CLASS VII IST UNIT TEST-HISTORY

©

Class 7 History First Unit Test Question  

সপ্তম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র  

 সপ্তম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র   নিচে দেওয়া হলো। 

 Class 7 History First Unit Test Question 

সপ্তম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র   থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ, Very Short, Short,  Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 7 History 1st Unit Test 2023 – পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টে ইতিহাস   পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। যারা Class 7 History First Unit Test Question 2023 – সপ্তম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র  প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজে চলেছে, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারে। 

 সপ্তম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র  

Class 7 History First Unit Test Question  – এখানে সপ্তম শ্রেণীর প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য ইতিহাস বিষয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন দেওয়া হল। সেইসাথে একটি নমুনা মডেল প্রশ্নপত্রও দেওয়া হয়েছে।

শ্রেণী (Class) পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণী (West Bengal Class 7th)
পরীক্ষা (Exam) প্রথম ইউনিট টেস্ট ২০২৩ (1st / First Unit Test 2023)
বিষয় (Subject) ইতিহাস (History)
পূর্ণমান (Marks) ১৫ নম্বর (15 Mark)
সময় (Time) ৩০ মিনিট (30 Minute)
সিলেবাস (Syllabus)
১. ইতিহাসের ধারণা
২. ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা
৩. ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা

(A) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। 1×3=3

  1. বাংলায় পাল বংশের রাজত্ব শুরু হয়— (750/850/950) খ্রিস্টাব্দে।

Ans: 750 খ্রিস্টাব্দে।

  1. প্রথম খলিফা ছিলেন—(মহম্মদ ঘোরি/বাইতুল্লাহ/ আবু বকর)।

Ans: আবু বকর

  1. কয়েকটি গ্রামকে নিয়ে গঠিত হত—(নাড়ু /উর/নগরম)।

Ans: নাড়ু

(B) এককথায় উত্তর দাও। 1×2=2

  1. ‘সকলোত্তরপথনাথ’ কার উপাধি ছিল?

Ans: ‘সকলোত্তরপথনাথ’ হর্ষবর্ধনের উপাধি ছিল।

  1. পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বৌদ্ধমন্দির কোনটি?

Ans: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বৌদ্ধমন্দির হলো ইন্দোনেশিয়ার বোরোবোদুরের বৌদ্ধ মন্দির।

(C) যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। 2×1=2

  1. প্রাচীন বাংলার প্রধান দুটি অঞ্চলের নাম লেখো । প্রাচীনকালে বঙ্গ বলতে কোন্ অঞ্চলকে বোঝানো হত ?

Ans: প্রাচীন বাংলার প্রধান দুটি অঞ্চলের নাম পুণ্ড্রবর্ধন ও বরেন্দ্র।

প্রাচীনকালে ভাগীরথী ও পদ্মার মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে ব-দ্বীপ অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হত

  1. লক্ষ্মণ সেনের রাজসভার পঞ্চরত্নদের নাম লেখো।

Ans: লক্ষ্মণ সেনের রাজসভার পঞ্চরত্নদের নাম হলো জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর, ধোয়ী এবং শরণ।

(D) যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। 3×1=3

  1. শশাঙ্ককে কেন ‘বৌদ্ধধর্মবিদ্বেষী’ বলা হয় ?

Ans: শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের হত্যা করেছিলেন এবং বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। একারণেই ‘আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প’, ‘হর্ষচরিত’ ইত্যাদি গ্রন্থে তাঁকে ‘বৌদ্ধধর্মবিদ্বেষী’ হিসেবে সমালোচনা করা হয়েছে।

  1. জনসমর্থনের নিরিখে বাংলার পাল ও সেন শাসনের তুলনা করো।

Ans:

পাল আমল সেন আমল
[a] চারশো বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। [a] একশো বছরের কিছু বেশি স্থায়ী হয়।
[b] জনগণের সমর্থনে গোপাল ক্ষমতাসীন হন। [b] জনগণের সমর্থনে বিজয়সেন ক্ষমতায় আসেন
[c] সমাজে পাল রাজারা নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তোলেন। [c] সেন রাজারা সমাজে তেমন গ্রহণযোগ্য ছিলেন না।

(E) যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। 5×1= 5

  1. বাংলার স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক সম্পর্কে আলোচনা করো।

Ans: শশাঙ্ক গুপ্তসম্রাট মহাসেনগুপ্তের অধীনে একজন সামন্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্ক স্বাধীন গৌড়ের শাসক হন ।

[a] রাজ্যবিস্তার: শশাঙ্কের আমলে গৌড়ের ক্ষমতা আরও বেড়েছিল। তাঁর রাজত্ব উত্তর-পশ্চিম বারাণসী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। সমগ্র গৌড়, মগধ, বুদ্ধগয়া, কঙ্গোদ, ওড়িশাকে তিনি নিজ অধিকারে আনতে পেরেছিলেন। তাঁর রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।

[b] কৃতিত্ব: শশাঙ্কের হাতে মৌখরি রাজা গ্রহবর্মা এবং পুষ্যভূতি রাজা রাজ্যবর্ধন পরাজিত ও নিহত হয়েছিলেন। পরবর্তী থানেসরের শাসক হর্ষবর্ধন শশাঙ্ককে উচিত শিক্ষা দিতে কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মার সঙ্গে মিত্রতাস্থাপন করলেও শশাঙ্ককে পর্যুদস্ত করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। অবশেষে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্ক মারা যান ।

  1. বিক্রমশীল মহাবিহারের পরিচয় দাও।

Ans: পালরাজ ধর্মপাল (৭৭০-৮১০ খ্রি.) মগধে (বিহারের ভাগলপুর জেলা) বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন।

[a] শিক্ষা পরিকাঠামো: বিক্রমশীল মহাবিহার ছিল নালন্দার মতো বিদ্যাচর্চার একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। এই মহাবিহারে ব্যাকরণ, তর্কশাস্ত্র, দর্শন ইত্যাদি পড়ানো হত এবং ভরতির জন্য ছাত্রদের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হত। শিক্ষা শেষ হলে ছাত্রদের উপাধি দেওয়া হত ।

[b] অধ্যাপকবৃন্দ: বিক্রমশীল মহাবিহারে বৌদ্ধধর্ম চর্চা ও শিক্ষার জন্য একশোরও বেশি আচার্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন শান্তিপদ, কল্যাণ রক্ষিত, শ্রীধর, অভয়াকর গুপ্ত প্রমুখ। দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান (অতীশ) ছিলেন বিক্রমশীল মহাবিহারের অধ্যক্ষ।

[c] মহাবিহারের ধ্বংসসাধন: ধর্মপালের সময় থেকে পরবর্তী প্রায় ৫০০ বছর বিক্রমশীল মহাবিহার শিক্ষাচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। লক্ষ্মণসেনের রাজত্বের শেষদিকে বখতিয়ার খলজির নেতৃত্বে তুর্কিরা বাংলা আক্রমণ করে বিক্রমশীল মহাবিহার ধ্বংস করেন ।

Sat – 2

(A) এককথায় প্রশ্ন উত্তর : 1

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: 5 × 1 = 5

  1. গৌড়বহ কাব্যের ভাষা- (সংস্কৃত / পালি / উর্দু/ প্রাকৃত )
  2. ত্রিশক্তি সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল- ( কর্ণসুবর্ণ / কনৌজ / মগধ ) দখল করা।
  3. সেন রাজা- ( বিজয়সেন / লক্ষনসেন / বল্লালসেন ) এর সময়ে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে।
  4. হর্ষচরিত গ্রন্থটির লিখেছেন- ( বাণভট্ট / হর্ষবর্ধন / তুলসীদাস )
  5. বাংলায় পাল বংশের রাজত্ব শুরু হয়- (৭৫০ / ৮৫০ / ৯৫০) খ্রিষ্টাব্দে।
  6. কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত হত- (নাড়ু / উর / নগরম )
  7. রাজা ভোজ ছিলেন- (রাষ্ট্রকূট রাজা / গুর্জর প্রতিহার রাজা / পাল রাজা / সেন রাজা)
  8. মক্কা শহর ছিল দুটি- (বাণিজ্যপথের / নদীর / দেশের) সংযোগস্থলে অবস্থিত।

শুন্যস্থান পূরণ করো: (যে-কোনো দুটি) 2 × 1 = 2

  1. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল
  2. তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে মহম্মদ ঘোরি  জয়ী হন।
  3. রাজা লক্ষনসেনের রাজধানী ছিল  লক্ষণাবতী (গৌড়)

সত্য না মিথ্যা লিখ: (যেকোনো দুটি) ২ × ১ = ২

  1. গজনির সুলতান মাহমুদ সতেরোবার উত্তর ভারত আক্রমণ করেন। [সত্য ] 
  2. রামচরিত কাব্য লিখেছেন তুলসীদাস।[মিথ্যা] 
  3. খলিফা শব্দের অর্থ প্রতিনিধি।[সত্য ] 

(B) সংক্ষেপে উত্তর দাও: 2× 2 = 4

  1. প্রাচীন বাংলার প্রথম দুটি অঞ্চলের নাম লেখো। প্রাচীনকালে বঙ্গ বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝানো হত?
  • পুণ্ড্র
  • গৌড়

প্রাচীনকালে ভাগীরথী ও পদ্মা নদীর মাঝে ত্রিভুজাকৃতি বদ্বীপ অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হয় । মনে করা হয়- ভাগীরথীর পশ্চিমদিকের অঞ্চল এর মধ্যে ছিল । পরে ভাগীরথীর পশ্চিমদিকে রাঢ় ও সুহ্ম নামে দুটি আলাদা অঞ্চলের উৎপত্তি হলে বঙ্গের সীমানা পরিবর্তন হয়ে যায় । ঢাকা, বিক্রমপুর, বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলকে সেই সময় বঙ্গ অঞ্চল বলে মানা হয়ে থাকে ।

  1. কৈবর্ত বিদ্রোহের একজন নেতার নাম লেখ।
কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা ছিলেন দিব্য
  1. শশাঙ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
রাজা শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ নগরী। এটি বহরমপুর থেকে 30 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  1. গঙ্গাইকোন্ডচোল উপাধি কে নিয়েছিলেন?

প্রথম রাজেন্দ্র হলেন দক্ষিণ ভারতের তামিল চোল সম্রাট যিনি তাঁর পিতা প্রথম রাজরাজ চোলের পর 1014 খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসেন। চোল শাসক প্রথম রাজেন্দ্র গঙ্গাইকোণ্ডচোল উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।

  1. কবে থেকে হিজরি সাল গণনা শুরু হয়?
 622 খ্রিস্টাব্দ থেকে হিজরী সাল শুরু হয়েছে কারণ তখন মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছিলেন কিন্তু তখন থেকে হিজরী সাল গণনা শুরু হয় নাই মূলত এটা ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু চালু করেছিলেন।
  1. বখতিয়ার খলজি লখনৌতিতে কী কী তৈরী করেন?
  1. মাৎস্যন্যায় কী?

Ans: শশাঙ্কের মৃত্যুর পর খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে সপ্তম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসে এক চরম অরাজক অবস্থা বিরাজ করে। পুকুরের বড়ো মাছ যেমন ছোটো মাছকে খেয়ে ফেলে, তেমনি এই সময় শক্তিশালী ক্ষত্রিয়, ব্রাহ্মণ, সম্ভ্রান্ত লোক এবং বণিকেরা ইচ্ছেমতো নিজের এলাকা শাসন করতে থাকে এবং দুর্বল লোকের ওপর অত্যাচার করে। এই সময়কালকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়।

  1. সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে লুঠ করা ধনসম্পদ কীভাবে ব্যবহার করেছিলেন?

Ans: সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে যেমন প্রচুর সম্পদ লুঠ করেছেন, তেমনি নিজের রাজ্যে ভালো কাজে তা ব্যয় করেছেন। তিনি রাজধানী গজনি এবং অন্যান্য শহরে প্রাসাদ, মসজিদ, গ্রন্থাগার, বাগিচা, জলাধার, খাল এবং আমু দরিয়ার নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেন। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেন যেখানে শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

  1. পাল ও সেন যুগে বাংলায় কী কী ফসল উৎপন্ন হতো? সে ফসলগুলির কোন কোনটি এখনও চাষ করা হয়?

Ans: পাল যুগে অর্থনীতির অন্যতম মূল ভিত্তি ছিল কৃষি। এই যুগের প্রধান উৎপন্ন ফসলগুলি ছিল- ধান, সর্ষে এবং নানারকমের ফল যেমন আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। এছাড়া কার্পাস, পান, সুপুরি, এলাচ, মহুয়া ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হতো। সেসময় বিভিন্ন শাক-সবজি যেমন বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কাঁকরোল, ডুমুর, কচু ইত্যাদিও উৎপন্ন হতো।

সেই ফসলগুলির মধ্যে অনেক ফসল এখনও উৎপন্ন হয়। যেমন ধান, সর্ষে, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কচু ইত্যাদি।

  1. পঞ্চরত্ন কী?

Ans: জয়দেব সহ লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় আরও চারজন কবি ছিলেন ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর এবং শরণ। এই পাঁচজন কবি একসঙ্গে লক্ষ্মণসেনের রাজসভার পঞ্চরত্ন ছিলেন। ধোয়ী লিখেছিলেন পবনদূত কাব্য।

  1. চর্যাপদ কী? কে প্রথম চর্যাপদের পুঁথি উদ্ধার করেন?

Ans: চর্যাপদ হলো খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলন। চর্যাপদের ভাষা আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন।

আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে এই চর্যাপদ এর পুঁথি উদ্ধার করেন।

  1. উর, নাড়ু ও নগরম কী?

Ans: নাড়ু- চোল আমলে কয়েকটি গ্রামকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল নাড়ু।

উর -কৃষকদের বসতিকে ঘিরে গড়ে ওঠা গ্রামকে শাসন করত গ্রাম পরিষদ বা উর।

নগরম- বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলার জন্য নগরম নামে আরেকটি পরিষদ গড়ে উঠেছিল।

  1. চক্রপাণিদত্ত কে ছিলেন?

Ans: পালযুগের একজন বিখ্যাত চিকিৎসা-বিজ্ঞানী ছিলেন চক্রপাণিদত্ত। প্রাচীন ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী চরক ও সুশ্রুতের রচনার ওপর তিনি টীকা লিখেছিলেন। তিনি সম্ভবত বীরভূম জেলার মানুষ ছিলেন। এছাড়া ভেষজ গাছ-গাছড়া, ঔষধের উপাদান, পথ্য প্রভৃতি নিয়েও তিনি বই লেখেন। তাঁর লেখা সেরা বইটি হলো চিকিৎসা সংগ্রহ।

(C) যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও: 2 × 3 = 6

  1. মাৎস্যন্যায়। (টীকা লেখো)

637 খ্রিস্টাব্দে গৌড়রাজ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে 750 খ্রিস্টাব্দে প্রায় 100 বছর পাল বংশের প্রতিষ্ঠা শাসক গোপাল সিংহাসনে আরোহনের পর্যন্ত ইতিহাসে “মাৎস্যন্যায়” বলা হতো| কেননা এই সময় বাংলায় সর্বত্র বিরাজ করত অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা|এই সময় কোন শক্তিশালী রাজা কিংবা কোন ন্যায় বিরাজ বলে কিছু ছিল না| সর্বত্র বলতে চলতো দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, অর্থাৎ সমুদ্র বা জলে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, তেমনি সাধারণ লোকদের উপর শক্তিশালী লোকদের নিপীড়ন অত্যাচার শুরু হয়েছিল| তাই বাংলা তথা অরাজকতা সময় কালকে “মাৎস্যন্যায় যুগ” বলে চিহ্নিত করা হয়েছে|

  1.  ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই সংগ্রামের কারণ কী ছিল?

    ত্রিশক্তি সংগ্রাম এর কারণ

    1. অষ্টম ও নবম শতকে কৌনজ ছিল ভারতীয় রাজাদের কাছে ক্ষমতার প্রতীক। কৌনজ দখল রাখতে পারলে তা রাজার মর্যাদার বৃদ্ধি পেত। যেমন- পশ্চিম এশিয়ার যোদ্ধা জাতিদের কাছে ব্যাবিলন বা টিউটিনিক জাতির কাছে রুশ দখল ছিল মর্যাদার প্রতীক।
    2. এছাড়া গাঙ্গেয় উপত্যকায় অবস্থিত এই অঞ্চলটি ছিল উর্বর, তাই অর্থনৈতিক দিক থেকেও এর খুব গুরুত্ব ছিল
  2. সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে লুঠ করা সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করেছিলেন?

উত্তর: সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে যেমন প্রচুর সম্পদ লুঠ করেছেন, তেমনি নিজের রাজ্যে ভালো কাজে তা ব্যয় করেছেন। তিনি রাজধানী গজনি এবং অন্যান্য শহরে প্রাসাদ, মসজিদ, গ্রন্থাগার, বাগিচা, জলাধার, খাল এবং আমু দরিয়ার নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেন। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেন যেখানে শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

  1. টিকা লিখ: কৈবর্ত বিদ্রোহ।

ভূমিকা: দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে (১০৭০-৭১ খ্রি)কৈবৰ্ত দিব্যের নেতৃত্বে বরেন্দ্রভূমিতে যে বিদ্রোহ হয়েছিল তাকে কৈবৰ্ত বিদ্ৰোহ’ বলা হয়। সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিত’ থেকে কৈবৰ্ত বিদ্রোহের কথা জানা যায়।

কৈবর্ত বিদ্রোহের কারণ

বিদ্রোহের কারণ:- কৈবৰ্তরা কেন বিদ্রোহ করেছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে।

প্রথমত:- পালরাজা রাজ্যপালের মন্ত্রী হন কৈবর্ত যশোদাস তারপর থেকে কৈবর্তদের রাজনৈতিক উত্থানের সূচনা হয়।

দ্বিতীয়তঃ- কৈবৰ্ত দিব্য ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি। পাল রাজাদের দুর্বলতা, অভ্যন্তরীণ গোলযোগ এবং রাজপরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে দিব্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

দিব্যের জয়:- বিদ্রোহীদের হাতে পালরাজা মহীপাল নিহত হন। বিদ্রোহে জয়লাভ করে দিব্য বরেন্দ্রতে তার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেন। দিব্য-র মৃত্যুর পর রূদোক ও ভীম সিংহাসনলাভ করেন।

বিদ্রোহ দমনঃ- পালরাজা রামপাল কয়েকজন আঞ্চলিক সামন্তরাজাদের সাহায্য নিয়ে কৈবর্ত শাসক ভীমকে পরাজিত ও নিহত করেন এবং বরেন্দ্র উদ্ধার করেন।

 

  1. খলিফা ও খিলাফাত। (টীকা লেখো)

7 প্রাচীন রাঢ় ও সূক্ষ্ম অঞ্চলের বর্ণনা নিজের ভাষায় লেখো।

 

  1. পাল শাসনের তুলনায় সেন শাসন কেন বাংলায় কম দিন স্থায়ী হয়েছিল?

Ans: বাংলায় পাল শাসন চারশো বছরেরও বেশি স্থায়ী হলেও সেন শাসন একশো বছরের মতো স্থায়ী হয়েছিল। সেন শাসনের কম স্থায়ী হওয়ার কারণগুলি ছিল-

  • (i) পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয়সেন কোনো জনসমর্থন পাননি।
  • (ii) পাল শাসকেরা বাংলার সমাজে নিজেদের শাসনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারলেও সেন শাসকেরা পারেননি।
  • (iii) শিক্ষা-দীক্ষা, ধর্মচর্চা, শিল্পকলা প্রভৃতি দিক থেকে পাল শাসন সেন শাসনের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল।
  1. ভারতের সামন্ত ব্যবস্থার ছবি আঁকতে গেলে কেন তা একখানা ত্রিভুজের মতো দেখায়? এই ব্যবস্থার সামন্তরা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করত?

Ans: সামন্ত ব্যবস্থা বলতে এক বিশেষ ধরনের শাসনতান্ত্রিক কাঠামাে বােঝায় যেখানে কেন্দ্রীর শক্তির অধীনে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির বিকাশ ঘটে এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পরিবর্তে স্থানীয় ভূস্বামীদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীভূত হয়ে থাকে। প্রাচীন এবং মধ্যযুগের ভারতে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে। সামন্ত ব্যবস্থায় সবার উপরে ছিলেন একজন রাজা। তার নীচে অল্প সংখ্যক মহাসামন্ত। মহাসামন্তের নীচে বেশ কিছু সামন্ত এবং সবার নীচে অনেক জনগণ। অর্থাৎ সামন্ত ব্যবস্থার ছবি আঁকতে গেলে উপর থেকে নীচের দিকটা আসতে আসতে চওড়া হতে হতে ত্রিভুজের আকার তৈরী হয়।

  • সামন্তরা কেউ পরিশ্রম করে উৎপাদন করতো না। অন্যের শ্রমে উৎপন্ন দ্রব্য বা রাজস্ব থেকে নিজেরা জীবিকা নির্বাহ করতো।
  1. পাল ও সেন যুগের বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করো।

Ans: পাল-সেন যুগে কৃষি, শিল্প এবং বাণিজ্যই ছিল বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি।

পাল-সেন যুগের বাণিজ্য:

এই যুগে বাংলার অর্থনীতিতে বাণিজ্যের গুরুত্ব ক্রমশ কমে এসেছিল। ভারতের পশ্চিম দিকের সাগরে আরব বণিকদের দাপটের ফলে বাংলার বণিকরা পিছু হটেছিল এবং তাদের গুরুত্ব কমে গিয়েছিল। বাণিজ্যের অবনতির কারণে মুদ্রার ব্যবহার খুব কমে যায়। জিনিস কেনাবেচার প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে কড়ি।

পাল-সেন যুগের কৃষি:

এই যুগে বাণিজ্যের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় বাংলার অর্থনীতি হয়ে কৃষিনির্ভর হয়ে পড়েছিল। এই যুগে কৃষকদের অবহেলা না করলেও জমিতে মূল অধিকার ছিল রাষ্ট্র বা রাজার। রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। এই যুগের প্রধান ফসলগুলি ছিল ধান, সরষে, নানারকম ফল যেমন আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। এছাড়া কার্পাস, পান, সুপুরি, এলাচ, মহুয়া ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হতো।

  1. ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই সংগ্রামের মূল কারণ কী ছিল?

Ans: হর্ষবর্ধনের রাজধানী কনৌজের সিংহাসন অধিকারকে কেন্দ্র করে বাংলার পাল, পশ্চিম ভারতের প্রতিহার ও দক্ষিণ ভারতের রাষ্ট্রকূটদের মধ্যে ত্রিশক্তি সংগ্রাম হয়েছিল। এই সংগ্রামের কারণগুলি ছিল-

(i) আধিপত্য বিস্তার: হর্ষবর্ধন উত্তর ভারতে যে রাজনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্য বিস্তার করেছিল তার সিংহভাগ দখল করতে পাল-প্রতিহার – রাষ্ট্রকূটরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।

(ii) আর্থিক সুবিধালাভ: পাল, প্রতিহার ও রাষ্ট্রকূট তিন রাজশক্তিই কনৌজের দখল নিয়ে সেখানকার সম্পদের অধিপতি হতে চেয়েছিল। পাশাপাশি তারা উত্তর ভারতের বাণিজ্যপথগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে চেয়েছিল।

(iii) ভৌগােলিক গুরুত্ব: কনৌজের ভৌগলিক অবস্থা ও খনিজ সম্পদ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে প্রলুব্ধ করে। উর্বরা গাঙ্গেয় অঞ্চল দখল ও কর্তৃত্ব স্থাপনের নেশায় তারা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।

  1. টীকা লেখো: নালন্দা বৌদ্ধবিহার।

Ans: সম্ভবত গুপ্ত সম্রাটদের আমলে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে আজকের বিহার রাজ্যে নালন্দা বৌদ্ধবিহার তৈরি হয়েছিল। এর খ্যাতি সমগ্র এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। হর্ষবর্ধন ও পাল রাজারা এই বৌদ্ধবিহারকে সাহায্য করতেন। সুদূর তিব্বত, চিন, কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়া থেকে এখানে ছাত্ররা পড়তে আসতেন। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে সুয়ান জাং বা হিউয়েন সাঙ এখানে শিক্ষালাভ করেন। কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ছাত্ররা এখানে পড়ার সুযোগ পেত। নালন্দার সমৃদ্ধির যুগে এখানে দশ হাজার আবাসিক ভিক্ষু থাকতেন। তার মধ্যে ১৫০০ জন শিক্ষক ছিলেন এবং ৮৫০০ জন ছাত্র। ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত এর খ্যাতি বজায় ছিল। ওই শতকেই তুর্কি অভিযানকারীরা এই অঞ্চল আক্রমণ করে এই মহাবিহারের ব্যাপক ক্ষতি করেছিল।

  1. বিক্রমশীল মহাবিহারের বর্ণনা দাও।

Ans: পালরাজা ধর্মপাল খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে মগধের উত্তরভাগে ভাগলপুর শহরের কাছে বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী পাঁচশো বছর এটি টিকেছিল। এখানে বৌদ্ধধর্ম চর্চা ও শিক্ষার জন্য একশোর বেশি আচার্য ছিলেন। এখানে ব্যাকরণ, তর্কশাস্ত্র, দর্শন প্রভৃতি বিষয় পড়ানো হত। তিন হাজার ছাত্রের পড়া এবং বিনা খরচায় তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা এখানে ছিল। শিক্ষা শেষে তাদের উপাধি প্রদান করা হত। বিক্রমশীল ছিল বজ্রযান বৌদ্ধমত চর্চার বড়ো কেন্দ্র। এখানে বহু মূল্যবান পাণ্ডুলিপি ছিল। দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ ছিলেন এই মহাবিহারের একজন মহাচার্য। ত্রয়োদশ শতকে তুর্কি অভিযানকারীরা এই মহাবিহারকে ধ্বংস করে।

 

kamaleshforeducation.in(2023)  

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!