থেকে আনা-নেওয়া করে। প্রতিকূল আবহাওয়াতেও বিমান বাহিনী সময়-সুযোগ বুঝে মানবিক সাহায্য এবং ত্রাণ পৌঁছে দেয়।
বিমান বাহিনী এই কাজে নানাধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। এমআই-১৭ এবং ধ্রুব অ্যাডভান্সড্ লাইট হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয় ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও বিমান বাহিনীর বিমানগুলি বিধ্বস্ত জায়গাগুলি থেকে মানুষজনকে হাসপাতালে এবং নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। এছাড়াও, জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করে ৩১ জুলাই, ২০২৪ – এর সন্ধ্যা পর্যন্ত। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এই হেলিকপ্টারগুলি ভূমিধ্বস বিধ্বস্ত এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ করছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী কেরলের ভূমিধ্বস বিধ্বস্ত মানুষকে সবরকম সহায়তা পৌঁছে দিতে দায়বদ্ধ।
PG/AP/SB…
(রিলিজ আইডি: 2040008)
==============================================================
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও প্রশিক্ষক অংশুমান গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত: 31 JUL 2024 11:59PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।
শ্রী মোদী বলেছেন, শ্রী অংশুমান গায়কোয়াড় জি ক্রিকেটে তাঁর অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় এবং একজন অনন্যসাধারণ প্রশিক্ষক।
এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন :
“শ্রী অংশুমান গায়কোয়াড় জি ক্রিকেটে তাঁর অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় এবং একজন অনন্যসাধারণ প্রশিক্ষক। তাঁর মৃত্যুতে বেদনাহত। তাঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।”
PG/MP/NS…
(রিলিজ আইডি: 2040230)
==============================================================
সংস্কৃতিমন্ত্রক
ভারতে ৪৬তম বিশ্ব হেরিটেজ কমিটির ঐতিহাসিক বৈঠক
প্রকাশিত: 31 JUL 2024 3:58PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই, ২০২৪
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থল সংরক্ষণে ভারতের অঙ্গীকারের কথা ফের দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন। ৪৬তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকের সফল সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে ঐতিহ্যবাহী স্থলগুলির সংরক্ষণে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এই প্রথম ২১ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকের আয়োজন করেছিল ভারত। নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের সঙ্গে মিলিতভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। ২১ জুলাই বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে ৪৬তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। “বিকাশ ভি, বিরাসত ভি”- তাঁর এই ভাবনাকে সামনে রেখে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের জন্য ১ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, গত ১০ বছরে ভারত আধুনিক উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। কাশী বিশ্বনাথ করিডর, অযোধ্যার রাম মন্দির, প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ক্যাম্পাসের মতো বহু ঐতিহ্যবাহী স্থলের সংরক্ষণের কথা তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথাবার্তার সময় শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, ১৯টি সাংস্কৃতিক, ৪টি প্রাকৃতিক এবং ১টি যৌথ সম্পত্তি সহ ৪৬তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে ২৪টি নতুন বিশ্ব হেরিটেজ স্থলের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আসামের মৈদাম ৪৩তম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থলের স্বীকৃতি পেয়েছে, যা এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। আসামের চড়াইদেও জেলায় অবস্থিত মৈদামে অহম রাজবংশের পবিত্র সমাধিস্থল রয়েছে, যা ষষ্ঠ শতকের সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্যগত উন্নয়নের বার্তা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সম্পত্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতের প্রত্নতাত্বিক সর্বেক্ষণ আইসিসিআরওএম-এর সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যবাহী স্থলগুলির সংরক্ষণে ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শ্রী শেখাওয়াত কাম্বোডিয়ার অ্যাঙ্করভাট, ভিয়েতনামের চাম এবং মায়ানমারের স্তূপের কথা তুলে ধরেন। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য স্থলের সংরক্ষণে ভারতের ৫৬টি সম্পত্তির সম্ভাব্য তালিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
৪৬তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে সংরক্ষণ, আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশ ও সংগঠনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও তথ্যের জন্য নিচের লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করুন :
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2031268
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2038168
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2037604
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2037495
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2039130
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2034693
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2034457
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2033506
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2031567
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2031268
PG/MP/NS…
(রিলিজ আইডি: 2039777)
===============================================================================================================
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 4:32PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলে জন্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতামূলক কাজ রুখতে যেসব কৌশল ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার কয়েকটি নীচে বলা হল:
১. জঙ্গি এবং তাদের মদত দেওয়ার জন্য তৈরি কাঠামোগুলির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কার্যকর সুস্থিত অভিযান।
২. সরকারের সামগ্রিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে সন্ত্রাসের কাঠামো ধ্বংস করা।
৩. সন্ত্রাসে অর্থের যোগান বন্ধ করার লক্ষ্যে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার আওতায় জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং দেশ বিরোধী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
৪. প্রতিরোধমূলক কাজ হিসেবে সন্ত্রাসের সমর্থকদের চিহ্নিত করা এবং তারা কীভাবে সন্ত্রাসে মদত যোগাচ্ছে তা জানতে তদন্ত করা।
৫. অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বহুমুখী কৌশল।
৬. সন্ত্রাসদমন গ্রিডের পরিধি বাড়ানো।
৭. নিরাপত্তা সরঞ্জামের আধুনিকীকরণ এবং সেগুলি আরও কার্যকর করে তোলার উপর বিশেষ নজর।
৮. বিশেষ বিশেষ এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নাকার ব্যবস্থা।
৯. সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় চিরুনি তল্লাশি অভিযান তীব্রতর করা।
১০. জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত প্রতিটি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সর্বক্ষণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের আদানপ্রদান সুনিশ্চিত করা।
১১. দিনে এবং রাতে এলাকায় টহল।
এইসব কৌশল ও ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সংখ্যা কমেছে। সংগঠিতভাবে পাথর ছোঁড়ার ঘটনার সংখ্যা ২০১৮ সালে ছিল ১ হাজার ৩২৮টি, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা শূন্য। সংগঠিত হরতালের সংখ্যা ২০১৮ সালে ছিল ৫২, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যাও শূন্য। ২০১৮ সালে ২২৮টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এমন ১১টি ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ২০১৮ সালে ছিল ১৮৯টি, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা ২৪। ২০১৮ সালে ৯১ জন নিরাপত্তা কর্মী শহীদ হয়েছিলেন, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ১৪ জন নিরাপত্তা কর্মী। ২০১৮ সালে ৫৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা ১৪।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই তথ্য জানিয়েছেন।
PG/SD/SKD
(রিলিজ আইডি: 2039941)
================================================================================================================
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
নতুন ফৌজদারি আইনের উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ
প্রকাশিত: 30 JUL 2024 4:26PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএস), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএসএস) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম, ২০২৩ (বিএসএ) নিয়ে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ১ জুলাই ২০২৪ থেকে এই আইনগুলি কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন ফৌজদারি আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি সংযোজন ১-এ স্থান পেয়েছে।
জামিন ও বন্ড সংক্রান্ত বিষয়গুলি রয়েছে বিএনএসএস-এর ধারা ৪৭৮ থেকে ৪৯৬-এর মধ্যে।
জেল হাজত নিয়ে জটিলতা এড়াতে বিএনএস ২০২৩ এবং বিএনএসএস ২০২৩-এ কিছু পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।
১) বিএনএসএস-এর ধারা ২৯০-এ জামিনের জন্য আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চার্জ গঠনের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন দাখিল করতে হবে। যে ব্যক্তি অতীতে কখনও অপরাধ করেননি বা দোষী সাব্যস্ত হননি, আদালত এ ধরনের ক্ষেত্রে অভিযু্ক্তের সাজার মেয়াদ কমিয়ে এক-চতুর্থাংশ/ এক-ষষ্ঠাংশ করতে পারে।
২) বিএনএসএস-এর ধারা ৪৭৯ অনুযায়ী, যে ব্যক্তি অতীতে কখনও দোষী সাব্যস্ত হননি, এই প্রথম অপরাধ করেছেন, সে ক্ষেত্রে কোর্ট তাঁকে বন্ডে মুক্তি দিতে পারে, যদি তিনি তাঁর জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ হাজতবাসের মেয়াদের এক-তৃতীয়াংশ সময় আটক থেকেছেন।
৩) বিএনএস ২০২৩-এর ধারা ৪-এ এই প্রথম কমিউনিটি সেবাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
সংযোজন-১
নতুন ফৌজদারি আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি
ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নতুন ফৌজদারি আইন এক গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। সুদক্ষ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই আইনগুলি প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ব্যক্তির অধিকারকে সুরক্ষিত করবে।
১) অনলাইনে ঘটনার রিপোর্ট : থানায় সশরীরে হাজির না হয়ে কোনও ব্যক্তি ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে কোনও ঘটনার অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারেন।
২) যে কোনও থানায় এফআইআর দায়ের: যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও থানায় ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) নথিভুক্ত করতে পারেন। এর ফলে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা দূর হবে।
৩) এফআইআর-এর কপি: অভিযোগকারী ব্যক্তি নিখরচায় এফআইআর-এর কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
৪) গ্রেফতারি নিয়ে তথ্য জানানোর অধিকার : কোনও ব্যক্তি গ্রেফতার হলে, পছন্দ অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর অধিকার রয়েছে তাঁর। এর ফলে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি তাৎক্ষণিক সহায়তা পাবেন।
৫) গ্রেফতারের তথ্য প্রদর্শন : থানা এবং জেলা সদরে এখন থেকে গ্রেফতারির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে, যাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির পরিবার এবং বন্ধুরা প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারেন।
৬) ফরেন্সিক প্রমাণ সংগ্রহ ও ভিডিওগ্রাফি : গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মামলার তদন্তকে জোরদার করতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রমাণ লোপাট আটকাতে ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭) ফাস্ট-ট্র্যাক তদন্ত : মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তথ্য রেকর্ডের দুমাসের মধ্যে তা শেষ করতে হবে।
৮) আক্রান্তের তথ্যের আপডেট : মামলার ৯০ দিনের মধ্যে আক্রান্তকে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে হবে। এর ফলে বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
৯) আক্রান্তের নিখরচায় চিকিৎসা : মহিলা ও শিশু আক্রান্তের ক্ষেত্রে সমস্ত হাসপাতালে তাদের বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১০) ইলেকট্রনিক সমন : এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সমন পাঠানো যাবে। এর ফলে আইনি প্রক্রিয়ার গতি আসবে এবং কাগজপত্রের ঝামেলা কমবে।
১১) মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান : মহিলাদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে আক্রান্ত মহিলার বয়ান মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড করতে হবে। মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে, অন্য এক মহিলার উপস্থিতিতে পুরুষ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান নথিভুক্ত করা যাবে।
১২) পুলিশ রিপোর্ট ও অন্যান্য নথি সরবরাহ : অভিযুক্ত এবং আক্রান্ত, দুজনই এফআইআর, পুলিশ রিপোর্ট/চার্জশিট, বিবৃতি, অপরাধ স্বীকার এবং অন্যান্য নথি ১৪ দিনের মধ্যে পাওয়ার অধিকারী।
১৩) সীমিত স্থগিতাদেশ : মামলার শুনানিতে অহেতুক বিলম্ব এড়াতে আদালত সর্বোচ্চ দুবার শুনানি স্থগিতের নির্দেশ জারি করতে পারে।
১৪) সাক্ষীর সুরক্ষা : নতুন আইনে সাক্ষীর সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৫) লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তি : লিঙ্গের সংজ্ঞায় এখন রূপান্তরকামীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৬) ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মামলার প্রক্রিয়া : ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মামলার সমস্ত প্রক্রিয়া চালানো যাবে। এতে আক্রান্ত, সাক্ষী এবং অভিযুক্ত প্রত্যেকেই সুবিধা পাবেন।
১৭) বয়ানের অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং : আক্রান্তকে আরও সুরক্ষা দিতে অডিও-ভিডিও বয়ান নেওয়ার ব্যবস্থ রাখা হয়েছে, বিশেষত ধর্ষণের অপরাধের ক্ষেত্রে।
১৮) থানায় যাওয়া থেকে অব্যাহতি : মহিলা, ১৫ বছরের নীচে ব্যক্তি, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী বা গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে থানায় সশরীরে উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
১৯) মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ : বিএনএস-এ একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে বিশেষভাবে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে সুরক্ষা এবং ন্যায় বিচারের উপর নজর দেওয়া হয়েছে।
২০) লিঙ্গ-নিরপেক্ষ অপরাধ : বিএনএস-এ মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে লিঙ্গ-নিরপেক্ষতা আনা হয়েছে, যাতে লিঙ্গ নির্বিশেষে সমস্ত আক্রান্তকে আওতায় আনা যায়।
২১) কমিউনিটি সেবা : নতুন আইনে ছোট ছোট অপরাধের ক্ষেত্রে কমিউনিটি সেবা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অপরাধী সমাজের প্রতি ইতিবাচক দায়বদ্ধতা পালন করতে পারেন, তার ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন এবং শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন গড়ে তুলতে পারেন।
২২) অপরাধের জন্য জরিমানা : অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী কিছু কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে অপরাধ থেকে বিরত থাকেন এবং আইনি ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের যাতে আস্থা বজায় থাকে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
২৩) আইনি প্রক্রিয়ার সরলীকরণ : স্বচ্ছ ও ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়া সরল করা হয়েছে।
২৪) দ্রুততর ও স্বচ্ছতার প্রস্তাব : নতুন আইনে মামলায় দ্রুততা ও স্বচ্ছতার প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যাতে আইনি ব্যবস্থার প্রতি আস্থা গড়ে ওঠে।
লোকসভায় আজ এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী বান্ডি সঞ্জয় কুমার।
PG/ MP /AG
(রিলিজ আইডি: 2039389)