Madhyamik Physical Science Suggestion – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
আলো (অধ্যায়-৫) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর |
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1)
- মানুষের চোখের নিকট বিন্দু ও দূরবিন্দু দুটির দূরত্ব যথাক্রমে – a. 50 cm,অসীম b. 25 cm, 50 cm c. 0, 25 Cm d. 25 cm, অসীম
উত্তরঃ[d] 25 cm, অসীম
- যখন আমরা চোখ দিয়ে দেখি,তখন রেটিনাতে বস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিতহয় তা হল – a. সদ, অবশীর্ষ b. অসদ, সমশীর্ষ c. অসদ, অবশীর্ষ d. সদ, সমশীর্ষ
উত্তরঃ[a] সদ, অবশীৰ্ষ
- এক ব্যক্তি লাল রঙের জামা এবং সাদা রঙের প্যান্ট পরে আছে। নীল আলোকে জামা ও প্যান্টের রং হবে যথাক্রমে – a. লাল এবং সাদা b. নীল এবং সাদা c. কালো এবং নীল d. লাল এবং নীল
উত্তরঃ[c] কালো এবং নীল
- আলোর তড়িম্বকীয় তত্ত্বের জনক – a. ম্যাক্স প্ল্যাক b. ম্যাক্সওয়েল c. নিউটন d. হাইগেনস
উত্তরঃ[b] ম্যাক্সওয়েল
- উত্তল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব হবে – a. সমশীর্ষ ও ক্ষুদ্র b. সমশীর্ষ ও বড়ো c. অবশীর্ষ ও ক্ষুদ্র d. অবশীর্ষ ও বড়ো
উত্তরঃ[a] সমশীর্ষ ও ক্ষুদ্র
- মোটর গাড়ির হেডলাইটে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়? – a. সমতল দর্পণ b. উত্তল দর্পণ c. অবতল দর্পণ d. অধিবৃত্তীয় দর্প
উত্তরঃ[d] অধিবৃত্তীয় দর্পণ
7.একটি অবতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ 10 cm হলে ফোকাস দৈর্ঘ্য হবে – a. 10 cm b. 5 cm c. 20 cm d. 15 c
উত্তরঃ[b] 5 cm
- গাড়ির পিছনের দৃশ্য দেখার জন্য চালকের সামনে যে দর্পণ ব্যবহার করা হয় তা হল – a. অবতল b. সমতল c. উত্তল d. অধিবৃত্তাকার
উত্তরঃ[c] উত্তল
- সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পরেও কিছুক্ষণ সূর্যকে দেখা যায়। এর কারণ, আলোকের – a. বিছুরণ b. বিক্ষেপণ c.প্রতিফলন d. প্রতিসরণ
উত্তরঃ[d] প্রতিসরণ
- একটি আলোকরশ্মি ঘনতর মাধ্যমে প্রবেশ করলে – a. কম্পাক বাড়ে b. তরঙ্গদৈর্ঘ্য বাড়ে c. বেগ কমে d. অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলনহতে পারে
উত্তরঃ[c] বেগ কমে
- একটি রশ্মি বায়ু থেকে কাচের ফলকে প্রবেশ করলে এর – a. তরঙগদৈর্ঘ্য কমে যায় b. তরঙ্গগদৈর্ঘ্য বেড়ে যায় c. কম্পাঙ্ক বেড়ে যায় d. তরঙগদৈর্ঘ্য এবং কম্পাঙ্ক উভয়ই
উত্তরঃ[a] তরঙ্গগদৈর্ঘ্য কমে যায়
- প্রিজমে নীচের কোন বর্ণের আলোর চ্যুতি সর্বাপেক্ষা বেশি? – a. হলুদ b. নীল c. সবুজ d. কমলা
উত্তরঃ[b] নীল
- একটি সমান্তরাল কাচ ফলকের ফোকাস দূরত্ব হল – a. শূন্য b. 100 cm c. 200 cm d. অসীম
উত্তরঃ[d] অসীম
- উত্তল লেন্স দ্বারা গঠিত কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের ক্ষেত্রে কোনটি সম্ভব নয়? – a. বিবর্ধিত, সমশীর্ষ b. খর্বাকৃতি, সমশীর্ষ c. বিবর্ধিত, অবশীৰ্ষ d. খর্বাকৃতি, অবশির্ষ
উত্তরঃ[b] খর্বাকৃতি, সমশীর্ষ
- বস্তুর সকল অবস্থানেই অসদ এবং সমশীর্য প্রতিবিম্ব গঠন করতে পারে – a. উত্তল লেন্স b. অবতল লেন্স c. অবতল দর্পন d. কোনোটিই নয়
উত্তরঃ[b] অবতল লেন্স
শূন্যস্থান পূরণ করো: (মান – 1) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটিযুক্ত চোখে________ ক্ষমতাযুক্ত চশমা ব্যবহারকরে ত্রুটিমুক্ত করা হয়।
উত্তরঃ[ধনাত্মক]
2.লেন্সের দুটি বক্রতা কেন্দ্রের সংযোগী সরলরেখাকে লেন্সটির________ বলে।
উত্তরঃ[বক্রতা কেন্দ্র]
- দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের বিভেদতলে একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর প্রতিসরণ হলে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা________ ।
উত্তরঃ[ধ্রুবক]
- যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও দুই দিক ক্রমশ সরু তাকে________ লেন্স বলে।
উত্তরঃ[উত্তল]
- উত্তল লেন্সে বস্তু অসীমে থাকলে, প্রতিবিম্ব________ অবস্থান করে।
উত্তরঃ[ফোকাসে]
সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো: (মান – 1) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- সুস্থ মানুষের চোখের দূর বিন্দুর অবস্থান 100 cm [F]
- উপাক্ষীয় রশ্মির ক্ষেত্রে = [F]
- প্রিজমের যে-কোনো প্রান্তরেখার বিপরীত তলকে প্রিজমের ভূমি বলে। [T]
- স্বল্পসৃষ্টি ত্রুটি যুক্ত চোখে ঋণাত্মক চশমা ব্যবহার করা হয়। [T]
- রঙিন কাচ মিহিভাবে চূর্ণ করলে বেগুনি দেখায়। [T]
- দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যার পাল্ল 410-7m 8 10-7। [T]
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গগদৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য প্রায় 4000 A থেকে 8000 A পর্যন্ত বিস্তৃত।
- শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগের মান কত?
উত্তরঃ 3 108ms-1 ।
- – রশ্মির একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ রেডিয়োথেরাপিতে রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
- একগুচ্ছ লাল গোলাপফুলকে নীল আলোয় দেখলে কী রং দেখাবে?
উত্তরঃ কালো ।
- দন্ত চিকিৎসক কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন ?
উত্তরঃ অবতল দর্পণ ।
- সুস্থ ব্যক্তির নিকট বিন্দুর দূরত্ব কত?
উত্তরঃ 25 cm ।
- দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটির ক্ষেত্রে কী ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স।
- দীর্ঘদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি কী ধরনের চশমা ব্যবহার করেন?
উত্তরঃ ধনাত্মক ক্ষমতাযুক্ত চশমা।
- সাদা আলো প্রিজমে পড়লে কোন বর্ণের আলো বেশি কোণে বেঁকে যায়?
উত্তরঃ বেগুনি বর্ণের আলো।
- কোন দর্পণ সর্বদা অসদ ও খর্বাকৃতি প্রতিবিম্ব গঠন করে?
উত্তরঃ উত্তল দর্পণ।
- কোন বর্ণের প্রতিসরাংক নিদিষ্ট মাধ্যমের ক্ষেত্রে সর্বাধিক?
উত্তরঃ বেগুনি বর্ণের।
- শূন্যস্থানের পরম প্রতিসরাঙ্ক কত?
উত্তরঃ শূন্যস্থানের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1।
- সমান্তরাল কাচ ফলকে প্রতিসরণের ফলে আপতিত রশ্মির চ্যুতি কত হয়?
উত্তরঃ আপতিত রশ্মির চুতি শূন্য হয়।
- কোন শর্তে উত্তল লেন্স পর্দায় সদ প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে?
উত্তরঃ বস্তু ফোকাস দূরত্বের চেয়ে বেশি দূরত্বে থাকলে।
- জলের ভিতরে উৎপন্ন বায়ু বুদবুদ অভিসারী না অপসারী লেন্সের মতো আচরণ করে?
উত্তরঃ অপসারী লেন্সের মতো আচরণ করে।
- লেন্সের আলোককেন্দ্রের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তরঃ লেন্সের আলোককেন্দ্র দিয়ে নির্গত রশ্মি কোনো চুতি হয় না।
- বিবর্ধক কাচে কী ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স।
- ক্যামেরায় কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স বা উত্তল লেন্স সমবায়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- ফোকাস কাকে বলে?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণের ওপর একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে দর্পণের উপর পড়লে প্রতিফলনের পর তারা প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তাকে মুখ্য ফোকাস বা ফোকাস বলে।
- আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ আলোকরশ্মি যখন একটি সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে ভিন্ন ঘনত্বের অপর একটি সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের ওপর তির্যকভাবে পড়ে তখন ওই দ্বিতীয় মাধ্যমের বিভেদতল থেকে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে। ওই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
- প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের সঙ্গে যে কোন উৎপন্ন করে তাকে প্রতিসরণ কোণ বলে।
- প্রতিসারক কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিসারক কোণ : দুটি প্রতিসারক তল মিলিত হয়ে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে প্রিজমের প্রতিসারক কোণ বলে।
- লেন্সের বক্রতা ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তরঃ বক্রতা ব্যাসার্ধ (Centre of curvature) : লেন্সের কোনো গোলীয় তল যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে।
- অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
উত্তরঃ অবতল লেন্স আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে বলে অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে। মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কে লেন্সের উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের চেয়ে বেশি হলে উত্তল লেন্স অপসারী লেন্সের মতো এবং অবতল লেন্স অভিসারী লেন্সের মতো আচরণ করে।
- ফোকাস দূরত্ব কাকে বলে? অথবা, উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলতে কী বোঝো? চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তরঃ লেন্সের আলোক কেন্দ্র থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব (OF) বলে। একে ‘ f ‘ চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- সূর্যের আলোয় সবুজ পাতা সবুজ দেখায় কেন?
উত্তরঃ সবুজ পাতার ওপর সাদা আলো পড়লে পাতাগুলি সবুজবর্ণের আলো ছাড়া অন্য সকল বর্ণের আলো শোষণ করে নেয় কিন্তু সবুজ বর্ণের আলোকে প্রতিফলিত করে ফলে পাতাগুলি সবুজ দেখায়।
- নীল কাচের মধ্য দিয়ে তাকালে একটি লাল ফুলকে কালো দেখায় কেন?
উত্তরঃ লাল ফুল সাদা আলোর কেবলমাত্র লাল বর্ণের প্রতিফলিত করে, বাকি বর্ণগুলি শোষণ করে। লাল ফুল থেকে নির্গত লাল বর্ণ নীল কাচ কর্তৃক শোষিত হওয়ায় চোখে কোনো আলো এসে পৌছায় না। তাই নীল কাচের মধ্য দিয়ে তাকালে। লাল ফুলকে কালো দেখায়।
- তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ কম্পাঙ্ক : এক সেকেন্ডে কোনো মাধ্যমের মধ্যে যতগুলি পূর্ণতরঙ্গেগর সৃষ্টি হয়—সেই সংখ্যাকেই ওই তরঙ্গেগর কম্পাঙ্ক বলে। কম্পাঙ্কের SI একক হল হার্জ (hertz বা Hz)।
- আলোর বিক্ষেপণ কাকে বলে?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় অণু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট সূর্যালোক শোষণ করে এবং শোষিত আলোকরশ্মিকে চর্তুদিকে বিস্তার ঘটায়, এই পদ্ধতিতে আলোর চারদিকে বিস্তৃত হওয়াকেই আলোর বিক্ষেপণ বলে।
- কোনো সবুজ বস্তুকে সাদা আলোর দ্বারা আলোকিত করলে সবুজ দেখায় কেন? বস্তুটিকে হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুটির রং কী দেখাবে?
উত্তরঃ সবুজ বস্তুর উপর সাদা আলো পড়লে বস্তুটি সবুজ বর্ণের আলো প্রতিফলিত করে। এবং অন্যান্য বর্ণের আলো শোষণ করে। সেজন্য বস্তুটিকে সবুজ দেখায়। বস্তুটিকে হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুটি ওই আলো শোষণ করে নেবে। ফলে বস্তুটিকে কালো দেখাবে।
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর : (মান – 3) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
- প্রতিসরাংক কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিসরাক : একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলো ও দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের জন্য প্রথম মাধ্যমে আপতন কোণের Sine ও দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রসরণ কোণের Sine -এর অনুপাতকে প্রতিসরাকে বলা হয়। চিহ্ন দ্বারা প্রতিসরাককে প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ,
- একটি একবণী আলোক রশ্মিগুচ্ছ শূন্যস্থান থেকে প্রতিসরাঙ্কের কোনো মাধ্যমে প্রতিসৃত হল। আপতিত তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও প্রতিসৃত তরঙ্গগদৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ?
অথবা,
আপতিত আলো এবং প্রতিসৃত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অনুপাত হল মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক-ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আমরা জানি ,কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক = যেখানে c ও v হল যথাক্রমে শূন্য মাধ্যমে ও উক্ত মাধ্যমে আলোর বেগ। আবার, তরঙ্গবে = তরঙ্গের কম্পাঙ্ক তরঙ্গদৈর্ঘ্য হওয়ায়
= = = , যেখানে ও হল যথাক্রমে শুন্য মাধ্যমে উক্ত মাধ্যমের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
∴ প্রতিসরাঙ্ক হল আপতিত আলো প্রতিসৃত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যর অনুপাত।
- ও অবতল লেন্সের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
উত্তল লেন্স
অবতল লেন্স
- এই লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও দুইপ্রান্ত ক্রমশ সরু।
- এই লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্ত ক্রমশ মোটা।
- উত্তল লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিতে পরিণত করে।
- অবতল লেন্স সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিতে পরিণত করে।
- স্নেলের সূত্রের সাহায্যে আলোর বিছুরণের ব্যাখ্যা দাও।
Ans স্নেলের সূত্রানুযায়ী = ধ্রুবক (i = আপতণ কোণ, r = প্রতিসরণ কোণ) এই দ্রুবকটিকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে। এই প্রতিসরাঙ্কের মান- (i) আপতিত রশ্মির বর্ণের ওপর এবং (ii) প্রথম ও দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। এখন শূন্য বা বায়ু মাধ্যমে প্রতিটি বর্ণের আলোর বেগ সমান হলেও কোনো আলোকীয় মাধ্যমে ভিন্ন বর্ণের আলোর বেগ ভিন্ন হয়। দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে বেগুণি আলোর জন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সর্বোচ্চ ও লাল আলোর জন্য সর্বনিম্ন হয়। প্রতিসরাকের এই পরিবর্তনের জন্য প্রতিসরণের ফলে ভিন্ন বর্ণের আলো ভিন্ন কোণে বেঁকে যায়। একই আপতন কোণের জন্য তাই সাদা আলোর মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন বর্ণের আলোর প্রতিসরণ বিভিন্ন হয়। এই কারণে সাদা আলো বিছুরিত হয়।
5.কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে কী বোঝো ?
অথবা,
জলের প্রতিসরাঙ্ক 1.33 বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে বোঝায় যে, কোনো আলোকরশ্মি যখন বায়ু
থেকে কাচে প্রতিসৃত হয় তখন আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত 1.5 হয়। অন্যভাবে বললে শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ এবং কাচ মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত 1.5 অর্থাৎ আলোর বেগের অনুপাত 1.5 অর্থাৎ = 1.5 ।
=======================================================
আলো (অধ্যায়-৫)
শূন্যস্থান পূরণ করো: (মান – 1) দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান – আলো (অধ্যায়-৫) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটিযুক্ত চোখে________ ক্ষমতাযুক্ত চশমা ব্যবহারকরে ত্রুটিমুক্ত করা হয়।
Answer :[ধনাত্মক]
2.লেন্সের দুটি বক্রতা কেন্দ্রের সংযোগী সরলরেখাকে লেন্সটির________ বলে।
Answer :[বক্রতা কেন্দ্র]
- দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের বিভেদতলে একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর প্রতিসরণ হলে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা________ ।
Answer :[ধ্রুবক]
- যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও দুই দিক ক্রমশ সরু তাকে________ লেন্স বলে।
Answer :[উত্তল]
- উত্তল লেন্সে বস্তু অসীমে থাকলে, প্রতিবিম্ব________ অবস্থান করে।
Answer :[ফোকাসে]
সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো: (মান – 1) দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান – আলো (অধ্যায়-৫) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- সুস্থ মানুষের চোখের দূর বিন্দুর অবস্থান 100 cm [F]
- উপাক্ষীয় রশ্মির ক্ষেত্রে = [F]
- প্রিজমের যে-কোনো প্রান্তরেখার বিপরীত তলকে প্রিজমের ভূমি বলে। [T]
- স্বল্পসৃষ্টি ত্রুটি যুক্ত চোখে ঋণাত্মক চশমা ব্যবহার করা হয়। [T]
- রঙিন কাচ মিহিভাবে চূর্ণ করলে বেগুনি দেখায়। [T]
- দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যার পাল্ল 410-7m 8 10-7। [T]
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান – আলো (অধ্যায়-৫) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গগদৈর্ঘ্য কত?
Answer : দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য প্রায় 4000 A থেকে 8000 A পর্যন্ত বিস্তৃত।
- শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগের মান কত?
Answer : 3 108ms-1 ।
- – রশ্মির একটি ব্যবহার লেখো।
Answer : রেডিয়োথেরাপিতে রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
- একগুচ্ছ লাল গোলাপফুলকে নীল আলোয় দেখলে কী রং দেখাবে?
Answer : কালো ।
- দন্ত চিকিৎসক কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন ?
Answer : অবতল দর্পণ ।
- সুস্থ ব্যক্তির নিকট বিন্দুর দূরত্ব কত?
Answer : 25 cm ।
- দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটির ক্ষেত্রে কী ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
Answer : উত্তল লেন্স।
- দীর্ঘদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি কী ধরনের চশমা ব্যবহার করেন?
Answer : ধনাত্মক ক্ষমতাযুক্ত চশমা।
- সাদা আলো প্রিজমে পড়লে কোন বর্ণের আলো বেশি কোণে বেঁকে যায়?
Answer : বেগুনি বর্ণের আলো।
- কোন দর্পণ সর্বদা অসদ ও খর্বাকৃতি প্রতিবিম্ব গঠন করে?
Answer : উত্তল দর্পণ।
- কোন বর্ণের প্রতিসরাংক নিদিষ্ট মাধ্যমের ক্ষেত্রে সর্বাধিক?
Answer : বেগুনি বর্ণের।
- শূন্যস্থানের পরম প্রতিসরাঙ্ক কত?
Answer : শূন্যস্থানের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1।
- সমান্তরাল কাচ ফলকে প্রতিসরণের ফলে আপতিত রশ্মির চ্যুতি কত হয়?
Answer : আপতিত রশ্মির চুতি শূন্য হয়।
- কোন শর্তে উত্তল লেন্স পর্দায় সদ প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে?
Answer : বস্তু ফোকাস দূরত্বের চেয়ে বেশি দূরত্বে থাকলে।
- জলের ভিতরে উৎপন্ন বায়ু বুদবুদ অভিসারী না অপসারী লেন্সের মতো আচরণ করে?
Answer : অপসারী লেন্সের মতো আচরণ করে।
- লেন্সের আলোককেন্দ্রের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Answer : লেন্সের আলোককেন্দ্র দিয়ে নির্গত রশ্মি কোনো চুতি হয় না।
- বিবর্ধক কাচে কী ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়?
Answer : উত্তল লেন্স।
- ক্যামেরায় কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
Answer : উত্তল লেন্স বা উত্তল লেন্স সমবায়।
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান – আলো (অধ্যায়-৫) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- মানুষের চোখের নিকট বিন্দু ও দূরবিন্দু দুটির দূরত্ব যথাক্রমে – a. 50 cm,অসীম b. 25 cm, 50 cm c. 0, 25 Cm d. 25 cm, অসীম
Answer :[d] 25 cm, অসীম
- যখন আমরা চোখ দিয়ে দেখি,তখন রেটিনাতে বস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিতহয় তা হল – a. সদ, অবশীর্ষ b. অসদ, সমশীর্ষ c. অসদ, অবশীর্ষ d. সদ, সমশীর্ষ
Answer :[a] সদ, অবশীৰ্ষ
- এক ব্যক্তি লাল রঙের জামা এবং সাদা রঙের প্যান্ট পরে আছে। নীল আলোকে জামা ও প্যান্টের রং হবে যথাক্রমে – a. লাল এবং সাদা b. নীল এবং সাদা c. কালো এবং নীল d. লাল এবং নীল
Answer :[c] কালো এবং নীল
- আলোর তড়িম্বকীয় তত্ত্বের জনক – a. ম্যাক্স প্ল্যাক b. ম্যাক্সওয়েল c. নিউটন d. হাইগেনস
Answer :[b] ম্যাক্সওয়েল
- উত্তল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব হবে – a. সমশীর্ষ ও ক্ষুদ্র b. সমশীর্ষ ও বড়ো c. অবশীর্ষ ও ক্ষুদ্র d. অবশীর্ষ ও বড়ো
Answer :[a] সমশীর্ষ ও ক্ষুদ্র
- মোটর গাড়ির হেডলাইটে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়? – a. সমতল দর্পণ b. উত্তল দর্পণ c. অবতল দর্পণ d. অধিবৃত্তীয় দর্প
Answer :[d] অধিবৃত্তীয় দর্পণ
7.একটি অবতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ 10 cm হলে ফোকাস দৈর্ঘ্য হবে – a. 10 cm b. 5 cm c. 20 cm d. 15 c
Answer :[b] 5 cm
- গাড়ির পিছনের দৃশ্য দেখার জন্য চালকের সামনে যে দর্পণ ব্যবহার করা হয় তা হল – a. অবতল b. সমতল c. উত্তল d. অধিবৃত্তাকার
Answer :[c] উত্তল
- সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পরেও কিছুক্ষণ সূর্যকে দেখা যায়। এর কারণ, আলোকের – a. বিছুরণ b. বিক্ষেপণ c.প্রতিফলন d. প্রতিসরণ
Answer :[d] প্রতিসরণ
- একটি আলোকরশ্মি ঘনতর মাধ্যমে প্রবেশ করলে – a. কম্পাক বাড়ে b. তরঙ্গদৈর্ঘ্য বাড়ে c. বেগ কমে d. অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলনহতে পারে
Answer :[c] বেগ কমে
- একটি রশ্মি বায়ু থেকে কাচের ফলকে প্রবেশ করলে এর – a. তরঙগদৈর্ঘ্য কমে যায় b. তরঙ্গগদৈর্ঘ্য বেড়ে যায় c. কম্পাঙ্ক বেড়ে যায় d. তরঙগদৈর্ঘ্য এবং কম্পাঙ্ক উভয়ই
Answer :[a] তরঙ্গগদৈর্ঘ্য কমে যায়
- প্রিজমে নীচের কোন বর্ণের আলোর চ্যুতি সর্বাপেক্ষা বেশি? – a. হলুদ b. নীল c. সবুজ d. কমলা
Answer :[b] নীল
- একটি সমান্তরাল কাচ ফলকের ফোকাস দূরত্ব হল – a. শূন্য b. 100 cm c. 200 cm d. অসীম
Answer :[d] অসীম
- উত্তল লেন্স দ্বারা গঠিত কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের ক্ষেত্রে কোনটি সম্ভব নয়? – a. বিবর্ধিত, সমশীর্ষ b. খর্বাকৃতি, সমশীর্ষ c. বিবর্ধিত, অবশীৰ্ষ d. খর্বাকৃতি, অবশির্ষ
Answer :[b] খর্বাকৃতি, সমশীর্ষ
- বস্তুর সকল অবস্থানেই অসদ এবং সমশীর্য প্রতিবিম্ব গঠন করতে পারে – a. উত্তল লেন্স b. অবতল লেন্স c. অবতল দর্পন d. কোনোটিই নয়
Answer :[b] অবতল লেন্স
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2) দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান – আলো (অধ্যায়-৫) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- ফোকাস কাকে বলে?
Answer : গোলীয় দর্পণের ওপর একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে দর্পণের উপর পড়লে প্রতিফলনের পর তারা প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তাকে মুখ্য ফোকাস বা ফোকাস বলে।
- আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
Answer : আলোকরশ্মি যখন একটি সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে ভিন্ন ঘনত্বের অপর একটি সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের ওপর তির্যকভাবে পড়ে তখন ওই দ্বিতীয় মাধ্যমের বিভেদতল থেকে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে। ওই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
- প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে?
Answer : প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের সঙ্গে যে কোন উৎপন্ন করে তাকে প্রতিসরণ কোণ বলে।
- প্রতিসারক কোণ কাকে বলে?
Answer : প্রতিসারক কোণ : দুটি প্রতিসারক তল মিলিত হয়ে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে প্রিজমের প্রতিসারক কোণ বলে।
- লেন্সের বক্রতা ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
Answer : বক্রতা ব্যাসার্ধ (Centre of curvature) : লেন্সের কোনো গোলীয় তল যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে।
- অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
Answer : অবতল লেন্স আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে বলে অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে। মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কে লেন্সের উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের চেয়ে বেশি হলে উত্তল লেন্স অপসারী লেন্সের মতো এবং অবতল লেন্স অভিসারী লেন্সের মতো আচরণ করে।
- ফোকাস দূরত্ব কাকে বলে? অথবা, উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলতে কী বোঝো? চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
Answer : লেন্সের আলোক কেন্দ্র থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব (OF) বলে। একে ‘ f ‘ চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- সূর্যের আলোয় সবুজ পাতা সবুজ দেখায় কেন?
Answer : সবুজ পাতার ওপর সাদা আলো পড়লে পাতাগুলি সবুজবর্ণের আলো ছাড়া অন্য সকল বর্ণের আলো শোষণ করে নেয় কিন্তু সবুজ বর্ণের আলোকে প্রতিফলিত করে ফলে পাতাগুলি সবুজ দেখায়।
- নীল কাচের মধ্য দিয়ে তাকালে একটি লাল ফুলকে কালো দেখায় কেন?
Answer : লাল ফুল সাদা আলোর কেবলমাত্র লাল বর্ণের প্রতিফলিত করে, বাকি বর্ণগুলি শোষণ করে। লাল ফুল থেকে নির্গত লাল বর্ণ নীল কাচ কর্তৃক শোষিত হওয়ায় চোখে কোনো আলো এসে পৌছায় না। তাই নীল কাচের মধ্য দিয়ে তাকালে। লাল ফুলকে কালো দেখায়।
- তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংজ্ঞা দাও।
Answer : কম্পাঙ্ক : এক সেকেন্ডে কোনো মাধ্যমের মধ্যে যতগুলি পূর্ণতরঙ্গেগর সৃষ্টি হয়—সেই সংখ্যাকেই ওই তরঙ্গেগর কম্পাঙ্ক বলে। কম্পাঙ্কের SI একক হল হার্জ (hertz বা Hz)।
- আলোর বিক্ষেপণ কাকে বলে?
Answer : বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় অণু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট সূর্যালোক শোষণ করে এবং শোষিত আলোকরশ্মিকে চর্তুদিকে বিস্তার ঘটায়, এই পদ্ধতিতে আলোর চারদিকে বিস্তৃত হওয়াকেই আলোর বিক্ষেপণ বলে।
- কোনো সবুজ বস্তুকে সাদা আলোর দ্বারা আলোকিত করলে সবুজ দেখায় কেন? বস্তুটিকে হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুটির রং কী দেখাবে?
Answer : সবুজ বস্তুর উপর সাদা আলো পড়লে বস্তুটি সবুজ বর্ণের আলো প্রতিফলিত করে। এবং অন্যান্য বর্ণের আলো শোষণ করে। সেজন্য বস্তুটিকে সবুজ দেখায়। বস্তুটিকে হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুটি ওই আলো শোষণ করে নেবে। ফলে বস্তুটিকে কালো দেখাবে।
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর : (মান – 3) দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান – আলো (অধ্যায়-৫) সাজেশন | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion
- প্রতিসরাংক কাকে বলে?
Answer : প্রতিসরাক : একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলো ও দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের জন্য প্রথম মাধ্যমে আপতন কোণের Sine ও দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রসরণ কোণের Sine -এর অনুপাতকে প্রতিসরাকে বলা হয়। চিহ্ন দ্বারা প্রতিসরাককে প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ,
- একটি একবণী আলোক রশ্মিগুচ্ছ শূন্যস্থান থেকে প্রতিসরাঙ্কের কোনো মাধ্যমে প্রতিসৃত হল। আপতিত তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও প্রতিসৃত তরঙ্গগদৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ?
অথবা,
আপতিত আলো এবং প্রতিসৃত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অনুপাত হল মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক-ব্যাখ্যা করো।
Answer : আমরা জানি ,কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক = যেখানে c ও v হল যথাক্রমে শূন্য মাধ্যমে ও উক্ত মাধ্যমে আলোর বেগ। আবার, তরঙ্গবে = তরঙ্গের কম্পাঙ্ক তরঙ্গদৈর্ঘ্য হওয়ায়
= = = , যেখানে ও হল যথাক্রমে শুন্য মাধ্যমে উক্ত মাধ্যমের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
∴ প্রতিসরাঙ্ক হল আপতিত আলো প্রতিসৃত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যর অনুপাত।
- ও অবতল লেন্সের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
Answer : উত্তল লেন্স
অবতল লেন্স
- এই লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও দুইপ্রান্ত ক্রমশ সরু।
- এই লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্ত ক্রমশ মোটা।
- উত্তল লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিতে পরিণত করে।
- অবতল লেন্স সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিতে পরিণত করে।
- স্নেলের সূত্রের সাহায্যে আলোর বিছুরণের ব্যাখ্যা দাও।
Ans স্নেলের সূত্রানুযায়ী = ধ্রুবক (i = আপতণ কোণ, r = প্রতিসরণ কোণ) এই দ্রুবকটিকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে। এই প্রতিসরাঙ্কের মান- (i) আপতিত রশ্মির বর্ণের ওপর এবং (ii) প্রথম ও দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। এখন শূন্য বা বায়ু মাধ্যমে প্রতিটি বর্ণের আলোর বেগ সমান হলেও কোনো আলোকীয় মাধ্যমে ভিন্ন বর্ণের আলোর বেগ ভিন্ন হয়। দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে বেগুণি আলোর জন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সর্বোচ্চ ও লাল আলোর জন্য সর্বনিম্ন হয়। প্রতিসরাকের এই পরিবর্তনের জন্য প্রতিসরণের ফলে ভিন্ন বর্ণের আলো ভিন্ন কোণে বেঁকে যায়। একই আপতন কোণের জন্য তাই সাদা আলোর মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন বর্ণের আলোর প্রতিসরণ বিভিন্ন হয়। এই কারণে সাদা আলো বিছুরিত হয়।
5.কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে কী বোঝো ?
অথবা,
জলের প্রতিসরাঙ্ক 1.33 বলতে কী বোঝো?
Answer : কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে বোঝায় যে, কোনো আলোকরশ্মি যখন বায়ু
থেকে কাচে প্রতিসৃত হয় তখন আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত 1.5 হয়। অন্যভাবে বললে শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ এবং কাচ মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত 1.5 অর্থাৎ আলোর বেগের অনুপাত 1.5 অর্থাৎ = 1.5 ।
===========================================================
‘ক’ বিভাগ
(১) বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নিচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটা সঠিক সেটা লেখো।
(১.১) বায়ু থেকে কোনো স্বচ্ছ তরলে আলোর প্রতিসরনে আপতন কোন 60⁰ ও প্রকিসরন কোন 45⁰ হলে চ্যুতি কোন –
(a) 10⁰
(b) 30⁰
(c) 15⁰
(d) 20⁰
উত্তর:- (c) 15⁰
(১.২) সাদী আলো বিশুদ্ধ বর্নালির প্রান্তিক বর্ন দুটি হল –
(a) লাল ও সবুজ
(b) বেগুনি ও কমলা
(c) নীল ও আকাশি
(d) লাল ও বেগুনি
উত্তর:- (d) লাল ও বেগুনি
(১.৩) আলোর প্রতিসরনে অপরিবর্তিত থাকে –
(a) আলোর গতিবেগ
(b) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য
(c) কপাঙ্ক
(d) বিস্তার
উত্তর:- (c) কপাঙ্ক
(১.৪) দাঁতের ডাক্তাররা কোন দর্পন ব্যাবহার করে? –
(a) সমতল
(b) অবতল
(c) উত্তল
(d) অধিবৃত্তিয়
উত্তর:- (b) অবতল
(১.৫) মানব চক্ষুর যে অংশে কোন বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় সেটি হল –
(a) রেটিনায়
(b) আয়রিসে
(c) কর্নিয়ায়
(d) অক্ষিলেন্সে
উত্তর:- (a) রেটিনায়
(১.৬) মোটর বাইকে ভিউ-ফাইন্ডার হিসেবে যে দর্পন ব্যবহার হয় তা হল –
(a) সমতল
(b) অবতল
(c) উত্তল
(d) অধিবৃত্তীয়
উত্তর:- (c) উত্তল
(১.৭) প্রিজমে আপতন কোন বাড়লে চ্যুতি কোন –
(a) বাড়ে
(b) কমে
(c) প্রথমে কমে পরে বাড়ে
(d) প্রথমে বাড়ে পরে কমে
উত্তর:- (c) প্রথমে কমে পরে বাড়ে
(১.৮) সুস্থ চোখের নিকট বিন্দুর দূরত্ব প্রায় –
(a) 20cm
(b) 25cm
(c) 30cm
(d) 50cm
উত্তর:- (b) 25cm
(১.৯) অবতল লেন্সের সামনে কোনো বস্তু থাকলে প্রতিবিম্ব দূরত্ব –
(a) সর্বদা বস্তুু দূরত্বের চেয়ে বেশি হবে
(b) সর্বদা বস্তুু দূরত্বের চেয়ে কম হবে
(c) বস্তু দূরত্বের বেশি বা সমান হবে
(d) বস্তু দূরত্বের সমান বা কম হবে
উত্তর:- (b) সর্বদা বস্তুু দূরত্বের চেয়ে কম হবে
(১.১০) বায়ুর সাপেক্ষে জলের প্রতিসারঙ্ক 4/5 হলে জলের সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসারঙ্ক কত হবে –
(a) 3/4
(b) 4/3
(c) 3/5
(d) 5/3
উত্তর:- a) 3/4
‘খ’ বিভাগ
(২) নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :-
(২.১) আলোকরশ্মি প্রতিসারনে আপাতন 0⁰ হলে প্রতিসারন কোনের মান কত?
উত্তর:- 0⁰
(২.২) সোলার কুকারে কোন ধরনের দর্পন ব্যবহৃত হয়?
উত্তর:- অবতল
(২.৩) শূন্যস্থানে আলোর বেগ কত?
উত্তর:- 3×108m/s
(২.৪) কত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো দর্শনের অনুভুতি যোগায়?
উত্তর:- 4000A-8000A
(২.৫) আলো কী ধরনের তরঙ্গ?
উত্তর:- তড়িতচুম্বকীয় তির্যক
(২.৬) ক্যামেরায় বস্তুর সদবিম্ব্ না অসদবিম্ব্ গঠিত হয়?
উত্তর:- সদবিম্ব্
(২.৭) সত্য না মিথ্যা লেখো :-
প্রিযম বর্ন সৃষ্টি করে না।
উত্তর:- সত্য
(২.৮) শূন্যস্থান পুরন করো :-
ক্যামেরার অভিলক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ………..লেন্স।
উত্তর:- উত্তল
(২.৯) সত্য না মিথ্যা লেখো :-
পাতলা লেন্সের আলোক কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে গেলে তার কোনো পার্শ্বসরন কিংবা চ্যুতি হয় না।
উত্তর:- সত্য
(২.১০) শূন্যস্থান পুরন করো :-
সবুজ পাতায় সূর্যালোক আপতিত হলে ………… আলো ব্যতীত সব আলো পাতা শোষন করে।
উত্তর:- সবুজ
‘গ’ বভাগ
৩. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ আলোক উৎস কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ যে বস্তু আলোর নিঃসরণ করে থাকে তাকে আলোক উৎস বলা হয়।
প্রশ্নঃ লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ আলোক কেন্দ্র হইতে লেন্সের ফোকাসের দূরত্বকে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলা হয়।
প্রশ্নঃ ভিট্রিয়াস হিউমারের অবস্থান উল্লেখ করো?
উত্তরঃ চোখের রেটিনা ও চোখের লেন্স এর মধ্যবর্তী অংশে ভিট্রিয়াস হিউমার অবস্থান করে থাকে।
প্রশ্নঃ আলোক শক্তি কোন অনুভূতির সৃষ্টি করে থাকে?
উত্তরঃ দৃষ্টির অনুভূতি আলোক শক্তি সৃষ্টি করে থাকে।
প্রশ্নঃ ফোকাস কাকে বলে?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণের ওপর একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে দর্পণের উপর পড়লে প্রতিফলনের পর তারা প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তাকে মুখ্য ফোকাস বা ফোকাস বলে।
প্রশ্নঃ দীর্ঘ দৃষ্টি সম্পন্ন লোক কে কোন প্রকৃতির লেন্স ব্যবহার করতে হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স ব্যবহার করতে হয়।
প্রশ্নঃ কোন কোন বর্ণ করে প্রাথমিক বর্ণ বলা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ লাল, সবুজ ও নীল বর্ণ কে প্রাথমিক বর্ণ বলা হয়।
প্রশ্নঃ কোন বস্তু লেন্সের ফোকাসে রাখলে তার প্রতিবিম্ব কোথায় তৈরি হবে?
উত্তরঃ বস্তুর প্রতিবিম্ব তৈরি হবে অসীম দূরত্বে।
প্রশ্নঃ আতস কাচে কোন প্রকৃতির লেন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ কোন প্রকারের তরঙ্গ হল আলো?
উত্তরঃ তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ হলো আলো।
প্রশ্নঃ কি ধরনের প্রতিবিম্ব ক্যামেরায় গঠিত হয়?
উত্তরঃ ক্যামেরায় সদ বিম্ব গঠিত হয়।
প্রশ্নঃ লেন্সের ক্ষমতা কে কোন এককে প্রকাশ করা হয়?
উত্তরঃ ডায়পটার এককে প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্নঃ ভিটামিন প্রস্তুতির জন্য কোন রশ্মি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ ইউ ভি রশ্মি ভিটামিন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ আলোকরশ্মি যখন একটি সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে ভিন্ন ঘনত্বের অপর একটি সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের ওপর তির্যকভাবে পড়ে তখন ওই দ্বিতীয় মাধ্যমের বিভেদতল থেকে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে। ওই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
প্রশ্নঃ দন্ত চিকিৎসায় কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ অবতল দর্পণ দন্ত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ আলো কোন প্রকারের তরঙ্গ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ আলো হলো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
প্রশ্নঃ কোন ধরনের লেন্স ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ক্যামেরায় উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ গাড়ির হেডলাইটে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ সাদা আলোর সাতটি রং কে ভেঙে যাওয়ার ঘটনাকে কি বলা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ সাদা আলোর সাতটি রঙে ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলা হয়।
প্রশ্নঃ অতিবেগুনি রশ্মি কোন স্তরে শোষিত হয়ে থাকে?
উত্তরঃ ওজোন স্তরে শোষিত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ আলো কোন প্রকার তরঙ্গ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ আলো হচ্ছে তির্যক তরঙ্গ।
প্রশ্নঃ প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের সঙ্গে যে কোন উৎপন্ন করে তাকে প্রতিসরণ কোণ বলে।
প্রশ্নঃ দিনের বেলায় আলো আকাশ নীল দেখায় কেন?
উত্তরঃ দিনের বেলায় আকাশ নীল দেখার কারণ হচ্ছে আলোর বিক্ষেপণ।
প্রশ্নঃ বর্ণালী প্রকারভেদ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ বর্ণালী দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যথা – নিঃসরণ বর্ণালী ও শোষণ বর্ণালী।
প্রশ্নঃ ফোকাস দৈর্ঘ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণের মেরু হইতে ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দৈর্ঘ্য বলা হয়।
প্রশ্নঃ কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সব থেকে বেশি?
উত্তরঃ লাল বর্ণের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সব থেকে বেশি।
প্রশ্নঃ বিবর্ধক কাচ এর দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো?
উত্তরঃ বিবর্ধক কাচ একটি ব্যবহার হলো বইয়ের ছোট অক্ষর দেখার জন্য এবং অন্যটি হলো ঘড়ি সারাই এর সময় সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি দেখার জন্য বিবর্ধক কাচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ একবর্ণী আলোক রশ্মি বলতে কি বোঝো?
উত্তরঃ একবর্ণী আলোক রশ্মী হল একটিমাত্র আলোক রশ্মী দ্বারা গঠিত রশ্মি কে একবর্ণী আলোক রশ্মী বলে।
প্রশ্নঃ সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধের মান উল্লেখ করো?
উত্তরঃ সমতল দর্পণে বক্রতার ব্যাসার্ধের মান অসীম।
প্রশ্নঃ প্রতিসারক কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ দুটি প্রতিসারক তল মিলিত হয়ে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে প্রিজমের প্রতিসারক কোণ বলে।
প্রশ্নঃ গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস এর সংখ্যা উল্লেখ করো?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস এর সংখ্যা একটি।
প্রশ্নঃ কোন আলোক রশ্মী ভিটামিন প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ UV আলোক রশ্মী ভিটামিন প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ পরিপূরক বর্ণ কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ সাদা বর্ণ যে দুটি বর্ণের মিশ্রণে সৃষ্টি হয়ে থাকে তাদের পরস্পরকে পরিপূরক বর্ণ বলা হয়।
প্রশ্নঃ উত্তল দর্পণে কোন প্রকার প্রতিবিম্ব গঠন করে থাকে?
উত্তরঃ উত্তল দর্পণে অসত সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব গঠন করে থাকে।
প্রশ্নঃ সাদা আলোর বর্ণালীতে মধ্য বর্ণ কোনটি উল্লেখ করো?
উত্তরঃ মধ্য বর্ণ হল হলুদ বর্ণ।
প্রশ্নঃ এক্স রশ্মী ও ওয়াই রশ্মি মধ্যে কার তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হয়?
উত্তরঃ এক্স রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ স্টিলের বাটির ভেতরের পৃষ্ঠ কোন প্রকার দর্পণ এর ন্যায় আচরণ করে থাকে?
উত্তরঃ অবতল দর্পণের ন্যায় আচরণ করে থাকে।
প্রশ্নঃ লেন্সের বক্রতা ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তরঃ লেন্সের কোনো গোলীয় তল যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে।
প্রশ্নঃ দন্ত চিকিৎসায় কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার করে থাকেন?
উত্তরঃ দন্ত চিকিৎসায় অবতল দর্পণ ব্যবহার করে থাকা হয়।
প্রশ্নঃ আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক দৃষ্টান্ত উল্লেখ করো?
উত্তরঃ আলোর বিচ্ছুরণ এর ফলে যে প্রাকৃতিক দৃষ্টান্ত দেখা যায় তা হল রামধনু।
প্রশ্নঃ টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোন তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা রেডিয়ো তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ আলোর প্রতিসরণের জন্য কি দায়ী উল্লেখ করো?
উত্তরলঃ আলোর প্রতিসরণের জন্য স্বচ্ছ বস্তু বা বস্তুর স্বচ্ছতা দায়ী থাকে।
প্রশ্নঃ বর্ণালী কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ বর্ণালী হলো প্রিজম দ্বারা সৃষ্ট রঙ্গিন পটিকাকে বর্ণালী বলা হয়।
প্রশ্নঃ মোটর গাড়ির হেডলাইটে কোন দর্পণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
উত্তরঃ অবতল লেন্স আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে বলে অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে। মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কে লেন্সের উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের চেয়ে বেশি হলে উত্তল লেন্স অপসারী লেন্সের মতো এবং অবতল লেন্স অভিসারী লেন্সের মতো আচরণ করে।
প্রশ্নঃ যেকোনো প্রিজমের প্রতিসারক কোণের মান উল্লেখ করো?
উত্তরঃ যেকোনো প্রিজমের প্রতিসারক কোণের মান ধ্রুবক থাকে।
প্রশ্নঃ রেটিনায় কোন ধরনের প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়ে থাকে?
উত্তরঃ রেটিনায় সদ বিম্ব সৃষ্টি হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ আলোর কোন রশ্মি কে মধ্য বর্ণ বলা হয়?
উত্তরঃ সবুজ রশ্মিকে মধ্য বর্ণ বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ বস্তু সাপেক্ষে লেন্সের কোন পাশে সদ বিম্ব গঠিত হয়ে থাকে?
উত্তরঃ বস্তু লেন্সের যে পাশে থাকে তার বিপরীত পাশে সদ বিম্ব সৃষ্টি হয়।
প্রশ্নঃ বহুবর্ণী আলোক রশ্মী কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ সাদা আলোকে বহু বর্ণী আলোক রশ্মী বলা হয়।
প্রশ্নঃ উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলতে কী বোঝো? চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তরঃ লেন্সের আলোক কেন্দ্র থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব (OF) বলে। একে ‘f ‘ চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্নঃ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম হলে আলোর বিক্ষেপণ কি পরিবর্তন হয়?
উত্তরঃ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম হলে আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয়।
প্রশ্নঃ বস্তু সাপেক্ষে লেন্সের কোন পাশে অসদ বিম্ব গঠিত হয়ে থাকে?
উত্তলঃ লেন্সের যে পাশে বস্তু থাকে ঠিক সেই পাশে অসদ বিম্ব গঠিত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হলে আলোর বিক্ষেপণ কি পরিবর্তন হয়?
উত্তরঃ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হলে আলোর বিক্ষেপণ কম হয়।
প্রশ্নঃ কখন উত্তল লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব অসদ হয়?
উত্তরঃ লেন্সের ফোকাস দূরত্ব থেকে বস্তুর দূরত্ব কম হলে অসদ হয়।
প্রশ্নঃ আলোর কোন রশ্মি ইলেকট্রন কণার স্রোত?
উত্তরঃ এক্স রশ্মী ইলেকট্রন কণা স্রোত।
প্রশ্নঃ সূর্যের আলোয় সবুজ পাতা সবুজ দেখায় কেন?
উত্তরঃ সবুজ পাতার ওপর সাদা আলো পড়লে পাতাগুলি সবুজবর্ণের আলো ছাড়া অন্য সকল বর্ণের আলো শোষণ করে নেয় কিন্তু সবুজ বর্ণের আলোকে প্রতিফলিত করে ফলে পাতাগুলি সবুজ দেখায়।
প্রশ্নঃ আলোর কোন বর্ণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সব থেকে বেশি?
উত্তরঃ আলোর লাল বর্ণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সব থেকে বেশি হয়।
প্রশ্নঃ গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণ টি যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধ কে বক্রতা ব্যাসার্ধ বলা হয়।
প্রশ্নঃ আমাদের চোখের আলোর প্রবেশ এর মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে?
উত্তরঃ চোখের আইরিশ আলোর প্রবেশ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
প্রশ্নঃ বক্রতা কেন্দ্র অবতল দর্পণের কোন দিকে থাকে?
উত্তরঃ বক্রতা কেন্দ্র অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিফলন তল এর সামনের দিকে থাকে।
প্রশ্নঃ প্রাথমিক বর্ণ কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ লাল নীল ও সবুজ এই তিনটি বর্ণ কে প্রাথমিক বর্ণ বলা হয়।
প্রশ্নঃ বক্রতলের কি প্রতিফলনের সূত্র প্রযোজ্য হয়ে থাকে?
উত্তরঃ প্রতিফলনের সূত্র বক্রতলের প্রযোজ্য।
প্রশ্নঃ তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলোর কোন রশ্মি নির্গত হয়?
উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলোর Y রশ্মি নির্গত হয়।
প্রশ্নঃ বক্রতা কেন্দ্র উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে কোন দিকে থাকে?
উত্তরঃ উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তল এর পিছনের দিকে থাকে।
প্রশ্নঃ গোলীয় দর্পণের প্রকারভেদ করো?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণ দুই প্রকারের হয়। যথা – অবতল দর্পণ ও উত্তল দর্পণ।
প্রশ্নঃ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ এক সেকেন্ডে কোনো মাধ্যমের মধ্যে যতগুলি পূর্ণতরঙ্গেগর সৃষ্টি হয় সেই সংখ্যাকেই ওই তরঙ্গেগর কম্পাঙ্ক বলে। কম্পাঙ্কের SI একক হল হার্জ।
প্রশ্নঃ হীরক ও কাচের মধ্যে প্রতিসরাঙ্ক কার কম হয়ে থাকে?
উত্তরঃ হীরকের তুলনায় কাচের প্রতিসরাঙ্ক কম হয়।
প্রশ্নঃ সব সময় চাঁদের আকাশ কালো কেন?
উত্তরঃ চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল না থাকার কারণেই আলোক রশ্মির বিক্ষেপণ না হওয়ার কারণে চাঁদের আকাশ সর্বদা কালো থাকে।
প্রশ্নঃ কোন প্রকার দর্পণ সোলার কুকারে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ সোলার কুকারে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল না থাকতো তাহলে পৃথিবীর আকাশ দেখতে কেমন লাগতো?
উত্তরঃ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল না থাকলে পৃথিবীর আকাশ সর্বদা অন্ধকার বা কালো দেখাতো অর্থাৎ দিনের বেলায়ও আকাশ অন্ধকার থাকতো।
প্রশ্নঃ সমতল দর্পণের ক্ষমতা উল্লেখ করো?
উত্তরঃ সমতল দর্পণের ক্ষমতা 0।
প্রশ্নঃ আলোর কোন রশ্মি কৃষিক্ষেত্রে ফলন বৃদ্ধির জন্য এবং গাছের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ আলোর গামা রশ্নি কৃষিক্ষেত্রে ফলন বৃদ্ধির জন্য এবং গাছের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ ক্যামেরায় কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ক্যামেরায় উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ আলোর কোন রশ্মি চিকিৎসা ক্ষেত্রে হাড়ের ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ আলোর এক্স রশ্মী চিকিৎসা ক্ষেত্রে হাড়ের ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ কোন লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয়।
প্রশ্নঃ কি হিসাবে লেন্সকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ লেন্সকে সাধারণত বিবর্ধক কাচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ কোন লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয়?
উত্তরঃ অবতল লেন্স কে অপসারী লেন্স বলা হয়।
প্রশ্নঃ সদবিম্ব কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ সদবিম্ব হল যে প্রতিবিম্বকে পদ্মায় ফেলা সম্ভব হয় বা পর্দায় ফেলা যায় তাকে সদ বিম্ব বলে।
প্রশ্নঃ আমাদের চোখে কোন প্রকার লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ কোন আলোক রশ্মী আলোক কেন্দ্র দিয়ে গেলে চ্যুতি কত হয়?
উত্তরঃ কোন আলোক রশ্মী আলোক কেন্দ্র দিয়ে গেলে চ্যুতি হয় না, রশ্মিটি সোজা বেরিয়ে যায়।
প্রশ্নঃ রেটিনার প্রধান কাজ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ রেটিনার প্রধান কাজ হলো বস্তুর প্রতিবিম্ব তৈরি করা।
প্রশ্নঃ আংশিকভাবে কোন পেন্সিল কে জলে ডোবালে কেমন দেখায়?
উত্তরঃ আংশিকভাবে জলে ডোবালে পেন্সিল কে আলোর প্রতিসরণের জন্য বেঁকে গেছে বলে মনে হয়।
প্রশ্নঃ দৃষ্টি পালা কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ দৃষ্টি পাল্লা হল চোখের নিকট বিন্দু হইতে দূর বিন্দু পর্যন্ত দূরত্ব কে দৃষ্টি পাল্লা বলা হয়ে থাকে।
‘ঘ’ বিভাগ
৪. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ এক্স রশ্মির কয়েকটি ব্যবহার আলোচনা করো?
উত্তরঃ (১) ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য এক্স রশ্মী ব্যবহৃত হয়।
(২) হাড়ের গঠন জানতে এক্স রশ্মী ব্যবহৃত হয়।
(৩) কেলাসিত পদার্থের কেলাস গঠন জানতে এক্স রশ্মী ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ ওয়াই রশ্মির ব্যবহার আলোচনা করো?
উত্তরঃ (১) ওয়াই রশ্মি শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
(২) ওয়াই রশ্মী ডিটারজেন্ট সাবান ইত্যাদি শিল্পী ঘনত্ব পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
(৩) ওয়াই রশ্মী ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ ইউ ভি রশ্মির কয়েকটি ব্যবহার আলোচনা করো?
উত্তরঃ (১) ত্বকের সংক্রমণজনিত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
(২) এই রশ্মি জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(৩) ইউ ভি রশ্মি ভিটামিন-ডি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
(৪) এই রশ্মি বিশুদ্ধতা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ প্রতিসরাংক কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলো ও দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের জন্য প্রথম মাধ্যমে আপতন কোণের Sine ও দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রসরণ কোণের Sine -এর অনুপাতকে প্রতিসরাংকে বলা হয়।
প্রশ্নঃ উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্সের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্সের মধ্যে দুটি পার্থক্য হল –
প্রথমত, উত্তল লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও দুইপ্রান্ত ক্রমশ সরু; আর অবতল লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্ত ক্রমশ মোটা।
দ্বিতীয়ত, উত্তল লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিতে পরিণত করে; কিন্তু অবতল লেন্স সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিতে পরিণত করে।
প্রশ্নঃ কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে বোঝায় যে, কোনো আলোকরশ্মি যখন বায়ু থেকে কাচে প্রতিসৃত হয় তখন আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত 1.5 হয়। অন্যভাবে বললে শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ এবং কাচ মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত 1.5 অর্থাৎ আলোর বেগের অনুপাত 1.5 অর্থাৎ = 1.5।
প্রশ্নঃ এক নেত্র দৃষ্টি বলতে কী বোঝো? চোখের কোন অংশে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
উত্তরঃ এক নেত্র দৃষ্টি বলতে যখন দুটি চোখ দুটি আলাদা বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করে থাকে তখন সেই প্রকার দৃষ্টিকে এক নেত্র দৃষ্টি বলা হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে গরু এক নেত্র দৃষ্টি তে দেখে থাকে।
চোখের রেটিনায় বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
প্রশ্নঃ বিপদ সংকেত হিসেবে কোন বর্ণের আলোর ব্যবহার করা হয় এবং কেন? দাঁতের চিকিৎসার জন্য কোন দর্পণ ডাক্তাররা ব্যবহার করেন?
উত্তরঃ বিপদ সংকেত হিসেবে লাল বর্ণের আলো ব্যবহার করা হয় কারণ লাল বর্ণের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অন্য বর্ণের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চেয়ে বেশি।
ডাক্তাররা দাঁতের চিকিৎসার জন্য অবতল দর্পণ ব্যবহার করে থাকেন কারণ এতে দাঁতকে বড় দেখায়।
প্রশ্নঃ কোনো সবুজ বস্তুকে সাদা আলোর দ্বারা আলোকিত করলে সবুজ দেখায় কেন? বস্তুটিকে হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুটির রং কী দেখাবে?
উত্তরঃ সবুজ বস্তুর উপর সাদা আলো পড়লে বস্তুটি সবুজ বর্ণের আলো প্রতিফলিত করে। এবং অন্যান্য বর্ণের আলো শোষণ করে। সেজন্য বস্তুটিকে সবুজ দেখায়। বস্তুটিকে হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুটি ওই আলো শোষণ করে নেবে। ফলে বস্তুটিকে কালো দেখাবে।
প্রশ্নঃ সূর্যালোকের বিক্ষেপণ এর জন্য কি কি দরকার হয়ে থাকে?
উত্তরঃ সূর্যালোকের বিক্ষেপণ এর জন্য বায়ুমন্ডলে অবস্থিত ভাসমান ধূলিকণা দরকার হয়ে থাকে এবং তাতে সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় এবং পৃথিবীর আকাশ আলোকিত হয়।
প্রশ্নঃ আলোর বিক্ষেপণ কাকে বলে?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় অণু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট সূর্যালোক শোষণ করে এবং শোষিত আলোকরশ্মিকে চর্তুদিকে বিস্তার ঘটায়, এই পদ্ধতিতে আলোর চারদিকে বিস্তৃত হওয়াকেই আলোর বিক্ষেপণ বলে।
প্রশ্নঃ নীল কাচের মধ্য দিয়ে তাকালে একটি লাল ফুলকে কালো দেখায় কেন?
উত্তরঃ লাল ফুল সাদা আলোর কেবলমাত্র লাল বর্ণের প্রতিফলিত করে, বাকি বর্ণগুলি শোষণ করে। লাল ফুল থেকে নির্গত লাল বর্ণ নীল কাচ কর্তৃক শোষিত হওয়ায় চোখে কোনো আলো এসে পৌছায় না। তাই নীল কাচের মধ্য দিয়ে তাকালে। লাল ফুলকে কালো দেখায়।
==========================================================
একটি বাক্যে উত্তর দাও। (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
1) দন্ত চিকিৎসকের দর্পণ কি প্রকৃতির?
উত্তর: দন্ত চিকিৎসকের দর্পণ অবতল প্রকৃতির।
2) গোলীয় দর্পণের মেরু কাকে বলে?
উত্তর: কোনো গোলীয় দর্পণের মধ্যবিন্দুকে মেরু বলে।
3) গাড়ির হেডলাইটে কোন ধরনের গোলীয় দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: গাড়ির হেডলাইটে অবতল ধরনের গোলীয় দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
4) উত্তল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের আকার ও প্রকৃতি লেখো।
উত্তর: উত্তল দর্পন দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের আকার খর্বকায় ও প্রকৃতি অসদ।
5) কোনো অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য 15 সেমি (cm) হলে বক্রতা ব্যাসার্ধ কত?
উত্তর: দর্পণটির বক্রতা ব্যাসার্ধ – 2 x 15 সেমি = 30 সেমি।
6) প্রতিসারঙ্ক একক কী?
উত্তর: প্রতিসারঙ্ক হল এককবিহীন ভৌতরাশি।
7) সুস্থ চোখের নিকট বিন্দুর দূরত্ব কত?
উত্তর: সুস্থ চোখের নিকট বিন্দুর দূরত্ব 25 cm।
8) কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন 2.5 বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন 2.5 বলতে প্রতিবিম্বের উচ্চতা বস্তুর উচ্চতার 2.5 গুণ বোঝায়।
9) সিনেমার পর্দায় কি ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
উত্তর: সিনেমার পর্দায় গঠিত প্রতিবিম্ব সদ ও বিবর্ধিত।
10) কোন ধরনের লেন্সের দ্বারা হ্রস্ব দৃষ্টির প্রতিকার করা যায়?
উত্তর: উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের অবতল লেন্সের দ্বারা হ্রস্ব দৃষ্টির প্রতিকার করা যায়।
11) ক্যামেরায় কোন ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: ক্যামেরায় উত্তল লেন্স ব্যবহৃত হয়।
12) চক্ষু লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব সদ না অসদ?
উত্তর: চক্ষু লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব সদ।
13) লাল ও বেগুনি আলোর মধ্যে কোনটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত বেশি?
উত্তর: লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত বেশি।
14) আলোর বিচ্ছুরণ ককে বলে?
উত্তর: বহুবর্ণী আলো কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমে (যেমন- প্রিজম,কাচের স্ল্যাব) প্রতিসৃত হয়ে বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত হবার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে।
15) আলোকের বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও।
উত্তর: আলোকের বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ- রামধনু
16) আলো কি ধরনের তরঙ্গ?
উত্তর: আলো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
17) কত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো দর্শনের অনুভুতি জাগায়?
উত্তর: 4000-8000 আংস্ট্রোম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এল চোখে দর্শনের অনুভূতি জাগায়।
18) শূন্যস্থানে আলোর বেগ কত?
উত্তর: শূন্যস্থানে আলোর বেগ 3×108m/s
19) A ও B দুটি মাধ্যমে আলোর বেগ যথাক্রমে 2 × 108 m/s ও 2.25 × 108 m/s। কোনটি লঘুতর মাধ্যম?
উত্তর: B মাধ্যমটি হল লঘুতর। কারণ, B মাধ্যমে আলোর বেগ বেশি।
20) বিপদ সংকেত হিসেবে কোন বর্ণের আলো ব্যাবহৃত হয়?
উত্তর: বিপদ সংকেত হিসেবে লাল বর্ণের আলো ব্যবহৃত হয়।
©kamaleshforeducation.in(2023)