উত্তর- ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

adhyamik History Suggestion – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | উত্তর- ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) (অষ্টম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

 

 

বিভাগ-ক : উত্তর- ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন – Madhyamik History Suggestion

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

১। ভারতের বিসমার্ক’ কাকে বলা হয় ?

(ক) বাহাদুর শাহকে (খ) বল্লভভাই প্যাটেলকে (গ) জওহরলাল নেহরুকে (ঘ) নেতাজিকে

উত্তরঃ (খ) বল্লভভাই প্যাটেলকে

২। হরি সিং কে ছিলেন?

(ক) কাশ্মীরের মন্ত্রী (খ) কাশ্মীরের রাজা (গ) মেবারের রাজা (ঘ) ভূপালের রাজা

উত্তরঃ (খ) কাশ্মীরের রাজা

৩। দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত ভুক্তির দলিলটির নাম কী ?

(ক) Instrument of Accession (খ) Bill of Accession (গ) Deed of Accession (ঘ) Code of Contract

উত্তরঃ (ক) Instrument of Accession

৪। নেহরু-লিয়াকৎ আলি চুক্তি’ (দিল্লী চুক্তি) কবে স্বাক্ষরিত হয়?

(ক) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ (ক) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে

৫। হায়দ্রাবাদের শাসককে কী বলা হয় ?

(ক) রাজা (খ) সুলতান (গ) নিজাম (ঘ) নবাব

উত্তরঃ (গ) নিজাম

৬। দণ্ডকারণ্য প্রকল্প গ্রহণ করে কোন রাজ্য ?

(ক) রাজস্থান (খ) আসাম (গ) পাঞ্জাব (ঘ) পশ্চিমবঙ্গ

উত্তরঃ (ঘ) পশ্চিমবঙ্গ

৭। ভাষাগত রাজ্য কমিশন গঠিত হয় কার নেতৃত্বে?

(ক) এস কে দর-এর (খ) জে এন চৌধুরীর (গ) বল্লভভাই প্যাটেলের (ঘ) গান্ধীজির

উত্তরঃ (ক) এস কে দর-এর

৮। স্বাধীন ভারতে প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন।

(ক) জে এন রায় (খ) গ্যাড়গিল (গ) কৃপাল সিং (ঘ) জে এন চৌধুরী

উত্তরঃ (ঘ) জে এন চৌধুরী

৯। ভাষার ভিত্তিতে সর্বপ্রথম কোন্ রাজ্যটি গঠন করা হয় ?

(ক) বিহার (খ) গুজরাট (গ) অন্ধ্রপ্রদেশ (ঘ) তামিলনাড়ু

উত্তরঃ (গ) অন্ধ্রপ্রদেশ

১০। চন্দননগর কবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় ?

(ক) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ (ক) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে

১১। গোয়া, দমন ও দিউ কাদের উপনিবেশ ছিল?

(ক) ইংরেজদের (খ) ফরাসিদের (গ) পর্তুগীজদের (ঘ) ওলন্দাজদের

উত্তরঃ (গ) পর্তুগীজদের

১২। কবে পৃথক নাগাল্যান্ড রাজ্যটি গঠিত হয়?

(ক) ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ (ক) ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে

১৩। রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন-এর সভাপতি কে ছিলেন?

(ক) এস কে দর (খ) ফজল আলি (গ) হৃদয়নাথ কুঞ্জর (ঘ) কে এস পানিক্কর

উত্তরঃ (খ) ফজল আলি

১৪। রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাশ হয়

(ক) ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ (গ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে

১৫। কোন ভাষাভিত্তিক অঞ্চল নিয়ে মহারাষ্ট্র রাজ্য গঠিত হয়?

(ক) মারাঠা (খ) তামিল (গ) কোঙ্কন (ঘ) কুর্গ

উত্তরঃ (ক) মারাঠা

১৬। পাঞ্জাবকে দু-টুকরো করে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাব ছাড়া কোন রাজ্য গঠন করা হয়?

(ক) হরিয়ানা (খ) চণ্ডীগড় (গ) দিল্লী (ঘ) রাজস্থান

উত্তরঃ (ক) হরিয়ানা

১৭। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ক-টি ছিল ?

(ক) ২,৩৩৭টি (খ) ১,৪৪৬টি (গ) ১,৭৩৮টি (ঘ) ১,৯৩৯টি

উত্তরঃ (খ) ১,৪৪৬টি

১৮। ভারতের নবগঠিত রাজ্যটি হল

(ক) সিকিম (খ) ঝাড়খণ্ড (গ) তেলেঙ্গানা (ঘ) ছত্তিশগড়

উত্তরঃ (গ) তেলেঙ্গানা

১৯। এ ট্রেন টু পাকিস্তান’ লিখেছেন।

(ক) জওহরলাল নেহরু (খ) ভি পি মেনন (গ) খুশবন্ত সিং(ঘ) সলমন রুশদি

উত্তরঃ (গ) খুশবন্ত সিং

২০। বর্তমানে ভারতের সংবিধানে ক-টি ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে?

(ক) ২৬টি (খ) ১৯টি (গ) ২২টি (ঘ) ২০টি

উত্তরঃ (গ) ২২টি

বিভাগ-খ : উত্তর- ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2021 – Madhyamik History Suggestion 2021

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

১। পেশোয়ার এক্সপ্রেস’ গ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তরঃ কৃষণ চন্দর

২। স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কী ?

উত্তরঃ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল

৩।‘লৌহমানব’ কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে

৪। স্বাধীনতার সময় ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ৫৬৫টি

৫। ভারতের স্বাধীনতা আইন কবে পাশ হয়?

উত্তরঃ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুলাই

৬। ভারতের স্বাধীনতার সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তরঃ ক্লিমেন্ট এটলি

৭। হরি সিং কে?

উত্তরঃ কাশ্মীরের রাজা

৮। হায়দ্রাবাদের শেষ নিজামের নাম কী?

উত্তরঃ ওসমান আলি খাঁ

৯। “ছেড়ে আসা গ্রাম’ কার আত্মজীবনী?

উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন বসুর

১০। কার দায়িত্বে দেশীয় রাজ্যদফতর গঠিত হয়?

উত্তরঃ বল্লভভাই প্যাটেলের

১১। ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিটির অপর নাম কী?

উত্তরঃ JVP কমিটি

১২। উদ্বাস্তু’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?

উত্তরঃ হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়

১৩। দেশভাগের ফলে কোন্ দুটি রাজ্য ভাগ হয়?

উত্তরঃ বাংলা, পাঞ্জাব

১৪। মেহেরচাঁদ মহাজন কে?

উত্তরঃ দেশীয় রাজ্য কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী

১৫। সংবিধানে কোন ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ হিন্দিকে

১৬। গোয়াতে কবে পর্তুগীজ শাসনের অবসান ঘটে?

উত্তরঃ ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে

১৭। রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে গঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে

১৮। অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যটি কবে গঠন করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর

১৯। পট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন?

উত্তরঃ অপ্রদেশের গান্ধিবাদী নেতা

২০। গুজরাট রাজ্যটি কবে গঠন করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে

২১। হায়দ্রাবাদ কবে ‘ভারতভুক্তির দলিল’-এ স্বাক্ষর করে?

উত্তরঃ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে

২২। গোয়ার সেনা অভিযানে কে নেতৃত্ব দেন?

উত্তরঃ জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরী

২৩। কাশ্মীরে কার নেতৃত্বে জরুরি শাসনব্যবস্থা চালু হয়?

উত্তরঃ শেখ আবদুল্লার নেতৃত্বে

ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

১। গোয়া ছিল ফরাসি উপনিবেশ।[F]

২। এস কে দর রাজ্যগঠন কমিশনের প্রধান নেতা ছিলেন।[F]

৩। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে অন্ত্র রাজ্য গঠন করা হয়।[F]

৪। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাশ হয়।[F]

৫। সাঁওতালি, নেপালি, মৈথিলি ভাষা সংবিধানে স্বীকৃতি লাভ করেনি।[F]

 

 

৬। দেশভাগের সময় ভারতের দেশীয় রাজ্য ছিল ৫৫০টিরও বেশি। [F]

৭। বল্লভভাই প্যাটেলকে ভারতের ‘লৌহমানব’ বলা হয়।[T]

৮। হায়দ্রাবাদের শাসককে নিজাম বলা হয়।[T]

ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও

1.

ক’ স্তম্ভ খ’ স্তম্ভ
(i) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দযোগদান (ক) রাজ্য পুনর্গঠন আইন
(iv) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ (খ) রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন
(ii) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ (গ) ভাষাগত রাজ্য কমিশন
(ii) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ (ঘ) কাশ্মীরের ভারতে

উত্তরঃ ১। (ক)—(iv), (খ)—(iii), (গ)—(ii), (ঘ)(i)

2.

ক’ স্তম্ভ খ’ স্তম্ভ
(ক) হায়দ্রাবাদ (i) হরি সিং
(খ) কাশ্মীর (ii) নিজাম
(গ) ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (iii) ভি পি মেনন
(ঘ) ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব (iv) বল্লভভাই প্যাটেল

উত্তরঃ ২। (ক)-(ii), (খ) (i), (গ)—(iv), (ঘ)—(iii)

3.

ক’ স্তম্ভ খ’ স্তম্ভ
(ক) ভারতের স্বাধীনতার আইন (i) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ
(খ) হায়দ্ (ii) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ
(গ) দিল্লী চুক্তি (iii) ১৯৪৯ খিস্টাব্দ
(ঘ) গোয়া, দমন, দিউ-এর (iv) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ

উত্তরঃ ৩। (ক)-(ii), (খ)—(iii), (গ)—(iv), (ঘ)—(i)

4.

ক’ স্তম্ভ খ’ স্তম্ভ
(ক) অন্ধ্র রাজ্য গঠন (i) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ
(খ) গুজরাট রাজ্য গঠন (ii) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ
(গ) পাঞ্জাব রাজ্য গঠন (iii) ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) নাগাল্যান্ড রাজ্য গঠন। (iv) ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ

উত্তরঃ ৪। (ক)-(ii), (খ)—(i), (গ)—(iv), (ঘ)(iii)

ভারতের রেখামানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত করো (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

১। পুনর্গঠিত রাজ্যগুজরাট, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু

২। গোয়া, পণ্ডিচেরী, চন্দননগর

৩। দেশীয় রাজ্য হায়দ্রাবাদ, সিকিম, কোচবিহার, জুনাগড়, কাশ্মীর-এর এলাকা।

নীচের বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)

 

 

১। বিবৃতি : ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাশ হয়।

ব্যাখ্যা ১: ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য।

ব্যাখ্যা ২: পাঞ্জাব রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য।

ব্যাখ্যা ৩: আসাম রাজ্যটি গঠনের জন্য।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২

২। বিবৃতি : ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী পাঁচ বছর পুনর্বাসনের যুগ।

ব্যাখ্যা ১: কারণ এই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়।

 

 

ব্যাখ্যা ২ : কারণ এই সময় দেশভাগের ফলে উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়।

 

 

ব্যাখ্যা ৩: এই সময় বিদেশিদের ভারতে পুনর্বাসন দেওয়া হয়।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১

বিবৃতি : দেশীয় রাজ্যগুলিকে স্বাধীনতার পর ভারতভুক্তি করা হয়।

ব্যাখ্যা ১: ভারতের সীমানা বৃদ্ধির জন্য।

ব্যাখ্যা ২ : বিদেশি প্রভাব দূর করার জন্য।

ব্যাখ্যা ৩ : জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও দেশীয় রাজাদের অনুশাসন দূর করার জন্য।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩

বিভাগ-গ : উত্তর- ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2021 – Madhyamik History Suggestion 2021

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২)

১। ভারতভুক্তির দলিলটির নাম কী ?কোন্ রাজ্য এই দলিলে প্রথম স্বাক্ষর করে?

২। ভারতের ফরাসি উপনিবেশগুলির নাম লেখো। এগুলি কবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়?

 

 

৩। স্বাধীনতার সময় ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির সংখ্যা কত ছিল?

৪। কাকে, কেন ‘ভারতের বিসমার্ক’ বলা হয়?

৫। পৃথক অন্ত্র রাজ্যটির উৎপত্তি কীভাবে হয়?

৬। বর্তমানে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা কত?

৭। কবে, কার নেতৃত্বে ‘রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়?

৮। সম্পত্তি ও জনবিনিময় নীতি কী?

৯। কবে, কাদের মধ্যে দিল্লী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?

১০। পশ্চিমবাংলার দুটি উদ্বাস্তু শিবিরের নাম লেখো।

১১। উদ্বাস্তু’ কাদের বলা হয় ?

১২। দণ্ডকারণ্য প্রকল্প কী?

১৩। জুনাগড় রাজ্য কীভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় ?

১৪। হায়দ্রাবাদ কবে, কীভাবে ভারতে যুক্ত হয় ?

১৫। স্বাধীন ভারতে যোগদানের প্রশ্নে কোন্ তিনটি রাজ্য গঠিত হয়?

বিভাগ-ঘ : উত্তর- ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2021 – Madhyamik History Suggestion 2021

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৪)

১। দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির প্রশ্নে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা লেখো।

২। দেশীয় রাজ্যগুলি কে, কী উদ্দেশ্যে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে?

৩। উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে ভারত সরকারের ভূমিকা লেখো।

৪। দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতভুক্তির জন্য স্বাধীন ভারত সরকার কী কী উদ্যোগ নেয়?

৫। উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা আলোচনা করো।

 

 

৬। উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের শরণার্থীর মধ্যে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি এক ছিল তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

৭। ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনে ভারত সরকারের উদ্যোগগুলি লেখো।

৮। স্বাধীন ভারত সরকার কীভাবে দেশীয় রাজ্যগুলির পুনর্গঠন করে?

৯। ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের কারণগুলি লেখো।

=========================================

১) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর :

১.১ ভারত বর্ষ ভেঙে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের মূল ভিত্তি ছিল –

(ক) রাজনৈতিক বিন্যাস

(খ) ভৌগলিক অবস্থান

(গ) খাদ্যভ্যাস সংস্কৃতি

(ঘ) ধর্ম ও ভাষা

উত্তর : (ঘ) ধর্ম ও ভাষা

১.২ কাশ্মীরের মহারাজ ছিলেন –

(ক) হরি সিং

(খ) মেহের চাঁদ

(গ) ওমর আবদুল্লাহ

(ঘ) শেখ আব্দুল্লাহ

উত্তরঃ (ক) হরি সিং

১.৩ স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন –

(ক) লাল বাহাদুর শাস্ত্র

(খ) বল্লভ ভাই প্যাটেল

(গ) গুলজারিলাল নন্দ

(ঘ) ডঃ বি আর আম্বেদকর

উত্তর : (খ) বল্লভ ভাই প্যাটেল

১.৪ স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন –

(ক) চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী

(খ) সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন

(গ) রাজেন্দ্র প্রসাদ

(ঘ) বল্লভ ভাই প্যাটেল

উত্তরঃ (গ) রাজেন্দ্র প্রসাদ

১.৫ দেশীয় রাজ্য ছিল না –

(ক) বোম্বে

(খ) ভোপাল

(গ) হায়দ্রাবাদ

(ঘ) জয়পুর

উত্তর : (ক) বোম্বে

১.৬ গোয়া হবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় –

(ক) ১৯৫৪ খ্রীঃ

(খ) ১৯৫৬ খ্রীঃ

(গ) ১৯৬০ খ্রীঃ

(ঘ) ১৯৬১ খ্রীঃ

উত্তরঃ (ঘ) ১৯৬১ খ্রীঃ

১.৭ ভারতের লৌহ মানব বলা হয় –

(ক) মহাত্মা গান্ধী

(খ) সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল

(গ) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ

(ঘ) রাজেন্দ্র প্রসাদ

উত্তর : (খ) সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল

১.৮ সরকারি ভাষা আইন পাস হয় –

(ক) ১৯৫৩ খ্রীঃ

(খ) ১৯৫৬ খ্রীঃ

(গ) ১৯৬০ খ্রীঃ

(ঘ) ১৯৬৩ খ্রীঃ

উত্তরঃ (ঘ) ১৯৬৩ খ্রীঃ

১.৯ মহারাজা হরি সিং যে রাজ্যের রাজা ছিলেন –

(ক) বরোদা

(খ) কোচবিহার

(গ) কাশ্মীর

(ঘ) হায়দ্রাবাদ

উত্তর : (গ) কাশ্মীর

১.১০ ভারতের গণপরিষদের প্রথম সভাপতি ছিলেন –

(ক) মহাত্মা গান্ধী

(খ) জওহরলাল নেহরু

(গ) ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ

(ঘ) চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী

উত্তরঃ (গ) ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ

১.১১ গোয়া ভারত ভুক্ত হয় –

(ক) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে

(খ) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর : (গ) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে

১.১২ উর্দু কোন রাজ্যের প্রধান সরকারী ভাষা –

(ক) তামিলনাড়ু

(খ) উত্তরাখণ্ড

(গ) বিহার

(ঘ) জম্মু ও কাশ্মীর

উত্তরঃ (ঘ) জম্মু ও কাশ্মীর

১.১৩ জহরলাল নেহেরুর মন্ত্রিসভায় পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন –

(ক) বল্লভ ভাই প্যাটেল

(খ) বি আর আম্বেদকর

(গ) মোহনলাল সাক্সেনা

(ঘ) চিন্তামন দেশমুখ

উত্তর : (গ) মোহনলাল সাক্সেনা

১.১৪ স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন –

(ক) লর্ড মাউন্টব্যাটেন

(খ) জহরলাল নেহরু

(গ) চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী

(ঘ)সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল

উত্তরঃ (ক) লর্ড মাউন্টব্যাটেন

১.১৫ পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন –

(ক) বিধানচন্দ্র রায়

(খ) অজয় মুখোপাধ্যায়

(গ) প্রফুল্ল ঘোষ

(ঘ) প্রফুল্ল চন্দ্র সেন

উত্তর : (গ) প্রফুল্ল ঘোষ

১.১৬ ‘এ ট্রেন টু পাকিস্তান’ লিখেছেন –

(ক) জহরলাল নেহেরু

(খ) ভি পি মেনন

(গ) খুশবন্ত সিং

(ঘ) সালমান রুশদি

উত্তর : (গ) খুশবন্ত সিং

১.১৭ ‘রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন’ তৈরি করা হয়েছিল –

(ক) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে

(খ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর : (গ) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে

১.১৮ ভারতীয় সংবিধানে প্রথম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় –

(ক) ১২ টি ভাষাকে

(খ) ১৪ টি ভাষাকে

(গ) ১৬ টি ভাষাকে

(ঘ) ১৮ টি ভাষাকে

উত্তর : ১৪ টি ভাষাকে

১.১৯ স্বতন্ত্র ভাষা ভিত্তিক অন্ধ্র প্রদেশ গঠিত হয় –

(ক) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে

(খ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর : (গ) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে

বিভাগ খ

২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

(প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)

উপ বিভাগ: ২.১

** একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১.১ স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতে কতগুলি দেশীয় রাজ্য ছিল?

উত্তর : ৫২৬ টি দেশীয় রাজ্য ছিল।

২.১.২ গোয়া কাদের উপনিবেশ ছিল?

উত্তরঃ পর্তুগালের

২.১.৩ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দলিলটির নাম কি ছিল?

উত্তর : ইন্সট্রুমেন্ট অফ এক্সপ্রেশন

২.১.৪ ভারত বর্ষ কবে স্বাধীনতা লাভ করে?

উত্তরঃ ১৯৪৭ খ্রী ১৫ ই আগস্ট

২.১.৫ কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম কি?

উত্তর : ন্যাশনাল কনফারেন্স

২.১.৬ অপারেশন পোলো কি?

উত্তরঃ ভারতীয় সেনার হায়দ্রাবাদ অভিযানকে

২.১.৭ হায়দ্রাবাদের শাসক কি নামে পরিচিত?

উত্তর : নিজাম

২.১.৮ ভারত কবে সমগ্র হায়দ্রাবাদ দখল করে?

উত্তর : ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে

২.১.৯ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ভাষা কি?

উত্তরঃ বাংলা

২.১.১০ ভারত বিভাজনের উদ্দেশ্যে গঠিত সীমানা কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তর : স্যার সিরিল রেডক্লিফ

২.১.১১ মহাত্মা গান্ধী দেশভাগজনিত হিংসার প্রেক্ষিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কোথায় অনশন করেন?

উত্তর : কলকাতায় বেলেঘাটার বাড়িতে

২.১.১২ নেহেরু লিয়াকৎ চুক্তি কালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিল?

উত্তর : লিয়াকৎ আলি খান

২.১.১৩ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে গঠিত হয়?

উত্তর : ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে

২.১.১৪ ভারতের কনিষ্ঠতম রাজ্য কোনটি?

উত্তর : তেলেঙ্গানা

  উপ-বিভাগ: ২.২

** ঠিক বা ভুল নির্ণয় কর

২.২.১ ২১৬ টি দেশীয় রাজ্য সন্নিহিত প্রতিযোগীর সঙ্গে যুক্ত হয়।

উত্তরঃ ঠিক

২.২.২ দেশভাগের পর গঠিত পাকিস্তানের মূলত মূলত দুটি অংশ ছিল – পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান।

উত্তরঃ ঠিক

২.২.৩ সরকারি ভাষা কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি কাজে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার চলবে।

উত্তরঃ ঠিক

২.২.৪ ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় আয়তনে সর্ববৃহৎ দেশীয় রাজ্য ছিল হয়দ্রাবাদ।

উত্তরঃ ঠিক

উপ বিভাগ: ২.৩

** ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলাওঃ

ক স্তম্ভ                                      খ স্তম্ভ

২.৩.১) লৌহমানব                    (ক) কে এস দর

২.৩.২) রাজ্য পুর্নগঠন কমিশনের প্রধান    (খ) বল্লভ ভাই প্যাটেল

২.৩.৩) ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন  (গ) ফজল আলি

২.৩.৪) সরকারি ভাষা কমিশন   (ঘ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

উত্তর : ২.৩.১) লৌহমানব – (খ) বল্লভ ভাই প্যাটেল

২.৩.২) রাজ্য পুর্নগঠন কমিশনের প্রধান – (গ) ফজল আলি

২.৩.৩) ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন – (ক) কে এস দর

২.৩.৪) সরকারি ভাষা কমিশন- (ঘ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

ক স্তম্ভ                                              খ স্তম্ভ

 

 

২.৩.১) সিরিল র‍্যাডক্লিফ  (ক) সীমানা কমিশনের প্রধান

 

 

২.৩.২) সরদার বল্লভভাই প্যাটেল  (খ) সামরিক বিভাগের প্রধান

২.৩.৩) জওহরলাল নেহেরু  (গ) দেশীয় রাজ্য দপ্তরের প্রধান

২.৩.৪) জয়ন্ত নাথ রায়  (ঘ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী

উত্তর : ২.৩.১) সিরিল র‍্যাডক্লিফ – (ক) সীমানা কমিশনের প্রধান

২.৩.২) সরদার বল্লভভাই প্যাটেল – (গ) দেশীয় রাজ্য দপ্তরের প্রধান

২.৩.৩) জহরলাল নেহেরু – (ঘ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী

২.৩.৪) জয়ন্ত নাথ রায় – (খ) সামরিক বিভাগের প্রধান

ক স্তম্ভ                                         খ স্তম্ভ

২.৩.১) পট্টভি সীতারামাইয়া  (ক) রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের প্রধান

 

 

২.৩.২) পট্টি শ্রীরামালু     (খ) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য

২.৩.৩) চিন্তামন দেশমুখ   (গ) জনপ্রিয় তেলুগু নেতা

২.৩.৪) ফজল আলী  (ঘ) জে. ভি. পি. কমিটি সদস্য

উত্তর : ২.৩.১) পট্টভি সীতারামাইয়া – (ঘ) জে. ভি. পি. কমিটি সদস্য

২.৩.২) পট্টি শ্রীরামালু – (গ) জনপ্রিয় তেলেগু নেতা

২.৩.৩) চিন্তামন দেশমুখ – (খ) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য

২.৩.৪) ফজল আলী – (ক) রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের প্রধান

ক স্তম্ভ                                                  খ স্তম্ভ

২.৩.১) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী  (ক) বি. আর. আম্বেদকর

 

 

২.৩.২) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি   (খ) বল্লভভাই প্যাটেল

 

 

২.৩.৩) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  (গ) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ

২.৩.৪) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী (ঘ) জওহরলাল নেহেরু

উত্তর : ২.৩.১) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী – (ঘ) জওহরলাল নেহেরু

২.৩.২) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি – (গ) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ

২.৩.৩) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী – (খ) বল্লভভাই প্যাটেল

২.৩.৪) স্বাধীনতা ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী – (ক) বি. আর. আম্বেদকর

উপবিভাগ : ২.৫

নিম্নলিখিত বিকৃতি গুলির সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করো :

২.৫.১ বিবৃতি : দেশভাগের ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।

ব্যাখ্যা : (১) দেশভাগ ছিল ‘পাকিস্তান দাবি’র ফলশ্রুতি

ব্যাখ্যা : (২) শুরু থেকেই দেশভাগের পশ্চাতে কংগ্রেসের পরোক্ষ সমর্থন ছিল

ব্যাখ্যা : (৩) ভৌগোলিক কারণে দেশ ভাগ করা হয়

উত্তর : ব্যাখ্যা : (১) দেশভাগ ছিল ‘পাকিস্তান দাবি’র ফলশ্রুতি

২.৫.২ বিবৃতি: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীন হয়।

ব্যাখ্যা ১: এর মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে।

ব্যাখ্যা ২: এর মাধ্যমে ইংরেজি পরাজয় হয়।

ব্যাখ্যা ৩: এর মাধ্যমে শোষণের অবসান ঘটে।

উত্তর: ব্যাখ্যা ১: এর মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে।

২.৫.৩ বিবৃতি : দেশীয় রাষ্ট্রগুলির স্বাধীন অস্তিত্ব ভারতের জাতীয় সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে ।

ব্যাখ্যা : (১) দেশীয় রাষ্ট্রগুলির অধিকাংশ পাকিস্তানের যোগ দিতে চেয়েছিলেন ।

ব্যাখ্যা : (২) দেশীয় রাজ্যগুলি অধিকাংশ স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল ।

ব্যাখ্যা : (৩) দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্ব ভারতের ভূমিকা অখন্ডতার পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ।

উত্তর : ব্যাখ্যা : (৩) দেশীয় রাষ্ট্র গুলির স্বাধীন অস্তিত্ব ভারতের ভূমিকা অখণ্ডতার পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

২.৫.৪ বিবৃতি: রাজ্য দপ্তর গঠিত হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।

ব্যাখ্যা ১: এই ঘটনা ছিল স্বাধীনতার ফলশ্রুতি।

ব্যাখ্যা ২: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত ভক্তি ব্যাপারে এই দপ্তর গঠিত হয়।

ব্যাখ্যা ৩: এই দপ্তরের মাধ্যমে নানা অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেয়া হয়।

উত্তর: ব্যাখ্যা ২: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত ভক্তি ব্যাপারে এই দপ্তর গঠিত হয়।

২.৫.৫ বিবৃতি : মহারাজা হরি সিং ভারতভুক্তি দলিলে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাখ্যা : (১) মনেপ্রাণে তিনি ভারতের সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে ছিলেন ।

ব্যাখ্যা : (২) পাকিস্তানি হানাদারের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক সাহায্য লাভের জন্য ।

ব্যাখ্যা : (৩) কাশ্মীরবাসীর গণভোটের ফলাফল মেনে নিতে ।

উত্তর : ব্যাখ্যা : (২) পাকিস্তানি হানাদার দের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক সাহায্য লাভের জন্য ।

২.৫.৬ বিবৃতি: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হিন্দি ভাষা প্রচলন করতে চেয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা ১: তিনি সারা ভারতে একই ভাষা প্রচলন করতে চেয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা ২: তিনি ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের পক্ষপাতী ছিলেন।

ব্যাখ্যা ৩: তিনি ভাষার ব্যাপারে দেশীয় রাজ্যগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া পক্ষপাতী ছিলেন।

উত্তর: ব্যাখ্যা ১: তিনি সারা ভারতে একই ভাষা প্রচলন করতে চেয়েছিলেন।

২.৫.৭ বিবৃতি :  নেতৃত্বে ‘সীমানা কমিশন’-এর রিপোর্টের ভিত্তিতেই বাংলা ও পাঞ্জাব বিভক্ত করা হয় ।

ব্যাখ্যা :  (১) ‘মাউন্টব্যাটেন রোয়েদাদ’ ছিল বাংলা ও পাঞ্জাব বিভাজনের মূল ভিত্তি ।

ব্যাখ্যা : (২) বাংলা ও পাঞ্জাবকে বিভক্ত করতে  নেতৃত্ব ‘সীমানা কমিশন’ গঠিত হয়

ব্যাখ্যা : (৩) সম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণেই বাংলা ও পাঞ্জাব বিভক্ত করা হয় ।

উত্তর : ব্যাখ্যা : (২)বাংলা ও পাঞ্জাবকে বিভক্ত করতে রেড ক্রিসেন্ট নেতৃত্ব ‘সীমানা কমিশন’ গঠিত হয় ।

২.৫.৮ বিবৃতি: ভারতের ইতিহাসে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরবর্তী পাঁচ বছর পূনর্বাসনের যুগ নামে পরিচিত।

ব্যাখ্যা ১: এই সময় উদ্বাস্তুদের  ত্রাণ ও পুনর্বাসন এর ওপর জোর দেয়া হয়।

ব্যাখ্যা ২: এই সময় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রচিত হয়।

ব্যাখ্যা ৩: স্বাধীনতার পরের পাঁচ বছরে গৃহহীন ভারতীয়দের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়।

উত্তর: ব্যাখ্যা ১: এই সময় উদ্বাস্তুদের  ত্রাণ ও পুনর্বাসন এর ওপর জোর দেয়া হয়।

২.৫.৯ বিবৃতি : ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ছিল আন্দোলনের ফলশ্রুতি ।

ব্যাখ্যা : (১) কংগ্রেস ১৯২০-র দশকেই এর প্রস্তাব দেয় ।

ব্যাখ্যা : (২) জে. ভি. পি. রিপোর্টের এটি সমর্থিত হয় ।

ব্যাখ্যা : (৩) তেলুগুভাষীদের ভাষাভিত্তিক অন্ধের দাবিই ছিল এই মূল কারণ ।

উত্তর : ব্যাখ্যা : (৩) তেলুগু ভাষীদের ভাষাভিত্তিক অন্ধের দাবিই ছিল এই মূল কারণ ।

২.৫.১০ বিবৃতি : ভাষা-ভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন বাস্তবসম্মত ছিল ।

ব্যাখ্যা : (১) দেশের স্থায়িত্বের পক্ষে বহু ভাষাভাষী প্রদেশ জরুরি ছিল ।

ব্যাখ্যা : (২) রাজ্যের শিক্ষা- সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য এটি ছিল জরুরি ।

ব্যাখ্যা : (৩) বহু ভাষাভাষী রাজ্য কেন্দ্রীয় শক্তির সহতির পক্ষে জরুরি ছিল ।

উত্তর : ব্যাখ্যা : (২) রাজ্যের শিক্ষা- সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য এটি ছিল জরুরি ।

বিভাগ গ

(৩) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব কী?

উত্তরঃ ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা ছিল মাউন্টব্যটেন প্রস্তাব।

(১) ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে এবং পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশকে খন্ডিত করে পাকিস্থান নামক পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে।

(২) উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালুচিস্থান ও আসামের অন্তর্গত সিলেট জেলা পাকিস্থানের সঙ্গে যুক্ত হবে কিনা তার জন্য গণভোটে ব্যবস্থা করা।

প্রশ্নঃ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি দলিল বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ ভারতের দেশীয় রাজ্য দপ্তরের প্রধান সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশীয় রাজগুলিকে ভারতভুক্তির জন্য কয়েকটি শর্তযুক্ত যে চুক্তিপত্র তৈরি করেন তা ভারতভুক্তির দলিল নামে পরিচিত। এই চুক্তিতে বলা হয় –

(১) এই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরকারী দেশীয় রাজারা নিজ রাজ্যকে ভারতের অন্তর্যুক্ত করতে বাধ্য হত এবং ভারত সরকারের কাছ থেকে ভাতা, খেতাব ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা লাভ করত।

(২) কয়েকটি দেশীয় রাজ্য ব্যতীত অধিকাংশ দেশীয় রাজ্যের রাজারা এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

প্রশ্নঃ কী পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন?

উত্তরঃ কাশ্মীর রাজ্যের ভারতভুক্তির প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে হয় –

(১) স্বাধীন রাজ্যস্বরূপ উপস্থিতি কাশ্মীর রাজ্যের ঐতিহ্য হওয়ায় কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারত অথবা পাকিস্থানে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলেন।

(২) কিন্তু শেষপর্যন্ত ভারত সরকার শর্তসাপেক্ষ হরি সিং-কে সামরিক সাহায্য করলে হরি সিং ভারতের সঙ্গে যোগ দেন।

প্রশ্নঃ হায়দরাবাদ কীভাবে ভারতভুক্ত হয়?

উত্তরঃ যখন নিজাম ওসমান আলি খান ভারতে যোদদান না করার এবং ভারতের সমস্ত রকম নির্দেশ অমান্য করে আর ভারতের জন্য একটা সুরক্ষার বিপদ তৈরি করে তখন –

(১) ভারতের সামরিক বাহিনীর জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনী সমগ্র হায়দরাবাদ দখল করে।

(২) পরের বছর নিজাম একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারতভুক্তির দলিল স্বাক্ষর করেন এবং ১৯৫০ খ্রিঃ ২৬শে জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দরাবাদ ভারতভুক্ত করে।

প্রশ্নঃ র‍্যাডক্লিফ বিখ্যাত কেন?

উত্তরঃ বড়োলাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন কর্তৃক ভারত-বিভাজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে বঙ্গ ও পাঞ্জাবের সীমানা বিভাজনের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় দুই সীমানা কমিশন। স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফ ছিলো এই দুই সীমানা কমিশনের সভাপতি।

প্রশ্নঃ উদ্‌বাস্তু বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ দেশভাগ কথাটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত কথাটি হল উদুবাস্তু। দেশভাগের ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণ বা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বা অন্য কোনো কারণে যখন নাগরিকরা মাতৃভূমি পরিত্যাগ করে অন্য দেশে আশ্রয় নেয় তখন তারা উদ্‌বাস্তু নামে পরিচিত। ছিন্নমূল এই মানুষগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জাতিবিদ্বেষের শিকার হয় বা বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয়।

প্রশ্নঃ ১৯৫০ খ্রিঃ কেন নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল?

উত্তরঃ (১) ১৯৪৯ খ্রিঃ জুন মাসের মধ্যেই পূর্ববঙ্গে হিন্দু শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং উদবাস্তু সমস্যার সমাধান বা ত্রাণ ও পুনর্বাসনে পশ্চিমবঙ্গে সংকটজনক পরিস্থিতি দেখা দেয়।

(২) ১৯৫০ খ্রিঃ শুরুতেই পাকিস্থান ক্রমশই ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে শুরু করলে পূর্ববঙ্গ থেকে প্রায় প্রত্যেক হিন্দুই পূর্ববঙ্গ ত্যাগ করে ভারতে চলে আসতে চলে যায়।

প্রশ্নঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে উদবাস্তুদের বন্ধু বলা হয় কেন?

উত্তরঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার শিল্প ও সরবরাহ মন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি উদবাস্তুদের বন্ধু নামে পরিচিত। কারণ –

(১) উদবাস্তু সমস্যার সমাধানের জন্য কলকাতায় ভারত-পাকিস্থান কনফারেন্সে প্রতিনিধিরূপে যোগ দেন।

(২) ১৯৫০ খ্রিঃ এপ্রিলে নেহরু-লিয়াকৎ-চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও শ্যামাপ্রসাদ এই চুক্তিতে উদবাস্তুদের স্বার্থযুক্ত রক্ষা কবচের জন্য কোনো কার্যকারী ব্যবস্থা না থাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

প্রশ্নঃ স্মৃতিকথা কীভাবে উদবাস্তু সমস্যার ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়?

উত্তরঃ স্মৃতিকথা থেকে –

(১) দেশভাগের প্রেক্ষাপট জানা যায়

(২) দেশভাগের জন্য মহম্মস আলি জিন্না-সহ মুসলিম লিগ ও কংগ্রেসের দায়িত্ব কতটা তা জানা যায়

(৩) দেশভাগে সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া

(৪) উদবাস্তু সমস্যার উদ্ভব

প্রশ্নঃ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়েছিল?

উত্তরঃ (১) রাজ্য পুনর্গঠন করা কি না বা হলেও এর ভিত্তি কী হবে, কত সংখ্যক রাজ্য পুনর্গঠিত হবে বা রাজ্য পুনর্গঠনের সুফল-কুফল আলোচনা করে সুপারিশ করা ছিল এর প্রধান কাজ।

(২) এই কমিশন অনেক আলাপ-আলোচনার পর রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন এবং ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সুপারিশ করে।

প্রশ্নঃ পট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন?

উত্তরঃ বিiখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী তেলেগু ভাষীদের জন্য পৃঙ্ক অন্ধ্রপ্রদেশের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন। ৫৮ দিন অনশনের পর তাঁর মৃত্যু হয় এবং তাঁর মৃত্যুর পর অন্ধ্রপ্রদেশে তিনদিন ধরে পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশের দাবিতে দাঙ্গা, বিক্ষোভ প্রদর্শন, হরতাল পালিত হয়।

প্রশ্নঃ ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল?

উত্তরঃ স্বাধীনতার পূর্বে কংগ্রেস প্রচার করেছিল যে, স্বাধীনতার পরবর্তীকালে প্রতিটি প্রধান ভাষাগোষ্ঠীর জন্য পৃথক রাজ্য গঠন করে দেবে। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের জাতীয় সংহতি ও প্রশাসনিক কারণে কংগ্রেস ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করে।

বিভাগ ঘ

(৪) বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি কী ছিল?

উত্তরঃ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি ছিল –

(১) ভারতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে ভূপাল, হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাঙ্কুর-সহ বেশ কিছু রাজ্য স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল।

(২) দেশভাগের পর বেশকিছু দেশীয় রাজ্য স্বাধীন থাকার মনোবৃত্তি ঠিক করলেও জওহরলাল নেহরু ঘোষণা করেন যে, ভারতের ভৌগলিক সীমার মধ্যে কোনো স্বাধীন দেশীয় রাজ্যের অস্তিত্ব স্বীকার করা যাবে না।

(৩) দেশীয় রাজ্যগুলি ছিল রাজতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও পশ্চাদ্‌পদ এই রাজ্যগুলির প্রজারা গণতান্ত্রিক ও উন্নত ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে উৎসুক ছিল। দেশীয় রাজ্যগুলিতে প্রজা বিদ্রোহের আশঙ্কাও দেখা যায়।

(৪) ১৯৪৮ খ্রিঃ জানুয়ারি মাসে হায়দ্রাবাদ ও জুনাগড় ছাড়া অন্য রাজ্যগুলি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিভিন্ন জটিলতার কারণে সমগ্র কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত সরকার ব্যর্থ হয়, এদের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যা আজ আছে।

প্রশ্নঃ দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে জুনাগড়, হায়দ্রাবাদ ও কাশ্মীর রাজ্য কীভাবে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যা ছিল জুনাগড়, হায়দ্রাবাদ ও কাশ্মীর রাজ্যের ভারতভুক্তির সমস্যা।

জুনাগড়ঃ কাথিয়াবাড় উপদ্বীপে অবস্থিত জুনাগড় রাজ্যের নবাব পাকিস্থান যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জুনাগড় রাজ্য বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ সৃষ্টি হয়। কাথিয়াবাড়ের কয়েকটি রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে ভারত সেখানে সৈন্যদল পাঠায়; শেষ পর্যন্ত গণভোটের ভিত্তিতে জুনাগড় রাজ্য ভারতে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে মত দেয় এবং তা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।

হায়দ্রাবাদঃ হায়দ্রাবাদের শাসক ওসমান আলি খান বিভিন্ন ভাবে নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখতে ও ভারত সরকারের নির্দেশ অমান্য করতে সচেষ্টা হয়। হায়দ্রাবাদের এজেন্ট জেনারেল কে এম মুন্সী নীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা নেন। শেষপর্যন্ত ভারতের সামরিক বাহিনীর জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনী সমগ্র হায়দ্রাবাদ দখল করে। আর এই হায়দ্রাবাদ অভযান অপারেশন পোলো নামে পরিচিত। পরের বছর নিজাম একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারতচুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করে এবং ১৯৫০ খ্রিঃ ২৬শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দ্রাবাদ ভারতভুক্ত হয়।

কাশ্মীরঃ স্বাধীন রাজ্যরূপে কাশ্মীর রাজ্যের উপস্থিতির ঐতিহ্য থাকায় কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারত অথবা পাকিস্থানে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকতে চাইলেও পাক-মদতপুষ্ট হানাদাররা কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করলে হরি সিং ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন। ভারত সরকার শর্তসাপেক্ষ হরি সিং-কে সামরিক সাহায্য করলে হরি সিং ভারতের সঙ্গে যোগ দেন।

প্রশ্নঃ উদ্‌বাস্তু সমস্যার সমাধানে ভারত সরকারের উদ্যোগ বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ উদ্‌বাস্তু সমস্যার সমাধেন ভারত সরকারের উদ্যোগের বিভিন্ন দিকগুলি হল –

(১) ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু উদ্‌বাস্তু সমস্যার ব্যাপকতা উপলব্ধি করেন এবং এই ছিন্নমূল উদ্‌বাস্তুদের পুনর্বাসনের নীতির ওপর গুরুত্ব দেন বলে স্বাধীনতার প্রথম পাঁচ বছর পুনর্বাসনের যুগ নামে পরিচিত।

(২) উদ্‌বাস্তুদের বাসস্থান, আহার ও নিরাপত্তাদানের জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বপাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর সংখ্যক অস্থায়ী বাসস্থান বা শিবির তৈরি করা হয়, যেখানে নথিভুক্ত উদ্‌বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব ও সরকারি সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।

(৩) গ্রামীণ স্তরের উদ্‌বাস্তুদের জমিদান, কৃষিঋণ ও গৃহনির্মানে ভরতুকি বা সরকারি সাহায্য দেওয়া হয় এবং শহরাঞ্চলে উদ্‌বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব ও সরকারি সাহায্য প্রদানের ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।

(৪) নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তিতে বলা হয় যে, সংখ্যালঘুরা যে যার রাষ্টের প্রতি অনুগত থাকবে এবং তার কাছেই প্রতিকার চাইবে। ভবিষ্যৎ দাঙ্গা প্রতিহতকরণের ব্যবস্থা করা হবে এবং উদ্‌বাস্তুদের নিজের দেশে প্রত্যাবর্তনে উৎসাহদান করা হবে।

প্রশ্নঃ স্বাধীনতার পরে ভাষার ভিত্তিতে ভারত কীভাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল?

উত্তরঃ ভারতে দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এবং এই রাজ্যগুলির সীমানা কী হবে অথবা, রাজ্যগুলি ভাষাভিত্তিক বা উপজাতিভিত্তিক রাজ্য হবে কিনা সে সম্পর্কে বিতর্ক দেখা যায়। স্বাধীন তেলগু ভাষাভিত্তিক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠন এই বিতর্কে ইন্ধন জোগায়।

ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনঃ

(১) হায়দ্রাবাদ থেকে তেলেঙ্গনাকে বিচ্ছিন্ন করে অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

(২) মালাবার ও ত্রিবাঙ্কুর কোচিনকে যুক্ত করে গঠন করা হয়।

(৩) কন্নড়ভাষী অঞ্চলগুলিকে মহীশূরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

(৪) বিহারের পূর্ণিয়া জেলার কিছু অংশ ও পুরুলিয়াকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

প্রতিক্রিয়াঃ এভাবে বিভিন্ন রাজ্যে ভাষার ভিত্তিতে ভাগ করা হলে আরো বিভিন্ন রাজ্যে এর প্রতিক্রিয়া উঠে। তার মধ্যে অন্যতম হল –

(১) ১৯৬০ খ্রিঃ বোম্বাই-প্রদেশকে দুভাগ করে মারাঠিভাষী মহারাষ্ট্র ও গুজরাটিভাষী গুজরাট রাজ্য তৈরি করা হয়।

(২) পাঞ্জাব প্রদেশকে ভেঙে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা নামক দুটি রাজ্য তৈরি করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!