বাংলা ব্যাকরণ

 

 

 

বাংলা ব্যাকরণ – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   

কারক ও অকারক সম্পর্ক | মাধ্যমিক বাংলা – বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর  

  1. প্রযোজক কর্তা কাকে বলে ? 

Ans: কর্তা যখন নিজে কাজ না করে অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করায় তখন সেই কর্তাকে প্রযোজক কর্তা বলে । যেমন – জিং প্রিয়াংশুকে অঙ্ক করাচ্ছে । 

  1. সমধাতুজ কর্তার উদাহরণ দাও । 

Ans: গায়ক গায় । 

  1. ব্যতিহার কর্তা কাকে বলে ? 

Ans: বাক্যের মধ্যে দু’টি কর্তার পরস্পর একই ক্রিয়া সম্পন্ন করা বোঝালে তাকে বলা হয় ব্যতিহার কর্তা । 

  1. নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে ? 

Ans: একটি বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা আলাদা হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে । 

  1. বিভক্তি কাকে বলে ? 

Ans: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে তাকে বিভক্তি বলা হয় ।

  1. বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখো ।

Ans: বিভক্তির নিজস্ব কোনো অর্থ নেই , কিন্তু অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে ।

  1. নির্দেশক কাকে বলে ? বিভক্তি ও নির্দেশকের পার্থক্য লেখো । 

Ans: কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে বিশেষ অর্থে বোঝানোর জন্য এবং বস্তু বা ব্যক্তির সংখ্যা বোঝানোর জন্য কয়েকটি চিহ্নের ব্যবহার দেখা যায় । এই চিহ্নগুলিকে নির্দেশক বলে । বিভক্তি চিহ্ন পদের কারক নির্দেশ করে । অন্যদিকে নির্দেশকগুলি পদের বচন নির্দেশ করে ।

  1. অকারক পদ কাকে বলে ? বাংলা ভাষায় পদগুলির উল্লেখ করো । 

Ans: বাক্যের যেসব পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের কোনো সম্পর্ক থাকে না , অথচ তার সঙ্গে বাক্যের অন্য কোনো পদের সম্পর্ক থাকতে পারে — এই পদগুলিকেই বলে অকারক পদ । যেমন— সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ । 

  1. শূন্য বিভক্তি কাকে বলে ? 

Ans: যেসকল বিভক্তি শব্দের পরে বসে তাদের নামপদে পরিণত করে এবং নিজে অপ্রকাশিত থাকে তাদের বলে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি । 

কারক ও অকারক সম্পর্ক – পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ | মাধ্যমিক বাংলা – বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer : 

  1. কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের ।

Ans: জ্ঞানচক্ষু : কর্ম কারকে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি । 

  1. বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের । 

Ans: বুকের : সম্বন্ধপদে ‘ এর ’ বিভক্তি । 

  1. আমরা ভিখারি বারোমাস ।

Ans: বারোমাসকালাধিকরণে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি ।

  1. আমাদের কথা কে – বা জানে । 

Ans: কে : কর্তৃকারকে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি । 

  1. নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত । Ans: সৃষ্টিকে : কর্ম কারকে ‘ কে ’ বিভক্তি । 
  2. বাড়ির রান্না হতো কাঠের উনুনে ।

Ans: বাড়ির সম্বন্ধপদে ‘ র ‘ বিভক্তি । 

  1. তারা ওই কালো জলে হরতকী ঘষত ।

Ans: হরতকী : কর্ম কারকে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি । 

  1. কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য । 

Ans: আজ : অধিকরণ কারকে ‘ শূন্য ’ বিভক্তি ।

  1. ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোষে মহাবলী / মেঘনাদ ।

Ans: রোষে : হেতু অর্থক করণে ‘ এ ’ বিভক্তি । 

  1. বায়ু অস্ত্রে উড়াইব তারে । 

Ans: বায়ু অস্ত্রে করণ কারকে ‘ এ ’ বিভক্তি ।

সমাস | মাধ্যমিক বাংলা – বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer :

  1. একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের ব্যাসবাক্য সহ একটি উদাহরণ দাও ।

Ans: আমরা > তুমি ও আমি । Se 

  1. নিত্য সমাস কাকে বলে ?

Ans: যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না অথবা ব্যাসবাক্য গঠন করতে হলে অন্য পদের সাহায্য গ্রহণ করতে হয় তাকে বলে নিত্য সমাস । 

  1. ‘ সমাস ‘ শব্দটির ব্যুৎপত্তি কী ? 

Ans: ‘ সমাস ‘ শব্দটির ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করলে পাওয়া যাবে সম্ – অপ্ + ঘঞ । 

  1. উপমান ও উপমিত কর্মধারয় সমাসের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখো । 

Ans: সাধারণ ধর্ম থাকে উপমান কর্মধারয়ের ক্ষেত্রে আর উপমিত কর্মধারয় – এর ক্ষেত্রে সাধারণ ধর্ম থাকে না । 

  1. বাক্যাশ্রয়ী সমাস কাকে বলে ? 

Ans: যে সমাসে একাধিক সমাসবদ্ধ পদের দ্বারা একটি দীর্ঘ সমস্তপদে উন্নীত হওয়া Seit Weed যায় , তাকে বলে বাক্যাশ্রয়ী সমাস । যেমন — ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি— জিতেপ্রিয় । 

  1. অন্য পদের অর্থ প্রাধান্য পায় কোন সমাসে ?

Ans: বহুব্রীহি । 

  1. উপমান কর্মধারয়ের একটি উদাহরণ দাও ।

Ans: তুষারের ন্যায় ধবল তুষারধবল ।

  1. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় কাকে বলে ? উদাহরণ দাও । 

Ans: যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মাঝখানের পদটি লুপ্ত হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে । যেমন — সিংহ চিহ্নিত আসন = 1 সিংহাসন । 

  1. সমাস কাকে বলে ? 

Ans: পারস্পরিক অর্থগত সম্পর্ক রয়েছে এমন দুই বা ততোধিক পদের একপদী করণকেই সমাস বলে । 

  1. ‘ কর্মধারয় ‘ শব্দটির অর্থ কী ? কোন প্রসঙ্গে শব্দটির ব্যবহার করা হয় ? 

Ans: কর্মকে যে ধারণ করে তাকে কর্মধারয় বলে । যে সমাসে সমস্যমান পদগুলি বিশেষ্য ও বিশেষণ হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় , তাকে কর্মধারয় সমাস বলে । 

  1. ‘ তৎপুরুষ ‘ শব্দটির সাধারণ অর্থ ও একটি বিশিষ্টতা লেখো । 

Ans: ‘ তৎপুরুষ ‘ শব্দটির সাধারণ অর্থ ‘ তার পুরুষ ‘ । এই সমাসের ব্যাসবাক্যে সমস্যমান পদ দু’টির মধ্যে পরপদটি প্রধান হয় এবং পূর্বপদের কারকবোধক ও সম্বন্ধবোধক বিভক্তি বা অনুসর্গ লোপ পায় ।

  1. ‘ বহুব্রীহি ‘ শব্দটির অর্থ কী ? 

Ans: ‘ বহুব্রীহি যার ‘ অর্থাৎ অনেক ধান আছে যার । 

  1. সমস্ত পদ বা সমাসনিষ্পন্ন পদ কাকে বলে ?

Ans: পূর্ব ও উত্তর পদ মিলে সমাসের মাধ্যমে যে নতুন পদ গঠন করে তাকে বলে সমস্ত পদ । 

  1. সমস্ত পদের অন্য নাম কী ? 

Ans: সমস্ত পদের অন্য নাম সমাসবদ্ধ পদ ।

সমাস – পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ | মাধ্যমিক বাংলা – বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer : 

  1. কিতু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের । 

Ans: জ্ঞানচক্ষু : জ্ঞান রূপ চক্ষু , রূপক কর্মধারয় সমাস । 

  1. প্রাচীন জলতরঙ্গ । 

Ans: জলতরঙ্গ : জলের তরঙ্গ , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস । জলতরঙ্গ নাম যার ( যে বাদ্যযন্ত্রের ) , বহুব্রীহি সমাস । 

  1. আমাদের মাথায় বোমারু । 

Ans: বোমারু বোমার রু , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস । 

  1. আমরা ভিখারি বারোমাস । 

Ans: বারোমাস বারো মাসের সমাহার , সমাহার দ্বিগু সমাস । 

  1. বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায় ।

Ans: বনস্পতির : বনের পতি , সম্বন্ধ তৎপুরুষ , তার । 

  1. এসো যুগান্তের কবি । 

Ans: যুগান্তের যুগের অস্ত , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস , তার 

  1. হিমালয়ের গুহাতে থাকেন ৷ 

Ans: হিমালয়ের হিমের আলয় , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস , তার । 

  1. কারও কারও মুগ্ধ চোখের মোহভঙ্গ হয় ।

Ans: মোহভঙ্গ : মোহের ভঙ্গ , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস । 

  1. অদৃষ্ট কখনো হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না ।

Ans: অদৃষ্ট : নয় দৃষ্ট , না – তৎপুরুষ সমাস । 

  1. ঘোরতর রণে / হত প্রিয় ভাই তব বীরবাহু বলী । 

Ans: বীরবাহু বীরের মতো বাহু যার , উপমিত বহুব্রীহি সমাস । 

  1. উড়িছে কৌশিক – ধ্বজ । 

Ans: কৌশিক – ধ্বজ : কৌশিকের ধ্বজার মতো ধ্বজা যার , উপমিত বহুব্রীহি সমাস । 

  1. যথাবিধি লয়ে / গঙ্গোদক । 

Ans: যথাবিধি : বিধির মতো , উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস । 

গঙ্গোদক : গঙ্গার উদক , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস । 

  1. স্পর্ধা তোমাদের আকাশস্পর্শী হয়ে উঠেছে ।

Ans: আকাশস্পর্শী : আকাশকে স্পর্শ করেছে যে , উপপদ তৎপুরুষ সমাস । 

  1. সবাই নিজ নিজ সৈন্যবাহিনী নিয়ে সেখানে উপস্থিত থাকবেন । 

Ans: সৈন্যবাহিনী — সৈন্যদের বাহিনী , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস । 

  1. আগাগোড়া লোহার নাল বাঁধানো ।

Ans: আগাগোড়া : আগা থেকে গোড়া , অপাদান তৎপুরুষ সমাস । 

  1. অতি মনোহর দেশ ।

Ans: মনোহর মন হরণ করে যে , উপপদ তৎপুরুষ সমাস । 

  1. সত্য ধর্ম সদা সদাচার ।

Ans: সদাচার : সৎ যে আচার , কর্মধারয় সমাস । 

  1. সমুদ্রনৃপতি সুতা । 

Ans: সমুদ্রনৃপতি সূতা : সমুদ্রের ( সমুদ্রগড়ের ) নৃপতি , সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস ।

তাঁর সূতা — সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস । 

  1. মা তখন ওকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বললেন । 

Ans: বেকায়দায় : নয় ( বে ) কায়দা , উপসর্গ তৎপুরুষ , সেভাবে । 

  1. গান দাঁড়াল ঋষিবালক । 

Ans: ঋষিবালক বালক ঋষি , কর্মধারয় সমাস ।

কারক ও অ-কারক

 

1. সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে অর্থসম্পর্কহীন পদটি হল—
[A] অকারক     [B] কারক [C] সর্বনাম     [D] বিশেষ্য

 

Answer : [A] অকারক

 

2. কর + ই = করিত, এখানে ‘ইত’ হল—
[A] শব্দ বিভক্তি     [B] প্রত্যয় [C] ধাতুবিভক্তি     [D] অনুসর্গ

 

Answer : [B] প্রত্যয়

 

3. ‘বিভক্তি’ শব্দটির অর্থ হল—
[A] বিভাজন     [B] বিশিষ্টতা   [C] বিশেষ ভক্তি   [D] বিরাগ

 

Answer : [A] বিভাজন

 

4. অনুসর্গ অন্য যে নামে পরিচিত
[A] তির্যক বিভক্তি     [B] কর্মপ্রবচনীয় [C] অনুপ্রাস     [D] উৎপ্রেক্ষা

 

Answer : [B] কর্মপ্রবচনীয়

 

5. নির্দেশক নির্দেশ করে—
[A] পুরুষ     [B] লিঙ্গ [C] বচন     [D] কারক-সম্বন্ধ

 

Answer : [C] বচন

 

6. নির্দেশকগুলি হল—
[A] কখনাে বিভক্তি, কখনাে অনুসর্গ     [B] বিভক্তি [C] অনুসর্গ [D] বিভক্তি বা অনুসর্গ কোনােটিই নয়

 

Answer : [D] বিভক্তি বা অনুসর্গ কোনােটিই নয়

 

সমাস

 

1. ‘সিংহাসন’-কোন্ কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ?
[A] মধ্যপদলােপী     [B] উপমান [C] রূপক

 

Answer :[A] মধ্যপদলােপী

 

2. ‘দশানন’ পদটি কোন্ সমাসের উদাহরণ?
[A] দ্বন্দ্ব     [B] তৎপুরুষ [C] বহুব্রীহি

 

Answer : [C] বহুব্রীহি

 

3. সমাসবদ্ধ পদ সর্বদা সন্ধিযুক্ত হয়” বাক্যটি—
[A] চিরসত্য     [B] আংশিক সত্য   [C] মিথ্যে

 

Answer : [B] আংশিক সত্য

 

4. যে যে পদ মিলিত হয়ে সমাস গঠন করে, তাদের বলে—
[A] উত্তরপদ     [B] পূর্বপদ [C] সমস্যমান পদ

 

Answer : [C] সমস্যমান পদ

 

বাক্য

 

1. পদবন্ধকে ইংরেজিতে বলে—
[A] Clause     [B] Adverb [C] Presentence     [D] Phrase

 

Answer : [D] Phrase

 

2. বাক্য শব্দের আভিধানিক অর্থ-
[A] যা বলা যায়     [B] যা লেখা যায় [C] অর্থপূর্ণ পদগুচ্ছ     [D] পদগুচ্ছ

 

Answer : [A] যা বলা যায়

 

3. অস্ত্যর্থক বাক্যের ঠিক বিপরীত হল—
[A] সদর্থক বাক্য     [B] নঞর্থক বাক্য [C] অনুজ্ঞাসূচক বাক্য     [D] নির্দেশক বাক্য

 

Answer : [B] নঞর্থক বাক্য

 

4. বাক্যের চালিকাশক্তি
[A] উদ্দেশ্য     [B] বিধেয় [C] কর্তা ও ক্রিয়া     [D] কর্তা

 

Answer : [C] কর্তা ও ক্রিয়া

 

বাচ্য

 

1. আধুনিক মতে ভাববাচ্য মােট
[A] দু প্রকার     [B] পাঁচ প্রকার   [C] তিন প্রকার [D] চার প্রকার

 

Answer : [C] তিন প্রকার

 

2. কর্মবাচ্যের কর্তাকে বলে—
[A] কর্মকর্তা     [B] উক্তকর্তা [C] ব্যতিহার কর্তা     [D] অনুক্ত কর্তা

 

Answer : [D] অনুক্ত কর্তা

 

3. ‘মহাশয়ের থাকা হয় কোথায় ? – এটি উদাহরণ। (শূন্যস্থান পূরণ করাে)
[A] ভাববাচ্যের     [B] কর্মবাচ্যের [C] কর্মকর্তৃবাচ্যের     [D] কর্তৃবাচ্যের।

 

Answer : [A] ভাববাচ্যের

 

4. যে বাক্যে কর্তা প্রধান এবং ক্রিয়া কর্তার অনুগামী তাকে বলে—
[A] কর্তৃবাচ্য     [B] কর্মবাচ্য [C] কর্মকর্তৃবাচ্য     [D] ভাববাচ্য

 

Answer : [A] কর্তৃবাচ্য

 

5. বাংলা ভাষায় বাচ্য মােট
[A] তিন প্রকার     [B] চার প্রকার [C] পাঁচ প্রকার     [D] সাত প্রকার

 

Answer : [B] চার প্রকার

 

দশম শ্রেণী বাংলা | পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ একথায় উত্তর

 

কারক ও অ-কারক

 

1. সমধাতুজ কর্তা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Answer : ক্রিয়াটি যে ধাতুনিষ্পন্ন, কর্তাও যদি সেই একই ধাতু থেকে উৎপন্ন হয়, তখন তাকে সমধাতুজ কর্তা বলে। যেমন—কুকাজের ফল ফলেছে। গায়ক গায়, বাদক বাজায়।

 

2. ধাতু বিভক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও।

 

Answer : ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে সব বিভক্তি ক্রিয়াপদ গঠন করে তাদের ধাতু বিভক্তি বলে। যেমন—বল্ + ই = বলি, ক + ত = করত।

 

3. তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?

 

Answer : যে বিভক্তি চিহ্ন একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয়, তাকে তির্যক বিভক্তি বলে। এ, তে, এতে, এগুলি হল তির্যক বিভক্তির উদাহরণ।

 

4. অ-কারক সম্পর্ক বলতে কী বােঝাে?

 

Answer : ক্রিয়াপদের সঙ্গে বাক্যের যে পদের কোনাে সম্পর্ক থাকে না সেই পদ কখনােই কারক সম্পর্কে যুক্ত হয় না। এই ধরনের সম্পর্ককে বলে অ-কারক সম্পর্ক।
যেমন—সম্বন্ধপদ, সম্বােধন পদ।

 

5. একটি বাক্য লেখাে যেখানে কারকের বিভক্তি হিসেবে শুধু শূন্যবিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।

 

Answer : আমি বাড়ি যাইনি—এই বাক্যটিতে ‘আমি’ একটি কর্তৃকারকবাচক পদ এবং ‘বাড়ি’ হল অধিকরণকারকবাচক পদ। পদ দুটিতেই শূন্য বিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।

 

6. শব্দ বিভক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও।

 

Answer : যে সব বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নামপদ গঠন করে, তাদের শব্দবিভক্তি বলে। যেমন—এ, এতে, তে, য়ে, কে, রে, এরে, এর ইত্যাদি। জামা + য় = আমায়, বই + ত = বইতে।

 

সমাস

 

1. ‘লাভ-লােকসান’ এবং ব্যাবসাবাণিজ্য’ দুটিই দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ হলেও তাদের মধ্যে পার্থক্য কী?

 

Answer : ‘লাভ-লােকসান এবং ব্যবসাবাণিজ্য’—এই দুটিই দ্বন্দ্ব সমাস। কিন্তু ‘লাভ- লােকসান’-এর ক্ষেত্রে সমস্যমান পদ দুটি পরস্পর বিপরীতার্থক অথচ ‘ব্যবসাবাণিজ্য’-এর ক্ষেত্রে সমস্যমান পদ দুটি পরস্পর সমার্থক।

 

2. সমাস কী? সমাস শব্দের অর্থ কী? সমাসের সংজ্ঞা দাও।

 

Answer : সমাস বাংলা ভাষায় এক পদগঠন প্রক্রিয়া। সমাস-এর (সম্+অ+অ) অর্থ = সংক্ষেপ। একে মিলন বা সম্মিলনও বলা চলে। পরস্পর অর্থ সম্পর্কযুক্ত দুইবা তার চেয়ে বেশি পদের একপদে রূপান্তরিত হওয়াই সমাস। যেমন—যিনি দেব তিনিই ঋষি = দেবর্ষি। এখানে পরস্পর অর্থ সম্পর্কযুক্ত পদ হল ‘দেব’ ও ‘ঋষি।

 

বাক্য

 

1. অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের মাধ্যমে কী বােঝানে হয়?

 

: Answer : অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের মাধ্যমে আদেশ, উপদেশ, অনুরােধের ভাব ব্যক্ত করা হয়।

 

2. বাক্যের প্রধান অংশ কটি ও কী কী?

 

Answer : বাক্যের প্রধান অংশ দুটি। (১) উদ্দেশ্য ও (২) বিধেয়।

 

3. বাক্য’ শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?

 

Answer : আভিধানিক অর্থে বাক্য (বচ্ + অ) বলতে বােঝায়, যা বলা যায়। যার সাহায্যে কোনাে কিছুর অন্বয়, সম্বন্ধ, জ্ঞান ও অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়।

 

4. সরল বাক্যে কয়টি বাক্যাংশ থাকে?

 

Answer : সরল বাক্যে সাধারণত একটিই বাক্যাংশ থাকে, যার একটি মূল উদ্দেশ্য এবং একটি মূল বিধেয় থাকে।

 

5. নির্দেশক বাক্য কাকে বলে ?

 

Answer : যে বাক্যে সাধারণভাবে কোনাে বিষয়ে কিছু বলা হয়, তাকে নির্দেশক বাক্য বা বিবৃতিমূলক বাক্য বলে।

 

বাচ্য

 

1. বাচ্য’ শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?

 

Answer : ‘বাচ্য (বচ+স) শব্দের আভিধানিক অর্থ কথনীয়, প্রতিপালন, কর্তা বা কর্ম প্রভৃতির সঙ্গে অন্নয়। প্রচলিত অর্থে বলা চলে ‘বাচ্য’ শব্দের অর্থ ক্রিয়ার প্রকাশভঙ্গি।

 

2. লুপ্ত কর্তা ভাববাচ্যের সংজ্ঞা উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।
Answer : যে ভাববাচ্যে কর্তা লুপ্ত থেকে একটা সম্ভবপরতার অর্থকে প্রকাশ করে, তাকে লুপ্ত কা ভাববাচ্য বলে। যেমন—এত গরম চা খাওয়া যায় না।
3. কীসের ভিত্তিতে বাচ্য নিধারণ করা হয় ?
Answer : কর্তা বা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্ম বা ক্রিয়ার নিজস্ব ভাবের সম্পর্কের ভিত্তিতে বাচ্য নির্ধারণ করা হয়।

 

4. কর্তাহীন ভাববাচ্যের একটি উদাহরণ দাও।

 

Answer : কর্তাহীন ভাববাচ্যের একটি উদাহরণ হল—কোথায় যে যাওয়া হবে জানা নেই।

     ©kamaleshforeducation.in(2023)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!