বিভাগ-ক : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন – Madhyamik History Suggestion
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রতিষ্ঠা করেন।
(ক) সরলাদেবী চৌধুরানী (খ) হেমাঙ্গিনী দাস (গ) বীনা দাস (ঘ) কুমুদিনী মিত্র
উত্তরঃ (ক) সরলাদেবী চৌধুরানী
২। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মহিলা নেত্রী ছিলেন।
(ক) সরলাদেবী চৌধুরানী (খ) বীনা দাস (গ) সুনীতি দাস (ঘ) মাতঙ্গিনী হাজরা
উত্তরঃ (ক) সরলাদেবী চৌধুরানী
৩। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল
(ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে
৪। বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের
(ক) ১৬ অক্টোবর (খ) ২৬ জুন (গ) ১৫ আগস্ট (ঘ) ২৬ জানুয়ারি
উত্তরঃ (ক) ১৬ অক্টোবর
৫৷ ইয়ং ইন্ডিয়া’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
(ক) সি আর দাস (খ) নেহরু (গ) ভগত সিং (ঘ) গান্ধীজি
উত্তরঃ (ঘ) গান্ধীজি
৬। অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ঘোষিত হয়।
(ক) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
৭। কোন বাঙালি নারী অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন?
(ক) বাসন্তী জানা (খ) বাসন্তী রায় (গ) বাসন্তী দাশ (ঘ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
উত্তরঃ (গ) বাসন্তী দাশ
৮। কোন মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী রেডিয়োতে প্রচার করতেন?
(ক) বাসন্তী দেবী (খ) উষা মেহতা (গ) কনকলতা (ঘ) অরুণা আসফ আলি
উত্তরঃ (খ) উষা মেহতা
৯। গান্ধিবুড়ি’ বলা হয়
(ক) মাতঙ্গিনী হাজরাকে (খ) সরলাদেবীকে (গ) বাসন্তী দেবীকে (ঘ) সরোজিনী নাইডুকে
উত্তরঃ (ক) মাতঙ্গিনী হাজরাকে
১০। আইন অমান্য আন্দোলনে কোন্ নারী শহিদ হন?
(ক) বাসন্তী দেবী (খ) গুইডালু (গ) কনকলতা (ঘ) উর্মিবালা
উত্তরঃ (ঘ) উর্মিবালা
১১। রানি গুইডালু কোন্ রাজ্যে আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন?
(ক) আসাম (খ) নাগাভূমি (গ) ত্রিপুরা (ঘ) কোচবিহার
উত্তরঃ (খ) নাগাভূমি
১২। বোম্বাই শহরে স্বাধীনতার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেত্রী হলেন।
(ক) অরুণা আসফ আলি (খ) উষা মেহতা (গ) কমলা নেহরু (ঘ) কস্তুরবা গান্ধি
উত্তরঃ (ক) অরুণা আসফ আলি
১৩। দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
(ক) নেলী সেনগুপ্ত (খ) লীলা নাগ (ঘ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (গ) কল্পনা দত্ত
উত্তরঃ (খ) লীলা নাগ
১৪। চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ইউরোপীয়ান ক্লাবে কোন মহিলা বিপ্লবী আক্রমণ চালান?
(ক) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (খ) কল্পনা দত্ত (ঘ) নেলী সেনগুপ্ত (গ) বীনা দাস
উত্তরঃ (খ) কল্পনা দত্ত
১৫। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের ‘স্ব-নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক’ কারা ছিল?
(ক) শ্রমিক শ্রেণি (খ) কৃষক শ্রেণি (গ) ছাত্র শ্রেণি (ঘ) বুদ্ধিজীবী শ্রেণি
উত্তরঃ (গ) ছাত্র শ্রেণি
১৬। শান্তি ও সুনীতি কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করেন?
(ক) বার্জ (খ) পেটি (গ) ডগলাস (ঘ) স্টিভেনসন
উত্তরঃ (ঘ) স্টিভেনসন
১৭। পূর্ব খান্দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনে কে নেতৃত্ব দেন ?
(ক) লীলা পালিত (খ) নানা পাতিল (গ) অরুণা আসফ আলি (ঘ) উষা মেহতা
উত্তরঃ (গ) অরুণা আসফ আলি
১৮। কার্লাইল কে ছিলেন?
(ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের বাংলার শিক্ষাসচিব (খ) বড়োলাট (গ) বাংলার গভর্নর (ঘ) নৌ-সেনাপতি
উত্তরঃ (ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের বাংলার শিক্ষাসচিব
১৯। কার্লাইল সার্কুলার’ কবে জারি হয়?
(ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ (খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর (গ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর
(ঘ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি
উত্তরঃ (গ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর
২০। অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি’ কে গঠন করেন?
(ক) সুভাষচন্দ্র (খ) শচীন্দ্রপ্রসাদ (গ) অরবিন্দ (ঘ) বিপিনচন্দ্র পাল
উত্তরঃ (খ) শচীন্দ্রপ্রসাদ
২১। অলিন্দ যুদ্ধে কে নেতৃত্ব দেন?
(ক) বিনয় বসু (খ) ক্ষুদিরাম বসু (গ) সুভাষ বসু (ঘ) সত্যেন বসু
উত্তরঃ (ক) বিনয় বসু
২২। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ গঠিত হয়
(ক) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (গ) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে
২৩। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় থানা জ্বালাও, স্টেশন পোড়াও’ বলে স্লোগান দিতে দিতে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে মিছিল করত?
(ক) বেনারস হিন্দু (খ) কলকাতা (গ) মাদ্রাজ (ঘ) জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া
উত্তরঃ (ক) বেনারস হিন্দু
২৪। নিখিল ভারত ছাত্র কনফারেন্স সর্বপ্রথম কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
(ক) কানপুরে (খ) লক্ষৌতে (গ) বেনারসে (ঘ) কলকাতায়
উত্তরঃ (খ) লক্ষৌতে
২৫। মেদিনীপুরে জেলাশাসক পেডিকে কে হত্যা করেন?
(ক) প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য (খ) বিমল দাশগুপ্ত (গ) অনাথ পাঁজা (ঘ) মৃগেন দত্ত
উত্তরঃ (খ) বিমল দাশগুপ্ত
২৬। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে কে নেতৃত্ব দেন?
(ক) সূর্য সেন (খ) সুভাষচন্দ্র বসু (গ) ক্ষুদিরাম বসু (ঘ) বিনয় বসু
উত্তরঃ (ক) সূর্য সেন
২৭। স্ট্যানলি জনসনকে লক্ষ করে কে গুলি ছোঁড়েন?
(ক) বীনা দাস (খ) শান্তি ঘোষ (গ) কল্পনা দত্ত (ঘ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
উত্তরঃ (ক) বীনা দাস
২৮। কোন্ দিনটিকে ‘রশিদ আলি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়?
(ক) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মার্চ (খ) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি (গ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট
(ঘ) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি
উত্তরঃ (খ) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি
২৯। সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
(ক) ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (খ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে
৩০। সর্বভারতীয় দলিত সমিতির সভাপতি ছিলেন।
(ক) এস সি রাজা (খ) আম্বেদকর (গ) নারায়ণ গুরু (ঘ) জ্যোতিবা ফুলে
উত্তরঃ (খ) আম্বেদকর
৩১। ভারতের নিম্নবর্গের মানুষদের বলা হত
(ক) শ্রমিক (খ) কৃষক (গ) দলিত (ঘ) শ্রমজীবী
উত্তরঃ (গ) দলিত
৩২। মহারাষ্ট্রে দলিত শ্রেণিকে কে সংগঠিত করেন?
(ক) জ্যোতিবা ফুলে (খ) আম্বেদকর (গ) নারায়ণ গুরু (ঘ) এদের কেউ নন
উত্তরঃ (ক) জ্যোতিবা ফুলে
৩৩। ভাইকম সত্যাগ্রহে কে নেতৃত্ব দেন ?
(ক) জ্যোতিবা ফুলে (খ) আম্বেদকর (গ) বীরসালিঙ্গম (ঘ) নারায়ণ গুরু
উত্তরঃ (ঘ) নারায়ণ গুরু
৩৪। মাহার মার্চের কে নেতৃত্ব দেন?
(ক) এস সি রাজা (খ) আম্বেদকর (গ) নারায়ণ গুরু (ঘ) জ্যোতিবা ফুলে
উত্তরঃ (খ) আম্বেদকর
৩৫। সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি কে ঘোষণা করেন?
(ক) র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড (খ) চার্চিল (গ) এটলি (ঘ) চেম্বারলেন
উত্তরঃ (ক) র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড
৩৬। পুণা চুক্তি হয়
(ক) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (ক) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে
৩৭। বাংলার দলিত শ্রেণি হল
(ক) মাহিষ্যরা (খ) তাম্বুলিরা (গ) নমঃশূদ্ররা (ঘ) কায়স্থরা
উত্তরঃ (গ) নমঃশূদ্ররা
৩৮। বাংলার দলিত শ্রেণির নেতৃত্ব দেন
(ক) হরিচাঁদ ঠাকুর (খ) প্রেমচাঁদ ঠাকুর (গ) গান্ধীজি (ঘ) আম্বেদকর
উত্তরঃ (ক) হরিচাদ ঠাকুর
৩৯। মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক হলেন
(ক) হরিচাঁদ ঠাকুর (খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গ) দ্বারকানাথ ঠাকুর (ঘ) পি এন ঠাকুর
উত্তরঃ (ক) হরিচাদ ঠাকুর
৪০। মাতঙ্গিনী হাজরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন
(ক) তমলুকে (খ) সুতাহাটায় (গ) বরিশালে (ঘ) বীরভূমে
উত্তরঃ (ক) তমলুকে
বিভাগ-খ : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2021 – Madhyamik History Suggestion 2021
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১। বাসন্তী দেবী কে ছিলেন?
উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেত্রী
২। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ সরলাদেবী চৌধুরানী
৩। বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত কবে কার্যকরী হয়?
উত্তরঃ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর
৪। মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়, মাথায় তুলে নে রে ভাই’–এই গানটি কার লেখা?
উত্তরঃ রজনীকান্ত সেনের
৫। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে একজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
উত্তরঃ সরলাদেবী চৌধুরানী
৬। ধরসানা লবণ সত্যাগ্রহে কে নেতৃত্ব দেন?
উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধি
৭। গান্ধীজির নেতৃত্বে ডাণ্ডী অভিযান কবে শুর হয়?
উত্তরঃ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ
৮। লীলা নাগ কে ছিলেন?
উত্তরঃ দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা
৯। ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের প্রথম শহিদের নাম কী?
উত্তরঃ ক্ষুদিরাম বসু
১০। কার্লাইল কে ছিলেন?
উত্তরঃ বাংলা সরকারের মুখ্যসচিব
১১। অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু
১২। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কবে গঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে
১৩। বাংলার দুটি গুপ্ত সমিতির নাম লেখো।
উত্তরঃ যুগান্তর সমিতি ও অনুশীলন সমিতি
১৪। ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ মাস্টারদা সূর্য সেন
১৫।‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ হেমচন্দ্র ঘোষ
১৬। অলিন্দ যুদ্ধ কখন হয়?
উত্তরঃ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে
১৭। মেদিনীপুরের জেলাশাসক বার্জকে কে হত্যা করেন ?
উত্তরঃ অনাথ পাঁজা ও মৃগেন দত্ত
১৮। মাস্টারদা’র প্রকৃত নাম কী?
উত্তরঃ সূর্য সেন
১৯। সত্যশোধক সমিতির মুখপত্রের নাম কী?
উত্তরঃ দীন মিত্র
২০। আজাদ হিন্দ বাহিনীর নারী সংগঠনের নাম কী?
উত্তরঃ ঝাঁসীর রানি
২১। দক্ষিণের বিদ্যাসাগর’ কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ বীরসালিঙ্গম পালুকে
২২। জ্যোতিবা ফুলে কে ছিলেন?
উত্তরঃ মহারাষ্ট্রে দলিত আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা
২৩। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় দলিত সম্মেলন কোথায় হয়?
উত্তরঃ নাগপুরে
২৪। সর্বভারতীয় নিপীড়িত কংগ্রেস কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ বি আর আম্বেদকর
২৫। পুনা চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে
২৬। বঙ্গীয় দলিত শ্রেণি সমিতির প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ মুকুন্দ বিহারী মল্লিক
ঠিক না ভুল নির্ণয় করো (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১। চিত্তরঞ্জন দাশ রাখিবন্ধন উৎসব-এর সূচনা করেন।[F]
২। বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড কার্জন।[T]
৩। রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বঙ্গলক্ষ্মী ব্রতের সূচনা করেন।[T]
৪। সুভাষচন্দ্র বসু অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।[F]
৫। সূর্য সেন মাস্টারদা নামে পরিচিত ছিলেন।[T]
৬। নমঃশূদ্ররা বাংলার দলিত শ্রেণি।[T]
৭। প্রীতিলতা ভারতের প্রথম মহিলা শহিদ।[T]
৮। কমলাদেবী ধরসানা সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেন।[T]
৯। বাসন্তীদেবী অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেন।[T]
‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
1.
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
(ক) ধরসানা সত্যাগ্রহ | (i) সতীশচন্দ্র |
(খ) দীপালি সংঘ | (ii) সরোজিনী নাইডু |
(গ) পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ | (iii) লীলা রায় |
(ঘ) ডন সোসাইটি | (iv) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার |
উত্তরঃ ১। (ক)-(ii), (খ)—(iii), (গ)—(iv), (ঘ)(i)
2.
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
(ক) রশিদ আলি | (i) অনুশীলন সমিতি |
(খ) সূর্য সেন | (ii) যুগান্তর দল |
(গ) বারীন্দ্র ঘোষ | (iii) ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি |
(ঘ) সতীশচন্দ্র বসু | (iv) আজাদ হিন্দ ফৌজ |
উত্তরঃ ২। (ক)(iv), (খ)—(iii), (গ)—(ii), (ঘ)(i)
3.
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
(ক) বীনা দাস | (i) স্টিভেন্স |
(খ) শান্তি ঘোষ | (ii) জ্যাকসন |
(গ) উজ্জ্বলা মজুমদার | (iii) ডগলাস |
(ঘ) প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য | (iv) অ্যান্ডারসন |
উত্তরঃ ৩। (ক)-(ii), (খ)—(i), (গ)—(iv), (ঘ)—(iii)
4.
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
(ক) স্বদেশি আন্দোলন | (i) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ |
(খ) অসহযোগ আন্দোলন | (ii) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ |
(গ) আইন অমান্য আন্দোলন | (ii) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ |
(ঘ) ভারত ছাড়ো আন্দোলন | (iv) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ |
উত্তরঃ (ক)(ii), (খ)—(i), (গ)—(iv), (ঘ)(iii)
ভারতের রেখামানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত করো (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১। বিপ্লবী আন্দোলনের কেন্দ্ররূপে চট্টগ্রাম, ঢাকা, তাম্রলিপ্ত, কথি
২। অবিভক্ত ভারতের রাজধানীরূপে দিল্লী
৩। কার্জনের বঙ্গভঙ্গের পর অবশিষ্ট বাংলাকে চিহ্নিত করো
৪। দলিত আন্দোলনের কেন্দ্ররূপে পুণা, ভাইকম, কলারাম তাণের বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসাম-এর এলাকা চিহিত করে।
নীচের বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১। বিবৃতি : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেন।
ব্যাখ্যা ১: ভারতের রাজস্ব সমানভাবে বণ্টনের জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : ভারতের সকল শ্রেণির মানুষের সমান উন্নতির জন্য।
ব্যাখ্যা ৩: ভারতের বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষের পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়ার জন্য।
উত্তরঃ
২। বিবৃতি : রশিদ আলিকে ব্রিটিশ সরকার সাতবছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
ব্যাখ্যা ১: কারণ তিনি বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : কারণ তিনি আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপটেন ছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : কারণ তিনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
উত্তরঃ
৩। বিবৃতি : ১৯২০ দশকের শেষ দিকে ভারতের ছাত্র আন্দোলনে সাম্যবাদী প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
ব্যাখ্যা ১: ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের রুশ বিপ্লবের প্রভাবে।
ব্যাখ্যা ২: গান্ধীজির প্রভাবে।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
উত্তরঃ
৪। বিবৃতি : ভারতে নারীরা বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে প্রথম অংশ নয়।
ব্যাখ্যা ১: নারীরা গান্ধীজির ডাকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ২: অরবিন্দ ঘোষের অনুপ্রেরণায়।
ব্যাখ্যা ৩ : বিদেশি দ্রব্য বর্জন করতে চেয়ে।
উত্তরঃ
বিভাগ-গ : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2021 – Madhyamik History Suggestion 2021
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২)
১। দলিত শ্রেণি কাদের বলা হয়?
২। বাংলার কয়েকটি দলিত শ্রেণির নাম লেখো।
৩। ভারতের কয়েকটি দলিত শ্রেণির নাম লেখো।
৪। প্রান্তিক শ্রেণি কাদের বলা হয়?
৫। অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
৬। আইন অমান্য আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
৭। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
৮। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে মহিলা পরিচালিত দুটি জনসভার নাম লেখো।
৯। তিলক স্বরাজ তহবিল গঠনে নারীদের অবদান লেখো।
১০। মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন?
১১। শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী স্মরণীয় কেন?
১২। দীপালি সংঘ’ কোথায়, কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৩। দুজন মহিলা বিপ্লবীর নাম লেখো।
১৪। ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির দুজন মহিলা সদস্যের নাম লেখো।
১৫। কার্লাইল সাকুলার কী?
১৬। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন?
১৭। কে, কবে, কেন অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
১৮। কবে, কোথায় ‘নিখিল ভারত ছাত্র কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়?
১৯। স্বদেশি আন্দোলনের সময় ছাত্র স্বার্থবিরোধী দুটি সার্কুলারের নাম লেখো।
২০। বি ভি-এর পুরোনাম কী? মেদিনীপুরে এই দল কোন্ কোম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করে?
২১। কে, কখন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স প্রতিষ্ঠা করেন?
২২। স্বদেশি যুগে দুটি ছাত্র সংগঠনের নাম লেখো।
২৩। কার্লাইল সার্কুলার কবে, কেন জারি করা হয়?
২৪। অলিন্দ যুদ্ধ কী?
২৫। জালালাবাদের মুক্তিযুদ্ধ কী?
২৬। বীনা দাস স্মরণীয় কেন?
২৭। কবে, কেন রশিদ আলি দিবস পালিত হয়?
২৮। কে, কবে ‘সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
২৯। কাকে, কেন ‘দক্ষিণের বিদ্যাসাগর’ বলা হয়?
৩০। ভাইকম সত্যাগ্রহ কী?
৩১। বাংলার দলিত আন্দোলনের দুজন নেতার নাম লেখো।
৩২। সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা কী ?
৩৩। কবে, কাদের মধ্যে পুণা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
৩৪। কে, কবে সর্বভারতীয় নিপীড়িত কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন?
৩৫। গান্ধি-আম্বেদকর বিতর্ক কী?
৩৬। কবে, কোথায় দলিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?
বিভাগ-ঘ : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2021 – Madhyamik History Suggestion 2021
বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৪)
১। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ বর্ণনা করো।
২। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে নারীসমাজের ভূমিকা আলোচনা করো।
৩। অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে ভারতীয় নারীদের অবদান লেখো।
৪। আইন অমান্য আন্দোলনে নারীসমাজের ভূমিকা লেখো।
৫। নারী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করো।
৬। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা লেখো।
৭। ভারতের ছাত্র আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
৮। বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা লেখো।
৯। টীকা লেখো : মাস্টারদা সূর্য সেন।
১০। অলিন্দ যুদ্ধ’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
১১। ‘রশিদ আলি দিবস’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
১২। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন?
১৩। গান্ধি-আম্বেদকর বিতর্ক বলতে কী বোঝো?
১৪। টীকা লেখো : পুণা চুক্তি।
১৫। টীকা লেখো : বাংলার দলিত আন্দোলন।
১৬। দলিত আন্দোলনে আম্বেদকরের ভূমিকা আলোচনা করো।
১৭। টীকা লেখো : সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি।
বিভাগ-ঙ : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2021 – Madhyamik History Suggestion 2021
ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৮)
১। দলিত শ্রেণি কাদের বলা হয়? বিংশ শতকে এই শ্রেণির বিকাশ আলোচনা করো।
২। সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
৩। সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্রশ্রেণির ভূমিকা আলোচনা করো।
৪। বিংশ শতকের নারী আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখো।
৫। জাতীয় আন্দোলনের ধারা হিসেবে ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো।
=================================
(১) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ :
১.১ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল –
(ক) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর : (খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে
১.২ গান্ধী বুড়ি নামে পরিচিত ছিলেন –
(ক) মাতঙ্গিনী হাজরা
(খ) সরোজিনী নাইডু
(গ) বীণা দাস
(ঘ) কস্তুরবা গান্ধী
উত্তরঃ (ক) মাতঙ্গিনী হাজরা
১.৩ নারী কর্ম মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন –
(ক) উর্মিলা দেবী
(খ) বাসন্তী দেবী
(গ) লীলা রায়
(ঘ) কল্পনা দত্ত
উত্তর : (খ) বাসন্তী দেবী
১.৪ বুড়ি বালামের যুদ্ধে অংশ নেন –
(ক) সূর্য সেন
(খ) ভগৎ সিং
(গ) বাঘা যতীন
(ঘ) অরবিন্দ ঘোষ
উত্তরঃ (গ) বাঘা যতীন
১.৫ আইন অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন –
(ক) বীণা দাস
(খ) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়
(গ) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
(ঘ) কল্পনা দত্ত
উত্তর : (খ) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়
১.৬ ‘মাস্টারদা’ নামে পরিচিত ছিলেন –
(ক) বাদল গুপ্ত
(খ) অনন্ত সেন
(গ) সূর্য সেন
(ঘ) রশিদ আলী
উত্তরঃ (গ) সূর্য সেন
১.৭ মাতঙ্গিনী হাজরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন যে স্থানে –
(ক) তমলুক
(খ) সুতাহাটা
(গ) বরিশাল
(ঘ) পুরুলিয়া
উত্তর : (ক) তমলুক
১.৮ গদর পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন –
(ক) লালা হরদয়াল
(খ) সুফি অন্বা প্রসাদ
(গ) অজিত সিং
(ঘ) শ্যামজি কৃষ্ণবর্মা
উত্তরঃ (ক) লালা হরদয়াল
১.৯ দিপালী সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন –
(ক) লীলা রায়
(খ) কল্পনা দত্ত
(গ) বীণা দাস
(ঘ) বাসন্তী দেবী
উত্তর : (ক) লীলা রায়
১.১০ দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর নামে পরিচিত ছিলেন –
(ক) জ্যোতিবা ফুলে
(খ) গোপালহরি দেশমুখ
(গ) বীরেশলিঙ্গম পান্তুলু
(ঘ) গোবিন্দ রানার রাণাডে
উত্তরঃ (গ) বীরেশলিঙ্গম পান্তুলু
১.১১ সূর্যসেন প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দল –
(ক) অনুশীলন সমিতি
(খ) গদর পার্টি
(গ) ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি
(ঘ) বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার
উত্তর : (গ) ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি
১.১২ ভারতের বিপ্লবী বাদের জননী বলা হয় –
(ক) সরোজিনী নাইডুকে
(খ) মাদাম কামাকে
(গ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে
(ঘ) কল্পনা দত্তকে
উত্তরঃ (খ) মাদাম কামাকে
১.১৩ অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি গঠন করেন –
(ক) সতীশচন্দ্র বসু
(খ) শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু
(গ) প্রমথনাথ বসু
(ঘ) হেমচন্দ্র সরকার
উত্তর : (খ) শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু
১.১৪ চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন –
(ক) ভগৎ সিং
(খ) বিনয় বসু
(গ) সূর্যসেন
(ঘ) রাজবিহারী বসু
উত্তর : (গ) সূর্যসেন
১.১৫ মতুয়া ধর্মের প্রবর্তন করেন –
(ক) গুরুচাঁদ ঠাকুর
(খ) প্রমোদরঞ্জন ঠাকুর
(গ) হরিচাঁদ ঠাকুর
(ঘ) বীনাপানি ঠাকুর
উত্তরঃ (গ) হরিচাঁদ ঠাকুর
১.১৬ দলিতদের বিকল্প হিসেবে হরিজন শব্দটি ব্যবহার করেছেন –
(ক) বি আর আম্বেদকর
(খ) রাজবিহারী বসু
(গ) মহাত্মা গান্ধী
(ঘ) যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল
উত্তর : (গ) মহাত্মা গান্ধী
বিভাগ ‘খ’
২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
(প্রতিটি উপরিভাগ থেকে অন্তত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)
উপ বিভাগ: ২.১
একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১.১ ‘ভারতমাতার’ চিত্রটি অঙ্কন করেন ?
উত্তর : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ভারতমাতা’ চিত্র টি অঙ্কন করেন ।
২.১.২ ‘বীরাষ্টমী ব্রত’ কে প্রবর্তন করেন ?
উত্তর : ‘বীরাষ্টমী ব্রত’ প্রবর্তন করেন সরলা দেবী চৌধুরানী ।
২.১.৩ ‘বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা’ কে রচনা করেন ?
উত্তর : ‘বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা’ রচনা করেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী ।
২.১.৪ ‘ভারতের নাইটিঙ্গেল’ বা ‘ভারতের বুলবুল’ নামে কে পরিচিত ?
উত্তর : সরোজিনী নাইডু ‘ভারতের নাইটিঙ্গেল’ নামে পরিচিত ।
২.১.৫ ‘বি-আম্মা’ নামে কে পরিচিত ছিলেন ?
উত্তর: ‘বি-আম্মা’নামে পরিচিত ছিলেন আবাদি বানু বেগম ।
২.১.৬ ‘ভয়েস অফ ফ্রিডম’ কে, কোথায় প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর : ঊষা মেহতা বোম্বাই-এ ‘ভয়েস অব ফ্রিডম’ প্রতিষ্ঠা করেন।
২.১.৭ ‘গান্ধীবুড়ি’ নামে কে পরিচিত ছিলেন ?
উত্তর : মাতঙ্গিনী হাজরা ‘গান্ধীবুড়ি’ নামে পরিচিত ছিলেন ।
২.১.৮ লীলা নাগ (রায়) কোন সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?
উত্তর : লীলা নাগ (রায়) দিপালী সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।
২.১.৯ ঝাঁসির রানী ব্রিগেডের অধ্যক্ষ কে ছিলেন ?
উত্তর : ঝাঁসির রানী ব্রিগেডের প্রধান কে ছিলেন ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী স্বামীনাথন ।
২.১.১০ ‘অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি’ কে গঠন করেন ?
উত্তর : ‘অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি’ গঠন করেন শচীন্দ্র প্রসাদ বসু ।
২.১.১১ কলকাতায় ‘রশিদ আলী দিবস’ কবে পালিত হয় ?
উত্তর : কলকাতায় ‘রশিদ আলী দিবস’ পালিত হয় ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ১২ ফেব্রুয়ারি ।
২.১.১২ গান্ধীর কাছে ‘হরিজন’ কথার অর্থ কি ?
উত্তর : গান্ধীর কাছে ‘হরিজন’ কথার অর্থ ছিল ঈশ্বরের সন্তান ।
২.১.১৩ দলিত আন্দোলনের প্রথম পর্বের দুজন নেতার নাম লেখো ?
উত্তর : দলিত আন্দোলনের প্রথম পর্বের দুজন নেতা হলেন জ্যোতিবা ফুলে, শ্রী নারায়ণ গুরু ।
২.১.১৪ কে তার শিষ্যদের ‘মতুয়া’ বলে সম্বোধন করেন ?
উত্তর : শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর তাঁর শিষ্যদের ‘মতুয়া’ বলে সম্বোধন করেন ।
২.১.১৫ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পর কে নমঃশূদ্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ?
উত্তর : গুরুচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পর প্রথমরঞ্জন ঠাকুর নমঃশূদ্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ।
২.২ সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :
২.২.১ মাতঙ্গিনী হাজরা ছিলেন বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেত্রী ।
উত্তর : মিথ্যা
২.২.২ ‘গোলদিঘির গোলামখানা’ বলা হত প্রেসিডেন্সি কলেজকে ।
উত্তর : মিথ্যা
২.২.৩ ডিনামাইট ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কল্পনা দত্ত ।
উত্তর : সত্য
২.২.৪ ‘অলিন্দ যুদ্ধ’ পরিচালনা করে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দল।
উত্তর : সত্য
২.২.৫ গান্ধীজি ও ডক্টর আম্বেদকর যতভাবে মোহাম্মদ গান্ধী ‘হরিজন আন্দোলন’ পরিচালনা করেন ।
উত্তর : মিথ্যা
২.২.৬ ১৯১১খ্রিস্টাব্দের লোক গণনায় নমঃশূদ্ররা চন্ডাল নামে পরিচিতি লাভ করেন ।
উত্তর : সত্য
উপবিভাগ – ২.৩
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে (ক) লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা
২.৩.২) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে (খ) পুনা চুক্তি
২.৩.৩) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে (গ) সূর্যসেনর ফাঁসি
২.৩.৪) ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) সন্ডর্স হত্যা
উত্তরঃ ২.৩.১) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে – (খ) পুনা চুক্তি
২.৩.২) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে – (গ) সূর্যসেনর ফাঁসি
২.৩.৩) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে – (ঘ) সন্ডর্স হত্যা
২.৩.৪) ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে – (ক) লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (ক) মতুয়া সম্প্রদায়
২.৩.২) শচীন্দ্র প্রসাদ বসু (খ) ঝাঁসির রানী ব্রিগেড
২.৩.৩) লক্ষী স্বামীনাথন (গ) অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি
২.৩.৪) হরিচাঁদ ঠাকুর (ঘ) চট্টগ্রামের ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ
উত্তর :
২.৩.১) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার – (ঘ) চট্টগ্রামের ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ
২.৩.২) শচীন্দ্র প্রসাদ বসু – (গ) অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি
২.৩.৩) লক্ষী স্বামীনাথন – (খ) ঝাঁসির রানী ব্রিগেড
২.৩.৪) হরিচাঁদ ঠাকুর – (ক) মতুয়া সম্প্রদায়
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি (ক) সূর্যসেন
২.৩.২) বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স (খ) বিনয় বসু
২.৩.৩) অলিন্দ যুদ্ধ (গ) শচীন্দ্র প্রসাদ বসু
২.৩.৪) চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন (ঘ) হেমচন্দ্র ঘোষ
উত্তর :
২.৩.১) অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি – (গ) শচীন্দ্র প্রসাদ বসু
২.৩.২) বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স – (ঘ) হেমচন্দ্র ঘোষ
২.৩.৩) অলিন্দ যুদ্ধ – (খ) বিনয় বসু
২.৩.৪) চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন – (ক) সূর্যসেন
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) বীরাষ্টমী ব্রত (ক) মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি
২.৩.২) দেবদাসী প্রথা বিলোপ (খ) কল্পনা দত্ত
২.৩.৩) ভয়েস অফ ফ্রিডম (গ) সরলা দেবী চৌধুরানী
২.৩.৪) ডিনামাইট ষড়যন্ত্র (ঘ) উষা মেহতা
উত্তর :
২.৩.১) বীরাষ্টমী ব্রত – (গ) সরলা দেবী চৌধুরানী
২.৩.২) দেবদাসী প্রথা বিলোপ – (ক) মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি
২.৩.৩) ভয়েস অফ ফ্রিডম – (ঘ) উষা মেহতা
২.৩.৪) ডিনামাইট ষড়যন্ত্র – (খ) কল্পনা দত্ত
উপ বিভাগ: ২.৫
** নিম্ন লিখিত বিবৃতি গুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যা টি নির্বাচন করঃ
২.৫.১ বিবৃতি : ভারতের নারীরা জাতীয় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়।
ব্যাখ্যা ১ : কারণ তারা গান্ধীজীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ২ : কারণ তারা অরবিন্দ ঘোষের বিপ্লবী ভাবধারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ৩ : কারণ তারা বিদেশি দ্রব্য বর্জন করতে চেয়েছিল।
উত্তর : ব্যখ্যা ৩ : কারণ তারা বিদেশি দ্রব্য বর্জন করতে চেয়েছিল।
২.৫.২ বিবৃতিঃ সরলা দেবী চৌধুরানী লক্ষ্মীর ভান্ডার স্থাপন করেন।
ব্যাখ্যা ১ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানো।
ব্যাখ্যা ২ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্রদের দান করা।
ব্যাখ্যা ৩ উদ্দেশ্য ছিল লক্ষীদেবীর পূজার আয়োজন করা।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানো।
২.৫.৩ বিবৃতি : সরলা দেবী চৌধুরানী লক্ষীর ভান্ডার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ব্যয় সাপেক্ষ।
ব্যাখ্যা ২ : আন্দোলনকারী মহিলাদের সাহায্যের জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : স্বদেশী পণ্য বিক্রির জন্য।
উত্তর : ব্যাখ্যা ৩ : স্বদেশী পণ্য বিক্রির জন্য।
২.৫.৪ বিবৃতিঃ মাতঙ্গিনী হাজরাকে গান্ধী বুড়ি বলা হয়।
ব্যাখ্যা ১ মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধীজির মত বৃদ্ধ বয়সেও আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধীজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ মাতঙ্গিনী হাজরা মিছিলে গুলি বিদ্ধ হওয়ার আগে গান্ধীজির জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২ মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধীজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
২.৫.৫ বিবৃতি : প্রীতিলতার আত্মত্যাগ তরুণীদের বিপ্লববাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে।
ব্যাখ্যা ১ : তিনি দিপালী সংঘের সদস্যা ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে সাহায্য করেন।
ব্যাখ্যা ৩ : পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
উত্তর : ব্যাখ্যা ৩ : পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
২.৫.৬ বিবৃতিঃ বিনয়-বাদল-দীনেশ অলিন্দ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাখ্যা ১ এই যুদ্ধে সন্ডাস সাহেব নিহত হন।
ব্যাখ্যা ২ এই যুদ্ধে জ্যাকশন সাহেব নিহত হন।
ব্যাখ্যা ৩ এই যুদ্ধে সিম্পশন সাহেব নিহত হন।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ এই যুদ্ধে সিম্পশন সাহেব নিহত হন।
২.৫.৭ বিবৃতি : সূর্য সেন মাস্টারদা নামে পরিচিত ছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : সূর্যসেন জাতীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : সূর্য সেন ছিলেন জনপ্রিয় গৃহশিক্ষক।
ব্যাখ্যা ৩ : তার ডাকনাম ছিল লিটিল মাস্টার।
উত্তর : ব্যাখ্যা ১ : সূর্যসেন জাতীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
২.৫.৮ বিবৃতিঃ সূর্যসেন ফাঁসিতে প্রাণ বিসর্জন দেন।
ব্যাখ্যা ১ তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন।
ব্যাখ্যা ২ তিনি অলিন্দ যুদ্ধে অংশ নেন।
ব্যাখ্যা ৩ তিনি আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১ তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন।
২.৫.৯ বিবৃতি : গান্ধীজী হরিজন আন্দোলনে সামিল হন।
ব্যাখ্যা ১ : গান্ধীজী বর্ণবৈষম্য প্রথা দূর করতে চেয়ে ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : গান্ধীজী স্বাধীনতা আন্দোলনে হরিজনদের টানতে ছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি হরিজনদের বিদ্রোহের পর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : গান্ধীজী বর্ণবৈষম্য প্রথা দূর করতে চেয়ে ছিলেন।
বিভাগ গ
(৩) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ঃ
প্রশ্নঃ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা কীরূপ ছিল?
উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা ছিল –
(১) নিজে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভারতী পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে নারীশক্তিকে উজ্জীবিত করতে সচেষ্ট হন।
(২) বীরাষ্টমী ব্রত, প্রতাপাদিত্য ব্রত, উদয়াদিত্য ব্রত, প্রচলনের মাধ্যমে বাঙালি যুবকদের লাঠিখেলা, কুস্তি, তরবারি খেলা, শরীরচর্চায় উৎসাহ দান করেন।
প্রশ্নঃ সরোজিনী নাইডু বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ সরোজিনী নাইডু বিখ্যাত, কারণ –
(১) বিশ শতকে ভারতে জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অগ্রণী নারী ছিলেন সরোজিনী নাইডু।
(২) জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি মুথুলক্ষ্মী রেড্ডির সঙ্গে ভারতীয় মহিলা সমিতি স্থাপন করেন।
প্রশ্নঃ গান্ধিজির ডান্ডি অভিযানের ফলাফল কী হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯৩০ খ্রিঃ ১২শে মার্চ গুজরাটের সবরমতী আশ্রম থেকে গান্ধিজির ডান্ডি অভিযানের সময় অসংখ্য মানুষ গান্ধিজির সহযাত্রী হন এবং গান্ধিজি ডান্ডির সমুদ্রতীরে লবণ তৈরি করে লবণ আইন ভঙ্গ করার পর সারা দেশে লবণ আইন ভঙ্গের ধুম পড়ে যায়। যেখানে লবন তৈরির প্রাকৃতিক সুযোগ ছিল না সেখানে ব্রিটিশ সরকারের অন্য আইন ভঙ্গ করা হয়। এভাবে ডান্ডি অভিযান হয়ে ওঠে ভারতীয় জনগণের ইংরেজদের আইন ও শাসনের বিরোধিতার প্রতীক।
প্রশ্নঃ মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসে স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় তমলুক থানা ও কোর্ট চত্বর দখল অভিযানের ইদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে চারটি মিছিল এসেছিল, সেই মিছিলের একটির নেতৃত্বে ছিলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা। অভিযানের তিনি কোর্ট চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, পুলিশের গুলিতে জখম হন ও মারা যান।
প্রশ্নঃ দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ নারী শিক্ষার প্রসারসাধন ও সমাজসেবামূলক কাজের প্রসারসাধন করা। বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য নারীদের প্রস্তুত করা। নারীদের লাঠিখেলা, শরীরচর্চা ও অস্ত্র চালানো, অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় ও বৈপ্লবিক কর্মকান্ড পরিচালনার শিক্ষা দেওয়া।
প্রশ্নঃ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ দীপালি সংঘের অন্যতম সদস্যা ও বাংলার বিপ্লবী নারী ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের সহকারিণী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব একদল বিপ্লবী চট্টগ্রামের পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে সফল হলেও তিনি বিষ খেয়ে প্রাণোত্যাগ করে শহিদ হন।
প্রশ্নঃ বীণা দাস বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ বীনা দাস ছিলেন একজন বিপ্লবী এবং তাঁর দিদি কল্যানী দাসের প্রতিষ্ঠিত ছাত্রী সংঘের একজন সদস্যা। কলেজ ছাত্রী বীণা দাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সময় সেনেট হলে গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার জন্যগুলি করেন কিন্তু জ্যাকসন অল্পের জন্য বেঁচে যান। জ্যাকসনকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে বীণা দাসের নয় বছর সশ্রম কারাদন্ড হলে বীণা দাস বিপ্লবীর মর্যাদা লাভ করেন।
প্রশ্নঃ ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই রেজিমেন্ট কী?
উত্তরঃ সুভাষচন্দ্র বসু কর্তৃক গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজের নারীবাহিনীর নাম ছিল ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই ব্রিগেড। ১৯৪৩ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত এই বাহিনীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ১৫০০ নারী যোগ দেয়। যুদ্ধের কলাকৌশলে প্রশিক্ষিত এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন লক্ষ্মী স্বামীনাথন।
প্রশ্নঃ অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি কেন স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনকালে কার্লাইল সার্কুলার, পেডলার সার্কুলার-এর বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজে ভীষণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরই সূত্র ধরে ১৯০৫ খ্রিঃ ৪ নভেম্বর সিটি কলেজের ছাত্র শতীন্দ্রপ্রসাদ বসু অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল – সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাহিষ্কৃত ও শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্রদের বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
প্রশ্নঃ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ছাত্ররা কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল?
উত্তরঃ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ পর্যাচোলনা করলে দেখা যায় যে –
(১) এই আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল, কারণ কংগ্রেসের অনুসন্ধান এক কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, এই আন্দোলনে সারা দেশে সব বয়সের এবং সমস্ত শ্রেণির ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেছিল।
(২) এক্ষেত্রে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুর ও কোচিনের বিভিন্ন অংশে ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা লক্ষ করা যায়।
(৩) ছাত্ররা এই আন্দোলনপর্বে খাজনা বন্ধ, রেললাইন উপড়ে ফেলা, এবং পোস্ট অফিস ও রেল স্টেশন ধ্বংস করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল।
প্রশ্নঃ ভগৎ সিং বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ ভগৎ সিং ছিলেন বিংশ শতকের প্রথমার্ধের এক মহান বিপ্লবী এবং হিন্দুস্থান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা। স্যান্ডার্স হত্যা এবং কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে বোমা নিক্ষেপ প্রভৃতি জাতীয়তাবাদী ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হন এবং বিচারে প্রাণদন্ডে দন্ডিত হন।
প্রশ্নঃ অলিন্দ যুদ্ধ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ১৯৩০ খ্রিঃ ৮ই ডিসেম্বর বিনয় বসু তাঁর দুই বিপ্লবী বন্ধু বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্তের সঙ্গে কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং-এ প্রবেশ করে কারা বিভাগের ইনস্পেকটর জেনারেলকে হত্যা করেন ও এক ইংরেজ কর্মচারীকে আহত করেন। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ পুলিশ তিনজনকে ঘিরে ফেললে রাইটার্স বিল্ডিং-এর বারান্দা বা অলিন্দে অসম যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধ অলিন্দ যুদ্ধ নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ সূর্য সেন বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি নামক বিপ্লবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও বিখ্যাত ঘটনা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নায়ক ছিলেন মাস্টারদা নামে পরিচিত সূর্য সেন। ১৯৩০ খ্রিঃ ১৮ই এপ্রিল চট্টাগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের পর বিপ্লবীরা চট্টাগ্রাম বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে সূর্য সেন ধরা পড়েন এবং বিচারে তাঁর ফাঁসি হয়।
প্রশ্নঃ রশিদ আলি দিবস কেন পালিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৬ খ্রিঃ ১০ই ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ সরকার আজাদ হিন্দ ফৌজের এক সেনা অফিসার ক্যাপ্টেন আব্দুল রশিদের বিচারের ব্যবস্থা করে ও সাতবছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন কলকাতায় ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোপ ও ধর্মঘট সংঘটিত হয় এবং প্রকাশ্য সংঘর্ষে ৪৮ জন নিহত ও ৩০০-র বেশি ছাত্র আহত হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়, যা রশিদ আলি দিবস নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ দলিত নামে কারা পরিচিত?
উত্তরঃ ভারতে বর্ণব্যবস্থাযুক্ত সমাজব্যবস্থায় উচ্চবর্ণের দ্বারা শোষিত ও অত্যাচারিত নিম্নবর্ণের হিন্দু বা অস্পৃশ্যরা ঔপনিবেশিক শাসনকালে দলিত নামে পরিচিতি লাভ করে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকার থেকে এরা বঞ্চিত ছিল অর্থাৎ মন্দিরে প্রবেশ, পুকুর বা জলাধার ব্যবহার, বিদ্যালয়ে লেখাপড়া, সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে বঞ্চিত ছিল।
প্রশ্নঃ নমঃশূদ্র নামে কারা পরিচিত?
উত্তরঃ পূর্ব বাংলার খুলনা, যশোহর, ফরিদপুর ও বরিশালের প্রান্তিক কৃষিজীবী সম্প্রদায় নমঃশূদ্র নামে পরিচিত। সামাজিক দিক থেকে এঁরা ছিল হিন্দুসমাজে অস্পৃশ্য ও অন্ত্যজ। এরূপ সামাজিক বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতা তারা যে আন্দোলন গড়ে তোলে তা নমঃশূদ্র আন্দোলন নাম পরিচিত।
বিভাগ – ঘ
(৪) বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ স্বদেশী আন্দোলনে সরলা দেবী চৌধুরানীর কি ভূমিকা ছিল?
উত্তরঃ জোড়োসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কন্যা স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা ছিলেন সরলাদেবী চৌধুরানী। ঠাকুর বাড়ির স্বদেশিকতার আবহাওয়া সরলা দেবীকে প্রভাবিত করে এবং স্বদেশী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অভিষেক সম্পন্ন হয়।
(১) জাতীয়তাবাদী উৎসব উদযাপনঃ সুদূর মহীশূরে শিক্ষক তার কাজ করলেও তিনি ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় আসেন। বাংলায় যুগ সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশপ্রেম, সাহস ও শৌর্য-বীর্য জাগ্রত করার জন্য তিনি ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ ও শক্তির আরাধনার জন্য ‘বীরাষ্টমী’ ব্রতউৎসব উদযাপন করেন।
(২) স্বদেশী গান রচনাঃ তিনি বহু স্বদেশী গান রচনা করে সর্বসাধারণের জাতীয়তা বোধে অনুপ্রাণিত করেন।
(৩) ভারতী পত্রিকা সম্পাদনঃ সরলা দেবী দীর্ঘকাল ‘ভারতী’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন এবং এই পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশ করে নারী জাতিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। মেয়েদের স্বাস্থ্যচর্চার দিকে নজর রেখে তিনি সগৃহে ব্যয়ামাগার স্থাপন করেন।
(৪) শরীর চর্চায় উৎসাহ দানঃ তিনি নিজে আসি চালনা, কুস্তি ও শরীরচর্চার প্রতি উৎসাহ দিতেন।
(৫) লক্ষীর ভান্ডার স্থাপনঃ স্বদেশী পণ্য সাধারন এ মধ্যে চালু করার জন্য ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ বা ‘স্বদেশী স্টোর্স’ স্থাপন করেন।
প্রশ্নঃ বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা লেখ।
উত্তরঃ সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীরা তাদের সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন, এই কথা অনস্বীকার্য।
চরিত্রঃ বিপ্লবী আন্দোলনের নারীদের যোগদানের চরিত্র হলো –
(১) সহযোগী ভূমিকাঃ ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের আগে অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর দল, বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স, চট্টগ্রামে বিপ্লবী সমিতি দলগুলিতে কোন মহিলারাই সদস্য পদ ছিল না। এক্ষেত্রে যে কাজগুলি তারা করতেন সেগুলি হল স্বাধীনভাবে সহযোগীর কাজ।
(২) বিপ্লবীদের সাহায্য দানঃ গোপন চিঠি বা আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দেওয়া, সেগুলিকে সুরক্ষিত রাখা, বিপ্লবীদের আশ্রয় দান করা ইত্যাদি বিভিন্ন আপাত নিরীহ অথচ বিপজ্জনক কাজগুলির সঙ্গে তারা নিজেদের যুক্ত রাখতেন।
(৩) মধ্যবিত্ত পরিবারঃ এরা প্রায় সকলেই ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবার ভুক্ত, দেশের রাজনীতির সঙ্গে যাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
(৪) বিপ্লবী কার্যকলাপঃ কুমিল্লার দুই জন কিশোরী ছাত্রীর শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী, কলকাতার ডায়োসেশন কলেজের ছাত্রী বীনা দাস, চট্টগ্রাম খাস্তগীর হাইস্কুলের সাথী কল্পনা দত্ত এবং ঢাকার বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স এর সদস্য উজ্জ্বলা মজুমদারের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়।
(৫) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারঃ বাংলার প্রথম মহিলা শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রামের পাহাড় তলী ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়ে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন এবং প্রাণ বিসর্জন দেন।
(৬) আজাদ হিন্দ বাহিনীঃ আজাদ বাহিনীর নারী ব্রিগেড এর অসীম সাহসী মহিলা সৈনিকরা চরম প্রতিমূলতার মুখেও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। বাঙালি মেয়েদের মধ্যে শিপ্রা সেন, রানু ভট্টাচার্য, গাঙ্গুলী এবং এদের অধ্যক্ষ লক্ষী স্বামিনাথণ এর অবদান অবিস্মরণীয়।
প্রশ্ন: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা কি ছিল?
উত্তর: ভূমিকা: উনিশ শতকের শেষে ছাত্রসমাজ বিবেকানন্দের ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শ’ও বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম’মন্ত্র দ্বারা উদবুদ্ধ হয়েছিল এবং বিশ শতকের প্রথমে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।
ছাত্রদের ভূমিকাঃ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক হলো-
(১) বয়কট আদর্শ প্রচারঃ বিদেশি দ্রব্য সামগ্রী ও স্কুল কলেজ বর্জন করে বাংলার ছাত্ররা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম আদর্শ ‘বয়কট’বা বিদেশি দ্রব্য বর্জনের আদর্শ প্রচার ও প্রসারে এবং জনমত গঠনে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল।
(২) সভা সমিতিঃ বঙ্গভঙ্গ কালে ছাত্ররা বিভিন্ন সভা সমিতিতে যোগদান করে। এ প্রসঙ্গে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ১৭ ও ১৮ জুলাই রিপন কলেজের ছাত্র সমাবেশ এবং ৩১ জুলাই কলকাতার সব কলেজগুলির ছাত্র সমাবেশের কথা বলা যায়।
(৩) স্বদেশী দ্রব্য বিক্রয়ঃ স্বদেশী আদর্শ প্রচারের পাশাপাশি ছাত্ররা বাংলার বিভিন্ন স্থানে ৭৫টি শাখার মাধ্যমে দেশীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করতো এবং স্বদেশী দ্রব্যের দোকানের সামনে পিংকেটিং করত।
(৪) অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটিঃ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন থেকে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের দূরে রাখতে কার্লাইল সার্কুলার জারি করা হলে তার প্রতিবাদে বিপ্লবী ছাত্র-শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল শাস্তিপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত ছাত্রদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
প্রশ্নঃ বিনয়, বাদল ও দীনেশ স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ বিংশ শতাব্দীর প্রথমে গান্ধিজির অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলার বিপ্লবীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলেন যার মধ্যে বিনয়-বাদল-দীনেশের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান ও অলিন্দ যুদ্ধ ছিল অন্যতম।
১৯৩০ খ্রিঃ ৮ই ডিসেম্বর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের সক্রিয় সদস্য বিল্পবী বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং-এ প্রবেশ করে কারা বিভাগের ইনস্পেকটর জেনারেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন এবং তাঁদের আক্রমণে একাধিক উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী আহত হন। এরপর রাইটার্স বিল্ডিং-এর আলিন্দে লালবাজার থেকে আসা সশস্ত্র পুলিশের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবী বিনয়-বাদল-দীনেশের যুদ্ধ শুরু হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই যুদ্ধ অলিন্দ যুদ্ধ নামে খ্যাত।
অলিন্দ যুদ্ধকালে পুলিশ এই তিনজন বিপ্লবীকে ঘিরে ফেললে পালানো অসম্ভব বিবেচনা করে বাদল পটাশিয়াম সায়ানাইড নামে সাংঘাতিক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন এবং বিনয় ও দীনেশ পিস্তল দিয়ে নিজেদের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কয়েকদিন পর হাসপাতালে বিনয় মারা যান।
চিকিৎসকদের চেষ্টায় দীনেশ বেঁচে যান এবং আলিপুর জর্জ কোর্টের ইংরেজ বিচারক গার্লিকের আদেশে তাঁর ফাঁসি হয়। দীনেশের ফাঁসির এক বছরের মধ্যে বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের গুলিতে আলিপুর কোর্টের মধ্যে বিচারপতি গার্লিক নিহত হন।
বিভাগ – ঙ
(৫) ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলনের উদ্ভব ও বিকাশ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উনিশ শতকে ভারতে দলিত সম্প্রদায় যে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জনের চেষ্টা শুরু করেছিলেন, সেগুলির মধ্যে বাংলার নমঃশূদ্র বা চন্ডাল বা মতুয়া আন্দোলন ছিল উল্লেখযোগ্য।
আন্দোলনের উদ্ভব
পূর্ববাংলার খুলনা, যশোহর ফরিদপুর ও বরিশালের নমঃশূদ্র কৃষিজীবীদের এই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল ১৮৭০-এর দশকে এবং ভারতের স্বাধীনতার পরেও তা চলেছিল। নমঃশূদ্র আন্দোলনের উদ্ভবের কারণগুলি হল –
অর্থনৈতিক কারণঃ সমাজের নমঃশূদ্ররা ছিল প্রান্তিক কৃষিজীবী, ভূমিহীন কৃষক ও মজুর। এই পরিস্থিতিতেই নমঃশূদ্ররা অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য শিক্ষা ও চাকরির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিল।
সামাজিক বৈষম্যঃ তৎকালীন সমাজে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়কে সামাজিক দিক থেকে পতিত ও অচ্ছুত বলে মনে করা হত। তাই নমঃশূদ্ররা সামাজিক এই দূরবস্থার জন্য শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের সূচনা হয়।
ধর্মপ্রচারকের ভূমিকাঃ শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর নমঃশূদ্রদের মধ্যে আত্মমর্যাদা সৃষ্টির জন্য তাঁর শিষ্যদের মতুয়া নামে অভিহিত করেন এবং তিনি ব্রাহ্মণ জমিদার ও পুরোহিত শ্রেণির অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চর হন।
অন্য সংগঠন প্রতিষ্ঠাঃ নমঃশূদ্ররা ১৯০৮ খ্রিঃ নিজেদের জন্য পৃথক সংগঠন গড়ে তোলে। সংগঠনের মুখপত্র ছিল পতাকা এবং এই পত্রিকায় নমঃশূদ্র নেতা রায়চরণ বিশ্বাস জাতি ব্যবস্থায় নিজেদের ব্রাহ্মণ গোষ্ঠীভুক্ত বলে দাবি করেন।
আন্দোলনের বিকাশ
বিশ শতকে নমঃশূদ্র আন্দোলনের বিকাশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলি হল –
প্রতিনিধি দল প্রেরণঃ ১৯০৭ খ্রিঃ নমঃশূদ্রদের একটি প্রতিনিধি দল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে তাদের সামাজিক বৈষম্যের হাত থেকে মুক্ত করার দাবি জানায়।
নমঃশূদ্র নামের স্বীকৃতিঃ গুরুচাঁদ ঠাকুর চন্ডালদের নাম পরিবর্তন করে নমঃশূদ্র রাখার দাবি জানালে ১৯১১ খ্রিঃ জনগণনায় এই দাবি স্বীকৃত হয়।
সংগঠন স্থাপনঃ ১৯১২ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গল নমঃশূদ্র অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রতিটি জেলায় এই সংগঠনের শাখা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নমঃশূদ্র আন্দোলন পুরোপুরি সংগঠিত আকার নেয়।
সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব দাবিঃ ১৯১৯ খ্রিঃ মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কারে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় অনুন্নত শ্রেণির একজন প্রতিনিধি মনোনয়নের নীতি নেওয় হয়।
প্রশ্নঃ ভারতের বাইরে ভারতীয় বিপ্লবীদের কার্যকলাপ সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ বিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতের বাইরে আমেরিকা, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান প্রভৃতি দেশে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলেও ভারতীয় বিপ্লবীদের কার্যকলাপের যথেষ্ট প্রসার ঘটে।
আমেরিকাঃ বিপ্লবী লালা হরদয়াল ও তাঁর ভাই পরমানন্দ আমেরিকায় গিয়ে ভারতীয় স্বাধীনতা সংঘে যোগ দেন। তরুণদের মধ্যে বিপ্লবের ভাবধারা প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁরা সেখানে গদর নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করে তাঁরা ১৯১৩ খ্রিঃ আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো শহরে গদর পার্টি প্রতিষ্ঠা করন।
জার্মানিঃ ভারতীয় বিপ্লবীরা ১৯১৪ খ্রিঃ জার্মানিতে বার্লিন কমিটি নামে একটি গুপ্ত বিপ্লবী দল গড়ে তোলেন। এই কমিটির প্রধান লক্ষ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করে ভারতীয় বিপ্লবীদের সাহায্য করা, অস্ত্র সরবরাহ করা, বিপ্লবী পরিকল্পনা প্রদান করে ভারতে বিপ্লবী কার্যকলাপে গতি আনা প্রভৃতি।
বিটেনঃ শ্যামজি কৃষ্ণবর্মার সহকারী জনৈক পারসি মহিলা ভিকাজি রুস্তমজি কামা ব্রিটেনে ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভারতীয় বিপ্লববাদের জননী।
ফ্রান্সঃ শ্যামজি কৃষ্ণবর্মা, মাদাম কামা-সহ কয়েকজন বিপ্লবী ফ্রান্সে গিয়ে ভারতীয় বিপ্লবীদের সংঘবদ্ধ করতে থাকেন। প্যারিস হয়ে ওঠে প্রবসী ভারতীয় বিপ্লবীদের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানে বিপ্লবীরা বোমা তৈরির কৌশল শেখে।
জাপানঃ জাপানের ভারতীয় বিপ্লবীদের কর্ম তৎপরতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। বিপ্লবী রাসবিহারী বসু কর্তৃক ভারতে সামরিক অভ্যুথান ঘটানোর পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেলে তাঁর খোঁজে ভারতে প্রচন্ড তল্লাশি শুরু হয়। ফলে তিনি পি এন ঠাকুর ছদ্মনামে জাপানে পালিয়ে যান। সেখানে টোকিও শহরে তিনি একটি বিপ্লবী দল গঠন করেন। কংগ্রেস নেতা লালা লাজপৎ রায়-ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে গিয়ে ব্রিটিশ-বিরোধী প্রচার চালান।
রাশিয়াঃ রাশিয়ার ১৯১৭ খ্রিঃ বলশেভিক বিপ্লবের জয় হলে ভারতীয় বিপ্লবীরা সেখানকার বিপ্লবী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে প্রথম উদ্যোগ নেন বিপ্লবী মানবেন্দ্রনাথ রায়। তিনি কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতের বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন আদায় করেন।
ভারতের অভ্যন্তরে তীব্র দমনপীড়নের ফলে বিপ্লবী কার্যকলাপ বাধাপ্রাপ্ত হলেও ভারতের বাইরে সেই কার্যকলাপ পরিপূরক হিসেবে কাজ করেছিল। ফলে ভারতের ব্রিটিশ-বিরোধী বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং আন্দোলনের গতিবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছিল।