জীবনের প্রবমানতা

MCQ প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – 

জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | 

Madhyamik Life Science Question and Answer : 

  1. অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনের সঠিক বৈশিষ্ট্যটি শনাক্ত করো 

(A) যৌন জননকারী জীবের জনন মাতৃকোশে ঘটে 

(B) এটিকে পরোক্ষ বিভাজন বলা হয় । 

(C) ক্রোমোজোম ও বেমতত্ত্ব গঠিত হয় না 

(D) ক্রোমোজোম ও বেমতত্ত্ব গঠিত হয় না । 

Ans: (D) ক্রোমোজোম ও বেমতত্ত্ব গঠিত হয় না । 

  1. মিয়োসিসের তাৎপর্য সংক্রান্ত নীচের কোন বক্তব্যটি সঠিক তা সঠিকভাবে নিরূপণ করো – 

(A) দেহের সার্বিক বৃদ্ধি ও পরিস্ফুটন ঘটায় 

(B) জীবের জনন অঙ্গের ও ভ্রুণের বৃদ্ধি ঘটায় 

(C) বংশগত প্রকরণবাহী হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপাদন করে 

(D) কোনো কোনো প্রাণীর দেহে কোনো অঙ্গহানি ঘটলে সেটি পুনরুৎপাদন করে । 

Ans: (C) বংশগত প্রকরণবাহী হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপাদন করে 

  1. সঠিক জোড়টি নির্বাচন করো এবং লেখো 

(A) বহুবিভাজন- হাইড্রা 

(B) খন্ডীভবন স্পাইরোগাইরা 

(C) পুনরুৎপাদন ফার্ন 

(D) কোরকোগম প্ল্যানেরিয়া । 

Ans: (B) খন্ডীভবন স্পাইরোগাইরা

  1. নীচের কোন উদ্ভিদ অধবায়ব কাণ্ডের সাহায্যে জনন সম্পন্ন করে ? 

(A) কচুরিপানা / 

(B) আদা / 

(C) পাথরকুচি / 

(D) জবা 

Ans: (A) কচুরিপানা

  1. কোশচক্রের যে দশায় DNA অণুর সংশ্লেষ ঘটে সেটি হলো-

( a ) G , 

( b ) S

( c) G2, 

 ( d ) M 

Ans: ( b ) S

  1. সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোম প্রধানত 

(A) দুই প্রকার 

(B) তিন প্রকার 

(C) চার প্রকার

(D) কোনো প্রকারভেদ নেই । 

Ans: (C) চার প্রকার

  1. যে নাইট্রোজেন বেসটি DNA- তে থাকে না কিন্তু RNA- তে থাকে সেটি হলো—

( a ) অ্যাডেনিন /

( b ) গুয়ানিন /

( c ) থাইমিন /

( d ) ইউরাসিল 

Ans: ( d ) ইউরাসিল

  1. মানবদেহে বৃদ্ধির 12 থেকে 20 বছর বয়স পর্যন্ত দশাকে বলা হয় – 

(A) শৈশব দশা 

(B) বয়ঃসন্ধি দশা 

(C) পরিণত দশা

(D) বার্ধক্য দশা ৷ 

Ans: (B) বয়ঃসন্ধি দশা

  1. যৌন জননের একক হলো— 

(A) রেণু / 

(B) গ্যামেট / 

(C) শুক্রাশয় / 

(D) ডিম্বাশয় 

Ans: (B) গ্যামেট

  1. নীচের কোন প্রাণীর কোরকোগম দেখা যায় ? (A) হাইড্রা / 

(B) অ্যামিবা / 

(C) চ্যাপ্টা কৃমি / 

(D) প্যারামেসিয়াম 

Ans: (A) হাইড্রা

[ আরোও দেখুন:- Madhyamik Life Science Suggestion 2024 Click here ]

  1. প্রতিটি ক্রোমোজোমে ক্রোমাটিডের সংখ্যা হলো— 

(A) 2 / 

(B) 4 / 

(C) 6 / 

(D) 8 

Ans: (A) 2

  1. DNA- এর গঠনগত একক হলো— 

(A) নিউক্লিওসাইড / 

(B) নিউক্লিওটাইড / 

(C) নিউক্লিওলাস / 

(D) কোনোটিই নয় 

Ans: (B) নিউক্লিওটাইড

  1. কোশ বিভাজনের যে দশায় নিউক্লিয় পর্দা বিলুপ্ত হয় সেটি হলো– 

(A) প্রোফেজ / 

(B) মেটাফেজ / 

(C) অ্যানাফেজ / 

(D) টেলোফেজ 

Ans: (A) প্রোফেজ

  1. প্লাজমোডিয়ামের জনন পদ্ধতি হলো 

(A) দ্বিবিভাজন / 

(B) বহুবিভাজন / 

(C) কোরকোগম / 

(D) খণ্ডীভবন 

Ans: (B) বহুবিভাজন

[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion 2024 Click here ]

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer : 

  1. যৌন জননের একককে কী বলে ? 

Ans: গ্যামেট । 

  1. কোন প্রকার কোশ বিভাজনে ক্রোমোজোমের সংখ্যা হ্রাস ঘটে ? 

Ans: মিয়োসিস কোশ বিভাজন ।

  1. মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী ক্রোমোজোমকে কী বলে ? 

Ans: অটোজোম ।

  1. DNA- এর দ্বিতন্ত্রী নকশা কে আবিষ্কার করেন ? 

Ans: বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিক ।

  1. DNA- এর পুরো নাম কী ? 

Ans: ডি – অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড ।

  1. কোন প্রকার কোশ বিভাজনকে সমবিভাজন বলে ?

Ans: মাইটোসিস কোশ বিভাজন ৷

  1. মিয়োসিস পদ্ধতিতে উৎপন্ন অপত্য কোশের সংখ্যা কত ? 

Ans: চার । 

  1. অযৌন জননের একককে কী বলে ? 

Ans: রেণু ( Spore ) । 

  1. খণ্ডীভবন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদের উদাহরণ দাও ।

Ans: স্পাইরোগাইরা ।

  1. বহুবিভাজনের একটি উদাহরণ দাও । 

Ans: প্লাসমোডিয়াম । 

  1. ইন্টারকাইনেসিস দশা কোথায় দেখা যায় ? 

Ans: মিয়োসিস -1 ও মিয়োসিস- II- এর মধ্য পর্যায়ে ।

  1. কোন প্রকার কোশ বিভাজনে বেম বা স্পিন্ডিল গঠিত হয় না ? 

Ans: অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনে বেম গঠিত হয় না । 

  1. ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তকে কী বলে ? 

Ans: টেলোমিয়ার । 

  1. মুলের সাহায্যে প্রাকৃতিক অঙ্গজ জননের একটি উদাহরণ দাও । 

Ans: রাঙা আলু বা লাল । 

  1. একটি অর্ধবায়বীয় কাণ্ডের উদাহরণ দাও । 

Ans: কচুরিপানা ।

  1. কোন প্রকার জনন পদ্ধতি প্রকরণ সৃষ্টি করে এবং বিবর্তনে সাহায্য করে ? 

Ans: যৌনজনন ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer : 

  1. সেন্ট্রোমিয়ার কাকে বলে ।

Ans: ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজে অবস্থিত যে গোলাকার গঠনটি দু’টি ক্রোমাটিডকে যুক্ত করে রাখে তাকে সেন্ট্রোমিয়ার বলে । 

  1. ক্রোমোজোমের দু’টি কাজ লেখো । 

Ans: ক্রোমোজোমে বংশগত পদার্থ অর্থাৎ জিন অবস্থান করে । ও ক্রোমোজোম কোশের সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে । 

  1. ক্রসিং ওভার কাকে বলে ? 

Ans: মিয়োসিসের -1 এর প্রোফেজ 1 – এর প্যাকাইটিন উপদশায় সমসংস্থ ক্রোমোজোমদ্বয়ের নন – সিস্টার ক্রোমাটিড দু’টির মধ্যে কায়াজমা ( X- এর মতো গঠন ) গঠিত হয় এবং ক্রোমোজোমের দেহাংশের বিনিময় সম্পন্ন হয় । একে ক্রসিং ওভার বলে । 

  1. RNA কত প্রকার ও কী কী ? এর কাজ কী ?

Ans: তিন প্রকারের , যথা— r RNA ( রাইবোজোমাল RNA ) , RNA ( ট্রান্সফার RNA ) , mRNA ( মেসেঞ্জার RNA ) । 

– কাজ প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বংশগত বস্তু হিসেবে কাজ করে । 

  1. মাইক্রোটিবিউলস কী ? এর কাজ কী ? 

Ans: উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত সুক্ষ্ম নালিকাগুলিকে মাইক্রোটিবিউলস বলে । 

কাজ : জল , আয়ন পরিবহণ করে । ওকোশ বিভাজনের সময় বেমতত্ত্ব ও অ্যাস্টার গঠন করে । 

  1. একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের পাতার কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 18 হলে তার সস্যে ও জননকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত হবে ? 

Ans: পাতার কোশ ডিপ্লয়েড , 2n = 18 জননকোশে ক্রোমোজোমের সংখ্যা n = 9 M সস্যের ক্রোমোজোম সংখ্যা 3n = 3×9 = 27 

  1. ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ কাকে বলে ?

Ans: কোনো জীবের বৈশিষ্ট্যাবলির বাহ্যিক প্রকাশকে ওই জীবের ফিনোটাইপ এবং জিন সংযুক্তির দ্বারা নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যকে তার জিনোটাইপ বলে । 

  1. অ্যালিল বা অ্যালিলোমর্ফ কী ? 

Ans: সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট বিন্দুতে অবস্থিত বিপরীতধর্মী জিনজোড়াকে একে অপরের অ্যালিল বলে । যেমন— লম্বা বেঁটে , সাদা – কালো ইত্যাদি । 

  1. মিয়োসিস কোশ বিভাজনকে হ্রাসবিভাজন বলে কেন ?

Ans: এই প্রকার কোশ বিভাজনে মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম পর পর দুইবার বিভাজিত হয় এবং মাতৃকোশের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত চারটি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে । তাই মিয়োসিসকে হ্রাসবিভাজন বলে । 

  1. জনন কাকে বলে ?

Ans: যে পদ্ধতিতে জীব নিজ আকৃতি বিশিষ্ট অপত্য জীব সৃষ্টির মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখে এবং সংখ্যার বৃদ্ধি করে তাকে জনন বলে । 

  1. বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে ?

Ans: ১২-২০ বছর পর্যন্ত সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে । এইসময় ছেলে ও মেয়েদের গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় ও যৌন হরমোন ক্ষরণ হয় । 

  1. মাইক্রোপ্রোপাগেশন কাকে বলে ? 

Ans: যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদের কোশ , কলা বা অঙ্গ প্রভৃতির ক্ষুদ্রতম অংশ কর্ষণ করে অল্প সময়ে একইরকমের উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটানো হয় তাকে মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণ বলে । 

  1. অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রোপাগেশনের দু’টি সুবিধা উল্লেখ করো ।

Ans: উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত অসংখ্য উদ্ভিদ অল্প সময়ে সৃষ্টি করা যায় । ও রোগমুক্ত উদ্ভিদ সৃষ্টি করা যায় ৷ 

  1. ক্রোমোজোমের সংজ্ঞা দাও । 

Ans: ক্রোমোজোমের সংজ্ঞা : ইউক্যারিওটিক কোশের নিউক্লিয় জালক থেকে সৃষ্ট , নিউক্লিয় প্রোটিন দ্বারা গঠিত , স্বপ্রজননশীল যে সূত্রাকার অংশ জিন বহন করে ও বংশগত বৈশিষ্ট্যাবলির বিস্তার ঘটায় এবং জীবের পরিব্যক্তি , প্রকরণ ও বিবর্তনে সাহায্য করে তাকে ক্রোমোজোম বলে । 

  1. কোশচক্র কাকে বলে ? কোশচক্রের দশাগুলির নাম লেখো । 

Ans: কোশচক্র : একটি কোশের একবার বিভাজন শুরু থেকে পরবর্তী বিভাজন | শুরু পর্যন্ত যে ঘটনাগুলি ঘটে তার পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে কোশচক্র বলে । কোশচক্রের দশাগুলি হলো— G ,, S , G , ও M দশা । 

  1. হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড বলতে কী বোঝায় ? Ans: অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম সেটকে বা n সংখ্যক ক্রোমোজোমকে হ্যাপ্লয়েড বলে এবং দ্বিগুণ সংখ্যক বা 2n সংখ্যক ক্রোমোজোমকে ডিপ্লয়েড সেট বলে । উদাহরণ : মানুষের গ্যামেট হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির ও দেহকোশ ডিপ্লয়েড প্রকৃতির । 
  2. DNA- এর দু’টি কাজ লেখো । 

Ans: বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে । ORNA ও প্রোটিন সংশ্লেষ করে । প্রশ্ন অঙ্গজ জননের সংজ্ঞা দাও । যে জনন পদ্ধতিতে জীব তার দেহের কোনো অংশ বা অঙ্গ থেকে নিজ আকৃতিবিশিষ্ট অপত্য জীব সৃষ্টি করে তাকে অঙ্গজ জনন বলে । 

  1. অযৌন জননের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা লেখো । 

Ans: সুবিধা — কম সময়ে বেশি জীব সৃষ্টি হয় । ও অপত্য জীব জনিতৃ জীবের 

অসুবিধা – নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না । ও পরিবেশের পরিবর্তন হলে অভিযোজনে সক্ষম হয় না । 

  1. অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস কী ? উদাহরণ দাও ।

Ans: নিষেক ছাড়াই অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে অপত্য জীব সৃষ্টিকে অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস বলে । উদাহরণ স্পাইরোগাইরা , বোলতা , মৌমাছি ইত্যাদি ।

  1. জনুক্রম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও । 

Ans: জীবের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশা বা অযৌন ও যৌন জনন দশা বা স্পোরোফাইট ও গ্যামেটোফাইট দশার চক্রাবর্ত আবর্তনকে জনুক্রম বলে । উদাহরণ : উদ্ভিদ – মস , ফার্ন ইত্যাদি । প্রাণী— প্যারামেসিয়াম , মনোসিস্ট ইত্যাদি । 

  1. গ্যামেট কী ? এটি কত প্রকারের ও কী কী ?

Ans: যৌন জননের একককে গ্যামেট বলে । — এটি দুই প্রকার । যথা – পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু এবং স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণু । 

  1. অ্যামাইটোসিস কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।

Ans: যে পদ্ধতিতে মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভাজিত ( নিউক্লিও পর্দা অবলুপ্তি ও বেমতত্ত্ব গঠন ছাড়া ) হয়ে দু’টি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে তাকে অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন বলে । উদাহরণ : ইস্ট , অ্যামিবা , ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদিতে দেখা যায় । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer : 

  1. পরাগযোগ কাকে বলে ? স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধা লেখো । 

Ans: পরাগযোগ : যে প্রক্রিয়ায় ফুলের পরাগরেণু একই ফুলে বা একই গাছের অন্য ফুলে বা একটি প্রজাতির অন্য গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় , তাকে পরাগযোগ ( Pollination ) বলে । এটি দুই প্রকার 

  1. স্বপরাগযোগ : কোনো ফুলের পরাগরেণু সেই ফুলে বা সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হলে তাকে স্বপরাগযোগ বলে । 
  2. i) বাহকের দরকার হয় না । ii) অপত্য জীবে নতুন বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন হয় না , সুবিধা একই বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে । 

অসুবিধা : 1) উন্নত প্রজাতি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না ।

  1. ইতর পরাগযোগ : কোনো ফুলের পরাগরেণু একই প্রজাতির অন্য গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হলে তাকে ইতর পরাগযোগ বলে । 

সুবিধা – 1) অপত্যে নতুন বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন হয় । 2) অপত্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয় । 

অসুবিধা – 1) বাহকের উপর নির্ভরশীল বলে পরাগযোগ অনিশ্চিত হয় । 2) রেণুর অপচয় হয় । 2. সাইটোকাইনেসিস কাকে বলে ? উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস বর্ণনা করো । Ans: নিউক্লিয়াসের বিভাজনের পর সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে সাইটোকাইনেসিস বলে । 

উদ্ভিদকোশে সাইটোকাইনেসিস : উদ্ভিদকোশে কোশপাত বা সেলপ্লেট গঠনের মাধ্যমে সাইটোকাইনেসিস সম্পন্ন হয় । টেলোফেজ দশার শেষের দিকে মাইক্রোফিলামেন্ট নামক তত্ত্বগুচ্ছ বিষুব অঞ্চলে জমা হয় এবং একটি প্রাচীরের মতো গঠন তৈরি করে যা ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট নামে পরিচিত । এর সঙ্গে গলগিবডি ভেসিকেল যুক্ত হয়ে কোশপাত গঠন করে । কোশপাতের উভয় পাশে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ সম্ভিত হয়ে কোশপ্রাচীর গঠন করে । ফলে কোশের সাইটোপ্লাজম দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি অপত্য কোশের সৃষ্টি হয় । 

প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস : প্রাণীকোশে খাঁজ গঠনের মাধ্যমে বা ক্লিভেজ পদ্ধতিতে সাইটোকাইনেসিস হয় । টেলোফেজ দশায় কোশের মধ্যবর্তী স্থানে দুইপাশের কোশপর্দা সংকুচিত হয়ে খাঁজ তৈরি করে । এই খাজ একে অপরের দিকে এগিয়ে আসে এবং পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয় । ফলে কোশের সাইটোপ্লাজম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এবং দু’টি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয় । 

  1. DNA- এর রাসায়নিক উপাদানগুলি উল্লেখ করো ।

Ans: DNA- এর রাসায়নিক উপাদানগুলি হলো— 

  1) নাইট্রোজেন বেস– পিউরিন , যথা— অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন । 

  2) পিরিমিডিন , যথা— সাইটোসিন ও থাইমিন । শর্করা DNA- তে শর্করা ডি – অক্সিরাইবোজ রূপে অবস্থান করে ।

  1. নিষেক কাকে বলে ? সপুষ্পক উদ্ভিদের নিষেক পদ্ধতি এবং নতুন উদ্ভিদ গঠন সংক্ষেপে আলোচনা করো । 

Ans: নিষেক : যে পদ্ধতিতে পুংগ্যামেট এবং স্ত্রীগ্যামেট স্থায়ীভাবে মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড কোশ জাইগোট গঠন করে নতুন জীব সৃষ্টি করে তাকে নিষেক ( Fertilization ) বলে । 

সপুষ্পক উদ্ভিদের নিষেক পদ্ধতি— 

  1. পরাগযোগ : ফুলের পুংকেশরে পরাগধানী থেকে পরাগরেণু ( n ) উৎপন্ন হয় এবং বাহক ছাড়া একই ফুলের বা অন্য ফুলের স্ত্রীস্তবকের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় । 
  2. পরাগরেণুর অঙ্কুরোদ্গম এবং পুংগ্যামেট সৃষ্টি : গর্ভমুণ্ড থেকে রস শোষণ করে পরাগরেণু স্ফীত হয় এবং অন্তঃত্বক থেকে একটি নল সৃষ্টি করে । একে পরাগরেণুর অঙ্কুরোদ্‌গম বলে । পরাগনালির মধ্যে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে একটি নালিকা নিউক্লিয়াস এবং একটি জনন নিউক্লিয়াস গঠন করে । জনন নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয়ে দু’টি পুংগ্যামেট গঠন করে। 
  3. স্ত্রীগ্যামেট সৃষ্টি : ফুলের ডিম্বাশয়ে এক বা একাধিক ডিম্বক থাকে । ডিম্বকে রেণু মাতৃকোশ থেকে চারটি স্ত্রীরেণু বা মেগাস্পোর গঠিত হয় । তিনটি স্ত্রীরেণু নষ্ট হয় এবং একটি সক্রিয় স্ত্রীরেণু ভ্রূণস্থলী গঠন করে এবং পরপর চারবার বিভাজিত হয়ে আটটি নিউক্লিয়াস গঠন করে । এর মধ্যে একটি ডিম্বাণু বা স্ত্রীগ্যামেট থাকে । 
  4. নিষেক : পরাগনালি ভ্রুণস্থলীতে প্রবেশ করলে পুংগ্যামেট দু’টির একটি ভ্রুণস্থলীতে উৎপন্ন ডিম্বাণুর ( n ) সঙ্গে মিলিত হয়ে জাইগোট ( 2n ) গঠন করে এবং অপর পুংগ্যামেটটি নির্ণীত নিউক্লিয়াসের সঙ্গে মিলিত হয়ে শস্য নিউক্লিয়াস ( 3n ) গঠন করে । জাইগোট থেকে পরে ভ্রুণ গঠিত হয় এবং শস্য নিউক্লিয়াস থেকে শস্য গঠিত হয় । 
  5. ঘৃণ , ফল ও বীজ গঠন : ডিপ্লয়েড জাইগোট মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে ভ্রুণ গঠন করে । ডিম্বকটি বীজে পরিণত হয় এবং ডিম্বাশয় পরিণত হয়ে ফল গঠন করে ।
  6. অপত্য উদ্ভিদ গঠন : বীজের মধ্যে অবস্থিত ভ্রুণ অনুকূল পরিবেশে অর্থাৎ আলো , উন্নতা , অক্সিজেনের উপস্থিতিতে অঙ্কুরোদ্‌গম ঘটায় এবং নতুন অপত্য উদ্ভি সৃষ্টি করে । এর ভ্রুণমূল অংশ থেকে মূল এবং ভ্রুণমুকুল অংশ থেকে কাণ্ড গঠিত । 
  7. মাইটোসিস কাকে বলে ? মাইটোসিস কোশ বিভাজনের প্রোফেজ । মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।

Ans: মাইটোসিস : যে ধারাবাহিক পদ্ধতির সাহায্যে কোনো দেহ মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতি , সমগুণসম্পন্ন এবং সমান সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত দু’টি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস বলে । 

প্রোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : 1) নিউক্লিয় জালিকা থেকে উৎপন্ন ক্রোমাটিন সূত্রগুলি জল ত্যাগ করে জল বিয়োজন ) স্পষ্ট হতে থাকে । 2) ক্রোমাটিডগুলি কুণ্ডলীকৃত হয়ে ছোটো ও মোটা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম সৃষ্টি হয় । নিউক্লিওলাস ক্রমশ ছোটো হতে হতে এই দশার শেষের দিকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয় । 

মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : 1) নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাস সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয় । 2) ক্রোমোজোমগুলি বিষুব অঞ্চলে বা নিরক্ষীয় তলে অবস্থান করে । 3) বেমতত্ত্ব গঠিত হয় । অবিচ্ছিন্ন বেমতত্ত্ব উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত । ক্রোমোজোমীয় তত্ত্ব উত্তর বা দক্ষিণ মেরু এবং ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকে । 

  1. মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য লেখো । 

Ans: অ্যানাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য— 1) এটি ক্যারিওকাইনেসিস বা নিউক্লিয়াসের বিভাজনের তৃতীয় দশা । 2) এই দশায় ক্রোমোজোমগুলি বিভক্ত হয়ে দু’টি ক্রোমাটিড গঠন করে এবং নতুন সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপত্য ক্রোমোজোম গঠন করে । 3) ক্রোমোজোমগুলির অর্ধেক উত্তর মেরু ও অর্ধেক দক্ষিণ মেরুর দিকে গমন করে । এটি বেমতত্তুর সংকোচনের ফলে সম্পন্ন হয় । 4) এই দশায় ক্রোমোজোমগুলি V ( মেটাসেন্ট্রিক ) , ‘ L ‘ ( সাব – মেটাসেন্ট্রিক ) , ‘ J ‘ ( অ্যাক্সোসেন্ট্রিক ) ও ‘ I ‘ ( টেলোসেন্ট্রিক ) আকৃতির মতো দেখায় ৷ 

টেলোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য — 1)  ক্রোমোজোমগুলি উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছায় । 2) ক্রোমোজোমের কুণ্ডলী খুলে যায় , জলগ্রহণ করে এবং নিউক্লিয় জালক গঠন করে । 3) নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাসের আবির্ভাব হয় । 4) এই দশার শেষে দু’টি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয় । 

  1. DNA- এর ভৌত গঠন সংক্ষেপে আলোচনা করো । 

Ans: DNA- এর ভৌত গঠন : একপ্রকারের জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা সাধারণত ক্রোমোজোমে এবং অল্প পরিমাণে ক্লোরোপ্লাস্ট ও মাইটোকন্ড্রিয়াতে দেখা যায় । DNA চার প্রকারের নাইট্রোজেনের বেস ( যথা— অ্যাডেনিন , গুয়ানিন , সাইটোমিন , ও থাইমিন ) ডি – অক্সিরাইবোজ শর্করা এবং ফসফেট নিয়ে গঠিত । বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিক বর্ণিত DNA- এর ভৌত গঠন নীচে আলোচনা করা হলো— 

  1) নাইট্রোজেনের বেস , ডি – অক্সিরাইবোজ শর্করা একসঙ্গে নিউক্লিওসাইড গঠন করে । নিউক্লিওসাইড ফসফেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিউক্লিওটাইড গঠিত হয় । 

  2) একাধিক নিউক্লিওটাইড ফসফোডাই – এস্টার বন্ধন দিয়ে যুক্ত হয়ে পলি নিউক্লিওটাইড গঠন করে । 

  3) দু’টি পলি নিউক্লিওটাইড শৃঙ্খল হাইড্রোজেন বন্ধন দিয়ে যুক্ত হয়ে দ্বিতন্ত্রী DNA গঠন করে এবং পরস্পরকে পেঁচিয়ে সিঁড়ির মতো অবস্থান করে । সিঁড়ির হাতল দু’টি শর্করা ও ফসফেট নিয়ে গঠিত এবং পাদানিগুলি নাইট্রোজেনের বেস দিয়ে গঠিত । 

  4) DNA- এর দু’টি শৃঙ্খলের বেসগুলি হাইড্রোজেন বন্ধন দিয়ে যুক্ত হওয়ার সময় A = T এবং G = C দিয়ে যুক্ত অর্থাৎ A , T এর সঙ্গে দু’টি এবং G , C এর সঙ্গে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ধন দিয়ে যুক্ত হয় । 

DNA- এর একটি সম্পূর্ণ পাকের দৈর্ঘ্য 34A [ 34 অংস্ট্রং ] । এই পাকে দশটি বেস থাকে । তাই দু’টি বেসের মধ্যে দুরত্ব 3.4A । DNA , 20A চওড়া হয় এবং শুধু বনের দৈর্ঘ্য 3A হয় । 

  1. মিয়োসিস কোশ বিভাজন কাকে বলে ? এটি কোথায় সম্পন্ন হয় ? এর তাৎপর্য উল্লেখ করো ।

Ans: যে কোশ বিভাজন পদ্ধতিতে জনন মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম পরপর দুইবার প্রথমে হ্রাসবিভাজন ও পরে সমবিভাজন ) বিভাজিত হয়ে অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত চারটি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে তাকে মিয়োসিস কোশ বিভাজন বলে । এটি জনন মাতৃকোশে সম্পন্ন হয় । যেমন— মস , ফার্ন ইত্যাদি উদ্ভিদের রেণু মাতৃকোশে , উন্নত উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বাশয়ে প্রাণীদের শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ে। 

মিয়োসিসের তাৎপর্য : 

  1. ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা – মিয়োসিস কোশ বিভাজনে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোজোেমযুক্ত গ্যামেট উৎপন্ন হয় । হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড কোশ সৃষ্টি হয় । ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস না পেলে গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পেত । তাই ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখতে মিয়োসিস সাহায্য করে । 
  2. জিনের পুনর্বিন্যাস – মিয়োসিস কোশ বিভাজনে ক্রসিং ওভার সম্পন্ন হওয়ায় ক্রোমোজোমের দেহাংশের বিনিময় ঘটে । ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস হয় । 
  3. জিনগত ভেদ সৃষ্টি – ক্রসিং ওভারের ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন হওয়ায় প্রজাতির মধ্যে জিনগত ভেদ দেখা যায় ৷ 
  4. জনুক্রম নিয়ন্ত্রণ – মিয়োসিস কোশ বিভাজন সম্পন্ন হওয়ায় জীবদেহে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশার আবর্তন ঘটে । তাই এটি জনুক্রম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

DNA ও RNA-এর পার্থক্য

বিষয় DNA RNA
1. অবস্থান প্রধানত কোশের নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে এ ছাড়া অন্যান্য কিছু কোশীয় অঙ্গানুতে| যেমন — মাইটোকনড্রিয়ায়। প্রধানত কোশের সাইটোপ্লাজম ও রাইবোজোমে।
2. তন্ত্রীর সংখ্যা DNA মূলত দ্বিতন্ত্ৰী। RNA সাধারণত একতন্ত্রী।
3. উপস্থিত শর্করা পাঁচ কার্বনযুক্ত ডি-অক্সিরাইবোজ। পাঁচ কার্বনযুক্ত রাইবোজ।
4. উপস্থিত N2 ঘটিত ক্ষারক পিউরিনজাতীয় ক্ষারক অ্যাডেনিন, গুয়ানিন এবং পিরিমিডিনজাতীয় ক্ষারক সাইটোসিন এবং থাইমিন। পিউরিনজাতীয় ক্ষারক অ্যাডেনিন, গুয়ানিন এবং পিরিমিডিনজাতীয় ক্ষারক সাইটোসিন এবং ইউরাসিল।
5. বংশগতিতে সক্রিয়তা বংশগতি বৈশিষ্ট্যের ধারক, বাহক ও নিয়ন্ত্রকরূপে সক্রিয়। কয়েকটি নিম্নশ্রেণির জীব ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহনের দিক থেকে নিষ্ক্রিয়।
6. কাজ বংশগতি-সংক্রান্ত সংকেত বহন করে। DNA-এর সংকেত অনুযায়ী অ্যামিনো অ্যাসিড তথা প্রোটিন সংশ্লেষ করে।

পার্থক্য লেখো – 1.ক্রোমোজোম ও ক্রোমাটিড, 2. সেন্ট্রোমিয়ার ও সেন্ট্রোজোম

ক্রোমোজোম ও ক্রোমাটিড-এর পার্থক্য

বিষয় ক্রোমোজোম ক্রোমাটিড
1. গঠন প্রকৃতি  ক্রোমাটিন জালিকার সংকুচিত, যা বিভাজনের সময়ে দৃশ্যমান হয়। ক্রোমোজোমের সমতুল্য অনুদৈর্ঘ্য অর্ধাংশ।
2. সংখ্যাগত উপস্থিতি  কোশের মধ্যে দুই বা ততোধিক ক্রোমোজোম থাকতে পারে। একটি ক্রোমোজোমে ক্রোমাটিডের সংখ্যা দুইয়ের বেশি নয়।
3. প্রধান সংগঠক ক্রোমোজোম প্রধানত ক্রোমাটিড ও সেন্ট্রোমিয়ার সহযোগে গঠিত। ক্রোমাটিড প্রধানত ক্রোমোনিমাটা ক্রোমোমিয়ার সহযোগে গঠিত।

সেন্ট্রোমিয়ার ও সেন্ট্রোজোম-এর পার্থক্য

বিষয় সেন্ট্রোমিয়ার সেন্ট্রোজোম
1. অবস্থান ক্রোমোজোমে ক্রোমাটিডদ্বয়ের সংযোগস্থল বা মুখ্য খাঁজে। সাইটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াসের নিকটে অবস্থান করে।
2. সংশ্লিষ্ট কোশ উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়প্রকার কোশে থাকে। কেবলমাত্র প্রাণীকোশে থাকে।
3. ভৌত গঠন ক্রোমোজোমে দুটি সিস্টার ক্রোমাটিডের সংযুক্তি স্থান। নয়টি অনুনালিকা দ্বারা গঠিত নলাকার অংশ।
4. রাসায়নিক প্রকৃতি সেন্ট্রোমিয়ার সাধারণত নিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত। সেন্ট্রোজোম সাধারণত লাইপোপ্রোটিন দ্বারা গঠিত।
5. কাজ ক্রোমোজোমের দুটি ক্রোমাটিডকে যুক্ত করে। কোশ বিভাজনকালে প্রাণীকোশে বেমতত্ত্ব গঠন করে।

পার্থক্য লেখো – 1. মাইটোসিস ও অ্যামাইটোসিস, 2. ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস

মাইটোসিস ও অ্যামাইটোসিস-এর পার্থক্য

বিষয় মাইটোসিস অ্যামাইটোসিস
1. বিভাজন প্রকৃতি প্রত্যক্ষ বিভাজন। পরোক্ষ বিভাজন।
2. নিউক্লীয় পর্দার অবলুপ্তি ঘটে। ঘটে। এই ঘটনা ঘটার অবকাশ নেই।
3. বেমতত্ত্ব গঠন ঘটে। ঘটে না।
4. প্রোফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ দশার উপস্থিতি  উপস্থিত। অনুপস্থিত।
5. নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের বিভাজনের সময় সাধারণত নিউক্লিয়াস বিভাজনের পরে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন হয়। নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম প্রায় একই সঙ্গে বিভাজিত হয়।

ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস-এর পার্থক্য

বিষয় ক্যারিওকাইনেসিস সাইটোকাইনেসিস
1. বিভাজন নিউক্লিয়াসের বিভাজন। সাইটোপ্লাজমের বিভাজন।
2. উপদশার উপস্থিতি নিউক্লিয়াস চারটি উপদশার মাধ্যমে বিভাজিত হয়। কোনো উপদশা থাকে না, সরাসরি বিভাজিত হয়।
3. সময় ও জটিলতা বেশি সময় লাগে ও প্রক্রিয়াটি জটিল। কম সময় লাগে ও প্রক্রিয়াটি কম জটিল।
4. উৎপন্ন অংশ দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস। দুটি অপত্য কোশ।

পার্থক্য লেখো – 1. সেন্ট্রিওল ও সেন্ট্রোমিয়ার, 2. উদ্ভিদকোশে সাইটোকাইনেসিস ও প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস

সেন্ট্রিওল ও সেন্ট্রোমিয়ার-এর পার্থক্য

বিষয় সেন্ট্রিওল সেন্ট্রোমিয়ার
1. গঠন প্রকৃতি সেন্ট্রোজোমের মধ্যে অবস্থিত পিপার মতো আকৃতিবিশিষ্ট অংশ। ক্রোমোজোমের মুখ্যখাঁজে অবস্থিত চাকতিসদৃশ অংশ।
2. সংগঠন অংশ 9টি ত্রয়ী অণুনালিকা। চারটি সেন্ট্রোমেরিক ক্রোমোমিয়ার।
3. কাজ প্রাণীকোশ বিভাজনকালে মাকু গঠন। ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিডদ্বয়কে আবদ্ধ রাখা ও কোশ বিভাজনকালে ক্রোমোজোমকে বেমতন্তুর সঙ্গে সংযুক্ত রাখা।

উদ্ভিদকোশে ও প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস-এর পার্থক্য

বিষয় উদ্ভিদকোশে সাইটোকাইনেসিস প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস
1. পদ্ধতি উদ্ভিদকোশে কোশপাত বা সেলপ্লেট মাধ্যমে সাইটোকাইনেসিস ঘটে। প্রাণীকোশে ক্লিভেজ বা ফারোয়িং পদ্ধতিতে সাইটোকাইনেসিস ঘটে।
2. সময় উদ্ভিদকোশে টেলোফেজের শেষে সাইটোকাইনেসিস হয়। প্রাণীকোশে টেলোফেজ চলাকালীন ক্লিভেজ শুরু হয়।
3. সংযুক্তি উৎপন্ন অপত্য কোশ সংযুক্ত থাকে। উৎপন্ন অপত্য কোশ পৃথক হয়ে যায়।
4. অভিমুখ কোশের কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে সাইটোকাইনেসিস ঘটে। কোশের পরিধি থেকে কেন্দ্রের দিকে ফারো অগ্রবর্তী হয়।

আরো প্রশ্নোত্তর দেখুন

মাধ্যমিক জীবনের প্রবমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়)-PART-2

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা -PART-3

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান জীবনের প্রবাহমানতা-PART-4

©kamaleshforeducation.in(2023)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!