ভারত : অবস্থান, প্রশাসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
MCQ | ভারত : অবস্থান, প্রশাসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharat Abasthan Prashasnik Vibhag Question and Answer :
- ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা হল—
(A) ৮২ ° ২৮ ′ পূর্ব
(B) ৮২ ° ৩২ ′ পূর্ব
(C) ৮২ ° ৩০ ′ পূর্ব
(D) ৮২ ° ৩৪ ′ পূর্ব
Ans: (B) ৮২ ° ৩২ ′ পূর্ব
- অক্ষাংশগত দিক থেকে ভারত কোন্ গোলার্ধে অবস্থিত ?
(A) দক্ষিণ
(B) পূর্ব
(C) পশ্চিম
(D) উত্তর
Ans: B) পূর্ব
- পূর্বে গুজরাটের কচ্ছের রণ থেকে পশ্চিমে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারতের প্রস্থ হল –
(A) ৩২১২ কিমি
(B) ২৯৩৩ কিমি
(C) ৩৫১২ কিমি
(D) ২৯৩৬ কিমি
Ans: (C) ৩৫১২ কিমি
- আয়তনে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত —
(A) অষ্টম
(B) সপ্তম
(C) নবম
(D) দশম
Ans: (A) অষ্টম
- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারির আগে ভারতে মোট ক – টি অঙ্গরাজ্য ছিল ?
(A) ১৪
(B) ২৭
(C) ২৮
(D) ২৬
Ans: (A) ১৪
- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের রাজ্য পুনর্গঠন কীসের ভিত্তিতে হয় ?
(A) সীমানা
(B) ভাষা
(C) শিক্ষা
(D) জাতি
Ans: (B) ভাষা
- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠনের সময় ভারতে রাজ্যপাল শাসিত রাজ্য ( অঙ্গরাজ্য ) ছিল—
(A) ১৫
(B) ১৭
(C) ১৪
(D) ১৬
Ans: (D) ১৬
- কর্নাটক রাজ্যের পূর্বনাম ছিল—
(A) ত্রিবাঙ্কুর
(B) ইউনাইটেড প্রভিন্স
(C) কুর্গ
(D) মহীশূর
Ans: (C) কুর্গ
- বর্তমানে ভারতের মোট রাজ্যসংখ্যা হল—
(A) ২৭
(B) ২৮
(C) ৩০
(D) ২৯
Ans: (D) ২৯
- চৈত্র মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে নতুন যে রাজ্যটি গঠিত হয়েছে তার নাম হল –
(A) ছত্তিশগড়
(B) উত্তরাখণ্ড
(C) তেলেঙ্গানা
(D) ঝাড়খণ্ড
Ans: (A) ছত্তিশগড়
[ আরোও দেখুন: Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click here ]
- বর্তমানে ভারতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা হল –
(A) ৯
(B) ৭
(C) ৬
(D) ৮
Ans: (B) ৭
- প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা কোন শহরের ওপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ? –
(A) এলাহাবাদ
(B) আমেদাবাদ
(C) লখনউ
(D) দিল্লি
Ans: (A) এলাহাবাদ
- ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু হল –
(A) ইন্দিরা পয়েন্ট
(B) রামেশ্বরম
(C) তিরুবনন্তপুরম
(D) কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ
Ans: (D) কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ
- ভারত ও পাকিস্তান সীমারেখা কী নামে পরিচিত ?
(A) ম্যাকমোহন লাইন
(B) ডুরান্ড লাইন
(C) র্যাডক্লিফ লাইন
(D) কোনোটাই নয়
Ans: (C) র্যাডক্লিফ লাইন
- ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোন্ প্রণালী রয়েছে— “
(A) ১০ ° চ্যানেল
(B) ৯ ° চ্যানেল
(C) পক্প্রণালী
(D) সমব্রেরো চ্যানেল
Ans: (C) পক্প্রণালী
- ভারতের কোন রাজ্য ক্ষেত্রমান বৃহত্তম ?
(A) মধ্যপ্রদেশ
(B) উত্তরপ্রদেশ
(C) গুজরাট
(D) রাজস্থান
Ans: (D) রাজস্থান
- ভারতে ‘ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন স্থাপিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে ? –
(A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
- ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানীর নাম কী ?
(A) জামসেদপুর
(B) রাঁচি
(C) পাটনা
(D) রায়পুর
Ans: (B) রাঁচি
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharat Abasthan Prashasnik Vibhag Question and Answer :
- দ্রাঘিমারেখার ভিত্তিতে ভারত কোন্ গোলার্ধের দেশ ?
Ans: পূর্ব গোলার্ধের ।
- ভারতের দক্ষিণতম বিন্দুর নাম কী ?
Ans: ইন্দিরা পয়েন্ট ।
- ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম অংশের নাম কী ?
Ans: কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ ।
- কোন বিখ্যাত অক্ষরেখা ভারতের মাঝবরাবর বিস্তৃত ।
Ans: কর্কটক্রান্তি রেখা ।
- ভারত সমেত প্রতিবেশি দেশগুলির সংগঠনের নাম কী ?
Ans: SAARC .
- SAARC এর সদস্যসংখ্যা ক – টি ?
Ans: ৬ টি ।
- SAARC- এর পুরো কথা কী ?
Ans: South Asian Association for Regional Co – operation .
- ক্ষেত্রফল বিচারে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত ?
Ans: সপ্তম ।
- ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখার নাম কী ?
Ans: র্যাডক্লিফ লাইন ।
- কোন্ প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে ভারতের সীমারেখা দীর্ঘতম ?
Ans: বাংলাদেশ ।
- ভারতের একটি প্রতিবেশি দেশের নাম লেখো যা সম্পূর্ণ ; স্থলভাগ বেষ্টিত ।
Ans: নেপাল বা ভূটান ।
- একটি প্রতিবেশি দেশের নাম লেখো যা সম্পূর্ণ দ্বীপভূমি ।
Ans: শ্রীলঙ্কা / মালদ্বীপ ।
- ভারতের কোন রাজ্য ক্ষেত্রফলে বৃহত্তম ।
Ans: রাজস্থান ।
- বর্তমানে ভারতে রাজ্যের সংখ্যা ক – টি ?
Ans: ২৯ টি ।
- ম্যাকমোহন লাইনটি ভারতের কোন রাজ্যের ভারত – চিন সীমারখো ?
Ans: অরুণাচল প্রদেশ ।
- ভারতের নবতম রাজ্য কোনটি ?
Ans: তেলেঙ্গানা ।
- বাংলাদেশের ছিটমহলগুলি ভারতের কোন রাজ্যে যুক্ত হয় ?
Ans: পশ্চিমবঙ্গ ।
- ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোন্ প্রণালী রয়েছে ?
Ans: পকপ্রণালী ।
- ভারতের কোন শহরটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং
একইসঙ্গে E দুটি রাজ্যের রাজধানী ?
Ans: চণ্ডীগড় ।
- কত খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন স্থাপিত হয় ?
Ans: ১৯৫৩ ।
- ভারতে রাজ্যভাগে কোন্ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় ?
Ans: ভাষা ।
- পূর্ব – পশ্চিমে ভারতের বিস্তার কত ?
Ans: ২৯৩৩ কিমি ।
- ভারতের স্থল সীমানার দৈর্ঘ্য কত ?
Ans: ১৫,২০০ কিমি ।
- চণ্ডীগড় কোন্ দুই রাজ্যের রাজধানী ?
Ans: পাঞ্জাব , হরিয়ানা ।
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝখানে কোন্ প্রণালী অবস্থিত ?
Ans: ১০ ° চ্যানেল ।
- সর্বাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য কোনগুলি ?
Ans: পশ্চিমবঙ্গ , অরুণাচল প্রদেশ ও জম্মু – কাশ্মীর ( ৩ টি করে ) ।
- ভারতের সবথেকে কম সীমানাস্পর্শকারী রাজ্য কোন্টি ?
Ans: সিকিম ( ১ টি , পশ্চিমবঙ্গ ) ।
- ভারতের সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য কোনটি ?
Ans: অরুণাচল প্রদেশ ( ৩ টি — ভুটান , চিন ও মায়নমার ) ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharat Abasthan Prashasnik Vibhag Question and Answer :
- ভারতের অক্ষাংশগত অবস্থান লেখো ।
Ans: ভারত দক্ষিণে ৮ ° ৪ ′ উত্তর অক্ষাংশ ( কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ ) থেকে উত্তরে ৩৭ ° ৬ ′ উত্তর অক্ষাংশ ( কাশ্মীরের ইন্দিরা কল ) পর্যন্ত বিস্তৃত । অক্ষাংশগত ভাবে ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত ।
- ভারতের দ্রাঘিমাংশগত অবস্থান লেখো ।
Ans: ভারত পশ্চিমে ৬৮ ° ৭ ′ পূর্ব দ্রাঘিমা ( গুজরাটের পশ্চিম সীমা ) থেকে ৯৭ ° ২৫ ′ পূর্ব দ্রাঘিমা ( অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সীমা ) পর্যন্ত বিস্তৃত । দ্রাঘিমাগত দিক থেকে ভারত পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত ।
- ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা কোন্ কোন্ শহরের পর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ?
Ans: ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা ( ৮২ ° ৩০ ′ পূ . ) এলাহাবাদ , সোনহাট এবং কোকনদের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ।
- কোন্ দুটি রেখা ভারতকে পূর্ব – পশ্চিমে এবং উত্তর – দক্ষিণে ভাগ করেছে ?
Ans: কর্কটক্রান্তি রেখা ( ২৩১ / ২ ° উত্তর ) ভারতকে উত্তর – দক্ষিণে এবং ৮০ ° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা ভারতকে পূর্ব – পশ্চিমে ভাগ করেছে ।
- ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু এবং ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু কোন্টি ?
Ans: ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু হল কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ এবং ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু হল আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত ইন্দিরা পয়েন্ট । ভারত : অবস্থ মায়ানমার ও বাংলাদেশ , বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভারতমহাসাগর ।
- উপদ্বীপ ( Peninsula ) কাকে বলে ?
Ans: তিনদিক জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত স্থলভাগকে উপদ্বীপ বলে । যেমন— ভারত হল একটি উপদ্বীপ , কারণ ভারতের তিনদিকে রয়েছে ৩ টি সাগর ( পূর্বে বঙ্গোপসাগর , পশ্চিমে আরব সাগর এবং দক্ষিণে ভারতমহাসাগর ) । ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম উপদ্বীপ ।
- উপসাগর ( Bay ) কাকে বলে ?
Ans: তিনদিক স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত সমুদ্রভাগকে উপসাগর বলে । যেমন — খাম্বাত উপসাগর , কচ্ছ উপসাগর ইত্যাদি ।
- ভারতের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম লেখো ।
Ans: ভারতের বৃহত্তম রাজ্য — রাজস্থান । বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল— আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ । ক্ষুদ্রতম রাজ্য — গোয়া । ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল — লাক্ষাদ্বীপ ।
- ভারতের পশ্চিমে এবং দক্ষিণে অবস্থিত উপসাগর গুলির নাম লেখো ।
Ans: পশ্চিম ভারতের উপসাগর হল — কচ্ছ উপসাগর ও খাম্বাত উপসাগর । দক্ষিণ ভারতের উপসাগর হল— মান্নার উপসাগর ।
- ভারতের কোন রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বাধিক এবং কোন্ রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বনিম্ন ?
Ans: ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বাধিক— ৭২ টি এবং ত্রিপুরা ও সিকিম জেলার সংখ্যা সর্বনিম্ন— ( ৪ টি করে ) ।
- সর্বাধিক রাজ্য দ্বারা সীমানা স্পর্শ করেছে এমন ২ টি রাজ্যের নাম লেখো ।
Ans: সর্বাধিক রাজ্য দ্বারা সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য হল— ( ১ ) উত্তরপ্রদেশ – ৮ টি ( উত্তরাখণ্ড , মধ্যপ্রদেশ , ছত্তিশগড় , হিমাচলপ্রদেশ , হরিয়ানা , ঝাড়খণ্ড , রাজস্থান ও বিহার ) ( ২ ) অসম —৭ টি ( পশ্চিমবঙ্গ , মেঘালয় , ত্রিপুরা , মিজোরাম , মণিপুর , নাগাল্যান্ড , অরুণাচল প্রদেশ ) ।
- ভারতের রাজ্যসমূহের পুনর্গঠনের প্রধান ভিত্তি কী ছিল ?
Ans: ভারতের রাজ্যসমূহের পুনর্গঠনের প্রধান ভিত্তিগুলি হল – ( i ) ভাষা , ( ii ) সংস্কৃতি , ( iii ) প্রশাসনিক দক্ষতাবৃদ্ধি , ( iv ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ( v ) প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সাদৃশ্য ।
- ভারতের দাক্ষিণাত্যকে উপদ্বীপ বলা হয় কেন ?
Ans: তিনদিক জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত কোনো স্থলভাগকে উপদ্বীপ বলে । ভারতের দক্ষিণ ভাগ অর্থাৎ দাক্ষিণাত্যকে উপদ্বীপ বলা হয় কারণ এর পূর্বে বঙ্গোপসার , পশ্চিমে আরব সাগর ও দক্ষিণে ভারতমহাসাগর অর্থাৎ তিনদিকে জলভাগ অবস্থান করছে ।
- ভারতবর্ষ পৃথিবীর ঠিক কোথায় অবস্থিত ?
Ans: ভারতবর্ষ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত , আবার পূর্ব – পশ্চিমের হিসাবে পূর্ব গোলার্ধের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত । এ ছাড়া বলা যায় , ভারত এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ – পূর্ব অংশে অবস্থিত । INTERESTING FACTS ভারতের প্রমাণ সময় | Greenwich Mean Time এর থেকে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে , Australian Eastern Standard Time এর তুলনায় ৪ ঘণ্টা পিছিয়ে এবং American Eastern Standard Time এর থেকে ১০.৫ ঘণ্টা এগিয়ে থাকে ।
- পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোন্ কোন্ রাজ্যের সীমানা বাংলাদেশকে স্পর্শ করে আছে ?
Ans: পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আসাম , মেঘালয় , ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্য বাংলাদেশের সীমানা স্পর্শ করে আছে ।
- পাকিস্তানের সাথে ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যের সীমানা স্পর্শ করে আছে ?
Ans: ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর , পাঞ্জাব , রাজস্থান ও গুজরাট রাজ্যের সীমানা পাকিস্তানের সীমানা স্পর্শ করে আছে ।
ব্যাখ্যামূলক উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharat Abasthan Prashasnik Vibhag Question and Answer :
- ভারতকে ‘ বৈচিত্র্যময় দেশ ’ বলা হয় কেন ?
Ans: ভারতে প্রাকৃতিক , অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক দিক থেকে বহু বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয় । ভারতের অবস্থান ও আয়তনগত বিশালতার জন্য সারা দেশজুড়ে মানুষের ভাষা , ধর্ম , সংস্কৃতি , জীবনধারণের ধরন , পোশাক – পরিচ্ছদ , খাদ্যাভ্যাস সবই ভিন্ন । এমনকি প্রাকৃতিক দিক দিয়েও ভারতের কোথাও সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চল , পাহাড়ি অঞ্চল , কোথাও বন্ধুর মালভূমি কোথাও – বা নদী অধ্যুষিত সমভূমি অবস্থান করছে । ভারতের এই সর্বাঙ্গীন বৈচিত্র্যময়তার জন্য ভারতকে ‘ বৈচিত্র্যময় দেশ ’ বলা হয় । বৈচিত্র্যতার কারণেই ভারতকে ‘ পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ ’ ( Epitome of the World ) বলা হয় ।
- ভারতবর্ষকে উপমহাদেশ বলার কারণ কী ?
Ans: ভারতবর্ষকে উপমহাদেশ বলার কারণ : এশিয়া মহাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত ভারত এবং ( চিন ও আফগানিস্তান বাদে ) ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলি যেমন : পাকিস্তান , নেপাল , ভুটান , বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এত নিবিড় যে , এই ছ – টি দেশকে একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয় । ভারতের মতো এইসব দেশগুলিও এককালে কেন্দ্রীভূত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঙ্গ হিসেবে বহুদিনই একসঙ্গে অবস্থান করেছে , আবার ভারতের কিছু আগে পরে স্বাধীনতাও লাভ করেছে । এইসব দেশের মূল আইন এবং বৈদেশিক নীতিও অনেকটা একই রকমের । বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের স জন্য ভারত এইসব দেশের মধ্যমণি হিসেবে অবস্থান করছে বলে মনে করা হয় । তাই এইসব দেশকে একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয় ।
- ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্য ভেঙে নতুন রাজ্য গঠন করা হয়েছে লেখো ।
Ans: ভারতের বিহার রাজ্য ভেঙে হয় ঝাড়খণ্ড , মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে হয় ছত্তিশগড় , উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে হয় উত্তরাখণ্ড এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে গঠিত হয় তেলেঙ্গনা রাজ্য ।
- ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনে ভাষার ভূমিকা লেখো ।
Ans: ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য ভাষার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি । ভারতের কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ যে যে ভাষায় কথা বলেন , সেই সেই অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । যেমন — ওড়িয়া ভাষা প্রধান অঞ্চলকে ওড়িশা , বাংলা ভাষা প্রধান অঞ্চলকে পশ্চিমবঙ্গ বা অসমীয়া ভাষা প্রধান অঞ্চলকে অসম রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে । এই হিসেবেই তেলুগু , পাঞ্জাবি , তামিল , কাশ্মীরি ভাষা প্রধান অঞ্চলগুলি হল যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ , পাঞ্জাব , তামিলনাড়ু , জম্মু ও কাশ্মীর প্রভৃতি ।
- ভারতের উপদ্বীপীয় অবস্থানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ।
Ans: ভারতের দক্ষিণাংশ উপদ্বীপীয় ভারত নামে পরিচিত । এই অংশকে দাক্ষিণাত্য বলে । এরুপ উপদ্বীপীয় অবস্থানের সুবিধাগুলি হল— ( ১ ) জলবায়ু : সমুদ্র কাছাকাছি অবস্থান করায় এই অংশের জলবায়ু সমভাবাপন্ন । ( ২ ) আত্মরক্ষা : সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় সমুদ্রপথে বহিঃশত্রুরা সহজে আক্রমন করতে পারে না । ( ৩ ) ব্যাবসাবাণিজ্য : জলপথে অন্যান্য দেশের সাথে ব্যাবসা বাণিজ্যের সুবিধা হয় । ( ৪ ) মৎস্যশিকার : পার্শ্ববর্তী সমুদ্র থেকে ভারত প্রচুর মৎস্যশিকার করে । এ ছাড়া মণিমুক্তা ও খনিজসম্পদও পাওয়া যায় । ( ৫ ) নৌবিদ্যা : ভারত নৌবিদ্যায়ও যথেষ্ট পারদর্শী । স্থলভাগের সীমানা দেখতে পাওয়া যায় । এর দৈর্ঘ্য হ ১৫,২০০ কিমি । উত্তরের সুবিশাল হিমালয় পর্বত ভারত ও চিনের প্রাকৃতিক সীমানা হিসেবে অবস্থান করছে । ভুটানের পূর্বাংশ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারত ও চিনের সীমান ম্যাকমোহন লাইন নামে পরিচিত । ভারতের উত্তর – পশ্চিমে ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা হল র্যাডক্লিফ লাইন । উত্তর – পূর্বে ভারত – মায়ানমার ও ভারত – বাংলাদেশ সীমারেখাও বর্তমান ।
- ভারতের জলভাগের সীমানা ।
Ans: ভারতের দক্ষিণে প্রায় ৬১০০ কিমি অংশজুড়ে অবস্থান করছে ভারতের জলভাগের সীমানা । ভারতের জলভাগের সীমানা নানান সাগর , উপসাগর ও মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত । যেমন- ভারতের সর্বদক্ষিণে রয়েছে ভারতমহাসাগর এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে রয়েছে মান্নার উপসাগর , পক্ উপসাগর ও পপ্রণালী । ভারতের পূর্বে রয়েছে বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমে রয়েছে আরব সাগর এবং গুজরাটের কচ্ছ ও কাথিয়াবাড়ের মধ্যে রয়েছে । কচ্ছ উপসাগর ও কাথিয়াবাড়ের দক্ষিণ পূর্বে রয়েছে কাছে খাম্বাত উপসাগর ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bharat Abasthan Prashasnik Vibhag Question and Answer :
1. ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তি কী ছিল ।
Ans: ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর রাজ্য পুনর্গঠন করা হয় প্রধানত ( ১ ) ভাষা , ( ২ ) সংস্কৃতি , ( ৩ ) প্রশাসনিক দক্ষতাবৃদ্ধি ( ৪ ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ( ৫ ) প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সাদৃশ্য – এর ওপর ভিত্তি করে ।
( ১ ) ভাষা : বহু ভাষাভাষী মানুষের দেশ ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের স্বার্থ রক্ষার কথা ভেবে , ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মূলত ভাষার ভিত্তিতে ভারতের রাজ্যগুলোর পুনর্গঠন করা হয় । ভারতের কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ যে যে ভাষায় কথা বলেন , সেই সেই অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । যেমন – ওড়িয়া ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে ওড়িশা , বাংলা ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা অসমীয়া ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে অসম রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । এই হিসেবে তেলুগু , পাঞ্জাবি , তামিল , কাশ্মীরি ভাষাপ্রধান অঞ্চলগুলি হল যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ , পাঞ্জাব , তামিলনাড়ু , জম্মু – কাশ্মীর প্রভৃতি ।
( ২ ) সংস্কৃতি : এক – একটি বিশাল অঞ্চলের অধিবাসীদের ভাষা এক হলেও তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও আচার অনুষ্ঠান , চিন্তাভাবনা , অনুশাসন , সংস্কার এবং আঞ্চলিক সংস্কৃতির পার্থক্য থাকায় প্রশাসনিক সুবিধার জন্য কোনো কোনো সময় বড়ো রাজ্য ভেঙে ছোটো রাজ্য করার প্রয়োজন অনুভূত হয় । ভাষা এক ( হিন্দি ) হলেও যেমন ( ক ) ঝাড়খণ্ড অঞ্চলের অধিবাসীদের সঙ্গে উত্তর বিহারের অধিবাসীদের চিন্তাভাবনা এক না – হওয়ায় বিহার রাজ্যকে ভেঙে ২ টি পৃথক রাজ্যে ( যেমন- বিহার ও ঝাড়খণ্ড ) পরিণত করা হয়েছে । ( খ ) উত্তরপ্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চল উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে এই রাজ্যে সমভূমিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের চিন্তাভাবনা , সংস্কার ও অনুশাসনের পার্থক্য থাকায় বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যকে ভেঙে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চল , এই দুটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে ।
( ৩ ) প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি : ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মূলত ভাষার ভিত্তিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলোর পুনর্গঠন করা হলেও পরবর্তীকালে সবসময় এই নীতি অনুসরণ করা যায়নি যেমন—
( ক ) প্রধান ভাষা হিন্দি হলেও উত্তরপ্রদেশ , বিহার , ঝাড়খণ্ড , মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়কে পাঁচটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে , কারণ— একটি রাজ্যের মর্যাদা পেলে হিন্দিভাষী ওই বিশাল রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালনা করতে বিভিন্ন ব্যাপারেই অনেক প্রশাসনিক অসুবিধা এবং জটিলতার সৃষ্টি হত । এই জন্যই ওই হিন্দিভাষী বিশাল অঞ্চলকে পাঁচটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয় ।
( খ ) পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যে অধিবাসীদের প্রধান ভাষা বাংলা এবং এদের মিলিত আয়তন ভারতের অনেক একক রাজ্যের তুলনায় কম হলেও পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা ভৌগোলিক অঞ্চলে এবং এদের মাঝে রয়েছে অন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ । কাজেই ভাষা এক হলেও প্রধানত ভৌগোলিক বাধার জন্য একটি রাজ্য হিসেবে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানো অসম্ভব হত , তাই পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা দুটি পৃথক রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে ।
( ৪ ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা : ভারতের বিভিন্ন অংশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমানভাবে ঘটাতে এবং উন্নয়নের পরিকল্পনা যথাযথ ভাবে গ্রহণ করতে রাজ্যগুলিকে পুনরায় ভাগ করা হয়েছে । এই কারণে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
( ৫ ) প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্য : কোনো অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্যের বিভিন্নতা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে তা আঞ্চলিক সংস্কৃতির পার্থক্যের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে এবং প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হয় । এই জন্য ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের সময় প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্যের ওপরও লক্ষ রাখা হয়েছে ।
SAARC : SAARC শব্দের পুরো নাম হল- South Asian Association of Regional Co – operation | বাংলায় যাকে বলে ‘ দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা পরিষদ । ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত , পাকিস্তান , নেপাল , ভুটান , বাংলাদেশ , শ্রীলঙ্কা , মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তান এই ৮ টি দেশ একত্রিত হয়ে এই সংস্থা গঠিত হয় । এর সদর শহর নেপালের কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত । এই সংস্থা স্থাপনের উদ্দেশ্য হল সদস্য দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক , বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ।
===========================================================
ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- ম্যাকমোহন লাইনটি ভারতের কোন রাজ্যের ভারত – চিন সীমারখো ?
Answer : অরুণাচল প্রদেশ ।
- ভারতের নবতম রাজ্য কোনটি ?
Answer : তেলেঙ্গানা ।
- বাংলাদেশের ছিটমহলগুলি ভারতের কোন রাজ্যে যুক্ত হয় ?
Answer : পশ্চিমবঙ্গ ।
- ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোন্ প্রণালী রয়েছে ?
Answer : পকপ্রণালী ।
- ভারতের কোন শহরটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং
একইসঙ্গে E দুটি রাজ্যের রাজধানী ?
Answer : চণ্ডীগড় ।
- কত খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন স্থাপিত হয় ?
Answer : ১৯৫৩ ।
- ভারতে রাজ্যভাগে কোন্ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় ?
Answer : ভাষা ।
- পূর্ব – পশ্চিমে ভারতের বিস্তার কত ?
Answer : ২৯৩৩ কিমি ।
- ভারতের স্থল সীমানার দৈর্ঘ্য কত ?
Answer : ১৫,২০০ কিমি ।
- চণ্ডীগড় কোন্ দুই রাজ্যের রাজধানী ?
Answer : পাঞ্জাব , হরিয়ানা ।
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝখানে কোন্ প্রণালী অবস্থিত ?
Answer : ১০ ° চ্যানেল ।
- সর্বাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য কোনগুলি ?
Answer : পশ্চিমবঙ্গ , অরুণাচল প্রদেশ ও জম্মু – কাশ্মীর ( ৩ টি করে ) ।
- ভারতের সবথেকে কম সীমানাস্পর্শকারী রাজ্য কোন্টি ?
Answer : সিকিম ( ১ টি , পশ্চিমবঙ্গ ) ।
- ভারতের সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য কোনটি ?
Answer : অরুণাচল প্রদেশ ( ৩ টি — ভুটান , চিন ও মায়নমার ) ।
- দ্রাঘিমারেখার ভিত্তিতে ভারত কোন্ গোলার্ধের দেশ ?
Answer : পূর্ব গোলার্ধের ।
- ভারতের দক্ষিণতম বিন্দুর নাম কী ?
Answer : ইন্দিরা পয়েন্ট ।
- ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম অংশের নাম কী ?
Answer : কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ ।
- কোন বিখ্যাত অক্ষরেখা ভারতের মাঝবরাবর বিস্তৃত ।
Answer : কর্কটক্রান্তি রেখা ।
- ভারত সমেত প্রতিবেশি দেশগুলির সংগঠনের নাম কী ?
Answer : SAARC .
- SAARC এর সদস্যসংখ্যা ক – টি ?
Answer : ৬ টি ।
- SAARC- এর পুরো কথা কী ?
Answer : South Asian Association for Regional Co – operation .
- ক্ষেত্রফল বিচারে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত ?
Answer : সপ্তম ।
- ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখার নাম কী ?
Answer : র্যাডক্লিফ লাইন ।
- কোন্ প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে ভারতের সীমারেখা দীর্ঘতম ?
Answer : বাংলাদেশ ।
- ভারতের একটি প্রতিবেশি দেশের নাম লেখো যা সম্পূর্ণ ; স্থলভাগ বেষ্টিত ।
Answer : নেপাল বা ভূটান ।
- একটি প্রতিবেশি দেশের নাম লেখো যা সম্পূর্ণ দ্বীপভূমি ।
Answer : শ্রীলঙ্কা / মালদ্বীপ ।
- ভারতের কোন রাজ্য ক্ষেত্রফলে বৃহত্তম ।
Answer : রাজস্থান ।
- বর্তমানে ভারতে রাজ্যের সংখ্যা ক – টি ?
Answer : ২৯ টি ।
MCQ | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- বর্তমানে ভারতের মোট রাজ্যসংখ্যা হল—(A) ২৭(B) ২৮ (C) ৩০ (D) ২৯
Answer : (D) ২৯
- চৈত্র মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে নতুন যে রাজ্যটি গঠিত হয়েছে তার নাম হল -(A) ছত্তিশগড়(B) উত্তরাখণ্ড(C) তেলেঙ্গানা(D) ঝাড়খণ্ড
Answer : (A) ছত্তিশগড়
- বর্তমানে ভারতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা হল -(A) ৯(B) ৭(C) ৬(D) ৮
Answer : (B) ৭
- প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা কোন শহরের ওপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ? -(A) এলাহাবাদ(B) আমেদাবাদ(C) লখনউ(D) দিল্লি
Answer : (A) এলাহাবাদ
- ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু হল -(A) ইন্দিরা পয়েন্ট(B) রামেশ্বরম(C) তিরুবনন্তপুরম (D) কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ
Answer : (D) কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ
- ভারত ও পাকিস্তান সীমারেখা কী নামে পরিচিত ?(A) ম্যাকমোহন লাইন(B) ডুরান্ড লাইন(C) র্যাডক্লিফ লাইন(D) কোনোটাই নয়
Answer : (C) র্যাডক্লিফ লাইন
- ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোন্ প্রণালী রয়েছে— “(A) ১০ ° চ্যানেল(B) ৯ ° চ্যানেল(C) পক্প্রণালী(D) সমব্রেরো চ্যানেল
Answer : (C) পক্প্রণালী
- ভারতের কোন রাজ্য ক্ষেত্রমান বৃহত্তম ?(A) মধ্যপ্রদেশ(B) উত্তরপ্রদেশ(C) গুজরাট(D) রাজস্থান
Answer : (D) রাজস্থান
- ভারতে ‘ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন স্থাপিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে ? -(A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে(B) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে(C) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে(D) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
Answer : (A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
- ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানীর নাম কী ?(A) জামসেদপুর(B) রাঁচি(C) পাটনা(D) রায়পুর
Answer : (B) রাঁচি
- ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা হল—(A) ৮২ ° ২৮ ′ পূর্ব(B) ৮২ ° ৩২ ′ পূর্ব(C) ৮২ ° ৩০ ′ পূর্ব(D) ৮২ ° ৩৪ ′ পূর্ব
Answer : (B) ৮২ ° ৩২ ′ পূর্ব
- অক্ষাংশগত দিক থেকে ভারত কোন্ গোলার্ধে অবস্থিত ?(A) দক্ষিণ (B) পূর্ব(C) পশ্চিম (D) উত্তর
Answer : B) পূর্ব
- পূর্বে গুজরাটের কচ্ছের রণ থেকে পশ্চিমে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারতের প্রস্থ হল -(A) ৩২১২ কিমি(B) ২৯৩৩ কিমি(C) ৩৫১২ কিমি(D) ২৯৩৬ কিমি
Answer : (C) ৩৫১২ কিমি
- আয়তনে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত — (A) অষ্টম(B) সপ্তম(C) নবম(D) দশম
Answer : (A) অষ্টম
- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারির আগে ভারতে মোট ক – টি অঙ্গরাজ্য ছিল ?(A) ১৪(B) ২৭(C) ২৮(D) ২৬
Answer : (A) ১৪
- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের রাজ্য পুনর্গঠন কীসের ভিত্তিতে হয় ?(A) সীমানা(B) ভাষা(C) শিক্ষা(D) জাতি
Answer : (B) ভাষা
- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠনের সময় ভারতে রাজ্যপাল শাসিত রাজ্য ( অঙ্গরাজ্য ) ছিল—(A) ১৫ (B) ১৭(C) ১৪(D) ১৬
Answer : (D) ১৬
- কর্নাটক রাজ্যের পূর্বনাম ছিল—(A) ত্রিবাঙ্কুর(B) ইউনাইটেড প্রভিন্স(C) কুর্গ(D) মহীশূর
Answer : (C) কুর্গ
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- ভারতের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম লেখো ।
Answer : ভারতের বৃহত্তম রাজ্য — রাজস্থান । বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল— আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ । ক্ষুদ্রতম রাজ্য — গোয়া । ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল — লাক্ষাদ্বীপ ।
- ভারতের পশ্চিমে এবং দক্ষিণে অবস্থিত উপসাগর গুলির নাম লেখো ।
Answer : পশ্চিম ভারতের উপসাগর হল — কচ্ছ উপসাগর ও খাম্বাত উপসাগর । দক্ষিণ ভারতের উপসাগর হল— মান্নার উপসাগর ।
- ভারতের কোন রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বাধিক এবং কোন্ রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বনিম্ন ?
Answer : ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বাধিক— ৭২ টি এবং ত্রিপুরা ও সিকিম জেলার সংখ্যা সর্বনিম্ন— ( ৪ টি করে ) ।
- সর্বাধিক রাজ্য দ্বারা সীমানা স্পর্শ করেছে এমন ২ টি রাজ্যের নাম লেখো ।
Answer : সর্বাধিক রাজ্য দ্বারা সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য হল— ( ১ ) উত্তরপ্রদেশ – ৮ টি ( উত্তরাখণ্ড , মধ্যপ্রদেশ , ছত্তিশগড় , হিমাচলপ্রদেশ , হরিয়ানা , ঝাড়খণ্ড , রাজস্থান ও বিহার ) ( ২ ) অসম —৭ টি ( পশ্চিমবঙ্গ , মেঘালয় , ত্রিপুরা , মিজোরাম , মণিপুর , নাগাল্যান্ড , অরুণাচল প্রদেশ ) ।
- ভারতের রাজ্যসমূহের পুনর্গঠনের প্রধান ভিত্তি কী ছিল ?
Answer : ভারতের রাজ্যসমূহের পুনর্গঠনের প্রধান ভিত্তিগুলি হল – ( i ) ভাষা , ( ii ) সংস্কৃতি , ( iii ) প্রশাসনিক দক্ষতাবৃদ্ধি , ( iv ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ( v ) প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সাদৃশ্য ।
- ভারতের দাক্ষিণাত্যকে উপদ্বীপ বলা হয় কেন ?
Answer : তিনদিক জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত কোনো স্থলভাগকে উপদ্বীপ বলে । ভারতের দক্ষিণ ভাগ অর্থাৎ দাক্ষিণাত্যকে উপদ্বীপ বলা হয় কারণ এর পূর্বে বঙ্গোপসার , পশ্চিমে আরব সাগর ও দক্ষিণে ভারতমহাসাগর অর্থাৎ তিনদিকে জলভাগ অবস্থান করছে ।
- ভারতবর্ষ পৃথিবীর ঠিক কোথায় অবস্থিত ?
Answer : ভারতবর্ষ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত , আবার পূর্ব – পশ্চিমের হিসাবে পূর্ব গোলার্ধের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত । এ ছাড়া বলা যায় , ভারত এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ – পূর্ব অংশে অবস্থিত । INTERESTING FACTS ভারতের প্রমাণ সময় | Greenwich Mean Time এর থেকে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে , Australian Eastern Standard Time এর তুলনায় ৪ ঘণ্টা পিছিয়ে এবং American Eastern Standard Time এর থেকে ১০.৫ ঘণ্টা এগিয়ে থাকে ।
- পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোন্ কোন্ রাজ্যের সীমানা বাংলাদেশকে স্পর্শ করে আছে ?
Answer : পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আসাম , মেঘালয় , ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্য বাংলাদেশের সীমানা স্পর্শ করে আছে ।
- পাকিস্তানের সাথে ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যের সীমানা স্পর্শ করে আছে ?
Answer : ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর , পাঞ্জাব , রাজস্থান ও গুজরাট রাজ্যের সীমানা পাকিস্তানের সীমানা স্পর্শ করে আছে ।
- ভারতের অক্ষাংশগত অবস্থান লেখো ।
Answer : ভারত দক্ষিণে ৮ ° ৪ ′ উত্তর অক্ষাংশ ( কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ ) থেকে উত্তরে ৩৭ ° ৬ ′ উত্তর অক্ষাংশ ( কাশ্মীরের ইন্দিরা কল ) পর্যন্ত বিস্তৃত । অক্ষাংশগত ভাবে ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত ।
- ভারতের দ্রাঘিমাংশগত অবস্থান লেখো ।
Answer : ভারত পশ্চিমে ৬৮ ° ৭ ′ পূর্ব দ্রাঘিমা ( গুজরাটের পশ্চিম সীমা ) থেকে ৯৭ ° ২৫ ′ পূর্ব দ্রাঘিমা ( অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সীমা ) পর্যন্ত বিস্তৃত । দ্রাঘিমাগত দিক থেকে ভারত পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত ।
- ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা কোন্ কোন্ শহরের পর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ?
Answer : ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা ( ৮২ ° ৩০ ′ পূ . ) এলাহাবাদ , সোনহাট এবং কোকনদের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ।
- কোন্ দুটি রেখা ভারতকে পূর্ব – পশ্চিমে এবং উত্তর – দক্ষিণে ভাগ করেছে ?
Answer : কর্কটক্রান্তি রেখা ( ২৩১ / ২ ° উত্তর ) ভারতকে উত্তর – দক্ষিণে এবং ৮০ ° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা ভারতকে পূর্ব – পশ্চিমে ভাগ করেছে ।
- ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু এবং ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু কোন্টি ?
Answer : ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু হল কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ এবং ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু হল আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত ইন্দিরা পয়েন্ট । ভারত : অবস্থ মায়ানমার ও বাংলাদেশ , বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভারতমহাসাগর ।
- উপদ্বীপ ( Peninsula ) কাকে বলে ?
Answer : তিনদিক জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত স্থলভাগকে উপদ্বীপ বলে । যেমন— ভারত হল একটি উপদ্বীপ , কারণ ভারতের তিনদিকে রয়েছে ৩ টি সাগর ( পূর্বে বঙ্গোপসাগর , পশ্চিমে আরব সাগর এবং দক্ষিণে ভারতমহাসাগর ) । ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম উপদ্বীপ ।
- উপসাগর ( Bay ) কাকে বলে ?
Answer : তিনদিক স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত সমুদ্রভাগকে উপসাগর বলে । যেমন — খাম্বাত উপসাগর , কচ্ছ উপসাগর ইত্যাদি ।
ব্যাখ্যামূলক উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
- ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনে ভাষার ভূমিকা লেখো ।
Answer : ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য ভাষার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি । ভারতের কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ যে যে ভাষায় কথা বলেন , সেই সেই অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । যেমন — ওড়িয়া ভাষা প্রধান অঞ্চলকে ওড়িশা , বাংলা ভাষা প্রধান অঞ্চলকে পশ্চিমবঙ্গ বা অসমীয়া ভাষা প্রধান অঞ্চলকে অসম রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে । এই হিসেবেই তেলুগু , পাঞ্জাবি , তামিল , কাশ্মীরি ভাষা প্রধান অঞ্চলগুলি হল যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ , পাঞ্জাব , তামিলনাড়ু , জম্মু ও কাশ্মীর প্রভৃতি ।
- ভারতের উপদ্বীপীয় অবস্থানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ।
Answer : ভারতের দক্ষিণাংশ উপদ্বীপীয় ভারত নামে পরিচিত । এই অংশকে দাক্ষিণাত্য বলে । এরুপ উপদ্বীপীয় অবস্থানের সুবিধাগুলি হল— ( ১ ) জলবায়ু : সমুদ্র কাছাকাছি অবস্থান করায় এই অংশের জলবায়ু সমভাবাপন্ন । ( ২ ) আত্মরক্ষা : সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় সমুদ্রপথে বহিঃশত্রুরা সহজে আক্রমন করতে পারে না । ( ৩ ) ব্যাবসাবাণিজ্য : জলপথে অন্যান্য দেশের সাথে ব্যাবসা বাণিজ্যের সুবিধা হয় । ( ৪ ) মৎস্যশিকার : পার্শ্ববর্তী সমুদ্র থেকে ভারত প্রচুর মৎস্যশিকার করে । এ ছাড়া মণিমুক্তা ও খনিজসম্পদও পাওয়া যায় । ( ৫ ) নৌবিদ্যা : ভারত নৌবিদ্যায়ও যথেষ্ট পারদর্শী । স্থলভাগের সীমানা দেখতে পাওয়া যায় । এর দৈর্ঘ্য হ ১৫,২০০ কিমি । উত্তরের সুবিশাল হিমালয় পর্বত ভারত ও চিনের প্রাকৃতিক সীমানা হিসেবে অবস্থান করছে । ভুটানের পূর্বাংশ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারত ও চিনের সীমান ম্যাকমোহন লাইন নামে পরিচিত । ভারতের উত্তর – পশ্চিমে ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা হল র্যাডক্লিফ লাইন । উত্তর – পূর্বে ভারত – মায়ানমার ও ভারত – বাংলাদেশ সীমারেখাও বর্তমান ।
- ভারতের জলভাগের সীমানা ।
Answer : ভারতের দক্ষিণে প্রায় ৬১০০ কিমি অংশজুড়ে অবস্থান করছে ভারতের জলভাগের সীমানা । ভারতের জলভাগের সীমানা নানান সাগর , উপসাগর ও মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত । যেমন- ভারতের সর্বদক্ষিণে রয়েছে ভারতমহাসাগর এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে রয়েছে মান্নার উপসাগর , পক্ উপসাগর ও পপ্রণালী । ভারতের পূর্বে রয়েছে বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমে রয়েছে আরব সাগর এবং গুজরাটের কচ্ছ ও কাথিয়াবাড়ের মধ্যে রয়েছে । কচ্ছ উপসাগর ও কাথিয়াবাড়ের দক্ষিণ পূর্বে রয়েছে কাছে খাম্বাত উপসাগর ।
- ভারতকে ‘ বৈচিত্র্যময় দেশ ’ বলা হয় কেন ?
Answer : ভারতে প্রাকৃতিক , অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক দিক থেকে বহু বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয় । ভারতের অবস্থান ও আয়তনগত বিশালতার জন্য সারা দেশজুড়ে মানুষের ভাষা , ধর্ম , সংস্কৃতি , জীবনধারণের ধরন , পোশাক – পরিচ্ছদ , খাদ্যাভ্যাস সবই ভিন্ন । এমনকি প্রাকৃতিক দিক দিয়েও ভারতের কোথাও সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চল , পাহাড়ি অঞ্চল , কোথাও বন্ধুর মালভূমি কোথাও – বা নদী অধ্যুষিত সমভূমি অবস্থান করছে । ভারতের এই সর্বাঙ্গীন বৈচিত্র্যময়তার জন্য ভারতকে ‘ বৈচিত্র্যময় দেশ ’ বলা হয় । বৈচিত্র্যতার কারণেই ভারতকে ‘ পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ ’ ( Epitome of the World ) বলা হয় ।
- ভারতবর্ষকে উপমহাদেশ বলার কারণ কী ?
Answer : ভারতবর্ষকে উপমহাদেশ বলার কারণ : এশিয়া মহাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত ভারত এবং ( চিন ও আফগানিস্তান বাদে ) ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলি যেমন : পাকিস্তান , নেপাল , ভুটান , বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এত নিবিড় যে , এই ছ – টি দেশকে একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয় । ভারতের মতো এইসব দেশগুলিও এককালে কেন্দ্রীভূত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঙ্গ হিসেবে বহুদিনই একসঙ্গে অবস্থান করেছে , আবার ভারতের কিছু আগে পরে স্বাধীনতাও লাভ করেছে । এইসব দেশের মূল আইন এবং বৈদেশিক নীতিও অনেকটা একই রকমের । বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের স জন্য ভারত এইসব দেশের মধ্যমণি হিসেবে অবস্থান করছে বলে মনে করা হয় । তাই এইসব দেশকে একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয় ।
- ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্য ভেঙে নতুন রাজ্য গঠন করা হয়েছে লেখো ।
Answer : ভারতের বিহার রাজ্য ভেঙে হয় ঝাড়খণ্ড , মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে হয় ছত্তিশগড় , উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে হয় উত্তরাখণ্ড এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে গঠিত হয় তেলেঙ্গনা রাজ্য ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :
1. ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তি কী ছিল ।
Answer : ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর রাজ্য পুনর্গঠন করা হয় প্রধানত ( ১ ) ভাষা , ( ২ ) সংস্কৃতি , ( ৩ ) প্রশাসনিক দক্ষতাবৃদ্ধি ( ৪ ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ( ৫ ) প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সাদৃশ্য – এর ওপর ভিত্তি করে ।
( ১ ) ভাষা : বহু ভাষাভাষী মানুষের দেশ ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের স্বার্থ রক্ষার কথা ভেবে , ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মূলত ভাষার ভিত্তিতে ভারতের রাজ্যগুলোর পুনর্গঠন করা হয় । ভারতের কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ যে যে ভাষায় কথা বলেন , সেই সেই অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । যেমন – ওড়িয়া ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে ওড়িশা , বাংলা ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা অসমীয়া ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে অসম রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । এই হিসেবে তেলুগু , পাঞ্জাবি , তামিল , কাশ্মীরি ভাষাপ্রধান অঞ্চলগুলি হল যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ , পাঞ্জাব , তামিলনাড়ু , জম্মু – কাশ্মীর প্রভৃতি ।
( ২ ) সংস্কৃতি : এক – একটি বিশাল অঞ্চলের অধিবাসীদের ভাষা এক হলেও তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও আচার অনুষ্ঠান , চিন্তাভাবনা , অনুশাসন , সংস্কার এবং আঞ্চলিক সংস্কৃতির পার্থক্য থাকায় প্রশাসনিক সুবিধার জন্য কোনো কোনো সময় বড়ো রাজ্য ভেঙে ছোটো রাজ্য করার প্রয়োজন অনুভূত হয় । ভাষা এক ( হিন্দি ) হলেও যেমন ( ক ) ঝাড়খণ্ড অঞ্চলের অধিবাসীদের সঙ্গে উত্তর বিহারের অধিবাসীদের চিন্তাভাবনা এক না – হওয়ায় বিহার রাজ্যকে ভেঙে ২ টি পৃথক রাজ্যে ( যেমন- বিহার ও ঝাড়খণ্ড ) পরিণত করা হয়েছে । ( খ ) উত্তরপ্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চল উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে এই রাজ্যে সমভূমিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের চিন্তাভাবনা , সংস্কার ও অনুশাসনের পার্থক্য থাকায় বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যকে ভেঙে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চল , এই দুটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে ।
( ৩ ) প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি : ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মূলত ভাষার ভিত্তিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলোর পুনর্গঠন করা হলেও পরবর্তীকালে সবসময় এই নীতি অনুসরণ করা যায়নি যেমন—
( ক ) প্রধান ভাষা হিন্দি হলেও উত্তরপ্রদেশ , বিহার , ঝাড়খণ্ড , মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়কে পাঁচটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে , কারণ— একটি রাজ্যের মর্যাদা পেলে হিন্দিভাষী ওই বিশাল রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালনা করতে বিভিন্ন ব্যাপারেই অনেক প্রশাসনিক অসুবিধা এবং জটিলতার সৃষ্টি হত । এই জন্যই ওই হিন্দিভাষী বিশাল অঞ্চলকে পাঁচটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয় ।
( খ ) পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যে অধিবাসীদের প্রধান ভাষা বাংলা এবং এদের মিলিত আয়তন ভারতের অনেক একক রাজ্যের তুলনায় কম হলেও পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা ভৌগোলিক অঞ্চলে এবং এদের মাঝে রয়েছে অন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ । কাজেই ভাষা এক হলেও প্রধানত ভৌগোলিক বাধার জন্য একটি রাজ্য হিসেবে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানো অসম্ভব হত , তাই পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা দুটি পৃথক রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে ।
( ৪ ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা : ভারতের বিভিন্ন অংশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমানভাবে ঘটাতে এবং উন্নয়নের পরিকল্পনা যথাযথ ভাবে গ্রহণ করতে রাজ্যগুলিকে পুনরায় ভাগ করা হয়েছে । এই কারণে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
( ৫ ) প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্য : কোনো অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্যের বিভিন্নতা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে তা আঞ্চলিক সংস্কৃতির পার্থক্যের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে এবং প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হয় । এই জন্য ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের সময় প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্যের ওপরও লক্ষ রাখা হয়েছে ।
SAARC : SAARC শব্দের পুরো নাম হল- South Asian Association of Regional Co – operation | বাংলায় যাকে বলে ‘ দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা পরিষদ । ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত , পাকিস্তান , নেপাল , ভুটান , বাংলাদেশ , শ্রীলঙ্কা , মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তান এই ৮ টি দেশ একত্রিত হয়ে এই সংস্থা গঠিত হয় । এর সদর শহর নেপালের কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত । এই সংস্থা স্থাপনের উদ্দেশ্য হল সদস্য দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক , বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ।
======================================================
ঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। ভারতের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্যের নাম [পর্ষদ নমুনা]
(ক) সিকিম (খ) গোয়া (গ) ত্রিপুরা (ঘ) মিজোরাম
উত্তর- ভারতের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্যের নাম (খ) গোয়া।
২। তিন বিঘা করিডোর আছে –
ক) পশ্চিমবঙ্গে খ) অসমে গ) বিহারে ঘ) ত্রিপুরায়
উত্তর- তিন বিঘা করিডোর আছে ক) পশ্চিমবঙ্গে।
৩। ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তের অক্ষাংশ –
ক) ৯°৪’ উত্তর খ) ৩৭°৬’ উত্তর গ) ৬°৪৫’ উত্তর ঘ) ২০° উত্তর
উত্তর- ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তের অক্ষাংশ গ) ৬°৪৫’ উত্তর।
৪। ভারত যে গোলার্ধের দেশ তা হল –
ক) উত্তর ও পশ্চিম গোলার্ধ খ) উত্তর ও পূর্ব গোলার্ধ গ) দক্ষিণ ও পূর্ব গোলার্ধ ঘ) দক্ষিণ ও পশ্চিম গোলার্ধ
উত্তর- ভারত যে গোলার্ধের দেশ তা হল খ) উত্তর ও পূর্ব গোলার্ধ।
৫। নিম্নলিখিত কোন রাজ্য ভেঙে তেলেঙ্গানা রাজ্যের সৃষ্টি হয়- [মাধ্যমিক ১৮]
(ক) মধ্যদেশ (খ) অন্ধ্রপ্রদেশ (গ) বিহার (ঘ) উত্তরপ্রদেশ
উত্তর- (খ) অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা রাজ্যের সৃষ্টি হয়।
৬। ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তি ছিল- [মাধ্যমিক ১৯]
(ক) ভাষা (খ) ধর্ম (গ) ভুপ্রকৃতি (ঘ) মৃত্তিকা
উত্তর- ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তি ছিল (ক) ভাষা।
৭। ভারতের নবীনতম রাজ্যের রাজধানী হল –
ক) দেরাদুন খ) হায়দ্রাবাদ গ) জয়পুর ঘ) চন্ডীগড়
উত্তর- ভারতের নবীনতম রাজ্যের রাজধানী হল খ) হায়দ্রাবাদ।
৮। ভারতের প্রায় মাঝখান দিয়ে যে অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে তা হল- [মাধ্যমিক ২০]
(ক) নিরক্ষরেখা (খ) মকরক্রান্তি রেখা (গ) মূল মধ্য রেখা (ঘ) কর্কটক্রান্তি রেখা
উত্তর- ভারতের প্রায় মাঝখান দিয়ে যে অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে তা হল (ঘ) কর্কটক্রান্তি রেখা।
৯। ভারতের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্যের নাম হল –
ক) সিকিম খ) ত্রিপুরা গ) গোয়া ঘ) মিজোরাম
উত্তর- ভারতের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্যের নাম হল গ) গোয়া।
১০। ভারতের স্থলভাগের দক্ষিণতম প্রান্ত হল –
ক) কন্যাকুমারী খ) কুমারিকা অন্তরীপ গ) ইন্দিরা পয়েন্ট ঘ) ইন্দিরা কল
উত্তর- ভারতের স্থলভাগের দক্ষিণতম প্রান্ত হল গ) ইন্দিরা পয়েন্ট।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। আয়তনের বিচারে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত?
উত্তর- আয়তনের বিচারে পৃথিবীতে ভারতের স্থান সপ্তম।
২। আয়তন অনুসারে ভারতের সর্ববৃহৎ রাজ্য কোনটি?
উত্তর- আয়তন অনুসারে ভারতের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তর প্রদেশ।
৩। বর্তমান ভারতের মোট অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা কত?
উত্তর – বর্তমান ভারতের মোট অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ২৮।
৪। ভারতের পশ্চিমতম স্থানের নাম কি?
উত্তর- ভারতের পশ্চিমতম স্থানের নাম কিবিথু।
৫। ঝাড়খন্ডের রাজধানীর নাম কি?
উত্তর- ঝাড়খন্ডের রাজধানীর নাম
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]
১। ভারতের সর্ববৃহৎ প্রতিবেশী দেশ ও সর্বাপেক্ষা ছোটো প্রতিবেশী দেশ দুটির নাম লেখো।
উত্তর- ভারতের সর্ববৃহৎ প্রতিবেশী দেশ চীন ও সর্বাপেক্ষা ছোটো প্রতিবেশী দেশ ভূটান।
২। কোন্ দুটি পূর্বতন রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নবগঠিত উত্তরাখণ্ড ও ছত্তিশগড় রাজ্য দুটির সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর- উত্তরাখণ্ড গঠিত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এবং ছত্তিশগড় রাজ্যটি গঠিত হয়েছে মধ্যপ্রদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে।
৩। ভারতের চারটি কেন্দ্র – শাসিত অঞ্চলের নাম লেখো।
উত্তর- ভারতের চারটি কেন্দ্র – শাসিত অঞ্চল i) দিল্লী ii) পুদুচেরী iii) লাক্ষাদ্বীপ iv) চণ্ডীগড়
৪। ম্যাকমোহন লাইন ও র্যাড ক্লিফ লাইন কী?
উত্তর- ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী সীমারেখা হল ম্যাকমোহন লাইন, এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী সীমারেখা হল র্যাডক্লিফ লাইন।
©kamaleshforeducation.in(2023)